\id JAS - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h যাকোব \toc1 যাকোবের পত্র \toc2 যাকোব \toc3 যাকো \mt1 যাকোবের পত্র \c 1 \p \v 1 ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাস, আমি যাকোব, \b \p বিভিন্ন দেশে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকা ইস্রায়েলের বারো গোষ্ঠীর উদ্দেশে: \b \p শুভেচ্ছা। \b \s1 বিভিন্ন পরীক্ষা ও প্রলোভন \p \v 2 হে আমার ভাইবোনেরা, যখনই তোমরা বিভিন্ন প্রকারের পরীক্ষার সম্মুখীন হও, সেগুলিকে নির্মল আনন্দের বিষয় বলে মনে করো, \v 3 কারণ তোমরা জানো যে, তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা ধৈর্য উৎপন্ন করে। \v 4 ধৈর্যকে অবশ্যই তার কাজ শেষ করতে হবে, যেন তোমরা পরিপক্ব ও সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারো, কোনো বিষয়ের অভাব তোমাদের না থাকে। \v 5 তোমাদের কারও যদি প্রজ্ঞার অভাব থাকে, সে ঈশ্বরের কাছে তা চাইবে, যিনি কোনও ত্রুটি না ধরে উদারভাবে সকলকে দান করে থাকেন, আর তাকে তা দেওয়া হবে। \v 6 কিন্তু চাওয়ার সময় তাকে বিশ্বাস করতে হবে, সে যেন সন্দেহ না করে। কারণ যে সন্দেহ করে, সে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো, বাতাসে তাড়িত ও উৎক্ষিপ্ত। \v 7 সেই ব্যক্তি এমন মনে না করুক যে, সে প্রভুর কাছ থেকে কিছু পাবে। \v 8 সে দ্বিমনা ব্যক্তি, তার সমস্ত কাজে কোনো স্থিরতা নেই। \p \v 9 যে ভাইবোনেরা খুব সাধারণ পরিস্থিতিতে আছে, সে তার উঁচু অবস্থানের জন্য গর্ববোধ করুক। \v 10 কিন্তু যে ধনী, সে তার থেকে নিচু অবস্থানের জন্য গর্বিত হোক, কারণ সে বুনোফুলের মতো হারিয়ে যাবে। \v 11 কারণ সূর্য প্রখর তাপ নিয়ে উদিত হয় ও গাছপালা শুকিয়ে যায়; তার ফুল ঝরে যায় ও সৌন্দর্য নষ্ট হয়। একইভাবে, ধনী ব্যক্তি তার কর্মব্যস্ততা সত্ত্বেও ম্লান হয়ে যাবে। \p \v 12 ধন্য সেই ব্যক্তি, যে পরীক্ষার মধ্যেও ধৈর্য ধরে, কারণ পরীক্ষা সহ্য করলে সে জীবনমুকুট লাভ করবে, যা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঈশ্বর তাদের দিয়েছেন, যারা তাঁকে ভালোবাসে। \p \v 13 প্রলোভনে পড়লে কেউ যেন না বলে, “ঈশ্বর আমাকে প্রলুব্ধ করেছেন।” কারণ মন্দ বিষয়ের দ্বারা ঈশ্বরকে প্রলুব্ধ করা যায় না, আবার তিনিও কাউকে প্রলুব্ধ করেন না। \v 14 কিন্তু প্রত্যেক মানুষ তার নিজের কামনাবাসনার দ্বারা আকর্ষিত হয়ে প্রলোভনে পড়ে ও কুপথে চালিত হয়। \v 15 পরে, সেই কামনা পূর্ণগর্ভ হয়ে পাপের জন্ম দেয় এবং পাপ পূর্ণতা লাভ করে মৃত্যু প্রসব করে। \p \v 16 আমার প্রিয় ভাইবোনেরা, ভ্রান্ত হোয়ো না। \v 17 সমস্ত উৎকৃষ্ট ও নিখুঁত\f + \fr 1:17 \fr*\ft সিদ্ধ বা সম্পূর্ণ।