\id NEH - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h নহিমিয় \toc1 নহিমিয় \toc2 নহিমিয় \toc3 নহি \mt1 নহিমিয় \c 1 \s1 নহিমিয়ের প্রার্থনা \p \v 1 হখলিয়ের পুত্র, নহিমিয়ের কথা: \b \b \p বিংশতিতম বছরের\f + \fr 1:1 \fr*\ft রাজা অর্তক্ষস্তের রাজত্বের বিংশতিতম বছর। তিনি পারস্য রাজত্ব করেছিলেন 465–425 খ্রী: পূ:\ft*\f* কিশ্‌লেব\f + \fr 1:1 \fr*\ft হিব্রু ক্যালেন্ডারে কিশ্‌লেব মাস হল নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এবং বাংলায় অগ্রহায়ণ মাস\ft*\f* মাসে যখন আমি শূশনের রাজধানিতে ছিলাম, \v 2 আমার এক ভাই, হনানি, যিহূদা থেকে কয়েকজন লোককে নিয়ে এসেছিল, এবং আমি তাদের জেরুশালেমে এবং সেইসব ইহুদিদের বিষয় জিজ্ঞাসা করেছিলাম যারা বন্দিদশায় নিজেরা রক্ষা পেয়েছিল। \p \v 3 তারা আমাকে বলেছিল, “যে সমস্ত লোকেরা বন্দিদশা থেকে রক্ষা পেয়েছিল এবং যিহূদায় ফিরে এসেছে, তারা ভয়ানক সংকট ও লজ্জায় রয়েছে। জেরুশালেমের প্রাচীর ভেঙে পড়েছে, এবং দরজাগুলি আগুনে পুড়ে গিয়েছে।” \p \v 4 এসব বিষয় শোনার পর আমি বসে কাঁদলাম এবং কয়েক দিন ধরে আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে শোক করলাম এবং উপবাস ও প্রার্থনা করলাম। \v 5 আর আমি বললাম: \pm “হে সদাপ্রভু, স্বর্গের ঈশ্বর, তুমি মহান ও অসাধারণ ঈশ্বর; যারা তোমাকে প্রেম করে ও তোমার আজ্ঞাসকল পালন করে, তাদের পক্ষে তুমি নিয়ম ও দয়া পালন করে থাকো, \v 6 আমি তোমার দাস তোমার সামনে দিনরাত প্রার্থনা করছি ইস্রায়েলীদের জন্য যারা তোমার দাস, কৃপা করে তুমি এই প্রার্থনা শোনো ও উত্তর দাও। আমরা ইস্রায়েলীরা এমনকি আমি ও আমার পিতৃকুলের সকলে তোমার বিরুদ্ধে যে সকল পাপ করেছি তা আমি স্বীকার করছি। \v 7 আমরা তোমার বিরুদ্ধে খুব অন্যায় করেছি। তোমার দাস মোশিকে তুমি যে আজ্ঞা, নিয়ম ও শাসন আদেশ দিয়েছিলে তা আমরা পালন করিনি। \pm \v 8 “তুমি তোমার দাস মোশিকে যে নির্দেশ দিয়েছিলে তা স্মরণ করো, তুমি বলেছিলে, ‘তোমরা যদি অবিশ্বস্ত হও, আমি তোমাদের অন্য জাতিগণের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করব। \v 9 কিন্তু যদি তোমরা আমার প্রতি ফেরো ও আমার আজ্ঞার বাধ্য হও, তাহলে তোমাদের বন্দিদশায় থাকা লোকেরা যদি আকাশের শেষ সীমাতেও থাকে আমি সেখান থেকে তাদের সংগ্রহ করব এবং আমার বাসস্থান হিসেবে যে জায়গা বেছে নিয়েছি সেখানে তাদের নিয়ে আসব।’ \pm \v 10 “তারা তোমার দাস এবং তোমারই লোক, যাদের তুমি তোমার মহাপরাক্রমে ও শক্তিশালী হাতে মুক্ত করেছ। \v 11 হে প্রভু, মিনতি করি, তোমার এই দাসের প্রার্থনাতে ও যারা তোমার নাম ভক্তির সঙ্গে স্মরণ করে তোমার সেই দাসদের প্রার্থনাতে কান দাও। তোমার দাসকে আজ সফলতা দাও ও এই ব্যক্তির কাছে করুণাপ্রাপ্ত করো।” \p আমি রাজার পানপাত্রবাহক ছিলাম। \c 2 \s1 অর্তক্ষস্ত নহিমিয়কে জেরুশালেমে পাঠান \p \v 1 রাজা অর্তক্ষস্তের রাজত্বের কুড়ি বছরের নীসন মাসে, যখন তাঁর কাছে দ্রাক্ষারস আনা হল, আমি সেই দ্রাক্ষারস নিয়ে রাজাকে দিলাম। এর আগে আমি তাঁর সামনে কখনও মলিন মুখে থাকিনি, \v 2 সেইজন্য রাজা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার তো অসুখ হয়নি তবে তোমার মুখ এত মলিন দেখাচ্ছে কেন? এ তো অন্তরের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।” \p আমি খুব ভয় পেলাম, \v 3 তবুও আমি রাজাকে বললাম, “মহারাজ চিরজীবী হোন! যে নগরে আমার পিতৃপুরুষদের কবর দেওয়া হয়েছিল সেটি ধ্বংস করা হয়েছে এবং তার দ্বার পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তখন আমার মুখ কেন মলিন দেখাবে না?” \p \v 4 রাজা আমাকে বললেন, “তুমি কি চাও?” \p তখন আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম, \v 5 আর রাজাকে বললাম, “মহারাজ যদি খুশি হয়ে থাকেন এবং আপনার দাস যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে, তবে আপনি যিহূদা-নগরে যেখানে আমার পিতৃপুরুষদের কবর দেওয়া হয়েছে সেখানে আমায় পাঠান যেন আমি তা আবার তৈরি করতে পারি।” \p \v 6 তখন রাজা, যাঁর পাশে রানিও বসেছিলেন, আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কয়দিন লাগবে আর কবেই বা তুমি ফিরে আসবে?” রাজা সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে পাঠালেন আর আমি একটি সময়ের কথা বললাম। \p \v 7 তাকে আমি আরও বললাম, “যদি মহারাজ খুশি হয়ে থাকেন তবে ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে তিনি যেন চিঠি দেন যাতে যিহূদায় আমি পৌঁছানো পর্যন্ত তারা আমার যাত্রায় সাহায্য করেন। \v 8 এছাড়া তিনি যেন তাঁর বনরক্ষক আসফের কাছে একটি চিঠি দেন যাতে তিনি মন্দিরের পাশের দুর্গ-দ্বার ও নগরের প্রাচীরের ও আমার থাকবার ঘরের কড়িকাঠের জন্য আমাকে কাঠ দেন।” আমার উপর আমার ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় রাজা আমার সব অনুরোধ রক্ষা করলেন। \v 9 পরে আমি ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের কাছে গিয়ে রাজার চিঠি দিলাম। রাজা আমার সঙ্গে কয়েকজন সেনাপতি ও একদল ঘোড়সওয়ার সৈন্যদের পাঠিয়ে দিলেন। \p \v 10 এই সমস্ত বিষয় শুনে হোরোণীয় সন্‌বল্লট ও অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় খুব অসন্তুষ্ট হল কারণ ইস্রায়েলীদের মঙ্গল করার জন্য একজন লোক এসেছে। \s1 নহিমিয় জেরুশালেমের প্রাচীর পরিদর্শন করলেন \p \v 11 আমি জেরুশালেমে গিয়ে সেখানে তিন দিন থাকার পর \v 12 রাতে আমি কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে বের হলাম। জেরুশালেমের জন্য যা করতে ঈশ্বর আমায় মনে ইচ্ছা দিয়েছিলেন তা আমি কাউকে বলিনি। আমি যে পশুর উপর চড়েছিলাম সেটি ছাড়া আর কোনও পশু আমার সঙ্গে ছিল না। \p \v 13 রাত্রে আমি উপত্যকার দ্বার দিয়ে বের হয়ে নাগকূপ ও সার-দ্বার পর্যন্ত গেলাম এবং জেরুশালেমের ভাঙা প্রাচীর ও আগুন দিয়ে ধ্বংস করা দ্বারগুলি দেখলাম। \v 14 তারপর আমি ফোয়ারা-দ্বার ও রাজার পুকুর পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু আমি যে পশুর উপর চড়েছিলাম তার সেই জায়গা দিয়ে যাবার জন্য কোনও পথ ছিল না; \v 15 এজন্য আমি সেরাতে প্রাচীরের অবস্থা দেখতে উপত্যকার মধ্য দিয়ে গেলাম এবং উপত্যকা দ্বার দিয়ে আবার ফিরে আসলাম। \v 16 আমি কোথায় গিয়েছি বা কী করেছি তা উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা জানতে পারেনি, কারণ আমি তখনও ইহুদিদের অথবা যাজকদের অথবা গণ্যমান্য লোকদের অথবা উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের অথবা যারা কাজ করবে তাদের কিছুই বলিনি। \p \v 17 পরে আমি তাদের বললাম, “আমরা যে কি রকম দুরাবস্থায় আছি তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, জেরুশালেম ধ্বংস হয়ে রয়েছে এবং তাঁর দ্বারগুলি আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। আসুন, আমরা জেরুশালেমের প্রাচীর আবার গাঁথি, যেন আমাদের আর মর্যাদাহানি না হয়।” \v 18 আমার ঈশ্বর কীভাবে আমার মঙ্গল করেছেন ও রাজা আমাকে কী বলেছেন তাও আমি তাদের জানালাম। \p উত্তরে তারা বললেন, “আসুন, আমরা গাঁথতে শুরু করি।” তারা সেই ভালো কাজ শুরু করতে প্রস্তুত হলেন। \p \v 19 কিন্তু হোরোণীয় সন্‌বল্লট, অম্মোনীয় কর্মকর্তা টোবিয় এবং আরবীয় গেশম এই কথা শুনে আমাদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে লাগল। তারা বলল, “তোমরা এ কি করছ? তোমরা কি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে?” \p \v 20 আমি উত্তরে তাদের বললাম, “স্বর্গের ঈশ্বর আমাদের সফলতা দান করবেন। আমরা তাঁর দাসেরা আবার গাঁথব, কিন্তু জেরুশালেমে আপনাদের কোনও অংশ, কোনও দাবি কিংবা কোনও অধিকার নেই।” \c 3 \s1 যারা প্রাচীর গাঁথল \p \v 1 মহাযাজক ইলীয়াশীব ও তাঁর সঙ্গী যাজকেরা গিয়ে মেষদ্বার গাঁথলেন। তারা সেটি সমর্পণ করে তাঁর দরজা লাগালেন, তারপর তারা হম্মোয়া দুর্গ\f + \fr 3:1 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় \ft*\fqa হম্মোয়া-র \fqa*\ft অর্থ শতকের দুর্গ। হয়তো সেখানে শতপতির কেন্দ্রস্থল ছিল।