\id PRO - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h হিতোপদেশ \toc1 হিতোপদেশ \toc2 হিতোপদেশ \toc3 হিতো \mt1 হিতোপদেশ \c 1 \ms1 উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু \p \v 1 দাউদের ছেলে, ইস্রায়েলের রাজা শলোমনের হিতোপদেশ: \q1 \v 2 প্রজ্ঞা ও শিক্ষা অর্জনের জন্য; \q2 অন্তর্দৃষ্টিমূলক কথা বোঝার জন্য; \q1 \v 3 বিচক্ষণ ব্যবহারের সম্বন্ধে শিক্ষালাভের জন্য, \q2 যা কিছু যথার্থ, ন্যায্য ও সুন্দর, তা করার জন্য; \q1 \v 4 অনভিজ্ঞ মানুষদের\f + \fr 1:4 \fr*\ft হিতোপদেশে অনভিজ্ঞ মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হিব্রু শব্দটি এমন এক ব্যক্তিকে বোঝায় যে অতিসরল, নৈতিক পরিচালনাবিহীন ও মন্দের প্রতি অনুরক্ত\ft*\f* দূরদর্শিতা, \q2 অল্পবয়স্কদের জ্ঞান ও বিচক্ষণতা দানের জন্য— \q1 \v 5 জ্ঞানবানেরা শুনুক ও তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি হোক, \q2 এবং বিচক্ষণেরা পথনির্দেশনা লাভ করুক— \q1 \v 6 যেন তারা নীতিবচন ও দৃষ্টান্ত, \q2 জ্ঞানবানদের বাণী ও হেঁয়ালি বুঝতে পারে।\f + \fr 1:6 \fr*\ft অথবা, একটি নীতিবচন, অর্থাৎ, একটি দৃষ্টান্ত, এবং জ্ঞানবানদের বাণী, তাদের হেঁয়ালি বুঝতে পারে\ft*\f* \b \q1 \v 7 সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ, \q2 কিন্তু মূর্খেরা\f + \fr 1:7 \fr*\ft মূর্খের ক্ষেত্রে হিতোপদেশে ও পুরাতন নিয়মের অন্যত্র প্রায়ই যে হিব্রু শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তা এমন এক ব্যক্তিকে বোঝায় যে নৈতিক দিক থেকে ত্রুটিযুক্ত\ft*\f* প্রজ্ঞা ও শিক্ষা তুচ্ছ করে। \ms1 প্রস্তাবনা: সাগ্রহে প্রজ্ঞা গ্রহণ করার পরামর্শ দান \s1 পাপিষ্ঠ লোকের আমন্ত্রণ গ্র্রহণের বিরুদ্ধে সাবধানবাণী \q1 \v 8 হে আমার বাছা, তোমার বাবার উপদেশ শোনো, \q2 আর তোমার মায়ের শিক্ষা ত্যাগ কোরো না। \q1 \v 9 এগুলি এক ফুলমালা হয়ে তোমার মাথার শোভা বাড়াবে \q2 ও এক হার হয়ে তোমার গলাকে সাজিয়ে তুলবে। \b \q1 \v 10 হে আমার বাছা, পাপীরা যদি তোমাকে প্রলুব্ধ করে, \q2 তুমি তাদের কথায় সম্মত হোয়ো না। \q1 \v 11 তারা যদি বলে, “আমাদের সঙ্গে এসো; \q2 নির্দোষের রক্তপাত করার জন্য আমরা ওৎ পেতে থাকি, \q2 কয়েকটি নিরীহ মানুষকে মারার জন্য ঘাপটি মেরে থাকি; \q1 \v 12 কবরের মতো আমরা ওদের জীবন্ত গ্রাস করি, \q2 ও মৃত্যুর খাদে পড়া মানুষের মতো তাদের পুরোপুরি গ্রাস করি; \q1 \v 13 আমরা সব ধরনের মূল্যবান সামগ্রী পাব \q2 ও লুন্ঠিত দ্রব্যে আমাদের বাড়িগুলি ভরিয়ে তুলব; \q1 \v 14 আমাদের সঙ্গে গুটিকাপাতের দান চালো; \q2 আমরা সবাই লুটের অর্থ ভাগাভাগি করে নেব”— \q1 \v 15 হে আমার বাছা, তাদের সঙ্গে যেয়ো না, \q2 তাদের পথে পা বাড়িয়ো না; \q1 \v 16 কারণ তাদের পা মন্দের দিকে ধেয়ে যায়, \q2 তারা রক্তপাত করার জন্য দ্রুতগতিতে দৌড়ায়। \q1 \v 17 যেখানে প্রত্যেকটি পাখি দেখতে পায় \q2 সেখানে জাল পাতার কোনো অর্থই হয় না! \q1 \v 18 এইসব লোক নিজেদের রক্তপাত করার জন্যই ওৎ পেতে থাকে; \q2 তারা শুধু নিজেদের মারার জন্যই ঘাপটি মেরে থাকে! \q1 \v 19 বাঁকা পথে যারা ধন উপার্জন করতে চায় তাদের সবার এই গতিই হয়; \q2 যারা সেই ধন পায় তাদের প্রাণ সেই ধন ছিনিয়ে নেয়। \s1 প্রজ্ঞার ভর্ৎসনা \q1 \v 20 পথে পথে প্রজ্ঞা চিৎকার করে বেড়ায়, \q2 প্রকাশ্য চকে সে তার সুর চড়ায়; \q1 \v 21 প্রাচীরের মাথায় উঠে\f + \fr 1:21 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, কোলাহলমুখর পথের কোনায় গিয়ে\ft*\f* সে ডাক ছাড়ে, \q2 নগরের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে সে বক্তৃতা দেয়: \b \q1 \v 22 “তোমরা যারা অনভিজ্ঞ মানুষ, আর কত দিন তোমরা তোমাদের সরলতা ভালোবাসবে? \q2 আর কত দিন ঠাট্টা-বিদ্রুপকারীরা ঠাট্টা করে আনন্দ পাবে \q2 ও মূর্খেরা জ্ঞানকে ঘৃণা করবে? \q1 \v 23 আমার ভর্ৎসনা দ্বারা অনুতপ্ত হও! \q2 তখন আমি তোমাদের কাছে আমার ভাবনাচিন্তা ঢেলে দেব, \q2 আমি তোমাদের কাছে আমার শিক্ষামালা জ্ঞাত করব। \q1 \v 24 কিন্তু যখন আমি ডাকলাম তোমরা সে ডাক প্রত্যাখ্যান করেছ, \q2 ও আমি হাত বাড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও কেউ মনোযোগ দাওনি, \q1 \v 25 যেহেতু তোমরা আমার সব পরামর্শ উপেক্ষা করেছ \q2 ও আমার ভর্ৎসনা শুনতে চাওনি, \q1 \v 26 তাই বিপর্যয় যখন তোমাদের আঘাত করবে তখন আমি হাসব; \q2 চরম দুর্দশা যখন তোমাদের নাগাল ধরে ফেলবে তখন আমি বিদ্রুপ করব— \q1 \v 27 চরম দুর্দশা যখন ঝড়ের মতো তোমাদের নাগাল ধরে ফেলবে, \q2 বিপর্যয় যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো তোমাদের উপরে ধেয়ে আসবে, \q2 মর্মান্তিক যন্ত্রণা ও দুঃখকষ্ট যখন তোমাদের আচ্ছন্ন করবে। \b \q1 \v 28 “তখন তারা আমাকে ডাকবে কিন্তু আমি উত্তর দেব না; \q2 তারা আমার খোঁজ করবে কিন্তু আমায় খুঁজে পাবে না, \q1 \v 29 যেহেতু তারা জ্ঞানকে ঘৃণা করেছে \q2 ও সদাপ্রভুকে ভয় করতে চায়নি। \q1 \v 30 যেহেতু তারা আমার পরামর্শ নিতে চায়নি \q2 ও আমার ভর্ৎসনা পদদলিত করেছে, \q1 \v 31 তাই তারা নিজেদের আচরণের ফলভোগ করবে \q2 ও তাদের ষড়যন্ত্রের ফলে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। \q1 \v 32 কারণ অনভিজ্ঞ লোকদের খামখেয়ালীপনাই তাদের হত্যা করবে, \q2 ও মূর্খদের আত্মপ্রসাদই তাদের ধ্বংস করবে; \q1 \v 33 কিন্তু যে আমার কথা শোনে সে নিরাপদে বেঁচে থাকবে \q2 ও অনিষ্টের ভয় না করে স্বচ্ছন্দে থাকবে।” \c 2 \s1 প্রজ্ঞার নৈতিক উপকারিতা \q1 \v 1 হে আমার বাছা, তুমি যদি আমার কথা শোনো \q2 ও আমার আদেশগুলি হৃদয়ে সঞ্চয় করে রাখো, \q1 \v 2 প্রজ্ঞার প্রতি কর্ণপাত করো \q2 ও বুদ্ধিতে মনোনিবেশ করো— \q1 \v 3 সত্যিই, তুমি যদি অন্তর্দৃষ্টিকে ডাক দাও \q2 ও বুদ্ধি লাভের জন্য জোর গলায় কাকুতিমিনতি করো, \q1 \v 4 ও যদি রুপোর মতো তার খোঁজ করো \q2 ও গুপ্তধনের মতো তা খুঁজে বেড়াও, \q1 \v 5 তবেই তুমি সদাপ্রভুর ভয় বুঝতে পারবে \q2 ও ঈশ্বরের জ্ঞান খুঁজে পাবে। \q1 \v 6 কারণ সদাপ্রভুই প্রজ্ঞা দান করেন; \q2 তাঁর মুখ থেকেই জ্ঞান ও বুদ্ধি বের হয়। \q1 \v 7 ন্যায়পরায়ণদের জন্য তিনি সাফল্য সঞ্চয় করে রাখেন, \q2 যাদের চলন অনিন্দনীয়, তাদের জন্য তিনি ঢাল হয়ে দাঁড়ান, \q1 \v 8 কারণ তিনি ধার্মিকের পথ পাহারা দেন \q2 ও তাঁর বিশ্বস্তজনেদের গতিপথ রক্ষা করেন। \b \q1 \v 9 তখন তুমি বুঝবে ন্যায্য ও যথাযথ \q2 ও উপযুক্ত—প্রত্যেক সঠিক পথ কী। \q1 \v 10 কারণ তোমার হৃদয়ে প্রজ্ঞা প্রবেশ করবে, \q2 ও জ্ঞান তোমার প্রাণের পক্ষে আনন্দদায়ক হবে। \q1 \v 11 বিচক্ষণতা তোমাকে রক্ষা করবে, \q2 ও বুদ্ধি তোমাকে পাহারা দেবে। \b \q1 \v 12 প্রজ্ঞা তোমাকে দুষ্টলোকের পথ থেকে উদ্ধার করবে, \q2 সেইসব লোকের হাত থেকে করবে যারা বিকৃত কথা বলে, \q1 \v 13 যারা অন্ধকারাচ্ছন্ন পথে চলার জন্য \q2 সোজা পথ ত্যাগ করেছে, \q1 \v 14 যারা অন্যায় করে আনন্দ পায় \q2 ও মন্দের বিকৃতমনস্কতায় আনন্দিত হয়, \q1 \v 15 যাদের পথ কুটিল \q2 ও যারা তাদের আচরণে প্রতারণাপূর্ণ। \b \q1 \v 16 প্রজ্ঞা তোমাকে ব্যভিচারিণীর হাত থেকেও উদ্ধার করবে, \q2 সম্মোহনী কথা বলা স্বৈরিণী মহিলার হাত থেকেও করবে, \q1 \v 17 যে তার যৌবনাবস্থাতেই স্বামীকে ত্যাগ করেছে \q2 ও ঈশ্বরের সামনে করা তার চুক্তি\f + \fr 2:17 \fr*\ft অথবা, তার ঈশ্বরের নিয়ম\ft*\f* উপেক্ষা করেছে। \q1 \v 18 নিশ্চয় তার বাড়ি মৃত্যুর দিকে পা বাড়ায় \q2 ও তার পথ মৃত মানুষের আত্মাদের দিকে এগিয়ে যায়। \q1 \v 19 যারা তার কাছে যায় তারা কেউ আর ফিরে আসে না \q2 বা জীবনের পথও অর্জন করে না। \b \q1 \v 20 এইভাবে তুমি সুশীলদের পথে চলবে \q2 ও ধার্মিকদের পথ অবলম্বন করবে। \q1 \v 21 কারণ ন্যায়পরায়ণরাই দেশে বসবাস করবে, \q2 ও অনিন্দনীয়রাই সেখানে অবশিষ্ট থাকবে; \q1 \v 22 কিন্তু দুষ্টেরা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে, \q2 ও অবিশ্বস্ত লোকেরা সেখান থেকে নির্মূল হবে। \c 3 \s1 প্রজ্ঞা সুখসমৃদ্ধি দান করে \q1 \v 1 হে আমার বাছা, তুমি আমার শিক্ষা ভুলে যেয়ো না, \q2 কিন্তু তোমার হৃদয়ে আমার আদেশগুলি সঞ্চয় করে রেখো, \q1 \v 2 কারণ সেগুলি তোমার আয়ু বহু বছর বাড়িয়ে তুলবে \q2 ও তোমার জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে। \b \q1 \v 3 ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা যেন কখনও তোমাকে ত্যাগ করে না যায়; \q2 সেগুলি তোমার গলায় বেঁধে রাখো, \q2 সেগুলি তোমার হৃদয়-ফলকে লিখে রাখো। \q1 \v 4 তবেই তুমি ঈশ্বরের ও মানুষের দৃষ্টিতে \q2 অনুগ্রহ ও সুখ্যাতি লাভ করবে। \b \q1 \v 5 তুমি সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর উপর আস্থা রাখো \q2 ও নিজের বিচক্ষণতার উপর নির্ভর কোরো না; \q1 \v 6 তোমার সমস্ত পথে তাঁর বশ্যতাস্বীকার করো, \q2 ও তিনি তোমার পথগুলি সোজা করে দেবেন।\f + \fr 3:6 \fr*\ft অথবা, তোমায় পথনির্দেশ দেবেন\ft*\f* \b \q1 \v 7 নিজের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান হোয়ো না; \q2 সদাপ্রভুকে ভয় করো ও কুকর্ম এড়িয়ে চলো। \q1 \v 8 এটি তোমার দেহে স্বাস্থ্য ফিরাবে \q2 ও তোমার অস্থির পুষ্টিসাধন করবে। \b \q1 \v 9 সদাপ্রভুর সম্মান করো তোমার ধনসম্পদ \q2 ও তোমার সমস্ত ফসলের অগ্রিমাংশ দিয়ে; \q1 \v 10 তবেই তোমার গোলাঘরগুলি শস্যে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, \q2 ও ভাঁটিগুলি নতুন দ্রাক্ষারসে উপচে পড়বে। \b \q1 \v 11 হে আমার বাছা, সদাপ্রভুর শাসন তুচ্ছ কোরো না, \q2 ও তাঁর ভর্ৎসনা ক্ষতিকর বলে মনে কোরো না, \q1 \v 12 কারণ সদাপ্রভু যাদের প্রেম করেন, তাদেরই শাস্তি দেন, \q2 যেভাবে একজন বাবা তাঁর প্রিয় ছেলেকে দেন।\f + \fr 3:12 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, ও যাদের তিনি তাঁর সন্তানরূপে গ্রহণ করেন, তাদের তিনি শাসনও করেন\ft*\f* \b \q1 \v 13 তারাই আশীর্বাদধন্য যারা প্রজ্ঞা খুঁজে পায়, \q2 যারা বিচক্ষণতা লাভ করে, \q1 \v 14 কারণ প্রজ্ঞা রুপোর চেয়েও বেশি লাভজনক \q2 ও সোনার চেয়েও ভালো প্রতিদান দেয়। \q1 \v 15 প্রজ্ঞা পদ্মরাগমণির চেয়েও বেশি মূল্যবান; \q2 তোমার আকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুকেই তার সাথে তুলনা করা যায় না। \q1 \v 16 প্রজ্ঞার ডান হাতে দীর্ঘ পরমায়ু আছে; \q2 বাঁ হাতে ধন ও সম্মান আছে। \q1 \v 17 তার পথগুলি সুখকর পথ, \q2 ও তার সব পথে শান্তি আছে। \q1 \v 18 যারা প্রজ্ঞাকে ধরে রাখে তাদের কাছে সে এক জীবনবৃক্ষ; \q2 যারা তাকে অটলভাবে ধরে রাখে তারা আশীর্বাদধন্য হবে। \b \q1 \v 19 সদাপ্রভু প্রজ্ঞা দ্বারাই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছেন, \q2 বিচক্ষণতা দ্বারাই তিনি আকাশমণ্ডলকে যথাস্থানে রেখেছেন; \q1 \v 20 তাঁর জ্ঞানের দ্বারাই গভীর জলরাশি বিভক্ত হয়েছিল, \q2 ও মেঘরাশি শিশির বর্ষণ করে। \b \q1 \v 21 হে আমার বাছা, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা যেন তোমার দৃষ্টি-বহির্ভূত না হয়, \q2 সূক্ষ্ম বিচার ও বিচক্ষণতা অক্ষুণ্ণ রেখো; \q1 \v 22 তোমার জন্য সেগুলি জীবনস্বরূপ হবে, \q2 তোমার গলার শোভাবর্ধক এক অলংকার হবে। \q1 \v 23 তখন তুমি নিরাপদে তোমার পথে চলে যাবে, \q2 ও তোমার পায়ে হোঁচট লাগবে না। \q1 \v 24 তুমি যখন শুয়ে থাকবে, তখন তুমি ভয় পাবে না; \q2 তুমি যখন শুয়ে থাকবে, তখন তোমার ঘুমও তৃপ্তিদায়ক হবে। \q1 \v 25 আকস্মিক বিপর্যয় দেখে ভয় পাবে না \q2 বা দুষ্টদের সর্বনাশ হতে দেখেও ভয় পাবে না, \q1 \v 26 কারণ সদাপ্রভু তোমার পাশে দাঁড়াবেন \q2 ও তোমার পা-কে ফাঁদে পড়া থেকে তিনিই রক্ষা করবেন। \b \q1 \v 27 যাদের মঙ্গল করা উচিত তাদের মঙ্গল করতে অসম্মত হোয়ো না, \q2 যখন তা করার ক্ষমতা তোমার আছে। \q1 \v 28 তোমার প্রতিবেশীকে বোলো না, \q2 “আগামীকাল আবার এসো ও আমি তোমাকে তা দেব”— \q2 যখন তোমার কাছেই তা আছে। \q1 \v 29 তোমার সেই প্রতিবেশীর অনিষ্ট করার ষড়যন্ত্র কোরো না, \q2 যে তোমাকে বিশ্বাস করে তোমার পাশেই বসবাস করছে। \q1 \v 30 অকারণে কাউকে দোষারোপ কোরো না— \q2 যখন সে তোমার কোনও ক্ষতি করেনি। \b \q1 \v 31 হিংস্র প্রকৃতির মানুষকে হিংসা কোরো না \q2 বা তাদের কোনও পথ মনোনীত কোরো না। \b \q1 \v 32 কারণ সদাপ্রভু উচ্ছৃঙ্খলদের ঘৃণা করেন \q2 কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের সাথে তিনি ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। \q1 \v 33 দুষ্টের বাড়ির উপরে সদাপ্রভুর অভিশাপ নেমে আসে, \q2 কিন্তু ধার্মিকের ঘরকে তিনি আশীর্বাদ করেন। \q1 \v 34 অহংকারী ঠাট্টা-বিদ্রুপকারীদের তিনি বিদ্রুপ করেন \q2 কিন্তু নম্র ও নিপীড়িতদের প্রতি তিনি অনুগ্রহ দেখান। \q1 \v 35 জ্ঞানবানেরা সম্মানের অধিকারী হয়, \q2 কিন্তু মূর্খেরা শুধু লজ্জাই পায়। \c 4 \s1 যে কোনো মূল্যে প্রজ্ঞা লাভ করো \q1 \v 1 হে আমার বাছারা, একজন বাবার উপদেশ শোনো; \q2 মনোযোগ দাও ও বিচক্ষণতা লাভ করো। \q1 \v 2 আমি তোমাদের নির্ভরযোগ্য শিক্ষা দিচ্ছি, \q2 তাই আমার দেওয়া শিক্ষা পরিত্যাগ কোরো না। \q1 \v 3 কারণ আমিও এক সময় আমার বাবার ছেলে ছিলাম, \q2 তখনও সুকুমার ছিলাম, ও আমার মায়ের দ্বারা লালিত হয়েছিলাম। \q1 \v 4 তখন বাবা আমাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন, ও বলেছিলেন, \q2 “সর্বান্তঃকরণে আমার বলা কথাগুলি ধরে রেখো; \q2 আমার আদেশগুলি পালন কোরো, ও তুমি বেঁচে যাবে। \q1 \v 5 প্রজ্ঞা অর্জন করো, বিচক্ষণতা অর্জন করো; \q2 আমার কথাগুলি ভুলে যেয়ো না বা সেগুলি থেকে সরে যেয়ো না। \q1 \v 6 প্রজ্ঞাকে পরিত্যাগ কোরো না, ও সে তোমাকে রক্ষা করবে; \q2 তাকে ভালোবেসো, ও সে তোমাকে পাহারা দেবে। \q1 \v 7 প্রজ্ঞার আরম্ভ এইরকম: প্রজ্ঞা অর্জন করো।