\id NUM - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h গণনা পুস্তক \toc1 গণনা পুস্তক \toc2 গণনা পুস্তক \toc3 গণ \mt1 গণনা পুস্তক \c 1 \s1 লোকগণনা \p \v 1 ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে বের হয়ে আসার পর দ্বিতীয় বছরের, দ্বিতীয় মাসের, প্রথম দিনে, সদাপ্রভু সীনয় মরুভূমিতে সমাগম তাঁবুর মধ্যে মোশির সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন, \v 2 “গোষ্ঠী এবং পরিবার অনুযায়ী, সমস্ত ইস্রায়েলী সম্প্রদায়ের জনগণনা করো। প্রত্যেক ব্যক্তির নাম, এক এক করে তালিকাভুক্ত করতে হবে। \v 3 ইস্রায়েলের সমস্ত পুরুষ কুড়ি বছর বা তারও বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তুমি ও হারোণ, শ্রেণিবিভাগ অনুসারে তাদের গণনা করো। \v 4 প্রত্যেক গোষ্ঠীর মধ্যে একজন ব্যক্তি, যে তাদের কুলের পুরোধা, সে তোমাদের সাহায্য করবে। \b \li4 \v 5 “যে সমস্ত ব্যক্তি তোমাদের সহকারী হবে, তাদের নাম হল: \b \li1 “রূবেণ থেকে শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর; \li1 \v 6 শিমিয়োন থেকে সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল; \li1 \v 7 যিহূদা থেকে অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন; \li1 \v 8 ইষাখর থেকে সূয়ারের ছেলে নথনেল; \li1 \v 9 সবূলূন থেকে হেলোনের ছেলে ইলীয়াব; \li1 \v 10 যোষেফের ছেলেদের মধ্য থেকে, \li2 ইফ্রয়িম থেকে, অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা, \li2 মনঃশি থেকে পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল; \li1 \v 11 বিন্যামীন থেকে গিদিয়োনির ছেলে অবীদান; \li1 \v 12 দান থেকে অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর; \li1 \v 13 আশের থেকে অক্রণের ছেলে পগীয়েল; \li1 \v 14 গাদ থেকে দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ; \li1 \v 15 নপ্তালি থেকে ঐননের ছেলে অহীরঃ।” \b \li4 \v 16 সমাজের মধ্য থেকে এই ব্যক্তিদের নিযুক্ত করা হল। তারা নিজের নিজের গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন। ইস্রায়েলী গোষ্ঠীসমূহের তারা শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। \b \p \v 17 যাদের নাম দেওয়া হয়েছিল, মোশি ও হারোণ সেই ব্যক্তিদের নিলেন। \v 18 দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনে, তাঁরা সমস্ত সমাজকে একত্র হওয়ার আহ্বান দিলেন। জনতার পৈতৃক কুল তাদের গোষ্ঠী ও পরিবার অনুযায়ী সূচিত হচ্ছিল, যাদের বয়স কুড়ি বা তারও বেশি, সেই সমস্ত পুরুষ ব্যক্তিরই নাম এক একজন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল, \v 19 যে রকম সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। তিনি সীনয় মরুভূমিতেই তাদের গণনা করেছিলেন। \b \li1 \v 20 ইস্রায়েলের বড়ো ছেলে রূবেণের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 21 রূবেণ গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 46,500। \b \li1 \v 22 শিমিয়োনের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী ও পরিবারের নথি অনুসারে, এক একজন গণিত ও নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 23 শিমিয়োন গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 59,300। \b \li1 \v 24 গাদের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী ও পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 25 গাদ গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 45,650। \b \li1 \v 26 যিহূদার উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী ও পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 27 যিহূদা গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 74,600। \b \li1 \v 28 ইষাখরের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 29 ইষাখর গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 54,400। \b \li1 \v 30 সবূলূনের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 31 সবূলূন গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 57,400। \b \li4 \v 32 যোষেফের সন্তানদের মধ্য থেকে, \li1 ইফ্রয়িমের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 33 ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 40,500। \li1 \v 34 মনঃশির উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 35 মনঃশি গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 32,200। \b \li1 \v 36 বিন্যামীনের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে, এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 37 বিন্যামীন গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 35,400। \b \li1 \v 38 দানের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 39 দান গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 62,700। \b \li1 \v 40 আশেরের উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 41 আশের গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 41,500। \b \li1 \v 42 নপ্তালির উত্তরসূরিদের মধ্য থেকে, \li2 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা সেনাদলে কাজ করতে সক্ষম, তাদের গোষ্ঠী এবং পরিবারের নথি অনুসারে এক একজনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। \v 43 নপ্তালি গোষ্ঠীর জনসংখ্যা ছিল 53,400। \b \li4 \v 44 মোশি ও হারোণ এবং নিজের নিজের গোষ্ঠীর প্রতিনিধিস্বরূপ ইস্রায়েলের বারোজন নেতা, এই ব্যক্তিদের গণনা করেছিলেন। \v 45 সমস্ত ইস্রায়েলী, যাদের বয়স কুড়ি বছর এবং তারও বেশি, যারা ইস্রায়েলী সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম ছিল তাদের নিজের নিজের গোষ্ঠী অনুসারে গণিত হয়েছিল। \v 46 এই সমগ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল 6,03,550 জন। \b \p \v 47 লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত পরিবারগুলি অন্যদের সঙ্গে গণিত হয়নি। \v 48 সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন, \v 49 “তুমি অবশ্যই লেবির গোষ্ঠীকে গণনা করবে না অথবা অন্যান্য ইস্রায়েলীদের সঙ্গে তাদের সংখ্যা যুক্ত করবে না। \v 50 তার পরিবর্তে, লেবীয়দের নিয়োগ করবে, যেন তারা সাক্ষ্যস্বরূপ উপাসনা-তাঁবু, তার আসবাব এবং তার মধ্যবর্তী সমস্ত দ্রব্যের তত্ত্বাবধায়ক হয়। তারা উপাসনা-তাঁবু ও তার সমস্ত দ্রব্য বহন করবে; তারা তার তত্ত্বাবধান করবে এবং তার চতুর্দিকে ছাউনি স্থাপন করবে। \v 51 যখনই উপাসনা-তাঁবুর স্থানান্তরের প্রয়োজন হবে, লেবীয়েরা তা খুলে ফেলবে। যখন উপাসনা-তাঁবু স্থাপন করতে হবে, লেবীয়েরাই তা করবে। অন্য যে কেউ তার নিকটবর্তী হয়, তাকে বধ করতে হবে। \v 52 ইস্রায়েলীরা তাদের নিজের তাঁবু, শ্রেণী অনুসারে প্রত্যেকজন তার নিজস্ব ছাউনিতে, নিজেরাই পতাকার তলায় স্থাপন করবে। \v 53 কিন্তু লেবীয়েরা, সাক্ষ্যস্বরূপ উপাসনা-তাঁবুর চারিদিকে তাদের ছাউনি স্থাপন করবে যেন আমার ক্রোধ ইস্রায়েলী সমাজের উপরে না বর্তায়। লেবীয়েরাই সাক্ষ্যস্বরূপ উপাসনা-তাঁবুর তত্ত্বাবধানের জন্য দায়ী হবে।” \p \v 54 ইস্রায়েলীরা এই সমস্তই সঠিক করেছিল, যে রকম সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \c 2 \s1 অধিবাসী ছাউনির ব্যবস্থাপনা \p \v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলের প্রত্যেক ব্যক্তি, নিজের নিজের পিতৃকুলের চিহ্নের সঙ্গে দলীয় পতাকার সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রেখে, সমাগম তাঁবুর চতুর্দিকে ছাউনি করবে।” \b \li4 \v 3 পূর্বদিকে, সূর্যোদয় অভিমুখে: \li1 যিহূদার শিবিরের সেনাদল তাদের পতাকার তলায় সন্নিবেশিত হবে। অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন যিহূদা জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 4 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 74,600। \li1 \v 5 তার পরবর্তী ছাউনি হবে ইষাখর গোষ্ঠীর। সূয়ারের ছেলে নথনেল ইষাখর জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 6 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 54,400। \li1 \v 7 তার পরবর্তী ছাউনি হবে সবূলূন গোষ্ঠীর। হেলোনের ছেলে ইলীয়াব সবূলূন জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 8 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 57,400। \li4 \v 9 সমস্ত বিভাগীয় সেনাদল অনুসারে যিহূদা শিবিরের জন্য নির্দিষ্ট পুরুষের সংখ্যা 1,86,400 জন। প্রথমে তারা যাত্রা শুরু করবে। \b \li4 \v 10 দক্ষিণপ্রান্তে: \li1 রূবেণের শিবিরের সেনাদল তাদের পতাকার তলায় সন্নিবেশিত হবে। শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর রূবেণ জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 11 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 46,500। \li1 \v 12 শিমিয়োনের গোষ্ঠী তাদের পাশে ছাউনি স্থাপন করবে। সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল শিমিয়োন জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 13 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 59,300। \li1 \v 14 তার পাশের ছাউনি হবে গাদের। দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ গাদ জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 15 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 45,650। \li4 \v 16 রূবেণের শিবিরের জন্য নির্দিষ্ট তাদের বিভাগীয় সেনাদের অনুসারে, সমস্ত পুরুষের সংখ্যা 1,51,450। দ্বিতীয় স্থানে তারা যাত্রা শুরু করবে। \b \li1 \v 17 তারপর শিবির সমূহের মধ্যস্থানে, সমাগম তাঁবু এবং লেবীয়দের ছাউনি যাত্রা শুরু করবে। তারা যে রকম ছাউনি স্থাপন করে, সেইরকম অভিন্ন ক্রম অনুসারে যাত্রা করবে, প্রত্যেকজন দলীয় পতাকার কাছে, তাদের নির্দিষ্ট স্থানে। \b \li4 \v 18 পশ্চিম প্রান্তে: \li1 ইফ্রয়িম শিবিরের সেনাদল তাদের পতাকার তলায় অবস্থান করবে। অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা ইফ্রয়িম জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 19 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 40,500। \li1 \v 20 তাদের পরবর্তী ছাউনি হবে মনঃশি গোষ্ঠীর। পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল, মনঃশি জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 21 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 32,200। \li1 \v 22 বিন্যামীন গোষ্ঠীর ছাউনি হবে তাদের পরে। গিদিয়োনির ছেলে অবীদান বিন্যামীন জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 23 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 35,400। \li4 \v 24 ইফ্রয়িমের শিবিরের জন্য নির্দিষ্ট, তাদের সেনাদল অনুসারে পুরুষের সংখ্যা 1,08,100। তারা তৃতীয় স্থানে যাত্রা শুরু করবে। \b \li4 \v 25 উত্তর প্রান্তে: \li1 দানের শিবিরের সেনাদল তাদের পতাকার তলায় সন্নিবেশিত হবে। অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর দান জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 26 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 62,700। \li1 \v 27 তার পরবর্তী ছাউনি হবে আশের গোষ্ঠীর। অক্রণের ছেলে পগীয়েল আশের জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 28 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 41,500। \li1 \v 29 তারপরে অবস্থান হবে নপ্তালি গোষ্ঠীর। ঐননের ছেলে অহীরঃ নপ্তালি জনগোষ্ঠীর নেতা হবে। \v 30 তার বিভাগীয় সেনাদের সংখ্যা 53,400। \li4 \v 31 দানের শিবিরের জন্য নির্দিষ্ট সমস্ত পুরুষের সংখ্যা 1,57,600 জন। তাদের পতাকা সমেত তারা সবশেষে যাত্রা করবে। \b \li4 \v 32 এরাই ইস্রায়েলী জনগোষ্ঠী, তাদের পিতৃকুল অনুসারে গণিত। শিবির সমূহে, তাদের বিভাগ অনুসারে গণিত সর্বমোট জনসংখ্যা 6,03,550 জন। \v 33 কিন্তু এদের মধ্যে অন্য ইস্রায়েলীদের সঙ্গে লেবীয়েরা গণিত হয়নি, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \b \p \v 34 সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, এইভাবে ইস্রায়েলীরা সে সমস্তই করেছিল; তারা সেইভাবে তাদের পতাকাতলে সন্নিবেশিত প্রত্যেক ব্যক্তি তার গোষ্ঠী এবং পিতৃকুল অনুসারে সেইভাবে যাত্রা করত। \c 3 \s1 লেবীয় গোষ্ঠী \p \v 1 সদাপ্রভু যে সময়ে সীনয় পর্বতে মোশির সঙ্গে কথোপকথন করছিলেন, সেই সময় হারোণ ও মোশির বংশবৃত্তান্ত ছিল এইরকম। \b \p \v 2 হারোণের ছেলেদের নাম হল, প্রথমজাত নাদব, তারপর অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামর। \v 3 হারোণের ছেলেদের নাম এই। তারা অভিষিক্ত যাজক ছিলেন। যাজকীয় কাজের জন্য তাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। \v 4 কিন্তু, নাদব ও অবীহূ সদাপ্রভুর সামনে নিহত হয়েছিল, যখন তারা সীনয় মরুভূমিতে তাঁর উদ্দেশে অননুমোদিত অগ্নি নিবেদন করেছিল। তাদের কোনো পুত্রসন্তান ছিল না। তাই তাদের বাবা হারোণের জীবদ্দশায় শুধুমাত্র ইলীয়াসর ও ঈথামর যাজক হিসেবে পরিচর্যা করেছিলেন। \p \v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 6 “লেবি গোষ্ঠীকে নিয়ে এসো ও যাজক হারোণকে সাহায্য করার জন্য তাদের তার কাছে উপস্থিত করো। \v 7 তারা সমাগম তাঁবুতে, উপাসনা-তাঁবু সংক্রান্ত কাজ দ্বারা তার এবং সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য নিরূপিত কর্তব্য করবে। \v 8 তারা সমাগম তাঁবুর সমস্ত আসবাবপত্রের তত্ত্বাবধান করবে ও উপাসনা সম্পর্কিত কাজের মাধ্যমে ইস্রায়েলীদের বাধ্যবাধকতা সম্পূর্ণ করবে। \v 9 হারোণ ও তার ছেলেদের হাতে লেবীয়দের সমর্পণ করো; ইস্রায়েলীদের মধ্যে তারাই সম্পূর্ণরূপে তার কাছে দত্ত হবে। \v 10 হারোণ ও তার ছেলেদের যাজক হিসেবে পরিচর্যার জন্য নিযুক্ত করো। অন্য কোনো ব্যক্তি পবিত্রস্থানের নিকটবর্তী হলে অবশ্যই তার প্রাণদণ্ড হবে।” \p \v 11 সদাপ্রভু মোশিকে আরও বললেন, \v 12 “প্রত্যেক ইস্রায়েলী মহিলার প্রথমজাত পুরুষ শিশুর পরিবর্তে আমি লেবি গোষ্ঠীকে গ্রহণ করেছি। লেবীয় গোষ্ঠী আমারই, \v 13 যেহেতু সমস্ত জ্যেষ্ঠ সন্তানেরা আমার। যখন মিশরে আমি সমস্ত প্রথমজাতকে আঘাত করি, তখন ইস্রায়েলীদের মধ্য থেকে আমি পশু হোক অথবা মানুষ, প্রত্যেক প্রথমজাত প্রাণীকে নিজের জন্য স্বতন্ত্র করে রাখি। তারা আমারই হবে। আমিই সদাপ্রভু।” \p \v 14 সদাপ্রভু মোশিকে সীনয় মরুভূমিতে বললেন, \v 15 “বংশ এবং গোষ্ঠী অনুসারে লেবীয়দের গণনা করো। এক মাস বা তারও বেশি বয়সি প্রত্যেক পুরুষের সংখ্যা গ্রহণ করো।” \v 16 তাই মোশি তাদের গণনা করলেন, যেমন সদাপ্রভু বাণীর মাধ্যমে তাকে আদেশ দিয়েছিলেন। \b \li1 \v 17 লেবির সন্তানদের নাম এই: \li2 গের্শোন, কহাৎ ও মরারি। \li1 \v 18 গের্শোন গোষ্ঠীসমূহের নাম: \li2 লিব্‌নি ও শিমিয়ি। \li1 \v 19 কহাতীয় গোষ্ঠীসমূহ হল: \li2 অম্রাম, যিষ্‌হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল। \li1 \v 20 মরারি গোষ্ঠীসমূহের নাম: \li2 মহলি ও মূশি। \b \li4 বংশক্রম অনুসারে লেবীয় গোষ্ঠীসমূহ হল এরাই। \b \li4 \v 21 গের্শোন থেকে লিব্‌নীয় গোষ্ঠী ও শিমিয়ি গোষ্ঠী; এরা গের্শোনীয়দের গোষ্ঠী। \li1 \v 22 এক মাস বা তারও বেশি বয়সের সমস্ত পুরুষের গণিত সংখ্যা 7,500। \li1 \v 23 গের্শোনীয়দের গোষ্ঠী সকলকে পশ্চিমদিকে উপাসনা-তাঁবুর পিছন দিকে শিবির স্থাপন করতে হবে। \li1 \v 24 গের্শোনের বংশসমূহের নেতা ছিলেন, লায়েলের ছেলে ইলীয়াসফ। \li1 \v 25 সমাগম তাঁবুতে গের্শোনীয়েরা, উপাসনালয় ও তাঁবু, তাদের আচ্ছাদন, সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথের পর্দা, \v 26 মন্দির প্রাঙ্গণের পর্দাসকল, উপাসনা-তাঁবু ও বেদি আবেষ্টনকারী অঙ্গনের প্রবেশপথের পর্দা ও দড়ি সকল এবং সেইগুলি সম্পর্কিত সমস্ত ব্যবহার্য দ্রব্যের তত্ত্বাবধানের জন্য দায়িত্ব ছিল। \b \li4 \v 27 কহাতের অন্তর্গত ছিল অম্রামীয়, যিষ্‌হরীয়, হিব্রোণীয় এবং উষীয়েলীয় গোষ্ঠী; এরাই ছিল কহাৎ গোষ্ঠী। \li1 \v 28 এক মাস বা তারও বেশি বয়সের সমস্ত পুরুষের সংখ্যা 8,600। \li1 কহাৎ গোষ্ঠী পবিত্রস্থল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ী ছিলেন। \li1 \v 29 কহাতীয় গোষ্ঠী সকলকে তাদের উপাসনা-তাঁবুর দক্ষিণপ্রান্তে শিবির স্থাপন করতে হত। \li1 \v 30 উষীয়েলের ছেলে ইলীষাফণ ছিলেন কহাতীয় গোষ্ঠীবৃন্দের বংশসমূহের নেতা। \li1 \v 31 তারা তত্ত্বাবধান করত সিন্দুক, মেজ, দীপাধার, বেদিসমূহ, পবিত্রস্থানের ব্যবহার্য বিশেষ দ্রব্যসকল, পর্দা এবং সেই সকলের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবহার্য সমস্ত দ্রব্য। \li1 \v 32 লেবি গোষ্ঠীর মুখ্য নেতা ছিলেন, যাজক হারোণের ছেলে ইলীয়াসর। যারা পবিত্রস্থানের দায়িত্বে ছিল, তিনি তাদের উপর নিযুক্ত হয়েছিলেন। \b \li4 \v 33 মরারির অন্তর্গত মহলীয় গোষ্ঠী ও মূশীয় গোষ্ঠী; এরা ছিল মরারি গোষ্ঠী। \li1 \v 34 এক মাস বা তার অধিক বয়সি যে সমস্ত পুরুষ গণিত হয়েছিল, তাদের সংখ্যা 6,200। \li1 \v 35 অবীহয়িলের ছেলে সূরীয়েল ছিলেন মরারি গোষ্ঠীর বংশসমূহের নেতা। \li1 উপাসনা-তাঁবুর উত্তর প্রান্তে তাদের ছাউনি ফেলতে হত। \li1 \v 36 মরারিদের নিযুক্ত করা হয়েছিল, যেন তারা উপাসনা-তাঁবুর কাঠামো, তক্তা, তার সমস্ত অর্গল, স্তম্ভ, চুঙ্গি ও তার সমস্ত জিনিস এবং সেই সকলের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবহারের জিনিসের, \v 37 সেই সঙ্গে প্রাঙ্গণের চারিদিকের সমস্ত খুঁটি, তাঁবুর গোঁজ ও দড়ির তত্ত্বাবধান করে। \b \li1 \v 38 মোশি, হারোণ এবং তাঁর ছেলেদের, উপাসনা-তাঁবুর পূর্বপ্রান্তে, সূর্যোদয় অভিমুখে, সমাগম তাঁবুর সম্মুখভাগে শিবির স্থাপন করতে হত। \li1 তারা ইস্রায়েলীদের তরফে পবিত্রস্থান তত্ত্বাবধানের জন্য দায়ী ছিলেন। \li1 অন্য যে কেউ পবিত্রস্থানের কাছে হত, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত। \b \li4 \v 39 লেবি গোষ্ঠীর পূর্ণ জনসংখ্যা, সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে মোশি ও হারোণ, গোষ্ঠী অনুসারে যাদের গণনা করেছিলেন। এক মাস বা তার অধিক বয়সি যে সমস্ত পুরুষ গণিত হয়েছিল, তাদের সংখ্যা 22,000। \b \p \v 40 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এক মাস বা তারও বেশি বয়সি ইস্রায়েলী সমস্ত প্রথমজাত সন্তানকে গণনা করে তাদের নামের একটি তালিকা তৈরি করো। \v 41 ইস্রায়েলী সমস্ত জ্যেষ্ঠ সন্তানের পরিবর্তে লেবীয়দের এবং সেই সঙ্গে তাদের গৃহপালিত পশুসকলের পরিবর্তে লেবীয়দের গৃহপালিত পশুসকল, আমার জন্য অধিকার করো। আমিই সদাপ্রভু।” \p \v 42 অতএব সদাপ্রভু যে রকম আদেশ দিয়েছিলেন, মোশি ইস্রায়েলী সমস্ত প্রথমজাত সন্তানের সংখ্যা নিলেন। \v 43 এক মাস ও তারও বেশি বয়সি, নাম তালিকাভুক্ত প্রথমজাত সন্তানের সংখ্যা ছিল 22,273। \p \v 44 সদাপ্রভু মোশিকে একথাও বললেন, \v 45 “ইস্রায়েলী সমস্ত প্রথমজাত সন্তানের পরিবর্তে লেবীয়দের ও তাদের গৃহপালিত পশুসকলের পরিবর্তে লেবীয়দের পশুসকল গ্রহণ করো। লেবীয়রা আমারই হবে। আমিই সদাপ্রভু। \v 46 লেবীয়দের সংখ্যা থেকে অতিরিক্ত 273 জন ইস্রায়েলী প্রথমজাত সন্তানের মুক্তির উদ্দেশে, \v 47 প্রত্যেক ব্যক্তির বিনিময়ে, পবিত্রস্থানের নিরূপিত শেকল অনুসারে, পাঁচ শেকল\f + \fr 3:47 \fr*\ft প্রায় 58 গ্রাম\ft*\f* করে আদায় করো, যার ওজন কুড়ি গেরা। \v 48 ইস্রায়েলীদের মুক্তি বাবদ প্রাপ্ত এই অতিরিক্ত অর্থ হারোণ ও তাঁর ছেলেদের দিয়ে দাও।” \p \v 49 তাই মোশি, লেবীয়দের দ্বারা মুক্ত ইস্রায়েলীদের থেকে যারা সংখ্যায় অতিরিক্ত ছিল, তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করলেন। \v 50 ইস্রায়েলী প্রথমজাত সন্তানের কাছ থেকে তিনি, পবিত্রস্থানের নিরূপিত শেকল অনুসারে, 1,365 শেকল\f + \fr 3:50 \fr*\ft প্রায় 16 কিলোগ্রাম\ft*\f* রুপো আদায় করলেন। \v 51 মোশি সেই মুক্তিপণ, হারোণ ও তার ছেলেদের দিয়ে দিলেন, যে রকম তিনি সদাপ্রভুর বাণীর মাধ্যমে আদেশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। \c 4 \s1 কহাতীয় গোষ্ঠী \p \v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 2 “লেবি গোষ্ঠীর অন্তর্গত, কহাৎ সন্তানদের, গোষ্ঠী ও বংশ অনুসারে জনগণনা করো। \v 3 যারা সমাগম তাঁবু সম্পর্কিত কাজ করার জন্য সমাগত হয়, ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক সেই পুরুষদের সংখ্যা গণনা করো। \p \v 4 “সমাগম তাঁবুতে কহাতীয়দের কাজকর্ম এই; অতি পবিত্র দ্রব্যসমূহের তত্ত্বাবধান। \v 5 যখন শিবির যাত্রা শুরু করবে, হারোণ ও তার ছেলেরা ভিতরে ঢেকে দেবে। তারা আচ্ছাদক-পর্দা নামিয়ে এনে, তা দিয়ে সাক্ষ্যের সিন্দুক আবৃত করবে। \v 6 তার উপরে তারা টেকসই চামড়ার আচ্ছাদন দেবে। এরপর তারা ঘন নীল রংয়ের এক বস্ত্রের আবরণ দিয়ে যথাস্থানে বহন-দণ্ড পরিয়ে দেবে। \p \v 7 “উপস্থিতির মেজের উপর তারা নীল রংয়ের বস্ত্র পাতবে, তার উপরে সমস্ত রেকাব, থালা ও বাটি এবং পেয়-নৈবেদ্য রাখার ঘটগুলি রাখবে। যে রুটি সতত সেই মেজের উপরে রাখা থাকে, তা যথারীতি থাকবে। \v 8 এই সমস্তের উপরে তারা এক উজ্জ্বল লাল রংয়ের বস্ত্র পাতবে ও টেকসই চামড়ার আচ্ছাদন দেবে এবং তার বহন-দণ্ড যথাস্থানে পরিয়ে দেবে। \p \v 9 “তারা একটি নীল রংয়ের বস্ত্র নিয়ে, দীপ্তিদানের উদ্দেশে যে দীপাধার, তা আবৃত করবে; সেই সঙ্গে তার প্রদীপগুলি, সলিতা-কাটা যন্ত্রগুলি, বারকোশ এবং তার প্রজ্বলনের উদ্দেশে দত্ত জলপাই তেলের পাত্রগুলি আবৃত করবে। \v 10 তারপর, তারা সেই দীপাধার ও তার সম্পর্কিত সমস্ত জিনিসের উপর টেকসই চামড়ার আচ্ছাদন দেবে এবং সেই সমস্ত তারা বহনকারী কাঠামোর উপরে রাখবে। \p \v 11 “স্বর্ণ-বেদির উপরে তারা নীল রংয়ের বস্ত্র পাতবে এবং টেকসই চামড়ার আচ্ছাদন দিয়ে তার বহন-দণ্ড যথাস্থানে পরিয়ে দেবে। \p \v 12 “পবিত্রস্থানে পরিচর্যার উদ্দেশে ব্যবহৃত সমস্ত পাত্র নিয়ে তারা নীল রংয়ের কাপড়ে জড়াবে; সেই সমস্তের উপরে টেকসই চামড়ার আচ্ছাদন দেবে এবং বহনকারী কাঠামোর উপরে রাখবে। \p \v 13 “তারা পিতলের বেদি থেকে সমস্ত ছাই বের করে দেবে। তার উপরে বেগুনি রংয়ের কাপড় পাতবে। \v 14 তার উপরে তারা বেদির উদ্দেশে ব্যবহৃত সমস্ত বাসনপত্র রাখবে, সমস্ত অঙ্গারধানী, ত্রিশূল, বেলচা, রক্ত ছিটানোর উদ্দেশে ব্যবহৃত বাটি সমূহ। এর উপরে তারা টেকসই চামড়ার আচ্ছাদন দেবে এবং তার বহন-দণ্ড যথাস্থানে পরাবে। \p \v 15 “হারোণ ও তার ছেলেরা সমস্ত পবিত্র আসবাব ও পবিত্র দ্রব্যসমূহ আবৃত করার পর, যখন ছাউনি যাবার উদ্দেশে অগ্রসর হবে, তখন কেবল কহাতীয়েরা বহন করার জন্য এগিয়ে আসবে। তারা কিন্তু পবিত্র দ্রব্যসকল স্পর্শ করবে না, নইলে মৃত্যুবরণ করবে। কহাতীয়েরা সমাগম তাঁবুর মধ্যে স্থিত দ্রব্যসকল বহন করবে। \p \v 16 “যাজক হারোণের ছেলে ইলীয়াসর, দীপ্তির জন্য তেলের, সুগন্ধি ধূপ, নিয়মিত শস্য-নৈবেদ্য ও অভিষেকের তেলের দায়িত্ব নেবে। সে সমস্ত পবিত্র আসবাব ও জিনিসপত্র সমাগম তাঁবু ও তার ভিতরের সমস্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক হবে।” \p \v 17 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 18 “দেখবে, যেন কহাতীয় গোষ্ঠীর বংশসমূহ, লেবীয় গোষ্ঠী থেকে উচ্ছিন্ন না হয়। \v 19 যখন তারা অতি পবিত্র দ্রব্যসমূহের নিকটবর্তী হয়, তারা যেন জীবিত থাকে, হত না হয়; তাদের জন্য এই কাজ করো, হারোণ ও তার ছেলেরা পবিত্রস্থানের ভিতরে যাবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কাজ এবং কোন দ্রব্য সে বহন করবে, তা নিরূপণ করবে। \v 20 কিন্তু কহাতীয়েরা অবশ্যই ভিতরে গিয়ে, এক মুহূর্তের জন্যও পবিত্র দ্রব্যসকল দেখবে না, নইলে তাদের মৃত্যু হবে।” \s1 গের্শোন গোষ্ঠী \p \v 21 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 22 “বংশ এবং গোষ্ঠী অনুসারে গের্শোনীয়দের জনগণনা করো, \v 23 সমাগম তাঁবুর কাজে যারা অংশগ্রহণ করে, ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক সেইসব পুরুষের সংখ্যা গণনা করো। \p \v 24 “গের্শোন গোষ্ঠীর সকলে, যখন তারা ভারবহন ও কাজ করে, তাদের কর্তব্য এরকম হবে। \v 25 তারা উপাসনা-তাঁবুর সব পর্দা, তার বাইরে টেকসই চামড়ার আচ্ছাদন, সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথের সব পর্দা, \v 26 উপাসনা-তাঁবু ও যজ্ঞবেদি পরিবেষ্টনকারী অঙ্গনের পর্দাসকল, প্রবেশপথের পর্দা, দড়ি সকল এবং পরিচর্যায় ব্যবহৃত সমস্ত উপকরণ বহন করবে। গের্শোনীয়েরা এসব দ্রব্য-সংক্রান্ত অথবা অন্যান্য যে কোনো কাজই হোক না কেন তা করতে হবে। \v 27 তাদের সমস্ত কাজ, বহন-সংক্রান্ত অথবা অন্যান্য যে কোনো কাজই হোক না কেন, সেই সমস্ত হারোণ এবং তার ছেলেদের নির্দেশে করতে হবে। তাদের দায়িত্বে যে সকল বহন করার কাজ থাকবে তা তুমি নির্দিষ্ট করে দেবে। \v 28 সমাগম তাঁবুর জন্য গের্শোনীয়দের কাজকর্ম এই। তাদের করণীয় কর্তব্য যাজক হারোণের ছেলে ঈথামরের নির্দেশ অনুসারে হবে। \s1 মরারি গোষ্ঠী \p \v 29 “মরারিদেরও তাদের গোষ্ঠী ও বংশ অনুসারে গণনা করো। \v 30 সমাগম তাঁবুর কাজে অংশগ্রহণের জন্য যারা সমাগত হয়, ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক সেই সমস্ত পুরুষের সংখ্যা গণনা করো। \v 31 সমাগম তাঁবুতে, তারা যখন কাজ করে, তাদের করণীয় কর্তব্য হবে এরকম; তারা উপাসনা-তাঁবুর কাঠামোর তক্তা সকল, তার অর্গলদণ্ড গুলি, খুঁটি ও পীঠসকল, \v 32 সেই সঙ্গে প্রাঙ্গণের পরিবেষ্টনকারী খুঁটি সকল, তাঁবুর গোঁজ, দড়ি, তাদের উপকরণ এবং ব্যবহার্য সমস্ত আনুষঙ্গিক দ্রব্য বহন করবে। বহনের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নির্দিষ্ট দ্রব্যসকল নিরূপণ কোরো। \v 33 সমাগম তাঁবু সম্পর্কিত কাজ করার সময় মরারি গোষ্ঠীর করণীয় কর্তব্য এই। তারা যাজক হারোণের ছেলে ঈথামরের নির্দেশে এই সমস্ত কাজ করবে।” \s1 লেবি গোষ্ঠীসমূহের জনগণনা \li1 \v 34 মোশি, হারোণ এবং সমাজের নেতারা, গোষ্ঠী ও বংশ অনুসারে কহাতীয়দের গণনা করলেন। \li2 \v 35 ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক সমস্ত পুরুষের, যারা সমাগম তাঁবুর কাজ করার জন্য সমাগত হল, \v 36 গোষ্ঠী অনুসারে তাদের গণিত সংখ্যা 2,750। \v 37 কহাতীয় গোষ্ঠীর যারা সমাগম তাঁবুর পরিচর্যা করত, সেই সমস্ত ব্যক্তির এই মোট সংখ্যা। মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভু যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে মোশি ও হারোণ তাদের গণনা করেছিলেন। \b \li1 \v 38 গের্শোনীয়েরা তাদের গোষ্ঠী এবং বংশ অনুসারে গণিত হয়েছিল। \li2 \v 39 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর, যারা সমাগম তাঁবুর কাজে অংশগ্রহণ করতে আসত, \v 40 তাদের গোষ্ঠী এবং বংশ অনুসারে গণিত জনসংখ্যা ছিল 2,630। \v 41 যারা সমাগম তাঁবু পরিচর্যা করত, সেই গের্শোনীয়দের এই ছিল মোট জনসংখ্যা। সদাপ্রভুর আদেশমতো মোশি ও হারোণ তাদের গণনা করেছিলেন। \b \li1 \v 42 মরারিদের তাদের গোষ্ঠী ও বংশ অনুসারে গণনা করা হয়েছিল। \li2 \v 43 সমস্ত পুরুষ যাদের বয়স ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর, যারা সমাগম তাঁবুর কাজে অংশগ্রহণ করতে আসত, \v 44 গোষ্ঠী অনুসারে তাদের গণিত সংখ্যা ছিল 3,200। \v 45 মরারি গোষ্ঠীর এই ছিল মোট সংখ্যা। সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুসারে মোশি ও হারোণ তাদের গণনা করেছিলেন। \b \li4 \v 46 এইভাবে মোশি, হারোণ এবং ইস্রায়েলের নেতারা, সমস্ত লেবীয়দের, তাদের গোষ্ঠী ও বংশ অনুসারে গণনা করেছিলেন। \v 47 ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক সমস্ত পুরুষ যারা পরিচর্যার ও সমাগম তাঁবু বহনের জন্য আসত, \v 48 তাদের গণিত সংখ্যা হয়েছিল 8,580। \v 49 মোশির মাধ্যমে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাদের প্রত্যেকজনকে তার কাজ ও বহনীয় দ্রব্যসামগ্রী নিরূপণ করা হয়েছিল। \b \p এইভাবে তাদের মোট সংখ্যা গণিত হয়েছিল, যে রকম সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \c 5 \s1 শিবিরের পবিত্রতা \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের আদেশ দাও যেন তারা সংক্রামক চর্মরোগী বা প্রমেহী অথবা শবের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি ব্যক্তিকে ছাউনি থেকে বহিষ্কার করে। \v 3 পুরুষ ও স্ত্রী নির্বিশেষে, তারা তাদের বহিষ্কার করবে। তাদের ছাউনির বাইরে পাঠাতে হবে যেন যে শিবিরে আমি তাদের মধ্যে অবস্থান করি, সেই শিবির কলুষিত না হয়।” \v 4 ইস্রায়েলীরা সেইরকমই করল; তারা তাদের ছাউনির বাইরে পাঠিয়ে দিল। সদাপ্রভু যে রকম মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তারা ঠিক সেই কাজ করল। \s1 অন্যায়ের জন্য ক্ষতিপূরণ \p \v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 6 “ইস্রায়েলীদের বলো, ‘যখন কোনো পুরুষ বা স্ত্রী, অন্য কোনো ব্যক্তির প্রতি কোনও ধরনের অন্যায় আচরণ করে এবং সে সদাপ্রভুর কাছে অবিশ্বস্ত প্রতিপন্ন হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি অপরাধী সাব্যস্ত হবে। \v 7 সে তার কৃত পাপস্বীকার করবে। তার অন্যায়ের জন্য সে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেবে, তার সঙ্গে এক-পঞ্চমাংশ বেশি যোগ করবে এবং যার বিরুদ্ধে সে অন্যায় করেছে, সেই ব্যক্তিকে তার সমস্তটাই দেবে। \v 8 যদি সেই ব্যক্তির কোনো নিকটাত্মীয় না থাকে, যাকে সেই অন্যায়ের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে, তাহলে তা সদাপ্রভুর অধিকারভুক্ত হবে। তার জন্য কৃত প্রায়শ্চিত্তের মেষের সঙ্গে সেইসব অবশ্যই যাজককে দিতে হবে। \v 9 যাজকের কাছে ইস্রায়েলীদের দ্বারা আনীত সমস্ত পবিত্র উপহার, তাদেরই অধিকারস্বরূপ হবে। \v 10 প্রত্যেক ব্যক্তির পবিত্র দানসকল তার নিজস্ব হলেও, যে সমস্ত সে যাজকের কাছে নিবেদন করে তা যাজকেরই হবে।’ ” \s1 অবিশ্বস্ত স্ত্রীর পরীক্ষা \p \v 11 তারপর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 12 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে আলাপ করে তাদের বলো, ‘যদি কারোর স্ত্রী বিপথগামী ও তার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়, \v 13 অন্য পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে এবং সেই বিষয় তার স্বামীর নিকট গুপ্ত থাকে, তার অশুদ্ধতা অনাবিষ্কৃত থেকে যায় (যেহেতু তার বিপক্ষে কোনো সাক্ষী নেই, অথবা সেই কাজ কারোর দৃষ্টিগোচর হয়নি), \v 14 যদি তার স্বামী ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে সন্দেহ করে এবং সে অশুচি হয় অথবা যদি ঈর্ষান্বিত হয়ে স্ত্রীকে সন্দেহ করলেও যদিও সে অশুচি না হয়ে থাকে, \v 15 সে তার স্ত্রীকে যাজকের কাছে নিয়ে যাবে। সে অবশ্যই তার স্ত্রীর তরফে, এক ঐফার এক-দশমাংশ যবের ময়দা নৈবেদ্যরূপে নিয়ে আসবে। সে তার উপরে জলপাই তেল দেবে না, বা ধূপ নিবেদন করবে না, কারণ এই শস্য-নৈবেদ্য ঈর্ষাজনিত কারণে আনীত, যা অপরাধ চিহ্নিতকরণের অভিপ্রায়ে আনা স্মরণার্থক দানস্বরূপ। \p \v 16 “ ‘যাজক সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড় করাবে। \v 17 তারপর সে একটি মাটির পাত্রে সামান্য পবিত্র জল নেবে এবং উপাসনা-তাঁবুর মেঝে থেকে একটু ধুলো নিয়ে ওই জলের মধ্যে দেবে। \v 18 যাজক সেই স্ত্রীকে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড় করিয়ে তার চুল খুলে দেবে ও তার হাতে স্মারক নৈবেদ্য, অর্থাৎ ঈর্ষাজনিত শস্য-নৈবেদ্য দেবে। সে কিন্তু ওই তিক্ত জল নিজের হাতে ধারণ করবে, যা শাপ বহন করে আনবে। \v 19 তারপর যাজক সেই স্ত্রীকে শপথ করিয়ে বলবে, “যদি কোনো পুরুষ তোমার সঙ্গে শয়ন না করে থাকে, তুমি যদি ভ্রষ্টা না হয়ে থাকো এবং যদি তোমার স্বামীর সঙ্গে বিবাহিত হয়েছ, তাই যদি অশুচি না হয়ে থাকো, তাহলে এই তিক্ত জল যা শাপ বহন করে আনে, তা তোমার ক্ষতি না করুক। \v 20 কিন্তু তোমার স্বামীর সঙ্গে সম্মিলিত হলেও যদি তুমি ভ্রষ্টা হয়ে থাকো এবং তোমার স্বামী ছাড়াও অন্য ব্যক্তির সঙ্গে শয়ন করে কলুষিত হয়ে থাকো,” \v 21 এখানে যাজক, সেই স্ত্রীকে শপথের এই শাপের অধীনে নিয়ে আসবে, “তাহলে সদাপ্রভু তাই করুন যেন তোমার জনগোষ্ঠী তোমাকে অভিশাপ দেয় ও প্রকাশ্যে তোমার নিন্দা করে এবং তিনি তোমার ঊরুদেশ নিশ্চল ও উদর স্ফীত করুন। \v 22 এই অভিশপ্ত জল তোমার মধ্যে প্রবেশ করে তোমার উদর স্ফীত ও ঊরুদেশ নিশ্চল করুক।” \p “ ‘তখন স্ত্রীলোকটিকে বলতে হবে, “আমেন, হ্যাঁ তাই হোক।” \p \v 23 “ ‘যাজক এই শাপের বাণীগুলি একটি গোটান পুঁথিতে লিখে ওই তিক্ত জলে সেই লেখা ধুয়ে ফেলবে। \v 24 সে স্ত্রীলোকটিকে ওই তিক্ত জলপান করাবে, যা শাপ বহন করে আনবে এবং সেই জল তার উদরে প্রবেশ করে দুঃসহ যন্ত্রণা সৃষ্টি করবে। \v 25 যাজক তার হাত থেকে ঈর্ষাজনিত শস্য-নৈবেদ্য গ্রহণ করে সদাপ্রভুর অভিমুখে দোলাবে এবং যজ্ঞবেদির কাছে নিয়ে আসবে। \v 26 তারপর যাজক পূর্ণ একমুঠো ওই শস্য-নৈবেদ্য নিয়ে স্মারক নৈবেদ্যরূপে বেদিতে পোড়াবে; তারপর সে, সেই স্ত্রীকে ওই জলপান করাবে। \v 27 যদি সে নিজেকে কলুষিত করে থাকে এবং তার স্বামীর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে থাকে, তাহলে সে যখন শাপবাহী ওই জলপান করবে, সেটি তার উদরে প্রবেশ করে দুঃসহ যন্ত্রণা সৃষ্টি করবে; তার উদর স্ফীত হবে ও ঊরুদেশ নিশ্চল হয়ে যাবে। সে তার গোষ্ঠীর মধ্যে অভিশপ্ত প্রতিপন্ন হবে। \v 28 কিন্তু যদি সেই স্ত্রী নিজেকে অশুচি না করে থাকে এবং নিষ্কলুষ থাকে, তাহলে সে অপরাধ মুক্ত হবে এবং সন্তানের জন্ম দিতে সক্ষম হবে। \p \v 29 “ ‘এই হবে ঈর্ষাপরায়ণতার বিধি, যখন কোনো স্ত্রীলোক ভ্রষ্টাচারী এবং তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহিতা হলেও অশুচি হয়। \v 30 অথবা যখন কোনো ব্যক্তির মনে ঈর্ষার মনোভাব জাগে ও সে তার স্ত্রীর প্রতি সন্ধিগ্ধমনা হয়। যাজক সদাপ্রভুর কাছে তার অবস্থান যাচাই করে দেখবে এবং এই সম্পূর্ণ বিধি তার উপরে প্রয়োগ করবে। \v 31 কৃত কোনও অন্যায় কাজের জন্য স্বামী নির্দোষ প্রতিপন্ন হবে, কিন্তু সেই স্ত্রীলোকটি তার পাপের পরিণতি ভোগ করবে।’ ” \c 6 \s1 নাসরীয় ব্যক্তি \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে আলাপ করে তাদের বলো, ‘যদি কোনো পুরুষ বা স্ত্রী বিশেষ মানত রাখতে চায়, অর্থাৎ নাসরীয় হিসেবে সদাপ্রভুর উদ্দেশে পৃথক থাকার মানত, \v 3 তাহলে সে দ্রাক্ষারস; অথবা অন্য উত্তেজক পানীয় পান করা থেকে নিবৃত্ত থাকবে; সে দ্রাক্ষারস অথবা অন্য উত্তেজক পানীয় থেকে প্রস্তুত সিরকাও পান করবে না। দ্রাক্ষার রস সে অবশ্যই পান করবে না, দ্রাক্ষা বা কিশমিশ খাবে না। \v 4 যতদিন পর্যন্ত সে নাসরীয় থাকে, দ্রাক্ষালতা থেকে উৎপন্ন কোনো কিছুই, এমনকি তার বীজ বা খোসাও সে আহার করবে না। \p \v 5 “ ‘তার পৃথক থাকার নাসরীয় মানতের সম্পূর্ণ পর্যায়ে মাথায় ক্ষুর ব্যবহার করা হবে না। সদাপ্রভুর উদ্দেশে পৃথক থাকার সম্পূর্ণ পর্যায় সে অবশ্যই পবিত্র থাকবে। সে তার চুলের বৃদ্ধি ঘটতে দেবে। \p \v 6 “ ‘সদাপ্রভুর উদ্দেশে পৃথক থাকার সম্পূর্ণ পর্যায়ে সে কোনো শবের কাছে যাবে না। \v 7 যদি তার বাবা, মা, ভাই, বা বোন কেউ মারা যায়, তাদের জন্য সে নিজেকে কোনোভাবে অশুচি করবে না, কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত থাকার প্রতীক তার মাথায় আছে, \v 8 তাদের উৎসর্গীকরণের সমস্ত সময় তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র থাকবে। \p \v 9 “ ‘যদি কেউ তার সান্নিধ্যে হঠাৎ প্রাণত্যাগ করে ও পরিণামে তার উৎসর্গিত চুল অশুচি হয়, তাহলে শুদ্ধকরণের দিন, অর্থাৎ সপ্তম দিনে সে তার মাথা নেড়া করবে। \v 10 তারপর অষ্টম দিনে সে দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোত সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে যাজকের কাছে নিয়ে আসবে। \v 11 যাজক তার একটি পাপার্থে ও অন্যটি হোমার্থক বলিরূপে উৎসর্গ করে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে, কারণ সে শবের সংস্পর্শে এসে পাপ করেছে। সেদিনই তার মাথার শুদ্ধায়ন করতে হবে। \v 12 স্বতন্ত্র থাকা পূর্ণ পর্যায়ে সে অবশ্যই সদাপ্রভুর নিকট উৎসর্গ করবে এবং তার অপরাধের নৈবেদ্যস্বরূপ একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক নিয়ে আসবে। পূর্বকালীন দিন সমূহ আর গণিত হবে না কারণ তার পৃথকস্থিতির সময় সে অশুচি হয়েছিল। \p \v 13 “ ‘যখন স্বতন্ত্র থাকার পর্যায় সমাপ্ত হবে, তখন নাসরীয় ব্যক্তির করণীয় বিধি হবে এইরকম। তাকে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে নিয়ে আসতে হবে। \v 14 সেই স্থানে সে তার উপহার সদাপ্রভুর কাছে নিয়ে আনবে। হোম-নৈবেদ্যর জন্য ক্রুটিহীন একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক, পাপার্থক বলির জন্য নিখুঁত একটি এক বর্ষীয় মাদি মেষশাবক, মঙ্গলার্থক বলিদানের জন্য একটি নিখুঁত মেষ; \v 15 এর সঙ্গে তাদের শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য, এক ঝুড়ি খামিরবিহীন রুটি, জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় প্রস্তুত পিঠে ও জলপাই তেলে ভিজানো পাতলা রুটি। \p \v 16 “ ‘যাজক সেই সমস্ত নৈবেদ্য সদাপ্রভুর সামনে নিয়ে আসবে এবং পাপার্থক বলি ও হোম-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। \v 17 সে খামিরবিহীন রুটির চুপড়ির সঙ্গে একটি মেষ মঙ্গলার্থক বলিরূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করবে, তার সঙ্গে শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্যও নিবেদন করবে। \p \v 18 “ ‘তারপর, সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে, সেই নাসরীয় ব্যক্তি তার উৎসর্গিত চুল মুণ্ডন করবে। সেই চুল নিয়ে সে মঙ্গলার্থক বলির উপকরণের সঙ্গে আগুনে নিক্ষেপ করবে। \p \v 19 “ ‘নাসরীয় ব্যক্তির উৎসর্গিত হওয়ার প্রতীকরূপ চুল মুণ্ডনের পর, যাজক তার হাতে মেষের সিদ্ধ করা একটি কাঁধ, খামিরবিহীন তৈরি করা একটি পিঠে ও একটি পাতলা রুটি দেবে। \v 20 তারপর যাজক সেই সমস্ত নিয়ে দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে সদাপ্রভুর অভিমুখে দোলাবে; পবিত্র সেই দ্রব্যগুলি, দোলানো বক্ষের ও নিবেদিত ঊরুর সঙ্গে সবকিছুই যাজকের প্রাপ্য হবে। এরপরে নাসরীয় ব্যক্তি সুরা পান করতে পারে। \p \v 21 “ ‘নাসরীয় ব্যক্তি সম্পর্কিত বিধি এরকম যে সদাপ্রভুর কাছে নৈবেদ্যর মানত করে, তার পৃথকস্থিতির বিধি অনুসারে, এই সমস্ত দ্রব্য ছাড়তে অতিরিক্ত যে সমস্ত উপহার সে দিতে সমর্থ হয়, দিতে পারে। নাসরীয় বিধি অনুসারে, তার মানত সে অবশ্যই পূর্ণ করবে।’ ” \s1 যাজকীয় আশীর্বাদ \p \v 22 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 23 “হারোণ এবং তার ছেলেদের বলো, ‘তোমরা এইভাবে ইস্রায়েলীদের আশীর্বাদ করবে। তাদের বোলো \q1 \v 24 “ ‘ “সদাপ্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করুন \q2 ও তোমাদের রক্ষা করুন; \q1 \v 25 সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি প্রসন্ন-মুখ হোন \q2 ও তোমাদের প্রতি সদয় হোন; \q1 \v 26 সদাপ্রভু তোমাদের প্রতি তার মুখ ফেরান \q2 ও তোমাদের শান্তি দিন।” ’ \p \v 27 “এইভাবে তারা ইস্রায়েলীদের উপর আমার নাম স্থাপন করবে ও আমি তাদের আশীর্বাদ করব।” \c 7 \s1 উপাসনা-তাঁবু উৎসর্গের উপহার \p \v 1 মোশি উপাসনা-তাঁবু স্থাপনের কাজ সমাপ্ত করার পর তিনি সেই তাঁবু ও তার সমস্ত আসবাবপত্র অভিষেক ও উৎসর্গ করলেন। তিনি যজ্ঞবেদি ও তার সমস্ত বাসনপত্রও অভিষেক ও উৎসর্গ করলেন। \v 2 পরে ইস্রায়েলের নেতৃবৃন্দ, গোষ্ঠীসমূহের মুখ্য ব্যক্তিরা, যাঁরা গণিত ব্যক্তিদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন, তাঁরা নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \v 3 তাঁরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে উপহারস্বরূপ আচ্ছাদন যুক্ত ছয়টি শকট ও বারোটি ষাঁড়, প্রত্যেক নেতার পক্ষে একটি করে ষাঁড় এবং একটি শকট প্রত্যেক দুজনের জন্য এনে আবাস তাঁবুর সামনে উপস্থিত করলেন। \p \v 4 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 5 “এই সমস্ত তাদের কাছ থেকে গ্রহণ করো যেন সেগুলি সমাগম তাঁবুর কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রয়োজন অনুসারে সেই সমস্ত লেবীয়দের দান করো।” \p \v 6 মোশি সেইসব শকট ও ষাঁড়গুলি নিয়ে লেবীয়দের দান করলেন। \v 7 তিনি গের্শোনীয়দের কাজের চাহিদা অনুসারে দুটি শকট ও চারটি ষাঁড় দিলেন। \v 8 আবার মরারীয়দের কাজের চাহিদা অনুসারে তিনি তাদের চারটি শকট ও আটটি ষাঁড় দিলেন। তারা সবাই যাজক হারোণের ছেলে ঈথামরের নির্দেশের অধীন ছিল। \v 9 মোশি কিন্তু কহাতীয়দের কিছু দিলেন না, কারণ পবিত্র দ্রব্যসমূহ তাদের কাঁধে করে বহন করতে হত। এই কাজের জন্য তারাই ছিল দায়ী। \p \v 10 যজ্ঞবেদি অভিষিক্ত হওয়ার পর, তা উৎসর্গ করার জন্য নেতৃবর্গ নৈবেদ্য নিয়ে এসে, যজ্ঞবেদির সামনে রাখলেন। \v 11 কারণ সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন, “প্রত্যেকদিন এক একজন নেতা যজ্ঞবেদি উৎসর্গের জন্য তার নৈবেদ্য নিয়ে আসবে।” \b \li4 \v 12 প্রথম দিন, যিনি তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন, তিনি যিহূদা গোষ্ঠীর অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন। \li1 \v 13 তাঁর উপহারের মধ্যে ছিল, \li2 130 শেকল\f + \fr 7:13 \fr*\ft প্রায় 1.5 কিলোগ্রাম\ft*\f* ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল\f + \fr 7:13 \fr*\ft প্রায় 800 গ্রাম\ft*\f* ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেল মিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 14 দশ শেকল\f + \fr 7:14 \fr*\ft প্রায় 800 গ্রাম\ft*\f* পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 15 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 16 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল, \li2 \v 17 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ পাঁচটি ছাগল, ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল অম্মীনাদবের ছেলে নহশোনের উপহার। \b \li4 \v 18 দ্বিতীয় দিন, ইষাখর গোষ্ঠীর নেতা, সূয়ারের ছেলে নথনেল তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \li1 \v 19 যে উপহার সে নিয়ে এল, \li2 তার মধ্যে ছিল, 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 20 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 21 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 22 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল, \li2 \v 23 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল সূয়ারের ছেলে নথনেলের উপহার। \b \li4 \v 24 তৃতীয় দিনে, সবূলূন গোষ্ঠীর নেতা, হেলোনের ছেলে ইলীয়াব তাঁর উপহার নিয়ে এলেন। \li1 \v 25 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 26 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ সোনার থালা; \li2 \v 27 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 28 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল; \li2 \v 29 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল হেলোনের ছেলে ইলীয়াবের উপহার। \b \li4 \v 30 চতুর্থ দিন, রূবেণ গোষ্ঠীর নেতা, শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর, তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন, \li1 \v 31 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 32 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 33 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 34 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল, \li2 \v 35 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূরের উপহার। \b \li4 \v 36 পঞ্চম দিন, শিমিয়োন গোষ্ঠীর নেতা, সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল, তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \li1 \v 37 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 38 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 39 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 40 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল; \li2 \v 41 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েলের উপহার। \b \li4 \v 42 ষষ্ঠ দিন, গাদ গোষ্ঠীর নেতা, দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ, তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন, \li1 \v 43 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 44 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 45 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 46 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল; \li2 \v 47 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফের উপহার। \b \li4 \v 48 সপ্তম দিন, ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর নেতা, অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা, তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \li1 \v 49 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 50 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 51 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 52 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল; \li2 \v 53 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামার উপহার। \b \li4 \v 54 অষ্টম দিনে, মনঃশি গোষ্ঠীর নেতা, পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল, তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \li1 \v 55 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 56 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 57 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 58 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল, \li2 \v 59 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েলের উপহার। \b \li4 \v 60 নবম দিনে, বিন্যামীন গোষ্ঠীর নেতা, গিদিয়োনির ছেলে অবীদান তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \li1 \v 61 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 62 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 63 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 64 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল, \li2 \v 65 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল গিদিয়োনির ছেলে অবীদানের উপহার। \b \li4 \v 66 দশম দিনে, দান গোষ্ঠীর নেতা, অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর; তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \li1 \v 67 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকলের ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 68 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 69 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 70 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল, \li2 \v 71 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষরের উপহার। \b \li4 \v 72 একাদশ দিনে, আশের গোষ্ঠীর নেতা, অক্রণের পুত্র পগীয়েল তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \li1 \v 73 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকলের ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 74 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 75 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 76 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল, \li2 \v 77 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি মেষ, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল অক্রণের পুত্র পগীয়েলের উপহার। \b \li4 \v 78 দ্বাদশ দিনে, নপ্তালি গোষ্ঠীর নেতা, ঐননের পুত্র অহীরঃ, তাঁর নৈবেদ্য নিয়ে এলেন। \li1 \v 79 তাঁর উপহার ছিল, \li2 130 শেকল ওজনের একটি রুপোর থালা, একটি সত্তর শেকল ওজনের রুপোর বাটি, উভয়েরই পরিমাপ পবিত্রস্থানের শেকলের মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল। তার প্রত্যেকটি শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দায় পূর্ণ ছিল। \li2 \v 80 দশ শেকল পরিমিত, ধূপে পূর্ণ একটি সোনার থালা; \li2 \v 81 হোম-নৈবেদ্যের জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও একটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক; \li2 \v 82 পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল, \li2 \v 83 এবং মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য দুটি ষাঁড়, পাঁচটি ছাগল ও পাঁচটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \li4 এই ছিল ঐননের পুত্র অহীরঃর উপহার। \b \li1 \v 84 যজ্ঞবেদি অভিষেক করার পর, তা উৎসর্গ করার জন্য এই সমস্ত ছিল ইস্রায়েলী নেতাদের নৈবেদ্য; \li2 বারোটি রুপোর থালা, বারোটি রুপোর বাটি ও বারোটি সোনার থালা। \v 85 প্রত্যেকটি রুপোর থালার ওজন ছিল 130 শেকল এবং প্রত্যেক রুপোর বাটি সত্তর শেকল। রুপোর পাত্রগুলির সর্বমোট ওজন পবিত্রস্থানের শেকল অনুসারে, 2,400 শেকল\f + \fr 7:85 \fr*\ft প্রায় 28 কিলোগ্রাম\ft*\f* \v 86 ধূপে পূর্ণ বারোটি সোনার থালা, পবিত্রস্থানের শেকলের অনুসারে প্রত্যেকটির ওজন দশ শেকল। সোনার থালিগুলির সর্বমোট ওজন 120 শেকল\f + \fr 7:86 \fr*\ft প্রায় 1.4 কিলোগ্রাম\ft*\f*। \li2 \v 87 হোম-নৈবেদ্যর জন্য আনীত সমস্ত পশুর সংখ্যা, বারোটি এঁড়ে বাছুর, বারোটি মেষ ও বারোটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক এবং তাদের পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য। পাপার্থক বলির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল বারোটি ছাগল। \li2 \v 88 মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের জন্য সর্বমোট পশুর সংখ্যা ছিল চব্বিশটি ষাঁড়, ষাটটি মেষ, ষাটটি ছাগল ও ষাটটি এক বর্ষীয় মেষশাবক। \b \li4 যজ্ঞবেদি অভিষিক্ত হওয়ার পর এই সমস্ত ছিল উৎসর্গ করার নৈবেদ্য। \b \p \v 89 যখন মোশি সমাগম তাঁবুর ভিতরে সদাপ্রভুর সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রবেশ করলেন, তিনি সাক্ষ্য-সিন্দুকের উপরে পাপাবরণের ঊর্ধ্বে অবস্থিত দুই করূবের মধ্যস্থল থেকে তাঁর রব শুনতে পেলেন। এভাবে সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে কথা বললেন। \c 8 \s1 প্রদীপ প্রতিষ্ঠা \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “তুমি হারোণের সঙ্গে আলাপ করে তাকে বলো, ‘তুমি যখন সপ্ত-প্রদীপ প্রতিষ্ঠা করবে, তখন সেগুলি যেন দীপাধারের সামনের দিকে আলো দেয়।’ ” \p \v 3 হারোণ সেইমতো করলেন; তিনি প্রদীপগুলি স্থাপন করে, সেগুলির মুখ দীপাধারের সামনের দিকে রাখলেন, যে রকম সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \v 4 দীপাধার এইভাবে নির্মিত হয়েছিল; এর নিচ থেকে ফুল পর্যন্ত, সমস্ত অংশই সোনা পিটিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সদাপ্রভু মোশিকে যেমন নমুনা দেখিয়েছিলেন, দীপাধার ঠিক সেইরকম নির্মিত হয়েছিল। \s1 লেবীয় গোষ্ঠীর পৃথকীকরণ \p \v 5 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 6 “অন্য ইস্রায়েলীদের মধ্য থেকে লেবীয়দের নিয়ে, তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে শুদ্ধ করো। \v 7 তাদের শুদ্ধকরণের জন্য এই কাজ করো, তাদের উপর শুদ্ধকরণের জল সেচন করো; তারা সমস্ত শরীরের লোম ক্ষৌরি করে, জলে তাদের পোশাক ধুয়ে ফেলুক ও এইভাবে নিজেদের শুচি করুক। \v 8 শস্য-নৈবেদ্যস্বরূপ জলপাই তেলমিশ্রিত মিহি ময়দা সমেত তারা একটি এঁড়ে বাছুর নেবে; তারপর পাপার্থক বলির জন্য তুমি দ্বিতীয় একটি এঁড়ে বাছুর নেবে। \v 9 লেবীয়দের সমাগম তাঁবুর সামনের দিকে আনবে এবং সমস্ত ইস্রায়েলী সমাজকে একত্র করবে। \v 10 তুমি লেবীয়দের সদাপ্রভুর সামনে নিয়ে আসবে এবং ইস্রায়েলীরা তাদের উপরে হাত রাখবে। \v 11 হারোণ ইস্রায়েলীদের দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে লেবীয়দের সদাপ্রভুর সামনে নিবেদন করবে, যেন তারা সদাপ্রভুর কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়। \p \v 12 “লেবীয়েরা ওই এঁড়ে বাছুরের উপর হাত রাখার পর, সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাদের একটি পাপার্থক বলিরূপে, অন্যটি হোমবলিরূপে উৎসর্গ করবে, যেন লেবীয়দের জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধিত হয়। \v 13 হারোণ ও তার ছেলেদের সামনে লেবীয়েরা দাঁড় করাবে। তারপর, সদাপ্রভুর অভিমুখে দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে তাদের নিবেদন করবে। \v 14 এইভাবে, অন্য ইস্রায়েলীদের থেকে তুমি লেবীয়দের পৃথক করবে। লেবীয়দের সকলে আমারই হবে। \p \v 15 “লেবীয়দের শুদ্ধ করে, তুমি তাদের দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে নিবেদন করার পর, তারা সমাগম তাঁবুতে তাদের সেবাকাজ করতে আসবে। \v 16 ইস্রায়েলীদের মধ্যে শুধু তারাই সম্পূর্ণরূপে আমাকে দত্ত হবে। আমি প্রথমজাতদের, প্রত্যেক ইস্রায়েলী স্ত্রীর প্রথম পুরুষ-সন্তানের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব স্বত্ব বলে গ্রহণ করেছি। \v 17 মানুষ অথবা পশু, ইস্রায়েলের সমস্ত প্রথমজাত পুরুষ আমার। মিশরে যখন আমি সমস্ত প্রথমজাত প্রাণীকে নিধন করি, আমি তাদের নিজের জন্য স্বতন্ত্র করে রেখেছিলাম। \v 18 তারপর আমি সমস্ত ইস্রায়েলী প্রথমজাত সন্তানের পরিবর্তে লেবীয়দের গ্রহণ করেছি। \v 19 সমস্ত ইস্রায়েলীর মধ্য থেকে, আমি হারোণ ও তার ছেলেদের, লেবীয়দের দান করেছি, যেন তারা সমস্ত ইস্রায়েলীর পক্ষে সমাগম তাঁবুর কাজ করে, তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করে, যেন তারা যখন পবিত্রস্থানের অভিমুখী হয়, তখন কোনো মহামারি ইস্রায়েলীর আঘাত না করে।” \p \v 20 মোশি, হারোণ এবং সমস্ত ইস্রায়েল সম্প্রদায়, লেবীয় গোষ্ঠীকে নিয়ে সেরকম করলেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \v 21 লেবীয়েরা নিজেদের শুদ্ধ করে তাদের পোশাক ধুয়ে ফেলল। তখন হারোণ সদাপ্রভুর সামনে দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে তাদের নিবেদন করলেন ও তাদের শুদ্ধ করার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন। \v 22 তারপর লেবীয়েরা, হারোণ ও তার ছেলেদের তত্ত্বাবধানে, সমাগম তাঁবুর কাজ করার জন্য উপস্থিত হল। তাঁরা লেবীয়দের নিয়ে সেরকম কাজ করলেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 23 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 24 “এই কথা লেবীয়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, পঁচিশ বছর বা তারও বেশি বয়স্ক পুরুষেরা, সমাগম তাঁবুর কাজে অংশগ্রহণ করতে আসবে, \v 25 কিন্তু পঞ্চাশ বছর বয়স হলে তারা সেবাকাজ থেকে অবসর নেবে ও আর কোনো কাজ করবে না। \v 26 তারা সমাগম তাঁবুর কাজে, তাদের ভাইদের সহায়ক হবে, কিন্তু তারা নিজেরা কোনো কাজ করবে না। এইভাবে তুমি লেবীয়দের দায়িত্ব নিরূপণ করবে।” \c 9 \s1 নিস্তারপর্ব \p \v 1 মিশর থেকে বের হয়ে আসার পর, দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসে, সদাপ্রভু সীনয় মরুভূমিতে মোশির সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীরা নিরূপিত সময়ে নিস্তারপর্ব পালন করুক। \v 3 নির্দিষ্ট সময়ে, অর্থাৎ এই মাসের চতুর্দশ দিনের সন্ধ্যাবেলায়, সমস্ত বিধিনিয়ম অনুসারে, তারা তা সম্পন্ন করুক।” \p \v 4 মোশি তখন ইস্রায়েলীদের নিস্তারপর্ব পালন করতে বললেন। \v 5 তারা সীনয় মরুভূমিতে, প্রথম মাসের চতুর্দশ দিনের সন্ধ্যাবেলায় তা সম্পন্ন করল। ইস্রায়েলীরা ঠিক তাই করল, যে রকম সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 6 কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন একটি মৃতদেহ স্পর্শ করায় আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি হয়েছিল। তাই তারা সেইদিন নিস্তারপর্ব পালন করতে পারেনি। তারা সেদিনই মোশি ও হারোণের কাছে এল \v 7 এবং মোশিকে বলল, “আমরা একটি মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়েছি; তা সত্ত্বেও, অন্য ইস্রায়েলীদের সঙ্গে, নিরূপিত সময়ে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে নৈবেদ্য আনতে আমরা কেন বঞ্চিত হব?” \p \v 8 মোশি তাদের উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু তোমাদের সম্পর্কে কী আদেশ দেন, আমি তা জেনে আসা অবধি, তোমরা অপেক্ষা করো।” \p \v 9 সদাপ্রভু তখন মোশিকে বললেন, \v 10 “তুমি ইস্রায়েলীদের বলো, ‘যখন তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি বা তার বংশধরদের কেউ, শবজনিত কারণে অশুচি হয়, অথবা ভ্রমণপথে দূরে থাকে, তারা তা সত্ত্বেও, সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব পালন করতে পারবে। \v 11 তারা দ্বিতীয় মাসের চতুর্দশ দিনের সন্ধ্যেবেলা সেই পর্ব সম্পন্ন করবে। খামিরবিহীন রুটি ও তিক্ত শাকের সঙ্গে তারা সেই মেষশাবক আহার করবে। \v 12 তার কোনো কিছুই তারা সকাল পর্যন্ত রাখবে না, বা তার কোনো অস্থি ভঙ্গ করবে না। তারা যখন নিস্তারপর্ব পালন করবে, তখন তার সমস্ত বিধিনিয়ম অনুসরণ করবে। \v 13 কিন্তু, যদি কোনো ব্যক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে শুচি থাকে, ভ্রমণপথে না থাকে, অথচ নিস্তারপর্ব পালন না করে, সেই ব্যক্তিকে, তার গোষ্ঠী থেকে অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে। কারণ, সে নির্দিষ্ট সময়ে সদাপ্রভুর নৈবেদ্য নিবেদন করেনি। সেই ব্যক্তি তার পাপের পরিণতি ভোগ করবে। \p \v 14 “ ‘তোমাদের মধ্যে কোনো প্রবাসী, কোনো বিদেশি ব্যক্তি যদি সদাপ্রভুর নিস্তারপর্ব পালন করতে ইচ্ছুক হয়, সমস্ত বিধিনিয়ম অনুসরণ করে সে তা অবশ্য করবে। বিদেশি ব্যক্তি হোক অথবা স্বদেশ জাত, প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।’ ” \s1 আবাস তাঁবুর ঊর্ধ্বস্থ মেঘ \p \v 15 যেদিন আবাস তাঁবু, অর্থাৎ সাক্ষ্যের তাঁবু স্থাপিত হল, মেঘ তা আবৃত করল। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত, আবাস তাঁবুর ঊর্ধ্বস্থ মেঘ, অগ্নিসদৃশ প্রত্যক্ষ হল। \v 16 সেইরকমই নিত্য হত, মেঘ তা আবৃত করত এবং রাত্রিবেলা সেই মেঘ অগ্নিসদৃশ তা প্রত্যক্ষ হত। \v 17 যখনই মেঘ তাঁবুর উপর থেকে সরে যেত, ইস্রায়েলীরা যাত্রা শুরু করত। যেখানে মেঘ সুস্থির হত, ইস্রায়েলীরা ছাউনি স্থাপন করত। \v 18 সদাপ্রভুর আদেশে ইস্রায়েলীরা যাত্রা শুরু করত এবং তাঁর আদেশেই তারা ছাউনি স্থাপন করত। যতক্ষণ পর্যন্ত মেঘ আবাস তাঁবুর উপরে নিশ্চল থাকত, তারা ছাউনিতে অবস্থান করত। \v 19 যখন মেঘ দীর্ঘ সময় ধরে আবাস তাঁবুর উপরে অবস্থান করত, ইস্রায়েলীরা সদাপ্রভুর আদেশ পালন করে যাত্রা করত না। \v 20 কোনো কোনো সময় আবাস তাঁবুর উপর মেঘ কয়েক দিন অবস্থিতি করত; সদাপ্রভুর আদেশে তারা ছাউনি স্থাপন করত এবং তাঁর আদেশক্রমেই তারা যাত্রা শুরু করত। \v 21 কোনো কোনো সময় মেঘ কেবলমাত্র সন্ধ্যেবেলা থেকে সকাল পর্যন্ত অবস্থান করত। যখন সকালবেলায় তা উন্নীত হত, তারা যাত্রা শুরু করত। দিনের বেলা হোক, অথবা রাতের বেলা, যখনই মেঘ উন্নীত হত, তারা যাত্রা করত। \v 22 মেঘ, আবাস তাঁবুর উপর দু-দিন, বা এক মাস, অথবা এক বছর, যতদিনই অবস্থিতি করুক, ইস্রায়েলীরা তাদের ছাউনিতে অবস্থান করত, যাত্রা করত না; কিন্তু যখন তা উন্নীত হত, তারা যাত্রা করত। \v 23 সদাপ্রভুর আদেশে ছাউনিতে তারা অবস্থান করত এবং সদাপ্রভুর আদেশেই তারা যাত্রা শুরু করত। মোশির মাধ্যমে দেওয়া তাঁর নির্দেশ অনুসারেই, তারা সদাপ্রভুর আদেশ পালন করত। \c 10 \s1 রুপোর তূরী \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “পিটানো রুপো দিয়ে দুটি তূরী নির্মাণ করো এবং জনসাধারণকে একত্র করতে ও ছাউনির যাত্রা শুরু করার জন্য সেগুলি ব্যবহার করবে। \v 3 যখন উভয় তূরী ধ্বনিত হবে, সমস্ত সমাজ, সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে, তোমার কাছে একত্র হবে। \v 4 যদি একটিমাত্র ধ্বনিত হয়, তাহলে নেতৃবর্গ, অর্থাৎ ইস্রায়েলী গোষ্ঠীর প্রধানেরা, তোমার কাছে একত্র হবে। \v 5 যখন প্রথমবার তূরীধ্বনি শোনা যাবে, তখন ছাউনিস্থিত পূর্ব প্রান্তের গোষ্ঠীসমূহ যাত্রা শুরু করবে। \v 6 দ্বিতীয়বার তূরীধ্বনি শোনা গেলে, দক্ষিণপ্রান্তের ছাউনিসমূহ যাত্রা করবে। তুরীধ্বনিই যাত্রা শুরুর সংকেত হবে। \v 7 জনসাধারণকে একত্র করার জন্য, তূরীধ্বনি করবে, কিন্তু যাত্রা শুরু করার সংকেত হবে না। \p \v 8 “হারোণের ছেলেরা যাজকেরা তূরী বাজাবে। এই আদেশ তোমাদের ও তোমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিরদিন থাকবে। \v 9 স্বদেশে, যারা তোমাদের নিপীড়ন করে, যখন তোমরা সেই সমস্ত শত্রুর বিপক্ষে যুদ্ধ করতে যাবে, তূরী বাজাবে। সেই সময় সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের স্মরণ করবেন এবং শত্রুর হাত থেকে নিস্তার করবেন। \v 10 তোমাদের আনন্দের দিনেও, অর্থাৎ তোমাদের নিরূপিত পর্বসমূহে ও পূর্ণিমার উৎসবে, তোমাদের হোম-নৈবেদ্যের ও মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করার সময়ে, তোমরা তূরী বাজাবে। সেসব ঈশ্বরের সামনে তোমাদের জন্য স্মারকরূপে হবে। আমিই সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।” \s1 ইস্রায়েলীদের সীনয় ত্যাগ \p \v 11 দ্বিতীয় বছরের, দ্বিতীয় মাসের, বিংশতিতম দিনে, সাক্ষ্যের তাঁবুর উপর থেকে মেঘ উন্নীত হল। \v 12 তখন ইস্রায়েলীরা সীনয় মরুভূমিতে থেকে বের হল এবং তারা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ভ্রমণ করল, যতক্ষণ না মেঘ, পারণ প্রান্তরে এসে থামল। \v 13 মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভুর আজ্ঞানুসারে, তারা এই প্রথমবার যাত্রা করল। \p \v 14 প্রথমে যিহূদার শিবিরের অন্তর্গত সমস্ত সেনাবিভাগ, তাদের নিশান নিয়ে অগ্রসর হল। অম্মীনাদবের ছেলে নহশোন তাদের সেনাপতি ছিলেন। \v 15 ইষাখর গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে সূয়ারের ছেলে নথনেল ছিলেন \v 16 এবং হেলোনের ছেলে ইলীয়াব ছিলেন সবূলূন গোষ্ঠীর সেনাপতি। \v 17 এরপর সমাগম তাঁবু তুলে ফেলা হল এবং যারা তা বহন করত, সেই গের্শোনীয়েরা এবং মরারীয়েরা তখন যাত্রারম্ভ করল। \p \v 18 তারপর রূবেণের শিবিরের সমস্ত সৈন্য দলীয় নিশান নিয়ে যাত্রা শুরু করল। শদেয়ূরের ছেলে ইলীষূর তাদের সেনাপতি ছিলেন। \v 19 শিমিয়োনের গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে ছিলেন সূরীশদ্দয়ের ছেলে শলুমীয়েল। \v 20 দ্যূয়েলের ছেলে ইলীয়াসফ ছিলেন গাদ গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে। \v 21 এরপর কহাতীয়েরা বের হল। তারা পবিত্র দ্রব্যসমূহ বহন করছিল। তাদের পৌঁছানোর আগেই সমাগম তাঁবু পুনঃস্থাপিত হয়েছিল। \p \v 22 তারপর ইফ্রয়িমের শিবিরের সেনাবিভাগ, দলীয় নিশান নিয়ে যাত্রা শুরু করল। অম্মীহূদের ছেলে ইলীশামা ছিলেন সেনাপতি। \v 23 পদাহসূরের ছেলে গমলীয়েল, মনঃশি গোষ্ঠীর শীর্ষে ছিলেন। \v 24 গিদিয়োনির ছেলে অবীদান ছিলেন বিন্যামীন গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে। \p \v 25 সমস্ত শিবিরের পিছনে প্রহরীরূপে দানের শিবিরের সমস্ত সেনাবিভাগ, তাদের নিশান নিয়ে যাত্রা করল। অম্মীশদ্দয়ের ছেলে অহীয়েষর ছিলেন তাদের সেনাপতি। \v 26 আশের গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে ছিলেন অক্রণের ছেলে পগীয়েল। \v 27 আবার ঐননের ছেলে অহীরঃ ছিলেন নপ্তালির গোষ্ঠীর সেনাবিভাগের শীর্ষে। \v 28 সমস্ত ইস্রায়েলী সেনাবিভাগ এই ধারায় যাত্রা করত। \p \v 29 এরপর মোশি, তাঁর শ্বশুর, মিদিয়নীয় রূয়েলের ছেলে হোববকে বললেন, “আমরা সেই স্থানের উদ্দেশে বের হয়েছি, যার সম্পর্কে সদাপ্রভু বলেছিলেন, ‘আমি সেই দেশ তোমাকে দেব।’ আমাদের সঙ্গে এসো, আমরা তোমাদের সঙ্গে যথোচিত ব্যবহার করব, কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলের কাছে উত্তম বিষয়সমূহের শপথ করেছেন।” \p \v 30 সে উত্তর দিল, “না আমি যাব না। আমি স্বদেশে, আমার স্বজাতির কাছে ফিরে যাচ্ছি।” \p \v 31 মোশি তা সত্ত্বেও বললেন, “দয়া করে আমাদের ত্যাগ কোরো না। তুমি জানো প্রান্তরে আমাদের কোন স্থানে ছাউনি স্থাপন করতে হবে এবং তুমি আমাদের পথপ্রদর্শক হতে পারো। \v 32 যদি তুমি আমাদের সঙ্গে চলো, তাহলে সদাপ্রভু যে সকল উত্তম দ্রব্য আমাদের দান করবেন, আমরা তোমার সঙ্গে সেই সমস্ত ভাগ করে নেব।” \p \v 33 এইভাবে তারা সদাপ্রভুর পর্বত থেকে বের হয়ে তিনদিনের পথ ভ্রমণ করল। সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক তাদের অগ্রবর্তী হয়ে সেই তিন দিন চলার পর তারা বিশ্রামের জন্য জায়গা অন্বেষণ করল। \v 34 তারা যখন শিবির থেকে বের হল, সদাপ্রভুর মেঘ তাদের ঊর্ধ্বে বিদ্যমান ছিল। \p \v 35 যখনই সিন্দুক যাত্রা করত মোশি বলতেন, \q1 “হে সদাপ্রভু, ওঠো! \q2 তোমার শত্রুদের ছিন্নভিন্ন করো; \q2 যারা তোমাকে ঘৃণা করে তারা তোমার সামনে থেকে পালিয়ে যাক।” \p \v 36 যখনই বিশ্রামের অবকাশ হত, তিনি বলতেন, \q1 “সদাপ্রভু, ফিরে এসো, \q2 অযুত অযুত ইস্রায়েলীদের মধ্যে।” \c 11 \s1 সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগত আগুন \p \v 1 এরপর জনগণ সদাপ্রভুর কর্ণগোচরে তাদের ক্লেশের জন্য অভিযোগ করল এবং তিনি যখন তা শুনলেন তখন তিনি রুষ্ট হলেন। তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন বের হয়ে ছাউনির প্রান্তসীমার কিছু অংশ পুড়িয়ে দিল। \v 2 যখন সেই লোকেরা মোশির কাছে কাঁদল, তিনি সদাপ্রভুর কাছে বিনতি করলেন এবং আগুন নিবে গেল। \v 3 এজন্য সেই স্থানের নাম তবেরা\f + \fr 11:3 \fr*\ft অর্থাৎ, জ্বলন\ft*\f* রাখা হল, কারণ সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন বেরিয়ে এসে তাদের পুড়িয়ে দিয়েছিল। \s1 সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগত ভারুই পাখি \p \v 4 তাদের মধ্যে বসবাসকারী উচ্ছৃঙ্খল লোকেরা, বিকল্প খাবারের জন্য অনুনয় করল এবং ইস্রায়েলীরা পুনরায় বিলাপ করে বলতে লাগল, “আমাদের খাবারের জন্য যদি একটু মাংস পেতাম! \v 5 স্মরণে আসছে, মিশরে আমরা বিনামূল্যে মাছ খেতাম, সেই সঙ্গে শসা, তরমুজ, সবজি, পিঁয়াজ, রসুনও খেতাম। \v 6 কিন্তু এখন আমাদের ক্ষুধার অবলুপ্তি ঘটেছে; এই মান্না ছাড়া অন্য কিছু দেখা যায় না।” \p \v 7 মান্না, ধনে বীজের মতো আকৃতি এবং দেখতে কিশমিশের মতো ছিল। \v 8 লোকেরা চতুর্দিকে ভ্রমণ করে তা সংগ্রহ করত, তারপর যাঁতায় পেষণ অথবা হামানদিস্তায় চূর্ণ করত। তারা কোনো পাত্রে সেই মান্না রান্না করত, নতুবা তা দিয়ে পিঠে তৈরি করত। জলপাই তেলে প্রস্তুত কোনো পদের মতোই তার স্বাদ ছিল। \v 9 রাত্রিবেলা, ছাউনিতে শিশিরের সঙ্গে মান্না পড়ত। \p \v 10 মোশি প্রত্যেক পরিবারের বিলাপ শুনতে পেলেন। তারা প্রত্যেকে নিজেদের তাঁবুর প্রবেশ মুখে ছিল। সদাপ্রভু ভয়ংকর রুষ্ট হওয়াতে, মোশি উদ্বিগ্ন হলেন। \v 11 তিনি সদাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার দাসকে এই সমস্যার সম্মুখীন কেন করেছ? আমি কোন কাজ করতে তোমাকে অসন্তুষ্ট করেছি যে তুমি এই সমস্ত লোকের ভার আমার উপর চাপিয়ে দিলে? \v 12 এদের সবাইকে কি আমি গর্ভে ধারণ করেছিলাম? আমি কি তাদের জন্ম দিয়েছি? ধাত্রী যেমন শিশুসন্তান বহন করে, সেভাবে, কেন তুমি আমাকে বলেছিলে, তাদের বহন করে, পূর্বপুরুষদের কাছে করা শপথ অনুসারে প্রতিজ্ঞাত দেশে নিয়ে যেতে? \v 13 এই সমস্ত লোকের জন্য আমি এখন কোথায় মাংস পাব? তারা আমার কাছে কেঁদে বলছে, ‘আমাদের খাবারের জন্য মাংস দাও!’ \v 14 আমি এককভাবে, এই সমস্ত লোকের দায়িত্ব বহন করতে পারব না। তা আমার শক্তির অতিরিক্ত। \v 15 আমার সঙ্গে অনুরূপ ব্যবহার যদি তোমার অভিপ্রেত হয়, তাহলে এই মুহূর্তেই আমাকে বধ করো, যদি তোমার দৃষ্টিতে কৃপা লাভ করে থাকি, আমাকে ধ্বংসের সম্মুখীন হতে দিয়ো না।” \p \v 16 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমার কাছে ইস্রায়েলের সত্তরজন প্রবীণ ব্যক্তিকে, যারা জনসমাজের নেতা ও কর্মকর্তারূপে তোমার কাছে পরিচিত, তাদের নিয়ে এসো। তারা সমাগম তাঁবুতে সমাগত হোক, যেন তারা সেই জায়গায় তোমার সঙ্গে দাঁড়ায়। \v 17 আমি নেমে এসে তোমার সঙ্গে আলাপ করব এবং তোমার উপরে যে আত্মা বিদ্যমান, সেই আত্মা আমি তাদের উপরেও অধিষ্ঠান করাব। তারা তোমার সঙ্গে জনসমাজের দায়িত্ব বহন করবে, যেন তোমাকে এককভাবে সমস্ত ভারবহন করতে না হয়। \p \v 18 “লোকদের বলো, ‘আগামীকালের জন্য প্রস্তুত হও, নিজেদের পবিত্র করো, যখন তোমরা মাংস ভোজন করতে পারবে। তোমরা যখন বিলাপ করে বলেছিলে, “যদি আহার করার জন্য মাংস পেতাম! মিশরেই আমরা অপেক্ষাকৃত ভালো ছিলাম!” সেই কথা সদাপ্রভু শুনেছিলেন। এইবার, সদাপ্রভু তোমাদের মাংস জোগাবেন, তোমরা তা ভোজন করবে। \v 19 মাত্র একদিন, দু-দিন, পাঁচ, দশ কি কুড়ি দিনের জন্য তোমরা ভোজন করবে, তা নয়; \v 20 সম্পূর্ণ এক মাস অবধি, যতক্ষণ না মাংস তোমাদের নাক থেকে বহির্গত হয় ও তোমাদের বিরাগ জন্মে, কারণ যিনি তোমাদের মধ্যে অবস্থানকারী, তোমরা সেই সদাপ্রভুকে প্রত্যাখ্যান করেছ, বলেছ, “কেন আমরা সম্পূর্ণরূপে মিশর পরিত্যাগ করে এলাম?” ’ ” \p \v 21 কিন্তু মোশি বললেন, “এখানে আমি ছয় লক্ষ পদাতিকের মধ্যে অবস্থান করছি এবং তুমি বলছ, ‘আমি তাদের এক মাস পর্যন্ত মাংস ভোজন করতে দেব!’ \v 22 যদি পাল পাল গবাদি পশু ও মেষ হনন করা হয়, তা হলেও তাদের জন্য পরিমাণে কি তা পর্যাপ্ত হবে? যদি সমুদ্রের সমস্ত মাছ ধরা হয়, তাও কি তাদের জন্য যথেষ্ট হবে?” \p \v 23 সদাপ্রভু মোশিকে উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভুর হাত কি নিতান্তই সংকুচিত হয়েছে? তুমি এবার দেখবে, আমি যা বলি, তা তোমাদের জন্য বাস্তব হয় কি না!” \p \v 24 অতএব মোশি বাইরে গিয়ে সদাপ্রভু যে সমস্ত কথা বলেছিলেন, তা লোকদেরকে বললেন। তাদের সত্তরজন প্রবীণকে একত্র করে, সেই শিবিরের চতুর্দিকে দাঁড় করালেন। \v 25 তখন সদাপ্রভু মেঘের মধ্যে অবতীর্ণ হলেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বললেন; তিনি ঈশ্বরের সেই আত্মা সত্তরজন প্রবীণের উপর অধিষ্ঠান করালেন, যে আত্মা মোশির উপর ছিলেন। যখন আত্মা\f + \fr 11:25 \fr*\ft ঈশ্বরের আত্মা\ft*\f* তাঁদের উপর অধিষ্ঠান করলেন, তাঁরা ভাববাণী বলতে লাগলেন, অবশ্য পরে তাঁরা আর তা করেননি। \p \v 26 কিন্তু, ইল্‌দদ ও মেদদ নামক দুজন ব্যক্তি ছাউনিতেই থেকে গিয়েছিলেন। তাঁরাও প্রবীণদের মধ্যে গণিত হয়েছিলেন, যদিও বের হয়ে সেই শিবিরের কাছে যাননি। তা সত্ত্বেও আত্মা তাঁদের উপরে অধিষ্ঠিত হলেন এবং তাঁরা ছাউনির মধ্যেই ভাববাণী বলা শুরু করলেন। \v 27 একজন যুবক দৌড়ে গিয়ে মোশিকে বলল, “ইল্‌দদ ও মেদদ, ছাউনির মধ্যেই ভাববাণী বলছেন।” \p \v 28 নূনের ছেলে যিহোশূয়, যিনি যৌবনকাল থেকে মোশির পরিচারক ছিলেন, তিনি বললেন, “আমার প্রভু, মোশি, ওদের বারণ করুন!” \p \v 29 কিন্তু মোশি উত্তরে বললেন, “আমার জন্য তুমি কি ঈর্ষান্বিত হয়েছ? আমার বাসনা, সদাপ্রভুর প্রত্যেকজন ব্যক্তি ভাববাদী হোন এবং তিনি তাদের সকলের উপর আত্মাকে অধিষ্ঠিত করুন।” \v 30 তারপর মোশি ও ইস্রায়েলের প্রবীণেরা ছাউনিতে ফিরে গেলেন। \p \v 31 তখন সদাপ্রভুর কাছ থেকে এক ঝড় বের হয়ে সমুদ্র থেকে ভারুই পাখিদের তুলে নিয়ে এল। সেই ঝড়, ছাউনির চতুর্দিকে তাদের উড়িয়ে নিয়ে এল। তারা ভূমি থেকে তিন ফুট উঁচুতে অবস্থান করল এবং যে কোনো দিশায়, একদিনের চলার পথ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে রইল। \v 32 সেদিন, সম্পূর্ণ দিন ও রাত এবং তার পরেরও সম্পূর্ণ দিন সবাই ভারুই পাখি সংগ্রহ করল। কোনো ব্যক্তিই দশ হোমারের\f + \fr 11:32 \fr*\ft প্রায় 1.6 মেট্রিক টন\ft*\f* কম সংগ্রহ করল না। তারা সেই সমস্ত পাখি ছাউনির চতুর্দিকে ছড়িয়ে রাখল। \v 33 মাংস তাদের দাঁতে থাকতে থাকতেই এবং সব সমাপ্ত হবার আগেই লোকেদের বিপক্ষে সদাপ্রভুর রোষ বহ্নিমান হল। তিনি ভয়ংকর এক মহামারি দ্বারা তাদের আঘাত করলেন। \v 34 অতএব সেই স্থানের নাম রাখা হল কিব্রোৎ-হত্তাবা, কারণ যারা ভিন্নতর খাবারের জন্য লোভাতুর হয়েছিল, তাদের সেখানেই তারা সমাধি দিল। \p \v 35 কিব্রোৎ-হত্তাবা থেকে সেই জনতা, হৎসেরোতে যাত্রা করল এবং সেই জায়গায় অবস্থান করল। \c 12 \s1 মোশির বিরুদ্ধে মরিয়ম ও হারোণের বিপক্ষতা \p \v 1 মরিয়ম ও হারোণ, মোশির কূশীয়া স্ত্রীর জন্য, তাঁর বিপক্ষে কথা বলা শুরু করলেন, কারণ তিনি এক কূশীয়া নারীকে বিয়ে করেছিলেন। \v 2 তাঁরা প্রশ্ন করলেন, “সদাপ্রভু কি শুধু মোশির মাধ্যমেই কথা বলেছেন? তিনি কি আমাদের মাধ্যমেও কথা বলেননি?” সদাপ্রভু সেই কথা শুনলেন। \p \v 3 (এদিকে মোশি, একজন অত্যন্ত নম্র, ভূপৃষ্ঠ নিবাসী যে কোনো ব্যক্তি অপেক্ষা অধিকতর নম্র ছিলেন।) \p \v 4 সদাপ্রভু অনতিবিলম্বে মোশি, হারোণ ও মরিয়মকে বললেন, “তোমরা তিনজনই বেরিয়ে সমাগম তাঁবুর কাছে এসো।” তাঁরা তিনজনই বেরিয়ে এলেন। \v 5 তখন সদাপ্রভু এক মেঘস্তম্ভে অবতরণ করলেন; তিনি তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে হারোণ ও মরিয়মকে ডাকলেন। তাঁরা উভয়েই যখন সামনে এগিয়ে গেলেন, \v 6 তিনি বললেন, “আমার কথা শোনো, \q1 “তোমাদের মধ্যে থেকে যখন কোনো ভাববাদীর কাছে, \q2 আমি, সদাপ্রভু, দর্শনের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করি, \q2 আমি স্বপ্নে তাঁর সঙ্গে আলাপ করি। \q1 \v 7 কিন্তু আমার দাস মোশি সেরকম নয়, \q2 সে আমার সমস্ত গৃহের মধ্যে বিশ্বাসভাজন। \q1 \v 8 আমি তাঁর সঙ্গে সরাসরি আলাপ করি, \q2 স্পষ্টভাষায় বলি, হেঁয়ালি করে নয়, \q2 সে সদাপ্রভুর অবয়ব প্রত্যক্ষ করে। \q1 তাহলে তোমরা ভীত হলে না কেন, \q2 আমার সেবক মোশির বিপক্ষে কথা বলতে?” \p \v 9 সদাপ্রভুর রোষ তাঁদের প্রতি বহ্নিমান হল এবং তিনি তাঁদের ত্যাগ করে চলে গেলেন। \p \v 10 যখন সেই মেঘ, তাঁবুর উপর থেকে প্রস্থান করল, মরিয়ম হিমের মতো কুষ্ঠরোগাক্রান্ত হয়ে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। হারোণ তাঁর দিকে ফিরে দৃষ্টিপাত করলেন, দেখলেন তাঁর কুষ্ঠ হয়েছে। \v 11 তিনি মোশিকে বললেন, “আমার প্রভু, নির্বোধের মতো করে ফেলা আমাদের পাপ, দয়া করে আমাদের বিপক্ষে ধরে রাখবেন না। \v 12 সে মাতৃগর্ভ থেকে নিঃসৃত, অর্ধ-ক্ষয়িষ্ণু, মৃতজাত শিশুর মতো না হোক।” \p \v 13 মোশি তাই সদাপ্রভুর কাছে কেঁদে বললেন, “হে ঈশ্বর, কৃপাবশত তাকে সুস্থ করো!” \p \v 14 সদাপ্রভু মোশিকে উত্তর দিলেন, “যদি তাঁর বাবা, তাঁর মুখে থুতু দিত, তাহলে সাত দিন সে কি লজ্জিত হত না? ছাউনির বাইরে তাঁকে সাত দিন আবদ্ধ রাখো; তারপর ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।” \v 15 অতএব, মরিয়ম সাত দিন, ছাউনির বাইরে আবদ্ধ রইলেন এবং তাঁর ফিরে না আসা অবধি, লোকেরা যাত্রায় অগ্রসর হল না। \p \v 16 তারপর সেই লোকেরা হৎসেরোৎ ত্যাগ করে পারণ মরুভূমিতে গিয়ে ছাউনি স্থাপন করল। \c 13 \s1 কনান নিরীক্ষণ \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “আমি ইস্রায়েলীদের যে দেশ দিতে চাই, সেই কনানের ভূমি নিরীক্ষণ করতে কয়েকজন ব্যক্তিকে পাঠাও। প্রত্যেক পিতৃ-গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ থেকে একজন করে পাঠাও।” \p \v 3 অতএব মোশি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে, তাদের পারণ প্রান্তর থেকে পাঠালেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ইস্রায়েলীদের নেতা ছিলেন। \b \li4 \v 4 এই তাঁদের নাম: \b \li1 রূবেণ গোষ্ঠী থেকে সক্কুরের ছেলে শম্মূয়; \li1 \v 5 শিমিয়োন গোষ্ঠী থেকে হোরির ছেলে শাফট; \li1 \v 6 যিহূদা গোষ্ঠী থেকে যিফূন্নির ছেলে কালেব; \li1 \v 7 ইষাখর গোষ্ঠী থেকে যোষেফের ছেলে যিগাল; \li1 \v 8 ইফ্রয়িম গোষ্ঠী থেকে নূনের ছেলে হোশেয়; \li1 \v 9 বিন্যামীন গোষ্ঠী থেকে রাফূর ছেলে পল্‌টি; \li1 \v 10 সবূলূন গোষ্ঠী থেকে সোদির ছেলে গদ্দীয়েল; \li1 \v 11 মনঃশি (যোষেফের একটি গোষ্ঠী) গোষ্ঠী থেকে সূষির ছেলে গদ্দি; \li1 \v 12 দান গোষ্ঠী থেকে গমল্লির ছেলে অম্মীয়েল; \li1 \v 13 আশের গোষ্ঠী থেকে মীখায়েলের ছেলে সথুর; \li1 \v 14 নপ্তালি গোষ্ঠী থেকে বপ্সির ছেলে নহ্‌বি; \li1 \v 15 গাদ গোষ্ঠী থেকে মাখির ছেলে গ্যূয়েল। \b \li4 \v 16 মোশি যে ব্যক্তিদের দেশ নিরীক্ষণ করতে পাঠিয়েছিলেন, তাঁদের নামগুলি এই। (মোশি নূনের ছেলে হোশেয়ের নাম রাখলেন যিহোশূয়।) \b \p \v 17 কনান নিরীক্ষণ করতে পাঠানোর সময় মোশি তাঁদের বললেন, “নেগেভের মধ্য দিয়ে উঠে পার্বত্য অঞ্চলে গমন করবে। \v 18 লক্ষ্য করবে, সেই দেশ কী রকম, সেখানকার লোকেরা দুর্বল না শক্তিশালী। তারা সংখ্যায় অল্প না বেশি। \v 19 কোন ধরনের ভূমিতে তারা বসবাস করে? তা কী ভালো না মন্দ? কোন ধরনের নগরে তাদের নিবাস? সেগুলি প্রাচীর বিহীন না সুরক্ষিত? \v 20 মাটিই বা কী রকম? উর্বর না সাধারণ? বৃক্ষসমন্বিত না বৃক্ষবিহীন? আপ্রাণ চেষ্টা কোরো, সেই দেশের কিছু ফল নিয়ে আসতে।” (তখন আঙুর পাকার সময় ছিল।) \p \v 21 অতএব তাঁরা উঠে গেলেন এবং সীন মরুভূমি থেকে রহোব পর্যন্ত, লেবো-হমাৎ অভিমুখে ভ্রমণ করলেন। \v 22 তাঁরা নেগেভ হয়ে নিরীক্ষণ করে হিব্রোণে এলেন। সেখানে অহীমান, শেশয়, ও তল্‌ময় নামবিশিষ্ট, অনাকের তিনজন উত্তরাধিকারী বসবাস করত। (মিশরে সোয়ন নির্মিত হওয়ার সাত বছর আগে হিব্রোণ নির্মিত হয়েছিল।) \v 23 যখন তাঁরা ইষ্কোল উপত্যকায় উপস্থিত হলেন, তাঁরা দ্রাক্ষার গুচ্ছ সমন্বিত একটি শাখা কাটলেন। দুজন ব্যক্তি, একটি দণ্ডের দ্বারা সেই দ্রাক্ষাগুচ্ছ এবং কিছু বেদানা ও ডুমুর বহন করে আনলেন। \v 24 যেহেতু দ্রাক্ষাগুচ্ছ ইস্রায়েলীরা কেটে এনেছিল, তাই সেই স্থানের নাম হল, ইষ্কোল উপত্যকা। \v 25 চল্লিশ দিনের শেষে, তাঁরা দেশ নিরীক্ষণ করে ফিরে এলেন। \s1 দেশ নিরীক্ষণের বর্ণনা \p \v 26 পারণ প্রান্তরে, কাদেশে তাঁরা মোশি, হারোণ এবং সমস্ত ইস্রায়েলীদের কাছে ফিরে এলেন। সেখানে তাঁরা, তাঁদের এবং সমস্ত সম্প্রদায়কে দেশ নিরীক্ষণের বিশদ বিবরণ দিলেন ও সেই দেশের ফল তাদের দেখালেন। \v 27 তাঁরা মোশিকে বর্ণনা দিয়ে বললেন, “আপনি যে দেশে আমাদের পাঠিয়েছিলেন, আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। সেই দেশ অবশ্যই দুধ ও মধু প্রবাহী! এই ফলগুলি, সেই দেশের। \v 28 কিন্তু যারা সেখানে বসবাস করে, তারা বলিষ্ঠ, তাদের নগরগুলি সুরক্ষিত এবং বড়ো বড়ো। আমরা সেখানে অনাকের উত্তরসূরীদেরও দেখেছি। \v 29 নেগেভে অমালেকীয়েরা বসবাস করে; হিত্তীয়, যিবূষীয়, ইমোরীয়েরা পার্বত্য অঞ্চলে এবং কনানীয়েরা সমুদ্রের কাছে ও জর্ডন উপকূলে বসবাস করে।” \p \v 30 তখন কালেব, মোশির সামনে তাঁদের শান্ত করে বলল, “আমাদের উচিত, উঠে গিয়ে সেই দেশ অধিকার করা, কারণ সেই শক্তি আমাদের অবশ্যই আছে।” \p \v 31 যে ব্যক্তিরা তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁরা বললেন, “আমরা ওই ব্যক্তিদের আক্রমণ করতে পারি না; তারা আমাদের থেকেও বেশি শক্তিশালী।” \v 32 তাঁরা যে দেশ নিরীক্ষণ করে এসেছিলেন, সেই দেশ সম্পর্কে ইস্রায়েলীদের মধ্যে বিরূপ সংবাদ ছড়াল। তাঁরা বললেন, “যে দেশ আমরা নিরীক্ষণ করেছি সেই দেশ নিজের অধিবাসীদের গ্রাস করে। যে সমস্ত লোককে সেখানে আমরা দেখেছি তারা সবাই বৃহদাকার। \v 33 আমরা নেফিলীমদেরও সেখানে দেখেছি। (অনাকের উত্তরসূরিদের আগমন নেফিলিম থেকে) আমরা নিজেদের দৃষ্টিতে, সেই সঙ্গে তাদের দৃষ্টিতেও, ফড়িং-এর মতো প্রতিপন্ন হয়েছি।” \c 14 \s1 জনতার বিদ্রোহ \p \v 1 সেই রাতে, সমাজের আপামর জনতা, উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করল। \v 2 ইস্রায়েলীরা সবাই, মোশি ও হারোণের বিপক্ষে অসন্তোষ প্রকাশ করল। সম্পূর্ণ সমাজ তাঁদের বলল, “ভালো হত, যদি আমরা মিশরেই, অথবা এই প্রান্তরেই মারা যেতাম! \v 3 সদাপ্রভু তরোয়াল দ্বারা বধ করার অভিপ্রায়ে, কেন আমাদের এই দেশে নিয়ে এলেন? আমাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা লুন্ঠিত হবে। আমাদের জন্য মিশরে ফিরে যাওয়াই কি বেশি ভালো নয়?” \v 4 তারা পরস্পর আলোচনা করে বলল, “একজন নেতা মনোনীত করে আমাদের মিশরে ফিরে যাওয়াই উচিত।” \p \v 5 তখন মোশি ও হারোণ, সমবেত সমগ্র ইস্রায়েলী সমাজের সামনে উপুড় হয়ে পড়লেন। \v 6 নূনের ছেলে যিহোশূয় এবং যিফূন্নির ছেলে কালেব, যাঁরা দেশ নিরীক্ষণ করেছিলেন, নিজেদের বস্ত্র চিরলেন, \v 7 এবং সমগ্র ইস্রায়েলী সমাজকে বললেন, “যে দেশ আমরা সরেজমিনে নিরীক্ষণ করেছি, তা অত্যন্ত ভালো। \v 8 যদি সদাপ্রভু আমাদের উপরে প্রীত হন, তিনি সেই দেশে, দুধ ও মধু প্রবাহী দেশে, আমাদের নিয়ে যাবেন ও তা দান করবেন। \v 9 কেবল সদাপ্রভুর বিদ্রোহী হোয়ো না। সেই দেশনিবাসী লোকেদের ভয় পেয়ো না কারণ আমরা তাদের দেশ কুক্ষিগত করব। তাদের নিরাপত্তা বিলীন হয়েছে, কিন্তু সদাপ্রভু আমাদের সহবর্তী আছেন। তাদের থেকে ভীত হোয়ো না।” \p \v 10 সমগ্র জনতা কিন্তু তাঁদের প্রস্তরাঘাত করার কথা বলল। তখন ইস্রায়েলীদের সবার সামনে, সদাপ্রভুর মহিমা, সমাগম তাঁবুতে প্রত্যক্ষ হল। \v 11 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “কত কাল এই লোকেরা আমার অবমাননা করবে? তাদের মধ্যে আমার সমস্ত অলৌকিক চিহ্নকাজ প্রদর্শিত হওয়া সত্ত্বেও, কত কাল তারা আমাকে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করবে? \v 12 আমি তাদের মহামারির মাধ্যমে আঘাত করে ধ্বংস করব এবং তোমাকে এক মহত্তর ও তাদের অপেক্ষাও শক্তিধর জাতিতে পরিণত করব।” \p \v 13 মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “যখন মিশরীয়রা এই কথা শুনতে পাবে! তোমরা শক্তিবলে এই লোকদেরকে, তুমি তাদের মধ্য থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলে। \v 14 তারা এই দেশনিবাসী সবাইকে সেই কথা বলবে। তারা ইতিমধ্যেই শুনেছে, তুমি সদাপ্রভু, এই লোকদের সহবর্তী আছ এবং সদাপ্রভু, তুমি সামনাসামনি এদের দর্শন দিয়ে থাকো। তোমার মেঘ এদের উপরে অবস্থান করে এবং তুমি এদের পুরোভাগে থেকে, দিনের বেলায় মেঘস্তম্ভে ও রাত্রিবেলায় অগ্নিস্তম্ভে গমন করো। \v 15 যদি তুমি এদের সবাইকে একসঙ্গে বিনাশ করো, কাউকে জীবিত না রাখ, তাহলে যে জাতিসমূহ তোমার সম্পর্কে এই সমস্ত কথা শুনেছে, তারা বলবে, \v 16 ‘সদাপ্রভু শপথ করে যে দেশ এই জাতিকে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তা দিতে সক্ষম হলেন না, তাই তিনি প্রান্তরে তাদের বধ করলেন।’ \p \v 17 “এখন সদাপ্রভুর শক্তি প্রদর্শিত হোক, যেভাবে তুমি ঘোষণা করেছ, \v 18 ‘সদাপ্রভু ক্রোধে ধীর, প্রেমে সমৃদ্ধ, পাপ ও বিদ্রোহ ক্ষমা করেন। তা সত্ত্বেও অপরাধীকে শাস্তি না দিয়ে তিনি ছেড়ে দেন না; তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্ম পর্যন্ত তিনি বাবা-মার পাপের জন্য তাদের সন্তানদের শাস্তি দেন।’ \v 19 তোমার মহান প্রেমবশত লোকেদের পাপ মার্জনা করো, ঠিক যে রকম ভাবে, মিশর পরিত্যাগ করার সময় থেকে, এ পর্যন্ত তাদের মার্জনা করে এসেছ।” \p \v 20 সদাপ্রভু উত্তর দিলেন, “তুমি যেমন চেয়েছ, আমি তাদের ক্ষমা করেছি। \v 21 তা সত্ত্বেও, আমার জীবনের দিব্য এবং সমস্ত পৃথিবী সদাপ্রভুর প্রতাপে পরিপূর্ণ হবে, \v 22 যত লোক আমার প্রতাপ এবং মিশরে ও প্রান্তরে আমার সাধিত অলৌকিক কাজগুলি প্রত্যক্ষ করেছে, কিন্তু আমাকে অমান্য করে দশবার আমার পরীক্ষা করেছে, \v 23 তাদের মধ্যে একজনও কখনোই সেই দেশ দেখতে পাবে না, যা আমি শপথপূর্বক, তাদের পূর্বপুরুষদের দান করার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। যারা আমাকে অবজ্ঞা করেছে তাদের মধ্যে কেউই, কখনোই সেই দেশ দেখতে পাবে না। \v 24 কিন্তু, যেহেতু আমার সেবক কালেবের অন্তরে এক ভিন্নতর আত্মা আছে এবং যে সর্বান্তঃকরণে আমার অনুগামী হয়েছে, তাই যে দেশে সে গিয়েছিল, আমি তাকে সেই দেশে নিয়ে যাব এবং তাঁর বংশধরেরা সেই দেশ অধিকার করবে। \v 25 যেহেতু উপত্যকাসমূহে অমালেকীয় ও কনানীয়েরা বসতি করে, সেইজন্য আগামীকাল বিপরীতমুখী হও এবং লোহিত সাগরের পথ দিয়ে প্রান্তরের অভিমুখে যাত্রারম্ভ করো।” \p \v 26 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 27 “কত কাল এই দুষ্ট জনতা আমার বিপক্ষে বচসা করবে? আমি বচসাকারী এই সমস্ত ইস্রায়েলীদের অভিযোগ শুনেছি। \v 28 তাই তাদের বলো, ‘সদাপ্রভু এই কথা ঘোষণা করেন, আমার জীবনের দিব্য, তোমরা যে কথা বলেছ, আমি তোমাদের জন্য সেই কাজই করব। \v 29 যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, জনগণনায় যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং আমার বিপক্ষে যারা বচসা করেছে, তাদের প্রত্যেকের দেহ এই প্রান্তরে নিপাতিত হবে। \v 30 তোমাদের মধ্যে একজন ব্যক্তিও সেই দেশে প্রবেশ করবে না, যা তোমাদের বাসভূমি হবে বলে আমি হস্ত উত্তোলন পূর্বক শপথ করেছিলাম। শুধুমাত্র যিফূন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় হবে ব্যতিক্রম। \v 31 কিন্তু যে সমস্ত শিশুর সম্পর্কে তোমরা বলেছিলে যে তারা লুন্ঠিত হবে, আমি তাদের সেই দেশে নিয়ে যাব, যে দেশ তোমরা প্রত্যাখ্যান করেছ। \v 32 কিন্তু তোমাদের দেহ এই মরুভূমিতে পতিত হবে। \v 33 তোমাদের সন্তানেরা চল্লিশ বছর এখানে পশু চরাবে, তোমাদের অবিশ্বস্ততার জন্য তারা কষ্টভোগ করবে, যতদিন না তোমাদের শেষ ব্যক্তির দেহ এই প্রান্তরে কবরস্থ হয়। \v 34 চল্লিশ বছর পর্যন্ত, দেশ পরিক্রমা করার উদ্দেশে চল্লিশ দিনের জন্য, এক একদিনের পরিবর্তে এক এক বছর, তোমরা তোমাদের পাপের পরিণতি ভোগ করবে। তোমরা উপলব্ধি করবে, আমার বিপক্ষতা করা, কতই না ভয়ানক বিষয়!’ \v 35 আমি সদাপ্রভু এই কথা বলেছি, এর সমস্তই এই দুষ্ট সমাজের প্রতি পূর্ণ করব, যারা একসঙ্গে আমার বিপক্ষতা করার উদ্দেশে জোটবদ্ধ হয়েছে। তারা তাদের অন্তিমদশা এই প্রান্তরে দেখতে পাবে। তারা সবাই এখানেই মরবে।” \p \v 36 তাই, মোশি যাদের দেশ নিরীক্ষণ করতে পাঠিয়েছিলেন তারা ফিরে এসে সেই দেশ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে সমস্ত সমাজকে বচসা করতে প্ররোচিত করেছিল, \v 37 সেই ব্যক্তিরা, যারা সেই দেশ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করছিল, তারা সদাপ্রভুর সামনে এক মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে মরল। \v 38 যারা দেশ পরিক্রমা করতে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে কেবল নূনের ছেলে যিহোশূয় ও যিফূন্নির ছেলে কালেব অবশিষ্ট রইলেন। \p \v 39 মোশি যখন ইস্রায়েলীদের সবাইকে এই সংবাদ দিলেন, তারা খুব কান্নাকাটি করল। \v 40 পরদিন ভোরবেলায়, তারা উঁচু পর্বতাঞ্চলে আরোহণ করল। তারা বলল, “আমরা পাপ করেছি। সদাপ্রভু যে দেশের বিষয় প্রতিজ্ঞা করেছেন, আমরা সেখানে যাব।” \p \v 41 কিন্তু মোশি উত্তর দিলেন, “তোমরা সদাপ্রভুর আদেশ কেন লঙ্ঘন করেছ? এভাবে কৃতকার্য হবে না। \v 42 উপরে উঠে যাবে না, কারণ সদাপ্রভু তোমাদের সহবর্তী নন। তোমরা শত্রুদের হাতে পরাজিত হবে, \v 43 কারণ অমালেকীয় ও কনানীয়েরা সেখানে তোমাদের সম্মুখীন হবে। যেহেতু তোমরা সদাপ্রভুর কাছ থেকে বিপথগমন করেছ, তিনি আর তোমাদের সহবর্তী থাকবেন না এবং তরোয়াল দ্বারা তোমাদের পতন হবে।” \p \v 44 তা সত্ত্বেও, সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে, তারা উঁচু পর্বতে অবস্থিত নগরে উঠে গেল, যদিও মোশি, অথবা সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক ছাউনি থেকে অগ্রসর হয়নি। \v 45 তখন সেই পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী অমালেকীয় ও কনানীয়েরা নেমে এসে তাদের আক্রমণ করল এবং হর্মা পর্যন্ত মারতে মারতে নিয়ে গেল। \c 15 \s1 সম্পূরক নৈবেদ্য \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো, তাদের বলো, ‘যে দেশ তোমাদের বাসভূমি বলে আমি দান করেছি, সেখানে প্রবেশ করার পর, \v 3 তোমরা সদাপ্রভুর কাছে গবাদি পশুপাল অথবা মেষপাল থেকে, আগুনের মাধ্যমে, সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিস্বরূপ নৈবেদ্য নিয়ে আসবে। সেই নৈবেদ্য হোম-নৈবেদ্য বা পশুবলি, বিশেষ মানতের উদ্দেশে বা স্বেচ্ছাদত্ত উপহার, অথবা উৎসবের বলি, যাইহোক না কেন, নিয়ে আসবে। \v 4 তখন যে ব্যক্তি তার নৈবেদ্য নিয়ে আসবে, সে এক ঐফার\f + \fr 15:4 \fr*\ft প্রায় 1.6 কিলোগ্রাম\ft*\f* এক-দশমাংশ মিহি ময়দা, হিনের\f + \fr 15:4 \fr*\ft প্রায় 1 লিটার\ft*\f* এক-চতুর্থাংশ জলপাই তেলের সঙ্গে মিশ্রিত করে, শস্য-নৈবেদ্য সদাপ্রভুকে উপহার দেবে। \v 5 হোম-নৈবেদ্যের প্রত্যেকটি মেষশাবক, অথবা অন্য পশুবলির সঙ্গে, হিনের এক-চতুর্থাংশ দ্রাক্ষারস দিয়ে পেয়-নৈবেদ্য প্রস্তুত করবে। \p \v 6 “ ‘একটি মেষের সঙ্গে এক ঐফার\f + \fr 15:6 \fr*\ft প্রায় 3.2 কিলোগ্রাম\ft*\f* দুই-দশমাংশ ও মিহি ময়দা নিয়ে, হিনের\f + \fr 15:6 \fr*\ft প্রায় 1.3 লিটার\ft*\f* এক-তৃতীয়াংশ জলপাই তেল মিশ্রিত করে শস্য-নৈবেদ্য \v 7 এবং সেই সঙ্গে হিনের এক-তৃতীয়াংশ দ্রাক্ষারস দিয়ে পেয়-নৈবেদ্য প্রস্তুত করবে। সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিরূপে এই সমস্ত নিবেদন করবে। \p \v 8 “ ‘যখন তোমার একটি এঁড়ে বাছুর হোম-নৈবেদ্য বা বলিরূপে নিয়ে আসবে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে কোনও বিশেষ মানত পূরণ অথবা মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্যের জন্য, \v 9 তখন সেই এঁড়ে বাছুরের সঙ্গে এক ঐফার\f + \fr 15:9 \fr*\ft প্রায় 5 কিলোগ্রাম\ft*\f* তিন-দশমাংশ মিহি ময়দার সঙ্গে অর্ধ হিন\f + \fr 15:9 \fr*\ft প্রায় 1.9 লিটার\ft*\f* জলপাই তেল মিশ্রিত করে শস্য-নৈবেদ্য নিয়ে আসবে। \v 10 সেই সঙ্গে অর্ধ হিন দ্রাক্ষারস, পেয়-নৈবেদ্যরূপে নিয়ে আসবে। এটি ভক্ষ্য-নৈবেদ্য, সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিরূপে, আগুনের মাধ্যমে নিবেদিত হবে। \v 11 প্রত্যেকটি ষাঁড় অথবা মেষ, প্রত্যেকটি মেষশাবক অথবা ছাগশিশু, এইরূপে আয়োজন করতে হবে। \v 12 তোমরা তাদের সংখ্যানুসারে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একই ধরনের করবে। \p \v 13 “ ‘স্বদেশে জাত প্রত্যেক ব্যক্তি, যখন সে সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিরূপে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য নিয়ে আসে, তখন এই সমস্ত বিষয় এভাবেই করবে। \v 14 ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী কোনো বিদেশি বা অন্য কেউ যদি সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিরূপে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করে, সে ঠিক তোমাদের মতোই করবে। \v 15 সমাজের মধ্যে তোমাদের এবং তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশিদের জন্যও একই বিধি প্রযোজ্য হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এই বিধি চিরস্থায়ী। সদাপ্রভুর সামনে তোমরা এবং বিদেশি ব্যক্তি, উভয়ই সমান প্রতিপন্ন হবে। \v 16 অভিন্ন বিধি ও নিয়ম তোমাদের ও তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।’ ” \p \v 17 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 18 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো, তাদের বলো, ‘যেখানে আমি তোমাদের নিয়ে যাচ্ছি, যখন তোমরা সেই দেশে প্রবেশ করবে \v 19 এবং সেই দেশের খাদ্যদ্রব্য আহার করবে, তখন তার একটু অংশ নিয়ে সদাপ্রভুর কাছে নৈবেদ্যরূপে উপহার দেবে। \v 20 তোমাদের ভূমিজাত প্রথম খাদ্যদ্রব্য থেকে একটি পিঠে নিবেদন করবে; খামারের উত্তোলনীয় নৈবেদ্য বলেই সেটি উৎসর্গ করবে। \v 21 পুরুষ-পরম্পরায় তোমাদের প্রথম ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্যের এই উত্তোলনীয় নৈবেদ্য সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদন করতে হবে। \s1 অনিচ্ছাকৃত পাপের জন্য নৈবেদ্য \p \v 22 “ ‘এখন মোশিকে দত্ত সদাপ্রভুর এই আদেশসমূহের কোনো একটি, তোমরা সমাজরূপে যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে, পালন করতে ব্যর্থ হও, \v 23 এমনকি সদাপ্রভু যে দিনে তোমাদের আদেশ দিয়েছেন, সেদিন থেকে পুরুষ-পরম্পরায় তোমাদের জন্য সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে তোমাদের যত আদেশ দিয়েছেন, \v 24 সেসব যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে পালন না করো এবং তা যদি সমাজের অজ্ঞাতসারে হয়, তাহলে সমস্ত সমাজ, হোম-নৈবেদ্যরূপে, সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভির জন্য, এক এঁড়ে বাছুর উৎসর্গ করবে ও সেই সম্পর্কিত শস্য-নৈবেদ্য, পেয়-নৈবেদ্য এবং পাপার্থক বলির জন্য একটি ছাগল উৎসর্গ করবে। \v 25 যাজক সমস্ত ইস্রায়েলী সমাজের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং তাদের পাপ ক্ষমা করা হবে। যেহেতু তাদের অন্যায়ের জন্য তারা সদাপ্রভুর কাছে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য ও পাপার্থক বলি নিয়ে আসবে, কারণ সেই পাপ ইচ্ছাকৃত ছিল না। \v 26 সমস্ত ইস্রায়েলী সমাজ এবং তাদের মধ্যবর্তী বসবাসকারী বিদেশিদের ক্ষমা করা হবে, যেহেতু সব লোক সেই অনিচ্ছাকৃত অন্যায়ে জড়িত ছিল। \p \v 27 “ ‘কিন্তু যদি মাত্র একজন ব্যক্তি অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে, সে পাপার্থক বলির জন্য একটি এক বর্ষীয় ছাগী নিয়ে আসবে। \v 28 যাজক সেই ব্যক্তির জন্য সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে, যে অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে অন্যায় করেছিল যখন তাঁর জন্য প্রায়শ্চিত্ত সম্পন্ন হবে তার পাপ ক্ষমা হবে। \v 29 যারা অনিচ্ছাকৃত পাপ করে, তাদের প্রত্যেকের জন্য সেই একই বিধি প্রযোজ্য হবে, সে স্বদেশি ইস্রায়েলী হোক, অথবা তাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশি ব্যক্তি। \p \v 30 “ ‘কিন্তু যদি কোনো স্বদেশি বা বিদেশি ব্যক্তি ঔদ্ধত্য দেখিয়ে পাপ করে, যদি সে সদাপ্রভুর নিন্দা করে, সেই ব্যক্তি, তার জনগোষ্ঠী থেকে উচ্ছিন্ন হবে। \v 31 কারণ সে সদাপ্রভুর আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে ও তাঁর বিধি লঙ্ঘন করেছে। সেই ব্যক্তি নিশ্চিতরূপে উচ্ছিন্ন হবে; কারণ তার অপরাধ তার উপরে বর্তাবে।’ ” \s1 বিশ্রামবার লঙ্ঘনকারীর নিধন \p \v 32 ইস্রায়েলীরা যখন প্রান্তরে ছিল, তখন একজন ব্যক্তিকে বিশ্রামবারে কাঠ সংগ্রহ করতে দেখা গেল। \v 33 যারা তাকে কাঠ সংগ্রহ করতে দেখেছিল, তারা তাকে মোশি, হারোণ এবং সমস্ত সমাজের কাছে উপস্থিত করল। \v 34 তাঁরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখলেন, কারণ তার প্রতি কী করণীয়, তা সুস্পষ্ট জানা ছিল না। \v 35 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “লোকটি অবশ্যই মরবে। সমস্ত সমাজ তাকে ছাউনির বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রস্তরাঘাত করবে।” \v 36 অতএব সমস্ত সমাজ তাকে ছাউনির বাইরে নিয়ে গেল এবং যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তাকে প্রস্তরাঘাতে বধ করল। \s1 পরিধেয় বস্ত্রে থোপ \p \v 37 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 38 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো, তাদের বলো, ‘পুরুষ-পরম্পরায় তোমাদের পরিধেয় বস্ত্রের কোণে থোপ দেবে। প্রত্যেক থোপ নীল রংয়ের সুতো দিয়ে তৈরি হবে। \v 39 তোমরা এই সমস্ত থোপ প্রত্যক্ষ করলে, সদাপ্রভুর বিধিগুলি স্মরণে আনতে পারবে; তাহলে তোমরা সেই সমস্ত পালন করে তোমাদের হৃদয় ও চোখের অভিলাষ অনুসারে ব্যভিচার করবে না। \v 40 তখন তোমরা আমার আদেশগুলি পালন করার বিষয় স্মরণে আনবে এবং তোমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশে পবিত্র হবে। \v 41 আমি সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, যিনি মিশর থেকে তোমাদের ঈশ্বর হওয়ার জন্য তোমাদের মুক্ত করে এনেছি। আমিই সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর।’ ” \c 16 \s1 কোরহ, দাথন ও অবীরাম \p \v 1 লেবির ছেলে কহাৎ, তার ছেলে যিষ্‌হর, তার ছেলে কোরহ এবং কয়েকজন রূবেণ গোষ্ঠীর ব্যক্তি—ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরাম এবং পেলতের ছেলে ওন—উদ্ধত হল \v 2 এবং মোশির বিপক্ষতা করল। তাদের সঙ্গে 250 জন ইস্রায়েলী পুরুষ ছিল, যারা প্রত্যেকে সমাজের সুপরিচিত নেতা ছিল, যাদের মন্ত্রণা-সভার সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। \v 3 তারা দলবদ্ধ হয়ে মোশি ও হারোণের বিরোধিতা করতে এল এবং তাঁদের বলল, “তোমাদের স্পর্ধা বহুদূর বিস্তৃত হয়েছে! সমস্ত সমাজ পবিত্র, প্রত্যেক ব্যক্তিই পবিত্র এবং সদাপ্রভু তাদের সহবর্তী আছেন। তাহলে কেন তোমরা নিজেদের অবস্থান সদাপ্রভুর সমাজের ঊর্ধ্বে উন্নীত করেছ?” \p \v 4 মোশি এই কথা শুনে ভূমিতে উপুড় হয়ে পড়লেন। \v 5 তিনি কোরহ ও তার অনুগামীদের বললেন, “সকালবেলায় সদাপ্রভু প্রকাশ করবেন, কে তাঁর অধিকারভুক্ত এবং কে পবিত্র। তিনি সেই ব্যক্তিকে তাঁর নিকটবর্তী করবেন। যে ব্যক্তিকে তিনি মনোনীত করেন, সেই তাঁর নিকটবর্তী হবে। \v 6 কোরহ, তুমি ও তোমার অনুগামী সবাই এই কাজ করো, অঙ্গারধানী নাও \v 7 এবং আগামীকাল তার মধ্যে আগুন ও ধূপ দিয়ে, সদাপ্রভুর সামনে নিবেদন করো। যে ব্যক্তিকে সদাপ্রভু মনোনীত করেন, সেই ব্যক্তি পবিত্র গণ্য হবে। লেবীয়রা, তোমাদের স্পর্ধা সীমা ছাড়িয়ে গেছে!” \p \v 8 মোশি কোরহকে এই কথাও বললেন, “লেবীয়েরা তোমরা এই কথা শোনো! \v 9 ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অবশিষ্ট সমাজ থেকে তোমাদের পৃথক করে, তাঁর সান্নিধ্যে নিয়ে এসেছেন, যেন তোমরা সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুর কাজকর্ম করো এবং সমাজের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের পরিচর্যা করো, এই কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল না? \v 10 তিনি তোমাদের ও তোমাদের সহচর লেবীয়দের তাঁর নিকটস্থ করেছেন, কিন্তু এখন তোমরা যাজকত্ব পদের জন্যও চেষ্টা করছ। \v 11 তোমরা ও তোমাদের অনুগামী সবাই, সদাপ্রভুর বিপক্ষেই জোটবদ্ধ হয়েছ। হারোণ কে যে তোমরা তার বিপক্ষে বচসা করো?” \p \v 12 মোশি ইলীয়াবের ছেলে দাথন ও অবীরামকে ডেকে পাঠালেন, কিন্তু তারা বলল, “আমরা যাব না। \v 13 তুমি এক দুধ ও মধু প্রবাহী দেশ থেকে, এই প্রান্তরে আমাদের মেরে ফেলতে এনেছ, এই কি যথেষ্ট নয়? এখন আমাদের উপর প্রভুত্ব করতে চাইছ? \v 14 এছাড়াও, এখনও তুমি আমাদের কোনো দুধ ও মধু প্রবাহী দেশে নিয়ে যাওনি অথবা শস্যক্ষেত্র ও দ্রাক্ষাকুঞ্জের কোনো অধিকার দান করোনি। তুমি কি এই সমস্ত ব্যক্তির সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করবে? না, আমরা যাব না!” \p \v 15 মোশি তখন অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে সদাপ্রভুকে বললেন, “ওই ব্যক্তিদের নৈবেদ্য গ্রহণ কোরো না। আমি তাদের কাছ থেকে, সর্বাধিক একটি গাধাও গ্রহণ করিনি অথবা তাদের কারও প্রতি কোনো অন্যায় আচরণ করিনি।” \p \v 16 মোশি কোরহকে বললেন, “তুমি ও তোমার সমস্ত অনুগামী, আগামীকাল সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবে—তুমি, তারা সবাই এবং হারোণ। \v 17 প্রত্যেক ব্যক্তি অঙ্গারধানী নেবে—সর্বমোট 250-টি অঙ্গারধানী—এবং সদাপ্রভুর সামনে নিবেদন করতে হবে।” তুমি ও হারোণ তোমাদের অঙ্গারধানীও সদাপ্রভুর সামনে নিবেদন করবে। \v 18 অতএব তারা প্রত্যেকে তাদের অঙ্গারধানী নিল ও তার মধ্যে আগুন ও ধূপ রাখল। তারপর তারা মোশি ও হারোণের সঙ্গে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়াল। \v 19 যখন কোরহ তার অনুগামীদের, তাঁদের বিপক্ষে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে একত্র করল, তখন সদাপ্রভুর মহিমা সমস্ত সমাজের কাছে প্রত্যক্ষ হল। \v 20 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 21 “তোমরা নিজেদের এই সমাজ থেকে পৃথক করো, যেন এক মুহূর্তে আমি তাদের বিলুপ্ত করি।” \p \v 22 কিন্তু মোশি ও হারোণ ভূমিতে উপুড় হয়ে উচ্চস্বরে বললেন, “হে ঈশ্বর, সমস্ত জীবিত বস্তুর আত্মাদের ঈশ্বর, যখন কোনো একজন ব্যক্তি পাপ করে, তখন তাঁর জন্য কি তুমি সমস্ত সমাজের প্রতি রুষ্ট হবে?” \p \v 23 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 24 “তুমি সমাজকে বলো, ‘তোমরা কোরহ, দাথন ও অবীরামের তাঁবুর কাছ থেকে সরে যাও।’ ” \p \v 25 মোশি উঠে দাথন ও অবীরামের কাছে গেলেন এবং ইস্রায়েলের প্রবীণেরা তাঁকে অনুসরণ করল। \v 26 তিনি সমাজকে সাবধান করে দিয়ে বললেন, “এই দুষ্ট ব্যক্তিদের তাঁবু থেকে সরে যাও! তাদের কোনো জিনিস স্পর্শ করো না, তা না হলে, তাদের পাপের জন্য তোমরাও বিনষ্ট হবে।” \v 27 অতএব তারা কোরহ, দাথন ও অবীরামের তাঁবুর কাছ থেকে সরে গেল। দাথন ও অবীরাম, তাদের স্ত্রী, সন্তান ও শিশুসহ তাঁবু থেকে বের হয়ে প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে রইল। \p \v 28 মোশি তখন বললেন, “এবার তোমরা অবগত হবে যে সদাপ্রভু এই সমস্ত কাজ করবার জন্য আমাকেই প্রেরণ করেছেন এবং কোনোটিই আমার কল্পনাপ্রসূত নয়। \v 29 যদি এই ব্যক্তিরা স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করে ও মানুষমাত্রের প্রতি যা ঘটে থাকে, তাই ভোগ করে, তাহলে সদাপ্রভু আমাকে পাঠাননি। \v 30 কিন্তু সদাপ্রভু যদি সম্পূর্ণ নতুন কিছু করেন, ভূমি মুখ বিদীর্ণ করে সমস্ত দ্রব্য সমেত তাদের গ্রাস করে এবং যদি তারা জীবিত অবস্থায় সমাধিপ্রাপ্ত হয়, তাহলে তোমরা অবগত হবে যে এই ব্যক্তিরা সদাপ্রভুর অবমাননা করেছে।” \p \v 31 যে মুহূর্তে তিনি এই সমস্ত কথা সমাপ্ত করলেন, তাদের নিম্নস্থ ভূমি বিদীর্ণ হল, \v 32 ভূমি তার মুখ বিদীর্ণ করে কোরহ, তার সব অনুগামী ও তার আত্মীয়স্বজনদের, সমস্ত বিষয়সম্পত্তি গ্রাস করল। \v 33 তাদের অধিকারভুক্ত সমস্ত দ্রব্যসহ তারা জীবিত অবস্থায় সমাধিপ্রাপ্ত হল। ভূমি তাদের অবরুদ্ধ করল। তারা বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে সমাজ থেকে অবলুপ্ত হল। \v 34 তাদের আর্তস্বর শুনে, চতুর্দিকের ইস্রায়েলীরা পলায়ন করল। তারা চিৎকার করে বলে উঠল, “ভূমি আমাদেরও গ্রাস করবে!” \p \v 35 সদাপ্রভুর কাছ থেকে আগুন নির্গত হয়ে, যারা ধূপ নিবেদন করেছিল, সেই 250 জন ব্যক্তিকেও পুড়িয়ে দিল। \p \v 36 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 37 “যাজক হারোণের ছেলে ইলীয়াসরকে বলো, সব অঙ্গারধানী নিয়ে, তাদের অবশিষ্ট অঙ্গার, দূরে কোথাও ফেলে দিতে, কারণ ওইসব অঙ্গারধানী পবিত্র। \v 38 সেই লোকদের অঙ্গারধানী যারা নিজেদের জীবনের প্রতিকূলে পাপ করেছিল। অঙ্গারধানীগুলি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বেদির আচ্ছাদনের জন্য পাত প্রস্তুত করো, কারণ সেসব সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত হয়েছিল, তাই পবিত্র। সেগুলি ইস্রায়েলীদের জন্য নিদর্শনস্বরূপ হোক।” \p \v 39 অতএব যাজক ইলীয়াসর, যারা পুড়ে মরেছিল, তাদের আনা পিতলের সেইসব অঙ্গারধানী নিলেন এবং সেগুলি পিটিয়ে বেদির আচ্ছাদনের জন্য পাত প্রস্তুত করলেন, \v 40 যে রকম সদাপ্রভু, মোশির মাধ্যমে, তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই নিদর্শন ছিল ইস্রায়েলীদের স্মরণার্থক, যেন হারোণের উত্তরসূরি ব্যতীত অন্য কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশে ধূপদাহ না করে; তা না হলে, তার পরিণতি কোরহ ও তার অনুগামীদের মতোই হবে। \p \v 41 পরদিন, সমস্ত ইস্রায়েলী সমাজ, মোশি ও হারোণের বিপক্ষে বচসা করল। তারা বলল, “আপনারাই সদাপ্রভুর প্রজাদের হত্যা করলেন।” \p \v 42 যখন সেই সমাজ মোশি ও হারোণের বিপক্ষে একত্র হল এবং সমাগম তাঁবুর অভিমুখে ফিরল, হঠাৎ মেঘ তা আবৃত করল এবং সদাপ্রভুর মহিমা প্রত্যক্ষ হল। \v 43 তখন মোশি ও হারোণ, সমাগম তাঁবুর সামনে গেলেন \v 44 এবং সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 45 “এই সমাজ থেকে পৃথক হও যেন আমি এক নিমেষেই এদের বিলুপ্ত করি।” তাঁরা ভূমিতে উপুড় হয়ে পড়লেন। \p \v 46 মোশি তারপর হারোণকে বললেন, “তোমার অঙ্গারধানী নাও, বেদি থেকে অঙ্গার নিয়ে তার মধ্যে আগুন ও ধূপ দাও এবং তাড়াতাড়ি সমাজের মধ্যে গিয়ে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করো। সদাপ্রভুর রোষ নির্গত হয়েছে; মহামারি শুরু হয়ে গিয়েছে।” \v 47 মোশি যে রকম বললেন, হারোণ ঠিক তাই করলেন, তিনি সমাজের মধ্যে দৌড়ে গেলেন। ততক্ষণে জনতার মধ্যে মহামারি ছড়িয়ে পড়েছিল, কিন্তু হারোণ ধূপ দিয়ে তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলেন। \v 48 তিনি জীবিত ও মৃত, এই উভয় দলের মধ্যে দণ্ডায়মান হলেন এবং মহামারি নিবৃত্ত হল। \v 49 কোরহের জন্য যারা নিহত হয়েছিল, তাদের অতিরিক্ত, ওই মহামারিতে নিহতের সংখ্যা 14,700। \v 50 পরে হারোণ সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে, মোশির কাছে ফিরে গেলেন, কারণ মহামারি নিবৃত্ত হয়েছিল। \c 17 \s1 হারোণের মুকুলিত লাঠি \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো এবং তাদের কাছ থেকে প্রত্যেক পিতৃকুলের নেতা প্রতি একটি করে, বারোটি লাঠি গ্রহণ করো। প্রত্যেক ব্যক্তির নাম তার লাঠিতে লেখো। \v 3 লেবির লাঠিতে হারোণের নাম লিখবে, কারণ প্রত্যেক পিতৃকুলের শীর্ষ নেতার একটি করে লাঠি থাকবে। \v 4 সেগুলি নিয়ে, যেখানে আমি তোমার সঙ্গে দেখা করি, সমাগম তাঁবুর সেই সাক্ষ্য-সিন্দুকের সামনে রাখো। \v 5 যে ব্যক্তিকে আমি মনোনীত করব তার লাঠি অঙ্কুরিত হবে এবং আমি আমার বিপক্ষে ইস্রায়েলীদের নিরবচ্ছিন্ন অসন্তোষ থেকে অব্যহতি পাব।” \p \v 6 আর মোশি ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বললেন এবং তাদের নেতৃবৃন্দ তাঁকে প্রত্যেক পিতৃকুলের প্রধানের জন্য একটি করে বারোটি লাঠি দিলেন। হারোণের লাঠিও তাদের মধ্যে ছিল। \v 7 মোশি সাক্ষ্য তাঁবুর মধ্যে সেই লাঠিগুলি সদাপ্রভুর সামনে রাখলেন। \p \v 8 পরদিন, মোশি সাক্ষ্য তাঁবুতে প্রবেশ করে দেখলেন, লেবির কূলসূচক হারোণের লাঠি; শুধুমাত্র যে অঙ্কুরিত হয়েছে, তা নয় কিন্তু মুকুলিত ও পুষ্পিত হয়েছে এবং কাঠবাদামও ধরেছে। \v 9 তখন মোশি, লাঠিগুলি সদাপ্রভুর কাছ থেকে বাইরে, ইস্রায়েলীদের কাছে নিয়ে এলেন। তারা সেগুলি দেখল এবং প্রত্যেক নেতা নিজের নিজের লাঠি গ্রহণ করলেন। \p \v 10 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণের লাঠি আবার সাক্ষ্য-সিন্দুকের সামনে রাখো, তা বিদ্রোহীকুলের পক্ষে নিদর্শনস্বরূপ হবে। এরপরে তারা আমার বিপক্ষে বচসা করতে নিবৃত্ত হবে এবং তারা যেন আর না মরে।” \v 11 মোশি ঠিক তাই করলেন, যে রকম সদাপ্রভু তাকে আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 12 ইস্রায়েলীরা মোশিকে বলল, “আমরা মারা যাব! আমরা বিনাশপ্রাপ্ত হয়েছি, প্রত্যেকেই বিনষ্ট হলাম! \v 13 যে কেউ সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুর কাছেও যদি আসে, সে মারা পড়বে। আমরা কি সবাই মরব?” \c 18 \s1 যাজক ও লেবীয়দের কর্তব্য \p \v 1 সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “তুমি, তোমার ছেলেরা এবং তোমার পিতৃকুল, পবিত্রস্থানের বিপক্ষে কৃত অপরাধের জন্য দায়ী হবে এবং তুমি ও তোমার ছেলেরা যাজকত্ব পদের বিপক্ষে কৃত অপরাধের জন্য দায়ী হবে। \v 2 তোমার পিতৃকুল থেকে সহচর লেবীয়দের নিয়ে এসো। যখন তুমি ও তোমার ছেলেরা সাক্ষ্য তাঁবুর সামনে পরিচর্যা করো, তারা তোমার সঙ্গে যোগ দিয়ে তোমাদের সাহায্য করুক। \v 3 তারা তোমার প্রতি দায়িত্বশীল থাকবে এবং তারা তাঁবুর সংশ্লিষ্ট সমস্ত কাজ করবে, কিন্তু পবিত্রস্থানের আসবাব অথবা যজ্ঞবেদির কাছে যাবে না, নতুবা তুমি এবং তারা উভয়ই মারা পড়বে। \v 4 তারা তোমার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাক্ষ্য তাঁবুর তত্ত্বাবধানের জন্য দায়ী হবে, তাঁবু সংক্রান্ত সমস্ত কাজের জন্যই, কিন্তু কেউই যেখানে তোমরা থাকবে সেখানে যাবে না। \p \v 5 “তুমি পবিত্রস্থান ও যজ্ঞবেদির জন্য দায়ী হবে, যেন আবার ইস্রায়েলীদের উপর আমার রোষ না বর্তায়। \v 6 আমি স্বয়ং তোমার সহচর লেবীয়দের, ইস্রায়েলীদের মধ্য থেকে মনোনীত করে, তোমাকে উপহার দিয়েছি, সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র করেছি, যেন তারা সমাগম তাঁবুর কাজকর্ম করতে পারে। \v 7 কিন্তু যজ্ঞবেদি সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়ে