\ft*\f* থেকে হননেলের দুর্গ পর্যন্ত গেঁথে প্রাচীরের সেই দুটি অংশ সমর্পণ করলেন। \v 2 এর পরের অংশটি যিরীহোর লোকেরা গাঁথল এবং তাঁর পরের অংশটি গাঁথল ইম্রির ছেলে সক্কূর। \b \p \v 3 হস্‌সনায়ার ছেলেরা মৎস্যদ্বার গাঁথল। তারা তাঁর কড়িকাঠগুলি এবং তাঁর দরজা, খিল আর হুড়কাগুলি লাগাল। \v 4 তাঁর পরের অংশটি মেরামত করল ঊরিয়ের ছেলে মরেমোৎ, ঊরিয় ছিল হক্কোষের ছেলে। তাঁর পরের অংশটি বেরিখিয়ের ছেলে মশুল্লম, মেরামত করল, বেরিখিয়ের ছিল মশেষবেলের ছেলে এবং তাঁর পরের অংশটি বানার ছেলে সাদোক মেরামত করল। \v 5 তাঁর পরের অংশটি মেরামত করল তকোয়ীয়েরা, কিন্তু তাদের প্রধানেরা তাদের তদারককারীদের অধীনে পরিচর্যায় রাজি হল না। \b \p \v 6 পাসেহের ছেলে যিহোয়াদা ও বসোদিয়ার ছেলে মশুল্লম যিশানা\f + \fr 3:6 \fr*\ft অথবা \ft*\fqa পুরাতন\fqa*\f* দ্বারটি মেরামত করল। তারা তাঁর কড়িকাঠগুলি এবং তাঁর দরজা, খিল আর হুড়কাগুলি লাগাল। \v 7 এর পরের অংশটি গিবিয়োনীয় মলটিয় ও মেরোণোথীয় যাদোন মেরামত করল। এরা ছিল সেই গিবিয়োন ও মিস্‌পার অধিবাসী যা ইউফ্রেটিস নদীর ওপারের শাসনকর্তাদের সিংহাসনের অধীন ছিল। \v 8 এর পরের অংশটি মেরামত করল হর্হয়ের ছেলে উষীয়েল। উষীয়েল ছিল একজন স্বর্ণকার। তাঁর পরের অংশটি মেরামত করল হনানিয় নামে একজন সুগন্ধি প্রস্তুতকারক। এইভাবে তারা চওড়া প্রাচীর পর্যন্ত জেরুশালেমের প্রাচীর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনল। \v 9 জেরুশালেম প্রদেশের অর্ধেক অংশের শাসনকর্তা, হূরের ছেলে রফায় তাঁর পরের অংশটি মেরামত করল। \v 10 তার পরের অংশটি মেরামত করল হরূমফের ছেলে যিদায়। এই অংশটি তাঁর বাড়ির সামনে ছিল, এবং তাঁর পরের অংশটি হশব্‌নিয়ের ছেলে হটূশ মেরামত করল। \v 11 হারীমের ছেলে মল্কিয় ও পহৎ-মোয়াবের ছেলে হশূব অন্য এক ভাগ ও তুন্দুর দুর্গটি মেরামত করল। \v 12 জেরুশালেম প্রদেশের অর্ধেক অংশের শাসনকর্তা হলোহেশের ছেলে শল্লুম ও তার মেয়েরা তার পরের অংশটি মেরামত করল। \b \p \v 13 হানূন এবং সানোহ নিবাসীরা উপত্যকার দ্বার মেরামত করল। তারা তার দরজা, খিল আর হুড়কাগুলি লাগাল। তারা সার-দ্বার পর্যন্ত 1,000 হাত\f + \fr 3:13 \fr*\ft প্রায় 450 মিটার\ft*\f* প্রাচীরও মেরামত করল। \b \p \v 14 বেথ-হক্কেরম প্রদেশের শাসনকর্তা রেখবের ছেলে মল্কিয় সার-দ্বার মেরামত করলেন। তিনি তার দরজা, খিল আর হুড়কাগুলি লাগালেন। \b \p \v 15 মিস্‌পা প্রদেশের শাসনকর্তা কল্‌হোষির ছেলে শল্লুম উনুইদ্বার মেরামত করলেন। তিনি তার উপর ছাদ দিলেন এবং তার দরজা, খিল ও হুড়কাগুলি লাগালেন। রাজার বাগানের পাশে শীলোহের পুকুরের প্রাচীর থেকে আরম্ভ করে দাউদ-নগরের থেকে যে সিঁড়ি নেমে গেছে সেই পর্যন্ত তিনি মেরামত করলেন। \v 16 বেত-সূর প্রদেশের অর্ধেক অংশের শাসনকর্তা অস্‌বুকের ছেলে নহিমিয় প্রাচীরের পরের অংশটি দাউদ বংশের কবরের কাছ থেকে কাটা পুকুর ও বীরদের বাড়ি পর্যন্ত মেরামত করলেন। \p \v 17 তার পরের অংশটি বানির ছেলে রহূমের অধীনে লেবীয়েরা মেরামত করল। তার পরের অংশটি কিয়ীলা প্রদেশের অর্ধেক অংশের শাসনকর্তা হশবিয় তার এলাকার হয়ে মেরামত করলেন। \v 18 তার পরের অংশটি তাদের সঙ্গের লেবীয়েরা, কিয়ীলা প্রদেশের বাকি অংশের শাসনকর্তা হেনাদদের ছেলে ববয়ের অধীনে থেকে মেরামত করল। \v 19 তাদের পরের অংশটি, মিস্‌পার শাসনকর্তা যেশূয়ের ছেলে এষর অস্ত্রশস্ত্র রাখবার ঘরে উঠবার পথের সামনের জায়গা থেকে প্রাচীরের বাঁক পর্যন্ত মেরামত করে। \v 20 তারপরে সব্বয়ের ছেলে বারূক প্রাচীরের বাঁক থেকে মহাযাজক ইলীয়াশীবের বাড়ির দ্বার পর্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে মেরামত করল। \v 21 তার পরের অংশটি ঊরিয়ের ছেলে মরেমোৎ ইলীয়াশীবের বাড়ির দ্বার থেকে শুরু করে বাড়ির শেষ পর্যন্ত মেরামত করল। ঊরিয় ছিল হক্কোষের ছেলে। \p \v 22 পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নিবাসী যাজকেরা তার পরের অংশটি মেরামত করলেন। \v 23 বিন্যামীন ও হশূব তার পরের অংশটি মেরামত করল যেটি ছিল তাদের বাড়ির সামনে। তার পরের অংশটি মাসেয়ের ছেলে অসরিয় মেরামত করল যেটি ছিল তাদের বাড়ির পাশের অংশ। মাসেয় ছিল অননিয়ের ছেলে। \v 24 তার পাশে হেনাদদের ছেলে বিন্নূয়ী অসরিয়ের বাড়ি থেকে শুরু করে বাঁক ও কোনা পর্যন্ত আর একটি অংশ মেরামত করল। \v 25 উষয়ের ছেলে পালল বাকের অন্য দিকটি পাহারাদারদের উঠানের কাছে রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা উঁচু দুর্গটার সামনের অংশটি মেরামত করল। তারপরে পরোশের ছেলে পদায় \v 26 এবং মন্দিরের দাসেরা যারা ওফলের পাহাড়ে বাস করত তারা পূর্বদিকে জল-দ্বার এবং বেরিয়ে আসা দুর্গ পর্যন্ত মেরামত করল। \v 27 তাদের পাশে তকোয়ের লোকেরা সেই বেরিয়ে আসা বিরাট দুর্গ থেকে ওফলের প্রাচীর পর্যন্ত আর একটি অংশ মেরামত করল। \b \p \v 28 যাজকেরা অশ্বদ্বারের উপর দিকে, প্রত্যেকজন নিজ নিজ বাড়ির সামনে মেরামত করল। \v 29 তার পরের অংশটি ইম্মেরের ছেলে সাদোক তার বাড়ির সামনের দিকে মেরামত করল। তার পরের অংশটি পূব-দ্বারের রক্ষক শখনিয়ের ছেলে শময়িয় মেরামত করল। \v 30 তার পাশে শেলিমিয়ের ছেলে হনানিয় ও সালফের ষষ্ঠ ছেলে হানূন আর একটি অংশ মেরামত করল। তার পাশের অংশটি বেরিখিয়ের ছেলে মশুল্লম তার ঘরের সামনে মেরামত করল। \v 31 তার পরের অংশটি মল্কিয় নামে একজন স্বর্ণকার মেরামত করল, এটি ছিল সমাবেশ-দ্বারের সামনে উপাসনা গৃহের সেবাকারীদের ও ব্যবসায়ীদের বাড়ি পর্যন্ত এবং প্রাচীরের কোণের উপরের ঘর পর্যন্ত; \v 32 এবং স্বর্ণকার ও ব্যবসায়ীরা প্রাচীরের কোণের উপরকার ঘর আর মেষদ্বারের মাঝখানের জায়গাটি মেরামত করল। \c 4 \s1 পুনর্নির্মাণের বিরোধিতা \p \v 1 সন্‌বল্লট যখন শুনল যে, আমরা আবার প্রাচীর গাঁথছি, তখন সে ভয়ানক রাগ করল ও ভীষণ বিরক্ত হল। সে ইহুদিদের বিদ্রুপ করল, \v 2 এবং তার সঙ্গের লোকদের ও শমরীয় সৈন্যদলের সামনে সে বলল, “এই দুর্বল ইহুদিরা কি করেছে? তারা কি তাদের প্রাচীর পুনর্নির্মাণ করবে? তারা কি যজ্ঞ করবে? একদিনের মধ্যে কি তারা শেষ করবে? ধ্বংসস্তূপ থেকে তারা কি পাথরগুলিকে সজীব করবে, ওগুলি তো পুড়ে গেছে?” \p \v 3 তখন অম্মোনীয় টোবিয় তার পাশে ছিল, সে বলল, “ওরা কি গাঁথছে, তার উপরে যদি একটি শিয়াল ওঠে তবে তাদের ওই পাথরের প্রাচীর ভেঙে পড়বে!” \b \p \v 4 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি শোনো, কেমন করে আমাদের তুচ্ছ করা হচ্ছে। তাদের এই অপমান তুমি তাদেরই মাথার উপরে ফেলো। তুমি এমন করো যেন তারা বন্দি হয়ে লুটের বস্তুর মতো অন্য দেশে থাকে। \v 5 তাদের অন্যায় তুমি ক্ষমা কোরো না কিংবা তোমার সামনে থেকে তাদের পাপ তুমি মুছে ফেলো না, কারণ তারা গাঁথকদের সামনেই তোমাকে অসন্তুষ্ট করেছে\f + \fr 4:5 \fr*\ft অথবা \ft*\fqa তারা গাঁথকদের অপমান করেছে।\fqa*\f*। \b \p \v 6 সমস্ত প্রাচীরটি যত উঁচু হবে তার অর্ধেকটা পর্যন্ত আমরা গাঁথলাম, কারণ লোকেরা তাদের সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করছিল। \p \v 7 কিন্তু যখন সন্‌বল্লট, টোবিয়, আরবীয়েরা, অম্মোনীয়েরা ও অস্‌দোদের লোকেরা শুনল যে, জেরুশালেমের প্রাচীর মেরামতের কাজ এগিয়ে গেছে এবং ফাঁকগুলি বন্ধ করা হয়েছে তখন তারা ভীষণ রেগে গেল। \v 8 তারা সকলে ষড়যন্ত্র করল যে, তারা গিয়ে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং গোলমাল শুরু করে দেবে। \v 9 কিন্তু আমরা আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম এবং তাদের বিরুদ্ধে দিনরাত পাহারা দেবার ব্যবস্থা করলাম। \p \v 10 এর মধ্যে, যিহূদার লোকেরা বলল, “শ্রমিকেরা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং পড়ে থাকা ধ্বংসস্তূপ এত বেশি যে, আমরা আর প্রাচীর গাঁথতে পারব না।” \p \v 11 এদিকে আমাদের শত্রুরা বলল, “তারা জানবার আগে কিংবা দেখবার আগেই আমরা সেখানে উপস্থিত হব এবং তাদের মেরে ফেলে কাজ বন্ধ করে দেব।” \p \v 12 যে ইহুদিরা তাদের কাছাকাছি বাস করত তারা এসে দশবার আমাদের বলতে লাগল, “তোমরা যেদিকেই যাবে, তারা আমাদের আক্রমণ করবে।” \p \v 13 অতএব আমি প্রাচীরের পিছন দিকে নিচু জায়গাগুলি যেখানে ফাঁকগুলির ছিল সেখানে বংশ অনুসারে লোকদের তরোয়াল, বড়শা ও ধনুক হাতে নিযুক্ত করলাম। \v 14 সমস্ত পরিস্থিতি দেখার পর আমি উঠে দাঁড়িয়ে প্রধান লোকেদের, উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের ও অন্য সকল লোকদের বললাম, “ওদের ভয় কোরো না। মহান ও ভয়ংকর প্রভুকে স্মরণ করো এবং নিজেদের ভাই, নিজেদের ছেলেদের ও নিজেদের মেয়েদের, নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের বাড়ির জন্য যুদ্ধ করো।” \p \v 15 আমাদের শত্রুরা যখন শুনল যে, আমরা তাদের ষড়যন্ত্র জানি এবং ঈশ্বর তা বিফল করে দিয়েছেন, তখন আমরা সকলে প্রাচীরের কাছে ফিরে গিয়ে যে যার কাজ করতে লাগলাম। \p \v 16 সেদিন থেকে আমার অর্ধেক লোক কাজ করত আর বাকি অর্ধেক বর্শা, ঢাল, ধনুক, ও বর্ম নিয়ে প্রস্তুত থাকত। যিহূদার যে সমস্ত লোক প্রাচীর গাঁথছিল তাদের পিছনে কর্মকর্তারা থাকত। \v 17 যারা মালমশলা বইত তারা এক হাতে কাজ করত আর অন্য হাতে অস্ত্র ধরত। \v 18 গাথকেরা প্রত্যেকে কোমরে তরোয়াল বেঁধে কাজ করত, আর যে তূরী বাজাত সে আমার সঙ্গে থাকত। \p \v 19 পরে আমি প্রধান লোকেদের, উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের ও অন্য সকল লোককে বললাম, “কাজের এলাকাটি বড়ো এবং তা অনেকখানি জায়গা জুড়ে রয়েছে, আর আমরা