\id ECC - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h উপদেশক \toc1 উপদেশক \toc2 উপদেশক \toc3 উপ \mt1 উপদেশক \c 1 \s1 সবকিছুই অসার \p \v 1 উপদেশকের কথা; তিনি দাউদের ছেলে, জেরুশালেমের রাজা: \q1 \v 2 উপদেশক বলেন, \q2 “অসার! অসার! \q1 অসারের অসার! \q2 সকলই অসার।” \b \q1 \v 3 সূর্যের নিচে মানুষ যে পরিশ্রম করে \q2 সেইসব পরিশ্রমে তার কী লাভ? \q1 \v 4 এক পুরুষ চলে যায় এবং আর এক পুরুষ আসে, \q2 কিন্তু পৃথিবী চিরকাল থাকে। \q1 \v 5 সূর্য ওঠে এবং সূর্য অস্ত যায়, \q2 আর তাড়াতাড়ি নিজের জায়গায় ফিরে যায়। \q1 \v 6 বাতাস দক্ষিণ দিকে বয় \q2 তারপর ঘুরে যায় উত্তরে; \q1 এইভাবে সেটা ঘুরতে থাকে, \q2 আর নিজের পথে ফিরে আসে। \q1 \v 7 সমস্ত নদী সাগরে গিয়ে পড়ে, \q2 তবুও সাগর কখনও পূর্ণ হয় না। \q1 যেখান থেকে সব নদী বের হয়ে আসে, \q2 আবার সেখানেই তার জল ফিরে যায়। \q1 \v 8 সবকিছুই ক্লান্তিকর, \q2 এত যে বলা যায় না। \q1 যথেষ্ট দেখে চোখ তৃপ্ত হয় না, \q2 কিংবা কান শুনে তৃপ্ত হয় না। \q1 \v 9 যা হয়ে গেছে তা আবার হবে, \q2 যা করা হয়েছে তা আবার করা হবে, \q2 সূর্যের নিচে নতুন কিছুই নেই। \q1 \v 10 এমন কিছু কি আছে যার বিষয়ে লোকে বলবে, \q2 “দেখো! এটি নতুন”? \q1 ওটি অনেক দিন আগে থেকেই ছিল; \q2 আমাদের কালের আগেই ছিল। \q1 \v 11 আগেকার কালের লোকদের বিষয় কেউ মনে রাখে না, \q2 যারা ভবিষ্যতে আসবে তাদের কথাও \q1 মনে রাখবে না \q2 যারা তাদের পরে আসবে। \s1 জ্ঞান অসার \p \v 12 আমি, উপদেশক, জেরুশালেমে ইস্রায়েলের উপরে রাজা ছিলাম। \v 13 আকাশের নিচে যা কিছু করা হয় তা জ্ঞান দ্বারা পরীক্ষা ও খোঁজ করতে মনোযোগ করলাম। ঈশ্বর মানুষের উপরে কী ভারী কষ্ট চাপিয়ে দিয়েছেন! \v 14 সূর্যের নিচে যা কিছু হয় তা সবই আমি দেখেছি; সে সকলই অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো। \q1 \v 15 যা বাঁকা তা সোজা করা যায় না; \q2 যা অসম্পূর্ণ তা গণনা করা যায় না। \p \v 16 আমি মনে মনে বললাম, “দেখো, আমার আগে যারা জেরুশালেমে রাজত্ব করে গেছেন তাদের সকলের চেয়ে আমি প্রজ্ঞায় অনেক বৃদ্ধিলাভ করেছি; আমার অনেক প্রজ্ঞা ও বিদ্যা অভিজ্ঞতা লাভ হয়েছে।” \v 17 তারপর আমি প্রজ্ঞা এবং উন্মত্ততা ও মূর্খতা বুঝবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম যে তাও বাতাসের পিছনে দৌড়ানো। \q1 \v 18 কারণ প্রজ্ঞা বাড়লে তার সঙ্গে দুঃখও বৃদ্ধি পায়; \q2 যত বেশি বিদ্যা, তত বেশি বিষাদ। \c 2 \s1 আমোদ অসার \p \v 1 আমি মনে মনে বললাম, “এখন এসো, আমি তোমাকে আমোদ দিয়ে পরীক্ষা করব যে কী ভালো।” কিন্তু তাও পরীক্ষা করে দেখা গেল যে তা অসার। \v 2 আমি বললাম, “হাসিও উন্মত্ততা। আর আমোদ কী করে?” \v 3 আমি মদ্যপান দ্বারা নিজেকে আনন্দ দেবার চেষ্টা করলাম এবং মূর্খতাকে আলিঙ্গন করলাম প্রজ্ঞা তখনও আমার মনকে পরিচালিত করছিল। আমি দেখতে চাইলাম, আকাশের নিচে মানুষের জীবনকালে তার জন্য কোনটা ভালো। \p \v 4 আমি কতগুলি বড়ো বড়ো কাজ করলাম আমি নিজের জন্য অনেক ঘরবাড়ি তৈরি করলাম আর আমি দ্রাক্ষাক্ষেত তৈরি করলাম। \v 5 আমি বাগান ও পার্ক তৈরি করে সেখানে সব রকমের ফলের গাছ লাগালাম। \v 6 বেড়ে ওঠা গাছে জল দেবার জন্য আমি কতগুলি পুকুর কাটালাম। \v 7 আমি অনেক দাস ও দাসী কিনলাম আর অনেক দাস-দাসী আমার বাড়িতে জন্মেছিল। আমার আগে যারা জেরুশালেমে ছিলেন তাদের চেয়েও আমার অনেক বেশি গরু-মেষ ছিল। \v 8 আমি অনেক রুপো ও সোনা এবং অন্যান্য দেশের রাজাদের ও বিভিন্ন প্রদেশের সম্পদ নিজের জন্য জড়ো করলাম। আমি অনেক গায়ক গায়িকা এবং মানুষের হৃদয়ের আনন্দ অনুসারে হারেমও অর্জন করলাম। \v 9 আমার আগে যারা জেরুশালেমে ছিলেন তাদের চেয়েও আমি অনেক বড়ো হলাম। এই সবে আমার প্রজ্ঞা আমার সঙ্গে ছিল। \q1 \v 10 আমার চোখে যা ভালো লাগত আমি তা অস্বীকার করতাম না; \q2 আমার হৃদয়ের কোনো আনন্দ আমি প্রত্যাখ্যান করতাম না। \q1 আমার সবকাজেই আমার মন খুশি হত, \q2 আর এটাই ছিল আমার সব পরিশ্রমের পুরস্কার। \q1 \v 11 তবুও আমি যা কিছু করেছি আর যা পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করেছি \q2 তার দিকে যখন তাকিয়াছি, \q1 সবকিছুই অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো; \q2 সূর্যের নিচে কোনো কিছুতেই লাভ নেই। \s1 প্রজ্ঞা এবং উন্মত্ততা অসার \q1 \v 12 তারপর আমি প্রজ্ঞা, এবং উন্মত্ততা ও মূর্খতার \q2 কথা চিন্তা করলাম। \q1 