\f + \fr 4:7 \fr*\ft অথবা, প্রজ্ঞাই সর্বশ্রেষ্ঠ, তাই তা অর্জন করো\ft*\f* \q2 এর মূল্যরূপে তোমার যথাসর্বস্য দিতে হলেও,\f + \fr 4:7 \fr*\ft অথবা, তুমি আর যা কিছু অর্জন করো না কেন,\ft*\f* বিচক্ষণতা অর্জন করো। \q1 \v 8 তাকে লালনপালন করো, ও সে তোমাকে উন্নত করবে; \q2 তাকে সাগ্রহে গ্রহণ করো, ও সে তোমাকে সম্মানিত করবে। \q1 \v 9 সে তোমার মাথার শোভাবর্ধন করার জন্য এক ফুলমালা দেবে \q2 ও তোমাকে চমৎকার এক মুকুট উপহার দেবে।” \b \q1 \v 10 হে আমার বাছা, শোনো, আমি যা বলি তা গ্রহণ করো, \q2 ও তোমার জীবনের আয়ু সুদীর্ঘ হবে। \q1 \v 11 আমি তোমাকে প্রজ্ঞার পথের বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি \q2 ও সোজা পথে চালাচ্ছি। \q1 \v 12 তুমি যখন চলবে, তোমার পদক্ষেপ ব্যাহত হবে না; \q2 তুমি যখন দৌড়াবে, তখন হোঁচট খাবে না। \q1 \v 13 উপদেশ ধরে রেখো, তা ছেড়ে দিয়ো না; \q2 তা ভালোভাবে পাহারা দাও, কারণ তাই তোমার জীবন। \q1 \v 14 দুষ্টদের পথে পা বাড়িয়ো না \q2 বা অনিষ্টকারীদের পথে হেঁটো না। \q1 \v 15 সে পথ এড়িয়ে চলো, সে পথে ভ্রমণ কোরো না; \q2 সেখান থেকে ফিরে এসো ও নিজের পথে চলে যাও। \q1 \v 16 কারণ অনিষ্ট না করা পর্যন্ত তারা বিশ্রাম নিতে পারে না; \q2 কাউকে হোঁচট না খাওয়ানো পর্যন্ত তাদের চোখে ঘুম আসে না। \q1 \v 17 তারা দুষ্টতার রুটি খায় \q2 ও হিংস্রতার দ্রাক্ষারস পান করে। \b \q1 \v 18 ধার্মিকদের পথ প্রভাতি সূর্যের মতো, \q2 যা মধ্যাহ্ন পর্যন্ত ক্রমাগত উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতেই থাকে। \q1 \v 19 কিন্তু দুষ্টদের পথ ঘন অন্ধকারের মতো; \q2 তারা জানেই না কীসে তারা হোঁচট খায়। \b \q1 \v 20 হে আমার বাছা, আমি যা বলি তাতে মনোযোগ দাও; \q2 আমার কথায় কর্ণপাত করো। \q1 \v 21 সেগুলি তোমার দৃষ্টির অগোচর হতে দিয়ো না, \q2 সেগুলি তোমার হৃদয়ে গেঁথে রাখো; \q1 \v 22 কারণ যারা সেগুলি খুঁজে পায় তাদের পক্ষে সেগুলি জীবন \q2 ও তাদের সারা শরীরের স্বাস্থ্যস্বরূপ। \q1 \v 23 সর্বোপরি, তোমার হৃদয়কে পাহারা দিয়ে রাখো, \q2 কারণ তুমি যাই কিছু করো না কেন, তা সেখান থেকেই প্রবাহিত হয়। \q1 \v 24 তোমার মুখকে নষ্টামি-মুক্ত রাখো; \q2 তোমার ঠোঁট থেকে নীতিভ্রষ্ট কথাবার্তা দূরে সরিয়ে রাখো। \q1 \v 25 তোমার চোখ সোজা সামনে তাকিয়ে থাকুক; \q2 স্থিরদৃষ্টিতে সরাসরি সামনের দিকে তাকাও। \q1 \v 26 তোমার হাঁটা পথের দিকে সতর্ক নজর দাও\f + \fr 4:26 \fr*\ft অথবা, তোমার পায়ের পথ সমান করো\ft*\f* \q2 ও তোমার সমস্ত পথে অবিচল হও। \q1 \v 27 ডাইনে বা বাঁয়ে ফিরো না; \q2 মন্দ থেকে তোমার পা দূরে সরিয়ে রাখো। \c 5 \s1 ব্যভিচারের বিরুদ্ধে সাবধানবাণী \q1 \v 1 হে আমার বাছা, আমার প্রজ্ঞায় মনোযোগ দাও, \q2 আমার দূরদর্শী কথাবার্তায় কর্ণপাত করো, \q1 \v 2 যেন তুমি বিচক্ষণতা বজায় রাখতে পারো \q2 ও তোমার ঠোঁট যেন জ্ঞান অক্ষুণ্ণ রাখে। \q1 \v 3 কারণ ব্যভিচারিণীর ঠোঁট থেকে মধু ঝরে, \q2 ও তার কথাবার্তা তেলের চেয়েও মসৃণ; \q1 \v 4 কিন্তু শেষে দেখা যায় সে পিত্তের মতো তেতো, \q2 দুদিকে ধারবিশিষ্ট তরোয়ালের মতো ধারালো। \q1 \v 5 তার পা মৃত্যুর দিকে নেমে যায়; \q2 তার পদক্ষেপ সোজা কবরে গিয়ে পৌঁছায়। \q1 \v 6 সে জীবনের পথের বিষয়ে কিছুই ভাবে না; \q2 সে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, \q2 কিন্তু সে তা বুঝতেও পারে না। \b \q1 \v 7 এখন তবে, হে আমার বাছারা, আমার কথা শোনো; \q2 আমি যা বলছি তা থেকে মুখ ফিরিয়ো না। \q1 \v 8 সেই মহিলা থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলো, \q2 তার বাড়ির দরজার কাছে যেয়ো না, \q1 \v 9 পাছে তুমি অন্যান্য লোকজনের কাছে তোমার সম্মান হারাও \q2 ও নিষ্ঠুর মানুষের কাছে তোমার মর্যাদা\f + \fr 5:9 \fr*\ft অথবা, আয়ু\ft*\f* হারাও, \q1 \v 10 পাছে অপরিচিত লোকেরা তোমার ধনসম্পদ ভোগ করে \q2 ও তোমার পরিশ্রম অন্যের বাড়িঘর সমৃদ্ধ করে। \q1 \v 11 জীবনের শেষকালে পৌঁছে তুমি গভীর আর্তনাদ করবে, \q2 যখন তোমার মাংস ও শরীর ক্ষয়ে যাবে। \q1 \v 12 তুমি বলবে, “আমি শৃঙ্খলাপরায়ণতাকে কতই না ঘৃণা করতাম! \q2 আমার হৃদয় সংশোধনকে কতই না পদদলিত করত! \q1 \v 13 আমি আমার শিক্ষকদের বাধ্য হইনি \q2 বা আমার উপদেশকদের কথায় কর্ণপাত করিনি। \q1 \v 14 আর আমি ঈশ্বরের লোকদের সমাজে \q2 অচিরেই চরম অসুবিধায় পড়েছিলাম।” \b \q1 \v 15 নিজের জলাধার থেকেই তুমি জলপান করো, \q2 নিজের কুয়ো থেকেই প্রবাহমান জলপান করো। \q1 \v 16 তোমার ঝরনা কি পথঘাট ভাসিয়ে দেবে, \q2 তোমার জলপ্রবাহ কি নগরের চকে বয়ে যাবে? \q1 \v 17 তা শুধু তোমারই হোক, \q2 অপরিচিত লোকেরা যেন কখনও তাতে ভাগ না বসায়। \q1 \v 18 তোমার ফোয়ারা আশীর্বাদধন্য হোক, \q2 ও তুমি তোমার যৌবনাবস্থার স্ত্রীতে আনন্দ উপভোগ করো। \q1 \v 19 সে এক প্রেমময় হরিণী, এক সুতনু মৃগ— \q2 তার স্তন দুটি সর্বদা তোমাকে তৃপ্তি দিক, \q2 তার প্রেমে তুমি সর্বক্ষণ মত্ত হয়ে থাকো। \q1 \v 20 কেন, হে আমার বাছা, অন্য একজনের স্ত্রীতে মত্ত হবে? \q2 কেন এক স্বৈরিণী নারীর বক্ষ আলিঙ্গন করবে? \b \q1 \v 21 কারণ তোমার সব চালচলন সদাপ্রভু লক্ষ্য রাখেন, \q2 ও তিনি তোমার সব গতিবিধি পরীক্ষা করেন। \q1 \v 22 দুষ্টদের দুষ্কর্মগুলি তাদের ফাঁদে ফেলে; \q2 তাদের পাপের দড়িগুলি তাদেরই শক্ত করে বেঁধে ফেলে। \q1 \v 23 শৃঙ্খলাপরায়ণতার অভাবে তারা মারা যায়, \q2 নিজেদের মহামূর্খতার দরুন তারা বিপথগামী হয়। \c 6 \s1 মূর্খতার বিরুদ্ধে সাবধানবাণী \q1 \v 1 হে আমার বাছা, তুমি যদি তোমার প্রতিবেশীর জামিনদার হয়েছ, \q2 যদি অপরিচিত কোনও লোকের ঋণ শোধ করার দায়িত্ব নিয়েছ, \q1 \v 2 তবে তুমি তোমার বলা কথার জালেই ধরা পড়েছ, \q2 তোমার মুখের কথাই তোমাকে ফাঁদে ফেলেছে। \q1 \v 3 তাই হে আমার বাছা, নিজেকে মুক্ত করার জন্য তুমি এরকম করো, \q2 যেহেতু তুমি তোমার প্রতিবেশীর হাতে গিয়ে পড়েছ: \q1 যাও—অবসন্ন হয়ে না পড়া পর্যন্ত—\f + \fr 6:3 \fr*\ft অথবা, যাও ও নিজেকে নম্র করো\ft*\f* \q2 ও তোমার প্রতিবেশীকে বিশ্রাম নিতে দিয়ো না! \q1 \v 4 তোমার চোখে ঘুম নেমে আসতে দিয়ো না, \q2 তোমার চোখের পাতাকে তন্দ্রাচ্ছন্ন হতে দিয়ো না। \q1 \v 5 শিকারির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া গজলা হরিণের মতো, \q2 পাখি-শিকারির ফাঁদ থেকে মুক্ত পাখির মতো তুমি নিজেকে মুক্ত করো। \b \q1 \v 6 হে অলস, তুমি পিঁপড়েদের কাছে যাও; \q2 তাদের চালচলন বিবেচনা করো ও জ্ঞানবান হও! \q1 \v 7 তাদের কোনও সেনাপতি নেই, \q2 কোনও তত্ত্বাবধায়ক বা শাসনকর্তাও নেই, \q1 \v 8 তবুও তারা গ্রীষ্মকালে রসদ মজুত করে রাখে, \q2 ও ফসল কাটার মরশুমে খাদ্য সংগ্রহ করে রাখে। \b \q1 \v 9 হে অলস, আর কতক্ষণ তুমি সেখানে শুয়ে থাকবে? \q2 কখন তুমি ঘুম থেকে উঠবে? \q1 \v 10 আর একটু ঘুম, আর একটু তন্দ্রা, \q2 হাত পা গুটিয়ে আরও কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া— \q1 \v 11 ও দারিদ্র এক চোরের মতো \q2 ও অভাব এক সশস্ত্র সৈনিকের মতো তোমার উপরে এসে পড়বে। \b \q1 \v 12 এক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি ও এক দুর্জন, \q2 যারা অশুদ্ধ ভাষা মুখে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, \q2 \v 13 যারা তাদের চোখ দিয়ে বিদ্বেষপূর্ণভাবে ইশারা করে, \q2 পা দিয়ে সংকেত দেয় \q2 ও আঙুল দিয়ে ইশারা করে, \q2 \v 14 যারা হৃদয়ে প্রতারণা পুষে রেখে কুচক্রান্ত করে— \q2 তারা সর্বক্ষণ মতবিরোধ উৎপন্ন করে। \q1 \v 15 তাই এক পলকেই তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে; \q2 আচমকাই তারা ধ্বংস হয়ে যাবে—এর কোনও বিহিত হবে না। \b \li1 \v 16 ছটি জিনিস সদাপ্রভু ঘৃণা করেন, \li2 সাতটি জিনিস তাঁর কাছে ঘৃণিত; \li3 \v 17 উদ্ধত দৃষ্টি, \li3 মিথ্যাবাদী জিভ, \li3 নির্দোষের রক্তপাতকারী হাত, \li3 \v 18 দুষ্ট ফন্দি আঁটা হৃদয়, \li3 অনিষ্টের দিকে বেগে ধাবমান পা, \li3 \v 19 মিথ্যা কথা উগরে দেওয়া মিথ্যাসাক্ষী \li3 ও এমন এক লোক যে সমাজে মতবিরোধ উৎপন্ন করে। \s1 ব্যভিচারের বিরুদ্ধে সাবধানবাণী \q1 \v 20 হে আমার বাছা, তোমার বাবার আদেশ পালন করো \q2 ও তোমার মায়ের শিক্ষা পরিত্যাগ কোরো না। \q1 \v 21 সেগুলি সর্বক্ষণ তোমার হৃদয়ে গেঁথে রেখো; \q2 তোমার গলার চারপাশে বেঁধে রেখো। \q1 \v 22 তুমি যখন চলাফেরা করবে, তখন সেগুলি তোমাকে পথ দেখাবে; \q2 তুমি যখন ঘুমাবে, তখন সেগুলি তোমাকে পাহারা দেবে; \q2 তুমি যখন জেগে উঠবে, তখন সেগুলি তোমার সাথে কথা বলবে। \q1 \v 23 কারণ এই আদেশটি এক প্রদীপ, \q2 এই শিক্ষাটি এক আলো, \q1 এবং সংশোধন ও উপদেশ— \q2 এগুলি হল জীবনের পথ, \q1 \v 24 যা তোমাকে প্রতিবেশীর স্ত্রী থেকে, \q2 স্বৈরিণী স্ত্রীর স্নিগ্ধ কথাবার্তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। \b \q1 \v 25 তার সৌন্দর্য দেখে তুমি অন্তরে কামভাব জাগিয়ে তুলো না \q2 বা সে যেন তার চোখের মায়ায় তোমাকে বন্দি না করে ফেলে। \b \q1 \v 26 কারণ এক টুকরো রুটির বিনিময়ে বেশ্যাকে পাওয়া যায়, \q2 কিন্তু পরস্ত্রী তোমার প্রাণটিই শিকার করে বসবে। \q1 \v 27 একজন মানুষ কোলে আগুন রাখবে \q2 আর তার পোশাক পুড়বে না, এও কি সম্ভব? \q1 \v 28 একজন মানুষ জ্বলন্ত কয়লার উপর দিয়ে হাঁটবে \q2 আর তার পা ঝলসাবে না, এও কি সম্ভব? \q1 \v 29 যে পরস্ত্রীর সাথে শোয় তার দশাও এরকমই হয়; \q2 যে সেই স্ত্রীকে স্পর্শ করে তাকে শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় না। \b \q1 \v 30 যে চোর খিদের জ্বালায় ভুগে খিদে মেটানোর জন্য চুরি করে \q2 তাকে লোকেরা ঘৃণা করে না। \q1 \v 31 অথচ সে যদি ধরা পড়ে, তাকেও সাতগুণ ফিরিয়ে দিতে হবে, \q2 এর জন্য যদিও বা তার বাড়ির সব ধনসম্পদ হারাতে হয়, তাও তাকে তা দিতেই হবে। \q1 \v 32 কিন্তু যে ব্যভিচার করে তার কোনও বোধবুদ্ধি নেই; \q2 যে কেউ এরকম করে সে নিজেকেই ধ্বংস করে ফেলে। \q1 \v 33 আঘাত ও অপমানই তার প্রাপ্য, \q2 ও তার লজ্জা কখনোই ঘুচবে না। \b \q1 \v 34 কারণ ঈর্ষা একজন স্বামীর ক্ষিপ্ততা জাগিয়ে তোলে, \q2 ও প্রতিশোধ নেওয়ার সময় সে কোনও দয়া দেখাবে না। \q1 \v 35 সে কোনও ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করবে না; \q2 সে ঘুস প্রত্যাখ্যান করবে, পরিমাণে তা যতই বেশি হোক না কেন। \c 7 \s1 ব্যভিচারিণীর বিরুদ্ধে সাবধানবাণী \q1 \v 1 হে আমার বাছা, আমার কথাগুলি মেনে চলো \q2 ও তোমার অন্তরে আমার আদেশগুলি মজুত করে রাখো। \q1 \v 2 আমার আদেশগুলি পালন করো ও তুমি বেঁচে থাকবে; \q2 চোখের মণির মতো করে আমার শিক্ষামালা রক্ষা করো। \q1 \v 3 তোমার আঙুলে সেগুলি বেঁধে রেখো; \q2 তোমার হৃদয়-ফলকে সেগুলি লিখে রেখো। \q1 \v 4 প্রজ্ঞাকে বলো, “তুমি আমার বোন,” \q2 ও দূরদর্শিতাকে বলো, “তুমি আমার আত্মীয়।” \q1 \v 5 তারা তোমাকে ব্যভিচারিণীর কাছ থেকে, \q2 ও সম্মোহনী কথা বলা স্বৈরিণী নারীর কাছ থেকেও দূরে সরিয়ে রাখবে। \b \q1 \v 6 আমার বাড়ির জানালায় \q2 জাফরি দিয়ে আমি নিচের দিকে তাকালাম। \q1 \v 7 অনভিজ্ঞ লোকদের দিকে আমার নজর গেল, \q2 যুবকদের মধ্যে আমি লক্ষ্য করলাম, \q2 এমন একজন যুবককে, যার কোনও বোধবুদ্ধি নেই। \q1 \v 8 সে ওই মহিলার বাড়ির পাশের গলি দিয়ে যাচ্ছিল, \q2 তার বাড়ির দিকেই হেঁটে যাচ্ছিল \q1 \v 9 গোধূলিবেলায়, দিন যখন ঢলে পড়ছিল, \q2 ও রাতের অন্ধকারও নেমে আসছিল। \b \q1 \v 10 তখন একজন মহিলা তার সাথে দেখা করার জন্য বেরিয়ে এল, \q2 সে এক বেশ্যার মতো পোশাক পরেছিল ও তার উদ্দেশ্য ধূর্ত ছিল। \q1 \v 11 (সে অদম্য ও বেপরোয়া, \q2 তার পা কখনও ঘরে থাকে না; \q1 \v 12 সে কখনও রাস্তায় যায়, আবার কখনও চকে, \q2 কোনায় কোনায় সে ওৎ পেতে থাকে) \q1 \v 13 সে সেই যুবককে জড়িয়ে ধরে চুমু দিল \q2 ও নির্লজ্জ মুখে বলল: \b \q1 \v 14 “আজ আমি আমার ব্রত পূরণ করেছি, \q2 ও ঘরে আমার মঙ্গলার্থক বলি থেকে খাবার সরিয়ে রেখেছি। \q1 \v 15 তাই তোমার সাথে দেখা করার জন্য আমি বের হয়ে এসেছি; \q2 আমি তোমার খোঁজ করেছিলাম ও তোমাকে খুঁজে পেয়েছি! \q1 \v 16 আমার বিছানায় আমি \q2 মিশর থেকে আনা রঙিন মসিনার চাদর পেতেছি। \q1 \v 17 আমার বিছানাটি আমি \q2 গন্ধরস, অগুরু ও দারুচিনি দিয়ে সুবাসিত করেছি। \q1 \v 18 এসো, সকাল পর্যন্ত আমরা ভালোবাসার গভীর রসে মত্ত হই; \q2 নিজেদের মধ্যে ভালোবাসা উপভোগ করি! \q1 \v 19 আমার স্বামী ঘরে নেই; \q2 সে দীর্ঘ যাত্রায় গিয়েছে। \q1 \v 20 সে অর্থে ভরা থলি নিয়ে গিয়েছে \q2 ও পূর্ণিমার আগে সে ঘরে ফিরছে না।” \b \q1 \v 21 প্ররোচনামূলক কথা বলে সে যুবকটিকে বিপথে পরিচালিত করল; \q2 সে তার স্নিগ্ধ কথাবার্তা দিয়ে তাকে প্রলুব্ধ করল। \q1 \v 22 তখনই সে মহিলাটির অনুগামী হল \q2 যেভাবে বলদ জবাই হওয়ার জন্য এগিয়ে যায়, \q1 যেভাবে হরিণ\f + \fr 7:22 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, মূর্খ\ft*\f* ফাঁসে পা গলায় \q2 \v 23 যতক্ষণ না তির তার যকৃৎ বিদ্ধ করে, \q1 ঠিক যেভাবে পাখি উড়ে গিয়ে ফাঁদে পড়ে, \q2 আর জানতেও পারে না যে এতে তার প্রাণহানি হবে। \b \q1 \v 24 তবে এখন, হে আমার বাছারা, আমার কথা শোনো; \q2 আমি যা বলি তাতে মনোযোগ দাও। \q1 \v 25 তোমাদের হৃদয় যেন সেই মহিলার পথের দিকে না ফেরে \q2 বা পথভ্রষ্ট হয়ে তার পথে চলে না যায়। \q1 \v 26 অনেকেই তার আঘাতের শিকার হয়েছে; \q2 তার দ্বারা নিহত লোকের সংখ্যা প্রচুর। \q1 \v 27 তার বাড়িটি হল কবরে যাওয়ার রাজপথ, \q2 যা মৃত্যুলোকের দিকে এগিয়ে দেয়। \c 8 \s1 প্রজ্ঞার আহ্বান \q1 \v 1 প্রজ্ঞা কি ডাক দেয় না? \q2 বিচক্ষণতা কি তার সুর চড়ায় না? \q1 \v 2 পথ বরাবর সবচেয়ে উঁচু জায়গায়, \q2 পথগুলি যেখানে মিলিত হয়, সেখানে গিয়ে সে দাঁড়ায়; \q1 \v 3 যে দরজা দিয়ে নগরে ঢোকা হয়, তার পাশে দাঁড়িয়ে, \q2 প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে, সে জোরে চিৎকার করে: \q1 \v 4 “ওহে জনতা, আমি তোমাদেরই ডাকছি; \q2 সমগ্র মানবজাতির উদ্দেশে আমি সুর চড়াচ্ছি। \q1 \v 5 তোমরা যারা অনভিজ্ঞ, তোমরা দূরদর্শিতা অর্জন করো; \q2 তোমরা যারা মূর্খ, তোমরা এতে মন দাও।\f + \fr 8:5 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, তোমাদের মনকে শিক্ষিত করো\ft*\f* \q1 \v 6 শোনো, কারণ আমার কিছু নির্ভরযোগ্য কথা বলার আছে; \q2 যা সঠিক তা বলার জন্য আমি আমার ঠোঁট খুলেছি। \q1 \v 7 যা সত্যি আমার মুখ তাই বলে, \q2 কারণ আমার ঠোঁট দুষ্টতা ঘৃণা করে। \q1 \v 8 আমার মুখের সব কথা ন্যায্য; \q2 সেগুলির মধ্যে একটিও কুটিল বা বিকৃত নয়। \q1 \v 9 বিচক্ষণের কাছে সেসব কথা সঠিক; \q2 যারা জ্ঞান লাভ করেছে তাদের কাছে সেগুলি ন্যায্য। \q1 \v 10 রুপোর পরিবর্তে আমার নির্দেশ, \q2 উৎকৃষ্ট সোনার পরিবর্তে বরং জ্ঞান মনোনীত করো, \q1 \v 11 কারণ প্রজ্ঞা পদ্মরাগমণির চেয়েও বেশি মূল্যবান, \q2 ও তোমার আকাঙ্ক্ষিত কোনো কিছুর সাথেই তার তুলনা হয় না। \b \q1 \v 12 “আমি, প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতার সঙ্গেই বসবাস করি; \q2 আমিই জ্ঞান ও বিচক্ষণতার অধিকারী। \q1 \v 13 সদাপ্রভুকে ভয় করার অর্থ মন্দকে ঘৃণা করা; \q2 আমি অহংকার ও দাম্ভিকতাকে ঘৃণা করি, \q2 মন্দ আচরণ ও সত্যভ্রষ্ট কথাবার্তাকেও করি। \q1 \v 14 পরামর্শ ও সুবিচার আমার অধিকারভুক্ত; \q2 আমার কাছে দূরদর্শিতা ও ক্ষমতা আছে। \q1 \v 15 আমার দ্বারাই রাজারা রাজত্ব করেন \q2 ও শাসনকর্তারা ন্যায়সংগত হুকুম জারি করেন; \q1 \v 16 আমার দ্বারাই অধিপতিরা প্রভুত্ব করেন, \q2 ও সেই গণ্যমান্য ব্যক্তিরা—যারা সবাই পৃথিবীতে শাসন করেন।\f + \fr 8:16 \fr*\ft অথবা, সব ধর্মময় শাসক\ft*\f* \q1 \v 17 যারা আমাকে ভালোবাসে আমিও তাদের ভালোবাসি, \q2 ও যারা আমার খোঁজ করে তারা আমাকে খুঁজে পায়। \q1 \v 18 আমার কাছেই আছে ধনসম্পত্তি ও সম্মান, \q2 চিরস্থায়ী সম্পদ ও সমৃদ্ধি। \q1 \v 19 আমার ফল খাঁটি সোনার চেয়েও সেরা; \q2 আমি যা উৎপাদন করি তা অসাধারণ রুপোকেও ছাপিয়ে যায়। \q1 \v 20 আমি ধার্মিকতার পথে চলি, \q2 ন্যায়ের পথ ধরে চলি, \q1 \v 21 যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের আমি প্রচুর উত্তরাধিকার দান করি \q2 ও তাদের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে দিই। \b \q1 \v 22 “সদাপ্রভু তাঁর কর্মের\f + \fr 8:22 \fr*\ft অথবা, পথের; বা প্রভুত্বের\ft*\f* প্রথম ফলরূপে, \q2 প্রাচীনকালে তাঁর করা সব কাজকর্মের আগেই আমাকে উৎপন্ন করেছিলেন;\f + \fr 8:22 \fr*\ft অথবা, সদাপ্রভু তাঁর কর্মের আরম্ভে আমার অধিকারী হয়েছিলেন; বা সদাপ্রভু তাঁর কর্মের আরম্ভে আমাকে উৎপন্ন করেছিলেন\ft*\f* \q1 \v 23 বহুকাল আগেই আমাকে তৈরি করা হয়েছিল, \q2 একেবারে শুরুতেই, যখন এই জগৎ পত্তন হয়েছিল তখনই হয়েছিল। \q1 \v 24 যখন অতল জলের কোনো অস্তিত্বও ছিল না, তখন আমাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল, \q2 যখন জলে উপচে পড়া কোনো জলের উৎসের অস্তিত্ব ছিল না; \q1 \v 25 পর্বতগুলি স্বস্থানে স্থাপিত হওয়ার আগে, \q2 পাহাড়গুলি উৎপন্ন হওয়ার আগেই, \q1 \v 26 সদাপ্রভু এই জগৎ বা এখানকার মাঠঘাট \q2 বা পৃথিবীর একমুঠো ধুলোবালি তৈরি করার আগেই আমাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল। \q1 \v 27 যখন তিনি আকাশমণ্ডলকে স্বস্থানে স্থাপন করলেন, \q2 তখন আমি সেখানে ছিলাম, \q2 যখন তিনি অতল জলরাশির বুকে দিগন্তের চিহ্ন এঁকে দিলেন, \q1 \v 28 যখন তিনি ঊর্ধ্বস্থ মেঘরাশি স্থাপন করলেন \q2 ও অতল জলরাশির উৎসগুলি শক্ত করে বেঁধে দিলেন, \q1 \v 29 যখন তিনি সমুদ্রের সীমা স্থির করলেন \q2 যেন জলরাশি তাঁর আদেশ লঙ্ঘন না করে, \q1 ও যখন তিনি পৃথিবীর ভিত্তিমূল চিহ্নিত করলেন। \q2 \v 30 তখন আমি প্রতিনিয়ত\f + \fr 8:30 \fr*\ft অথবা, শিল্পী হয়ে; বা ছোটো এক শিশু হয়ে\ft*\f* তাঁর পাশেই ছিলাম। \q1 দিনের পর দিন আমি আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে থাকতাম, \q2 সর্বক্ষণ তাঁর উপস্থিতিতে আনন্দ উপভোগ করতাম, \q1 \v 31 তাঁর সমগ্র এই জগৎ নিয়ে আনন্দ করতাম \q2 ও মানবজাতিকে নিয়েও আনন্দে মেতে উঠতাম। \b \q1 \v 32 “তবে এখন, হে আমার বাছারা, আমার কথা শোনো; \q2 যারা আমার পথে চলে তারা ধন্য। \q1 \v 33 আমার নির্দেশ শোনো ও জ্ঞানবান হও; \q2 তা উপেক্ষা কোরো না। \q1 \v 34 যারা আমার কথা শোনে, \q2 যারা প্রতিদিন আমার দরজায় দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করে, \q2 আমার দরজায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে তারা ধন্য। \q1 \v 35 কারণ যারা আমাকে খুঁজে পায় তারা জীবন খুঁজে পায় \q2 ও সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভ করে। \q1 \v 36 কিন্তু যারা আমাকে খুঁজে পায় না তারা নিজেদেরই ক্ষতিসাধন করে; \q2 যেসব লোক আমাকে ঘৃণা করে তারা মৃত্যু ভালোবাসে।” \c 9 \s1 প্রজ্ঞা ও মূর্খতার আমন্ত্রণ \q1 \v 1 প্রজ্ঞা তার বাড়ি নির্মাণ করেছে; \q2 সে তার সাতটি স্তম্ভ খাড়া করেছে।