প্রাচীর বরাবর একজনের কাছ থেকে অন্যজন আলাদা হয়ে দূরে দূরে আছি। \v 20 তোমরা যে কোনও স্থানে তূরীর শব্দ শুনবে, সেই স্থানে আমাদের কাছে জড়ো হবে। আমাদের ঈশ্বর আমাদের হয়ে যুদ্ধ করবেন!” \p \v 21 ভোর থেকে শুরু করে অন্ধকার না হওয়া পর্যন্ত অর্ধেক লোক বর্শা ধরে থাকত আর আমরা এইভাবেই কাজ করতাম। \v 22 সেই সময় আমি লোকেদের আরও বললাম, “প্রত্যেকে তার চাকরকে নিয়ে রাত্রে যেন জেরুশালেমে থাকে, যেন রাতে পাহারা দিতে পারে এবং দিনের বেলা কাজ করতে পারে।” \v 23 আমি কিংবা আমার ভাইরা বা আমার চাকরেরা বা আমার দেহরক্ষীরা কেউই আমরা কাপড় খুলতাম না এমনকি, জলের কাছে গেলেও আমরা প্রত্যেকে নিজের অস্ত্রশস্ত্র সঙ্গে নিতাম। \c 5 \s1 গরিবদের প্রতি নহিমিয়ের সাহায্য \p \v 1 পরে লোকেরা ও তাদের স্ত্রীরা ইহুদি ভাইদের বিরুদ্ধে খুব হইচই করতে লাগল। \v 2 কেউ কেউ বলল, “আমরা আমাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে সংখ্যায় অনেক, খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের শস্যের প্রয়োজন।” \p \v 3 কেউ কেউ বলল, “দুর্ভিক্ষের সময় শস্য নেওয়ার জন্য আমরা আমাদের জমি, দ্রাক্ষাক্ষেত্র ও বাড়ি বন্ধক রাখছি।” \p \v 4 আবার অন্যেরা বলল, “আমাদের জমি ও দ্রাক্ষাক্ষেত্রের উপর রাজার কর দেবার জন্য ধার করতে হয়েছে। \v 5 যদিও আমরা একই জাতির লোক এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের মতোই তবুও আমাদের ছেলেদের এবং আমাদের মেয়েদের দাসত্বের জন্য দিয়েছি। আমাদের কিছু মেয়ে আগেই দাসী হয়ে গেছে, কিন্তু আমরা ক্ষমতাহীন, কারণ আমাদের জমি ও দ্রাক্ষাক্ষেত্র এখন অন্যদের হয়ে গেছে।” \p \v 6 আমি যখন তাদের হইচই ও নালিশ শুনলাম তখন ভীষণ রেগে গেলাম। \v 7 আমি তাদের কথাগুলি মনে মনে বিবেচনা করলাম এবং গণ্যমান্য লোকদের ও উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের ভীষণ বকাবকি করলাম। আমি তাদের বললাম, “তোমরা তোমাদের নিজের দেশের লোকদের কাছ থেকে সুদ আদায় করছ!” সেইজন্য আমি তাদের বিচার করার জন্য এক মহাসভা ডাকলাম \v 8 এবং বললাম “ওই অইহুদিদের কাছে আমাদের যেসব লোকেরা বিক্রি হয়েছিল যতদূর সম্ভব তাদের আমরা ছাড়িয়ে এনেছি। এখন তোমরা তোমাদের লোকদের বিক্রি করছ, যেন আমাদের কাছে তারা আবার বিক্রি হয়!” তারা চুপ করে থাকল, কারণ তারা উত্তর দেবার জন্য কিছুই খুঁজে পেল না। \p \v 9 আমি আরও বললাম, “তোমরা যা করছ তা ঠিক না। অইহুদি যাতে আমাদের বিদ্রুপ না করতে পারে সেইজন্য আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ভয় রেখে চলা কি উচিত নয়? \v 10 আমি, আমার ভাইয়েরা ও আমার লোকেরা তাদের অর্থ এবং শস্য ধার দিই। এসো আমরা এই সুদ নেওয়া বন্ধ করি! \v 11 তোমরা এখনই তাদের শস্যক্ষেত্র, দ্রাক্ষাক্ষেত্র, জলপাইক্ষেত্র এবং গৃহ সকল ফিরিয়ে দাও। আর অর্থের, শস্যের, নতুন দ্রাক্ষারসের এবং তেলের শতকার যে বৃদ্ধি নিয়ে ঋণ দিয়েছ তা তাদের ফিরিয়ে দাও।” \p \v 12 তারা বলল, “আমরা তা ফিরিয়ে দেব এবং আমরা তাদের কাছে আর কিছুই দাবি করব না। আপনি যা বললেন আমরা তাই করব।” \p তারপর আমি যাজকদের ডেকে গণ্যমান্য লোকদের ও উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের শপথ করালাম যে তারা প্রতিজ্ঞানুসারে কাজ করবে। \v 13 আমার পোশাকের সামনের দিকটা ঝাড়া দিয়ে বললাম, “যারা এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করবে না, ঈশ্বর তাদের প্রত্যেককে তাদের বাড়ি ও সম্পত্তি থেকে এইভাবে ঝেড়ে ফেলবেন। এরকম লোকদের এইভাবেই ঝেড়ে ফেলা হবে এবং তাদের সবকিছু শেষ করা হবে।” \p এই কথা শুনে সমস্ত সমাজ বলল, “আমেন,” এবং সদাপ্রভুর গৌরব করল। আর লোকেরা তাদের প্রতিজ্ঞানুসারে কাজ করল। \p \v 14 এছাড়াও, রাজা অর্তক্ষস্তের বিংশতিতম বছরের সময় যখন আমি যিহূদা দেশে শাসনকর্তা পদে নিযুক্ত হয়েছিলাম, তখন থেকে তার রাজত্বের বত্রিশ বছর পর্যন্ত—বারো বছর—আমি ও আমার ভাইয়েরা দেশাধ্যক্ষর পাওনা খাবার গ্রহণ করিনি। \v 15 কিন্তু আমার আগে যে শাসনকর্তারা ছিলেন, তারা লোকদের উপর ভারী বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন এবং খাবারদাবার ও দ্রাক্ষারস ছাড়াও তাদের কাছ থেকে চল্লিশ শেকল\f + \fr 5:15 \fr*\ft সেটি প্রায় 460 গ্রাম\ft*\f* রুপো নিতেন। তাদের চাকরেরাও লোকদের উপর কর্তৃত্ব করত। কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি আমার ভক্তিমূলক ভয় থাকাতে আমি সেইরকম কাজ করিনি। \v 16 বরং, আমি এই প্রাচীরের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতাম। আমার সকল চাকরেরা কাজ করার জন্য সেখানে জড়ো হত, আমরা কেউ কোনো জমি কিনিনি। \p \v 17 এছাড়াও, 150 জন ইহুদি ও উচ্চপদস্থ কর্মচারী এবং আমাদের চারিদিকের জাতিগণের মধ্যে যারা আমাদের কাছে আসত তারা আমার সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করত। \v 18 প্রতিদিন একটি করে বলদ ও ছয়টি বাছাই করা মেষ ও কতগুলি পাখিও আমার জন্য রান্না করা হত, আর প্রতি দশদিন অন্তর যথেষ্ট পরিমাণ সব রকম দ্রাক্ষারস দেওয়া হত। এই সমস্ত সত্ত্বেও লোকদের উপর ভারী বোঝা থাকার দরুন আমি প্রদেশপালের কিছু দাবি করিনি। \p \v 19 হে আমার ঈশ্বর, আমি এই লোকদের জন্য যে সকল কাজ করেছি, তুমি আমার মঙ্গলের জন্য তা স্মরণ করো। \c 6 \s1 পুনর্নির্মাণের কাজে আরও বিরোধিতা \p \v 1 সন্‌বল্লট, টোবিয়, আরবীয় গেশম ও আমাদের অন্য শত্রু যখন শুনতে পেল যে, আমি প্রাচীর গেঁথেছি এবং সেখানে কোনো ফাঁক নেই, যদিও তখনও আমি নগরদ্বারগুলির দরজা লাগাইনি। \v 2 সন্‌বল্লট ও গেশম আমাকে এই কথা বলে পাঠাল “আসুন, আমরা ওনো সমস্থলীর কোনও গ্রামে মিলিত হই।” \p কিন্তু তারা আমার ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করছিল; \v 3 সেইজন্য আমি লোক পাঠিয়ে তাদের এই উত্তর দিলাম “আমি একটি বিশেষ দরকারি কাজ করছি এবং আমি নেমে যেতে পারি না। আমি কেন কাজ বন্ধ করে আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাব?” \v 4 তারা চার বার একই সংবাদ আমাকে পাঠাল আর প্রত্যেকবার আমি তাদের একই উত্তর দিলাম। \p \v 5 তারপর, পঞ্চমবার, সন্‌বল্লট একই সংবাদ তার চাকরকে দিয়ে আমার কাছে পাঠাল, আর তার হাতে একটি খোলা চিঠি ছিল \v 6 যাতে লেখা ছিল: \pm “জাতিগণের মধ্যে এই কথা শোনা যাচ্ছে, আর গেশমও\f + \fr 6:6 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় গশ্‌মূ\ft*\f* বলেছে সেকথা সত্যি, যে আপনি ও ইহুদিরা বিদ্রোহের ষড়যন্ত্র করেছেন, আর সেইজন্য প্রাচীর গাঁথছেন। এছাড়া, এসব সংবাদ অনুসারে আপনি তাদের রাজা হতে যাচ্ছেন \v 7 এবং জেরুশালেমে এই ঘোষণা করার জন্য আপনি ভাববাদীও নিযুক্ত করেছেন ‘যিহূদা দেশে একজন রাজা আছেন!’ এখন এই সংবাদ রাজার কাছে পৌঁছাবে; কাজেই আসুন, আমরা একত্র হয়ে পরামর্শ করি।” \p \v 8 আমি তাকে এই উত্তর পাঠালাম “আপনি যা বলছেন সেইরকম কিছুই হচ্ছে না, এটি আপনার মনগড়া কথা।” \p \v 9 তারা সকলে আমাদের ভয় দেখবার চেষ্টা করছিল, মনে করছিল, “এই কাজ করার জন্য ওদের হাত দুর্বল হয়ে যাবে, এবং তা সম্পূর্ণ হবে না।” \p কিন্তু আমি প্রার্থনা করলাম, “এখন আমার হাত শক্তিশালী করো।” \p \v 10 একদিন আমি দলায়ের ছেলে শময়িয়ের বাড়ি গেলাম, দলায় ছিল মহেটবেলের ছেলে। শময়িয় তার বাড়িতে বদ্ধ ছিল। সে বলল, “আসুন, আমরা ঈশ্বরের ঘরে, মন্দিরের ভিতরে একত্র হই, এবং মন্দিরের দ্বার বন্ধ করি, কারণ লোকেরা আপনাকে হত্যা করার জন্য আসছে, রাত্রেই আপনাকে হত্যা করতে আসবে।” \p \v 11 কিন্তু আমি বললাম, “আমার মতো লোকের কি পালিয়ে যাওয়া উচিত? কিংবা আমার মতো কারো কি তার প্রাণরক্ষা করার জন্য মন্দিরের মধ্যে যাওয়া উচিত? আমি যাব না!” \v 12 আমি বুঝতে পারলাম যে ঈশ্বর তাকে পাঠাননি, কিন্তু সে আমার বিরুদ্ধে ভাবোক্তি বলেছে যেহেতু টোবিয় ও সন্‌বল্লট তাকে ভাড়া করেছে। \v 13 তাকে ভাড়া করা হয়েছিল যেন ভয়ে এই কাজ করে আমি পাপ করি, এবং তারা যেন আমার দুর্নাম করার সুযোগ পেয়ে আমাকে টিট্‌কারি দিতে পারে। \b \p \v 14 হে আমার ঈশ্বর, টোবিয় ও সন্‌বল্লট যা করেছে তা স্মরণ করো: ভাববাদিনী নোয়দিয়া ও অন্য যে ভাববাদীরা আমাকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করছিল তাদেরকেও স্মরণ করো। \v 15 ইলূল\f + \fr 6:15 \fr*\ft হিব্রু ক্যালেন্ডারে ইলূল মাস হল আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এবং বাংলায় ভাদ্র মাস\ft*\f* মাসের পঁচিশ তারিখে, বাহান্নতম দিন, প্রাচীর গাঁথা শেষ হল। \s1 প্রাচীর সমাপ্তের বিরোধিতা \p \v 16 আমাদের সব শত্রুরা যখন এই কথা শুনল আর নিকটবর্তী সব জাতিরা তা দেখল তখন তারা ভয় পেল এবং আত্মবিশ্বাস হারাল, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল যে, এই কাজ আমাদের ঈশ্বরের সাহায্যেই করা হয়েছে। \p \v 17 আবার, সেই সময় যিহূদার