যা কিছু আগেই করা হয়ে গেছে \q2 তার থেকে রাজার উত্তরাধিকারী আর বেশি কী করতে পারে? \q1 \v 13 আমি দেখলাম প্রজ্ঞা মূর্খতার থেকে ভালো, \q2 যেমন আলো অন্ধকারের থেকে ভালো। \q1 \v 14 জ্ঞানবানের মাথাতেই চোখ থাকে, \q2 কিন্তু বোকা অন্ধকারে চলাফেরা করে; \q1 তবুও আমি বুঝতে পারলাম \q2 যে ওই দুজনের শেষ দশা একই। \p \v 15 তারপর আমি নিজের মনে মনে বললাম, \q1 “বোকার যে দশা হয় তা তো আমার প্রতি ঘটে। \q2 তাহলে জ্ঞানবান হয়ে আমার কী লাভ?” \q1 আমি নিজের মনে মনে বললাম, \q2 “এটাও তো অসার।” \q1 \v 16 বোকাদের মতো জ্ঞানবানদেরও লোকে বেশি দিন মনে রাখবে না; \q2 সেদিন উপস্থিত যখন উভয়কেই ভুলে যাবে। \q1 বোকাদের মতো জ্ঞানবানদেরও মরতে হবে! \s1 পরিশ্রম অসার \p \v 17 সুতরাং আমি জীবনকে ঘৃণা করলাম, কারণ সূর্যের নিচে যে কাজ করা হয় সেগুলি আমার কাছে দুঃখজনক মনে হল। সবকিছুই অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো। \v 18 সূর্যের নিচে যেসব জিনিসের জন্য আমি পরিশ্রম করেছি সেগুলি আমি এখন ঘৃণা করতে লাগলাম, কারণ আমার পরে যে আসবে তার জন্যই আমাকে সেইসব রেখে যেতে হবে। \v 19 আর কে জানে সেই লোক জ্ঞানী না বুদ্ধিহীন হবে? তবুও সেই আমার পরিশ্রমের সব ফল নিয়ন্ত্রণ করবে, যার জন্য আমি সূর্যের নিচে সমস্ত প্রচেষ্টা ও দক্ষতা ঢেলেছি। এটাও অসার। \v 20 অতএব সূর্যের নিচে যেসব পরিশ্রমের কাজ করেছি তার জন্য আমার অন্তর নিরাশ হতে লাগল। \v 21 কেননা জ্ঞান, বুদ্ধি ও দক্ষতা দিয়ে একজন পরিশ্রম করতে পারে, কিন্তু তারপরে তার সবকিছু অধিকার হিসেবে এমন একজনের জন্য রেখে যেতে হয় যে লোক তার জন্য কোনো পরিশ্রম করেনি। এটাও অসার এবং দুর্ভাগ্যের বিষয়। \v 22 সূর্যের নিচে মানুষের যে সকল পরিশ্রম ও উদ্বেগ হয়, তাতে তার কী লাভ হয়? \v 23 সারাদিন তার কাজে থাকে মনস্তাপ ও ব্যথা; রাতেও তার মন বিশ্রাম পায় না। এটাও অসার। \p \v 24 মানুষের পক্ষে খাওয়াদাওয়া করা এবং নিজের কাজে সন্তুষ্ট থাকা ছাড়া ভালো আর কিছুই নেই। এটাও আমি দেখলাম, এসব ঈশ্বরের হাত থেকে আসে, \v 25 কেননা তাঁকে ছাড়া কে খেতে পায় কিংবা আনন্দ উপভোগ করে? \v 26 যে তাঁকে সন্তুষ্ট করে, ঈশ্বর তাকে প্রজ্ঞা, বুদ্ধি ও আনন্দ দান করেন, কিন্তু পাপীকে তিনি ধনসম্পদ জোগাড় করবার ও তা জমাবার কাজ দেন, যেন সে তা সেই লোককে দিয়ে যায় যে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে। এটাও অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো। \c 3 \s1 সবকিছুর সময় আছে \q1 \v 1 সবকিছুর জন্য একটি সময় আছে, \q2 আকাশের নিচে প্রত্যেকটি কাজেরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে: \b \q2 \v 2 জন্মের সময় ও মরণের সময়, \q2 বুনবার সময় ও উপড়ে ফেলবার সময়, \q2 \v 3 মেরে ফেলবার সময় ও সুস্থ করবার সময়, \q2 ভেঙে ফেলবার সময় ও গড়বার সময়, \q2 \v 4 কাঁদবার সময় ও হাসবার সময়, \q2 শোক করবার সময় ও নাচবার সময়, \q2 \v 5 পাথর ছড়াবার সময় ও সেগুলি জড়ো করবার সময়, \q2 ভালোবেসে জড়িয়ে ধরবার সময় ও জড়িয়ে না ধরবার সময়, \q2 \v 6 খুঁজে পাওয়ার সময় ও হারাবার সময়, \q2 রাখবার সময় ও ফেলে দেবার সময়, \q2 \v 7 ছিঁড়ে ফেলবার সময় ও সেলাই করবার সময়, \q2 চুপ করবার সময় ও কথা বলবার সময়, \q2 \v 8 ভালোবাসার সময় ও ঘৃণা করবার সময়, \q2 যুদ্ধের সময় ও শান্তির সময়। \p \v 9 শ্রমিক পরিশ্রমের কী ফল পায়? \v 10 ঈশ্বর মানুষের উপরে যে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন তা আমি দেখেছি। \v 11 তিনি সবকিছু তার সময়ে সুন্দর করেছেন। তিনি মানুষের অন্তরে অনন্তকাল সম্বন্ধে বুঝবার ইচ্ছা দিয়েছেন; কিন্তু ঈশ্বর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কী করেছেন তা মানুষ বুঝতে পারে না। \v 12 আমি জানি মানুষের জীবনকালে আনন্দ করা ও ভালো কাজ করা ছাড়া তার জন্য আর ভালো কিছু নেই। \v 13 প্রত্যেক মানুষ খাওয়াদাওয়া করবে ও তার পরিশ্রমের ফলে সন্তুষ্ট হবে—এটি ঈশ্বরের দান। \v 14 আমি জানি ঈশ্বর যা কিছু করেন তা চিরকাল থাকে; কিছুই তার সঙ্গে যোগ করা যায় না কিংবা তার থেকে নেওয়া যায় না। ঈশ্বর তা করেন যেন মানুষ তাঁকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে। \q1 \v 15 যা কিছু আছে তা আগে থেকেই ছিল, \q2 আর যা হবে তাও আগে ছিল; \q2 আর যা হয়ে গেছে ঈশ্বর তার হিসেব নেন। \p \v 16 এবং আমি সূর্যের নিচে আরও একটি বিষয় দেখলাম \q1 বিচারের জায়গায়—দুষ্টতা ছিল, \q2 সততার জায়গায়—দুষ্টতা ছিল। \p \v 17 আমি নিজে মনে মনে বললাম, \q1 “ঈশ্বর ধার্মিকের ও দুষ্টের \q2 দুজনেরই বিচার করবেন, \q1 কারণ সেখানে সমস্ত কাজের জন্য সময় আছে, \q2 সমস্ত কাজের বিচারের জন্য সময় আছে।” \p \v 18 আমি আরও নিজে মনে মনে বললাম, “মানুষের ক্ষেত্রে, ঈশ্বর তাদের পরীক্ষা করেন যেন তারা দেখতে পায় তারা পশুদেরই মতো। \v 19 কেননা মানুষের প্রতি যা ঘটে পশুর প্রতিও তাই ঘটে; উভয়ের জন্য একই পরিণতি অপেক্ষা করে এ যেমন মরে সেও তেমন মরে। তাদের সবার প্রাণবায়ু একই রকমের; পশুর থেকে মানুষের কোনো প্রাধান্য নেই। সবই অসার। \v 20 সকলেই এক জায়গায় যায়; সবাই মাটি থেকে তৈরি, আর মাটিতেই ফিরে যায়। \v 21 মানুষের আত্মা যে উপরে যায় আর পশুর আত্মা মাটির তলায় যায় তা কে জানে?” \p \v 22 অতএব আমি দেখলাম যে নিজের কাজে আনন্দ করা ছাড়া আর ভালো কিছু মানুষের জন্য নেই, কারণ ওটিই তার পাওনা। কারণ তাদের মৃত্যুর পরে কি ঘটবে তা কে তাদের দেখাতে পারে? \c 4 \s1 নিপীড়ন, পরিশ্রম, বন্ধুহীনতা \p \v 1 পরে আমি তাকালাম আর দেখলাম সূর্যের নিচে যেসব অত্যাচার হয় \q1 আমি নিপীড়িতদের চোখের জল দেখলাম— \q2 আর তাদের কোনো সান্ত্বনাকারী নেই; \q1 সমস্ত ক্ষমতা তাদের নিপীড়নকারীদের পক্ষে— \q2 আর তাদের কোনো সান্ত্বনাকারী নেই। \q1 \v 2 এবং আমি ঘোষণা করলাম যে মৃতেরা, \q2 যারা আগেই মারা গেছে, \q1 তারা জীবিতদের থেকে আনন্দে আছে, \q2 যারা এখনও জীবিত। \q1 \v 3 কিন্তু উভয়ের চেয়েও ভালো হল \q2 যার এখনও জন্ম হয়নি, \q1 যে কখনও মন্দ দেখেনি \q2 যা কিছু সূর্যের নিচে করা হয়। \p \v 4 আর আমি দেখলাম একজনের প্রতি হিংসার দরুনই মানুষ সব পরিশ্রম করে এবং সফলতা লাভ করে। এটাও অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো। \q1 \v 5 বোকারা হাত গুটিয়ে রাখে \q2 এবং নিজেদের ধ্বংস করে। \q1 \v 6 দুই মুঠো পরিশ্রম পাওয়া \q2 এবং কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানোর চেয়ে \q2 এক হাত শান্তি পাওয়া ভালো। \p \v 7 আবার আমি সূর্যের নিচে অসারতা দেখতে পেলাম \q1 \v 8 কোনো একজন লোক একেবারে একা; \q2 তার ছেলেও নেই কিংবা ভাইও নেই, \q1 তার পরিশ্রমের শেষ নেই, \q2 তবুও তার ধনসম্পদে তার চোখ তৃপ্ত নয়। \q1 সে জিজ্ঞাসা করল, “আমি কার জন্য পরিশ্রম করছি, \q2 আর আমি কেন নিজেকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছি?” \q1 এটাও অসার— \q2 ভারী কষ্টজনক! \b \q1 \v 9 একজনের চেয়ে দুজন ভালো, \q2 কারণ তাদের কাজে অনেক ভালো ফল হয় \q1 \v 10 যদি একজন পড়ে যায়, \q2 তবে তার সঙ্গী তাকে উঠাতে পারে। \q1 কিন্তু হায় সেই লোক যে পড়ে যায় \q2 আর কেউ তাকে উঠাবার জন্য নেই। \q1 \v 11 আরও, যদি দুজন শুয়ে থাকে, তারা উষ্ণ থাকে। \q2 কিন্তু একজন কী করে নিজেকে একা উষ্ণ রাখতে পারবে? \q1 \v 12 যদিও একা ব্যক্তি হেরে যেতে পারে, \q2 দুজন নিজেদের প্রতিরোধ করতে পারে। \q1 তিনটে দড়ি একসঙ্গে পাকানো হলে তাড়াতাড়ি ছেঁড়ে না। \s1 শ্রীবৃদ্ধি অসার \p \v 13 একজন বুড়ো বোকা রাজা, যিনি আর পরামর্শ গ্রহণ করতে চান না তাঁর চেয়ে গরিব অথচ বুদ্ধিমান যুবক ভালো। \v 14 সেই যুবক হয়তো কারাগার থেকে এসে রাজা হয়েছে, কিংবা সে হয়তো সেই রাজ্যে অভাবের মধ্যে জন্মেছে। \v 15 আমি দেখলাম যারা সূর্যের নিচে বসবাস করত ও চলাফেরা করত তারা সেই যুবককে অনুসরণ করল, সেই রাজার উত্তরাধিকারী। \v 16 সেই লোকদের কোনো সীমা ছিল না যারা তাদের আগে ছিল। কিন্তু যারা পরে এসেছিল তারা সেই উত্তরাধিকারীর উপরে সন্তুষ্ট হল না। এটাও অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো। \c 5 \s1 ঈশ্বরের কাছে তোমার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করো \p \v 1 ঈশ্বরের ঘরে যাবার সময় তোমার পা সাবধানে ফেলো। যারা নিজেদের অন্যায় বোঝে না সেই বোকা লোকদের মতো উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবার চেয়ে বরং ঈশ্বরের বাধ্য হওয়া ভালো। \q1 \v 2 তোমার মুখ তাড়াতাড়ি করে কোনো কথা না বলুক, \q2 ঈশ্বরের কাছে তাড়াতাড়ি করে \q2 হৃদয় কোনো কথা উচ্চারণ না করুক। \q1 ঈশ্বর স্বর্গে আছেন \q2 আর তুমি পৃথিবীতে আছ \q2 অতএব তোমার কথা যেন অল্প হয়। \q1 \v 3 অনেক চিন্তাভাবনা থাকলে লোকে যেমন স্বপ্ন দেখে, \q2 তেমনি অনেক কথা বললে বোকামি বেরিয়ে আসে। \p \v 4 ঈশ্বরের কাছে কোনো মানত করলে তা