এবং পর্দার অভ্যন্তরে শুধুমাত্র তুমি ও তোমার ছেলেরা যাজকরূপে পরিচর্যা করবে। আমি যাজকত্ব পদের পরিচর্যা, তোমাকে উপহারস্বরূপ দিয়েছি। অন্য কেউ যদি পবিত্রস্থানের কাছে যায়, তার প্রাণদণ্ড হবে।” \s1 যাজক ও লেবীয়দের উপহার \p \v 8 তারপর সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “যে নৈবেদ্যগুলি আমার উদ্দেশে নিবেদিত হয়, আমি স্বয়ং তোমাকে সেসবের তত্ত্বাবধায়ক করেছি; সমস্ত পবিত্র উপহার, যা ইস্রায়েলীরা আমাকে নিবেদন করে, আমি তোমাকে ও তোমার ছেলেদের তোমাদের অংশ ও প্রাপ্য বলে দিয়েছি। \v 9 যে সমস্ত দ্রব্য অগ্নি আহুতি থেকে অবশিষ্ট থাকে, তুমি সেই অতি পবিত্র নৈবেদ্যর অংশ প্রাপ্ত হবে। সমস্ত উপহার, যা তারা অতি পবিত্র নৈবেদ্যরূপে নিয়ে আসে, অর্থাৎ শস্য বা পাপার্থক-নৈবেদ্য, সেই অংশে তোমার ও তোমার পুত্রগণের অধিকার থাকবে। \v 10 অত্যন্ত পবিত্র গণ্য করে তা ভোজন কোরো; প্রত্যেক পুরুষ তা ভোজন করবে, তুমি অবশ্যই তা পবিত্র বলে সম্মান করবে। \p \v 11 “এই সমস্ত তোমার, ইস্রায়েলীদের আনীত দোলনীয়-নৈবেদ্যের উপহারসমূহ থেকে যা কিছু পৃথক করে রাখা হয়। আমি সেসব তোমাকে, তোমার ছেলে ও মেয়েদের, তোমাদের নিয়মিত প্রাপ্য অংশ বলে দিলাম। তোমার কুলের প্রত্যেক ব্যক্তি, যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুচিশুদ্ধ, সে তা ভোজন করতে পারবে। \p \v 12 “তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাদের যেসব উৎকৃষ্ট জলপাই তেল, উত্তম নতুন দ্রাক্ষারস ও শস্য নিবেদন করে, যেসব অগ্রিমাংশ তারা উৎসর্গ করে, সে সমস্তই আমি তোমাকে দিলাম। \v 13 ভূমিজাত সমস্ত ফলের অগ্রিমাংশ যা তারা সদাপ্রভুর কাছে নিয়ে আসে, তা তোমাদেরই হবে। তোমরা পরিবারের প্রত্যেকে, যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুচিশুদ্ধ, সে তা ভোজন করতে পারবে। \p \v 14 “ইস্রায়েলের সবকিছুই, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত হয়, তা তোমার হবে। \v 15 মানুষ বা পশু, যাবতীয় প্রাণীর মধ্যে প্রথমজাত সব প্রাণীকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করবে, সে সব তোমার হবে। কিন্তু মনুষের প্রথমজাতকে এবং অশুচি পশুর প্রথমজাত পুংপশুকে তুমি অবশ্য মুক্ত করবে। \v 16 যখন তাদের বয়স এক মাস হবে, তুমি তাদের নির্ধারিত মুক্তির মূল্যে, অর্থাৎ পবিত্রস্থানের শেকল অনুসারে, পাঁচ শেকল\f + \fr 18:16 \fr*\ft প্রায় 58 গ্রাম\ft*\f* রুপোর বিনিময়ে মুক্ত করবে। এক শেকলের ওজন, কুড়ি গেরা। \p \v 17 “তুমি কিন্তু প্রথমজাত ষাঁড়, মেষ অথবা ছাগলকে মুক্ত করবে না; সেগুলি পবিত্র। তাদের রক্ত বেদিতে ছিটাবে এবং তাদের মেদ, সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিস্বরূপ, ভক্ষ্য-নৈবেদ্যরূপে আগুনে পোড়াবে। \v 18 তাদের মাংস তোমাদেরই প্রাপ্য হবে, যেমন দোলনীয়-নৈবেদ্যর বক্ষ ও দক্ষিণ ঊরু তোমাদের। \v 19 সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত, ইস্রায়েলীদের পবিত্র নৈবেদ্য থেকে যা কিছু স্বতন্ত্র রাখা হয়, তা আমি তোমাকে, তোমার ছেলে ও মেয়েদের নিয়মিত অংশ বলে দিলাম। তুমি ও তোমার সন্তানদের জন্য এই হল সদাপ্রভুর সাক্ষাতে চিরস্থায়ী লবণ-নিয়ম।” \p \v 20 সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, “তাদের দেশে তোমার কোনো উত্তরাধিকার থাকবে না, কিংবা তাদের মধ্যে তোমার কোনো অংশ থাকবে না। ইস্রায়েলীদের মধ্যে আমিই তোমার অংশ এবং অধিকার। \p \v 21 “সমাগম তাঁবুর পরিচর্যার সময় লেবীয়েরা যে কাজ করে, তাঁর পরিবর্তে আমি উত্তরাধিকারস্বরূপ তাদের ইস্রায়েলের সমস্ত দশমাংশ দিলাম। \v 22 এখন অবধি ইস্রায়েলীরা অবশ্যই সমাগম তাঁবুর নিকটস্থ হবে না, নতুবা তারা তাদের পাপের পরিণতি ভোগ করবে ও মারা পড়বে। \v 23 কেবলমাত্র লেবীয়েরাই সমাগম তাঁবুর সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম করবে এবং তাঁর বিপক্ষে কৃত অপরাধসমূহের দায়িত্ব বহন করবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এই বিধি চিরস্থায়ী। তারা ইস্রায়েলীদের মধ্যে কোনো উত্তরাধিকার পাবে না। \v 24 পরিবর্তে, আমি লেবীয়দের অধিকারস্বরূপ সমস্ত দশমাংশ দান করছি, যা ইস্রায়েলীরা, সদাপ্রভুর কাছে উপহারস্বরূপ নিবেদন করে। এই জন্য আমি তাদের সম্পর্কে এই কথা বলেছি, ‘ইস্রায়েলীদের মধ্যে তাদের কোনো উত্তরাধিকার থাকবে না।’ ” \p \v 25 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 26 “লেবীয়দের সঙ্গে কথা বলো, তাদের বলো, ‘যখন তোমরা ইস্রায়েলীদের কাছ থেকে দশমাংশ গ্রহণ করবে, যা আমি তোমাদের অধিকারস্বরূপ দান করেছি, তোমরা সেই দশমাংশের দশমাংশ, সদাপ্রভুর নৈবেদ্যস্বরূপ উপহার দেবে। \v 27 তোমাদের নৈবেদ্য তোমাদের জন্য খামারের শস্য অথবা দ্রাক্ষা নিষ্পেষণ যন্ত্রের নির্যাসস্বরূপ গণ্য হবে। \v 28 একইভাবে, তোমরাও ইস্রায়েলীদের কাছ থেকে যে সমস্ত দশমাংশ পাও, তা থেকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক নৈবেদ্য উপহার দেবে। এই সমস্ত দশমাংশ থেকে, তোমরা অবশ্যই সদাপ্রভুর অংশ, যাজক হারোণকে দেবে। \v 29 তোমাদের যা দেওয়া হয়, তার মধ্যে থেকে সর্বোত্তম এবং পবিত্রতম অংশ, সদাপ্রভুর অংশ বলে নিবেদন করবে।’ \p \v 30 “লেবীয়দের বলো, ‘যখন তোমরা সেই সর্বোত্তম অংশ নিবেদন করবে, তখন তা তোমাদের জন্য খামারের শস্য অথবা দ্রাক্ষা নিষ্পেষণ যন্ত্রের নির্যাসের মতোই গণ্য হবে। \v 31 তোমরা ও তোমাদের স্বজনবর্গ, তাঁর অবশিষ্ট অংশ, যে কোনো স্থানে আহার করতে পারো, কারণ তা সমাগম তাঁবুতে তোমাদের কাজের বেতনস্বরূপ। \v 32 তাঁর সর্বোত্তম অংশ নিবেদন করে, তোমরা এই বিষয়ে অপরাধী হবে না; ফলে তোমরা ইস্রায়েলীদের পবিত্র নৈবেদ্য কলুষিত করবে না এবং তোমরা মারা পড়বে না।’ ” \c 19 \s1 শুদ্ধকরণের জল \p \v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 2 “সদাপ্রভু যা আদেশ করেছেন, শাস্ত্রের সেই বিধান হল এই; ইস্রায়েলীদের বলো, একটি লাল রংয়ের ক্রুটিহীন ও বিকলাঙ্ক নয়, এমন বকনা-বাছুর, যে কখনও জোয়াল টানেনি, তোমার কাছে নিয়ে আসতে। \v 3 তুমি তা নিয়ে যাজক ইলীয়াসরকে দেবে; সেটিকে ছাউনির বাইরে নিয়ে গিয়ে তাঁর সামনে জবাই করতে হবে। \v 4 পরে যাজক ইলীয়াসর তাঁর আঙুলে সামান্য রক্ত নিয়ে, সমাগম তাঁবুর অভিমুখে সাতবার ছিটিয়ে দেবে। \v 5 তাঁর দৃষ্টিগোচরে সেই বকনা-বাছুরটিকে, তাঁর চামড়া, মাংস, রক্ত এবং গোবর সমেত পোড়াতে হবে। \v 6 যাজক কিছু পরিমাণ দেবদারু কাঠ, এসোব ও লাল রংয়ের পশম নিয়ে ওই পোড়া বাছুরের উপরে নিক্ষেপ করবে। \v 7 তারপর যাজক অবশ্যই তাঁর পোশাক ধুয়ে জলে স্নান করবে। পরে সে ছাউনিতে ফিরে আসতে পারে; তা সত্ত্বেও, আনুষ্ঠানিকভাবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। \v 8 যে ব্যক্তি তা পোড়ায়, সেও নিজের পোশাক ধুয়ে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। \p \v 9 “একজন শুচিশুদ্ধ ব্যক্তি সেই বকনা-বাছুরের ছাই সংগ্রহ করে, ছাউনির বাইরে, আনুষ্ঠানিকভাবে শুচিকৃত কোনও এক স্থানে রাখবে। সেগুলি ইস্রায়েলী সমাজের কাছে রাখবে যেন শুদ্ধকরণের জল হিসেবে তা ব্যবহার করা যায়; এটি পাপ থেকে শুদ্ধকরণের জন্যে। \v 10 যে ব্যক্তি ওই বকনা-বাছুরের ভস্ম সংগ্রহ করে, সে নিজের পোশাক ধুয়ে নেবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। ইস্রায়েলী এবং তাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশিদের জন্য এই আদেশ হবে চিরস্থায়ী। \p \v 11 “যে কেউ কোনো মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করবে সে সাত দিন অশুচি থাকবে। \v 12 তাদের অবশ্যই সেই জল নিয়ে তৃতীয় দিনে ও সপ্তম দিনে নিজেকে শুচিশুদ্ধ করতে হবে; তারপর তারা শুচিশুদ্ধ হবে। কিন্তু তারা যদি তৃতীয় ও সপ্তম দিনে নিজেদের শুচিশুদ্ধ না করে, তারা শুচিশুদ্ধ হবে না। \v 13 মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করে যদি কেউ নিজেকে পাপমুক্ত না করে, তাহলে তারা সদাপ্রভুর আবাস তাঁবু অশুচি করবে। তারা ইস্রায়েলের মধ্য থেকে বিলুপ্ত হবে। যেহেতু শুদ্ধকরণের জল তাদের উপর ছিটানো হয়নি, তাই তারা অশুচি থাকবে; তাদের অশুচিতা থেকেই যাবে। \p \v 14 “যখন কেউ তাঁবুর মধ্যে মারা যায়, এই বিধি সেই সময়ের জন্য প্রযোজ্য। যে কেউ সেই তাঁবুর অভ্যন্তরে থাকে ও যে কোনো ব্যক্তি তাঁর মধ্যে প্রবেশ করে, তারা সাত দিন পর্যন্ত অশুচি থাকবে \v 15 এবং সমস্ত খোলা পাত্র ও সুতোয় বাঁধা ঢাকনাবিহীন পাত্র অশুচি হবে। \p \v 16 “উন্মুক্ত স্থানে কোনো ব্যক্তি যদি তরোয়াল দ্বারা নিহত বা স্বাভাবিকভাবে মৃত কোনো ব্যক্তিকে স্পর্শ করে, অথবা যদি কেউ কোনো মৃত ব্যক্তির অস্থি বা সমাধি স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি সাত দিন অশুচি থাকবে। \p \v 17 “অশুচি ব্যক্তির শুদ্ধকরণের জন্য একটি পাত্রে পাপার্থক নৈবেদ্যের সামান্য ভস্ম নিয়ে তাঁর মধ্যে টাটকা জল দিতে হবে। \v 18 তারপর, আনুষ্ঠানিকভাবে শুচিশুদ্ধ এমন কোনো ব্যক্তি, সামান্য এসোব নিয়ে, সেই জলে ডুবিয়ে তাঁবু, তাঁর আসবাবপত্র এবং সেই স্থানের সমস্ত ব্যক্তির উপর ছিটিয়ে দেবে। সে অবশ্য সেই জল তার উপরেও ছিটিয়ে দেবে, যে কোনো মানুষের অস্থি অথবা সমাধি অথবা কোনো নিহত বা স্বাভাবিকভাবে মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করেছে। \v 19 যে ব্যক্তি শুচিশুদ্ধ, সে ওই অশুচি ব্যক্তিদের উপর তৃতীয় ও সপ্তম দিনে জল ছিটাবে এবং সপ্তম দিনে সে তাদের শুচিশুদ্ধ করবে। যারা এইভাবে শুদ্ধিকৃত হয়, তারা অবশ্যই তাদের পোশাক ধুয়ে নেবে ও জলে স্নান করবে এবং সেই সন্ধ্যায় তারা শুচিশুদ্ধ হবে। \v 20 কিন্তু যদি অশুচি ব্যক্তিরা নিজেদের শুচিশুদ্ধ না করে, তারা অবশ্যই সমাজ থেকে বিলুপ্ত হবে, কারণ তারা সদাপ্রভুর পবিত্র স্থানকে অশুচি করেছে। শুদ্ধকরণের জল তাঁর উপরে ছিটানো হয়নি, তাই তারা অশুচি। \v 21 তাদের জন্য এই আদেশ হবে চিরস্থায়ী। \p “যে ব্যক্তি সেই জল ছিটাবে, সেও নিজের পোশাক ধুয়ে নেবে এবং যে কেউ সেই শুদ্ধকরণের জল স্পর্শ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। \v 22 কোনো অশুচি ব্যক্তি যা কিছু স্পর্শ করবে, তা অশুচি হবে এবং যে কেউ তা স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে।” \c 20 \s1 শৈল থেকে নির্গত জল \p \v 1 প্রথম মাসে সমগ্র ইস্রায়েলী সমাজ, সীন মরুভূমিতে উপস্থিত হয়ে কাদেশে অবস্থান করল। সেই স্থানে মরিয়ম মারা গেলেন এবং তাঁকে কবর দেওয়া হল। \p \v 2 সেখানে সমাজের ব্যবহার্য কোনো জল ছিল না। তাই জনতা মোশি ও হারোণের বিপক্ষে একত্র হল। \v 3 তারা মোশির সঙ্গে বিবাদ করে বলল, “আমাদের ভ্রাতৃবর্গ যখন সদাপ্রভুর সামনে মারা গেল, তখন আমরাও যদি মারা যেতাম! \v 4 কেন তোমরা সদাপ্রভুর সমাজকে এই প্রান্তরে নিয়ে এলে, যেন আমরা ও আমাদের পশুপাল এই জায়গায় মারা যাই? \v 5 কেন তোমরা মিশর থেকে আমাদের বের করে এই ভয়ংকর জায়গায় নিয়ে এলে? এখানে কোনো শস্য বা ডুমুর, দ্রাক্ষালতা বা বেদানা নেই। পান করার জন্য জলও নেই!” \p \v 6 মোশি ও হারোণ, মণ্ডলী থেকে পৃথক হয়ে সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে গেলেন এবং তারা উপুড় হয়ে পড়লেন আর তাদের সামনে সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হল। \v 7 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 8 “তোমার লাঠিটি নাও এবং তুমি ও তোমার ভাই হারোণ মণ্ডলীকে একত্র করো। তাদের দৃষ্টিগোচরে ওই শৈলকে গিয়ে বলো, সে তার অভ্যন্তরস্থ জল নির্গত করবে। তুমি শৈল থেকে সমাজের জন্য জল নির্গত করবে, যেন তারা ও তাদের পশুপাল সেই জলপান করতে পারে।” \p \v 9 অতএব মোশি, সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে সেই লাঠিটি গ্রহণ করলেন, যেমন তিনি তাকে আদেশ দিয়েছিলেন। \v 10 তিনি এবং হারোণ, মণ্ডলীকে সেই শৈলের সামনে একত্র করলেন এবং মোশি তাদের বললেন, “বিদ্রোহীকুল, তোমরা শোনো, আমরা কি এই শৈল থেকে তোমাদের জন্য জল নির্গত করব?” \v 11 তারপর মোশি হাত তুলে, তাঁর লাঠি দিয়ে দু-বার সেই শৈলে আঘাত করলেন। জল পূর্ণ বেগে নির্গত হল এবং সমাজ ও তাদের পশুপাল সেই জলপান করল। \p \v 12 সদাপ্রভু কিন্তু মোশি ও হারোণকে বললেন, “যেহেতু তোমরা, ইস্রায়েলীদের দৃষ্টিতে পবিত্র বলে আমাকে সম্মান দিয়ে, আমার উপর পর্যাপ্ত বিশ্বাস রাখলে না, তাই যে দেশ আমি তাদের দান করব, তোমরা এই মণ্ডলীকে সেই দেশে নিয়ে যাবে না।” \p \v 13 এই ছিল মরীবার\f + \fr 20:13 \fr*\ft অর্থাৎ, বিবাদ\ft*\f* জল, যেখানে ইস্রায়েলীরা সদাপ্রভুর সঙ্গে বিবাদ করেছিল এবং সেই স্থানে তিনি তাদের মধ্যে পবিত্র প্রমাণিত হয়েছিলেন। \s1 দেশের মধ্য দিয়ে ইস্রায়েলীদের গমনে ইদোমের অস্বীকার \p \v 14 মোশি কাদেশ থেকে ইদোমের রাজার কাছে বার্তাবাহকদের মাধ্যমে এই বার্তা প্রেরণ করলেন, \pm “আপনার ভাই ইস্রায়েল এই কথা বলছে, আমাদের প্রতি যে সমস্ত কষ্ট ঘটেছিল, সেই বিষয় আপনি অবগত আছেন। \v 15 আমাদের পূর্বপুরুষেরা মিশরে গিয়েছিলেন এবং বহু বছর আমরা সেখানে বসবাস করেছিলাম। মিশরীয়েরা আমাদের ও আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি দুর্ব্যবহার করেছিল, \v 16 কিন্তু আমরা সদাপ্রভুর কাছে যখন কাঁদলাম তিনি আমাদের কান্না শুনে একজন স্বর্গদূত পাঠিয়েছিলেন এবং মিশর থেকে আমাদের বের করে নিয়ে এলেন। \pm “এখন আমরা, আপনার অঞ্চলের প্রান্তে কাদেশ নগরে অবস্থান করছি। \v 17 কৃপা করে আপনার দেশের মধ্যে দিয়ে আমাদের যাত্রা করতে দিন। আমরা কোনো চাষের জমি বা দ্রাক্ষাকুঞ্জের মধ্য দিয়ে যাব না, কুয়ো থেকে জলও পান করব না। আমরা সরাসরি রাজপথ দিয়ে যাব এবং যতক্ষণ না আপনার সীমানা পার হই, আমরা ডানদিকে বা বাঁদিকে ঘুরব না।” \p \v 18 কিন্তু ইদোম উত্তর দিল, \pm “তোমরা এই দেশের মধ্য দিয়ে যেতে পারবে না। যদি সেই চেষ্টা করো, তাহলে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যাব এবং তরোয়াল নিয়ে তোমাদের আক্রমণ করব।” \p \v 19 প্রত্যুত্তরে ইস্রায়েলীরা বলল, \pm “আমরা প্রধান পথ ধরেই যাত্রা করব। যদি আমরা, বা আমাদের পশুপাল কেউ জলপান করে, তার জন্য আমরা মূল্য দেব। আমরা শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে পার হতে চাই, অন্য কিছু নয়।” \p \v 20 তারা আবার উত্তর দিল, \pm “তোমরা যেতে পারবে না।” \p তারপর ইদোম এক বড়ো এবং শক্তিশালী সেনাদল নিয়ে তাদের বিপক্ষে বেরিয়ে এল। \v 21 যেহেতু ইদোম, তাদের ভূখণ্ড দিয়ে যেতে দিল না, তাই ইস্রায়েলীরা তাদের কাছ থেকে ফিরে এল। \s1 হারোণের মৃত্যু \p \v 22 সমগ্র ইস্রায়েলী সমাজ কাদেশ থেকে যাত্রা করে হোর পর্বতে উপস্থিত হল। \v 23 ইদোমের সীমানার কাছে, হোর পর্বতে, সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 24 “হারোণ তাঁর স্বজনবর্গের কাছে সংগৃহীত হবে। ইস্রায়েলীদের আমি যে দেশ দিতে চাই, সেখানে সে প্রবেশ করবে না, কারণ তোমরা উভয়েই মরীবার জলের কাছে আমার বিরুদ্ধাচারণ করেছিলে। \v 25 হারোণ ও তাঁর ছেলে ইলীয়াসরকে নিয়ে হোর পর্বতে যাও। \v 26 হারোণের পোশাক খুলে ইলীয়াসরকে পরিয়ে দাও, কারণ হারোণ তাঁর স্বজনবর্গের কাছে সংগৃহীত হবে; সে সেখানেই মারা যাবে।” \p \v 27 সদাপ্রভু যে রকম বলেছিলেন, মোশি, ঠিক তাই করলেন। তাঁরা সমগ্র সমাজের দৃষ্টিগোচরে হোর পর্বতে উঠে গেলেন। \v 28 মোশি, হারোণের পোশাক খুলে, তাঁর পুত্র ইলীয়াসরকে পরিয়ে দিলেন। হারোণ সেই পর্বতের উপরে মারা গেলেন। তারপর মোশি ও ইলীয়াসর পর্বত থেকে নেমে এলেন। \v 29 যখন সমগ্র সমাজ অবগত হল যে হারোণ মারা গিয়েছেন, তখন ইস্রায়েলীরা সবাই তাঁর জন্য ত্রিশ দিন শোক করল। \c 21 \s1 অরাদের বিনাশ \p \v 1 কনান বংশীয় অরাদের রাজা, যিনি নেগেভে বসবাস করতেন, যখন শুনলেন যে ইস্রায়েলীরা অথারীমের পথ ধরে আসছে, তখন তিনি তাদের আক্রমণ করে কয়েকজনকে বন্দি করলেন। \v 2 তখন ইস্রায়েল সদাপ্রভুর কাছে এই শপথ করল, “যদি তুমি এই লোকদের আমাদের হাতে সমর্পণ করো, তবে আমরা তাদের নগরগুলি নিঃশেষে বিনষ্ট করব।” \v 3 সদাপ্রভু ইস্রায়েলীদের অনুনয় শুনলেন এবং তাদের হাতে কনানীয়দের সমর্পণ করলেন। তারা তাদের নগর সমেত সবাইকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করল। তাই সেই স্থানের নাম রাখা হল হর্মা\f + \fr 21:3 \fr*\ft অর্থাৎ, ধ্বংস\ft*\f*। \s1 ব্রোঞ্জের সাপ \p \v 4 তারা হোর পর্বত থেকে যাত্রা শুরু করল, ইদোম প্রদক্ষিণ করার উদ্দেশে লোহিত সাগর অভিমুখে গমন করল। কিন্তু জনতা পথের মধ্যে অসহিষ্ণু হয়ে উঠল। \v 5 তারা ঈশ্বরের এবং মোশির বিপক্ষে নিন্দা করে বলল, “আপনারা কেন মিশর থেকে আমাদের বের করে এই প্রান্তরে মেরে ফেলার জন্য নিয়ে এলেন? এখানে কোনো রুটি নেই! জল নেই! এই কষ্টদায়ক আহারে আমাদের অরুচি ধরে গেছে!” \p \v 6 তখন সদাপ্রভু তাদের মধ্যে বিষধর সাপ পাঠালেন; সেগুলি লোকদের দংশন করল এবং অনেক ইস্রায়েলী মারা গেল। \v 7 লোকেরা মোশির কাছে এসে তাঁকে বলল, “আমরা সদাপ্রভু ও আপনার বিপক্ষে কথা বলে পাপ করেছি। প্রার্থনা করুন যেন সদাপ্রভু এই সাপদের আমাদের কাছ থেকে দূর করেন।” তাই মোশি লোকদের জন্য বিনতি করলেন। \p \v 8 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “একটি সাপ নির্মাণ করে তুমি খুঁটির উপরে স্থাপন করো। কাউকে সাপ দংশন করলে সে তার প্রতি দৃষ্টিপাত করে রক্ষা পাবে।” \v 9 মোশি তখন ব্রোঞ্জের একটি সাপ নির্মাণ করে একটি খুঁটির উপরে স্থাপন করলেন। তারপর যখনই কোনো ব্যক্তিকে সাপ দংশন করত এবং সে ওই ব্রোঞ্জ নির্মিত সাপের প্রতি দৃষ্টিপাত করত, সে বেঁচে যেত। \s1 মোয়াবের উদ্দেশে যাত্রা \p \v 10 ইস্রায়েলীরা যাত্রা করে ওবোতে ছাউনি স্থাপন করল। \v 11 তারপর তারা ওবোৎ থেকে যাত্রা করে, সূর্যোদয়ের অভিমুখে, মরুভূমি সন্নিহিত মোয়াবের কাছে ঈয়ী-অবারীমে ছাউনি স্থাপন করল। \v 12 সেখান থেকে অগ্রসর হয়ে তারা সেরদ উপত্যকায় ছাউনি স্থাপন করল। \v 13 সেখান থেকে যাত্রা করে তারা অর্ণোনের পাশে ছাউনি স্থাপন করল। অর্ণোন মরুভূমিতে অবস্থিত, যা ইমোরীয়দের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মোয়াব এবং ইমোরীয়দের মধ্যে অর্ণোনই হল মোয়াবের সীমানা। \v 14 এই কারণে সদাপ্রভুর যুদ্ধ সংক্রান্ত পুস্তকে লিপিবদ্ধ আছে, \q1 “শূফাতে অবস্থিত বাহেব ও উপত্যকা সকল, \q2 অর্ণোন \v 15 এবং উপত্যকা সকলের পার্শ্ব ভূমি, \q1 যা আর্-এর অভিমুখী, \q2 এবং মোয়াবের সীমানার পাশে অবস্থিত।” \m \v 16 সেই স্থান থেকে তারা ক্রমাগত অগ্রসর হয়ে বীর-এ গেল। সেই কুয়োর কাছে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “লোকদের একত্র করো। আমি তাদের জল দেব।” \p \v 17 তখন ইস্রায়েলীরা এই গীত গাইল \q1 “উৎসারিত হও, হে কুয়ো, \q2 এর উদ্দেশে গাও গীত, \q1 \v 18 রাজপুত্রদের খনিত এই কুয়োর বিষয়ে \q2 অভিজাত ব্যক্তিরা যা খনন করেছিলেন, \q2 অভিজাত ব্যক্তিদের রাজদণ্ড ও লাঠি দিয়ে।” \m তারপর তারা প্রান্তর থেকে মত্তানায় গেল। \v 19 মত্তানা থেকে নহলীয়েলে, নহলীয়েল থেকে বামোতে, \v 20 বামোৎ থেকে মোয়াব উপত্যকায়, যেখানে পিস্‌গা শিখর থেকে মরুভূমি প্রত্যক্ষ হল। \s1 সীহোন এবং ওগের পরাজয় \p \v 21 ইস্রায়েল, ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের কাছে বার্তাবাহকদের প্রেরণ করল। তারা গিয়ে বলল, \pm \v 22 “আপনার দেশের মধ্য দিয়ে আমাদের যাওয়ার অনুমতি দিন। আমরা কোনো শস্যক্ষেত্র বা দ্রাক্ষাকুঞ্জের মধ্য গিয়ে যাব না, কুয়ো থেকে জলও পান করব না। যতদিন না আমরা এলাকা পার হয়ে যাই, আমরা শুধু রাজপথ দিয়েই গমন করব।” \p \v 23 সীহোন কিন্তু তাঁর এলাকা দিয়ে ইস্রায়েলীদের যেতে দিলেন না। তিনি তাঁর সমস্ত সেনা সমাবেশ করে প্রান্তরে ইস্রায়েলীদের বিপক্ষে অগ্রসর হলেন। যহসে পৌঁছে তিনি ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন। \v 24 তাতে ইস্রায়েল তাঁকে তরোয়াল দিয়ে আঘাত করল এবং অর্ণোন থেকে যব্বোক পর্যন্ত দখল করে নিল, কারণ অম্মোনীয়দের সীমানা সুরক্ষিত ছিল। \v 25 ইস্রায়েল হিষ্‌বোন সমেত ইমোরীয়দের সমস্ত নগর এবং তাদের সন্নিহিত উপনিবেশগুলি দখল করে বসতি স্থাপন করল। \v 26 হিষ্‌বোন, ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের শহর ছিল, যা তিনি মোয়াবের সঙ্গে যুদ্ধ করে অর্ণোন পর্যন্ত তাঁর সমস্ত রাজ্য অধিকারভুক্ত করেছিলেন। \p \v 27 সেইজন্য কবিরা বলেছেন, \q1 “হিষ্‌বোনে এসো, তা পুনর্নির্মিত হোক, \q2 সীহোনের নগর পুনরুদ্ধার হোক। \b \q1 \v 28 “হিষ্‌বোন থেকে অগ্নি, \q2 সীহোনের নগর থেকে নির্গত হল এক বহ্নিশিখা, \q1 তা মোয়াবের আর্ ও অর্ণোনের \q2 উচ্চভূমির নাগরিকদের বিনাশ করল। \q1 \v 29 হে মোয়াব, ধিক্ তোমাকে! \q2 কমোশের প্রজারা, তোমরা বিনষ্ট হলে। \q1 সে তার ছেলেদের পলাতকদের হাতে, \q2 ও মেয়েদের বন্দিরূপে সমর্পণ করেছে, \q2 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের হাতে। \b \q1 \v 30 “কিন্তু আমরা তাদের নিপাতিত করেছি; \q2 হিষ্‌বোন দীবোন পর্যন্ত ধ্বংস হয়েছে, \q1 আমরা নোফঃ পর্যন্ত তাদের ধ্বংস করেছি, \q2 যা মেদ্‌বা পর্যন্ত বিস্তৃত।” \p \v 31 এইভাবে ইস্রায়েল ইমোরীয়দের দেশে বসতি স্থাপন করল। \p \v 32 মোশি যাসেরে গুপ্তচর পাঠানোর পর, ইস্রায়েলীরা তার চতুর্দিকের গ্রামগুলি অধিকার করে নিল এবং সেখানকার সমস্ত ইমোরীয়দের বিতাড়িত করল। \v 33 তারপর তারা ঘুরে বাশনের পথে উঠে গেল। আর বাশনের রাজা ওগ তাঁর সৈন্যদল নিয়ে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ইদ্রিয়ীতে এলেন। \p \v 34 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তাকে ভয় পেয়ো না। আমি তাকে, তার সমস্ত সেনাবাহিনী ও তার দেশ তোমার হাতে সমর্পণ করেছি। তার প্রতি সেরকমই কোরো, যেমন তুমি ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের প্রতি করেছিলে, যে হিষ্‌বোনে রাজত্ব করত।” \p \v 35 তাই তারা ওগ ও তার ছেলেদের ও সমস্ত সৈন্যবাহিনীকে আঘাত করল, কাউকে বাঁচিয়ে রাখল না এবং তারা তাঁর দেশ অধিকার করে নিল। \c 22 \s1 বিলিয়মকে বালাকের আহ্বান \p \v 1 তারপর ইস্রায়েলীরা মোয়াব দেশের সমতলে যাত্রা করল এবং যিরীহোর অন্য পাশে, জর্ডন বরাবর ছাউনি স্থাপন করল। \p \v 2 ইস্রায়েল ইমোরীয়দের প্রতি যা করেছিল, সিপ্পোরের ছেলে বালাক তা দেখলেন \v 3 এবং বিশাল জনতা দেখে মোয়াব অত্যন্ত শঙ্কিত হল। প্রকৃতপক্ষে, মোয়াব ইস্রায়েলীদের জন্য ত্রাসে পূর্ণ হল। \p \v 4 মোয়াবীয়েরা, মিদিয়নের প্রবীণদের বলল, “যেমন ষাঁড় ক্ষেতের ঘাস চেটে খায়, তেমনি এই যাযাবর সম্প্রদায় আমাদের চতুর্দিকের সবকিছুই চেটে খাবে।” \p তাই সিপ্পোরের ছেলে বালাক, যিনি সেই সময় মোয়াবের রাজা ছিলেন, \v 5 বিয়োরের ছেলে বিলিয়মের কাছে বার্তাবাহকদের পাঠালেন। তিনি সেই সময় ইউফ্রেটিস নদীর সন্নিকটে, তাঁর জন্মভূমি পথোর নগরে ছিলেন। বালাক বলে পাঠালেন, \pm “এক জনসমাজ মিশর থেকে বের হয়ে এসেছে; তারা ভূপৃষ্ঠ ছেয়ে গেছে এবং আমার রাজ্যের পাশেই বসতি করছে। \v 6 আপনি এসে এই জনসমাজকে অভিশাপ দিন, কারণ তারা আমার থেকেও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। সম্ভবত তখন আমি তাদের পর্যুদস্ত করে দেশ থেকে বিতাড়ন করতে পারব। আমি জানি, আপনি যাদের আশীর্বাদ করেন, তারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয় এবং যাদের অভিশাপ দেন তারা অভিশপ্ত হয়।” \p \v 7 মোয়াবের ও মিদিয়নের প্রবীণেরা প্রস্থান করলেন। তাঁরা প্রত্যাদেশের জন্য দেয় পারিশ্রমিক সঙ্গে নিয়ে গেলেন। তাঁরা বিলিয়মের কাছে গিয়ে, তাঁকে বালাকের বার্তা পৌঁছে দিলেন। \p \v 8 বিলিয়ম তাঁদের বলল, “রাতে এখানেই থাকুন সদাপ্রভু আমাকে যা উত্তর দেন, তা আমি আপনাদের জ্ঞাত করব।” অতএব মোয়াবীয় কর্মকর্তারা তার সঙ্গে থাকলেন। \p \v 9 ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এসে প্রশ্ন করলেন, “তোমার সঙ্গী, এই সমস্ত ব্যক্তি কারা?” \p \v 10 বিলিয়ম ঈশ্বরকে বললেন, “মোয়াবের রাজা, সিপ্পোরের ছেলে বালাক, আমার কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছেন, \v 11 ‘এক জনসমাজ মিশর থেকে বের হয়ে এসে সমস্ত দেশ ছেয়ে গেছে। এখন আপনি এসে আমার অনুকূলে তাদের অভিশাপ দিন। সম্ভবত তখন আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারব ও তাদের বিতাড়ন করব।’ ” \p \v 12 কিন্তু ঈশ্বর বিলিয়মকে বললেন, “তুমি তাদের সঙ্গে যাবে না। তুমি অবশ্যই ওই লোকদের অভিশাপ দেবে না, কারণ তারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত।” \p \v 13 পরদিন সকালে, বিলিয়ম উঠে বালাকের কর্মকর্তাদের বলল, “আপনাদের দেশে ফিরে যান, কারণ সদাপ্রভু আমাকে, আপনাদের সঙ্গে যেতে দিতে অস্বীকার করলেন।” \p \v 14 অতএব মোয়াবীয় কর্মকর্তারা বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “বিলিয়ম আমাদের সঙ্গে আসতে অস্বীকার করেছেন।” \p \v 15 তখন বালাক, সংখ্যায় আরও বেশি ও প্রথম দল অপেক্ষা অধিকতর বিশিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠালেন। \v 16 তাঁরা বিলিয়মের কাছে এসে বলল, \pm “সিপ্পোরের ছেলে বালাক এই কথা বলেছেন যে, আমার কাছে আসতে কোনো কিছুই যেন আপনাকে নিবারিত না করে, \v 17 কেননা আমি উদারভাবে আপনাকে পুরস্কৃত করব এবং আপনি যা কিছু বলেন, সে সমস্তই করব। আসুন এবং আমার অনুকূলে এই লোকদের অভিশাপ দিন।” \p \v 18 কিন্তু বিলিয়ম তাঁদের উত্তর দিল, “বালাক যদি তাঁর প্রাসাদের সমস্ত রুপো ও সোনা আমাকে দান করেন, আমার ঈশ্বর, সদাপ্রভু আমাকে যে আদেশ দেন, আমি তার থেকে বেশি বা অল্প কিছুই করতে পারব না। \v 19 এখন অন্য দলের মতো আপনারাও আজ রাতে এখানে থাকুন যেন আমি চেষ্টা করে দেখি সদাপ্রভু আমাকে আর কিছু বলেন কি না।” \p \v 20 সেই রাতে সদাপ্রভু বিলিয়মের কাছে এসে বললেন, “যেহেতু এই ব্যক্তিরা তোমাকে ডাকতে এসেছে, তাদের সঙ্গে যাও; কিন্তু সেই কাজই করবে, যা আমি তোমাকে করতে বলব।” \s1 বিলিয়মের গর্দভী \p \v 21 বিলিয়ম সকালে উঠে তাঁর গর্দভীর সজ্জা পরালো এবং মোয়াবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গেল। \v 22 কিন্তু সে যখন গেল, ঈশ্বর ভয়ানক রুষ্ট হলেন, সদাপ্রভুর দূত তার বিরোধিতা করার উদ্দেশে পথের মধ্যে দাঁড়ালেন। বিলিয়ম তার গর্দভীতে আরোহণ করেছিল এবং তার দুই ভৃত্য তার সঙ্গে ছিল। \v 23 যখন সেই গর্দভী, নিষ্কোষ তরোয়াল হাতে সদাপ্রভুর দূতকে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল, সে রাস্তা থেকে নেমে এক ক্ষেতের মধ্যে গেল। বিলিয়ম পথে ফিরানোর জন্য তাকে মারল। \p \v 24 তারপর সদাপ্রভুর দূত, সেই দ্রাক্ষাকুঞ্জের মধ্যবর্তী এক সংকীর্ণ স্থানে দাঁড়ালেন, যার দুই ধারে দেওয়াল ছিল। \v 25 যখন সেই গর্দভী সদাপ্রভুর দূতকে দেখল, সে দেওয়ালের নিকট ঘেসে গেল এতে বিলিয়মের পা ঘষে গেল। সেইজন্য সে তাকে পুনরায় প্রহার করল। \p \v 26 এরপর সদাপ্রভুর দূত অগ্রসর হয়ে এক সংকীর্ণ স্থানে গিয়ে দাঁড়ালেন, যেখান থেকে ডানদিকে বা বাঁদিকে কোনও পথে ফিরবার উপায় ছিল না। \v 27 যখন গর্দভী সদাপ্রভুর দূতকে দেখল, সে বিলিয়মের নিচে বসে পড়ল। এতে সে ক্রুদ্ধ হল ও লাঠি দিয়ে সেই গর্দভীকে মারল। \v 28 তখন সদাপ্রভু গর্দভীটির মুখ খুলে দিলেন এবং সে বিলিয়মকে বলল, “আমি আপনার প্রতি কী করেছি যে এই তিনবার আপনি আমাকে মারলেন?” \p \v 29 বিলিয়ম গর্দভীকে উত্তর দিল, “তুমি আমাকে কি নির্বোধ পেয়েছ! যদি আমার হাতে তরোয়াল থাকত, তাহলে আমি এখনই তোমাকে বধ করতাম।” \p \v 30 গর্দভী বিলিয়মকে বলল, “আমি কি আপনার ব্যক্তিগত গর্দভী নই, যার উপরে আজ পর্যন্ত আপনি আরোহণ করে এসেছেন? আমি কি অনুরূপ আচরণ কখনও আপনার প্রতি করেছি?” \p সে বলল, “না।” \p \v 31 তখন সদাপ্রভু বিলিয়মের চোখ খুলে দিলেন, আর সে দেখল সদাপ্রভুর দূত, পথের মধ্যে তাঁর তরোয়াল উন্মুক্ত করে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই তিনি মাথা নত করে উপুড় হয়ে পড়লেন। \p \v 32 সদাপ্রভুর দূত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার গর্দভীকে তুমি এই তিনবার কেন মারলে? আমি তোমার বিপক্ষতা করতে এসেছি, কারণ তোমার কর্মপন্থা আমার দৃষ্টিতে অবিবেচকের মতো প্রতিপন্ন হয়েছে। \v 33 গর্দভীটি আমাকে দেখতে পেয়ে এই তিনবার আমার কাছ থেকে সরে গিয়েছিল। যদি সে না সরে যেত, আমি অবশ্যই এতক্ষণে তোমাকে বধ করতাম, কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে রাখতাম।” \p \v 34 বিলিয়ম সদাপ্রভুর দূতকে বলল, “আমি পাপ করেছি। আমি উপলব্ধি করিনি যে আপনি আমার বিপক্ষতা করার জন্য পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। এখন আপনি যদি অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আমি ফিরে যাব।” \p \v 35 সদাপ্রভুর দূত বিলিয়মকে বললেন, “তুমি ওই লোকদের সঙ্গে যাও, কিন্তু আমি তোমাকে যে কথা বলি, তুমি ঠিক তাই বলবে।” বিলিয়ম এরপর বালাকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গেল। \p \v 36 বালাক যখন বিলিয়মের আগমনের সংবাদ পেলেন, তিনি তার সঙ্গে মিলিত হতে তাঁর অঞ্চলের প্রান্তস্থিত অর্ণোনের সীমায় অবস্থিত মোয়াবীয় এক নগরে গেলেন। \v 37 বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমি কি আপনাকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠাইনি? আপনি কেন আমার কাছে আসেননি? আমি কি বাস্তবিকই আপনাকে পুরস্কৃত করতে অক্ষম?” \p \v 38 বিলিয়ম উত্তর দিলেন, “বেশ, এখন আমি তো আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু আমি আমার ইচ্ছা মতন কথা বলতে পারি না। সদাপ্রভু আমার মুখে যে ভাষ্য দেবেন, আমি শুধু সেকথাই বলতে পারব।” \p \v 39 তারপর বিলিয়ম, বালাকের সঙ্গে কিরিয়ৎ-হুষোতে গেল। \v 40 বালাক গবাদি পশু ও মেষ বলিদান করলেন এবং তাদের কয়েকটি নিয়ে বিলিয়ম ও তার সঙ্গী সেই কর্মকর্তাদের দান করলেন। \v 41 পরদিন সকালে বালাক, বিলিয়মকে নিয়ে বামোৎ বায়ালে আরোহণ করলেন এবং সেই স্থান থেকে তিনি ইস্রায়েলীদের শিবিরের প্রান্তদেশ দেখতে পেলেন। \c 23 \s1 বিলিয়মের প্রথম প্রত্যাদেশ \p \v 1 বিলিয়ম বলল, “আমার জন্য আপনি এখানে সাতটি বেদি নির্মাণ করুন এবং সাতটি ষাঁড় ও সাতটি মেষের আয়োজন করুন।” \v 2 বিলিয়মের কথামতো বালাক সব কাজ করলেন। তারা উভয়ে প্রতিটি বেদিতে, একটি ষাঁড় ও একটি মেষ উৎসর্গ করলেন। \p \v 3 তারপর বালাককে বিলিয়ম বলল, “যখন আমি একান্তে যাই, আপনি আপনার নৈবেদ্যের পাশে অপেক্ষা করুন। সম্ভবত সদাপ্রভু আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। যা কিছু তিনি আমার কাছে প্রকাশ করেন, আমি আপনাকে অবহিত করব।” তারপর সে এক অনুর্বর পাহাড়ের উপরে উঠে গেল। \p \v 4 ঈশ্বর তার সঙ্গে দেখা করলেন এবং বিলিয়ম বলল, “আমি সাতটি বেদি নির্মাণ করেছি। প্রত্যেকটির উপর একটি করে ষাঁড় ও একটি করে মেষ উৎসর্গ করেছি।” \p \v 5 সদাপ্রভু বিলিয়মের মুখে একটি বাণী দিলেন এবং বললেন, “বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে তাকে এই বার্তা শোনাও।” \p \v 6 সে তাঁর কাছে ফিরে গিয়ে দেখল তিনি মোয়াবের সমস্ত কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর নৈবেদ্যের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন। \v 7 তখন বিলিয়ম তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, \q1 “অরাম থেকে বালাক আমাকে আনলেন, \q2 মোয়াব রাজা, প্রাচ্যের পর্বতসমূহ থেকে আনলেন, \q1 সে বলল, ‘এসো, আমার অনুকূলে যাকোবকে অভিশাপ দাও, \q2 এসো, ইস্রায়েলের বিষয় অমঙ্গলের কথা বলো।’ \q1 \v 8 ঈশ্বর যাদের অভিশাপ দেননি \q2 আমি কীভাবে তাদের অভিশাপ দিই? \q1 সদাপ্রভু যাদের অবলুপ্ত করেননি, \q2 আমি কীভাবে তাদের অবলুপ্তি ঘোষণা করব? \q1 \v 9 শৈলময় শিখর থেকে আমি তাদের নিরীক্ষণ করি, \q2 উচ্চস্থল থেকে আমি তাদের লক্ষ্য করি; \q1 দেখতে পাই, স্বতন্ত্র এক জাতির নিবাস, \q2 যারা অন্য জাতিসমূহের পর্যায়ভুক্ত বলে নিজেদের গণ্য করে না। \q1 \v 10 যাকোবের ধুলো, কে করতে গণনা পারে \q2 অথবা, ইস্রায়েলের এক-চতুর্থাংশের সংখ্যা নির্ণয় করতে পারে? \q1 ধার্মিকের মৃত্যুর মতো আমার মৃত্যু হোক, \q2 যেন তাদেরই অনুরূপ আমরাও পরিণতি হয়!” \p \v 11 বালাক, বিলিয়মকে বললেন, “আপনি আমার প্রতি এ কী করলেন? আমি, আমার শত্রুদের অভিশাপ দিতে আপনাকে ডেকেছিলাম, কিন্তু আপনি কিছুই না করে, তাদের আশীর্বাদ করলেন।” \p \v 12 সে উত্তর দিল, “সদাপ্রভু আমার মুখে যে কথা দেন, আমি কি সেকথাই বলতে বাধ্য নই?” \s1 বিলিয়মের দ্বিতীয় প্রত্যাদেশ \p \v 13 পরে বালাক তাকে বললেন, “আমার সঙ্গে অন্য স্থানে চলুন, সেখান থেকে আপনি তাদের দেখতে পাবেন। আপনি তাদের সবাইকে নয়, কিন্তু তাদের শিবিরের প্রান্তভাগ দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আমার অনুকূলে তাদের অভিশাপ দিন।” \v 14 সেই লক্ষ্যে তিনি তাকে পিস্‌গা শিখরে সোফীমের ক্ষেতে নিয়ে গেলেন। সেখানে সাতটি বেদি নির্মাণ করে, প্রত্যেকটির উপর একটি করে ষাঁড় ও একটি মেষ উৎসর্গ করলেন। \p \v 15 বালাককে বিলিয়ম বলল, “যখন আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাই, আপনি আপনার নৈবেদ্যের পাশে অপেক্ষা করুন।” \p \v 16 সদাপ্রভু বিলিয়মের সঙ্গে দেখা করে তার মুখে বাণী দিলেন এবং বললেন, “বালাকের কাছে ফিরে যাও ও এই বার্তা তাকে দাও।” \p \v 17 সে তাঁর কাছে গিয়ে দেখল তিনি মোয়াবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর নৈবেদ্যের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন। বালাক তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সদাপ্রভু কী কথা বললেন?” \p \v 18 তখন তিনি তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করলেন, \q1 “বালাক, ওঠো ও শ্রবণ করো, \q2 সিপ্পোরের ছেলে, আমার কথায় কর্ণপাত করো। \q1 \v 19 সদাপ্রভু মানব নন যে তাঁকে মিথ্যা বলতে হবে, \q2 মনুষ্য সন্তান নন যে তাঁর মতের পরিবর্তন করবেন। \q1 তিনি কথা দিয়ে কি কাজে রূপায়িত করেন না? \q2 প্রতিজ্ঞা করে তিনি কি পূর্ণ করেন না? \q1 \v 20 আমি আশীর্বাদ করার আদেশ পেয়েছি; \q2 তিনি আশীর্বাদ করেছেন, আমি তার অন্যথা করতে পারি না। \b \q1 \v 21 “যাকোবের মধ্যে কোনো দুর্বিপাক দেখা যায়নি, \q2 ইস্রায়েলে কোনো ক্লেশ প্রত্যক্ষ হয়নি; \q1 সদাপ্রভু, তাদের ঈশ্বর, তাদের সহায় আছেন \q2 রাজার জয়োল্লাস তাদের সঙ্গে বিদ্যমান। \q1 \v 22 ঈশ্বর, মিশর থেকে তাদের নিয়ে এসেছেন, \q2 বন্য বৃষের মতো তারা শক্তিধর; \q1 \v 23 যাকোবের বিপক্ষে কোনও ইন্দ্রজাল, \q2 ইস্রায়েলের বিপক্ষে কোনও ভবিষ্যৎ-কথন কৃতকার্য হবে না। \q1 যাকোব এবং ইস্রায়েল সম্পর্কে এখন বলা হবে, \q2 ‘দেখো, ঈশ্বর কী কাজই না সাধন করেছেন!’ \q1 \v 24 সেই জাতি সিংহীর মতো উত্থিত হয়, \q2 সিংহের মতোই তারা গাত্রোত্থান করে। \q1 তারা যতক্ষণ না শিকার বিদীর্ণ করে ততক্ষণ বিশ্রাম করে না, \q2 এবং নিহতদের রক্ত পান করে।” \p \v 25 বালাক তখন বিলিয়মকে বললেন, “তাদের অভিশাপ দেবেন না, কিংবা আশীর্বাদও করবেন না।” \p \v 26 বিলিয়ম উত্তর দিল, “আমি কি আপনাকে একথা বলিনি, যে আমি শুধু সেই কাজই করব, যা সদাপ্রভু আমাকে করতে বলবেন?” \s1 বিলিয়মের তৃতীয় প্রত্যাদেশ \p \v 27 তারপরে বিলিয়মকে বালাক বললেন, “আসুন আমি আপনাকে অন্য এক স্থানে নিয়ে যাই। সম্ভবত ঈশ্বর সন্তুষ্ট হবেন, যেন আপনি আমার পক্ষে সেখান থেকে তাদের অভিশাপ দেন।” \v 28 আর বালাক মরুভূমি অভিমুখী পিয়োর শৃঙ্গে বিলিয়মকে নিয়ে গেলেন। \p \v 29 বিলিয়ম বলল, “এখানে আমার জন্য আপনি সাতটি বেদি নির্মাণ করুন এবং সাতটি ষাঁড় ও সাতটি মেষের বলিদানের আয়োজন করুন।” \v 30 বিলিয়মের কথামতো বালাক তাই করলেন এবং প্রত্যেকটি বেদির উপরে একটি করে ষাঁড় ও একটি মেষ উৎসর্গ করা হল। \c 24 \p \v 1 বিলিয়ম যখন দেখল যে ইস্রায়েলীদের আশীর্বাদ করা সদাপ্রভুর সন্তোষজনক, তখন অন্য সময়ের মতো সে প্রত্যাদেশ লাভ করতে অন্যত্র গেল না, কিন্তু তার মুখ প্রান্তরের দিকে ফেরালো। \v 2 বিলিয়ম দেখল, গোষ্ঠী অনুসারে ইস্রায়েল ছাউনি স্থাপন করে আছে, তখন ঈশ্বরের আত্মা তার উপরে এলেন \v 3 এবং সে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, \q1 “বিয়োরের ছেলে বিলিয়মের প্রত্যাদেশ, \q2 যার চোখ স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করে, তার প্রত্যাদেশ, \q1 \v 4 তার প্রত্যাদেশ, যে ঐশ বাণী শ্রবণ করে, \q2 যে সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে দর্শন পায়, \q2 যে সাষ্টাঙ্গ প্রণত হয়, ও যার চোখ খোলা থাকে। \b \q1 \v 5 “হে যাকোব, তোমার তাঁবুগুলি, \q2 হে ইস্রায়েল, তোমার নিবাসস্থান কেমন মনোহর! \b \q1 \v 6 “উপত্যকার মতো সেগুলি বিস্তৃত হয়, \q2 নদী-তীরের বাগানের মতো হয়; \q1 সদাপ্রভু দ্বারা রোপিত অগুরু গাছগুলির মতো, \q2 জলস্রোতের পাশে থাকা দেবদারু গাছগুলির মতো হয়। \q1 \v 7 তাদের বালতি থেকে জল উপচে পড়বে, \q2 তাদের বীজ প্রচুর জল পাবে। \b \q1 “তাদের রাজা হবেন অগাগ থেকেও মহৎ, \q2 উন্নত হবে তাদের রাজ্য। \b \q1 \v 8 “ঈশ্বর মিশর থেকে তাদের নির্গত করেছেন, \q2 তারা বন্য ষাঁড়ের মতো শক্তিশালী। \q1 বৈরী জাতিদের তারা ছিন্নভিন্ন করে, \q2 খণ্ডবিখণ্ড করে তাদের অস্থিগুলি, \q2 তিরগুলি দিয়ে তাদের বিদ্ধ করে। \q1 \v 9 সিংহের মতোই তারা হামাগুড়ি দেয়, \q2 সিংহীর মতোই শয়ন করে; কোন সাহসী তাকে উঠাতে পারে? \b \q1 “যারা তোমাকে আশীর্বাদ করে তারা আশিস ধন্য হবে, \q2 যারা তোমাকে অভিশাপ দেয় তারা অভিশপ্ত হবে!” \p \v 10 তখন বিলিয়মের প্রতি বালাকের ক্রোধ বহ্নিমান হল। তিনি হাতে করাঘাত করে তাকে বললেন, “আমি আপনাকে ডেকে এনেছিলাম যেন আপনি আমার শত্রুদের অভিশাপ দেন, কিন্তু এই তিনবার আপনি তাদের আশীর্বাদ করলেন। \v 11 এখন এই মুহূর্তে, প্রস্থান করুন ও বাড়িতে ফিরে যান! আমি বলেছিলাম, আপনাকে উদারভাবে পুরস্কৃত করব, কিন্তু সদাপ্রভুই আপনাকে পুরস্কার নিতে দিলেন না।” \p \v 12 বালাককে বিলিয়ম উত্তর দিল, “আপনি যে বার্তাবাহকদের পাঠিয়েছিলেন, আমি কি তাদের বলিনি, \v 13 ‘বালাক যদিও তাঁর প্রাসাদের সমস্ত সোনা ও রুপো দেন, আমি স্বেচ্ছায়, ভালো অথবা মন্দ, সদাপ্রভুর আদেশের অতিরিক্ত, কিছুই করতে পারি না। আমি শুধু সেই কথা বলব, যা সদাপ্রভু আমাকে বলে দেবেন।’ \v 14 এখন আমি আমার স্বজাতির কাছে ফিরে যাই, কিন্তু এই লোকেরা ভবিষ্যতে আপনার লোকদের প্রতি কী করবে, আসুন, সেই বিষয়ে আপনাকে সচেতন করে দিই।” \s1 বিলিয়মের চতুর্থ প্রত্যাদেশ \p \v 15 পরে সে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, \q1 “বিয়োরের ছেলে বিলিয়মের প্রত্যাদেশ, \q2 যার চোখ স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করে, তার প্রত্যাদেশ, \q1 \v 16 তার প্রত্যাদেশ, যে ঐশ বাণী শ্রবণ করে, \q2 যিনি পরাৎপরের কাছে থেকে জ্ঞান লাভ করেছে, \q1 যে সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে দর্শন পায়, \q2 যে সাষ্টাঙ্গ প্রণত হয় ও যার চোখ খোলা থাকে। \b \q1 \v 17 “আমি তাঁকে দেখব, কিন্তু এখন নয়, \q2 আমি দর্শন করব, কিন্তু কাছ থেকে নয়; \q1 যাকোব থেকে উদিত হবেন এক তারকা, \q2 ইস্রায়েল থেকে এক রাজদণ্ডের উত্থান হবে। \q1 তিনি মোয়াবের কপালগুলি \q2 ও শেথের সমস্ত সন্তানের খুলিগুলি চূর্ণ করবেন। \q1 \v 18 ইদোম পরাভূত হবে, \q2 তার শত্রু সেয়ীর পরাভূত হবে, \q2 কিন্তু ইস্রায়েল উত্তরোত্তর শক্তিমান হবে। \q1 \v 19 যাকোব থেকে এক প্রশাসকের আগমন হবে, \q2 তিনি নগরের অবশিষ্ট ব্যক্তিদের বিনাশ করবেন।” \s1 বিলিয়মের পঞ্চম প্রত্যাদেশ \p \v 20 পরে বিলিয়ম অমালেকের প্রতি দৃষ্টিপাত করে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, \q1 “অমালেক জাতিসমূহের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিল, \q2 কিন্তু বিনাশই হবে তার পরিণতি।” \s1 বিলিয়মের ষষ্ঠ প্রত্যাদেশ \p \v 21 তারপর সে কেনীয়দের প্রতি দৃষ্টিপাত করে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, \q1 “তোমার নিবাসস্থল সুরক্ষিত, \q2 তোমার নীড় শৈলের মধ্যে স্থাপিত, \q1 \v 22 তা সত্ত্বেও কেনীয়েরা, তোমার হবে বিধ্বংস \q2 যখন আসিরীয়রা বন্দি করে তোমাদের নিয়ে যাবে।” \s1 বিলিয়মের সপ্তম প্রত্যাদেশ \p \v 23 তারপর সে তার প্রত্যাদেশ ব্যক্ত করল, \q1 “হায়! ঈশ্বর যখন এই কাজ করেন, তখন কে রক্ষা পেতে পারে? \q2 \v 24 কিত্তীমের সৈকত থেকে জাহাজগুলি আসবে, \q1 তারা আসিরিয়া ও এবরকে দমন করবে; \q2 কিন্তু তাদের নিজেদেরও বিনাশ হবে।” \p \v 25 এরপরে বিলিয়ম উঠে নিজের ঘরে ফিরে গেল এবং বালাকও নিজের পথে প্রস্থান করলেন। \c 25 \s1 ইস্রায়েলকে মোয়াবের বিপথে পরিচালনা \p \v 1 শিটিমে অবস্থানকালে ইস্রায়েলীরা, মোয়াবীয় স্ত্রীলোকদের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হল, \v 2 যারা তাদের দেবতাদের উদ্দেশে বলিকৃত খাদ্য খাওয়ার জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাল। লোকেরা তা খেয়ে সেই দেবতাদের কাছে প্রণিপাত করল। \v 3 এইভাবে ইস্রায়েল, পিয়োরের বায়ালের উপাসনায় যোগ দিল। তখন তাদের বিপক্ষে সদাপ্রভুর ক্রোধ বহ্নিমান হল। \p \v 4 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এই জাতির সমস্ত নেতৃবর্গকে নাও এবং প্রকাশ্য দিবালোকে তাদের বধ করো, যেন সদাপ্রভুর প্রচণ্ড ক্রোধ ইস্রায়েল থেকে দূরীভূত হয়।” \p \v 5 তাই মোশি ইস্রায়েলের বিচারকদের বললেন, “তোমরা প্রত্যেকে পিয়োরের বায়াল-প্রতিমার উপাসনাকারী স্বজনদের অবশ্যই বধ করবে।” \p \v 6 সেই সময়, একজন ইস্রায়েলী ব্যক্তি, মোশি এবং সমগ্র ইস্রায়েলী সমাজের দৃষ্টিগোচরে, একজন মিদিয়নীয় স্ত্রীলোককে তার বাড়িতে নিয়ে এল। তখন সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে, তারা সকলে কান্নাকাটি করছিল। \v 7 যখন যাজক হারোণের নাতি, ইলিয়াসরের ছেলে পীনহস তা দেখলেন, তিনি সমাজ থেকে প্রস্থান করে হাতে একটি বর্শা নিলেন। \v 8 তিনি সেই ইস্রায়েলী ব্যক্তিকে অনুসরণ করে তার তাঁবু পর্যন্ত গেলেন। তিনি তাদের উভয়ের, সেই ইস্রায়েলী ব্যক্তি ও স্ত্রীলোকটির পেটে বর্শা বিদ্ধ করলেন। তখন ইস্রায়েলীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া মহামারি নিবৃত্ত হল; \v 9 কিন্তু সেই মহামারিতে যারা মারা গিয়েছিল তাদের সংখ্যা 24,000। \p \v 10 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 11 “যাজক হারোণের নাতি, ইলিয়াসরের ছেলে পীনহস, ইস্রায়েলীদের প্রতিকূলে আমার ক্রোধ নিবৃত্ত করেছে, কারণ আমার সম্মান রক্ষার জন্য আমার মতোই সেও উদ্যোগী হয়েছে। তাই আমি ক্রোধ প্রকাশ করে তাদের শেষ করে দিইনি। \v 12 সেইজন্য তাকে বলো, আমি তার সঙ্গে আমার শান্তিচুক্তি কার্যকর করছি। \v 13 সে ও তার বংশধরেরা চিরকাল যাজকত্ব পদের জন্য চুক্তিবদ্ধ হল, কারণ সে তার ঈশ্বরের সম্মান রক্ষার উদ্যোগী হয়ে ইস্রায়েলীদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধন করেছে।” \p \v 14 যে ইস্রায়েলী ব্যক্তি, ওই মিদিয়নীয় স্ত্রীলোকটির সঙ্গে হত হয়েছিল, তার নাম সিম্রি। সে সালুর ছেলে ও শিমিয়োনীয় গোষ্ঠীর একজন নেতা ছিল। \v 15 আর সেই মিদিয়নীয় স্ত্রীলোক, যাকে হত্যা করা হয়েছিল, তার নাম কস্‌বী। সে মিদিয়ন বংশের জনৈক গোষ্ঠীর প্রধান, সূর-এর মেয়ে ছিল। \p \v 16 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 17 “মিদিয়নীয়দের শত্রু-জ্ঞান করে তাদের বধ করো। \v 18 কারণ তারাও তোমাদের শত্রু-জ্ঞান করেছে; তারা পিয়োর সংক্রান্ত বিষয়ে এবং মিদিয়নীয় জনৈক নেতার মেয়ে তাদের বোন কস্‌বী নামক যে স্ত্রীলোকটি হত হয়েছিল, তার মাধ্যমে তোমাদের প্রতারণা করেছিল। পরিণতিস্বরূপ, এই পিয়োরের জন্য তোমরা মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছিলে।” \c 26 \s1 দ্বিতীয় আদমশুমারি \p \v 1 মহামারির পরে সদাপ্রভু, মোশি ও যাজক হারোণের ছেলে ইলীয়াসরকে বললেন, \v 2 “বংশ অনুসারে সমস্ত ইস্রায়েলী সম্প্রদায়ের লোকগণনা করো। তাদের সবাইকে গণনা করো যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি এবং যারা ইস্রায়েলী সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম।” \v 3 অতএব মোশি ও যাজক ইলীয়াসর, মোয়াবের সমতলে, জর্ডনের কাছে, যিরীহোর অপর পাশে, তাদের সঙ্গে আলাপ করলেন ও বললেন, \v 4 “সদাপ্রভু যেমন মোশিকে আদেশ করেছেন, কুড়ি বছর বা তারও বেশি বয়স্ক পুরুষদের সংখ্যা গণনা করো।” \b \li4 এই ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিল: \b \li1 \v 5 ইস্রায়েলের বড়ো ছেলে রূবেণের বংশধরেরা হল: \li2 হনোক থেকে হনোকীয় গোষ্ঠী, \li2 পল্লু থেকে পল্লুয়ীয় গোষ্ঠী; \li2 \v 6 হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় গোষ্ঠী, \li2 কর্মি থেকে কর্মীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 7 এরা সবাই রূবেণের গোষ্ঠী; এদের গণিত সংখ্যা ছিল 43,730। \li2 \v 8 পল্লুর ছেলে ইলীয়াব \v 9 এবং ইলীয়াবের ছেলেেরা হল নমূয়েল, দাথন ও অবীরাম। এই দাথন ও অবীরাম ছিলেন সম্প্রদায়ের আধিকারিক, যারা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। তারা কোরহের অনুগামীদলের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যখন তারা সদাপ্রভুর বিপক্ষে বিদ্রোহ করেছিল। \v 10 পৃথিবী, তাঁর মুখ খুলে কোরহের সঙ্গে তার অনুগামী দলকে গ্রাস করেছিল। সেসময় আগুন, 250 জন ব্যক্তিকেও পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাদের ঘটনা দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়ে রইল। \v 11 যাইহোক, কোরহের বংশধরেরা কেউই মারা পড়েনি। \b \li1 \v 12 গোষ্ঠী অনুযায়ী, শিমিয়োনের বংশধরেরা হল: \li2 নমূয়েল থেকে নমূয়েলীয় গোষ্ঠী, \li2 যামীন থেকে যামীনীয় গোষ্ঠী, \li2 যাখীন থেকে যাখীনীয় গোষ্ঠী, \li2 \v 13 সেরহ থেকে সেরহীয় গোষ্ঠী, \li2 শৌল থেকে শৌলীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 14 এরা সবাই শিমিয়োনের গোষ্ঠী। এদের গণিত পুরুষের সংখ্যা 22,200। \b \li1 \v 15 গোষ্ঠী অনুযায়ী, গাদের বংশধরেরা হল: \li2 সিফোন থেকে সিফোনীয় গোষ্ঠী, \li2 হগি থেকে হগীয় গোষ্ঠী, \li2 শূনি থেকে শূনীয় গোষ্ঠী, \li2 \v 16 ওষ্ণি থেকে ওষ্ণীয় গোষ্ঠী, \li2 এরি থেকে এরীয় গোষ্ঠী; \li2 \v 17 আরোদ থেকে আরোদীয় গোষ্ঠী, \li2 অরেলি থেকে অরেলীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 18 এরা সবাই গাদের গোষ্ঠী। এদের গণিত সংখ্যা ছিল 40,500। \b \li4 \v 19 এর ও ওনন, যিহূদার সন্তান। তারা সবাই কনানে মারা গিয়েছিল। \li1 \v 20 গোষ্ঠী অনুযায়ী, যিহূদার বংশধরেরা হল: \li2 শেলা থেকে শেলানীয় গোষ্ঠী, \li2 পেরস থেকে পেরসীয় গোষ্ঠী, \li2 সেরহ থেকে সেরহীয় গোষ্ঠী। \li2 \v 21 পেরসের বংশধরেরা হল: \li3 হিষ্রোণ থেকে হিষ্রোণীয় গোষ্ঠী, \li3 হামূল থেকে হামূলীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 22 এরা সবাই যিহূদার গোষ্ঠী। এদের গণিত সংখ্যা ছিল 76,500। \b \li1 \v 23 গোষ্ঠী অনুযায়ী ইষাখরের বংশধরেরা হল: \li2 তোলয় থেকে তোলয়ীয় গোষ্ঠী; \li2 পূয় থেকে পূয়ীয় গোষ্ঠী, \li2 \v 24 যাশূব থেকে যাশূবীয় গোষ্ঠী, \li2 শিম্রোণ থেকে শিম্রোণীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 25 এরা সবাই ইষাখরের গোষ্ঠী। এদের গণিত সংখ্যা ছিল 64,300। \b \li1 \v 26 গোষ্ঠী অনুযায়ী, সবূলূনের বংশধরেরা হল: \li2 সেরদ থেকে সেরদীয় গোষ্ঠী, \li2 এলোন থেকে এলোনীয় গোষ্ঠী, \li2 যহলেল থেকে যহলেলীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 27 এরা সবাই সবূলূনের গোষ্ঠী। এদের গণিত সংখ্যা ছিল, 60,500। \b \li4 \v 28 গোষ্ঠী অনুযায়ী, মনঃশি ও ইফ্রয়িমের মাধ্যমে, যোষেফের বংশধরেরা হল: \li1 \v 29 মনঃশির বংশধরেরা হল: \li2 মাখীর থেকে মাখীরীয় গোষ্ঠী। (গিলিয়দের বাবা ছিলেন মাখীর) \li2 গিলিয়দ থেকে গিলিয়দীয় গোষ্ঠী। \li2 \v 30 গিলিয়দের বংশধরেরা হল: \li3 ঈয়েষর থেকে ঈয়েষরীয় গোষ্ঠী, \li3 হেলক থেকে হেলকীয় গোষ্ঠী, \li3 \v 31 অস্রীয়েল থেকে অস্রীয়েলীয় গোষ্ঠী, \li3 শেখম থেকে শেখমীয় গোষ্ঠী, \li3 \v 32 শিমীদা থেকে শিমীদায়ীয় গোষ্ঠী, \li3 হেফর থেকে হেফরীয় গোষ্ঠী। \li3 \v 33 (হেফরের ছেলে সলফাদের কোনো ছেলে ছিল না। তাঁর শুধুমাত্র কয়েকটি মেয়ে ছিল। তাদের নাম ছিল মহলা, নোয়া, হগ্‌লা, মিল্কা ও তির্সা) \li4 \v 34 এরা সবাই মনঃশির গোষ্ঠী। এদের গণিত সংখ্যা ছিল 52,700। \li1 \v 35 গোষ্ঠী অনুযায়ী ইফ্রয়িমের বংশধরেরা হল: \li2 শূথেলহ থেকে শূথেলহীয় গোষ্ঠী, \li2 বেখর থেকে বেখরীয় গোষ্ঠী, \li2 তহন থেকে তহনীয় গোষ্ঠী। \li2 \v 36 এরা সবাই শূথেলহের বংশধর, \li3 এরণ থেকে এরণীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 37 এরা সবাই ইফ্রয়িম গোষ্ঠী। এদের গণিত সংখ্যা ছিল 32,500। \li4 গোষ্ঠী অনুযায়ী, এরা সকলে যোষেফের বংশধর। \b \li1 \v 38 গোষ্ঠী অনুযায়ী, বিন্যামীনের বংশধরেরা হল: \li2 বেলা থেকে বেলায়ীয় গোষ্ঠী, \li2 অস্‌বেল থেকে অস্‌বেলীয় গোষ্ঠী। \li2 অহীরাম থেকে অহীরামীয় গোষ্ঠী। \li2 \v 39 শূফম থেকে শূফমীয় গোষ্ঠী, \li2 হুফম থেকে হুফমীয় গোষ্ঠী। \li2 \v 40 অর্দ এবং নামানের মাধ্যমে, বেলার বংশধরেরা হল: \li3 অর্দ থেকে অর্দীয় গোষ্ঠী, \li3 নামান থেকে নামানীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 41 এরা সবাই বিন্যামীনের গোষ্ঠী। এদের গণিত সংখ্যা হল 45,600। \b \li1 \v 42 গোষ্ঠী অনুযায়ী, দানের বংশধরেরা হল: \li2 শূহম থেকে শূহমীয় গোষ্ঠী। \li4 এরা সবাই দানের গোষ্ঠী। \v 43 তারা সবাই শূহমীয় গোষ্ঠীভুক্ত ছিল। তাদের গণিত সংখ্যা ছিল 64,400। \b \li1 \v 44 গোষ্ঠী অনুযায়ী, আশেরের বংশধরেরা হল: \li2 যিম্ন থেকে যিম্নীয় গোষ্ঠী, \li2 যিস্‌বি থেকে যিস্‌বীয় গোষ্ঠী, \li2 বরিয় থেকে বরিয়ীয় গোষ্ঠী। \li2 \v 45 আবার বরিয়ের বংশধরেরা হল: \li3 হেবর থেকে হেবরীয় গোষ্ঠী, \li3 মল্কীয়েল থেকে মল্কীয়েলীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 46 আশেরের সারহ নামে একটি মেয়ে ছিল। \li4 \v 47 এরা সবাই আশেরের গোষ্ঠী, তাদের গণিত সংখ্যা ছিল, 53,400। \b \li1 \v 48 গোষ্ঠী অনুযায়ী, নপ্তালির বংশধরেরা হল: \li2 যহসীয়েল থেকে যহসীয়েলীয় গোষ্ঠী, \li2 গূনি থেকে গূনীয় গোষ্ঠী। \li2 \v 49 যেৎসর থেকে যেৎসরীয় গোষ্ঠী, \li2 শিল্লেম থেকে শিল্লেমীয় গোষ্ঠী। \li4 \v 50 এরা সবাই নপ্তালির গোষ্ঠী। এদের গণিত সংখ্যা ছিল 45,400। \b \li4 \v 51 ইস্রায়েলী পুরুষদের সর্বমোট গণিত সংখ্যা ছিল 6,01,730 জন। \b \p \v 52 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 53 “নামের গণিত সংখ্যা অনুযায়ী তাদের মধ্যে ভূমির স্বত্বাধিকার বণ্টন করতে হবে। \v 54 বড়ো দলকে বেশি এবং ছোটো দলকে অল্প স্বত্বাধিকার দিতে হবে। নামের তালিকা অনুযায়ী, প্রত্যেক ব্যক্তি তার স্বত্বাধিকার লাভ করবে। \v 55 ভূমি নিশ্চিতরূপে গুটিকাপাতের মাধ্যমে বন্টিত হবে। পিতৃ-গোষ্ঠীর নাম অনুযায়ী প্রতিটি দল স্বত্বাধিকার লাভ করবে। \v 56 বড়ো বা ছোটো সমস্ত দলের মধ্যেই গুটিকাপাতের মাধ্যমে বন্টিত হবে।” \b \li1 \v 57 এই লেবীয়েরাও তাদের গোষ্ঠী অনুযায়ী গণিত হল: \li2 গের্শোন থেকে গের্শোনীয় গোষ্ঠী, \li2 কহাৎ থেকে কহাতীয় গোষ্ঠী, \li2 মরারি থেকে মরারীয় গোষ্ঠী। \li1 \v 58 এরাও সবাই লেবীয় গোষ্ঠী ছিল: \li2 লিব্‌নীয় গোষ্ঠী, \li2 হিব্রোণীয় গোষ্ঠী, \li2 মহলীয় গোষ্ঠী, \li2 মূশীয় গোষ্ঠী, \li2 কোরহীয় গোষ্ঠী। \li2 (কহাৎ অম্রামের পূর্বপুরুষ ছিলেন। \v 59 অম্রামের স্ত্রীর নাম যোকেবদ। ইনি লেবির বংশ। মিশরে ও লেবি গোষ্ঠীতে তাঁর জন্ম হয়েছিল। অম্রামের জন্য তিনি হারোণ, মোশি ও তাঁদের দিদি মরিয়মকে জন্ম দিয়েছিলেন। \v 60 হারোণ ছিলেন নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামরের বাবা। \v 61 কিন্তু নাদব ও অবীহূ অশুচি আগুনের মাধ্যমে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নৈবেদ্য উৎসর্গ করায় মারা পড়েছিল।) \b \li4 \v 62 এক মাস বা তারও বেশি বয়স্ক লেবীয়দের সব পুরুষের গণিত সংখ্যা ছিল 23,000। অন্য ইস্রায়েলীদের সঙ্গে তাদের গণনা করা হয়নি, কারণ তাদের মধ্যে তারা কোনো স্বত্বাধিকার প্রাপ্ত হয়নি। \b \p \v 63 মোশি ও যাজক ইলীয়াসর মোয়াবের সমতলে জর্ডনের তীরে যিরীহোর অপর পাশে এই ইস্রায়েলীদের গণনা করেছিলেন। \v 64 মোশি ও যাজক হারোণ, সীনয় মরুভূমিতে, যে ইস্রায়েলীদের গণনা করেছিলেন, এই গণিত লোকদের মধ্যে তাদের একজনও অন্তর্ভুক্ত ছিল না। \v 65 কারণ সদাপ্রভু সেই ইস্রায়েলীদের বলেছিলেন যে তারা নিশ্চিতরূপেই প্রান্তরে মারা যাবে। তাই যিফূন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় ছাড়া, তাদের একজনও অবশিষ্ট ছিল না। \c 27 \s1 সলফাদের মেয়েরা \p \v 1 মনঃশির ছেলে মাখীর, তাঁর ছেলে গিলিয়দ, তাঁর ছেলে হেফর; তাঁর ছেলে সলফাদের মেয়েরা, যোষেফের ছেলে মনঃশির গোষ্ঠীভুক্ত ছিল। সেই মেয়েদের নাম ছিল মহলা, নোয়া, হগ্‌লা, মিল্কা ও তির্সা। \v 2 তারা সমাগম তাঁবুর প্রবেশ মুখে মোশি, যাজক ইলীয়াসর, নেতৃবর্গ এবং সমগ্র সমাজের সামনে এসে দাঁড়াল। তারা বলল, \v 3 “আমাদের বাবা প্রান্তরে মারা গিয়েছিলেন। যারা সদাপ্রভুর বিপক্ষে জোটবদ্ধ হয়েছিল, সেই কোরহের অনুগামীদের মধ্যে তিনি ছিলেন না, কিন্তু তিনি নিজের পাপেই মারা গিয়েছেন এবং কোনো ছেলে রেখে যাননি। \v 4 যেহেতু তাঁর ছেলে নেই, তাই আমাদের বাবার নাম, তাঁর গোষ্ঠী থেকে কেন অবলুপ্ত হবে? আমাদের বাবার আত্মজনের মধ্যে থেকে, আমাদের ভূমির স্বত্বাধিকার দিন।” \p \v 5 মোশি তাদের আবেদন সদাপ্রভুর সামনে নিয়ে গেলেন। \v 6 সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, \v 7 “সলফাদের কন্যাগণ সঠিক কথাই বলেছে। তুমি নিশ্চিতরূপে তাদের বাবার আত্মীয়দের অধিকারের মধ্যে, তাদের ভূমির স্বত্বাধিকার দেবে এইভাবে, তাদের বাবার স্বত্বাধিকার, তাদের দান করবে। \p \v 8 “ইস্রায়েলীদের বলো, ‘যদি কোনো ব্যক্তি মারা যায় ও তার ছেলে না থাকে তাহলে স্বত্বাধিকার তার মেয়ের হবে। \v 9 যদি তার মেয়েও না থাকে, তবে তার ভ্রাতৃবৃন্দকে সেই স্বত্বাধিকার দিতে হবে। \v 10 যদি তার ভ্রাতৃবৃন্দও না থাকে, তাহলে তার পিতৃকুলের ভ্রাতৃগণকে তার স্বত্বাধিকার দিতে হবে। \v 11 যদি তার বাবারও কোনো ভাই না থাকে, তাহলে গোষ্ঠীর নিকটতম আত্মীয়কে তা দান করতে হবে। এইভাবে সে তার স্বত্বাধিকার লাভ করবে। ইস্রায়েলীদের জন্য এই বিধি হবে আইনানুগ, কারণ সদাপ্রভু মোশিকে এরকমই আদেশ দিয়েছেন।’ ” \s1 মোশির উত্তরাধিকারী যিহোশূয় \p \v 12 তারপর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “অবারীম পর্বতশ্রেণীর এই পর্বতে ওঠো এবং ইস্রায়েলীদের যে দেশ আমি দিতে চাই, সেই দেশ দেখো। \v 13 সেটি দেখার পর তুমিও, তোমার দাদা হারোণের মতো স্বজনবর্গের কাছে সংগৃহীত হবে। \v 14 কারণ সীন মরুভূমিতে যখন জনতা জলের জন্য বিদ্রোহ করেছিল, তোমরা উভয়েই আমার আদেশের অবাধ্য হয়ে তাদের দৃষ্টিগোচরে আমাকে পবিত্র বলে সম্মান করোনি।” (এই জল ছিল সীন মরুভূমির মরীবা কাদেশের জল।) \p \v 15 মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, \v 16 “হে সদাপ্রভু, সমগ্র মানবজাতির আত্মাস্বরূপ ঈশ্বর, এই সম্প্রদায়ের উপরে এক ব্যক্তিকে নিযুক্ত করুন, \v 17 যে তাদের সামনে গমনাগমন করবে ও তাদের নেতৃত্ব দিয়ে বাইরে নিয়ে যাবে ও ভিতরে নিয়ে আসবে, যেন সদাপ্রভুর প্রজারা পালকবিহীন মেষপালের মতো না হয়।” \p \v 18 অতএব সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “নূনের ছেলে যিহোশূয়কে নিয়ে তার উপরে তুমি তোমার হাত রাখো, সে আত্মাবিষ্ট ব্যক্তি। \v 19 তাকে যাজক ইলীয়াসর ও সমগ্র সমাজের সামনে দাঁড় করাও এবং তাদের উপস্থিতিতে তাকে নিয়োগ করো। \v 20 তোমার কর্তৃত্বভারের কিছু অংশ তাঁকে দাও, যেন সমগ্র ইস্রায়েলী সম্প্রদায় তাঁকে মেনে চলে। \v 21 সে যাজক ইলিয়াসরের সামনে দাঁড়াবে, যে তার জন্য সদাপ্রভুর কাছে, ঊরিম মারফত সদাপ্রভুর সিদ্ধান্ত যাচ্ঞা করবে। তাঁর আদেশে সে এবং সমস্ত ইস্রায়েলী সম্প্রদায় বাইরে যাবে এবং তাঁর আদেশে তারা ভিতরে আসবে।” \p \v 22 মোশি ঠিক তাই করলেন, যে রকম সদাপ্রভু তাঁকে আদেশ করেছিলেন। তিনি যিহোশূয়কে নিয়ে যাজক ইলীয়াসর ও সমগ্র সমাজের সামনে দাঁড় করালেন। \v 23 তারপর তিনি তাঁর উপর হাত রাখলেন এবং তাঁকে নিয়োগ করলেন যেমন সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে সেরকমই নির্দেশ দিয়েছিলেন। \c 28 \s1 প্রাত্যহিক নৈবেদ্য \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের আদেশ দিয়ে তাদের এই কথা বলো, ‘তোমরা নিরূপিত সময়ে, আমার আনন্দদায়ক সুরভিরূপে, আগুনের মাধ্যমে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে।’ \v 3 তাদের বলো, ‘আগুনের মাধ্যমে অনুরূপ নৈবেদ্য তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রতিদিন হোম-নৈবেদ্যরূপে ক্রুটিহীন এক বর্ষীয় দুটি মেষশাবক উৎসর্গ করবে। \v 4 একটি মেষ সকালে ও অন্যটি গোধূলিবেলায় উৎসর্গ কোরো। \v 5 তার সঙ্গে শস্য-নৈবেদ্য হিসেবে, এক ঐফার\f + \fr 28:5 \fr*\ft প্রায় 1.6 কিলোগ্রাম\ft*\f* এক-দশমাংশ মিহি ময়দা, এক হিনের\f + \fr 28:5 \fr*\ft প্রায় 1 লিটার\ft*\f* এক-চতুর্থাংশ নিষ্পেষিত জলপাই তেলের সঙ্গে মিশ্রিত করে দিতে হবে। \v 6 এই নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য, সীনয় পর্বতে স্থাপিত আনন্দদায়ক সুরভিত বলি, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক ভক্ষ্য-নৈবেদ্য। \v 7 এর পেয়-নৈবেদ্যরূপে, প্রত্যেকটি মেষশাবকের সঙ্গে, এক হিনের এক-চতুর্থাংশ গাঁজানো দ্রাক্ষারস দিতে হবে। সেই পেয়-নৈবেদ্য, পবিত্রস্থানে সদাপ্রভুর উদ্দেশে ঢেলে দিতে হবে। \v 8 সন্ধ্যাবেলায় দ্বিতীয় মেষটি, একই ধরনের শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য সহযোগে প্রস্তুত করবে, যেমন সকালবেলা করেছিল। এটি ভক্ষ্য-নৈবেদ্য, আগুনের মাধ্যমে সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিরূপে নিবেদিত হবে। \s1 বিশ্রামবারের নৈবেদ্য \p \v 9 “ ‘বিশ্রামবারে ক্রুটিহীন এক বর্ষীয় দুটি মেষশাবক নিয়ে উৎসর্গ করবে। সেই সঙ্গে তার পরিপূরক পেয়-নৈবেদ্য ও শস্য-নৈবেদ্যরূপে, এক ঐফার\f + \fr 28:9 \fr*\ft প্রায় 3.2 কিলোগ্রাম; 12, 20 ও 28 পদেও আছে\ft*\f* দুই-দশমাংশ মিহি ময়দা তেলে মিশ্রিত করে নিবেদন করবে। \v 10 নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও পরিপূরক পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত এই হোম-নৈবেদ্য প্রতি বিশ্রামবারের জন্য প্রযোজ্য। \s1 মাসিক নৈবেদ্য \p \v 11 “ ‘প্রত্যেক মাসের প্রথম দিনে, সদাপ্রভুর কাছে দুটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ এবং সাতটি মদ্দা মেষশাবক, হোম-নৈবেদ্যরূপে উৎসর্গ করবে। এদের প্রত্যেকটিই ত্রুটিহীন হতে হবে। \v 12 প্রত্যেকটি এঁড়ে বাছুরের সঙ্গে শস্য-নৈবেদ্যরূপে এক ঐফার\f + \fr 28:12 \fr*\ft প্রায় 5 কিলোগ্রাম; 20 ও 28 পদেও আছে\ft*\f* তিন-দশমাংশ মিহি ময়দা তেলে মিশ্রিত করে দিতে হবে। মেষটির জন্য শস্য-নৈবেদ্য হবে, তেলে মিশ্রিত এক ঐফার দুই-দশমাংশ মিহি ময়দা; \v 13 আবার প্রত্যেকটি মেষশাবকের শস্য-নৈবেদ্য হবে এক ঐফার এক-দশমাংশ তেলে মিশ্রিত মিহি ময়দা। এই সমস্ত হোম-নৈবেদ্য, আগুনের মাধ্যমে, সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিরূপে নিবেদিত হবে। \v 14 এদের পরিপূরক পেয়-নৈবেদ্য হবে, প্রত্যেকটি এঁড়ে বাছুরের সঙ্গে হিনের এক অর্ধাংশ; মেষটির হিনের এক-তৃতীয়াংশ এবং প্রত্যেকটি মেষশাবকের সঙ্গে হিনের এক-চতুর্থাংশ দ্রাক্ষারস। বছরের প্রত্যেক অমাবস্যায় এই মাসিক হোম-নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে হবে। \v 15 নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক পেয়-নৈবেদ্যর সঙ্গে পাপার্থক বলিরূপে, সদাপ্রভুর কাছে একটি পাঁঠাও উপহার দিতে হবে। \s1 নিস্তারপর্ব \p \v 16 “ ‘প্রথম মাসের চতুর্দশ দিনে, সদাপ্রভুর নিস্তারপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। \v 17 এই মাসের পঞ্চদশ দিনে এক উৎসব হবে। সাত দিন খামিরবিহীন রুটি ভোজন করতে হবে। \v 18 প্রথম দিনে পবিত্র সমাবেশ রাখবে এবং সেদিন নিয়মিত কাজ করবে না। \v 19 সদাপ্রভুর নিকট আগুনের মাধ্যমে এক নৈবেদ্য, অর্থাৎ এক হোম-নৈবেদ্য নিবেদন কোরো। দুটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও সাতটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক নিতে হবে। এর সব কটিই ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 20 প্রত্যেকটি এঁড়ে বাছুরের সঙ্গে পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য দিতে হবে, তেলে মিশ্রিত এক ঐফার তিন-দশমাংশ মিহি ময়দা, মেষটির সঙ্গে দুই-দশমাংশ \v 21 ও সাতটি মেষশাবকের প্রত্যেক সাতটি মেষের জন্য এক-দশমাংশ মিহি ময়দা। \v 22 তোমাদের প্রায়শ্চিত্ত সাধনের উদ্দেশে, পাপার্থক বলির জন্য একটি পাঁঠাও নেবে। \v 23 সকালবেলায় নিয়মিত হোম-নৈবেদ্যর অতিরিক্তিরূপে এই সমস্তের আয়োজন করতে হবে। \v 24 এইভাবে সাত দিন ধরে প্রত্যেকদিন, সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিরূপে নিবেদিত ভক্ষ্য-নৈবেদ্যর আয়োজন করবে। নিয়িমিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্তরূপে এই আয়োজন করতে হবে। \v 25 সপ্তম দিনে পবিত্র সভা রাখবে এবং সেদিন কোনো নিয়মিত কাজ করবে না। \s1 সাত সপ্তাহের উৎসব \p \v 26 “ ‘প্রথম উৎপন্ন শস্যের দিনে, সাত সপ্তাহের উৎসবে, যখন তোমরা সদাপ্রভুকে নতুন শস্য নিবেদন করবে, পবিত্র নতুন শস্যের সভা আহ্বান করবে এবং কোনো নিয়মিত কাজ করবে না। \v 27 সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিস্বরূপ হোম-নৈবেদ্যরূপে, দুটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও সাতটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক উৎসর্গ করবে। \v 28 প্রত্যেকটি এঁড়ে বাছুরের জন্য পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য হবে তেলে মিশ্রিত এক ঐফার তিন-দশমাংশ মিহি ময়দা; মেষটির জন্য দুই-দশমাংশ \v 29 এবং সাতটি মেষশাবকের প্রত্যেকটির জন্য এক-দশমাংশ করে। \v 30 তোমাদের প্রায়শ্চিত্ত সাধনের উদ্দেশে একটি পাঁঠাও নেবে। \v 31 নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও শস্য-নৈবেদ্যর অতিরিক্তরূপে এই সমস্তের আয়োজন পেয়-নৈবেদ্য সহযোগে করবে। নিশ্চিত হবে, যেন পশুগুলি ত্রুটিহীন হয়। \c 29 \s1 তূরীধ্বনির উৎসব \p \v 1 “ ‘সপ্তম মাসের প্রথম দিনে, এক পবিত্র সভার আয়োজন কোরো এবং কোনো নিয়মিত কাজ করবে না। এই দিন তোমরা তূরী বাজাবে। \v 2 সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিস্বরূপ হোম-নৈবেদ্যরূপে ত্রুটিহীন একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও সাতটি এক বর্ষীয় মেষশাবকের আয়োজন করবে। \v 3 এঁড়ে বাছুরটির সঙ্গে শস্য-নৈবেদ্য দিতে হবে, এক ঐফার তিন-দশমাংশ\f + \fr 29:3 \fr*\ft প্রায় 5 কিলোগ্রাম\ft*\f* জলপাই তেলে মিশ্রিত মিহি ময়দা, মেষটির সঙ্গে দুই-দশমাংশ\f + \fr 29:3 \fr*\ft প্রায় 3.2 কিলোগ্রাম\ft*\f* \v 4 এবং সাতটি মেষশাবকের প্রত্যেকটির সঙ্গে এক-দশমাংশ\f + \fr 29:4 \fr*\ft প্রায় 1.6 কিলোগ্রাম\ft*\f*। \v 5 তোমাদের প্রায়শ্চিত্ত সাধনের উদ্দেশে পাপার্থক বলির জন্য একটি পাঁঠাও নেবে। \v 6 যেমন সবিস্তারে বর্ণিত হয়েছে, এসব নৈবেদ্য, মাসিক ও প্রাত্যহিক হোম-নৈবেদ্য এবং তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত। এই সমস্তই অগ্নির মাধ্যমে সদাপ্রভুকে নিবেদিত আনন্দদায়ক সুরভিত ভক্ষ্য-নৈবেদ্য। \s1 প্রায়শ্চিত্ত দিবস \p \v 7 “ ‘এই সপ্তম মাসের দশম দিনে এক পবিত্র সভা আহ্বান করবে। তোমরা কৃচ্ছ্রসাধন করবে এবং কোনো কাজ করবে না। \v 8 সদাপ্রভুর কাছে আনন্দদায়ক সুরভিস্বরূপ হোম-নৈবেদ্যর জন্য একটি এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ ও সাতটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক উৎসর্গ করবে। প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 9 এঁড়ে বাছুরটির জন্য পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্যরূপে আনতে হবে এক ঐফার তিন-দশমাংশ তেলে মিশ্রিত মিহি ময়দা; মেষটির সঙ্গে দুই-দশমাংশ, \v 10 সাতটি মেষশাবকের প্রত্যেকটির সঙ্গে এক-দশমাংশ করে। \v 11 প্রায়শ্চিত্তের জন্য পাপার্থক বলিরূপে নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত পাপার্থক বলিরূপে একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। \s1 কুটিরবাস-পর্ব \p \v 12 “ ‘সপ্তম মাসের পঞ্চদশ দিনে, একটি পবিত্র সভার আয়োজন করবে এবং সেদিন কোনো নিয়মিত কাজ করবে না। সদাপ্রভুর উদ্দেশে, সাত দিন ব্যাপী এক আনন্দোৎসব করবে। \v 13 তেরোটি এঁড়ে বাছুর, দুটি মেষ এবং চোদ্দটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক নিয়ে, আগুনের মাধ্যমে সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিরূপে হোম-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 14 পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য আনতে হবে, তেরোটি এঁড়ে বাছুরের প্রত্যেকটির জন্য এক ঐফার তিন-দশমাংশ, দুটি মেষের প্রত্যেকটির সঙ্গে দুই-দশমাংশ \v 15 এবং চোদ্দটি মেষশাবকের প্রত্যেকটির সঙ্গে এক-দশমাংশ তেলে মিশ্রিত মিহি ময়দা। \v 16 নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য এবং তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত, পাপার্থক বলিরূপে একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। \p \v 17 “ ‘দ্বিতীয় দিনে বারোটি এঁড়ে বাছুর, দুটি মেষ ও চোদ্দটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক উৎসর্গ করবে। এদের প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হতে হবে। \v 18 সেই ষাঁড়, মেষ ও মেষশাবকদের সংখ্যা অনুযায়ী তাদের পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। \v 19 পাপার্থক বলিরূপে একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। এই সমস্ত, নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও তাদের পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত হবে। \p \v 20 “ ‘তৃতীয় দিনে এগারোটি ষাঁড়, দুটি মেষ ও চোদ্দটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক উৎসর্গ করবে। প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 21 সেই ষাঁড়, মেষ ও মেষশাবকদের সংখ্যা অনুযায়ী তাদের পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। \v 22 পাপার্থক বলির জন্য একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। এই সমস্ত নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও তাদের পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত হবে। \p \v 23 “ ‘চতুর্থ দিনে এগারোটি ষাঁড়, দুটি মেষ ও চোদ্দটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক উৎসর্গ করবে। প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 24 সেই ষাঁড়, মেষ ও মেষশাবকদের সংখ্যা অনুযায়ী, তাদের পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। \v 25 নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য এবং তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত, পাপার্থক বলিরূপে একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। \p \v 26 “ ‘পঞ্চম দিনে নয়টি ষাঁড়, দুটি মেষ ও চোদ্দটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক উৎসর্গ করবে। প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 27 সেই ষাঁড়, মেষ ও মেষশাবকদের সংখ্যা অনুযায়ী, তাদের পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। \v 28 পাপার্থক বলির জন্য একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। এই সমস্ত, নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও তাদের পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত হবে। \p \v 29 “ ‘ষষ্ঠ দিনে আটটি ষাঁড়, দুটি মেষ ও চোদ্দটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক উৎসর্গ করবে। প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 30 সেই ষাঁড়, মেষ ও মেষশাবকদের সংখ্যা অনুযায়ী তাদের পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। \v 31 পাপার্থক বলির জন্য একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। এই সমস্ত, নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও তাদের পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত হবে। \p \v 32 “ ‘সপ্তম দিনে সাতটি ষাঁড় মেষ, দুটি মেষ ও চোদ্দটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক উৎসর্গ করবে। প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 33 সেই ষাঁড়, মেষ ও মেষশাবকদের সংখ্যা অনুযায়ী, তাদের পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। \v 34 পাপার্থক বলির জন্য একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। এই সমস্ত নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও তাদের পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত হবে। \p \v 35 “ ‘অষ্টম দিনে শেষ দিনের এক বিশেষ সভা করবে এবং কোনো নিয়মিত কাজ করবে না। \v 36 একটি ষাঁড়, একটি মেষ ও সাতটি এক বর্ষীয় মদ্দা মেষশাবক নিয়ে, সদাপ্রভুর আনন্দদায়ক সুরভিত উপহাররূপে, আগুনের মাধ্যমে হোম-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। প্রত্যেকটি ত্রুটিহীন হওয়া চাই। \v 37 সেই ষাঁড়, মেষ এবং মেষশাবকগুলির সঙ্গে, সংখ্যা অনুযায়ী তাদের শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। \v 38 পাপার্থক বলির জন্য একটি পাঁঠাও অন্তর্ভুক্ত করবে। এই সমস্ত, নিয়মিত হোম-নৈবেদ্য ও তার পরিপূরক শস্য-নৈবেদ্য ও তাদের পেয়-নৈবেদ্যর অতিরিক্ত হবে। \p \v 39 “ ‘তোমাদের মানত ও স্বেচ্ছাদানের অতিরিক্তরূপে, তোমাদের নিরূপিত উৎসবসমূহে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে এই সমস্ত উৎসর্গ করবে। তোমাদের হোম-নৈবেদ্য, শস্য-নৈবেদ্য, পেয়-নৈবেদ্য ও মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য থেকে এই সমস্ত স্বতন্ত্র।’ ” \p \v 40 সদাপ্রভু মোশিকে যে সমস্ত আদেশ দিয়েছিলেন, তিনি ইস্রায়েলীদের সেই সমস্তই বললেন। \c 30 \s1 মানত \p \v 1 মোশি, ইস্রায়েলী গোষ্ঠীপ্রধানদের বললেন, “সদাপ্রভু এই আদেশ দিয়েছেন, \v 2 যখন কোনো ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশে কোনো মানত স্থির করে, অথবা শপথপূর্বক কোনো অঙ্গীকারে নিজেকে আবদ্ধ করে, তাহলে সে নিজের শপথের অন্যথা করবে না, কিন্তু যা কিছু সে অঙ্গীকার করে, তা অবশ্যই পালন করবে। \p \v 3 “কোনো যুবতী যদি তার পিতৃগৃহে অবস্থানকালে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে কোনো মানত স্থিত করে অথবা অঙ্গীকারে নিজেকে আবদ্ধ করে, \v 4 এবং তার বাবা যদি সেই মানত এবং অঙ্গীকার শোনে, কিন্তু তাকে কিছুই না বলে, তাহলে যার দ্বারা সে আবদ্ধ হয়েছে, সেই সমস্ত মানত এবং অঙ্গীকার স্থির থাকবে। \v 5 কিন্তু সেই শপথ শোনার পর যদি তার বাবা তাকে নিষেধ করে থাকে, তাহলে তার কোনও মানত বা অঙ্গীকার, যার দ্বারা সে আবদ্ধ হয়েছে, স্থির থাকবে না। সদাপ্রভু তাকে মুক্তি দেবেন, কারণ তার বাবা তাকে নিষেধ করেছিল। \p \v 6 “যদি সে মানত স্থির করে বা ওষ্ঠনির্গত, অবিবেচনাপূর্ণ শপথের দ্বারা নিজেকে আবদ্ধ করে বিবাহিতা হয়, \v 7 এবং তার স্বামী সেকথা শুনলেও তাকে কিছু না বলে, তাহলে তার মানত বা অঙ্গীকার, যার দ্বারা সে আবদ্ধ হয়েছিল, স্থির থাকবে। \v 8 কিন্তু সেকথা শোনার পর যদি তার স্বামী নিষেধ করে থাকে এবং তার মানত বা যে অবিবেচনাপূর্ণ শপথ দ্বারা সে নিজেকে আবদ্ধ করেছে তা বাতিল করে দেয়, সদাপ্রভু তাকে মুক্ত করবেন। \p \v 9 “বিধবা বা বিবাহ-বিচ্ছিন্না স্ত্রীর যে কোনো মানত বা বাধ্যবাধকতা তার বন্ধনস্বরূপ হবে। \p \v 10 “যদি কোনো স্ত্রীলোক, তার স্বামীর সঙ্গে বসবাস করার সময়, কোনো মানত স্থির করে বা শপথপূর্বক কোনো অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়, \v 11 তার স্বামী সেকথা শুনেও যদি তাকে কিছু না বলে এবং তাকে নিষেধ না করে, তাহলে তার সমস্ত মানত এবং অঙ্গীকার, যার দ্বারা সে নিজেকে আবদ্ধ করেছে, স্থির থাকবে। \v 12 কিন্তু সেই সমস্ত শোনার পর যদি তার স্বামী সব বাতিল করে দেয়, তাহলে কোনও মানত বা তার ওষ্ঠনির্গত অঙ্গীকারের শপথ স্থির থাকবে না। তার স্বামী সেই সমস্ত বাতিল করেছে, অতএব সদাপ্রভু তাকে মুক্ত করবেন। \v 13 তার প্রত্যেক মানত ও অঙ্গীকারকে দুঃখ দেবার প্রতিজ্ঞাযুক্ত প্রত্যেক মানত তার স্বামী স্থির করতেও পারে বা ব্যর্থ করতেও পারে। \v 14 কিন্তু দিন-প্রতিদিন, এই সম্পর্কে যদি তার স্বামী তাকে কিছু না বলে, তাহলে তার সমস্ত মানত ও অঙ্গীকার, যার দ্বারা সে আবদ্ধ হয়, সে তার অনুমোদন করে। সমস্ত বিষয় শোনার পরও তাকে কিছু না বলার পরিণতিস্বরূপ সে সেই সমস্তের অনুমোদন করে। \v 15 কিন্তু, যদি সে সেই সমস্ত শোনার কিছুদিন পরে বাতিল করে, তাহলে সে তার স্ত্রীর অপরাধের জন্য দায়ী হবে।” \p \v 16 পুরুষ ও স্ত্রীর সম্পর্কে এবং বাবা ও তার যুবতী মেয়ে, যখন সে পিতৃগৃহে থাকে, তাদের সম্পর্কের এই সমস্ত নিয়মবিধি, সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে দিয়েছিলেন। \c 31 \s1 মিদিয়নীয়দের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের তরফে মিদিয়নীয়দের উপর প্রতিশোধ নাও। তারপর তুমি তোমার স্বজনবর্গের কাছে সংগৃহীত হবে।” \p \v 3 অতএব মোশি লোকদের বললেন, “মিদিয়নীয়দের বিপক্ষে যুদ্ধ করার জন্য তোমরা কিছু ব্যক্তিকে অস্ত্রসজ্জিত করো, যেন সদাপ্রভুর জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। \v 4 ইস্রায়েলের প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে এক এক হাজার সৈন্য যুদ্ধে পাঠাও।” \v 5 অতএব ইস্রায়েলী বংশসমূহ থেকে, প্রত্যেক গোষ্ঠীর এক হাজার করে বারো হাজার সৈন্য, সমর সজ্জায় সজ্জিত হল। \v 6 মোশি প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে এক হাজার ব্যক্তিকে যুদ্ধে পাঠালেন। তাদের সঙ্গে যাজক ইলিয়াসরের ছেলে পীনহসকেও পাঠানো হল। তিনি পবিত্রস্থান থেকে পবিত্র জিনিসগুলি ও সংকেত জ্ঞাপনের উদ্দেশে তূরী সঙ্গে নিলেন। \p \v 7 সদাপ্রভু যেমন মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তারা মিদিয়নের বিপক্ষে যুদ্ধ করে তাদের প্রত্যেক পুরুষকে বধ করল। \v 8 তাদের শিকারের মধ্যে ছিল, মিদিয়নের পাঁচজন রাজা—ইবি, রেকম, সূর, হূর ও রেবা। তারা বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকেও তরোয়ালের আঘাতে বধ করল। \v 9 ইস্রায়েলীরা, মিদিয়নীয় স্ত্রীলোক ও ছেলেমেয়েদের বন্দি করল এবং তারা তাদের গবাদি পশু, মেষপাল ও সমস্ত জিনিস লুণ্ঠন করল। \v 10 তারা তাদের নগরগুলি, যেখানে তারা বসবাস করত এবং তাদের সমস্ত ছাউনি পুড়িয়ে দিল। \v 11 তারা মানুষ ও পশু সমেত সমস্ত লুন্ঠিত দ্রব্য ও সমস্ত প্রাণীকে নিয়ে গেল। \v 12 সমস্ত বন্দি, ধৃত প্রাণী ও লুন্ঠিত জিনিসগুলি নিয়ে তারা মোশি, যাজক ইলিয়াসর ও ইস্রায়েলী সমাজের কাছে তাদের ছাউনিতে, মোয়াবের সমতলে, জর্ডনের সমীপে, যিরীহোর অপর পাশে নিয়ে এল। \p \v 13 মোশি, যাজক ইলিয়াসর ও মণ্ডলীর সমস্ত নেতৃবর্গ, ছাউনির বাইরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। \v 14 মোশি যুদ্ধ থেকে ফেরা দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকদের, অর্থাৎ সহস্র-সেনাপতি ও শত-সেনাপতিদের উপর রুষ্ট হলেন। \p \v 15 তিনি তাদের প্রশ্ন করলেন, “তোমরা কি সব স্ত্রীলোককে জীবিত রেখেছ? \v 16 বিলিয়মের পরামর্শে তারাই ইস্রায়েলীদের সদাপ্রভুর কাছে থেকে পথভ্রষ্ট করেছিল। পিয়োরে সেই ঘটনা ঘটেছিল যখন সদাপ্রভুর প্রজারা এক মহামারি দ্বারা আক্রান্ত হয়। \v 17 এখন সব কিশোরকে বধ করো। পুরুষের সঙ্গে শায়িতা সব স্ত্রীলোককেও বধ করো, \v 18 কিন্তু, যারা কোনো পুরুষের সঙ্গে কখনও শয়ন করেনি, সেই কুমারীদের নিজেদের জন্য জীবিত রাখো। \p \v 19 “তোমাদের মধ্যে প্রত্যেকে, যারা কাউকে বধ করেছে বা নিহত কাউকে স্পর্শ করেছে, ছাউনির বাইরে সাত দিন অবস্থিতি করবে। তৃতীয় ও সপ্তম দিনে, তোমরা নিজেদের ও তোমাদের বন্দিদের অবশ্যই শুদ্ধ করবে। \v 20 প্রত্যেকটি বস্ত্র, সেই সঙ্গে চর্মনির্মিত, ছাগ-লোম বা কাঠ নির্মিত সমস্ত দ্রব্যকে শুদ্ধ করতে হবে।” \p \v 21 তারপর যাজক ইলিয়াসর, যারা যুদ্ধে গিয়েছিল, সেই সৈন্যদের বললেন, “সদাপ্রভু মোশিকে যা বলেছিলেন, সেই বিধানের চাহিদা এই, \v 22 সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ, লোহা, টিন, সীসা, \v 23 এবং অন্য যে সমস্ত দ্রব্য আগুনের উত্তাপ সহ্য করতে পারে, তাদের আগুনের মধ্য দিয়ে পরিশোধন করতে হবে, তখন তা শুদ্ধ হবে। তা সত্ত্বেও, শুদ্ধকরণের জল দিয়ে সেসব পরিশোধন করতে হবে। যে কোনো দ্রব্য আগুনের উত্তাপ সহ্য করতে পারে না, সেগুলি জলে পরিশোধন করতে হবে। \v 24 সপ্তম দিনে তোমরা নিজেদের বস্ত্র ধুয়ে পরিষ্কৃত হবে। তারপর তোমরা ছাউনিতে প্রবেশ করবে।” \s1 লুন্ঠিত দ্রব্য ভাগ করা \p \v 25 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 26 “তুমি, যাজক ইলিয়াসর এবং সমাজের বংশ-প্রধানেরা, সমস্ত বন্দি মানুষ ও ধৃত পশুদের সংখ্যা গণনা করো। \v 27 যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল, সেই সৈন্যদের মধ্যে ও সমাজের অবশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে লুন্ঠিত দ্রব্য সমান ভাগে ভাগ করো। \v 28 যারা যুদ্ধ করেছিল সেই সৈন্যদের কাছ থেকে মানুষ অথবা গবাদি পশু, গাধা, মেষ বা ছাগল, প্রত্যেক 500 প্রাণী প্রতি একটি করে প্রাণী সদাপ্রভুকে দেয় রাজস্ব হিসেবে পৃথক করো। \v 29 তাদের প্রাপ্য এই অর্ধাংশ থেকে এই রাজস্ব নিয়ে, সদাপ্রভুর অংশ হিসেবে, যাজক ইলিয়াসরকে দান করো। \v 30 ইস্রায়েলীদের প্রাপ্য অর্ধাংশ থেকে, মানুষ, গবাদি পশু, গাধা, মেষ, ছাগল বা অন্য পশু, প্রত্যেক পঞ্চাশটি প্রাণী প্রতি একটি করে প্রাণী পৃথক করো। সেই সমস্ত নিয়ে লেবীয়দের দাও, যারা সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে।” \v 31 অতএব মোশি ও যাজক ইলিয়াসর ঠিক তাই করলেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন। \p \v 32 অন্যান্য লুন্ঠিত দ্রব্য ছাড়া সৈন্যদের ধৃত প্রাণীর সংখ্যা, 6,75,000-টি মেষ, \v 33 72,000-টি গবাদি পশু, \v 34 61,000-টি গাধা, \v 35 এবং 32,000 জন কুমারী যারা কখনও কোনো পুরুষের সঙ্গে শয়ন করেনি। \b \li4 \v 36 যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের প্রাপ্ত অর্ধাংশ ছিল: \b \li1 3,37,500-টি মেষ, \v 37 এর মধ্যে সদাপ্রভুকে দেয় রাজস্বের সংখ্যা 675-টি মেষ; \li1 \v 38 36,000-টি গবাদি পশু, এর মধ্যে সদাপ্রভুকে দেয় রাজস্বের সংখ্যা 72-টি পশু; \li1 \v 39 30,500-টি গাধা, এর মধ্যে সদাপ্রভুকে দেয় রাজস্বের সংখ্যা 61; \li1 \v 40 16,000 জন মানুষ, এর মধ্যে সদাপ্রভুকে দেয় রাজস্বের সংখ্যা 32-টি গাধা। \b \p \v 41 মোশি এই রাজস্ব নিয়ে, সদাপ্রভুর প্রাপ্য বলে যাজক ইলিয়াসরকে দিলেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন। \p \v 42 ইস্রায়েলীদের প্রাপ্য অর্ধেকাংশ, যা মোশি সৈন্যদের প্রাপ্ত অর্ধাংশ থেকে পৃথক করে রেখেছিলেন, \v 43 অর্থাৎ সমাজের প্রাপ্য অর্ধাংশ ছিল 3,37,500-টি মেষ, \v 44 36,000-টি গবাদি পশু, \v 45 30,500-টি গাধা \v 46 এবং 16,000 জন মানুষ। \v 47 ইস্রায়েলীদের অর্ধাংশ থেকে, মোশি প্রতি পঞ্চাশ জন মানুষ ও পশু থেকে একটি করে পৃথক করলেন, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন এবং তিনি সেই সমস্ত নিয়ে লেবীয়দের দিলেন, যারা সদাপ্রভুর আবাস তাঁবুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। \p \v 48 তখন সামরিক বিভাগের পদস্থ আধিকারিকেরা, অর্থাৎ সহস্র-সেনাপতিরা ও শত-সেনাপতিরা, মোশির কাছে গিয়ে, \v 49 তাঁকে বললেন, “আপনার সেবকেরা আমাদের অধীনস্থ সৈন্যদের গণনা করে দেখেছে, তাদের মধ্যে একজনও নিরুদ্দেশ হয়নি। \v 50 অতএব আমরা আমাদের অর্জিত স্বর্ণালংকার থেকে, সদাপ্রভুর কাছে নৈবেদ্য এনেছি—তাগা, বালা, আংটি, কানের দুল ও গলার হার—যেন সদাপ্রভুর কাছে আমরা নিজেদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে পারি।” \p \v 51 মোশি ও যাজক ইলিয়াসর, তাদের কাছে থেকে সেই সোনা—সকল কারুকার্যময় দ্রব্য গ্রহণ করলেন। \v 52 সহস্র-সেনাপতির ও শত-সেনাপতির কাছে থেকে গৃহীত সমস্ত সোনার পরিমাণ, যা মোশি ও যাজক ইলিয়াসর সদাপ্রভুকে নিবেদন করেছিলেন, তার ওজন 16,750 শেকল\f + \fr 31:52 \fr*\ft প্রায় 190 কিলোগ্রাম\ft*\f*। \v 53 সৈনিকরা প্রত্যেকে নিজেদের জন্য লুন্ঠিত দ্রব্য নিয়েছিল। \v 54 মোশি ও যাজক ইলিয়াসর সেই সোনা, সহস্র সেনা অধিনায়ক ও শত সেনা অধিনায়কদের কাছ থেকে গ্রহণ করে এবং সদাপ্রভুর সামনে ইস্রায়েলীদের জন্য স্মারকরূপে সমাগম তাঁবুতে নিয়ে এলেন। \c 32 \s1 জর্ডনের অপর পাড়ের গোষ্ঠীসমূহ \p \v 1 রূবেণ ও গাদ গোষ্ঠীর খুব বড়ো বড়ো গোপাল ও মেষপাল ছিল। তারা দেখল যে যাসের ও গিলিয়দ অঞ্চল পশুপালনের জন্য উপযোগী। \v 2 তারা মোশি, ও যাজক ইলিয়াসর এবং সমাজের নেতৃবর্গের কাছে এল এবং বলল, \v 3 “অটারোৎ, দীবোন, যাসের, নিম্রা, হিষ্‌বোন, ইলিয়ালী, সেবাম, নেবো ও বিয়োন, \v 4 সদাপ্রভু ইস্রায়েলীদের সামনে যে সমস্ত অঞ্চলের পতন ঘটিয়েছেন, তা পশুপালের জন্য উপযোগী এবং আপনাদের সেবকদের কাছে পশুপাল আছে। \v 5 যদি আমরা আপনাদের দৃষ্টিতে কৃপা লাভ করে থাকি,” তারা বলল, “তাহলে স্বত্বাধিকাররূপে এই ভূমি আমাদের দান করা হোক। আমাদের জর্ডনের অপর পারে যেতে বাধ্য করবেন না।” \p \v 6 গাদ ও রূবেণ গোষ্ঠীর সবাইকে মোশি বললেন, “তোমাদের ইস্রায়েলী ভাইয়েরা যুদ্ধে যাবে আর তোমরা সবাই এখানে বসে থাকবে? \v 7 সদাপ্রভু যে দেশ ইস্রায়েলীদের দান করেছেন, তোমরা সেখানে যেতে কেন তাদের নিরুৎসাহ করছ? \v 8 এরকমই কাজ তোমাদের পূর্বপুরুষেরা করেছিল, যখন আমি কাদেশ-বর্ণেয় থেকে তাদের দেশ পর্যবেক্ষণ করতে পাঠিয়েছিলাম। \v 9 তারা ইষ্কোল উপত্যকা পর্যন্ত উঠে গিয়ে দেশ নিরীক্ষণ করে এসে, যে দেশ সদাপ্রভু তাদের দান করেছিলেন, সেই দেশে প্রবেশ করতে ইস্রায়েলীদের হতোদ্যম করেছিল। \v 10 সেদিন সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হয়েছিল এবং তিনি শপথ করে বলেছিলেন, \v 11 ‘যেহেতু তারা সর্বান্তঃকরণে আমার অনুগমন করেনি, তাই তাদের মধ্যে যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তারও বেশি, যারা মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিল, তাদের মধ্যে একজনও সেই দেশে প্রবেশ করবে না, যে দেশ আমি অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের নিকট দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। \v 12 কেবলমাত্র, কনিষীয়, যিফূন্নির ছেলে কালেব ও নূনের ছেলে যিহোশূয় ছাড়া, অন্য একজনও নয়, কারণ তারা সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর অনুগমন করেছিল।’ \v 13 ইস্রায়েলের বিপক্ষে সদাপ্রভুর ক্রোধ বহ্নিমান হয়েছিল, তিনি চল্লিশ বছর তাদের প্রান্তরে পরিভ্রমণ করিয়েছিলেন, যতদিন না সেই সম্পূর্ণ প্রজন্ম, যারা তার দৃষ্টিতে কুকাজ করেছিল, মারা গেল। \p \v 14 “এখন, পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের সন্তান তোমরা সকলে, যারা তোমাদের পূর্বপুরুষদের স্থানে দণ্ডায়মান হয়েছে, ইস্রায়েলীদের বিপক্ষে সদাপ্রভুকে আরও বেশি রুষ্ট করছ। \v 15 যদি তোমরা তাঁর অনুগমন থেকে ফিরে আস, তিনি এই সমস্ত লোককে প্রান্তরে পরিত্যাগ করবেন এবং তোমরাই তাদের বিনাশের কারণ হবে।” \p \v 16 তারা তখন তাঁর কাছে এসে বলল, “আমরা এখানে আমাদের পশুপালের জন্য খোঁয়াড় ও স্ত্রী-সন্তানদের জন্য নগর নির্মাণ করতে চাই। \v 17 তা সত্ত্বেও, আমরা অস্ত্রসজ্জিত হয়ে, ইস্রায়েলের পুরোভাগে যাব, যতদিন না তাদের গন্তব্য স্থানে নিয়ে যাই। এসময়, আমাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা, দেশবাসীদের থেকে নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষিত নগরে বসবাস করবে। \v 18 যতক্ষণ না প্রত্যেক ইস্রায়েলী তাদের অধিকার লাভ করে, আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যাব না, \v 19 জর্ডনের অপর পাড়ে, আমরা তাদের সঙ্গে আর কোনো স্বত্বাধিকার গ্রহণ করব না, কারণ আমাদের স্বত্বাধিকার জর্ডনের পূর্বপাড়ে আমরা প্রাপ্ত হয়েছি।” \p \v 20 তখন মোশি তাদের বললেন, “যদি তোমরা সেরকম করো, সদাপ্রভুর সামনে যুদ্ধের জন্য যদি নিজেদের অস্ত্রসজ্জা গ্রহণ করো, \v 21 যদি তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি সদাপ্রভুর সামনে, সশস্ত্র হয়ে জর্ডনের অন্য পাড়ে যাও, যতক্ষণ না তিনি তাঁর শত্রুদের তাঁর সামনে থেকে বিতাড়িত করেন, \v 22 যখন দেশ, সদাপ্রভুর সামনে পদানত হবে, তখন তোমরা ফিরে আসতে পারো এবং সদাপ্রভু ও ইস্রায়েলীদের প্রতি বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত হতে পারো। তখন সদাপ্রভুর সামনে এই ভূমির স্বত্বাধিকার, তোমাদের হবে। \p \v 23 “কিন্তু এই কাজ করতে যদি অক্ষম হও, তোমরা সদাপ্রভুর বিপক্ষে পাপ করবে। তাহলে নিশ্চিত জেনো, তোমাদের পাপ তোমাদের ধরবে। \v 24 তোমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য নগর ও পশুপালের জন্য খোঁয়াড় নির্মাণ করো, কিন্তু যা শপথ করেছ, কাজেও তা পূর্ণ করবে।” \p \v 25 গাদ ও রূবেণ গোষ্ঠী মোশিকে বলল, “আমদের প্রভু যেমন আদেশ দিলেন, আপনার দাস আমরা তাই করব। \v 26 আমাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা, মেষপাল ও গোপালসমূহ, গিলিয়দ অঞ্চলের এই সমস্ত নগরে অবস্থান করবে। \v 27 কিন্তু আপনার দাসেরা, যুদ্ধের জন্য সশস্ত্র প্রত্যেক পুরুষ, সদাপ্রভুর সামনে যুদ্ধের জন্য জর্ডন পার হয়ে যাবে, যেমন আমাদের প্রভু বলেছেন।” \p \v 28 মোশি তখন তাদের সম্বন্ধে, যাজক ইলিয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় এবং ইস্রায়েল গোষ্ঠীর বংশ-প্রধানদের আদেশ দিলেন। \v 29 তিনি তাদের বললেন, “যদি গাদ ও রূবেণ গোষ্ঠীর প্রত্যেক পুরুষ যুদ্ধের জন্য সসজ্জ হয়, সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের সঙ্গে জর্ডন অতিক্রম করে, তাহলে দেশ যখন তোমাদের সামনে পদানত হবে, তখন স্বত্বাধিকারস্বরূপ তাদের গিলিয়দের ভূমি দান করবে। \v 30 কিন্তু সশস্ত্র হয়ে তারা যদি তোমাদের সঙ্গে জর্ডন অতিক্রম না করে, তাহলে তারা অবশ্যই তাদের স্বত্বাধিকার, কনানে, তোমাদের সঙ্গে লাভ করবে।” \p \v 31 গাদ ও রূবেণ গোষ্ঠী উত্তর দিল, “সদাপ্রভু যে রকম বলেছেন, আপনার দাসেরা সেরকমই করবে। \v 32 আমরা সদাপ্রভুর সামনে, সশস্ত্র অবস্থায় পার হয়ে কনানে প্রবেশ করব, কিন্তু আমাদের অধিকারস্বরূপ স্বত্ব, জর্ডনের এই পাড়ে থাকবে।” \p \v 33 তখন মোশি, গাদ গোষ্ঠী, রূবেণ গোষ্ঠী ও যোষেফের ছেলে মনঃশির অর্ধগোষ্ঠীকে, ইমোরীয় রাজা সীহোনের রাজ্য ও বাশনের রাজা ওগের রাজ্য দান করলেন। তাদের নগর সমেত সমস্ত দেশ ও তাদের সন্নিহিত অঞ্চলগুলিও দিলেন। \p \v 34 গাদ গোষ্ঠী দীবোন, অটারোৎ, অরোয়ের, \v 35 অটারোৎ শোফন, যাসের, যগ্‌বিহ, \v 36 বেথ-নিম্রা ও বেত-হারণ, সুরক্ষিত নগর এবং পশুপালের খোঁয়াড় নির্মাণ করল। \v 37 আবার রূবেণ গোষ্ঠী হিষ্‌বোন, ইলিয়ালী ও কিরিয়াথয়িম, \v 38 সেই সঙ্গে নেবো, বায়াল-মিয়োন (এই নামগুলি পরিবর্তিত হয়েছিল) এবং সিব্‌মা। এসব নগর তারা পুনর্নির্মাণ করে তাদের নামকরণ করল। \p \v 39 মনঃশির ছেলে মাখীরের বংশধরেরা গিলিয়দে গিয়ে তা দখল করল ও যারা সেখানে ছিল, সেই ইমোরীয়দের বিতাড়িত করল। \v 40 তাই মোশি, মনঃশির বংশধর মাখীরীয়দের গিলিয়দ দান করলেন। তারা সেখানেই উপনিবেশ স্থাপন করল। \v 41 মনঃশির বংশধর যায়ীরও তাদের উপনিবেশগুলি দখল করে সেগুলির নাম হব্বোথ-যায়ীর রাখলেন। \v 42 নোবহ, কনাৎ ও তার সন্নিহিত অঞ্চলগুলি দখল করে তার নিজের নামানুসারে তার নাম নোবহ রাখল। \c 33 \s1 ইস্রায়েলীদের যাত্রাপথের পর্যায়ক্রমিক বিবরণ \p \v 1 মোশি এবং হারোণের নেতৃত্বে যখন ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে সৈন্য শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী বের হয়েছিল, তখন এই হল যাত্রাপথের পর্যায়ক্রমিক বিবরণ। \v 2 সদাপ্রভুর আদেশমতো মোশি তাদের যাত্রাপথের পর্যায়ক্রমের বিবরণ নথিভুক্ত করেন। এই হল তাদের যাত্রাপথের পর্যায়ক্রম বিবরণ। \b \pi1 \v 3 প্রথম মাসের পঞ্চদশ দিনে, নিস্তারপর্বের পরদিন, ইস্রায়েলীরা রামিষেষ থেকে বের হয়। তারা সমস্ত মিশরীয়ের সামনে দিয়ে সদম্ভে বেরিয়ে আসে। \v 4 সেই সময় তারা তাদের প্রথমজাত সন্তানের কবর দিচ্ছিল, যাদের সদাপ্রভু আঘাত করে বধ করেছিলেন। এইভাবে ঈশ্বর তাদের দেবতাদের বিচার করেছিলেন। \pi1 \v 5 ইস্রায়েলীরা রামিষেষ ত্যাগ করে সুক্কোতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 6 তারা সুক্কোৎ ত্যাগ করে মরুভূমির প্রান্তে, এথমে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 7 তারা এথম ত্যাগ করে, পী-হহীরোতের বিপরীতমুখী হয়ে, বায়াল-সফোনের পূর্বপ্রান্তে এল। তারপর মিগ্‌দোলের কাছে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 8 তারা পী-হহীরোৎ ত্যাগ করে, সমুদ্রের ভিতর দিয়ে মরুভূমিতে গেল এবং এথমের প্রান্তরে তিনদিনের পথ অতিক্রম করে, তারা মারায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 9 মারা ত্যাগ করে তারা এলীমে গেল, যেখানে বারোটি জলের উৎস ও সত্তরটি খেজুর গাছ ছিল। তারা সেখানে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 10 তারা এলীম ত্যাগ করে লোহিত সাগরতীরে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 11 তারা লোহিত সাগর ত্যাগ করে, সীন প্রান্তরে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 12 সীন প্রান্তর ত্যাগ করে তারা দপ্‌কাতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 13 দপ্‌কা ত্যাগ করে তারা আলূশে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 14 আলূশ ত্যাগ করে তারা রফীদীমে ছাউনি স্থাপন করল, যেখানে লোকদের পান করার জন্য জল ছিল না। \pi1 \v 15 রফীদীম ত্যাগ করে তারা সীনয় মরুভূমিতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 16 সীনয় মরুভূমি ত্যাগ করে তারা কিব্রোৎ-হত্তাবায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 17 কিব্রোৎ-হত্তাবা ত্যাগ করে তারা হৎসেরোতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 18 হৎসেরোৎ ত্যাগ করে তারা রিৎমায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 19 রিৎমা ত্যাগ করে তারা রিম্মোণ-পেরসে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 20 রিম্মোণ-পেরস ত্যাগ করে তারা লিব্‌নায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 21 লিব্‌না ত্যাগ করে তারা রিস্‌সায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 22 রিস্‌সা ত্যাগ করে তারা কহেলাথায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 23 কহেলাথা ত্যাগ করে তারা শেফর পর্বতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 24 শেফর পর্বত ত্যাগ করে তারা হরাদায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 25 হরাদা ত্যাগ করে তারা মখেলোতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 26 মখেলোৎ ত্যাগ করে তারা তহতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 27 তহৎ ত্যাগ করে তারা তেরহে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 28 তেরহ ত্যাগ করে তারা মিৎকায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 29 মিৎকা ত্যাগ করে তারা হশ্‌মোনায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 30 হশ্‌মোনা ত্যাগ করে তারা মোষেরোতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 31 মোষেরোৎ ত্যাগ করে তারা বনেয়াকনে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 32 বনেয়াকন ত্যাগ করে তারা হোর্-হগিদ্‌গদে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 33 হোর্-হগিদ্‌গদ ত্যাগ করে তারা যট্‌বাথায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 34 যট্‌বাথা ত্যাগ করে তারা অব্রোণায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 35 অব্রোণা ত্যাগ করে তারা ইৎসিয়োন-গেবরে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 36 ইৎসিয়োন-গেবর ত্যাগ করে তারা সীন মরুভূমিতে, কাদেশে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 37 কাদেশ ত্যাগ করে তারা ইদোমের সীমানায়, হোর পর্বতে ছাউনি স্থাপন করল। \v 38 সদাপ্রভুর আদেশে যাজক হারোণ হোর পর্বতে উঠে গেলেন। ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের হওয়ার পর, চল্লিশতম বছরের পঞ্চম মাসের প্রথম দিনে, তিনি সেখানে প্রাণত্যাগ করলেন। \v 39 হোর পর্বতে মারা যাবার সময় হারোণের বয়স হয়েছিল, 123 বছর। \pi1 \v 40 কনানীয় রাজা অরাদ, যিনি কনানের নেগেভ অঞ্চলে বসবাস করতেন, তিনি শুনলেন যে ইস্রায়েলীরা আসছে। \pi1 \v 41 তারা হোর পর্বত ত্যাগ করে সল্‌মোনায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 42 সল্‌মোনা ত্যাগ করে তারা পূনোনে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 43 পূনোন ত্যাগ করে তারা ওবোতে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 44 ওবোৎ ত্যাগ করে তারা মোয়াবের সীমানায় ঈয়ী-অবারীমে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 45 তারা ঈয়ী-অবারীম ত্যাগ করে দীবোন গাদে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 46 তারা দীবোন গাদ ত্যাগ করে অল্‌মোন দিব্লাথয়িমে ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 47 অল্‌মোন দিব্লাথয়িম ত্যাগ করে তারা নেবোর কাছে অবারীম পর্বতমালায় ছাউনি স্থাপন করল। \pi1 \v 48 অবারীম পর্বতমালা ত্যাগ করে জর্ডন সমীপে, যিরীহোর অপর পাশে, মোয়াবের সমতলে ছাউনি স্থাপন করল। \v 49 সেখানে, তারা মোয়াবের সমতলে, জর্ডন বরাবর, বেথ-যিশীমোৎ থেকে আবেল শিটিম পর্যন্ত ছাউনি স্থাপন করল। \b \p \v 50 জর্ডন সমীপে, যিরীহোর অপর পাশে, মোয়াবের সমতলে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 51 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো এবং তাদের বলো, ‘তোমরা যখন জর্ডন অতিক্রম করে কনানে যাবে, \v 52 সেখানকার সমস্ত অধিবাসীদের বিতাড়িত করবে। তাদের সমস্ত ক্ষোদিত প্রতিমা ও ছাঁচে ঢালা দেবমূর্তি বিনষ্ট এবং তাদের উচ্চস্থলগুলি ধ্বংস করবে। \v 53 দেশ দখল করে তার মধ্যে উপনিবেশ স্থাপন করবে, কারণ আমি ওই দেশ তোমাদের অধিকারের জন্য দিয়েছি। \v 54 গোষ্ঠী অনুসারে গুটিকাপাত দ্বারা সেই দেশ তোমরা ভাগ করবে। বেশি লোককে বেশি অংশ এবং যাদের লোকসংখ্যা অল্প তাদের অল্প অংশ দেবে। গুটিকাপাত দ্বারা তাদের যা নির্ধারিত হবে তা তাদেরই। তোমাদের পৈতৃক গোষ্ঠী অনুযায়ী তা বণ্টন করবে। \p \v 55 “ ‘কিন্তু, যদি তোমরা সেই দেশনিবাসীদের তাড়িয়ে না দাও, যাদের তোমরা বসবাস করার অনুমতি দেবে, তারা তোমাদের চোখের শূল ও বুকের অঙ্কুশস্বরূপ হবে। যে দেশে তোমরা বসবাস করবে, সেখানে তারা তোমাদের ক্লেশ দেবে। \v 56 তখন আমি তোমাদের প্রতি তাই করব, যা আমি তাদের প্রতি করতে মনস্থ করেছিলাম।’ ” \c 34 \s1 কনানের সীমানা \li4 \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের আদেশ দাও, তাদের বলো, ‘যখন তোমরা কনানে প্রবেশ করবে, যে দেশ তোমাদের স্বত্বাধিকাররূপে বণ্টন করা হবে, তার সীমানা হবে এইরকম: \b \li1 \v 3 “ ‘তোমাদের দক্ষিণপ্রান্তের সীমানা হবে, ইদোমের সীমানা বরাবর, সীন মরুভূমির কিছুটা অংশ। পূর্বপ্রান্তে, তোমাদের দক্ষিণ দিকের সীমানা শুরু হবে মরুসাগরের প্রান্তভাগ থেকে। \v 4 বৃশ্চিক গিরিপথের দক্ষিণভাগ অতিক্রম করে, সীন পর্যন্ত গিয়ে তা কাদেশ-বর্ণেয়ের দক্ষিণ দিক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তারপরে তা হৎসর-অদর পর্যন্ত গিয়ে অস্‌মোন পর্যন্ত যাবে। \v 5 সেখানে বেঁকে গিয়ে মিশরের ওয়াদি ও ভূমধ্যসাগরের প্রান্তে গিয়ে সংযুক্ত হবে। \li1 \v 6 তোমাদের পশ্চিম প্রান্তের সীমানা হবে ভূমধ্যসাগরের উপকুলভাগ। এই হবে তোমাদের পশ্চিম সীমানা। \li1 \v 7 তোমাদের উত্তরপ্রান্তের সীমানার জন্য, ভূমধ্যসাগর থেকে হোর পর্বত \v 8 এবং হোর পর্বত থেকে লেবো-হমাৎ পর্যন্ত সরলরেখা বরাবর হবে। তারপর সীমানা সদাদ পর্যন্ত গিয়ে, \v 9 সিফ্রোণ হয়ে হৎসর-ঐনন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এই হবে তোমাদের উত্তর সীমানা। \li1 \v 10 তোমাদের পূর্ব প্রান্তের সীমানার জন্য হৎসর-ঐনন থেকে শফাম পর্যন্ত সরলরেখা বরাবর হবে। \v 11 সীমানা শফাম থেকে নিচে ঐনের পূর্বপ্রান্তে রিব্লা পর্যন্ত যাবে; সেখান থেকে গালীল সাগরের পূর্ব প্রান্তের ঢাল বরাবর বিস্তৃত হবে। \v 12 তারপর সীমানা জর্ডন বরাবর নেমে গিয়ে মরুসাগরে শেষ হবে। \b \li4 “ ‘এই হবে চতুর্দিকের সীমানা সম্বন্ধিত তোমাদের দেশ।’ ” \b \p \v 13 মোশি ইস্রায়েলীদের নির্দেশ দিলেন, “এই দেশের স্বত্বাধিকার গুটিকাপাতের মাধ্যমে বণ্টন করে অধিকার করবে। সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছেন যে সাড়ে নয় গোষ্ঠীকে এই ভূমি দান করা হবে, \v 14 কারণ রূবেণ গোষ্ঠী, গাদ গোষ্ঠী ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর বংশসমূহ তাদের স্বত্বাধিকার প্রাপ্ত হয়েছে। \v 15 এই আড়াই গোষ্ঠী, সূর্যোদয় অভিমুখে, যিরীহোর সন্নিহিত জর্ডনের পূর্বপ্রান্তে তাদের, স্বত্বাধিকার লাভ করেছে।” \p \v 16 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 17 “যে ব্যক্তিরা তোমাদের মধ্যে স্বত্বাধিকার ভাগ করবে, তাদের নাম এরকম: যাজক ইলিয়াসর ও নূনের ছেলে যিহোশূয়। \v 18 আবার প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে ভূমি বিভাগের জন্য এক একজন নেতাকে সাহায্যকারী নিয়োগ করো। \b \li4 \v 19 “তাদের নামগুলি হবে: \b \li1 “যিহূদা গোষ্ঠী থেকে, যিফূন্নির ছেলে কালেব। \li1 \v 20 শিমিয়োন গোষ্ঠী থেকে অম্মীহূদের ছেলে শমূয়েল। \li1 \v 21 বিন্যামীন গোষ্ঠী থেকে কিশ্‌লোনের ছেলে ইলীদদ। \li1 \v 22 দান গোষ্ঠীর নেতা, যগ্‌লির ছেলে বুক্কি। \li1 \v 23 যোষেফের ছেলে মনঃশি গোষ্ঠীর নেতা, এফোদের ছেলে হন্নীয়েল। \li1 \v 24 যোষেফের ছেলে ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর নেতা, শিপ্তনের ছেলে কমূয়েল \li1 \v 25 সবূলূন গোষ্ঠীর নেতা, পর্ণকের ছেলে ইলীষাফণ। \li1 \v 26 ইষাখর গোষ্ঠীর নেতা, অস্‌সনের ছেলে পল্‌টিয়েল। \li1 \v 27 আশের গোষ্ঠীর নেতা, শলোমির ছেলে অহীহূদ। \li1 \v 28 নপ্তালি গোষ্ঠীর নেতা, অম্মীহূদের ছেলে পদহেল।” \b \li4 \v 29 কনান দেশে ইস্রায়েলীদের মধ্যে অধিকার বিভাগ করে দিতে সদাপ্রভু এই লোকদের আদেশ দিয়েছিলেন। \c 35 \s1 লেবীয়দের জন্য নগর \p \v 1 মোয়াবের সমতলে, যিরীহোর অপর পাশে, জর্ডন সন্নিহিত অঞ্চলে, সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের আদেশ দাও যেন তারা যে স্বত্বাধিকার লাভ করবে, তার মধ্য থেকে যেন কয়েকটি নগর লেবীয়দের বাস করার জন্য দান করে। সেইসব নগর সন্নিহিত চারণভূমিও যেন তাদের দেওয়া হয়। \v 3 তাহলে তারা সেই সমস্ত নগরে বসবাস করবে এবং তাদের গবাদি পশু, মেষপাল ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য চারণভূমিও লাভ করবে। \p \v 4 “তোমরা লেবীয়দের জন্য নগরের চতুর্দিকে যে চারণভূমি দান করবে, তা নগরের প্রাচীর থেকে পরের একশো হাত\f + \fr 35:4 \fr*\ft প্রায় 450 মিটার\ft*\f* পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। \v 5 নগরের বাইরে, পূর্বদিকে 2,000 হস্ত, দক্ষিণ দিকে 2,000 হস্ত, পশ্চিমদিকে 2,000 হস্ত ও উত্তর দিকে 2,000 হাত\f + \fr 35:5 \fr*\ft প্রায় 900 মিটার\ft*\f*, মাঝখানে নগরটি থাকবে। তারা এই এলাকা, নগরের সকলের চারণভূমি হিসেবে প্রাপ্ত হবে। \s1 আশ্রয়-নগর \p \v 6 “যে সমস্ত নগর তোমরা লেবীয়দের দেবে, তার মধ্যে ছয়টি আশ্রয়-নগর হবে। কোনো ব্যক্তি কাউকে বধ করে থাকলে সেখানে পালিয়ে যেতে পারবে। তার অতিরিক্ত তাদের আরও বিয়াল্লিশটি নগর দেবে। \v 7 তোমরা লেবীয়দের জন্য চারণভূমি সমেত মোট আটচল্লিশটি নগর দেবে। \v 8 ইস্রায়েলীয়দের অধিকৃত অংশ থেকে যে সমস্ত নগর তোমরা লেবীয়দের দেবে, তা প্রত্যেক গোষ্ঠীর প্রাপ্ত অধিকার অনুসারে হবে। যে গোষ্ঠীর বেশি সংখ্যা আছে, তাদের থেকে নগরের সংখ্যা বেশি নেবে, কিন্তু যাদের কম আছে, তাদের থেকে কম সংখ্যক নগর নেবে।” \p \v 9 তারপর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 10 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো, তাদের বলো, ‘যখন তোমরা জর্ডন পার হয়ে কনান দেশে যাবে, \v 11 তখন কয়েকটি নগর মনোনীত করবে যেগুলি আশ্রয়-নগর হবে, যেন কেউ ভ্রান্তিবশত কারোর প্রাণ নিলে সেখানে পলায়ন করতে পারে। \v 12 সেইগুলি প্রতিশোধলিপ্সু ব্যক্তির কাছে রক্ষাকারী আশ্রয়স্থল হবে, যেন নরহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি, মণ্ডলীর সামনে বিচারিত হওয়ার আগেই মারা না পড়ে। \v 13 এই যে ছয়টি নগর তোমরা দান করবে, সেগুলি তোমাদের আশ্রয়-নগর হবে। \v 14 জর্ডনের এই পাড়ে তিনটি এবং কনানে তিনটি আশ্রয়-নগর দান করবে। \v 15 ইস্রায়েলী এবং যেসব বিদেশি তোমাদের মধ্যে বসবাস করছে তাদের জন্য এই ছয়টি নগর আশ্রয়স্থল হবে, যেন কেউ যদি ভ্রান্তিবশত কারোর প্রাণ নেয় তাহলে সেখানে পলায়ন করতে পারে। \p \v 16 “ ‘যদি কোনো ব্যক্তি, অন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো লৌহ পদার্থ দিয়ে এমন আঘাত করে যে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যাকারী; সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। \v 17 অথবা যদি কোনো ব্যক্তির হাতে একটি পাথর থাকে এবং সে অন্য এক ব্যক্তিকে তার দ্বারা এমন আঘাত করে যে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যাকারী; সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। \v 18 অথবা নিহত হতে পারে এমন কোনো কাঠের বস্তু কারোর হাতে থাকে এবং তার দ্বারা সে কোনো ব্যক্তিকে এমন আঘাত করে যে তার মৃত্যু হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যাকারী; সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। \v 19 রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তি সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে বধ করবে; যখনই সে হত্যাকারীর দেখা পাবে, তাকে বধ করবে। \v 20 যদি কেউ আগে থেকে বিদ্বেষবশত কাউকে সজোরে ধাক্কা দেয়, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো বস্তু কারোর দিকে নিক্ষেপ করে, যার ফলে সে মারা যায়, \v 21 অথবা শত্রুতার কারণে সে তাকে এমন মুষ্ট্যাঘাত করে, যার ফলে সেই ব্যক্তি মারা যায়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে, তাহলে সেই ব্যক্তি হত্যাকারী। রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তি তাকে দেখামাত্র সেই হত্যাকারী ব্যক্তিকে বধ করবে। \p \v 22 “ ‘কিন্তু শত্রুতার মনোভাব ছাড়াই, যদি কোনো ব্যক্তি হঠাৎ কাউকে ধাক্কা দেয়, অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো বস্তু তার দিকে নিক্ষেপ করে \v 23 অথবা তার প্রতি লক্ষ্য না করে যদি কোনো ভারী পাথর তার ওপর নিক্ষেপ করে যার দ্বারা মৃত্যু হতে পারে এবং সে মারা যায়, তাহলে যেহেতু সে তার শত্রু ছিল না এবং তার ক্ষতিসাধন করার কোনো মনোবাসনা সেই ব্যক্তির ছিল না \v 24 মণ্ডলী অবশ্যই সেই ব্যক্তির এবং রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তির মধ্যে এই সমস্ত নিয়ন্ত্রণ বিধির পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করবে। \v 25 মণ্ডলী অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তির হাত থেকে রক্ষা করবে এবং সেই আশ্রয়-নগরে তাকে আবার পাঠিয়ে দেবে, যেখানে সে পালিয়ে গিয়েছিল। যে পর্যন্ত পবিত্র তেলে অভিষিক্ত মহাযাজকের মৃত্যু না হয়, সেই পর্যন্ত সে ওই স্থানে অবস্থিতি করবে। \p \v 26 “ ‘কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি, যেখানে সে পলায়ন করেছিল, সেই আশ্রয়-নগরের সীমানার বাইরে যদি কখনও যায় \v 27 এবং রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধগ্রহণকারী ব্যক্তি সেই নগর সীমানার বাইরে তার দেখা পায়, তাহলে সে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বধ করতে পারবে। নরহত্যার কোনো অপরাধ তার হবে না। \v 28 অভিযুক্ত ব্যক্তি অবশ্যই তার আশ্রয়-নগরে অবস্থান করবে, যতদিন না মহাযাজকের মৃত্যু হয়; কেবলমাত্র মহাযাজকের মৃত্যু হলেই সে তার নিজস্ব অধিকারে ফিরে যেতে পারবে। \p \v 29 “ ‘তোমরা যেখানে বসবাস করো, সেখানেই ভবিষ্যৎ বংশপরম্পরায় এই বিধান প্রযোজ্য হবে। \p \v 30 “ ‘কোনও ব্যক্তি, অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করলে, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে, হত্যাকারী হিসেবে তাকে বধ করতে হবে। কিন্তু শুধুমাত্র একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না। \p \v 31 “ ‘মৃত্যুদণ্ডযোগ্য কোনো হত্যাকারীর জীবনের বিনিময়ে কোনো মুক্তির মূল্য গ্রহণ করবে না। তাকে নিশ্চিতরূপেই বধ করতে হবে। \p \v 32 “ ‘যে ব্যক্তি আশ্রয়-নগরে পলায়ন করেছে, তার কাছ থেকে কোনো মুক্তিপণ নেবে না এবং মহাযাজকের মৃত্যু হওয়ার আগেই তাকে ফিরে যেতে ও নিজস্ব নিবাস ভূমিতে বসবাস করার অনুমতি দেবে না। \p \v 33 “ ‘যে দেশে তোমরা বসবাস করো, সেই দেশকে কলুষিত করবে না। রক্তপাত দেশকে কলুষিত করে এবং যেখানে রক্তপাত হয় সেখানে রক্তপাতকারীর রক্তপাত বিনা দেশের প্রায়শ্চিত্ত হতে পারে না। \v 34 যেখানে তোমরা জীবনযাপন করো ও যেখানে আমি বসবাস করি, সেই দেশকে কলুষিত করবে না। কারণ আমি, সদাপ্রভু, ইস্রায়েলীদের মধ্যে বসবাস করি।’ ” \c 36 \s1 সলফাদের মেয়েদের স্বত্বাধিকার \p \v 1 যোষেফের বংশধরদের গোষ্ঠীসমূহ থেকে মনঃশির নাতি মাখীরের ছেলে গিলিয়দের গোষ্ঠীর প্রধানেরা এসে মোশি ও ইস্রায়েলী পরিবারগুলির প্রধানদের সঙ্গে কথা বললেন। \v 2 তাঁরা বললেন, “যখন সদাপ্রভু আমাদের প্রভুকে আদেশ দিয়ে বলেছিলেন গুটিকাপাত দ্বারা স্বত্বাধিকাররূপে ইস্রায়েলীদের দেশ বণ্টন করতে, তিনি আপনাকে আদেশ দিয়েছিলেন যেন আপনি আমাদের ভাই সলফাদের অধিকার তার মেয়েদের দেন। \v 3 এখন, মনে করুন, তারা যদি ইস্রায়েলী অন্য গোষ্ঠীভুক্ত কাউকে বিয়ে করে; তাহলে তাদের স্বত্বাধিকার আমাদের পৈতৃক উত্তরাধিকার থেকে নিয়ে নেওয়া হবে এবং যে গোষ্ঠীতে তাদের বিয়ে হবে তারা তাদের অংশে অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই আমাদের জন্য বন্টিত অধিকারের অংশ আমাদের থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। \v 4 যখন ইস্রায়েলীদের জয়ন্তী বছর উপস্থিত হবে, তখন যে গোষ্ঠীতে তাদের বিয়ে হবে, সেই গোষ্ঠীর অধিকারে তাদের অধিকার যুক্ত হবে এবং আমাদের পিতৃবংশের অধিকার থেকে তাদের সম্পত্তি নিয়ে নেওয়া হবে।” \p \v 5 তখন সদাপ্রভুর আদেশ অনুযায়ী মোশি, ইস্রায়েলীদের এই বিধান দিলেন, “যোষেফের গোষ্ঠীর বংশধরেরা যে কথা বলছে, তা যথার্থ। \v 6 সদাপ্রভু, সলফাদের মেয়েদের জন্য এই আদেশ দিয়েছেন, তাদের বাবার গোষ্ঠীর মধ্যে তারা যাকে চায়, তাকেই বিয়ে করতে পারে। \v 7 কিন্তু ইস্রায়েলীদের মধ্যে কোনো অধিকার এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে যাবে না, কারণ প্রত্যেক ইস্রায়েলী তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া গোষ্ঠীর ভূমি রক্ষা করবে। \v 8 প্রত্যেক মেয়ে যে ইস্রায়েলী গোষ্ঠীর মধ্যে অধিকার প্রাপ্ত হবে, সে অবশ্যই তা পিতৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করবে। এভাবে প্রত্যেক ইস্রায়েলী ব্যক্তি তার বাবার অধিকার ভোগ করবে। \v 9 কোনো উত্তরাধিকার এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে যাবে না, কারণ প্রত্যেক ইস্রায়েলী গোষ্ঠী তার অধিকারভুক্ত ভূমি নিজের কাছে রাখবে।” \p \v 10 অতএব সলফাদের মেয়েরা সেইরকমই করল, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে বলেছিলেন। \v 11 সলফাদের মেয়েরা—মহলা, তির্সা, হগ্‌লা, মিল্কা ও নোয়া—তাদের পিতৃ-গোষ্ঠীর ছেলেদের বিয়ে করল। \v 12 তারা যোষেফের ছেলে মনঃশির বংশধরদের গোষ্ঠীর মধ্যে বিয়ে করল এবং তাদের অধিকার তাদের বাবার বংশ ও গোষ্ঠীর মধ্যেই রইল। \b \p \v 13 এই সমস্ত আদেশ ও নিয়ন্ত্রণবিধি, সদাপ্রভু জর্ডনের সামনে, যিরীহোর অন্য পাশে, মোয়াবের সমতলে, মোশির মাধ্যমে ইস্রায়েলীদের দান করেছিলেন।