গণ্যমান্য লোকেরা টোবিয়ের কাছে অনেক চিঠিপত্র পাঠাতেন এবং টোবিয়ের কাছ থেকে তারা উত্তরও পেতেন। \v 18 কারণ যিহূদার অনেকে তার কাছে শপথ করেছিল, কারণ সে আরহের ছেলে শখনিয়ের জামাই ছিল, এবং তার ছেলে যিহোহানন বেরিখিয়ের ছেলে মশুল্লমের মেয়েকে বিয়ে করছিল। \v 19 এছাড়া, তারা টোবিয়ের ভালো কাজের কথা আমাকে জানাত এবং আমি যা বলতাম তারা তাকে জানাত। এবং আমাকে ভয় দেখানোর জন্য টোবিয় চিঠি পাঠাত। \c 7 \p \v 1 প্রাচীর গাঁথা হয়ে যাবার পর আমি দরজাগুলি ঠিক জায়গায় লাগালাম, এবং দ্বাররক্ষী, গায়ক ও লেবীয়দের নিযুক্ত করা হল। \v 2 আমার ভাই হনানিকে ও দুর্গের শাসনকর্তা হনানিয়কে জেরুশালেমের উপর নিযুক্ত করলাম, কেননা হনানি বিশ্বস্ত লোক ছিলেন এবং ঈশ্বরকে অনেকের চেয়ে বেশি ভয় করতেন। \v 3 আমি তাদের বললাম, “যতক্ষণ না প্রচণ্ড রোদ হয় ততক্ষণ জেরুশালেমের দ্বার যেন খোলা না হয়। রক্ষীরা থাকার সময় তাদের দিয়ে যেন দ্বার বন্ধ করা ও হুড়কা লাগানো হয়। এবং জেরুশালেমের নিবাসীদের মধ্যে থেকে যেন প্রহরী নিযুক্ত হয়, তাদের কেউ কেউ থাকুক পাহারা দেবার জায়গায় আর কেউ কেউ নিজের বাড়ির কাছে।” \s1 বন্দিদশা থেকে ফিরে আসা লোকদের তালিকা \p \v 4 সেই সময় জেরুশালেম নগর ছিল বড়ো ও অনেক জায়গা জুড়ে, কিন্তু তার মধ্যে অল্প সংখ্যক লোক ছিল, এবং সব বাড়িও তখন তৈরি করা হয়নি। \v 5 পরে ঈশ্বর আমার মনে ইচ্ছা দিলেন যেন আমি গণ্যমান্য লোকদের, উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের ও সাধারণ লোকদের একত্র করে তাদের বংশাবলি লেখা হয়। যারা প্রথমে ফিরে এসেছিল সেই লোকদের বংশতালিকা পেলাম। তার মধ্যে আমি এই কথা লেখা পেলাম: \b \li4 \v 6 ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার যাদের বন্দি করে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে সেই প্রদেশের এইসব লোকজন নির্বাসন কাটিয়ে জেরুশালেম ও যিহূদায় নিজের নিজের নগরে ফিরে এসেছিল। \v 7 তারা সরুব্বাবিল, যেশূয়, নহিমিয়, অসরিয়, রয়মিয়া, নহমানি, মর্দখয়, বিল্‌শন, মিস্পরৎ, বিগ্‌বয়, নহূম ও বানার সঙ্গে ফিরে এসেছিল। \b \li4 ইস্রায়েলী পুরুষদের তালিকা: \li1 \v 8 পরোশের বংশধর 2,172 জন, \li1 \v 9 শফটিয়ের বংশধর 372 জন, \li1 \v 10 আরহের বংশধর 652 জন, \li1 \v 11 পহৎ-মোয়াবের বংশধর (যেশূয় ও যোয়াবের সন্তানদের মধ্যে) 2,818 জন, \li1 \v 12 এলমের বংশধর 1,254 জন, \li1 \v 13 সত্তূরের বংশধর 845 জন, \li1 \v 14 সক্কয়ের বংশধর 760 জন, \li1 \v 15 বিন্নূয়ীর বংশধর 648 জন, \li1 \v 16 বেবয়ের বংশধর 628 জন, \li1 \v 17 অস্‌গদের বংশধর 2,322 জন, \li1 \v 18 অদোনীকামের বংশধর 667 জন, \li1 \v 19 বিগ্‌বয়ের বংশধর 2,067 জন, \li1 \v 20 আদীনের বংশধর 655 জন, \li1 \v 21 (হিষ্কিয়ের বংশজাত) আটেরের বংশধর 98 জন, \li1 \v 22 হশুমের বংশধর 328 জন, \li1 \v 23 বেৎসয়ের বংশধর 324 জন, \li1 \v 24 হারীফের বংশধর 112 জন, \li1 \v 25 গিবিয়োনের বংশধর 95 জন, \li1 \v 26 বেথলেহেম এবং নটোফার লোকেরা 188 জন, \li1 \v 27 অনাথোতের লোকেরা 128 জন, \li1 \v 28 বেৎ-অস্‌মাবতের লোকেরা 42 জন, \li1 \v 29 কিরিয়ৎ-যিয়ারীম, কফীরা ও বেরোতের লোকেরা 743 জন, \li1 \v 30 রামার ও গেবার লোকেরা 621 জন, \li1 \v 31 মিক্‌মসের লোকেরা 122 জন, \li1 \v 32 বেথেল ও অয়ের লোকেরা 123 জন, \li1 \v 33 অন্য নেবোর লোকেরা 52 জন, \li1 \v 34 অন্য এলমের লোকেরা 1,254 জন, \li1 \v 35 হারীমের লোকেরা 320 জন, \li1 \v 36 যিরীহোর লোকেরা 345 জন, \li1 \v 37 লোদ, হাদীদ, ও ওনোর লোকেরা 721 জন, \li1 \v 38 সনায়ার লোকেরা 3,930 জন। \b \li4 \v 39 যাজকবর্গ: \li1 (যেশূয়ের বংশের মধ্যে) যিদয়িয়ের বংশধর 973 জন, \li1 \v 40 ইম্মেরের বংশধর 1,052 জন, \li1 \v 41 পশ্‌হূরের বংশধর 1,247 জন, \li1 \v 42 হারীমের বংশধর 1,017 জন। \b \li4 \v 43 লেবীয়বর্গ: \li1 (হোদবিয়ের বংশে কদ্‌মীয়েলের মাধ্যমে) যেশূয়ের বংশধর 74 জন। \b \li4 \v 44 গায়কবৃন্দ: \li1 আসফের বংশধর 148 জন। \b \li4 \v 45 মন্দিরের দ্বাররক্ষীবর্গ: \li2 শল্লুম, আটের, টল্‌মোন, \li2 অক্কূব, হটীটা ও শোবয়ের \li1 বংশধর 138 জন। \b \li4 \v 46 মন্দিরের পরিচারকবৃন্দ: \li2 সীহ, হসূফা, টব্বায়োত, \li2 \v 47 কেরোস, সীয়, পাদোন, \li2 \v 48 লবানা, হগাব, শল্‌ময়, \li2 \v 49 হানন, গিদ্দেল, গহর, \li2 \v 50 রায়া, রৎসীন, নকোদ, \li2 \v 51 গসম, ঊষ, পাসেহ, \li2 \v 52 বেষয়, মিয়ূনীম, নফূষীম, \li2 \v 53 বক্‌বূক, হকূফা, হর্হূর, \li2 \v 54 বসলূত, মহীদা, হর্শা, \li2 \v 55 বর্কোস, সীষরা, তেমহ, \li2 \v 56 নৎসীহ ও হটীফার \li1 বংশধর। \li4 \v 57 শলোমনের দাসদের বংশধর: \li2 সোটয়, সোফেরত, পরীদা, \li2 \v 58 যালা, দর্কোন, গিদ্দেল, \li2 \v 59 শফটিয়, হটীল, \li2 পোখেরৎ-হৎসবায়ীম ও আমোনের \li1 বংশধর। \li4 \v 60 মন্দিরের দাসেরা এবং শলোমনের দাসদের বংশধর 392 জন। \b \li4 \v 61 তেল্-মেলহ, তেল্-হর্শা, করূব, অদ্দন ও ইম্মের, এসব স্থান থেকে নিম্নলিখিত লোকেরা এসেছিল, কিন্তু তারা ইস্রায়েলী লোক কি না, এ বিষয়ে নিজ নিজ পিতৃকুলের প্রমাণ দিতে পারল না: \li1 \v 62 দলায়, টোবিয় ও নকোদের বংশধর 642 জন। \b \li4 \v 63 আর যাজকদের মধ্যে: \li1 হবায়ের, হক্কোষের ও বর্সিল্লয়ের বংশধর (এই বর্সিল্লয় গিলিয়দীয় বর্সিল্লয়ের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল এবং তাকে সেই নামেই ডাকা হত)। \li4 \v 64 বংশতালিকায় এই লোকেরা তাদের বংশের খোঁজ করেছিল কিন্তু পায়নি, এবং সেই কারণে তারা অশুচি বলে তাদের যাজকের পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। \v 65 সুতরাং, শাসনকর্তা তাদের এই আদেশ দিয়েছিলেন, যে ঊরীম ও তুম্মীম\f + \fr 7:65 \fr*\ft \+xt যাত্রা পুস্তক 28:30\+xt*\ft*\f* ব্যবহারকারী কোনো যাজক না আসা পর্যন্ত যেন লোকেরা কোনও মহাপবিত্র খাদ্য ভোজন না করে। \b \li4 \v 66 সর্বমোট তাদের সংখ্যা ছিল 42,360, \v 67 এছাড়া তাদের দাস-দাসী ছিল 7,337 জন; এবং তাদের 245 জন গায়ক-গায়িকাও ছিল। \v 68 তাদের 736-টি ঘোড়া, 245-টি খচ্চর, \v 69 435-টি উট ও 6,720-টি গাধা। \b \pm \v 70 পিতৃকুলপতিদের মধ্যে কেউ কেউ সেই কাজের জন্য দান করল। শাসনকর্তা ভাণ্ডারে 1,000 অদর্কোন\f + \fr 7:70 \fr*\ft 8.4 কিলোগ্রাম\ft*\f* সোনা ও পঞ্চাশটি বাটি এবং যাজকদের জন্য 530-টি পোশাক দিলেন। \v 71 কয়েকজন পিতৃকুলপতি ভাণ্ডারে এই কাজের জন্য 20,000 অদর্কোন\f + \fr 7:71 \fr*\ft 170 কিলোগ্রাম\ft*\f* সোনা ও 2,200 মানি\f + \fr 7:71 \fr*\ft 1.2 মেট্রিক টন\ft*\f* রুপো দিলেন। \v 72 বাকি লোকেরা মোট 20,000 অদর্কোন সোনা ও 2,000 মানি\f + \fr 7:72 \fr*\ft 1.1 মেট্রিক টন\ft*\f* রুপো এবং যাজকদের জন্য 67-টি পোশাক দিল। \pm \v 73 যাজকেরা, লেবীয়েরা, দ্বাররক্ষীরা, গায়কেরা এবং মন্দিরের দাসেরা বিশেষ কিছু লোকের ও অবশিষ্ট ইস্রায়েলীদের সঙ্গে নিজের নিজের নগরে বসবাস করতে লাগল। \s1 ইষ্রা বিধানপুস্তক পাঠ করেন \p সপ্তম মাসে ইস্রায়েলীরা নিজের নিজের নগরে বসবাস করতে লাগল। \c 8 \nb \v 1 সমস্ত লোক একসঙ্গে জল-দ্বারের সামনের চকে জড়ো হল। তারা বিধানের অধ্যাপক ইষ্রাকে মোশির বিধানপুস্তক আনতে বলল, যেখানে ইস্রায়েলের জন্য সদাপ্রভুর আদেশ দেওয়া ছিল। \p \v 2 সুতরাং সপ্তম মাসের প্রথম দিনে যাজক ইষ্রা সমাজের সামনে, স্ত্রী ও পুরুষ এবং যারা শুনে বুঝতে পারে, তাদের সামনে বিধানপুস্তক আনলেন। \v 3 তিনি জল-দ্বারের সামনের চকের দিকে মুখ করে পুরুষ, স্ত্রী এবং যত লোক বুঝতে পারে তাদের কাছে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত তা জোরে জোরে পড়ে শোনালেন। আর সমস্ত লোক মন দিয়ে বিধানপুস্তকের কথা শুনল। \p \v 4 এই কাজের জন্য যে কাঠের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল তার উপর বিধানের অধ্যাপক ইষ্রা দাঁড়িয়েছিলেন। তার ডানদিকে মত্তিথিয়, শেমা, অনায়, ঊরিয়, হিল্কিয় ও মাসেয় এবং বাঁদিকে পদায়, মীশায়েল, মল্কিয়, হশুম, হশবদ্দানা, সখরিয় ও মশুল্লম দাঁড়িয়েছিলেন। \p \v 5 ইষ্রা পুস্তকখানি খুললেন। সমস্ত লোক তাকে দেখতে পাচ্ছিল কেননা তিনি তাদের থেকে উঁচুতে দাঁড়িয়েছিলেন, আর তিনি যখন পুস্তকটি খুললেন, সমস্ত লোক উঠে দাঁড়াল। \v 6 ইষ্রা মহান ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব করলেন, আর সমস্ত লোক হাত তুলে উত্তর দিল, “আমেন! আমেন!” তারপর তারা মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সদাপ্রভুর আরাধনা করল। \p \v 7 যেশূয়, বানি, শেরেবিয়, যামীন, অক্কূব, শব্বথয়, হোদিয়, মাসেয়, কলীট, অসরিয়, যোষাবদ, হানন, পলায়—এই লেবীয়েরা সেই দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের বিধানপুস্তকের মানে বুঝিয়ে দিল। \v 8 