\id HEB - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h ইব্রীয় \toc1 ইব্রীয়দের প্রতি পত্র \toc2 ইব্রীয় \toc3 ইব্রী \mt1 ইব্রীয়দের প্রতি পত্র \c 1 \s1 খ্রীষ্ট: ঐশ-মহিমার বিচ্ছুরণ \p \v 1 অতীতে ঈশ্বর ভাববাদীদের\f + \fr 1:1 \fr*\fq ভাববাদী\fq*\ft —এর সমার্থক শব্দগুলি হল, নবী, ভবিষ্যৎ বক্তা, ক্রান্তদর্শী।\ft*\f* মাধ্যমে আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে বহুবার বিভিন্নভাবে কথা বলেছেন, \v 2 কিন্তু এই শেষ যুগে, তিনি তাঁর পুত্রের মাধ্যমেই আমাদের কাছে কথা বলেছেন, যাঁকে তিনি সবকিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন, এবং যাঁর মাধ্যমে তিনি সমগ্র বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন। \v 3 সেই পুত্রই ঈশ্বরের মহিমার বিচ্ছুরণ এবং তাঁর সত্তার যথার্থ প্রতিরূপ, যিনি তাঁর তেজোদৃপ্ত বাক্যের দ্বারা সবকিছুই ধারণ করে আছেন। সব পাপ ক্ষমা করার কাজ সম্পন্ন করার পর, তিনি স্বর্গে ঐশ-মহিমার ডানদিকে উপবেশন করেছেন। \s1 খ্রীষ্ট স্বর্গদূতদের থেকে মহান \p \v 4 তিনি উত্তরাধিকার বলে স্বর্গদূতদের তুলনায় যে উচ্চতর পদের অধিকারী হয়েছেন, সেই অনুযায়ী তাদের থেকেও মহান হয়ে উঠেছেন। \p \v 5 কারণ স্বর্গদূতদের মধ্যে কাকে ঈশ্বর কখন বলেছেন, \q1 “তুমি আমার পুত্র, \q2 আজ আমি তোমার পিতা হয়েছি?”\f + \fr 1:5 \fr*\ft \+xt গীত 2:7\+xt*\ft*\f* \m অথবা আবার, \q1 “আমি তার পিতা হব, \q2 আর সে হবে আমার পুত্র?”\f + \fr 1:5 \fr*\ft \+xt 2 শমূয়েল 7:14; 1 বংশাবলি 17:13\+xt*\ft*\f* \m \v 6 আবারও, ঈশ্বর যখন তাঁর প্রথমজাতকে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসেন, তিনি বললেন, \q1 “ঈশ্বরের সব দূত তাঁর উপাসনা করুক।”\f + \fr 1:6 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 32:43\+xt*\ft*\f* \m \v 7 আর স্বর্গদূতদের সম্পর্কে তিনি বলেন, \q1 “তিনি তাঁর দূতদের করেন বায়ুসদৃশ, \q2 তাঁর সেবকদের করেন আগুনের শিখার মতো।”\f + \fr 1:7 \fr*\ft \+xt গীত 104:4\+xt*\ft*\f* \m \v 8 কিন্তু পুত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, \q1 “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন অনন্তকালস্থায়ী; \q2 ধার্মিকতার রাজদণ্ড হবে তোমার রাজ্যের রাজদণ্ড। \q1 \v 9 তুমি ধার্মিকতাকে ভালোবেসেছ, \q2 আর দুষ্টতাকে ঘৃণা করেছ; \q1 সেই কারণে ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, \q2 আনন্দের তেল দিয়ে অভিষিক্ত করে, \q2 তোমাকে তোমার সহচরদের ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছেন।”\f + \fr 1:9 \fr*\ft \+xt গীত 45:6,7\+xt*\ft*\f* \m \v 10 তিনি আরও বলেন, \q1 “হে প্রভু, আদিকালে তুমি এই পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ, \q2 আর আকাশমণ্ডলও তোমারই হাতের রচনা। \q1 \v 11 সেসব বিলুপ্ত হবে, কিন্তু তুমি স্থায়ী হবে; \q2 সেগুলি ছেঁড়া কাপড়ের মতো হবে। \q1 \v 12 পরিচ্ছদের মতো তুমি সেসব গুটিয়ে রাখবে, \q2 পরনের পোশাকের মতো সেগুলি পরিবর্তিত হবে। \q1 কিন্তু তুমি থাকবে সেই একইরকম, \q2 তোমার আয়ুর কখনও শেষ হবে না।”\f + \fr 1:12 \fr*\ft \+xt গীত 102:25-27\+xt*\ft*\f* \m \v 13 স্বর্গদূতদের মধ্যে কাকে ঈশ্বর কখন বলেছেন, \q1 “তুমি আমার ডানদিকে বসো, \q2 যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের \q2 তোমার পাদপীঠে পরিণত করি?”\f + \fr 1:13 \fr*\ft \+xt গীত 110:1\+xt*\ft*\f* \m \v 14 স্বর্গদূতেরা সবাই কি পরিচর্যাকারী আত্মা নন? যারা পরিত্রাণের অধিকারী হবে, তাদের সেবা করার জন্যই কি তারা প্রেরিত হননি? \c 2 \s1 খ্রীষ্ট—আদম থেকেও মহান \p \v 1 সেজন্য, আমরা যা শুনেছি, তার প্রতি অবশ্যই আরও যত্নসহকারে মনোযোগ দেব, যেন আমরা বিপথে না যাই। \v 2 কারণ স্বর্গদূতদের দ্বারা কথিত বাণী যদি বাধ্যতামূলক হয় এবং তা কোনও ভাবে লঙ্ঘন বা অমান্য করার ফলে যদি ন্যায্য শাস্তি প্রাপ্য হয়, \v 3 তাহলে, এমন এক মহা পরিত্রাণ অবহেলা করলে আমরা কীভাবে নিষ্কৃতি পাব? এই পরিত্রাণের কথা প্রভুই প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন; তাঁর কথা যারা শুনেছিলেন, তারাই আমাদের কাছে তার সত্যতা প্রতিপন্ন করেছেন। \v 4 আর ঈশ্বরও বিভিন্ন নিদর্শন, বিস্ময়কর কাজ এবং বিভিন্ন অলৌকিক কাজের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিয়েছেন এবং তাঁর ইচ্ছা অনুসারে পবিত্র আত্মার বিভিন্ন বরদান বিতরণ করা হয়েছে। \s1 যীশু তাঁর ভাইবোনেদের সদৃশ \p \v 5 আমরা যে নতুন জগতের কথা বলছি তা তিনি স্বর্গদূতদের হাতে সমর্পণ করেননি। \v 6 কিন্তু কোনো এক ব্যক্তি কোনো এক স্থানে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন: \q1 “মানবজাতি কি, যে তাদের কথা তুমি চিন্তা করো? \q2 মানবসন্তান কি, যে তার তুমি যত্ন করো? \q1 \v 7 তুমি তাদের স্বর্গদূতদের চেয়ে সামান্য ছোটো করেছ; \q2 তুমি তাদের গৌরব ও সম্মানের মুকুটে ভূষিত করেছ, \q2 \v 8 আর সবকিছুই তাঁর পদানত করেছ।”\f + \fr 2:8 \fr*\ft \+xt গীত 8:4-6\+xt*\ft*\f* \m ঈশ্বর সবকিছুই তার অধীনে রাখাতে এমন আর কিছুই রাখেননি, যা তার অধীন নয়। অথচ, বর্তমানে আমরা সবকিছু তার অধীনে দেখতে পাচ্ছি না। \v 9 আমরা সেই যীশুকে দেখতে পাচ্ছি, যাঁকে স্বর্গদূতদের সামান্য নিচে স্থান দেওয়া হয়েছিল, তিনি মৃত্যুযন্ত্রণা ভোগের কারণে মহিমা ও সমাদরের মুকুটে ভূষিত হয়েছেন, যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহে তিনি সব মানুষের জন্য মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করেন। \p \v 10 যাঁর জন্য ও যাঁর মাধ্যমে সবকিছু অস্তিত্বলাভ করেছে, সেই ঈশ্বর তাঁর বহু সন্তানকে মহিমায় অংশীদার করার পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণ করার জন্য যিনি তাদের পরিত্রাণের প্রবর্তক তাঁকে কষ্টভোগের মাধ্যমে সিদ্ধি প্রদান করেছেন। ঈশ্বরের পক্ষে তাই যথার্থ কাজ হয়েছিল। \v 11 যিনি মানুষকে পবিত্র করেন ও যারা পবিত্র হয়, তারা উভয়েই এক পরিবারভুক্ত। তাই তাদের ভাই (বা বোন) বলতে যীশু লজ্জিত নন। \v 12 তিনি বলেন, \q1 “আমার ভাইবোনেদের কাছে আমি তোমার নাম ঘোষণা করব; \q2 সভার মাঝে আমি তোমার জয়গান গাইব।”\f + \fr 2:12 \fr*\ft \+xt গীত 22:22\+xt*\ft*\f* \m \v 13 আবার, \q1 “আমি তাঁরই উপর আমার আস্থা স্থাপন করব।”\f + \fr 2:13 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 8:17\+xt*\ft*\f* \m তিনি আরও বলেন, \q1 “দেখো, এই আমি ও আমার সন্তানেরা, ঈশ্বর যাদের আমায় দিয়েছেন।”\f + \fr 2:13 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 8:18\+xt*\ft*\f* \p \v 14 যেহেতু সন্তানেরা রক্তমাংস বিশিষ্ট, তাই তিনি তাদের মানব-স্বভাবের অংশীদার হলেন, যেন তাঁর মৃত্যুর দ্বারা তিনি মৃত্যুর উপরে যার ক্ষমতা আছে অর্থাৎ দিয়াবলকে ধ্বংস করতে পারেন, \v 15 এবং মৃত্যুভয়ে যারা সমস্ত জীবন দাসত্বের শিকলে বন্দি ছিল, তিনি তাদের মুক্ত করতে পারেন। \v 16 নিশ্চিতরূপেই তিনি স্বর্গদূতদের নয়, কিন্তু অব্রাহামের বংশধরদের সাহায্য করেন। \v 17 এই কারণে, তাঁকে সর্বতোভাবে তাঁর ভাইবোনেদের মতো হতে হয়েছিল, যেন ঈশ্বরের সেবায় তিনি এক করুণাময় ও বিশ্বস্ত মহাযাজক হতে পারেন এবং প্রজাদের সব পাপের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে পারেন। \v 18 কারণ প্রলোভিত হয়ে তিনি স্বয়ং যন্ত্রণাভোগ করেছিলেন বলে, যারা প্রলুব্ধ হচ্ছে, তাদের তিনি সাহায্য করতে সক্ষম। \c 3 \s1 খ্রীষ্ট—মোশির থেকেও মহান \p \v 1 অতএব, পবিত্র ভাইবোনেরা, তোমরা যারা স্বর্গীয় আহ্বানের অংশীদার, আমরা যাঁকে স্বীকার করি প্রেরিত ও মহাযাজকরূপে, সেই যীশুর প্রতি তোমাদের সব চিন্তাভাবনা নিবদ্ধ করো। \v 2 ঈশ্বরের