\ft*\f* দান ঊর্ধ্বলোক থেকে, আকাশের জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর সেই পিতা থেকে আসে। তিনি কখনও পরিবর্তন হন না বা ছায়ার মতো সরে যান না। \v 18 তিনি আমাদের মনোনীত করে সত্যের বাক্য দ্বারা আমাদের জন্ম দিয়েছেন, যেন তাঁর সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে আমরা এক প্রকার প্রথম ফসলরূপে গণ্য হতে পারি। \s1 শোনা ও করা \p \v 19 আমার প্রিয় ভাইবোনেরা, তোমরা এ বিষয়ে মনোনিবেশ করো: প্রত্যেকেই শুনতে আগ্রহী হও ও কথা বলায় ধীর হও এবং ক্রোধে ধীর হও। \v 20 কারণ মানুষের ক্রোধ ঈশ্বরের কাঙ্ক্ষিত ধর্মময় জীবনের বিকাশ ঘটাতে পারে না। \v 21 সেই কারণে, তোমাদের জীবনের সমস্ত নৈতিক কলুষতা ও মন্দতা থেকে মুক্ত হও ও তোমাদের মধ্যে বপন করা সেই বচনকে নতনম্ররূপে গ্রহণ করো, যা তোমাদের পরিত্রাণ সাধন করতে পারে। \p \v 22 বাক্যের কেবল শ্রোতা হোয়ো না ও নিজেদের প্রতারিত কোরো না। বাক্য যা বলে, তা করো। \v 23 যে বাক্য শোনে অথচ তার নির্দেশ পালন করে না, সে এমন মানুষের মতো যে আয়নায় তার মুখ দেখে, \v 24 নিজেকে দেখার পর সে চলে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গেই ভুলে যায়, সে দেখতে কেমন। \v 25 কিন্তু যে নিখুঁত বিধানের প্রতি আগ্রহভরে দৃষ্টি দেয়, যা স্বাধীনতা প্রদান করে ও যা শুনেছে তা ভুলে না গিয়ে নিরন্তর তা পালন করতে থাকে, সে সবকাজেই আশীর্বাদ পাবে। \p \v 26 কেউ যদি নিজেকে ধার্মিক বলে মনে করে, কিন্তু নিজের জিভকে লাগাম দিয়ে বশে না রাখে, সে নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতারণা করে এবং তার ধর্ম অসার। \v 27 পিতা ঈশ্বরের কাছে বিশুদ্ধ ও নির্দোষরূপে গ্রহণযোগ্য ধর্ম হল এই: অনাথ ও বিধবাদের দুঃখকষ্টে তত্ত্বাবধান করা এবং সাংসারিক কলুষতা থেকে নিজেকে রক্ষা করা। \c 2 \s1 পক্ষপাতিত্ব সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা \p \v 1 হে আমার ভাইবোনেরা, আমাদের মহিমাময় প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসীরূপে তোমরা পক্ষপাতিত্ব দেখিয়ো না। \v 2 মনে করো, কোনো ব্যক্তি সোনার আংটি ও সুন্দর পোশাক পরে তোমাদের মণ্ডলীর সভায় এল এবং মলিন পোশাক পরে একজন দীনহীন ব্যক্তিও সেখানে এল। \v 3 তোমরা যদি সুন্দর পোশাক পরা ব্যক্তির প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেখাও ও তাকে বলো, “এখানে আপনার জন্য একটি ভালো আসন আছে,” কিন্তু সেই দীনহীন ব্যক্তিকে বলো, “তুমি ওখানে দাঁড়াও” বা “আমার পায়ের কাছে মেঝের উপরে বসো,” \v 4 তাহলে তোমরা কি নিজেদের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণ করছ না ও মন্দ ভাবনা নিয়ে বিচারকের স্থান গ্রহণ করছ না? \p \v 5 আমার প্রিয় ভাইবোনেরা, তোমরা শোনো: জগতের দৃষ্টিতে যারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাদের মনোনীত করেননি, যেন তারা বিশ্বাসে ধনী হয় এবং যারা তাঁকে ভালোবাসে, তাদের