\id LEV - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h লেবীয় পুস্তক \toc1 লেবীয় পুস্তক \toc2 লেবীয় পুস্তক \toc3 লেবী \mt1 লেবীয় পুস্তক \c 1 \s1 হোমবলি \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে ডাকলেন ও সমাগম তাঁবু থেকে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন। তিনি বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো, তাদের বলো: ‘তোমাদের মধ্যে যদি কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশে উপহার দেয়, সে পশুপাল থেকে অর্থাৎ গোপাল অথবা মেষপাল থেকে একটি পশু উৎসর্গ করুক। \p \v 3 “ ‘যদি সে পশুপাল থেকে হোমবলি উপহার দেয়, তাহলে নিষ্কলঙ্ক এক পুংপশু উৎসর্গ করুক। সে অবশ্যই সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে এই উপহার রাখবে, যেন তা সদাপ্রভুর গ্রহণযোগ্য হয়। \v 4 হোমবলির মাথায় সে হাত রাখবে ও তা প্রায়শ্চিত্তরূপে তার পক্ষে গৃহীত হবে। \v 5 পরে সদাপ্রভুর সামনে সে এঁড়ে বাছুরটি বধ করবে এবং এরপরে হারোণের পুত্র যাজকেরা রক্ত নেবে ও সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারের চারপাশে বেদির সর্বত্র রক্ত ছিটিয়ে দেবে। \v 6 সে ওই হোমবলির চামড়া খুলবে ও বলিকৃত পশু কেটে খণ্ড খণ্ড করবে। \v 7 এরপর হারোণের পুত্র যাজকেরা বেদিতে অগ্নি সংযোগ করবে ও আগুনের মধ্যে কাঠ দেবে। \v 8 পরে হারোণের পুত্র যাজকেরা পশুর মাথা ও চর্বি সমেত খণ্ডগুলি সাজাবে, এবং বেদিতে জ্বলন্ত কাঠের উপরে রাখবে। \v 9 পশুর শরীরের ভিতরের অংশ ও পাগুলি সে জলে ধোবে এবং যাজক সে সকল বেদির আগুনে পোড়াবে। এটি হোমবলি, সদাপ্রভুর উদ্দেশে সন্তোষজনক সৌরভার্থক অগ্নিকৃত এক উপহার। \p \v 10 “ ‘যদি মেষপাল থেকে হোমবলি উৎসর্গ করা হয়, পালের মেষ কিংবা ছাগল হোক, তা হবে নিষ্কলঙ্ক এক পুংশাবক। \v 11 সদাপ্রভুর সামনে বেদির উত্তর দিকে সে পশুটি হত্যা করবে ও হারোণের পুত্র যাজকেরা বেদির চারপাশে বলিদানের রক্ত ছিটিয়ে দেবে। \v 12 সে পশুটিকে খণ্ড খণ্ড করে কাটবে এবং পশুটির মাথা ও চর্বি সমেত সমস্ত অর্ঘ্য যাজক সাজাবে ও বেদিতে জ্বলন্ত কাঠের উপরে রাখবে। \v 13 সে ওই পশুর অন্ত্র ও পা জলে ধুয়ে নেবে এবং যাজক সমস্ত নৈবেদ্য তুলবে ও বেদিতে পোড়াবে। এটি হোমবলি, সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক সন্তোষজনক উপহার। \p \v 14 “ ‘যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশে পাখিদের হোমবলি উৎসর্গ করা হয়, তাহলে ঘুঘু অথবা কপোতশাবক সে উপহার দেবে। \v 15 যাজক ওই পাখিকে বেদিতে আনবে, তার মাথা মুচড়ে বেদিতে পোড়াবে; পাখির রক্ত বেদির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেবে। \v 16 সে ওই পাখির কণ্ঠনালীর থলি ও অন্যান্য আবর্জনা তুলবে ও ভস্মস্থানের বেদির পূর্বদিকে নিক্ষেপ করবে। \v 17 সে পাখিটির ডানা ভাঙবে, কিন্তু পাখিটিকে পুরোপুরি ছিঁড়ে ফেলবে না, এবং বেদিতে জ্বলন্ত কাঠে যাজক পাখিটিকে পোড়াবে। এটি হোমবলি, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক সন্তোষজনক এক উপহার। \c 2 \s1 শস্য-নৈবেদ্য \p \v 1 “ ‘যখন কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশে শস্য-নৈবেদ্য আনবে, সে মিহি ময়দার উপহার আনবে, ময়দাতে জলপাই তেল ঢালবে, নৈবেদ্যের উপরে ধূপ রাখবে \v 2 এবং হারোণের পুত্র যাজকদের কাছে নিয়ে যাবে। যাজক সমস্ত ধূপ সমেত একমুঠো মিহি ময়দা ও তেল নেবে এবং নৈবেদ্যের স্মরণীয় অংশরূপে তা বেদিতে পোড়াবে, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক সন্তোষজনক অগ্নিকৃত উপহার। \v 3 শস্য-নৈবেদ্যের অবশিষ্টাংশ হারোণের ও তাঁর ছেলেদের হবে; এটি সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত সমস্ত উপহারের অতি পবিত্র অংশ। \p \v 4 “ ‘যদি তুমি উনুনে শেঁকা শস্য-নৈবেদ্য আনো, তাহলে মিহি ময়দা দিয়ে তা তৈরি করতে হবে, যা হবে খামিরবিহীন, অথচ তেলমিশ্রিত পিঠে, তৈলাক্ত সরু চাকলী। \v 5 যদি পিঠে সেঁকার পাত্রে তোমার শস্য-নৈবেদ্য প্রস্তুত করো, তাহলে তেলমিশ্রিত মিহি ময়দা দিয়ে তা তৈরি করতে হবে, কিন্তু সেই খাদ্য খামিরবিহীন রাখতে হবে। \v 6 নৈবেদ্য খণ্ড খণ্ড করো, তাতে তেল ঢালো; এটি শস্য-নৈবেদ্য। \v 7 যদি তোমার শস্য-নৈবেদ্য একটি পাত্রে রান্না করা হয়, তা মিহি ময়দা ও জলপাই তেল সহযোগে রান্না করতে হবে। \v 8 এই সমস্ত উপাদান মিশ্রিত শস্য-নৈবেদ্য সদাপ্রভুর কাছে আনো; যাজকের হাতে দাও, যাজক সেটি বেদিতে নিয়ে যাবেন। \v 9 তিনি শস্য-নৈবেদ্য থেকে স্মরণীয় অংশ তুলে নেবেন, এবং অগ্নিকৃত নৈবেদ্যরূপে বেদিতে পোড়াবেন, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক সন্তোষজনক উপহার। \v 10 শস্য-নৈবেদ্যের অবশিষ্টাংশ হারোণের ও তাঁর ছেলেদের হবে। এটি সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত সমস্ত উপহারের অতি পবিত্র অংশ। \p \v 11 “ ‘সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত তোমার যে কোনো শস্য-নৈবেদ্য অবশ্যই খামিরবিহীন হবে। মধুমিশ্রিত কোনো নৈবেদ্য তুমি পোড়াতে পারবে না। \v 12 তুমি সেগুলি তোমার প্রথম ফসলরূপে সদাপ্রভুর কাছে আনবে, কিন্তু সৌরভার্থক প্রীতিজনক উপহাররূপে সেগুলি উৎসর্গ করা যাবে না। \v 13 তুমি তোমার শস্য-নৈবেদ্যের সব বস্তু লবণাক্ত করবে। তোমার শস্য-নৈবেদ্য তোমার ঈশ্বরের সঙ্গে সন্ধিচুক্তির লবণ বিহীন রাখবে না। তোমার সব নৈবেদ্যে লবণ মিশ্রিত করো। \p \v 14 “ ‘যদি তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমার প্রথম ফসলের শস্য-নৈবেদ্য নিবেদন করতে চাও, তাহলে আগুনে ঝলসানো নতুন ফসলের মর্দিত শিষ নিবেদন করবে। \v 15 এই নৈবেদ্যে তেল ঢালো ও এর উপরে ধূপ রাখো; এটি শস্য-নৈবেদ্য। \v 16 যাজক সমস্ত ধূপ সমেত মর্দিত ফসলের স্মরণীয় অংশ ও তেল পোড়াবে, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহাররূপে নিবেদিত হবে। \c 3 \s1 মঙ্গলার্থক বলিদান \p \v 1 “ ‘যদি কেউ মঙ্গলার্থক বলিদান দেয় এবং পশুপাল থেকে একটি পশু উৎসর্গ করে, সেটি পুংপশু বা স্ত্রীপশু যাই হোক না কেন, সদাপ্রভুর সামনে সেটি নির্দোষ হওয়া চাই। \v 2 সে ওই পশুর মাথায় হাত রাখবে ও সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে সেটিকে বধ করবে। পরে হারোণের পুত্র যাজকেরা বেদির চারপাশে রক্ত ছিটাবে। \v 3 মঙ্গলার্থক বলিদান থেকে সে এক অর্ঘ্য আনবে, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার, ভিতরের অঙ্গ এবং সমস্ত মেদ তার সঙ্গে যুক্ত, \v 4 অন্ত্র আচ্ছাদনকারী সমস্ত মেদ অথবা এর সঙ্গে সংযুক্ত প্রত্যঙ্গ, কোমরের কাছাকাছি মেদসহ দুটি কিডনি ও কিডনির পর্দা সে বাদ দেবে। \v 5 তারপর হোমবলির শীর্ষ ভাগে বেদির উপরে হারোণের ছেলেরা নৈবেদ্য পোড়াবে, অর্থাৎ কাঠে অর্ঘ্য ঝলসানো হবে; এটি অগ্নিকৃত এক নৈবেদ্য যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক প্রীতিজনক উপহার। \p \v 6 “ ‘যদি সে সদাপ্রভুর উদ্দেশে পশুপাল থেকে কোনো পুংশাবক অথবা স্ত্রীশাবক মঙ্গলার্থক নৈবেদ্যরূপে উৎসর্গ করে, তাহলে তা যেন ত্রুটিমুক্ত হয়। \v 7 যদি সে এক মেষশাবক বলি দেয়, সদাপ্রভুর সামনে সে তাকে রাখবে। \v 8 সে তার বলির পশুর মাথায় হাত রাখবে ও সমাগম তাঁবুর সামনে বধ করবে। পরে হারোণের ছেলেরা বেদির চারপাশে বধ করা পশুর রক্ত ছিটাবে। \v 9 মঙ্গলার্থক বলি থেকে অগ্নিকৃত উপহার সে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদন করবে। বলিকৃত পশুর সমস্ত মেদ, অথবা এতে সংযুক্ত অন্যান্য প্রত্যঙ্গ, \v 10 কোমরের কাছাকাছি মেদসহ দুটো কিডনি ও যকৃতের পর্দা সে সরিয়ে দেবে। \v 11 যাজক খাদ্যরূপে সেগুলি বেদিতে পোড়াবে, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত এক উপহার। \p \v 12 “ ‘যদি সে একটি ছাগল উৎসর্গ করতে চায়, সদাপ্রভুর সামনে সে তাকে রাখবে, \v 13 ছাগটির মাথায় সে হাত রাখবে ও সমাগম তাঁবুর সামনে তাকে বধ করবে। পরে হারোণের পুত্রেরা বেদির চারপাশে বধ করা পশুর রক্ত ছিটাবে। \v 14 তার যে কোনো বলিদান সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার হতেই হবে; অন্ত্র আচ্ছাদনকারী সমস্ত মেদ অথবা এতে সংযুক্ত প্রত্যঙ্গ \v 15 কোমরের কাছাকাছি মেদসহ দুটো কিডনি ও যকৃতের পর্দা সে সরিয়ে দেবে। \v 16 যাজক সেগুলি ভক্ষ্যরূপে বেদিতে পোড়াবে, যা সৌরভার্থক প্রীতিজনক অগ্নিকৃত এক উপহার। সমস্ত মেদ সদাপ্রভুর। \p \v 17 “ ‘পুরুষানুক্রমে তোমরা যেখানেই বসবাস করো এটি হবে তোমাদের জন্য চিরস্থায়ী বিধি, তোমরা মেদ অথবা রক্ত ভোজন করবে না।’ ” \c 4 \s1 পাপার্থক বলিদান \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “তুমি ইস্রায়েলীদের বলো: ‘কেউ যখন অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে এবং সদাপ্রভুর আদেশসমূহের যে কোনো নিষিদ্ধ আদেশ লঙ্ঘন করে। \p \v 3 “ ‘যদি অভিষিক্ত যাজক পাপ করে, লোকদের উপরে দোষ বর্তায়, তাহলে তার করা পাপের জন্য সে সদাপ্রভুর উদ্দেশে পাপার্থক বলিরূপে ত্রুটিহীন এঁড়ে বাছুর উৎসর্গ করবে। \v 4 সে সদাপ্রভুর সামনে সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে গোবৎস রাখবে। বাছুরটির মাথায় সে হাত রাখবে ও সদাপ্রভুর সামনে তাকে বধ করবে। \v 5 পরে অভিষিক্ত যাজক বাছুরটির কিছু রক্ত নেবে ও সমাগম তাঁবুতে নিয়ে যাবে। \v 6 সে রক্তের মধ্যে আঙুল ডুবিয়ে পবিত্রস্থানের সামনের দিকে গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে সেই রক্তের কিছুটা ছিটিয়ে দেবে। \v 7 পরে যাজক সমাগম তাঁবুর মধ্যে সদাপ্রভুর সামনে সুগন্ধি ধূপযুক্ত বেদির শৃঙ্গে অল্প রক্ত দেবে। সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে হোমবলির বেদির মূলে সে বাছুরটির অবশিষ্ট রক্ত ঢালবে। \v 8 পাপার্থক বলির বাছুরটির সমস্ত মেদ সে ছাড়াবে যা অন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত অংশ, \v 9 কোমরের কাছাকাছি মেদযুক্ত দুটি কিডনি ও যকৃতের পর্দা সে সরিয়ে দেবে। \v 10 একইভাবে বলিকৃত বাছুরটির মেদ সরাবে, যা মঙ্গলার্থক বলিদান। পরে যাজক হোমবলির বেদিতে সেগুলি পোড়াবে। \v 11 কিন্তু ওই বাছুরটির চামড়া, সমস্ত মাংস, মাথা ও পা, অন্ত্র ও গোবর, \v 12 সম্পূর্ণ বাছুরটিকে নিয়ে শিবিরের বাইরে কোনো আনুষ্ঠানিক শুচিশুদ্ধ স্থানে কাঠের উপরে আগুনে পোড়াবে, ভস্ম ফেলার স্থানেই ভস্মের স্তূপে সেগুলি পুড়বে। \p \v 13 “ ‘যদি সমগ্র ইস্রায়েলী সমাজ অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে ও সদাপ্রভুর আদেশসমূহের মধ্যে যে কোনো একটি নিষিদ্ধ আদেশ লঙ্ঘন করে, এমনকি বিষয়টি সমাজের অজানা থাকলেও তারা দোষী সাব্যস্ত হবে \v 14 যখন সমাজ তাদের করা পাপের কথা জানতে পারবে, সকলে পাপার্থক বলিরূপে অবশ্যই একটি এঁড়ে বাছুর আনবে ও সমাগম তাঁবুর সামনে রাখবে। \v 15 সমাজের প্রাচীনেরা সদাপ্রভুর সামনে বাছুরটির মাথায় হাত রাখবে এবং বাছুরটিকে সদাপ্রভুর সামনে বধ করবে। \v 16 তারপর অভিষিক্ত যাজক বাছুরটির কিছুটা রক্ত নিয়ে সমাগম তাঁবুর মধ্যে যাবে। \v 17 সে রক্তের মধ্যে আঙুল ডুবিয়ে পবিত্রস্থানের সামনের দিকে গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে সেই রক্তের কিছুটা ছিটিয়ে দেবে। \v 18 বেদির শৃঙ্গে সে খানিকটা রক্ত ঢালবে, যা সমাগম তাঁবুর সদাপ্রভুর সামনে রয়েছে। সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে হোমবলির বেদিমূলে সে অবশিষ্ট রক্ত ঢালবে। \v 19 সে বাছুরটির সমস্ত মেদ ছাড়াবে ও বেদিতে পোড়াবে, \v 20 এবং পাপার্থক বলিদানে বাছুরটির প্রতি কৃতকর্মের মতো এই বাছুরটির প্রতি আচরণ করবে। এভাবে তাদের জন্য যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে ও তারা ক্ষমা পাবে। \v 21 পরে সে বাছুরটিকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাবে ও তাকে পোড়াবে, যেমন প্রথমে বাছুরকে পুড়িয়েছিল। এই হল সমাজের পাপার্থক বলিদান। \p \v 22 “ ‘যখন কোনো নেতা অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে এবং তার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশসমূহের মধ্যে যে কোনো একটি নিষিদ্ধ আদেশ লঙ্ঘন করে, সে যখন তার অপরাধ বুঝতে পারবে \v 23 এবং তার করা পাপ অন্যেরা জানতে পারবে, সে অবশ্যই ত্রুটিমুক্ত মদ্দা ছাগল উৎসর্গ করবে। \v 24 ছাগলটির মাথায় সে হাত রাখবে ও সেখানে তাকে বধ করবে, সেখানে সদাপ্রভুর সামনে হোমবলি করা হয়। এটি পাপার্থক বলিদান। \v 25 এরপর পাপার্থক বলিদানের খানিকটা রক্ত যাজক আঙুল দিয়ে তুলবে এবং হোমবলির বেদিশৃঙ্গে ঢালবে ও অবশিষ্ট রক্ত বেদিমূলে ঢালবে। \v 26 সে সমস্ত মেদ বেদিতে জ্বালাবে, যেমন মঙ্গলার্থক বলিদানে জ্বালিয়েছিল। এভাবে মানুষের পাপের জন্য যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে ও সে পাপের ক্ষমা পাবে। \p \v 27 “ ‘যদি সমাজের কোনো সদস্য অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে ও সদাপ্রভুর আদেশসমূহের মধ্যে যে কোনো একটি নিষিদ্ধ আদেশ লঙ্ঘন করে, যখন তারা তার দোষ বুঝতে পারবে \v 28 এবং তার করা পাপ অন্যেরা জানতে পারবে, তাদের করা পাপের জন্য বলিদানরূপে অবশ্যই একটি ত্রুটিমুক্ত মাদি ছাগল আনবে। \v 29 পাপার্থক বলির মাথায় সে হাত রাখবে ও হোমবলির জায়গায় সেটিকে বধ করবে। \v 30 এবারে যাজক তার আঙুল দিয়ে খানিকটা রক্ত তুলবে এবং হোমবলির বেদিশৃঙ্গে ঢালবে ও অবশিষ্ট রক্ত বেদিমূলে ঢালবে। \v 31 সে সমস্ত মেদ ছাড়াবে, যেমন মঙ্গলার্থক বলি থেকে ছাড়িয়েছিল; পরে যাজক সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থে বেদিতে রাখা সবকিছুই জ্বালিয়ে দেবে। এভাবে যাজক তার পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সে ক্ষমা পাবে। \p \v 32 “ ‘যদি সে তার পাপার্থক বলিরূপে একটি মেষশাবক আনে, তাকে ত্রুটিমুক্ত মাদি মেষশাবক আনতে হবে। \v 33 শাবকটির মাথায় সে হাত রাখবে, এবং হোমবলি বধ করার জায়গায় পাপার্থক বলিরূপে সেটিকে বধ করবে। \v 34 তারপর পাপার্থক বলিদানের খানিকটা রক্ত যাজক তার আঙুল দিয়ে তুলবে এবং হোমবলির বেদিশৃঙ্গে ঢালবে ও অবশিষ্ট রক্ত বেদিমূলে ঢালবে। \v 35 সে সমস্ত মেদ ছাড়াবে, যেমন মঙ্গলার্থক বলিদানের মেষশাবকের মেদ ছাড়িয়েছিল এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত নৈবেদ্যের বেদির উপরে পোড়াবে। এইভাবে যাজক তার কৃত পাপের কারণে প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সে ক্ষমা পাবে। \c 5 \p \v 1 “ ‘যদি কেউ নিজের চোখে দেখে অথবা নিজের কানে শুনেও তা প্রকাশ না করার জন্য পাপ করে, তাহলে সেই বিষয়ের জন্য সে দায়ী হবে। \p \v 2 “ ‘যদি কোনো ব্যক্তি জানতে পারে যে সে দোষী—যদি সে অজান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি কোনো জিনিস স্পর্শ করে (হতে পারে অশুচি পশুর মৃতদেহ, বন্য অথবা গৃহপালিত, অথবা কোনো অশুচি জীব যা মাটিতে চলে) এবং জানে না যে সে অশুচি, কিন্তু পরে উপলব্ধি করে যে সে অশুচি; \v 3 অথবা যদি সে মানুষের অশৌচ স্পর্শ করে (যা তাকে অশুচি করে) যদিও সে সেই বিষয় অবগত না হয়, কিন্তু পরে জানতে পারে এবং নিজের দোষ উপলব্ধি করে; \v 4 অথবা যদি কেউ অবিবেচকের মতো ভালো বা মন্দ কোনো কিছু করার শপথ গ্রহণ করে (যে কোনো কিছু করতে অযত্নে শপথ গ্রহণ করে) যদিও সে সেই বিষয় অবগত না হয়, কিন্তু পরে জানতে পারে এবং নিজের দোষ উপলব্ধি করে। \v 5 এগুলির কোনো একটির দ্বারা যখন কেউ অপরাধী হয়, সে নিজের পাপ অবশ্যই স্বীকার করবে। \v 6 তার কৃত পাপের দণ্ডরূপে এক পাপার্থক বলির জন্য একটি মেষবৎসা অথবা ছাগবৎসা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সে নিবেদন করবে এবং তার পাপমোচনের জন্য তার পক্ষে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে। \p \v 7 “ ‘সে যদি মেষবৎসা আনতে অসমর্থ হয়, তাহলে তার কৃত পাপের জন্য দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোতশাবক এক দোষার্থক-নৈবেদ্যরূপে সদাপ্রভুর কাছে আনবে—একটি পাপার্থক ও অন্যটি হোমবলি হবে। \v 8 সে যাজকের কাছে সেগুলি আনবে, তিনি পাপার্থক বলিরূপে প্রথমে একটি শাবক উৎসর্গ করবেন। যাজক ওই শাবকের মাথা থেকে গলা মোচড় দেবে, কিন্তু ছিঁড়ে ফেলবে না, \v 9 এবং পাপার্থক বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে বেদির গায়ে ছিটাবে এবং অবশিষ্ট রক্ত বেদির মূলে ঢেলে দেবে। এটি পাপার্থক বলি। \v 10 এবারে যাজক নির্ধারিত উপায়ে হোমবলিরূপে অন্য শাবকটি উৎসর্গ করবে এবং সেই ব্যক্তির কৃত পাপের জন্য তার পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করবে, এবং তার পাপের ক্ষমা হবে। \p \v 11 “ ‘অন্যদিকে, যদি সে দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোতশাবক জোগাড় করতে অসমর্থ হয়, তাহলে সে তার পাপের জন্য এক ঐফার দশমাংশ\f + \fr 5:11 \fr*\ft প্রায় 1.6 কিলোগ্রাম\ft*\f* সূক্ষ্ম ময়দা পাপার্থক বলিরূপে উৎসর্গ করবে। সে তার নৈবেদ্যের উপরে জলপাই তেল অথবা সুগন্ধিদ্রব্য ঢালবে না, কারণ এটি পাপার্থক বলিদান। \v 12 সে এই বলিদান যাজকের কাছে আনবে যে এক স্মরণীয় অংশরূপে বলিদানের একমুঠো তুলে নিয়ে বেদিতে ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের উপরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়াবে। এটি পাপার্থক বলিদান। \v 13 এইভাবে তাদের কৃত যে কোনো পাপের জন্য যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং তাদের পাপের ক্ষমা হবে। অবশিষ্ট নৈবেদ্য যাজকের হবে, যেমন শস্য-নৈবেদ্যের ক্ষেত্রে হয়েছিল।’ ” \s1 দোষার্থক-নৈবেদ্যদান \p \v 14 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 15 “যখন কোনও ব্যক্তি আজ্ঞা লঙ্ঘন করে এবং সদাপ্রভুর পবিত্র বিষয়গুলির কোনো একটি বিষয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে, সে দণ্ডস্বরূপ মেষপাল থেকে একটি ত্রুটিমুক্ত মেষ সদাপ্রভুর উদ্দেশে আনবে ও ধর্মধামের শেকল অনুসারে নিরূপিত পরিমাণে রুপো রাখবে। এটি হবে দোষার্থক-নৈবেদ্য। \v 16 পবিত্র বিষয়গুলির সম্বন্ধে তার ব্যর্থতা হেতু সে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেবে ও সামগ্রিক পরিমাণের পঞ্চমাংশ আনবে ও সমস্তই যাজককে দেবে। অপরাধের বলিদানরূপে একটি মেষ নিয়ে তার পক্ষে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে, এবং পাপীকে ক্ষমা করা হবে। \p \v 17 “যদি কেউ পাপ করে ও সদাপ্রভুর আদেশগুলির মধ্যে কোনো একটি আদেশ লঙ্ঘন করে, নিজের অজান্তে ওই পাপ করলেও সে অপরাধী ও দায়ী হবে। \v 18 দোষার্থক-নৈবেদ্যরূপে মেষপাল থেকে একটি মেষ সে যাজকের কাছে আনবে; মেষটি নিখুঁত সঠিক মূল্যের হবে। তার অনিচ্ছাকৃত অপরাধ হেতু তার পক্ষে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে, এবং সে তার কৃত পাপের ক্ষমা পাবে। \v 19 এটি দোষার্থক এক নৈবেদ্য। সদাপ্রভুর বিপক্ষে কৃত মন্দ কাজ হেতু সে অপরাধী হয়েছে।” \c 6 \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “যদি কেউ পাপ করে, এবং তার প্রতি অর্পিত কোনো বিষয় সম্বন্ধে তার প্রতিবেশীকে প্রবঞ্চিত করার দ্বারা সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়, অথবা তার কাছে গচ্ছিত বস্তু চুরি করে, কিংবা সে প্রতিবেশীকে প্রবঞ্চিত করে, \v 3 অথবা হারানো সম্পত্তি খুঁজে পায়, অথচ মিথ্যা কথা বলে, কিংবা মিথ্যা শপথ করে, কিংবা তার কৃত পাপের মতো অন্য কেউ একই পাপ করে এভাবে যখন সে পাপ করে, \v 4 যখন সে এরকম কোনো পাপ করে এবং বুঝতে পারে যে সে অপরাধী, তখন চুরি করা বস্তু বা লুন্ঠিত জিনিস, অথবা তার প্রতি অর্পিত জিনিস কিংবা হারানো প্রাপ্ত সম্পদ পেয়ে নিজের কাছে রেখেছে \v 5 অথবা মিথ্যা শপথ করা যে কোনো বস্তু সে অবশ্যই ফেরত দেবে। যেদিন সে তার দোষার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে, সেদিন নির্ধারিত পরিমাণের পঞ্চমাংশ সমেত পরিশোধ যোগ্য সমস্ত দ্রব্যের ক্ষতিপূরণ প্রাপকের হাতে দেবে। \v 6 দণ্ডস্বরূপ সে যাজকের কাছে, অর্থাৎ সদাপ্রভুর উদ্দেশে মেষপাল থেকে নিখুঁত ও যথার্থ মানের একটি মেষ অবশ্যই আনবে। \v 7 এভাবে সদাপ্রভুর সামনে তার পক্ষে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং এসব আদেশের যে কোনো একটি আদেশ অমান্য হেতু তার পাপের ক্ষমা হবে, যা তাকে দোষী করেছিল।” \s1 হোমবলি \p \v 8 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 9 “হারোণ ও তার ছেলেদের এই আদেশ দাও, ‘হোমবলির নিয়মাবলি এইরকম: সারারাত, সকাল অবধি হোমবলি বেদিগৃহে থাকবে, এবং বেদিতে অগ্নি নির্বাপিত হবে না। \v 10 এবারে যাজক সুতির পোশাক ও অন্তর্বাস পরিধান করবেন, এবং হোমবলির অগ্নিভস্ম সরাবেন ও বেদির পাশে রাখবেন। \v 11 এরপর যাজক তার পোশাক ছাড়বেন ও অন্য পোশাক পরিহিত হবেন এবং সমস্ত ভস্ম শিবিরের বাইরে এক জায়গায় নিয়ে যাবেন, যা আনুষ্ঠানিকভাবে শুচি স্থান। \v 12 বেদিতে সংযোগ করা আগুন যেন জ্বলতে থাকে; এই আগুন কোনোভাবে নির্বাপিত হবে না। প্রতিদিন সকালে যাজক কাঠ জোগান দেবে, আগুনে হোমবলি সাজাবে ও এর উপরে মঙ্গলার্থক বলির মেদ পোড়াবে। \v 13 বেদিতে আগুন অবশ্যই অবিরাম জ্বলবে; আগুন নির্বাপিত হবে না। \s1 শস্য-নৈবেদ্য \p \v 14 “ ‘শস্য-নৈবেদ্যের পক্ষে নিয়মাবলি এইরকম, হারোণের ছেলেরা সদাপ্রভুর সামনের দিকে বেদি সামনের দিকে এই নৈবেদ্য আনবে। \v 15 যাজক সমস্ত ধূপ সমেত এক মুঠি মিহি ময়দা ও জলপাই তেল তুলে নিয়ে শস্য-নৈবেদ্যের উপরে রাখবে, এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশে সৌরভার্থক সন্তোষজনক উপহাররূপে বেদিতে স্মরণীয় অংশ পোড়াবে। \v 16 হারোণ ও তার ছেলেরা অবশিষ্ট খাদ্য ভোজন করবে, কিন্তু তাদের পবিত্রস্থানে খামিরবিহীন খাদ্য ভোজন করতে হবে; সমাগম তাঁবুর উঠোনে তারা যেন আহার করে। \v 17 খামিরযুক্ত খাদ্যবস্তু রান্না করা যাবে না; আমার উদ্দেশে প্রস্তুত অগ্নিকৃত উপহারগুলির অংশরূপে এটি আমি তাদের দিয়েছি। পাপার্থক বলি ও দোষার্থক-নৈবেদ্যের মতো এটি অত্যন্ত পবিত্র। \v 18 হারোণের যে কোনো পুরুষ বংশধর এই খাদ্য ভোজন করতে পারে। সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহারগুলির মধ্যে এই অংশবিশেষ তার অধিকার ও পুরুষানুক্রমে তারা ভোজন করবে। তাদের স্পর্শে যে কোনো বস্তু পবিত্র হবে।’ ” \p \v 19 সদাপ্রভু মোশিকে আরও বললেন, \v 20 “হারোণ ও তার ছেলেরা অভিষেকের দিনে সদাপ্রভু উদ্দেশে এই উপহার আনবে: এক নিয়মিত শস্য-নৈবেদ্যরূপে এক ঐফা মিহি ময়দার দশমাংশ, সকালে অর্ধেক ভাগ ও সন্ধ্যায় অর্ধেক ভাগ। \v 21 পাত্রে তেল ঢেলে তা প্রস্তুত করো, সুমিশ্রিত খাদ্য আনো ও সদাপ্রভুর উদ্দেশে খণ্ড খণ্ড করে কেটে সৌরভার্থক সন্তোষজনক উপহাররূপে ওই শস্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করো। \v 22 অভিষিক্ত যাজকরূপে তার উত্তরাধিকারী ছেলে এই খাদ্য প্রস্তুত করবে। এটি সদাপ্রভুর নিয়মিত অংশ, যা পুরোপুরি পোড়াতে হবে। \v 23 যাজকের প্রত্যেক শস্য-নৈবেদ্য পুরোপুরি পুড়ে যাবে, এটি ভোজন করা যাবে না।” \s1 পাপার্থক বলিদান \p \v 24 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 25 “হারোণ ও তার ছেলেদের বলো, পাপার্থক বলিদানের নিয়মাবলি এইরকম: সদাপ্রভুর সামনে হোমবলি হত্যা করার জায়গায় পাপার্থক বলিকে হত্যা করতে হবে; এটি অত্যন্ত পবিত্র। \v 26 উৎসর্গকারী যাজক এই খাদ্য খাবে। সমাগম তাঁবুর উঠোনের পবিত্রস্থানে খাদ্যটি ভোজন করতে হবে; \v 27 যে তা স্পর্শ করবে সে পবিত্র হবে; যদি পোশাকে রক্তের দাগ লাগে, তোমাকে এক পবিত্রস্থানে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। \v 28 মাংস রান্নার জন্য মাটির পাত্রকে অবশ্যই ভেঙে ফেলতে হবে; কিন্তু যদি পিতলের পাত্রে তা রান্না করা হয়, তাহলে জল দিয়ে ধুয়ে পাত্রটি পরিষ্কার করতে হবে। \v 29 যাজকের পরিবারের যে কোনো পুরুষ এই খাদ্য ভোজন করতে পারে; এটি অত্যন্ত পবিত্র। \v 30 কিন্তু পবিত্রস্থানে প্রায়শ্চিত্ত করবার জন্য সমাগম তাঁবুতে আনা যে কোনো পাপার্থক বলির রক্ত ভোজন করা যাবে না; এই ভক্ষ্য দ্রব্যকে পোড়াতেই হবে। \c 7 \s1 দোষার্থক-নৈবেদ্যদান \p \v 1 “ ‘দোষার্থক-নৈবেদ্যদানের পক্ষে এই নিয়মাবলি, যা অত্যন্ত পবিত্র: \v 2 দোষার্থক-নৈবেদ্যদান সেখানে করতে হবে, যেখানে হোমবলি করা হয় এবং বেদির উপরে চারপাশে এর রক্ত ছিটাতে হবে। \v 3 এর সমস্ত চর্বি উৎসর্গ করা হবে, মেদযুক্ত লেজ, অন্ত্র আচ্ছাদনকারী মেদ, \v 4 কোমরের কাছাকাছি মেদযুক্ত দুটি কিডনি এবং যকৃতের পর্দা ছাড়িয়ে ফেলে দিতে হবে। \v 5 সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহাররূপে এগুলি বেদিতে রেখে যাজক পোড়াবে। এটি দোষার্থক-নৈবেদ্যদান। \v 6 যাজকের পরিবারের যে কোনো পুরুষ এই খাদ্য ভোজন করতে পারে, কিন্তু অবশ্যই এক পবিত্রস্থানে তা ভোজন করতে হবে; এটি অত্যন্ত পবিত্র ভক্ষ্য। \p \v 7 “ ‘পাপার্থক বলি ও দোষার্থক-নৈবেদ্য উভয় ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে; সবই যাজক নেবে, যার দ্বারা সকলের জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধিত হবে। \v 8 হোম বলিদানকারী যাজক নিজের জন্য চামড়া রাখতে পারবে। \v 9 প্রত্যেক শস্য-নৈবেদ্য উনুনে অথবা পাত্রে কিংবা চাটুতে রান্না করা খাদ্য যাজকের হবে, যে এই নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে \v 10 এবং তেলমিশ্রিত কিংবা অমিশ্রিত যে কোনো শস্য-নৈবেদ্য হারোণের ছেলেরা সবাই সমপরিমাণে পাবে। \s1 মঙ্গলার্থক বলিদান \p \v 11 “ ‘মঙ্গলার্থক বলিদানের পক্ষে এই নিয়মাবলি, যা যে কোনো ব্যক্তি সদাপ্রভুর উদ্দেশে উপহার দিতে পারে। \p \v 12 “ ‘যদি সে কৃতজ্ঞতার প্রকাশস্বরূপ বলি আনে, তাহলে ধন্যবাদসূচক এই বলিদানের সঙ্গে সে তেলমিশ্রিত খামিরবিহীন রুটি, তৈলাক্ত খামিরবিহীন সরুচাকলি, তৈলসিক্ত মিহি ময়দার পিঠে আনবে। \v 13 সে তার কৃতজ্ঞতাপূর্ণ মঙ্গলার্থক বলির সঙ্গে খামিরযুক্ত ময়দার পিঠে উপহার দেবে। \v 14 সব ধরনের ভক্ষ্য সে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটি করে উপহার দানরূপে আনবে; এগুলি সেই যাজকের হবে যে বেদিতে মঙ্গলার্থক বলির রক্ত ছিটাবে। \v 15 তার ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মঙ্গলার্থক বলির মাংস উৎসর্গীকরণের দিনে অবশ্যই ভোজন করতে হবে; সকাল পর্যন্ত যেন কোনো খাদ্য রাখা না হয়। \p \v 16 “ ‘যাইহোক, যদি, তার উপহার কোনো মানত কিংবা স্বেচ্ছাকৃত দানের পরিণতি হয়, তাহলে উৎসর্গীকরণের দিনে ওই বলি ভোজন করতে হবে, তবে অবশিষ্ট যে কোনো ভক্ষ্য পরের দিন ভোজন করতে পারে। \v 17 বলিদানের কোনো মাংস তৃতীয় দিন পর্যন্ত থাকলে তা অবশ্যই পোড়াতে হবে। \v 18 যদি মঙ্গলার্থক বলিদানের কোনো মাংস তৃতীয় দিনে ভোজন করা হয়, তাহলে তা গৃহীত হবে না। উপহারদাতার প্রতি তা আরোপিত হবে না, কারণ সেটি অশুচি; যদি কেউ এই মাংস ভক্ষণ করে, সে তার জন্য দায়ী হবে। \p \v 19 “ ‘মাংস কোনো আনুষ্ঠানিক অশুচি বস্তুকে স্পর্শ করলে তা ভক্ষণ করা যাবে না; সেটি জ্বালিয়ে দিতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে শুচি যে কোনো ব্যক্তি অন্য মাংস ভক্ষণ করতে পারে। \v 20 কিন্তু অশুচি কেউ যদি সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত মঙ্গলার্থক বলিদানের মাংস ভক্ষণ করে, তাহলে নিজের লোকদের মধ্য থেকে সে উচ্ছিন্ন হবে। \v 21 যদি কেউ কোনো অশুচি বস্তু স্পর্শ করে, কোনো অশুচি মানুষ অথবা এক অশুচি পশু, কিংবা ভূমিতে বিচরণকারী কোনো অশুচি ঘৃণার্হ বস্তু, এবং পরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত মঙ্গলার্থক বলিদানের মাংস ভক্ষণ করে, তাহলে সে নিজের লোকদের মধ্য থেকে অবশ্যই উচ্ছিন্ন হবে।’ ” \s1 মেদ ও রক্ত ভক্ষণ নিষিদ্ধ \p \v 22 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 23 “তুমি ইস্রায়েলীদের এই কথা বলো: ‘গরু, মেষ অথবা ছাগলের মেদ তোমরা ভোজন করবে না। \v 24 মৃত পশুর অথবা বন্যপশু দ্বারা ছিন্নভিন্ন পশুর মেদ অন্য যে কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে কিন্তু তোমরা কিছুতেই ভোজন করবে না। \v 25 যদি কেউ এমন কোনো পশুর মেদ ভোজন করে যা অগ্নিকৃত উপহার রূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত, সে আপন লোকদের মধ্য থেকে অবশ্যই উচ্ছিন্ন হবে। \v 26 তোমরা যেখানেই থাকো, কোনো পাখির অথবা পশুর রক্ত কখনও ভোজন করবে না। \v 27 যদি কেউ রক্ত ভোজন করে, তাহলে আপনজনদের মধ্য থেকে সে অবশ্যই উচ্ছিন্ন হবে।’ ” \s1 যাজকের অংশ \p \v 28 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 29 “তুমি ইস্রায়েলীদের এই কথা বলো: ‘সদাপ্রভুর উদ্দেশে যদি কেউ মঙ্গলার্থক বলিদান আনে, তাহলে সদাপ্রভুর উদ্দেশে সে তার বলিদানের অংশ আনুক। \v 30 সে নিজের হাতে সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার নৈবেদ্যরূপে সদাপ্রভুর সামনে আনবে; বক্ষের সঙ্গে মেদও আনতে হবে এবং সেই বক্ষ দোলনীয়-নৈবেদ্যস্বরূপ সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে। \v 31 বেদির উপরে যাজক মেদ জ্বালাবে, কিন্তু হারোণ ও তার ছেলেরা বক্ষের অধিকারী। \v 32 তোমরা নিজ নিজ মঙ্গলার্থক বলিদানের ডান জাং উপহাররূপে যাজককে দেবে। \v 33 হারোণের যে ছেলে মঙ্গলার্থক বলিদানের রক্ত ও মেদ উৎসর্গ করবে, তার ভাগের অংশরূপে ডান জাং পাবে। \v 34 ইস্রায়েলীদের মঙ্গলার্থক বলিদান থেকে এক দোলনীয় বক্ষ আমি নিলাম ও উৎসর্গীকৃত জাং নিয়ে ইস্রায়েল-সন্তানদের দেয় চিরস্থায়ী অধিকাররূপে সেই নৈবেদ্য যাজক হারোণ ও তার ছেলেদের দিলাম।’ ” \p \v 35 অগ্নিকৃত উপহারের এই অংশ সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত, যা সেদিন হারোণ ও তার ছেলেদের জন্য চিহ্নিত হল, যেদিন যাজকরূপে তারা সদাপ্রভুর সেবাকর্মে সমর্পিত হয়েছিল। \v 36 যেদিন তারা অভিষিক্ত হল, সেদিন সদাপ্রভু আদেশ দিলেন যে বংশপরম্পরায় ইস্রায়েলীদের দেয় চিরস্থায়ী অধিকাররূপে এই উৎসর্গীকৃত জাং তারা হারোণ ও তার ছেলেদের দেবে। \p \v 37 হোমবলি, শস্য-নৈবেদ্য, পাপার্থক বলি, দোষার্থক-নৈবেদ্য, অভিষিক্তকরণ ও মঙ্গলার্থক বলিদানের পক্ষে এই বিধান, \v 38 যা সেদিন সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে মোশির প্রতি অর্পণ করেছিলেন, যেন ইস্রায়েলীরা সীনয় মরুভূমিতে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তাদের সব বলিদান উৎসর্গ করে। \c 8 \s1 হারোণ এবং তাঁর ছেলেদের অভিষেক \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “তুমি হারোণ ও তার ছেলেদের, তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ, অভিষেকার্থ তেল, পাপার্থক বলিদানের জন্য বাছুর, দুটি মেষ ও এক ঝুড়ি খামিরবিহীন রুটি আনো, \v 3 এবং সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে সমগ্র মণ্ডলীকে সমবেত করো।” \v 4 সদাপ্রভুর আদেশমতো মোশি কাজ করলেন ও সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে জনমণ্ডলী সমবেত হল। \p \v 5 জনগণের উদ্দেশে মোশি বললেন, “এই কাজ করতে সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছেন।” \v 6 পরে হারোণ ও তাঁর ছেলেদের মোশি সামনে আনলেন ও জল দিয়ে তাদের ধুয়ে দিলেন করলেন। \v 7 তিনি হারোণকে কাপড় পরালেন, রেশমি ফিতে দিয়ে তার কোমর বেঁধে, তার গায়ে পোশাক ও তার উপরে এফোদ দিলেন এবং একটি বুনানি করা কোমরবন্ধ দিয়ে তার গায়ের এফোদ বেঁধে দিলেন। এর দ্বারা হারোণ সুদৃঢ় হল। \v 8 মোশি হারোণকে বুকপাটা দিলেন ও বুকপাটাতে ঊরীম ও তুম্মীম স্থাপন করলেন। \v 9 পরে হারণের মাথায় তিনি পাগড়ি পরিয়ে দিলেন, এবং পাগড়ির সামনের দিকে সোনার পাত দিয়ে গড়া পবিত্র প্রতীক জুড়ে দিলেন, যেমন মোশিকে সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 10 পরে মোশি অভিষেকার্থক তেল নিলেন, এবং সমাগম তাঁবু ও তার মধ্যের সমস্ত দ্রব্য অভিষিক্ত করলেন, এবং সেগুলি উৎসর্গ করলেন। \v 11 তিনি বেদিতে সাতবার তেল ছিটালেন; বেদি এবং বেদির সমস্ত পাত্র, খাড়া রাখার উপাদান সমেত প্রক্ষালন পাত্র পবিত্র করণার্থে অভিষেক করলেন। \v 12 হারোণের মাথায় তিনি কিছুটা অভিষেকার্থক তেল ঢাললেন ও তাকে পবিত্র করণার্থে অভিষিক্ত করলেন। \v 13 তারপর তিনি হারোণের ছেলেদের সামনে আনলেন, কাপড় পরালেন, কটি বন্ধনে আবদ্ধ করলেন ও তাদের মাথায় শিরোভূষণের বন্ধনী দিলেন, যেমন মোশিকে সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 14 পরে পাপার্থক বলিদানের জন্য তিনি বাছুর রাখলেন, এবং হারোণ ও তার ছেলেরা বাছুরটির মাথায় হাত রাখলেন। \v 15 মোশি ওই বাছুরটিকে বধ করলেন এবং বেদি শুচি করার জন্য বেদির শিংগুলিতে আঙুল দিয়ে কিছুটা রক্ত ঢাললেন। অবশিষ্ট রক্ত তিনি বেদিমূলে ঢেলে দিলেন। এইভাবে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তিনি সমস্তই পবিত্র করলেন। \v 16 আর মোশি অন্ত্রের সব মেদ, যকৃতের পর্দা, দুটি কিডনি ও কিডনির মেদ ছাড়িয়ে নিলেন ও বেদিতে জ্বালিয়ে দিলেন। \v 17 কিন্তু বাছুরটির চামড়া, মাংস ও গোবর শিবিরের বাইরে নিয়ে গেলেন ও সেগুলি পুড়িয়ে দিলেন, যেমন মোশিকে সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 18 পরে হোমবলির জন্য তিনি মেষ রাখলেন এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সেটির মাথায় তাঁদের হাত রাখল। \v 19 পরে মোশি ওই মেষকে বধ করলেন ও বেদির উপরে চারপাশে রক্ত ছিটালেন। \v 20 তিনি মেষটিকে খণ্ড খণ্ড করে কাটলেন এবং তার মাথা, মাংসখণ্ড, ও মেদ পোড়ালেন। \v 21 তিনি অন্ত্র ও পাগুলি জল দিয়ে ধুয়ে দিলেন এবং হোমবলিরূপে গোটা মেষ বেদিতে পোড়ালেন যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত অগ্নিকৃত সৌরভার্থক সন্তোষজনক উপহার, যেমন মোশিকে সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 22 এরপর অভিষেকের জন্যে তিনি অন্য একটি মেষ রাখলেন, এবং হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সেটির মাথায় হাত রাখলেন। \v 23 মোশি ওই মেষকে বধ করলেন এবং হত মেষের কিছুটা রক্ত নিয়ে হারোণের ডান কানের ডগায়, তার ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ও তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে লেপন করলেন। \v 24 মোশি হারোণের ছেলেদেরও সামনে আনলেন এবং তাদের ডান কানের ডগায়, তাদের ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ও ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে কিছুটা রক্ত ঢেলে দিলেন। পরে তিনি বেদির উপরে চারপাশে রক্ত ছিটালেন। \v 25 এরপরে তিনি মেদ, মেদযুক্ত লেজ, অন্ত্রবেষ্টিত সব মেদ, যকৃতের পর্দা, দুটি কিডনি ও কিডনির মেদ ডান জাং-এ ছাড়িয়ে নিলেন। \v 26 পরে সদাপ্রভুর সামনে রাখা খামিরবিহীন রুটির ঝুড়ি থেকে একটি রুটি, তৈলপক্ক একটি রুটি এবং একটি সরুচাকলি তিনি তুলে নিলেন, তিনি মেদের অংশে ও ডান জাং-এ এগুলি রাখলেন। \v 27 হারোণ ও তার ছেলেদের হাতে তিনি এগুলি দিলেন, এবং দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে সদাপ্রভুর সামনে এগুলি দোলালেন। \v 28 এরপর তাদের হাত থেকে মোশি সেগুলি নিলেন এবং অভিষেক নৈবেদ্যরূপে হোমবলির উপরে বেদিতে সকল নৈবেদ্য পোড়ালেন, যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত অগ্নিকৃত সৌরভার্থক সন্তোষজনক এক উপহার। \v 29 তিনি বক্ষটিও নিলেন যা অভিষেক মেষ থেকে মোশির অংশ এবং দোলনীয় এক নৈবেদ্যরূপে সদাপ্রভুর সামনে সেটি দোলালেন যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 30 পরে মোশি বেদি থেকে কিছুটা অভিষেকার্থক তেল ও রক্ত নিলেন এবং হারোণ ও তাঁর পরিধানে এবং তাঁর সকল ছেলে ও তাদের পোশাকে ছিটালেন। এইভাবে হারোণ ও তাঁর পোশাককে, এবং তাঁর সকল ছেলে ও তাদের পোশাককে মোশি পবিত্র করলেন। \p \v 31 পরে হারোণ ও তার ছেলেদের মোশি বললেন, “সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে তোমরা মাংস রান্না করো ও অভিষেক নৈবেদ্যগুলির ঝুড়ি থেকে রুটি নিয়ে মাংস দিয়ে ভোজন করো: ‘যেমন আমি বললাম, হারোণ ও তার ছেলেরা সবাই সেরকমই করুক।’ \v 32 পরে অবশিষ্ট মাংস ও রুটি পুড়িয়ে দাও। \v 33 সাত দিনের জন্য সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বার ছেড়ে যেয়ো না, যতদিন না তোমাদের অভিষেকের দিনগুলি সম্পূর্ণ হয়, কেননা তোমাদের অভিষেক সাত দিন স্থায়ী হবে। \v 34 সদাপ্রভুর আদেশানুসারে আজ সেই কাজ করা হল, যেন তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধিত হয়। \v 35 সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে দিনরাত সাত দিন অবধি তোমরা অবশ্যই থেকো, এবং সদাপ্রভুর চাহিদা অনুযায়ী কাজ করো; তাহলে তোমরা মরবে না; কেননা আমাকে এই আদেশ করা হয়েছে।” \p \v 36 সুতরাং মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভুর আদেশ অনুযায়ী হারোণ ও তাঁর ছেলেরা সকল কাজ করল। \c 9 \s1 যাজকেরা তাঁদের পরিচর্যার কাজ শুরু করেন \p \v 1 অষ্টম দিনে হারোণ, তাঁর সব ছেলেদের ও ইস্রায়েলের প্রাচীনবর্গকে মোশি ডাকলেন, \v 2 তিনি হারোণকে বললেন, “তুমি পাপার্থক-নৈবেদ্যরূপে ত্রুটিহীন এক এঁড়ে বাছুর ও হোমবলিরূপে ত্রুটিহীন এক মেষ নাও এবং সদাপ্রভুর সামনে নিয়ে এসো। \v 3 পরে ইস্রায়েলীদের তিনি বললেন, ‘পাপার্থক-নৈবেদ্যরূপে তোমরা একটি পাঁঠা ও হোমবলিরূপে একটি বাছুর, একটি মেষশাবক নাও; দুটিই যেন এক বর্ষীয় ও ত্রুটিমুক্ত হয়, \v 4 এবং মঙ্গলার্থক বলিদানের জন্য একটি ষাঁড় ও একটি মেষ এবং জলপাই তেলে মেশানো শস্য-নৈবেদ্য নেবে সদাপ্রভুর সামনে উৎসর্গ করার জন্য, কেননা আজ তোমাদের সামনে সদাপ্রভু আবির্ভূত হবেন।’ ” \p \v 5 মোশির আদেশানুসারে তারা এইসব সমাগম তাঁবুর সামনে আনল, এবং সমগ্র জনমণ্ডলী কাছে এল ও সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়াল। \v 6 পরে মোশি বললেন, “সদাপ্রভু এই কাজ করতে তোমাদের আদেশ দিয়েছেন, যেন সদাপ্রভুর মহিমা তোমাদের প্রতি প্রদর্শিত হয়।” \p \v 7 মোশি হারোণকে বললেন, “তুমি বেদির নিকটবর্তী হও এবং তোমার পাপার্থক বলি ও তোমার হোমবলি উৎসর্গ করো এবং তোমার ও লোকদের পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করো; লোকদের জন্য উপহার নিবেদন করো এবং তাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করো, যেমন সদাপ্রভু আজ্ঞা দিয়েছিলেন।” \p \v 8 সুতরাং হারোণ বেদির কাছে এলেন ও নিজের পাপার্থক বলিরূপে এঁড়ে বাছুর বধ করলেন। \v 9 তাঁর ছেলেরা তাঁকে রক্ত এনে দিল এবং তিনি তাঁর আঙুল রক্তে ডুবালেন, বেদির শৃঙ্গগুলিতে রক্তের প্রলেপ দিলেন ও অবশিষ্ট রক্ত বেদিমূলে নিক্ষেপ করলেন। \v 10 পাপার্থক বলি থেকে মেদ, দুটো কিডনি ও যকৃতের পর্দা নিয়ে তিনি বেদিতে সেগুলি পোড়ালেন, যেমন মোশিকে সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন; \v 11 তিনি শিবিরের বাইরে মাংস ও চামড়া পোড়ালেন। \p \v 12 পরে তিনি হোমবলি বধ করলেন, তার ছেলেরা রক্ত এগিয়ে দিল এবং তিনি বেদির উপরে চারপাশে রক্ত ছিটালেন। \v 13 ছেলেরা খণ্ড খণ্ড করে হোমবলি মাথা সমেত হারোণের হাতে দিল এবং হারোণ সেগুলি বেদিতে পোড়ালেন। \v 14 তিনি অন্ত্র ও পাগুলি ধুয়ে দিলেন ও বেদিতে হোমবলির উপরে সেগুলি পোড়ালেন। \p \v 15 পরে হারোণ উপহার আনলেন, যা লোকদের জন্য ছিল। লোকদের পাপার্থক বলিদানের জন্য তিনি ছাগল নিলেন, সেটি বধ করলেন এবং পাপার্থক বলিরূপে উপহার দিলেন, যেমন প্রথম উপহার দিয়েছিলেন। \p \v 16 তিনি হোমবলি আনলেন ও নিয়মানুসারে তা নিবেদন করলেন। \v 17 তিনি শস্য-নৈবেদ্যও আনলেন, ওই নৈবেদ্য থেকে এক মুঠি নিলেন এবং বেদিতে তা পোড়ালেন, যা প্রাতঃকালীন হোমবলির অতিরিক্ত। \p \v 18 লোকদের পক্ষে মঙ্গলার্থক বলিরূপে ষাঁড় ও মেষ তিনি বধ করলেন। তাঁর ছেলেরা তাঁর হাতে রক্ত জোগান দিল এবং তিনি বেদির উপরে চারপাশে রক্ত ছিটালেন। \v 19 কিন্তু ষাঁড় ও মেষের মেদের অংশ, মেদযুক্ত লেজ, মেদের স্তর, দুটি কিডনি ও যকৃতের পর্দা, \v 20 তারা সেগুলি বক্ষস্থলে রাখল ও পরে হারোণ বেদির উপরে মেদ পোড়ালেন। \v 21 সদাপ্রভুর সামনে হারোণ বক্ষদুটি ও ডান জাং দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে দোলান, যেমন মোশি আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 22 পরে লোকদের দিকে হারোণ তাঁর হাত তুলে ধরলেন ও তাদের আশীর্বাদ করলেন। পাপার্থক বলি, হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলিদান শেষ হওয়ার পরে হারোণ নিচে নামলেন। \p \v 23 পরে মোশি ও হারোণ সমাগম তাঁবুর মধ্যে গেলেন। শিবির থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা লোকদের আশীর্বাদ করলেন, এবং সব লোকের কাছে সদাপ্রভুর প্রতাপ আবির্ভূত হল। \v 24 সদাপ্রভুর উপস্থিতি থেকে আগুন নির্গত হল এবং বেদিতে রাখা হোমবলি ও মেদমিশ্রিত অংশগুলিকে সেই আগুন গ্রাস করল। সব লোক এই দৃশ্য চাক্ষুষ করে, হর্ষধ্বনি করল ও উবুড় হয়ে পড়ল। \c 10 \s1 নাদব ও অবীহূর মৃত্যু \p \v 1 হারোণের ছেলে নাদব ও অবীহূ তাদের ধূপাধার নিল, এবং তাতে ধূপ দিয়ে আগুন সংযোগ করল ও সদাপ্রভুর সামনে অসমর্থিত আগুন উৎসর্গ করল, যা তাঁর আজ্ঞার পরিপন্থী। \v 2 সুতরাং সদাপ্রভুর উপস্থিতি থেকে অগ্নি নির্গত হয়ে তাদের গ্রাস করল ও সদাপ্রভুর সামনে তারা মারা গেল। \v 3 পরে মোশি হারোণকে বললেন, সদাপ্রভু এমন কথাই বলেছিলেন যখন তিনি আমাকে বলেছিলেন: \q1 “ ‘যারা আমার নিকটবর্তী হয়, \q2 তাদের আমি আমার পবিত্রতা দেখাব \q1 ও সব মানুষের দৃষ্টিতে \q2 আমি সম্মানিত হব।’ ” \m হারোণ নীরব থাকলেন। \p \v 4 হারোণের কাকা উষীয়েলের ছেলে মীশায়েল ও ইল্‌সাফনকে মোশি ডাকলেন ও তাদের বললেন, “তোমরা এখানে এসো; ধর্মধামের সামনে থেকে দূরে, শিবিরের বাইরে তোমাদের জ্ঞাতিদের নিয়ে যাও।” \v 5 সুতরাং তারা এল, জ্ঞাতিদের বহন করল ও কাপড় পরা অবস্থাতেই তাদের শিবিরের বাইরে নিয়ে গেল, যেমন মোশি আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 6 পরে হারোণ, তাঁর ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে মোশি বললেন, “তোমাদের মাথা নেড়া কোরো না ও তোমাদের পরিধান ছিঁড়ো না, পাছে তোমরাও মারা যাও, এবং সমগ্র জনমণ্ডলীর উপরে সদাপ্রভুর ক্রোধ বর্ষিত হয়। কিন্তু তোমাদের পরিজন, ইস্রায়েলের সমগ্র সমাজ সদাপ্রভুর কৃত অগ্নিদ্বারা মৃতদের জন্য কাঁদুক। \v 7 সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বার ত্যাগ কোরো না, অন্যথায় তোমরা মরবে, কেননা তোমাদের গায়ে সদাপ্রভুর অভিষেকার্থক তেল আছে।” সুতরাং মোশি যেমন বললেন তারা তেমনই করল। \p \v 8 পরে সদাপ্রভু হারোণকে বললেন, \v 9 “সমাগম তাঁবুতে যাওয়ার সময় তোমরা দ্রাক্ষারস অথবা মদ্যপান করবে না, নইলে তোমরা মরবে। এটি বংশপরম্পরায় তোমাদের পালনীয় চিরস্থায়ী বিধি, \v 10 যেন পবিত্র ও সাধারণের মধ্যে, শুচি ও অশুচির মধ্যে তুমি অবশ্যই পার্থক্য রাখো \v 11 এবং মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভু যেসব বিধি দিয়েছেন সেগুলি তুমি ইস্রায়েলীদের অবশ্যই শেখাবে।” \p \v 12 মোশি হারোণকে ও তাঁর দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামরকে বললেন, “সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত অগ্নিকৃত উপহারের অবশিষ্ট যে শস্য-নৈবেদ্য আছে, তা নিয়ে বেদির পাশে খামিরবিহীন খাদ্য প্রস্তুত ও ভোজন করো, কেননা এটি অত্যন্ত পবিত্র। \v 13 এক পবিত্রস্থানে এই খাদ্য ভোজন করো, কেননা এটি তোমার ও তোমার ছেলেদের অংশ যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার; কেননা আমি এই আজ্ঞা পেয়েছি। \v 14 কিন্তু তুমি, তোমার ছেলেমেয়েরা বক্ষ ভোজন করবে, যা দোলানো হল এবং জাং যা সামনে রাখা হল; আনুষ্ঠানিকভাবে শুচি জায়গায় তোমরা এই খাদ্য ভোজন করবে; ইস্রায়েলীদের মঙ্গলার্থক বলি থেকে তোমাদের অংশরূপে এই ভক্ষ্য তোমাকে ও তোমার সন্তানদের দেওয়া হয়েছে। \v 15 নিবেদিত জাং ও দোলায়িত বক্ষ অগ্নিকৃত উপহারের মেদযুক্ত অংশগুলির সঙ্গে অবশ্যই আনতে হবে, যেন দোদুল্যমান উপহাররূপে সদাপ্রভুর সামনে সেগুলি দোলানো হয়। এগুলি তোমার ও তোমার সন্তানদের নিয়মিত অংশ হবে, যেমন সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছেন।” \p \v 16 যখন মোশি পাপার্থক বলির জন্য ছাগল অন্বেষণ করলেন, তিনি জানতে পারলেন যে হারোণের অবশিষ্ট দুই ছেলে ইলীয়াসর ও ঈথামর ছাগল পুড়িয়ে দিয়েছে, মোশি ক্রুদ্ধ হয়ে জানতে চাইলেন, \v 17 “পবিত্রস্থানের এলাকায় তোমরা পাপার্থক বলি ভোজন করলে না কেন? এটি অত্যন্ত পবিত্র এবং জনমণ্ডলীর অপরাধ বহনার্থে সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করণার্থে তিনি এটি তোমাদের দিয়েছেন। \v 18 যেহেতু এর রক্ত পবিত্রস্থানে আনা হয়নি, তাই আমার আজ্ঞানুসারে পবিত্রস্থানের এলাকায় তোমাদের এই ছাগল ভোজন করা উচিত ছিল।” \p \v 19 হারোণ মোশিকে উত্তর দিলেন, “আজ সদাপ্রভুর সামনে তারা তাদের পাপার্থক বলি ও হোমবলি উৎসর্গ করল, কিন্তু এই ধরনের ঘটনা আমার প্রতি ঘটল। সদাপ্রভু কি সন্তুষ্ট হতেন, যদি আজ আমি পাপার্থক বলি ভোজন করতাম?” \v 20 এই কথা শুনে মোশি সন্তুষ্ট হলেন। \c 11 \s1 শুচি ও অশুচি খাদ্য \p \v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 2 “তোমরা ইস্রায়েলীদের বলো, ‘ভূচর সব পশুর মধ্যে সমস্ত জীব তোমাদের খাদ্য হবে: \v 3 পশুদের মধ্যে যেসব পশু দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট ও জাবর কাটে, তার মাংস তোমরা ভোজন করতে পারবে। \p \v 4 “ ‘পশুদের মধ্যে যে পশুরা কেবল জাবর কাটে অথবা কেবল দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট, তোমরা কোনোভাবে সেই পশু ভক্ষণ করবে না। উট যদিও জাবর কাটে, কিন্তু দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট নয়, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে তোমাদের পক্ষে উট অশুচি। \v 5 শাফন জাবর কাটলেও দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট নয়; তাই তোমাদের পক্ষে এটি অশুচি। \v 6 খরগোশ যদিও জাবর কাটে, কিন্তু দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট নয়; তোমাদের পক্ষে এটি অশুচি। \v 7 আর শূকর যদিও তার খুর দ্বিখণ্ডিত, জাবর কাটে না; তোমাদের পক্ষে এটি অশুচি। \v 8 তোমরা তাদের মাংস খাবে না কিংবা তাদের মৃতদেহও ছোঁবে না; তোমাদের পক্ষে এগুলি অশুচি। \p \v 9 “ ‘সমুদ্রের জলে ও জলস্রোতে বসবাসকারী সব প্রাণীর মধ্যে যেগুলির ডানা ও আঁশ আছে সেগুলি তোমরা খেতে পারবে। \v 10 কিন্তু সমুদ্রে অথবা জলস্রোতে বসবাসকারী যে প্রাণীদের ডানা ও আঁশ নেই, সেগুলি ঝাঁকে ঝাঁকে থাকলেও অথবা জলচর প্রাণীদের দলভুক্ত হলেও সেগুলি তোমাদের ঘৃণার্হ। \v 11 যেহেতু সেগুলি তোমাদের কাছে ঘৃণার্হ, তাই তোমরা কিছুতেই সেগুলির মাংস ভক্ষণ করবে না; সেগুলির মৃতদেহও অবশ্যই ঘৃণা করবে। \v 12 জলচর যে প্রাণীদের ডানা ও আঁশ নেই, তোমাদের পক্ষে সেগুলি ঘৃণার্হ। \p \v 13 “ ‘এই পাখিগুলিকে তোমাদের ঘৃণা করতে হবে এবং তাদের মাংস তোমরা ভক্ষণ করবে না, কারণ সেগুলি ঘৃণার্হ: এগুলি ঈগল, শকুন, কালো শকুন, \v 14 লাল চিল, যে কোনো ধরনের কালো চিল, \v 15 যে কোনো ধরনের দাঁড়কাক, \v 16 শিংযুক্ত প্যাঁচা, কালপ্যাঁচা, শঙ্খচিল, যে কোনোরকম বাজপাখি, \v 17 ছোটো প্যাঁচা, পানকৌড়ি, বড়ো প্যাঁচা, \v 18 সাদা প্যাঁচা, মরু-প্যাঁচা, সিন্ধু-ঈগল, \v 19 সারস, যে কোনো ধরনের কাক, ঝুঁটিওয়ালা পাখি ও বাদুড়। \p \v 20 “ ‘চার পায়ে চলা সব পতঙ্গ তোমাদের ঘৃণিত। \v 21 অন্যদিকে কিছু ডানাওয়ালা প্রাণী রয়েছে, যারা চার পায়ে গমনাগমন করে, সেগুলি তোমরা ভোজন করতে পারো; ভূমিতে গমনশীল চতুষ্পদ প্রাণীদের মধ্যে। \v 22 যে কোনো ধরনের পঙ্গপাল, বাঘাফড়িং, ঝিঁঝি অথবা অন্য ধরনের ফড়িং তোমরা ভোজন করতে পারো, \v 23 কিন্তু ডানাওয়ালা যে প্রাণীরা চতুষ্পদ, তারা তোমাদের কাছে ঘৃণার্হ। \p \v 24 “ ‘এসব দ্বারা তোমরা অশুচি হবে, যে কেউ ঘৃণিত প্রাণীদের অথবা পাখিদের মৃতদেহ স্পর্শ করবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। \v 25 যে কেউ তাদের মৃতদেহ তুলে ধরবে, তাকে তার পরিধান ধুতেই হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। \p \v 26 “ ‘যেসব পশু কিছুটা ছিন্ন ক্ষুরবিশিষ্ট, পুরোপুরি দ্বিখণ্ডিত নয়, অথবা জাবর কাটে না, তোমাদের পক্ষে এরা অশুচি। যে কেউ তাদের কোনো মৃতদেহ স্পর্শ করবে, সে অশুচি হবে। \v 27 যেসব পশু চার পায়ে গমনাগমন করে, যে পশুরা থাবা ফেলে চলে, তোমাদের পক্ষে ওরা অশুচি। ওদের মৃতদেহ যে কেউ স্পর্শ করবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। \v 28 তাদের মৃতদেহ যদি কেউ তুলে নেয়, তার পরিধান তাকে ধুতেই হবে, এবং সন্ধ্যা অবধি সে অশুচি থাকবে। এই পশুগুলি তোমাদের পক্ষে অশুচি। \p \v 29 “ ‘ভূমিতে বিচরণকারী পশুরা তোমাদের পক্ষে অশুচি, যেমন বেজি, ইঁদুর, বড়ো চেহারার যে কোনো ধরনের টিকটিকি, \v 30 গোসাপ, নীল টিকটিকি, মেটে গিড়গিটি, সবুজ টিকটিকি ও কাঁকলাশ। \v 31 এগুলির মধ্যে যেগুলি ভূমিতে চলে, তোমাদের পক্ষে সেগুলি অশুচি। ওদের মৃতদেহ যে কেউ স্পর্শ করবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। \v 32 এদের একটি যখন মরে ও কোনো কিছুর উপরে পড়ে যায়, কাঠ, কাপড়, চামড়া, অথবা চটের তৈরি সেই উপাদান ব্যবহৃত হলে সেটি অশুচি হবে। সেটি জলে ডোবাবে; সন্ধ্যা পর্যন্ত সেটি অশুচি থাকবে, পরে শুচি হবে। \v 33 যদি তাদের মধ্যে কোনও একটি মাটির কোনো পাত্রে পড়ে যায়, পাত্রস্থিত সবকিছুই অশুচি হবে এবং পাত্রটি তোমরা অবশ্যই ভেঙে ফেলবে, \v 34 কোনো খাদ্য ভোজনযোগ্য হলে যদি উপরোক্ত পাত্র থেকে সেই খাদ্যে জল পড়ে, তাহলে সেই খাদ্য অশুচি হবে এবং সেই পাত্র থেকে পানযোগ্য যে কোনো পানীয় অশুচি। \v 35 যদি কোনো দ্রব্যের উপরে তাদের মৃতদেহ থেকে কিছুটা পড়ে যায়, তাহলে সেই জিনিস অশুচি হবে; উনুন অথবা রান্নার বাসন ভেঙে ফেলতে হবে; ওগুলি অশুচি এবং তোমরা ওই উপাদানগুলিকে অশুচি বিবেচনা করবে। \v 36 অন্যদিকে, জলধারা অথবা চৌবাচ্চা শুচি রাখতে হবে, কিন্তু কেউ যদি কোনো মৃতদেহ স্পর্শ করে, সে অশুচি হবে। \v 37 তাদের মৃতদেহের কিছুটা যদি বপনীয় বীজের উপরে পতিত হয়, বীজগুলি শুচি থাকবে। \v 38 কিন্তু বীজের উপরে যদি জল ছিটানো হয় ও সেগুলির উপরে মৃতদেহ পড়ে যায়, তাহলে তোমাদের পক্ষে তা অশুচি। \p \v 39 “ ‘তোমাদের ভোজনযোগ্য কোনো পশু যদি মরে এবং যদি কেউ মৃতদেহটি স্পর্শ করে, তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। \v 40 মৃতদেহগুলির কিছুটা যদি কেউ ভোজন করে, সে তার পরিধান অবশ্যই ধুয়ে দেবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। যদি কেউ মৃতদেহ বহন করে তাহলে তাকে তার পরিধান অবশ্যই ধুয়ে দিতে হবে এবং সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। \p \v 41 “ ‘ভূমিতে গমনশীল সমস্ত প্রাণী ঘৃণিত; তাদের মাংস ভক্ষণ করা নিষিদ্ধ। \v 42 ভূমিতে গমনশীল কোনো প্রাণী তোমরা ভোজন করবে না; হতে পারে তারা পেটে অথবা চার পায়ে কিংবা ততোধিক পায়ে ভর দিয়ে চলে; সেগুলি ঘৃণিত। \v 43 এই পতঙ্গগুলির মধ্যে থেকে কোনো কিছুর দ্বারা তোমরা নিজেদের অশুচি করো না। তাদের কাজে লাগিয়ে অথবা তাদের দ্বারা তোমরা অশুচি হোয়ো না। \v 44 আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু; তোমরা উৎসর্গীকৃত ও পবিত্র হও, কেননা আমি পবিত্র। ভূমিতে গমনশীল কোনো প্রাণী দ্বারা নিজেদের অশুচি কোরো না। \v 45 আমি সদাপ্রভু মিশর থেকে তোমাদের বের করে এনেছি, যেন তোমাদের ঈশ্বর হতে পারি; অতএব, তোমরা পবিত্র হও, যেমন আমি পবিত্র। \p \v 46 “ ‘এই নিয়মাবলি সব ধরনের পশু, পাখি, জলে গমনশীল সব ধরনের প্রাণী এবং ভূমিতে গমনশীল প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। \v 47 অশুচি ও শুচির মধ্যে এবং খাদ্য ও অখাদ্য জীবিত প্রাণীদের মধ্যে তোমরা অবশ্যই পার্থক্য রাখবে।’ ” \c 12 \s1 সন্তান জন্মের পরে শুদ্ধকরণ \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “তুমি ইস্রায়েলীদের বলো: ‘সন্তান গর্ভধারণ করার পর কোনো মহিলা যখন একটি ছেলের জন্ম দেয় তবে সে আনুষ্ঠানিকভাবে সাত দিনের জন্য অশুচি থাকবে, যেমন তার মাসিক ঋতুস্রাব থাকাকালীন সে অশুচি থাকে। \v 3 অষ্টম দিনে বালকটিকে সুন্নত করতে হবে। \v 4 পরে মহিলাটি তার রক্তস্রাব থেকে শুদ্ধ হওয়ার জন্য তেত্রিশ দিন অপেক্ষা করবে। তার শুচিশুদ্ধ হওয়ার দিনগুলি অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত সে কোনোভাবে পবিত্র বস্তু স্পর্শ করবে না অথবা পবিত্রস্থানে যাবে না। \v 5 যদি সে একটি মেয়ের জন্ম দেয়, তাহলে দুই সপ্তাহের জন্য তার অশুদ্ধতা থাকবে, যেমন ঋতুস্রাব থাকাকালীন সে অশুচি থাকে। তারপর তার রক্তস্রাব থেকে শুচিশুদ্ধ হওয়ার জন্য তাকে ছেষট্টি দিন অবশ্যই প্রতীক্ষা করতে হবে। \p \v 6 “ ‘যখন একটি ছেলে অথবা মেয়ের জন্য তার শুচিশুদ্ধ হওয়ার দিনগুলি অতিবাহিত হয়, হোমবলির জন্য এক বর্ষীয় মেষশাবক ও পাপার্থক বলির জন্য একটি কপোতশাবক অথবা একটি ঘুঘু সে সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে যাজকের কাছে আনবে। \v 7 তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধনার্থে সদাপ্রভুর যাজক সেগুলি উৎসর্গ করবে এবং পরে ওই মহিলা তার রক্তস্রাব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুচিশুদ্ধ হবে। \p “ ‘এই নিয়মাবলি ওই মহিলার জন্য, যে একটি ছেলে অথবা একটি মেয়ের জন্ম দেবে। \v 8 যদি সে একটি মেষশাবক জোগান দিতে না পারে, তাহলে দুটি ঘুঘু কিংবা দুটি কপোতশাবক আনবে; প্রথমটি হোমবলিদানার্থে ও দ্বিতীয়টি পাপার্থক বলিদানার্থে তার নিবেদন। এইভাবে তার জন্য যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সে শুচিশুদ্ধ হবে।’ ” \c 13 \s1 সংক্রামক চর্মরোগ বিষয়ক নিয়মকানুন \p \v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 2 “যদি কারোর চামড়ায় ফোঁড়া অথবা ফুসকুড়ি কিংবা উজ্জ্বল দাগ দেখা যায়, তা সংক্রামক চর্মরোগ হতে পারে, তাহলে তাকে অবশ্যই যাজক হারোণের কাছে অথবা তার কোনো ছেলের সামনে আনতে হবে এবং সেই ছেলে যেন যাজক হয়। \v 3 যাজক ওই ব্যক্তির চামড়ায় ক্ষত পরীক্ষা করবে এবং যদি ক্ষতের লোম সাদা রংয়ের হয়ে থাকে ও ক্ষতটির আকার চামড়ার গভীরতার চেয়েও গভীর মনে হয়, তাহলে তা এক সংক্রামক চর্মরোগ। সেটি পরীক্ষা করে যাজক তাকে অশুচি বলবে। \v 4 যদি তার চামড়ার ক্ষতস্থান সাদা রংয়ের হয়, কিন্তু চামড়ার গভীরতার চেয়েও ক্ষতস্থান বেশি গভীর এবং ক্ষতস্থানের লোম সাদা রংয়ের হয়নি, তাহলে যাজক তাকে সাত দিন পৃথক জায়গায় রাখবে। \v 5 সপ্তম দিনে যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি তার নজরে ক্ষত অপরিবর্তিত থাকে ও চামড়ায় তা প্রসারিত না হয়, তাহলে আরও সাত দিন যাজক তাকে পৃথক জায়গায় রাখবে। \v 6 সপ্তম দিনে যাজক আবার তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি ক্ষত মুছে যায় ও চামড়ায় প্রসারিত না হয় তাহলে যাজক তাকে শুচি ঘোষণা করবে। মানুষটির শুধু ফুসকুড়ি হয়েছে। সে অবশ্যই তার পরিধান ধুয়ে নেবে ও শুচি হবে। \v 7 নিজে শুচি ঘোষিত হওয়ার জন্য যাজকের কাছে নিজেকে দেখানোর পরে যদি সেই ফুসকুড়ি তার চামড়ায় প্রসারিত হয়, তাহলে সে আবার যাজকের সামনে উপস্থিত হবে। \v 8 যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি তার চামড়ায় ফুসকুড়ি প্রসারিত হয়ে থাকে তাহলে যাজক তাকে অশুচি বলবে; এটি এক সংক্রামক রোগ। \p \v 9 “যখন কারোর সংক্রামক চর্মরোগ হয়, যাজকের কাছে তাকে আনতেই হবে। \v 10 যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি চামড়ায় সাদা রংয়ের ফোঁড়া হয় ও লোম সাদা রং হয়ে যায় এবং ফোঁড়াতে কাঁচা মাংস থাকে, \v 11 তাহলে এটি এক দুরারোগ্য চর্মরোগ এবং যাজক তাকে অশুচি বলবে ও তাকে আলাদা জায়গায় রাখবে না, কারণ ইতিমধ্যে সে অশুচি হয়েছে। \p \v 12 “যদি তার সারা শরীরে রোগ প্রসারিত হয় এবং যাজকের নজরে পড়ে যে সংক্রমিত মানুষটি আপাদমস্তক রোগগ্রস্ত, \v 13 তাহলে যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি তার সারা শরীর রোগে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে, তাহলে যাজক তাকে শুচি বলবে। যেহেতু তার সারা শরীর সাদা হয়ে গিয়েছে, তাই সে শুচি। \v 14 কিন্তু যখনই তার দেহে কাঁচা মাংস দেখা যায়, সে অশুচি হবে। \v 15 কাঁচা মাংস যাজকের নজরে পড়লে যাজক তাকে অশুচি বলবে। কাঁচা মাংস অশুচি; তার সংক্রমিত রোগ হয়েছে। \v 16 কাঁচা মাংস অপরিবর্তিত হয়ে যদি সাদা রং হয়ে যায়, তাহলে সে অবশ্যই যাজকের কাছে যাবে। \v 17 যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি ক্ষতস্থানগুলি সাদা রং হয়, তাহলে সংক্রমিত মানুষটিকে যাজক শুচি বলবে; এইভাবে সে শুচি হবে। \p \v 18 “যখন কারোর চামড়ায় একটি ফোঁড়া থাকে এবং তা সেরে যায়, \v 19 আর ফোঁড়ার জায়গায় সাদা রংয়ের অথবা হালকা শ্বেতির ছোপ দেখা যায়, তাহলে তাকে অবশ্যই যাজকের কাছে আনতে হবে। \v 20 যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি চামড়ার গভীরতার চেয়েও তা বেশি গভীর দেখায় ও সংক্রমিত স্থানের লোম সাদা হয়ে যায়, তাহলে যাজক তাকে অশুচি বলবে। এটি এক সংক্রামক চর্মরোগ, যা ফোঁড়া রূপে উৎপাদিত হয়েছে। \v 21 কিন্তু যাজকের পরীক্ষায় যদি দেখা যায়, তাতে সাদা রংয়ের লোম নেই এবং চামড়ার গভীরতার চেয়ে তা বেশি গভীর নয়, দাগ মুছে গিয়েছে, তাহলে যাজক সাত দিনের জন্য তাকে পৃথক রাখবে। \v 22 যদি চামড়ায় দাগ প্রসারিত হতে থাকে, তাহলে যাজক তাকে অশুচি বলবে; রোগটি সংক্রামক। \v 23 কিন্তু যদি দাগ অপরিবর্তিত থাকে এবং না বাড়ে, এটি ফোঁড়ার ক্ষতচিহ্নমাত্র ও যাজক তাকে শুচি বলবে। \p \v 24 “যখন কারো চামড়া পুড়ে যায় এবং পোড়া কাঁচা মাংসে হালকা রক্তিম সাদাটে অথবা সাদা দাগ দেখা যায়, \v 25 তাহলে যাজক সেই দাগ পরীক্ষা করবে এবং যদি ওই স্থানের লোম সাদা রং হয়ে যায় ও চামড়া থেকে অংশটি নিম্ন মানের মনে হয়, তাহলে এটি এক সংক্রামক রোগ, যা আগুনে পুড়ে উৎপন্ন হয়েছে। যাজক তাকে অশুচি বলবে; এটি সংক্রামক এক চর্মরোগ। \v 26 কিন্তু যদি যাজক দ্বারা পরীক্ষা