পূর্ণ করতে দেরি কোরো না। বোকা লোকদের নিয়ে তিনি কোনো আনন্দ পান না; তোমাদের মানত পূর্ণ কোরো। \v 5 মানত করে তা পূরণ না করবার চেয়ে বরং মানত না করাই ভালো। \v 6 তোমার মুখকে তোমাকে পাপের পথে নিয়ে যেতে দিয়ো না। এবং মন্দিরের দূতের কাছে বোলো না, “আমি ভুল করে মানত করেছি।” তোমার কথার জন্য কেন ঈশ্বর অসন্তুষ্ট হয়ে তোমার হাতের কাজ নষ্ট করে ফেলবেন? \v 7 অনেক স্বপ্ন দেখা এবং অনেক কথা বলা অসার। সেইজন্য ঈশ্বরকে ভয় করো। \s1 ধনসম্পদ অসার \p \v 8 তোমার এলাকায় যদি কোনো গরীবকে অত্যাচারিত হতে দেখো কিংবা কাউকে ন্যায্যবিচার ও তার ন্যায্য অধিকার না পেতে দেখো তবে অবাক হোয়ো না; কারণ এক কর্মচারীর উপরে বড়ো আর এক কর্মচারী আছেন এবং তাদের দুজনের উপরে আরও বড়ো বড়ো কর্মকর্তা আছেন। \v 9 দেশের ফল সকলের জন্য; ক্ষেত্রের লাভ রাজা নিজে পায়। \q1 \v 10 যে লোক অর্থ ভালোবাসে সে কখনও তৃপ্ত হয় না; \q2 যে লোক ধনসম্পদ ভালোবাসে সে তার আয়ে কখনও সন্তুষ্ট হয় না। \q2 এটাও অসার। \b \q1 \v 11 পণ্য যখন বাড়ে, \q2 তা ভোগ করবার লোকও বাড়ে। \q1 কেবল দেখবার সুখ ছাড়া \q2 সেই সম্পত্তিতে মালিকের কী লাভ? \b \q1 \v 12 একজন শ্রমিকের ঘুম মিষ্টি, \q2 তারা কম খাক কিংবা বেশি খাক, \q1 কিন্তু ধনবানের ক্ষেত্রে, তাদের প্রাচুর্য \q2 তাদের ঘুমাতে দেয় না। \p \v 13 সূর্যের নিচে আমি একটি ভীষণ মন্দতা দেখেছি \q1 ধনী অনেক ধনসম্পদ জমা করে কিন্তু শেষে তার ক্ষতি হয়, \q2 \v 14 কিংবা কোনো দুর্ঘটনায় পড়ে তা ধ্বংস হয়ে যায়, \q1 সেইজন্য তার যখন সন্তান হয় \q2 উত্তরাধিকারসূত্রে তার কিছু থাকে না। \q1 \v 15 সকলেই মায়ের গর্ভ থেকে উলঙ্গ হয়ে আসে, \q2 সে যেমন আসে তেমনই চলে যায়। \q1 তারা তাদের পরিশ্রমের কিছুই নেয় না \q2 যা তারা হাতে করে নিতে পারবে। \p \v 16 এটাও একটি ভীষণ মন্দতা \q1 সকলে যেমন আসে, তেমনি চলে যায়, \q2 কারণ তারা বাতাসের জন্য পরিশ্রম করে \q2 তাতে তাদের লাভ কী? \q1 \v 17 তারা সারা জীবন অন্ধকারে আহার করে, \q2 আর ভীষণ বিরক্তি, যন্ত্রণা ও রাগ উপস্থিত হয়। \p \v 18 ভালো হলে কী হয় তা আমি লক্ষ্য করলাম ঈশ্বর সূর্যের নিচে মানুষকে যে কয়টা দিন বাঁচতে দিয়েছেন তাতে খাওয়াদাওয়া করা এবং কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে তৃপ্ত হওয়াই তার পক্ষে ভালো এবং উপযুক্ত কারণ ওটিই তার পাওনা। \v 19 এছাড়া, ঈশ্বর যখন কোনো মানুষকে ধন ও সম্পত্তি দেন তখন তাকে তা ভোগ করতে দেন, তার নিজের জন্য একটি অংশগ্রহণ করতে দেন ও নিজের কাজে আনন্দ করতে দেন—এটাই ঈশ্বরের দান। \v 20 তারা কদাচিৎ তাদের জীবনের দিনগুলির দিকে ফিরে তাকায়, কারণ ঈশ্বর তার মনে আনন্দ দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখেন। \c 6 \p \v 1 সূর্যের নিচে আমি আরও একটি মন্দতা দেখলাম, আর তা মানুষের জন্য বড়ো কষ্টের \v 2 ঈশ্বর কিছু মানুষকে এত ধন, সম্পত্তি ও সম্মান দান করেন যে, তাদের হৃদয়ে আর কোনো বাসনা থাকে না, কিন্তু ঈশ্বর তাদের তা ভোগ করবার ক্ষমতা দেন না, অপরিচিতেরা তা ভোগ করে। এটি অসার, এক ভীষণ মন্দতা। \p \v 3 কোনো লোকের একশো জন ছেলেমেয়ে থাকতে পারে; তবুও যতদিন সে বাঁচে, সে যদি তার সমৃদ্ধি উপভোগ করতে না পারে এবং উপযুক্তভাবে কবর না হয়, তবে আমি বলি তার চেয়ে মৃত সন্তানের জন্ম হওয়া অনেক ভালো। \v 4 তার আসা অর্থহীন, সে অন্ধকারে বিদায় নেয়, আর অন্ধকারেই তার নাম ঢাকা পড়ে যায়। \v 5 যদিও সে কখনও সূর্য দেখেনি কিংবা কিছু জানেনি, তবুও সেই লোকের চেয়ে সে অনেক বিশ্রাম পায়— \v 6 সেই লোক যদিও বা দুই হাজার বছরের বেশি বাঁচে কিন্তু তার সমৃদ্ধি উপভোগ করতে পারে না। সবাই কি একই জায়গায় যায় না? \q1 \v 7 প্রত্যেকের পরিশ্রম তার মুখের জন্য, \q2 তবুও তাদের আকাঙ্ক্ষা তৃপ্ত হয় না। \q1 \v 8 বোকার চেয়ে জ্ঞানীর সুবিধা কী? \q1 অন্যদের সামনে কীভাবে চলতে হবে তা জানলে \q2 একজন গরিবের কী লাভ হয়? \q1 \v 9 আরও পাবার ইচ্ছার চেয়ে বরং \q2 চোখ যা দেখতে পায় তাতে সন্তুষ্ট থাকা ভালো। \q1 এটাও অসার, \q2 কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো। \b \q1 \v 10 যা কিছু আছে তার নামকরণ আগেই হয়ে গেছে, \q2 আর মানুষ যে কী, তাও জানা গেছে; \q1 নিজের চেয়ে যে শক্তিশালী \q2 তাঁর সঙ্গে কেউ তর্কাতর্কি করতে পারে না। \q1 \v 11 যত বেশি কথা বলা হয়, \q2 ততই অসারতা বাড়ে, \q2 আর তাতে মানুষের কী লাভ হয়? \p \v 12 সেই