সমস্ত গৃহে মোশি যেমন বিশ্বস্ত ছিলেন, যীশুও তেমনই তাঁর নিয়োগকর্তার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। \v 3 বাড়ির চেয়ে বাড়ির নির্মাতা যেমন বেশি সম্মানের অধিকারী, যীশুও তেমনই মোশির চেয়ে বেশি সম্মানের যোগ্য বলে নিশ্চিত হয়েছেন। \v 4 কারণ প্রত্যেক গৃহ কারও দ্বারা নির্মিত হয়, কিন্তু ঈশ্বর সবকিছুর নির্মাতা। \v 5 “ঈশ্বরের সমস্ত গৃহে মোশি দাসের মতো বিশ্বস্ত ছিলেন,”\f + \fr 3:5 \fr*\ft \+xt গণনা পুস্তক 12:7\+xt*\ft*\f* ভবিষ্যতে যা বলা হবে, সে বিষয়ে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। \v 6 কিন্তু খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের গৃহের উপরে, তাঁর পুত্রের মতো বিশ্বস্ত। যদি আমরা সাহস ও প্রত্যাশা শেষ পর্যন্ত ধারণ করে থাকি, যার জন্য আমরা গর্ব করি, তাহলে তাঁর গৃহ আমরাই। \s1 অবিশ্বাসের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী \p \v 7 অতএব, \q1 “আজ যদি তোমরা তাঁর কণ্ঠস্বর শোনো, \q2 \v 8 তাহলে তোমাদের হৃদয় কঠিন কোরো না; \q1 যেমন মরুপ্রান্তরে পরীক্ষাকালে, \q2 তোমরা বিদ্রোহ করেছিলে; \q1 \v 9 যেখানে তোমাদের পূর্বপুরুষেরা \q2 আমাকে পরীক্ষা করেছিল; আর যাচাই করেছিল, \q1 যদিও চল্লিশ বছর ধরে আমি যা করেছিলাম, \q2 তারা সব দেখেছিল। \q1 \v 10 তাই, ওই প্রজন্মের প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হয়েছিলাম এবং আমি বলেছিলাম, \q2 ‘তাদের হৃদয় সবসময় বিপথগামী হয় \q2 আর তারা আমার পথগুলি জানে না।’ \q1 \v 11 তাই আমার ক্রোধে আমি এক শপথ নিয়েছিলাম, \q2 ‘আমার বিশ্রামে তারা আর কোনোদিন প্রবেশ করবে না।’ ”\f + \fr 3:11 \fr*\ft \+xt গীত 95:7-11\+xt*\ft*\f* \p \v 12 ভাইবোনেরা, দেখো, তোমাদের কারও হৃদয়ে যেন পাপ ও অবিশ্বাস না থাকে, যা জীবন্ত ঈশ্বরের কাছ থেকে তোমাদের দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। \v 13 কিন্তু প্রতিদিন পরস্পরকে উৎসাহিত করো, যতক্ষণ আজ বলে দিনটি অভিহিত হয়, যেন পাপের ছলনায় তোমাদের কারও হৃদয় কঠিন হয়ে না পড়ে। \v 14 প্রথমে যেমন ছিল, যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস সুদৃঢ় রাখতে পারি, তাহলে আমরা খ্রীষ্টের সহভাগী হয়েছি। \v 15 যেমন যথার্থই বলা হয়েছে, \q1 “আজ যদি তোমরা তাঁর কণ্ঠস্বর শোনো, \q2 তাহলে তোমাদের হৃদয়কে কঠিন কোরো না, \q2 যেমন বিদ্রোহ-কালে তোমরা করেছিলে।”\f + \fr 3:15 \fr*\ft \+xt গীত 95:7,8\+xt*\ft*\f* \p \v 16 যারা শুনে বিদ্রোহ করেছিল, তারা কারা? মোশি যাদের মিশর থেকে বের করে এনেছিলেন, তারাই কি নয়? \v 17 আর চল্লিশ বছর ধরে তিনি কাদের প্রতি ক্রুদ্ধ ছিলেন? যারা পাপ করেছিল, মরুপ্রান্তরে যাদের শবদেহ পতিত হয়েছিল, তাদেরই উপর নয় কি? \v 18 আর কাদের বিরুদ্ধে ঈশ্বর শপথ করেছিলেন, যে তারা কখনও তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করবে না, যারা অবাধ্য\f + \fr 3:18 \fr*\ft বা যারা বিশ্বাস করেনি।\ft*\f* হয়েছিল, তাদেরই বিরুদ্ধে নয় কি? \v 19 তাই আমরা দেখতে পাই যে, অবিশ্বাসের জন্যই তারা প্রবেশ করতে পারেনি। \c 4 \s1 খ্রীষ্ট—যিহোশূয়ের থেকেও মহান \p \v 1 অতএব, তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করার প্রতিশ্রুতি বলবৎ থাকলেও, তোমাদের কেউ যেন তা থেকে বঞ্চিত না হয়। এ বিষয়ে এসো, আমরা সতর্ক হই। \v 2 কারণ তাদের মতো আমাদেরও কাছে সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল; কিন্তু তারা যে বাণী শুনেছিল, তাদের কাছে তা ছিল মূল্যহীন, কারণ যারা বিশ্বাসের সঙ্গে শুনেছিল, তারা তাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেনি। \v 3 এখন আমরা যারা বিশ্বাস করেছি, তারা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করছি, যে বিশ্রামের কথা ঈশ্বর উল্লেখ করেছেন, যেমন তিনি বলেছেন, \q1 “তাই আমার ক্রোধে আমি এক শপথ নিয়েছিলাম, \q2 ‘আমার বিশ্রামে তারা আর কোনোদিন প্রবেশ করবে না।’ ”\f + \fr 4:3 \fr*\ft \+xt গীত 95:11\+xt*\ft*\f* \m যদিও তাঁর কাজ জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে সমাপ্ত হয়েছে। \v 4 কারণ সপ্তম দিন সম্পর্কে তিনি কোনও এক স্থানে এই কথা বলেছেন, “সপ্তম দিনে ঈশ্বর তাঁর সমস্ত কাজ থেকে বিশ্রাম নিলেন।”\f + \fr 4:4 \fr*\ft \+xt আদি পুস্তক 2:2\+xt*\ft*\f* \v 5 উপরোক্ত অংশটিতে তিনি আবার বলেন, “তারা আমার বিশ্রামে আর কোনোদিন প্রবেশ করবে না।” \p \v 6 একথা এখনও ঠিক যে, কিছু লোক সেই বিশ্রামে প্রবেশ করবে এবং যাদের কাছে পূর্বে সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল, তাদের অবাধ্যতার জন্য তারা প্রবেশ করতে পারেনি। \v 7 তাই, “আজ” নামে অভিহিত করে ঈশ্বর আর একটি দিন নির্ধারণ করলেন, যেমন ইতিপূর্বে বলা হয়েছে, সেইমতো বহুকাল পরে তিনি দাউদের মাধ্যমে বলেছেন: \q1 “আজ যদি তোমরা তাঁর কণ্ঠস্বর শোনো, \q2 তাহলে তোমাদের হৃদয়কে কঠিন কোরো না।”\f + \fr 4:7 \fr*\ft \+xt গীত 95:7,8\+xt*\ft*\f* \m \v 8 কারণ যিহোশূয় যদি তাদের বিশ্রাম দিতেন, তাহলে ঈশ্বর পরে তাদের আর একটি দিনের কথা বলতেন না। \v 9 তাই ঈশ্বরের প্রজাবৃন্দের জন্য এক সাব্বাথের বিশ্রাম ভোগ করা বাকি আছে। \v 10 কারণ ঈশ্বর যেমন তাঁর কাজ থেকে বিশ্রাম নিয়েছিলেন, ঈশ্বরের বিশ্রামে যে প্রবেশ করে, সেও তেমনই তার নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম নেয়। \v 11 সুতরাং এসো, সেই বিশ্রামে প্রবেশ করার জন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করি, যেন তাদের অবাধ্যতার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে কারও পতন না হয়। \p \v 12 কারণ ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত ও সক্রিয়, উভয় দিকে ধারবিশিষ্ট যে কোনো তরোয়াল থেকে তীক্ষ্ণ; প্রাণ ও আত্মা এবং শরীরের গ্রন্থি ও মজ্জা পর্যন্ত তা ভেদ করে যায়; তা হৃদয়ের চিন্তা ও আচরণের বিচার করে। \v 13 সমস্ত সৃষ্টিতে সবকিছুই যাঁর দৃষ্টিতে অনাবৃত ও উন্মুক্ত, তাঁর কাছে আমাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। \s1 যীশু মহান মহাযাজক \p \v 14 অতএব, আমরা এমন এক মহান মহাযাজককে পেয়েছি, যিনি আকাশমণ্ডল অতিক্রম করে উন্নীত হয়েছেন,\f + \fr 4:14 \fr*\ft বা স্বর্গে গিয়েছেন।\ft*\f* তিনি ঈশ্বরের পুত্র যীশু; তাই এসো, আমরা যে বিশ্বাস স্বীকার করি, তা দৃঢ়রূপে আঁকড়ে ধরে থাকি। \v 15 কারণ আমাদের মহাযাজক এমন নন, যিনি আমাদের দুর্বলতায় সহানুভূতি দেখাতে অক্ষম; বরং আমরা এমন একজনকে পেয়েছি, যিনি আমাদেরই মতো সব বিষয়ে প্রলোভিত হয়েছিলেন, অথচ নিষ্পাপ থেকেছেন। \v 16 তাই এসো, আস্থার সঙ্গে আমরা তাঁর অনুগ্রহ-সিংহাসনের সামনে উপস্থিত হই, যেন আমরা করুণা লাভ করতে পারি ও আমাদের প্রয়োজনের সময়ে অনুগ্রহ পাই। \c 5 \s1 খ্রীষ্ট—হারোণ থেকেও মহান \p \v 1 প্রত্যেক মহাযাজক মানুষের মধ্য থেকে মনোনীত হন এবং ঈশ্বর সম্পর্কিত বিষয়ে প্রতিনিধিত্ব করার ও পাপার্থক বলি উৎসর্গ করার জন্য নিযুক্ত হন। \v 2 যারা অজ্ঞ, যারা পথভ্রান্ত, তাদের সঙ্গে তিনি কোমল আচরণ করতে সমর্থ, যেহেতু তিনি স্বয়ং দুর্বলতার অধীন। \v 3 এই জন্যই তাঁর নিজের ও সেই সঙ্গে প্রজাদের সব পাপের জন্য তাঁকে বিভিন্ন বলি উৎসর্গ করতে হয়। \v 4 কেউ এই সম্মান স্বয়ং নিজের উপর নিতে পারে না। তাঁকে অবশ্যই ঈশ্বরের দ্বারা আহূত হতে হবে, যেমন হারোণকে হতে হয়েছিল। \p \v 5 তাই খ্রীষ্টও মহাযাজক হওয়ার মহিমা স্বয়ং গ্রহণ করেননি। কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে বলেছিলেন, \q1 “তুমি আমার পুত্র, \q2 আজ আমি তোমার পিতা হয়েছি।”