লোকেরা যেন বুঝতে পারে সেইজন্য তারা ঈশ্বরের বিধানপুস্তক স্পষ্ট করে পড়ে তার অর্থ বুঝিয়ে দিল। \p \v 9 তারপর শাসনকর্তা নহিমিয়, যাজক ও বিধানের অধ্যাপক ইষ্রা এবং যে লেবীয়েরা লোকদের শিক্ষা দিচ্ছিলেন তারা বললেন, “আজকের এই দিনটি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র। তোমরা শোক বা কান্নাকাটি কোরো না।” কেননা সমস্ত লোকেরা বিধানপুস্তকের কথা শুনে কাঁদছিল। \p \v 10 নহিমিয় বললেন, “তোমরা গিয়ে ভালো ভালো খাবার খাও ও মিষ্টি রস পান করে আনন্দ করো, এবং যারা কিছু প্রস্তুত করতে পারেনি তাদের পাঠিয়ে দাও। এই দিনটি প্রভুর উদ্দেশে পবিত্র। তোমরা দুঃখ করো না, কারণ সদাপ্রভুতে যে আনন্দ, তাই তোমাদের শক্তি।” \p \v 11 লেবীয়েরা সমস্ত লোকদের শান্ত করে বললেন, “তোমরা নীরব হও, কারণ আজকের দিনটি পবিত্র। তোমরা দুঃখ করো না।” \p \v 12 তখন সমস্ত লোক খুব আনন্দের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করার জন্য ও খাবারের অংশ পাঠাবার জন্য চলে গেল, কারণ যেসব কথা তাদের জানানো হয়েছিল তা তারা বুঝতে পেরেছিল। \p \v 13 আর মাসের দ্বিতীয় দিনে সমস্ত লোকের পিতৃকুলপতিরা, যাজকেরা ও লেবীয়েরা বিধানের কথা ভালো করে বুঝবার জন্য অধ্যাপক ইষ্রার কাছে একত্র হল। \v 14 তারা ব্যবস্থায় দেখতে পেল মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভু এই আজ্ঞা দিয়েছিলেন যে, সপ্তম মাসের পর্বের সময় ইস্রায়েলীরা কুঁড়ে ঘরে বাস করবে, \v 15 আর তাদের সকল নগরে ও জেরুশালেমে তারা এই কথা প্রচার ও ঘোষণা করবে “তোমরা পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে কুঁড়ে ঘর তৈরি করার জন্য জলপাই, বুনো জলপাই গাছের ডাল এবং গুলমেদির ডাল, খেজুর গাছের ডাল ও পাতাভরা গাছের ডাল নিয়ে আসবে,” যেমন লেখা আছে।\f + \fr 8:15 \fr*\ft \+xt লেবীয় পুস্তক 23:37-40\+xt*\ft*\f* \p \v 16 সেইজন্য লোকেরা বাইরে গিয়ে ডাল নিয়ে এসে তাদের ঘরের ছাদের উপর, উঠানে, ঈশ্বরের গৃহের উঠানে ও জল-দ্বারের কাছের চকে এবং ইফ্রয়িমের দ্বারের চকে নিজেদের জন্য কুঁড়ে ঘর তৈরি করল। \v 17 বন্দিদশা থেকে ফিরে আসা গোটা দলটাই কুঁড়ে ঘর তৈরি করে সেগুলির মধ্যে বাস করল। নূনের ছেলে যিহোশূয়ের সময় থেকে সেদিন পর্যন্ত ইস্রায়েলীরা এইরকম আর করেনি। আর তাদের খুব আনন্দ হল। \p \v 18 প্রথম দিন থেকে শুরু করে শেষদিন পর্যন্ত ইষ্রা প্রতিদিনই ঈশ্বরের বিধানপুস্তক পড়লেন। লোকেরা সাত দিন ধরে পর্ব পালন করল আর অষ্টম দিনে নিয়ম অনুসারে শেষ দিনের বিশেষ সভা হল। \c 9 \s1 ইস্রায়েলীরা তাদের পাপস্বীকার করে \p \v 1 সেই একই মাসের চব্বিশ দিনের দিন ইস্রায়েলীরা একত্র হয়ে উপবাস করল, চট পরল এবং মাথায় ধুলো দিল। \v 2 ইস্রায়েলী সন্তানেরা অন্যান্য জাতির সমস্ত লোকদের কাছ থেকে নিজেদের আলাদা করল। তারা দাঁড়িয়ে নিজেদের পাপ ও তাদের পূর্বপুরুষদের অন্যায় স্বীকার করল। \v 3 তারা নিজ নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে তিন ঘণ্টা তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিধানপুস্তক পড়ল, এবং আরও তিন ঘণ্টা নিজেদের পাপস্বীকার ও ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপাসনা করল। \v 4 যেশূয়, বানি, কদ্‌মীয়েল, শবনিয়, বুন্নি, শেরেবিয়, বানি ও কনানী লেবীয়দের মাচায় দাঁড়িয়েছিলেন, তারা উচ্চস্বরে তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ডাকলেন। \v 5 আর লেবীয়দের মধ্যে যেশূয়, কদ্‌মীয়েল, বানি, হশ্‌বনিয়, শেরেবিয়, হোদিয়, শবনিয় ও পথাহিয় বললেন, “ওঠো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করো, যিনি অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত আছেন।” \pm “তোমার প্রতাপান্বিত নাম ধন্য হোক, আমাদের দেওয়া সমস্ত ধন্যবাদ ও প্রশংসার চেয়েও তুমি মহান হও। \v 6 কেবল তুমিই সদাপ্রভু। তুমিই আকাশমণ্ডল, সর্বোচ্চ আকাশমণ্ডল, তার সমস্ত তারকারাশি\f + \fr 9:6 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় বাহিনী\ft*\f*, পৃথিবী ও তার উপরের সবকিছু, সমুদ্র ও তার মধ্যে স্থিত সমস্ত কিছু তৈরি করেছ। তুমিই সকলের প্রাণ দিয়েছ এবং স্বর্গের বাহিনী তোমার উপাসনা করে। \pm \v 7 “তুমিই সদাপ্রভু ঈশ্বর, তুমি অব্রামকে মনোনীত করে কলদীয় দেশের ঊর থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলে আর তার নাম অব্রাহাম রেখেছিলে। \v 8 তুমি তার অন্তর বিশ্বস্ত দেখে কনানীয়, হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, যিবূষীয় ও গির্গাশীয়ের দেশ তার বংশকে দেবার জন্য, তার সঙ্গে নিয়ম স্থাপন করেছিলে। তুমি ধর্মময় বলে তোমার প্রতিজ্ঞা তুমি রক্ষা করেছিলে। \pm \v 9 “মিশর দেশে আমাদের পূর্বপুরুষদের কষ্টভোগ তুমি দেখেছিলে; লোহিত সাগরের তীরে তাদের কান্না শুনেছিলে। \v 10 ফরৌণ, তার সমস্ত কর্মচারী ও তার দেশের সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে তুমি বিভিন্ন চিহ্ন ও আশ্চর্য কাজ দেখিয়েছিলে, কেননা তুমি জানতে মিশরীয়েরা তাদের বিরুদ্ধে গর্ব করত। তুমি নিজের নাম প্রতিষ্ঠা করেছিলে, যা আজও আছে। \v 11 তুমি তাদের সামনে সাগরকে দু-ভাগ করেছিলে, যাতে তারা শুকনো জমির উপর দিয়ে পার হয়েছিল, কিন্তু প্রবল জলে যেমন পাথর ফেলা হয়, যারা তাদের তাড়া করে আসছিল তুমি তাদের তেমনি করে অগাধ জলে ফেলেছিলে। \v 12 তুমি দিনে মেঘস্তম্ভ ও রাত্রে অগ্নিস্তম্ভ দ্বারা তাদের গন্তব্য পথে আলো দিয়ে তাদের চালাতে। \pm \v 13 “তুমি সীনয় পর্বতের উপর নেমে এসেছিলে; স্বর্গ থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলে। তুমি তাদের ন্যায্য নির্দেশ, বিধি ও বিধান দিয়েছিলে। \v 14 তোমার পবিত্র বিশ্রামবার\f + \fr 9:14 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় সাব্বাথ\ft*\f* সম্বন্ধে তুমি তাদের জানিয়েছিলে এবং তোমার দাস মোশির মাধ্যমে তাদের আজ্ঞা, বিধি ও বিধান দিয়েছিলে। \v 15 খিদে মিটাবার জন্য তুমি স্বর্গ থেকে তাদের খাবার আর পিপাসা মিটাবার জন্য পাথর থেকে জল বের করে দিয়েছিলে। যে দেশ তাদের দেবার জন্য তুমি উন্নমিত হাতে শপথ করেছিলে সেখানে গিয়ে তা অধিকার করার জন্য তুমি তাদের আদেশ দিয়েছিল। \pm \v 16 “তবুও আমাদের পূর্বপুরুষদের ব্যবহার ছিল অহংকারপূর্ণ ও একগুঁয়ে, তারা তোমার আজ্ঞার বাধ্য হয়নি। \v 17 তারা শুনতে অস্বীকার করেছিল, আর তুমি তাদের মধ্যে যেসব আশ্চর্য কাজ করেছিলে তাও তারা মনে রাখেনি। তারা একগুঁয়েমি করে আবার দাসত্বে ফিরে যাবার জন্য বিদ্রোহভাবে একজন নেতাকে নিযুক্ত করেছিল। কিন্তু তুমি ক্ষমাবান ঈশ্বর, কৃপাময় ও স্নেহশীল, ক্রোধে ধীর ও দয়াতে মহান, তাই তাদের তুমি ত্যাগ করোনি, \v 18 এমনকি, তারা নিজেদের জন্য ছাঁচে ফেলে একটি বাছুরের মূর্তি তৈরি করে বলেছিল, ‘এই তোমাদের ঈশ্বর, মিশর থেকে যিনি তোমাদের বের করে এনেছেন,’ অথবা তারা যখন তোমাকে ভীষণ অপমান করেছিল। \pm \v 19 “তোমার প্রচুর করুণায় তুমি তাদের প্রান্তরে পরিত্যাগ করোনি। দিনে তাদের পথ দেখাবার জন্য মেঘস্তম্ভ, এবং রাত্রে তাদের চলার পথে আলো দেবার জন্য অগ্নিস্তম্ভ তাদের উপর থেকে সরিয়ে নাওনি। \v 20 তুমি তাদের শিক্ষা দেবার জন্য তোমার মঙ্গলময় আত্মা দান করেছিলে। তাদের খাওয়ার জন্য যে মান্না দিয়েছিলে তা বন্ধ করোনি, আর তুমি তাদের পিপাসা মিটাবার জন্য জল দিয়েছিলে। \v 21 চল্লিশ বছর পর্যন্ত প্রান্তরে তাদের প্রতিপালন করেছিলে, তাদের অভাব হয়নি, তাদের কাপড় পুরানো হয়নি এমনকি তাদের পা-ও ফোলেনি। \pm \v 22 “পরে তুমি অনেক রাজ্য ও জাতি তাদের হাতে দিয়েছিলে, এমনকি, তাদের সমস্ত জায়গাও তাদের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলে। তারা হিষ্‌বোনের রাজা সীহোনের দেশ ও বাশন-রাজ ওগের দেশ অধিকার করেছিল। \v 23 আকাশের তারার মতন তুমি তাদের অসংখ্য সন্তান দিয়েছিলে, এবং সেই দেশে তাদের নিয়ে এসেছিলে, যে দেশের বিষয় তুমি তাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলেছিলে, যে তাতে ঢুকে অধিকার করবে। \v 24 তাদের সন্তানেরা সেই দেশে গিয়ে তা অধিকার করে নিয়েছিল। সেই দেশে বসবাসকারী কনানীয়দের তুমি তাদের সামনে ছোটো করেছিলে, তুমি কানানীয়দের, তাদের রাজাদের ও দেশের অন্যান্য জাতিদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলে যাতে তারা তাদের উপর যা খুশি তাই করতে পারে। \v 25 তারা প্রাচীরে ঘেরা অনেক নগর ও উর্বর জমি অধিকার করেছিল, তারা সব রকম ভালো ভালো জিনিসে ভরা বাড়িঘর ও আগেই খোঁড়া হয়েছে এমন অনেক কুয়ো, দ্রাক্ষাক্ষেত্র, জলপাইয়ের বাগান এবং অনেক ফলের গাছ অধিকার করেছিল। তারা খেয়ে তৃপ্ত ও পুষ্ট হয়েছিল, এবং তোমার দেওয়া প্রচুর মঙ্গল ভোগ করেছিল। \pm \v 26 “তবুও তারা অবাধ্য হয়ে তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল; তোমার