\f + \fr 9:1 \fr*\ft অথবা, কুঁদে কুঁদে নির্দিষ্ট আকার দিয়েছে\ft*\f* \q1 \v 2 সে ভূরিভোজনের ব্যবস্থা করেছে ও দ্রাক্ষারস মিশিয়ে রেখেছে \q2 সে তার টেবিলও সাজিয়ে রেখেছে। \q1 \v 3 সে তার দাসীদের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে, \q2 ও নগরের সবচেয়ে উঁচু জায়গা থেকে ডাক দিয়ে বলেছে, \q2 \v 4 “যারা অনভিজ্ঞ মানুষ, তারা সবাই আমার বাড়িতে আসুক!” \q1 যাদের কোনও জ্ঞানবুদ্ধি নেই তাদের সে বলেছে, \q2 \v 5 “এসো, আমার খাদ্যদ্রব্য ভোজন করো \q2 ও যে দ্রাক্ষারস আমি মিশিয়ে রেখেছি তা পান করো। \q1 \v 6 তোমাদের অনভিজ্ঞতার পথ পরিত্যাগ করো ও তোমরা বেঁচে যাবে; \q2 দূরদর্শিতার পথে চলো।” \b \q1 \v 7 যে কেউ বিদ্রুপকারীকে সংশোধন করতে যায় সে অপমান ডেকে আনে; \q2 যে কেউ দুষ্টকে ভর্ৎসনা করে সে কলঙ্কের ভাগী হয়। \q1 \v 8 বিদ্রুপকারীদের ভর্ৎসনা কোরো না পাছে তারা তোমাকে ঘৃণা করে; \q2 জ্ঞানবানদের ভর্ৎসনা করো ও তারা তোমাকে ভালোবাসবে। \q1 \v 9 জ্ঞানবানদের উপদেশ দাও ও তারা আরও জ্ঞানী হবে; \q2 ধার্মিকদের শিক্ষা দাও ও তাদের পাণ্ডিত্য বৃদ্ধি পাবে। \b \q1 \v 10 সদাপ্রভুর ভয় প্রজ্ঞার আরম্ভ, \q2 ও পবিত্রতম সম্বন্ধীয় জ্ঞানই হল বোধশক্তি। \q1 \v 11 কারণ প্রজ্ঞার\f + \fr 9:11 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, আমার\ft*\f* মাধ্যমেই তোমার আয়ু বাড়বে, \q2 ও তোমার জীবনে বেশ কিছু বছর যুক্ত হবে। \q1 \v 12 তুমি যদি জ্ঞানবান হও, তোমার প্রজ্ঞা তোমাকে পুরস্কৃত করবে; \q2 তুমি যদি একজন বিদ্রুপকারী, তবে তুমি একাই কষ্টভোগ করবে। \b \q1 \v 13 মূর্খতা এক দুর্বিনীত নারী; \q2 সে অনভিজ্ঞ ও কিছুই জানে না। \q1 \v 14 সে তার বাড়ির দরজায় বসে থাকে, \q2 নগরের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় গিয়ে আসন পেতে বসে, \q1 \v 15 সে পথচারীদের ডাক দেয়, \q2 যারা সোজা পথ ধরে যায় সে তাদের ডেকে বলে, \q2 \v 16 “যারা অনভিজ্ঞ তারা সবাই আমার বাড়িতে আসুক!” \q1 যাদের কোনও জ্ঞানবুদ্ধি নেই সে তাদের বলে, \q2 \v 17 “চুরি করা জল মিষ্টি; \q2 লুকোছাপা করে খাওয়া খাদ্য পরম উপাদেয়!” \q1 \v 18 কিন্তু তারা আদৌ জানে না যে মৃতেরা সেখানেই আছে, \q2 তার অতিথিরা পাতালের গর্তে পড়ে আছে। \c 10 \ms1 শলোমনের হিতোপদেশ \p \v 1 শলোমনের হিতোপদেশ: \q1 জ্ঞানবান ছেলে তার বাবার জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে, \q2 কিন্তু মূর্খ ছেলে তার মায়ের জীবনে দুঃখ নিয়ে আসে। \b \q1 \v 2 অসৎ উপায়ে অর্জিত ধনসম্পত্তির দীর্ঘস্থায়ী কোনও মূল্য নেই, \q2 কিন্তু ধার্মিকতা মৃত্যু থেকে উদ্ধার করে। \b \q1 \v 3 সদাপ্রভু ধার্মিককে ক্ষুধার্ত থাকতে দেন না, \q2 কিন্তু তিনি দুষ্টের অভিলাষ ব্যর্থ করেন। \b \q1 \v 4 অলসতার হাত দারিদ্র ডেকে আনে, \q2 কিন্তু পরিশ্রমী হাত ধনসম্পত্তি নিয়ে আসে। \b \q1 \v 5 যে গ্রীষ্মকালে ফসল সংগ্রহ করে সে বিচক্ষণ ছেলে, \q2 কিন্তু যে ফসল কাটার মরশুমে ঘুমিয়ে থাকে সে মর্যাদাহানিকর ছেলে। \b \q1 \v 6 আশীর্বাদ ধার্মিকের মাথার মুকুট হয়, \q2 কিন্তু হিংস্রতা দুষ্টের মুখ ঢেকে রাখে।\f + \fr 10:6 \fr*\ft অথবা, কিন্তু দুষ্টের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে\ft*\f* \b \q1 \v 7 ধার্মিকের নাম আশীর্বাদ করার সময় ব্যবহৃত হয়,\f + \fr 10:7 \fr*\ft \+xt আদি পুস্তক 48:20\+xt* পদ দেখুন\ft*\f* \q2 কিন্তু দুষ্টের নামে পচন ধরবে। \b \q1 \v 8 অন্তরে যে জ্ঞানবান সে আজ্ঞা গ্রহণ করে, \q2 কিন্তু বাচাল মূর্খের সর্বনাশ হবে। \b \q1 \v 9 যে কেউ সততা নিয়ে চলে সে নিরাপদে চলে, \q2 কিন্তু যে কেউ বাঁকা পথ ধরে সে ধরা পড়ে যাবে। \b \q1 \v 10 যে কেউ বিদ্বেষপূর্ণভাবে ইশারা করে সে দুঃখ জন্মায়, \q2 ও বাচাল মূর্খের সর্বনাশ হবে। \b \q1 \v 11 ধার্মিকের মুখ জীবনের উৎস, \q2 কিন্তু দুষ্টের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে। \b \q1 \v 12 ঘৃণা বিবাদ জাগিয়ে তোলে, \q2 কিন্তু ভালোবাসা সব অপরাধ ঢেকে দেয়। \b \q1 \v 13 বিচক্ষণ লোকের ঠোঁটে প্রজ্ঞা পাওয়া যায়, \q2 কিন্তু যার কোনও বোধবুদ্ধি নেই তার পিঠের জন্য লাঠি রাখা থাকে। \b \q1 \v 14 জ্ঞানবানেরা জ্ঞান সঞ্চয় করে রাখে, \q2 কিন্তু মূর্খের মুখ সর্বনাশ ডেকে আনে। \b \q1 \v 15 ধনবানের ধনসম্পত্তিই তাদের সুরক্ষিত নগর, \q2 কিন্তু দারিদ্রই দরিদ্রের সর্বনাশ। \b \q1 \v 16 ধার্মিকের বেতন হল জীবন, \q2 কিন্তু দুষ্টের উপার্জন হল পাপ ও মৃত্যু। \b \q1 \v 17 যে কেউ শৃঙ্খলা মানে সে জীবনের পথ দেখায়, \q2 কিন্তু যে কেউ সংশোধন উপেক্ষা করে সে অন্যদের বিপথে পরিচালিত করে। \b \q1 \v 18 যে কেউ মিথ্যাবাদী ঠোঁট দিয়ে ঘৃণা লুকিয়ে রাখে \q2 ও অপবাদ ছড়ায় সে মূর্খ। \b \q1 \v 19 প্রচুর কথা বলে পাপের অবসান ঘটানো যায় না, \q2 কিন্তু বিচক্ষণ লোকজন তাদের জিভকে সংযত রাখে। \b \q1 \v 20 ধার্মিকের জিভ ভালো মানের রুপো, \q2 কিন্তু দুষ্টের অন্তর নেহাতই কমদামি। \b \q1 \v 21 ধার্মিকের ঠোঁট অনেককে পুষ্টি জোগায়, \q2 কিন্তু মূর্খেরা বোধবুদ্ধির অভাবে মারা যায়। \b \q1 \v 22 সদাপ্রভুর আশীর্বাদ ধনসম্পত্তি এনে দেয়, \q2 আর এর জন্য যন্ত্রণাদায়ক পরিশ্রমও করতে হয় না। \b \q1 \v 23 মূর্খ দুষ্ট ফন্দি এঁটে আনন্দ পায়, \q2 কিন্তু বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ প্রজ্ঞায় আনন্দ করে। \b \q1 \v 24 দুষ্টেরা যা ভয় করে তাদের প্রতি তাই ঘটবে; \q2 ধার্মিকদের বাসনা মঞ্জুর হবে। \b \q1 \v 25 যখন ঝড় বয়ে যায়, তখন দুষ্টের অস্তিত্ব লোপ পায়, \q2 কিন্তু ধার্মিক চিরকাল অবিচলিতভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। \b \q1 \v 26 দাঁতের পক্ষে সিরকা ও চোখের পক্ষে ধোঁয়া যেমন, \q2 অলসরাও তাদের যারা পাঠায় তাদের পক্ষে ঠিক তেমনই। \b \q1 \v 27 সদাপ্রভুর ভয় আয়ু বৃদ্ধি করে, \q2 কিন্তু দুষ্টদের জীবনকাল সংক্ষিপ্ত করা হয়। \b \q1 \v 28 ধার্মিকদের প্রত্যাশা হল আনন্দ, \q2 কিন্তু দুষ্টদের আশাগুলি নিষ্ফল হয়ে যায়। \b \q1 \v 29 সদাপ্রভুর পথ অনিন্দনীয়দের জন্য এক আশ্রয়স্থল, \q2 কিন্তু যারা অনিষ্ট করে তাদের পক্ষে তা সর্বনাশ। \b \q1 \v 30 ধার্মিকেরা কখনোই উৎখাত হবে না, \q2 কিন্তু দুষ্টেরা দেশে অবশিষ্ট থাকবে না। \b \q1 \v 31 ধার্মিকের মুখ থেকে প্রজ্ঞার ফল বেরিয়ে আসে, \q2 কিন্তু বিকৃত জিভকে নিরুত্তর করে দেওয়া হবে। \b \q1 \v 32 ধার্মিকের ঠোঁট জানে কীসে অনুগ্রহ লাভ করা যায়, \q2 কিন্তু দুষ্টের মুখ শুধু বিকৃতিই জানে। \b \c 11 \q1 \v 1 সদাপ্রভু অসাধু দাঁড়িপাল্লা ঘৃণা করেন, \q2 কিন্তু সঠিক বাটখারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে। \b \q1 \v 2 যখন অহংকার আসে, তখন অপমানও আসে, \q2 কিন্তু নম্রতার সঙ্গে আসে প্রজ্ঞা। \b \q1 \v 3 ন্যায়পরায়ণদের সততাই তাদের পথ দেখায়, \q2 কিন্তু বিশ্বাসঘাতকেরা তাদের ছলনা দ্বারা ধ্বংস হয়ে যায়। \b \q1 \v 4 ক্রোধের দিনে ধনসম্পত্তি মূল্যহীন হয়ে যায়, \q2 কিন্তু ধার্মিকতা মৃত্যু থেকে রক্ষা করে। \b \q1 \v 5 অনিন্দনীয়দের ধার্মিকতা তাদের পথগুলি সোজা করে, \q2 কিন্তু দুষ্টেরা তাদের দুষ্টতা দ্বারাই পতিত হয়। \b \q1 \v 6 ন্যায়পরায়ণদের ধার্মিকতাই তাদের উদ্ধার করে, \q2 কিন্তু অবিশ্বস্তেরা মন্দ বাসনা দ্বারা ফাঁদে পড়ে। \b \q1 \v 7 নশ্বর মানুষে স্থাপিত আশা তাদের সাথেই নষ্ট হয়; \q2 তাদের ক্ষমতার সব প্রতিজ্ঞা\f + \fr 11:7 \fr*\ft অথবা, দুষ্টেরা যখন মারা যায়, তাদের আশা নষ্ট হয়; তাদের ক্ষমতা থেকে তারা যা কিছু আশা করে তা\ft*\f* নিষ্ফল হয়। \b \q1 \v 8 ধার্মিকেরা সংকট থেকে উদ্ধার পায়, \q2 ও তা তাদের পরিবর্তে দুষ্টদের উপরেই গিয়ে পড়ে। \b \q1 \v 9 অধার্মিকরা তাদের মুখ দিয়ে তাদের প্রতিবেশীদের সর্বনাশ করে, \q2 কিন্তু জ্ঞানের মাধ্যমে ধার্মিকেরা অব্যাহতি পায়। \b \q1 \v 10 ধার্মিকেরা যখন উন্নতি লাভ করে, তখন নগরে আনন্দ হয়, \q2 দুষ্টেরা যখন বিনষ্ট হয়, তখনও আনন্দের রব ওঠে। \b \q1 \v 11 ন্যায়পরায়ণদের আশীর্বাদে নগর উন্নত হয়, \q2 কিন্তু দুষ্টদের মুখের কথা দ্বারা তা ধ্বংস হয়। \b \q1 \v 12 যারা তাদের প্রতিবেশীকে ঠাট্টা করে তাদের কোনও বোধবুদ্ধি নেই, \q2 কিন্তু যাদের বুদ্ধি আছে তারা তাদের জিভকে সংযত রাখে। \b \q1 \v 13 পরনিন্দা পরচর্চা আস্থা ভঙ্গ করে, \q2 কিন্তু নির্ভরযোগ্য মানুষ গোপনীয়তা বজায় রাখে। \b \q1 \v 14 নেতৃত্বের অভাবে জাতির পতন হয়, \q2 কিন্তু উপদেশকদের সংখ্যা বেশি হলে জয় সুনিশ্চিত হয়। \b \q1 \v 15 যে অপরিচিত লোকের জামিনদার হয় সে নিশ্চয় কষ্টভোগ করবে, \q2 কিন্তু যে অন্যের ঋণ শোধ করার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে সে নিরাপদে থাকে। \b \q1 \v 16 সহৃদয়া নারী সম্মান অর্জন করে, \q2 কিন্তু নির্মম লোকেরা শুধু ধনসম্পত্তিই লাভ করে। \b \q1 \v 17 যারা দয়ালু তারা নিজেদের উপকার করে, \q2 কিন্তু নিষ্ঠুর লোকেরা নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনে। \b \q1 \v 18 দুষ্টলোক অসৎ প্রতারণাপূর্ণ বেতন উপার্জন করে, \q2 কিন্তু যে ধার্মিকতা বোনে সে নিশ্চিত প্রতিদান কাটে। \b \q1 \v 19 প্রকৃতপক্ষে ধার্মিক মানুষ জীবন লাভ করে, \q2 কিন্তু যে কেউ মন্দের পশ্চাদ্ধাবন করে সে মৃত্যুর সন্ধান পায়। \b \q1 \v 20 যাদের মন উচ্ছৃঙ্খল সদাপ্রভু তাদের ঘৃণা করেন, \q2 কিন্তু যারা অনিন্দনীয় পথে চলে তাদের নিয়ে তিনি আনন্দ করেন। \b \q1 \v 21 তুমি এই বিষয়ে নিশ্চিত থেকো: দুষ্ট অদণ্ডিত থাকবে না, \q2 কিন্তু যারা ধার্মিক তারা রক্ষা পাবে। \b \q1 \v 22 যেমন শূকরের নাকে সোনার নথ \q2 তেমনি সেই সুন্দরী নারী যে কোনো বিচক্ষণতা দেখায় না। \b \q1 \v 23 ধার্মিকদের বাসনা শুধু মঙ্গলের কাছে গিয়ে শেষ হয়, \q2 কিন্তু দুষ্টদের প্রত্যাশা শেষ হয় শুধু ক্রোধের কাছে গিয়ে। \b \q1 \v 24 কেউ একজন মুক্তহস্তে দান করে, অথচ সে আরও বেশি লাভবান হয়; \q2 অন্য কেউ অযথা কৃপণতা করে, কিন্তু দারিদ্রে পৌঁছে যায়। \b \q1 \v 25 অকৃপণ ব্যক্তি উন্নতি লাভ করবে; \q2 যে কেউ অন্যান্য লোকদের পুনরুজ্জীবিত করে সেও পুনরুজ্জীবিত হবে। \b \q1 \v 26 যে শস্য মজুত করে রাখে লোকে তাকে অভিশাপ দেয়, \q2 কিন্তু যে তা বিক্রি করতে চায় তার জন্য তারা ঈশ্বরের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে। \b \q1 \v 27 যে কেউ মঙ্গলকামনা করে সে অনুগ্রহ পায়, \q2 কিন্তু যে অমঙ্গল খুঁজে বেড়ায় তার জীবনেই অমঙ্গল নেমে আসে। \b \q1 \v 28 যারা তাদের ধনদৌলতের উপর নির্ভর করে তাদের পতন হবে, \q2 কিন্তু ধার্মিকেরা গাছের সবুজ পাতার মতো উন্নতি লাভ করবে। \b \q1 \v 29 যারা তাদের পরিবারে সর্বনাশ ডেকে আনে তারা উত্তরাধিকারসূত্রে শুধু বাতাসই পাবে, \q2 ও মূর্খেরা জ্ঞানবানের দাস হবে। \b \q1 \v 30 ধার্মিকের ফল জীবনবৃক্ষ, \q2 ও যে জ্ঞানবান সে প্রাণরক্ষা\f + \fr 11:30 \fr*\ft লোকের প্রাণরক্ষা\ft*\f* করে। \b \q1 \v 31 ধার্মিকেরা যদি এই পৃথিবীতেই তাদের প্রাপ্য পেয়ে যায়, \q2 তবে অধার্মিকরা ও পাপীরা আরও কত না বেশি পাবে! \b \c 12 \q1 \v 1 যে শৃঙ্খলা ভালোবাসে সে জ্ঞানও ভালোবাসে, \q2 কিন্তু যে সংশোধন ঘৃণা করে সে বোকা। \b \q1 \v 2 সৎলোক সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভ করে, \q2 কিন্তু যারা দুষ্ট ফন্দি আঁটে তিনি তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। \b \q1 \v 3 কেউই দুষ্টতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না, \q2 কিন্তু ধার্মিকদের নির্মূল করা যায় না। \b \q1 \v 4 উদারস্বভাব বিশিষ্ট স্ত্রী তার স্বামীর মুকুট, \q2 কিন্তু মর্যাদাহানিকর স্ত্রী স্বামীর অস্থির পচনস্বরূপ। \b \q1 \v 5 ধার্মিকদের পরিকল্পনাগুলি ন্যায়সংগত, \q2 কিন্তু দুষ্টদের পরামর্শ প্রতারণাপূর্ণ। \b \q1 \v 6 দুষ্টদের কথাবার্তা রক্তপাতের জন্য লুকিয়ে থাকে, \q2 কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের কথাবার্তা তাদের রক্ষা করে। \b \q1 \v 7 দুষ্টেরা পর্যুদস্ত হয় ও তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, \q2 কিন্তু ধার্মিকদের বাড়ি অটল থাকে। \b \q1 \v 8 একজন মানুষ তার দূরদর্শিতা অনুসারেই প্রশংসিত হয়, \q2 ও যার মন পক্ষপাতদুষ্ট সে অবজ্ঞাত হয়। \b \q1 \v 9 কেউকেটা হওয়ার ভান করে নিরন্ন হয়ে থাকার চেয়ে \q2 বরং নগণ্য মানুষ হয়ে দাস রাখা ভালো। \b \q1 \v 10 ধার্মিকেরা তাদের পশুদের যত্ন নেয়, \q2 কিন্তু দুষ্টদের সদয় ব্যবহারও নিষ্ঠুরতামাত্র। \b \q1 \v 11 যারা নিজেদের জমি চাষ করে তারা প্রচুর খাদ্য পাবে, \q2 কিন্তু যারা উদ্ভট কল্পনার পিছনে ছুটে বেড়ায় তাদের কোনও বোধবুদ্ধি নেই। \b \q1 \v 12 দুষ্টেরা অনিষ্টকারীদের সুরক্ষিত আশ্রয় কামনা করে, \q2 কিন্তু ধার্মিকদের মূল স্থায়ী হয়। \b \q1 \v 13 অনিষ্টকারীরা তাদের পাপে পরিপূর্ণ কথাবার্তা দ্বারাই ফাঁদে পড়ে, \q2 ও সেভাবেই নির্দোষ লোকজন বিপত্তি থেকে রক্ষা পায়। \b \q1 \v 14 মানুষ তাদের ঠোঁটের ফল দ্বারা মঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়, \q2 ও তাদের হাতের কাজই তাদের পুরস্কৃত করে। \b \q1 \v 15 মূর্খদের পথ তাদের কাছে ঠিক বলে মনে হয়, \q2 কিন্তু জ্ঞানবানেরা পরামর্শ শোনে। \b \q1 \v 16 মূর্খেরা অবিলম্বে তাদের বিরক্তি প্রকাশ করে, \q2 কিন্তু বিচক্ষণ লোকেরা অপমান উপেক্ষা করে। \b \q1 \v 17 একজন সত্যবাদী সাক্ষী সত্যিকথা বলে, \q2 কিন্তু একজন মিথ্যাসাক্ষী মিথ্যা কথা বলে। \b \q1 \v 18 অবিবেচকের কথা তরোয়ালের মতো বিদ্ধ করে, \q2 কিন্তু জ্ঞানবানের জিভ সুস্থতা নিয়ে আসে। \b \q1 \v 19 সত্যবাদী ঠোঁট চিরকাল স্থায়ী হয়, \q2 কিন্তু মিথ্যাবাদী জিভ শুধু এক মুহূর্তের জন্য স্থায়ী হয়। \b \q1 \v 20 যারা অমঙ্গলের চক্রান্ত করে তাদের অন্তরে ছলনা থাকে, \q2 কিন্তু যারা শান্তির উদ্যোক্তা হয় তারা আনন্দ পায়। \b \q1 \v 21 কোনও অনিষ্টই ধার্মিকদের আতঙ্কগ্রস্ত করে না, \q2 কিন্তু দুষ্টদের অসুবিধা ভোগ করতে হয়। \b \q1 \v 22 সদাপ্রভু মিথ্যাবাদী ঠোঁট ঘৃণা করেন, \q2 কিন্তু যারা নির্ভরযোগ্য তাদের নিয়ে তিনি আনন্দ করেন। \b \q1 \v 23 বিচক্ষণ লোকেরা তাদের জ্ঞান নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে, \q2 কিন্তু মূর্খদের অন্তর মূর্খতা ফাঁস করে দেয়। \b \q1 \v 24 পরিশ্রমী হাত শাসন করবে, \q2 কিন্তু অলসতা শেষ পর্যন্ত বেগার শ্রমিকে পরিণত হয়। \b \q1 \v 25 দুশ্চিন্তার ভারে অন্তর অবনত হয়, \q2 কিন্তু সৌজন্যমূলক একটি কথা সেটিকে উৎসাহিত করে। \b \q1 \v 26 ধার্মিকেরা সতর্কতার সঙ্গে তাদের বন্ধু মনোনীত করে, \q2 কিন্তু দুষ্টেরা তাদের\f + \fr 12:26 \fr*\ft অথবা, বন্ধুদের\ft*\f* বিপথগামী করে। \b \q1 \v 27 অলসেরা শিকার করা কোনো কিছু উনুনে সেঁকে না, \q2 কিন্তু পরিশ্রমীরা শিকারের ধন উপভোগ করে। \b \q1 \v 28 ধার্মিকতার পথে জীবন আছে; \q2 সেই পথ বরাবর অমরতা আছে। \b \c 13 \q1 \v 1 জ্ঞানবান ছেলে বাবার নির্দেশ মানে, \q2 কিন্তু বিদ্রুপকারী ভর্ৎসনায় কান দেয় না। \b \q1 \v 2 মানুষ তাদের মুখের ফল দ্বারাই মঙ্গল উপভোগ করে, \q2 কিন্তু বিশ্বাসঘাতক হিংস্রতার