\f + \fr 5:5 \fr*\ft বা তোমার পিতা হয়েছি। (\+xt গীত 2:7\+xt*)\ft*\f* \m \v 6 অন্যত্র তিনি বলেন, \q1 “মল্কীষেদকের\f + \fr 5:6 \fr*\ft অব্রাহামের সময়ে এই নামে একজন রাজা ও যাজক বাস করতেন। তাঁর বংশবৃত্তান্ত ও ইতিহাসের পূর্বাপর কিছুই পাওয়া যায় না। (\+xt আদি পুস্তক 14:17-24\+xt*)\ft*\f* পরম্পরা অনুযায়ী, \q2 তুমিই চিরকালীন যাজক।”\f + \fr 5:6 \fr*\ft \+xt গীত 110:4\+xt*\ft*\f* \p \v 7 যীশু তাঁর পার্থিব জীবনকালে তীব্র আর্তনাদ ও অশ্রুপাতের সঙ্গে সেই একজনের কাছে প্রার্থনা ও মিনতি উৎসর্গ করেছিলেন, যিনি তাঁকে মৃত্যু থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ ছিলেন। তাঁর এই বিনম্র আত্মসমর্পণের জন্য তিনি উত্তর পেয়েছিলেন। \v 8 পুত্র হয়েও তিনি কষ্টযন্ত্রণা ভোগ করলেন ও তার মাধ্যমে বাধ্য হওয়ার শিক্ষা লাভ করলেন \v 9 এবং এভাবে সম্পূর্ণ সিদ্ধ হয়ে, তাঁর অনুগতদের জন্য তিনি চিরন্তন পরিত্রাণের উৎস হয়েছেন। \v 10 আর মল্কীষেদকের পরম্পরা অনুযায়ী ঈশ্বরের দ্বারা মহাযাজকরূপে অভিহিত হয়েছেন। \s1 পতন সম্পর্কে সতর্কবাণী \p \v 11 এ বিষয়ে আমাদের অনেক কিছুই বলার আছে, কিন্তু তোমরা শিখতে মন্থর বলে, তা ব্যাখ্যা করা কষ্টসাধ্য। \v 12 প্রকৃতপক্ষে, এতদিনে তোমাদের শিক্ষক হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্যের প্রাথমিক সত্য শিক্ষা দেওয়ার জন্য তোমাদেরই একজন শিক্ষকের প্রয়োজন। তোমাদের প্রয়োজন কঠিন খাবার নয়, কিন্তু দুধের। \v 13 যে দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে সে এখনও শিশু, ধার্মিকতা বিষয়ের শিক্ষা সম্পর্কে তার কোনো পরিচয় নেই। \v 14 কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক লোকদের প্রয়োজন কঠিন খাবার, যারা সবসময় অনুশীলনের মাধ্যমে ভালো ও খারাপের মধ্যে প্রভেদ নির্ণয় করতে নিজেদের অভ্যস্ত করে তুলেছে। \c 6 \s1 খ্রীষ্ট—মূল ধর্মীয় নীতিগুলি থেকেও মহান \p \v 1 সুতরাং এসো, আমরা খ্রীষ্ট সম্পর্কিত প্রাথমিক শিক্ষার দিকে বারবার দৃষ্টি না দিই। তার পরিবর্তে আমরা পরিপক্বতার দিকে এগিয়ে চলি। সুতরাং, যেসব কাজ মৃত্যুর পথে চালিত করে\f + \fr 6:1 \fr*\ft বা অর্থহীন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের।\ft*\f* সেসব থেকে অনুতাপ করা ও ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস করা—এইসব প্রাথমিক শিক্ষার পুনরাবৃত্তি করার আর প্রয়োজন নেই। \v 2 বাপ্তিষ্ম সম্পর্কিত নির্দেশ, কারও উপরে হাত রাখা, মৃত ব্যক্তিদের পুনরুত্থান ও শেষ বিচার—এইসব বিষয়ে তোমাদের আর নতুন করে নির্দেশের প্রয়োজন নেই। \v 3 আর ঈশ্বরের ইচ্ছা হলে আমরা পরবর্তী শিক্ষার দিকে এগিয়ে যাব। \p \v 4 কারণ একবার যারা আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে—যারা স্বর্গীয় বিষয়ের রস আস্বাদন করেছে, যারা পবিত্র আত্মার অংশীদার হয়েছে, \v 5 যারা ঈশ্বরের বাক্যের মাধুর্য উপলব্ধি করেছে ও সন্নিকট যুগের পরাক্রম আস্বাদন করেছে— \v 6 তারা যদি ঈশ্বর থেকে দূরে চলে যায় তাহলে তাদের আবার মন পরিবর্তন ঘটানো অসম্ভব। কারণ ঈশ্বরের পুত্রকে প্রত্যাখ্যান করে তারা আবার তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করছে এবং প্রকাশ্যে তাঁর মর্যাদাহানি করছে। \v 7 যে জমি বৃষ্টির জল শুষে নেয় ও উপযোগী ফসল উৎপন্ন করে, তা ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করে। \v 8 কিন্তু যে জমি কাঁটাঝোপ ও আগাছা উৎপন্ন করে, তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়। চাষি সেই জমিকে অভিশাপ দেয় ও তা পুড়িয়ে দেয়। \p \v 9 প্রিয় বন্ধুরা, আমরা এসব কথা বললেও আমরা বিশ্বাস করি না যে এইসব বিষয় তোমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমরা নিশ্চিত যে তোমরা এর থেকে উৎকৃষ্ট বিষয়ের সহযোগী যা পরিত্রাণের মাধ্যমে আসে। \v 10 কারণ ঈশ্বর অবিচার করেন না; অতীতে তোমরা তাঁর ভক্তদাসদের প্রতি যে সাহায্য করেছ এবং এখনও করে যাচ্ছ এবং তাঁর প্রতি যে ভালোবাসার নিদর্শন দেখিয়েছ, ঈশ্বর তোমাদের সেসব কাজ ভুলে যাবেন না। \v 11 আমরা চাই, তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের প্রত্যাশা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সমান আগ্রহ বজায় রাখো। \v 12 আমরা চাই না, তোমরা শিথিল হও, বরং বিশ্বাস ও ধৈর্যের দ্বারা যারা প্রতিশ্রুতির অধিকারী, তাদেরই অনুসরণ করো। \s1 ঐশ-প্রতিশ্রুতির নিশ্চয়তা \p \v 13 ঈশ্বর যখন অব্রাহামকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শপথ করার মতো আর মহত্তর কেউ না থাকায়, তিনি নিজের নামেই শপথ করেছিলেন \v 14 এবং বলেছিলেন, “আমি নিশ্চয়ই তোমাকে আশীর্বাদ করব এবং তোমাকে বহু বংশধর দান করব।”\f + \fr 6:14 \fr*\ft \+xt আদি পুস্তক 22:17\+xt*\ft*\f* \v 15 তাই অব্রাহাম ধৈর্যের সঙ্গে প্রতীক্ষার পরে প্রতিশ্রুত বিষয় লাভ করেছিলেন। \p \v 16 আর মানুষ নিজের চেয়েও মহত্তর কারও নামে শপথ করে। আবার যা বলা হয়েছে শপথ তার নিশ্চয়তা দেয় ও সব যুক্তিতর্কের অবসান ঘটায়। \v 17 কারণ ঈশ্বর তাঁর অপরিবর্তনীয় ইচ্ছাকে প্রতিশ্রুতির উত্তরাধিকারীদের কাছে স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন বলে, তিনি শপথের দ্বারা তা সুনিশ্চিত করলেন। \v 18 ঈশ্বর আমাদের প্রতিশ্রুতি ও শপথ দুই-ই দিয়েছেন। এই দুটি বিষয় অপরিবর্তনীয় কারণ ঈশ্বরের পক্ষে মিথ্যা কথা বলা অসম্ভব। তাই, আমাদের সামনের প্রত্যাশা আঁকড়ে ধরে আমরা শরণ নেওয়ার জন্য তাঁর দিকে ছুটে গিয়েছি যেন আমরা দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই। \v 19 আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে যা প্রাণের নোঙরের মতো, সুদৃঢ় ও নিশ্চিত। তা পর্দার অন্তরালে থাকা মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করে, \v 20 যেখানে আমাদের অগ্রগামী যীশু আমাদের পক্ষে প্রবেশ করেছেন। মল্কীষেদকের পরম্পরা অনুসারে তিনি চিরকালের জন্য মহাযাজক হয়েছেন। \c 7 \s1 খ্রীষ্ট—লেবীয় যাজকত্ব থেকেও মহান \p \v 1 এই মল্কীষেদক ছিলেন শালেমের রাজা ও পরাৎপর ঈশ্বরের যাজক। অব্রাহাম যখন রাজন্যবর্গকে পরাস্ত করে ফিরে আসছিলেন, সেই সময় তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে আশীর্বাদ করেছিলেন \v 2 এবং অব্রাহাম তাঁর সর্বস্বের এক-দশমাংশ তাঁকে দান করেছিলেন। প্রথমত, তাঁর নামের অর্থ, “ধার্মিকতার রাজা,” আর পরে, “শালেমের রাজা,” এর অর্থ, “শান্তিরাজ।” \v 3 পিতামাতা ছাড়া ও বংশপরিচয় ছাড়া, জীবনের সূচনা বা সমাপ্তি ছাড়াই, ঈশ্বরের পুত্রের মতো তিনি চিরকালের জন্য যাজক হয়েছেন। \p \v 4 শুধু ভেবে দেখো, তিনি কত মহান ছিলেন: এমনকি পিতৃপুরুষ অব্রাহাম তাঁকে লুট করা দ্রব্যসামগ্রীর এক-দশমাংশ দান করেছিলেন। \v 5 এখন বিধান অনুসারে, লেবির বংশধরেরা, যারা যাজক হয়, তারা প্রজাসাধারণের, অর্থাৎ তাদের ভাইদের কাছ থেকে এক-দশমাংশ সংগ্রহ করার বিধি লাভ করেছে, যদিও তারা ছিল অব্রাহামেরই বংশধর। \v 6 যাই হোক, এই ব্যক্তি লেবির বংশধররূপে নির্দিষ্ট না হলেও, তিনি অব্রাহামের কাছ থেকে এক-দশমাংশ সংগ্রহ করেছিলেন এবং বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত অব্রাহামকে আশীর্বাদ করেছিলেন। \v 7 নিঃসন্দেহে, সাধারণ ব্যক্তি মহৎ ব্যক্তির কাছ থেকে আশীর্বাদ লাভ করে। \v 8 এক অর্থে, মরণশীল মানুষের দ্বারা দশমাংশ সংগৃহীত হয়; কিন্তু অন্য অর্থে, যিনি জীবিত আছেন বলে ঘোষিত হয়েছিলেন তাঁর দ্বারাই হয়। \v 9 কেউ এমন কথাও বলতে পারে যে, যিনি দশমাংশ সংগ্রহ করেন সেই লেবি অব্রাহামের মাধ্যমেই দশমাংশ দিয়েছিলেন, \v 10 কারণ মল্কীষেদক যখন অব্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তখন লেবি তাঁর পিতৃপুরুষের কটিতে\f + \fr 7:10 \fr*\ft এর অর্থ বীর্য।