\id 2CH - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h 2 বংশাবলি \toc1 বংশাবলির দ্বিতীয় পুস্তক \toc2 2 বংশাবলি \toc3 2বংশা \mt1 বংশাবলির দ্বিতীয় পুস্তক \c 1 \s1 শলোমন প্রজ্ঞা চান \p \v 1 দাউদের ছেলে শলোমন তাঁর রাজ্যের উপর নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন, কারণ তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর সাথেই ছিলেন ও তিনি তাঁকে খুব উন্নত করলেন। \p \v 2 পরে শলোমন সমস্ত ইস্রায়েলের সাথে—সহস্র-সেনাপতিদের ও শত-সেনাপতিদের, বিচারকদের এবং ইস্রায়েলের সব নেতার, অর্থাৎ বিভিন্ন বংশের কর্তাব্যক্তিদের—সাথে কথা বললেন \v 3 এবং শলোমন ও সমগ্র জনসমাজ গিবিয়োনের উঁচু স্থানটিতে গেলেন, কারণ ঈশ্বরের সেই সমাগম তাঁবুটি সেখানেই ছিল, যেটি সদাপ্রভুর দাস মোশি মরুপ্রান্তরে তৈরি করলেন। \v 4 ইত্যবসরে দাউদ কিরিয়ৎ-যিয়ারীম থেকে ঈশ্বরের তাঁবুটি সেখানেই নিয়ে এলেন, যে স্থানটি তিনি সেটি রাখার জন্য তৈরি করলেন, কারণ জেরুশালেমেই তিনি সেটি রাখার জন্য একটি তাঁবু খাটিয়েছিলেন। \v 5 কিন্তু হূরের নাতি তথা ঊরির ছেলে বৎসলেলের তৈরি করা ব্রোঞ্জের সেই বেদিটি গিবিয়োনে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর সামনেই রাখা ছিল; তাই শলোমন ও সেই জনসমাজ সেখানেই তাঁর কাছে খোঁজখবর নিয়েছিলেন। \v 6 শলোমন সমাগম তাঁবুতে সদাপ্রভুর সামনে রাখা ব্রোঞ্জের বেদির কাছে গেলেন ও সেটির উপর এক হাজার হোমবলি উৎসর্গ করলেন। \p \v 7 সেরাতে ঈশ্বর শলোমনের কাছে আবির্ভূত হয়ে বললেন, “তোমার যা ইচ্ছা হয়, আমার কাছে তাই চেয়ে নাও।” \p \v 8 শলোমন ঈশ্বরকে উত্তর দিলেন, “আমার বাবা দাউদের প্রতি তুমি যথেষ্ট দয়া দেখিয়েছ এবং তাঁর স্থানে তুমি আমাকেই রাজা করেছ। \v 9 এখন, হে ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমার বাবা দাউদের কাছে করা তোমার প্রতিজ্ঞাটি সুনিশ্চিত করো, কারণ তুমি আমাকে এমন এক জাতির উপরে রাজা করেছ, যারা সংখ্যায় পৃথিবীর ধূলিকণার মতো অসংখ্য। \v 10 আমাকে তুমি এমন প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দাও, যেন আমি এইসব লোককে পরিচালনা করতে পারি, কারণ কে-ই বা তোমার এই বিশাল প্রজাপালকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম?” \p \v 11 ঈশ্বর শলোমনকে বললেন, “যেহেতু এই তোমার অন্তরের বাসনা ও তুমি ধনসম্পদ, অধিকার বা সম্মান চাওনি, না তুমি তোমার শত্রুদের মৃত্যু কামনা করেছ, এবং যেহেতু তুমি দীর্ঘায়ু না চেয়ে যাদের উপর আমি তোমাকে রাজা করেছি, আমার সেই প্রজাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রজ্ঞা ও জ্ঞান চেয়েছ, \v 12 তাই তোমাকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দেওয়া হবে। এছাড়াও আমি তোমাকে এমন ধনসম্পদ, অধিকার ও সম্মান দেব, যেমনটি না তোমার আগে রাজত্ব করে যাওয়া কোনও রাজা পেয়েছে বা তোমার পরে আসতে চলেছে, এমন কোনও রাজা কখনও পাবে।” \p \v 13 পরে শলোমন গিবিয়োনের সেই উঁচু স্থানটি ছেড়ে, সমাগম তাঁবুর সামনে থেকে জেরুশালেমে ফিরে গেলেন। আর তিনি ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করে যেতে লাগলেন। \p \v 14 শলোমন প্রচুর রথ ও ঘোড়া একত্রিত করলেন; তাঁর কাছে এক হাজার চারশো রথ ও 12,000 ঘোড়া\f + \fr 1:14 \fr*\ft অথবা, সারথি\ft*\f* ছিল, যা তিনি বিভিন্ন রথ-নগরীতে রেখেছিলেন এবং কয়েকটিকে তিনি নিজের কাছে জেরুশালেমেও রেখেছিলেন। \v 15 জেরুশালেমে রাজা, রুপো ও সোনাকে পাথরের মতো সাধারণ স্তরে নামিয়ে এনেছিলেন, এবং দেবদারু কাঠকে পর্বতমালার পাদদেশে উৎপন্ন ডুমুর গাছের মতো পর্যাপ্ত করে তুলেছিলেন। \v 16 শলোমনের ঘোড়াগুলি আমদানি করা হত মিশর ও কুই\f + \fr 1:16 \fr*\ft খুব সম্ভবত সিলিসিয়া\ft*\f* থেকে—রাজকীয় বণিকেরা বাজার দরে সেগুলি কুই থেকে কিনে আনত। \v 17 তারা মিশর থেকে এক-একটি রথ আমদানি করত ছয়শো শেকল\f + \fr 1:17 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 6.9 কিলোগ্রাম\ft*\f* রুপো দিয়ে, এবং এক-একটি ঘোড়া আমদানি করত একশো 50 শেকলে।\f + \fr 1:17 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 1.7 কিলোগ্রাম\ft*\f* এছাড়াও হিত্তীয় ও অরামীয় সব রাজার কাছে তারা সেগুলি রপ্তানিও করত। \c 2 \s1 মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি \p \v 1 শলোমন সদাপ্রভুর নামের উদ্দেশে একটি মন্দির এবং নিজের জন্য একটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করার আদেশ দিলেন। \v 2 70,000 জনকে ভারবহন করার ও 80,000 জনকে পাহাড়ে পাথর কাটার ও 3,600 জনকে তাদের উপর সর্দার-শ্রমিকরূপে তিনি বাধ্যতামূলকভাবে কাজে লাগলেন। \p \v 3 সোরের রাজা হীরমের\f + \fr 2:3 \fr*\ft অথবা, হূরমের; 11 ও 12 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* কাছে শলোমন এই খবর দিয়ে পাঠালেন: \pm “আমার বাবা দাউদের থাকার জন্য এক প্রাসাদ তৈরি করার লক্ষ্যে যেভাবে আপনি তাঁর কাছে দেবদারু কাঠ পাঠালেন, সেভাবে আমার কাছেও আপনি কিছু দেবদারু কাঠের গুঁড়ি পাঠিয়ে দিন। \v 4 আমি এখন আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের উদ্দেশে একটি মন্দির তৈরি করে তাঁর সামনে সুগন্ধি ধূপ পোড়ানোর