কাছে প্রতিশ্রুত রাজ্যের অধিকারী হয়? \v 6 কিন্তু তোমরা সেই দরিদ্রকে অপমান করেছ। ধনী ব্যক্তিরাই কি তোমাদের শোষণ করে না? তারাই কি তোমাদের বিচারালয়ে টেনে নিয়ে যায় না? \v 7 তারাই কি সেই পরমশ্রেষ্ঠ নামের নিন্দা করে না, যাঁর নিজস্ব অধিকাররূপে তোমরা পরিচিত হয়েছ? \p \v 8 শাস্ত্রের এই রাজকীয় বিধান, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতোই ভালোবেসো,”\f + \fr 2:8 \fr*\ft \+xt লেবীয় পুস্তক 19:18\+xt*\ft*\f* যদি তোমরা প্রকৃতই মেনে চলো, তাহলে তোমরা ঠিকই করছ। \v 9 কিন্তু তোমরা যদি পক্ষপাতিত্ব করো, তবে পাপ করেছ এবং বিধানের দ্বারাই তোমরা বিধানভঙ্গকারীরূপে দোষী সাব্যস্ত হবে। \v 10 কারণ সমস্ত বিধান পালন করে কেউ যদি শুধুমাত্র একটি আজ্ঞা পালনে ব্যর্থ হয়, সে তার সমস্তই লঙ্ঘনের দায়ে দোষী হবে। \v 11 কারণ যিনি বলেছেন, “ব্যভিচার কোরো না,”\f + \fr 2:11 \fr*\ft \+xt যাত্রা পুস্তক 20:14\+xt*; \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 5:18\+xt*\ft*\f* তিনিই আবার বলেছেন, “তোমরা নরহত্যা কোরো না।”\f + \fr 2:11 \fr*\ft \+xt যাত্রা পুস্তক 20:13\+xt*; \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 5:17\+xt*\ft*\f* তোমরা হয়তো ব্যভিচার করোনি, কিন্তু যদি নরহত্যা করে থাকো, তাহলে তোমরা বিধানভঙ্গকারী হয়েছ। \p \v 12 যে বিধানের দ্বারা তোমরা স্বাধীনতা লাভ করেছ তারই দ্বারা তোমাদের বিচার হতে চলেছে, তোমরা সেইমতো কথা বলো ও কাজ করো। \v 13 কারণ যে দয়া দেখায়নি, নির্দয়ভাবে তার বিচার করা হবে। দয়াই বিচারের উপরে জয়লাভ করে। \s1 কর্মহীন বিশ্বাসের অসারতা \p \v 14 কোনো মানুষ যদি দাবি করে তার বিশ্বাস আছে, কিন্তু সেইমতো কোনো কর্ম না থাকে, তাহলে আমার ভাইবোনেরা, এতে কী লাভ হবে? এ ধরনের বিশ্বাস কি তাকে পরিত্রাণ দিতে পারে? \v 15 মনে করো, কোনো ভাই বা বোনের পোশাক ও দৈনন্দিন খাবারের সংস্থান নেই। \v 16 তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তাকে বলে, “শান্তিতে যাও, তুমি উষ্ণ ও তৃপ্ত থাকো,” কিন্তু তার শারীরিক প্রয়োজন সম্পর্কে সে কিছুই না করে, তাহলে, তাতে কী লাভ হবে? \v 17 একইভাবে, বিশ্বাসের সঙ্গে যদি কর্ম যুক্ত না হয়, তাহলে সেই বিশ্বাস মৃত। \p \v 18 কিন্তু কেউ হয়তো বলবে, “তোমার বিশ্বাস আছে, কিন্তু আমার কর্ম আছে।” \p আমাকে তোমার কর্মহীন বিশ্বাসের প্রমাণ দেখাও, আমি তোমাকে আমার কর্মের মাধ্যমে বিশ্বাস দেখাব। \v 19 তুমি তো বিশ্বাস করো যে, ঈশ্বর এক। ভালো, এমনকি, ভূতেরাও তা বিশ্বাস করে ও ভয়ে কাঁপে। \p \v 20 ওহে নির্বোধ মানুষ, কর্মহীন বিশ্বাস যে নিরর্থক,\f + \fr 2:20 \fr*\ft কোনো কোনো প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে, মৃত।