\id JOS - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h যিহোশূয় \toc1 যিহোশূয় \toc2 যিহোশূয় \toc3 যিহো \mt1 যিহোশূয় \c 1 \s1 যিহোশূয় নেতৃত্বে অভিষিক্ত হন \p \v 1 সদাপ্রভুর দাস মোশির মৃত্যুর পরে, সদাপ্রভু মোশির পরিচারক, নূনের ছেলে যিহোশূয়কে বললেন: \v 2 “আমার দাস মোশির মৃত্যু হয়েছে। এখন তবে, তুমি ও এই সমস্ত লোকজন, তোমরা জর্ডন নদী অতিক্রম করে, যে দেশ আমি ইস্রায়েলীদের দিতে চলেছি, সেই দেশে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত হও। \v 3 তোমরা যেখানে যেখানে পা রাখবে, সেই সেই স্থান আমি তোমাদের দেব, যেমন আমি মোশির কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। \v 4 তোমাদের সীমা বিস্তৃত হবে এই মরুভূমি থেকে লেবানন পর্যন্ত এবং মহানদী ইউফ্রেটিস থেকে—হিত্তীয়দের সমস্ত দেশ—পশ্চিমদিকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত। \v 5 তোমার সমস্ত জীবনকালে কেউই তোমার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়াতে পারবে না। আমি যেমন মোশির সঙ্গে ছিলাম, তেমনই আমি তোমারও সঙ্গে সঙ্গে থাকব; আমি তোমাকে কখনও ছেড়ে দেব না, কখনও পরিত্যাগ করব না। \v 6 তুমি শক্তিশালী ও সাহসী হও, কারণ আমি যে দেশ দেওয়ার জন্য তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছিলাম, তুমি এই লোকদের নেতৃত্ব দিয়ে তা অধিকার করবে। \p \v 7 “তুমি শক্তিশালী ও অত্যন্ত সাহসী হও। আমার দাস মোশি যে বিধান তোমাদের দিয়েছিল, তা পালন করার ব্যাপারে যত্নশীল হোয়ো; তার ডানদিকে বা বাঁদিকে ফিরো না, যেন তুমি যে কোনো স্থানে যাও, সেখানে সফল হও। \v 8 বিধানের এই পুস্তকের বাণী সবসময় তোমাদের ঠোঁটে বজায় রেখো; দিনরাত এ নিয়ে ধ্যান কোরো, যেন এর মধ্যে যা কিছু লেখা আছে, তা পালন করার ব্যাপারে তুমি যত্নশীল হও। তবেই তুমি সমৃদ্ধিশালী ও কৃতকার্য হবে। \v 9 আমি কি তোমাকে এই আদেশ দিইনি? তুমি শক্তিশালী ও সাহসী হও। তুমি ভীত হোয়ো না; হতাশ হোয়ো না, কারণ তুমি যেখানেই যাবে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন।” \p \v 10 অতএব যিহোশূয় লোকদের কর্মকর্তাদের আদেশ দিলেন: \v 11 “তোমরা শিবিরের মধ্যে গিয়ে লোকদের বলো, ‘তোমাদের সঙ্গের পাথেয় খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত করো। এখন থেকে তিনদিনের মধ্যে তোমরা জর্ডন নদী অতিক্রম করবে। তোমরা সেই দেশ অধিকার করবে, যে দেশ তোমাদের নিজস্ব অধিকারবলে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের দিতে চলেছেন।’ ” \p \v 12 কিন্তু রূবেণীয়, গাদীয় ও মনঃশির অর্ধ বংশের উদ্দেশে যিহোশূয় বললেন, \v 13 “সদাপ্রভুর দাস মোশি তোমাদের যে আদেশ দিয়েছিলেন, তোমরা তা স্মরণ করো: ‘সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের বিশ্রাম দিচ্ছেন ও এই ভূমি তোমাদের অধিকারস্বরূপ দিয়েছেন।’ \v 14 জর্ডন নদীর পূর্বদিকে মোশি তোমাদের যে ভূমি দিয়েছেন, সেখানে তোমাদের স্ত্রী, সন্তানসন্ততি ও পশুপাল থাকতে পারে, কিন্তু তোমাদের সমস্ত যোদ্ধা, সম্পূর্ণ সশস্ত্র হয়ে তোমাদের ভাইদের সামনে সামনে অবশ্য জর্ডন নদী পার হয়ে যাবে। তোমরা তোমাদের ভাইদের সাহায্য করবে, \v 15 যতক্ষণ না সদাপ্রভু তাদের বিশ্রাম দেন, যেমন তিনি তোমাদের দিয়েছেন এবং যতক্ষণ না তারা সেই দেশ অধিকার করে, যা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের দিতে চলেছেন। পরে তোমরা ফিরে গিয়ে তোমাদের জমির অধিকার ভোগ করবে, যা সদাপ্রভুর দাস মোশি, সূর্যোদয়ের দিকে, জর্ডন নদীর পূর্বদিকে তোমাদের দান করেছেন।” \p \v 16 তারা তখন যিহোশূয়কে উত্তর দিল, “আপনি আমাদের যে সমস্ত আদেশ দিয়েছেন, আমরা সেগুলি পালন করব, আর আপনি আমাদের যেখানে পাঠাবেন, আমরা সেখানেই যাব। \v 17 আমরা যেমন মোশির সমস্ত কথা শুনতাম, তেমনই আপনারও আদেশ পালন করব। শুধুমাত্র আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু আপনার সঙ্গে থাকুন, যেমন তিনি মোশির সঙ্গে ছিলেন। \v 18 যে কেউ আপনার আদেশের বিদ্রোহী হয়, আপনি যা কিছু আদেশ দেন তা পালন না করে, তার প্রাণদণ্ড হবে। শুধু আপনি শক্তিশালী ও সাহসী হোন!” \c 2 \s1 রাহব ও গুপ্তচরেরা \p \v 1 পরে নূনের ছেলে যিহোশূয়, গোপনে দুজন গুপ্তচরকে শিটিম\f + \fr 2:1 \fr*\ft সম্ভবত, এই স্থানে বাবলা জাতীয় গাছের জঙ্গল ছিল।\ft*\f* থেকে পাঠালেন। তিনি বললেন, “তোমরা যাও, ওই দেশ, বিশেষ করে যিরীহো নগরটি পর্যবেক্ষণ করো।” তাই তারা রাহব নামক এক বেশ্যার বাড়িতে গিয়ে উঠল ও সেখানে অবস্থান করল। \p \v 2 যিরীহোর রাজাকে বলা হল, “দেখুন! কয়েকজন ইস্রায়েলী আজ রাতে এখানে দেশ পর্যবেক্ষণ করার জন্য এসেছে।” \v 3 তাই যিরীহোর রাজা, রাহবের কাছে এই খবর পাঠালেন: “যে লোকেরা তোমার কাছে এসে তোমার ঘরে প্রবেশ করেছে, তাদের বের করে আনো, কারণ তারা সমস্ত দেশ পর্যবেক্ষণ করতে এসেছে।” \p \v 4 কিন্তু সেই নারী তাদের দুজনকে লুকিয়ে রেখেছিল। সে বলল, “সত্যিই সেই দুজন লোক আমার কাছে এসেছিল, কিন্তু আমি জানতাম না, তারা কোথা থেকে এসেছিল। \v 5 সূর্য অস্ত যাওয়ার সময়, যখন নগর-দুয়ার বন্ধ হওয়ার সময় হল, ওই লোকেরা চলে গেল। আমি জানি না, তারা কোন পথে গেল। তাদের পিছনে দ্রুত তাড়া করে যাও। তোমরা হয়তো তাদের নাগাল পাবে।” \v 6 (কিন্তু সে তাদের ছাদের উপরে নিয়ে গিয়ে, সেখানে ছাদের উপরে তার রাখা মসিনার ডাঁটার পাঁজায় তাদের লুকিয়ে রেখেছিল) \v 7 তাই ওই লোকেরা সেই গুপ্তচরদের খুঁজে বের করার জন্য তাড়া করে গেল। তারা জর্ডন নদী পার হওয়ার জন্য পারঘাটের অভিমুখে চলে গেল। তারা যাওয়া মাত্র নগর-দুয়ার বন্ধ হল। \p \v 8 রাতে, ওই দুজন গুপ্তচর শুতে যাওয়ার আগে, রাহব ছাদে তাদের কাছে গেল \v 9 ও তাদের বলল, “আমি জানি, সদাপ্রভু এই দেশ তোমাদের হাতে দিয়েছেন। আমাদের মধ্যে এক মহা ভয় এসে পড়েছে। সেই কারণে, তোমাদের জন্য এই দেশে বসবাসকারী প্রত্যেকের হৃদয় ভয়ে গলে গিয়েছে। \v 10 আমরা শুনেছি, যখন তোমরা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিলে, তোমাদের জন্য সদাপ্রভু কীভাবে লোহিত সাগরের জল শুকিয়ে দিয়েছিলেন। আরও শুনেছি, জর্ডন নদীর পূর্বদিকে, ইমোরীয়দের দুই রাজা সীহোন ও ওগের প্রতি তোমরা কী করেছিলে। তোমরা তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছ। \v 11 আমরা যখন সেকথা শুনলাম, আমাদের হৃদয় গলে গেল, তোমাদের জন্য আমাদের প্রত্যেকের সাহস নষ্ট হয়ে গেল, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু উপরে স্বর্গের ও নিচে পৃথিবীর ঈশ্বর। \p \v 12 “তাই এখন, দয়া করে তোমরা আমার কাছে সদাপ্রভুর নামে শপথ করো যে, তোমরা আমার পরিবারবর্গের উপরে করুণা প্রদর্শন করবে, কারণ আমিও তোমাদের প্রতি করুণা প্রদর্শন করেছি। আমাকে একটি নিশ্চিত চিহ্ন দাও \v 13 যে, তোমরা আমার বাবা ও মা, আমার ভাইদের ও বোনেদের এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত সকলের প্রাণভিক্ষা দেবে ও মৃত্যু থেকে আমাদের রক্ষা করবে।” \p \v 14 সেই গুপ্তচরেরা তাকে আশ্বাস দিল, “তোমাদের প্রাণের পরিবর্তে আমাদের প্রাণ যাক। আমরা যা করতে চলেছি, তা যদি তুমি কাউকে না বলো, তবে সদাপ্রভু যখন এই দেশ আমাদের দেবেন, তখন আমরা তোমাদের সঙ্গে বিশ্বস্ততাপূর্বক সদয় ব্যবহার করব।” \p \v 15 তাই রাহব জানালার পথে ওই দুজনকে একটি দড়ি দিয়ে নামিয়ে দিল, কারণ যে বাড়িতে সে বসবাস করত তা নগর-প্রাচীরের অংশবিশেষ ছিল। \v 16 সে তাদের বলল, “তোমরা পাহাড়ে উঠে যাও, যেন তোমাদের পশ্চাদ্ধাবনকারীরা তোমাদের সন্ধান না পায়। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত তিন দিন তোমরা সেখানেই নিজেদের লুকিয়ে রাখো, পরে নিজেদের পথে চলে যাবে।” \p \v 17 ওই লোকেরা তাকে বলল, “এই শপথ, যা তুমি আমাদের নিতে বাধ্য করেছ, তা থেকে আমরা মুক্ত হব, \v 18 যদি আমাদের এই দেশে প্রবেশ করার সময়, যে জানালা দিয়ে তুমি আমাদের নামিয়ে দিলে, তাতে এই টকটকে লাল রংয়ের দড়িটি বেঁধে না রাখো। সেই সঙ্গে তুমি তোমার বাবা ও মা, তোমার ভাইরা ও তাদের সমস্ত পরিজন তোমার এই বাড়িতে এসে আশ্রয় নেবে। \v 19 যদি কেউ তোমার বাড়ির বাইরে পথে যায়, তার রক্তের দায় তারই মাথায় বর্তাবে; আমরা তার দায় নেব না। কিন্তু তোমার বাড়ির ভিতরে যারা থাকে, তাদের কারও উপরে আমাদের কেউ যদি হাত উঠায়, তার রক্তের দায় আমাদের মাথায় বর্তাবে। \v 20 কিন্তু আমরা যা করতে চলেছি, তা যদি তুমি প্রকাশ করে দাও, তবে যে শপথে তুমি আমাদের আবদ্ধ করেছ, তা থেকে আমরা মুক্ত হব।” \p \v 21 “আমি রাজি,” রাহব উত্তর দিল। “তোমরা যেমন বলেছ, তেমনই হবে।” \p এভাবে সে তাদের বিদায় দিল, ও তারা চলে গেল। সে তখন ওই টকটকে লাল রংয়ের দড়িটি তার জানালায় বেঁধে দিল। \p \v 22 তারা প্রস্থান করে পাহাড়ি এলাকায় চলে গেল। সেখানে তারা তিন দিন অবস্থান করল। তাদের পশ্চাদ্ধাবনকারীরা সমস্ত পথ ধরে তাদের খুঁজে বেড়াল এবং তাদের সন্ধান না পেয়ে নগরে ফিরে গেল। \v 23 পরে সেই দুজন লোক ফিরে গেল এবং পাহাড়ের পাদদেশে নেমে গিয়ে জর্ডন নদী অতিক্রম করে নূনের ছেলে যিহোশূয়ের কাছে চলে গেল। তাদের প্রতি যা কিছু ঘটেছিল, তারা সে সমস্তই তাঁকে বলল। \v 24 তারা যিহোশূয়কে বলল, “সদাপ্রভু নিশ্চিতভাবেই এই সমস্ত দেশ আমাদের হাতে দিয়েছেন; আমাদের কারণে সেখানকার সমস্ত মানুষের হৃদয় ভয়ে গলে গিয়েছে।” \c 3 \s1 জর্ডন নদী অতিক্রম \p \v 1 ভোরবেলায় যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলী মানুষজনকে সাথে নিয়ে শিটিম থেকে যাত্রা করে জর্ডন নদীর তীরে চলে গেলেন। নদী অতিক্রম করার আগে তাঁরা সেখানে শিবির স্থাপন করলেন। \v 2 তিন দিন পরে, কর্মকর্তারা সমস্ত শিবির পরিদর্শন করলেন \v 3 ও লোকদের এই আদেশ দিলেন: “তোমরা যখন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক লেবীয় যাজকদের বহন করতে দেখবে, তখন নিজের নিজের স্থান ছেড়ে তাঁদের অনুসরণ করবে। \v 4 পরে তোমরা জানতে পারবে, কোন পথে তোমাদের যেতে হবে, কারণ তোমরা এই পথে আগে কখনও যাত্রা করোনি। কিন্তু নিয়ম-সিন্দুক ও তোমাদের মধ্যে 900 মিটার\f + \fr 3:4 \fr*\ft অথবা, 2000 হাত।\ft*\f* দূরত্ব থাকবে; তোমরা সেটির কাছে যাবে না।” \p \v 5 যিহোশূয় লোকদের বললেন, “তোমরা নিজেদের পবিত্র করো, যেহেতু আগামীকাল সদাপ্রভু তোমাদের মধ্যে বিস্ময়কর সব কাজ করবেন।” \p \v 6 যিহোশূয় যাজকদের বললেন, “আপনারা নিয়ম-সিন্দুক তুলে নিন ও লোকদের আগে আগে পার হয়ে যান।” তাই তাঁরা তা তুলে নিয়ে তাদের আগে আগে পার হয়ে গেলেন। \p \v 7 আর সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “আমি আজ তোমাকে সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে উন্নত করতে শুরু করব, যেন তারা জানতে পারে যে, আমি যেমন মোশির সঙ্গে ছিলাম, তেমনই তোমার সঙ্গেও আছি। \v 8 যারা নিয়ম-সিন্দুক বহন করে, তুমি সেই যাজকদের বলো: ‘আপনারা যখন জর্ডন নদীর জলের কিনারায় পৌঁছাবেন, তখন আপনারা গিয়ে নদীর মাঝখানে দাঁড়াবেন।’ ” \p \v 9 যিহোশূয় ইস্রায়েলীদের বললেন, “তোমরা এখানে এসো এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই বাণী শোনো।” \v 10 আর যিহোশূয় বললেন, “তোমরা এভাবে জানতে পারবে যে, জীবন্ত ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে আছেন আর তিনি নিশ্চিতরূপে তোমাদের সামনে থেকে কনানীয়, হিত্তীয়, হিব্বীয়, পরিষীয়, গির্গাশীয়, ইমোরীয় ও যিবূষীয়দের তাড়িয়ে দেবেন। \v 11 দেখো, সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর নিয়ম-সিন্দুক তোমাদের আগে জর্ডন নদীতে যাবে। \v 12 তবে তোমরা এখন ইস্রায়েলী গোষ্ঠীসমূহের মধ্য থেকে বারোজন পুরুষকে বেছে নাও। প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে একজন করে নেবে। \v 13 আর যে মুহূর্তে সদাপ্রভুর—সমস্ত পৃথিবীর প্রভুর—সিন্দুক বহনকারী যাজকেরা জর্ডন নদীতে পা রাখবেন, নিচের দিকে বয়ে যাওয়া এর জলরাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে স্তূপীকৃত হয়ে যাবে।” \p \v 14 অতএব লোকেরা যখন জর্ডন নদী পার হওয়ার জন্য শিবির তুলে ফেলল, যাজকেরা নিয়ম-সিন্দুক তুলে নিয়ে লোকদের আগে আগে চললেন। \v 15 ফসল কাটার সময়ে জর্ডন নদীর জল সমস্ত তীর প্লাবিত করে। তবুও, সিন্দুক বহনকারী যাজকেরা জর্ডন নদীর তীরে পৌঁছালেন ও তাঁদের পা জলের প্রান্ত স্পর্শ করল, \v 16 উপর থেকে বয়ে আসা জলস্রোত থেমে গেল। বহুদূরে, সর্তনের নিকটবর্তী আদম নগরের কাছে তা স্তূপীকৃত হয়ে রইল। ফলে অরাবা সাগরে (অর্থাৎ, মরুসাগরে), যে জল নেমে যাচ্ছিল, তা সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হল। অতএব লোকেরা যিরীহোর বিপরীত দিক থেকে নদী পার হয়ে গেল। \v 17 যতক্ষণ না সমগ্র ইস্রায়েল জাতি নদী পার হয়ে গেল, সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক বহনকারী যাজকেরা জর্ডন নদীর মাঝখানে শুকনো ভূমিতে অবিচল দাঁড়িয়ে রইলেন। সমগ্র জাতিই শুকনো ভূমির উপর দিয়ে পার হয়ে গেল। \c 4 \p \v 1 যখন সমগ্র জাতি জর্ডন নদী পার হয়ে গেল, তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, \v 2 “তুমি প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে এক একজন করে, মোট বারোজনকে লোকদের মধ্য থেকে বাছাই করো, \v 3 ও তাদের বলো, যেখানে যাজকেরা দাঁড়িয়েছিলেন, অর্থাৎ জর্ডন নদীর মাঝখান থেকে তারা যেন বারোটি পাথর তুলে আনে ও তোমার সাথে থেকে সেগুলি বহন করে যেখানে তোমরা আজ রাতে থাকবে, সেখানে এনে ফেলে।” \p \v 4 তাই যিহোশূয় যে বারোজনকে ইস্রায়েলীদের প্রত্যেক গোষ্ঠীর মধ্য থেকে এক একজন করে নিযুক্ত করলেন, তাদের একসাথে ডেকে নিলেন, \v 5 ও তিনি তাদের বললেন, “তোমরা জর্ডন নদীর মাঝখানে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সিন্দুকের সামনে যাও। ইস্রায়েলীদের গোষ্ঠীসমূহের সংখ্যা অনুযায়ী, তোমরা প্রত্যেকে সেখান থেকে এক-একটি করে পাথর নিজেদের কাঁধে তুলে নেবে। \v 6 সেগুলি তোমাদের পক্ষে চিহ্নস্বরূপ হবে। ভবিষ্যতে, তোমাদের সন্তানেরা যখন জিজ্ঞাসা করবে, ‘এই পাথরগুলির তাৎপর্য কী?’ \v 7 তোমরা তাদের বোলো যে, সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকের সামনে জর্ডন নদীর প্রবাহিত স্রোত ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তা যখন জর্ডন নদী অতিক্রম করেছিল, তখন জর্ডন নদীর জলরাশি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এই পাথরগুলি চিরকালের জন্য ইস্রায়েলী লোকদের কাছে স্মারকস্বরূপ হবে।” \p \v 8 তাই যিহোশূয়ের আদেশমতো ওই ইস্রায়েলীরা সেরকমই করল। সদাপ্রভু যেমন যিহোশূয়কে বললেন, ইস্রায়েলীদের গোষ্ঠী সংখ্যা অনুসারে, তারা জর্ডন নদীর মাঝখান থেকে বারোটি পাথর তুলে আনল। তারা সেগুলি বয়ে নিয়ে তাদের শিবিরে নিয়ে গেল। তারা সেখানেই সেগুলি নামিয়ে রাখল। \v 9 যেখানে নিয়ম-সিন্দুক বহনকারী যাজকেরা দাঁড়িয়েছিলেন, সেখানে জর্ডন নদীর মধ্যে যিহোশূয় বারোটি পাথর স্থাপন করলেন। আর সেগুলি আজও পর্যন্ত সেখানেই আছে। \p \v 10 মোশি যিহোশূয়কে যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেইমতো যিহোশূয়কে দেওয়া সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ লোকেরা পালন না করা পর্যন্ত সিন্দুক বহনকারী যাজকেরা জর্ডন নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে রইলেন। লোকেরা তাড়াতাড়ি নদী পার হয়ে গেল। \v 11 যেই তারা সবাই নদী পার হয়ে গেল, সদাপ্রভুর সিন্দুক ও যাজকেরা লোকদের চক্ষুগোচরে নদীর অন্য পারে চলে গেলেন। \v 12 রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ বংশের লোকেরা সশস্ত্র হয়ে ইস্রায়েলীদের সামনে পার হয়ে গেল, যেমন মোশি তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। \v 13 যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত প্রায় 40,000 সৈন্য সদাপ্রভুর সামনে নদী পার হয়ে যুদ্ধের জন্য যিরীহোর সমভূমিতে গেল। \p \v 14 সেদিন সদাপ্রভু সমস্ত ইস্রায়েলের সাক্ষাতে যিহোশূয়কে উন্নত করলেন; তারা তাঁর জীবনকালের শেষ পর্যন্ত তাঁকে সম্ভ্রম করে চলল, যেমন তারা মোশির ক্ষেত্রেও করত। \p \v 15 পরে সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, \v 16 “তুমি যাজকদের আদেশ দাও, তারা যেন বিধিনিয়মের সিন্দুক বহন করে জর্ডন নদী থেকে বের হয়ে আসে।” \p \v 17 তাই যিহোশূয় যাজকদের আদেশ দিলেন, “আপনারা জর্ডন নদী থেকে উঠে আসুন।” \p \v 18 তখন যাজকেরা সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক বহন করে নদী থেকে উপরে উঠে এলেন। তাঁরা শুকনো ভূমিতে পা রাখামাত্র, জর্ডন নদীর জলরাশি স্বস্থানে ফিরে গেল এবং আগের মতোই সমস্ত তীরের উপরে প্লাবিত হল। \p \v 19 প্রথম মাসের দশম দিনে, লোকেরা জর্ডন নদী পার হয়ে যিরীহোর পূর্ব সীমায় গিল্‌গলে শিবির স্থাপন করল। \v 20 আর যিহোশূয় জর্ডন নদী থেকে তুলে আনা সেই বারোটি পাথর গিল্‌গলে স্থাপন করলেন। \v 21 তিনি ইস্রায়েলীদের বললেন, “ভাবীকালে যখন তোমাদের বংশধরেরা তাদের বাবাদের জিজ্ঞাসা করবে, ‘এই পাথরগুলির তাৎপর্য কী?’ \v 22 তাদের বোলো, ইস্রায়েল শুকনো ভূমি দিয়ে জর্ডন নদী পার হয়েছিল। \v 23 কারণ যতক্ষণ না তোমরা তা পার হলে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সামনে জর্ডন নদী শুকনো করে দিয়েছিলেন। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু জর্ডন নদীর প্রতি তাই করেছেন, যা তিনি লোহিত সাগরের\f + \fr 4:23 \fr*\ft হিব্রু: \ft*\fqa ইয়াম-সূফ, \fqa*\ft যার অর্থ, নলখাগড়ার সাগর।\ft*\f* প্রতি করেছিলেন, তিনি তা শুকনো করে দিয়েছিলেন, যতক্ষণ না আমরা তা অতিক্রম করলাম। \v 24 তিনি এরকম এই কারণে করলেন, যেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষ জানতে পারে যে, সদাপ্রভুর হাত পরাক্রমশালী এবং তোমরা যেন সবসময়ই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করো।” \c 5 \p \v 1 যখন জর্ডন নদীর পশ্চিম পারে ইমোরীয়দের সমস্ত রাজা ও উপকূল বরাবর কনানীয়দের সমস্ত রাজা শুনতে পেলেন, জর্ডন নদী অতিক্রম না করা পর্যন্ত, সদাপ্রভু কীভাবে তা ইস্রায়েলীদের সামনে শুকনো করে দিয়েছিলেন, ভয়ে তাদের হৃদয় গলে গেল। ইস্রায়েলীদের সম্মুখীন হওয়ার সাহস আর তাদের রইল না। \s1 সুন্নত এবং গিল্‌গলে অনুষ্ঠিত নিস্তারপর্ব \p \v 2 সেই সময় সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “তুমি চকমকি পাথরের কয়েকটি ছুরি তৈরি করো এবং আরেকবার ইস্রায়েলীদের সুন্নত করাও।” \v 3 তাই যিহোশূয় চকমকি পাথরের কয়েকটি ছুরি তৈরি করলেন এবং গিবিয়োৎ-হারালোতে\f + \fr 5:3 \fr*\fqa গিবিয়োৎ-হারালোৎ \fqa*\ft শব্দটির অর্থ, লিঙ্গাগ্রচর্মের পাহাড়\ft*\f* ইস্রায়েলীদের সুন্নত করালেন। \p \v 4 যিহোশূয় এরকম করার কারণ হল এই: যারা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিল—সৈন্যবাহিনীতে যোগদানের উপযোগী বয়ঃপ্রাপ্ত সমস্ত পুরুষ—তারা সবাই মিশর ত্যাগ করে আসার পর পথে মরুপ্রান্তরে মারা গিয়েছিল। \v 5 যারা বের হয়ে এসেছিল, তাদের সকলের সুন্নত হয়েছিল, কিন্তু যাদের জন্ম মিশর থেকে যাত্রাপথে মরুপ্রান্তরে হয়েছিল, তাদের সুন্নত করা হয়নি। \v 6 মরুপ্রান্তরে ইস্রায়েলীরা চল্লিশ বছর ইতস্তত ভ্রমণ করল। সেই সময়, সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করা সমস্ত পুরুষের—যারা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিল—মৃত্যু হল, যেহেতু তারা সদাপ্রভুর আদেশ পালন করেনি। সদাপ্রভু তাদের কাছে শপথ করে বলেছিলেন যে, যে দুধ ও মধু প্রবাহিত দেশটি তিনি তাদের পূর্বপুরুষদের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তারা দেখতেই পাবে না। \v 7 তাই তিনি তাদের স্থানে তাদের সন্তানদের উৎপন্ন করলেন, এবং যিহোশূয় এদেরই সুন্নত করিয়েছিলেন। তাদের তখনও পর্যন্ত সুন্নত হয়নি, যেহেতু পথিমধ্যে তাদের সুন্নত করানো হয়নি। \v 8 আর সমগ্র জাতির সুন্নত করানোর পর, যতক্ষণ না তারা সুস্থ হল, তারা সেখানেই শিবিরের মধ্যে অবস্থান করল। \p \v 9 পরে সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “আজ আমি তোমাদের মধ্য থেকে মিশরের দুর্নাম গড়িয়ে দিলাম।” তাই সেই স্থানটির নাম আজও পর্যন্ত গিল্‌গল\f + \fr 5:9 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় \ft*\fq গিল্‌গল \fq*\ft শব্দটি শুনতে গড়ানোর মতোই লাগে\ft*\f* বলে আখ্যাত রয়েছে। \p \v 10 যিরীহোর সমভূমিতে গিল্‌গলে শিবির স্থাপন করে থাকার সময়, মাসের চতুর্দশ দিনের সন্ধ্যাবেলায় ইস্রায়েলীরা নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন করল। \v 11 নিস্তারপর্বের পরের দিন, ঠিক সেদিনই, তারা সেই দেশে উৎপন্ন শস্যের খানিকটা: খামিরবিহীন রুটি ও সেঁকা শস্য ভোজন করল। \v 12 দেশের এই খাদ্য ভোজন করার পরই\f + \fr 5:12 \fr*\ft অথবা, দিনই\ft*\f* মান্না বর্ষণ নিবৃত্ত হল; ইস্রায়েলীদের জন্য কোনও মান্না আর রইল না, কিন্তু সেবছর তারা কনানে উৎপন্ন শস্য ভোজন করল। \s1 যিরীহোর পতন \p \v 13 পরে যিহোশূয় যখন যিরীহোর কাছে গেলেন, তিনি উপরে তাকিয়ে খাপ খোলা তরোয়াল হাতে একজন লোককে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। যিহোশূয় তাঁর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমাদের পক্ষে, না আমাদের শত্রুদের পক্ষে?” \p \v 14 “কোনও পক্ষেই নই,” তিনি উত্তর দিলেন, “কিন্তু আমি এখন সদাপ্রভুর সৈন্যদলের সেনাপতিরূপে এসেছি।” তখন যিহোশূয় সম্মান দেখিয়ে মাটিতে মাথা নত করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমার প্রভু তাঁর এই দাসের জন্য কী খবর এনেছেন?” \p \v 15 সদাপ্রভুর সৈন্যদলের সেনাপতি উত্তর দিলেন, “তোমার চটিজুতো খুলে ফেলো, যেহেতু তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছ, সেই স্থানটি পবিত্র।” আর যিহোশূয় সেরকমই করলেন। \c 6 \p \v 1 সেই সময় ইস্রায়েলীদের কারণে যিরীহোর নগর-দুয়ারগুলিতে শক্ত করে খিল দেওয়া ছিল। কেউ বাইরে যেত না ও কেউ ভিতরেও আসত না। \p \v 2 তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “দেখো, আমি যিরীহোকে তার রাজা ও তার সব যোদ্ধাসহ তোমার হাতে সঁপে দিয়েছি। \v 3 তোমার সব সশস্ত্র লোকজন নিয়ে নগরটি একবার প্রদক্ষিণ করো। ছয় দিন ধরে এরকম কোরো। \v 4 সাতজন যাজক নিয়ম-সিন্দুকের সামনে থেকে মেষের শিং দিয়ে তৈরি শিঙা বহন করুক। সপ্তম দিনে, নগরটি সাতবার প্রদক্ষিণ করবে ও যাজকেরা শিঙা বাজাবে। \v 5 যখন তোমরা তাদের দীর্ঘক্ষণ ধরে শিঙা বাজাতে শুনবে, তখন সমগ্র সৈন্যবাহিনী জোরে চিৎকার করে উঠবে; তখন নগর-প্রাচীর ভেঙে পড়বে এবং সৈন্যবাহিনীর প্রত্যেকে সোজা সামনের দিকে উঠে যাবে।” \p \v 6 অতএব নূনের ছেলে যিহোশূয় যাজকদের ডেকে পাঠালেন ও তাঁদের বললেন, “আপনারা সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি তুলে নিন এবং সাতজন যাজক সেটির সামনে শিঙা বহন করুন।” \v 7 আর তিনি সৈন্যবাহিনীকে আদেশ দিলেন, “তোমরা এগিয়ে চলো! নগরটি প্রদক্ষিণ করো এবং একজন সশস্ত্র প্রহরী সদাপ্রভুর সিন্দুকের আগে আগে যাক।” \p \v 8 যিহোশূয় যখন লোকদের একথা বললেন, তখন সাতজন যাজক সাতটি শিঙা বহন করে সদাপ্রভুর সামনে সামনে এগিয়ে গেলেন ও তাঁদের শিঙাগুলি বাজাতে লাগলেন, এবং সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক তাঁদের অনুগামী হল। \v 9 সশস্ত্র প্রহরীটি শিঙাবাদক যাজকদের অগ্রগামী হল এবং পিছনে থাকা প্রহরীটি সিন্দুকটির অনুগামী হল। এসময় অনবরত শিঙা বেজেই যাচ্ছিল। \v 10 কিন্তু যিহোশূয় সৈন্যবাহিনীকে আদেশ দিলেন, “তোমরা রণহুঙ্কার দিয়ো না, তোমাদের কণ্ঠস্বর তীব্র কোরো না, যতদিন না আমি তোমাদের চিৎকার করতে বলছি, ততদিন একটি কথাও বোলো না। পরে তোমরা চিৎকার কোরো!” \v 11 এভাবে তিনি সদাপ্রভুর সিন্দুকটিকে নগর প্রদক্ষিণ করতে দিলেন, রোজ একবার করে তা বৃত্তাকারে ঘুরল। পরে সৈন্যবাহিনী শিবিরে ফিরে এল এবং সেখানে রাত্রিযাপন করল। \p \v 12 পরদিন ভোরবেলায় যিহোশূয় উঠলেন এবং যাজকেরা সদাপ্রভুর সিন্দুক তুলে নিলেন। \v 13 সাতজন যাজক সাতটি শিঙা বহন করে সামনে এগিয়ে গেলেন এবং শিঙা বাজাতে বাজাতে সদাপ্রভুর সিন্দুকের আগে আগে চললেন। সশস্ত্র লোকেরা তাঁদের আগে আগে গেল এবং পিছন দিকের প্রহরীটি সদাপ্রভুর সিন্দুকের অনুগামী হল, আর এসময় শিঙাগুলি বেজেই যাচ্ছিল। \v 14 তাই দ্বিতীয় দিনেও তারা একবার নগর প্রদক্ষিণ করল ও শিবিরে ফিরে গেল। ছয় দিন ধরে তারা এরকম করল। \p \v 15 সপ্তম দিনে, ভোরবেলায় তারা উঠে পড়ল এবং একইভাবে তারা সেই নগরটি সাতবার প্রদক্ষিণ করল। কেবলমাত্র সেদিনই তারা সাতবার নগরটি প্রদক্ষিণ করল। \v 16 সাতবার প্রদক্ষিণ শেষে যখন যাজকেরা শিঙা বাজাচ্ছিলেন, যিহোশূয় লোকদের আদেশ দিলেন, “তোমরা সিংহনাদ করো, কারণ সদাপ্রভু এই নগরটি তোমাদের দান করেছেন! \v 17 এই নগর এবং এর মধ্যে থাকা সবকিছু সদাপ্রভুর উদ্দেশে বর্জিত\f + \fr 6:17 \fr*\ft পুরোনো সংস্করণে শব্দটি \ft*\fq বর্জিত \fq*\ft রূপে অনূদিত হয়েছে। হিব্রু প্রতিশব্দটির তাৎপর্য, কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে অপ্রত্যাহার্যরূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করা, সময়বিশেষে তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে। এরকম 18 ও 21 পদেও।\ft*\f* হবে। শুধুমাত্র বেশ্যা রাহব এবং তার সঙ্গী সকলে, যারা তার বাড়িতে অবস্থান করবে, তাদের রক্ষা করা হবে, কারণ সে আমাদের পাঠানো গুপ্তচরদের লুকিয়ে রেখেছিল। \v 18 কিন্তু বর্জিত জিনিসগুলি থেকে তোমরা দূরে সরে থাকবে, যেন সেগুলির কিছু গ্রহণ করে তোমরা নিজেদের ধ্বংস ডেকে না আনো। অন্যথায়, তোমরা ইস্রায়েলের শিবিরে বিনাশ ও তার উপরে বিপর্যয় ডেকে আনবে। \v 19 সমস্ত সোনা ও রুপো এবং ব্রোঞ্জ ও লোহার জিনিসপত্র সদাপ্রভুর উদ্দেশে পৃথক থাকবে ও সেগুলি অবশ্যই তাঁর ভাণ্ডারে যাবে।” \p \v 20 যখন শিঙা বাজানো হল, সৈন্যদল সিংহনাদ করে উঠল। শিঙাধ্বনির কারণে যখন তারা সিংহনাদ করল, প্রাচীর ধসে গেল; অতএব প্রত্যেকে সোজা নিজেদের সামনে উঠে গেল ও নগর নিজেদের দখলে নিল। \v 21 তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নগরটি উৎসর্গ করল এবং তার মধ্যে জীবিত সমস্ত প্রাণীকে তরোয়াল দিয়ে ধ্বংস করল—সমস্ত পুরুষ ও নারী, যুবক বা বৃদ্ধ, গৃহপালিত পশুপাল, মেষপাল ও সমস্ত গাধা তারা ধ্বংস করল। \p \v 22 পরে যিহোশূয় সেই দুজন গুপ্তচরকে, যারা নগরটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য গিয়েছিল, তাদের বললেন, “তোমরা ওই বেশ্যার বাড়িতে যাও এবং তোমাদের শপথমতো তাকে, তার সমস্ত পরিজনসহ সেখান থেকে বের করে আনো।” \v 23 তাই সেই দুজন যুবক, যারা দেশ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিল, তারা সেই বাড়িতে গিয়ে রাহবকে, তার বাবা-মা, ভাইদের ও তার সমস্ত আপনজনকে বের করে আনল। তারা তার সমস্ত পরিবারকে বের করে আনল এবং ইস্রায়েলীদের শিবিরের বাইরে এক স্থানে নিয়ে গিয়ে রাখল। \p \v 24 পরে তারা সমস্ত নগরটি ও তার মধ্যে থাকা সবকিছু পুড়িয়ে দিল, কিন্তু তারা সোনা ও রুপো, ব্রোঞ্জ ও লোহার তৈরি সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে সদাপ্রভুর গৃহের ভাণ্ডারে রাখল। \v 25 কিন্তু যিহোশূয় বেশ্যা রাহব, তার পরিবার ও সমস্ত আপনজনকে বাঁচিয়ে রাখলেন, কারণ সে যিরীহো নগরে পাঠানো যিহোশূয়ের দুজন গুপ্তচরকে লুকিয়ে রেখেছিল—আর আজও পর্যন্ত ইস্রায়েলীদের মধ্যে বসবাস করছে। \p \v 26 সেই সময় যিহোশূয় এই গুরুগম্ভীর শপথ উচ্চারণ করলেন: “যে এই যিরীহো নগর পুনর্নির্মাণ করতে উদ্যোগী হয়, সে সদাপ্রভুর সাক্ষাতে অভিশপ্ত হোক: \q1 “তার প্রথমজাত ছেলের প্রাণের বিনিময়ে \q2 সে এটির ভিত্তি স্থাপন করবে; \q1 তার সবচেয়ে ছোটো ছেলের প্রাণের বিনিময়ে \q2 সে এটির দুয়ার নির্মাণ করবে।” \p \v 27 অতএব সদাপ্রভু যিহোশূয়ের সঙ্গে ছিলেন এবং যিহোশূয়ের খ্যাতি সমস্ত দেশে ছড়িয়ে পড়ল। \c 7 \s1 আখনের পাপ \p \v 1 কিন্তু ইস্রায়েলীরা উৎসর্গীকৃত বস্তুগুলির\f + \fr 7:1 \fr*\ft হিব্রু শব্দটি বিভিন্ন বস্তু বা ব্যক্তিকে অনড়ভাবে সদাপ্রভুকে দান করার কথা বলে, প্রায়ই যা সেগুলি বা তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার মাধ্যমে সম্পন্ন হত; 11, 12, 13 ও 15 পদের ক্ষেত্রেও এক কথা প্রযোজ্য\ft*\f* বিষয়ে অবিশ্বস্ত হল; যিহূদা গোষ্ঠীভুক্ত সেরহের ছেলে সিম্রী\f + \fr 7:1 \fr*\ft অথবা, সব্দি; \+xt 1 বংশাবলি 2:6\+xt* পদও দেখুন। 17 ও 18 পদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য\ft*\f*, তার ছেলে কর্মি, তার ছেলে আখন সেগুলির কিছুটা অংশ রেখে নিয়েছিল। তাই ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ জ্বলে উঠল। \p \v 2 এদিকে যিহোশূয় যিরীহো থেকে সেই অয় নগরে লোক পাঠালেন, যেটি বেথেলের পূর্বদিকে বেথ-আবনের কাছে অবস্থিত ছিল, এবং তাদের বললেন, “তোমরা উঠে যাও ও ওই অঞ্চলটি গোপনে পর্যবেক্ষণ করো।” তাই সেই লোকেরা উঠে গেল ও গোপনে অয় নগরটি পর্যবেক্ষণ করল। \p \v 3 যিহোশূয়ের কাছে ফিরে এসে তারা বলল, “অয়ের বিরুদ্ধে সমগ্র সৈন্যদল যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সেটি অধিকার করার জন্য 2,000 বা 3,000 লোক পাঠান এবং সমগ্র সৈন্যদলকে কষ্ট দেবেন না, কারণ সেখানে মাত্র অল্প কিছু লোকই বসবাস করে।” \v 4 তাই, প্রায় 3,000 লোক উঠে গেল, কিন্তু তারা অয়ের সেই লোকদের কাছে সম্পূর্ণরূপে নাস্তানাবুদ হল, \v 5 যারা ইস্রায়েলীদের মধ্যে প্রায় ছত্রিশ জনকে মেরে ফেলল। অয়ের নগর-দুয়ার থেকে পাথরের খনি পর্যন্ত তারা ইস্রায়েলীদের পিছু ধাওয়া করল এবং ঢালু পথে তাদের আঘাত করল। এতে ভয়ে লোকদের হৃদয় গলে জলের মতো হয়ে গেল। \p \v 6 তখন যিহোশূয় তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত একইরকম ভাবে সদাপ্রভুর সিন্দুকের সামনে মাটিতে মুখ লুটিয়ে পড়ে থাকলেন। ইস্রায়েলের প্রাচীনরাও সেরকমই করলেন, ও নিজেদের মাথায় ধুলো ছড়ালেন। \v 7 আর যিহোশূয় বললেন, “হায়, সার্বভৌম সদাপ্রভু, কেন তুমি এই লোকজনকে জর্ডন নদীর এপারে নিয়ে এসে আমাদের ধ্বংস করার জন্য ইমোরীয়দের হাতে সঁপে দিলে? জর্ডন নদীর ওপারে থাকাই আমাদের পক্ষে ভালো ছিল! \v 8 হে প্রভু, তোমার এই দাসকে ক্ষমা করো। ইস্রায়েল এখন যে শত্রুদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে, তাই আমি আর কী বলব? \v 9 কনানীয়রা ও দেশের অন্যান্য সব লোকজন এই ঘটনার কথা শুনবে ও তারা আমাদের চারপাশ থেকে ঘিরে ধরবে এবং পৃথিবী থেকে আমাদের নাম মুছে ফেলবে। তখন তুমি তোমার নিজের মহৎ নামের জন্য কী করবে?” \p \v 10 সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “উঠে দাঁড়াও! তুমি এখানে মুখ লুটিয়ে পড়ে থেকে কী করছ? \v 11 ইস্রায়েল পাপ করেছে; তারা আমার সেই নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যা আমি তাদের পালন করার আদেশ দিয়েছিলাম। তারা উৎসর্গীকৃত বস্তুগুলির কিছুটা অংশ নিয়ে নিয়েছে; তারা চুরি করেছে, তারা মিথ্যা কথা বলেছে, সেগুলি তারা তাদের নিজস্ব বিষয়সম্পত্তির মধ্যে রেখে দিয়েছে। \v 12 সেই কারণে ইস্রায়েলীরা তাদের শত্রুদের সামনে দাঁড়াতে পারছে না; তারা পিছু ফিরে পালিয়েছে কারণ তারাই তাদের সর্বনাশের জন্য দায়ী। তোমরা যদি বিনাশের জন্য উৎসর্গীকৃত বস্তুগুলি ধ্বংস না করো তবে আমি আর তোমাদের সঙ্গে থাকব না। \p \v 13 “যাও, লোকদের পবিত্র করো। তাদের বলো, ‘আগামীকালের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে তোমরা নিজেদের পবিত্র করো; কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন: হে ইস্রায়েল, তোমাদের মধ্যে উৎসর্গীকৃত বস্তুগুলি আছে। তোমরা যতক্ষণ না সেগুলি দূর করছ, তোমরা শত্রুদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। \p \v 14 “ ‘সকালবেলায়, তোমরা এক এক গোষ্ঠী করে নিজেদের উপস্থিত কোরো। যে গোষ্ঠীকে সদাপ্রভু মনোনীত করবেন, তারা এক এক বংশরূপে এগিয়ে আসবে। যে বংশকে সদাপ্রভু মনোনীত করবেন, তারা এক এক পরিবাররূপে এগিয়ে আসবে; আর যে পরিবারকে সদাপ্রভু মনোনীত করবেন, তারা এক একজন করে এগিয়ে আসবে। \v 15 উৎসর্গীকৃত বস্তু সমেত যে ধরা পড়বে, সে এবং তার অধিকারে থাকা সবকিছু আগুন দ্বারা ধ্বংস হয়ে যাবে। সে সদাপ্রভুর নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এবং ইস্রায়েলের মধ্যে এক জঘন্য কাজ করেছে।’ ” \p \v 16 পরদিন ভোরবেলায়, যিহোশূয় গোষ্ঠী ধরে ধরে ইস্রায়েলকে কাছে ডাকলেন, এবং যিহূদা গোষ্ঠী মনোনীত হল। \v 17 যিহূদার বংশগুলি এগিয়ে এল, এবং সেরহীয় বংশ মনোনীত হল। পরিবার ধরে ধরে তিনি সেরহীয়দের কাছে ডাকলেন, এবং সিম্রী মনোনীত হল। \v 18 জনে জনে যিহোশূয় তার পরিবারকে কাছে ডাকলেন, এবং যিহূদা গোষ্ঠীভুক্ত সেরহের ছেলে সিম্রীর ছেলে কর্মির ছেলে আখন মনোনীত হল। \p \v 19 তখন যিহোশূয় আখনকে বললেন, “বাছা আমার, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব স্বীকার করো, ও তাঁকে সম্মান করো। তুমি কী করেছ তা আমাকে বলো; আমার কাছ থেকে তা লুকিয়ে রেখো না।” \p \v 20 আখন যিহোশূয়কে উত্তর দিল, “একথা সত্যি! ইস্রায়েলের ঈশ্বর, সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি। আমি এরকম করেছি: \v 21 লুন্ঠিত জিনিসপত্রের মধ্যে আমি যখন ব্যাবিলনিয়ার\f + \fr 7:21 \fr*\ft হিব্রু: \ft*\fqa শিনারের।\fqa*\f* একটি সুন্দর আলখাল্লা, 200 শেকল\f + \fr 7:21 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 2.3 কিলোগ্রাম।\ft*\f* রুপো ও পঞ্চাশ শেকল\f + \fr 7:21 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 575 গ্রাম।\ft*\f* ওজনের সোনার একটি লম্বা টুকরো দেখেছিলাম, তখন লোভে পড়ে আমি সেগুলি নিয়েছিলাম। আমার তাঁবুর মধ্যে মাটিতে সেগুলি লুকানো আছে, আর সেগুলির নিচে রুপোও রাখা আছে।” \p \v 22 অতএব যিহোশূয় দূতদের পাঠালেন, এবং তারা দৌড়ে তাঁবুর কাছে গেল, ও সেখানে, তার তাঁবুর মধ্যে সেগুলি লুকানো ছিল, আর সেগুলির নিচে রুপোও রাখা ছিল। \v 23 তারা তাঁবু থেকে সেই জিনিসগুলি নিয়ে, যিহোশূয় ও সমগ্র ইস্রায়েলীর কাছে সেগুলি আনল এবং সদাপ্রভুর সামনে সেগুলি মেলে ধরল। \p \v 24 তখন সমগ্র ইস্রায়েলের সঙ্গে সঙ্গে যিহোশূয় সেই রুপো, আলখাল্লা, সোনার লম্বা টুকরো, তার ছেলেমেয়ে, তার গবাদি পশুপাল, গাধা ও মেষ, তার তাঁবু ও তার যা কিছু ছিল, সবকিছু সমেত সেরহের সন্তান আখনকে আখোর উপত্যকায় নিয়ে গেলেন। \v 25 যিহোশূয় বললেন, “তুমি কেন আমাদের উপরে এই বিপত্তি নিয়ে এলে? সদাপ্রভুই আজ তোমার উপরে বিপত্তি নিয়ে আসবেন।” \p তখন সমগ্র ইস্রায়েল তাকে পাথর ছুঁড়ে মারল, এবং বাকিদেরও পাথর ছুঁড়ে মারার পর, তারা তাদের আগুনে পুড়িয়ে দিল। \v 26 আখনের উপরে তারা পাথরের বিশাল এক স্তূপ তৈরি করল, যা আজও পর্যন্ত বজায় আছে। পরে সদাপ্রভু তাঁর ভয়ংকর ক্রোধ থেকে নিবৃত্ত হলেন। তাই তখন থেকেই সেই স্থানটি আখোর\f + \fr 7:26 \fr*\ft আখোর শব্দের অর্থ, \ft*\fqa বিপত্তির স্থান।