জন্য, নিয়মিতভাবে উৎসর্গীকৃত রুটি সাজিয়ে রাখার জন্য, এবং প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ও সাব্বাথবারে\f + \fr 2:4 \fr*\ft অথবা, বিশ্রামবারে\ft*\f*, অমাবস্যায় ও আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর স্থির করে দেওয়া উৎসবের দিনগুলিতে হোমবলি উৎসর্গ করার জন্য সেটি তাঁর কাছে উৎসর্গ করতে চলেছি। এটি ইস্রায়েলের জন্য চিরস্থায়ী পালনীয় এক নিয়ম। \pm \v 5 “যে মন্দিরটি আমি তৈরি করতে চলেছি, সেটি হবে অসামান্য, কারণ আমাদের ঈশ্বর অন্য সব দেবতার তুলনায় মহান। \v 6 কিন্তু তাঁর জন্য এক মন্দির নির্মাণ করতে কে-ই বা সক্ষম, যেহেতু আকাশমণ্ডল, এমনকি স্বর্গের স্বর্গও যে তাঁকে ধারণ করতে অপারক? তবে শুধু তাঁর সামনে বলিকৃত উপহারগুলি জ্বালানোর উপযোগী এক স্থান তৈরি করা ছাড়া আমি কি তাঁর জন্য এক মন্দির নির্মাণ করতে পারব? \pm \v 7 “অতএব আমার কাছে এমন একজন কারিগর পাঠিয়ে দিন যে সোনার ও রুপোর, ব্রোঞ্জের ও লোহার, এবং বেগুনি, রক্তলাল ও নীল সুতোর কাজে দক্ষ, এবং সে যেন খোদাই করার কাজেও অভিজ্ঞ হয়, এবং যিহূদা ও জেরুশালেমে আমার সেইসব দক্ষ কারিগরের সাথে মিলেমিশে সে যেন কাজ করতে পারে, যাদের আমার বাবা দাউদ জোগাড় করে রেখেছিলেন। \pm \v 8 “এছাড়াও আমার কাছে লেবানন থেকে দেবদারু, চিরহরিৎ গাছের ও আলগুম\f + \fr 2:8 \fr*\ft খুব সম্ভবত, আলমাগ\ft*\f* কাঠের গুঁড়িও পাঠিয়ে দিন, কারণ আমি জানি যে আপনার দাসেরা সেখানে কাঠ কাটার কাজে বেশ দক্ষ। আমার দাসেরাও আপনার দাসেদের সাথে মিলেমিশে \v 9 প্রচুর পরিমাণ তক্তা জোগানোর জন্য কাজ করবে, কারণ যে মন্দিরটি আমি তৈরি করছি, সেটি হবে বিশাল বড়ো ও দর্শনীয়। \v 10 আমি আপনার দাসেদের, যারা কাঠ কাটবে, সেইসব কাঠুরিয়াকে 20,000 কোর\f + \fr 2:10 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 3,600 টন, বা প্রায় 3,200 মেট্রিক টন\ft*\f* পেষাই করা গম, 20,000 কোর\f + \fr 2:10 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 3,000 টন, বা প্রায় 2,700 মেট্রিক টন\ft*\f* যব, 20,000 বাৎ\f + \fr 2:10 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 1,20,000 গ্যালন, বা প্রায় 4,40,000 লিটার\ft*\f* দ্রাক্ষারস ও 20,000 বাৎ জলপাই তেল দেব।” \p \v 11 সোরের রাজা হীরম শলোমনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এর উত্তর দিলেন: \pm “সদাপ্রভু যেহেতু তাঁর প্রজাদের ভালোবাসেন, তাই তিনি আপনাকে তাদের রাজা করেছেন।” \p \v 12 হীরম সাথে আরও বললেন: \pm “ইস্রায়েলের সদাপ্রভু সেই ঈশ্বরের প্রশংসা হোক, যিনি স্বর্গ ও মর্ত্য তৈরি করেছেন! তিনি রাজা দাউদকে এমন এক বিচক্ষণ ছেলে দিয়েছেন, যিনি বুদ্ধিমত্তা ও দূরদৃষ্টিতে পরিপূর্ণ, এবং তিনিই সদাপ্রভুর জন্য এক মন্দির ও নিজের জন্য এক প্রাসাদ তৈরি করবেন। \pm \v 13 “আমি আপনার কাছে সেই হূরম-আবিকে পাঠাচ্ছি, যে যথেষ্ট দক্ষ এক লোক, \v 14 যার মায়ের বাড়ি দানে ও বাবার বাড়ি সোরে। সে সোনা ও রুপোর, ব্রোঞ্জ ও লোহার, পাথর ও কাঠের, এবং বেগুনি, নীল ও রক্তলাল সুতোর এবং মিহি মসিনার কাজে প্রশিক্ষণ পেয়েছে। সব ধরনের খোদাইয়ের কাজে সে অভিজ্ঞ এবং তাকে দেওয়া যে কোনো নকশা সে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। সে আপনার দক্ষ কারিগরদের ও আপনার বাবা, আমার প্রভু দাউদের দক্ষ কারিগরদের সাথেও কাজ করবে। \pm \v 15 “এখন আপনার করা প্রতিজ্ঞানুসারেই হে আমার প্রভু, আপনি আপনার দাসদের কাছে গম ও যব এবং জলপাই তেল ও দ্রাক্ষারস পাঠিয়ে দিন, \v 16 এবং আমরাও আপনার চাহিদানুসারে লেবানন থেকে কাঠের গুঁড়িগুলি কেটে সমুদ্রপথে সেসব ভেলায় করে ভাসিয়ে জোপ্পা পর্যন্ত পৌঁছে দেব। পরে আপনি সেগুলি জেরুশালেমে উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।” \p \v 17 শলোমনের বাবা দাউদ জনগণনা করানোর পর আরও একবার শলোমন ইস্রায়েলে বসবাসকারী সব বিদেশি লোকের জনগণনা করিয়েছিলেন; এবং তাদের সংখ্যা হল 1,53,600 জন। \v 18 তাদের মধ্যে 70,000 জনকে তিনি ভারবহন করার ও 80,000 জনকে পাহাড়ে পাথর কাটার কাজে, তথা 3,600 জনকে তাদের উপর সর্দার-শ্রমিকরূপে নিযুক্ত করে দিলেন, যেন তারা লোকদের দিয়ে ঠিকঠাক কাজ করাতে পারে। \c 3 \s1 শলোমন মন্দির নির্মাণ করলেন \p \v 1 পরে শলোমন জেরুশালেমে সেই মোরিয়া পর্বতের উপর মন্দির নির্মাণ করতে শুরু করলেন, যেখানে সদাপ্রভু তাঁর বাবা দাউদের কাছে আবির্ভূত হয়েছিলেন। যিবূষীয় অরৌণার\f + \fr 3:1 \fr*\ft অথবা, অর্ণানের\ft*\f* সেই খামারের উপরেই সেটি অবস্থিত ছিল, যে স্থানটি দাউদ জোগাড় করেছিলেন। \v 2 শলোমনের রাজত্বের চতুর্থ বছরের দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় দিনে তিনি সেই নির্মাণকাজটি শুরু করলেন। \p \v 3 ঈশ্বরের মন্দিরটি তৈরি করতে গিয়ে শলোমন যে ভীত গেঁথেছিলেন, তার মাপ হল সাতাশ মিটার লম্বা ও নয় মিটার চওড়া\f + \fr 3:3 \fr*\ft অর্থাৎ, ষাট হাত লম্বা ও কুড়ি হাত চওড়া\ft*\f* (পুরোনো দিনের হাতের মাপ অনুসারে)। \v 4 মন্দিরের সামনের দিকের বারান্দাটি ভবনের প্রস্থানুসারে নয় মিটার করে লম্বা ও উঁচু\f + \fr 3:4 \fr*\ft অর্থাৎ, কুড়ি হাত; 8, 11 ও 13 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* হল। \p