প্রবৃত্তি রাখে। \b \q1 \v 3 যারা ঠোঁট নিয়ন্ত্রণে রাখে তারা তাদের প্রাণরক্ষা করে, \q2 কিন্তু যারা বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলে তাদের সর্বনাশ হয়। \b \q1 \v 4 অলসের খিদে কখনও মেটে না, \q2 কিন্তু পরিশ্রমীদের বাসনাগুলি পুরোপুরি চরিতার্থ হয়। \b \q1 \v 5 ধার্মিকেরা মিথ্যাচারিতা ঘৃণা করে, \q2 কিন্তু দুষ্টেরা নিজেদের এক দুর্গন্ধে পরিণত করে \q2 ও নিজেদের উপরে লজ্জা ডেকে আনে। \b \q1 \v 6 ধার্মিকতা ন্যায়পরায়ণ মানুষদের রক্ষা করে, \q2 কিন্তু দুষ্টতা পাপীদের উৎখাত করে। \b \q1 \v 7 কেউ ধনী হওয়ার ভান করে, অথচ তার কাছে কিছুই নেই; \q2 অন্যজন দরিদ্র হওয়ার ভান করে, অথচ তার কাছে মহাধন আছে। \b \q1 \v 8 মানুষের ধন হয়তো তাদের প্রাণের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে, \q2 কিন্তু দরিদ্রকে ভয় দেখানো যায় না। \b \q1 \v 9 ধার্মিকদের আলো উজ্জ্বলভাবে জ্বলজ্বল করে, \q2 কিন্তু দুষ্টদের প্রদীপ নিভে যায়। \b \q1 \v 10 যেখানে বিবাদ থাকে, সেখানে অহংকারও থাকে, \q2 কিন্তু যারা পরামর্শ নেয় তাদের অন্তরে প্রজ্ঞা পাওয়া যায়। \b \q1 \v 11 অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থ কমে যায়, \q2 কিন্তু যে অল্প অল্প করে অর্থ সংগ্রহ করে, তার অর্থ বাড়তে থাকে। \b \q1 \v 12 বিলম্বিত আশা হৃদয়কে অসুস্থ করে তোলে, \q2 কিন্তু পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা এক জীবনবৃক্ষ। \b \q1 \v 13 যে নির্দেশ অবজ্ঞা করে তাকে এর মূল্য চোকাতে হয়, \q2 কিন্তু যে আজ্ঞাকে সম্মান করে সে পুরস্কৃত হয়। \b \q1 \v 14 জ্ঞানবানের শিক্ষা জীবনের উৎস, \q2 তা মানুষকে মৃত্যুর ফাঁদ থেকে ফিরিয়ে আনে। \b \q1 \v 15 সুবিবেচনা অনুগ্রহজনক হয়, \q2 কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের পথ তাদের বিনাশের দিকে নিয়ে যায়। \b \q1 \v 16 যারা বিচক্ষণ তারা সবাই জ্ঞানপূর্বক কাজ করে,\f + \fr 13:16 \fr*\ft অথবা, বিচক্ষণ মানুষজন জ্ঞান দ্বারাই নিজেদের রক্ষা করে\ft*\f* \q2 কিন্তু মূর্খেরা তাদের মূর্খতাই প্রকাশ করে ফেলে। \b \q1 \v 17 দুষ্ট দূত অসুবিধায় পড়ে, \q2 কিন্তু বিশ্বস্ত দূত আরোগ্য দান করে। \b \q1 \v 18 যে শাসন উপেক্ষা করে তাকে দারিদ্র ও লজ্জা ভোগ করতে হয়, \q2 কিন্তু যে সংশোধনে মনোযোগ দেয় সে সম্মানিত হয়। \b \q1 \v 19 পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা প্রাণের পক্ষে তৃপ্তিদায়ক, \q2 কিন্তু মূর্খেরা মন্দ পথ থেকে ফিরতে চায় না। \b \q1 \v 20 জ্ঞানবানদের সঙ্গে সঙ্গে চলো ও জ্ঞানবান হও, \q2 কারণ মূর্খদের সহচর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। \b \q1 \v 21 বিপত্তি পাপীর পশ্চাদ্ধাবন করে, \q2 কিন্তু ধার্মিককে মঙ্গল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। \b \q1 \v 22 সৎলোক তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য উত্তরাধিকার ছেড়ে যায়, \q2 কিন্তু পাপীর ধন ধার্মিকদের জন্য মজুত হয়। \b \q1 \v 23 অকর্ষিত জমি দরিদ্রদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করে, \q2 কিন্তু অবিচার তা নিশ্চিহ্ন করে দেয়। \b \q1 \v 24 যারা লাঠির ব্যবহার করে না, তারা তাদের সন্তানদের ঘৃণা করে, \q2 কিন্তু যারা তাদের সন্তানদের ভালোবাসে, তারা সযত্নে তাদের শাসনও করে। \b \q1 \v 25 ধার্মিকেরা তাদের প্রাণের তৃপ্তি পর্যন্ত খাবার খায়, \q2 কিন্তু দুষ্টেরা ক্ষুধার্ত পেটেই থেকে যায়। \b \c 14 \q1 \v 1 জ্ঞানবতী মহিলা তার বাড়ি গেঁথে তোলে, \q2 কিন্তু মূর্খ মহিলা নিজের হাতে তার বাড়ি ভেঙে ফেলে। \b \q1 \v 2 যে সদাপ্রভুকে ভয় করে সে সৎভাবে চলে, \q2 কিন্তু যারা তাঁকে অবজ্ঞা করে তারা তাদের পথে সর্পিল। \b \q1 \v 3 মূর্খের মুখ দিয়ে অহংকারের বাক্যবাণ বর্ষিত হয়, \q2 কিন্তু জ্ঞানবানদের ঠোঁট তাদের রক্ষা করে। \b \q1 \v 4 বলদ না থাকলে জাবপাত্রও পরিষ্কার থাকে, \q2 কিন্তু বলদের ক্ষমতাতেই প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়। \b \q1 \v 5 বিশ্বস্ত সাক্ষী প্রতারণা করে না, \q2 কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী মিথ্যা কথা উগরে দেয়। \b \q1 \v 6 বিদ্রুপকারীরা প্রজ্ঞার খোঁজ করে ও কিছুই খুঁজে পায় না, \q2 কিন্তু বিচক্ষণদের কাছে জ্ঞান সহজলভ্য হয়। \b \q1 \v 7 মূর্খের কাছ থেকে দূরে সরে থাকো, \q2 কারণ তাদের ঠোঁটে তুমি জ্ঞান খুঁজে পাবে না। \b \q1 \v 8 বিচক্ষণ ব্যক্তিদের প্রজ্ঞাই তাদের পথের দিশা নির্দেশ দেয়, \q2 কিন্তু মূর্খদের মূর্খতাই হল প্রতারণা। \b \q1 \v 9 পাপের জন্য কাউকে ক্ষতিপূরণ করতে দেখে মূর্খ ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে, \q2 কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের কাছে মঙ্গলকামনা পাওয়া যায়। \b \q1 \v 10 প্রত্যেক অন্তঃকরণ তার নিজের জ্বালা জানে, \q2 আর কেউ তার আনন্দের ভাগী হতে পারে না। \b \q1 \v 11 দুষ্টদের বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে, \q2 কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের তাঁবু উন্নতি লাভ করবে। \b \q1 \v 12 একটি পথ আছে যা সঠিক বলে মনে হয়, \q2 কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। \b \q1 \v 13 অট্টহাসির মধ্যেও হৃদয়ে ব্যথা হতে পারে, \q2 ও আনন্দ শেষ পর্যন্ত বিষাদে পরিণত হতে পারে। \b \q1 \v 14 অবিশ্বাসীরা তাদের আচরণের জন্য প্রাপ্য ফলভোগ করবে, \q2 ও সৎলোকেরা তাদের আচরণের জন্য পুরস্কৃত হবে। \b \q1 \v 15 অনভিজ্ঞ মানুষ সব কথাই বিশ্বাস করে, \q2 কিন্তু বিচক্ষণ লোকেরা খুব ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেয়। \b \q1 \v 16 জ্ঞানবানেরা সদাপ্রভুকে ভয় করে ও মন্দকে এড়িয়ে চলে, \q2 কিন্তু মূর্খেরা উগ্রস্বভাব অথচ নিরাপদ বোধ করে। \b \q1 \v 17 বদরাগি লোক মূর্খের মতো কাজ করে, \q2 ও যে দুষ্ট ফন্দি আঁটে সে ঘৃণিত হয়। \b \q1 \v 18 অনভিজ্ঞ লোকেরা উত্তরাধিকারসূত্রে মূর্খতা লাভ করে, \q2 কিন্তু বিচক্ষণেরা জ্ঞান-মুকুটে বিভূষিত হয়। \b \q1 \v 19 অনিষ্টকারীরা সুজনদের সামনে, \q2 এবং দুষ্টেরা ধার্মিকদের দরজায় এসে মাথা নত করবে। \b \q1 \v 20 দরিদ্রেরা তাদের প্রতিবেশীদের দ্বারাও অবজ্ঞাত হয়, \q2 কিন্তু ধনবানদের প্রচুর বন্ধু থাকে। \b \q1 \v 21 প্রতিবেশীকে অবজ্ঞা করা হল পাপ, \q2 কিন্তু ধন্য সেই জন যে অভাবগ্রস্তদের প্রতি দয়া দেখায়। \b \q1 \v 22 যারা অনিষ্টের চক্রান্ত করে তারা কি বিপথগামী হয় না? \q2 কিন্তু যারা মঙ্গলের পরিকল্পনা করে তারা ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা লাভ করে\f + \fr 14:22 \fr*\ft অথবা, দেখায়\ft*\f*। \b \q1 \v 23 সব কঠোর পরিশ্রমই লাভের মুখ দেখে, \q2 কিন্তু নিছক কথাবার্তা শুধু দারিদ্রই নিয়ে আসে। \b \q1 \v 24 জ্ঞানবানদের ধন তাদের মুকুট, \q2 কিন্তু মূর্খদের মূর্খতা মূর্খতাই উৎপন্ন করে। \b \q1 \v 25 সত্যবাদী সাক্ষী প্রাণরক্ষা করে, \q2 কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী বিশ্বাসঘাতক হয়। \b \q1 \v 26 যারা সদাপ্রভুকে ভয় করে তাদের কাছে এক নিরাপদ দুর্গ আছে, \q2 ও তাদের সন্তানদের জন্যও তা এক আশ্রয়স্থান হবে। \b \q1 \v 27 সদাপ্রভুর ভয় জীবনের উৎস, \q2 যা মানুষকে মৃত্যুর ফাঁদ থেকে ফিরিয়ে আনে। \b \q1 \v 28 বিশাল জনসংখ্যা রাজার গরিমা, \q2 কিন্তু প্রজার অভাবে রাজপুরুষের সর্বনাশ হয়। \b \q1 \v 29 যে ধৈর্যশীল সে অত্যন্ত বিচক্ষণ, \q2 কিন্তু যে বদরাগি সে মূর্খতাই প্রকাশ করে ফেলে। \b \q1 \v 30 শান্ত হৃদয় দেহকেও সুস্থ রাখে, \q2 কিন্তু ঈর্ষা অস্থির পচনস্বরূপ। \b \q1 \v 31 যে দরিদ্রদের শোষণ করে সে তাদের সৃষ্টিকর্তাকে অপমান করে, \q2 কিন্তু যে দরিদ্রদের প্রতি দয়া দেখায় সে ঈশ্বরকে সম্মানিত করে। \b \q1 \v 32 যখন চরম দুর্দশা ঘনিয়ে আসে, তখন দুষ্টেরা পতিত হয়, \q2 কিন্তু মরণকালেও ধার্মিকেরা ঈশ্বরেই আশ্রয় খোঁজে। \b \q1 \v 33 বিচক্ষণদের অন্তরে প্রজ্ঞা বিশ্রাম করে, \q2 ও মূর্খদের মধ্যেও সে নিজের আত্মপরিচয় দেয়।\f + \fr 14:33 \fr*\ft অথবা, মূর্খদের অন্তরে তার পরিচয় পাওয়া যায় না\ft*\f* \b \q1 \v 34 ধার্মিকতা জাতিকে উন্নত করে, \q2 কিন্তু পাপ যে কোনো লোককে নিন্দা করে। \b \q1 \v 35 রাজা জ্ঞানবান দাসকে নিয়ে আনন্দ করেন, \q2 কিন্তু লজ্জাজনক দাস তাঁর প্রকোপ জাগিয়ে তোলে। \b \c 15 \q1 \v 1 বিনীত উত্তর ক্রোধ প্রশমিত করে, \q2 কিন্তু রূঢ় কথাবার্তা ক্রোধ জাগিয়ে তোলে। \b \q1 \v 2 জ্ঞানবানদের জিভে জ্ঞান শোভা পায়, \q2 কিন্তু মূর্খদের মুখ থেকে মূর্খতা প্রবাহিত হয়। \b \q1 \v 3 সদাপ্রভুর চোখ সর্বত্র আছে, \q2 দুষ্ট ও সুজন, উভয়ের উপরেই তাঁর দৃষ্টি আছে। \b \q1 \v 4 তুষ্টিকর জিভ জীবনবৃক্ষ, \q2 কিন্তু স্বেচ্ছাচারী জিভ আত্মাকে পিষে ফেলে। \b \q1 \v 5 মূর্খ তার মা-বাবার\f + \fr 15:5 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, বাবার\ft*\f* শাসন পদদলিত করে, \q2 কিন্তু যে সংশোধনে মনযোগ দেয় সে বিচক্ষণতা দেখায়। \b \q1 \v 6 ধার্মিকদের বাড়িতে মহাধন থাকে, \q2 কিন্তু দুষ্টদের উপার্জন সর্বনাশ ডেকে আনে। \b \q1 \v 7 জ্ঞানবানদের ঠোঁট জ্ঞান ছড়ায়, \q2 কিন্তু মূর্খদের হৃদয় ন্যায়নিষ্ঠ নয়। \b \q1 \v 8 সদাপ্রভু দুষ্টদের বলিদান ঘৃণা করেন, \q2 কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের প্রার্থনা তাঁকে সন্তুষ্ট করে। \b \q1 \v 9 সদাপ্রভু দুষ্টদের পথ ঘৃণা করেন, \q2 কিন্তু যারা ধার্মিকতার পশ্চাদ্ধাবন করে তিনি তাদের ভালোবাসেন। \b \q1 \v 10 যে সঠিক পথ ত্যাগ করেছে তার জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করে আছে; \q2 যে সংশোধন ঘৃণা করে সে মারা যাবে। \b \q1 \v 11 মৃত্যু ও বিনাশ\f + \fr 15:11 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, আবাদ্দন\ft*\f* সদাপ্রভুর দৃষ্টিগোচর— \q2 তবে মানবমন আরও কত না বেশি দৃষ্টিগোচর! \b \q1 \v 12 বিদ্রুপকারীরা সংশোধন ক্ষতিকর মনে করে, \q2 তাই তারা জ্ঞানবানদের এড়িয়ে চলে। \b \q1 \v 13 আনন্দিত অন্তর মুখকে প্রসন্ন করে তোলে, \q2 কিন্তু মানসিক যন্ত্রণা আত্মাকে পিষে ফেলে। \b \q1 \v 14 বিচক্ষণ অন্তর জ্ঞানের খোঁজ করে, \q2 কিন্তু মূর্খের মুখ মূর্খতার ক্ষেতে চরে। \b \q1 \v 15 নিপীড়িতদের পক্ষে জীবনের সব দিনই বাজে, \q2 কিন্তু আনন্দিত অন্তর সর্বদাই ভোজে মেতে থাকে। \b \q1 \v 16 অশান্তি নিয়ে মহাধন ভোগ করার চেয়ে \q2 সদাপ্রভুর ভয়ের সঙ্গে অল্প কিছু থাকাই ভালো। \b \q1 \v 17 ঘৃণার মনোভাব নিয়ে আমিষ খাবার পরিবেশন করার চেয়ে \q2 ভালোবাসা দেখিয়ে সামান্য পরিমাণে নিরামিষ খাবার খাওয়ানো ভালো। \b \q1 \v 18 বদরাগি লোক বিরোধ বাধিয়ে দেয়, \q2 কিন্তু ধৈর্যশীল লোক বিবাদ শান্ত করে। \b \q1 \v 19 অলসদের পথে কাঁটার বাধা থাকে, \q2 কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের পথ রাজপথবিশেষ। \b \q1 \v 20 জ্ঞানবান ছেলে তার বাবার মনে আনন্দ এনে দেয়, \q2 কিন্তু মূর্খ মানুষ তার মাকে অবজ্ঞা করে। \b \q1 \v 21 যার কোনও বুদ্ধি নেই, মূর্খতাই তাকে আনন্দ দেয়, \q2 কিন্তু যে বিচক্ষণ সে সোজা পথে চলে। \b \q1 \v 22 পরামর্শের অভাবে সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়, \q2 কিন্তু মন্ত্রণাদাতাদের সংখ্যা বেশি হলে সেগুলি সফল হয়। \b \q1 \v 23 সঠিক উত্তর দিয়ে মানুষ আনন্দ পায়, \q2 ও সঠিক সময়ে বলা কথা কতই না প্রশংসনীয়। \b \q1 \v 24 বিচক্ষণদের জন্য জীবনের পথ ঊর্ধ্বগামী \q2 যেন তাদের পাতালে যেতে না হয়। \b \q1 \v 25 সদাপ্রভু অহংকারীদের বাড়ি ধূলিসাৎ করে দেন, \q2 কিন্তু বিধবাদের সীমানার পাথর তিনি স্বস্থানে অটুট রাখেন। \b \q1 \v 26 সদাপ্রভু দুষ্টদের ভাবনাচিন্তাকে ঘৃণা করেন, \q2 কিন্তু তাঁর দৃষ্টিতে অনুগ্রহকারী কথাবার্তা বিশুদ্ধ বলে বিবেচিত হয়। \b \q1 \v 27 লোভী মানুষেরা তাদের পরিবারে সর্বনাশ ডেকে আনে, \q2 কিন্তু যে ঘুস দেওয়া-নেওয়া ঘৃণা করে, সে জীবিত থাকে। \b \q1 \v 28 ধার্মিকদের অন্তর এর উত্তর মাপে, \q2 কিন্তু দুষ্টদের মুখ দিয়ে অনিষ্ট প্রবাহিত হয়। \b \q1 \v 29 সদাপ্রভু দুষ্টদের থেকে দূরে সরে থাকেন, \q2 কিন্তু তিনি ধার্মিকদের প্রার্থনা শোনেন। \b \q1 \v 30 দূতের চোখের আলো হৃদয়ে আনন্দ এনে দেয়, \q2 ও শুভ সংবাদ অস্থির পক্ষে স্বাস্থ্যস্বরূপ। \b \q1 \v 31 যে জীবনদানকারী সংশোধনে মনোযোগ দেয় \q2 সে জ্ঞানবানদের সঙ্গে বসবাস করবে। \b \q1 \v 32 যারা শাসন অমান্য করে তারা নিজেদেরই ঘৃণা করে, \q2 কিন্তু যে সংশোধনে মনোযোগ দেয় সে বুদ্ধি-বিবেচনা লাভ করে। \b \q1 \v 33 প্রজ্ঞার নির্দেশ হল সদাপ্রভুকে ভয় করা, \q2 ও সম্মানের আগে আসে নম্রতা। \b \c 16 \q1 \v 1 মানুষ মনে মনে অনেক পরিকল্পনা করে, \q2 কিন্তু জিভের সঠিক উত্তর সদাপ্রভুর কাছ থেকেই আসে। \b \q1 \v 2 মানুষের সব পথ তাদের দৃষ্টিতে বিশুদ্ধ বলেই মনে হয়, \q2 কিন্তু অভিসন্ধি সদাপ্রভুই মেপে রাখেন। \b \q1 \v 3 তোমার কাজের ভার সদাপ্রভুর হাতে সমর্পণ করো, \q2 ও তিনি তোমার পরিকল্পনাগুলি সফল করবেন। \b \q1 \v 4 সদাপ্রভু সবকিছু সঠিক লক্ষ্য সামনে রেখেই করেন— \q2 দুষ্টদের জন্যও বিপর্যয়ের দিন স্থির করে রাখেন। \b \q1 \v 5 গর্বিতমনা সব লোককে সদাপ্রভু ঘৃণা করেন। \q2 নিশ্চিত জেনে রাখো: তারা অদণ্ডিত থাকবে না। \b \q1 \v 6 ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার মাধ্যমেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়; \q2 সদাপ্রভুর ভয়ের মাধ্যমেই অমঙ্গল এড়ানো যায়। \b \q1 \v 7 সদাপ্রভু যখন কোনও মানুষের জীবনযাত্রার ধরন দেখে খুশি হন, \q2 তখন তিনি তাদের শত্রুদেরও তাদের সঙ্গে সন্ধি করতে বাধ্য করেন। \b \q1 \v 8 অন্যায় পথে প্রচুর লাভ করার চেয়ে \q2 ধার্মিকতার সঙ্গে সামান্য কিছু পাওয়া ভালো। \b \q1 \v 9 মানুষ মনে মনে তাদের গতিপথের বিষয়ে পরিকল্পনা করে, \q2 কিন্তু সদাপ্রভুই তাদের পদক্ষেপ স্থির করেন। \b \q1 \v 10 রাজা ঠোঁট দিয়ে যা বলেন তা এক ঐশ্বরিক বাণীর সমতুল্য, \q2 ও তাঁর মুখ সুবিচারের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে না। \b \q1 \v 11 খাঁটি দাঁড়িপাল্লা ও নিক্তি সদাপ্রভুরই অধীনে থাকে; \q2 থলির সব বাটখারা তাঁর দ্বারাই নির্মিত। \b \q1 \v 12 রাজারা অন্যায়াচরণ ঘৃণা করেন, \q2 কারণ ধার্মিকতা দ্বারাই সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। \b \q1 \v 13 সততাপরায়ণ ঠোঁট রাজাদের পক্ষে আনন্দজনক; \q2 যে সঠিক কথাবার্তা বলে তারা তার কদর করেন। \b \q1 \v 14 রাজার ক্রোধ এক মৃত্যুদূত, \q2 কিন্তু জ্ঞানবান তা শান্ত করবে। \b \q1 \v 15 যখন রাজার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয়, তখন তার অর্থ জীবন; \q2 তাঁর অনুগ্রহ বসন্তকালের সজল মেঘের মতো। \b \q1 \v 16 সোনার চেয়ে প্রজ্ঞা লাভ করা কতই না ভালো, \q2 রুপোর পরিবর্তে দূরদর্শিতা অর্জন করা শ্রেয়! \b \q1 \v 17 ন্যায়পরায়ণদের রাজপথ অমঙ্গল এড়িয়ে যায়; \q2 যারা তাদের জীবনযাত্রার ধরন সুরক্ষিত রাখে তারা তাদের প্রাণ বাঁচায়। \b \q1 \v 18 অহংকার বিনাশের আগে আগে যায়, \q2 পতনের সামনেই থাকে উদ্ধত মনোভাব। \b \q1 \v 19 অহংকারীদের সঙ্গে লুন্ঠিত সামগ্রীর অংশীদার হওয়ার চেয়ে \q2 নিপীড়িতদের সঙ্গে নম্র মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকা ভালো। \b \q1 \v 20 যে শিক্ষায় মনোযোগ দেয় সে উন্নতি লাভ করে,\f + \fr 16:20 \fr*\ft অথবা, যে বিবেচনাপূর্বক কথা বলে তার মঙ্গল হয়\ft*\f* \q2 ও ধন্য সে, যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে। \b \q1 \v 21 যারা অন্তরে জ্ঞানবান তারা বিচক্ষণ বলে পরিচিত হয়, \q2 ও সহৃদয় কথাবার্তা শিক্ষাবর্ধন করে।\f + \fr 16:21 \fr*\ft অথবা, সহৃদয় কথাবার্তা ব্যক্তিবিশেষকে প্রত্যয়ী করে তোলে\ft*\f* \b \q1 \v 22 বিচক্ষণদের কাছে বিচক্ষণতাই জীবনের উৎস, \q2 কিন্তু মূর্খতা মূর্খদের কাছে দণ্ড এনে উপস্থিত করে। \b \q1 \v 23 জ্ঞানবানদের অন্তর তাদের মুখগুলিকে বিচক্ষণ করে তোলে, \q2 ও তাদের ঠোঁটগুলি শিক্ষাবর্ধন করে।