\ft*\f* বিদ্যমান ছিলেন। \s1 যীশু মল্কীষেদকের সদৃশ \p \v 11 লেবীয় যাজকত্বের মাধ্যমে যদি পূর্ণতা অর্জন করা যেত—কারণ এরই ভিত্তিতে লোকদের কাছে বিধিবিধান দেওয়া হয়েছিল—তাহলে হারোণের রীতি অনুযায়ী নয়, কিন্তু মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী কেন আরও একজন যাজকের প্রয়োজন হল? \v 12 কারণ যাজকত্বের পরিবর্তন হলে বিধানেরও পরিবর্তন হওয়া আবশ্যক। \v 13 যাঁর সম্পর্কে এসব বিষয় উক্ত হয়েছে, তিনি ভিন্ন গোষ্ঠীভুক্ত এবং সেই গোষ্ঠীর কেউ কখনও যজ্ঞবেদির পরিচর্যা করেনি। \v 14 একথা স্পষ্ট যে, আমাদের প্রভু যিহূদা বংশের। এবং এই বংশের যে কেউ যাজক হবে সে সম্পর্কে মোশি কিছুই বলেননি। \v 15 মল্কীষেদকের মতো অন্য একজন যাজকের আবির্ভাব হলে আমাদের কথা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, \v 16 যিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের মতো বিধানের উপরে ভিত্তি করে নয়, কিন্তু এক অবিনশ্বর জীবনের শক্তিতে যাজক হয়েছিলেন। \v 17 কারণ ঘোষণা করা হয়েছে: \q1 “মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী \q2 তুমিই চিরকালীন যাজক।”\f + \fr 7:17 \fr*\ft \+xt গীত 110:4\+xt*\ft*\f* \p \v 18 পূর্বেকার বিধান নিষ্ফল ও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ায়, তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে \v 19 (কারণ বিধানের দ্বারা কিছুই পূর্ণতা লাভ করেনি), বরং এক মহত্তর প্রত্যাশা উপস্থিত হয়েছে, যার দ্বারা আমরা ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আসতে পারি। \p \v 20 আবার শপথ ছাড়া কিন্তু এরকম হয়নি! অন্যেরা কোনো শপথ ছাড়াই যাজক হয়েছেন, \v 21 তিনি কিন্তু শপথ সহ যাজক হয়েছিলেন, যখন ঈশ্বর তাঁকে বলেছিলেন, \q1 “প্রভু এই শপথ করেছেন, \q2 তাঁর সংকল্পের পরিবর্তন হবে না; \q2 ‘তুমিই চিরকালীন যাজক।’ ”\f + \fr 7:21 \fr*\ft \+xt গীত 110:4\+xt*\ft*\f* \m \v 22 এই শপথের জন্য যীশু এক উৎকৃষ্টতর নিয়মের প্রতিভূ হয়েছেন। \p \v 23 পুরোনো প্রথায় এরকম অনেক যাজকই ছিলেন, যারা মৃত্যুর জন্য তাদের পদে চিরকাল থেকে যেতে পারেননি, \v 24 কিন্তু যীশু চিরজীবী বলে তাঁর যাজকত্বও চিরস্থায়ী। \v 25 তাই তাঁর মাধ্যমে যারা ঈশ্বরের কাছে আসে, তাদের তিনি সম্পূর্ণভাবে\f + \fr 7:25 \fr*\ft বা চিরকালের জন্য।\ft*\f* পরিত্রাণ করতে সমর্থ, কারণ তাদের পক্ষে মিনতি করার জন্য তিনি সবসময়ই জীবিত আছেন। \p \v 26 এইরকম একজন মহাযাজক আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করেন, যিনি পবিত্র, অনিন্দনীয়, বিশুদ্ধ, পাপীদের থেকে পৃথকীকৃত এবং সমস্ত স্বর্গলোকের ঊর্ধ্বে উন্নীত। \v 27 অন্যান্য মহাযাজকের মতো, প্রথমত নিজের জন্য ও পরে সব মানুষের পাপের জন্য, দিনের পর দিন তাঁর বিভিন্ন বলি উৎসর্গ করার প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের সব পাপের জন্য তিনি নিজেকে একবারই বলিরূপে উৎসর্গ করেছেন। \v 28 কারণ বিধান যাদের মহাযাজকরূপে নিযুক্ত করে, তারা দুর্বল। কিন্তু বিধান প্রতিষ্ঠা করার পরবর্তীকালে শপথের দ্বারা যিনি নিযুক্ত হয়েছেন তিনি “পুত্র,” সর্বকালের সিদ্ধপুরুষ। \c 8 \s1 খ্রীষ্ট—পুরোনো নিয়মের থেকেও মহান \p \v 1 আমরা যা বলছি, তার মর্ম হল এই: আমাদের এমন একজন মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে মহিমা-সিংহাসনের ডানদিকে উপবিষ্ট; \v 2 তিনি সেই পবিত্রধামে, যা মানুষের দ্বারা নির্মিত নয়, কিন্তু প্রভুর দ্বারা স্থাপিত, সেই প্রকৃত সমাগম তাঁবুতে সেবাকাজ করেন। \p \v 3 প্রত্যেক মহাযাজক বিভিন্ন নৈবেদ্য ও বলি উৎসর্গের জন্য নিযুক্ত হয়েছেন, সেই কারণে এই মহাযাজকেরও উৎসর্গ করার জন্য অবশ্যই কিছু থাকা প্রয়োজন ছিল। \v 4 তিনি যদি পৃথিবীতে থাকতেন, তাহলে তিনি যাজক হতে পারতেন না, কারণ এখানে এমন অনেক লোক আছে, যারা বিধানের নির্দেশমতো নৈবেদ্য উৎসর্গ করে। \v 5 তারা এমন এক পবিত্রস্থানে পরিচর্যা করে, যা স্বর্গীয় পবিত্রস্থানের মতো ও তার প্রতিচ্ছায়াস্বরূপ। সেই কারণে সমাগম তাঁবু নির্মাণ করতে উদ্যত হলে মোশিকে সতর্ক করা হয়েছিল, “দেখো, পর্বতের উপরে তোমাকে যে নকশা দেখানো হয়েছিল, সেই অনুযায়ী সবকিছু নির্মাণ কোরো।”\f + \fr 8:5 \fr*\ft \+xt যাত্রা পুস্তক 25:40\+xt*\ft*\f* \v 6 কিন্তু যীশু যে পরিচর্যা করেন, তা তাদের চেয়েও উৎকৃষ্ট স্তরের, কারণ তিনি যে সন্ধিচুক্তির মধ্যস্থতাকারী হয়েছেন, পুরোনোর চেয়ে তা শ্রেয় এবং উৎকৃষ্টতর প্রতিশ্রুতির উপরে প্রতিষ্ঠিত। \p \v 7 কারণ প্রথম সন্ধিচুক্তির মধ্যে যদি কোনো ত্রুটি না থাকত, তাহলে অন্যটির কোনো প্রয়োজনই হত না। \v 8 কিন্তু ঈশ্বর লোকদের মধ্যে ত্রুটি দেখে বলেছিলেন, \q1 “প্রভু ঘোষণা করেন, দিন সন্নিকট, \q2 যখন ইস্রায়েল বংশ ও যিহূদা বংশের সঙ্গে \q1 আমি নতুন এক সন্ধিচুক্তি স্থাপন করব। \q1 \v 9 তাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে \q2 স্থাপন করা নিয়মের মতো হবে না, \q1 যখন আমি তাদের হাত ধরে \q2 মিশর থেকে বের করে এনেছিলাম, \q1 কারণ তারা আমার সন্ধিচুক্তির প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না, \q1 আর আমি তাদের প্রতি বিমুখ হয়েছিলাম, \q4 প্রভু একথা বলেন। \q1 \v 10 সেই সময়ের পরে, \q2 আমি ইস্রায়েল বংশের সঙ্গে এই নিয়ম স্থাপন করব, প্রভু ঘোষণা করেন। \q1 আমি তাদের মনে আমার বিধান স্থাপন করব, \q2 তাদের হৃদয়ে সেসব লিখে দেব। \q1 আর আমি হব তাদের ঈশ্বর এবং \q2 তারা হবে আমার প্রজা। \q1 \v 11 কোনো মানুষ তার প্রতিবেশীকে শেখাবে না \q2 বা একে অপরকে বলবে না, ‘তুমি সদাপ্রভুকে জেনে নাও,’ \q1 কারণ নগণ্যতম জন থেকে মহত্তম ব্যক্তি পর্যন্ত, \q2 তারা সবাই আমার পরিচয় পাবে। \q1 \v 12 কারণ আমি তাদের পাপ ক্ষমা করব \q2 এবং তাদের অনাচার আর কোনোদিন স্মরণ করব না।”\f + \fr 8:12 \fr*\ft \+xt যিরমিয় 31:31-34\+xt*\ft*\f* \p \v 13 এই সন্ধিচুক্তিকে নতুন আখ্যা দিয়ে প্রথমটিকে তিনি পুরোনো করেছেন; আর যা পুরোনো, যা জীর্ণ, তা অচিরেই লুপ্ত হবে। \c 9 \s1 খ্রীষ্ট—সমাগম তাঁবু থেকেও মহান \p \v 1 প্রথম সন্ধিচুক্তিতে উপাসনা-সংক্রান্ত রীতিনীতি ছিল এবং ছিল এক পার্থিব পবিত্রধাম। \v 2 কারণ, একটি সমাগম তাঁবু স্থাপিত হয়েছিল, যার প্রথম কক্ষে ছিল সেই দীপাধার,\f + \fr 9:2 \fr*\ft দীপবৃক্ষ বা বাতিদান। ইহুদিদের উপাসনা স্থান (পবিত্রস্থান) আলোকিত করার জন্য সাতটি প্রদীপ সমন্বিত এই দীপবৃক্ষ রাখা হত।\ft*\f* উৎসর্গীকৃত দর্শন রুটিসহ একটি টেবিল; একে বলা হত, পবিত্রস্থান। \v 3 দ্বিতীয় পর্দার পিছনে মহাপবিত্র স্থান বলে আর একটি কক্ষ ছিল। \v 4 সেখানে ছিল সোনার ধূপবেদি ও সোনায় মোড়া নিয়ম-সিন্দুক। এই সিন্দুকে ছিল মান্নায় ভরা সোনার ঘট, হারোণের মুকুলিত লাঠি এবং নিয়মসমন্বিত পাথরের ফলকগুলি। \v 5 সিন্দুকের উপরে ছিল মহিমার সেই দুই করূব, যারা সিন্দুকের আচ্ছাদনের উপরে ছায়া বিস্তার করত। কিন্তু এখন আমরা এ সমস্ত বিষয় বিশদভাবে আলোচনা করতে পারি না। \p \v 6 এইভাবে পবিত্র তাঁবুতে সবকিছুর ব্যবস্থা করার পর, যাজকেরা তাদের পরিচর্যা সম্পন্ন করার জন্য নিয়মিতরূপে বাইরের কক্ষে প্রবেশ করতেন। \v 7 কিন্তু কেবলমাত্র মহাযাজকই বছরে শুধুমাত্র একবার ভিতরের কক্ষে প্রবেশ করতেন এবং কখনও রক্ত ছাড়া প্রবেশ করতেন না। সেই রক্ত তিনি নিজের ও লোকেদের অজ্ঞতায় করা পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য উৎসর্গ করতেন। \v 8 এর দ্বারা পবিত্র আত্মা দেখিয়েছেন যে, প্রথম সমাগম তাঁবুটি যতদিন বজায় ছিল, ততদিন মহাপবিত্র স্থানের প্রবেশপথ উন্মুক্ত হয়নি। \v 9 বর্তমানকালের জন্য এ এক দৃষ্টান্তস্বরূপ; এর তাৎপর্য হল, উৎসর্গীকৃত বলি-উপহার ও নৈবেদ্য কখনও উপাসনাকারীর বিবেক শুচিশুদ্ধ করতে সমর্থ হয়নি। \v 10 সেগুলি শুধুমাত্র খাবার, পানীয় ও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক শুচিকরণ সম্পর্কিত বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ-বিধিস্বরূপ, যা নতুন বিধি প্রবর্তণের সময় না আসা পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। \s1 খ্রীষ্টের রক্ত \p \v 11 এখন, খ্রীষ্ট যখন আগত\f + \fr 9:11 \fr*\ft বা আগামী\ft*\f* উৎকৃষ্ট বিষয়গুলির জন্য মহাযাজকরূপে এলেন, তিনি আরও বেশি মহৎ ও নিখুঁত সমাগম তাঁবুর মধ্য দিয়ে প্রবেশ করলেন, যা মানবসৃষ্ট নয়; এমনকি, যা এই সৃষ্টিরই অঙ্গ নয়। \v 12 তিনি ছাগল ও বাছুরের রক্ত নিয়ে প্রবেশ করেননি; সেই মহাপবিত্র স্থানে তিনি নিজের রক্ত নিয়ে চিরকালের মতো একবারই প্রবেশ করেছেন এবং আমাদের জন্য অনন্তকালীন মুক্তি অর্জন করেছেন। \v 13 যারা সংস্কারগতভাবে অশুচি, বাহ্যিকভাবে শুচিশুদ্ধ করার জন্য তাদের উপরে ছাগল ও ষাঁড়ের রক্ত এবং দগ্ধ বকনা-বাছুরের ভস্ম ছিটিয়ে দেওয়া হত। \v 14 তাহলে আমরা যেন জীবন্ত ঈশ্বরের সেবা করতে পারি, এই উদ্দেশ্যে যিনি চিরন্তন আত্মার মাধ্যমে নিষ্কলঙ্ক বলিরূপে নিজেকেই ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করেছেন, সেই খ্রীষ্টের রক্ত আমাদের বিবেককে মৃত্যুমুখী ক্রিয়াকলাপ থেকে আরও কত না নিশ্চিতরূপে শুচিশুদ্ধ করবে! \s1 খ্রীষ্ট এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থতাকারী \p \v 15 এই কারণে খ্রীষ্ট এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থতাকারী, যেন আহূতজনেরা চিরন্তন উত্তরাধিকার লাভ করতে পারে। এখন তা সম্ভব, কারণ প্রথম নিয়মের সময়ে তারা যেসব পাপ করেছিল, তা থেকে তাদের উদ্ধার করতে তিনি মুক্তিপণরূপে মৃত্যুবরণ করেছেন। \p \v 16 কোনও ইচ্ছাপত্র\f + \fr 9:16 \fr*\ft কারোর মৃত্যুর পর, তার সম্পত্তির বিলি-ব্যবস্থা সংক্রান্ত দলিল (ইংরেজিতে উইল), যা বোঝানোর জন্য একই গ্রিক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে; 17 পদেও।\ft*\f* কার্যকর হওয়ার ক্ষেত্রে, যিনি ইচ্ছাপত্র সম্পাদন করেছেন, তাঁর মৃত্যু প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক। \v 17 কারণ যখন কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়, কেবলমাত্র তখনই ইচ্ছাপত্র বলবৎ হয়। জীবিত ব্যক্তির ইচ্ছাপত্র কখনও কার্যকর হয় না। \v 18 এই কারণেই রক্ত ছাড়া প্রথম নিয়ম কার্যকর হয়নি। \v 19 মোশি যখন সব লোকের কাছে বিধানপুস্তকের প্রত্যেকটি আজ্ঞা ঘোষণা করেন, তিনি বাছুরের ও ছাগদের রক্তের সঙ্গে নিলেন জল, রক্তবর্ণ মেষলোম ও এসোব\f + \fr 9:19 \fr*\fq এসোব\fq*\ft —পুদিনার মতো গন্ধযুক্ত ঝোপালো ছোটো গাছ।\ft*\f* গাছের শাখা এবং তিনি তা ছিটিয়ে দিলেন সেই পুঁথি ও প্রজাদের উপর। \v 20 তিনি বললেন, “এ হল সেই নতুন নিয়মের রক্ত, যা পালন করার জন্য ঈশ্বর তোমাদের আদেশ দিয়েছেন।”\f + \fr 9:20 \fr*\ft \+xt যাত্রা পুস্তক 24:8\+xt*\ft*\f* \v 21 একইভাবে তিনি সেই সমাগম তাঁবু ও তার বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত দ্রব্যসামগ্রীর উপরে রক্ত ছিটিয়ে দিলেন। \v 22 বিধান অনুসারে, প্রকৃতপক্ষে সব কিছুকেই রক্ত দ্বারা পরিশোধিত হতে হয় এবং রক্তসেচন ছাড়া পাপের ক্ষমা হয় না। \p \v 23 অতএব, যেগুলি স্বর্গীয় বিষয়ের প্রতিরূপ, সেগুলি এসব বলির দ্বারা শুচিকৃত হওয়ার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু স্বর্গীয় বিষয়গুলির জন্য মহত্তর বলিদানের আবশ্যকতা ছিল। \v 24 কারণ খ্রীষ্ট প্রকৃত উপাসনাস্থলের প্রতিরূপ মানব-নির্মিত পবিত্রস্থানে প্রবেশ করেননি; তিনি সাক্ষাৎ স্বর্গে প্রবেশ করেছেন, যেন আমাদের পক্ষে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে উপস্থিত হন। \v 25 আবার মহাযাজক যেভাবে নিজের নয়, কিন্তু অন্যের রক্ত নিয়ে প্রতি বছর মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করতেন, খ্রীষ্ট কিন্তু সেভাবে নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য বারবার স্বর্গে প্রবেশ করেননি। \v 26 তাহলে জগৎ সৃষ্টির কাল থেকে খ্রীষ্টকে বহুবারই কষ্টভোগ ও মৃত্যুবরণ করতে হত। কিন্তু এখন, যুগের শেষ সময়ে, আত্মবলিদানের দ্বারা তিনি চিরকালের মতো পাপের বিলোপ সাধনের উদ্দেশ্যে একবারই প্রকাশিত হয়েছেন। \v 27 মানুষের জন্য যেমন একবার মৃত্যু ও তারপর বিচার নির্ধারিত হয়ে আছে, \v 28 তেমনই বহু মানুষের সব পাপ হরণ করার জন্য খ্রীষ্ট একবারই উৎসর্গীকৃত হয়েছেন এবং আর পাপবহনের জন্য নয়, কিন্তু যারা তাঁর প্রতীক্ষায় আছে, তাদের পরিত্রাণ সাধনের উদ্দেশ্যে তিনি দ্বিতীয়বার প্রকাশিত হবেন। \c 10 \s1 খ্রীষ্ট—বিভিন্ন বলিদান ও নৈবেদ্য থেকেও মহান \p \v 1 বিধান হল সন্নিকট বিষয়ের ছায়ামাত্র, সেগুলির বাস্তব রূপ নয়। সেই কারণে, বিধান অনুযায়ী বছরের পর বছর একইভাবে যে বলি উৎসর্গ করা হয় তা উপাসকদের সিদ্ধি দান করতে পারে না। \v 2 যদি তা পারত, তাহলে সেগুলি উৎসর্গ করা কি বন্ধ হয়ে যেত না? কারণ উপাসকেরা চিরকালের মতো একবারেই শুচিশুদ্ধ হত, তাদের পাপের জন্য আর অপরাধবোধ করত না। \v 3 কিন্তু ওইসব বলিদান প্রতি বছর পাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, \v 4 কারণ ষাঁড় ও ছাগলের রক্ত পাপ হরণ করতেই পারে না। \p \v 5 তাই খ্রীষ্ট যখন জগতে এসেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, \q1 “তুমি বলিদানে ও নৈবেদ্যে প্রীত নও, \q2 কিন্তু আমার জন্য এক শরীর রচনা করেছ; \q1 \v 6 হোমবলি বা পাপার্থক বলি \q2 তুমি চাওনি। \q1 \v 7 তখন আমি বললাম, ‘এই আমি, শাস্ত্রে আমার বিষয়ে লেখা আছে—হে আমার ঈশ্বর, \q2 আমি তোমার ইচ্ছা পালন করতেই এসেছি।’ ”\f + \fr 10:7 \fr*\ft \+xt গীত 40:6-8\+xt*\ft*\f* \m \v 8 প্রথমে তিনি বলেছিলেন, “বিভিন্ন বলিদান ও নৈবেদ্য এবং হোম ও পাপার্থক বলিদান তুমি চাওনি, তাতে তুমি প্রসন্নও ছিলে না।” \v 9 তারপর তিনি বললেন, “দেখো, এই আমি, তোমার ইচ্ছা পালন করতেই আমি এসেছি।” দ্বিতীয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি প্রথম বিধানকে অগ্রাহ্য করলেন। \v 10 সেই ইচ্ছার কারণেই, যীশু খ্রীষ্টের দেহ চিরকালের জন্য একবারই উৎসর্গ করা হয়েছে বলে আমরা পবিত্র হয়েছি। \p \v 11 দিনের পর দিন, প্রত্যেক যাজক ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পাদন করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন; তিনি বারবার একই বলি উৎসর্গ করেন, যা কখনও পাপ হরণ করতে পারে না। \v 12 কিন্তু এই যাজক সব পাপের জন্য চিরকালের মতো একটিই বলি উৎসর্গ করলেন, তারপর তিনি ঈশ্বরের ডানদিকে গিয়ে বসলেন। \v 13 সেই সময় থেকে, তাঁর শত্রুদের তাঁর পদানত করার জন্য তিনি প্রতীক্ষা করে আছেন, \v 14 কারণ তাঁর একবার মাত্র বলিদানের জন্য যাদের পবিত্র করা হচ্ছে, তাদের তিনি চিরকালের জন্য পূর্ণতা দান করেন। \p \v 15 এ বিষয়ে পবিত্র আত্মাও আমাদের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। প্রথমে তিনি বলেন: \q1 \v 16 “সেই কালের পর আমি তাদের সঙ্গে \q2 এই নিয়ম স্থাপন করব, প্রভু একথা বলেন। \q1 আমি তাদের হৃদয়ে আমার বিধান রাখব \q2 এবং সেগুলি তাদের মনে লিখে রাখব।”\f + \fr 10:16 \fr*\ft \+xt যিরমিয় 31:33\+xt*\ft*\f* \m \v 17 এরপর তিনি বলেন, \q1 “আমি তাদের পাপ ও অনাচার, \q2 আর কোনোদিন স্মরণ করব না।”