অল্প ও অর্থহীন দিনগুলি ছায়ার মতো কাটাবার সময় মানুষের জীবনকালে তার জন্য কী ভালো তা কে জানে? সেগুলি চলে গেলে সূর্যের নিচে কী ঘটবে তা কে তাদের বলতে পারবে? \c 7 \s1 প্রজ্ঞা \q1 \v 1 ভালো সুগন্ধির চেয়ে সুনাম ভালো, \q2 জন্মের দিনের চেয়ে মৃত্যুর দিন ভালো। \q1 \v 2 ভোজের বাড়ি যাওয়ার চেয়ে \q2 শোকের বাড়ি যাওয়া ভালো, \q1 কারণ সকলেরই নিয়তি হল মৃত্যু; \q2 জীবিতদের এই কথা মনে রাখা উচিত। \q1 \v 3 আনন্দ করার চেয়ে কষ্টভোগ করা ভালো, \q2 কারণ মুখের বিষণ্ণতা হৃদয়ের জন্য ভালো। \q1 \v 4 জ্ঞানবানদের হৃদয় শোকের বাড়িতে থাকে, \q2 কিন্তু বোকাদের হৃদয় আমোদের বাড়িতে থাকে। \q1 \v 5 বোকাদের গান শোনার চেয়ে \q2 জ্ঞানী লোকের বকুনি শোনা ভালো। \q1 \v 6 যেমন হাঁড়ির নিচে কাঁটার শব্দ, \q2 বোকাদের হাসিও ঠিক তেমনি। \q2 এটাও অসার। \b \q1 \v 7 জ্ঞানী লোক যদি জুলুম করে সে বোকা হয়ে যায়, \q2 আর ঘুস হৃদয় নষ্ট করে। \b \q1 \v 8 কোনো কাজের শুরুর চেয়ে শেষ ভালো, \q2 আর অহংকারের চেয়ে ধৈর্য ভালো। \q1 \v 9 তোমার অন্তরকে তাড়াতাড়ি রেগে উঠতে দিয়ো না, \q2 কারণ ক্রোধ বোকাদেরই কোলে বাস করে। \b \q1 \v 10 বোলো না যে, “এখনকার চেয়ে আগেকার কাল কেন ভালো ছিল?” \q2 কারণ এই প্রশ্ন করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। \b \q1 \v 11 প্রজ্ঞা, উত্তরাধিকারের মতো, যা ভালো \q2 এবং যারা সূর্য দেখে\f + \fr 7:11 \fr*\ft যারা জীবিত\ft*\f* তাদের উপকার করে। \q1 \v 12 প্রজ্ঞা এক আশ্রয়স্থল \q2 যেমন অর্থও এক আশ্রয়স্থল, \q1 কিন্তু জ্ঞানের সুবিধা হল এই যে \q2 প্রজ্ঞা তার অধিকারীর জীবন রক্ষা করে। \p \v 13 ঈশ্বরের কাজ ভেবে দেখো \q1 তিনি যা বাঁকা করেছেন \q2 কে তা সোজা করতে পারে? \q1 \v 14 যখন সুখের সময়, তখন সুখী হও; \q2 কিন্তু যখন দুঃখের সময়, এই কথা ভেবে দেখো \q1 ঈশ্বর একটি সৃষ্টি করেছেন \q2 পাশাপাশি আরেকটিও করেছেন। \q1 কিন্তু, কেউ আবিষ্কার করতে পারবে না \q2 তাদের ভবিষ্যতের কিছুই। \p \v 15 আমার এই অসার জীবনকালে আমি এই দুটোই দেখেছি \q1 কোনো ধার্মিক লোক নিজের ধার্মিকতায় ধ্বংস হয়, \q2 এবং কোনো দুষ্টলোক নিজের দুষ্টতায় অনেক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। \q1 \v 16 অতি ধার্মিক হোয়ো না, \q2 কিংবা অতি জ্ঞানবান হোয়ো না— \q2 কেন নিজেকে ধ্বংস করবে? \q1 \v 17 অতি দুষ্ট হোয়ো না, \q2 আর বোকামিও কোরো না— \q2 কেন তুমি অসময়ে মারা যাবে? \q1 \v 18 একটি ধরে রাখা \q2 আর অন্যটা না ছাড়া ভালো। \q2 যে ঈশ্বরকে ভয় করে সে কোনো কিছুই অতিরিক্ত করে না। \b \q1 \v 19 প্রজ্ঞা একজন জ্ঞানবান লোককে \q2 নগরের দশজন শাসকের থেকে বেশি শক্তিশালী করে। \b \q1 \v 20 বাস্তবিক, পৃথিবীতে একজনও ধার্মিক নেই, \q2 কেউ নেই যে সঠিক কাজ করে এবং কখনও পাপ করে না। \b \q1 \v 21 লোকে যা বলে তার সব কথায় কান দিয়ো না, \q2 হয়তো শুনবে যে, তোমার চাকর তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছে— \q1 \v 22 কারণ তুমি তোমার নিজের হৃদয় জানো \q2 অনেকবার তুমি নিজেই অন্যকে অভিশাপ দিয়েছ। \p \v 23 এসব আমি প্রজ্ঞা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে বললাম, \q1 “আমি জ্ঞানী হবই হব”— \q2 কিন্তু তা আমার নাগালের বাইরে। \q1 \v 24 যা কিছু আছে তা দূরে আছে এবং খুবই গভীরে— \q2 কে তা খুঁজে পেতে পারে? \q1 \v 25 সেইজন্য বুঝবার জন্য আমি আমার মনস্থির করলাম, \q2 যাতে প্রজ্ঞা ও সবকিছুর পিছনে যে পরিকল্পনা আছে তা জানতে পারি \q1 আর বুঝতে পারি দুষ্টতার বোকামি \q2 আর মূর্খতার উন্মত্ততা। \b \q1 \v 26 আমি দেখলাম মৃত্যুর চেয়েও তেতো \q2 হল সেই স্ত্রীলোক যে একটি ফাঁদ, \q1 তার হৃদয় একটি জাল \q2 এবং তার হাত হল শিকল। \q1 যে লোক ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে সে তা থেকে রক্ষা পাবে, \q2 কিন্তু পাপীকে সে ফাঁদে ফেলবে। \p \v 27 উপদেশক বলছেন, “দেখো, আমি এটি আবিষ্কার করেছি \q1 “সব জিনিসের পরিকল্পনা আবিষ্কার করার জন্য একটির সঙ্গে একটি যোগ করে— \q2 \v 28 যখন আমি তখনও খুঁজছিলাম \q2 কিন্তু পাচ্ছিলাম না— \q1 আমি হাজার জনের মধ্যে একজন খাঁটি পুরুষকে পেলাম, \q2 কিন্তু তাদের মধ্যে একজন স্ত্রীলোককেও খাঁটি দেখতে পাইনি। \q1 \v 29 আমি কেবল এই জানতে পারলাম যে \q2 ঈশ্বর মানুষকে খাঁটিই তৈরি করেছিলেন, \q2 কিন্তু তারা অনেক কল্পনার অন্বেষণ করেছে।” \b \c 8 \q1 \v 