\fqa*\f* উপত্যকা নামে পরিচিত হয়ে আছে। \c 8 \s1 অয় নগর ধ্বংস হল \p \v 1 পরে সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “ভয় পেয়ো না; হতাশ হোয়ো না। সমগ্র সৈন্যদল সাথে নাও, এবং উঠে গিয়ে অয় নগর আক্রমণ করো। কারণ অয়ের রাজা, তার প্রজা, তার নগর ও তার দেশকে আমি তোমার হাতে সমর্পণ করেছি। \v 2 যিরীহো ও তার রাজার প্রতি তুমি যেমন করেছিলে, অয় ও তার রাজার প্রতিও তুমি তেমনই করবে, শুধু ব্যতিক্রম হবে এই যে তোমরা তাদের লুন্ঠিত জিনিসপত্র ও গৃহপালিত পশুপাল নিজেদের জন্য নিতে পারবে। নগরের পিছন দিকে ওৎ পেতে লুকিয়ে থাকো।” \p \v 3 অতএব যিহোশূয় ও সমগ্র সৈন্যদল অয় আক্রমণ করার জন্য এগিয়ে গেলেন। তাঁর সেরা যোদ্ধাদের মধ্যে থেকে তিনি 30,000 জনকে মনোনীত করলেন এবং রাতের বেলায় তাদের এই আদেশ দিয়ে \v 4 পাঠিয়ে দিলেন: “ভালো করে শোনো। নগরের পিছন দিকে তোমাদের ওৎ পেতে লুকিয়ে থাকতে হবে। সেখান থেকে বেশি দূরে যাবে না। তোমরা সবাই সজাগ থেকো। \v 5 আমি ও আমার সঙ্গী লোকজন, আমরা সবাই নগরের দিকে এগিয়ে যাব এবং লোকেরা যখন আগের মতো আমাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসবে, তখন আমরা তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাব। \v 6 আমরা তাদের নগর থেকে দূরে প্রলুব্ধ করে নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তারা আমাদের পশ্চাদ্ধাবন করে যাবে, কারণ তারা বলবে, ‘আগের মতোই তারা আমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।’ তাই আমরা যখন তাদের কাছ থেকে পালাব, \v 7 তোমরা তখন গুপ্ত স্থান থেকে উঠে এসে নগরটি দখল করবে। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু সেটি তোমাদের হাতে সঁপে দেবেন। \v 8 তোমরা নগরের দখল নিয়ে, তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ো। সদাপ্রভু যে আদেশ দিয়েছেন, তা পালন কোরো। দেখো; আমি তোমাদের আদেশ দিলাম।” \p \v 9 পরে যিহোশূয় তাদের পাঠিয়ে দিলেন, এবং তারা ওৎ পেতে থাকার জন্য নিরূপিত স্থানে গেল এবং অয়ের পশ্চিমদিকে, বেথেল ও অয়ের মাঝখানে অপেক্ষা করতে থাকল—কিন্তু যিহোশূয় সমস্ত রাত লোকদের সঙ্গেই কাটালেন। \p \v 10 পরদিন ভোরবেলায় যিহোশূয় তাঁর সৈন্যদল জড়ো করলেন, এবং তিনি ও ইস্রায়েলের নেতারা সৈন্যদলের সামনের সারিতে থেকে অয়ের দিকে কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে গেলেন। \v 11 তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র সৈন্যদল কুচকাওয়াজ করে নগরের দিকে এগিয়ে গেল ও সেটির সামনে পৌঁছে গেল। অয়ের উত্তর দিকে তারা শিবির স্থাপন করল, এবং তাদের ও নগরের মাঝখানে উপত্যকা ছিল। \v 12 যিহোশূয় প্রায় 5,000 লোক নিয়ে নগরের পশ্চিমদিকে বেথেল ও অয়ের মাঝখানে তাদের গোপনে লুকিয়ে রাখলেন। \v 13 অতএব সৈন্যরা নিজেদের অবস্থান নিল—একদিকে প্রধান শিবিরটি নগরের উত্তর দিকে এবং ওৎ পেতে লুকিয়ে থাকা সৈন্যরা সেটির পশ্চিমদিকে ছিল। সেরাতে যিহোশূয় উপত্যকায় চলে গেলেন। \p \v 14 অয়ের রাজা যখন তা দেখলেন, তিনি ও নগরের সব লোকজন তখন ভোরবেলায় অরাবার দিকে নজর না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে নির্দিষ্ট এক স্থানে ইস্রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য বেরিয়ে পড়লেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে নগরের পিছন দিকে তাঁর বিরুদ্ধে একদল সৈন্য ওৎ পেতে লুকিয়ে আছে। \v 15 যিহোশূয় ও সমগ্র ইস্রায়েল তাদের সামনে থেকে স্বেচ্ছায় পিছু হটলেন, এবং তাঁরা মরুভূমির দিকে পালিয়ে গেলেন। \v 16 অয়ের সব লোককে তাঁদের পশ্চাদ্ধাবন করার জন্য ডাকা হল, এবং তারা যিহোশূয়ের পশ্চাদ্ধাবন করল ও প্রলুব্ধ হয়ে নগর থেকে দূরে চলে গেল। \v 17 অয় বা বেথেলে এমন একজন লোকও অবশিষ্ট ছিল না যে ইস্রায়েলের পশ্চাদ্ধাবন করেনি। তারা নগর উন্মুক্ত রেখে ইস্রায়েলের পশ্চাদ্ধাবন করল। \p \v 18 তখন সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “তোমার হাতে যে বর্শাটি আছে, তা অয়ের দিকে তাক করে ধরো, কারণ তোমার হাতে আমি এই নগরটি সমর্পণ করব।” অতএব যিহোশূয় তাঁর হাতে থাকা বর্শাটি অয়ের দিকে তাক করে ধরলেন। \v 19 তিনি তা করামাত্রই, ওৎ পেতে লুকিয়ে থাকা সৈন্যরা তাড়াতাড়ি তাদের অবস্থান থেকে উঠে এসে সামনের দিকে দৌড়ে গেল। তারা নগরে প্রবেশ করে তার দখল নিল এবং তাড়াতাড়ি তাতে আগুন ধরিয়ে দিল। \p \v 20 অয়ের লোকেরা পিছনে ফিরে তাকাল এবং দেখল নগরের ধোঁয়া আকাশে উঠে যাচ্ছে, কিন্তু তারা কোনো দিকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়নি; যে ইস্রায়েলীরা মরুপ্রান্তরের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল, তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবনকারীদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াল। \v 21 কারণ যিহোশূয় ও সমগ্র ইস্রায়েল যখন দেখলেন যে, ওৎ পেতে লুকিয়ে থাকা সৈন্যরা নগর দখল করে নিয়েছে এবং সেখান থেকে ধোঁয়া উপরে উঠে যাচ্ছে, তখন তাঁরা পিছনে ঘুরে অয়ের লোকদের আক্রমণ করলেন। \v 22 ওৎ পেতে লুকিয়ে থাকা সৈন্যরাও নগর থেকে তাদের বিরুদ্ধে বেরিয়ে এল, তাতে তারা মাঝখানে পড়ে গেল, এবং তাদের দুই দিকেই ইস্রায়েলীরা মোতায়েন ছিল। ইস্রায়েল তাদের কচুকাটা করল, কাউকে অবশিষ্ট রাখল না বা পালিয়েও যেতে দিল না। \v 23 কিন্তু তারা অয়ের রাজাকে জীবিত অবস্থায় ধরে তাঁকে যিহোশূয়ের কাছে নিয়ে এল। \p \v 24 যারা ইস্রায়েলের পশ্চাদ্ধাবন করছিল অয়ের সেইসব লোকজনকে সেই ক্ষেতে ও মরুপ্রান্তরে হত্যা করার, এবং তাদের প্রত্যেককে তরোয়াল দিয়ে কচুকাটা করার পর, ইস্রায়েলীরা সবাই অয়ে ফিরে এল এবং সেখানে যারা ছিল, তাদেরও হত্যা করল। \v 25 অয়ের সব লোকজন 12,000 নারী-পুরুষ সেদিন নিহত হল। \v 26 কারণ যিহোশূয় অয়ে বসবাসকারী লোকজনকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তাঁর সেই হাতটি পিছনে টেনে আনেননি, যেটিতে বর্শা ধরা ছিল। \v 27 কিন্তু ইস্রায়েল নিজেদের জন্য সেই নগরের গৃহপালিত পশুপাল ও লুন্ঠিত জিনিসপত্র বয়ে নিয়ে গেল, যেমনটি সদাপ্রভু যিহোশূয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। \p \v 28 অতএব যিহোশূয় অয়\f + \fr 8:28 \fr*\ft অয় শব্দের অর্থ ধ্বংস\ft*\f* নগরটি পুড়িয়ে দিলেন এবং তা এক চিরস্থায়ী ধ্বংসস্তূপে, এক নির্জন স্থানে পরিণত করলেন, যা আজও পর্যন্ত তাই হয়ে আছে। \v 29 অয়ের রাজাকে তিনি শূলে চড়ালেন এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর মৃতদেহ সেখানেই রেখে দিলেন। সূর্যাস্তের সময়, যিহোশূয় লোকজনকে তাঁর শবটি শূল থেকে নামিয়ে নগর-দুয়ারের প্রবেশস্থানে ছুঁড়ে ফেলার আদেশ দিলেন। আর তারা সেটির উপর বিশাল পাথরের এক স্তূপ তৈরি করল, যা আজও পর্যন্ত বজায় আছে। \s1 এবল পর্বতে নিয়ম নবীকরণ করা হল \p \v 30 পরে যিহোশূয় এবল পর্বতে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন। \v 31 সদাপ্রভুর দাস মোশি ইস্রায়েলীদের যেমন আদেশ দিয়েছিলেন সেই আদেশানুসারে তিনি মোশির বিধানপুস্তকের লিখিত বয়ান অনুযায়ী তা নির্মাণ করলেন—সেই বেদি অকর্তিত পাথরে তৈরি হল, যার উপরে কোনো লোহার যন্ত্র ব্যবহৃত হয়নি। তার উপরে তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করল। \v 32 সেখানে, ইস্রায়েলীদের উপস্থিতিতে, যিহোশূয় একটি পাথরের ফলকে মোশির বিধানের অনুলিপি লিখে দিলেন। \v 33 ইস্রায়েলীরা সবাই, তাদের প্রাচীন, কর্মকর্তা ও বিচারকদের সঙ্গে মিলিতভাবে, সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক বহনকারী লেবীয় যাজকদের দিকে মুখ করে সদাপ্রভুর সেই নিয়ম-সিন্দুকের দুই পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশিরাও সেখানে ছিল এবং স্বদেশি লোকজনরাও ছিল। ইস্রায়েলী লোকদের আশীর্বাদ দান সংক্রান্ত নির্দেশদান করার সময় সদাপ্রভুর দাস মোশি আগেই তাদের যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, সেই আদেশানুসারে অর্ধেক লোক গরিষীম পর্বতের সামনে ও অর্ধেক লোক এবল পর্বতের সামনে এসে দাঁড়াল। \p \v 34 পরে, বিধানপুস্তকে ঠিক যেমনটি লেখা আছে, সেই অনুসারে যিহোশূয় বিধানের সব কথা—আশীর্বাদ ও অভিশাপের কথা—পাঠ করলেন। \v 35 মোশির দেওয়া আদেশের এমন কোনও কথা বাকি ছিল না যা যিহোশূয় নারী ও শিশুসহ সমগ্র ইস্রায়েলী সমাজ এবং তাদের মধ্যে বসবাসকারী সব বিদেশির কাছে পাঠ করেননি। \c 9 \s1 গিবিয়োনীয়দের প্রতারণা \p \v 1 এদিকে জর্ডন নদীর পশ্চিম পারের সব রাজা—পার্বত্য অঞ্চলের, পশ্চিম পাদদেশের, এবং লেবানন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরের সমগ্র উপকূলবর্তী এলাকার রাজারা (হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের রাজারা) যখন এসব বিষয় শুনলেন, \v 2 তখন তাঁরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে যিহোশূয় ও ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। \p \v 3 অবশ্য, গিবিয়োনের লোকজন যখন শুনতে পেল, যিহোশূয় যিরীহো ও অয়ের প্রতি কী করেছেন, \v 4 তখন তারা এক কৌশল অবলম্বন করল: তারা এমন এক প্রতিনিধিদলরূপে গেল যাদের গাধাগুলির পিঠে ছেঁড়া বস্তা ও চিড়-খাওয়া ও তাপ্পি মারা সুরাধার রাখা ছিল।\f + \fr 9:4 \fr*\ft কিছু কিছু প্রাচীন পাণ্ডুলিপি অনুসারে তারা খাবারদাবারের ব্যবস্থা করে তা তাদের গাধাগুলির পিঠে চাপিয়েছিল\ft*\f* \v 5 তারা ক্ষয়ে যাওয়া ও তাপ্পি মারা চটিজুতো পায়ে দিল এবং পুরোনো পোশাক গায়ে দিল। তাদের খাওয়ার জন্য সব রুটি ছিল শুকনো ও ছাতাধরা। \v 6 পরে তারা গিল্‌গলে অবস্থিত শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে গেল এবং তাঁকে ও ইস্রায়েলীদের বলল, “আমরা এক দূরদেশ থেকে আসছি; আমাদের সঙ্গে আপনারা মৈত্রীচুক্তি করুন।” \p \v 7 ইস্রায়েলীরা হিব্বীয়দের বলল, “কিন্তু হয়তো তোমরা আমাদের কাছাকাছি বসবাস করছ, তাই আমরা কীভাবে তোমাদের সঙ্গে মৈত্রীচুক্তি করব?” \p \v 8 “আমরা আপনার দাস,” তারা যিহোশূয়কে বলল। \p কিন্তু যিহোশূয় জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কারা এবং তোমরা কোথা থেকে এসেছ?” \p \v 9 তারা উত্তর দিল: “আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সুখ্যাতি শুনে আপনার দাস আমরা বহু দূরের এক দেশ থেকে এখানে এলাম। কারণ আমরা তাঁর খবর শুনলাম: তিনি মিশরে যেসব কাজ করেছেন, \v 10 এবং জর্ডন নদীর পূর্বপারের ইমোরীয়দের দুই রাজার—হিষ্‌বোনের রাজা সীহোন ও যিনি অষ্টারোতে রাজত্ব করতেন, বাশনের রাজা সেই ওগের—প্রতি তিনি যেসব কাজ করেছেন, সেকথাও আমরা শুনেছি। \v 11 আর আমাদের প্রাচীনেরা ও আমাদের দেশে বসবাসকারী সবাই আমাদের বললেন, ‘তোমাদের যাত্রার জন্য তোমরা পাথেয় নাও; যাও এবং তাদের সঙ্গে দেখা করো ও তাদের বলো, “আমরা আপনাদের দাস; আমাদের সঙ্গে এক মৈত্রীচুক্তি করুন।” ’ \v 12 যেদিন আমরা আপনাদের কাছে আসার জন্য বাড়ি ছেড়েছিলাম, সেদিন ঘরে বোঁচকা বাঁধা আমাদের এই রুটিগুলি সব টাটকা ছিল। কিন্তু এখন দেখুন, এগুলি কেমন শুকনো হয়ে গিয়েছে ও এতে ছাতা ধরেছে। \v 13 আর আমাদের ভর্তি করা এই সুরাধারগুলি নতুন ছিল, কিন্তু দেখুন, এগুলিতে কেমন চিড় ধরেছে। আর এই সুদীর্ঘ যাত্রার ফলে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ ও চটিজুতোও ছিঁড়ে গিয়েছে।” \p \v 14 ইস্রায়েলীরা সেইসব খাবারদাবার পরীক্ষা করে দেখল কিন্তু সদাপ্রভুর কাছে খোঁজ করল না। \v 15 তখন যিহোশূয় তাদের সঙ্গে এক মৈত্রীচুক্তি করলেন, যেন তারা বেঁচে থাকে, এবং সমাজের সব নেতা শপথের দ্বারা সেটির অনুমোদন দিলেন। \p \v 16 গিবিয়োনীয়দের সঙ্গে মৈত্রীচুক্তি করার তিন দিন পর, ইস্রায়েলীরা শুনতে পেল যে, তারা তাদেরই প্রতিবেশী, তাদের কাছেই বসবাস করছিল। \v 17 তাই ইস্রায়েলীরা যাত্রা করে তৃতীয় দিনে তাদের এই নগরগুলির কাছে পৌঁছে গেল: গিবিয়োন, কফীরা, বেরোৎ ও কিরিয়ৎ-যিয়ারীম। \v 18 ইস্রায়েলীরা কিন্তু তাদের আক্রমণ করল না, কারণ সমাজের নেতারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে তাদের কাছে শপথ করেছিলেন। \p সমগ্র জনসমাজ নেতাদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করল, \v 19 কিন্তু নেতারা সবাই তাদের উত্তর দিলেন, “আমরা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে তাদের কাছে শপথ করেছি, তাই এখন আমরা আর তাদের স্পর্শ করতে পারব না। \v 20 আমরা তাদের প্রতি এরকম করব: আমরা তাদের বেঁচে থাকতে দেব, যেন তাদের কাছে করা শপথ ভাঙার জন্য আমাদের উপরে ঈশ্বরের ক্রোধ নেমে না আসে।” \v 21 তাঁরা আরও বললেন, “তারা বেঁচে থাকুক, কিন্তু সমগ্র সমাজের সেবায় তারা কাঠুরিয়া ও জল বহনকারী হয়েই থাকুক।” অতএব তাদের কাছে করা নেতাদের প্রতিজ্ঞা রক্ষিত হল। \p \v 22 পরে যিহোশূয় গিবিয়োনীয়দের ডেকে পাঠালেন ও বললেন, “তোমরা কেন একথা বলে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করলে যে, ‘আমরা আপনাদের থেকে বহুদূরে বসবাস করি,’ প্রকৃতপক্ষে যখন তোমরা আমাদের কাছেই থাকো? \v 23 এখন তোমরা এক অভিশাপের অধীন হলে: আমার ঈশ্বরের গৃহের জন্য কাঠুরিয়ার ও জল বহনকারীর সেবাকাজ থেকে তোমরা কখনও নিষ্কৃতি পাবে না।” \p \v 24 তারা যিহোশূয়কে উত্তর দিল, “আপনার দাসেদের স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছিল কীভাবে আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর দাস মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, যে তিনি সমগ্র দেশটি আপনাদের দেবেন এবং এখানকার সমস্ত অধিবাসীকে আপনাদের সামনে থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবেন। তাই আপনাদের কারণে আমরা প্রাণভয়ে ভীত হয়েছি, এবং সেজন্যই এরকম করেছি। \v 25 এখন আমরা আপনার হাতেই আছি। আপনার যা ভালো ও ন্যায্য মনে হয়, আমাদের প্রতি তাই করুন।” \p \v 26 অতএব যিহোশূয় ইস্রায়েলীদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করলেন, এবং ইস্রায়েলীরা তাদের হত্যা করল না। \v 27 গিবিয়োনীয়দের সেদিন তিনি সমাজের জন্য কাঠুরিয়া ও জল বহনকারীরূপে, ও সদাপ্রভুর মনোনীত স্থানে সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির চাহিদা মিটানোর কাজে নিযুক্ত করলেন। আর আজও পর্যন্ত তারা এরকমই হয়ে আছে। \c 10 \s1 সূর্য স্থির হয়ে দাঁড়াল \p \v 1 এদিকে জেরুশালেমের রাজা অদোনী-ষেদক শুনতে পেলেন যে যিহোশূয় অয় দখল করে তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলেছেন, যিরীহো ও সেখানকার রাজার প্রতি তিনি যেমন করেছিলেন, অয় ও সেখানকার রাজার প্রতিও সেরকমই করেছেন, এবং গিবিয়োন-নিবাসীরা ইস্রায়েলের সঙ্গে এক মৈত্রীচুক্তি করেছে ও তাদের মিত্রশক্তি হয়ে উঠেছে। \v 2 রাজা ও তাঁর প্রজারা এতে ভীষণ উদ্‌ভ্রান্ত হয়ে গেলেন, কারণ যে কোনো রাজকীয় নগরের মতো গিবিয়োনও ছিল গুরুত্বপূর্ণ এক নগর; সেটি আকারে অয়ের থেকেও বড়ো ছিল এবং সেখানকার সব লোকজন ছিল ভালো যোদ্ধা। \v 3 তাই জেরুশালেমের রাজা অদোনী-ষেদক হিব্রোণের রাজা হোহমের, যর্মূতের রাজা পিরামের, লাখীশের রাজা যাফিয়ের ও ইগ্লোনের রাজা দবীরের কাছে আবেদন জানালেন। \v 4 “আপনারা আমার কাছে আসুন এবং গিবিয়োন আক্রমণ করার জন্য আমাকে সাহায্য করুন,” তিনি বললেন, “কারণ তারা যিহোশূয় ও ইস্রায়েলের সঙ্গে সন্ধি করেছে।” \p \v 5 তখন ইমোরীয়দের এই পাঁচজন রাজা—জেরুশালেমের, হিব্রোণের, যর্মূতের, লাখীশের ও ইগ্লোনের রাজা—তাঁদের সৈন্যদল সমবেত করলেন। তাঁদের সমগ্র সৈন্যদল নিয়ে তাঁরা এগিয়ে গেলেন ও গিবিয়োনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সেটি আক্রমণ করলেন। \p \v 6 গিবিয়োনীয়েরা তখন গিল্‌গলের শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে খবর পাঠাল: “আপনার দাসদের ছেড়ে যাবেন না। তাড়াতাড়ি আমাদের কাছে আসুন ও আমাদের রক্ষা করুন! আমাদের সাহায্য করুন, কারণ পার্বত্য প্রদেশের ইমোরীয় রাজারা সবাই আমাদের বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছেন।” \p \v 7 অতএব যিহোশূয় তাঁর সমগ্র সৈন্যদল ও সেরা যোদ্ধাদের সবাইকে সাথে নিয়ে গিল্‌গল থেকে কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে গেলেন। \v 8 সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “ওদের ভয় পেয়ো না; ওদের আমি তোমার হাতে সমর্পণ করেছি। ওদের কেউই তোমার সামনে দাঁড়াতে পারবে না।” \p \v 9 গিল্‌গল থেকে বেরিয়ে সারারাত কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে যাওয়ার পর, যিহোশূয় হঠাৎ তাঁদের সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁদের চমকে দিলেন। \v 10 ইস্রায়েলের সামনে সদাপ্রভু তাদের বিহ্বল করে তুললেন, তাই যিহোশূয় ও ইস্রায়েলীরা গিবিয়োনে তাদের সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করলেন। বেথ-হোরোণ পর্যন্ত উঠে যাওয়া পথটি ধরে ইস্রায়েল তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং অসেকা ও মক্কেদা পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে তাদের হত্যা করল। \v 11 তারা যখন বেথ-হোরোণ থেকে অসেকা পর্যন্ত বিস্তৃত পথে নামতে নামতে ইস্রায়েলের কাছ থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল, তখন সদাপ্রভু তাদের উপরে বড়ো বড়ো শিলা বর্ষণ করলেন এবং ইস্রায়েলীদের তরোয়ালের আঘাতে যতজন না নিহত হল, তার থেকেও বেশি সংখ্যক লোক শিলাবৃষ্টিতে নিহত হল। \p \v 12 যেদিন সদাপ্রভু ইমোরীয়দের ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন, যিহোশূয় সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন। তিনি বললেন: \q1 “সূর্য, তুমি গিবিয়োনে স্থির হয়ে দাঁড়াও, \q2 আর চাঁদ, তুমি দাঁড়াও অয়ালোন উপত্যকায়।” \q1 \v 13 তাই সূর্য স্থির হয়ে দাঁড়াল, \q2 চাঁদও থেমে রইল, \q2 যতক্ষণ না সেই জাতি তার শত্রুদের উপর প্রতিশোধ নিল,\f + \fr 10:13 \fr*\ft অথবা, বিজয়ী হল\ft*\f* \m যেমনটি যাশেরের পুস্তকে লেখা আছে। \p সূর্য মধ্যাকাশে থেমে রইল ও অস্ত যেতে প্রায় সম্পূর্ণ একদিন দেরি করল। \v 14 এর আগে বা এযাবৎ আর কখনও এমন কোনও দিন হয়নি, যেদিন সদাপ্রভু কোনো মানুষের কথা এভাবে শুনেছেন। নিঃসন্দেহে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের হয়ে যুদ্ধ করছিলেন! \p \v 15 পরে যিহোশূয় সমগ্র ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গলের শিবিরে ফিরে এলেন। \s1 পাঁচজন ইমোরীয় রাজা নিহত হন \p \v 16 এদিকে সেই পাঁচজন রাজা পালিয়ে গিয়ে মক্কেদায় একটি গুহাতে লুকিয়েছিলেন। \v 17 যিহোশূয়কে যখন বলা হল যে সেই পাঁচজন রাজাকে মক্কেদায় একটি গুহাতে লুকিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে, \v 18 তখন তিনি বললেন, “সেই গুহাটির মুখে বড়ো বড়ো পাষাণ-পাথর গড়িয়ে দাও ও সেটি পাহারা দেওয়ার জন্য কয়েকজন লোক মোতায়েন করে দাও। \v 19 কিন্তু তোমরা থেমে থেকো না; তোমাদের শত্রুদের পশ্চাদ্ধাবন করে যাও! পিছন দিক থেকে তাদের আক্রমণ করো ও তাদের নিজেদের নগরগুলিতে পৌঁছাতে দিয়ো না, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাদের তোমাদের হাতে সমর্পণ করে দিয়েছেন।” \p \v 20 অতএব যিহোশূয় ও ইস্রায়েলীরা সম্পূর্ণরূপে তাদের পরাজিত করলেন, কিন্তু প্রাণে বাঁচা কয়েকজন লোক তাদের প্রাচীরবেষ্টিত নগরগুলিতে পৌঁছে যেতে পারল। \v 21 সমগ্র সৈন্যদল নিরাপদে মক্কেদার শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে ফিরে এল, এবং কেউই ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারল না। \p \v 22 যিহোশূয় বললেন, “গুহার মুখটি খোলো এবং সেই পাঁচজন রাজাকে আমার কাছে নিয়ে এসো।” \v 23 অতএব তারা সেই পাঁচজন রাজাকে—জেরুশালেমের, হিব্রোণের, যর্মূতের, লাখীশের ও ইগ্লোনের রাজাকে গুহা থেকে বের করে আনল। \v 24 তারা যখন এসব রাজাকে যিহোশূয়ের কাছে আনল, তখন তিনি ইস্রায়েলের সব লোকজনকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁর সঙ্গে আসা সৈন্যদলের সেনাপতিদের বললেন, “তোমরা এখানে এসো ও এই রাজাদের ঘাড়ে নিজেদের পা রাখো।” তাই তাঁরা এগিয়ে এলেন ও সেই রাজাদের ঘাড়ে নিজেদের পা রাখলেন। \p \v 25 যিহোশূয় তাদের বললেন, “তোমরা ভয় পেয়ো না; নিরাশও হোয়ো না। তোমরা বলবান ও সাহসী হও। তোমরা যেসব শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছ, সদাপ্রভু তাদের সবারই প্রতি এরকম করবেন।” \v 26 পরে যিহোশূয় সেই রাজাদের হত্যা করলেন ও পাঁচটি শূলে তাঁদের মৃতদেহ টাঙিয়ে দিলেন, এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের মৃতদেহ ওই শূলগুলিতে ঝুলে রইল। \p \v 27 সূর্যাস্তের সময় যিহোশূয় আদেশ দিলেন ও তারা ওই রাজাদের মৃতদেহ শূল থেকে নামাল এবং তাঁরা যেখানে লুকিয়েছিলেন, সেই গুহায় তাঁদের শবগুলি ছুঁড়ে ফেলে দিল। গুহার মুখে তারা বড়ো বড়ো পাষাণ-পাথর রেখে দিল, যা আজও পর্যন্ত সেখানে রাখা আছে। \s1 দক্ষিণী নগরগুলির উপর জয়লাভ \p \v 28 সেদিন যিহোশূয় মক্কেদা দখল করলেন। তিনি সেই নগরের ও সেখানকার রাজার উপর তরোয়াল চালালেন ও সেটির মধ্যে বসবাসকারী প্রত্যেককে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন। তিনি কাউকেই প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। আর যিরীহোর রাজার প্রতি তিনি যেমন করেছিলেন, মক্কেদার রাজার প্রতিও তিনি তেমনই করলেন। \p \v 29 পরে যিহোশূয় ও সমগ্র ইস্রায়েল মক্কেদা থেকে লিব্‌নার দিকে এগিয়ে গেলেন ও তা আক্রমণ করলেন। \v 30 সদাপ্রভু সেই নগরটি ও তার রাজাকেও ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন। সেই নগরের ও সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকের উপর যিহোশূয় তরোয়াল চালালেন। সেখানে কাউকে তিনি প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। আর যিরীহোর রাজার প্রতি তিনি যেমন করেছিলেন, এখানকার রাজার প্রতিও তিনি তেমনই করলেন। \p \v 31 পরে যিহোশূয় ও তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র ইস্রায়েল লিব্‌না থেকে লাখীশের দিকে এগিয়ে গেলেন; তিনি সেই নগরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন ও তা আক্রমণ করলেন। \v 32 সদাপ্রভু ইস্রায়েলের হাতে লাখীশ সমর্পণ করলেন, এবং দ্বিতীয় দিনে যিহোশূয় তা দখল করলেন। সেই নগরের ও সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকের উপরে তিনি তরোয়াল চালালেন, ঠিক যেমনটি তিনি লিব্‌নার প্রতি করেছিলেন। \v 33 ইতিমধ্যে, গেষরের রাজা হোরম লাখীশকে সাহায্য করতে এলেন, কিন্তু যিহোশূয় তাঁকে ও তাঁর সৈন্যদলকেও পরাজিত করলেন—কাউকে প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। \p \v 34 পরে যিহোশূয় ও তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র ইস্রায়েল লাখীশ থেকে ইগ্লোনের দিকে এগিয়ে গেলেন; তাঁরা নগরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন ও তা আক্রমণ করলেন। \v 35 সেদিনই তাঁরা তা দখল করে নিলেন এবং সেটির উপরে তরোয়াল চালিয়ে সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেককে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন, ঠিক যেমনটি তাঁরা লাখীশের প্রতি করেছিলেন। \p \v 36 পরে যিহোশূয় ও তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র ইস্রায়েল ইগ্লোন থেকে হিব্রোণের দিকে এগিয়ে গিয়ে তা আক্রমণ করলেন। \v 37 তাঁরা নগরটি দখল করলেন এবং সেটির উপরে ও সেখানকার রাজার, সেখানকার গ্রামগুলির এবং সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকের উপরে তরোয়াল চালিয়ে দিলেন। কাউকেই তাঁরা প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। ইগ্লোনের প্রতি যেমন করেছিলেন, সেভাবে সেই নগর ও সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেককে তাঁরা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন। \p \v 38 পরে যিহোশূয় ও তাঁর সঙ্গে থাকা সমগ্র ইস্রায়েল পিছনে ফিরে দবীর আক্রমণ করলেন। \v 39 তাঁরা নগরটির রাজা ও গ্রামগুলি সমেত সেটি দখল করে নিলেন এবং তাদের উপরে তরোয়াল চালিয়ে দিলেন। সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেককে তাঁরা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন। কাউকেই তাঁরা প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। লিব্‌না ও সেখানকার রাজার এবং হিব্রোণের প্রতি তাঁরা যেমন করেছিলেন, দবীর ও সেখানকার রাজার প্রতিও তাঁরা তেমনই করলেন। \p \v 40 অতএব যিহোশূয় পার্বত্য প্রদেশ, নেগেভ, পশ্চিমী পাহাড়ের পাদদেশ ও পর্বতের ঢাল সমেত সমগ্র অঞ্চলটি, এবং তাদের সব রাজাকে পদানত করলেন। তাদের কাউকেই তিনি প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। শ্বাসবিশিষ্ট সকলকেই তিনি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন, ঠিক যেমনটি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন। \v 41 কাদেশ-বর্ণেয় থেকে গাজা পর্যন্ত এবং গোশনের সমগ্র অঞ্চল থেকে গিবিয়োন পর্যন্ত, যিহোশূয় তাদের পদানত করলেন। \v 42 একই সামরিক অভিযানে যিহোশূয় এসব রাজা ও তাঁদের দেশগুলির উপর জয়লাভ করলেন, কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু ইস্রায়েলের হয়ে যুদ্ধ করছিলেন। \p \v 43 পরে যিহোশূয় সমগ্র ইস্রায়েলকে সঙ্গে নিয়ে গিল্‌গলের শিবিরে ফিরে এলেন। \c 11 \s1 উত্তরের রাজারা পরাজিত হন \p \v 1 হাৎসোরের রাজা যাবীন যখন একথা শুনলেন, তখন তিনি মাদোনের রাজা যোববের কাছে, শিম্রোণের ও অক্‌ষফের রাজাদের কাছে, \v 2 এবং পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী উত্তর দিকের রাজাদের কাছে, কিন্নেরতের দক্ষিণে অরাবায়, পশ্চিমী পাহাড়ের পাদদেশে ও আরও পশ্চিমে নাফোৎ-দোরে খবর পাঠালেন; \v 3 এছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিমদিকের কনানীয়দের কাছে; পার্বত্য অঞ্চলের ইমোরীয়, হিত্তীয়, পরিষীয় ও যিবূষীয়দের কাছে; এবং হর্মোণের নিচের দিকের মিস্‌পা অঞ্চলে হিব্বীয়দের কাছেও তিনি খবর পাঠালেন। \v 4 তাঁরা তাঁদের সমগ্র সৈন্যদল এবং বিপুল সংখ্যক ঘোড়া ও রথ নিয়ে—সমুদ্রতীরের বালুকণার মতো বিশাল সৈন্যদল নিয়ে বেরিয়ে এলেন। \v 5 এসব রাজা সৈন্যদলগুলি একত্রিত করে ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মেরোম জলাশয়ের কাছে শিবির স্থাপন করলেন। \p \v 6 সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন, “তুমি ওদের ভয় কোরো না, কারণ আগামীকাল এই সময়ে, আমি তাদের সবাইকে হত্যা করে ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করব। তোমাকে তাদের ঘোড়াগুলির পায়ের শিরা কেটে ফেলতে হবে ও তাদের রথগুলি পুড়িয়ে দিতে হবে।” \p \v 7 অতএব যিহোশূয় ও তাঁর সমগ্র সৈন্যদল অতর্কিতে মেরোম জলাশয়ের কাছে গিয়ে তাদের আক্রমণ করলেন, \v 8 এবং সদাপ্রভু তাদের ইস্রায়েলের হাতে সমর্পণ করলেন। তাঁরা তাদের পরাজিত করলেন এবং মহাসীদোন, মিষ্রফোৎ-ময়িম ও পূর্বদিকে মিস্‌পা উপত্যকা পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে গেলেন, ও একজনকেও প্রাণে বাঁচতে দিলেন না। \v 9 সদাপ্রভু যেমন নির্দেশ দিয়েছিলেন, যিহোশূয় তাদের প্রতি তেমনই করলেন: তিনি তাদের ঘোড়াগুলির পায়ের শিরা কেটে ফেললেন এবং তাদের রথগুলি পুড়িয়ে দিলেন। \p \v 10 সেই সময় যিহোশূয় পিছনে ফিরে হাৎসোর নিয়ন্ত্রণে আনলেন এবং সেখানকার রাজার উপরে তরোয়াল চালিয়ে দিলেন। (এসব রাজ্যের মধ্যে হাৎসোর প্রধান ছিল) \v 11 সেখানে বসবাসকারী প্রত্যেকের উপরে তারা তরোয়াল চালিয়ে দিলেন। তাঁরা তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন, তাদের মধ্যে শ্বাসবিশিষ্ট কাউকেই জীবিত রাখলেন না, এবং তিনি হাৎসোর নগরটিই পুড়িয়ে দিলেন। \p \v 12 যিহোশূয় এসব রাজকীয় নগর ও সেখানকার রাজাদের নিয়ন্ত্রণে এনে তাঁদের উপরে তরোয়াল চালিয়ে দিলেন। সদাপ্রভুর দাস মোশির আদেশানুসারে তিনি তাঁদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন। \v 13 তবুও শুধু যিহোশূয় যেটি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন, সেই হাৎসোর ছাড়া, তাদের টিলাগুলির উপরে নির্মিত আর কোনো নগর তারা পোড়ায়নি। \v 14 ইস্রায়েলীরা এসব নগরের সমস্ত লুন্ঠিত জিনিসপত্র ও গৃহপালিত পশুপাল নিজেদের জন্য বহন করে নিয়ে গেল, কিন্তু সব লোকজনকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা তাদের উপরে তরোয়াল চালিয়ে গেল, এবং শ্বাসবিশিষ্ট কাউকেও তারা জীবিত রাখেনি। \v 15 সদাপ্রভু তাঁর দাস মোশিকে যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, মোশিও যিহোশূয়কে তেমনই আদেশ দিয়েছিলেন, ও যিহোশূয় তা পালন করলেন; সদাপ্রভু মোশিকে যেসব আদেশ দিয়েছিলেন, যিহোশূয় তার কোনোটিই অসম্পূর্ণ রাখেননি। \p \v 16 অতএব যিহোশূয় সমগ্র এই দেশ: পার্বত্য প্রদেশ, সমগ্র নেগেভ, গোশনের সম্পূর্ণ অঞ্চল, পশ্চিমী পাহাড়ের পাদদেশগুলি, অরাবা এবং ইস্রায়েলের পর্বতগুলি ও সেগুলির পাদদেশগুলি, \v 17 সেয়ীরের দিকে উঠে যাওয়া হালক পর্বত থেকে হর্মোণ পর্বতের নিচে অবস্থিত লেবানন উপত্যকার বায়াল-গাদ পর্যন্ত দখল করলেন। তিনি সেখানকার সব রাজাকে বন্দি করে তাদের হত্যা করলেন। \v 18 দীর্ঘদিন ধরে যিহোশূয় এসব রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালালেন। \v 19 গিবিয়োনে বসবাসকারী হিব্বীয়রা ছাড়া, আর কোনও নগর সেই ইস্রায়েলীদের সঙ্গে মৈত্রীচুক্তি করেনি, যারা যুদ্ধে তাদের সবাইকে পরাজিত করেছিল। \v 20 কারণ স্বয়ং সদাপ্রভুই তাদের হৃদয় কঠোর করলেন, যেন তারা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালায় এবং তিনি তাদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে পারেন, দয়া না দেখিয়ে তাদের যেন নির্মূল করে ফেলেন, যেমনটি সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \p \v 21 সেই সময় যিহোশূয় গিয়ে পার্বত্য প্রদেশের অনাকীয়দের ধ্বংস করলেন: হিব্রোণ, দবীর ও অনাব থেকে, যিহূদার সমস্ত পার্বত্য প্রদেশ থেকে ও ইস্রায়েলের সমস্ত পার্বত্য প্রদেশ থেকে। তাদের ও তাদের নগরগুলি যিহোশূয় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করলেন। \v 22 ইস্রায়েলী এলাকায় আর কোনো অনাকীয় অবশিষ্ট ছিল না; শুধুমাত্র গাজা, গাৎ ও অস্‌দোদে কিছু লোক অবশিষ্ট ছিল। \p \v 23 অতএব যিহোশূয় সমগ্র দেশটি দখল করলেন, ঠিক যেমনটি সদাপ্রভু মোশিকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, এবং তাদের গোষ্ঠী-বিভাগ অনুসারে তিনি সেই দেশটি এক উত্তরাধিকাররূপে ইস্রায়েলকে দিলেন। পরে দেশে যুদ্ধবিরাম হল। \c 12 \s1 পরাজিত রাজাদের তালিকা \li4 \v 1 এঁরাই হলেন সেই দেশের রাজারা, যাঁদের ইস্রায়েলীরা পরাজিত করল এবং যাঁদের এলাকা জর্ডন নদীর পূর্বপারে, অর্ণোন গিরিখাত থেকে হর্মোণ পর্বত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, সেই এলাকা এবং অরাবার পূর্বদিকের সমস্ত এলাকা তারা দখল করল: \b \li1 \v 2 ইমোরীয়দের রাজা সীহোন, যিনি হিষ্‌বোনে রাজত্ব করতেন। \li2 অর্ণোন গিরিখাতের প্রান্তে অরোয়ের থেকে—গিরিখাতের মাঝামাঝি থেকে—অম্মোনীয়দের সীমানারূপে চিহ্নিত যব্বোক নদী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা তাঁর শাসনাধীন ছিল। গিলিয়দের অর্ধেক অংশও এর অন্তর্ভুক্ত। \li2 \v 3 এছাড়াও গালীল সাগর\f + \fr 12:3 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, \ft*\fqa কিন্নেরত\fqa*\f* থেকে অরাবা সাগর (অর্থাৎ, মরুসাগর) পর্যন্ত এবং বেথ-যিশীমোৎ ও পরে পিস্‌গার ঢালের নিচে, দক্ষিণ দিক পর্যন্ত তাঁর শাসনাধীন ছিল। \li1 \v 4 আর বাশনের রাজা সেই ওগের এলাকা, যিনি রফায়ীয়দের শেষদিকের একজন রাজা, ও যিনি অষ্টারোতে ও ইদ্রিয়ীতে রাজত্ব করতেন। \li2 \v 5 হর্মোণ পর্বত, সল্‌খা, গশূর ও মাখার লোকদের সীমানা পর্যন্ত সমস্ত বাশন এবং হিষ্‌বোনের রাজা সীহোনের রাজ্যের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত গিলিয়দের অর্ধেক অংশ তাঁর শাসনাধীন ছিল। \b \li4 \v 6 সদাপ্রভুর দাস মোশি এবং ইস্রায়েলীরা তাঁদের উপর জয়লাভ করেন। আর সদাপ্রভুর দাস মোশি তাঁদের দেশটি অধিকাররূপে রূবেণীয় ও গাদীয়দের এবং মনঃশির অর্ধেক বংশকে দিয়েছিলেন। \b \p \v 7 জর্ডন নদীর পশ্চিমদিকে, লেবানন উপত্যকার বায়াল-গাদ থেকে যা সেয়ীরের দিকে উঠে যায়, সেই হালক পর্বত পর্যন্ত বিস্তৃত যে দেশটি যিহোশূয় ও ইস্রায়েলীরা জয় করলেন, সেখানকার রাজাদের এক তালিকা এখানে দেওয়া হল। যিহোশূয় তাঁদের দেশগুলি এক অধিকাররূপে গোষ্ঠী-বিভাগ অনুসারে ইস্রায়েলের বিভিন্ন বংশকে দিয়েছিলেন। \v 8 এই দেশগুলিতে পার্বত্য প্রদেশ, পশ্চিমী পাহাড়ের পাদদেশ, অরাবা, পর্বতের ঢাল, মরুপ্রান্তর ও নেগেভ যুক্ত ছিল। এগুলি হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের দেশ। \b \li4 এঁরাই সেইসব রাজা: \b \tr \tc1 \v 9 যিরীহোর রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 (বেথেলের নিকটবর্তী) অয়ের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 10 জেরুশালেমের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 হিব্রোণের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 11 যর্মূতের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 লাখীশের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 12 ইগ্লোনের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 গেষরের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 13 দবীরের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 