\f + \fr 10:17 \fr*\ft \+xt যিরমিয় 31:34\+xt*\ft*\f* \m \v 18 যেখানে এগুলি ক্ষমা করা হয়েছে, সেখানে পাপের জন্য বলিদানের আর প্রয়োজন হয় না। \s1 ধৈর্য ধরার জন্য আহ্বান \p \v 19 অতএব ভাইবোনেরা, যীশুর রক্তের মাধ্যমে মহাপবিত্র স্থানে প্রবেশ করার আমাদের দৃঢ় নিশ্চয়তা আছে। \v 20 পর্দা অর্থাৎ তাঁর দেহের মাধ্যমে তিনি আমাদের জন্য এক নতুন ও জীবন্ত পথ উন্মুক্ত করেছেন, \v 21 এবং যেহেতু ঈশ্বরের গৃহের উপরে নিযুক্ত আমাদের একজন মহান যাজক আছেন, \v 22 তাই এসো রক্ত সিঞ্চনের দ্বারা অপরাধী বিবেক থেকে আমাদের হৃদয়কে শুচিশুদ্ধ করে এবং নির্মল জলে আমাদের দেহ ধুয়ে বিশ্বাসের পূর্ণ নিশ্চয়তায় সরল হৃদয়ে ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হই। \v 23 এসো, আমরা অবিচলভাবে আমাদের প্রত্যাশার স্বীকারোক্তি আঁকড়ে ধরে থাকি, কারণ যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি বিশ্বস্ত। \v 24 আবার এসো, আমরা এও বিবেচনা করে দেখি, কীভাবে আমরা পরস্পরকে প্রেমে ও সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করতে পারি। \v 25 এসো, আমরা সভায় একত্রিত হওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ না করি, কেউ কেউ যেমন এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। বরং এসো পরস্পরকে উৎসাহিত করি, বিশেষত আরও বেশি তৎপর হয়ে করি, কারণ তোমরা দেখতেই পাচ্ছ প্রভুর আগমনের সেইদিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। \p \v 26 আবার সত্যের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করার পর আমরা যদি স্বেচ্ছায় পাপ করতে থাকি, তাহলে ওইসব পাপ ক্ষমা করার জন্য বলিদানের আর ব্যবস্থা থাকে না, \v 27 থাকে শুধু বিচারের জন্য ভয়াবহ প্রতীক্ষা এবং ঈশ্বরের শত্রুদের গ্রাস করার জন্য প্রচণ্ড আগুন। \v 28 কেউ মোশির বিধান লঙ্ঘন করলে, দুজন বা তিনজনের সাক্ষ্য প্রমাণে তাকে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হত। \v 29 তাহলে যে ঈশ্বরের পুত্রকে পদদলিত করেছে, নিয়মের রক্ত দ্বারা শুচিশুদ্ধ হয়েও যে তা অপবিত্র জ্ঞান করেছে এবং যে অনুগ্রহের আত্মাকে অপমান করেছে, সে আরও কত না কঠোর শাস্তির যোগ্য বলে তোমাদের মনে হয়? \v 30 কারণ যিনি বলেছেন, “প্রতিশোধ নেওয়া আমারই কাজ, আমি প্রতিফল দেব,”\f + \fr 10:30 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 32:36\+xt*; \+xt গীত 135:14\+xt*\ft*\f* তাঁকে আমরা জানি। আবার, “প্রভুই তাঁর প্রজাদের বিচার করবেন।”\f + \fr 10:30 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 32:35\+xt*\ft*\f* \v 31 জীবন্ত ঈশ্বরের হাতে পড়া ভয়ংকর বিষয়! \p \v 32 ঈশ্বরের আলো পাওয়ার পর প্রাথমিক সেই দিনগুলির কথা তোমরা স্মরণ করো, যখন তোমরা দুঃখকষ্টের মুখোমুখি হয়ে কঠোর সংগ্রামে রত ছিলে। \v 33 কখনও কখনও তোমরা প্রকাশ্যে অপমানিত হয়েছ, অত্যাচার ভোগ করছ; অন্য সময়ে যাদের প্রতি এরকম আচরণ করা হয়েছিল, তোমরা তাদের সহভাগী হয়েছ। \v 34 তোমরা কারাগারে বন্দিদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছ এবং তোমাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হলেও তা সানন্দে মেনে নিয়েছ, কারণ তোমরা জানতে যে, তোমাদের জন্য এক উৎকৃষ্টতর ও স্থায়ী সম্পত্তি রাখা আছে। \v 35 তাই তোমরা তোমাদের নির্ভরতা ত্যাগ কোরো না, তা পর্যাপ্ত পরিমাণে পুরস্কৃত হবে। \p \v 36 তোমাদের ধৈর্য ধরার প্রয়োজন আছে, যেন ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে তিনি যা প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা লাভ করতে পারো। \v 37 কারণ, \q1 আর অতি অল্পকাল পরেই, \q2 “যাঁর আগমন সন্নিকট, তিনি আসবেন, \q2 বিলম্ব করবেন না।\f + \fr 10:37 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 26:20; হবক্‌কূক 2:3\+xt*\ft*\f* \q1 \v 38 কিন্তু আমার ধার্মিক ব্যক্তি, \q1 বিশ্বাসের দ্বারাই জীবিত থাকবে। \q2 যদি সে পিছিয়ে পড়ে, \q2 আমি তার প্রতি প্রসন্ন হব না।”\f + \fr 10:38 \fr*\ft \+xt হবক্‌কূক 2:3,4\+xt*\ft*\f* \m \v 39 যারা পিছিয়ে পড়ে ও বিনষ্ট হয়, আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত নই; যারা বিশ্বাস করে ও পরিত্রাণ পায়, আমরা তাদেরই সহভাগী। \c 11 \s1 খ্রীষ্ট—পুরোনো নিয়মের বিশ্বাস-বীরদের চেয়েও মহান \p \v 1 এখন বিশ্বাস হল, যা আমরা আশা করি, সে বিষয়ের নিশ্চয়তা এবং যা আমরা দেখতে পাই না, তার অস্তিত্ব সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়া। \v 2 এই কারণেই প্রাচীনকালের লোকেরা প্রশংসিত হয়েছিলেন। \p \v 3 বিশ্বাসে আমরা বুঝতে পারি যে, সমগ্র বিশ্ব ঈশ্বরের আদেশে রচিত হয়েছিল; যার ফলে, যা কিছু এখন আমরা দেখি, তা কোনো দৃশ্য বস্তু থেকে নির্মিত হয়নি। \p \v 4 বিশ্বাসে হেবল কয়িনের চেয়ে উৎকৃষ্ট বলি ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ করেছিলেন। বিশ্বাসেই তিনি ধার্মিক বলে প্রশংসিত হয়েছিলেন, যখন ঈশ্বর তাঁর বলিদানের সপক্ষে কথা বলেছিলেন। যদিও তিনি মৃত, তবু আজও বিশ্বাসের দ্বারা তিনি কথা বলে চলেছেন। \p \v 5 বিশ্বাসেই হনোককে এই জীবন থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, “এই কারণে তিনি মৃত্যুর অভিজ্ঞতা লাভ করেননি। তাঁর সন্ধান পাওয়া গেল না, কারণ ঈশ্বর তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন।”\f + \fr 11:5 \fr*\ft \+xt আদি পুস্তক 5:24\+xt*\ft*\f* ঊর্ধ্বে নীত হওয়ার পূর্বে, ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করেছিলেন বলে তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন। \v 6 কিন্তু বিশ্বাস ছাড়া ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করা অসম্ভব। কারণ যে ব্যক্তি তাঁর সান্নিধ্যে আসে, তাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, তিনি আছেন এবং যারা আন্তরিকভাবে তাঁর অন্বেষণ করে, তিনি তাদের পুরস্কার দেন। \p \v 7 বিশ্বাসে নোহ, যেসব বিষয় তখনও প্রত্যক্ষ হয়নি, সেগুলি সম্পর্কে সতর্কবাণী লাভ করে তাঁর পরিবারকে রক্ষা করার জন্য ভক্তিপূর্ণ ভয়ে তাঁর বিশ্বাসের দ্বারা একটি জাহাজ নির্মাণ করলেন। বিশ্বাসের দ্বারা তিনি জগৎকে অপরাধী সাব্যস্ত করলেন এবং বিশ্বাসের দ্বারা যে ধার্মিকতা লাভ করা যায়, তিনি তার উত্তরাধিকার হলেন। \p \v 8 বিশ্বাসেই অব্রাহাম, যে স্থান তিনি ভাবীকালে উত্তরাধিকার হিসেবে লাভ করবেন, সেই স্থানে যাওয়ার আহ্বান পেয়ে গন্তব্যস্থান না জেনেই, বাধ্যতার সঙ্গে সেই স্থানে গেলেন। \v 9 এমনকি তিনি যখন সেই দেশে পৌঁছালেন যা ঈশ্বর তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি সেখানে বিশ্বাসে বাস করলেন—কারণ তিনি সেখানে ছিলেন বিদেশি আগন্তুকের মতো, তিনি তাঁবুতে বাস করলেন। আর ইস্‌হাক ও যাকোব তাঁর মতো তাঁবুতে বাস করলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে একই প্রতিশ্রুতির উত্তরাধিকার ছিলেন। \v 10 কারণ তিনি ভিত্তিযুক্ত সেই নগরের প্রতীক্ষায় ছিলেন, ঈশ্বরই যার স্থপতি ও নির্মাতা। \v 11 বিশ্বাসে সারা, যিনি বন্ধ্যা ছিলেন—তিনি মা হওয়ার সক্ষমতা লাভ করেছিলেন,\f + \fr 11:11 \fr*\ft পাঠান্তরে: বিশ্বাসে সারা, যাঁর বয়স অতিক্রান্ত হয়েছিল, সন্তানধারণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কারণ যিনি\ft*\f* কারণ যিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তাঁকে বিশ্বস্ত মনে করেছিলেন। \v 12 আর তাই এই এক ব্যক্তি থেকে অর্থাৎ এক মৃতপ্রায় ব্যক্তি থেকে আকাশের তারার মতো বহুসংখ্যক এবং সমুদ্রতটের বালির কণার মতো অগণিত বংশধর উৎপন্ন হল। \p \v 13 এই সমস্ত লোক মৃত্যুবরণ করলেও, তাঁদের কাছে দেওয়া ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা বিশ্বাস করেছিলেন। প্রতিশ্রুত দান তাঁরা লাভ করেননি; তাঁরা শুধু সেগুলি দেখেছিলেন এবং দূর থেকে সেগুলিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাঁরা স্বীকার করেছিলেন, এই পৃথিবীতে তাঁরা বহিরাগত ও আগন্তুক মাত্র। \v 14 যাঁরা এসব কথা বলেন, তাঁরা স্পষ্ট ব্যক্ত করেন যে, তাঁরা নিজেদের জন্য একটি দেশের অনুসন্ধান করছেন। \v 15 তাঁরা যদি তাদের ফেলে-আসা দেশের কথা ভাবতেন, তাহলে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তাঁরা পেতেন। \v 16 বরং, তাঁরা এর চেয়েও উৎকৃষ্ট, এক স্বর্গীয় দেশের আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন। তাই ঈশ্বর, তাঁদের ঈশ্বর বলে অভিহিত হতে লজ্জাবোধ করেননি, কারণ তাঁদের জন্য তিনি এক নগর প্রস্তুত করে রেখেছেন। \p \v 17 বিশ্বাসে অব্রাহাম, ঈশ্বর যখন তাঁকে পরীক্ষা করলেন, তিনি ইস্‌হাককে বলিরূপে উৎসর্গ করলেন। যিনি বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি লাভ করেছিলেন, তিনি তাঁর একমাত্র ও অনন্য পুত্রকে বলি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন, \v 18 যদিও ঈশ্বর তাঁকে বলেছিলেন, “ইস্‌হাকের মাধ্যমেই তোমার বংশ পরিচিত হবে।”