\ft*\f* তুমি কি তার প্রমাণ চাও? \v 21 আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, তাঁর পুত্র ইস্‌হাককে বেদির উপরে উৎসর্গ করেছিলেন এবং তাঁর কর্মের দ্বারাই তাঁকে কি ঈশ্বরের সাক্ষাতে ধার্মিক দেখানো হয়নি? \v 22 তাহলে, তোমরা দেখতে পাচ্ছ যে, তাঁর বিশ্বাস ও তাঁর কর্ম একযোগে সক্রিয় ছিল এবং কর্মের দ্বারাই তাঁর বিশ্বাস পূর্ণতা লাভ করেছিল। \v 23 আবার শাস্ত্রেরও এই বচন পূর্ণ হল, যা বলে, “অব্রাহাম ঈশ্বরকে বিশ্বাস করলেন এবং তা তাঁর পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণ্য হল।”\f + \fr 2:23 \fr*\ft \+xt আদি পুস্তক 15:6\+xt*\ft*\f* আর তিনি ঈশ্বরের বন্ধু\f + \fr 2:23 \fr*\ft \+xt 2 বংশাবলি 20:7\+xt*; \+xt যিশাইয় 41:8\+xt*\ft*\f*—এই নামে আখ্যাত হলেন। \v 24 তোমরা দেখতে পাচ্ছ, কোনো মানুষ কেবলমাত্র বিশ্বাসে নয়, কিন্তু তার কর্মের দ্বারাই নির্দোষ গণ্য হয়। \p \v 25 একইভাবে, বেশ্যা রাহবও তাঁর কর্মের জন্য কি ধার্মিক বলে প্রদর্শিত হননি? তিনি সেই গুপ্তচরদের থাকার আশ্রয় দিয়ে, পরে অন্য পথ দিয়ে তাদের বিদায় দিয়েছিলেন। \v 26 যেমন আত্মাবিহীন শরীর মৃত, তেমনই কর্মবিহীন বিশ্বাসও মৃত। \c 3 \s1 জিভ সংযত করা \p \v 1 আমার ভাইবোনেরা, তোমরা অনেকেই শিক্ষক হতে চেয়ো না, কারণ তোমরা জানো যে, আমরা যারা শিক্ষা দিই, আমাদের আরও কঠোরভাবে বিচার করা হবে। \v 2 আমরা সকলেই বিভিন্নভাবে ভুল করি। কেউ যদি তার কথাবার্তায় কখনও ভুল না করে, তাহলে সে সিদ্ধপুরুষ, সে তার সমস্ত শরীর বশে রাখতে সমর্থ। \p \v 3 ঘোড়াকে বশে রাখার জন্য যখন আমরা তাদের মুখে লাগাম পরাই, তখন আমরা তার সমস্ত শরীরকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। \v 4 কিংবা উদাহরণস্বরূপ, জাহাজের কথাই ধরো। যদিও সেগুলি অনেক বড়ো ও প্রবল বাতাসে চলে, তবুও নাবিক একটি ছোটো হালের সাহায্যে যেদিকে ইচ্ছা সেদিকে নিয়ে যায়। \v 5 একইভাবে, জিভ শরীরের একটি ছোটো অঙ্গ, কিন্তু তা মহা দম্ভের সব কথা বলে থাকে। ভেবে দেখো, সামান্য একটি আগুনের ফুলকি কীভাবে মহা অরণ্যকে জ্বালিয়ে দেয়! \v 6 সেরকম, জিভও যেন এক আগুন, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে অধর্মের এক জগতের মতো রয়েছে। সমগ্র ব্যক্তিসত্তাকে তা কলুষিত করে, তার সমগ্র জীবনচক্রে আগুন জ্বালায় এবং সে নিজেও নরকের আগুনে জ্বলে। \p \v 7 সব ধরনের পশুপাখি, সরীসৃপ ও সামুদ্রিক প্রাণীকে বশ করা যায় ও মানুষ তাদের বশ করেছে, \v 8 কিন্তু জিভকে কেউই বশ করতে পারে না। এ এক অশান্ত মন্দতা ও প্রাণঘাতী বিষে পূর্ণ। \p \v 9 এই জিভ দিয়েই আমরা আমাদের প্রভু ও পিতার গৌরব করি, আবার এ দিয়েই আমরা ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট সব মানুষকে অভিশাপ দিই। \v 10 একই মুখ থেকে প্রশংসা ও অভিশাপ বের হয়ে আসে। আমার ভাইবোনেরা, এরকম হওয়া উচিত নয়। \v 11 একই উৎস থেকে কি মিষ্টি জল ও লবণাক্ত\f + \fr 3:11 \fr*\ft গ্রিক: তিক্ত; 14 পদেও।