\f + \fr 16:23 \fr*\ft অথবা, ও তাদের ঠোঁটগুলিকে প্রত্যয়ী করে তোলে\ft*\f* \b \q1 \v 24 সহৃদয় কথাবার্তা মৌচাকের মতো, \q2 তা প্রাণের পক্ষে মিষ্টিমধুর ও অস্থির পক্ষে আরোগ্যদায়ক। \b \q1 \v 25 একটি পথ আছে যা সঠিক বলে মনে হয়, \q2 কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। \b \q1 \v 26 শ্রমিকদের খোরাক তাদের হয়ে কাজ করে; \q2 তাদের খিদেই তাদের চালিয়ে নিয়ে যায়। \b \q1 \v 27 নীচমনা লোকেরা অনিষ্টের চক্রান্ত করে, \q2 ও তাদের মুখে যেন জ্বলন্ত আগুন থাকে। \b \q1 \v 28 বিকৃতমনা লোক বিবাদ বাধায়, \q2 ও পরনিন্দা পরচর্চা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরও বিচ্ছিন্ন করে দেয়। \b \q1 \v 29 হিংসাত্মক লোকেরা তাদের প্রতিবেশীদের প্রলুব্ধ করে, \q2 ও তাদের এমন এক পথে নিয়ে যায় যা ভালো নয়। \b \q1 \v 30 যারা চোখ দিয়ে ইশারা করে তারা নষ্টামির চক্রান্ত করছে; \q2 যারা তাদের ঠোঁট বাঁকায় তাদের মধ্যে ক্ষতিসাধনের প্রবণতা আছে। \b \q1 \v 31 পাকা চুল প্রভার মুকুট; \q2 ধার্মিকতার পথে চলেই তা অর্জন করা যায়। \b \q1 \v 32 যোদ্ধার চেয়ে একজন ধৈর্যশীল মানুষ হওয়া ভালো, \q2 যে নগর জয় করে তার চেয়ে আত্মসংযমী মানুষ হওয়া ভালো। \b \q1 \v 33 গুটিকাপাতের দান কোলেই চালা হয়, \q2 কিন্তু তার প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত আসে সদাপ্রভুর কাছ থেকেই। \b \c 17 \q1 \v 1 যে ভোজবাড়িতে শত্রুতার পরিবেশ আছে সেখানকার চেয়ে \q2 শান্তি ও নিরূপদ্রব পরিবেশে এক মুঠি শুকনো খাবার ও ভালো। \b \q1 \v 2 বিচক্ষণ দাস মর্যাদাহানিকর ছেলের উপরে কর্তৃত্ব করবে \q2 ও পরিবারভুক্ত একজনের মতো সেও উত্তরাধিকারের অংশীদার হবে। \b \q1 \v 3 রুপোর জন্য গলনপাত্র ও সোনার জন্য হাপর, \q2 কিন্তু সদাপ্রভুই অন্তরের পরীক্ষা করেন। \b \q1 \v 4 দুষ্টলোক প্রতারণাপূর্ণ ঠোঁটের কথাই শোনে; \q2 মিথ্যাবাদী মানুষ ধ্বংসাত্মক জিভের কথায় মনোযোগ দেয়। \b \q1 \v 5 যে দরিদ্রদের উপহাস করে সে তাদের নির্মাতার প্রতিই অসম্মান দেখায়; \q2 যে বিপর্যয় দেখে আনন্দ পায় সে অদণ্ডিত থাকবে না। \b \q1 \v 6 নাতিপুতিরা বয়স্ক মানুষদের মুকুট, \q2 ও মা-বাবারা তাদের সন্তানদের গৌরব। \b \q1 \v 7 বাক্‌পটু ঠোঁট যদি মূর্খের পক্ষে অনুপযোগী— \q2 তবে একজন শাসকের পক্ষে মিথ্যাবাদী ঠোঁট কতই না বেশি মন্দ! \b \q1 \v 8 যারা ঘুস দেয় তাদের দৃষ্টিতে তা এক দামি মণিবিশেষ; \q2 তারা মনে করে প্রত্যেকটি বাঁক ধরেই সাফল্য আসবে। \b \q1 \v 9 যে ভালোবাসা লালনপালন করে সে অপরাধ ঢেকে রাখে, \q2 কিন্তু যে বারবার সেকথার পুনরাবৃত্তি করে সে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়। \b \q1 \v 10 একশো কশাঘাত মূর্খকে যত না প্রভাবিত করে \q2 ভর্ৎসনা বিচক্ষণ মানুষকে তার চেয়েও অনেক বেশি প্রভাবিত করে। \b \q1 \v 11 অনিষ্টকারীরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ লালনপালন করে; \q2 তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদূত পাঠানো হবে। \b \q1 \v 12 মূর্খতার ভারে ন্যুব্জ মূর্খের সাথে দেখা হওয়ার চেয়ে \q2 বরং শাবক হারানো মাদি ভালুকের সম্মুখীন হওয়া ভালো। \b \q1 \v 13 যে মঙ্গলের প্রতিদানে অমঙ্গল ফিরিয়ে দেয় \q2 অমঙ্গল কখনোই তার বাড়িছাড়া হবে না। \b \q1 \v 14 বিবাদের সূত্রপাত হল বাঁধে ফাটল ধরার মতো বিষয়; \q2 অতএব বিতর্ক দানা বাঁধার আগেই বিষয়টিতে ইতি টানো। \b \q1 \v 15 দোষীকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া ও নির্দোষকে দোষী সাব্যস্ত করা— \q2 দুটি বিষয়কেই সদাপ্রভু ঘৃণা করেন। \b \q1 \v 16 প্রজ্ঞা কেনার জন্য মূর্খদের হাতে অর্থ থাকবে কেন, \q2 যখন তা বোঝার ক্ষমতাই তাদের নেই? \b \q1 \v 17 বন্ধু সবসময় ভালোবেসে যায়, \q2 ও দুর্দশা কালের জন্যই ভাই জন্ম নেয়। \b \q1 \v 18 বুদ্ধি-বিবেচনাহীন মানুষ জামিনদার হয়ে হাতে হাত মিলায় \q2 ও প্রতিবেশীর হয়ে বন্ধক রাখে। \b \q1 \v 19 যে বিবাদ ভালোবাসে সে পাপও ভালোবাসে; \q2 যে উঁচু দরজা নির্মাণ করে সে সর্বনাশ ডেকে আনে। \b \q1 \v 20 যার অন্তর দুর্নীতিগ্রস্ত সে উন্নতি লাভ করে না; \q2 যার জিভ কলুষিত সে বিপদে পড়ে। \b \q1 \v 21 মূর্খকে সন্তানরূপে লাভ করার অর্থ জীবনে বিষাদ নেমে আসা; \q2 মূর্খের মা-বাবার মনে আনন্দ থাকে না। \b \q1 \v 22 আনন্দিত হৃদয় ভালো ওষুধ, \q2 কিন্তু ভগ্নচূর্ণ আত্মা অস্থি শুকনো করে দেয়। \b \q1 \v 23 বিচারের গতিপথ বিকৃত করার জন্য \q2 দুষ্টেরা গোপনে ঘুস নেয়। \b \q1 \v 24 বিচক্ষণ মানুষ প্রজ্ঞাকে সামনে রেখে চলে, \q2 কিন্তু মূর্খের দৃষ্টি পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ায়। \b \q1 \v 25 মূর্খ ছেলে তার বাবার জীবনে বিষাদ \q2 ও যে মা তাকে জন্ম দিয়েছে তার জীবনে তিক্ততা উৎপন্ন করে। \b \q1 \v 26 নির্দোষ লোকের জরিমানা করা যদি ভালো কাজ না হয়, \q2 তবে সৎ কর্মকর্তাদের কশাঘাত করাও নিশ্চয় ঠিক নয়। \b \q1 \v 27 যার জ্ঞান আছে সে সংযমী হয়ে শব্দ ব্যবহার করে, \q2 ও যার বুদ্ধি-বিবেচনা আছে সে মেজাজের রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখে। \b \q1 \v 28 মূর্খরাও যদি নীরবতা বজায় রাখে তবে তাদের জ্ঞানবান বলে মনে করা হয়, \q2 ও যদি তারা তাদের জিভ নিয়ন্ত্রণে রাখে তবে তাদের বিচক্ষণ বলে মনে করা হয়। \b \c 18 \q1 \v 1 অবন্ধুজনোচিত মানুষ স্বার্থপর আখেরের পিছনে ছোটে \q2 ও সমস্ত যুক্তিসংগত রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদ শুরু হয়। \b \q1 \v 2 মূর্খেরা বুদ্ধি-বিবেচনায় আনন্দ উপভোগ করে না \q2 কিন্তু তাদের নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করে তারা আনন্দ পায়। \b \q1 \v 3 যখন দুষ্টতা আসে, তার সাথে সাথে অবজ্ঞাও আসে, \q2 ও লজ্জার সঙ্গে আসে কলঙ্ক। \b \q1 \v 4 মুখের কথা গভীর জলরাশি, \q2 কিন্তু প্রজ্ঞার ফোয়ারা এক খরস্রোতা জলপ্রবাহ। \b \q1 \v 5 দুষ্টদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানো ঠিক নয় \q2 ও নির্দোষদের ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করাও ভালো নয়। \b \q1 \v 6 মূর্খদের ঠোঁট তাদের কাছে বিবাদ নিয়ে আসে, \q2 ও তাদের মুখ প্রহারকে আমন্ত্রণ জানায়। \b \q1 \v 7 মূর্খদের মুখই তাদের সর্বনাশের কারণ, \q2 ও তাদের ঠোঁট তাদেরই জীবনের পক্ষে এক ফাঁদবিশেষ। \b \q1 \v 8 পরনিন্দা পরচর্চার কথাবার্তা সুস্বাদু খাদ্যের মতো লাগে; \q2 সেগুলি মানুষের অন্তরের গভীরে প্রবেশ করে। \b \q1 \v 9 যে তার কাজে শিথিল \q2 সে বিনাশকারীর সহোদর ভাই। \b \q1 \v 10 সদাপ্রভুর নাম এক সুরক্ষিত মিনার; \q2 ধার্মিকেরা সেখানে দৌড়ে যায় ও নিরাপদ বোধ করে। \b \q1 \v 11 ধনবানদের ধনসম্পত্তিই তাদের সুরক্ষিত নগর; \q2 তারা ভাবে, তা এমন এক উঁচু প্রাচীর যা মাপা যায় না। \b \q1 \v 12 পতনের আগে অন্তর উদ্ধত হয়, \q2 কিন্তু সম্মানের আগে আসে নম্রতা। \b \q1 \v 13 শোনার আগেই উত্তর দেওয়া— \q2 হল মূর্খতার ও লজ্জার বিষয়। \b \q1 \v 14 মানবাত্মা অসুস্থতা সহ্য করতে পারে, \q2 কিন্তু ভগ্নচূর্ণ আত্মা কে বহন করতে পারে? \b \q1 \v 15 বিচক্ষণ মানুষদের অন্তর জ্ঞানার্জন করে, \q2 কারণ জ্ঞানবানদের কান তা খুঁজে বের করে। \b \q1 \v 16 উপহার পথ খুলে দেয় \q2 ও উপহারদাতাকে বিশিষ্টজনেদের সান্নিধ্যে উপস্থিত করে। \b \q1 \v 17 মামলা-মকদ্দমায় যে প্রথমে কথা বলে তাকেই ততক্ষণ ঠিক বলে মনে করা হয়, \q2 যতক্ষণ না অন্য কেউ এগিয়ে আসে ও তাকে জেরা করে। \b \q1 \v 18 গুটিকাপাতের দান বাদবিবাদ নিষ্পত্তি করে \q2 ও বলবান মানুষ প্রতিপক্ষদের দূরে সরিয়ে রাখে। \b \q1 \v 19 বিক্ষুব্ধ ভাই সুরক্ষিত নগরের চেয়েও বেশি অনমনীয়; \q2 বাদানুবাদ হল দুর্গের বন্ধ দরজার মতো। \b \q1 \v 20 মানুষের মুখ থেকে উৎপন্ন ফল দিয়েই তাদের পেট ভরে; \q2 তাদের ঠোঁটের ফসল দিয়েই তারা তৃপ্ত হয়। \b \q1 \v 21 জীবন ও মৃত্যুর ক্ষমতা জিভের হস্তগত, \q2 ও যারা তা ভালোবাসে, তারা তার ফল খায়। \b \q1 \v 22 যে এক স্ত্রী খুঁজে পায় সে ভালোই কিছু পায় \q2 ও সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুগ্রহ লাভ করে। \b \q1 \v 23 দরিদ্রেরা দয়া পাওয়ার জন্য সনির্বন্ধ মিনতি জানায়, \q2 কিন্তু ধনবানেরা ধমকে উত্তর দেয়। \b \q1 \v 24 যার বন্ধুরা অনির্ভরযোগ্য সে অচিরেই সর্বনাশের সম্মুখীন হয়, \q2 কিন্তু এমন একজন বন্ধু আছেন যিনি ভাইয়ের চেয়েও বেশি অন্তরঙ্গ। \b \c 19 \q1 \v 1 যে মূর্খের ঠোঁট উচ্ছৃঙ্খল তার চেয়ে \q2 সেই দরিদ্রই ভালো যার জীবনযাত্রার ধরন অনিন্দনীয়। \b \q1 \v 2 জ্ঞানবিহীন বাসনা ভালো নয়— \q2 হঠকারী পদযুগল আরও কত না বেশি পথ হারাবে! \b \q1 \v 3 মানুষের নিজেদের মূর্খামিই তাদের সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেয়, \q2 অথচ তাদের অন্তর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। \b \q1 \v 4 ধনসম্পদ অনেক বন্ধু আকর্ষণ করে, \q2 কিন্তু দরিদ্র লোকজনের বন্ধুরাও তাদের পরিত্যাগ করে। \b \q1 \v 5 মিথ্যাসাক্ষী অদণ্ডিত থাকবে না, \q2 ও যে মিথ্যা কথার স্রোত বইয়ে দেয় সে নিষ্কৃতি পাবে না। \b \q1 \v 6 অনেকেই শাসকের তোষামুদি করে, \q2 ও যিনি উপহার দান করেন সবাই তাঁর বন্ধু হয়। \b \q1 \v 7 দরিদ্রদের সব আত্মীয়স্বজন যখন তাদের এড়িয়ে চলে— \q2 তখন তাদের বন্ধুরাও তো আরও বেশি করে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাবে! \q1 যদিও দরিদ্রেরা অনুনয়-বিনয় করে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে, \q2 তাদের কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। \b \q1 \v 8 যে জ্ঞানার্জন করে সে জীবন ভালোবাসে; \q2 যে বিচক্ষণতা পোষণ করে সে অচিরেই উন্নতি লাভ করবে। \b \q1 \v 9 মিথ্যাসাক্ষী অদণ্ডিত থাকবে না, \q2 ও যে মিথ্যা কথার স্রোত বইয়ে দেয় তার সর্বনাশ হবে। \b \q1 \v 10 মূর্খের পক্ষে যখন বিলাসিতার জীবনযাপন করা বাঞ্ছনীয় নয়— \q2 তখন ক্রীতদাসের পক্ষে অধিপতিদের উপরে প্রভুত্ব করা আরও কত না মন্দ বিষয়। \b \q1 \v 11 মানুষের প্রজ্ঞা ধৈর্য উৎপন্ন করে; \q2 অপরাধ মার্জনা করা তার পক্ষে গৌরবের বিষয়। \b \q1 \v 12 রাজার ক্রোধ সিংহের গর্জনের মতো, \q2 কিন্তু তাঁর অনুগ্রহ ঘাসের উপরে পড়া শিশিরের মতো। \b \q1 \v 13 মূর্খ সন্তান বাবার সর্বনাশের কারণ, \q2 ও কলহপ্রিয়া স্ত্রী \q2 ফাটা ছাদ থেকে একটানা পড়তে থাকা জলের সমতুল্য। \b \q1 \v 14 বাড়িঘর ও ধনসম্পদ মা-বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া যায়, \q2 কিন্তু বিচক্ষণ স্ত্রী সদাপ্রভুর কাছ থেকেই পাওয়া যায়। \b \q1 \v 15 অলসতা অগাধ ঘুম নিয়ে আসে, \q2 ও অপারদর্শী মানুষ ক্ষুধার্তই থেকে যায়। \b \q1 \v 16 যারা আজ্ঞা পালন করে তারা তাদের প্রাণরক্ষা করে, \q2 কিন্তু যারা তাদের জীবনযাত্রার ধরনকে উপেক্ষা করে তারা মারা যাবে। \b \q1 \v 17 যারা দরিদ্রদের প্রতি দয়া দেখায় তারা সদাপ্রভুকেই ঋণ দেয়, \q2 ও তারা যা করেছে সেজন্য সদাপ্রভু তাদের পুরস্কৃত করবেন। \b \q1 \v 18 তোমার সন্তানদের শাসন করো, কারণ এতে আশা আছে, \q2 তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী হোয়ো না। \b \q1 \v 19 উগ্রস্বভাব বিশিষ্ট মানুষকে অবশ্যই দণ্ড পেতে হবে; \q2 তাদের উদ্ধার করো, ও তোমাকে আবার তা করতে হবে। \b \q1 \v 20 পরামর্শ শোনো ও শৃঙ্খলা গ্রহণ করো, \q2 ও শেষ পর্যন্ত তুমি জ্ঞানবানদের মধ্যে গণ্য হবে। \b \q1 \v 21 মানুষের অন্তরে অনেক পরিকল্পনা থাকে, \q2 কিন্তু সদাপ্রভুর অভীষ্টই প্রবল হয়। \b \q1 \v 22 একজন মানুষ যা চায় তা হল অফুরান ভালোবাসা\f + \fr 19:22 \fr*\ft অথবা, লোভ-লালসা মানুষের লজ্জা\ft*\f*; \q2 মিথ্যাবাদী হওয়ার চেয়ে দরিদ্র হওয়া ভালো। \b \q1 \v 23 সদাপ্রভুর ভয় জীবনের দিকে নিয়ে যায়; \q2 তখন একজন মানুষ সন্তুষ্ট থাকে, আকস্মিক দুর্দশা তাকে স্পর্শ করতে পারে না। \b \q1 \v 24 অলস তার হাত থালায় ডুবিয়ে রাখে; \q2 সে এতই অলস যে তা মুখেও তোলে না। \b \q1 \v 25 বিদ্রুপকারীকে কশাঘাত করো, ও অনভিজ্ঞ লোকেরা বিচক্ষণতার শিক্ষা পাবে; \q2 বিচক্ষণদের ভর্ৎসনা করো, ও তারা জ্ঞানার্জন করবে। \b \q1 \v 26 যারা তাদের বাবার সম্পদ লুট করে ও তাদের মাকে তাড়িয়ে দেয় \q2 তারা এমন এক সন্তান যে লজ্জা ও অপমান বয়ে আনে। \b \q1 \v 27 হে আমার বাছা, তুমি যদি শিক্ষা নেওয়া বন্ধ করে দাও, \q2 তবে তুমি জ্ঞানের বাক্য থেকে দূরে সরে যাবে। \b \q1 \v 28 বিকৃতমনা সাক্ষী ন্যায়বিচারকে বিদ্রুপ করে, \q2 ও দুষ্টদের মুখ অমঙ্গল গ্রাস করে নেয়। \b \q1 \v 29 বিদ্রুপকারীদের জন্য শাস্তিবিধান তৈরি হয়, \q2 ও মূর্খদের পিঠের জন্য তৈরি হয় মারধর। \b \c 20 \q1 \v 1 দ্রাক্ষারস বিদ্রুপকারী ও সুরা কলহকারী; \q2 যে এগুলির দ্বারা বিপথগামী হয় সে জ্ঞানবান নয়। \b \q1 \v 2 রাজার ক্রোধ সিংহের গর্জনের মতো আতঙ্ক ছড়ায়; \q2 যারা তাঁকে ক্রুদ্ধ করে তোলে তারা তাদের প্রাণ খোয়ায়। \b \q1 \v 3 বিবাদ এড়িয়ে চলা মানুষের পক্ষে সম্মানজনক বিষয়, \q2 কিন্তু মূর্খমাত্রই চট্‌জলদি বিবাদ করে ফেলে। \b \q1 \v 4 অলসেরা যথাসময়ে লাঙ্গল চষে না; \q2 অতএব ফসল কাটার সময় তারা চেয়ে দেখে কিন্তু কিছুই পায় না। \b \q1 \v 5 মানুষের অন্তরের অভিপ্রায় গভীর জলরাশি, \q2 কিন্তু যে বিচক্ষণ সেই তা তুলে আনে। \b \q1 \v 6 অনেকেই দাবি করে যে তাদের ভালোবাসা অফুরান, \q2 কিন্তু বিশ্বস্ত লোক কে খুঁজে পায়? \b \q1 \v 7 ধার্মিকেরা অনিন্দনীয় জীবনযাপন করে; \q2 তাদের পরে তাদের সন্তানেরাও আশীর্বাদধন্য হয়। \b \q1 \v 8 রাজা যখন বিচার করার জন্য তাঁর সিংহাসনে বসেন, \q2 তখন তিনি তাঁর চোখ দিয়ে সব অমঙ্গল উড়িয়ে দেন। \b \q1 \v 9 কে বলতে পারে, “আমি আমার অন্তর বিশুদ্ধ রেখেছি; \q2 আমি শুচিশুদ্ধ ও নিষ্পাপ”? \b \q1 \v 10 বিসদৃশ বাটখারা ও বিসদৃশ মাপ— \q2 সদাপ্রভু উভয়ই ঘৃণা করেন। \b \q1 \v 11 ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরাও তাদের কাজকর্মের দ্বারা পরিচিত হয়, \q2 তাই তাদের আচরণ কি সত্যিই বিশুদ্ধ ও ন্যায্য? \b \q1 \v 12 যে কান শোনে ও যে চোখ দেখে— \q2 সদাপ্রভু উভয়ই তৈরি করেছেন। \b \q1 \v 13 ঘুম ভালোবেসো না পাছে তুমি দরিদ্র হয়ে যাও; \q2 জেগে থাকো ও তোমার কাছে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য থাকবে। \b \q1 \v 14 “এটি ভালো নয়, এটি ভালো নয়!” ক্রেতা বলে— \q2 পরে ফিরে যায় ও সংগৃহীত বস্তুটি নিয়ে গর্ববোধ করে। \b \q1 \v 15 সেখানে সোনা আছে, ও প্রচুর পরিমাণে মণিমুক্তো আছে, \q2 কিন্তু যে ঠোঁট জ্ঞানের কথা বলে তা দুর্লভ এক রত্ন। \b \q1 \v 16 যে এক আগন্তুকের জামিনদার হয়েছে তার পোশাকটি নিয়ে নাও; \q2 তা যদি এক বহিরাগতের জন্য করা হয়েছে, তবে সেটি বন্ধকরূপে রেখে দাও। \b \q1 \v 17 প্রতারণার দ্বারা অর্জিত খাদ্যদ্রব্য সুস্বাদু লাগে, \q2 কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানুষের মুখ কাঁকরে ভরে যায়। \b \q1 \v 18 পরামর্শ খোঁজ করার দ্বারাই পরিকল্পনা সফল হয়; \q2 অতএব তুমি যদি যুদ্ধ শুরু করেছ, তবে পরিচালনা লাভ করো। \b \q1 \v 19 পরনিন্দা পরচর্চা আস্থা ভঙ্গ করে; \q2 অতএব সেই লোককে এড়িয়ে চলো যে অতিরিক্ত কথাবার্তা বলে। \b \q1 \v 20 যদি কেউ তাদের মা-বাবাকে অভিশাপ দেয়, \q2 তবে ঘোর অন্ধকারে তাদের প্রদীপ নিভে যাবে। \b \q1 \v 21 যে উত্তরাধিকার খুব তাড়াতাড়ি অর্জন করা যায় \q2 তা শেষ পর্যন্ত আর আশীর্বাদধন্য হবে না। \b \q1 \v 22 একথা বোলো না, “আমি এই অন্যায়ের প্রতিশোধ নেব!” \q2 সদাপ্রভুর অপেক্ষা করো, ও তিনিই তোমার হয়ে প্রতিশোধ নেবেন। \b \q1 \v 23 সদাপ্রভু বিসদৃশ বাটখারা ঘৃণা করেন, \q2 ও অসাধু দাঁড়িপাল্লা তাঁকে সন্তুষ্ট করে না। \b \q1 \v 24 মানুষের পদক্ষেপ সদাপ্রভু দ্বারাই পরিচালিত হয়। \q2 তবে মানুষ কীভাবে তাদের নিজস্ব পথ বুঝতে পারবে? \b \q1 \v 25 হঠাৎ করে কোনো কিছু উৎসর্গ করে \q2 পরে নিজের করা প্রতিজ্ঞার বিষয়ে বিবেচনা করলে, তা এক ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। \b \q1 \v 26 জ্ঞানবান রাজা দুষ্টদের ঝেড়ে ফেলেন; \q2 তিনি তাদের উপর দিয়ে শস্য মাড়াই কলের চাকা চালিয়ে দেন। \b \q1 \v 27 মানবাত্মা সদাপ্রভুর সেই প্রদীপ \q2 যা মানুষের অন্তরের অন্তস্থলে আলোকপাত করে। \b \q1 \v 28 ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা রাজাকে নিরাপদ রাখে; \q2 ভালোবাসার মাধ্যমেই তাঁর সিংহাসন দৃঢ় হয়। \b \q1 \v 29 যুবকদের গৌরব হল তাদের শক্তি, \q2 পাকা চুলই হল বৃদ্ধদের ঐশ্বর্য। \b \q1 \v 30 আঘাত ও ক্ষত অনিষ্ট ধুয়ে দেয়, \q2 ও মারধর অন্তরের অন্তস্থলকে বিশোধিত করে। \b \c 21 \q1 \v 1 রাজার হৃদয় সদাপ্রভুর হাতে ধরা এমন এক জলপ্রবাহ \q2 যা তিনি তাদের সবার দিকে প্রবাহিত হতে দেন যারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে। \b \q1 \v 2 মানুষ মনে করতে পারে যে তাদের পথই ঠিক, \q2 কিন্তু সদাপ্রভুই অন্তর মাপেন। \b \q1 \v 3 বলিদানের পরিবর্তে যা যথার্থ ও ন্যায্য, তা করাই \q2 সদাপ্রভুর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। \b \q1 \v 4 উদ্ধত দৃষ্টি ও গর্বিত হৃদয়— \q2 দুষ্টদের অকর্ষিত জমি—পাপ উৎপন্ন করে। \b \q1 \v 5 পরিশ্রমীদের পরিকল্পনা লাভের মুখ দেখে \q2 ঠিক যেভাবে হঠকারিতা দারিদ্র নিয়ে আসে। \b \q1 \v 6 মিথ্যাবাদী জিভ দ্বারা যে প্রচুর ধন অর্জিত হয় \q2 তা অস্থায়ী বাষ্প ও সাংঘাতিক ফাঁদবিশেষ।