করার পর ক্ষতস্থানে সাদা রংয়ের লোম না দেখা যায় ও চামড়ার গভীরে না থাকে, দাগ মুছে যায়, তাহলে যাজক সাত দিনের জন্য তাকে পৃথক স্থানে রাখবে। \v 27 সপ্তম দিনে যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি তার চর্মরোগ ছড়িয়ে যায়, তাহলে যাজক তাকে অশুচি বলবে; এটি সংক্রামক এক চর্মরোগ। \v 28 অন্যদিকে, যদি দাগ অপরিবর্তিত থাকে এবং চামড়ায় ছড়িয়ে না যায়, কিন্তু দাগ দেখা না যায়, তাহলে তা আগুনে পোড়া এক ফোলা অংশ এবং যাজক তাকে শুচি বলবে; এটি কেবল আগুনে পোড়া এক ক্ষতচিহ্ন। \p \v 29 “যদি কোনো নর বা নারীর মাথায় কিংবা থুতনিতে ক্ষত থাকে, \v 30 তাহলে যাজক সেই ক্ষত পরীক্ষা করবে এবং যদি সেই ক্ষত চামড়ার চেয়েও গভীরে থাকে এবং ক্ষতস্থানের লোম হলুদ ও রুগ্ন হয়, তাহলে ওই মানুষকে যাজক অশুচি ঘোষণা করবে; এটি মস্তকের অথবা থুতনির এক সংক্রামক রোগ। \v 31 কিন্তু যদি যাজক দ্বারা এই ধরনের ক্ষত পরীক্ষা করার পর তা চামড়ার চেয়েও গভীরে না থাকে এবং সেখানে কালো রংয়ের লোম দেখা না যায়, তাহলে রোগগ্রস্ত মানুষটিকে যাজক সাত দিনের জন্য পৃথক জায়গায় রাখবে। \v 32 সপ্তম দিনে যাজক তার ক্ষতস্থান পরীক্ষা করবে এবং যদি সেটি প্রসারিত না হয় ও সেখানে হলুদ রংয়ের লোম না থাকে এবং চামড়ার চেয়েও গভীরে এর অবস্থান না থাকে, \v 33 তাহলে রোগগ্রস্ত নর বা নারীর ক্ষতস্থান ছাড়া সর্বত্র লোম চেঁচে ফেলবে এবং যাজক সাত দিনের জন্য তাকে পৃথক জায়গায় রাখবে। \v 34 সপ্তম দিনে যাজক তার ক্ষত পরীক্ষা করবে এবং যদি চামড়ায় ক্ষতের প্রসারণ না দেখা যায় ও চামড়ার চেয়েও গভীরে এর অবস্থান না হয়, তাহলে যাজক তাকে শুচি ঘোষণা করবে। সে তার পরিধান অবশ্যই ধুয়ে পরিষ্কার করবে ও নিজে শুদ্ধ হবে। \v 35 কিন্তু যদি যাজক দ্বারা তাকে শুচি ঘোষণা করার পর তার চামড়ায় ক্ষত প্রসারিত হয়, \v 36 তাহলে যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি চামড়ায় প্রসারিত ক্ষত দেখা যায়, তাহলে যাজকের হলুদ রংয়ের লোম দেখার প্রয়োজন নেই; মানুষটি অশুচি। \v 37 অন্যদিকে, তার বিচারে যদি দাগ অপরিবর্তিত থাকে এবং সেখানে কালো রংয়ের লোম উৎপন্ন হয়, তাহলে ক্ষত নিরাময় হয়েছে। সে শুচিশুদ্ধ এবং যাজক তাকে শুদ্ধ ঘোষণা করবে। \p \v 38 “যখন কোনো নর বা নারীর চামড়ায় সাদা রং দাগ দেখা যায়, \v 39 তাহলে যাজক সমস্ত দাগ পরীক্ষা করবে এবং যদি দাগগুলি হালকা সাদা রং থাকে, তাহলে তা ক্ষতিহীন ফুসকুড়ি, যা চামড়ায় ফুটে উঠেছে; সেই ব্যক্তি শুদ্ধ। \p \v 40 “যদি কোনো মানুষের মাথায় চুল না থাকে ও তার টাক পড়ে, সে শুচি। \v 41 যদি তার মাথার সামনের দিকে চুল না থাকে এবং টাকপড়া কপাল দেখা যায়, তাহলে সে শুচি। \v 42 কিন্তু যদি তার টাক মাথায় বা কপালে হালকা রক্তিম সাদাটে ক্ষত থাকে, তাহলে তা মাথায় বা কপালে অঙ্কুরিত এক সংক্রামক রোগ। \v 43 যাজক তাকে পরীক্ষা করবে এবং যদি তার মাথায় অথবা কপালে ফুলে ওঠা ক্ষত এবং সংক্রামক চামড়ার রোগের মতো হালকা রক্তিম সাদাটে হয়, \v 44 তাহলে মানুষটি রোগগ্রস্ত ও অশুচি। তার মাথায় ক্ষতের কারণে যাজক তাকে অশুচি ঘোষণা করবে। \p \v 45 “এমন এক সংক্রামক রোগগ্রস্ত মানুষ অবশ্যই ছেঁড়া কাপড় পরবে, তার চুল এলোমেলো থাকুক; সে তার মুখমণ্ডলের নিচের দিকটি ভাগ ঢেকে রাখবে ও তারস্বরে বলবে ‘অশুচি! অশুচি!’ \v 46 যতদিন তার ক্ষত থাকবে, তাকে অশুচি বলা হবে। সে অবশ্যই একলা থাকবে; সে অবশ্যই শিবিরের বাইরে দিন কাটাবে। \s1 ছাতারোগ সম্বন্ধে নিয়মাবলি \p \v 47 “ছাতারোগ দ্বারা যদি কোনো কাপড় কলঙ্কিত হয়, হতে পারে তা পশমি বা মসিনা কাপড়, \v 48 তাঁতের কাপড়, অথবা মসিনা কিংবা পশমে বোনা, যে কোনো চামড়ার উপাদান অথবা চামড়ার জিনিস, \v 49 যদি কাপড়ে অথবা চামড়ায়, কিংবা তাঁত কাপড়ে বা বোনা উপাদানে অথবা চামড়ার জিনিসে কলঙ্ক থাকে, সবুজ অথবা হালকা রক্তিম রং পাওয়া যায়, তাহলে প্রসারিত ছাতারোগ এবং অবশ্যই তা যাজককে দেখাতে হবে। \v 50 যাজক ওই ছাতারোগ পরীক্ষা করবে ও সাত দিনের জন্য রোগগ্রস্ত উপাদান বিচ্ছিন্ন রাখবে। \v 51 সপ্তম দিনে সে সেটি পরীক্ষা করবে এবং যদি ছাতারোগ কাপড়ে, অথবা কোনো বোনায়, কিংবা বোনা পরিধানে, অথবা চামড়ায়, কিংবা ব্যবহার করা যে কোনো জিনিসে প্রসারিত হয়ে থাকে, তাহলে তা এক মারাত্মক ছাতারোগ, অশুচি জিনিস। \v 52 সে ওই কাপড়, অথবা তাঁতের কাপড়, কিংবা পশম বা মসিনার কাপড় অথবা কলঙ্কিত যে কোনো চর্মজাত জিনিস পোড়াবে, কেননা ছাতারোগ ধ্বংসাত্মক। ওই জিনিস অবশ্যই পুড়িয়ে দিতে হবে। \p \v 53 “কিন্তু যাজক দ্বারা পরীক্ষার পর যদি দেখা যায় ছাতারোগ কাপড়ে কিংবা কোনো বয়ন শিল্পে বা বোনা উপাদানে অথবা চর্মজাত দ্রব্যে প্রসারিত না হয়, \v 54 তাহলে সেই কলঙ্কিত জিনিস ধুয়ে নিতে তাকে আদেশ দেওয়া হবে। পরে আরও সাত দিনের জন্য সে ওই জিনিস দূরে রাখবে। \v 55 প্রভাবিত জিনিস ধোয়ার পরে যাজক সেটি পরীক্ষা করবে এবং যদি ছাতারোগের ছোপ পরিবর্তিত না হয় ও তার প্রসারণ নজরে না পড়ে, তবুও এটি অশুদ্ধ। একদিকে বা অন্যদিকে প্রভাবিত ছাতা আগুনে পোড়াতে হবে। \v 56 যদি যাজক দ্বারা পরীক্ষিত হয়ে জিনিসটি ধোয়ার পরে ছাতারোগ না দেখা যায়, তাহলে কলঙ্কিত কাপড়ের টুকরো অথবা চামড়া কিংবা বয়ন শিল্প বা বোনা উপাদান সে ছিঁড়ে ফেলবে। \v 57 কিন্তু যদি তা কাপড়ে অথবা বয়ন শিল্পে কিংবা বোনা উপাদানে বা চামড়ার জিনিসে আবার দেখা যায়, তাহলে তা ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং অল্পবিস্তর ছাতারোগ অবশ্যই আগুনে পোড়াতে হবে। \v 58 কাপড় অথবা বয়ন শিল্প কিংবা বোনা উপাদান অথবা চামড়ার জিনিস যা ধোয়া হয়েছে ও সেটি ছাতারোগ মুক্ত দেখা যায়, তাহলে ওই জিনিস অবশ্যই পুনরায় ধুয়ে নিতে হবে, তাহলে সেটি শুদ্ধ হবে।” \p \v 59 পশমি বা মসিনার কাপড়, বয়ন শিল্প কিংবা বোনা উপাদান অথবা চর্মজাত যে কোনো জিনিসের মলিনতা সম্বন্ধে নিয়মাবলি রয়েছে যেগুলি শুদ্ধ অথবা অশুদ্ধ বলা যেতে পারে। \c 14 \s1 সংক্রামক চর্মরোগ থেকে শুদ্ধকরণ \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “রোগগ্রস্ত ব্যক্তির পক্ষে তার আনুষ্ঠানিক শুচিশুদ্ধ হওয়ার সময় নিয়মাবলি এই ধরনের, যখন তাকে যাজকের কাছে আনা হয়: \v 3 যাজক শিবিরের বাইরে যাবে ও তাকে পরীক্ষা করবে। যদি সেই ব্যক্তির সংক্রামক চর্মরোগ সুস্থ হয়ে থাকে, \v 4 তাহলে তার শুচিকরণের জন্য যাজক দুটি জীবিত শুচি পাখি কিছু দেবদারু কাঠ, লাল রংয়ের সুতো ও এসোব আনতে আদেশ দেবে। \v 5 পরে যাজক মাটির পাত্রে টাটকা জলের উপরে একটি পাখিকে হত্যা করতে আদেশ দেবে। \v 6 এবারে যাজক জীবিত পাখিটি নেবে এবং দেবদারু কাঠ, লাল রংয়ের সুতো ও এসোবের সঙ্গে ওই পাখি টাটকা জলের উপরে বধ করা পাখির রক্তে ডুবিয়ে রাখবে। \v 7 সংক্রামক রোগগ্রস্ত ব্যক্তিকে শুচিশুদ্ধ করার জন্য যাজক সাতবার রক্ত ছিটাবে ও তাকে শুচি ঘোষণা করবে। পরে যাজক জীবিত পাখিটিকে খোলা মাঠে মুক্তি দেবে। \p \v 8 “ওই রোগী শুচি হওয়ার জন্য অবশ্যই তার পরিধান ধুয়ে নেবে, তার মাথার সমস্ত চুল নেড়া করবে ও জলে স্নান করবে। এবারে সে আনুষ্ঠানিকভাবে শুচিশুদ্ধ হবে। এরপরে সে শিবিরে আসতে পারে, কিন্তু সাত দিনের জন্য তাকে তাঁবুর বাইরে থাকতে হবে। \v 9 সপ্তম দিনে সে তার সর্বাঙ্গের লোম চেঁচে ফেলবে; সে মাথার চুল, দাড়ি, ভুরুর ও সর্বাঙ্গের সমস্ত লোম চেঁচে ফেলবে। সে তার পোশাক অবশ্যই ধুয়ে নেবে, নিজেও জলে স্নান করবে ও শুচিশুদ্ধ হবে। \p \v 10 “অষ্টম দিনে দুটি মদ্দা মেষশাবক এবং একটি এক বছরের মেষী সে অবশ্যই আনবে, যেগুলির প্রত্যেকটি হবে নিখুঁত, সঙ্গে থাকবে শস্য-নৈবেদ্যর জন্য তেলমিশ্রিত মিহি ময়দার এক ঐফার\f + \fr 14:10 \fr*\ft প্রায় 5 কিলোগ্রাম\ft*\f* দশ ভাগের তিন ভাগ ও এক লোগ\f + \fr 14:10 \fr*\ft প্রায় 0.3 লিটার; আরও 12, 15, 21 ও 24 পদে আছে\ft*\f* তেল। \v 11 যে যাজক তাকে শুচি ঘোষণা করবে, সে তাকে ও তার নৈবেদ্য উভয়কে সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত করবে। \p \v 12 “পরে যাজক একটি মদ্দা মেষশাবক নেবে ও এক লোগ তেলের সঙ্গে দোষার্থক-নৈবেদ্যরূপে তা উৎসর্গ করবে। দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে বলিদান নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে যাজক সেগুলি দোলাবে। \v 13 যাজক পবিত্রস্থানে সেই মেষশাবকটি বধ করবে, যেখানে পাপার্থক বলি ও হোমবলি বধ করা হয়। পাপার্থক বলির মতো দোষার্থক-নৈবেদ্য যাজকের; এটি অত্যন্ত পবিত্র। \v 14 যাজক দোষার্থক-নৈবেদ্যের কিছুটা রক্ত নিয়ে যে শুচি হবে তার ডান কানের লতি, তার ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ও তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে রক্তের প্রলেপ দেবে শুচি হবার জন্য। \v 15 এবারে যাজক এক লোগ তেলের কিছুটা নেবে এবং আপন বাম হাতের তালুতে ঢালবে, \v 16 তার হাতে ঢালা তেলের মধ্যে তার তর্জনী ডোবাবে এবং সদাপ্রভুর সামনে আঙুল দিয়ে সাতবার তেল ছিটাবে। \v 17 যাজক তার হাতের অবশিষ্ট তেলের কিছুটা তেল নেবে, এবং শুচিকরণ প্রার্থীর ডান কানের লতিতে, তার ডান হাতের বুড়ো আঙুলে, ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে দোষার্থক-নৈবেদ্যের রক্তের উপরে ঢেলে দেবে। \v 18 যাজক তার হাতের অবশিষ্ট তেল শুচিকরণ প্রার্থীর মাথায় ঢালবে ও সদাপ্রভুর সামনে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে। \p \v 19 “পরে যাজক পাপার্থক বলি উৎসর্গ করবে ও অশুচিতা থেকে শুচিতা প্রত্যাশী প্রার্থীর জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে। এরপরে যাজক হোমবলির পশু বধ করবে। \v 20 এরপরে শস্য-নৈবেদ্যের সঙ্গে যাজক বেদিতে ওই প্রার্থীর জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং সে শুচিশুদ্ধ হবে। \p \v 21 “অন্যদিকে, যদি সে দরিদ্র হয় ও বলিদানের সামগ্রী জোগাতে না পারে, তবুও দোষার্থক-নৈবেদ্যরূপে একটি মদ্দা মেষশাবক তাকে আনতেই হবে এবং শস্য-নৈবেদ্যরূপে তেলমিশ্রিত মিহি ময়দার এক ঐফার দশমাংশ ও এক লোগ তেল সহযোগে প্রায়শ্চিত্ত সাধনার্থে নৈবেদ্য দোলাতে হবে। \v 22 সে তার সংগতি অনুসারে দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোতশাবক আনবে এবং পাপার্থক বলিদানার্থে একটি ও হোমবলিদানার্থে অন্যটি উৎসর্গ করবে। \p \v 23 “সে তার শুদ্ধকরণের জন্য অষ্টম দিনে সদাপ্রভুর সামনে সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে যাজকের কাছে উল্লিখিত ঘুঘু অথবা কপোত আনবে। \v 24 যাজক এক লোগ তেল সহযোগে দোষার্থক-নৈবেদ্যদানের পক্ষে মেষশাবক গ্রহণ করবে ও দোলনীয়-নৈবেদ্যরূপে সেগুলি সদাপ্রভুর সামনে দোলাবে। \v 25 দোষার্থক-নৈবেদ্যদানের জন্য যাজক মেষশাবককে বধ করবে ও কিছুটা রক্ত নিয়ে শুচিতা প্রত্যাশী প্রার্থীর ডান কানের লতিতে, তার ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ও তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে রক্তের প্রলেপ দেবে। \v 26 যাজক তার বাম হাতের তালুতে কিছুটা তেল ঢালবে \v 27 এবং তার হাতের তালু থেকে ডান তালুতে কিছুটা তেল নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে সাতবার ছিটাবে। \v 28 দোষার্থক-নৈবেদ্যের রক্ত যেখানে ঢালা হয়েছিল সেখানে, শুচিতা প্রত্যাশী প্রার্থীর ডান কানের লতিতে, তার ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ও তার ডান পায়ের বুড়ো আঙুলে যাজক তার হাতের তালু থেকে কিছুটা তেল ঢালবে। \v 29 যাজক তার হাতের তালুর অবশিষ্ট তেল ওই প্রার্থীর মাথায় ঢালবে, এবং এইভাবে সদাপ্রভুর সামনে তার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে। \v 30 পরে সে তার সংগতি অনুসারে দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোতশাবককে উৎসর্গ করবে। \v 31 ঘুঘু অথবা কপোতশাবকের একটি পাপার্থক বলিরূপে এবং অন্যটি হোমবলিরূপে শস্য-নৈবেদ্য সহকারে সে উৎসর্গ করবে। এইভাবে শুচিকৃত হতে ইচ্ছুক ব্যক্তির পক্ষে সদাপ্রভুর সামনে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে।” \p \v 32 যে কোনো ব্যক্তির পক্ষে নিয়মাবলি এই ধরনের, যার সংক্রামক চামড়ার রোগ হয়েছে এবং যে তার শুচিতার জন্য নিয়মিত বলিদান দিতে অক্ষম। \s1 ছাতারোগ থেকে শুদ্ধকরণ \p \v 33 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 34 “তোমরা যখন কনান দেশে প্রবেশ করবে, যে দেশ আমি তোমাদের অধিকার করতে দিচ্ছি, সেই দেশের কোনো বাড়িতে আমি যখন বিস্তৃত ছাতারোগ উৎপন্ন করব, \v 35 তখন বাড়ির মালিক যাজকের কাছে গিয়ে বলবে, ‘আমার বাড়িতে ছাতারোগের মতো কলঙ্ক আমার নজরে এসেছে।’ \v 36 যাজক ওই ছাতারোগ পরীক্ষা করার আগে বাড়িটি খালি করতে আদেশ দেবে, যেন বাড়ির কোনো জিনিসকে অশুচি না বলা হয়। এরপরে যাজক বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে সেটি পরীক্ষা করবে। \v 37 যাজক দেওয়ালগুলির ছাতারোগ পরীক্ষা করবে এবং যদি হালকা সবুজ অথবা হালকা লাল দাগ দেওয়ালের বাইরের দিকের চেয়ে গাঢ় মনে হয়, \v 38 যাজক বাড়ির দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এবং তা সাত দিন বন্ধ রাখবে। \v 39 সপ্তম দিনে বাড়িটি পরীক্ষা করার জন্য যাজক ফিরে আসবে। যদি সমস্ত দেওয়ালে ছাতারোগ বিস্তৃত দেখা যায়, \v 40 তাহলে তার আদেশে কলুষিত পাথর খুঁড়ে বের করতে হবে ও নগরের বাইরের অশুচি জায়গায় ছুঁড়ে ফেলতে হবে। \v 41 সে বাড়ির ভিতরের দেওয়ালগুলি অবশ্যই ঘষাবে ও ঘষার উপাদানের ধুলো নগরের বাইরে অশুচি জায়গায় ফেলবে। \v 42 পরে তারা অন্য পাথর নিয়ে আগে গাঁথা পাথরের জায়গায় বসাবে ও নতুন প্রলেপ দিয়ে বাড়ি পলস্তরা করবে। \p \v 43 “কলুষিত পাথর ফেলে দেওয়ার, বাড়ি ঘষে পলস্তরা করার পর যদি বাড়িতে ছাতারোগ আবার দেখা যায়, \v 44 তাহলে যাজক গিয়ে তা পরীক্ষা করবে এবং যদি ছাতারোগ বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে সেটি ধ্বংসাত্মক ছাতারোগ; ওই বাড়ি অশুদ্ধ। \v 45 প্রভাবিত সমস্ত পাথর, কাঠ ও পলস্তরা তুলে নগরের বাইরে অশুচি জায়গায় ফেলে দিতে হবে। \p \v 46 “যদি বন্ধ বাড়িতে কেউ প্রবেশ করে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুদ্ধ ঘোষিত হবে। \v 47 যে কেউ সেই বাড়িতে ঘুমায় অথবা খাবার খায়, সে তার কাপড় অবশ্যই ধুয়ে নেবে। \p \v 48 “যদি যাজক তা পরীক্ষা করতে আসে ও সেই বাড়ি পলস্তরা করার পর ছাতারোগ ছড়িয়ে পড়তে না দেখা যায়, তাহলে সেই বাড়িকে সে শুচি আখ্যা দেবে, কারণ ছাতারোগ নিরসন হয়েছে। \v 49 ওই বাড়ি পবিত্র করার জন্য যাজক দুটি পাখি, কিছু দেবদারু কাঠ, উজ্জ্বল লাল রংয়ের পাকানো সুতো ও এসোব নেবে। \v 50 মাটির পাত্রে টাটকা জলের ওপরে সে একটি পাখিকে বধ করবে। \v 51 এবারে সে দেবদারু কাঠ, এসোব, উজ্জ্বল লাল রংয়ের পাকানো সুতো নিয়ে মৃত পাখির রক্তে ও টাটকা জলে ডোবাবে এবং সাতবার সেই বাড়িতে ছিটাবে। \v 52 পাখির রক্ত, টাটকা জল, জীবিত পাখি, দেবদারু কাঠ, এসোব ও উজ্জ্বল লাল রংয়ের পাকানো সুতো দিয়ে সে বাড়িটি শুদ্ধ করবে। \v 53 পরে নগরের বাইরে খোলা মাঠে সে জীবিত পাখিকে ছেড়ে দেবে। এইভাবে বাড়িটির জন্য সে প্রায়শ্চিত্ত করবে ও সেই বাড়ি শুদ্ধ হবে।” \p \v 54 এই নিয়মাবলি যে কোনো সংক্রামক চামড়ার রোগ, চুলকানি, \v 55 কাপড়ে অথবা বাড়িতে ছাতারোগ, \v 56 এবং কোনো আব, ফুসকুড়ি অথবা উজ্জ্বল দাগের জন্য, \v 57 যেন কোনো কিছুর শুদ্ধতা বা অশুদ্ধতা নির্ণয় করা যায়। \p এসব নিয়মাবলি সংক্রামক চর্মরোগ ও ছাতারোগের জন্য। \c 15 \s1 ক্ষরণ যা অশুচি করে \p \v 1 সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, \v 2 “তোমরা ইস্রায়েলীদের বলো, ‘যখন কারোর দেহে অস্বাভাবিক ক্ষরণ হয়, সেই ক্ষরণ অশুদ্ধ। \v 3 তার দেহ থেকে ক্ষরণ অব্যাহত বা বদ্ধ থাকলে সেটি তাকে অশুচি করবে। এইভাবে তার ক্ষরণ অশুচিতা নিয়ে আসবে। \p \v 4 “ ‘ক্ষরণযুক্ত কোনো ব্যক্তি বিছানায় শুলে সেই বিছানা অশুচি হবে এবং আসন বা যা কিছুর উপরে সে বসবে, সেটি অশুচি বিবেচিত হবে। \v 5 যদি কেউ তার বিছানা স্পর্শ করে, তাকে তার কাপড় অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে এবং জলে স্নান করতে হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। \v 6 ক্ষরণযুক্ত মানুষটির বসা আসবাবপত্রের ওপরে যদি কেউ বসে, তাকে তার কাপড় ধুয়ে নিতেই হবে ও সে জলে স্নান করবে ও সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে অশুচি বলা হবে। \p \v 7 “ ‘ক্ষরণযুক্ত মানুষকে যে কেউ স্পর্শ করবে, সে অবশ্যই তা পরিহিত কাপড় ধোবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। \p \v 8 “ ‘ক্ষরণযুক্ত মানুষ যদি কারোর দেহে থুতু ফেলে, যে শুচি, সেই ব্যক্তি নিজের কাপড় ধোবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে। \p \v 9 “ ‘ক্ষরণযুক্ত মানুষটি যে কোনো গাড়িতে চড়ে, সেই গাড়ি অশুচি হয় \v 10 এবং তার বসার জায়গায় নিচে রাখা কোনো জিনিস যদি কেউ স্পর্শ করে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই জিনিসটি অশুচি থাকবে। যে কেউ সেই জিনিসগুলি তুলে নেয়, তাকে অবশ্যই নিজ কাপড় ধুতে ও জলে স্নান করতে হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুচি থাকবে। \p \v 11 “ ‘ক্ষরণযুক্ত মানুষ তার হাত না ধুয়ে যদি কাউকে স্পর্শ করে, সে নিজের কাপড় ধোবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে অশুচি বলা হবে। \p \v 12 “ ‘ওই মানুষটি দ্বারা স্পর্শ করা মাটির পাত্র অবশ্যই ভেঙে ফেলতে হবে ও কাঠের আসবাবপত্র জল দিয়ে ধুতে হবে। \p \v 13 “ ‘ক্ষরণযুক্ত মানুষ যখন শুচি হয়, সে নিজের আনুষ্ঠানিক শুচিতার জন্য সাত দিন গণনা করবে। সে তার কাপড় অবশ্যই ধোবে ও টাটকা জলে স্নান করবে, এভাবে সে শুদ্ধ হবে। \v 14 অষ্টম দিনে সে দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোতশাবক নেবে, সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে সদাপ্রভুর সামনে আসবে এবং ঘুঘু অথবা কপোতশাবক যাজককে দেবে। \v 15 একটি পাপার্থক বলি ও অন্যটি হোমবলিরূপে যাজক পাখিগুলি উৎসর্গ করবে। এইভাবে ক্ষরণযুক্ত মানুষের পক্ষে সদাপ্রভুর সামনে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে। \p \v 16 “ ‘যদি কোনো পুরুষের বীর্যপাত হয়, তাহলে সে তার সমস্ত শরীর জলে ধুয়ে নেবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুদ্ধ থাকবে। \v 17 কোনো কাপড়ে অথবা চামড়ার জিনিসে বীর্যপাত হলে, জলে সেটি ধুতেই হবে ও সেই জিনিসটি সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুদ্ধ থাকবে। \v 18 যদি একটি নারীর সাথে কোনো পুরুষ শয়ন করে এবং বীর্যপাত হয়, তাহলে উভয়ে জলে স্নান করবে ও সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা অশুদ্ধ বিবেচিত হবে। \p \v 19 “ ‘যখন কোনো মহিলার নিয়মিত রক্তস্রাব হয়, ঋতুমতীর মাসিক সময়ের অশুদ্ধতা সাত দিন থাকবে এবং যে কেউ তাকে স্পর্শ করে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুদ্ধ বিবেচিত হবে। \p \v 20 “ ‘মাসিক চলাকালীন যে কিছুর ওপরে সে শোবে, এবং বসবে সবকিছুই অশুচি হবে। \v 21 তার বিছানা স্পর্শকারী যে কেউ নিজের কাপড় ধোবে ও স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুদ্ধ থাকবে। \v 22 তার বসা আসবাব যে কেউ স্পর্শ করে, সে তার কাপড় অবশ্যই ধুয়ে নেবে ও নিজে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে অশুদ্ধ থাকবে। \v 23 বিছানা অথবা তার বসা যে কোনো আসবাবপত্র যদি কেউ স্পর্শ করে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুদ্ধ থাকবে। \p \v 24 “ ‘যদি কোনো পুরুষ ওই নারীর সঙ্গে শয়ন করে ও তার মাসিক রক্তস্রাব ওই পুরুষের দেহে লাগে, তাহলে পুরুষটি সাত দিনের জন্যে অশুদ্ধ থাকবে ও তার শয়ন করা বিছানা অশুদ্ধ বিবেচিত হবে। \p \v 25 “ ‘যদি কোনো মহিলার মাসিক কাল চেয়েও একবারে দীর্ঘদিন ধরে রক্তস্রাব হয়, অথবা তার রক্তস্রাব নিয়মিত সময় অতিক্রম করে, তাহলে তার মাসিক ঋতুস্রাবের দিনগুলির মতো অনিয়মিত দীর্ঘকাল পর্যন্ত সে অশুদ্ধ থাকবে। \v 26 রক্তস্রাব চলাকালীন তার শোয়ার বিছানা অশুদ্ধ হবে, যেমন তার মাসিক ঋতুকালের বিছানা অশুদ্ধ হবে, যেমন তার অশৌচকালের সময় তার বিছানা অশুদ্ধ হয় এবং তার বসা যে কোনো আসন তার অশৌচকালের মতো অশুদ্ধ হবে। \v 27 সেগুলি স্পর্শকারী যে কেউ অশুদ্ধ হবে; সে নিজের কাপড় অবশ্যই ধুয়ে নেবে ও নিজে জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে অশুদ্ধ বলা হবে। \p \v 28 “ ‘তার রক্তস্রাব থেকে যখন সে শুদ্ধ হবে, সে নিজের জন্য সাত দিন গণনা করবে এবং এরপরে আনুষ্ঠানিকভাবে সে শুদ্ধ হবে। \v 29 অষ্টম দিনে দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোতশাবক সে নেবে এবং সমাবেশ-তাঁবুর প্রবেশদ্বারে যাজকের হাতে সেগুলি তুলে দেবে। \v 30 একটি পাপার্থক বলি ও অন্যটি হোমবলিরূপে পাখিগুলিকে যাজক উৎসর্গ করবে। এভাবে মহিলাটির স্রাবের অশুচিতার জন্য সদাপ্রভুর সামনে প্রায়শ্চিত্ত করবে। \p \v 31 “ ‘তোমরা সমস্ত অশুচিতা থেকে ইস্রায়েলীদের পৃথক রাখবে, যেন আমার বাসস্থান অশুচি করার দ্বারা তাদের অশুচিতায় তাদের মৃত্যু না হয়, যা তাদের মধ্যবর্তী।’ ” \p \v 32 পুরুষের যে কোনো ক্ষরণ, বীর্যপাতের হেতু যে কোনো পুরুষের অশুচিতার জন্য এসব নিয়মবিধি, \v 33 কারণ কোনো নারীর মাসিক রক্তস্রাবের ক্ষেত্রে, কোনো পুরুষ অথবা মহিলার ক্ষরণের পক্ষে এবং কোনো মহিলার সঙ্গে শয়নকারী আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি পুরুষের জন্য নিয়মগুলি প্রযোজ্য। \c 16 \s1 প্রায়শ্চিত্তের দিন \p \v 1 হারোণের দুই ছেলে সদাপ্রভুর কাছে এসে মারা যাওয়ার পর সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে কথা বললেন। \v 2 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি তোমার দাদা হারোণকে বলো, সে যেন মহাপবিত্র জায়গায় তিরস্কারিণীর পিছনে সিন্দুকের সামনে পাপাবরণের জায়গায় যখন তখন যেন প্রবেশ না করে, অন্যথায় সে মরবে, কারণ পাপাবরণের ওপরে মেঘের মধ্যে আমি আবির্ভূত হই। \p \v 3 “পাপার্থক বলিরূপে একটি বাছুর ও হোমবলিরূপে একটি মেষ সঙ্গে নিয়ে হারোণ মহাপবিত্র জায়গায় প্রবেশ করবে। \v 4 মসিনার পবিত্র নিমা সে গায়ে দেবে, মসিনার অন্তর্বাস পরবে, মসিনার কটিবন্ধন বাঁধবে ও মসিনার পাগড়িতে বিভূষিত হবে। এগুলি পবিত্র পোশাক সুতরাং এই পোশাক পরার আগে সে অবশ্যই স্নান করবে। \v 5 পাপার্থক বলির জন্য দুটি পুংছাগ ও হোমবলির জন্য একটি মেষ ইস্রায়েলী সমাজ থেকে সে সংগ্রহ করবে। \p \v 6 “হারোণ নিজের পাপার্থক বলিরূপে প্রায়শ্চিত্ত সাধনার্থে ও তার কুলের পক্ষে বাছুরটি উৎসর্গ করবে। \v 7 পরে সে দুটি ছাগল নেবে এবং সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে সদাপ্রভুর সামনে রাখবে। \v 8 পরে দুটি ছাগলের পক্ষে সে গুটিকাপাত করবে। সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটি ছাগল ও অন্যদের অপরাধে দণ্ডিত হবার জন্য অন্য ছাগলের ভাগ্য নির্ণীত হবে। \v 9 সদাপ্রভুর উদ্দেশে নির্ণীত ছাগকে এনে হারোণ পাপার্থক বলি উৎসর্গ করবে। \v 10 কিন্তু অন্যদের জন্য শাস্তি পাওয়ার জন্য মনোনীত ছাগটিকে জীবিতাবস্থায় সদাপ্রভুর সামনে আনতে হবে ও প্রায়শ্চিত্ত সাধনার্থে অন্যের পক্ষে দণ্ডিতরূপে তাকে মরুপ্রান্তরে পাঠাতে হবে। \p \v 11 “হারোণ নিজের পাপার্থক বলিরূপে বাছুর আনবে এবং তার ও তার কুলের পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং আপন পাপার্থক বলিদানার্থে সে বাছুরটিকে বধ করবে। \v 12 সদাপ্রভুর সামনের বেদি থেকে সে জ্বলন্ত কয়লাপূর্ণ ধূপাধার নেবে এবং পূর্ণ দুই মুঠো চূর্ণীকৃত সুগন্ধি ধূপ নিয়ে পর্দার পিছনে রাখবে। \v 13 সদাপ্রভুর সামনে আগুনের মধ্যে সে ধূপ নিক্ষেপ করবে; ফলে সাক্ষ্য-সিন্দুকের ওপরে রাখা পাপাবরণ ধূপের ধূমমেঘে আচ্ছন্ন হবে; সুতরাং সে মরবে না। \v 14 সে বাছুরটির কিছুটা রক্ত নেবে ও তার আঙুল দিয়ে পাপাবরণের সামনে ছিটাবে; পরে সে তার আঙুল দিয়ে কিছুটা রক্ত নিয়ে পাপাবরণের সামনে সাতবার ছিটাবে। \p \v 15 “এবারে লোকদের জন্য পাপার্থক বলিদানার্থে সে ছাগকে বধ করবে এবং বাছুরটির রক্ত ছিটানোর মতো ছাগলের রক্ত ছিটাবে। পাপাবরণের উপরে সাতবার ছিটাবে। \v 16 এভাবে মহাপবিত্র স্থানের জন্য সে প্রায়শ্চিত্ত করবে, কেননা ইস্রায়েলীদের রকমারি অশুচিতা, বিরোধিতা ও অন্যান্য পাপ সেখানে ঘটেছিল। সমাগম তাঁবুর জন্য সে একই কাজ করবে, যা তাদের অশুচিতার মাঝে তাদের মধ্যে রয়েছে। \v 17 মহাপবিত্র জায়গায় প্রায়শ্চিত্ত সাধনার্থে হারোণ চলে যাওয়ার সময় থেকে তার ফিরে না আসা পর্যন্ত সমাগম তাঁবুতে কেউ যাবে না। সে নিজের জন্য, তার কুলের পক্ষে ও সমগ্র ইস্রায়েল সমাজের জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধনের পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে। \p \v 18 “পরে সদাপ্রভুর সম্মুখবর্তী বেদির সামনে সে আসবে ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করবে। সে বাছুরটির কিছুটা রক্ত ও ছাগলের কিছুটা রক্ত নেবে এবং বেদির সমস্ত শিং-এ ঢালবে। \v 19 বেদি শুচি করতে ও ইস্রায়েলীদের সব ধরনের অশুচিতা থেকে বেদিকে পবিত্র করার জন্য সে তার আঙুল দিয়ে কিছুটা রক্ত নিয়ে সাতবার ছিটাবে। \p \v 20 “মহাপবিত্র স্থান, সমাগম তাঁবুর ও বেদির জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধনের পর হারোণ জীবিত ছাগকে সামনে আনবে। \v 21 জীবিত ছাগলের মাথায় সে তার দু-হাত রাখবে এবং ইস্রায়েলীদের সমস্ত দুষ্টতা, বিরোধিতা স্বীকার করবে তাদের সকল পাপ ছাগলের মাথার ওপরে রাখা হবে। দায়িত্ব পালনার্থে নিযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সে ছাগটিকে প্রান্তরে পাঠিয়ে দেবে। \v 22 ছাগটি তাদের সব পাপ বহন করে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যাবে ও তত্ত্বাবধায়ক ছাগটিকে মরুপ্রান্তরে ছেড়ে দেবে। \p \v 23 “পরে হারোণ সমাগম তাঁবুতে যাবে এবং মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করার আগে পরিহিত সব মসিনার পোশাক ছাড়বে ও সেগুলি সেখানে রাখবে। \v 24 এক পবিত্রস্থানে সে জলে স্নান করবে এবং তার নিয়মিত কাপড় পরবে। এবারে সে বাইরে আসবে এবং নিজের জন্য হোমবলি ও লোকদের জন্য হোমবলি উৎসর্গ করবে, এইভাবে নিজের জন্য ও লোকদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধিত হবে। \v 25 আর সে পাপার্থক বলির মেদ বেদিতে পোড়াবে। \p \v 26 “অন্যের জন্য দণ্ডিত ছাগকে যে ব্যক্তি মুক্ত করবে, সে তার কাপড় অবশ্যই ধুয়ে নেবে ও জলে স্নান করবে; পরে সে শিবিরে আসতে পারে। \v 27 পাপার্থক বলির জন্য আনা বাছুর ও ছাগলের রক্ত প্রায়শ্চিত্ত সাধনের জন্য মহাপবিত্র স্থান থেকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যেতেই হবে; তাদের চামড়া, মাংস ও নাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দিতে হবে। \v 28 এগুলি যে ব্যক্তি জ্বালাবে, সে তার কাপড় অবশ্যই ধুয়ে নেবে ও নিজে জলে স্নান করবে; পরে সে শিবিরে আসতে পারবে। \p \v 29 “এটি তোমাদের জন্য চিরস্থায়ী বিধি হবে: সপ্তম মাসের দশম দিনে তোমরা আত্মসংযমী হবে এবং স্বদেশি অথবা তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী প্রবাসী কোনো কাজ করবে না, \v 30 কারণ ওই দিনে তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধিত হবে, তোমরা পরিষ্কৃত হবে। পরে সদাপ্রভুর সামনে তোমরা সব পাপ থেকে শুচিশুদ্ধ হবে। \v 31 এই দিন তোমাদের বিশ্রামের জন্য বিশ্রামদিন এবং তোমরা অবশ্যই আত্মসংযমী হবে; এটি চিরস্থায়ী বিধি। \v 32 যে যাজককে অভিষেক ও নিযুক্তি দ্বারা মহাযাজকরূপে তার বাবার উত্তরসূরি করা হবে, সে প্রায়শ্চিত্ত করবে। পবিত্র মসিনা কাপড় সে পরবে \v 33 এবং সমাগম তাঁবু ও বেদির জন্য এবং যাজকদের ও সমাজের সমস্ত লোকের জন্য মহাপবিত্র জায়গায় প্রায়শ্চিত্ত করবে। \p \v 34 “তোমাদের জন্য এটি চিরস্থায়ী বিধি হবে: ইস্রায়েলীদের সব পাপের জন্য বার্ষিক একবার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।” \p এই কাজ করা হল, যেমন সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ করেছিলেন। \c 17 \s1 রক্ত খাওয়া নিষেধ \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “তুমি হারোণকে এবং তার ছেলেদের ও ইস্রায়েলীদের সবাইকে এই কথা বলো, ‘সদাপ্রভু এই আদেশ দিয়েছেন: \v 3 যদি কোনো ইস্রায়েলী শিবিরের মধ্যে অথবা শিবিরের বাইরে গরু, অথবা মেষ কিংবা ছাগল হত্যা করে, \v 4 কিন্তু সদাপ্রভুর আবাসের সামনে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে উপহার উৎসর্গ করতে সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে তা না আনে, তাহলে সেই মানুষটি রক্তপাতের অপরাধী গণিত হবে; সে রক্তপাত করছে; সুতরাং তার পরিজনদের কাছ থেকে সে উচ্ছিন্ন হবে। \v 5 এরপরে ইস্রায়েলীরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিভিন্ন বলিদান আনবে, যেগুলি ওই সময় পর্যন্ত তারা খোলা ময়দানে উৎসর্গ করছিল। তারা যাজকের কাছে সেগুলি অবশ্যই আনবে: অর্থাৎ সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে সদাপ্রভুর সামনে এনে মঙ্গলার্থক বলিরূপে সেগুলি উৎসর্গ করবে। \v 6 সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে সদাপ্রভুর বেদির সামনে যাজক রক্ত ছিটাবে এবং সদাপ্রভুর সুগন্ধি সন্তোষজনক উপহাররূপে মেদ পোড়াবে। \v 7 ছাগল প্রতিমাদের উদ্দেশে তারা আর কোনোরকম বলিদান করবে না, যাদের অনুগমনে তারা ব্যভিচার করেছে। তাদের জন্যে ও আগামী প্রজন্মের জন্য এটি চিরস্থায়ী বিধি।’ \p \v 8 “তাদের বলো, ‘তাদের মধ্যে বসবাসকারী কোনো ইস্রায়েলী অথবা প্রবাসী যদি হোম অথবা বলিদান করে \v 9 এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশে বলিদান করার জন্য সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে ওই নৈবেদ্য না আনে, তাহলে তার পরিজনদের নিকট থেকে সে অবশ্যই উচ্ছিন্ন হবে। \p \v 10 “ ‘তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী কোনো ইস্রায়েলী অথবা কোনো প্রবাসী যদি রক্ত ভোজন করে, তাহলে আমি ওই রক্ত ভোজনকারীর প্রতি বিমুখ হব ও তার পরিজনদের কাছ থেকে তাকে উচ্ছিন্ন করব। \v 11 কেননা একটি প্রাণীর রক্তে জীবন থাকে এবং এই জীবন আমি তোমাদের দিয়েছি, যেন তোমাদের জন্য তোমরা বেদির ওপরে প্রায়শ্চিত্ত করতে পারো; এই রক্ত প্রত্যেকজনের জন্য প্রায়শ্চিত্ত সাধন করে। \v 12 অতএব ইস্রায়েলীদের উদ্দেশে আমি এই কথা বলি, “তোমাদের কেউ অথবা তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী কোনো প্রবাসী যেন রক্ত ভোজন না করে।” \p \v 13 “ ‘কোনো ইস্রায়েল সন্তান অথবা তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী কোনো প্রবাসী যদি মৃগয়াতে গিয়ে ভোজনের উপযোগী পশু অথবা পাখি বধ করে, তাহলে মৃত পশুর অথবা পাখির প্রবাহিত রক্তধারাকে ধুলো দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, \v 14 কারণ প্রত্যেক প্রাণীর জীবন রক্তের মধ্যে রয়েছে। এই কারণে আমি ইস্রায়েলীদের বলেছি, “তোমরা কোনো প্রাণীর রক্ত একেবারে ভোজন করবে না, কারণ রক্তের মধ্যে প্রত্যেক প্রাণীর জীবন রয়েছে, যদি কেউ তা ভোজন করে, তাকে উচ্ছিন্ন হতেই হবে।” \p \v 15 “ ‘স্বদেশি অথবা বিদেশি কেউ যদি কোনো মৃত অথবা বিদীর্ণ বন্যপশুর মাংস ভক্ষণ করে, তাহলে সে নিজের কাপড় অবশ্যই ধুয়ে নেবে ও জলে স্নান করবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত সে আনুষ্ঠানিকভাবে অশুদ্ধ থাকবে; পরে সে শুদ্ধ হবে। \v 16 কিন্তু সে যদি তার কাপড় না ধোয় ও নিজে স্নান না করে, তাহলে সে নিজের অপরাধ বহন করবে।’ ” \c 18 \s1 নিষিদ্ধ যৌন সম্পর্ক \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের বলো, ‘আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \v 3 মিশরে তাদের কর্মের মতো কাজ তোমরা কোরো না, যেখানে তোমরা বসবাস করতে এবং কনান দেশে তাদের কর্মানুযায়ী তোমরা কোনও কাজ কোরো না, যেখানে আমি তোমাদের আনছি। তাদের কোনও অনুশীলন অনুকরণ কোরো না। \v 4 আমার শাসন তোমরা অবশ্যই পালন করবে এবং আমার সব বিধি সযত্নে মানবে। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \v 5 আমার বিধিলিপি ও নিয়মাবলি পালন করবে, কেননা যে ব্যক্তি সেগুলি পালন করে সে এসবের দ্বারা বাঁচবে। আমি সদাপ্রভু। \p \v 6 “ ‘যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য কেউ নিকট আত্মীয়ের কাছে যাবে না। আমি সদাপ্রভু। \p \v 7 “ ‘তোমাদের মায়ের সাথে যৌন সম্পর্ক রেখে তুমি তোমার বাবাকে অশ্রদ্ধা করো না। তিনি তোমার মা; তাঁর সাথে কোনো যৌন সম্পর্ক রেখো না। \p \v 8 “ ‘তোমার বাবার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রেখো না; এই কাজ তোমার বাবার অসম্মানজনক। \p \v 9 “ ‘তোমার বোনের সাথে অর্থাৎ তোমার বাবার মেয়ের সাথে অথবা তোমার মায়ের মেয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক রেখো না; হতে পারে সে একই বাড়িতে অথবা অন্যত্র জন্মেছে। \p \v 10 “ ‘তোমার ছেলের মেয়ে অথবা তোমার মেয়ের কোনো মেয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক রাখবে না, এই কাজ তোমার অসম্মানজনক। \p \v 11 “ ‘তোমার বাবার ঔরসে জাত মেয়ের সঙ্গে তুমি যৌন সম্পর্ক রাখবে না; সে তোমার বোন। \p \v 12 “ ‘তোমার বাবার বোনের সঙ্গে তুমি যৌন সম্পর্ক রাখবে না; সে তোমার বাবার নিকট আত্মীয়। \p \v 13 “ ‘তোমার মায়ের বোনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রেখো না, কেননা সে তোমার মায়ের নিকট আত্মীয়। \p \v 14 “ ‘তোমার বাবার ভ্রাতৃবধূর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে গিয়ে বাবার ভাইকে অশ্রদ্ধা কোরো না; তিনি তোমার কাকীমা। \p \v 15 “ ‘তোমার ছেলের বউ-এর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রেখো না। সে তোমার পুত্রের বউ; তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখবে না। \p \v 16 “ ‘তোমার ভাই-এর বউ-এর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখবে না; এ কাজ তোমার ভাই-এর প্রতি অসম্মানজনক। \p \v 17 “ ‘কোনো এক মহিলা ও তার মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখবে না। তার ছেলের মেয়ে অথবা তার মেয়ের কোনো মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখবে না। তারা তার নিকট আত্মীয়; এটি পাপাচার। \p \v 18 “ ‘তোমার স্ত্রীর বোনকে এক প্রতিযোগিনী স্ত্রীরূপে গ্রহণ করবে না ও তোমার স্ত্রী জীবিত থাকাকালীন তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখবে না। \p \v 19 “ ‘কোনো মহিলার মাসিক রক্তস্রাবের অশুচিতা থাকাকালীন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য তার কাছে যাবে না। \p \v 20 “ ‘তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রী সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রেখে তার দ্বারা নিজেকে অশুচি করবে না। \p \v 21 “ ‘মোলকের উদ্দেশে তোমার কোনো সন্তান বলিদানার্থে দিয়ো না, কেননা তোমার ঈশ্বরের নাম তুমি কখনও অপবিত্র করবে না। আমি সদাপ্রভু। \p \v 22 “ ‘কোনো পুরুষের সঙ্গে সংসর্গ করবে না, যেমন কেউ কোনো মহিলার সঙ্গে শয়ন করে। এই কাজ ঘৃণিত। \p \v 23 “ ‘কোনো পশুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রেখে নিজেকে অশুচি করবে না। একটি নারী কামনা চরিতার্থ করতে যেন কখনও কোনো পশুর কাছে না যায়। এই কাজ চূড়ান্ত দুষ্কর্ম। \p \v 24 “ ‘এসব দুষ্কর্ম দ্বারা তোমরা নিজেদের কলুষিত করবে না, কারণ তোমাদের সামনে থেকে যে জাতিদের আমি বিতাড়িত করতে চলেছি, তারা এইভাবে কলুষিত হয়েছিল। \v 25 এমনকি দেশও কলুষিত হয়েছিল; সুতরাং দেশের পাপের জন্য তাকে শাস্তি দিলাম এবং দেশ তার বাসিন্দাদের উগরে ফেলল। \v 26 কিন্তু আমার বিধি ও আমার বিধান অবশ্যই পালন করবে। স্বদেশে জাত ও তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশিরা যেন কোনো ঘৃণিত কাজ না করে। \v 27 কারণ তোমাদের আগে এই দেশে বসবাসকারী লোকেরা এই সমস্ত করেছিল ও দেশ কলুষিত হয়েছিল। \v 28 আর তোমরা যদি দেশ কলুষিত করো, তাহলে দেশ তোমাদের উগরে দেবে, যেমন তোমাদের আগে সেই জাতিদের উগরে দিয়েছিল। \p \v 29 “ ‘যদি কেউ এই ঘৃণিত কাজগুলির মধ্যে কোনো একটি কাজ করে, তাহলে নিজের পরিজনদের মধ্য থেকে সে উচ্ছিন্ন হবে। \v 30 আমার চাহিদাগুলি পূরণ করবে ও ঘৃণিত কোনো কাজ অনুসরণ করবে না, তোমাদের আগে যেগুলি অনুশীলিত হয়েছিল এবং কুকাজগুলির দ্বারা নিজেদের কলুষিত করবে না। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।’ ” \c 19 \s1 বিভিন্ন বিধিবিধান \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “সমগ্র ইস্রায়েলী জনতার সঙ্গে তুমি কথা বলো এবং তাদের জানাও, ‘তোমরা পবিত্র হও, কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমি পবিত্র। \p \v 3 “ ‘তোমাদের প্রত্যেকজন বাবা-মাকে অবশ্যই সম্মান দিয়ো, এবং আমার বিশ্রামদিন নিশ্চিতরূপে পালন করবে। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 4 “ ‘প্রতিমাদের দিকে তোমরা ফিরো না, অথবা তোমাদের জন্য গলিত ধাতু দিয়ে প্রতিমা নির্মাণ করবে না। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 5 “ ‘সদাপ্রভুর উদ্দেশে যখন তোমরা মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করতে চাও, এমনভাবে তা উৎসর্গ করবে, যেন তোমাদের পক্ষে নৈবেদ্য গৃহীত হয়। \v 6 উৎসর্গীকরণ দিনে অথবা পরবর্তী দিনে বলিদানের মাংস ভক্ষণ করতে হবে; তৃতীয় দিন পর্যন্ত যা কিছু পড়ে থাকবে তা পোড়াতে হবে। \v 7 যদি ভক্ষ্য দ্রব্যের কিছু অংশ তৃতীয় দিনে ভোজন করা হয়, সেটি অশুদ্ধ এবং গৃহীত হবে না। \v 8 যদি কেউ তা ভোজন করে, সে দায়ী হবে, কারণ সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র দ্রব্যকে সে অপবিত্র করেছে; সেই ব্যক্তি নিজের পরিজনদের মধ্য থেকে অবশ্যই উচ্ছিন্ন হবে। \p \v 9 “ ‘তোমাদের জমির ফসল কাটার সময় একেবারে ফসলের গোড়া কাটবে না, অথবা জমিতে পড়ে থাকা ফসল সংগ্রহ করবে না। \v 10 তোমাদের দ্রাক্ষাক্ষেতে দ্বিতীয়বার যেয়ো না, অথবা ঝরে পড়া আঙুর তুলবে না। দরিদ্র ও বিদেশিদের জন্য সেগুলি ছেড়ে দিয়ো। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর। \p \v 11 “ ‘চুরি কোরো না। \p “ ‘মিথ্যা কথা বোলো না। \p “ ‘একজন অন্যজনকে প্রতারণা কোরো না। \p \v 12 “ ‘আমার নাম নিয়ে মিথ্যা দিব্যি করবে না এবং এইভাবে তোমাদের ঈশ্বরের নাম অপবিত্র করবে না। আমি সদাপ্রভু। \p \v 13 “ ‘তোমাদের প্রতিবেশীকে নির্যাতন করবে না কিংবা তার কোনো জিনিস হরণ করবে না। \p “ ‘বেতনজীবীর বেতন রাত্রি অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ধরে রেখো না। \p \v 14 “ ‘বধিরকে অভিশাপ দিয়ো না, অথবা অন্ধজনের সামনে বাধা রেখো না; কিন্তু তোমাদের ঈশ্বরকে ভয় কোরো। আমি সদাপ্রভু। \p \v 15 “ ‘তোমরা বিচারে অন্যায় করবে না; দরিদ্রের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাবে না, অথবা ধনবানকে তোষণ করবে না, কিন্তু তোমাদের প্রতিবেশীর প্রতি ন্যায়বিচার করবে। \p \v 16 “ ‘তোমাদের লোকদের মাঝে কুৎসা রটাতে এগিয়ে যেয়ো না। \p “ ‘এমন কোনো কাজ করবে না, যার দ্বারা তোমাদের প্রতিবেশীর জীবন বিপন্ন হয়। আমি সদাপ্রভু। \p \v 17 “ ‘তোমরা হৃদয়ে তোমাদের আত্মীয়কে ঘৃণা কোরো না। তোমাদের প্রতিবেশীকে খোলাখুলিভাবে অনুযোগ করো, যেন তার অপরাধের ভাগী হতে না হয়। \p \v 18 “ ‘তোমার লোকদের কারও বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ হবে না, অথবা তার বিপক্ষে বিরূপ মনোভাব রেখো না, কিন্তু প্রতিবেশীকে নিজের মতোই ভালোবেসো। আমি সদাপ্রভু। \p \v 19 “ ‘আমার বিধিবিধান পালন করবে। \p “ ‘বিভিন্ন ধরনের পশুর মধ্যে সংসর্গ করতে দিয়ো না। \p “ ‘তোমার জমিতে দুই ধরনের বীজবপন করবে না। \p “ ‘দুই ধরনের উপাদান দিয়ে বোনা কাপড় পরবে না। \p \v 20 “ ‘যদি একটি পুরুষ কোনো এক নারীর সঙ্গে শয়ন করে, যে এক ক্রীতদাসী ও অন্য পুরুষের প্রতি বাগদত্তা, কিন্তু যার বন্ধনমুক্ত হয়নি, অথবা তাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি, তার শাস্তি হবেই। কিন্তু তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না, কেননা সে মুক্ত হয়নি। \v 21 অন্যদিকে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক দোষার্থক-নৈবেদ্যদানার্থে সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে ওই পুরুষ অবশ্যই একটি মেষ আনবে। \v 22 যাজক দোষার্থক-নৈবেদ্যদানের মেষটি নিয়ে পুরুষটির পাপের জন্য সদাপ্রভুর সামনে তার পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং তার পাপের ক্ষমা হবে। \p \v 23 “ ‘দেশে প্রবেশের পর তোমরা যে কোনো ফলের গাছ রোপণ করো, এর ফল নিষিদ্ধ বিবেচনা করো, কেননা তিন বছর পর্যন্ত এটি নিষিদ্ধ বিবেচিত হবে। এর ফল ভোজন করা যাবে না। \v 24 চতুর্থ বছরে এর সমস্ত ফল পবিত্র হবে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে এটি প্রশংসাসূচক এক উপহার। \v 25 কিন্তু পঞ্চম বছরে তুমি এর ফল ভোজন করতে পারো। এইভাবে তোমার ফসল বৃদ্ধি পাবে। আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 26 “ ‘রক্ত সমেত কোনো মাংস ভোজন করবে না। \p “ ‘ভবিষ্যৎ-কথন অথবা জাদুবিদ্যা অনুশীলন করবে না। \p \v 27 “ ‘তোমার মাথার কিনারার চুল অথবা তোমার দাড়ির প্রান্তভাগ ছাঁটবে না। \p \v 28 “ ‘মৃত মানুষের জন্য তোমার দেহে অস্ত্রাঘাত কোরো না অথবা দেহে ক্ষোদিত চিহ্ন দিয়ো না। আমি সদাপ্রভু। \p \v 29 “ ‘তুমি তোমার মেয়েকে ব্যভিচারিণী বানিয়ে তার মর্যাদাহানি করবে না পাছে দেশ ব্যভিচারে পূর্ণ হয় ও সব ধরনের লাম্পট্যে ভরে যায়। \p \v 30 “ ‘আমার বিশ্রামবার পালন কোরো ও আমার পবিত্র ধর্মধামের প্রতি সম্মান দেখাও। আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 31 “ ‘তোমরা প্রেত মাধ্যমদের ও মায়াবীদের অভিমুখে যেয়ো না, কেননা তাদের সংস্পর্শে তোমরা কলুষিত হবে। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 32 “ ‘বয়স্কদের উপস্থিতিতে তোমরা উঠে দাঁড়াও, প্রাচীনদের প্রতি সম্মান দেখাও এবং তোমার ঈশ্বরকে ভয় কোরো। আমি সদাপ্রভু। \p \v 33 “ ‘তোমাদের দেশে তোমাদের সঙ্গে বসবাসকারী বিদেশির প্রতি দুর্ব্যবহার করবে না। \v 34 তোমার কাছে স্বদেশীয় যেমন, তোমাদের সঙ্গে বসবাসকারী বিদেশির প্রতিও তুমি অবশ্যই একই ব্যবহার করবে। তুমি তাকে নিজের মতো ভালোবেসো, কেননা মিশরে তুমিও প্রবাসী ছিলে। আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 35 “ ‘দৈর্ঘ্য, ওজন অথবা পরিমাণ পরিমাপ করার সময় অবৈধ বাটখারা ব্যবহার করবে না। \v 36 ন্যায্য মাপনী, ন্যায্য বাটখারা, ন্যায্য ঐফা\f + \fr 19:36 \fr*\ft শুকনো জিনিস মাপার জন্য ব্যবহৃত প্রায় 22 লিটার\ft*\f* ও ন্যায্য হিন\f + \fr 19:36 \fr*\ft তরল জিনিস মাপার জন্য ব্যবহৃত প্রায় 3.8 লিটার\ft*\f* ব্যবহার করবে। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন। \p \v 37 “ ‘আমার সব অনুশাসন ও বিধিবিধান পালন করবে, এবং সেগুলির অনুগামী হবে। আমি সদাপ্রভু।’ ” \c 20 \s1 পাপের শাস্তি \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের বলো, ‘কোনো ইস্রায়েলী অথবা ইস্রায়েলে বসবাসকারী কোনো প্রবাসী যদি তার সন্তানদের মোলকের উদ্দেশে উৎসর্গ করার জন্য দেয়, তাহলে অবশ্যই তার প্রাণদণ্ড হবে। সমাজের লোকেরা তাকে প্রস্তরাঘাত করবে। \v 3 আমি তার বিরুদ্ধে বিমুখ হব ও তার পরিজনদের মধ্যে থেকে তাকে উচ্ছিন্ন করব; কারণ মোলকের উদ্দেশে তার সন্তান দিয়ে সে আমার পবিত্র ধর্মধাম কলুষিত করেছে ও আমার পবিত্র নাম কলঙ্কিত করেছে। \v 4 যখন সে তার সন্তানদের মধ্য থেকে একটি সন্তান মোলককে উৎসর্গ করে, তখন যদি সমাজের লোকেরা তাদের চোখ বন্ধ রাখে ও তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে না পারে, \v 5 তাহলে সেই ব্যক্তি ও তার পরিবারের বিপক্ষে আমি বিমুখ হব এবং তাকে ও তার অনুগামী মোলকের সঙ্গে ব্যভিচারী সবাইকে তাদের পরিজনদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন করব। \p \v 6 “ ‘সেই মানুষের বিপক্ষে আমি বিমুখ হব, যে ভূতপ্রেত ও গুণীনদের অনুগমনে ব্যভিচার করার জন্য তাদের অভিমুখে যায় এবং তাকে তার আপনজনদের মধ্য থেকে আমি উচ্ছিন্ন করব। \p \v 7 “ ‘তোমরা নিজেদের উৎসর্গ করো ও পবিত্র হও, কেননা আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \v 8 আমার বিধিবিধান পালন করবে, সেগুলির অনুগামী হবে। আমিই সদাপ্রভু, যিনি তোমাদের পবিত্র করেন। \p \v 9 “ ‘যদি কেউ তার বাবাকে বা মাকে অভিশাপ দেয়, তাকে মৃত্যুদণ্ড পেতে হবে। সে তার বাবাকে বা মাকে অভিশাপ দিয়েছে; সুতরাং তার রক্ত তার নিজের মাথায় প্রযোজ্য হবে। \p \v 10 “ ‘যদি কোনো ব্যক্তি অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করে—তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে—ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়ের অবশ্যই প্রাণদণ্ড হবে। \p \v 11 “ ‘যদি কোনো পুরুষ তার বাবার স্ত্রীর সঙ্গে শয়ন করে, সে তার বাবাকে অশ্রদ্ধা করেছে। সেই পুরুষ ও নারী উভয়ের অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে; তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে। \p \v 12 “ ‘যদি কেউ তার ছেলের বউ-এর সঙ্গে শয়ন করে তাদের উভয়ের প্রাণদণ্ড হবে। তারা যা করেছে তা স্বেচ্ছাচারিতা; তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে। \p \v 13 “ ‘যদি কোনো পুরুষ অন্য এক পুরুষের সঙ্গে শয়ন করে, যেমন একটি পুরুষ কোনো নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে করে তাহলে তারা দুজনই ঘৃণিত কাজ করেছে। অবশ্যই তাদের মৃত্যুদণ্ড হবে; তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে। \p \v 14 “ ‘যদি কোনো পুরুষ এক নারী ও তার মাকে বিয়ে করে, এটি দুশ্চরিত্রতা। তাকে ও তাদের আগুনে জ্বালিয়ে দিতে হবে, যেন তোমাদের মাঝে কোনো দুশ্চরিত্রতা না থাকে। \p \v 15 “ ‘যদি কোনো পুরুষ একটি পশুর সঙ্গে কামনা চরিতার্থ করে, তার অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে এবং পশুকে তোমরা অবশ্যই বধ করবে। \p \v 16 “ ‘যদি একটি নারী কামনা চরিতার্থ করতে কোনো পশুর কাছে যায়, সেই নারী ও পশু উভয়কে তোমরা অবশ্যই বধ করবে। অবশ্যই তাদের মৃত্যুদণ্ড দেবে। তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে। \p \v 17 “ ‘যদি কোনো পুরুষ তার বোনকে বিয়ে করে, যে তার বাবার অথবা মায়ের মেয়ে এবং তারা কামনা চরিতার্থ করে, এটি লজ্জার বিষয়। তাদের পরিজনদের নজর থেকে তাদের উচ্ছিন্ন করতেই হবে। সে তার বোনের সতীত্ব হরণ করেছে এবং এই দুষ্কর্মের জন্য সে দায়ী থাকবে। \p \v 18 “ ‘যদি কোনো পুরুষ একটি স্ত্রীলোকের মাসিক রক্তস্রাব চলাকালীন তার সঙ্গে শয়ন ও কামনা চরিতার্থ করে, সে ওই স্ত্রীলোকের স্রাবের উৎস উন্মোচন করে এবং স্ত্রীলোকটিও তা অনাবৃত করে। তাদের উভয়কে তাদের আপনজনদের মধ্য থেকে অবশ্যই উচ্ছিন্ন করতে হবে। \p \v 19 “ ‘তোমার মায়ের অথবা তোমার বাবার বোনের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করবে না; কেননা সেই কাজ নিকট আত্মীয়ের প্রতি অসম্মানজনক। এর জন্য তোমরা দুজনই দায়ী থাকবে। \p \v 20 “ ‘যদি কোনো পুরুষ তার আত্মীয়ার সঙ্গে শয়ন করে, তাহলে সে তার আত্মীয়কে অশ্রদ্ধা করেছে। তারা অপরাধী হবে ও নিঃসন্তান থাকাকালীন মারা যাবে। \p \v 21 “ ‘যদি কোনো পুরুষ তার ভাইয়ের বউকে বিয়ে করে, এই কাজ অশুদ্ধাচার; সে তার অগ্রজকে অশ্রদ্ধা করেছে। তারা নিঃসন্তান থাকবে। \p \v 22 “ ‘আমার সব অনুশাসন ও বিধান পালন করবে ও সেগুলির অনুগামী হবে, যেন যে দেশে তোমাদের আমি নিয়ে যাচ্ছি, সেই দেশ তোমাদের উগরে না ফেলে। \v 23 তোমরা ওই সমস্ত জাতির বিভিন্ন প্রথা অনুযায়ী জীবনযাপন করবে না, তোমাদের সামনে থেকে যাদের আমি বিতাড়িত করতে যাচ্ছি, কেননা আমার দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত কাজগুলি এরা করেছে। \v 24 কিন্তু আমি তোমাদের বলেছি, “তাদের দেশ তোমরা অধিকার করবে। আমি উত্তরাধিকাররূপে দেশটি তোমাদের দেব, যে দেশে দুধ ও মধু প্রবাহিত হয়।” আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি সমস্ত জাতি থেকে তোমাদের পৃথক করেছেন। \p \v 25 “ ‘অতএব, শুচি ও অশুচি পশুদের মাঝে এবং অশুচি ও শুচি পাখিদের মাঝে তোমরা অবশ্যই তফাৎ রাখবে। কোনো পশু অথবা পাখি কিংবা ভূমিতে বিচরণকারী কোনো কিছুর দ্বারা নিজেদের কলুষিত করবে না—তোমাদের জন্য অশুচিরূপে সেগুলিকে আমি পৃথক রেখেছি। \v 26 আমার উদ্দেশে তোমাদের পবিত্র হতে হবে, কারণ আমি সদাপ্রভু পবিত্র এবং জাতিদের মধ্য থেকে তোমাদের আমি পৃথক রেখেছি, যেন তোমরা আমার নিজস্ব হও। \p \v 27 “ ‘তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী কোনো পুরুষ বা নারী যদি প্রেতমাধ্যম অথবা জাদুকর হয়, তার অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে। তাদের তোমরা প্রস্তরাঘাত করবে। তাদের রক্ত তাদের নিজেদের মাথায় গিয়ে পড়বে।’ ” \c 21 \s1 যাজকদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “হারোণের ছেলে যাজকদের জানাও, তাদের বলো, ‘কোনো যাজক তার কোনো মৃত আপনজনের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে যেন নিজেকে অশুচি না করে, \v 2 কেবল কোনো নিকট আত্মীয়, যেমন তার মা অথবা বাবা, তার ছেলে অথবা মেয়ে, তার ভাই, \v 3 অথবা অবিবাহিতা বোন, যে তার উপরে নির্ভরশীল, যেহেতু তার স্বামী নেই—এই বোনের জন্য সে নিজেকে অশুচি করতে পারে। \v 4 বিবাহ দ্বারা সম্পর্কিত লোকদের জন্য সে নিজেকে কখনও অশুদ্ধ করবে না, কোনোভাবে নিজে কলুষিত হবে না। \p \v 5 “ ‘যাজকেরা তাদের মাথা ও দাড়ির প্রান্তভাগ ছাঁটবে না, অথবা নিজেদের দেহে অস্ত্রাঘাত করবে না। \v 6 তারা তাদের ঈশ্বরের উদ্দেশে অবশ্যই পবিত্র হবে এবং তাদের ঈশ্বরের নাম কখনও কলঙ্কিত করবে না। যেহেতু সদাপ্রভুর উদ্দেশে তারা অগ্নিকৃত উপহার আনে, তাদের ঈশ্বরের উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য রাখে, সেই কারণে তাদের পবিত্র হতে হবে। \p \v 7 “ ‘বেশ্যাবৃত্তি দ্বারা কলঙ্কিত রমণীদের অথবা বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এমন মহিলাদের তারা কোনোমতে বিয়ে করবে না, কারণ যাজকেরা তাদের ঈশ্বরের কাছে পবিত্র। \v 8 পবিত্ররূপে তাদের বিবেচনা করো, কারণ তোমাদের ঈশ্বরের উদ্দেশে তারা ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করে। তাদের পবিত্র বলে বিবেচনা করো, কেননা সদাপ্রভু পবিত্র—আমি তোমাদের পবিত্র করি। \p \v 9 “ ‘যদি কোনো যাজকের মেয়ে বেশ্যা হয়ে নিজেকে কলুষিত করে, সে তার বাবাকে লজ্জা দেয়, তাকে অবশ্যই আগুনে জ্বালিয়ে দিতে হবে। \p \v 10 “ ‘নিজের ভাইদের মধ্যে প্রধান যাজক, যার মাথায় অভিষেকের তেল ঢালা হয়েছে এবং যাজকীয় পোশাক পরার জন্য যে অভিষিক্ত হয়েছে, সে তার চুল এলোমেলো রাখবে না, অথবা তার কাপড় ছিঁড়বে না। \v 11 সে এমন জায়গায় কখনও প্রবেশ করবে না, যেখানে মৃতদেহ রয়েছে। সে তার বাবা অথবা মায়ের জন্যও নিজেকে কখনও অশুচি করবে না, \v 12 তার ঈশ্বরের পবিত্রস্থান পরিত্যাগ করবে না, অথবা তা অপবিত্র করবে না, কারণ সে তার ঈশ্বরের অভিষেকের তেল দিয়ে স্থানটিকে উৎসর্গ করেছে। আমি সদাপ্রভু। \p \v 13 “ ‘তার বিয়ের জন্য পাত্রী যেন অবশ্যই কুমারী মেয়ে হয়। \v 14 সে কোনো বিধবাকে, বিবাহ-বিচ্ছিন্না মহিলাকে অথবা বেশ্যাকে কখনও বিয়ে করবে না, কিন্তু তার লোকদের মধ্য থেকে কেবল একটি কুমারী মেয়েকে বিয়ে করবে, \v 15 যেন এইভাবে তার লোকদের মাঝে নিজের বংশধরদের সে অপবিত্র না করে। আমি সদাপ্রভু, যিনি তাকে পবিত্র করেন।’ ” \p \v 16 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 17 “তুমি হারোণকে বলো, ‘আগামী প্রজন্মগুলিতে তার বংশধরদের মধ্যে যদি কারও খুঁত থাকে, সে যেন তার ঈশ্বরের উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে নিকটবর্তী না হয়। \v 18 দোষযুক্ত কোনো মানুষ কাছে আসতে পারবে না, অন্ধ অথবা খঞ্জ, বিকলাঙ্গ অথবা অঙ্গহীন কেউ দোষমুক্ত নয়; \v 19 যার পা অথবা হাত অকেজো, \v 20 অথবা যে কুঁজো বা বামন, কিংবা যার চোখে ছানি পড়েছে অথবা যে পুঁজযুক্ত ক্ষতবিশিষ্ট, কিংবা ভগ্ন অণ্ডকোষ বিশিষ্ট, \v 21 যাজক হারোণের বংশধরদের মধ্যে কেউ খুঁতযুক্ত থাকলে সদাপ্রভুর উদ্দেশে অগ্নিকৃত উপহার উৎসর্গ করতে সে আসতে পারবে না। যেহেতু তার দোষ আছে; তাই তার ঈশ্বরের উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে সে কখনও কাছে আসতে পারবে না। \v 22 সে তার ঈশ্বরের অতি পবিত্র ভক্ষ্য এবং পবিত্র খাদ্যবস্তু ভোজন করতে পারবে; \v 23 তবুও তার খুঁতের কারণে সে পর্দার কাছে অথবা বেদির অভিমুখে একেবারেই যাবে না, যেন আমার পবিত্রস্থান কলুষিত না হয়। আমি সদাপ্রভু, যিনি তাদের পবিত্র করেন।’ ” \p \v 24 সুতরাং হারোণকে, তার সব ছেলেকে ও সব ইস্রায়েলীকে মোশি এইসব কথা বললেন। \c 22 \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “হারোণ ও তার ছেলেদের তুমি জানিয়ে দাও, আমার উদ্দেশে ইস্রায়েলীদের উৎসর্গীকৃত পবিত্র উপহারগুলির প্রতি তারা যেন সম্মান প্রদর্শন করে এবং আমার পবিত্র নাম তারা যেন অপবিত্র না করে। আমি সদাপ্রভু। \p \v 3 “তাদের বলো, ‘আগামী প্রজন্মগুলিতে তোমাদের বংশধরদের মধ্যে কেউ যদি আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি থাকে এবং তবুও সদাপ্রভুর উদ্দেশে ইস্রায়েলীদের উৎসর্গীকৃত পবিত্র উপহারগুলির কাছে সে আসে, তাহলে আমার সামনে থেকে সেই ব্যক্তি উচ্ছিন্ন হবে। আমি সদাপ্রভু। \p \v 4 “ ‘যদি হারোণের কোনো এক বংশধরের সংক্রামক চর্মরোগ অথবা দেহের ক্ষরণ থাকে, পবিত্র নৈবেদ্য সে ভোজন করবে না, যতক্ষণ না সে শুচি হয়। সে অশুচি হবে, যদি মৃতদেহ দ্বারা কলুষিত কোনো বস্তু অথবা বীর্য নির্গমিত ব্যক্তিকে স্পর্শ করে; \v 5 অথবা যদি সে কোনো সরীসৃপকে স্পর্শ করে, সেই স্পর্শে সে অশুচি হবে, অথবা সে কোনো অশুচিতায় কোনো অশুচি মানুষের স্পর্শে সে অশুচি হবে। \v 6 এই ধরনের দ্রব্যকে যে কেউ স্পর্শ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি বিবেচিত হবে। সে কোনো পবিত্র নৈবেদ্য ভোজন করতেই পারবে না, যতক্ষণ না জলে স্নান করছে। \v 7 সূর্য অস্ত গেলে সে শুচিশুদ্ধ হবে এবং এরপরে পবিত্র নৈবেদ্য সে ভোজন করতে পারবে; কেননা সেগুলি তার খাদ্য। \v 8 কোনো মৃত অথবা বন্যপশু দ্বারা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন কোনো প্রাণী সে কখনও ভোজন করবে না এবং এইভাবে নিজে অশুচি হবে না। আমি সদাপ্রভু। \p \v 9 “ ‘যাজকেরা আমার চাহিদাগুলি পূরণ করবে, যেন অপরাধী না হয় এবং সেগুলিকে অবজ্ঞা করে মারা না যায়। আমি সদাপ্রভু, যিনি তাদের পবিত্র করেন। \p \v 10 “ ‘যাজকীয় পরিবারের বহির্ভূত কেউ পবিত্র নৈবেদ্য ভোজন করতে পারবে না, অথবা যাজকের কোনো অতিথি কিংবা বেতনজীবী কর্মী এই খাদ্যের অংশীদার হবে না। \v 11 কিন্তু যদি যাজক টাকা দিয়ে এক ক্রীতদাস ক্রয় করে, অথবা তার বাড়িতে কোনো ক্রীতদাসের জন্ম হয়, তাহলে ক্রীতদাস সেই খাদ্য ভোজন করতে পারে। \v 12 যদি যাজকের একটি মেয়ে যাজকের পরিবর্তে অন্য একজনকে বিয়ে করে, তাহলে মেয়েটি কোনো পবিত্র নৈবেদ্য ভোজন করবে না। \v 13 কিন্তু যাজকের মেয়ে যদি বিধবা হয়, অথবা তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে থাকে, অথচ সন্তান না থাকে এবং তার যৌবন থাকাকালীন বাবার বাড়িতে বসবাস করতে সে ফিরে আসে, তাহলে সে তার বাবার খাদ্য ভোজন করবে। অন্যদিকে, কোনো অস্বীকৃত মানুষ ভোজন করতে পারবে না। \p \v 14 “ ‘যদি কেউ ভুলবশত পবিত্র নৈবেদ্য ভোজন করে, তাহলে ওই নৈবেদ্যের পক্ষে সে যাজককে ক্ষতিপূরণ দেবে। খাদ্যমানের পঞ্চমাংশ সে সংযোজিত করবে। \v 15 সদাপ্রভুর উদ্দেশে ইস্রায়েলীদের উৎসর্গীকৃত পবিত্র নৈবেদ্য যাজক কিছুতেই কালিমালিপ্ত করবে না, \v 16 পবিত্র খাদ্য লোকদের ভোজন করতে দেবে না, যেন এর বিনিময়ে তাদের ওপরে অপরাধ না বর্তায়। আমি সদাপ্রভু, যিনি তাদের পবিত্র করেন।’ ” \s1 অগ্রহণীয় কয়েকটি বলিদান \p \v 17 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 18 “হারোণ, তার সব ছেলেদের ও সব ইস্রায়েলীর সঙ্গে তুমি কথা বলো এবং তাদের জানাও, ‘যদি তোমাদের কেউ, কিংবা ইস্রায়েলের কোনো একজন অথবা ইস্রায়েলে বসবাসকারী কোনো প্রবাসী মানত পূরণে অথবা স্বেচ্ছাদত্ত উপহাররূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমার্থক বলি উৎসর্গ করে, \v 19 তাহলে একটি নির্দোষ বলদ, অথবা পুংমেষ কিংবা পুংছাগ তোমরা অবশ্যই উৎসর্গ করবে, যেন তোমাদের পক্ষে এই উৎসর্গ গৃহীত হয়। \v 20 খুঁতযুক্ত কোনো কিছু আনবে না, অন্যথায় তোমাদের পক্ষে তা গৃহীত হবে না। \v 21 যখন কেউ কোনো মানত পূরণ করার জন্য অথবা স্বেচ্ছাদত্ত উপহারস্বরূপ সদাপ্রভুর উদ্দেশে ষাঁড় অথবা মেষ মঙ্গলার্থক বলিদানরূপে আনে, সেটি গৃহীত হওয়ার জন্য যেন নির্দোষ বা নিষ্কলঙ্ক হয়। \v 22 সদাপ্রভুর উদ্দেশে অন্ধ, আহত, অথবা বিকলাঙ্গ, কিংবা আবযুক্ত অথবা পুঁজযুক্ত ক্ষতবিশিষ্ট কোনো কিছু আনবে না। সদাপ্রভুর উদ্দেশে এই ধরনের কোনো দোষযুক্ত পশু হোমার্থক বলিরূপে বেদিতে রাখবে না। \v 23 অন্যদিকে, একটি গরু অথবা একটি মেষ স্বেচ্ছাদত্ত উপহাররূপে উৎসর্গ করতে পারো, এগুলি বিকলাঙ্গ অথবা বুদ্ধিবিহীন বিশিষ্ট হতে পারে, কিন্তু কোনো মানত পূরণের জন্য এই উপহার গৃহীত হবে না। \v 24 সদাপ্রভুর উদ্দেশে এমন কোনো পশু উৎসর্গ করবে না, যার অণ্ডকোষ থেঁতলানো, চূর্ণ অথবা বিদীর্ণ। তোমাদের দেশে তোমরা এই কাজ কখনও করবে না। \v 25 কোনো বিদেশির নিকট থেকে এই ধরনের পশু তোমরা কখনও গ্রহণ করবে না এবং ভক্ষ-নৈবেদ্য স্বরূপ তোমার ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করবে না। তোমাদের পক্ষে সেগুলি গৃহীত হবে না, কারণ সেগুলি বিকৃত ও খুঁতযুক্ত।’ ” \p \v 26 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 27 “যখন কোনো বাছুর, মেষশাবক অথবা ছাগল জন্মাবে, তার মায়ের সঙ্গে তাকে সাত দিন থাকতে হবে। অষ্টম দিন থেকে ওই শাবক হোমার্থক বলিরূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে গৃহীত হবে। \v 28 একই দিনে কোনো গরু অথবা মেষ ও তার শাবককে হত্যা করবে না। \p \v 29 “যখন সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা ধন্যবাদের উপহার বলি দেবে, এমনভাবে সেই বলি দিতে হবে, যেন তোমাদের পক্ষে তা গৃহীত হয়। \v 30 বলিদানের মাংস সেদিনই ভোজন করতে হবে; সকাল পর্যন্ত কিছু অবশিষ্ট রেখো না। আমি সদাপ্রভু। \p \v 31 “আমার সব আদেশ পালন করো এবং সেগুলি অনুসরণ করো। আমি সদাপ্রভু। \v 32 আমার পবিত্র নাম অপবিত্র করবে না। ইস্রায়েলীদের দ্বারা পবিত্ররূপে আমাকে স্বীকৃতি পেতেই হবে। আমি সদাপ্রভু, যিনি তোমাদের পবিত্র করেন \v 33 এবং যিনি মিশর থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন, যেন তোমাদের ঈশ্বর হন। আমি সদাপ্রভু।” \c 23 \s1 নির্দিষ্ট উৎসব সমূহ \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে তুমি কথা বলো এবং তাদের বলো, ‘এগুলি আমার নির্দিষ্ট উৎসব, সদাপ্রভুর নির্দিষ্ট উৎসব, পবিত্র সমাবেশরূপে সেগুলি তোমরা ঘোষণা করবে। \s2 বিশ্রামদিন \p \v 3 “ ‘তোমরা ছয় দিন কাজ করতে পারবে, কিন্তু সপ্তম দিন বিশ্রামের জন্য বিশ্রামদিন, পবিত্র সমাবেশ দিবস। এই দিনে তোমরা কোনো কাজ করবে না; তোমরা যেখানেই থাকো, দিনটি সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিশ্রামদিন। \s2 নিস্তারপর্ব ও খামিরবিহীন রুটির উৎসব \p \v 4 “ ‘এগুলি সদাপ্রভুর নির্দিষ্ট উৎসব, এগুলি নির্দিষ্ট সময়ে তোমরা বিভিন্ন পবিত্র সমাবেশে ঘোষণা করবে। \v 5 প্রথম মাসের চতুর্দশ দিনে গোধূলি লগ্নে সদাপ্রভুর নিস্তারপর্ব শুরু হয়। \v 6 সেই মাসের পঞ্চদশ দিনে সদাপ্রভুর খামিরবিহীন রুটির উৎসব শুরু হয়; সাত দিন ধরে খামিরবিহীন রুটি তোমরা অবশ্যই ভোজন করবে। \v 7 প্রথম দিনে পবিত্র সমাবেশ রাখবে এবং সেদিন নিয়মিত কাজ করবে না। \v 8 সাত দিন ধরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য আনবে। সপ্তম দিনে পবিত্র সভা রাখবে এবং সেদিন কোনো নিয়মিত কাজ করবে না।’ ” \s2 প্রথম ফলের নৈবেদ্য \p \v 9 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 10 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে তুমি কথা বলো এবং তাদের বলো, ‘তোমরা যে দেশে প্রবেশ করবে, যা আমি তোমাদের দিতে যাচ্ছি, সেখানে তোমরা ফসল সংগ্রহ করবে এবং সংগৃহীত শস্যের প্রথম আঁটি যাজকের কাছে আনবে। \v 11 সদাপ্রভুর সামনে যাজক সেই আঁটি দোলাবে, যেন তোমাদের পক্ষে তা গৃহীত হয়; বিশ্রামদিনের পরবর্তী দিনে যাজক সেই আঁটি দোলাবে। \v 12 যেদিন তোমরা বাঁধা আঁটি দোলাবে, সেদিন এক বর্ষীয় নির্দোষ মেষশাবক হোমবলিরূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করবে, \v 13 এবং একইসঙ্গে তেল মিশ্রিত এক ঐফা\f + \fr 23:13 \fr*\ft প্রায় 3.2 কিলোগ্রাম; আরও 17 পদে\ft*\f* মিহি ময়দার দুই-দশমাংশ শস্য-নৈবেদ্য আনবে—সদাপ্রভুর উদ্দেশে সুগন্ধযুক্ত সন্তোষজনক এক উপহার—এবং এক হিন\f + \fr 23:13 \fr*\ft প্রায় 1 লিটার\ft*\f* দ্রাক্ষারসের এক-চতুর্থাংশ পেয়-নৈবেদ্য রাখবে। \v 14 যতদিন না নির্দিষ্ট দিনে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা এই উপহার আনছ, ততদিন পর্যন্ত কোনো রুটি বা সেঁকা খাদ্য অথবা নবান্ন ভোজন করবে না। তোমরা যেখানেই বসবাস করো, আগামী প্রজন্মগুলির পক্ষে এ এক চিরস্থায়ী বিধি। \s2 সাত সপ্তাহ ব্যাপী উৎসব \p \v 15 “ ‘বিশ্রামদিনের পরবর্তী দিন থেকে, দোলনীয় উপহাররূপ আঁটি আনার দিন থেকে সম্পূর্ণ সাত সপ্তাহ গণনা করবে। \v 16 সপ্তম বিশ্রামদিনের পরবর্তী দিন থেকে পঞ্চাশ দিন গণনা করবে এবং পরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নতুন শস্যের নৈবেদ্য নিয়ে আসবে। \v 17 তোমরা যেখানেই বসবাস করো সেখান থেকে এক ঐফা মিহি ময়দার দুই-দশমাংশ দিয়ে তৈরি খামিরযুক্ত দুটি রুটি সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রথম ফসলের দোলনীয় উপহাররূপে আনবে। \v 18 এই রুটির সঙ্গে এক বর্ষীয় সাতটি নির্দোষ মদ্দা মেষশাবক, একটি কমবয়সি ষাঁড় ও দুটি মেষ রাখবে। শস্য-নৈবেদ্য ও পেয়-নৈবেদ্যের সঙ্গে এগুলি সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোম-নৈবেদ্যরূপে বিবেচিত হবে—সদাপ্রভুর উদ্দেশে সুরভিযুক্ত ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের সন্তোষজনক এক উপহার। \v 19 পরে পাপার্থক বলিরূপে একটি পুংছাগ এবং মঙ্গলার্থক বলিরূপে এক বর্ষীয় দুটি মেষশাবক উৎসর্গ করবে। \v 20 সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রথম ফসলের রুটির সঙ্গে দোলনীয় উপহাররূপে দুটি মেষশাবক যাজক দোলাবে। যাজকের পক্ষে এগুলি সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র উপহার। \v 21 একই দিনে তোমরা পবিত্র সমাবেশ ঘোষণা করবে এবং কোনো নিয়মিত কাজ করবে না। তোমরা যেখানেই বসবাস করো, আগামী প্রজন্মগুলির পক্ষে এ এক চিরস্থায়ী বিধি। \p \v 22 “ ‘যখন তোমাদের দেশে তোমরা শস্য ছেদন করবে, ক্ষেত্রের প্রান্তসীমার শস্য ছেদন অথবা পতিত শস্য সংগ্রহ করবে না। দরিদ্র ও তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশিদের জন্য সেগুলি রেখে দিয়ো। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।’ ” \s2 তূরীধ্বনির উৎসব \p \v 23 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 24 “তুমি ইস্রায়েলীদের বলো, ‘সপ্তম মাসের প্রথম দিনে বিশ্রামদিন পালন করবে, তূরীধ্বনি সহকারে পবিত্র সমাবেশ দিবস স্মরণ করবে। \v 25 নিয়মিত কোনো কাজ করবে না, কিন্তু সদাপ্রভুর উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য নিবেদন করবে।’ ” \s2 প্রায়শ্চিত্ত দিবস \p \v 26 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 27 “এই সপ্তম মাসের দশম দিনটি প্রায়শ্চিত্ত দিবস। এক পবিত্র সমাবেশ আয়োজন করো এবং নিজেদের অস্বীকার করবে ও সদাপ্রভু উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য দেবে। \v 28 ওই দিনে কোনো কাজ করবে না, কারণ দিনটি প্রায়শ্চিত্ত দিবস, যেদিন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে তোমাদের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা হয়। \v 29 যদি সেদিন কেউ নিজেকে অস্বীকার না করে, সে তার আপনজনদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে। \v 30 যদি সেদিন কেউ কাজ করে, তাহলে তার আপনজনদের মধ্য থেকে আমি তাকে বিনষ্ট করব। \v 31 তোমরা কোনো কাজই করবে না। তোমরা যেখানেই বসবাস করো, আগামী প্রজন্মগুলির পক্ষে এটি চিরস্থায়ী বিধি। \v 32 এটি তোমাদের জন্যে এক বিশ্রামের দিন, সেদিন তোমরা নিজেদের অস্বীকার করবে। মাসের নবম দিনের সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী সন্ধ্যা পর্যন্ত এটি তোমাদের পালনীয় বিশ্রামদিন।” \s2 কুটিরবাস-পর্ব পালন \p \v 33 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 34 “ইস্রায়েলীদের বলো, ‘সপ্তম মাসের পঞ্চদশ দিনে সদাপ্রভুর উদ্দেশে কুটিরবাস-পর্ব পালন করতে হবে এবং এই পর্ব সাত দিন পর্যন্ত চলবে। \v 35 প্রথম দিনে এক পবিত্র সমাবেশ হবে; সেদিন কোনো নিয়মিত কাজ করবে না। \v 36 সাত দিন ধরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে এবং অষ্টম দিনে এক পবিত্র সমাবেশ রাখবে এবং সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করবে। এটি বিশেষ সমাপ্তি সমাবেশ; সেদিন কোনো নিয়মিত কাজ করবে না। \p \v 37 (“ ‘এগুলি সদাপ্রভুর নির্দিষ্ট উৎসব, পবিত্র সমাবেশরূপে যেগুলি তোমরা ঘোষণা করবে, যখন সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা ভক্ষ্য-নৈবেদ্য আনবে—প্রতিদিনের জন্য হোমবলি, শস্য-নৈবেদ্য, বিভিন্ন বলিদান ও পেয়-নৈবেদ্য দিতে হবে। \v 38 এই উপাদানগুলি সদাপ্রভুর বিশ্রামদিনের উদ্দেশে, তোমাদের বিভিন্ন দান এবং তোমাদের রকমারি মানত ও সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমাদের স্বেচ্ছাদত্ত সব দানের অতিরিক্ত।) \p \v 39 “ ‘সুতরাং সপ্তম মাসের পঞ্চদশ দিনে জমি থেকে শস্য সংগ্রহ করার পর সাত দিন ধরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা উৎসব পালন করবে; প্রথম দিনটি বিশ্রামদিন এবং অষ্টম দিনটিও বিশ্রামদিন। \v 40 প্রথম দিনে তোমরা পছন্দসই গাছের ফল, খেজুর পাতা, পাতাবাহার গাছের শাখা ও দীর্ঘ বৃক্ষবিশেষের শাখা তুলবে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে সাত দিন ধরে আনন্দে মাতোয়ারা হবে। \v 41 প্রতি বছর সাত দিন ধরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তোমরা এই উৎসব পালন করবে; আগামী প্রজন্মগুলির জন্য এটি চিরস্থায়ী বিধি। সপ্তম মাসে বিধি অনুযায়ী তোমরা উৎসব পালন করবে। \v 42 সাত দিনের জন্য তোমরা কুটিরে থাকবে; স্বদেশে জাত সব ইস্রায়েলী থাকবে, \v 43 যেন তোমাদের বংশধরেরা জানতে পারে, যখন আমি মিশর থেকে তাদের বের করে এনেছিলাম তখন ইস্রায়েলীদের আমি কুটিরে বসবাস করিয়েছিলাম। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।’ ” \p \v 44 তখন সদাপ্রভুর উদ্দেশে নির্দিষ্ট উৎসবগুলি সম্বন্ধে মোশি ইস্রায়েলীদের জানালেন। \c 24 \s1 সদাপ্রভুর সামনে জলপাই তেল এবং রুটি আনা হল \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “আলোর জন্য নিংড়ে নেওয়া স্বচ্ছ জলপাই তেল তোমার কাছে নিয়ে আসার জন্য ইস্রায়েলীদের আদেশ দাও যেন প্রদীপগুলি সবসময় জ্বলতেই থাকে। \v 3 সমাগম তাঁবুতে সাক্ষ্য-সিন্দুকের পর্দার বাইরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত হারোণ অবিরত সদাপ্রভুর সামনে বাতিগুলি সাজিয়ে রাখবে। আগামী প্রজন্মগুলির জন্য এটি চিরস্থায়ী বিধি হবে। \v 4 সদাপ্রভুর সামনে নির্মল সোনার দীপাধারগুলিতে ওই প্রদীপগুলি সারাক্ষণ জ্বলবে। \p \v 5 “মিহি ময়দা দিয়ে বারোটি রুটি তৈরি করবে, প্রত্যেক রুটিতে এক ঐফা\f + \fr 24:5 \fr*\ft প্রায় 3.2 কিলোগ্রাম\ft*\f* আটার দুই-দশমাংশ খরচ করবে। \v 6 প্রভু সদাপ্রভুর সামনে নির্মল সোনার টেবিলে দুটি সারির প্রত্যেক সারিতে ছয়টি রুটি সাজিয়ে রাখবে। \v 7 এক স্মারক অংশরূপে আবার রুটি জোগাতে ও সদাপ্রভুর উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য দিতে প্রত্যেক সারির পাশে কিছুটা নির্মল ধূপ ঢালবে। \v 8 সদাপ্রভুর সামনে নিয়মিতভাবে প্রত্যেক বিশ্রামদিনে ইস্রায়েলীদের পক্ষে চিরস্থায়ী সন্ধিচুক্তিরূপে এই রুটি সাজাতে হবে। \v 9 এটি হারোণ ও তার ছেলেদের জন্য, এক পবিত্রস্থানে তারা এই খাদ্য ভোজন করবে, কারণ এটি হল তাদের নিয়মিত উপহারের অংশের এক অত্যন্ত পবিত্র অংশ যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে ভক্ষ্য-নৈবেদ্য।” \s1 এক ঈশ্বরনিন্দুককে প্রস্তরাঘাত \p \v 10 ঘটনাক্রমে এক ইস্রায়েলী মায়ের ও এক মিশরীয় বাবার ছেলে ইস্রায়েলীদের মাঝে উপস্থিত হল এবং শিবিরের মধ্যে তার সঙ্গে এক ইস্রায়েলীর বিবাদ সংঘটিত হল। \v 11 ইস্রায়েলী মহিলার ছেলে (ঈশ্বরের) নামের প্রতি নিন্দা ও অভিশাপবাণী উচ্চারণ করল। সুতরাং লোকেরা তাকে মোশির কাছে আনল। (তার মায়ের নাম শিলোমিৎ, সে দান বংশীয় দিব্রির মেয়ে) \v 12 তাদের প্রতি সদাপ্রভুর ইচ্ছা স্পষ্টভাবে প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাকে আটকে রাখল। \p \v 13 পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 14 “ঈশ্বরনিন্দুককে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাও, তার কথা যতজন শুনেছে, তারা তার মাথায় হাত রাখবে ও সমগ্র জনসমাজ তাকে প্রস্তরাঘাত করবে। \v 15 তুমি ইস্রায়েলীদের বলো, ‘যদি কেউ তার ঈশ্বরকে অভিশাপ দেয়, সে পাপের দায়ী হবে; \v 16 যে কেউ সদাপ্রভুর নামের নিন্দা করবে, তার অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড হবে। সমগ্র মণ্ডলী তাকে প্রস্তরাঘাত করবে। এক বিদেশি অথবা স্বদেশে জাত যে কেউ তাঁর নামের নিন্দা করবে, তাকে মৃত্যুদণ্ড পেতেই হবে। \p \v 17 “ ‘যদি কেউ মানুষের জীবন নাশ করে, অবশ্যই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। \v 18 যদি কেউ কারোর পশুর জীবন নেয় তাকে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে—প্রাণের পরিশোধে প্রাণ। \v 19 যদি কেউ প্রতিবেশীকে আঘাত করে, সে যেমনি করুক, তাকে প্রত্যাঘাত পেতেই হবে। \v 20 জখমের পরিশোধে জখম, চোখের পরিবর্তে চোখ, দাঁতের পরিবর্তে দাঁত। সে যেমন অন্যকে আহত করেছে তেমনই তাকেও আহত হতে হবে। \v 21 যে কেউ একটি পশুকে হত্যা করবে, সে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেবে, কিন্তু কেউ যদি কোনো মানুষকে হত্যা করে, তাকেই হত হতে হবে। \v 22 বিদেশি ও স্বদেশে জাত প্রত্যেকজনের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।’ ” \p \v 23 পরে মোশি ইস্রায়েলীদের বললেন এবং লোকেরা ঈশ্বরনিন্দুককে শিবিরের বাইরে নিয়ে গেল ও তাকে প্রস্তরাঘাত করল। ইস্রায়েলীরা সেই কাজ করল, সদাপ্রভু মোশিকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন। \c 25 \s1 বিশ্রাম বছর \p \v 1 সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে তুমি কথা বলো, তাদের জানাও, ‘আমি যে দেশ তাদের দিতে যাচ্ছি, যখন তারা সেই দেশে প্রবেশ করবে, তখন সদাপ্রভুর উদ্দেশে যেন ভূমি বিশ্রাম ভোগ করে। \v 3 ছয় বছর ধরে তোমরা ক্ষেতে বীজবপন করবে এবং ছয় বছর ধরে দ্রাক্ষাক্ষেতের অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছাঁটবে ও দ্রাক্ষাফল সংগ্রহ করবে। \v 4 কিন্তু সপ্তম বছরে ভূমি বিশ্রাম, সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক বিশ্রাম ভোগ করবে। এই বছরে তোমাদের ক্ষেত্রগুলি বীজবপন করবে না, অথবা দ্রাক্ষাক্ষেতের অনর্থক ডালপালাগুলি ছেঁটে ফেলবে না। \v 5 ক্ষেতগুলি থেকে যে শস্য এমনি এমনি উৎপন্ন হয়েছে তা কাটবে না, অথবা আঝোড়া দ্রাক্ষাফল সংগ্রহ করবে না। ভূমির জন্য বিশ্রামের বছর রাখতে হবে। \v 6 বিশ্রাম বছর চলাকালীন ভূমির খাদ্যশস্য তোমাদের জন্য—তোমার নিজের, তোমার দাস-দাসী, বেতনজীবী কর্মী, তোমার মাঝে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী মানুষের জন্য \v 7 এবং তোমার গৃহপালিত সমস্ত পশু ও তোমার দেশের বন্য পশুরাও এই খাদ্যশস্যের অংশীদার। ভূমিতে উৎপন্ন যাবতীয় খাদ্যশস্য ভোজন করতে হবে। \s1 অর্ধশতবার্ষিক উৎসব \p \v 8 “ ‘সাতটি বিশ্রাম বছর—সাতগুণ সাত বছর—গণনা করবে, যেন সাত বিশ্রাম বছরের মোট সংখ্যা উনপঞ্চাশ বছর হয়। \v 9 এরপর সপ্তম মাসের দশম দিনে সর্বত্র তূরী বাজাতে হবে; প্রায়শ্চিত্ত দিনে তোমার সারা দেশে তূরী বাজবে। \v 10 পঞ্চাশতম বছর পবিত্র করবে ও সারা দেশে সব বসবাসকারীদের জন্য মুক্তি ঘোষণা করবে। তোমাদের পক্ষে এটি অর্ধশতবার্ষিক মহোৎসব হবে; তোমরা প্রত্যেকজন নিজের নিজের পারিবারিক অধিকারে ও গোষ্ঠীতে ফিরে যাবে। \v 11 পঞ্চাশতম বছরটি তোমাদের পক্ষে আনন্দ উৎসবের বছর হবে। এসময় কোনো বীজবপন করবে না, ভূমিতে আপনা-আপনি উৎপন্ন শস্যচয়ন অথবা আঝোড়া দ্রাক্ষাফল সংগ্রহ করবে না। \v 12 কেননা তখন মহোৎসবের সময়, যা তোমাদের জন্য পবিত্র হবে; কেবল ক্ষেতগুলি থেকে সরাসরি তুলে আনা ভক্ষ্য তোমরা ভোজন করবে। \p \v 13 “ ‘এই অর্ধশতবার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রত্যেকজনকে নিজের নিজের অধিকারে ফিরে আসতে হবে। \p \v 14 “ ‘যদি তোমার কোনো দেশবাসীর কাছে তুমি জমি বিক্রি করো অথবা তার কাছ থেকে জমি কেনো, তাহলে পরস্পর সুযোগ নিও না। \v 15 অর্ধশতবর্ষের পরে বছর অতিবাহিত হওয়ার ভিত্তিতে তুমি দেশবাসীর নিকট থেকে কিনবে এবং শস্য সংগ্রহের জন্য অবশিষ্ট বছরগুলির ভিত্তিতে সে বিক্রি করবে। \v 16 বছর-সংখ্যার আধিক্য অনুসারে তুমি মূল্য বৃদ্ধি করবে ও বছর সংখ্যা কম হলে তুমি মূল্য কম করবে, কারণ আসলে সে তোমার কাছে ফলোৎপাদক সংখ্যা অনুসারে বিক্রি করবে। \v 17 তোমরা পরস্পর সুযোগ নিও না, কিন্তু ঈশ্বরকে ভয় কোরো। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 18 “ ‘আমার অনুশাসনের অনুগামী হও এবং আমার সব বিধান মেনে চলতে যত্নশীল থেকো, তাহলে তোমরা দেশে নিরাপদে বসবাস করবে। \v 19 ভূমি ফল উৎপন্ন করবে এবং তৃপ্তি অবধি তোমরা ভোজন করবে ও তোমাদের নিরাপত্তা থাকবে। \v 20 তোমাদের প্রশ্ন থাকতে পারে, “সপ্তম বছরে আমরা কী ভোজন করব, যদি আমরা বীজবপন ও শস্য সংগ্রহ না করি?” \v 21 ষষ্ঠ বছরে আমি এমন আশীর্বাদ বর্ষণ করব যে তিন বছরের জন্য জমিতে প্রচুর ফসল উৎপন্ন হবে। \v 22 অষ্টম বছরে বীজ বপনকালের আগে সংগৃহীত ফসল থেকে তোমরা ভোজন করবে এবং নবম বছরে ফসল সংগৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা পুরোনো খাদ্য ভোজন করবে। \p \v 23 “ ‘চিরদিনের জন্য ভূমি বিক্রি করা যাবে না, কেননা ভূমি আমার এবং তোমরা প্রবাসী ও ভাড়াটিয়া ব্যতীত আর কিছু নও। \v 24 সারা দেশে তোমরা যে ভূমির অধিকারী হয়েছ, তা মুক্ত করতে তোমরা অবশ্যই সুযোগ দিয়ো। \p \v 25 “ ‘যদি তোমার স্বদেশবাসীর মধ্যে কেউ দরিদ্র হয় এবং সে তার কিছু জমি বিক্রি করে, তাহলে তার নিকটতম আত্মীয় আসবে ও স্বদেশবাসীর বিক্রীত ভূমি মুক্ত করবে। \v 26 অন্যদিকে, যদি এমন কেউ থাকে, যার ভূমির মুক্তিকর্তা কেউ নেই, কিন্তু সে নিজে সমৃদ্ধিশালী হয় এবং ভূমি মুক্ত করতে তার যথেষ্ট সঙ্গতি থাকে, \v 27 তাহলে বিক্রি করার সময় থেকে পরবর্তী বছরগুলির জন্য সে মূল্য নির্ধারণ করবে ও বিক্রীত মূল্য ক্রেতাকে ফেরত দেবে; পরে সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে। \v 28 কিন্তু ক্রেতার পাওনা মেটাতে যদি তার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে অর্ধশতবার্ষিক পর্যন্ত বিক্রীত সম্পদ ক্রেতার কাছে থাকবে। অর্ধশতবার্ষিকীর সময় তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং সে নিজের অধিকারে ফিরে যাবে। \p \v 29 “ ‘যদি কোনো ব্যক্তি প্রাচীরবেষ্টিত নগরে তার বাড়ি বিক্রি করে তাহলে বিক্রি করার সময় থেকে সম্পূর্ণ এক বছর পর্যন্ত তার মুক্ত করার অধিকার থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে বিক্রেতা মুক্ত করতে পারবে। \v 30 যদি সম্পূর্ণ এক বছরের আগে তা মুক্ত করা না হয়, তাহলে প্রাচীরবেষ্টিত নগরের বাড়িটি চিরদিনের জন্য ক্রেতার ও তার বংশধরদের হয়ে যাবে। অর্ধশতবর্ষে এই সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না। \v 31 কিন্তু প্রাচীরহীন গ্রামগুলিতে নির্মিত বাড়িগুলি দেশের সার্বিক সম্পত্তিরূপে বিবেচিত হবে। এগুলি মুক্ত করা যাবে এবং অর্ধশতবর্ষে ফেরত দেওয়া হবে। \p \v 32 “ ‘লেবীয় অধ্যুষিত নগরগুলিতে নির্মিত লেবীয়দের বাড়িগুলি মুক্ত করতে লেবীয়দের সবসময় অধিকার থাকবে, যেগুলি তাদের অধিকৃত। \v 33 সুতরাং লেবীয়দের সম্পত্তি মুক্তিযোগ্য অর্থাৎ যে কোনো নগরে তাদের অধিকৃত বাড়ি বিক্রীত হলে অর্ধশতবর্ষে তা ফেরত দিতে হবে, কারণ লেবীয়দের নগরগুলিতে নির্মিত বাড়িগুলি ইস্রায়েলীদের মাঝে লেবীয়দের সম্পত্তি। \v 34 কিন্তু তাদের নগরগুলির চারণভূমি বিক্রি করা যাবে না; এটি তাদের চিরস্থায়ী অধিকার। \p \v 35 “ ‘যদি তোমাদের দেশবাসীর মধ্যে কেউ দরিদ্র ও তোমাদের মাঝে নিজের ভরণ-পোষণ চালাতে অসমর্থ হয়, তাহলে তাকে সাহায্য করো, যেমন তোমরা বিদেশি এবং অপরিচিতদের প্রতি করে থাকো; যেন তোমাদের মাঝে সে বসবাস করতে পারে। \v 36 তার কাছ থেকে কোনোরকম সুদ অথবা সুবিধা গ্রহণ করবে না, কিন্তু তোমাদের ঈশ্বরকে ভয় করবে, যেন তোমাদের দেশবাসী তোমাদের মাঝে বসবাস করতে পারে। \v 37 সুদ গ্রহণের শর্তে তুমি তাকে অর্থ ধার দিতে পারবে না, অথবা লাভের আশায় তার কাছে খাদ্য বিক্রি করবে না। \v 38 আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন, যেন কনান দেশ তোমাদের দেন ও তোমাদের ঈশ্বর হন। \p \v 39 “ ‘যদি তোমার দেশবাসীর মধ্যে কেউ দরিদ্র হয় ও তোমার কাছে নিজেকে বিক্রি করে, এক ক্রীতদাসরূপে তাকে কাজ করতে দিয়ো না। \v 40 এক বেতনজীবী কর্মী অথবা তোমার মাঝে এক অস্থায়ী বাসিন্দারূপে তার প্রতি আচরণ করতে হবে। অর্ধশত বছর পর্যন্ত তোমার জন্য সে কাজটি করবে। \v 41 পরে সে ও তার সন্তানেরা মুক্ত হবে এবং সে তার গোষ্ঠীতে ও তার পিতৃপুরুষদের অধিকারে ফিরে যাবে। \v 42 যেহেতু ইস্রায়েলীরা আমার ভৃত্য, আমি মিশর থেকে যাদের বের করেছিলাম; তারা কোনোমতে ক্রীতদাসরূপে বিক্রীত হবে না। \v 43 নির্দয়ভাবে তাদের শাসন করবে না, কিন্তু তোমাদের ঈশ্বরকে ভয় কোরো। \p \v 44 “ ‘তোমাদের ক্রীতদাস ও দাসীরা তোমাদের চারপাশের দেশ থেকে আসবে; তাদের মধ্যে থেকে তোমরা দাস ও দাসী কিনতে পারবে। \v 45 তোমাদের মাঝে বসবাসকারী অস্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে ও তোমাদের দেশে তাদের গোষ্ঠীজাত সদস্যদের তোমরা কিনতে পারো এবং তারা তোমাদের সম্পদ হবে। \v 46 তোমাদের সন্তানদের পক্ষে অধিকৃত সম্পদরূপে তোমরা তাদেরকে দিতে পারো এবং সারা জীবনের জন্য তাদের ক্রীতদাস করে রাখতে পারো, কিন্তু তোমাদের সঙ্গী ইস্রায়েলীদের ওপরে নির্দয়ভাবে শাসন করতে পারবে না। \p \v 47 “ ‘তোমাদের মাঝে বসবাসকারী কোনো বিদেশি যদি ধনী হয় এবং তোমাদের কোনো একজন ইস্রায়েলী দেশবাসী দরিদ্র হয় ও সেই বিদেশির অথবা প্রবাসীগোষ্ঠীর কোনো এক সদস্যের কাছে নিজেকে বিক্রি করে, \v 48 বিক্রীত হওয়ার পরে তার মুক্তিলাভের অধিকার থাকবে; তার কোনো এক আত্মীয় তাকে মুক্ত করতে পারবে। \v 49 তার জ্যাঠা, কাকা অথবা জ্ঞাতিভাই বা বোন কিংবা তার গোষ্ঠীর রক্তের সম্পর্কযুক্ত কেউ তাকে মুক্ত করতে পারবে। অথবা যদি সে সম্পদশালী হয়, তাহলে নিজেই নিজেকে মুক্ত করবে। \v 50 বিক্রি করার বছর থেকে পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত সে ও তার ক্রেতা সময় গণনা করবে। বছরগুলির সংখ্যা সাপেক্ষে বেতনজীবী মানুষের প্রতি বেতন দেওয়ার হারের ভিত্তিতে তার মুক্তির মূল্য ধার্য হবে। \v 51 যদি অনেক বছর অবশিষ্ট থাকে, তাহলে ক্রয় মূল্য থেকে বেশিরভাগটাই সে নিজের মুক্তির জন্য অবশ্যই দেবে। \v 52 যদি অর্ধশত বছর না আসা পর্যন্ত কেবল কয়েক বছর অবশিষ্ট থাকে, তাহলে সে তা গণনা করবে ও তদনুসারে নিজের মুক্তির জন্য মূল্য দেবে। \v 53 বছরের পর বছর ধরে এক ভাড়া করা মানুষরূপে তার প্রতি আচরণ করা হবে; তুমি অবশ্যই নজর রাখবে, যেন তার মালিক তাকে নির্দয়ভাবে শাসন না করে। \p \v 54 “ ‘যদি এই উপায়গুলির কোনো উপায়ে সে মুক্তি না পায়, তাহলে সে ও তার সন্তানেরা পঞ্চাশতম বছরে মুক্ত হবে, \v 55 কেননা ইস্রায়েলীরা দাসরূপে আমার অধিকার। ওরা আমার দাস-দাসী, আমি মিশর থেকে যাদের বের করে এনেছি। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \c 26 \s1 বাধ্যতার জন্য পুরস্কার \p \v 1 “ ‘তোমরা নিজেদের জন্য প্রতিমা নির্মাণ কোরো না, অথবা প্রতিমূর্তি কিংবা পবিত্র পাথর স্থাপন কোরো না এবং তোমাদের দেশে ক্ষোদিত পাথর রেখে তার সামনে প্রণিপাত কোরো না। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 2 “ ‘আমার বিশ্রামবার পালন কোরো ও আমার পবিত্র ধর্মধামের প্রতি সম্মান দেখাও। আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু। \p \v 3 “ ‘তোমরা যদি আমার বিধানগুলি অনুধাবন করো ও আমার সব আদেশ মেনে চলতে যত্নশীল থাকো, \v 4 তাহলে আমি যথাসময়ে বৃষ্টি পাঠাব; ফলে ভূমি শস্য উৎপন্ন করবে ও ক্ষেতের গাছগুলিতে ফল ভরে যাবে। \v 5 দ্রাক্ষাচয়ন পর্যন্ত তোমাদের শস্যমর্দনের কাজ চলবে, এবং বীজবপনকাল পর্যন্ত দ্রাক্ষাচয়নের কাজ চলবে এবং তোমরা ইচ্ছামতো খাদ্য ভোজন করবে ও নিরাপদে তোমাদের দেশে বসবাস করবে। \p \v 6 “ ‘দেশের প্রতি আমি শান্তি মঞ্জুর করব ও শয়নকালে কেউ তোমাদের ভয় দেখাবে না। আমি দেশ থেকে হিংস্র জন্তুদের তাড়িয়ে দেব ও তোমাদের দেশের মধ্য দিয়ে তরোয়াল যাবে না। \v 7 তোমরা শত্রুদের তাড়া করবে ও তোমাদের সামনে তারা তরোয়াল দ্বারা পতিত হবে। \v 8 তোমাদের পাঁচজন একশো জনের পিছনে ধাবমান হবে ও তোমাদের একশো জন 10,000 জনকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে এবং তোমাদের সামনে তোমাদের শত্রুরা তরোয়াল দ্বারা পতিত হবে। \p \v 9 “ ‘তোমাদের প্রতি আমি সদয় দৃষ্টি রাখব, তোমাদের ফলবান রাখব, তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করব এবং তোমাদের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি রাখব। \v 10 বিগত বছরে সংগৃহীত শস্য থেকে তখনও তোমরা ভোজন করবে, যখন পুরোনো খাদ্যশস্য সরিয়ে রাখবে, যেন নতুন শস্য রাখার স্থান প্রস্তুত থাকে। \v 11 আমি তোমাদের মাঝে আমার আবাসস্থান রাখব এবং আমি তোমাদের ঘৃণা করব না। \v 12 তোমাদের মাঝে আমি গমনাগমন করব, আমি তোমাদের ঈশ্বর হব এবং তোমরা আমার প্রজা হবে। \v 13 আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশর থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন, যেন তোমরা আর মিশরীয়দের ক্রীতদাস না হও; আমি তোমাদের জোয়ালের কাঠ ভেঙেছি ও মাথা উঁচু করে চলার যোগ্যতা তোমাদের দিয়েছি। \s1 অবাধ্যতার জন্য শাস্তি \p \v 14 “ ‘কিন্তু তোমরা যদি আমার কথা না শুনে এই সমস্ত আদেশ অমান্য করো \v 15 এবং তোমরা যদি আমার সকল অনুশাসন অগ্রাহ্য করো, আমার বিধানগুলি ঘৃণা করো, আমার সমস্ত আদেশ পালনে ব্যর্থ হও এবং এইভাবে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি লঙ্ঘন করো, \v 16 তাহলে তোমাদের প্রতি আমার হস্তক্ষেপ এই ধরনের হবে, যথা: তোমাদের ওপরে আমি অকস্মাৎ প্রচণ্ড ভীতি আনব, মারাত্মক বিবিধ রোগ ও জ্বর পাঠাব করব, যেগুলির দাপটে তোমরা দৃষ্টিশক্তি হারাবে ও তোমাদের প্রাণনাশ হবে। তোমাদের বীজবপন বৃথা যাবে, কারণ তোমাদের শত্রুরা সমস্ত খাদ্য ভোজন করবে। \v 17 তোমাদের বিপক্ষে আমি বিমুখ হব, যেন তোমাদের শত্রুরা তোমাদের পরাস্ত করে; যারা তোমাদের ঘৃণা করে তারা তোমাদের উপরে কর্তৃত্ব করবে এবং তোমাদের পিছনে কেউ ধাবমান না হলেও তোমরা পলায়ন করবে। \p \v 18 “ ‘এসবের পরেও যদি আমার কথায় তোমরা অবধান না করো, তাহলে তোমাদের পাপসমূহের কারণে আমি তোমাদের সাতগুণ বেশি শাস্তি দেব। \v 19 তোমাদের একগুঁয়ে গর্ব আমি ভেঙে দেব, ঊর্ধ্বস্থ আকাশ লোহার মতো ও নিম্নস্থ ভূমি পিতলের মতো করব। \v 20 তোমাদের শক্তি প্রয়োগ বৃথা যাবে, কারণ তোমাদের মাটি ফসল উৎপন্ন করবে না, এমনকি দেশের গাছগুলিও ফল ফলাবে না। \p \v 21 “ ‘যদি আমার প্রতি তোমরা বৈরীভাবাপন্ন থাকো ও আমার কথা শুনতে না চাও, তাহলে তোমাদের ক্লেশ আমি সাতগুণ বৃদ্ধি করব, যা পাপের কারণে তোমাদের প্রাপ্য। \v 22 তোমাদের বিপক্ষে আমি বন্যপশু প্রেরণ করব; ওরা তোমাদের সন্তানদের হরণ করবে, তোমাদের গবাদি পশু বিনষ্ট করবে ও তোমাদের সংখ্যা এত হ্রাস করবে যে তোমাদের সমস্ত পথঘাট জনশূন্য হবে। \p \v 23 “ ‘এত বেশি ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও যদি তোমরা সংশোধিত না হও এবং আমার প্রতি বৈরিতা চালিয়ে যাও, \v 24 তাহলে তোমাদের প্রতি আমি শত্রুতা করব ও তোমাদের পাপের কারণে সাতগুণ ক্লেশ বৃদ্ধি করব। \v 25 তোমাদের বিপক্ষে তরোয়াল পাঠিয়ে আমি অঙ্গীকার-চুক্তি ভঙ্গের প্রতিশোধ নেব। তোমরা যখন নিজের নিজের নগরে ফিরে যাবে, তোমাদের মাঝে আমি মহামারি পাঠাব এবং শত্রুদের হাতে তোমাদের অর্পণ করব। \v 26 যখন আমি তোমাদের ভক্ষ্য রুটির জোগান ছিন্ন করব, একটি উনুনে দশজন মহিলা তোমাদের জন্য রুটি তৈরি করতে পারবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজনের রুটি তারা তোমাদের দেবে। তোমরা ভোজন করবে, কিন্তু তৃপ্ত হবে না। \p \v 27 “ ‘উদরপূর্তি ও তৃপ্তি না হওয়া সত্ত্বেও যদি তোমরা আমার কথা শ্রবণ না করো কিন্তু আমার বিরোধিতা করতেই থাকো, \v 28 তাহলে আমি ক্রুদ্ধ হয়ে তোমাদের বিরোধিতা করব এবং তোমাদের পাপের কারণে সাতগুণ বেশি শাস্তি আমি তোমাদের দেব। \v 29 তোমরা নিজের নিজের ছেলেদের ও মেয়েদের মাংস ভক্ষণ করবে। \v 30 তোমাদের সমস্ত উচ্চস্থলী আমি বিনষ্ট করব, তোমাদের ধূপবেদিগুলি উচ্ছেদ করব, তোমাদের প্রতিমাগুলির নিষ্প্রাণ আকৃতির উপরে তোমাদের মৃতদেহ রাখব ও তোমাদের ঘৃণা করব। \v 31 তোমাদের নগরগুলিকে আমি ধ্বংসাবশেষে পরিণত করব, তোমাদের ধর্মধামগুলি ধ্বংস করব এবং তোমাদের সুরভিযুক্ত সন্তোষজনক উপহারে আমি মোটেই পরিতৃপ্ত হব না। \v 32 তোমাদের দেশ আমি ধ্বংস করব, যেন তোমাদের শত্রুরা যারা সেখানে বসবাস করে তারা অত্যন্ত ভীত হয়। \v 33 জাতিদের মাঝে আমি তোমাদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখব, আমার তরোয়াল নিষ্কোষ করব এবং তোমাদের পিছনে ধাবমান হব। তোমাদের দেশ উৎসন্ন হবে ও তোমাদের নগরগুলি ধ্বংসস্থান হয়ে থাকবে। \v 34 ফলে যতদিন দেশ ধ্বংসস্থান হয়ে থাকবে ও তোমরা তোমাদের শত্রুদের দেশে বসবাস করবে, ততদিন পর্যন্ত দেশ বিশ্রামের বছরগুলি উপভোগ করবে; পরে দেশ বিশ্রাম পাবে ও বিশ্রামবারগুলি উপভোগ করবে। \v 35 যতকাল দেশ পরিত্যক্ত থাকবে, দেশ বিশ্রাম পাবে, যদিও দেশে তোমাদের থাকাকালীন দেশ বিশ্রামবারগুলিতে বিশ্রাম পায়নি। \p \v 36 “ ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, শত্রুদের দেশে তাদের হৃদয় এত ভয়ে ভরিয়ে দেব যে হাওয়াতে পাতা ওড়ার শব্দ শুনে তারা পালাতে চাইবে। তাদের দৌড় দেখে মনে হবে যেন কেউ তরোয়াল নিয়ে তাদের তাড়া করছে এবং তারা পতিত হবে, যদিও কেউ তাদের তাড়া করেনি। \v 37 কেউ তাড়া না করলেও তরোয়াল থেকে বাঁচবার তাগিদে তারা একজন অন্যজনের উপরে পতিত হবে। সুতরাং তোমাদের শত্রুদের সামনে তোমরা দাঁড়াতে পারবে না। \v 38 জাতিদের মাঝে তোমরা বিনষ্ট হবে; তোমাদের শত্রুদের দেশ তোমাদের গ্রাস করবে। \v 39 যারা অবশিষ্ট থাকবে, তারা তাদের অসংখ্য পাপের কারণে শত্রুদের দেশে বিনষ্ট হবে; তাদের পূর্বপুরুষদের পাপের কারণেও তাদের ধ্বংস অনিবার্য। \p \v 40 “ ‘কিন্তু তারা যদি তাদের পাপ ও তাদের পূর্বপুরুষদের পাপস্বীকার করে, এই স্বীকারোক্তিতে যদি আমার বিপক্ষে তাদের বিশ্বাসঘাতকতা ও আমার প্রতি তাদের শত্রুতার উল্লেখ থাকে, \v 41 যা তাদের প্রতি আমাকে বৈরীভাবাপন্ন করেছিল, যার প্রেরণায় শত্রুদের দেশে তাদের আমি পাঠালাম, এর ফলে যখন তাদের সুন্নত করা হৃদয়গুলি অবনত হয় ও তাদের পাপের কারণে তারা মূল্য দেয়, \v 42 যাকোবের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি, ইস্‌হাকের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি ও অব্রাহামের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি আমি স্মরণ করব এবং আমি দেশকে স্মরণ করব। \v 43 কেননা তাদের দ্বারা দেশ পরিত্যাক্ত হবে এবং তাদের বিহনে জনশূন্য জায়গায় দেশ বিশ্রামবারগুলি উপভোগ করবে। তাদের পাপের কারণে তারা ক্ষতিপূরণ দেবে, কারণ আমার বিধানগুলি তারা অগ্রাহ্য করেছে ও আমার অনুশাসনগুলি ঘৃণা করেছে। \v 44 আমার প্রতি অবমাননা করা সত্ত্বেও যখন শত্রুদের দেশে তারা থাকবে, আমি তাদের অগ্রাহ্য অথবা ঘৃণা করব না; এবং পুরোপুরিভাবে তাদের বিনষ্ট করব না, তাদের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি ভঙ্গ করব না। আমি তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু। \v 45 কিন্তু তাদের পক্ষে তাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি আমি স্মরণ করব, মিশর থেকে সর্বজাতির গোচরে আমি যাদের বের করে আনলাম, যেন তাদের ঈশ্বর হতে পারি। আমি সদাপ্রভু।’ ” \p \v 46 এসব আদেশ, অনুশাসন ও নিয়মাবলি সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে মোশির মাধ্যমে তাঁর ও ইস্রায়েলীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করলেন। \c 27 \s1 ঈশ্বরের যা তাঁকে তা দেওয়া \p \v 1 সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, \v 2 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে তুমি কথা বলো ও তাদের জানিয়ে দাও: ‘যদি কেউ সদাপ্রভুর উদ্দেশে কোনো একজনকে উৎসর্গ করবার জন্য সমতুল্য মূল্য দিয়ে এক বিশেষ মানত করে, \v 3 তাহলে কুড়ি থেকে ষাট বছরের মধ্যে বয়স্ক কোনো এক পুরুষের মূল্য হিসেবে সে পঞ্চাশ শেকল\f + \fr 27:3 \fr*\ft প্রায় 575 গ্রাম\ft*\f* রুপো ধার্য করবে, যা পবিত্রস্থানের শেকল\f + \fr 27:3 \fr*\ft প্রায় 12 গ্রাম\ft*\f* অনুসারে হবে, \v 4 একজন নারীর ক্ষেত্রে তাকে ত্রিশ শেকল\f + \fr 27:4 \fr*\ft প্রায় 345 গ্রাম\ft*\f* মূল্য ধার্য করতে হবে। \v 5 যদি পাঁচ থেকে কুড়ি বছরের মধ্যে বয়স্ক কোনো এক ব্যক্তিকে উৎসর্গ করতে হয়, তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রে কুড়ি শেকল\f + \fr 27:5 \fr*\ft প্রায় 230 গ্রাম\ft*\f* এবং নারীর ক্ষেত্রে দশ শেকল\f + \fr 27:5 \fr*\ft প্রায় 115 গ্রাম\ft*\f* ধার্য করতে হবে। \v 6 যদি এক মাস ও পাঁচ বছরের মধ্যে যে কোনো বয়সি কেউ থাকে, তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রে পাঁচ শেকল\f + \fr 27:6 \fr*\ft প্রায় 58 গ্রাম\ft*\f* রুপো ও নারীর ক্ষেত্রে তিন শেকল\f + \fr 27:6 \fr*\ft প্রায় 35 গ্রাম\ft*\f* রুপো ধার্য করতে হবে। \v 7 যদি কারও বয়স ষাট অথবা তদূর্ধ্ব হয়, তাহলে পুরুষের ক্ষেত্রে পনেরো শেকল\f + \fr 27:7 \fr*\ft প্রায় 175 গ্রাম\ft*\f* ও নারীর ক্ষেত্রে দশ শেকল ধার্য করতে হবে। \v 8 যদি কেউ মানত করে, অথচ অত্যন্ত দরিদ্রতার কারণে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য দিতে অসমর্থ হয়, তাহলে সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে যাজকের কাছে আনা হবে এবং মানতকারীর সামর্থ্য অনুযায়ী সেই ব্যক্তির পক্ষে যাজক মূল্য নির্ধারণ করবে। \p \v 9 “ ‘একটি পশু দিয়ে যদি সে মানত করে, সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক উপহাররূপে সেই মানত গ্রহণযোগ্য। সদাপ্রভুর উদ্দেশে দত্ত এমন এক পশু পবিত্র হয়। \v 10 সে যেন পরিবর্তন না করে, অথবা বিকল্পরূপে মন্দের স্থানে ভালো কিংবা ভালোর স্থানে মন্দ পশু জোগান না দেয়। যদি সে একটিরও পক্ষে অন্য পশু বিকল্পরূপে দেয়, তাহলে বিকল্প দুটিই পবিত্র হয়। \v 11 যদি তার মানত করা পশু আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি হয়, যদি তা সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক উপহাররূপে গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে ওই পশুকে অবশ্যই যাজকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। \v 12 পশুটি ভালো অথবা মন্দ, সে বিষয়ের গুণাগুণ যাজক বিচার করবে। পরে যাজক দ্বারা নিরূপিত মূল্য অনুযায়ী পশুর মূল্য নির্ধারিত হবে। \v 13 পশুর মালিক যদি পশুকে মুক্ত করতে চায়, নিরূপিত মূল্যের পঞ্চমাংশ সে অবশ্যই অতিরিক্ত দেবে। \p \v 14 “ ‘যদি কোনো পুরুষ পবিত্র বস্তুরূপে তার বাড়ি সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করে তাহলে ভালো অথবা মন্দ বাড়িটির গুণাগুণ যাজক বিচার করবে; যাজক দ্বারা নির্ধারিত মূল্য মেনে নেওয়া হবে। \v 15 যদি উৎসর্গকারী তার বাড়ি মুক্ত করে, তাহলে নিরূপিত মূল্যের অতিরিক্ত পঞ্চমাংশ সে অবশ্যই দেবে। বাড়িটি পুনরায় তার হবে। \p \v 16 “ ‘যদি কোনো পুরুষ তার অধিকৃত ক্ষেতের অংশবিশেষ সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করে, সেই ক্ষেতে বপনীয় বীজের পরিমাণানুসারে ক্ষেতটির মূল্য নিরূপিত হবে—এক হোমর\f + \fr 27:16 \fr*\ft প্রায় 135 কিলোগ্রাম\ft*\f* যবের বীজের জন্য পঞ্চাশ শেকল রুপো। \v 17 অর্ধশত বছর চলাকালীন যদি সে তার ক্ষেত উৎসর্গ করে, তাহলে ক্ষেতটির নিরূপিত মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে। \v 18 কিন্তু যদি অর্ধশতবার্ষিকীর পরে সে তার ক্ষেত উৎসর্গ করে, পরবর্তী অর্ধশতবার্ষিকী না আসা পর্যন্ত বছরগুলির সংখ্যা অনুযায়ী যাজক মূল্য নির্ধারণ করবে এবং নির্ধারিত মূল্য হ্রাস পাবে। \v 19 উৎসর্গকারী যদি তার ক্ষেত মুক্ত করতে চায়, ক্ষেতটির মূল্যের অতিরিক্ত পঞ্চমাংশ সে অবশ্যই দেবে এবং ক্ষেতটি আবার তার হয়ে যাবে। \v 20 অন্যদিকে, যদি সে তার ক্ষেত মুক্ত না করে, অথবা অন্য কারও কাছে ক্ষেতটি বিক্রি করে, তাহলে তা কখনও মুক্ত হবে না। \v 21 অর্ধশতবার্ষিকীতে ক্ষেত মুক্ত হলে তা হবে পবিত্র, যেন সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিকশিত এক ক্ষেত; এটি হবে যাজকদের সম্পত্তি। \p \v 22 “ ‘যদি কোনো এক পুরুষ তার কেনা একটি ক্ষেত সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করে, যা তার পৈতৃক ভূমির অংশ নয়, \v 23 অর্ধশত বছর পর্যন্ত যাজক সেই ক্ষেতটির মূল্য নির্ধারণ করবে এবং সেই মালিককে তার মূল্য সেদিন দিতে হবে যা সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র বলে বিবেচিত হবে। \v 24 পঞ্চাশতম বছরে ক্ষেতটি পূর্ব অধিকারে যাবে, যার নিকট থেকে সে ক্ষেতটি কিনেছিল অর্থাৎ পূর্বাধিকারী সেই ক্ষেত পাবে। \v 25 পবিত্রস্থানের শেকল অনুযায়ী প্রত্যেক বিষয়ের মূল্য নিরূপিত হবে, প্রতি শেকলে কুড়ি গেরা। \p \v 26 “ ‘অন্যদিকে, প্রথমজাত কোনো পশুকে কেউ উৎসর্গ করতে পারবে না, যেহেতু প্রথমজাত সদাপ্রভুর অধিকার; ষাঁড় অথবা মেষ যা জন্মাবে, তা প্রভুর। \v 27 যদি তা এক অশুচি পশু হয়, তাহলে নিরূপিত মূল্যে সে আবার প্রথমজাতকে কিনবে, এর মূল্যের অতিরিক্ত পঞ্চমাংশ সে দেবে। যদি পশুটিকে সে মুক্ত না করে, তাহলে নিরূপিত মূল্যে ওই পশুকে বিক্রি করতে হবে। \p \v 28 “ ‘কিন্তু কোনো ব্যক্তি নিজের সর্বস্ব থেকে—মানুষ কিংবা পশু কিংবা পৈতৃক সম্পত্তি—সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত করে; তা বিক্রি বা মুক্ত করা যাবে না; সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিবেদিত সবকিছুই অতি পবিত্র। \p \v 29 “ ‘ধ্বংসাত্মক কর্মে লিপ্ত কোনো বর্জিত ব্যক্তির বন্দিত্বমোচন হবে না; তাকে মৃত্যুদণ্ড পেতেই হবে। \p \v 30 “ ‘ভূমি থেকে উৎপন্ন সবকিছুর দশমাংশ মাটি থেকে উৎপন্ন খাদ্যশস্য অথবা গাছের ফল, সমস্তই সদাপ্রভুর। উৎপাদিত সবকিছু সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র। \v 31 যদি কোনো পুরুষ তার দশমাংশের কিছুটা মুক্ত করে, তাহলে দশমাংশ মূল্যের অতিরিক্ত পঞ্চমাংশ সে অবশ্যই দেবে। \v 32 গরু ও মেষের সম্পূর্ণ দশমাংশ মেষপালকের চরাণী পাওয়া প্রত্যেক দশটি পশু সদাপ্রভুর উদ্দেশে পবিত্র হবে। \v 33 সে মন্দ পশুদের মধ্য থেকে ভালো পশু বেছে নেবে না, অথবা বিকল্প বিধান নেবে না। যদি সে বিকল্প উপায় গ্রহণ করে, তাহলে পশু ও তাদের বিকল্প উভয়ই পবিত্র হবে এবং তাদের মুক্ত করা যাবে না।’ ” \p \v 34 সদাপ্রভুর এই আদেশগুলি ইস্রায়েলীদের জন্য সীনয় পর্বতে মোশিকে দেওয়া হল।