ভিতরের দিকটি তিনি খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। \v 5 প্রধান বড়ো ঘরটিতে তিনি চিরহরিৎ গাছ থেকে উৎপন্ন কাঠের তক্তা বসিয়েছিলেন এবং খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন ও সেটি খেজুর গাছের ও শিকলের নকশা দিয়ে সাজিয়ে তুলেছিলেন। \v 6 মন্দিরটি তিনি দামি মণিমুক্তো দিয়েও সাজিয়ে তুলেছিলেন। আর যে সোনা তিনি সেখানে ব্যবহার করলেন, তা হল পর্বয়িম দেশের সোনা। \v 7 মন্দিরের ছাদের কড়িকাঠ, দরজার চৌকাঠ, দেয়াল ও দরজাগুলি তিনি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন, এবং দেয়ালের উপরে তিনি করূবের নকশা ফুটিয়ে তুলেছিলেন। \p \v 8 তিনি মহাপবিত্র স্থানটিও তৈরি করলেন, এবং মন্দিরের প্রস্থানুসারে সেটির দৈর্ঘ্য হল—নয় মিটার করে লম্বা ও চওড়া। ভিতরের দিকটি তিনি ছয়শো তালন্ত\f + \fr 3:8 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 23 টন, বা প্রায় 21 মেট্রিক টন\ft*\f* খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। \v 9 সোনার পেরেকগুলির মোট ওজন হল পঞ্চাশ শেকল।\f + \fr 3:9 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 575 গ্রাম\ft*\f* উপর দিকের ঘরগুলিও তিনি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। \p \v 10 মহাপবিত্র স্থানের জন্য তিনি করূবাকৃতি এক জোড়া ভাস্কর্যমূর্তি তৈরি করে সেগুলি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। \v 11 করূব দুটির ডানার মোট দৈর্ঘ্য হল নয় মিটার। প্রথম করূবটির একটি ডানা ছিল 2.3 মিটার\f + \fr 3:11 \fr*\ft অর্থাৎ, পাঁচ হাত; 15 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* লম্বা এবং সেটি মন্দিরের দেয়াল ছুঁয়েছিল, আবার সেটির অন্য ডানাটিও ছিল 2.3 মিটার লম্বা, ও সেই ডানাটি অন্য একটি করূবের ডানা ছুঁয়েছিল। \v 12 তেমনি আবার দ্বিতীয় করূবটির একটি ডানা ছিল 2.3 মিটার লম্বা ও সেটি মন্দিরের অন্য দেয়ালটি ছুঁয়েছিল, এবং সেটির অন্য ডানাটিও ছিল 2.3 মিটার লম্বা, ও সেই ডানাটি প্রথম করূবটির ডানা ছুঁয়েছিল। \v 13 এই করূব দুটির ডানাগুলি নয় মিটার ছড়ানো ছিল। সেগুলি নিজেদের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়েছিল, ও প্রধান বড়ো ঘরটির দিকে মুখ করেই\f + \fr 3:13 \fr*\ft অথবা, ভিতরের দিকে মুখ করে\ft*\f* দাঁড়িয়েছিল। \p \v 14 নীল, বেগুনি ও টকটকে লালা সুতো ও মিহি মসিনা দিয়ে তিনি একটি পর্দা তৈরি করলেন এবং সেই পর্দায় করূবের নকশা ফুটিয়ে তুললেন। \p \v 15 মন্দিরের সামনের দিকের জন্য তিনি এমন দুটি স্তম্ভ তৈরি করলেন, একসাথে যেগুলির দৈর্ঘ্য হল ষোলো মিটার,\f + \fr 3:15 \fr*\ft অর্থাৎ, পঁয়ত্রিশ হাত\ft*\f* এবং প্রত্যেকটিতে 2.3 মিটার করে উঁচু এক-একটি স্তম্ভশীর্ষ ছিল। \v 16 তিনি একসাথে গাঁথা শেকল\f + \fr 3:16 \fr*\ft অথবা, খুব সম্ভবত, ভিতরদিকের পীঠস্থানের জন্য শিকল তৈরি করলেন; হিব্রু ভাষায় এই কথাটির অর্থ খুব একটি স্পষ্ট নয়\ft*\f* তৈরি করে সেগুলি স্তম্ভগুলির মাথায় পরিয়ে দিলেন। এছাড়াও তিনি একশোটি ডালিম তৈরি করে, সেগুলি শিকলের সাথে জুড়ে দিলেন। \v 17 মন্দিরের সামনের দিকে তিনি দুটি স্তম্ভ বসিয়ে দিলেন, একটি দক্ষিণ দিকে এবং অন্য একটি উত্তর দিকে। দক্ষিণ দিকের স্তম্ভটির নাম তিনি দিলেন যাখীন\f + \fr 3:17 \fr*\ft খুব সম্ভবত যার অর্থ তিনি প্রতিষ্ঠিত করলেন\ft*\f* ও উত্তর দিকের স্তম্ভটির নাম দিলেন বোয়স।\f + \fr 3:17 \fr*\ft খুব সম্ভবত যার অর্থ তাঁতেই শক্তি আছে\ft*\f* \c 4 \s1 মন্দিরের আসবাবপত্রাদি \p \v 1 তিনি প্রায় 9 মিটার করে লম্বা ও চওড়া ও প্রায় 4.6 মিটার উঁচু\f + \fr 4:1 \fr*\ft প্রাচীন মাপ অনুসারে, কুড়ি হাত করে লম্বা ও চওড়া এবং দশ হাত উঁচু\ft*\f* ব্রোঞ্জের একটি বেদি তৈরি করলেন। \v 2 ধাতু ছাঁচে ঢেলে তিনি গোলাকার এমন এক সমুদ্রপাত্র তৈরি করলেন, যা মাপে এক কিনারা থেকে অন্য কিনারা পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে হল প্রায় 4.6 মিটার\f + \fr 4:2 \fr*\ft প্রাচীন মাপ অনুসারে, দশ হাত\ft*\f* ও উচ্চতায় হল প্রায় 2.3 মিটার।\f + \fr 4:2 \fr*\ft প্রাচীন মাপ অনুসারে, পাঁচ হাত\ft*\f* সেটি ঘিরে মাপা হলে, তা প্রায় 13.8 মিটার\f + \fr 4:2 \fr*\ft প্রাচীন মাপ অনুসারে, ত্রিশ হাত\ft*\f* হল। \v 3 ঘেরের নিচের দিক ঘিরে প্রায় 45 সেন্টিমিটার এক হাতের দশ ভাগের এক ভাগ\f + \fr 4:3 \fr*\ft প্রাচীন মাপ অনুসারে, 1 হাতের 10 ভাগের 1 ভাগ\ft*\f* মাপের কয়েকটি বলদের আকৃতি ঢালাই করে দেওয়া হল। সমুদ্রপাত্রের সাথেই বলদগুলি একটি করে দুই দুই সারিতে ঢালাই করে দেওয়া হল। \p \v 4 সমুদ্রপাত্রটি বারোটি বলদের উপর দাঁড় করানো ছিল। সেগুলির মধ্যে তিনটি উত্তর দিকে, তিনটি পশ্চিমদিকে, তিনটি দক্ষিণ দিকে ও তিনটি পূর্বদিকে মুখ করে ছিল। সমুদ্রপাত্রটি সেগুলির উপরেই ভর দিয়েছিল, এবং সেগুলির শরীরের পিছনের অংশগুলি কেন্দ্রস্থলের দিকে রাখা ছিল। \v 5 সমুদ্রপাত্রটি প্রায় 75 সেন্টিমিটার\f + \fr 4:5 \fr*\ft প্রাচীন মাপ অনুসারে, 4 আঙুল\ft*\f* পুরু ছিল, ও সেটির পরিধি ছিল একটি পেয়ালার পরিধির মতো, বা একটি লিলিফুলের মতো। সেটিতে 3,000 বাত\f + \fr 4:5 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 18,000 গ্যালন, বা প্রায় 66,000 লিটার\ft*\f* জল রাখা যেত। \p \v 6 পরে তিনি ধোয়াধুয়ি করার জন্য দশটি গামলা তৈরি করলেন এবং পাঁচটি দক্ষিণ দিকে ও পাঁচটি উত্তর দিকে রেখে দিলেন। হোমবলির জন্য ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র সেগুলির মধ্যে রেখে ধোয়া হত, কিন্তু সমুদ্রপাত্রটি যাজকই ধোয়াধুয়ি করার জন্য ব্যবহার করতেন। \p \v 7 যেমনভাবে তৈরি করতে বলা হল, ঠিক সেভাবেই তিনি সোনার দশটি বাতিদান তৈরি করলেন এবং সেগুলি মন্দিরে রেখে দিলেন—পাঁচটি দক্ষিণ দিকে ও পাঁচটি উত্তর দিকে। \p \v 8 তিনি দশটি টেবিল তৈরি করলেন এবং সেগুলি মন্দিরে রেখে দিলেন—পাঁচটি দক্ষিণ দিকে ও পাঁচটি উত্তর দিকে। এছাড়াও তিনি জল ছিটানোর কাজে ব্যবহারযোগ্য একশোটি সোনার বাটিও তৈরি করলেন। \p \v 9 তিনি যাজকদের জন্য একটি উঠোন, এবং বিশাল আর একটি উঠোন ও সেখানকার কয়েকটি দরজা তৈরি করলেন, ও দরজাগুলি ব্রোঞ্জ দিয়ে মুড়ে দিলেন। \v 10 সমুদ্রপাত্রটিকে তিনি দক্ষিণ দিকে, একেবারে দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন। \p \v 11 এছাড়া হূরমও আরও কয়েকটি পাত্র, বেলচা ও জল ছিটানোর বাটিও তৈরি করল। \p অতএব ঈশ্বরের মন্দিরে রাজা শলোমনের জন্য হূরম যা যা করার দায়িত্ব নিয়েছিল, সেগুলি সে সম্পূর্ণ করল: \b \li1 \v 12 দুটি স্তম্ভ; \li1 স্তম্ভের উপরে বসানোর জন্য গামলার আকারবিশিষ্ট দুটি স্তম্ভশীর্ষ; \li1 স্তম্ভের উপরে বসানো গামলার আকারবিশিষ্ট দুটি স্তম্ভশীর্ষ সাজিয়ে তোলার জন্য দুই সারি পরস্পরছেদী জাল; \li1 \v 13 দুই সারি পরস্পরছেদী জালের জন্য 400 ডালিম (স্তম্ভগুলির উপরে বসানো গামলার আকারবিশিষ্ট স্তম্ভশীর্ষ সাজিয়ে তোলার কাজে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি পরস্পরছেদী জালের জন্য দুই সারি করে ডালিম); \li1 \v 14 কয়েকটি তাক ও ধোয়াধুয়ি করার জন্য তাকের সাথে লেগে থাকা কয়েকটি গামলা; \li1 \v 15 সমুদ্রপাত্র ও সেটির নিচে থাকা বারোটি বলদ; \li1 \v 16 কয়েকটি হাঁড়ি, বেলচা, মাংস তোলার কাঁটাচামচ ও আনুষঙ্গিক বাকি সব জিনিসপত্র। \b \p সদাপ্রভুর মন্দিরের জন্য রাজা শলোমনের হয়ে হূরম-আবি যেসব সামগ্রী তৈরি করল, সেসবই তৈরি হল পালিশ করা ব্রোঞ্জ দিয়ে। \v 17 জর্ডন-সমভূমিতে সুক্কোৎ ও সর্তনের\f + \fr 4:17 \fr*\ft অথবা, “সরেদার”\ft*\f* মাঝামাঝি এক স্থানে মাটির ছাঁচে করে রাজা সেগুলি ঢালাই করিয়েছিলেন। \v 18 শলোমন এই যেসব জিনিসপত্র তৈরি করলেন, সেগুলি পরিমাণে এত বেশি হল যে ব্রোঞ্জের ওজন হিসেব করে রাখা যায়নি। \p \v 19 এছাড়াও শলোমন সেইসব আসবাবপত্রাদি তৈরি করলেন, যেগুলি ঈশ্বরের মন্দিরে রাখা হল: \b \li1 সোনার যজ্ঞবেদি; \li1 দর্শন-রুটি রাখার টেবিলগুলি; \li1 \v 20 যেমনভাবে তৈরি করতে বলা হল, ঠিক সেভাবেই তৈরি করা বাতি সমেত খাঁটি সোনার সেই দীপাধারগুলি, যেগুলি মহাপবিত্র স্থানের সামনে জ্বালাতে হত; \li1 \v 21 সোনার ফুলের কাজ এবং প্রদীপ ও চিমটেগুলি (সেগুলি নিরেট সোনা দিয়ে তৈরি হল); \li1 \v 22 খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি পলতে ছাঁটার যন্ত্র, জল ছিটানোর জন্য ব্যবহারযোগ্য বাটি, তথা থালা ও ধূপদানিগুলি; এবং মন্দিরের সোনার দরজাগুলি: মহাপবিত্র স্থানের দিকে থাকা ভিতরদিকের দরজাগুলি ও প্রধান বড়ো ঘরের দরজাগুলি। \b \c 5 \p \v 1 সদাপ্রভুর মন্দিরের জন্য শলোমনের করা সব কাজ সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর তিনি তাঁর বাবা দাউদের উৎসর্গ করা জিনিসপত্র—রুপো ও সোনা এবং সব আসবাবপত্রাদি—সেখানে নিয়ে এলেন এবং ঈশ্বরের মন্দিরের কোষাগারে সেগুলি রেখে দিলেন। \s1 নিয়ম-সিন্দুকটি মন্দিরে আনা হল \p \v 2 পরে দাউদ-নগরী সিয়োন থেকে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি নিয়ে আসার জন্য শলোমন ইস্রায়েলের প্রাচীনদের, বিভিন্ন গোষ্ঠীর সব কর্তাব্যক্তিকে ও ইস্রায়েলী বংশের প্রধান লোকজনদের জেরুশালেমে ডেকে পাঠালেন। \v 3 সপ্তম মাসে উৎসব চলাকালীন ইস্রায়েলীরা সবাই রাজার কাছে একত্রিত হল। \p \v 4 ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা সবাই সেখানে পৌঁছে যাওয়ার পর লেবীয়েরা সেই সিন্দুকটি উঠিয়েছিলেন, \v 5 এবং তারা সেই সিন্দুকটি ও সমাগম তাঁবুটি ও সেখানে রাখা সব পবিত্র আসবাবপত্রাদি উঠিয়ে এনেছিল। লেবীয় বংশোদ্ভুক্ত যাজকেরা সেগুলি বহন করলেন; \v 6 আর রাজা শলোমন ও তাঁর কাছে একত্রিত হওয়া ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাজ সিন্দুকটির সামনে উপস্থিত হয়ে এত মেষ ও গবাদি পশুবলি দিলেন, যে সেগুলি নথিভুক্ত করে বা গুনে রাখা সম্ভব হয়নি। \p \v 7 যাজকেরা পরে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি মন্দিরের ভিতরদিকের পীঠস্থানে, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে সেটির জন্য ঠিক করে রাখা স্থানে নিয়ে এলেন, এবং দুটি করূবের ডানার নিচে রেখে দিলেন। \v 8 করূব দুটি সেই সিন্দুক রাখার স্থানের উপর তাদের ডানা মেলে ধরেছিল এবং সেই সিন্দুক ও সেটির হাতলগুলি ঢেকে রেখেছিল। \v 9 সেই হাতলগুলি এত লম্বা ছিল যে সিন্দুক থেকে বের হয়ে আসা হাতলের শেষপ্রান্তগুলি