বিধান তারা ত্যাগ করেছিল। তোমার যে ভাববাদীরা তোমার প্রতি তাদের ফিরাবার জন্য সাক্ষ্য দিতেন, তাদের হত্যা করেছিল, তারা ভয়ানক অসন্তোষের কাজ করেছিল। \v 27 সেইজন্য তুমি তাদের শত্রুদের হাতে তুলে দিয়েছিলে, যারা তাদের উপর অত্যাচার করেছিল। কিন্তু কষ্টের সময় তারা তোমার কাছে কাঁদত। তুমি স্বর্গ থেকে সেই কান্না শুনেছিলে এবং তোমার প্রচুর করুণায় তাদের উদ্ধারকারীদের পাঠিয়ে দিয়েছিলে, যারা শত্রুদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করেছিল। \pm \v 28 “কিন্তু যেই তারা বিশ্রাম পেত অমনি আবার তারা তোমার চোখে যা মন্দ তাই করত। এরপর তুমি শত্রুদের হাতে তাদের ছেড়ে দিয়েছিলে যাতে শত্রুরা তাদের উপর কর্তৃত্ব করে। কিন্তু আবার যখন তারা তোমার কাছে কাঁদত তখন স্বর্গ থেকে তা শুনে তোমার করুণায় তুমি বারে বারে তাদের উদ্ধার করতে। \pm \v 29 “তোমার বিধানের দিকে ফিরে আসবার জন্য তুমি তাদের সতর্ক করেছিলে, কিন্তু তারা অহংকারে পূর্ণ ছিল, ও তোমার আজ্ঞা অমান্য করেছিল। তোমার যেসব নির্দেশ পালন করলে মানুষ বাঁচে তার বিরুদ্ধে তারা পাপ করেছিল। তারা একগুঁয়ে হয়ে এবং ঘাড় শক্ত করে তোমার কথা শুনতে চায়নি। \v 30 কিন্তু তবুও অনেক বছর ধরে তুমি তাদের উপর ধৈর্য ধরেছিলে। তোমার ভাববাদীদের মাধ্যমে তোমার আত্মার দ্বারা তুমি তাদের সতর্ক করেছিলে। অথচ তাতে তারা কান দেয়নি, সেইজন্য প্রতিবেশী অন্য জাতির লোকদের হাতে তুমি তাদের তুলে দিয়েছিলে। \v 31 কিন্তু তোমার প্রচুর করুণার জন্য তুমি তাদের নিঃশেষ অথবা ত্যাগ করোনি, কারণ তুমি কৃপাময় ও স্নেহশীল ঈশ্বর। \pm \v 32 “অতএব, হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি মহান, শক্তিশালী ও ভয়ংকর ঈশ্বর, তুমি তোমার ভালোবাসার বিধান রক্ষা করে থাকো। আসিরিয়ার রাজাদের সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই যে সকল ক্লেশ আমাদের উপর এবং আমাদের রাজাদের, কর্মকর্তাদের, যাজকদের, ভাববাদীদের, পিতৃপুরুষদের ও তোমার সকল প্রজাদের উপর যে ক্লেশ ঘটেছে তা তোমার চোখে যেন সামান্য মনে না হয়। \v 33 আমাদের প্রতি যা কিছু ঘটেছে, তুমি ন্যায়পরায়ণ থেকে বিশ্বস্তভাবে কাজ করেছ, কিন্তু আমরা অন্যায় করেছি। \v 34 আমাদের রাজারা, আমাদের কর্মকর্তারা, আমাদের যাজকেরা এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরা তোমার বিধান পালন করেননি; তারা তোমার আজ্ঞায় অথবা সতর্কবাণীতে মনোযোগ দেয়নি। \v 35 আর তাদের রাজত্বকালে তোমার দেওয়া বড়ো ও উর্বর দেশে প্রচুর মঙ্গল ভোগ করেছিল, তবুও তারা তোমার সেবা করেনি কিংবা তাদের মন্দ পথ থেকে ফেরেনি। \pm \v 36 “কিন্তু দেখো, আজ আমরা দাস, ফলে যে দেশ তুমি আমাদের পিতৃপুরুষদের দিয়েছিলে যেন তারা তার ফল ও ভালো জিনিস খেতে পারে, আমরা সেখানেই দাস হয়ে রয়েছি। \v 37 আমাদের পাপের জন্য যে রাজাদের তুমি আমাদের উপর রাজত্ব করতে দিয়েছ দেশের প্রচুর ফসল তাদের কাছেই যায়। তারা তাদের খুশি মতোই আমাদের শরীরের উপরে ও আমাদের পশুপালের উপরে কর্তৃত্ব করেন। আমরা মহা সংকটের মধ্যে রয়েছি। \s1 লোকেদের চুক্তিবদ্ধ হয় \p \v 38 “এসব কারণে আমরা এখন নিজেদের মধ্যে লিখিতভাবে চুক্তি করছি আর তার উপর আমাদের কর্মকর্তারা, আমাদের লেবীয়রা এবং আমাদের যাজকেরা তাদের সিলমোহর দিচ্ছেন।” \b \c 10 \p \v 1 তার উপর যারা সিলমোহর দিয়েছিল: \b \li1 হখলিয়ের ছেলে শাসনকর্তা নহিমিয়। \b \li2 সিদিকিয়, \v 2 সরায়, অসরিয়, যিরমিয় \li2 \v 3 পশ্‌হূর, অমরিয়, মল্কিয়, \li2 \v 4 হটূশ, শবনিয়, মল্লূক, \li2 \v 5 হারীম, মরেমোৎ, ওবদিয়, \li2 \v 6 দানিয়েল, গিন্নথোন, বারূক, \li2 \v 7 মশুল্লম, অবিয়, মিয়ামীন \li2 \v 8 মাসিয়, বিল্‌গয়, শময়িয়, \li1 এরা সবাই যাজক ছিলেন। \b \li1 \v 9 লেবীয়দের মধ্যে: \li2 অসনিয়ের ছেলে যেশূয়, হেনাদদের বংশধর বিন্নূয়ী, কদ্‌মীয়েল \li2 \v 10 এবং তাদের সহকর্মী শবনিয়, \li2 হোদিয়, কলীট, পলায়, হানন, \li2 \v 11 মীখা, রাহব, হশবিয়, \li2 \v 12 সক্কূর, শেরেবিয়, শবনিয়, \li2 \v 13 হোদিয়, বানি, বনীনু। \b \li1 \v 14 লোকদের নেতাদের মধ্যে: \li2 পরোশ, পহৎ-মোয়াব, এলম, সত্তূ, বানি, \li2 \v 15 বুন্নি, অস্‌গদ, বেবয়, \li2 \v 16 অদোনিয়, বিগ্‌বয়, আদীন, \li2 \v 17 আটের, হিষ্কিয়, অসূর, \li2 \v 18 হোদিয়, হশুম, বেৎসয় \li2 \v 19 হারীফ, অনাথোৎ, নবয় \li2 \v 20 মগ্‌পীয়শ, মশুল্লম, হেষীর \li2 \v 21 মশেষবেল, সাদোক, যদ্দুয়, \li2 \v 22 পলটিয়, হানন, অনায় \li2 \v 23 হোশেয়, হনানিয়, হশূব \li2 \v 24 হলোহেশ, পিল্‌হ, শোবেক \li2 \v 25 রহূম, হশব্‌না, মাসেয়, \li2 \v 26 অহিয়, হানন, অনান, \li2 \v 27 মল্লূক, হারীম, বানা। \b \pm \v 28 “অবশিষ্ট লোকেরা—যাজকেরা, লেবীয়েরা, দ্বাররক্ষকেরা, গায়কেরা, উপাসনা গৃহের সেবাকারীরা এবং ঈশ্বরের বিধান পালন করার জন্য যারা আশপাশের জাতিদের মধ্যে থেকে নিজেদের পৃথক করেছে, তারা সকলে, তাদের স্ত্রীরা এবং তাদের ছেলেরা ও তাদের মেয়েরা যারা বুঝতে পারে \v 29 এরা সকলে এখন ইস্রায়েলী প্রধান লোকদের সঙ্গে যোগ দিয়ে নিজেরা শপথপূর্বক এই শপথ করল যে ঈশ্বরের দাস মোশি দ্বারা দেওয়া ঈশ্বরের বিধান পথে চলব, আমাদের প্রভু সদাপ্রভুর আজ্ঞা, শাসন ও বিধিসকল যত্নের সঙ্গে পালন করব আর যদি না করি তবে যেন আমাদের উপর অভিশাপ নেমে আসে। \pm \v 30 “আমরা প্রতিজ্ঞা করছি আমাদের নিকটবর্তী জাতিদের সঙ্গে আমাদের মেয়েদের বিয়ে দেব না কিংবা আমাদের ছেলেদের জন্য তাদের মেয়েদের নেব না। \pm \v 31 “বিশ্রামবারে কিংবা অন্য কোনও পবিত্র দিনে যদি আমাদের নিকটবর্তী লোকেরা কোনও জিনিসপত্র অথবা শস্য বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসে তবে তাদের কাছ থেকে আমরা তা কিনব না। প্রত্যেক সপ্তম বছরে আমরা জমি চাষ করব না এবং সমস্ত ঋণ ক্ষমা করে দেব। \pm \v 32 “আমরা আমাদের ঈশ্বরের গৃহে পরিচর্যা করার জন্য, প্রতি বছর এক শেকলের তৃতীয়াংশ দেবার দায়িত্ব গ্রহণ করলাম \v 33 দর্শন-রুটির, প্রতিদিনের শস্য-নৈবেদ্য ও হোমের জন্য; বিশ্রামবারের; অমাবস্যার ভোজ; উৎসব সকলের; পবিত্র জিনিসের ও ইস্রায়েলের প্রায়শ্চিত্তার্থক পাপার্থক বলির জন্য এবং আমাদের ঈশ্বরের গৃহের সমস্ত কাজের জন্য। \pm \v 34 “আমাদের ব্যবস্থায় যা লেখা আছে সেইমত আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বেদির উপরে পোড়াবার জন্য প্রত্যেক বছর নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের ঈশ্বরের গৃহে আমাদের প্রত্যেক বংশকে কখন কাঠ আনতে হবে তা স্থির করার জন্য আমরা যাজকেরা, লেবীয়েরা ও লোকেরা গুটিকাপাত করলাম। \pm \v 35 “আর আমরা প্রতি বছর প্রথমে কাটা ফসল ও প্রত্যেকটি গাছের প্রথম ফল সদাপ্রভুর গৃহে আনার দায়িত্ব নেব। \pm \v 36 “ব্যবস্থায় যেমন লেখা আছে, সেইমত আমরা আমাদের প্রথমজাত পুরুষসন্তান ও পশুদের, আমাদের পালের গরু, ছাগল ও মেষের প্রথম বাচ্চা আমাদের ঈশ্বরের গৃহের সেবাকারী যাজকের কাছে নিয়ে যাব। \pm \v 37 “এছাড়া আমাদের ময়দার ও শস্য-নৈবেদ্যের প্রথম অংশ, সমস্ত গাছের প্রথম ফল ও নতুন দ্রাক্ষারস ও জলপাই তেলের প্রথম অংশ আমরা আমাদের ঈশ্বরের গৃহের ভাণ্ডার ঘরে যাজকদের কাছে নিয়ে আসব। আর আমাদের ফসলের দশমাংশ লেবীয়দের কাছে নিয়ে আসব, কারণ আমরা যেসব গ্রামে কাজ করি লেবীয়েরাই সেখানে দশমাংশ গ্রহণ করে থাকেন। \v 38 লেবীয়েরা যখন দশমাংশ নেবেন তখন তাদের সঙ্গে হারোণের বংশের একজন যাজক থাকবেন। লেবীয়েরা সেইসব দশমাংশের দশমাংশ ঈশ্বরের গৃহের ভাণ্ডার ঘরে নিয়ে যাবেন। \v 39 ভাণ্ডার ঘরের যেসব ঘরে মন্দিরের পবিত্র জিনিস সকল, পরিচর্যাকারী যাজকেরা, রক্ষীরা ও গায়কেরা থাকেন সেখানে ইস্রায়েলীরা ও লেবীয়েরা তাদের শস্য-নৈবেদ্য, নতুন দ্রাক্ষারস ও জলপাই তেল নিয়ে আসবে। \pm “আমরা আমাদের ঈশ্বরের গৃহকে অবহেলা করব না।” \c 11 \s1 জেরুশালেমের নতুন বাসিন্দারা \p \v 1 লোকেদের কর্মকর্তারা জেরুশালেমে বাস করতেন। বাকি লোকেরা গুটিকাপাত করল যেন তাদের মধ্যে প্রতি দশজনের একজন পবিত্র নগর জেরুশালেমে বাস করতে পারে আর বাকি নয়জন তাদের নিজেদের নগরে থাকবে। \v 2 যে সকল লোক ইচ্ছা করে জেরুশালেমে বাস করতে চাইল লোকেরা তাদের প্রশংসা করল। \b \li4 \v 3 প্রদেশের এসব প্রধান লোক জেরুশালেমে বসতি করল (কিন্তু যিহূদা দেশের বিভিন্ন নগরে কিছু ইস্রায়েলী, যাজকেরা, লেবীয়েরা, উপাসনা গৃহের সেবাকারীরা ও শলোমনের দাসদের বংশধরেরা নিজের নিজের জমিতে বাস করত, \v 4 এছাড়া যিহূদা ও বিন্যামীন গোষ্ঠীর কিছু লোক জেরুশালেমে বাস করত): \b \li1 যিহূদা বংশধরদের মধ্য থেকে: \li2 উষিয়ের ছেলে অথায়, সেই উষিয় সখরিয়ের ছেলে, সখরিয় অমরিয়ের ছেলে অমরিয় শফটিয়ের ছেলে, শফটিয় মহললেলের ছেলে, সে পেরসের বংশধরদের মধ্যে একজন। \li2 \v 5 আর বারূকের ছেলে মাসেয়, সেই বারূক