\ft*\f* জল, উভয়ই প্রবাহিত হতে পারে? \v 12 আমার ভাইবোনেরা, ডুমুর গাছে কি জলপাই, কিংবা দ্রাক্ষালতায় কি ডুমুর উৎপন্ন হতে পারে? তেমনই লবণাক্ত জলের উৎস মিষ্টি জল দিতে পারে না। \s1 দু-প্রকারের বিজ্ঞতা \p \v 13 তোমাদের মধ্যে কে জ্ঞানবান ও বুদ্ধিমান? সে জ্ঞানের মাধ্যমে আসা সৎ জীবন ও নম্রতায় করা কাজকর্মের দ্বারা তা প্রমাণ করুক। \v 14 কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের অন্তরে তিক্ত ঈর্ষা ও স্বার্থকেন্দ্রিক উচ্চাশা পোষণ করো, তার জন্য গর্বপ্রকাশ কোরো না বা সত্যকে অস্বীকার কোরো না। \v 15 এ ধরনের “জ্ঞান” স্বর্গ থেকে নেমে আসে না। তা পার্থিব, সাংসারিক ও শয়তানসুলভ। \v 16 কারণ যেখানে তোমাদের মধ্যে ঈর্ষা ও স্বার্থকেন্দ্রিক উচ্চাশা আছে, সেখানেই তোমরা দেখবে বিশৃঙ্খলা ও সব ধরনের মন্দ অভ্যাস। \p \v 17 কিন্তু স্বর্গ থেকে যে জ্ঞান আসে, প্রথমত তা বিশুদ্ধ, তারপরে তা শান্তিপ্রিয়, সুবিবেচক, অনুগত, করুণায় ও উৎকৃষ্ট ফলে পূর্ণ, পক্ষপাতশূন্য ও অকপট। \v 18 আর যারা শান্তি স্থাপনের জন্য শান্তিতে বীজবপন করে, তারা ধার্মিকতার ফসল উৎপন্ন করবে। \c 4 \s1 ঈশ্বরের কাছে আত্মসমর্পণ \p \v 1 তোমাদের মধ্যে কী কারণে সংঘর্ষ ও বিবাদ ঘটে? তোমাদের মধ্যে যেসব অভিলাষ যুদ্ধ করে সেসব থেকেই কি তার উৎস নয়? \v 2 তোমরা কিছু পেতে চাও, কিন্তু তা পাও না। তোমরা হত্যা করো, লোভ করো, কিন্তু যা পেতে চাও, তা তোমরা পাও না। তোমরা বিবাদ করো ও সংঘর্ষে লিপ্ত হও। তোমরা ঈশ্বরের কাছে কিছু চাও না, তাই তোমরা পাও না। \v 3 তোমরা যখন চাও, তখন তোমরা পাও না, কারণ তোমরা মন্দ উদ্দেশ্যে সেসব চেয়ে থাকো, যেন প্রাপ্ত বিষয়গুলি নিয়ে নিজেদের সুখাভিলাষের জন্য ব্যবহার করতে পারো। \p \v 4 ব্যভিচারীর\f + \fr 4:4 \fr*\ft গ্রিক: ব্যভিচারিণীর দল।\ft*\f* দল, তোমরা কি জানো না, জগতের সঙ্গে বন্ধুত্ব হল ঈশ্বরের প্রতি ঘৃণার নিদর্শন? কোনো ব্যক্তি যদি জগতের সঙ্গে বন্ধুত্বকে বেছে নেয়, সে ঈশ্বরের শত্রু হয়ে ওঠে। \v 5 তোমরা কি জানো না যে শাস্ত্র কী বলে? যে আত্মাকে তিনি আমাদের মধ্যে অধিষ্ঠান করতে দিয়েছেন, তিনি চান যেন তিনি শুধু তাঁরই হয়ে থাকেন। ঈশ্বর এই আত্মাকে আমাদের মধ্যে বসবাস করতে দিয়েছেন। তোমাদের কি মনে হয় না যে শাস্ত্রে একথা বলার এক কারণ আছে?\f + \fr 4:5 \fr*\ft বা যে আত্মাকে ঈশ্বর আমাদের মধ্যে অধিষ্ঠান করতে দিয়েছেন, তাঁর জন্য তিনি ঈর্ষাবশত ব্যাকুল হচ্ছেন\ft*\f* \v 6 কিন্তু তিনি আমাদের আরও বেশি অনুগ্রহ-দান করেন। এই কারণেই শাস্ত্র বলে: \q1 “ঈশ্বর অহংকারীদের প্রতিরোধ করেন, \q2 কিন্তু নতনম্রদের অনুগ্রহ-দান করেন।”