ভিতরদিকের পীঠস্থানের সামনে থেকে দেখা যেত, কিন্তু পবিত্রস্থানের বাইরে থেকে দেখা যেত না; আর সেগুলি আজও সেখানেই আছে। \v 10 সেই সিন্দুকে সেই দুটি পাথরের ফলক ছাড়া আর কিছুই ছিল না, যেগুলি ইস্রায়েলীরা মিশর দেশ থেকে বের হয়ে আসার পর সদাপ্রভু তাদের সাথে যেখানে এক নিয়ম স্থাপন করলেন, সেই হোরেবে মোশি সিন্দুকে ভরে রেখেছিলেন। \p \v 11 যাজকেরা পরে পবিত্রস্থান ছেড়ে চলে গেলেন। সেখানে উপস্থিত যাজকেরা সবাই তাদের বিভাগের কথা না ভেবেই নিজেদের উৎসর্গ করে দিলেন। \v 12 যেসব লেবীয় গানবাজনা করতেন—আসফ, হেমন, যিদূথূন ও তাদের ছেলেরা ও আত্মীয়স্বজন—তারা সবাই মিহি মসিনার কাপড় গায়ে দিয়ে ও সুরবাহার, বীণা ও খঞ্জনি বাজাতে বাজাতে যজ্ঞবেদির পূর্বদিকে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের সাথে ছিলেন আরও 120 জন যাজক, যারা শিঙা বাজাচ্ছিলেন। \v 13 শিঙাবাদকেরা ও বাদ্যকররা সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রশংসা ও ধন্যবাদ জানানোর জন্য যুগপৎ বিভিন্ন স্কেলে একই স্বর বাজিয়ে যাচ্ছিলেন। শিঙা, সুরবাহার ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের সংগত পেয়ে গায়করাও সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রশংসা করতে গিয়ে গলার স্বর উচ্চগ্রামে তুলেছিল এবং তারা গেয়েছিল: \q1 “তিনি মঙ্গলময়; \q2 তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী।” \p তখন সদাপ্রভুর মন্দির মেঘে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল, \v 14 এবং সেই মেঘের কারণে যাজকেরা তাদের পরিচর্যা করে উঠতে পারেননি, যেহেতু সদাপ্রভুর প্রতাপে ঈশ্বরের মন্দিরটি পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। \c 6 \p \v 1 তখন শলোমন বললেন, “সদাপ্রভু বলেছেন যে তিনি ঘন মেঘের মাঝে বসবাস করবেন; \v 2 আমি তোমার জন্য এক দর্শনীয় মন্দির তৈরি করেছি, সেটি এমন এক স্থান, যেখানে তুমি চিরকাল বসবাস করবে।” \p \v 3 ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাজ যখন সেখানে দাঁড়িয়েছিল, রাজামশাই তখন তাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাদের আশীর্বাদ করলেন। \v 4 পরে তিনি বললেন: \pm “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সেই সদাপ্রভুর গৌরব হোক, যিনি নিজের হাতে তাঁর সেই প্রতিজ্ঞাটি পূরণ করেছেন, যেটি তিনি নিজের মুখে আমার বাবা দাউদের কাছে করলেন। কারণ তিনি বললেন, \v 5 ‘যেদিন আমি আমার প্রজাদের মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছিলাম, সেদিন থেকে না একটি মন্দির নির্মাণ করার জন্য আমি ইস্রায়েলে কোনও বংশের একটি নগর মনোনীত করেছি, যেন সেখানে আমার নাম বজায় থাকে, না আমি আমার প্রজা ইস্রায়েলের উপর শাসনকর্তারূপে কাউকে মনোনীত করেছি। \v 6 কিন্তু আমার নাম বজায় রাখার জন্য এখন আমি জেরুশালেমকে মনোনীত করেছি এবং আমার প্রজা ইস্রায়েলকে শাসন করার জন্য আমি দাউদকে মনোনীত করেছি।’ \pm \v 7 “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে একটি মন্দির নির্মাণ করার বাসনা আমার বাবা দাউদের অন্তরে ছিল। \v 8 কিন্তু সদাপ্রভু আমার বাবা দাউদকে বললেন, ‘আমার নামে একটি মন্দির নির্মাণ করার কথা ভেবে তুমি ভালোই করেছ। \v 9 তবে, তুমি সেই মন্দির নির্মাণ করবে না, কিন্তু তোমার সেই ছেলে, যে তোমারই রক্তমাংস—সেই আমার নামে একটি মন্দির নির্মাণ করবে।’ \pm \v 10 “সদাপ্রভু তাঁর করা প্রতিজ্ঞাটি পূরণ করেছেন: আমি আমার বাবা দাউদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছি এবং সদাপ্রভুর প্রতিজ্ঞানুসারে এখন আমি ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসেছি, এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের উদ্দেশে আমি মন্দিরটি নির্মাণ করেছি। \v 11 সেখানে আমি সেই সিন্দুকটি রেখেছি, যেটির মধ্যে সদাপ্রভুর সেই নিয়মটি রাখা আছে, যা তিনি ইস্রায়েলী জনতার জন্য স্থাপন করলেন।” \s1 শলোমনের উৎসর্গীকরণের প্রার্থনা \p \v 12 পরে শলোমন ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাজের সামনে সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন এবং তাঁর দু-হাত মেলে ধরেছিলেন। \v 13 ইত্যবসরে তিনি আবার 2.3 মিটার লম্বা, 2.3 মিটার চওড়া ও 1.4 মিটার উঁচু\f + \fr 6:13 \fr*\ft অর্থাৎ, পাঁচ হাত লম্বা ও চওড়া এবং তিন হাত উঁচু\ft*\f* ব্রোঞ্জের একটি মঞ্চ তৈরি করলেন, এবং সেটি বাইরের দিকের উঠোনের মাঝখানে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাজের সামনে নতজানু হলেন এবং স্বর্গের দিকে দু-হাত প্রসারিত করে দিলেন। \v 14 তিনি বললেন: \pm “হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, স্বর্গে বা মর্ত্যে তোমার মতো এমন কোনও ঈশ্বর আর কেউ নেই—তুমি তোমার সেই দাসদের কাছে করা তোমার প্রেমের নিয়ম রক্ষা করে থাকো, যারা সর্বান্তঃকরণে তোমার পথে চলে। \v 15 আমার বাবা, তথা তোমার দাস দাউদের কাছে করা প্রতিজ্ঞাটি তুমি পূরণ করেছ; নিজের মুখেই তুমি সেই প্রতিজ্ঞাটি করলে এবং নিজের হাতেই তুমি তা রক্ষাও করেছ—যেমনটি কি না আজ দেখা যাচ্ছে। \pm \v 16 “এখন হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাস ও আমার বাবা দাউদের কাছে তোমার করা সেই প্রতিজ্ঞাটি পূরণ করো, যে প্রতিজ্ঞায় তুমি বললে, ‘শুধু যদি তোমার বংশধরেরা আমার নিয়মানুসারে আমার সামনে চলার জন্য একটু সতর্ক হয়ে তোমার মতো সবকিছু করে, তবে আমার সামনে ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসার জন্য তোমার কোনও উত্তরাধিকারীর অভাব হবে না।’ \v 17 আর এখন, হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাস দাউদের কাছে করা তোমার প্রতিজ্ঞার সেই কথাটি যেন সত্যি হয়। \pm \v 18 “কিন্তু ঈশ্বর কি সত্যিই পৃথিবীতে মানুষের সাথে বসবাস করবেন? আকাশমণ্ডল, এমনকি স্বর্গের স্বর্গও তাঁকে ধারণ করতে পারে না। তবে আমার নির্মাণ করা এই মন্দিরই বা কেমন করে তোমাকে ধারণ করবে! \v 19 তবুও হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাসের প্রার্থনায় ও দয়া লাভের জন্য তার করা এই অনুরোধের প্রতি মনোযোগ দাও। তোমার উপস্থিতিতে তোমার এই দাস যে ক্রন্দন ও প্রার্থনা করছে, তা তুমি শোনো। \v 20 দিনরাত এই মন্দিরের প্রতি, এই যে স্থানটির বিষয়ে তুমি বলেছ যে তুমি সেখানে তোমার নাম বজায় রাখবে, তোমার চোখদুটি যেন খোলা থাকে। এই স্থানটির দিকে তাকিয়ে করা তোমার দাসের প্রার্থনা যেন তুমি শুনতে পাও। \v 21 তোমার এই দাস ও তোমার প্রজা ইস্রায়েল যখন এই স্থানটির দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করবে তখন তুমি তাদের মিনতি শুনো। স্বর্গ থেকে, তোমার সেই বাসস্থান থেকে তুমি তা শুনো; এবং শুনে তাদের ক্ষমাও কোরো। \pm \v 22 “যখন কেউ তার প্রতিবেশীর প্রতি কোনও অন্যায় করবে ও তাকে শপথ করতে বলা হবে এবং সে এই মন্দিরে রাখা তোমার এই যজ্ঞবেদির সামনে এসে শপথ করবে, \v 23 তখন তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনে সেইমতোই কাজ কোরো। তোমার দাসদের বিচার কোরো, দোষীকে শাস্তি দিয়ো ও তার কৃতকর্মের ফল তার মাথায় চাপিয়ে দিয়ো, এবং নিরপরাধের পক্ষসমর্থন করে, তার নিষ্কলুষতা অনুসারে তার প্রতি আচরণ কোরো। \pm \v 24 “তোমার প্রজা ইস্রায়েল যখন তোমার বিরুদ্ধে পাপ করার কারণে শত্রুর কাছে পরাজিত হবে ও যখন তারা আবার তোমার কাছে ফিরে এসে তোমার নামের প্রশংসা করবে, এবং এই মন্দিরে তোমার সামনে এসে প্রার্থনা ও মিনতি উৎসর্গ করবে, \v 25 তখন তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনো ও তোমার প্রজা ইস্রায়েলের পাপ ক্ষমা কোরো এবং তুমি তাদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ দিয়েছিলে, সেই দেশে তাদের ফিরিয়ে এনো। \pm \v 26 “তোমার প্রজারা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করার কারণে যখন আকাশের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যাবে ও বৃষ্টি হবে না, আর যখন তারা এই স্থানটির দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করবে ও তোমার নামের প্রশংসা করবে এবং তুমি যেহেতু তাদের কষ্ট দিয়েছ, তাই তারা তাদের পাপপথ থেকে ফিরে আসবে, \v 27 তখন স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো ও তোমার দাসদের, তোমার প্রজা ইস্রায়েলের পাপ ক্ষমা কোরো। সঠিক জীবনযাপনের পথ তুমি তাদের শিক্ষা দিয়ো, এবং যে দেশটি তুমি তোমার প্রজাদের এক উত্তরাধিকাররূপে দিয়েছ, সেই দেশে তুমি বৃষ্টি পাঠিয়ো। \pm \v 28 “যখন দেশে দুর্ভিক্ষ বা মহামারি দেখা দেবে, অথবা ফসল ক্ষেতে মড়ক লাগবে বা ছাতারোগ লাগবে, পঙ্গপাল বা ফড়িং হানা দেবে, অথবা শত্রুরা তাদের যে কোনো নগরে তাদের যখন অবরুদ্ধ করে রাখবে, যখন এরকম কোনও বিপত্তি বা রোগজ্বালার প্রকোপ পড়বে, \v 29 এবং তোমার প্রজা ইস্রায়েলের মধ্যে কেউ যদি তখন প্রার্থনা বা মিনতি করে—তাদের যন্ত্রণা ও ব্যথার বিষয়ে সচেতন হয়, ও এই মন্দিরের দিকে তাদের হাতগুলি প্রসারিত করে— \v 30 তবে তখন তুমি স্বর্গ থেকে, তোমার বাসস্থান থেকে তা শুনো। তাদের ক্ষমা কোরো, ও প্রত্যেকের সাথে তাদের কৃতকর্মানুসারে আচরণ কোরো, যেহেতু তুমি তো তাদের অন্তর জানো (কারণ একমাত্র তুমিই মানুষের হৃদয়ের খবর রাখো), \v 31 যেন তারা তোমাকে ভয় করে ও যে দেশটি তুমি আমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলে, সেই দেশে বেঁচে থাকাকালীন তারা যেন সবসময় তোমার প্রতি বাধ্যতা দেখিয়ে চলে। \pm \v 32 “যে তোমার প্রজা ইস্রায়েলের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন কোনও বিদেশি তোমার মহানামের এবং তোমার পরাক্রমী হাতের ও তোমার প্রসারিত বাহুর কথা শুনে যখন দূরদেশ থেকে আসবে—তারা যখন এসে এই মন্দিরের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করবে, \v 33 তখন তুমি স্বর্গ থেকে, তোমার সেই বাসস্থান থেকে তা শুনো। সেই বিদেশি তোমার কাছে যা চাইবে, তা তাকে দিয়ো, যেন পৃথিবীর সব মানুষজন তোমার নাম জানতে পারে ও তোমাকে ভয় করে, ঠিক যেভাবে তোমার নিজস্ব প্রজা ইস্রায়েল করে এসেছে, এবং তারা যেন এও জানতে পারে যে এই যে ভবনটি আমি তৈরি করেছি, তা তোমার নাম বহন করে চলেছে। \pm \v 34 “তোমার প্রজাদের তুমি যে কোনো স্থানে পাঠাও না কেন, তারা যখন তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে, এবং যখন তারা তোমার মনোনীত এই নগরটির ও তোমার নামে আমি এই যে মন্দিরটি নির্মাণ করেছি, সেটির দিকে তাকিয়ে তোমার কাছে প্রার্থনা করবে, \v 35 তখন তুমি স্বর্গ থেকে তাদের প্রার্থনা ও মিনতি শুনো, এবং তাদের পক্ষসমর্থন কোরো। \pm \v 36 “তারা যখন তোমার বিরুদ্ধে পাপ করবে—কারণ এমন কেউ নেই, যে পাপ করে না—এবং তুমি তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হবে ও তাদের সেই শত্রুদের হাতে সঁপে দেবে, যারা তাদের দূর বা নিকটবর্তী কোনও দেশে বন্দি করে নিয়ে যাবে; \v 37 এবং সেই দেশে বন্দি জীবন কাটাতে কাটাতে যদি তাদের মন পরিবর্তন হয়, ও তারা অনুতাপ করে ও তাদের সেই বন্দিদশার দেশে থাকতে থাকতেই যদি তারা তোমাকে অনুরোধ জানিয়ে বলে, ‘আমরা পাপ করেছি, আমরা অন্যায় করেছি ও দুষ্টতামূলক আচরণ করেছি’; \v 38 আর যদি তারা যেখানে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে, সেই বন্দিদশার দেশে থেকেই মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে তোমার কাছে ফিরে আসে, ও তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশটি দিয়েছ, সেই দেশের দিকে তাকিয়ে, ও যে নগরটিকে তুমি মনোনীত করেছ, সেটির দিকে তাকিয়ে, এবং তোমার নামে আমি যে মন্দিরটি নির্মাণ করেছি, সেটির দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করে; \v 39 তবে স্বর্গ থেকে, তোমার বাসস্থান থেকে তুমি তাদের করা প্রার্থনা ও মিনতি শুনো, এবং তাদের পক্ষসমর্থন কোরো। তোমার সেই প্রজাদের ক্ষমাও কোরো, যারা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে। \pm \v 40 “এখন, হে আমার ঈশ্বর, এই স্থানে যে প্রার্থনাটি উৎসর্গ করা হচ্ছে, তার প্রতি যেন তোমার চোখ খোলা থাকে ও তোমার কান সজাগ থাকে। \qm1 \v 41 “হে ঈশ্বর সদাপ্রভু, এখন ওঠো ও তোমার বিশ্রামস্থানে এসো, \qm2 তুমি এসো ও তোমার বলের সিন্দুকও আসুক। \qm1 হে ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার যাজকেরা যেন পরিত্রাণ-বস্ত্রে বিভূষিত হয়, \qm2 তোমার বিশ্বস্ত প্রজারা যেন তোমার মঙ্গলভাবে আনন্দিত হয়। \qm1 \v 42 হে ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার অভিষিক্ত জনকে অগ্রাহ্য কোরো না। \qm2 তোমার দাস দাউদের কাছে প্রতিজ্ঞাত সেই মহাপ্রেম মনে রেখো।” \c 7 \s1 মন্দিরের উৎসর্গীকরণ \p \v 1 শলোমন প্রার্থনা শেষ করার পর স্বর্গ থেকে আগুন নেমে এসে হোমবলি ও নৈবেদ্যগুলি গ্রাস করে ফেলেছিল, এবং সদাপ্রভুর প্রতাপে মন্দির পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। \v 2 যাজকেরা সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি, কারণ সদাপ্রভুর প্রতাপে মন্দির পরিপূর্ণ হয়েছিল। \v 3 ইস্রায়েলীরা সবাই যখন আগুন নেমে আসতে দেখেছিল ও মন্দিরের উপর সদাপ্রভুর প্রতাপও দেখতে পেয়েছিল, তখন তারা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ে শান-বাঁধানো চাতালে নতজানু হল, এবং তারা এই বলে সদাপ্রভুর আরাধনা করল ও তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছিল, \q1 “তিনি মঙ্গলময়; \q2 তাঁর প্রেম অনন্তকালস্থায়ী।” \m \v 4 পরে রাজা ও প্রজারা সবাই সদাপ্রভুর সামনে নৈবেদ্য উৎসর্গ করলেন। \v 5 রাজা শলোমন বাইশ হাজার গবাদি পশু এবং 1,20,000 মেষ ও ছাগল উৎসর্গ করলেন। এইভাবে রাজা ও প্রজারা সবাই ঈশ্বরের মন্দিরটি উৎসর্গ করলেন। \v 6 যাজকেরা তাদের স্থানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, এবং লেবীয়েরাও সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বাজানোর উপযোগী সেই বাজনাগুলি নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল, যেগুলি রাজা দাউদ সদাপ্রভুর প্রশংসা করার জন্য তৈরি করিয়েছিলেন এবং সেগুলি তখনই বাজানো হত, যখন এই বলে তিনি ধন্যবাদ জানাতেন, “তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী।” লেবীয়দের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে যাজকেরা তাদের শিঙাগুলি বাজিয়েছিলেন, এবং ইস্রায়েলীরা সবাই সেখানে দাঁড়িয়েছিল। \p \v 7 শলোমন সদাপ্রভুর মন্দিরের সামনের দিকের উঠোনের মাঝের অংশটুকু উৎসর্গীকৃত করলেন, এবং সেখানে তিনি হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলির চর্বি উৎসর্গ করলেন, কারণ ব্রোঞ্জের যে যজ্ঞবেদিটি তিনি তৈরি করলেন, সেটি হোমবলি, ভক্ষ্য-নৈবেদ্য ও চর্বিদার অংশগুলি রাখার পক্ষে ছোটো হয়ে গেল। \p \v 8 অতএব শলোমন সেই সময় সাত দিন ধরে উৎসব পালন করলেন, এবং ইস্রায়েলে সবাই, অর্থাৎ লেবো-হমাৎ থেকে মিশরের মরা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার লোকেরা—বিশাল এক জনসমাজ—তাঁর সাথে মিলে উৎসব পালন করল। \v 9 অষ্টম দিনে তারা এক সভার আয়োজন করল, কারণ সাত দিন ধরে তারা যজ্ঞবেদির উৎসর্গীকরণ উদ্‌যাপন করল এবং আরও সাত দিন তারা উৎসব পালন করল। \v 10 সপ্তম মাসের তেইশতম দিনে তিনি প্রজাদের নিজের নিজের ঘরে পাঠিয়ে দিলেন। দাউদের, শলোমনের ও সদাপ্রভুর প্রজা ইস্রায়েলের যে মঙ্গল তিনি করলেন, তার জন্য আনন্দিত হয়ে ও খুশিমনে তারা ঘরে ফিরে গেল। \s1 সদাপ্রভু শলোমনের কাছে আবির্ভূত হন \p \v 11 শলোমন যখন সদাপ্রভুর মন্দির ও রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করার কাজ সমাপ্ত করে ফেলেছিলেন, এবং সদাপ্রভুর মন্দিরের ও তাঁর নিজের প্রাসাদ-সংক্রান্ত যেসব ভাবনা তাঁর মনে ছিল, তা যখন তিনি