কল্‌হোষির ছেলে, কল্‌হোষি হসায়ের ছেলে, হসায় অদায়ার ছেলে, অদায়া যোয়ারীবের ছেলে, যোয়াবীর সখরিয়ের ছেলে, সখরিয় শীলোনীয়ের বংশধরদের মধ্যে একজন। \li2 \v 6 পেরসের বংশের মোট 468 শক্তিশালী লোক জেরুশালেমে বাস করত। \li1 \v 7 বিন্যামীনের বংশধরদের মধ্য থেকে: \li2 মশুল্লমের ছেলে সল্লু, সেই মশুল্লম যোয়েদের ছেলে, যোয়েদ পদায়ের ছেলে, পদায় কোলায়ার ছেলে, কোলায়া মাসেয়ের ছেলে, মাসেয় ঈথীয়েলের ছেলে, ঈথীয়েল যিশায়াহের ছেলে, \v 8 এবং তার অনুগামীরা, গব্বয় ও সল্লয় ছিল 928 জন। \li2 \v 9 সিখ্রির ছেলে যোয়েল তাদের প্রধান কর্মচারী ছিল, এবং হস্‌সনূয়ার ছেলে যিহূদা নগরের দ্বিতীয় কর্তা ছিল। \li1 \v 10 যাজকদের মধ্যে: \li2 যোয়ারীবের ছেলে যিদয়িয়, যাখীন; \li2 \v 11 হিল্কিয়ের ছেলে সরায়, সেই হিল্কিয় মশুল্লমের ছেলে, মশুল্লম সাদোকের ছেলে, সাদোক মরায়োতের ছেলে, মরায়োৎ অহীটূবের ছেলে, অহীটূব ঈশ্বরের গৃহের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা \v 12 এবং তাদের আরও সহকর্মী যারা উপাসনা গৃহের কাজ করত, তারা ছিল 822 জন। \li2 যিরোহমের ছেলে অদায়া, সেই যিরোহম পললিয়ের ছেলে, পললিয় অম্‌সির ছেলে, অম্‌সি সখরিয়ের ছেলে, সখরিয় পশ্‌হূরের ছেলে, পশ্‌হূর মল্কিয়ের ছেলে, \v 13 এবং তার সহকর্মীরা, যারা পরিবারের কর্তা তারা ছিল 242 জন; \li2 অসরেলের ছেলে অমশয়, সেই অসরেল অহসয়ের ছেলে, অহসয় মশিল্লেমোতের ছেলে, মশিল্লেমোৎ ইম্মেরের ছেলে, \v 14 এবং তার সহকর্মীরা, যারা শক্তিশালী লোক ছিল 128 জন। \li2 হগ্‌গদোলীমের ছেলে সব্দীয়েল ছিল তাদের প্রধান কর্মচারী। \li1 \v 15 লেবীয়দের মধ্যে: \li2 হশূবের ছেলে শময়িয়, সেই হশূব অস্রীকামের ছেলে, অস্রীকাম হশবিয়ের ছেলে, হশবিয় বুন্নির ছেলে; \li2 \v 16 লেবীয়দের মধ্যে দুজন প্রধান, শব্বথয় ও যোষাবাদ, ঈশ্বরের গৃহের বাইরের কাজকর্মের দায়িত্বে ছিল; \li2 \v 17 মত্তনিয়ের ছেলে মীখা, মীখা সব্দির ছেলে, আসফের ছেলে সব্দি, যে ধন্যবাদ ও প্রার্থনা পরিচালনার কাজে প্রধান ছিল; \li2 তার সহকর্মীদের মধ্যে বক্‌বুকিয় ছিল দ্বিতীয়; \li2 এবং শম্মুয়ের ছেলে অব্দ, শম্মূয় গাললের ছেলে, গাললে যিদূথূনের ছেলে। \li2 \v 18 পবিত্র নগরে লেবীয়দের মোট সংখ্যা ছিল 284। \li1 \v 19 দ্বার রক্ষকদের মধ্যে: \li2 অক্কূব, টল্‌মোন ও তাদের সঙ্গীরা, যারা দ্বারগুলি পাহারা দিত তারা ছিল 172 জন। \b \p \v 20 ইস্রায়েলীদের বাকি লোকেরা, যাজকেরা ও লেবীয়েরা যিহূদার সমস্ত নগরের মধ্যে প্রত্যেকে যে যার পূর্বপুরুষের জায়গাজমিতে বাস করত। \p \v 21 উপাসনা গৃহের সেবাকারীরা ওফল পাহাড়ে বাস করত, এবং সীহ ও গীষ্প তাদের উপর দায়িত্বে ছিল। \p \v 22 বানির ছেলে উষি ছিল জেরুশালেমে লেবীয়দের প্রধান কর্মচারী, সেই বানি হশবিয়ের ছেলে, হশবিয় মত্তনিয়ের ছেলে, মত্তনিয় মীখার ছেলে। উষি ছিল আসফবংশজাত একজন, যারা ঈশ্বরের গৃহে উপাসনায় গায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। \v 23 গায়কেরা রাজার আদেশের অধীনে ছিল, সেই আদেশের দ্বারাই তাদের প্রতিদিনের কাজ ঠিক করা হত। \p \v 24 মশেষবেলের ছেলে পথাহিয়, যিহূদার ছেলে সেরহের একজন বংশজাত, সে লোকদের সমস্ত বিষয়ে রাজার অধীনে নিযুক্ত ছিল। \p \v 25 আর সব গ্রাম ও সেগুলির খেতখামারগুলির বিষয়; যিহূদা গোষ্ঠীর লোকেরা কেউ কেউ কিরিয়ৎ-অর্ব্বে ও তার উপনগরগুলিতে, দীবোনে ও তার উপনগরগুলিতে, যিকব্‌সেলে ও তার গ্রামগুলিতে, \v 26 যেশূয়েতে, মোলাদাতে, বেথ-পেলট, \v 27 হৎসর-শূয়ালে, বের-শেবাতে ও তার উপনগরগুলিতে, \v 28 সিক্লগে, মকোনাতে ও তার উপনগরগুলিতে, \v 29 ঐন-রিম্মোণে, সরায়, যর্মূতে \v 30 সানোহে, অদুল্লমে ও তার গ্রামগুলিতে, লাখীশে ও তার ক্ষেত্রে, এবং অসেকাতে ও তার উপনগরগুলিতে বাস করত। বস্তুত তারা বের-শেবা থেকে হিন্নোম উপত্যকা পর্যন্ত বাস করত। \p \v 31 বিন্যামীনের বংশধরেরা গেবা থেকে মিক্‌মসে, অয়াতে, বেথেলে ও তার উপনগরগুলিতে, \v 32 অনাথোতে, নোবে, অননিয়াতে, \v 33 হাৎসারে, রামাতে, গিত্তয়িমে, \v 34 হাদীদে, সবোয়িমে ও নবল্লাটে, \v 35 লোদে ও ওনোতে, এবং শিল্পকরদের উপত্যকাতে বাস করত। \p \v 36 যিহূদার লেবীয়দের কিছু দল বিন্যামীনের এলাকায় গিয়ে বাস করতে লাগল। \c 12 \s1 যাজক ও লেবীয়েরা \li4 \v 1 এই যাজকেরা ও লেবীয়েরা শল্টীয়েলের ছেলে সরুব্বাবিলের ও যেশূয়ের সঙ্গে এসেছিল: \b \li1 সরায়, যিরমিয়, ইষ্রা, \li1 \v 2 অমরিয়, মল্লূক, হটূশ \li1 \v 3 শখনিয়, রহূম, মরেমোৎ \li1 \v 4 ইদ্দো, গিন্নথোয়, অবিয় \li1 \v 5 মিয়ামীন, মোয়াদিয়, বিল্‌গা \li1 \v 6 শময়িয়, যোয়ারীব, যিদয়িয়, \li1 \v 7 সল্লূ, আমোক, হিল্কিয় ও যিদয়িয়। \b \li4 যেশূয়ের সময়ে এরা ছিলেন যাজকদের ও তাদের সহযোগীদের মধ্যে প্রধান। \b \p \v 8 লেবীয়েরা হল যেশূয়, বিন্নূয়ী, কদ্‌মীয়েল, শেরেবিয়, যিহূদা, মত্তনিয়, এই মত্তনিয় ও তার সহযোগীরা ধন্যবাদের গানের দায়িত্বে ছিল। \v 9 সেবাকাজের সময় তাদেরই সহযোগী বক্‌বুকিয় ও উন্নো তাদের মুখোমুখি দাঁড়াত। \b \li1 \v 10 যেশূয় ছিল যোয়াকীমের বাবা, \li1 যোয়াকীম ছিল ইলীয়াশীবের বাবা, \li1 ইলিয়াশীব ছিল যোয়াদার বাবা, \li1 \v 11 যোয়াদা ছিল যোনাথনের বাবা, \li1 এবং যোনাথন ছিল যদ্দূয়ের বাবা। \b \b \li4 \v 12 যোয়াকীমের সময়ে যাজকদের পরিবারের মধ্যে এরা প্রধান ছিলেন: \b \li1 সরায়ের পরিবারে মরায়; \li1 যিরমিয়ের পরিবারে হনানিয়; \li1 \v 13 ইষ্রার পরিবারে মশুল্লম; \li1 অমরিয়ের পরিবারে যিহোহানন; \li1 \v 14 মল্লূকীর পরিবারে যোনাথন; \li1 শবনিয়ের পরিবারে যোষেফ; \li1 \v 15 হারীমের পরিবারে অদ্‌ন; \li1 মরায়োতের পরিবারে হিল্কয়; \li1 \v 16 ইদ্দোর পরিবারে সখরিয়; \li1 গিন্নথোনের পরিবারে মশুল্লম; \li1 \v 17 অবিয়ের পরিবারে সিখ্রি; \li1 মিনিয়ামীনের ও মোয়দিয়ের পরিবারে পিল্টয়; \li1 \v 18 বিল্‌গার পরিবারে শম্মূয়; \li1 শময়িয়ের পরিবারে যিহোনাথন; \li1 \v 19 যোয়ারীবের পরিবারে মত্তনয়; \li1 যিদয়িয়ের পরিবারে উষি; \li1 \v 20 সল্লূয়ের পরিবারে কল্লয়; \li1 আমোকের পরিবারে এবর; \li1 \v 21 হিল্কিয়ের পরিবারে হশবিয়; \li1 যিদয়িয়ের পরিবারে নথনেল। \b \p \v 22 ইলীয়াশীবের, যোয়াদার, যোহাননের ও যদ্দূয়ের সময়ে লেবীয়দের এবং যাজকদের পরিবারের প্রধানদের নামের তালিকা পারসীক দারিয়াবসের রাজত্বকালে লেখা হয়েছিল। \v 23 লেবি বংশের প্রধানদের নাম ইলীয়াশীবের ছেলে যোহাননের সময় পর্যন্ত বংশাবলী পুস্তকের মধ্যে লেখা হয়েছিল। \v 24 লেবীয়দের প্রধান লোক হশবিয়, শেরেবিয়, ও কদ্‌মীয়েলের ছেলে যেশূয়, এবং তাদের সহযোগীরা ঈশ্বরের লোক দাউদের কথামতো অন্য দলের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দলের পর দল ঈশ্বরের প্রশংসা ও ধন্যবাদ করত। \p \v 25 মত্তনিয়, বক্‌বুকিয়, ওবদিয়, মশুল্লম, টল্‌মোন ও অক্কূব দারোয়ান হয়ে দ্বার সকলের কাছে যে সকল ভাণ্ডার ছিল সেগুলি পাহারা দিত। \v 26 তারা যোষাদকের ছেলে যেশূয় ও তার ছেলে যোয়াকীমের সময় ও শাসনকর্তা নহিমিয়ের এবং বিধানের অধ্যাপক ও যাজক ইষ্রার সময়ে পরিচর্যা করত। \s1 জেরুশালেমের প্রাচীর উৎসর্গ \p \v 27 জেরুশালেমের প্রাচীর উৎসর্গ করার উপলক্ষে লেবীয়েরা যেখানে বাস করত সেখান থেকে তাদের জেরুশালেমে আনা হল যেন তারা করতাল, বীণা ও সুরবাহার বাজিয়ে আনন্দের সঙ্গে উৎসর্গের জন্য গান গেয়ে ধন্যবাদ দিতে পারে। \v 28 গায়কদের আনা হয়েছিল জেরুশালেমের নিকটবর্তী জায়গা থেকে নটোফাতীয়দের সকল গ্রাম থেকে। \v 29 বেথ-গিল্‌গল, গেবা ও অস্‌মাবৎ এলাকা থেকেও গায়কদের এনে জড়ো করা হল, কেননা এরা জেরুশালেমের চারপাশে এসব জায়গায় নিজেদের গ্রাম স্থাপন করেছিল। \v 30 যাজকেরা ও লেবীয়েরা নিজেরা শুচি হয়ে লোকদের, দ্বারসকল ও প্রাচীর শুচি করল। \p \v 31 পরে আমি যিহূদার কর্মকর্তাদের প্রাচীরের উপর আনলাম এবং ধন্যবাদ দেবার জন্য দুটি বড়ো গানের দল নিযুক্ত করলাম। একটি দল প্রাচীরের উপর দিয়ে ডানদিকে সারদ্বারের দিকে গেল। \v 32 তাদের পিছনে হোশয়িয় ও যিহূদার অর্ধেক কর্মকর্তারা, \v 33 এবং অসরিয় ইষ্রা, ও মশুল্লম, \v 34 যিহূদা, বিন্যামীন, শময়িয়, যিরমিয়। \v 35 এছাড়া তূরী হাতে কয়েকজন যাজক এবং আসফের বংশের সক্কূর ছেলে, মীখার ছেলে, মত্তনিয়ের ছেলে, শময়িয়র ছেলে যোনাথন, তার ছেলে সখরিয়, \v 36 এবং তার সহযোগীরা—শময়িয়, অসরেল, মিললয়, গিলল্য, মায়য়, নথনেল, যিহূদা ও হনানি—ঈশ্বরের লোক দাউদের কথামতো তারা বিভিন্ন রকম বাজনা নিয়ে চলল, এবং বিধানের অধ্যাপক ইষ্রা তাদের আগে আগে চলল। \v 37 ফোয়ারা-দ্বারের কাছ দিয়ে যেখানে প্রাচীর উপর দিকে উঠে গেছে সেখানে তারা দাউদ-নগরে উঠবার সিঁড়ি দিয়ে দাউদের প্রাসাদের পাশ দিয়ে পূর্বদিকে জল-দ্বারে গেল। \p \v 38 দ্বিতীয় গানের