\f + \fr 4:6 \fr*\ft \+xt হিতোপদেশ 3:34\+xt*\ft*\f* \p \v 7 অতএব, তোমরা ঈশ্বরের বশ্যতাধীন হও। দিয়াবলের প্রতিরোধ করো, আর সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে। \v 8 ঈশ্বরের কাছে এসো, তিনিও তোমাদের কাছে আসবেন। পাপীরা, তোমরা তোমাদের হাত ধুয়ে ফেলো ও দ্বিধাগ্রস্ত\f + \fr 4:8 \fr*\ft অর্থাৎ, দ্বিমনা।\ft*\f* ব্যক্তিরা, তোমরা তোমাদের অন্তর পরিশুদ্ধ করো। \v 9 তোমরা দুঃখকাতর হও, শোক ও বিলাপ করো। তোমাদের হাসিকে কান্নায় ও আনন্দকে বিষাদে পরিবর্তন করো। \v 10 তোমরা প্রভুর কাছে নিজেদের নতনম্র করো, তিনিই তোমাদের উন্নীত করবেন। \p \v 11 ভাইবোনেরা, তোমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে কুৎসা-রটনা থেকে দূরে থাকো। যে তার ভাইয়ের (বা বোনের) বিরুদ্ধে কথা বলে, কিংবা তার বিচার করে, সে বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলে ও তা বিচার করে। তোমরা যখন বিধানের বিচার করো, তোমরা তা আর পালন না করে তা নিয়ে বিচার করতে বসো। \v 12 বিধানদাতা ও বিচারক কেবলমাত্র একজনই যিনি রক্ষা বা ধ্বংস উভয়ই করতে সক্ষম। কিন্তু তুমি, তুমি কে যে, তোমার প্রতিবেশীর বিচার করো? \s1 আগামীকালের বিষয়ে গর্ব \p \v 13 এখন শোনো, তোমরা যারা বলে থাকো, “আজ বা আগামীকাল আমরা এই নগরে বা ওই নগরে যাব, সেখানে এক বছর থাকব, ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করব।” \v 14 কেন, তোমরা তা জানোই না যে আগামীকাল কী ঘটবে! তোমাদের জীবন কী ধরনের? তোমরা তো কুয়াশার মতো, যা সামান্য সময়ের জন্য দেখা দিয়েই মিলিয়ে যায়। \v 15 বরং তোমাদের বলা উচিত, “যদি প্রভুর ইচ্ছা হয়, আমরা বেঁচে থেকে এ কাজ বা ও কাজ করব।” \v 16 কিন্তু যেমন দেখা যাচ্ছে, তোমরা দম্ভ ও বড়াই করছ। এ ধরনের সমস্ত গর্ব হল মন্দ বিষয়। \v 17 তাহলে, সৎকর্ম করতে জেনেও যে তা করে না, সে পাপ করে। \c 5 \s1 অত্যাচারী ধনীদের প্রতি সতর্কবাণী \p \v 1 ওহে ধনী ব্যক্তিরা, তোমরা এখন শোনো, তোমাদের উপরে যে দুঃখদুর্দশা ঘনিয়ে আসছে, তার জন্য তোমরা কাঁদো ও বিলাপ করো। \v 2 তোমাদের ধনসম্পদ পচে\f + \fr 5:2 \fr*\ft অর্থাৎ, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে\ft*\f* যাচ্ছে ও জামাকাপড় পোকায় খেয়ে নিচ্ছে। \v 3 তোমাদের সোনা ও রুপো পচতে শুরু করেছে। সেই পচনই তোমাদের বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে ও আগুনের মতো তোমাদের শরীরকে গ্রাস করবে, কারণ শেষের দিনগুলির জন্য তোমরা ধন সঞ্চয় করছ। \v 4 দেখো! যে মজুরেরা তোমাদের জমিতে ফসল কেটেছে তাদের মজুরি তোমরা দাওনি, তারা তোমাদের বিরুদ্ধে চিৎকার করছে। যারা শস্য কাটে তাদের কান্না সর্বশক্তিমান প্রভুর কানে গিয়ে পৌঁছেছে। \v 5 তোমরা পৃথিবীতে বিলাসিতায় ও আত্মসুখভোগে জীবন কাটিয়েছ। পশুহত্যার দিনে\f + \fr 5:5 \fr*\ft বা কোনও পর্বের দিনে।