\f + \fr 21:6 \fr*\ft অথবা, যারা মৃত্যুর খোঁজ করে তা তাদের জন্য এক বাষ্পবিশেষ\ft*\f* \b \q1 \v 7 দুষ্টদের হিংস্রতা তাদেরই টেনে নিয়ে যাবে, \q2 কারণ তারা যা ন্যায্য তা করতে অস্বীকার করে। \b \q1 \v 8 অপরাধীদের পথ সর্পিল, \q2 কিন্তু নিরপরাধ মানুষের আচরণ ন্যায়নিষ্ঠ। \b \q1 \v 9 কলহপ্রিয়া স্ত্রীর সঙ্গে এক বাড়িতে থাকার চেয়ে \q2 ছাদের এক কোনায় বসবাস করা ভালো। \b \q1 \v 10 দুষ্টেরা অনিষ্টের আকাঙ্ক্ষা করে; \q2 তাদের প্রতিবেশীরা তাদের কাছ থেকে কোনও দয়া পায় না। \b \q1 \v 11 যখন বিদ্রুপকারী শাস্তি পায়, অনভিজ্ঞ লোকেরা জ্ঞানার্জন করে; \q2 জ্ঞানবানদের প্রতি মনোযোগ দিয়ে তারা জ্ঞান লাভ করে। \b \q1 \v 12 ধর্মময় জন\f + \fr 21:12 \fr*\ft অথবা, ধার্মিক লোক\ft*\f* দুষ্টদের বাড়ির দিকে নজর রাখেন \q2 ও দুষ্টদের সর্বনাশ করেন। \b \q1 \v 13 যারা দরিদ্রদের কান্না শুনেও কান বন্ধ করে রাখে \q2 তারাও কাঁদবে ও কোনও উত্তর পাবে না। \b \q1 \v 14 গোপনে দত্ত উপহার ক্রোধ প্রশমিত করে, \q2 ও আলখাল্লার নিচে লুকিয়ে রাখা ঘুস প্রচণ্ড ক্রোধ শান্ত করে। \b \q1 \v 15 যখন ন্যায়বিচার করা হয়, তা ধার্মিকদের জীবনে আনন্দ এনে দেয় \q2 কিন্তু অনিষ্টকারীদের জীবনে আতঙ্ক জাগায়। \b \q1 \v 16 যে দূরদর্শিতার পথ থেকে দূরে সরে যায় \q2 সে মৃত মানুষদের সমাজে এসে বিশ্রাম নেয়। \b \q1 \v 17 যে তুচ্ছ আমোদ-প্রমোদ ভালোবাসে সে দরিদ্র হয়ে যাবে; \q2 যে দ্রাক্ষারস ও জলপাই তেল ভালোবাসে সে কখনও ধনবান হবে না। \b \q1 \v 18 দুষ্টেরা ধার্মিকদের জন্য, \q2 ও বিশ্বাসঘাতকেরা ন্যায়পরায়ণদের জন্য মুক্তিপণ হবে। \b \q1 \v 19 কলহপ্রিয়া ও খুঁতখুঁতে স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করার চেয়ে \q2 বরং মরুভূমিতে বসবাস করা ভালো। \b \q1 \v 20 জ্ঞানবানেরা পছন্দসই খাদ্যদ্রব্য ও জলপাই তেল সঞ্চয় করে রাখে, \q2 কিন্তু মূর্খেরা তাদের কাছে যা কিছু থাকে সেসব গ্রাস করে ফেলে। \b \q1 \v 21 যে ধার্মিকতা ও ভালোবাসার পশ্চাদ্ধাবন করে \q2 সে জীবন, সমৃদ্ধি ও সম্মান পায়। \b \q1 \v 22 যে জ্ঞানবান সে বলশালীদের নগর আক্রমণ করতে পারে \q2 ও সেই বলশালীরা যে দুর্গের উপরে নির্ভর করে থাকে, সেগুলিও চূর্ণ করে দিতে পারে। \b \q1 \v 23 যারা তাদের মুখ ও জিভ সংযত রাখে \q2 তারা নিজেদেরকে চরম দুর্দশা থেকে রক্ষা করে। \b \q1 \v 24 অহংকারী ও দাম্ভিক মানুষ—তার নাম “বিদ্রুপকারী”— \q2 অশিষ্ট উন্মত্ততাপূর্ণ আচরণ করে। \b \q1 \v 25 অলসের তীব্র আকাঙ্ক্ষা তার মৃত্যু ডেকে আনে, \q2 কারণ তার হাত দুটি কাজ করতে অস্বীকার করে। \q1 \v 26 সারাটি দিন ধরে সে আরও বেশি কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে, \q2 কিন্তু ধার্মিকেরা অকাতরে দান করে। \b \q1 \v 27 দুষ্টদের বলিদান ঘৃণার্হ— \q2 মন্দ উদ্দেশ্য নিয়ে যখন তা আনা হয় তখন তা আরও কত না বেশি ঘৃণার্হ হয়ে যায়! \b \q1 \v 28 মিথ্যাসাক্ষী ধ্বংস হয়ে যাবে, \q2 কিন্তু মনোযোগী শ্রোতা সফলতাপূর্বক সাক্ষ্য দেবে। \b \q1 \v 29 দুষ্টেরা দুঃসাহসিক ধৃষ্টতা খাড়া করে, \q2 কিন্তু ন্যায়পরায়ণরা তাদের জীবনযাত্রার ধরনের কথা ভেবে চলে। \b \q1 \v 30 এমন কোনও প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা বা পরিকল্পনা নেই \q2 যা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে সফল হতে পারে। \b \q1 \v 31 ঘোড়াকে যুদ্ধের দিনের জন্য তৈরি করে রাখা হয়। \q2 কিন্তু বিজয় নির্ভর করে সদাপ্রভুর উপরে। \b \c 22 \q1 \v 1 প্রচুর ধনসম্পদের চেয়ে সুনাম বেশি কাম্য; \q2 রুপো ও সোনার চেয়ে সম্মান পাওয়া ভালো। \b \q1 \v 2 ধনবান ও দরিদ্রের মধ্যে একটিই মিল আছে; \q2 সদাপ্রভু তাদের উভয়েরই নির্মাতা। \b \q1 \v 3 বিচক্ষণ মানুষেরা বিপদ দেখে কোথাও আশ্রয় নেয়, \q2 কিন্তু অনভিজ্ঞ লোকেরা এগিয়ে যায় ও শাস্তি পায়। \b \q1 \v 4 নম্রতাই সদাপ্রভুর ভয়; \q2 এর বেতন হল ধনসম্পদ ও সম্মান ও জীবন। \b \q1 \v 5 দুষ্টদের চলার পথে ফাঁদ ও চোরা খাদ থাকে, \q2 কিন্তু যারা নিজেদের জীবন রক্ষা করে তারা সেগুলি থেকে দূরে সরে থাকে। \b \q1 \v 6 সন্তানদের এমন এক পথে চলার শিক্ষা দাও যে পথে তাদের চলা উচিত, \q2 ও তারা বৃদ্ধ হয়ে গেলেও সেখান থেকে ফিরে আসবে না। \b \q1 \v 7 ধনবানেরা দরিদ্রদের উপর কর্তৃত্ব করে, \q2 ও যারা ধার করে তারা মহাজনের দাস হয়। \b \q1 \v 8 যারা অধর্মের বীজ বোনে তাদের চরম দুর্দশারূপী ফসল কাটতে হয়, \q2 ও তারা রাগের বশে যে লাঠি চালায় তা ভেঙে যাবে। \b \q1 \v 9 উদার প্রকৃতির মানুষেরা স্বয়ং আশীর্বাদধন্য হবে, \q2 কারণ তারা তাদের খাদ্য দরিদ্রদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। \b \q1 \v 10 বিদ্রুপকারীদের তাড়িয়ে দাও, আর বিবাদও দূর হয়ে যাবে; \q2 বিবাদ ও অপমানও মিটে যাবে। \b \q1 \v 11 যে বিশুদ্ধ হৃদয় ভালোবাসে ও যে অনুগ্রহকারী কথাবার্তা বলে \q2 সে রাজাকে বন্ধু রূপে পায়। \b \q1 \v 12 সদাপ্রভুর চোখ জ্ঞান পাহারা দেয়, \q2 কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের কথা তিনি বিফল করে দেন। \b \q1 \v 13 অলস বলে, “বাইরে সিংহ আছে! \q2 নগরের চকে গেলেই আমি নিহত হব!” \b \q1 \v 14 ব্যভিচারী মহিলার মুখ এক গভীর খাত; \q2 যে সদাপ্রভুর ক্রোধের অধীন সে সেই খাদে গিয়ে পড়ে। \b \q1 \v 15 শিশুর অন্তরে মূর্খতা বাঁধা থাকে, \q2 কিন্তু শৃঙ্খলাপরায়ণতার লাঠি তা বহুদূরে সরিয়ে দেয়। \b \q1 \v 16 যে নিজের ধনসম্পত্তি বাড়িয়ে তোলার জন্য দরিদ্রদের উপরে অত্যাচার করে \q2 ও যে ধনবানদের উপহার দেয়—উভয়েই দারিদ্রের সম্মুখীন হবে। \ms1 জ্ঞানবানদের ত্রিশটি নীতিবচন \s2 নীতিবচন 1 \q1 \v 17 মনোযোগ দাও ও জ্ঞানবানদের নীতিবচনে কর্ণপাত করো; \q2 আমার শিক্ষায় মনোনিবেশ করো, \q1 \v 18 কারণ তুমি যখন এগুলি অন্তরে রাখবে তখন তা আনন্দদায়ক হবে \q2 ও সবকটি তোমার ঠোঁটে প্রস্তুত হয়ে থাকবে। \q1 \v 19 যেন সদাপ্রভুতে তোমার নির্ভরতা স্থির হয়, \q2 তাই আজ আমি তোমাকে, তোমাকেই শিক্ষা দিচ্ছি। \q1 \v 20 তোমার জন্য আমি কি সেই ত্রিশটি নীতিবচন লিখিনি, \q2 যেগুলি পরামর্শ ও জ্ঞানমূলক নীতিবচন, \q1 \v 21 যা তোমাকে সৎ হতে ও সত্যিকথা বলতে শিক্ষা দেবে, \q2 যেন তুমি যাদের সেবা করছ \q2 তাদের কাছে তুমি সত্যনিষ্ঠ খবর নিয়ে আসতে পারো? \s2 নীতিবচন 2 \q1 \v 22 দরিদ্রদের এজন্যই শোষণ কোরো না যেহেতু তারা দরিদ্র \q2 ও অভাবগ্রস্তদের দরবারে পিষে মেরো না, \q1 \v 23 কারণ সদাপ্রভু তাদের হয়ে মামলা লড়বেন \q2 ও প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ দাবি করবেন। \s2 নীতিবচন 3 \q1 \v 24 উগ্রস্বভাব বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না, \q2 এমন কোনও লোকের সহযোগী হোয়ো না যে সহজেই ক্রুদ্ধ হয়, \q1 \v 25 পাছে তুমিও তাদের জীবনযাত্রার ধরন শিখে ফেলো \q2 ও নিজেই ফাঁদে জড়িয়ে পড়ো। \s2 নীতিবচন 4 \q1 \v 26 এমন কোনও মানুষের মতো হোয়ো না যে বন্ধক রেখেছে \q2 বা যে ঋণগ্রহীতার হয়ে জামিনদার হয়েছে; \q1 \v 27 যদি তুমি ঋণ শোধ করতে না পারো, \q2 তবে তোমার গায়ের তলা থেকে তোমার বিছানাটিও কেড়ে নেওয়া হবে। \s2 নীতিবচন 5 \q1 \v 28 সীমানার যে প্রাচীন পাথরটি তোমার পূর্বপুরুষেরা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন \q2 সেটি স্থানান্তরিত কোরো না। \s2 নীতিবচন 6 \q1 \v 29 কাউকে কি তাদের কাজে সুদক্ষ দেখছ? \q2 তারা রাজাদের সামনে দাঁড়িয়ে সেবাকাজ করবে; \q2 তারা কোনও নিম্নস্তরীয় কর্মকর্তাদের সামনে দাঁড়িয়ে সেবাকাজ করবে না। \c 23 \s2 নীতিবচন 7 \q1 \v 1 যখন তুমি কোনও শাসকের সঙ্গে খাবার খেতে বসবে, \q2 তখন ভালো করে লক্ষ্য কোরো তোমার সামনে কী রাখা আছে,\f + \fr 23:1 \fr*\ft অথবা, কে আছেন\ft*\f* \q1 \v 2 ও যদি তোমার ভোজনবিলাসিতার বদভ্যাস থাকে \q2 তবে তুমি গলায় ছুরি বেঁধে রেখো। \q1 \v 3 তাঁর সুস্বাদু খাদ্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষিত হোয়ো না, \q2 কারণ সেই খাদ্য বিভ্রান্তিকর। \s2 নীতিবচন 8 \q1 \v 4 ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্য নিজেকে অবসন্ন করে তুলো না; \q2 নিজের চালাকির উপরে ভরসা কোরো না। \q1 \v 5 ধনসম্পত্তির দিকে শুধু এক পলক দেখো, আর তা অদৃশ্য হয়ে যাবে, \q2 কারণ ঈগল পাখির মতো নিশ্চয় তার ডানা গজাবে \q2 ও তা আকাশে উড়ে যাবে। \s2 নীতিবচন 9 \q1 \v 6 কোনও রুষ্টমনা নিমন্ত্রণকর্তার দেওয়া খাদ্য খেয়ো না, \q2 তার সুস্বাদু খাদ্যের প্রতি আকাঙ্ক্ষিত হোয়ো না; \q1 \v 7 কারণ সে এমন এক ধরনের লোক \q2 যে সবসময় অর্থব্যয়ের কথা ভাবে।\f + \fr 23:7 \fr*\ft অথবা, অন্তরে সে যেমনভাবে, সে তেমনই; বা, সে যেমন ভোজ দেয়, সে সেইরকমই\ft*\f* \q1 সে তোমাকে বলবে “ভোজনপান করো,” \q2 কিন্তু সে তোমার প্রতি আন্তরিক নয়। \q1 \v 8 তুমি অল্প যেটুকু খেয়েছ তা বমি করে ফেলবে \q2 ও তোমার সাধুবাদ অপচয় করে ফেলবে। \s2 নীতিবচন 10 \q1 \v 9 মূর্খদের কাছে কথা বোলো না, \q2 কারণ তারা তোমার বিচক্ষণ কথাবার্তা অবজ্ঞা করবে। \s2 নীতিবচন 11 \q1 \v 10 সীমানার প্রাচীন পাথরটি স্থানান্তরিত কোরো না \q2 বা পিতৃহীনদের জমি বলপূর্বক দখল কোরো না, \q1 \v 11 কারণ তাদের রক্ষক বলবান; \q2 তাদের হয়ে তিনি তোমার বিরুদ্ধে মামলা লড়বেন। \s2 নীতিবচন 12 \q1 \v 12 শিক্ষার প্রতি আন্তরিক মনোনিবেশ করো \q2 ও জ্ঞানের কথায় কর্ণপাত করো। \s2 নীতিবচন 13 \q1 \v 13 শিশুকে শাসন করতে পিছপা হোয়ো না; \q2 তুমি যদি তাদের লাঠি দিয়ে মেরে শাস্তি দাও, তবে তারা মারা যাবে না। \q1 \v 14 লাঠি দিয়ে মেরে তাদের শাস্তি দাও \q2 ও মৃত্যুর হাত থেকে তাদের রক্ষা করো। \s2 নীতিবচন 14 \q1 \v 15 হে আমার বাছা, তোমার অন্তর যদি জ্ঞানে পরিপূর্ণ হয়, \q2 তবে সত্যিই আমি আন্তরিকভাবে আনন্দিত হব; \q1 \v 16 ঠোঁট দিয়ে তুমি যখন যা সঠিক তা বলবে \q2 তখন আমার হৃদয় উল্লসিত হবে। \s2 নীতিবচন 15 \q1 \v 17 তোমার হৃদয় যেন পাপীদের হিংসা না করে, \q2 কিন্তু সবর্দা তুমি সদাপ্রভুকে ভয় করার জন্য তৎপর থেকো। \q1 \v 18 নিশ্চয় তোমার জন্য ভবিষ্যতের এক আশা আছে, \q2 ও তোমার আশা বিচ্ছিন্ন করা হবে না। \s2 নীতিবচন 16 \q1 \v 19 হে আমার বাছা, তুমি শোনো ও জ্ঞানবান হও, \q2 ও ন্যায়পথে তোমার অন্তর স্থির রাখো: \q1 \v 20 যারা সুরা পান করে বা গাণ্ডেপিণ্ডে খাওয়াদাওয়া করে \q2 তাদের সঙ্গী হোয়ো না, \q1 \v 21 কারণ মদ্যপ ও পেটুকেরা দরিদ্র হয়ে যায়, \q2 ও তন্দ্রাচ্ছন্নভাব তাদের ছেঁড়া জামাকাপড় পরিয়ে ছাড়ে। \s2 নীতিবচন 17 \q1 \v 22 তোমার সেই বাবার কথা শোনো, যিনি তোমাকে জীবন দিয়েছেন, \q2 ও তোমার মায়ের বৃদ্ধাবস্থায় তাঁকে হেয় জ্ঞান কোরো না। \q1 \v 23 সত্য কিনে নাও ও তা বিক্রি কোরো না— \q2 প্রজ্ঞা, শিক্ষা ও দূরদর্শিতাও কিনে নাও। \q1 \v 24 ধার্মিক সন্তানের বাবা খুব আনন্দ পান; \q2 জ্ঞানবান ছেলের জন্মদাতা তাকে নিয়ে আনন্দ করেন। \q1 \v 25 তোমার বাবা ও মা আনন্দ করুন; \q2 যিনি তোমাকে জন্ম দিয়েছেন তিনি উল্লসিতা হোন! \s2 নীতিবচন 18 \q1 \v 26 হে আমার বাছা, তোমার অন্তর আমাকে দিয়ে দাও \q2 ও তোমার চোখদুটি আমার পথে আহ্লাদিত হোক, \q1 \v 27 কারণ ব্যভিচারিণী মহিলা এক গভীর খাত, \q2 ও স্বৈরিণী স্ত্রী এক অগভীর কুয়ো। \q1 \v 28 দস্যুর মতো সে ওৎ পেতে থাকে \q2 ও পুরুষদের মধ্যে সে বিশ্বাসঘাতকতা বৃদ্ধি করে। \s2 নীতিবচন 19 \q1 \v 29 কে দুর্দশাগ্রস্ত? কে দুঃখিত? \q2 কে বিবাদ করে? কে অভিযোগ জানায়? \q2 কে অকারণে ক্ষতবিক্ষত হয়? কার চোখ রক্তরাঙা হয়? \q1 \v 30 তারাই, যারা সুরাপানে আসক্ত, \q2 যারা মিশ্রিত সুরা ভর্তি বাটির দিকে যায়। \q1 \v 31 তুমি সুরার দিকে তখন একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকো না যখন তার রং লাল থাকে, \q2 যখন তা পানপাত্রের মধ্যে ঝকঝক করে, \q2 যখন তা সহজেই গলায় নেমে যায়! \q1 \v 32 শেষে তা সাপের মতো দংশন করে \q2 ও বিষধর সাপের মতো বিষ উগরে দেয়। \q1 \v 33 তোমার চোখদুটি অদ্ভুত সব দৃশ্য দেখবে, \q2 ও তোমার মন বিভ্রান্তিকর সব বিষয় কল্পনা করবে। \q1 \v 34 তুমি এমন একজনের মতো হয়ে যাবে যে উঁচু সমুদ্রের উপরে ঘুমিয়ে আছে, \q2 জাহাজের মাস্তুলের চূড়ায় শুয়ে আছে। \q1 \v 35 “ওরা আমাকে মেরেছে,” তুমি বলবে, “কিন্তু আমি ব্যথা পাইনি! \q2 ওরা আমায় মারধর করেছে, কিন্তু আমি তা অনুভব করিনি! \q1 আমি কখন জেগে উঠব \q2 যেন আরও একটু পান করতে পারি?” \c 24 \s2 নীতিবচন 20 \q1 \v 1 দুষ্টদের প্রতি হিংসা কোরো না, \q2 তাদের সঙ্গলাভের বাসনা রেখো না; \q1 \v 2 কারণ তাদের হৃদয় হিংস্রতার চক্রান্ত করে, \q2 ও তাদের ঠোঁট অশান্তি উৎপন্ন করার কথা বলে। \s2 নীতিবচন 21 \q1 \v 3 প্রজ্ঞা দ্বারাই গৃহ নির্মাণ হয়, \q2 ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয়; \q1 \v 4 জ্ঞানের মাধ্যমে সেটির ঘরগুলি \q2 দুষ্প্রাপ্য ও সুন্দর সুন্দর সম্পদে পরিপূর্ণ হয়। \s2 নীতিবচন 22 \q1 \v 5 জ্ঞানবানেরা মহাশক্তির মাধ্যমে জয়ী হয়, \q2 ও যাদের জ্ঞান আছে তারা তাদের শক্তিবৃদ্ধি করে। \q1 \v 6 নিশ্চয় যুদ্ধ শুরু করার জন্য তোমার জ্ঞানগর্ভ পরিচালনা প্রয়োজন, \q2 ও অনেক পরামর্শদাতার মাধ্যমেই যুদ্ধজয় করা যায়। \s2 নীতিবচন 23 \q1 \v 7 মূর্খদের জন্য প্রজ্ঞা খুবই গুরুভার; \q2 নগরদ্বারে নেতাদের সমাজে উপস্থিত থাকাকালীন তারা যেন মুখ না খোলে। \s2 নীতিবচন 24 \q1 \v 8 যে অনিষ্টের চক্রান্ত করে \q2 সে এক কুচক্রী বলে পরিচিত হবে। \q1 \v 9 মূর্খের চক্রান্তগুলি পাপময়, \q2 ও মানুষজন বিদ্রুপকারীকে ঘৃণা করে। \s2 নীতিবচন 25 \q1 \v 10 সংকটকালে তুমি যদি ভয়ে পশ্চাদগামী হও, \q2 তবে তোমার শক্তি কতই না কম! \q1 \v 11 যারা মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে তাদের উদ্ধার করো; \q2 যারা টলতে টলতে বধ্যভূমির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের আটকে রাখো। \q1 \v 12 তুমি যদি বলো, “আমার তো এই বিষয়ে কিছুই জানা নেই,” \q2 তবে যিনি অন্তর মাপেন তিনি কি তা বুঝবেন না? \q1 যিনি তোমার জীবন পাহারা দেন তিনি কি জানতে পারবেন না? \q2 তিনি কি প্রত্যেককে তাদের কর্ম অনুযায়ী প্রতিফল দেবেন না? \s2 নীতিবচন 26 \q1 \v 13 হে আমার বাছা, মধু খাও, কারণ তা উপকারী; \q2 মৌচাকের মধুর স্বাদ তোমার কাছে মিষ্টি লাগবে। \q1 \v 14 একথাও মনে রেখো যে প্রজ্ঞা তোমার পক্ষে মধুর মতো: \q2 তুমি যদি তা খুঁজে পাও, তবে তোমার