1 কে জ্ঞানী লোকের মতো? \q2 যা ঘটে কে তার অর্থ বুঝতে পারে? \q1 জ্ঞান মানুষের মুখ উজ্জ্বল করে \q2 এবং তার মুখের কঠিনতা পরিবর্তন করে। \s1 রাজার বাধ্য হও \p \v 2 আমার উপদেশ এই যে, তুমি তোমার রাজার আদেশ পালন করো, কেননা ঈশ্বরের সামনে তুমি এই শপথ করেছ। \v 3 তাড়াতাড়ি রাজার উপস্থিতি থেকে চলে যেয়ো না। মন্দ কিছুর সঙ্গে যুক্ত হোয়ো না, কারণ তিনি তাঁর ইচ্ছামতো কাজ করেন। \v 4 রাজার কথাই যখন সবচেয়ে বড়ো তখন কে তাঁকে বলবে, “আপনি কী করছেন?” \q1 \v 5 যে তাঁর আদেশ পালন করে তার কোনো ক্ষতি হবে না, \q2 আর জ্ঞানবানের হৃদয় উপযুক্ত সময় ও কাজের নিয়ম জানে। \q1 \v 6 কারণ প্রত্যেক ব্যাপারের জন্য উপযুক্ত সময় ও কাজের নিয়ম আছে, \q2 যদিও মানুষের দৈন্য তার জন্য অতিমাত্র। \b \q1 \v 7 যেহেতু কেউ ভবিষ্যৎ জানে না, \q2 তাকে কে বলতে পারবে যে কী ঘটবে? \q1 \v 8 বাতাসকে\f + \fr 8:8 \fr*\ft বা, আত্মা\ft*\f* যেমন ধরে রাখবার ক্ষমতা কারও নেই, \q2 তেমনি মৃত্যুর সময়ের উপরে কারও হাত নেই। \q1 যুদ্ধের সময় যেমন কেউ ছুটি পায় না, \q2 তেমনি দুষ্টতা কাউকে ছাড়ে না যে তা অভ্যাস করে। \p \v 9 সূর্যের নিচে যা কিছু করা হয় তার দিকে মনোযোগ দিয়ে আমি এসবই দেখেছি। কোনো কোনো সময়ে একজন অন্যের উপরে তার অমঙ্গলের জন্য কর্তৃত্ব করে। \v 10 তারপর, আমি এও দেখলাম দুষ্টদের কবর দেওয়া হল—যারা পবিত্রস্থানে যাতায়াত করত এবং যে নগরে তারা তা করত সেখানে তারা প্রশংসা পেত। এটাও অসার। \p \v 11 অন্যায় কাজের শাস্তি যদি তাড়াতাড়ি দেওয়া না হয় তাহলে লোকদের হৃদয় অন্যায় করবার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়। \v 12 যদিও দুষ্টলোক একশোটি দুষ্কর্ম করে অনেক দিন বেঁচে থাকে তবুও আমি জানি ঈশ্বরকে যারা ভয় করে তাদের মঙ্গল হবে। \v 13 কিন্তু দুষ্টরা ঈশ্বরকে ভয় করে না বলে তাদের মঙ্গল হবে না এবং তাদের আয়ু ছায়ার মতো হবে। \p \v 14 পৃথিবীতে আরও একটি অসার বিষয় ঘটে দুষ্টের যা পাওনা তা ধার্মিক লোক পায় এবং ধার্মিক লোকের যা পাওনা তা দুষ্টলোক পায়। এটাও আমি বলি অসার। \v 15 সেইজন্য আমি জীবনে আমোদের প্রশংসা করছি, কারণ সূর্যের নিচে খাওয়াদাওয়া ও আমোদ করা ছাড়া মানুষের জন্য ভালো আর কিছুই নেই। তাহলে সূর্যের নিচে ঈশ্বরের দেওয়া মানুষের জীবনের সমস্ত দিনগুলিতে তার কাজে আনন্দই হবে তার সঙ্গী। \p \v 16 প্রজ্ঞা পাবার জন্য এবং পৃথিবীতে যা হয় তা বুঝবার জন্য যখন আমি মনোযোগ দিলাম—দিনে কিংবা রাতে মানুষের ঘুম হয় না— \v 17 তখন আমি ঈশ্বরের সমস্ত কাজ দেখলাম। সূর্যের নিচে যে কাজ হয় তা কেউ বুঝতে পারে না। যদিও তা খুঁজে পাবার জন্য তাদের প্রচেষ্টা থাকে তবুও কেউ তার অর্থ খুঁজে পায় না। এমনকি জ্ঞানবানেরা দাবি করে যে তারা জানে, কিন্তু তারা সত্যিই সম্পূর্ণ বুঝতে পারে না। \c 9 \s1 সকলের শেষ অবস্থা একই \p \v 1 সেইজন্য আমি এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করলাম এবং দেখলাম যে, ধার্মিক ও জ্ঞানবান লোকেরা এবং তাদের কাজ সবই ঈশ্বরের হাতে, কিন্তু কেউ জানে না তাদের জন্য প্রেম না ঘৃণা অপেক্ষা করছে। \v 2 সকলের শেষ অবস্থা একই—ধার্মিক ও দুষ্ট, ভালো ও মন্দ, শুচি ও অশুচি, যারা উৎসর্গ অনুষ্ঠান করে ও যারা তা করে না। \q1 ভালো লোকের জন্যও যা, \q2 পাপীর জন্যও তা; \q1 যারা শপথ করে তাদের জন্যও যা, \q2 যারা তা করতে ভয় পায় তাদের জন্যও তা। \p \v 3 সূর্যের নিচে যা কিছু ঘটে তার মধ্যে দুঃখের বিষয় হল: সকলের একই দশা ঘটে। এছাড়া মানুষের হৃদয় মন্দে পরিপূর্ণ এবং যতদিন তারা বেঁচে থাকে ততদিন তাদের হৃদয়ে বিচারবুদ্ধিহীনতা থাকে, আর তারপরে সে মারা যায়। \v 4 জীবিত লোকদের আশা আছে—এমনকি, মরা সিংহের চেয়ে জীবিত কুকুরও ভালো! \q1 \v 5 কারণ জীবিত লোকেরা জানে যে তাদের মরতে হবে, \q2 কিন্তু মৃতেরা কিছুই জানে না; \q1 তাদের আর কোনো পুরস্কার নেই, \q2 আর তাদের কথাও লোকে ভুলে গেছে। \q1 \v 6 তাদের ভালোবাসা, তাদের ঘৃণা \q2 এবং তাদের হিংসা অনেক আগেই অদৃশ্য হয়ে গেছে; \q1 সূর্যের নিচে যা কিছু ঘটবে তাতে \q2 তাদের আর কখনও কোনো অংশ থাকবে না। \p \v 7 তুমি যাও, আনন্দের সঙ্গে তোমার খাবার খাও, আনন্দিত হৃদয়ে দ্রাক্ষারস পান করো, কারণ তোমার এসব কাজ ঈশ্বর আগেই গ্রাহ্য করেছেন। \v 8 সবসময় সাদা কাপড় পরবে আর মাথায় তেল দেবে। \v 9 সূর্যের নিচে ঈশ্বর তোমাকে যে অসার জীবন দিয়েছেন, তোমার জীবনের সেইসব দিনগুলি তোমার স্ত্রী, যাকে