গেদরের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 14 হর্মার রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 অরাদের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 15 লিব্‌নার রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 অদুল্লমের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 16 মক্কেদার রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 বেথেলের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 17 তপূহের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 হেফরের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 18 অফেকের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 লশারোণের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 19 মাদোনের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 হাৎসোরের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 20 শিম্রোণ-মেরোণের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 অক্‌ষফের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 21 তানকের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 মগিদ্দোর রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 22 কেদশের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 কর্মিলে যক্নিয়ামের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 23 (নাফোৎ-দোরে) দোরের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 গিল্‌গলে গয়িমের রাজা \tcr2 একজন \tr \tc1 \v 24 তির্সার রাজা \tcr2 একজন \b \tr \tc1 \tcr2 মোট একত্রিশ জন রাজা। \c 13 \s1 যেসব দেশ এখনও দখল করা হয়নি \p \v 1 যিহোশূয় বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “তুমি খুব বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছ, আর দেশের বিস্তর এলাকা এখনও দখল করা হয়ে ওঠেনি। \b \li4 \v 2 “এসব দেশ এখনও অবশিষ্ট আছে: \b \li1 “ফিলিস্তিনী ও গশূরীয়দের সমস্ত অঞ্চল, \v 3 মিশরের পূর্বদিকে প্রবাহিত সীহোর নদী থেকে উত্তর দিকে ইক্রোণের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা, যার সম্পূর্ণটাই কনানীয়দের অধিকাররূপে গণ্য, যদিও গাজা, অস্‌দোদ, অস্কিলোন, গাৎ ও ইক্রোণে রাজত্বকারী পাঁচজন ফিলিস্তিনী রাজা তা দখল করে রেখেছে; \li1 দক্ষিণ দিকে \v 4 অব্বীয়দের এলাকা; \li1 সীদোনীয়দের আরা থেকে অফেক পর্যন্ত ও ইমোরীয়দের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত কনানীয়দের দেশ; \li1 \v 5 গিব্‌লীয়দের অঞ্চল; \li1 এবং পূর্বদিকে হর্মোণ পর্বতের নিচে অবস্থিত বায়াল-গাদ থেকে লেবো-হমাৎ পর্যন্ত বিস্তৃত সমগ্র লেবানন। \b \p \v 6 “লেবানন থেকে মিষ্রফোৎ-ময়িম পর্যন্ত বিস্তৃত পার্বত্য অঞ্চলের সমস্ত অধিবাসীকে, অর্থাৎ, সীদোনীয়দের সবাইকে আমি স্বয়ং ইস্রায়েলীদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেব। তোমাকে আমি যেমন নির্দেশ দিয়েছিলাম, সেই অনুসারে এক উত্তরাধিকাররূপে এই দেশটি তুমি অবশ্যই ইস্রায়েলীদের জন্য বরাদ্দ কোরো, \v 7 এবং এটি এক উত্তরাধিকাররূপে নয় বংশের ও মনঃশির অর্ধেক বংশের মধ্যে ভাগ করে দিয়ো।” \s1 জর্ডনের পূর্বপারের দেশ বিভাগ \li4 \v 8 মনঃশির অন্য অর্ধেক বংশ\f + \fr 13:8 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, সেটির সঙ্গে (অর্থাৎ, মনঃশির অন্য অর্ধেক বংশের সঙ্গে)\ft*\f*, রূবেণীয়রা ও গাদীয়রা তাদের সেই উত্তরাধিকার লাভ করল যা মোশি জর্ডনের পূর্বপারে তাদের দিয়েছিলেন, যেভাবে তিনি, সদাপ্রভুর দাস, তাদের জন্য সেটি বরাদ্দ করে দিয়েছিলেন। \li1 \v 9 এটি অর্ণোন গিরিখাতের প্রান্তে অবস্থিত অরোয়ের থেকে, এবং সেই গিরিখাতের মাঝখানে অবস্থিত নগর থেকে সম্প্রসারিত হল এবং দীবোন পর্যন্ত বিস্তৃত মেদ্‌বার সমগ্র মালভূমি, \v 10 ও অম্মোনীয়দের সীমানা পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা ইমোরীয়দের রাজা সেই সীহোনের সমস্ত নগরও এতে যুক্ত হল, যিনি হিষ্‌বোনে রাজত্ব করতেন। \li1 \v 11 এছাড়াও এতে গিলিয়দ অঞ্চল, গশূর ও মাখার অধিবাসীদের এলাকা, সমগ্র হর্মোণ পর্বত ও সল্‌খা পর্যন্ত বিস্তৃত সমগ্র বাশন যুক্ত হল— \v 12 অর্থাৎ, বাশনে সেই ওগের সমগ্র রাজ্য, যিনি অষ্টারোৎ ও ইদ্রিয়ীতে রাজত্ব করতেন। (তিনিই রফায়ীয়দের সর্বশেষ জন) মোশি তাদের পরাজিত করলেন ও তাদের দেশ অধিকার করে নিলেন। \v 13 কিন্তু ইস্রায়েলীরা গশূর ও মাখার লোকদের সম্পূর্ণরূপে তাড়িয়ে দেয়নি, তাই আজও পর্যন্ত তারা ইস্রায়েলীদের মধ্যে বসবাস করে যাচ্ছে। \b \li1 \v 14 কিন্তু লেবি বংশকে তিনি কোনও উত্তরাধিকার দেননি, যেহেতু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত ভক্ষ্য নৈবেদ্যই হল তাদের উত্তরাধিকার, যেভাবে সদাপ্রভু তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। \b \li4 \v 15 রূবেণ বংশকে, তাদের গোষ্ঠী অনুসারে মোশি এই অধিকার দিলেন: \li1 \v 16 অর্ণোন গিরিখাতের প্রান্তে অবস্থিত অরোয়ের থেকে, এবং গিরিখাতের মাঝখানে অবস্থিত নগর থেকে, এবং মেদ্‌বা ছাড়িয়ে সমগ্র মালভূমি থেকে \v 17 হিষ্‌বোন এবং মালভূমিতে ছড়িয়ে থাকা নগরগুলির সাথে দীবোন, বামোৎ-বায়াল, বেথ-বায়াল-মিয়োন, \v 18 যহস, কদেমোৎ, মেফাৎ, \v 19 কিরিয়াথয়িম, সিব্‌মা, উপত্যকার পাহাড়ে অবস্থিত সেরৎ-নগর, \v 20 বেথ-পিয়োর, পিস্‌গার ঢাল, ও বেথ-যিশীমোৎ \v 21 মালভূমিতে অবস্থিত সমস্ত নগর এবং হিষ্‌বোনে রাজত্বকারী ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের সমগ্র অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা তাদের দিলেন। মোশি সীহোনকে এবং মিদিয়নীয় সর্দারদের, ইবি, রেকম, সূর, হূর ও রেবাকে—সীহোনের সঙ্গে জোট বাঁধা এই অধিপতিদের—পরাজিত করলেন, যাঁরা সেই দেশে বসবাস করতেন। \v 22 যুদ্ধে যারা নিহত হল, তাদের সাথে বিয়োরের ছেলে সেই বিলিয়মকেও ইস্রায়েলীরা তরোয়াল চালিয়ে মেরে ফেলল, যে ভবিষ্যৎ-কথনের অনুশীলন করত। \li4 \v 23 রূবেণীয়দের সীমানা ছিল জর্ডন নদীর পাড়। তাদের গোষ্ঠী অনুসারে এইসব নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি রূবেণ বংশের অধিকার হল। \b \li4 \v 24 গাদ বংশকে, তাদের গোষ্ঠী অনুসারে মোশি এই অধিকার দিলেন: \li1 \v 25 যাসেরের এলাকা, গিলিয়দের সবকটি নগর এবং রব্বার নিকটবর্তী, অরোয়ের পর্যন্ত বিস্তৃত অম্মোনীয়দের অর্ধেক দেশ; \v 26 এবং হিষ্‌বোন থেকে রামৎ-মিস্‌পী ও বটোনীম পর্যন্ত এবং মহনয়িম থেকে দবীরের এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল; \v 27 এবং উপত্যকায়, বেথ-হারম, বেথ-নিম্রা, সুক্কোৎ ও সাফোন, ও সেই সঙ্গে হিষ্‌বোনের রাজা সীহোনের অবশিষ্ট সমস্ত অঞ্চল। (জর্ডনের পূর্বদিকে, গালীল সাগরের\f + \fr 13:27 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, কিন্নেরত\ft*\f* শেষ প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল) \li4 \v 28 এসব নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি তাদের গোষ্ঠী অনুসারে গাদ বংশের অধিকার হল। \b \li4 \v 29 মনঃশির অর্ধেক বংশকে, অর্থাৎ, মনঃশির বংশধরদের অর্ধেক ভাগকে, তাদের গোষ্ঠী অনুসারে মোশি এই অধিকার দিলেন: \li1 \v 30 মহনয়িম ছাড়িয়ে এবং সমগ্র বাশন যুক্ত এলাকা, বাশনের রাজা ওগের সমগ্র এলাকা—বাশনে অবস্থিত যায়ীরের সমস্ত জনবসতি, ষাটটি নগর, \v 31 গিলিয়দের অর্ধেক ভাগ এবং অষ্টারোৎ ও ইদ্রিয়ী। (বাশনে অবস্থিত ওগের রাজকীয় নগরগুলি) \li4 মনঃশির ছেলে মাখীরের বংশধরদের জন্য—তাদের গোষ্ঠী অনুসারে মাখীরের সন্তানদের অর্ধেক সংখ্যার জন্য এটি অধিকার হল। \b \li4 \v 32 মোশি যখন যিরীহোর পূর্বদিকে, জর্ডন নদীর পারে মোয়াবের সমভূমিতে ছিলেন, তখন তিনি এই উত্তরাধিকারটি দিয়েছিলেন। \v 33 কিন্তু লেবির বংশকে মোশি কোনও উত্তরাধিকার দেননি; ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুই তাদের অধিকার, যেভাবে তিনি তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। \c 14 \s1 জর্ডন নদীর পশ্চিমদিকের দেশ বিভাগ \p \v 1 কনান দেশে ইস্রায়েলীরা এই সমস্ত এলাকা এক উত্তরাধিকাররূপে লাভ করল, যা যাজক ইলীয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের গোষ্ঠীপতিরা তাদের জন্য বরাদ্দ করে দিলেন। \v 2 মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভু যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই আদেশানুসারে তাদের উত্তরাধিকার গুটিকাপাত দ্বারা সাড়ে নয় বংশের জন্য নির্দিষ্ট হল। \v 3 আড়াই বংশকে মোশি জর্ডন নদীর পূর্বপারে অধিকার দিয়েছিলেন কিন্তু অবশিষ্টজনেদের মধ্যে তিনি লেবির বংশকে কোনও উত্তরাধিকার দেননি, \v 4 কারণ যোষেফের বংশধরেরা মনঃশি ও ইফ্রয়িম—এই দুই গোষ্ঠীতে পরিণত হল। লেবীয়েরা দেশের কোনও অংশ পায়নি, কিন্তু বসবাস করার জন্য শুধু কয়েকটি নগর এবং তাদের মেষপাল ও পশুপালের জন্য চারণভূমি পেয়েছিল। \v 5 অতএব ইস্রায়েলীরা দেশ বিভাগ করল, ঠিক যেভাবে সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন। \s1 কালেবের জন্য বরাদ্দ অংশ \p \v 6 এদিকে যিহূদার লোকজন গিল্‌গলে যিহোশূয়ের কাছে এগিয়ে এল, এবং কনিষীয় যিফূন্নির ছেলে কালেব তাঁকে বললেন, “আপনি জানেন, আপনার ও আমার সম্পর্কে সদাপ্রভু, কাদেশ-বর্ণেয়তে ঈশ্বরের লোক মোশিকে কী বলেছিলেন। \v 7 দেশ অনুসন্ধান করার জন্যে সদাপ্রভুর দাস মোশি যখন কাদেশ-বর্ণেয় থেকে আমাকে পাঠিয়েছিলেন, তখন আমার বয়স চল্লিশ বছর। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস অনুসারেই আমি তাঁর কাছে এক প্রতিবেদন পেশ করেছিলাম, \v 8 কিন্তু আমার যে সহ-ইস্রায়েলী ভাইরা আমার সঙ্গে গিয়েছিল, তারা লোকদের অন্তরে ভয় উৎপন্ন করে তা গলিয়ে দিয়েছিল। আমি, অবশ্য, সর্বান্তঃকরণে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী হয়েছিলাম। \v 9 তাই মোশি সেদিন আমার কাছে শপথ করে বলেছিলেন, ‘দেশের যেখানে যেখানে তোমার পা পড়েছে, তা তোমার ও তোমার সন্তানদের চিরস্থায়ী অধিকার হয়ে থাকবে, কারণ তুমি সর্বান্তঃকরণে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী হয়েছ।’\f + \fr 14:9 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 1:36\+xt*\ft*\f* \p \v 10 “তবে, সদাপ্রভু যেমন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ইস্রায়েলীরা মরুপ্রান্তরে ঘুরে বেড়ানোর সময় মোশিকে একথা বলার সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তিনি আমাকে এই পঁয়তাল্লিশ বছর জীবিত রেখেছেন। তাই আজ দেখুন, আমার বয়স পঁচাশি বছর হয়ে গেল! \v 11 মোশি যেদিন আমাকে বাইরে পাঠিয়েছিলেন, সেদিনের মতো আমি আজও ততটাই শক্তিশালী; যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তখনকার মতো আমি আজও ততটাই বীর্যবান। \v 12 সেদিন সদাপ্রভু আমার কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেই প্রতিজ্ঞানুসারে এখন আপনি আমাকে এই পার্বত্য দেশটি দিন। তখন তো আপনি স্বয়ং সেকথা শুনেছিলেন যে, অনাকীয়েরা সেখানে আছে এবং তাদের নগরগুলি বড়ো বড়ো ও দেয়াল-ঘেরা, কিন্তু সদাপ্রভুর সাহায্য নিয়ে আমি তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেব, ঠিক যেমনটি তিনি বলেছিলেন।” \p \v 13 তখন যিহোশূয় যিফূন্নির ছেলে কালেবকে আশীর্বাদ করলেন এবং তাঁর উত্তরাধিকাররূপে তাঁকে হিব্রোণ দিলেন। \v 14 তাই তখন থেকেই হিব্রোণ কনিষীয় যিফূন্নির ছেলে কালেবের অধিকারভুক্ত হয়ে আছে, কারণ তিনি সর্বান্তঃকরণে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী হয়েছিলেন। \v 15 (হিব্রোণ সেই অর্বের নামানুসারে কিরিয়ৎ-অর্ব নামে পরিচিত ছিল, যিনি অনাকীয়দের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি ছিলেন।) \p পরে দেশে যুদ্ধবিরাম হল। \c 15 \s1 যিহূদার জন্য বরাদ্দ অংশ \li4 \v 1 গোষ্ঠী অনুসারে যিহূদা বংশের জন্য বরাদ্দ অংশ নিচের দিকে ইদোমের এলাকা পর্যন্ত, চূড়ান্ত দক্ষিণে সীন মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত হল। \b \li1 \v 2 তাদের দক্ষিণ সীমানা মরুসাগরের\f + \fr 15:2 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, লবণ-সমুদ্র; \+xt 15:5\+xt* পদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য\ft*\f* দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত উপসাগর থেকে শুরু হয়ে, \v 3 বৃশ্চিক-গিরিপথ\f + \fr 15:3 \fr*\ft হিব্রু ভাষায়, অক্রব্বীম\ft*\f* অতিক্রম করে, সীন পর্যন্ত গিয়ে ও কাদেশ-বর্ণেয়র দক্ষিণে গিয়ে পৌঁছাল। পরে সেই সীমানা হিষ্রোণ পেরিয়ে অদ্দরের দিকে উঠে গেল ও কর্কা পর্যন্ত ঘুরে গেল। \v 4 পরে তা অস্‌মোন হয়ে, মিশরের নির্ঝরিণীতে যুক্ত হয়ে ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হল। এই হল তাদের\f + \fr 15:4 \fr*\ft অথবা, তোমাদের\ft*\f* দক্ষিণ সীমানা। \li1 \v 5 পূর্ব সীমানা হল জর্ডনের মোহনা হয়ে মরুসাগর। \li1 উত্তর সীমানা জর্ডনের মোহনায় অবস্থিত উপসাগর থেকে শুরু হয়ে, \v 6 বেথ-হগ্লা পর্যন্ত উঠে গিয়ে বেথ-অরাবার উত্তর দিক ঘেঁসে রূবেণের সন্তান বোহনের পাথর পর্যন্ত পৌঁছাল। \v 7 সেই সীমানা এরপর আখোর উপত্যকা থেকে দবীর পর্যন্ত উঠে গিয়ে উত্তর দিকে সেই গিল্‌গলে বাঁক নিল, যা সেই গিরিখাতের দক্ষিণে অবস্থিত অদুম্মীম গিরিপথের মুখোমুখি অবস্থিত। তা আরও এগিয়ে ঐন-শেমশের জলাশয়ের গা ঘেঁসে ঐন-রোগেল পর্যন্ত নেমে এল। \v 8 পরে তা বিন-হিন্নোম উপত্যকা দিয়ে উঠে যিবূষীয় নগরের (অর্থাৎ, জেরুশালেমের) দক্ষিণ দিকের ঢালে পৌঁছাল। সেখান থেকে তা রফায়ীম উপত্যকার উত্তর প্রান্তে অবস্থিত হিন্নোম উপত্যকার পশ্চিমী পর্বতচূড়ার দিকে উঠে গেল। \v 9 পর্বতচূড়া থেকে সেই সীমানা নিপ্তোহের জলরাশির উৎসের দিকে এগিয়ে গিয়ে, ইফ্রোণ পর্বতের নগরগুলিতে বের হল এবং বালার (অর্থাৎ, কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের) দিকে নেমে গেল। \v 10 পরে তা পশ্চিমদিকে বাঁক নিয়ে বালা থেকে সেয়ীর পর্বতের দিকে গিয়ে, যিয়ারীম পর্বতের (অর্থাৎ, কসালোনের) উত্তরপ্রান্তের ঢাল বেয়ে বেত-শেমশ পর্যন্ত গেল ও তিম্না অতিক্রম করল। \v 11 তা ইক্রোণের উত্তরপ্রান্তের ঢালের দিকে গিয়ে, শিক্করোণের দিকে ফিরল, পরে বালা পর্বত অতিক্রম করে যব্‌নিয়েলে পৌঁছাল। সীমানাটি সমুদ্রে গিয়ে শেষ হল। \li1 \v 12 পশ্চিম সীমানা হল ভূমধ্যসাগরের উপকূল এলাকা। \b \li4 গোষ্ঠী অনুসারে এই হল যিহূদা সন্তানদের চারপাশের সীমানা। \b \p \v 13 তাঁর প্রতি দত্ত সদাপ্রভুর আদেশানুসারে যিহোশূয় যিফূন্নির ছেলে কালেবকে যিহূদায় একটি অংশ—কিরিয়ৎ-অর্ব, অর্থাৎ, হিব্রোণ দিলেন। (অর্ব ছিলেন অনাকের পূর্বপুরুষ) \v 14 হিব্রোণ থেকে কালেব তিন অনাকীয়কে—অনাকের ছেলে শেশয়, অহীমান ও তল্‌ময়কে তাড়িয়ে দিলেন। \v 15 সেখান থেকে তিনি দবীরে বসবাসকারী লোকদের বিরুদ্ধে কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে গেলেন (দবীরের পূর্বতন নাম ছিল কিরিয়ৎ-সেফর) \v 16 আর কালেব বললেন, “যে ব্যক্তি কিরিয়ৎ-সেফর আক্রমণ করে তা নিয়ন্ত্রণে আনবে, আমি তার সঙ্গে আমার মেয়ে অক্‌ষার বিয়ে দেব।” \v 17 কালেবের ভাই, কনসের ছেলে অৎনীয়েল সেটি দখল করলেন; অতএব কালেব তাঁর মেয়ে অক্‌ষার সঙ্গে অৎনীয়েলের বিয়ে দিলেন। \p \v 18 একদিন অক্‌ষা অৎনীয়েলের কাছে এসে তাঁকে প্ররোচিত করলেন\f + \fr 15:18 \fr*\ft অথবা, অৎনীয়েল তাঁকে প্ররোচিত করলেন (\+xt বিচারকর্তৃগণ 1:14\+xt* পদের টীকাও দেখুন)\ft*\f* যেন তিনি তাঁর বাবার কাছে একটি ক্ষেতজমি চেয়ে নেন। অক্‌ষা তাঁর গাধার পিঠ থেকে নামার পর, কালেব তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি তোমার জন্য কী করতে পারি?” \p \v 19 তিনি উত্তর দিলেন, “আমার প্রতি বিশেষ এক অনুগ্রহ দেখান। আপনি যেহেতু নেগেভে আমাকে জমি দিয়েছেন, জলের উৎসগুলিও আমাকে দিন।” অতএব কালেব উচ্চতর ও নিম্নতর জলের উৎসগুলি তাঁকে দিলেন। \b \li4 \v 20 গোষ্ঠী অনুসারে, এই হল যিহূদা বংশের উত্তরাধিকার: \b \li1 \v 21 ইদোমের সীমানার দিকে নেগেভে অবস্থিত যিহূদা বংশের সর্বদক্ষিণস্থ নগরগুলি হল: \li2 কব্‌সীল, এদর, যাগুর, \v 22 কীনা, দিমোনা, অদাদা, \v 23 কেদশ, হাৎসোর, যিৎনন, \v 24 সীফ, টেলম, বালোৎ, \v 25 হাৎসোর-হদত্তা, কিরিয়োৎ-হিষ্রোণ (অর্থাৎ, হাৎসোর), \v 26 অমাম, শমা, মোলাদা, \v 27 হৎসর-গদ্দা, হিষ্‌মোন, বেথ-পেলট, \v 28 হৎসর-শূয়াল, বের-শেবা, বিষিয়োথিয়া, \v 29 বালা, ইয়ীম, এৎসম, \v 30 ইল্‌তোলদ, কসীল, হর্মা, \v 31 সিক্লগ, মদ্‌মন্না, সন্‌সন্না, \v 32 লবায়োৎ, শিল্‌হীম, ঐন্ ও রিম্মোণ—মোট উনত্রিশটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li1 \v 33 পশ্চিমী পর্বতের পাদদেশে: \li2 ইষ্টায়োল, সরা, অশ্‌না, \v 34 সানোহ, ঐন-গন্নীম, তপূহ, ঐনম, \v 35 যর্মুৎ, অদুল্লম, সোখো, অসেকা, \v 36 শারয়িম, অদীথয়িম ও গদেরা\f + \fr 15:36 \fr*\ft অথবা, গদেরা ও গদেরোথয়িম।