\ft*\f* তোমরা নিজেদের হৃষ্টপুষ্ট করেছ। \v 6 যারা প্রতিরোধ করেনি সেইসব নির্দোষ মানুষকেও তোমরা অপরাধী সাব্যস্ত করে হত্যা করেছ। \s1 দুঃখভোগের সময়ে ধৈর্য \p \v 7 তাই ভাইবোনেরা, তোমরা প্রভুর আগমন পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করো। দেখো, মূল্যবান ফসলের জন্য চাষি জমির দিকে তাকিয়ে কত প্রতীক্ষা করে, প্রথম ও শেষ\f + \fr 5:7 \fr*\ft গ্রিক: হেমন্ত ও বসন্তকালের\ft*\f* বৃষ্টির জন্য সে কতই না সহিষ্ণুতা অবলম্বন করে। \v 8 তোমরাও তেমনই ধৈর্যধারণ করো ও অবিচল থাকো, কারণ প্রভুর আগমন সন্নিকট। \v 9 ভাইবোনেরা, পরস্পরের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ কোরো না, নতুবা তোমাদের বিচার করা হবে। বিচারক দুয়ারেই দাঁড়িয়ে আছেন! \p \v 10 ভাইবোনেরা, কষ্টযন্ত্রণা ভোগের সময় সেইসব ভাববাদীর দীর্ঘসহিষ্ণুতার আদর্শ গ্রহণ করো, যাঁরা প্রভুর নামে কথা বলেছিলেন। \v 11 যেমন তোমরা জানো, যারা কষ্টভোগের সময় নিষ্ঠাবান\f + \fr 5:11 \fr*\ft বা ধৈর্যের সঙ্গে কষ্টভোগ সহ্য করেছিলেন।\ft*\f* ছিল তাদের আমরা ধন্য বলে মনে করি। তোমরা ইয়োবের নিষ্ঠার কথা শুনেছ এবং দেখেছ, শেষে প্রভু কী করলেন। প্রভু সহানুভূতিশীল ও করুণায় পূর্ণ। \p \v 12 আমার ভাইবোনেরা, সবচেয়ে বড়ো কথা, তোমরা দিব্যি কোরো না—স্বর্গ বা মর্ত্য, বা অন্য কিছুরই নামে নয়। তোমাদের “হ্যাঁ,” হ্যাঁ হোক, আর “না,” না হোক, নইলে তোমরা দোষী সাব্যস্ত হবে। \s1 বিশ্বাসযুক্ত প্রার্থনা \p \v 13 তোমাদের মধ্যে কেউ কি সমস্যায় ভুগছে? সে প্রার্থনা করুক। কেউ কি সুখে আছে? সে প্রশংসাগান করুক। \v 14 তোমাদের মধ্যে কেউ কি অসুস্থ আছে? সে মণ্ডলীর প্রাচীনদের আহ্বান করুক, তাঁরা তার জন্য প্রার্থনা করবেন ও প্রভুর নামে তাকে তেল দিয়ে অভিষেক করবেন। \v 15 আর বিশ্বাসের সঙ্গে নিবেদিত প্রার্থনা, সেই অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করবে। প্রভু তাকে তুলে ধরবেন। যদি সে পাপ করে থাকে, সে ক্ষমা লাভ করবে। \v 16 সেই কারণে, তোমরা পরস্পরের কাছে পাপস্বীকার করো ও পরস্পরের জন্য প্রার্থনা করো, যেন তোমরা আরোগ্য লাভ করতে পারো। ধার্মিকদের প্রার্থনা শক্তিশালী ও কার্যকরী। \p \v 17 এলিয় আমাদের মতোই একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন। দেশে বৃষ্টি না হওয়ার জন্য তিনি একান্তভাবে প্রার্থনা করেছিলেন, আর সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। \v 18 আবার তিনি প্রার্থনা করলেন, আকাশমণ্ডল থেকে বৃষ্টি এল ও পৃথিবী শস্য উৎপন্ন করল। \p \v 19 আমার ভাইবোনেরা, তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সত্য থেকে দূরে চলে যায় ও অপর কেউ তাকে ফিরিয়ে আনে, \v 20 তাহলে, একথা মনে রেখো: পাপীকে যে কেউ তার ভুল পথ থেকে ফেরায়, সে তাকে মৃত্যু থেকে রক্ষা করে ও তার সব পাপ ঢেকে দেয়।