দল উল্টোদিকে এগিয়ে গেল। আমি বাকি অর্ধেক লোক নিয়ে প্রাচীরের উপর দিয়ে তাদের পিছনে গেলাম, তন্দুরের দুর্গ থেকে প্রশস্ত প্রাচীর পর্যন্ত গেল, \v 39 তারপর ইফ্রয়িমের দ্বার, পুরাতন দ্বার\f + \fr 12:39 \fr*\ft যিশানা দ্বার\ft*\f*, মৎস্যদ্বার, হননেলের দুর্গ ও হম্মেয়োর দুর্গ দিয়ে মেষদ্বার পর্যন্ত। তারা রক্ষীদের দ্বারে থামল। \p \v 40 যে দুটি গানের দল ধন্যবাদ দিয়েছিল তারা তারপর ঈশ্বরের গৃহের মধ্যে তাদের জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল; এবং আমিও তাই করলাম। আমার সঙ্গে কর্মকর্তাদের অর্ধেক লোক ছিল। \v 41 আর সঙ্গে তূরী নিয়ে যে যাজকরা ছিল: ইলিয়াকীম, মাসেয় মিনিয়ামীন, মীখায়, ইলীয়ৈনয়, সখরিয়, হনানিয়। \v 42 এরা ছাড়াও সেখানে মাসেয়, শময়িয়, ইলিয়াসর, উষি, যিহোহানন, মল্কিয়, এলম ও এষর ছিল। গানের দলের লোকেরা যিষ্রহিয়ের নির্দেশমতো গান করল। \v 43 ঈশ্বর তাদের প্রচুর আনন্দ দান করেছেন বলে সেদিন লোকেরা বড়ো একটি উৎসর্গের অনুষ্ঠান করল ও খুব আনন্দ করল। স্ত্রীলোকেরা ও ছোটরাও আনন্দ করল। জেরুশালেমের আনন্দধ্বনি অনেক দূর পর্যন্ত শোনা গেল। \p \v 44 সেই সময় ভাণ্ডারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য লোকদের নিযুক্ত করা হল যারা সব দান, ফসলের অগ্রিমাংশ ও দশমাংশ সেখানে নিয়ে আসবে। তাদের নগরের চারিদিকের ক্ষেত্র থেকে বিধান অনুসারে যাজক ও লেবীয়দের জন্য লোকদের কাছ থেকে ফসলের অংশ নিয়ে আসার দায়িত্ব ছিল। যিহূদার লোকেরা পরিচর্যাকারী যাজক ও লেবীয়দের কাজে সন্তুষ্ট হয়েছিল। \v 45 তারা তাদের ঈশ্বরের পরিচর্যা ও শুচি করার কাজ করত এবং গায়কেরা ও দারোয়ানেরা দাউদের ও তার ছেলে শলোমনের আদেশ অনুসারে কাজ করত। \v 46 অনেক কাল আগে, দাউদ ও আসফের সময়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রশংসা ও ধন্যবাদের গান গাইবার জন্য গায়কদের জন্য পরিচালকদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। \v 47 সরুব্বাবিলের ও নহিমিয়ের সময়ও ইস্রায়েলীরা সকলেই গায়ক ও দারোয়ানদের প্রতিদিনের অংশ দিত। আর তারা অন্যান্য লেবীয়দের পাওনা পৃথক করে রাখত এবং লেবীয়েরা হারোণের বংশধরদের জন্য তাদের পাওনা পৃথক করে রাখত। \c 13 \s1 নহিমিয়ের চূড়ান্ত সংস্কার \p \v 1 সেদিন লোকদের কাছে মোশির পুস্তক জোরে পড়া হল আর দেখা গেল সেখানে লেখা আছে যে কোনও অম্মোনীয় অথবা মোয়াবীয় ঈশ্বরের লোকদের সমাজে প্রবেশ করতে পারবে না, \v 2 কারণ তারা খাবার ও জল নিয়ে ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেনি, বরং তাদের অভিশাপ দেবার জন্য বিলিয়মকে ভাড়া করেছিল। কিন্তু আমাদের ঈশ্বর সেই অভিশাপকে আশীর্বাদে পরিণত করেছিলেন। \v 3 লোকেরা যখন এই বিধান শুনল, তারা বিদেশিদের বংশধরদের সবাইকে ইস্রায়েলীদের সমাজ থেকে বাদ দিয়ে দিল। \p \v 4 এর আগে ইলীয়াশীব যাজককে আমাদের ঈশ্বরের গৃহের ভাণ্ডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সে টোবিয়ের নিকট আত্মীয় ছিল, \v 5 যার জন্য তাকে একটি বড়ো ঘর দেওয়া হয়েছিল যা আগে শস্য-নৈবেদ্যের সামগ্রী, ধূপ ও উপাসনা গৃহের জিনিসপত্র এবং লেবীয়দের, গায়কদের ও দারোয়ানদের জন্য শস্যের, নতুন দ্রাক্ষারসের ও জলপাই তেলের দশমাংশ এবং যাজকদের যা দেওয়া হত তা রাখার জন্য ব্যবহার করা হত। \p \v 6 কিন্তু এসব যখন হচ্ছিল তখন আমি জেরুশালেমে ছিলাম না, কেননা ব্যাবিলনের রাজা অর্তক্ষস্তের বত্রিশ বছর রাজত্বের সময় আমি রাজার কাছে ফিরে গিয়েছিলাম। কিছুদিন পর আমি রাজার কাছে ফিরে আসার অনুমতি নিলাম \v 7 আর জেরুশালেমে ফিরে এলাম। ঈশ্বরের গৃহে টোবিয়কে একটি ঘর দিয়ে ইলীয়াশীব যে মন্দ কাজ করেছে আমি তা জানলাম। \v 8 আমি খুব অসন্তুষ্ট হলাম এবং টোবিয়ের সমস্ত জিনিসপত্র সেই ঘর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিলাম। \v 9 আমি আদেশ দিয়ে সেই ঘর শুচি করলাম আর ঈশ্বরের গৃহের শস্য উৎসর্গের জিনিস ও ধূপ আবার সেখানে এনে রাখলাম। \p \v 10 আমি আরও জানতে পারলাম যে লেবীয়দের পাওনা অংশ তাদের দেওয়া হয়নি, এবং তাদের উপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা পালন না করে লেবীয়েরা ও গায়কেরা নিজের নিজের জমিতে ফিরে গেছে। \v 11 তাতে আমি কর্মকর্তাদের অনুযোগ করে বললাম, “ঈশ্বরের গৃহ কেন অবহেলায় আছে?” তারপর আমি তাদের ডেকে একত্র করে নিজের নিজের পদে বহাল করলাম। \p \v 12 যিহূদার সমস্ত লোক তাদের শস্যের, নতুন দ্রাক্ষারস ও জলপাই তেলের দশমাংশ ভাণ্ডারে আনল। \v 13 আমি শেলিমিয় যাজক, সাদোক অধ্যাপককে ও লেবীয়দের মধ্যে পদায়কে ভাণ্ডার সকলের দায়িত্ব দিলাম এবং মত্তনিয়ের ছেলে সক্কূর ও সক্কুরের ছেলে হাননকে তাদের সহযোগী হিসেবে নিযুক্ত করলাম, কারণ সবাই এই লোকদের বিশ্বাসযোগ্য মনে করত। তাদের সহযোগী লেবীয়দের অংশ দেওয়ার জন্য তাদের দায়িত্ব দেওয়া হল। \b \p \v 14 হে আমার ঈশ্বর, এসব কাজের জন্য আমাকে মনে রেখো, আমি আমার ঈশ্বরের গৃহের জন্য ও তার পরিচর্যা কাজের জন্য বিশ্বস্তভাবে যা করেছি তা মুছে ফেলে দিয়ো না। \b \p \v 15 ওই সময় আমি দেখলাম যিহূদার লোকেরা বিশ্রামবারে দ্রাক্ষারস মাড়াইয়ের কাজ করছে আর শস্য, দ্রাক্ষারস, আঙুর, ডুমুর এবং সকল জিনিসের বোঝা গাধার উপর চাপাচ্ছে। আর বিশ্রামবারে এসব জিনিস জেরুশালেমে নিয়ে আসছে। সেইজন্য আমি তাদের সেদিন খাবার বিক্রি না করার জন্য সাবধান করলাম। \v 16 জেরুশালেমে বাসকারী সোরের লোকেরা মাছ আর অন্যান্য জিনিস এনে বিশ্রামবারে জেরুশালেমে যিহূদার লোকদের কাছে বিক্রি করছিল। \v 17 আমি যিহূদার গণ্যমান্য লোকদের তিরস্কার করে বললাম, “তোমরা এ কেমন মন্দ কাজ করছ, বিশ্রামবারকে অপবিত্র করছ? \v 18 তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কি সেই একই কাজ করেননি, যার দরুন আমাদের ঈশ্বর আমাদের উপর ও এই নগরের উপর এসব সর্বনাশ ঘটিয়েছেন? এখন তোমরা বিশ্রামবারের পবিত্রতা নষ্ট করে ইস্রায়েলীদের উপর ঈশ্বরের আরও ক্রোধ বাড়িয়ে তুলছ।” \p \v 19 আমি এই আদেশ দিলাম যে, বিশ্রামবারের আরম্ভে যখন জেরুশালেমের কবাটগুলির উপর সন্ধ্যা ছায়া নেমে আসবে তখন যেন কবাটগুলি বন্ধ করা হয় এবং বিশ্রামবার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা হয়। বিশ্রামবারে যাতে কোনও বোঝা ভিতরে আনা না হয় তা দেখবার জন্য আমি আমার নিজের কয়েকজন লোক কবাটগুলিতে নিযুক্ত করলাম। \v 20 এতে ব্যবসায়ীরা ও যারা সব রকম জিনিস বিক্রি করত তারা দু-একবার জেরুশালেমের বাইরে রাত কাটাল। \v 21 কিন্তু আমি তাদের সতর্ক করে বললাম, “তোমরা প্রাচীরের সামনে কেন রাত কাটাচ্ছ? তোমরা যদি আবার এই কাজ করো তবে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” সেই থেকে তারা আর বিশ্রামবারে আসত না। \v 22 তারপর আমি লেবীয়দের আদেশ দিলাম যেন তারা নিজেদের শুচি করে এবং বিশ্রামবার পবিত্র রাখবার জন্য দ্বারগুলি পাহারা দেয়। \b \p হে আমার ঈশ্বর, এর জন্যও তুমি আমাকে মনে রেখো এবং তোমার মহান ভালোবাসাতে আমার প্রতি করুণা কোরো। \b \p \v 23 সেই সময় আমি এও দেখলাম যে, যিহূদার কোনও কোনও লোক অস্‌দোদ, অম্মোন ও মোয়াবের মেয়েদের বিয়ে করছে। \v 24 তাদের অর্ধেক ছেলেমেয়ে অস্‌দোদের ভাষা কিংবা অন্যান্য জাতির ভাষায় কথা বলে, কিন্তু যিহূদার ভাষায় কথা বলতে জানে না। \v 25 আমি তাদের তিরস্কার করে বললাম যেন তাদের উপর অভিশাপ নেমে আসে। কয়েকজনকে আমি মারলাম এবং চুল উপড়ে ফেললাম। আমি তাদের ঈশ্বরের নামে শপথ নিতে বাধ্য করলাম এবং বললাম: “তাদের ছেলেদের সঙ্গে তোমাদের মেয়েদের বিয়ে দেবে না, অথবা তোমাদের ছেলেদের জন্য কিংবা নিজেদের জন্য তাদের মেয়েদের গ্রহণ করবে না। \v 26 এরকম বিয়ে করার জন্য ইস্রায়েলের রাজা শলোমন কি পাপ করেনি? অন্য কোনও জাতির মধ্যে তার মতো রাজা কেউই ছিল না। তাঁর ঈশ্বর তাঁকে ভালোবাসতেন আর ঈশ্বর তাঁকে সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের উপর রাজা করেছিলেন, কিন্তু বিদেশি স্ত্রীরা তাঁকে পাপ করিয়েছিল। \v 27 এখন আমাদের কি এই কথাই শুনতে হবে যে, তোমরাও এসব ভীষণ দুষ্টতার কাজ করেছ এবং বিদেশি স্ত্রীকে বিয়ে করে আমাদের ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছ?” \p \v 28 ইলীয়াশীব মহাযাজকের ছেলে যিহোয়াদার এক ছেলে হোরোণীয় সন্‌বল্লটের জামাই ছিল। আর আমি তাকে আমার কাছ থেকে তাড়িয়ে দিলাম। \b \p \v 29 হে আমার ঈশ্বর, এদের কথা মনে রেখো, কারণ এরা যাজকদের পদ এবং যাজকের পদের ও লেবীয়দের নিয়ম কলঙ্কিত করেছে। \b \p \v 30 সুতরাং আমি বিজাতীয় সকলের থেকে যাজক ও লেবীয়দের পবিত্র করলাম, এবং তাদের কাজ অনুসারে প্রত্যেকের কাজ ভাগ করে দিলাম। \v 31 এছাড়া সময়মত কাঠ ও ফসলের অগ্রিমাংশ আনবার জন্যও আমি ব্যবস্থা করলাম। \b \p হে আমার ঈশ্বর, আমার মঙ্গল করার জন্য আমাকে মনে রেখো।