\ft*\f*—চোদ্দোটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li2 \v 37 সনান, হদাশা, মিগ্দল্-গাদ, \v 38 দিলিয়ন, মিস্‌পী, যক্তেল, \v 39 লাখীশ, বস্কৎ, ইগ্লোন, \v 40 কব্বন, লহমম, কিৎলিশ, \v 41 গদেরোৎ, বেথ-দাগোন, নয়মা ও মক্কেদা—ষোলোটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li2 \v 42 লিব্‌না, এথর, আশন, \v 43 যিপ্তহ, অশ্‌না, নৎসীব, \v 44 কিয়ীলা, অক্‌ষীব ও মারেশা—নয়টি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li2 \v 45 ইক্রোণ ও তার চারপাশের উপনিবেশ ও গ্রামগুলি; \v 46 ইক্রোণের পশ্চিমদিকে, অস্‌দোদের পার্শ্ববর্তী সব উপনগর, সেই সঙ্গে সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি; \v 47 অস্‌দোদ ও তার চারপাশের উপনিবেশ ও গ্রামগুলি; এবং গাজা, এবং মিশরের নির্ঝরিণী ও ভূমধ্যসাগরের উপকূল বরাবর গড়ে ওঠা সেটির উপনিবেশ ও গ্রামগুলি। \li1 \v 48 পার্বত্য প্রদেশে: \li2 শামীর, যত্তীর, সোখো, \v 49 দন্না, কিরিয়ৎ-সন্না (অর্থাৎ, দবীর), \v 50 অনাব, ইষ্টিমোয়, আনীম, \v 51 গোশন, হোলোন ও গীলো—এগারোটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li2 \v 52 অরাব, দূমা, ইশিয়ন, \v 53 যানীম, বেথ-তপূহ, অফেকা, \v 54 হুমটা, কিরিয়ৎ-অর্ব (অর্থাৎ, হিব্রোণ) ও সীয়োর—নয়টি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li2 \v 55 মায়োন, কর্মিল, সীফ, যুটা, \v 56 যিষ্রিয়েল, যক্‌দিয়াম, সানোহ, \v 57 কয়িন, গিবিয়া ও তিম্না—দশটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li2 \v 58 হল্‌হূল, বেত-সূর, গদোর, \v 59 মারৎ, বেথ-অনোৎ ও ইল্‌তকোন—ছয়টি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি।\f + \fr 15:59 \fr*\ft কয়েকটি প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে এর সাথে এগারোটি নগর সম্বলিত আর একটি জেলা যোগ করা হয়েছে, সাথে তকোয় ও ইফ্রাথও (বেথলেহেম) যোগ করা হয়েছে\ft*\f* \li2 \v 60 কিরিয়ৎ-বাল (অর্থাৎ, কিরিয়ৎ-যিয়ারীম) ও রব্বা—দুটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li1 \v 61 মরুপ্রান্তরে: \li2 বেথ-অরাবা, মিদ্দীন, সকাখা, \v 62 নিব্‌শন, লবণ-নগর ও ঐন-গদী—ছয়টি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \b \p \v 63 যিহূদা বংশ সেই যিবূষীয়দের অধিকারচ্যুত করতে পারেনি, যারা জেরুশালেমে বসবাস করত; আজও পর্যন্ত সেই যিবূষীয়েরা যিহূদা সন্তানদের সঙ্গেই সেখানে বসবাস করছে। \c 16 \s1 ইফ্রয়িম ও মনঃশির জন্য বরাদ্দ অংশ \li1 \v 1 যোষেফের জন্য বরাদ্দ অংশ জর্ডনে, যিরীহোর জলাশয়ের পূর্বে শুরু হল, এবং সেখান থেকে মরুভূমি হয়ে বেথেলের পার্বত্য অঞ্চলে উঠে গেল। \v 2 তা বেথেল (অর্থাৎ, লূস) থেকে\f + \fr 16:2 \fr*\ft অথবা, বেথেল থেকে লূসের দিকে\ft*\f* এগিয়ে গিয়ে অটারোতে অর্কীয়দের এলাকায় পৌঁছাল। \v 3 সেখান থেকে পশ্চিমদিকে নেমে গিয়ে তা নিম্নতর বেথ-হোরোণের এলাকা ও গেষর হয়ে যফ্‌লেটীয়দের এলাকায় পৌঁছে, ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হল। \b \li4 \v 4 অতএব যোষেফের বংশধর, মনঃশি ও ইফ্রয়িম, তাদের উত্তরাধিকার লাভ করল। \b \b \li4 \v 5 গোষ্ঠী অনুসারে এই হল ইফ্রয়িমের এলাকা: \b \li1 তাদের উত্তরাধিকারের সীমানা পূর্বে অটারোৎ-অদ্দর থেকে উচ্চতর বেথ-হোরোণ পর্যন্ত গেল \v 6 এবং তা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হল। উত্তরে মিক্‌মথৎ থেকে পূর্বদিকে বাঁক নিয়ে তা তানৎ-শীলো পর্যন্ত গিয়ে, তা অতিক্রম করে পূর্বদিকে যানোহ পর্যন্ত গেল। \v 7 পরে যানোহ থেকে নেমে তা অটারোৎ ও নারার দিকে গেল, ও যিরীহো স্পর্শ করে তা জর্ডনে বেরিয়ে এল। \v 8 তপূহ থেকে সেই সীমানা পশ্চিমে কান্না গিরিখাতের দিকে গেল ও ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হল। গোষ্ঠী অনুসারে, এই হল ইফ্রয়িম বংশের উত্তরাধিকার। \li1 \v 9 এতে মনঃশি সন্তানদের উত্তরাধিকারের মধ্যে পড়া সেইসব নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলিও যুক্ত হল, যেগুলি ইফ্রয়িম সন্তানদের জন্য পৃথক করা হল। \b \p \v 10 গেষরে বসবাসকারী কনানীয়দের তারা অধিকারচ্যুত করেনি; আজও পর্যন্ত সেই কনানীয়েরা ইফ্রয়িমের লোকদের সঙ্গে বসবাস করছে, কিন্তু বেগার শ্রমিকের কাজ করতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে। \c 17 \p \v 1 যোষেফের প্রথম সন্তানরূপে মনঃশি বংশের জন্য বরাদ্দ অংশটি এইরকম। গিলিয়দীয়দের পূর্বপুরুষ, মনঃশির বড়ো ছেলে মাখীর, গিলিয়দ ও বাশন লাভ করলেন, কারণ মাখিরীয়েরা মহাযোদ্ধা ছিল। \v 2 অতএব এই অংশটি মনঃশি বংশের অবশিষ্ট লোকদের জন্য—অবীয়েষর, হেলক, অস্রীয়েল, শেখম, হেফর ও শমীদা গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ হল। গোষ্ঠী অনুসারে এরাই যোষেফের ছেলে মনঃশির অন্যান্য পুরুষ বংশধর। \p \v 3 এদিকে মনঃশির ছেলে মাখীর, তার ছেলে গিলিয়দ, তার ছেলে হেফর, তার ছেলে সল্‌ফাদের কোনও পুত্রসন্তান ছিল না, কিন্তু শুধু এই কয়েকটি মেয়ে ছিল, যাদের নাম মহলা, নোয়া, হগ্‌লা, মিল্কা ও তির্সা। \v 4 তারা যাজক ইলীয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় ও নেতাব্যক্তিদের কাছে গিয়ে বলল, “সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন যেন আমাদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে আমাদেরও এক উত্তরাধিকার দেওয়া হয়।” তাই সদাপ্রভুর আদেশানুসারে যিহোশূয়, তাদের কাকাদের সঙ্গে তাদেরও এক উত্তরাধিকার দিলেন। \v 5 জর্ডনের পূর্বপাড়ে গিলিয়দ ও বাশন ছাড়াও মনঃশি বংশের ভাগে আরও দশ খণ্ড জমি এল, \v 6 কারণ মনঃশি বংশের মেয়েরাও ছেলেদের মধ্যে এক উত্তরাধিকার লাভ করল। গিলিয়দ দেশটি মনঃশির অবশিষ্ট বংশধরদের অধিকারভুক্ত হল। \b \li1 \v 7 মনঃশির এলাকা আশের থেকে শিখিমের পূর্বদিকে অবস্থিত মিক্‌মথৎ পর্যন্ত বিস্তৃত হল। সীমানাটি সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে গিয়ে ঐন-তপূহে বসবাসকারী লোকদেরও যুক্ত করল। \v 8 (মনঃশির সন্তানেরা তপূহ দেশটি পেয়েছিল, কিন্তু মনঃশির সীমানায় অবস্থিত তপূহ নগরটি ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত থেকে গেল) \v 9 পরে সেই সীমানা দক্ষিণ দিকে কানা গিরিখাত পর্যন্ত এগিয়ে গেল। সেখানে মনঃশির নগরগুলির মধ্যে ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত নগরগুলিও পড়ে গেল, কিন্তু মনঃশির সীমানা ছিল সেই গিরিখাতের উত্তর দিকে এবং তা ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হল। \v 10 দক্ষিণ দিকের দেশটি ছিল ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত, যা মনঃশির উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল। মনঃশির এলাকা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত পৌঁছাল এবং উত্তর দিকে আশের ও পূর্বদিকে ইষাখর তার সীমানা হল। \li1 \v 11 ইষাখর ও আশেরের সীমার মধ্যে মনঃশি চারপাশের উপনিবেশ সমেত বেথ-শান, যিব্‌লিয়ম এবং দোরের, ঐনদোরের, তানকের ও মগিদ্দোর অধিবাসীদেরও লাভ করল। (তালিকায় অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় নগরটি হল নাফোৎ\f + \fr 17:11 \fr*\ft অর্থাৎ, নাফোৎ-দোর।\ft*\f*)। \b \p \v 12 তবুও, মনঃশির সন্তানেরা এসব নগর দখল করতে পারেনি, কারণ কনানীয়েরা ওইসব অঞ্চলে বসবাস করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েই ছিল। \v 13 অবশ্য, ইস্রায়েলীরা যখন আরও শক্তিশালী হল, তখন তারা কনানীয়দের বেগার শ্রমিক হতে বাধ্য করল, কিন্তু সেখান থেকে তাদের সম্পূর্ণরূপে তাড়িয়ে দিল না। \p \v 14 যোষেফের সন্তানেরা যিহোশূয়কে বলল, “আপনি কেন এক উত্তরাধিকাররূপে আমাদের শুধু একটি অংশ ও একটি ভাগ দিয়েছেন? আমরা বহুসংখ্যক এক জাতি, এবং সদাপ্রভু আমাদের প্রচুর পরিমাণে আশীর্বাদ করেছেন।” \p \v 15 “তোমরা যদি এতই বহুসংখ্যক,” যিহোশূয় উত্তর দিলেন, “এবং ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশ তোমাদের জন্য খুব ছোটো হয়ে যাচ্ছে, তবে অরণ্যে উঠে যাও এবং সেই পরিষীয় ও রফায়ীয়দের দেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের জন্য তোমরা জমিজায়গা পরিষ্কার করে নাও।” \p \v 16 যোষেফের সন্তানেরা উত্তর দিল, “সেই পার্বত্য প্রদেশ আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়, আর সমতলে, বিশেষত, বেথ-শানে ও সেখানকার উপনিবেশগুলিতে এবং যিষ্রিয়েল উপত্যকায় বসবাসকারী কনানীয়দের কাছে লৌহরথ আছে।” \p \v 17 কিন্তু যিহোশূয় যোষেফ বংশকে—ইফ্রয়িম ও মনঃশিকে—বললেন, “তোমরা বহুসংখ্যক ও খুব শক্তিশালী। তোমরা শুধুমাত্র একটি অংশ পাবে না \v 18 কিন্তু তোমরা বনাকীর্ণ পার্বত্য প্রদেশও পাবে। সেটি পরিষ্কার করে নাও, এবং এর সর্বাধিক দূরবর্তী সীমানা তোমাদেরই হবে; যদিও কনানীয়দের লৌহরথ আছে ও তারা যদিও শক্তিশালী, তোমরা কিন্তু তাদের তাড়িয়ে দিতে পারবে।” \c 18 \s1 দেশের অবশিষ্টাংশ বিভাগ \p \v 1 ইস্রায়েলীদের সমগ্র মণ্ডলী শীলোতে একত্রিত হল এবং সেখানে সমাগম তাঁবুটি স্থাপন করল। দেশটি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন হল, \v 2 কিন্তু ইস্রায়েলীদের সাতটি বংশ তখনও তাদের উত্তরাধিকার লাভ করেনি। \p \v 3 অতএব যিহোশূয় ইস্রায়েলীদের বললেন: “তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশটি তোমাদের দিয়েছেন, তা অধিকার করার আগে তোমরা আর কত দিন অপেক্ষা করবে? \v 4 প্রত্যেক বংশ থেকে তিনজন করে লোক নিযুক্ত করো। দেশটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার ও প্রত্যেকটি বংশের উত্তরাধিকার অনুসারে সেখানকার এক বর্ণনা লিখে আনার জন্য আমি তাদের সেখানে পাঠাব। পরে তারা আমার কাছে ফিরে আসবে। \v 5 তোমরা দেশটিকে সাত ভাগে বিভক্ত করবে। যিহূদা দক্ষিণ দিকে তার এলাকায় থাকবে এবং উত্তর দিকে থাকবে যোষেফের বংশগুলি। \v 6 দেশের সাতটি ভাগের বর্ণনা লিখে আনার পর, তোমরা সেগুলি এখানে আমার কাছে নিয়ে আসবে এবং আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে আমি তোমাদের জন্য গুটিকাপাতের দান চালব। \v 7 লেবীয়েরা অবশ্য, তোমাদের মধ্যে কোনও অংশ পাবে না, কারণ সদাপ্রভুর যাজকীয় সেবাকাজই হল তাদের অধিকার। আর গাদ ও রূবেণ বংশ এবং মনঃশির অর্ধেক বংশ জর্ডন নদীর পূর্বপাড়ে ইতিমধ্যেই তাদের উত্তরাধিকার লাভ করেছে। সদাপ্রভুর দাস মোশি তাদের তা দান করেছেন।” \p \v 8 লোকজন দেশের মানচিত্র তৈরি করার কাজে হাত লাগাতে না লাগাতেই যিহোশূয় তাদের নির্দেশ দিলেন, “তোমরা যাও ও দেশটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করো এবং তার একটি বর্ণনা লিখে ফেলো। পরে আমার কাছে ফিরে এসো, এবং আমি এখানে এই শীলোতে, সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে তোমাদের জন্য গুটিকাপাতের দান চালব।” \v 9 অতএব লোকেরা প্রস্থান করল ও সেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ল। একটি গুটানো চামড়ার পুঁথিতে তারা এক-একটি নগর ধরে ধরে সাতটি ভাগে সেখানকার বর্ণনা লিখে নিল ও শীলোর শিবিরে যিহোশূয়ের কাছে ফিরে এল। \b \li4 \v 10 যিহোশূয় তখন শীলোতে সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে তাদের জন্য গুটিকাপাতের দান চাললেন, এবং সেখানেই তিনি ইস্রায়েলীদের বংশ-বিভাগ অনুসারে তাদের জন্য সেই দেশটি বিতরণ করলেন। \s1 বিন্যামীনের জন্য বরাদ্দ অংশ \li4 \v 11 গোষ্ঠী অনুসারে বিন্যামীন বংশের নামে গুটিকাপাতের প্রথম দান পড়ল। তাদের জন্য বরাদ্দ এলাকা যিহূদা ও যোষেফ বংশের মধ্যে পড়ল: \li1 \v 12 উত্তর দিকে তাদের সীমানা জর্ডন নদী থেকে শুরু হয়ে, যিরীহোর উত্তর দিকের ঢাল বেয়ে পশ্চিমাভিমূখী হয়ে পার্বত্য প্রদেশের দিকে এগোলো এবং বেথ-আবনের মরুপ্রান্তরে বের হয়ে এল। \v 13 সেখান থেকে তা লূসের (অর্থাৎ, বেথেলের) দক্ষিণ দিকের ঢাল অতিক্রম করল এবং নিম্নতর বেথ-হোরোণের দক্ষিণে অবস্থিত পাহাড়ি এলাকায় অটারোৎ-অদ্দরে নেমে গেল। \li1 \v 14 দক্ষিণ দিকে অবস্থিত বেথ-হোরোণের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড় থেকে সীমানাটি পশ্চিমদিক ধরে দক্ষিণ দিকে বাঁক নিল এবং সেই কিরিয়ৎ-বালে (অর্থাৎ, কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে) বের হয়ে এল, যা হল যিহূদার লোকজনের অধিকারভুক্ত একটি নগর। এই হল পশ্চিম সীমানা। \li1 \v 15 দক্ষিণ দিকের সীমানাটি শুরু হল পশ্চিমে কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের উপকন্ঠ থেকে, এবং তা বের হয়ে এল নিপ্তোহের জলরাশির উৎসে। \v 16 সীমানাটি নেমে গেল সেই পাহাড়ের পাদদেশে, যা রফায়ীম উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত বিন-হিন্নোম উপত্যকার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিল। তা হিন্নোম উপত্যকার আরও নিচে নেমে গিয়ে যিবূষীয় নগরের দক্ষিণ দিকের ঢাল হয়ে ঐন-রোগেল পর্যন্ত গেল। \v 17 পরে তা উত্তর দিকে বাঁক নিয়ে, ঐন-শেমশে গেল ও সেই গলীলৎ পর্যন্ত গেল, যা অদুম্মীম গিরিখাতের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিল এবং পরে তা রূবেণের ছেলে বোহনের পাথরের কাছে নেমে গেল। \v 18 সেখান থেকে তা বেথ-অরাবার উত্তর দিকের ঢালের দিকে গেল\f + \fr 18:18 \fr*\ft অথবা, সেই ঢালের দিকে গেল, যা অরাবার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছিল\ft*\f* এবং আরও নিচে অরাবায় নেমে গেল। \v 19 পরে তা বেথ-হগ্লার উত্তর দিকের ঢালের দিকে গিয়ে দক্ষিণ দিকে জর্ডন নদীর মোহানায়, মরুসাগরের উত্তর উপসাগরে বের হয়ে এল। এই হল দক্ষিণ সীমানা। \li1 \v 20 পূর্বদিকে জর্ডন নদীই সীমানা হল। \li4 চারিদিকে এই সীমানাগুলিই বিন্যামীনের সন্তানদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার চিহ্নিত করল। \b \li4 \v 21 গোষ্ঠী অনুসারে, বিন্যামীন বংশ এসব নগর লাভ করল: \li1 যিরীহো, বেথ-হগ্লা, এমক-কশিশ, \v 22 বেথ-অরাবা, সমারয়িম, বেথেল, \v 23 অব্বীম, পারা, অফ্রা, \v 24 কফর-অম্মোনী, অফ্‌নি, ও গেবা—বারোটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li1 \v 25 গিবিয়োন, রামা, বেরোৎ, \v 26 মিস্‌পী, কফীরা, মোৎসা, \v 27 রেকম, যির্পেল, তরলা, \v 28 সেলা, এলফ, যিবূষীয় নগর (অর্থাৎ, জেরুশালেম), গিবিয়া ও কিরিয়ৎ—চোদ্দোটি নগর ও সেগুলির সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li4 গোষ্ঠী অনুসারে এই হল বিন্যামীন বংশের উত্তরাধিকার। \c 19 \s1 শিমিয়োনের জন্য বরাদ্দ অংশ \li4 \v 1 দ্বিতীয় গুটিকাপাতের দানটি উঠল নিজেদের গোত্র অনুসারে শিমিয়োন গোষ্ঠীর নামে। তাদের উত্তরাধিকার যিহূদা গোষ্ঠীর এলাকার মধ্যে ছিল। \v 2 এর অন্তর্ভুক্ত নগরগুলি হল: \li1 বের-শেবা (বা শেবা), মোলাদা, \v 3 হৎসর-শূয়াল, বালা, এৎসম, \v 4 ইল্‌তোলদ, বথূল, হর্মা, \v 5 সিক্লগ, বেথ-মর্কাবোৎ, হৎসর-সুসা, \v 6 বেথ-লবায়োৎ ও শারূহন—তেরোটি নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি; \li1 \v 7 ওন, রিম্মোণ, এথর ও আশন—চারটি নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি— \v 8 এবং বালৎ-বের (অর্থাৎ নেগেভের রামা) পর্যন্ত এসব নগরের চারপাশের সমস্ত গ্রাম। \li4 এই ছিল গোত্র অনুযায়ী শিমিয়োন গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার। \v 9 শিমিয়োনীয়দের উত্তরাধিকার যিহূদার অংশ থেকে নেওয়া হল, কারণ যিহূদার অংশ তাদের প্রয়োজনের চেয়েও বেশি ছিল। সেই কারণে, শিমিয়োনীয়েরা তাদের উত্তরাধিকার যিহূদার এলাকাতেই পেল। \s1 সবূলূন গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ অংশ \li4 \v 10 তৃতীয় গুটিকাপাতের দানটি উঠল নিজেদের গোত্র অনুসারে সবূলূন গোষ্ঠীর নামে: \li1 তাদের উত্তরাধিকারের সীমারেখা সারিদ পর্যন্ত গেল। \v 11 পশ্চিমদিকে গিয়ে তা মারালায়, পরে দব্বেশৎকে ছুঁয়ে যক্নিয়ামের কাছে গিরিখাত পর্যন্ত বিস্তৃত হল। \v 12 সারিদ থেকে তা পূর্বদিকে ফিরে সূর্যোদয়ের দিকে কিশ্‌লোৎ-তাবোরের এলাকা পর্যন্ত গেল ও সেখান থেকে দাবরৎ ও যাফিয়া পর্যন্ত উঠে গেল। \v 13 পরে তা ক্রমাগতভাবে গাৎ-হেফর ও এৎ-কাৎসীন পর্যন্ত গেল; তা রিম্মোণের কাছে বের হয়ে নেয়ের অভিমুখে গেল। \v 14 সেখান থেকে সীমারেখা হন্নাথনের উত্তর দিকে ঘুরল এবং যিপ্তহেল উপত্যকায় গিয়ে শেষ হল। \li1 \v 15 এর আরও অন্তর্ভুক্ত ছিল কটৎ, নহলাল, শিম্রোণ, যিদালা ও বেথলেহেম। বারোটি নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলিও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। \li4 \v 16 গ্রামগুলিসহ এসব নগর ছিল গোত্র অনুযায়ী সবূলূন গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার। \s1 ইষাখর গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ অংশ \li4 \v 17 চতুর্থ গুটিকাপাতের দানটি উঠল নিজেদের গোত্র অনুসারে ইষাখর গোষ্ঠীর নামে। \v 18 তাদের এলাকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল: \li1 যিষ্রিয়েল, কসুল্লোৎ, শূনেম, \v 19 হফারয়িম, শীয়োন, অনহরৎ, \v 20 রব্বিৎ, কিশিয়োন, এবস, \v 21 রেমৎ, ঐন-গন্নীম, ঐন-হদ্দা ও বেথ-পৎসেস। \li1 \v 22 এর সীমারেখা তাবোর, শহৎসূমা ও বেত-শেমশ স্পর্শ করল এবং জর্ডন নদীতে গিয়ে শেষ হল। \li1 সেখানে ছিল মোট ষোলোটি নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li4 \v 23 এই নগরগুলি ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি ছিল গোত্র অনুযায়ী ইষাখর গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার। \s1 আশের গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ অংশ \li4 \v 24 পঞ্চম গুটিকাপাতের দানটি উঠল নিজেদের গোত্র অনুসারে আশের গোষ্ঠীর নামে। \v 25 তাদের এলাকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল: \li1 হিল্‌কৎ, হালি, বেতন, অক্‌ষফ, \v 26 অলম্মেলক, অমাদ ও মিশাল। পশ্চিমদিকে সেই সীমারেখা কর্মিল ও শীহোর-লিবনাৎ স্পর্শ করল। \v 27 পরে তা পূর্বদিকে বেথ-দাগোনের দিকে গেল, সবূলূন ও যিপ্তহেল উপত্যকা স্পর্শ করে বাঁদিকে কাবুলকে রেখে, উত্তর দিকে বেথ-এমক ও ন্যীয়েল পর্যন্ত গেল। \v 28 তা গেল অব্দোন,\f + \fr 19:28 \fr*\ft অথবা, এব্রোণ\ft*\f* রহব, হম্মোন ও কানা-য়, সেই মহাসীদোন পর্যন্ত। \v 29 সেই সীমারেখা পরে রামার দিকে ফিরে গেল ও টায়ারের\f + \fr 19:29 \fr*\ft পুরোনো সংস্করণে, সোরের।