তুমি ভালোবাসো, তার সঙ্গে আনন্দে তোমার সকল অসার দিনগুলি কাটাও। কারণ সূর্যের নিচে যে পরিশ্রমে পরিশ্রান্ত হচ্ছো তা তোমার জীবনের পাওনা। \v 10 তোমার হাতে যে কোনো কাজ আসুক না কেন তা তোমার সমস্ত শক্তি দিয়েই কোরো, কারণ তুমি যে জায়গায় যাচ্ছ, সেই মৃতস্থানে, সেখানে কোনো কাজ বা পরিকল্পনা বা বৃদ্ধি কিংবা বিদ্যা বা প্রজ্ঞা বলে কিছুই নেই। \p \v 11 আমি সূর্যের নিচে আরও একটি ব্যাপার দেখলাম \q1 দ্রুতগামীদের জন্য দৌড় নয় \q2 বা শক্তিশালীদের জন্য যুদ্ধ নয় \q1 কিংবা জ্ঞানবানদের জন্য খাবার \q2 কিংবা বুদ্ধিদীপ্তদের জন্য ধনসম্পদ \q2 বা বিজ্ঞদের জন্য অনুগ্রহ আসে না; \q1 কিন্তু সকলের জন্য সময় ও সুযোগ আসে। \p \v 12 আবার, কেউ জানে না তাদের সময় কখন উপস্থিত হবে \q1 মাছ যেমন নিষ্ঠুর জালে ধরা পড়ে, \q2 কিংবা পাখিরা ফাঁদে পড়ে, \q1 তেমনি মানুষ অশুভকালে ধরা পড়ে \q2 যা তাদের উপরে হঠাৎ এসে পড়ে। \s1 মূর্খতার চেয়ে জ্ঞান ভালো \p \v 13 আমি সূর্যের নিচে প্রজ্ঞা সম্বন্ধে আর একটি ব্যাপার দেখলাম যা আমার মনে গভীরভাবে দাগ কাটল \v 14 একবার একটি ছোটো নগর ছিল যেখানে অল্প লোক বাস করত। আর একজন শক্তিশালী রাজা তার বিরুদ্ধে এসে, তার চারিদিকে বিরাট অবরোধ নির্মাণ করল। \v 15 সেই নগরে একজন জ্ঞানবান গরিব লোক বাস করত, এবং সে তার প্রজ্ঞা দিয়ে নগরটি রক্ষা করল। কিন্তু কেউ সেই গরিব লোকটাকে মনে রাখল না। \v 16 তাই আমি বললাম, “শক্তির চেয়ে প্রজ্ঞা ভালো।” কিন্তু সেই গরিব লোকের প্রজ্ঞাকে তুচ্ছ করা হয় এবং তার কথা কেউ শোনে না। \q1 \v 17 বোকাদের শাসনকর্তার চিৎকারের চেয়ে \q2 বরং জ্ঞানবানের শান্তিপূর্ণ কথা শোনা ভালো। \q1 \v 18 যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্রের চেয়ে প্রজ্ঞা ভালো, \q2 কিন্তু একজন পাপী অনেক ভালো কাজ নষ্ট করে। \b \c 10 \q1 \v 1 মরা মাছি যেমন সুগন্ধি তেল দুর্গন্ধ করে তোলে, \q2 তেমনি একটু নির্বুদ্ধিতা প্রজ্ঞা ও সম্মানকে মুছে ফেলে। \q1 \v 2 জ্ঞানবানের হৃদয় তার ডানদিকে ফেরে, \q2 কিন্তু বোকাদের হৃদয় তার বাঁদিকে ফেরে, \q1 \v 3 এমনকি, বোকারা যখন পথ চলে, \q2 তাদের বুদ্ধির অভাব হয় \q2 এবং প্রকাশ করে যে সে কত বোকা। \q1 \v 4 শাসনকর্তা যদি তোমার উপর রেগে যান, \q2 তুমি তোমার পদ ত্যাগ কোরো না; \q2 শান্তভাব থাকলে বড়ো বড়ো অন্যায় অতিক্রম করা যায়। \b \q1 \v 5 আমি সূর্যের নিচে এক মন্দ বিষয় দেখেছি, \q2 শাসনকর্তারা এইরকম ভুল করে থাকে \q1 \v 6 বড়ো বড়ো পদে বুদ্ধিহীনেরা নিযুক্ত হয়, \q2 যেখানে ধনীরা নিচু পদে নিযুক্ত হয়। \q1 \v 7 আমি দাসেদের ঘোড়ার পিঠে দেখেছি, \q2 যেখানে উঁচু পদের কর্মচারীরা দাসের মতো পায়ে হেঁটে চলে। \b \q1 \v 8 যে গর্ত খোঁড়ে সে তার মধ্যে পড়তে পারে; \q2 যে দেয়াল ভাঙে তাকে সাপে কামড়াতে পারে। \q1 \v 9 যে পাথর কাটে সে তার দ্বারাই আঘাত পেতে পারে; \q2 যে কাঠ কাটে সে তার দ্বারাই বিপদে পড়তে পারে। \b \q1 \v 10 কুড়ুল যদি ভোঁতা হয় \q2 আর তাতে ধার দেওয়া না হয়, \q1 তা ব্যবহার করতে বেশি শক্তি লাগে, \q2 কিন্তু দক্ষতা সাফল্য আনে। \b \q1 \v 11 সাপকে মুগ্ধ করার আগেই যদি সে কামড় দেয়, \q2 সাপুড়ে কোনো পারিশ্রমিক পায় না। \b \q1 \v 12 জ্ঞানবানের মুখের কথা অনুগ্রহজনক, \q2 কিন্তু বোকারা তাদের মুখের কথা দিয়ে নিজেদের ধ্বংস করে। \q1 \v 13 মুখের কথার আরম্ভই মূর্খতা; \q2 শেষে তা হল দুষ্টদায়ক প্রলাপ— \q2 \v 14 এবং বুদ্ধিহীনেরা অনেক কথা বলে। \b \q1 ভবিষ্যতে কী হবে কেউ জানে না— \q2 তারপর কী হবে তা তাদের কে জানাতে পারে? \b \q1 \v 15 বোকাদের পরিশ্রম তাদের ক্লান্ত করে; \q2 তারা নগরে যাবার রাস্তা জানে না। \b \q1 \v 16 ধিক্ সেই দেশ যার রাজা আগে দাস\f + \fr 10:16 \fr*\ft রাজা শিশু ছিলেন\ft*\f* ছিলেন \q2 এবং সেখানকার রাজপুরুষেরা সকাল বেলাতেই ভোজ খায়। \q1 \v 17 ধন্য সেই দেশ যার রাজা সম্ভ্রান্তবংশীয় \q2 এবং সেখানকার রাজপুরুষেরা সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করে—শক্তির জন্য, \q2 মাতলামির জন্য নয়। \b \q1 \v 18 আলস্যে ঘরের ছাদ ধসে যায়; \q2 অলসতার জন্য ঘরে জল পড়ে। \b \q1 \v 19 হাসিখুশির জন্য ভোজের ব্যবস্থা করা হয়, \q2 দ্রাক্ষারস জীবনে আনন্দ আনে, \q2 এবং অর্থ সবকিছু যোগায়। \b \q1 \v 20 মনে মনেও রাজাকে অভিশাপ দিয়ো না, \q2 কিংবা নিজের শোবার ঘরে ধনীকে অভিশাপ দিয়ো না, \q1 কারণ আকাশের পাখিও তোমার