\f + \fr 11:18 \fr*\ft \+xt আদি পুস্তক 21:12\+xt*\ft*\f* \v 19 অব্রাহাম যুক্তিবিবেচনা করেছিলেন যে, ঈশ্বর মৃত মানুষকেও উত্থাপিত করতে পারেন, তাই আলংকারিকরূপে বলা যেতে পারে, তিনি মৃত্যু থেকে ইস্‌হাককে ফিরে পেয়েছিলেন। \p \v 20 বিশ্বাসে ইস্‌হাক, যাকোব ও এষৌকে, তাঁদের ভাবীকাল সম্পর্কে আশীর্বাদ করেছিলেন। \p \v 21 বিশ্বাসে যাকোব, মৃত্যুর সময় যোষেফের উভয় পুত্রকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং তাঁর লাঠির ডগার উপর হেলান দিয়ে উপাসনা করেছিলেন। \p \v 22 বিশ্বাসে যোষেফ, যখন তাঁর অন্তিমকাল ঘনিয়ে এল, তিনি মিশর থেকে ইস্রায়েলীদের নির্গমনের কথা বলেছিলেন এবং তাঁর হাড়গোড় সেখানে কবর দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন। \p \v 23 বিশ্বাসে মোশির বাবা-মা, জন্মের পরে তিন মাস তাঁকে লুকিয়ে রেখেছিলেন, কারণ তাঁরা লক্ষ্য করেছিলেন, তিনি কোনও সাধারণ শিশু ছিলেন না। তাঁরা রাজার হুকুমনামায় ভীত হননি। \p \v 24 বিশ্বাসে মোশি বড়ো হয়ে উঠলে, ফরৌণের মেয়ের পুত্র বলে পরিচিত হতে অস্বীকার করলেন। \v 25 তিনি পাপের ক্ষণস্থায়ী সুখ ভোগ করার বদলে, ঈশ্বরের প্রজাদের সঙ্গে নির্যাতন ভোগ করাই শ্রেয় বলে মনে করলেন। \v 26 মিশরের ঐশ্বর্যের চেয়ে খ্রীষ্টের জন্য অপমান ভোগ করাকে তিনি আরও বেশি মূল্যবান বলে মনে করলেন, কারণ তিনি তাঁর দৃষ্টি ভাবী পুরস্কারের প্রতিই নিবদ্ধ রেখেছিলেন। \v 27 রাজার ক্রোধ ভয় না করে, তিনি বিশ্বাসে মিশর ত্যাগ করলেন। যিনি দৃষ্টির অগোচর, তিনি তাঁকে দেখেছিলেন বলে অবিচল ছিলেন। \v 28 বিশ্বাসে তিনি নিস্তারপর্ব পালন ও রক্তসিঞ্চন করলেন, যেন প্রথমজাতদের ধ্বংসকারী দূত ইস্রায়েলের প্রথমজাতদের স্পর্শ না করেন। \p \v 29 বিশ্বাসে ইস্রায়েলী লোকেরা শুষ্ক ভূমির মতো লোহিত সাগর পার হয়ে গেল, কিন্তু মিশরীয়রা তা করতে গিয়ে সাগরে তলিয়ে গেল। \p \v 30 বিশ্বাসে যিরীহোর প্রাচীর পড়ে গেল, যখন ইস্রায়েলী লোকেরা সেগুলির চারদিকে সাত দিন ধরে প্রদক্ষিণ করল। \p \v 31 বিশ্বাসে পতিতা রাহব, গুপ্তচরদের স্বাগত জানিয়েছিল বলে, যারা অবাধ্য হয়েছিল, তাদের সঙ্গে সে নিহত হয়নি। \p \v 32 আমি আর কত বলব? গিদিয়োন, বারক, শিমশোন, যিপ্তহ, দাউদ, শমূয়েল ও ভাববাদীদের সম্পর্কে বলার মতো সময় আমার নেই। \v 33 বিশ্বাসের মাধ্যমে তাঁরা বিভিন্ন রাজ্য জয় করেছিলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এবং প্রতিশ্রুত বিষয় লাভ করেছিলেন; তাঁরা সিংহের মুখ বন্ধ করেছিলেন, \v 34 জ্বলন্ত আগুনের শিখা নিভিয়ে দিয়েছিলেন এবং ধারালো তরোয়াল থেকে নিস্তার পেয়েছিলেন; তাঁদের দুর্বলতা শক্তিতে পরিণত হয়েছিল; তাঁরা যুদ্ধে পরাক্রমী হয়েছিলেন ও পরজাতীয় সৈন্যবাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করেছিলেন। \v 35 নারীরা তাঁদের মৃতজনেদের ফিরে পেয়েছিলেন, তাঁদের পুনরায় জীবন দান করা হয়েছিল। অন্যেরা যন্ত্রণাভোগ করেছিলেন এবং মুক্ত হতে অস্বীকার করেছিলেন, যেন তাঁরা এক উৎকৃষ্টতর পুনরুত্থানের অংশীদার হতে পারেন। \v 36 কেউ কেউ বিদ্রুপ ও বেতের আঘাত সহ্য করেছিলেন, অন্যেরা বন্দি ও কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। \v 37 তাঁদের পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল; করাত দিয়ে দু-খণ্ড করা হয়েছিল; তরোয়ালের আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁরা মেষের ছাল ও ছাগলের ছাল পরে ঘুরে বেড়াতেন; তাঁরা দীনদরিদ্রের মতো ও অত্যাচারিত ও দুর্ব্যবহারের শিকার হতেন। \v 38 এই জগৎ তাঁদের জন্য যোগ্য স্থান ছিল না; তাঁরা বিভিন্ন মরুভূমিতে, পাহাড়-পর্বতে, গুহায় ও মাটির গর্তে আশ্রয় নিতেন। \p \v 39 এরা সবাই বিশ্বাসের জন্য প্রশংসা লাভ করেছিলেন, তবুও এরা কেউই প্রতিশ্রুত বিষয় লাভ করেননি। \v 40 ঈশ্বর উৎকৃষ্টতর কিছু আমাদের জন্য পরিকল্পনা করেছিলেন, যেন আমাদেরই সঙ্গে মিলিতভাবে তাঁদের সিদ্ধতা দান করা হয়। \c 12 \s1 খ্রীষ্ট—হেবলের থেকেও মহান \p \v 1 সুতরাং, আমরা এরকম\f + \fr 12:1 \fr*\ft গ্রিক: “মেঘের মতো”\ft*\f* এক বিশাল সাক্ষীবাহিনী দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ায়, এসো বাধাদায়ক সমস্ত বিষয় ও যেসব পাপ সহজেই আমাদের জড়িয়ে ধরে, সেগুলি ছুঁড়ে ফেলি। আর যে দৌড় আমাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এসো ধৈর্যের সঙ্গে সেই অভিমুখে ছুটে চলি। \v 2 এসো, আমাদের বিশ্বাসের আদি-উৎস ও সিদ্ধিদাতা যীশুর উপরে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করি, যিনি তাঁর সামনে স্থিত আনন্দের জন্য ক্রুশ সহ্য করলেন, সেই লজ্জাকে উপেক্ষা করলেন ও ঈশ্বরের সিংহাসনের ডানদিকে উপবেশন করলেন। \v 3 পাপী মানুষের এত বিরোধিতা যিনি সহ্য করলেন, তাঁর কথা বিবেচনা করো, তাহলে তোমরাও ক্লান্তিতে অবসন্ন ও নিরুৎসাহ হবে না। \p \v 4 পাপের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য তোমাদের রক্তপাত করতে হয়েছে, এ ধরনের প্রতিরোধ তোমরা এখনও করোনি। \v 5 আর উৎসাহ প্রদানকারী সেই বাণী তোমরা ভুলে গিয়েছ, যা তোমাদের পুত্র বলে সম্বোধন করে: \q1 “পুত্র আমার, \q1 তুমি প্রভুর শাসন তুচ্ছ মনে কোরো না, \q1 তিনি তিরস্কার করলে নিরুৎসাহ হোয়ো না। \q1 \v 6 কারণ প্রভু যাদের প্রেম করেন, \q2 তাদের শাসনও করেন, \q1 যাকে পুত্ররূপে গ্রহণ করেন, \q2 তাকে শাস্তি প্রদানও করেন।”\f + \fr 12:6 \fr*\ft \+xt হিতোপদেশ 3:11,12\+xt*\ft*\f* \p \v 7 কষ্ট-দুর্দশাকে শাসন বলে সহ্য করো; ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে সন্তানের মতো আচরণ করেন। কারণ এমন পুত্র কেউ আছে, যাকে পিতা শাসন করেন না? \v 8 যদি তোমাদের শাসন করা না হয়, আর প্রত্যেক ব্যক্তিকেই শাসনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাহলে তোমরা অবৈধ সন্তান, প্রকৃত পুত্রকন্যা নও। \v 9 এছাড়া, পৃথিবীতে আমাদের প্রত্যেকেরই বাবা আছেন, যাঁরা আমাদের শাসন করেছেন এবং সেজন্য আমরা তাঁদের শ্রদ্ধাও করি। তাহলে যিনি আমাদের আত্মাসকলের পিতা, তাঁর কাছে আমরা কত না আত্মসমর্পণ করব ও বেঁচে থাকব? \v 10 তাঁরা যেমন ভালো মনে করেছেন, তেমনই অল্পকালের জন্য আমাদের শাসন করেছেন। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের মঙ্গলের জন্য শাসন করেন, যেন আমরা তাঁর পবিত্রতার অংশীদার হতে পারি। \v 11 কোনো শাসনই তাৎক্ষণিক আনন্দদায়ক মনে হয় না, বরং যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়। যাই হোক, পরবর্তীকালে, যারা এর মধ্য দিয়ে শিক্ষা লাভ করেছে, তা তাদের জন্য ধার্মিকতার ও শান্তির ফসল উৎপন্ন করে। \p \v 12 অতএব, তোমরা তোমাদের অশক্ত বাহু ও দুর্বল হাঁটু সবল করো। \v 13 “তোমাদের চলার পথ সরল করো,”\f + \fr 12:13 \fr*\ft \+xt হিতোপদেশ 4:26\+xt*\ft*\f* যেন খোঁড়া ব্যক্তি পঙ্গু না হয়, বরং সুস্থ হতে পারে। \s1 ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করার বিরুদ্ধে সতর্কীকরণ \p \v 14 সকলের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে ও পবিত্র হওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করো। পবিত্রতা ব্যতিরেকে কেউ প্রভুর দর্শন পাবে না। \v 15 সতর্ক থেকো, কেউ যেন ঈশ্বরের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত না হয়। দেখো, তিক্ততার কোনো মূল যেন অঙ্কুরিত হয়ে সমস্যার সৃষ্টি না করে ও অনেককে কলুষিত না করে। \v 16 সাবধান, কেউ যেন অবৈধ-সংসর্গকারী, অথবা এষৌর মতো ভক্তিহীন না হয়, যে একবারের খাবারের জন্য বড়ো ছেলের অধিকার বিক্রি করে দিয়েছিল। \v 17 তোমরা জানো, পরে এই আশীর্বাদের অধিকারী হতে চাইলেও, সে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। যদিও সে চোখের জল ফেলে সেই আশীর্বাদের অন্বেষী হয়েছিল, কিন্তু সে মনের কোনও পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। \p \v 18 তোমরা এমন কোনো পর্বতের সম্মুখীন হওনি, যা স্পর্শ করা যায়, যাতে আগুন জ্বলছে, যেখানে আছে অন্ধকার, ভীতি ও ঝড়ঝঞ্ঝা। \v 19 যারা তূরীধ্বনি শুনেছিল বা কণ্ঠস্বরের মুখোমুখি হয়েছিল, তারা প্রার্থনা করেছিল যে তাদের কাছে যেন আর কোনো কথা বলা না হয়। \v 20 কারণ এই আদেশ তারা সহ্য করতে পারেনি, “যদি একটি পশুও পর্বত স্পর্শ করে, তাহলে তাকে অবশ্যই পাথরের আঘাতে মেরে ফেলা হবে।”\f + \fr 12:20 \fr*\ft \+xt যাত্রা পুস্তক 19:12,13\+xt*\ft*\f* \v 21 সেই দৃশ্য এতই ভয়ংকর ছিল যে, মোশি বলেছিলেন, “আমি ভয়ে কাঁপছি।”\f + \fr 12:21 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 9:19\+xt*\ft*\f* \p \v 22 কিন্তু তোমরা উপস্থিত হয়েছ সিয়োন পর্বতে, সেই স্বর্গীয় জেরুশালেমে, জীবন্ত ঈশ্বরের নগরে। তোমরা উপস্থিত হয়েছ হাজার হাজার স্বর্গদূতের আনন্দমুখর সমাবেশে, \v 23 প্রথমজাতদের মণ্ডলীতে, যাদের নাম স্বর্গে লেখা আছে। তোমরা সব মানুষের বিচারক ঈশ্বর, সিদ্ধিপ্রাপ্ত ধার্মিকদের আত্মা ও \v 24 এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থতাকারী যীশু এবং তাঁর সিঞ্চিত রক্তের সম্মুখীন হয়েছ, যা হেবলের রক্তের চেয়েও উৎকৃষ্টতর কথা বলে। \p \v 25 দেখো, যিনি কথা বলেন, তাঁকে যেন তোমরা অগ্রাহ্য না করো। যিনি পৃথিবীতে তাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তাঁকে অগ্রাহ্য করে তারা যদি অব্যাহতি না পেয়ে থাকে, তাহলে যিনি স্বর্গ থেকে আমাদের সতর্ক করেন, তাঁর প্রতি যদি আমরা বিমুখ হই, তাহলে নিশ্চিত যে আমরা নিষ্কৃতি পাব! \v 26 সেই সময় তাঁর কণ্ঠস্বর পৃথিবীকে কম্পিত করেছিল, কিন্তু এখন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, “আর একবার, আমি শুধুমাত্র পৃথিবীকে নয়, কিন্তু আকাশমণ্ডলকেও প্রকম্পিত করব।”\f + \fr 12:26 \fr*\ft \+xt হগয় 2:6\+xt*\ft*\f* \v 27 “আর একবার” উক্তিটির তাৎপর্য হল, যেসব সৃষ্টবস্তু প্রকম্পিত করা যায়, সেগুলি দূর করা হবে, কিন্তু যা প্রকম্পিত করা যায় না, সেগুলি স্থায়ী হবে। \p \v 28 অতএব, আমরা যে রাজ্য গ্রহণ করতে চলেছি, তা প্রকম্পিত হবে না; তাই এসো আমরা কৃতজ্ঞ হই এবং শ্রদ্ধায় ও সম্ভ্রমে ঈশ্বরের প্রীতিজনক উপাসনা করি। \v 29 কারণ আমাদের “ঈশ্বর সবকিছু পুড়িয়ে দেওয়া আগুনের মতো।”\f + \fr 12:29 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 4:24\+xt*\ft*\f* \c 13 \s1 খ্রীষ্ট—পাপার্থক বলি, জেরুশালেম এবং অন্য যে কোনো পার্থিব ধর্মীয় প্রথা থেকে মহান \p \v 1 তোমরা ভাইবোনের মতো পরস্পরকে ভালোবেসে যাও। \v 2 অতিথির সেবা করতে ভুলে যেয়ো না, কারণ তা করে কেউ কেউ না জেনে স্বর্গদূতদেরই সেবা করেছে। \v 3 যারা কারারুদ্ধ আছে, সহবন্দি মনে করে তাদের স্মরণ করো। তোমরা নিজেরাই যেন কষ্টভোগ করছ, এরকম মনে করে যাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করা হয়েছে, তাদের স্মরণ করো। \p \v 4 বিবাহ-সম্পর্ককে সবারই সম্মান করা উচিত এবং বিবাহ-শয্যা শুচিশুদ্ধ রাখতে হবে। কারণ ব্যভিচারীদের ও অবৈধ-সংসর্গকারীদের বিচার ঈশ্বর করবেন। \v 5 তোমাদের জীবন অর্থলালসা থেকে মুক্ত রেখো। তোমাদের যা আছে, তাতেই সন্তুষ্ট থেকো। কারণ ঈশ্বর বলেছেন, \q1 “আমি কখনও তোমাকে ছেড়ে দেব না, \q2 কখনও তোমায় পরিত্যাগ করব না।”\f + \fr 13:5 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 31:6\+xt*\ft*\f* \m \v 6 তাই আমরা আস্থার সঙ্গে বলতে পারি, \q1 “প্রভুই আমার সহায়, আমি ভীত হব না, \q2 মানুষ আমার কী করতে পারে?”\f + \fr 13:6 \fr*\ft \+xt গীত 118:6,7\+xt*\ft*\f* \p \v 7 যাঁরা তোমাদের কাছে ঈশ্বরের বাণী প্রচার করে গেছেন সেই নেতাদের স্মরণ করো। তাদের জীবনচর্যার পরিণাম সম্পর্কে বিবেচনা করো এবং তাদের বিশ্বাসের অনুকরণ করো। \v 8 যীশু খ্রীষ্ট কাল যেমন ছিলেন, আজও তেমনি আছেন এবং চিরকাল একই থাকবেন। \p \v 9 তোমরা বিভিন্ন ধরনের বিচিত্র শিক্ষায় বিপথে চালিত হোয়ো না। অনুগ্রহের দ্বারা আমাদের হৃদয়কে শক্তিশালী করাই ভালো, কোনো সংস্কারগত খাবার দিয়ে নয়, কারণ যারা তা ভোজন করে, তাদের কাছে এর কোনো মূল্য নেই। \v 10 আমাদের এক যজ্ঞবেদি আছে, যা থেকে, যারা সমাগম তাঁবুর পরিচারক, তাদের ভোজন করার অধিকার নেই। \p \v 11 মহাযাজক পাপমোচনের নৈবেদ্যস্বরূপ পশুর রক্ত মহাপবিত্র স্থানে বয়ে নিয়ে যান, কিন্তু সেগুলির দেহ শিবিরের বাইরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। \v 12 সেভাবে, যীশুও তাঁর রক্তের মাধ্যমে প্রজাদের পবিত্র করার জন্য নগরদ্বারের বাইরে মৃত্যুবরণ করেছেন। \v 13 তাহলে এসো, তিনি যে অপমান সহ্য করেছিলেন, তা বহন করে আমরা শিবিরের বাইরে তাঁর কাছে যাই। \v 14 কারণ এখানে আমাদের কাছে কোনো চিরস্থায়ী নগর নেই, কিন্তু আমরা সন্নিকট সেই নগরের প্রতীক্ষায় আছি। \p \v 15 অতএব এসো, যীশুর মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের কাছে অবিরাম প্রশংসার বলি উৎসর্গ করি—তা হল তাঁর নাম স্বীকার করা আমাদের ঠোঁটের ফল। \v 16 আর অপরের উপকার ও অন্যদের সঙ্গে তোমাদের সম্পদ ভাগ করার কথা ভুলে যেয়ো না, কারণ এ ধরনের বলিদানেই ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। \p \v 17 তোমাদের নেতাদের নির্দেশ মেনে চলো ও তাদের কর্তৃত্বের বশ্যতাধীন হও। যাদের জবাবদিহি করতে হবে, এমন মানুষের মতো তাঁরা তোমাদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। তাঁদের আদেশ পালন করো, যেন তাদের কাজ আনন্দদায়ক হয়, বোঝাস্বরূপ না হয়, তা না হলে, তা তোমাদের পক্ষে লাভজনক হবে না। \p \v 18 আমাদের জন্য প্রার্থনা করো। আমরা সুনিশ্চিত যে, আমাদের এক পরিচ্ছন্ন বিবেক আছে এবং আমরা সব বিষয়ে সম্মানজনক জীবনযাপন করার আকাঙ্ক্ষা করি। \v 19 আমি তোমাদের বিশেষভাবে প্রার্থনা করার জন্য অনুনয় করি, যেন আমি শীঘ্রই তোমাদের কাছে আবার ফিরে যেতে পারি। \s1 আশীর্বচন ও অন্তিম শুভেচ্ছা \p \v 20 শান্তির ঈশ্বর, যিনি অনন্ত সন্ধিচুক্তির রক্তের মাধ্যমে আমাদের প্রভু যীশুকে মৃতলোক থেকে পুনরায় উত্থাপিত করেছেন, মেষপালের সেই মহান পালরক্ষক, \v 21 তাঁর ইচ্ছা পালনের উদ্দেশে তোমাদের সব উত্তম উপকরণে সুসজ্জিত করুন এবং তাঁর কাছে যা প্রীতিকর, তা যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের অন্তরে সম্পন্ন করুন। যুগে যুগে চিরকাল তাঁর মহিমা কীর্তিত হোক। আমেন! \b \b \p \v 22 ভাইবোনেরা, তোমাদের অনুনয় করি, আমার এই উপদেশবাণী সহ্য করো, কারণ আমি তোমাদের কাছে একটি সংক্ষিপ্ত পত্র লিখেছি মাত্র। \b \p \v 23 আমি চাই, তোমরা জেনে নাও যে, আমাদের ভাই তিমথিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি শীঘ্র আসেন, তোমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আমি তাঁর সঙ্গে যাব। \b \p \v 24 তোমাদের সব নেতা ও ঈশ্বরের সমস্ত পবিত্রগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ো। \p ইতালির সকলেও তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। \b \p \v 25 অনুগ্রহ তোমাদের সবারই সহবর্তী হোক।