\ft*\f* প্রাচীর-ঘেরা সুরক্ষিত নগরের দিকে গেল, পরে হোষার দিকে ঘুরে অক্‌ষীব \v 30 উম্মা, অফেক ও রাহব অঞ্চল পার হয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ল। \li1 এর অন্তর্ভুক্ত ছিল বাইশটি নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি। \li4 \v 31 এসব নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি ছিল গোত্র অনুযায়ী আশের গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার। \s1 নপ্তালি গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ অংশ \li4 \v 32 ষষ্ঠ গুটিকাপাতের দানটি উঠল নিজেদের গোত্র অনুসারে নপ্তালি গোষ্ঠীর নামে: \li1 \v 33 তাদের সীমারেখা হেলফ থেকে সানন্নীমের বিশাল গাছ থেকে শুরু হয়ে অদামীনেকব ও যব্‌নিয়েল পার হয়ে লক্কূমে গেল ও জর্ডন নদীতে শেষ হল। \v 34 সেই সীমা অস্‌নোৎ-তাবোর হয়ে পশ্চিমদিকে হুক্কোক পর্যন্ত গেল। দক্ষিণে তা সবূলূনের সীমা, পশ্চিমে আশেরের সীমা ও পূর্বদিকে জর্ডন নদীর কাছে যিহূদার সীমা স্পর্শ করল। \li1 \v 35 আর প্রাচীরবেষ্টিত সুরক্ষিত নগরগুলি ছিল সিদ্দীম, সের, হম্মৎ, রাক্কৎ, কিন্নেরৎ, \v 36 অদামা, রামা, হাৎসোর, \v 37 কেদশ, ইদ্রিয়ী, ঐন-হাৎসোর, \v 38 যিরোণ, মিগ্দল-এল, হোরেম, বেথ-অনাৎ ও বেত-শেমশ। \li1 উনিশটি নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি এই এলাকায় ছিল। \li4 \v 39 এসব নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি, গোত্র অনুযায়ী ছিল নপ্তালি গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার। \s1 দান গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ অংশ \li4 \v 40 সপ্তম গুটিকাপাতের দানটি উঠল গোত্র অনুসারে দান গোষ্ঠীর নামে। \v 41 তাদের উত্তরাধিকারে অন্তর্ভুক্ত ছিল এসব নগর: \li1 সরা, ইষ্টায়োল, ঈর-শেমশ, \v 42 শালাব্বিন, অয়ালোন, যিৎলা, \v 43 এলোন, তিম্না, ইক্রোণ, \v 44 ইল্‌তকী, গিব্বথোন, বালৎ, \v 45 যিহূদ, বেনে-বরক, গাৎ-রিম্মোণ, \v 46 মেয়র্কোণ ও রক্কোন এবং জোপ্পার\f + \fr 19:46 \fr*\ft পুরোনো সংস্করণে, যাফো।\ft*\f* সম্মুখবর্তী এলাকা। \li4 \v 47 (দান গোষ্ঠীর এলাকা যখন দখল হয়ে গেল তখন তারা উঠে গিয়ে লেশম আক্রমণ করল। তা দখল করে সেখানকার অধিবাসীদের তারা তরোয়ালের আঘাতে হত্যা করল। তারা লেশমে বসতি স্থাপন করল এবং তাদের পূর্বপুরুষের নাম অনুযায়ী নগরটির নাম দান রাখল) \li4 \v 48 এসব নগর ও তাদের সন্নিহিত গ্রামগুলি ছিল গোত্র অনুযায়ী দান গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার। \s1 যিহোশূয়ের জন্য বরাদ্দ অংশ \li1 \v 49 যখন নির্দিষ্ট বণ্টন-প্রক্রিয়া দ্বারা তাঁরা দেশ বিভাগ সম্পূর্ণ করলেন, ইস্রায়েলীরা নূনের ছেলে যিহোশূয়কেও তাদের মধ্যে একটি অংশ উত্তরাধিকাররূপে দিল, \v 50 যেমন সদাপ্রভু আজ্ঞা দিয়েছিলেন। ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশে তিনি তিম্নৎ-সেরহ\f + \fr 19:50 \fr*\ft নগরটি \ft*\fqa তিম্নৎ-হেরস \fqa*\ft নামেও পরিচিত। দ্রঃ \+xt বিচারকর্তৃগণ 2:9\+xt*।\ft*\f* নগরটি চাইলে, তারা তাঁকে তা দিল। তিনি সেই নগরটি নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করতে লাগলেন। \b \li4 \v 51 এই সমস্ত এলাকা, যাজক ইলীয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় ও ইস্রায়েল-সন্তানদের বংশসমূহের গোষ্ঠী প্রধানেরা শীলোতে, সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে গুটিকাপাতের মাধ্যমে বিভাগ করে দিলেন। এইভাবে তাঁরা দেশ-বিভাগের কাজটি সম্পন্ন করলেন। \c 20 \s1 আশ্রয়-নগরসমূহ \p \v 1 পরে সদাপ্রভু যিহোশূয়কে বললেন: \v 2 “তুমি ইস্রায়েলীদের বলো, আমি যেমন মোশির মাধ্যমে তোমাদের নির্দেশ দিয়েছিলাম, তারা যেন তেমনই আশ্রয়-নগরগুলি মনোনীত করে। \v 3 কেউ যদি দুর্ঘটনাবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো মানুষকে হত্যা করে ফেলে, সে যেন সেখানে পালিয়ে যেতে পারে। এর ফলে রক্তপাতের প্রতিশোধদাতার হাত থেকে সে রক্ষা পাবে। \v 4 এসব নগরের কোনো একটিতে তারা যখন পালিয়ে যাবে, তখন তারা নগর-দুয়ারের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে এবং সেই নগরের প্রাচীনদের কাছে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করবে। পরে তারা পলাতককে তাদের নগরে প্রবেশ করতে দেবে ও তাদের সঙ্গে বসবাস করার জন্য একটি স্থান নির্দিষ্ট করে দেবে। \v 5 রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধদাতা যদি তার পিছু ধাওয়া করে যায়, তবে প্রাচীনেরা যেন সেই পলাতককে তার হাতে সমর্পণ না করে, কারণ সে তার প্রতিবেশীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে এবং পূর্বপরিকল্পিত কোনো বিদ্বেষ ছাড়াই মেরে ফেলেছিল। \v 6 যতক্ষণ না তারা বিচারের জন্য মণ্ডলীর সামনে গিয়ে দাঁড়ায় এবং যতদিন না সেই সময়কার মহাযাজকের মৃত্যু হয়, তাদের সেই নগরেই থেকে যেতে হবে। পরে তারা যেখান থেকে পালিয়েছিল, নিজের বাড়িতে, তাদের নিজস্ব নগরে ফিরে যেতে পারবে।” \p \v 7 তাই তারা নপ্তালি গোষ্ঠীর এলাকায় পার্বত্য প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত গালীলের কেদশ, ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর পার্বত্য প্রদেশের শিখিম ও যিহূদা গোষ্ঠীর পার্বত্য প্রদেশের কিরিয়ৎ-অর্বকে (বা হিব্রোণকে) পৃথক করল। \v 8 যিরীহোর জর্ডন নদীর পূর্বপারের এলাকায় তারা রূবেণ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত মালভূমির মরু এলাকার বেৎসর, গাদ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত গিলিয়দের রামোৎ এবং মনঃশি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত বাশনের গোলন, আশ্রয়-নগররূপে পৃথক করল। \v 9 কোনো ইস্রায়েলী বা তাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশি ব্যক্তি, যে দুর্ঘটনাবশত কাউকে হত্যা করেছে, সে এই নির্ধারিত নগরগুলির যে কোনো একটিতে পালিয়ে যেতে পারবে। তবে সে মণ্ডলীর সাক্ষাতে বিচারিত হওয়ার আগে রক্তপাতের জন্য প্রতিশোধদাতার হাতে নিহত হবে না। \c 21 \s1 লেবীয়দের দেওয়া নগরসমূহ \p \v 1 লেবীয়দের পিতৃকুলপতিরা যাজক ইলীয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় ও ইস্রায়েলী অন্যান্য গোষ্ঠীপ্রধানদের কাছে এলেন। \v 2 তাঁরা কনান দেশের শীলোতে তাঁদের বললেন, “সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে আদেশ দিয়েছিলেন যে, আপনি আমাদের বসবাস করার জন্য নগর ও আমাদের পশুপালের জন্য চারণভূমি দেবেন।” \b \li4 \v 3 তাই, সদাপ্রভুর আদেশানুসারে, ইস্রায়েলীরা তাদের উত্তরাধিকার থেকে এই সমস্ত নগর ও চারণভূমি লেবীয়দের দান করল: \b \li1 \v 4 প্রথম গুটিকাপাতের দানটি তাদের বংশানুসারে উঠল কহাতীয় গোষ্ঠীর নামে। লেবীয়েরা ছিল যাজক হারোণের বংশধর। তাদের যিহূদা, শিমিয়োন ও বিন্যামীন গোষ্ঠীর বংশধরদের থেকে তেরোটি নগর দেওয়া হল। \li1 \v 5 কহাতের অবশিষ্ট বংশধরদের জন্য ইফ্রয়িম, দান ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর বংশধরদের থেকে দশটি নগর দেওয়া হল। \li1 \v 6 গের্শোনের বংশধরদের দেওয়া হল তেরোটি নগর। তারা ইষাখর, আশের, নপ্তালি ও বাশনের মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর বংশধরদের কাছ থেকে এই নগরগুলি পেল। \li1 \v 7 মরারির বংশধরেরা রূবেণ, গাদ ও সবূলূন গোষ্ঠী থেকে বংশ অনুসারে বারোটি নগর পেল। \b \li4 \v 8 এইভাবে ইস্রায়েলীরা চারণভূমিসহ এই সমস্ত নগর লেবীয়দের দিল, যেমন সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে আদেশ দিয়েছিলেন। \b \li1 \v 9 যিহূদা ও শিমিয়োন গোষ্ঠী থেকে তারা এই নামবিশিষ্ট নগরগুলি বরাদ্দ করল। \v 10 এই নগরগুলি হারোণের সেই বংশধরদের দেওয়া হল, যারা ছিল লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত কহাতীয় গোত্র, যেহেতু প্রথম গুটিকাপাতের দান তাদের নামেই উঠেছিল: \li2 \v 11 যিহূদার পার্বত্য প্রদেশে তারা চারণভূমিসহ তাদের কিরিয়ৎ-অর্ব (অর্থাৎ, হিব্রোণ) নগরটি দিল। (অর্ব ছিল অনাকীয়দের পূর্বপুরুষ) \v 12 কিন্তু ওই নগরের মাঠগুলি ও চারপাশের সব গ্রাম তারা উত্তরাধিকারস্বরূপ যিফূন্নির ছেলে কালেবকে দিয়েছিল। \v 13 এভাবে তারা যাজক হারোণের বংশধরদের দিল চারণভূমিসহ হিব্রোণ (নগরটি ছিল নরহত্যার দায়ে অভিযুক্তের জন্য আশ্রয়-নগর), লিব্‌না, \v 14 যত্তীর, ইষ্টিমোয়, \v 15 হোলোন, দবীর, \v 16 ঐন্, যুটা ও বেত-শেমশ—এই দুই গোষ্ঠী থেকে নয়টি নগর দেওয়া হল। \li1 \v 17 আর বিন্যামীন গোষ্ঠী থেকে তারা দিল: \li2 চারণভূমিসহ গিবিয়োন, গেবা, \v 18 অনাথোৎ ও অল্‌মোন—এই চারটি নগর। \li4 \v 19 চারণভূমিসহ মোট তেরোটি নগর হারোণের বংশধর যাজকদের অধিকার হল। \b \li4 \v 20 লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত কহাতীয় গোত্রের অবশিষ্টদের জন্য ইফ্রয়িম গোষ্ঠী থেকে নগর বরাদ্দ করা হল: \li1 \v 21 ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশে তাদের দেওয়া হল: \li2 চারণভূমিসহ শিখিম (নরহত্যার দায়ে অভিযুক্তের জন্য একটি আশ্রয়-নগর) ও গেষর, \v 22 কিবসয়িম ও বেথ-হোরোণ—মোট চারটি নগর। \li1 \v 23 সেই সঙ্গে দান গোষ্ঠী থেকে তারা পেল: \li2 চারণভূমিসহ ইল্‌তকী, গিব্বথোন, \v 24 অয়ালোন ও গাৎ-রিম্মোণ—এই চারটি নগর। \li1 \v 25 মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠী থেকে তারা পেল: \li2 চারণভূমিসহ তানক ও গাৎ-রিম্মোণ—এই দুটি নগর। \li4 \v 26 চারণভূমিসহ এই দশটি নগর কহাতীয়দের অবশিষ্ট গোত্রদের দেওয়া হল। \b \li4 \v 27 লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত গের্শোনীয় গোত্রকে এই নগরগুলি দেওয়া হল: \li1 মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠী থেকে: \li2 চারণভূমিসহ বাশনের গোলন (নরহত্যার দায়ে অভিযুক্তের জন্য একটি আশ্রয়-নগর) ও বে-এস্তেরা—এই দুটি নগর; \li1 \v 28 ইষাখর গোষ্ঠী থেকে দেওয়া হল: \li2 চারণভূমিসহ কিশিয়োন, দাবরৎ, \v 29 যর্মুৎ ও ঐন-গন্নীম—এই চারটি নগর; \li1 \v 30 আশের গোষ্ঠী থেকে দেওয়া হল: \li2 চারণভূমিসহ মিশাল, আব্দোন, \v 31 হিল্‌কৎ ও রাহব—এই চারটি নগর; \li1 \v 32 নপ্তালি গোষ্ঠী থেকে দেওয়া হল: \li2 চারণভূমিসহ গালীলের কেদশ (নরহত্যার দায়ে অভিযুক্তের জন্য একটি আশ্রয়-নগর), হম্মোৎ-দোর ও কর্তন—এই তিনটি নগর। \li4 \v 33 গের্শোনীয় গোত্রদের জন্য ছিল চারণভূমিসহ মোট তেরোটি নগর। \b \li4 \v 34 (অবশিষ্ট লেবীয় গোষ্ঠীর মধ্যে) মরারীয় গোষ্ঠীকে দেওয়া হল: \li1 সবূলূন গোষ্ঠী থেকে: \li2 চারণভূমিসহ যক্নিয়াম, কার্তা, \v 35 দিম্না ও নহলাল—এই চারটি নগর; \li1 \v 36 রূবেণ গোষ্ঠী থেকে: \li2 চারণভূমিসহ বেৎসর, যহস, \v 37 কদেমোৎ ও মেফাৎ—এই চারটি নগর; \li1 \v 38 গাদ গোষ্ঠী থেকে: \li2 চারণভূমিসহ গিলিয়দের রামোৎ (নরহত্যার দায়ে অভিযুক্তের জন্য একটি আশ্রয়-নগর), মহনয়িম, \v 39 হিষ্‌বোন ও যাসের—মোট এই চারটি নগর। \li4 \v 40 লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত অবশিষ্ট মরারীয় গোত্রগুলির জন্য বণ্টন করা হল এই বারোটি নগর। \b \li4 \v 41 ইস্রায়েলীদের দখলীকৃত এলাকা থেকে লেবীয়দের জন্য নির্দিষ্ট চারণভূমিসহ নগরগুলির সংখ্যা মোট আটচল্লিশটি। \v 42 এসব নগরের চারপাশে ছিল চারণভূমি। সমস্ত নগরের ক্ষেত্রেই একথা সত্যি ছিল। \b \p \v 43 এভাবে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের পূর্বপুরুষদের কাছে যে দেশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তাদের দিলেন ও তারা ওই দেশের দখল নিয়ে সেখানে বসতি স্থাপন করল। \v 44 সদাপ্রভু চারদিক থেকে তাদের বিশ্রাম দিলেন, যেমন তিনি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছিলেন। তাদের কোনও শত্রু তাদের সামনে দাঁড়াতে পারল না। সদাপ্রভু তাদের সব শত্রুকে তাদের হাতে সমর্পণ করলেন। \v 45 ইস্রায়েল কুলকে সদাপ্রভুর দেওয়া সমস্ত সুন্দর প্রতিশ্রুতির মধ্যে একটিও ব্যর্থ হয়নি; সব প্রতিশ্রুতিই পূর্ণ হল। \c 22 \s1 জর্ডন নদীর পূর্বপারের গোষ্ঠীগুলির স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন \p \v 1 পরে যিহোশূয় রূবেণীয়দের, গাদীয়দের ও মনঃশির অর্ধ বংশকে ডেকে পাঠালেন \v 2 ও তাদের বললেন, “সদাপ্রভুর দাস মোশি যেমন আদেশ দিয়েছিলেন, তোমরা সে সমস্তই পালন করেছ এবং আমি তোমাদের যে যে আদেশ দিয়েছিলাম, তোমরা সে সমস্তই মেনে চলেছ। \v 3 আজ পর্যন্ত, এই দীর্ঘ সময়, তোমরা তোমাদের ইস্রায়েলী ভাইদের ছেড়ে দাওনি, কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে লক্ষ্য দিয়েছিলেন, তা তোমরা পূর্ণ করেছ। \v 4 এখন সদাপ্রভু, তোমাদের ঈশ্বর, তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তোমাদের ভাইদের বিশ্রাম দিয়েছেন। তোমরা তোমাদের স্বভূমিতে, যে দেশটি সদাপ্রভুর দাস মোশি তোমাদের দিয়েছিলেন, সেই জর্ডন নদীর ওপারে তোমাদের ঘরে ফিরে যাও। \v 5 কিন্তু সদাপ্রভুর দাস মোশি তোমাদের যে বিধান দিয়েছেন, তা পালন করার ব্যাপারে তোমরা অত্যন্ত যত্নশীল হোয়ো: তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে তোমরা ভালোবাসবে, তাঁর দেখানো সমস্ত পথে জীবনযাপন করবে, তাঁর আজ্ঞাগুলি পালন করবে, তাঁকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকবে ও তোমাদের সম্পূর্ণ মন ও প্রাণ দিয়ে তাঁর সেবা করবে।” \p \v 6 পরে যিহোশূয় তাদের আশীর্বাদ করলেন ও তাদের বিদায় দিলেন, ও তারা তাদের ঘরে ফিরে গেল। \v 7 (মনঃশির অর্ধ বংশকে মোশি বাশন দেশে জমি দিয়েছিলেন ও তাদের অপর অর্ধ বংশকে যিহোশূয় জর্ডন নদীর পশ্চিমদিকে তাদের ইস্রায়েলী ভাইদের সঙ্গে উত্তরাধিকার দিয়েছিলেন) যখন যিহোশূয় তাদের ঘরে ফেরত পাঠালেন, তিনি তাদের আশীর্বাদ করলেন। \v 8 তিনি তাদের বললেন, “তোমরা প্রচুর সম্পত্তি নিয়ে নিজেদের ঘরে ফিরে যাও—গৃহপালিত পশুর বড়ো বড়ো পাল, রুপো, সোনা, ব্রোঞ্জ ও লোহা এবং প্রচুর পরিমাণে পরিধেয় পোশাক নিয়ে যাও—ও তোমরা তোমাদের শত্রুদের কাছ থেকে যে সমস্ত জিনিসপত্র লুট করেছ, তা তোমাদের ইস্রায়েলী ভাইদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ো।” \p \v 9 তাই রূবেণ ও গাদ গোষ্ঠী এবং মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠী কনানের শীলোতে ইস্রায়েলীদের ছেড়ে গিলিয়দে, তাদের স্বদেশে ফিরে গেল। এই স্থানটি তারা মোশির মাধ্যমে দেওয়া সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে লাভ করেছিল। \p \v 10 তারা যখন কনান দেশের জর্ডন নদীর কাছে গলিলোতে উপস্থিত হল, তখন রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর লোকেরা জর্ডন নদীতীরে এক জমকালো বেদি তৈরি করল। \v 11 ইস্রায়েলীরা যখন শুনতে পেল যে, তারা কনানের সীমায়, ইস্রায়েলের অংশে, জর্ডন নদীর কাছে গলিলোতে সেই বেদি তৈরি করেছে, \v 12 তখন ইস্রায়েলের সমস্ত মণ্ডলী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য শীলোতে একত্রিত হল। \p \v 13 এই কারণে ইস্রায়েলীরা যাজক ইলিয়াসরের ছেলে পীনহসকে গিলিয়দে, রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর কাছে পাঠাল। \v 14 তাঁর সঙ্গে তারা ইস্রায়েলের প্রত্যেক গোষ্ঠী থেকে এক একজন করে দশজন প্রধান ব্যক্তিকে পাঠাল, যারা ইস্রায়েলী গোত্রগুলির নিজের নিজের বংশের মধ্যে প্রধান ছিলেন। \p \v 15 যখন তাঁরা রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর কাছে গিলিয়দে পৌঁছালেন, তাঁরা তাদের বললেন: \v 16 “সদাপ্রভুর সমস্ত মণ্ডলী একথা বলছে: ‘আপনারা কীভাবে ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সঙ্গে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করলেন? কীভাবে আপনারা সদাপ্রভু থেকে বিমুখ হয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের বিরুদ্ধাচরণ করে নিজেদের জন্য একটি বেদি নির্মাণ করেছেন? \v 17 পিয়োরে করা পাপই কি আমাদের শিক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়? আজ পর্যন্ত আমরা সেই পাপ থেকে নিজেদের শুচিশুদ্ধ করতে পারিনি, যদিও সদাপ্রভুর সমাজে এক মহামারি নেমে এসেছিল! \v 18 আর এখন আপনারাও কি সদাপ্রভুর কাছ থেকে ফিরে যাচ্ছেন? \p “ ‘আজ যদি আপনারা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, আগামীকাল তিনি ইস্রায়েলের সমস্ত সমাজের প্রতি ক্রুদ্ধ হবেন। \v 19 আপনারা যে দেশ অধিকার করেছেন, তা যদি কলুষিত হয়, তবে সদাপ্রভুর ভূমিতে ফিরে আসুন, যেখানে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবু আছে ও আমাদের সঙ্গে সেই ভূমি ভাগ করে নিন। কিন্তু নিজেদের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বেদি ছাড়া অন্য একটি বেদি নির্মাণ করে আপনারা সদাপ্রভুর বা আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হবেন না। \v 20 বর্জিত বিষয়গুলি সম্পর্কে যখন সেরহের ছেলে আখন অবিশ্বস্ততার কাজ করেছিল, তখন কি সমস্ত ইস্রায়েলী সমাজের উপরে সদাপ্রভুর ক্রোধ উপস্থিত হয়নি? তার পাপের জন্য কেবলমাত্র সেই নিহত হয়নি।’ ” \p \v 21 তখন রূবেণ, গাদ ও মনঃশির অর্ধ গোষ্ঠীর লোকেরা ইস্রায়েলী গোত্রগুলির প্রধানদের উত্তর দিল: \v 22 “সদাপ্রভু ঈশ্বর পরাক্রমী! সদাপ্রভু ঈশ্বর পরাক্রমী! তিনি জানেন! আর ইস্রায়েলও তা জানুক! এ যদি সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা অবাধ্যতা হয়, তবে আজ আপনারা আমাদের নিষ্কৃতি দেবেন না। \v 23 যদি আমরা নিজেদের নির্মিত বেদি সদাপ্রভু থেকে সরে যাওয়ার জন্য ও তার উপরে হোমবলি বা ভক্ষ্য-নৈবেদ্য কিংবা মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করার জন্য নির্মাণ করে থাকি, তবে সদাপ্রভু স্বয়ং আমাদের তার প্রতিফল দিন। \p \v 24 “না! আমরা ভয়ে এই কাজ করেছি, কারণ কোনোদিন হয়তো আপনাদের বংশধরেরা আমাদের বংশধরদের বলবে, ‘ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সঙ্গে তোমাদের কী সম্পর্ক? \v 25 সদাপ্রভু তোমাদের, অর্থাৎ রূবেণীয় ও গাদীয়দের এবং আমাদের মধ্যে জর্ডন নদীকে সীমানারূপে রেখেছেন! সদাপ্রভুর উপরে তোমাদের কোনও অধিকার নেই।’ তাই আপনাদের বংশধরেরা আমাদের বংশধরদের সদাপ্রভুকে ভয় করতে বাধা দিতে পারে। \p \v 26 “সেই কারণে আমরা বললাম, ‘এসো, আমরা তৈরি হই ও একটি বেদি নির্মাণ করি—কিন্তু তার উপরে হোমবলি বা অন্যান্য বলি উৎসর্গ করার জন্য নয়।’ \v 27 উল্টে, এটি বরং আপনাদের ও আমাদের ও পরবর্তী প্রজন্মপরম্পরার মধ্যে সাক্ষীস্বরূপ হবে, যেন আমরা তাঁর ধর্মধামে হোমবলি, অন্যান্য বলি ও মঙ্গলার্থক বলি নিয়ে সদাপ্রভুর আরাধনা করতে পারি। তবে ভাবীকালে আপনাদের বংশধরেরা আমাদের বংশধরদের বলতে পারবে না যে, ‘সদাপ্রভুর উপরে তোমাদের কোনও অধিকার নেই।’ \p \v 28 “আমরা আরও বললাম, ‘তারা যদি কখনও একথা আমাদের কিংবা আমাদের বংশধরদের কাছে বলে, আমরা উত্তর দেব: সদাপ্রভুর বেদির ওই ক্ষুদ্র সংস্করণ দেখো। এটি আমাদের পিতৃপুরুষেরা নির্মাণ করেছিলেন, হোমবলি বা অন্যান্য বলি উৎসর্গের জন্য নয়, কিন্তু তোমাদের ও আমাদের মধ্যে এক সাক্ষী হওয়ার জন্য।’ \p \v 29 “সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যে আমরা বিদ্রোহ করি, তাঁর কাছ থেকে বিমুখ হয়ে, আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর সামনে স্থিত বেদি ছাড়া, আমরা হোমবলি, শস্য-নৈবেদ্য ও অন্যান্য বলি উৎসর্গের জন্য যে অন্য বেদি নির্মাণ করি, তা আমাদের থেকে দূরে থাকুক।” \p \v 30 যখন যাজক পীনহস ও সমাজের নেতৃবৃন্দ—ইস্রায়েলীদের গোষ্ঠীপতিরা—রূবেণ, গাদ ও মনঃশি গোষ্ঠীর বক্তব্য শুনলেন, তাঁরা সন্তুষ্ট হলেন। \v 31 আর ইলিয়াসরের ছেলে যাজক পীনহস, রূবেণ, গাদ ও মনঃশি গোষ্ঠীর লোকদের বললেন, “আজ আমরা বুঝতে পারলাম যে, সদাপ্রভু আমাদের সঙ্গে আছেন, কারণ এই ব্যাপারে আপনারা সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ততার কাজ করেননি। এখন সদাপ্রভুর হাত থেকে আপনারা ইস্রায়েলীদের উদ্ধার করলেন।” \p \v 32 পরে ইলিয়াসরের ছেলে যাজক পীনহস ও ইস্রায়েলী নেতারা গিলিয়দে রূবেণীয় ও গাদীয়দের সঙ্গে সভা সেরে কনানে ফিরে গেলেন ও ইস্রায়েলীদের কাছে সেই সংবাদ দিলেন। \v 33 তারা সেই সংবাদ শুনে আনন্দিত হল ও ঈশ্বরের প্রশংসা করল। রূবেণীয়েরা ও গাদীয়েরা যেখানে থাকে, তারা সেই দেশে গিয়ে আর তাদের ধ্বংস করার কথা বলল না। \p \v 34 আর রূবেণীয়েরা ও গাদীয়েরা সেই বেদির নাম দিল এদ,\f + \fr 22:34 \fr*\ft কোনো কোনো পুঁথিতে \ft*\fqa এদ শব্দটি পাওয়া যায় না।\fqa*\f* কারণ তারা বলল, “তাদের ও আমাদের মধ্যে এই বেদি সাক্ষী যে—সদাপ্রভুই ঈশ্বর।” \c 23 \s1 ইস্রায়েলের নেতাদের প্রতি যিহোশূয়ের বিদায়সম্ভাষণ \p \v 1 এরপর বহুদিন পার হয়ে গেল এবং সদাপ্রভু ইস্রায়েলের চারপাশের সমস্ত শত্রু থেকে তাদের বিশ্রাম দিলেন। যিহোশূয় সেই সময় অতি বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। \v 2 তিনি ইস্রায়েলীদের সবাইকে—সমস্ত প্রাচীন, নেতা, বিচারক ও কর্মকর্তাদের—ডেকে পাঠালেন ও তিনি তাঁদের বললেন: “আমার অনেক বয়স হয়েছে। \v 3 তোমরা নিজেরা দেখেছ, তোমাদের জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই সমস্ত জাতির প্রতি কী করেছেন; তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই তোমাদের হয়ে যুদ্ধ করেছেন। \v 4 জর্ডন নদী থেকে পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত যেসব জাতিকে আমি ধ্বংস করেছি ও যারা এখনও বাকি আছে, মনে করে দেখো, তাদের সেই দেশ আমি কীভাবে তোমাদের মধ্যে উত্তরাধিকাররূপে বণ্টন করে দিয়েছি। \v 5 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু স্বয়ং অবশিষ্ট ওই জাতিদের তোমাদের পথ থেকে তাড়িয়ে দেবেন। তিনি তোমাদের সামনে থেকে তাদের বিতাড়িত করবেন, আর তোমরা তাদের দেশের দখল নেবে, যেমন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। \p \v 6 “তোমরা অত্যন্ত শক্তিশালী হও; মোশির বিধানপুস্তকে যা লেখা আছে, সেগুলির সবকিছু সাবধান হয়ে পালন কোরো। তা থেকে ডানদিকে বা বাঁদিকে সরে যেয়ো না। \v 7 তোমরা এই সমস্ত জাতি, যারা তোমাদের মধ্যে রয়ে গিয়েছে, তাদের সহযোগী হোয়ো না; তাদের দেবতাদের নামে মিনতি বা শপথ কোরো না। তোমরা অবশ্যই তাদের সেবা করবে না অথবা তাদের সামনে প্রণত হবে না। \v 8 কিন্তু তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে আঁকড়ে ধরে রাখবে, যেমন তোমরা এ পর্যন্ত করে এসেছ। \p \v 9 “সদাপ্রভু তোমাদের সামনে মহান ও শক্তিশালী সব জাতিকে তাড়িয়ে দিয়েছেন; আজ পর্যন্ত, তারা কেউই তোমাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। \v 10 তোমাদের এক একজন, 1,000 জনকে বিতাড়িত করছে, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর প্রতিশ্রুতিমতো, তোমাদের জন্য যুদ্ধ করেছেন। \v 11 তাই তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভালোবাসার ব্যাপারে তোমরা অত্যন্ত যত্নশীল হবে। \p \v 12 “কিন্তু তোমরা যদি পিছনে ফিরে যাও ও তোমাদের মধ্যে অবশিষ্ট এই সমস্ত জাতির সঙ্গে তোমরা কোনোরকম মৈত্রী স্থাপন করো, যদি তাদের সঙ্গে তোমরা পারস্পরিক বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করো ও তাদের সহযোগী হও, \v 13 তবে তোমরা নিশ্চয় জানবে, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, আর এসব জাতিকে তোমাদের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেবেন না। তারা বরং তোমাদের পক্ষে জাল ও ফাঁদস্বরূপ হবে, তারা তোমাদের পিঠে চাবুকের মতো ও তোমাদের চোখে কাঁটার মতো হবে, যতক্ষণ না তোমরা এই উৎকৃষ্ট দেশ থেকে বিনষ্ট হও, যে দেশ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের দান করেছেন। \p \v 14 “এখন সমস্ত পৃথিবীর যে অন্তিম পথ, আমি সেই পথে যাচ্ছি। তোমরা সমস্ত মনেপ্রাণে জানো যে, সদাপ্রভু যে সমস্ত উৎকৃষ্ট প্রতিশ্রুতি তোমাদের দিয়েছিলেন, সেগুলির একটিও ব্যর্থ হয়নি। সব প্রতিশ্রুতিই পূর্ণ হয়েছে; একটিও ব্যর্থ হয়নি। \v 15 কিন্তু, যেমন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রত্যেকটি উৎকৃষ্ট প্রতিশ্রুতি সত্য প্রমাণিত হয়েছে, তেমনই সদাপ্রভু যে সমস্ত মন্দ বিষয়ের ব্যাপারে তোমাদের ভীতিপ্রদর্শন করেছেন, তা তোমাদের উপরে নিয়ে আসবেন, যতক্ষণ না এই যে উৎকৃষ্ট দেশ তিনি তোমাদের দান করেছেন, সেখান থেকে তোমাদের ধ্বংস করেন। \v 16 তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম, যা পালন করার আদেশ তিনি তোমাদের দিয়েছেন, তা লঙ্ঘন করো, এবং গিয়ে অন্য দেবদেবীর পুজো করো ও তাদের সামনে প্রণত হও, তবে সদাপ্রভুর ক্রোধ তোমাদের উপরে ফেটে পড়বে এবং তোমরা দ্রুত সেই উৎকৃষ্ট দেশে বিনষ্ট হবে, যে দেশ তিনি তোমাদের দান করেছেন।” \c 24 \s1 শিখিমে নিয়মের পুনর্নবীকরণ \p \v 1 পরে যিহোশূয় ইস্রায়েলের সমস্ত গোষ্ঠীকে শিখিমে একত্রিত করলেন। তিনি ইস্রায়েলের প্রাচীনদের, নেতাদের, বিচারকদের ও কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠালেন ও তাঁরা সকলে নিজেদের ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত করলেন। \p \v 2 যিহোশূয় সমস্ত লোককে বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন: ‘বহুপূর্বে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা এবং অব্রাহামের ও নাহোরের বাবা তেরহও ইউফ্রেটিস নদীর অপর পারে বসবাস করতেন ও বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো করতেন। \v 3 কিন্তু আমি তোমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহামকে সেই নদীর ওপার থেকে নিয়ে এসে সমস্ত কনান দেশে চালিত করলাম ও তাঁকে বহু বংশধর দিলাম। আমি তাকে দিলাম ইস্‌হাককে, \v 4 আবার ইস্‌হাককে দিলাম যাকোব ও এষৌকে। আমি সেয়ীরের পার্বত্য প্রদেশ এষৌকে দিলাম, কিন্তু যাকোব ও তার ছেলেরা মিশরে নেমে গেল। \p \v 5 “ ‘পরে আমি মোশি ও হারোণকে পাঠালাম, ও আমি সেখানে যে কাজ করলাম, তার দ্বারা মিশরীয়দের ক্লেশ দিলাম ও আমি তোমাদের বের করে আনলাম। \v 6 তোমাদের পূর্বপুরুষদের আমি যখন মিশর থেকে বের করে আনলাম, তোমরা সমুদ্রের কাছে এলে এবং মিশরীয়রা বহু রথ ও অশ্বারোহী নিয়ে লোহিত সাগর পর্যন্ত তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে এল। \v 7 কিন্তু ইস্রায়েলীরা সাহায্যের জন্য সদাপ্রভুর কাছে কাঁদল এবং সদাপ্রভু তোমাদের ও মিশরীয়দের মধ্যে অন্ধকার নিয়ে এলেন; তিনি সমুদ্রকে তাদের উপরে নিয়ে এসে তাদের জলে আবৃত করলেন। মিশরীয়দের প্রতি আমি কী করেছিলাম, তা তোমরা নিজেদের চোখে দেখেছ। পরে দীর্ঘ সময় তোমরা মরুপ্রান্তরে বসবাস করলে। \p \v 8 “ ‘আমি তোমাদের সেই ইমোরীয়দের দেশে নিয়ে এলাম, যারা জর্ডন নদীর পূর্বদিকে বসবাস করত। তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে আমি তাদের তোমাদের হাতে সমর্পণ করলাম। আমি তোমাদের সামনে থেকে তাদের ধ্বংস করলাম এবং তোমরা তখন তাদের দেশের দখল নিলে। \v 9 যখন সিপ্পোরের ছেলে মোয়াবের রাজা বালাক ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হল, সে বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে পাঠাল, যেন সে তোমাদের অভিশাপ দেয়। \v 10 কিন্তু আমি বিলিয়মের কথা শুনলাম না। তাই সে বারবার তোমাদের আশীর্বাদ দিল এবং আমি বালাকের হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করলাম। \p \v 11 “ ‘পরে তোমরা জর্ডন নদী অতিক্রম করে যিরীহোতে এলে। যিরীহোর লোকেরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল, যেমন করল ইমোরীয়, পরিষীয়, কনানীয়, হিত্তীয়, গির্গাশীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়েরা, কিন্তু তাদের আমি তোমাদের হাতে সমর্পণ করলাম। \v 12 আমি তোমাদের আগে আগে ভিমরুল পাঠালাম, যারা তোমাদের সামনে থেকে তাদের তাড়িয়ে দিল—সেই সঙ্গে ইমোরীয়দের দুই রাজাকেও তাড়ালো। তোমরা নিজেদের তরোয়াল ও তিরধনুক নিয়ে তা করোনি। \v 13 তাই আমি তোমাদের এমন এক দেশ দিলাম, যার জন্য তোমরা পরিশ্রম করোনি এবং এমন সব নগর দিলাম, যেগুলি তোমরা নির্মাণ করোনি; তোমরা সেগুলিতে বসবাস করছ এবং যে দ্রাক্ষালতা ও জলপাই গাছ তোমরা রোপণ করোনি, তার ফল তোমরা ভোগ করছ।’ \p \v 14 “এখন তোমরা সদাপ্রভুকে ভয় করো এবং সম্পূর্ণ বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাঁর সেবা করো। ইউফ্রেটিস নদীর ওপারে এবং মিশরে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যেসব দেবদেবীর আরাধনা করতেন, সেগুলি তোমরা ছুঁড়ে ফেলে দাও ও সদাপ্রভুর সেবা করো। \v 15 কিন্তু যদি সদাপ্রভুর সেবা করতে তোমরা অনিচ্ছুক হও, তবে আজই তোমরা বেছে নাও কার সেবা করবে, তা সে ইউফ্রেটিস নদীর অপর পারে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যেসব দেবদেবীর সেবা করত তাদের, না সেই ইমোরীয়দের সব দেবদেবীর, যাদের দেশে তোমরা বসবাস করছ, তাদের। কিন্তু আমি ও আমার পরিজন, আমরা সকলে সদাপ্রভুর সেবা করব।” \p \v 16 তখন লোকেরা উত্তর দিল, “আমরা সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করে অন্যান্য দেবদেবীর সেবা করব, তা যেন কখনও না হয়!\f + \fr 24:16 \fr*\ft অথবা, তা আমাদের থেকে দূরে থাকুক।\ft*\f* \v 17 আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু স্বয়ং আমাদের ও আমাদের পূর্বপুরুষদের মিশর থেকে, সেই ক্রীতদাসত্বের দেশ থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন এবং আমাদের চোখের সামনে ওইসব মহৎ চিহ্নকাজ সম্পন্ন করেছিলেন। আমাদের সমস্ত যাত্রাপথে ও যে সমস্ত জাতির মধ্যে দিয়ে আমরা পথ অতিক্রম করেছিলাম, তিনি আমাদের সুরক্ষা দিয়েছিলেন। \v 18 আর সদাপ্রভু আমাদের সামনে থেকে সব জাতিকে বিতাড়িত করলেন, ইমোরীয়দেরও করলেন, যারা এই দেশে বসবাস করত। আমরাও সদাপ্রভুর সেবা করব, কারণ তিনি আমাদের ঈশ্বর।” \p \v 19 যিহোশূয় লোকদের বললেন, “তোমরা সদাপ্রভুর সেবা করতে পারবে না। তিনি পবিত্র ঈশ্বর; তিনি ঈর্ষাপরায়ণ ঈশ্বর।\f + \fr 24:19 \fr*\ft অথবা, তাঁর মহিমা তিনি আর কাউকে দেন না।\ft*\f* তিনি তোমাদের বিদ্রোহ ও পাপ ক্ষমা করবেন না। \v 20 তোমরা যদি সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করো ও বিজাতীয় দেবদেবীর সেবা করো, তিনি আগে তোমাদের মঙ্গলসাধন করলেও, পরে তোমাদের প্রতি বিমুখ হয়ে তোমাদের উপরে বিপর্যয় নিয়ে আসবেন ও তোমাদের সংহার করবেন।” \p \v 21 কিন্তু লোকেরা যিহোশূয়কে বলল, “না! আমরা সদাপ্রভুরই সেবা করব।” \p \v 22 তখন যিহোশূয় বললেন, “তোমরা নিজেদেরই বিপক্ষে নিজেরা সাক্ষী যে, তোমরা সদাপ্রভুকে সেবা করা মনোনীত করেছ।” \p “হ্যাঁ, আমরা সাক্ষী,” তারা উত্তর দিল। \p \v 23 যিহোশূয় বললেন, “তবে এখন তোমাদের মধ্যে যেসব বিজাতীয় দেবদেবীর মূর্তি আছে সেগুলি ছুঁড়ে ফেলো এবং তোমাদের হৃদয়, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে সমর্পণ করো।” \p \v 24 আর লোকেরা যিহোশূয়কে বলল, “আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করব ও তাঁর আদেশ পালন করব।” \p \v 25 সেদিন যিহোশূয় লোকদের জন্য একটি নিয়ম স্থির করলেন, ও সেখানে, ওই শিখিমে তিনি লোকদের পালন করার জন্য বিধিনিয়ম ও বিধান পুনঃস্থাপন করলেন। \v 26 আর যিহোশূয় এসব বিষয় ঈশ্বরের বিধানপুস্তকে নথিভুক্ত করলেন। পরে তিনি এক বিশাল বড়ো পাথর নিয়ে, সদাপ্রভুর পবিত্রস্থানের কাছে একটি ওক গাছের নিচে রেখে দিলেন। \p \v 27 তিনি সমস্ত লোককে বললেন, “দেখো, এই পাথরটি আমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে। সদাপ্রভু যেসব কথা আমাদের বলেছেন, সেগুলি এটি শুনেছে। তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বরকে দেওয়া কথা থেকে পিছিয়ে যাও, তবে এই পাথরটি তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।” \p \v 28 পরে যিহোশূয় তাদের নিজের নিজের অধিকারে যাওয়ার জন্য বিদায় দিলেন। \s1 যিহোশূয় প্রতিজ্ঞাত দেশে সমাধিস্থ হন \p \v 29 এসব ঘটনার পরে, সদাপ্রভুর দাস, নূনের ছেলে যিহোশূয়, 110 বছর বয়সে মারা গেলেন। \v 30 লোকেরা তাঁকে তাঁর নিজের অধিকারের দেশে, গাশ পর্বতের উত্তর দিকে, ইফ্রয়িমের পাহাড়ি অঞ্চলে, তিম্নৎ-সেরহে কবর দিল।\f + \fr 24:30 \fr*\ft স্থানটি তিম্নৎ-হেরস নামেও পরিচিত। দ্রঃ \+xt বিচারকর্তৃগণ 2:9\+xt*।\ft*\f* \p \v 31 ইস্রায়েল যিহোশূয়ের জীবনকালে ও সেইসব প্রাচীনের জীবনকালে আগাগোড়াই সদাপ্রভুর সেবা করল, যারা যিহোশূয়ের মৃত্যুর পরও জীবিত ছিলেন ও ইস্রায়েলের জন্য সদাপ্রভু যেসব মহান কাজ করেছিলেন, সেগুলি সব প্রত্যক্ষ করেছিলেন। \p \v 32 আর যোষেফের অস্থি, যেগুলি ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে নিয়ে এসেছিল, তা লোকেরা শিখিমে সেই জমিখণ্ডে কবর দিল, যা যাকোব শিখিমের বাবা হমোরের ছেলেদের কাছ থেকে একশো রৌপ্যমুদ্রা\f + \fr 24:32 \fr*\ft মূল হিব্রু ভাষায়, 100 কসিতা; এক কসিতা অজ্ঞাত ওজন ও মূল্যবিশিষ্ট অর্থের এক একক\ft*\f* দিয়ে কিনেছিলেন। এটি যোষেফের বংশধরদের অধিকার হয়ে রইল। \p \v 33 আর হারোণের ছেলে ইলীয়াসরেরও মৃত্যু হল ও তাঁকে গিবিয়াতে কবর দেওয়া হল। এই স্থানটি ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশে, তাঁর ছেলে পীনহসকে দেওয়া হয়েছিল।