কথা বয়ে নিয়ে যেতে পারে, \q2 এবং পাখি উড়ে গিয়ে তোমার কথা বলে দিতে পারে। \c 11 \s1 অনেক উদ্যোগে বিনিয়োগ করো \q1 \v 1 তুমি জলের উপরে তোমার শস্য ছড়িয়ে দাও; \q2 অনেক দিন পরে তুমি হয়তো তার ফল পাবে। \q1 \v 2 সাতটি উদ্যোগে বিনিয়োগ করো, হ্যাঁ আটটিতে; \q2 কারণ তুমি জানো না পৃথিবীতে কী বিপদ আসবে। \b \q1 \v 3 মেঘ যদি জলে পূর্ণ থাকে, \q2 তারা পৃথিবীতে বৃষ্টি ঢালে। \q1 গাছ দক্ষিণে কী উত্তরে পড়ুক, \q2 যেখানে পড়বে, সেখানেই পড়ে থাকবে। \q1 \v 4 যে বাতাসের দিকে তাকায় তার বীজ বোনা হয় না; \q2 যে মেঘ দেখে তার শস্য কাটা হয় না। \b \q1 \v 5 তুমি যেমন বাতাসের পথ জানো না, \q2 কিংবা মায়ের গর্ভে কেমন করে শরীর গঠন হয়, \q1 তেমনি তুমি ঈশ্বরের কাজও বুঝতে পারবে না, \q2 যিনি সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা। \b \q1 \v 6 তোমার বীজ সকালে বোনো, \q2 আর বিকালে তোমার হাতকে অলস হতে দিয়ো না, \q1 কারণ তুমি জানো না কোনটি কৃতকার্য হবে, \q2 এটি না ওটি, \q2 কিংবা দুটোই সমানভাবে ভালো হবে। \s1 যৌবনকালে তোমার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করো \q1 \v 7 আলো মিষ্ট, \q2 আর সূর্য দেখলে চোখ সন্তুষ্ট হয়। \q1 \v 8 কোনো একজন অনেক দিন বাঁচতে পারে, \q2 সে যেন সেই দিনগুলিতে আনন্দ ভোগ করে। \q1 কিন্তু অন্ধকারের দিনগুলির কথা যেন সে মনে রাখে, \q2 কারণ সেগুলি হবে অনেক। \q2 যা কিছু ঘটে তা সবই অসার। \b \q1 \v 9 হে যুবক, তোমার যৌবনকালে তুমি সুখী হও, \q2 আর তোমার যৌবনে তোমার হৃদয় তোমাকে আনন্দ দিক। \q1 তোমার হৃদয়ের ইচ্ছামতো পথে চলো \q2 এবং তোমার চোখ যা কিছু দেখে, \q1 তুমি কিন্তু জেনে রাখো এসব বিষয়ের জন্য \q2 ঈশ্বর তোমার বিচার করবেন। \q1 \v 10 সেইজন্য, তোমার হৃদয় থেকে উদ্বেগ দূর করো \q2 আর তোমার শরীর থেকে দুঃখ সরিয়ে ফেলো, \q2 কারণ যৌবন ও তেজ অসার। \b \c 12 \q1 \v 1 তোমার যৌবনকালে \q2 তোমার সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করো, \q1 দুঃখের দিনগুলি আসার আগে \q2 আর সেই বছর সকল কাছে আসার সময় তুমি যখন বলবে, \q2 “এই সবে আমার কোনো আনন্দ নেই”— \q1 \v 2 তখন সূর্য ও আলো \q2 আর চাঁদ ও তারা যখন অন্ধকার হবে, \q2 আর বৃষ্টির পরে মেঘ ফিরে আসে; \q1 \v 3 সেদিনে বাড়ির রক্ষাকারীরা কাঁপবে, \q2 আর শক্তিশালী লোকেরা নত হবে, \q1 যারা পেষণ করে তারা অল্প সংখ্যক বলে কাজ ছেড়ে দেবে। \q2 আর যারা জানালার ভিতর থেকে দেখে তাদের দৃষ্টি অস্পষ্ট হবে; \q1 \v 4 যখন রাস্তার দিকের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে \q2 আর জাঁতার আওয়াজ কমে যাবে; \q1 যখন পাখির আওয়াজে লোকে উঠবে, \q2 কিন্তু তাদের সব গান ক্ষীণ হয়ে যাবে; \q1 \v 5 যখন লোকেরা উঁচু জায়গাকে \q2 আর রাস্তার বিপদকে ভয় পাবে; \q1 যখন কাঠবাদাম গাছে ফুল ফুটবে \q2 আর ফড়িং টেনে টেনে হাঁটবে \q2 এবং বাসনা আর উত্তেজিত হবে না। \q1 তখন লোকে তাদের অনন্তকালের বাড়িতে চলে যাবে \q2 আর বিলাপকারীরা পথে পথে ঘুরবে। \b \q1 \v 6 রুপোর তার ছিঁড়ে যাওয়ার আগে, \q2 কিংবা সোনার পাত্র ভেঙে যাওয়ার আগে; \q1 ফোয়ারার কাছে কলশি চুরমার করার আগে, \q2 কিংবা কুয়োর জল তোলার চাকা ভেঙে যাওয়ার আগে—তাকে স্মরণ করো। \q1 \v 7 আর ধুলো মাটিতেই ফিরে যাবে যেখান থেকে সে এসেছে, \q2 এবং আত্মা যাঁর দান, সেই ঈশ্বরের কাছেই ফিরে যাবে। \b \q1 \v 8 উপদেশক বললেন, “অসার! অসার! \q2 সবকিছুই অসার!” \s1 এই বিষয়ের উপসংহার \p \v 9 উপদেশক নিজেই কেবল জ্ঞানবান ছিলেন না, কিন্তু তিনি লোকদের জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি চিন্তা করে ও পরীক্ষা করে অনেক প্রবাদ সাজিয়েছেন। \v 10 উপদেশক উপযুক্ত শব্দের খোঁজ করেছেন, আর তিনি যা লিখেছেন তা খাঁটি ও সত্যিকথা। \p \v 11 জ্ঞানবান লোকদের কথা রাখালের অঙ্কুশের মতো, তাদের কথাগুলি একত্র করলে মনে হয় যেন সেগুলি সব শক্ত করে গাঁথা পেরেক—যা একজন রাখাল বলেছেন। \v 12 হে আমার সন্তান, এর সঙ্গে কিছু যোগ করা হচ্ছে কি না সেই বিষয় সতর্ক থেকো। \p বই লেখার শেষ নেই আর অনেক পড়াশোনায় শরীর ক্লান্ত হয়। \q1 \v 13 এখন সবকিছু তো শোনা হল; \q2 তবে শেষ কথা এই যে \q1 ঈশ্বরকে ভয় করো এবং তাঁর আজ্ঞাসকল পালন করো, \q2 কেননা এটাই সমস্ত মানুষের কর্তব্য। \q1 \v 14 কারণ ঈশ্বর প্রত্যেকটি কাজের বিচার করবেন, \q2 এমনকি সমস্ত গুপ্ত বিষয়, \q2 তা ভালো হোক বা মন্দ হোক।