জন্য ভবিষ্যৎকালীন এক আশা আছে, \q2 ও তোমার আশা বিচ্ছিন্ন করা হবে না। \s2 নীতিবচন 27 \q1 \v 15 ধার্মিকদের বাড়ির কাছে চোরের মতো ওৎ পেতে থেকো না, \q2 তাদের বাসস্থানে লুটপাট চালিয়ো না; \q1 \v 16 কারণ ধার্মিকেরা সাতবার পড়লেও, তারা আবার উঠে দাঁড়াবে, \q2 কিন্তু যখন চরম দুর্দশা আঘাত হানে তখন দুষ্টেরা হোঁচট খায়। \s2 নীতিবচন 28 \q1 \v 17 তোমার শত্রুর পতনে উল্লসিত হোয়ো না; \q2 তারা যখন হোঁচট খায়, তখন তোমার অন্তরকে আনন্দিত হতে দিয়ো না। \q1 \v 18 পাছে সদাপ্রভু দেখেন ও অসন্তুষ্ট হন \q2 ও তাদের দিক থেকে তাঁর ক্রোধ ফিরিয়ে নেন। \s2 নীতিবচন 29 \q1 \v 19 অনিষ্টকারীদের কারণে ধৈর্যচ্যুত হোয়ো না, \q2 বা দুষ্টদের প্রতি হিংসা কোরো না। \q1 \v 20 কারণ অনিষ্টকারীদের ভবিষ্যৎকালীন কোনো আশা নেই, \q2 ও দুষ্টদের প্রদীপ নিভিয়ে ফেলা হবে। \s2 নীতিবচন 30 \q1 \v 21 হে আমার বাছা, সদাপ্রভুকে ও রাজাকেও ভয় করো, \q2 ও বিদ্রোহী কর্মকর্তাদের দলে যোগ দিয়ো না, \q1 \v 22 কারণ তারা উভয়েই তাদের উপরে আকস্মিক বিনাশ পাঠাবেন, \q2 ও কে জানে, তারা কী চরম দুর্দশা নিয়ে আসবেন? \ms1 জ্ঞানবানেদের অতিরিক্ত কয়েকটি নীতিবচন \p \v 23 এগুলিও জ্ঞানবানদের বলা নীতিবচন: \q1 বিচারে পক্ষপাতিত্ব দেখানো উচিত নয়: \q1 \v 24 যে অপরাধীদের বলে, “তুমি নির্দোষ,” \q2 সে লোকজনের দ্বারা অভিশপ্ত হবে ও জাতিদের দ্বারা নিন্দিত হবে। \q1 \v 25 কিন্তু যারা অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মঙ্গল হবে, \q2 ও তাদের উপরে প্রচুর আশীর্বাদ বর্ষিত হবে। \b \q1 \v 26 সরল উত্তর \q2 ঠোঁটে লেগে থাকা এক চুমুর মতো। \b \q1 \v 27 তোমার বাইরের কাজকর্ম সেরে ফেলো \q2 ও ক্ষেতজমি তৈরি করে রাখো; \q2 তারপর, তোমার গৃহ নির্মাণ করো। \b \q1 \v 28 অকারণে তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ো না— \q2 বিপথে চালিত করার জন্য তুমি কি তোমার ঠোঁট ব্যবহার করবে? \q1 \v 29 একথা বোলো না, “তারা আমার প্রতি যা করেছে আমিও তাদের প্রতি তাই করব; \q2 তাদের কর্মের প্রতিফল আমি তাদের ফিরিয়ে দেব।” \b \q1 \v 30 আমি অলসের ক্ষেতজমির পাশ দিয়ে গেলাম, \q2 এমন একজনের দ্রাক্ষাক্ষেতের পাশ দিয়ে গেলাম যার কোনও বোধশক্তি নেই; \q1 \v 31 সর্বত্র কাঁটাগাছ জন্মেছে, \q2 জমি আগাছায় ভরে গিয়েছে, \q2 ও পাথরের প্রাচীর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। \q1 \v 32 আমি যা লক্ষ্য করেছিলাম তা নিয়ে একটু ভাবলাম \q2 ও যা দেখেছিলাম তা থেকে এই শিক্ষা পেলাম: \q1 \v 33 আর একটু ঘুম, আর একটু তন্দ্রা, \q2 হাত পা গুটিয়ে আরও কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া— \q1 \v 34 ও দারিদ্র এক চোরের মতো \q2 ও অভাব এক সশস্ত্র সৈনিকের মতো তোমার উপরে এসে পড়বে। \c 25 \ms1 শলোমনের আরও কিছু হিতোপদেশ \p \v 1 এগুলি শলোমনের লেখা আরও কিছু হিতোপদেশ, যেগুলি যিহূদারাজ হিষ্কিয়ের লোকজন সংকলিত করেছিলেন: \q1 \v 2 কোনও বিষয় গোপন রাখা ঈশ্বরের পক্ষে গৌরবজনক; \q2 কোনও বিষয় খুঁজে বের করা রাজাদের পক্ষে গৌরবজনক। \q1 \v 3 আকাশমণ্ডল যত উঁচু ও পৃথিবী যত গভীর, \q2 রাজাদের অন্তরও তেমনই অজ্ঞেয়। \b \q1 \v 4 রুপো থেকে খাদ বের করে দাও, \q2 ও রৌপ্যকার এক পাত্র তৈরি করতে পারবে; \q1 \v 5 রাজার উপস্থিতি থেকে দুষ্ট কর্মকর্তাদের দূর করে দাও, \q2 ও তাঁর সিংহাসন ধার্মিকতার মাধ্যমে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। \b \q1 \v 6 রাজার সামনে নিজেকে মহিমান্বিত কোরো না, \q2 ও তাঁর বিশিষ্টজনেদের মধ্যে স্থান পাওয়ার দাবি জানিয়ো না; \q1 \v 7 তাঁর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে তোমাকে খেলো করার চেয়ে ভালো হয়, \q2 যদি তিনি তোমাকে বলেন, “এখানে উঠে এসো।” \b \q1 তুমি স্বচক্ষে যা দেখেছ \q2 \v 8 তাড়াহুড়ো করে দরবারে\f + \fr 25:8 \fr*\ft অথবা, আদালতে\ft*\f* তা নিয়ে এসো না,\f + \fr 25:8 \fr*\ft অথবা, যাঁর উপরে তুমি তোমার দৃষ্টি স্থির করেছ। তুমি তাড়াহুড়ো করে দরবারে যেয়ো না\ft*\f* \q1 কারণ তোমার প্রতিবেশী যদি তোমায় লজ্জায় ফেলে দেয়, \q2 তবে শেষে তুমি কী করবে? \b \q1 \v 9 তোমার প্রতিবেশীকে যদি তুমি দরবারে টেনে নিয়ে যাও, \q2 তবে অন্য কারোর আস্থা ভঙ্গ কোরো না, \q1 \v 10 তা না হলে যে একথা শুনবে সে তোমাকে অপমান করবে \q2 ও তোমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বজায় থাকবে। \b \q1 \v 11 ন্যায়সংগতভাবে দেওয়া রায় \q2 রুপোর ডালিতে সাজানো সোনার আপেলের\f + \fr 25:11 \fr*\ft অথবা, খুব সম্ভবত, খোবানির\ft*\f* মতো। \q1 \v 12 শ্রবণশীল কানের কাছে জ্ঞানবান বিচারকের ভর্ৎসনা \q2 কানের সোনার দুল বা খাঁটি সোনার এক অলংকারের মতো। \b \q1 \v 13 যারা নির্ভরযোগ্য দূত পাঠায়, তাদের কাছে সে \q2 ফসল কাটার মরশুমে পাওয়া হিমশীতল পানীয়ের মতো: \q2 সে তার মালিকের প্রাণ জুড়ায়। \q1 \v 14 যে সেইসব উপহারের বিষয়ে অহংকার করে যা কখনও দেওয়া হয়নি \q2 সে বৃষ্টিবিহীন মেঘ ও বাতাসের মতো। \b \q1 \v 15 ধৈর্যের মাধ্যমে শাসককে প্ররোচিত করা যায়, \q2 ও অমায়িক জিভ অস্থি ভেঙে দিতে পারে। \b \q1 \v 16 যদি তুমি মধু পাও, তবে যথেষ্ট পরিমাণে খাও— \q2 প্রচুর পরিমাণে খেলে তুমি তা বমি করে ফেলবে। \q1 \v 17 তোমার প্রতিবেশীর বাড়িতে কদাচিৎ পা রেখো— \q2 ঘনঘন সেখানে যাও, ও তারা তোমাকে ঘৃণা করবে। \b \q1 \v 18 যে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় \q2 সে গদা বা তরোয়াল বা ধারালো তিরের মতো। \q1 \v 19 সংকটকালে বিশ্বাসঘাতকের উপর নির্ভর করা \q2 ভাঙা দাঁত বা খোঁড়া পায়ের উপর নির্ভর করার মতো বিষয়। \q1 \v 20 যার অন্তর ভারাক্রান্ত, তার কাছে যে গান গায় \q2 সে সেই মানুষটির মতো, যে শীতকালে অন্যের কাপড় কেড়ে নেয়, \q2 বা ক্ষতস্থানে সিরকা ঢেলে দেয়। \b \q1 \v 21 তোমার শত্রু যদি ক্ষুধার্ত, তবে খাওয়ার জন্য তাকে খাদ্য দাও; \q2 সে যদি তৃষ্ণার্ত, তবে পান করার জন্য তাকে জল দাও। \q1 \v 22 এরকম করলে, তুমি তার মাথায় জ্বলন্ত কয়লার স্তূপ চাপিয়ে দেবে \q2 ও সদাপ্রভু তোমাকে পুরস্কৃত করবেন। \b \q1 \v 23 যে চাতুর্যপূর্ণ জিভ সন্ত্রাসিত দৃষ্টি উৎপন্ন করে \q2 তা এমন উত্তুরে বাতাসের মতো, যা অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি নিয়ে আসে। \b \q1 \v 24 কলহপ্রিয়া স্ত্রীর সঙ্গে এক বাড়িতে থাকার চেয়ে \q2 ছাদের এক কোনায় বসবাস করা ভালো। \b \q1 \v 25 দূরবর্তী দেশ থেকে আসা সুসংবাদ \q2 সেই ঠান্ডা জলের মতো, যা পরিশ্রান্ত মানুষকে দেওয়া হয়েছে। \q1 \v 26 দুষ্টদের হাতে যারা নিজেদের সঁপে দেয়, সেই ধার্মিকেরা \q2 ঘোলাটে জলের উৎস বা দূষিত কুয়োর মতো। \b \q1 \v 27 অতিরিক্ত মধু খাওয়া ভালো নয়, \q2 খুব জটিল সব বিষয়ের খোঁজ করতে যাওয়াও সম্মানজনক নয়। \b \q1 \v 28 যার আত্মসংযমের অভাব আছে \q2 সে এমন এক নগরের মতো, যেখানকার প্রাচীরগুলি ভেঙে গিয়েছে। \c 26 \q1 \v 1 গ্রীষ্মকালের তুষারপাত বা ফসল কাটার মরশুমের বৃষ্টিপাতের মতো, \q2 মূর্খের পক্ষেও সম্মান মানানসই নয়। \q1 \v 2 উড়ে যাওয়া চড়ুইপাখি বা ক্ষিপ্রগতিবিশিষ্ট ফিঙে জাতীয় পাখির মতো \q2 অযাচিত অভিশাপও শান্ত হয় না। \q1 \v 3 ঘোড়ার জন্য চাবুক, গাধার জন্য লাগাম, \q2 ও মূর্খদের পিঠের জন্য লাঠি! \q1 \v 4 মূর্খের মূর্খতা অনুসারে তাকে উত্তর দিয়ো না, \q2 পাছে তুমিও তার মতো হয়ে যাও। \q1 \v 5 মূর্খের মূর্খতা অনুসারে তাকে উত্তর দাও, \q2 পাছে সে নিজের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান হয়। \q1 \v 6 যে মূর্খের হাত দিয়ে খবর পাঠায় \q2 তার দশা পা কেটে ফেলার বা বিষ পান করার মতো হয়। \q1 \v 7 মূর্খের মুখের হিতোপদেশ \q2 খঞ্জের অনুপযোগী পায়ের মতো হয়। \q1 \v 8 মূর্খকে যে সম্মান দেয় তার দশা \q2 গুলতিতে নুড়ি-পাথর বেঁধে দেওয়ার মতো হয়। \q1 \v 9 মূর্খের মুখের হিতোপদেশ \q2 মাতালের হাতে ধরা কাঁটাগুল্মের মতো হয়। \q1 \v 10 কোনো মূর্খকে বা পথিককে যে ভাড়া খাটায় \q2 সে সেই তিরন্দাজের মতো যে এলোমেলোভাবে মানুষকে আঘাত করে। \q1 \v 11 কুকুর যেভাবে তার বমির কাছে ফিরে যায় \q2 মূর্খরাও বারবার বোকামি করে। \q1 \v 12 এমন মানুষদের কি দেখেছ যারা নিজেদের দৃষ্টিতে জ্ঞানবান? \q2 তাদের চেয়ে মূর্খের জীবনে অনেক বেশি আশা আছে। \b \q1 \v 13 অলস বলে, “রাস্তায় সিংহ আছে, \q2 হিংস্র এক সিংহ পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে!” \q1 \v 14 দরজা যেভাবে কবজাগুলিতে ঘোরে, \q2 অলসও সেভাবে তার বিছানাতে ঘোরে। \q1 \v 15 অলস তার হাত থালায় ডুবিয়ে রাখে; \q2 সে এতই অলস যে তা মুখেও তোলে না। \q1 \v 16 যারা বুদ্ধিপূর্বক উত্তর দেয় সেই সাতজন লোকের চেয়েও \q2 অলস নিজের দৃষ্টিতে বেশি জ্ঞানবান। \b \q1 \v 17 যে অন্যদের বিবাদে নাক গলায় \q2 সে এমন একজনের মতো যে কান ধরে দলছুট কুকুরকে পাকড়াও করে। \b \q1 \v 18 যে পাগল লোক \q2 মৃত্যুজনক জ্বলন্ত তির ছোঁড়ে সে তেমনই, \q1 \v 19 যে তার প্রতিবেশীকে প্রতারণা করে \q2 ও বলে, “আমি শুধু একটু মশকরা করছিলাম!” \b \q1 \v 20 কাঠের অভাবে আগুন নিভে যায়; \q2 পরনিন্দা পরচর্চার অভাবেও বিবাদ থেমে যায়। \q1 \v 21 জ্বলন্ত অঙ্গারের ক্ষেত্রে কাঠকয়লা যেমন ও আগুনের ক্ষেত্রে কাঠ যেমন, \q2 বিবাদে ইন্ধন জোগানোর ক্ষেত্রে কলহপ্রিয় মানুষও তেমন। \q1 \v 22 পরনিন্দা পরচর্চার কথাবার্তা সুস্বাদু খাদ্যের মতো লাগে; \q2 সেগুলি মানুষের অন্তরের গভীরে প্রবেশ করে। \b \q1 \v 23 দুষ্ট হৃদয় সমেত মধুভাষী\f + \fr 26:23 \fr*\ft অথবা, আকুল\ft*\f* ঠোঁট \q2 মাটির পাত্রের উপর দেওয়া রুপোর প্রলেপের মতো। \q1 \v 24 শত্রুরা তাদের ঠোঁট দিয়ে নিজেদের আড়াল করে রাখে, \q2 কিন্তু মনে মনে তারা প্রতারণার আশ্রয় নেয়। \q1 \v 25 যদিও তাদের কথাবার্তা মনোমোহিনী, তাদের বিশ্বাস কোরো না, \q2 কারণ তাদের অন্তর সাতটি জঘন্য বিষয়ে পরিপূর্ণ হয়ে আছে। \q1 \v 26 প্রতারণা দ্বারা তাদের আক্রোশ লুকিয়ে রাখা যেতে পারে, \q2 কিন্তু তাদের দুষ্টতা লোকসমাজে প্রকাশিত হয়ে যাবে। \q1 \v 27 যারা খাত খনন করে তারা তাতেই গিয়ে পড়ে; \q2 যারা পাথর গড়িয়ে দেয়, সেটি তাদেরই উপর গড়িয়ে এসে পড়বে। \q1 \v 28 মিথ্যাবাদী জিভ যাদের আহত করে তাদের ঘৃণাও করে, \q2 ও তোষামোদকারী মুখ সর্বনাশ করে ছাড়ে। \b \c 27 \q1 \v 1 আগামীকালের বিষয়ে গর্ব কোরো না, \q2 কারণ একদিন কী নিয়ে আসবে তা তুমি জানো না। \b \q1 \v 2 অন্য কেউ তোমার প্রশংসা করুক, ও তোমার নিজের মুখ তা না করুক; \q2 একজন বহিরাগত মানুষই করুক, ও তোমার নিজের ঠোঁট তা না করুক। \b \q1 \v 3 পাথর ভারী ও বালি এক বোঝা, \q2 কিন্তু মূর্খের প্ররোচনা উভয়ের চেয়েও বেশি ভারী। \b \q1 \v 4 ক্রোধ নিষ্ঠুর ও ক্ষিপ্ততা অপ্রতিরোধ্য, \q2 কিন্তু ঈর্ষার সামনে কে দাঁড়াতে পারে? \b \q1 \v 5 গুপ্ত ভালোবাসার চেয়ে \q2 প্রকাশ্য ভর্ৎসনা ভালো। \b \q1 \v 6 বন্ধুর আঘাতকে বিশ্বাস করা যায়, \q2 কিন্তু শত্রু চুমুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে। \b \q1 \v 7 যার পেট ভরা আছে সে মৌচাকের মধু ঘৃণা করে, \q2 কিন্তু ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে তেতো জিনিসও মিষ্টি লাগে। \b \q1 \v 8 যে ঘর ছেড়ে পালায় তার দশা \q2 নীড় ছেড়ে উড়ে যাওয়া পাখির মতো। \b \q1 \v 9 সুগন্ধি ও ধূপ হৃদয়ে আনন্দ নিয়ে আসে, \q2 ও বন্ধুর মধুরতা \q2 তাদের আন্তরিক পরামর্শ থেকে উৎপন্ন হয়। \b \q1 \v 10 তোমার নিজের বন্ধুকে বা তোমার পারিবারিক বন্ধুকে পরিত্যাগ কোরো না, \q2 ও যখন দুর্যোগ ঘনিয়ে আসে তখন তোমার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যেয়ো না— \q2 দূরবর্তী আত্মীয়ের চেয়ে নিকটবর্তী প্রতিবেশী ভালো। \b \q1 \v 11 হে আমার বাছা, জ্ঞানবান হও, ও আমার হৃদয়কে আনন্দিত করে তোলো; \q2 তবেই তো আমি তাকে উত্তর দিতে পারব যে আমাকে অবজ্ঞা করেছে। \b \q1 \v 12 বিচক্ষণ মানুষেরা বিপদ দেখে কোথাও আশ্রয় নেয়, \q2 কিন্তু অনভিজ্ঞ লোকেরা এগিয়ে যায় ও শাস্তি পায়। \b \q1 \v 13 যে আগন্তুকের হয়ে জামিন রাখে তার কাপড়চোপড় নিয়ে নাও; \q2 যদি কোনও বহিরাগতের জন্য তা করা হয়েছে তবে তা বন্ধক রেখে নাও। \b \q1 \v 14 যদি কেউ ভোরবেলায় তাদের প্রতিবেশীকে জোর গলায় আশীর্বাদ করে, \q2 তবে তা অভিশাপরূপেই গণ্য হবে। \b \q1 \v 15 কলহপ্রিয়া স্ত্রী ঝড়বৃষ্টির দিনে \q2 ফুটো ছাদ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়া জলের মতো; \q1 \v 16 তাকে সংযত করার অর্থ বাতাসকে সংযত করা \q2 বা হাতের মুঠোয় তেল ধরে রাখা। \b \q1 \v 17 লোহা যেভাবে লোহাকে শান দেয়, \q2 মানুষও সেভাবে অন্যজনকে শান দেয়। \b \q1 \v 18 যে ডুমুর গাছ পাহারা দেয় সে তার ফল খাবে, \q2 যারা তাদের প্রভুকে রক্ষা করে তারা সম্মানিত হবে। \b \q1 \v 19 জল যেভাবে মুখমণ্ডল প্রতিফলিত করে, \q2 মানুষের জীবনও সেভাবে অন্তর প্রতিফলিত করে।\f + \fr 27:19 \fr*\ft অথবা, অন্যেরাও সেভাবে তোমার কাছে তোমার হৃদয়কে প্রতিফলিত করে তোলে\ft*\f* \b \q1 \v 20 মৃত্যু ও বিনাশ\f + \fr 27:20 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, আবাদ্দন\ft*\f* কখনোই তৃপ্ত হয় না, \q2 ও মানুষের চোখও হয় না। \b \q1 \v 21 রুপোর জন্য গলনপাত্র ও সোনার জন্য হাপর, \q2 কিন্তু মানুষ তাদের প্রশংসা দ্বারাই প্রমাণিত হয়। \b \q1 \v 22 তুমি যতই মূর্খকে হামানদিস্তায় ফেলে পেষাই করো, \q2 মুষল দিয়ে শস্যমর্দন করার মতো তাদের পেষাই করো, \q2 তুমি তাদের জীবন থেকে মূর্খতা দূর করতে পারবে না। \b \q1 \v 23 তোমার মেষপালের দশা জানার বিষয়ে নিশ্চিত থেকো, \q2 যত্নসহকারে তোমার পশুপালের প্রতি মনোযোগ দিয়ো; \q1 \v 24 কারণ ধনসম্পত্তি চিরকাল স্থায়ী হয় না, \q2 ও মুকুটও পুরুষানুক্রমে নিরাপদ থাকে না। \q1 \v 25 যখন খড় সরিয়ে নেওয়া হবে ও নতুন চারা আবির্ভূত হবে \q2 এবং পাহাড়ের গা থেকে ঘাস সংগ্রহ করা হবে, \q1 \v 26 তখন মেষশাবকেরা তোমার পোশাকের জোগান দেবে, \q2 ও ছাগলেরা ক্ষেতের দাম চোকাবে। \q1 \v 27 তোমার পরিবারের লোকজনকে খাওয়ানোর জন্য \q2 ও তোমার দাসীদের পুষ্টি জোগানোর জন্য তুমি যথেষ্ট পরিমাণ ছাগলের দুধ পাবে। \b \c 28 \q1 \v 1 কেউ পশ্চাদ্ধাবন না করলেও দুষ্টেরা পালায়, \q2 কিন্তু ধার্মিকেরা সিংহের মতো সাহসী। \b \q1 \v 2 কোনও দেশ যখন বিদ্রোহী হয়, তখন সেখানে বহু শাসক উৎপন্ন হয়, \q2 কিন্তু বিচক্ষণতা ও জ্ঞানসম্পন্ন শাসক শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। \b \q1 \v 3 যে শাসক\f + \fr 28:3 \fr*\ft অথবা, দরিদ্র ব্যক্তি\ft*\f* দরিদ্রদের নিগৃহীত করে \q2 সে সেই প্রবল বৃষ্টিপাতের মতো যা কোনও শস্য বাদ দেয় না। \b \q1 \v 4 যারা শিক্ষা পরিত্যাগ করে তারা দুষ্টদের প্রশংসা করে, \q2 কিন্তু যারা তাতে মনোযোগ দেয় তারা তাদের প্রতিরোধ করে। \b \q1 \v 5 অনিষ্টকারীরা যা উচিত তা বোঝে না, \q2 কিন্তু যারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে তারা তা পুরোপুরি বুঝতে পারে। \b \q1 \v 6 যে ধনবানদের জীবনযাত্রার ধরন উচ্ছৃঙ্খল তাদের চেয়ে \q2 সেই দরিদ্রেরা ভালো যাদের জীবনযাত্রার ধরন অনিন্দনীয়। \b \q1 \v 7 বিচক্ষণ ছেলে শিক্ষায় মনোযোগ দেয়, \q2 কিন্তু যে পেটুকদের সহচর সে তার বাবার মর্যাদাহানি করে। \b \q1 \v 8 যে দরিদ্রদের কাছ থেকে সুদ নিয়ে বা লাভ করে সম্পত্তি বৃদ্ধি করে \q2 সে অন্য এমন একজনের জন্য তা জমিয়ে রাখে যে দরিদ্রদের প্রতি দয়ালু হবে। \b \q1 \v 9 যদি কেউ আমার দেওয়া শিক্ষার প্রতি কান বন্ধ করে রাখে, \q2 তবে তাদের প্রার্থনাও ঘৃণার্হ। \b \q1 \v 10 যারা ন্যায়পরায়ণদের কুপথে পরিচালিত করে \q2 তারা নিজেদের ফাঁদেই গিয়ে পড়বে, \q2 কিন্তু অনিন্দনীয়রা এক উপযুক্ত উত্তরাধিকার লাভ করবে। \b \q1 \v 11 ধনবানেরা নিজেদের দৃষ্টিতেই জ্ঞানবান; \q2 যারা দরিদ্র ও বিচক্ষণ তারা দেখতে পায় তারা কত বিভ্রান্ত। \b \q1 \v 12 ধার্মিকেরা যখন বিজয়ী হয়, তখন মহোল্লাস হয়; \q2 কিন্তু দুষ্টেরা যখন ক্ষমতাসীন হয়, তখন মানুষ আড়ালে গিয়ে লুকায়। \b \q1 \v 13 যারা নিজেদের পাপগুলি লুকায় তারা উন্নতি লাভ করতে পারে না, \q2 কিন্তু যারা সেগুলি স্বীকার ও ত্যাগ করে তারা দয়া লাভ করে। \b \q1 \v 14 ধন্য তারাই যারা সবসময় ঈশ্বরের সামনে ভীত হয়, \q2 কিন্তু যারা তাদের হৃদয় কঠোর করে তারা বিপদে পড়বে। \b \q1 \v 15 অসহায় প্রজাদের উপর কর্তৃত্বকারী দুষ্ট শাসক \q2 গর্জনকারী সিংহ বা আক্রমণকারী ভালুকের মতো। \b \q1 \v 16 অত্যাচারী শাসক অবৈধ জুলুম চালায়, \q2 কিন্তু যিনি অসৎ উপায়ে অর্জিত লাভ ঘৃণা করেন তিনি সুদীর্ঘকাল ধরে রাজত্ব করবেন। \b \q1 \v 17 যে হত্যার অপরাধবোধ দ্বারা নির্যাতিত হয় \q2 সে কবরে গিয়ে আশ্রয় নেয়; \q2 যেন কেউ তাকে ধরতে না পারে। \b \q1 \v 18 যার চলন অনিন্দনীয় সে সুরক্ষিত থাকে, \q2 কিন্তু যার জীবনযাত্রার ধরন উচ্ছৃঙ্খল সে খাদে গিয়ে পড়বে। \b \q1 \v 19 যারা নিজেদের জমি চাষ করে তারা প্রচুর খাদ্য পাবে, \q2 কিন্তু যারা উদ্ভট কল্পনার পিছনে ছুটে বেড়ায় দারিদ্র তাদের সঙ্গী হয়। \b \q1 \v 20 বিশ্বস্ত লোক প্রচুর আশীর্বাদ লাভ করবে, \q2 কিন্তু যে ধনবান হওয়ার জন্য আগ্রহী হয় সে অদণ্ডিত থাকবে না। \b \q1 \v 21 মুখাপেক্ষা করা ভালো নয়— \q2 অথচ মানুষ এক টুকরো রুটির জন্যও অন্যায় করে। \b \q1 \v 22 কৃপণেরা ধনসম্পত্তি অর্জনের জন্য আগ্রহী হয় \q2 ও তারা জানেও না যে দারিদ্র তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে। \b \q1 \v 23 যে জিভ দিয়ে চাটুকারিতা করে তার তুলনায় বরং \q2 কোনো মানুষকে যে ভর্ৎসনা করে, শেষ পর্যন্ত সেই অনুগ্রহ লাভ করবে। \b \q1 \v 24 যে মা-বাবার ধনসম্পদ চুরি করে \q2 ও বলে, “এ তো অন্যায় নয়,” \q2 সে তাদেরই অংশীদার, যারা ধ্বংসসাধন করে। \b \q1 \v 25 লোভী মানুষেরা বিবাদ জাগিয়ে তোলে, \q2 কিন্তু যারা সদাপ্রভুতে নির্ভর করে তারা উন্নতি লাভ করবে। \b \q1 \v 26 যারা নিজেদের উপর নির্ভর করে তারা মূর্খ, \q2 কিন্তু যারা জ্ঞানের পথে চলে তারা নিরাপদ থাকবে। \b \q1 \v 27 যারা দরিদ্রদের দান করে তাদের কোনো কিছুর অভাব হয় না, \q2 কিন্তু যারা তাদের দেখে চোখ বন্ধ করে থাকে তারা প্রচুর অভিশাপ কুড়ায়। \b \q1 \v 28 দুষ্টেরা যখন ক্ষমতাসীন হয়, মানুষ তখন আড়ালে গিয়ে লুকায়, \q2 কিন্তু দুষ্টেরা যখন বিনষ্ট হয়, তখন ধার্মিকেরা সমৃদ্ধশালী হয়। \b \c 29 \q1 \v 1 বহুবার ভর্ৎসিত হওয়ার পরও যে ঘাড় শক্ত করে রাখে \q2 সে হঠাৎ করে বিনষ্ট হয়ে যাবে—এর কোনও প্রতিকার নেই। \b \q1 \v 2 ধার্মিকেরা যখন সমৃদ্ধশালী হয়, জনগণ তখন আনন্দ করে; \q2 দুষ্টেরা যখন শাসন করে, জনগণ তখন গভীর আর্তনাদ করে। \b \q1 \v 3 যে মানুষ প্রজ্ঞাকে ভালোবাসে সে তার বাবাকে আনন্দিত করে, \q2 কিন্তু বেশ্যাদের দোসর তার ধনসম্পত্তি অপচয় করে ফেলে। \b \q1 \v 4 ন্যায়বিচার দ্বারা রাজা দেশকে স্থিরতা দেন, \q2 কিন্তু যারা ঘুষের প্রতি প্রলুব্ধ\f + \fr 29:4 \fr*\ft অথবা, যারা ঘুস দেয়\ft*\f* তারা দেশ লণ্ডভণ্ড করে ফেলে। \b \q1 \v 5 যারা তাদের প্রতিবেশীদের স্তাবকতা করে \q2 তারা নিজেদের পায়ের জন্যই ফাঁদ পাতে। \b \q1 \v 6 অনিষ্টকারীরা তাদের নিজেদের পাপ দ্বারাই ফাঁদে পড়ে, \q2 কিন্তু ধার্মিকেরা আনন্দে চিৎকার করে ও খুশি থাকে। \b \q1 \v 7 ধার্মিকেরা দরিদ্রদের ন্যায়বিচার দেওয়ার কথা ভাবে, \q2 কিন্তু দুষ্টদের এই ধরনের কোনও উদ্বেগ নেই। \b \q1 \v 8 বিদ্রুপকারীরা নগরে উত্তেজনা ছড়ায়, \q2 কিন্তু জ্ঞানবানেরা ক্রোধ প্রশমিত করে। \b \q1 \v 9 জ্ঞানবান মানুষ যদি মূর্খকে দরবারে নিয়ে যায়, \q2 তবে মূর্খ তর্জনগর্জন ও উপহাস করে, ও সেখানে শান্তি বজায় থাকে না। \b \q1 \v 10 রক্তপিপাসু লোকেরা সৎলোককে ঘৃণা করে \q2 ও ন্যায়পরায়ণ মানুষদের হত্যা করতে চায়। \b \q1 \v 11 মূর্খেরা তাদের সব ক্রোধ প্রকাশ করে ফেলে, \q2 কিন্তু জ্ঞানবানেরা শেষ পর্যন্ত তা প্রশমিত করে। \b \q1 \v 12 শাসক যদি মিথ্যা কথা শোনেন, \q2 তবে তাঁর কর্মকর্তারা দুষ্ট হয়ে পড়ে। \b \q1 \v 13 দরিদ্রদের ও অত্যাচারীদের মধ্যে এই সাদৃশ্য আছে: \q2 সদাপ্রভুই উভয়ের চোখে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন। \b \q1 \v 14 রাজা যদি দরিদ্রদের প্রতি সুবিচার করেন, \q2 তবে তাঁর সিংহাসন চিরকালের জন্য স্থির থাকবে। \b \q1 \v 15 লাঠি ও তীব্র ভর্ৎসনা প্রজ্ঞা দান করে, \q2 কিন্তু সন্তানকে যদি শাসন না করে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে সে তার মায়ের মর্যাদাহানি ঘটায়। \b \q1 \v 16 দুষ্টেরা যখন সমৃদ্ধশালী হয়, তখন পাপও বৃদ্ধি পায়, \q2 কিন্তু ধার্মিকেরা তাদের সর্বনাশ দেখতে পাবে। \b \q1 \v 17 তোমার সন্তানদের শাসন করো, ও তারা তোমাকে শান্তি দেবে; \q2 তারা তোমার জীবনে প্রত্যাশিত আনন্দ নিয়ে আসবে। \b \q1 \v 18 যেখানে কোনও প্রত্যাদেশ নেই, সেখানে জনগণ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়; \q2 কিন্তু ধন্য তারাই যারা প্রজ্ঞার শিক্ষায় মনোযোগ দেয়। \b \q1 \v 19 শুধু কথা বলে দাসেদের সংশোধন করা যায় না; \q2 যদিও তারা বোঝে, তবুও তারা মনোযোগ দেয় না। \b \q1 \v 20 এমন কাউকে কি দেখেছ যে তাড়াহুড়ো করে কথা বলে? \q2 তাদের চেয়ে বরং একজন মূর্খের বেশি আশা আছে। \b \q1 \v 21 যে দাসকে ছেলেবেলা থেকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে \q2 সে শেষ সময় শোক নিয়ে আসবে। \b \q1 \v 22 ক্রুদ্ধ লোক বিবাদ বাধায়, \q2 উগ্রস্বভাব বিশিষ্ট লোক প্রচুর পাপ করে বসে। \b \q1 \v 23 অহংকার একজন লোককে নিচে নামিয়ে আনে, \q2 কিন্তু নম্রাত্মা মানুষ সম্মান লাভ করে। \b \q1 \v 24 চোরেদের সহযোগীরা তাদের নিজেদেরই শত্রু; \q2 তাদের শপথ করতে বলা হয় ও তারা সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার সাহস পায় না। \b \q1 \v 25 মানুষের ভয় ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়, \q2 কিন্তু যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে সে নিরাপদ থাকে। \b \q1 \v 26 অনেকেই শাসকের প্রিয়পাত্র হয়ে থাকতে চায়, \q2 কিন্তু সদাপ্রভুর কাছেই মানুষ ন্যায়বিচার পায়। \b \q1 \v 27 ধার্মিকেরা অসাধুদের ঘৃণা করে; \q2 দুষ্টেরা ন্যায়পরায়ণদের ঘৃণা করে। \c 30 \ms1 আগুরের নীতিবচন \p \v 1 যাকির ছেলে আগুরের নীতিবচন—যা এক অনুপ্রাণিত ভাষণ। \q1 ঈথীয়েলের প্রতি, ঈথীয়েলের ও উকলের প্রতি এই লোকটির ভাষণ\f + \fr 30:1 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, এই লোকটি ঈথীয়েলের কাছে, ঈথীয়েল ও উকলের কাছে একথা ঘোষণা করেছেন\ft*\f*: \b \q1 “হে ঈশ্বর, আমি ক্লান্ত, \q2 কিন্তু আমি বিজয়লাভ করতে পারব। \q1 \v 2 আমি নিশ্চয় মানুষ নই, আমি এক মূঢ়মাত্র; \q2 আমার মানবিক বোধবুদ্ধি নেই। \q1 \v 3 আমি প্রজ্ঞার শিক্ষা পাইনি, \q2 আমি সেই মহাপবিত্র ঈশ্বর সম্পর্কীয় জ্ঞানও অর্জন করিনি। \q1 \v 4 কে স্বর্গে গিয়ে আবার ফিরে এসেছেন? \q2 কার হাত বাতাস সংগ্রহ করেছে? \q1 কে জলরাশিকে আলখাল্লায় মুড়ে রেখেছেন? \q2 কে পৃথিবীর সব প্রান্ত স্থাপন করেছেন? \q1 তাঁর নাম কী, ও তাঁর ছেলের নামই বা কী? \q2 নিশ্চয় তুমি তা জানো! \b \b \q1 \v 5 “ঈশ্বরের প্রত্যেকটি বাক্য নিখুঁত; \q2 যারা তাঁতে আশ্রয় নেয় তাদের কাছে তিনি এক ঢাল। \q1 \v 6 তাঁর বাক্যে কিছু যোগ কোরো না, \q2 পাছে তিনি তোমাকে ভর্ৎসনা করেন ও তোমাকে এক মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করেন। \b \q1 \v 7 “হে সদাপ্রভু, আমি তোমার কাছে দুটি জিনিস চাইছি; \q2 আমি মারা যাওয়ার আগে আমাকে প্রত্যাখ্যান কোরো না: \q1 \v 8 ছলনা ও মিথ্যা কথা আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখো; \q2 আমাকে দারিদ্র বা ধনসম্পত্তি কিছুই দিয়ো না, \q2 কিন্তু আমার দৈনিক আহারটুকুই শুধু আমাকে দাও। \q1 \v 9 পাছে, অনেক কিছু পেয়ে আমি তোমাকে অস্বীকার করে বসি \q2 ও বলে ফেলি, ‘সদাপ্রভু কে?’ \q1 বা দরিদ্র হয়ে গিয়ে চুরি করে বসি, \q2 ও এভাবে আমার ঈশ্বরের নামের অসম্মান করে ফেলি। \b \q1 \v 10 “মনিবের কাছে তার কোনো দাসের নিন্দা কোরো না, \q2 পাছে তারা তোমাকে অভিশাপ দেয় ও তোমাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হয়। \b \q1 \v 11 “এমন অনেক লোক আছে যারা তাদের বাবাদের অভিশাপ \q2 দেয় ও তাদের মা-দের মহিমান্বিত করে না; \q1 \v 12 যারা তাদের নিজেদের দৃষ্টিতেই বিশুদ্ধ \q2 অথচ তারা তাদের মালিন্য থেকে শুচিশুদ্ধই হয়নি; \q1 \v 13 যাদের দৃষ্টি চিরকাল খুব উদ্ধত, \q2 যাদের চাহনি খুব তাচ্ছিল্যপূর্ণ; \q1 \v 14 যাদের দাঁত তরোয়ালের মতো \q2 ও যাদের চোয়ালে ছুরি গাঁথা আছে \q1 যেন পৃথিবীর বুক থেকে দরিদ্রদের \q2 ও মানবজাতির মধ্যে থেকে অভাবগ্রস্তদের তারা গ্রাস করে ফেলতে পারে। \b \q1 \v 15 “জোঁকের দুটি কন্যা আছে। \q2 তারা চিৎকার করে বলে, ‘দাও, দাও!’ \b \li1 “তিনটি বিষয় আছে যেগুলিকে কখনও তৃপ্ত করা যায় না, \li2 চারটি বিষয় আছে যেগুলি কখনও বলে না, ‘যথেষ্ট হয়েছে!’: \li3 \v 16 কবর\f + \fr 30:16 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, সিয়োল\ft*\f* \li3 ও বন্ধ্যা জঠর; \li3 জমি, যা কখনও জলে তৃপ্ত হয় না, \li3 ও আগুন, যা কখনও বলে না, ‘যথেষ্ট হয়েছে!’ \b \q1 \v 17 “যে চোখ একজন বাবাকে বিদ্রুপ করে, \q2 যা বৃদ্ধা এক মাকে অবজ্ঞা করে, \q1 সেটিকে উপত্যকার কাকেরা ঠুকরে ঠুকরে বের করে ফেলবে, \q2 শকুনেরা সেটি খেয়ে ফেলবে। \b \li1 \v 18 “তিনটি বিষয় আমার আছে খুবই বিস্ময়কর, \li2 চারটি বিষয় আমি বুঝে উঠতে পারি না: \li3 \v 19 আকাশে ওড়া ঈগল পাখির গতিপথ, \li3 পাষাণ-পাথরের উপরে চলা সাপের গতিপথ, \li3 মাঝসমুদ্রে ভেসে যাওয়া জাহাজের গতিপথ, \li3 ও যুবতীর সঙ্গে পুরুষের প্রেমের সম্পর্ক। \b \q1 \v 20 “ব্যভিচারিণী মহিলার জীবনযাত্রার ধরন এরকম: \q2 সে খাওয়াদাওয়া করে ও মুখ মুছে নেয় \q2 ও বলে, ‘আমি কোনও অন্যায় করিনি।’ \b \li1 \v 21 “তিনটি বিষয়ের ভারে পৃথিবী কম্পিত হয়, \li2 চারটি বিষয়ের ভার তা সহ্য করতে পারে না: \li3 \v 22 এক দাস যে রাজা হয়ে বসেছে, \li3 এক মূর্খ যে খাওয়ার জন্য প্রচুর খাদ্যদ্রব্য পেয়েছে, \li3 \v 23 এক নীচ মহিলা যার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, \li3 ও এক দাসী যে তার কর্ত্রীকে স্থানচ্যূত করেছে। \b \li1 \v 24 “পৃথিবীর বুকে চারটি প্রাণী ছোটো, \li2 অথচ সেগুলি অত্যন্ত জ্ঞানী: \li2 \v 25 পিঁপড়েরা অল্প শক্তিবিশিষ্ট প্রাণী, \li3 অথচ গ্রীষ্মকালে তারা তাদের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে; \li2 \v 26 পাহাড়ি খরগোশ সামান্যই শক্তি ধরে, \li3 অথচ তারা পাষাণ-পাথরের চূড়ায় তাদের ঘর বাঁধে; \li2 \v 27 পঙ্গপালদের কোনও রাজা নেই, \li3 অথচ তারা সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে যায়; \li2 \v 28 টিকটিকিকে হাত দিয়ে ধরা যায়, \li3 অথচ তাকে রাজপ্রাসাদে দেখতে পাওয়া যায়। \b \li1 \v 29 “তিনটি প্রাণী আছে যারা তাদের চলাফেরায় রাজসিক, \li2 চারজন আছে যারা রাজকীয় ভঙ্গিতে নড়াচড়া করে: \li3 \v 30 সিংহ, যে পশুদের মধ্যে বলশালী, যে কোনো কিছুর সামনেই পশ্চাদগামী হয় না; \li3 \v 31 নির্ভীক মোরগ, \li3 পাঁঠা, \li3 ও রাজা, যিনি বিদ্রোহের আশঙ্কা থেকে মুক্ত। \b \q1 \v 32 “তুমি যদি মূর্খামি করো ও নিজেই নিজের প্রশংসা করো, \q2 বা অনিষ্ট করার ফন্দি আঁটো, \q2 তবে তোমার হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখো! \q1 \v 33 কারণ ননি মন্থনে যেভাবে মাখন উৎপন্ন হয়, \q2 ও নাকে মোচড় পড়লে যেভাবে রক্ত বের হয়, \q2 সেভাবে ক্রোধ নাড়াচাড়া করলে বিবাদ উৎপন্ন হয়।” \c 31 \ms1 রাজা লমূয়েলের নীতিবচন \p \v 1 রাজা লমূয়েলের নীতিবচন—সেই অনুপ্রাণিত ভাষণ যা তাঁর মা তাঁকে শিখিয়েছিলেন। \q1 \v 2 হে আমার বাছা, শোনো! হে আমার গর্ভজাত পুত্র, শোনো! \q2 হে আমার বাছা, হে আমার প্রার্থনার উত্তর, শোনো! \q1 \v 3 নারীদের পিছনে তোমার শক্তি\f + \fr 31:3 \fr*\ft অথবা, সম্পদ\ft*\f* ব্যয় কোরো না, \q2 যারা রাজাদের সর্বনাশ করে তাদের পিছনে তোমার প্রাণশক্তি নষ্ট কোরো না। \b \q1 \v 4 হে লমূয়েল, রাজাদের জন্য নয়— \q2 দ্রাক্ষারস পান করা রাজাদের জন্য উপযুক্ত নয়, \q2 সুরাপানে আসক্ত হওয়া শাসকদের জন্য অনুচিত, \q1 \v 5 পাছে তারা পান করেন ও ভুলে যান তারা কী আদেশ দিয়েছেন, \q2 ও সব নিপীড়িতকে তাদের অধিকার বঞ্চিত করে ছাড়েন। \q1 \v 6 সুরা তাদের জন্যই রাখা থাক যারা মরতে চলেছে, \q2 দ্রাক্ষারস তাদের জন্যই রাখা থাক যারা মনোবেদনায় ভুগছে! \q1 \v 7 তারা পান করুক ও তাদের দারিদ্র ভুলে যাক \q2 ও তাদের দুর্দশা আর মনে না রাখুক। \b \q1 \v 8 তাদের হয়ে কথা বলো যারা নিজেদের কথা নিজেরা বলতে পারে না, \q2 সেইসব লোকের অধিকারের স্বপক্ষে কথা বলো যারা সর্বস্বান্ত। \q1 \v 9 উচ্চকণ্ঠে বলো ও ন্যায়বিচার করো: \q2 দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের অধিকারের স্বপক্ষে ওকালতি করো। \ms1 উপসংহার: উন্নত চরিত্রবিশিষ্ট স্ত্রী \q1 \v 10 কে উন্নত চরিত্রবিশিষ্ট এক স্ত্রী পেতে পারে? \q2 তাঁর মূল্য পদ্মরাগমণির চেয়েও অনেক বেশি। \q1 \v 11 তাঁর উপর তাঁর স্বামীর পূর্ণ আস্থা বজায় থাকে \q2 ও তিনি তাঁর স্বামীর জীবনে ভালো কোনো কিছুর অভাব হতে দেন না। \q1 \v 12 তিনি তাঁর জীবনের সমস্ত দিন \q2 স্বামীর অনিষ্ট নয়, কিন্তু মঙ্গলই সাধন করেন। \q1 \v 13 তিনি পশম ও মসিনা মনোনীত করেন \q2 ও আগ্রহী হাতে কাজকর্ম করেন। \q1 \v 14 তিনি বণিকদের জাহাজগুলির মতো, \q2 বহুদূর থেকে তাঁর খাদ্যদ্রব্য নিয়ে আসেন। \q1 \v 15 তিনি অন্ধকার থাকতেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন; \q2 তিনি তাঁর পরিবারের জন্য খাদ্যের জোগান দেন \q2 ও তাঁর দাসীদেরও অংশ বরাদ্দ করে দেন। \q1 \v 16 তিনি জমির মান বিচার করেন ও তা কিনে নেন; \q2 নিজের আয় দিয়ে তিনি দ্রাক্ষাক্ষেত গড়ে তোলেন। \q1 \v 17 তিনি সবলে তাঁর কাজে লেগে পড়েন; \q2 তাঁর কাজকর্মের পক্ষে তাঁর হাত দুটি বেশ শক্তিশালী। \q1 \v 18 তিনি সুনিশ্চিত হন যে তাঁর কেনাবেচা বেশ লাভজনক হয়েছে, \q2 ও তাঁর প্রদীপ রাতেও নিভে যায় না। \q1 \v 19 তাঁর হাতে তিনি তকলি ধরে থাকেন \q2 ও সুতো কাটার টাকু তাঁর আঙুল দিয়ে আঁকড়ে ধরে থাকেন। \q1 \v 20 তিনি দরিদ্রদের প্রতি মুক্তহস্ত হন \q2 ও অভাবগ্রস্তদের দিকে তাঁর হাত বাড়িয়ে দেন। \q1 \v 21 তুষারপাতের সময় তাঁর পরিবারের লোকদের জন্য তাঁর কোনও ভয় হয় না; \q2 কারণ তারা সকলেই টকটকে লাল রংয়ের কাপড়\f + \fr 31:21 \fr*\ft অথবা, শীতবস্ত্র\ft*\f* পরে থাকে। \q1 \v 22 তিনি তাঁর বিছানার জন্য চাদর তৈরি করেন; \q2 তিনি মিহি মসিনা দিয়ে তৈরি বেগুনি রংয়ের কাপড় গায়ে দিয়ে থাকেন। \q1 \v 23 তাঁর স্বামী সেই নগরদ্বারে সম্মানিত হন, \q2 যেখানে দেশের প্রাচীনদের মধ্যে তিনি তাঁর আসন গ্রহণ করেন। \q1 \v 24 তিনি মসিনার পোশাক তৈরি করে সেগুলি বিক্রি করেন, \q2 ও বণিকদের উত্তরীয় সরবরাহ করেন। \q1 \v 25 তিনি শক্তি ও সম্মানে আচ্ছাদিত হন; \q2 আগামী দিনগুলির কথা ভেবে তিনি সশব্দে হাসতে পারেন। \q1 \v 26 তিনি প্রজ্ঞামূলক কথাবার্তা বলেন, \q2 ও তাঁর জিভের ডগায় আন্তরিক নির্দেশ থাকে। \q1 \v 27 তিনি তাঁর পরিবারের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখেন \q2 ও অলসতার রুটি\f + \fr 31:27 \fr*\ft অথবা, খাদ্য\ft*\f* খান না। \q1 \v 28 তাঁর সন্তানেরা উঠে তাঁকে আশীর্বাদধন্যা বলে ডাকে; \q2 তাঁর স্বামীও একই কথা বলেন ও তাঁর প্রশংসা করে বলেন: \q1 \v 29 “অনেক মহিলাই মহৎ মহৎ কাজ করেন, \q2 কিন্তু তুমি সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছ।” \q1 \v 30 লাবণ্য বিভ্রান্তিকর, ও সৌন্দর্য অস্থায়ী; \q2 কিন্তু যে নারী সদাপ্রভুকে ভয় করেন তাঁরই প্রশংসা করতে হবে। \q1 \v 31 তাঁর হাত যা কিছু করেছে, সেসবের জন্য তাঁকে সম্মান জানাও, \q2 ও তাঁর কাজকর্মই নগরদ্বারে তাঁর কাছে প্রশংসা এনে দিক।