সফলতাপূর্বক সম্পন্ন করলেন, \v 12 তখন সদাপ্রভু রাতের বেলায় তাঁর কাছে আবির্ভূত হয়ে বললেন: \pm “আমি তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং বলিদান উৎসর্গ করার জন্য এক মন্দিররূপে নিজের জন্য আমি এই স্থানটি মনোনীত করেছি। \pm \v 13 “বৃষ্টি না পড়ার জন্য আমি যখন আকাশ রুদ্ধ করে দেব, বা দেশ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যখন পঙ্গপালদের আদেশ দেব বা আমার প্রজাদের মাঝে এক মহামারি পাঠাব, \v 14 তখন যদি যারা আমার নামে পরিচিত, আমার সেই প্রজারা নিজেদের নম্র করে ও প্রার্থনা করে ও আমার মুখের অন্বেষণ করে এবং তাদের পাপপথ ছেড়ে ফিরে আসে, তবে স্বর্গ থেকে আমি তা শুনব, ও আমি তাদের পাপ ক্ষমা করব এবং তাদের দেশকে সারিয়ে তুলব। \v 15 এখন এই স্থানে উৎসর্গ করা প্রার্থনার প্রতি আমার চোখ খোলা থাকবে ও আমার কানও সজাগ থাকবে। \v 16 আমি এই মন্দিরটিকে মনোনীত করেছি ও পবিত্রতায় পৃথকও করেছি, যেন চিরকাল সেখানে আমার নাম বজায় থাকে। আমার চোখ ও আমার অন্তর সবসময় সেখানে থাকবে। \pm \v 17 “আর তোমায় বলছি, তোমার বাবা দাউদের মতো তুমিও যদি আমার সামনে বিশ্বস্ততাপূর্বক চলো, এবং আমি যা যা আদেশ দিয়েছি, সেসব করো ও আমার বিধিবিধান ও নিয়মকানুনগুলি পালন করো, \v 18 তবে ‘ইস্রায়েলকে শাসন করার জন্য তোমার বংশে কোনও উত্তরাধিকারীর অভাব হবে না,’ তোমার বাবা দাউদকে একথা বলার মাধ্যমে আমি তার সাথে যে নিয়ম স্থির করলাম, সেই নিয়মানুসারে আমি তোমার রাজসিংহাসন সুদৃঢ় করব। \pm \v 19 “কিন্তু যদি তুমি\f + \fr 7:19 \fr*\ft অথবা, হিব্রু ভাষানুসারে “তোমরা”\ft*\f* সে পথ থেকে ফিরে গিয়ে সেইসব বিধিবিধান ও আদেশ অগ্রাহ্য করো, যেগুলি আমি তোমাকে\f + \fr 7:19 \fr*\ft অথবা, হিব্রু ভাষানুসারে “তোমাদের”\ft*\f* দিয়েছিলাম এবং অন্যান্য দেবতাদের সেবা ও আরাধনা করতে থাকো, \v 20 তবে ইস্রায়েলকে আমি আমার সেই দেশ থেকে উৎখাত করে ছাড়ব, যেটি আমি তাদের দিয়েছিলাম, এবং এই মন্দিরটিকেও অগ্রাহ্য করব, আমার নামে যেটি আমি পবিত্রতায় পৃথক করে দিয়েছি। আমি এটিকে অন্যান্য সব জাতির কাছে নিন্দার ও বিদ্রুপের এক বস্তু করে তুলব। \v 21 এই মন্দিরটি ভাঙা ইটপাথরের এক স্তূপে পরিণত হবে। যারা যারা\f + \fr 7:21 \fr*\ft কয়েকটি প্রাচীন অনুলিপি অনুসারে, “আর এখন যদিও এই মন্দিরটি এত জমকালো দেখাচ্ছে, যারা যারা”\ft*\f* তখন এখান দিয়ে যাবে, তারা সবাই মর্মাহত হয়ে বলবে, ‘সদাপ্রভু কেন এই দেশের ও এই মন্দিরটির প্রতি এমনটি করলেন?’ \v 22 লোকেরা উত্তর দেবে, ‘যেহেতু তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সেই সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করল, যিনি মিশর থেকে তাদের বের করে এনেছিলেন, এবং যেহেতু তারা অন্যান্য দেবতাদের সাগ্রহে গ্রহণ করল, ও তাদের আরাধনা ও সেবা করল—তাইতো তিনি তাদের উপর এইসব দুর্বিপাক নিয়ে এসেছেন।’ ” \c 8 \s1 শলোমনের অন্যান্য কর্মকাণ্ড \p \v 1 সদাপ্রভুর মন্দির ও শলোমনের নিজের প্রাসাদটি নির্মাণ করতে তাঁর যে কুড়ি বছর লাগল, সেই সময়কাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর \v 2 হীরম\f + \fr 8:2 \fr*\ft অথবা, হূরম; 18 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* তাঁকে যে নগরগুলি দিলেন, তিনি সেগুলির পুনর্নির্মাণ করলেন, এবং সেখানে ইস্রায়েলীদের এক বসতি গড়ে দিলেন। \v 3 শলোমন পরে হমাৎ-সোবাতে গিয়ে সেটি অধিকার করলেন। \v 4 এছাড়াও তিনি মরুভূমিতে তামর নগরটি তৈরি করলেন এবং হমাতেও সবকটি ভাঁড়ার-নগর তৈরি করলেন। \v 5 সুরক্ষিত নগররূপে তিনি উপরের দিকের বেথ-হোরোণ ও নিচের দিকের বেথ-হোরোণ নগর দুটির পুনর্নির্মাণ করলেন, এবং সেগুলিতে দেয়াল, কয়েকটি দরজা ও খুঁটিও গড়ে দিলেন। \v 6 এছাড়াও বালৎ ও সেখানকার ভাঁড়ার-নগরগুলি, এবং তাঁর রথ ও ঘোড়াগুলির\f + \fr 8:6 \fr*\ft অথবা, “সারথিদের”\ft*\f* জন্য সবকটি নগর—জেরুশালেমে, লেবাননে ও তাঁর শাসিত গোটা এলাকা জুড়ে সর্বত্র যা যা তিনি তৈরি করতে চেয়েছিলেন, সেসব তিনি তৈরি করলেন। \p \v 7 হিত্তীয়, ইমোরীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দের মধ্যে থেকে কিছু লোক তখনও সেখানে অবশিষ্ট ছিল। (এইসব লোকেরা ইস্রায়েলী ছিল না) \v 8 এইসব লোকজনের যেসব বংশধর দেশে থেকে গেল—ইস্রায়েলীরা যাদের ধ্বংস করেননি—শলোমন বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ক্রীতদাস-শ্রমিকরূপে কাজে লাগলেন, যে প্রথা আজও চলে আসছে। \v 9 কিন্তু শলোমন তাঁর কাজকর্ম করার জন্য ইস্রায়েলীদের কাউকে ক্রীতদাস করেননি; তারা তাঁর যোদ্ধা, সৈন্যসামন্তের সেনাপতি, এবং তাঁর রথ ও সারথিদের সেনাপতি হল। \v 10 এছাড়াও তারা রাজা শলোমনের প্রধান কর্মকর্তা—এমন 250 জন কর্মকর্তা হল, যারা লোকদের তত্ত্বাবধান করত। \p \v 11 ফরৌণের মেয়ের জন্য শলোমন যে প্রাসাদটি নির্মাণ করলেন, দাউদ-নগর থেকে তিনি তাঁকে সেখানে নিয়ে এলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমার স্ত্রী ইস্রায়েলের রাজা দাউদের প্রাসাদে থাকবে না, কারণ যে যে স্থানে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক প্রবেশ করেছে, সেই সেই স্থান পবিত্র হয়ে গিয়েছে।” \p \v 12 দ্বারমণ্ডপের সামনের দিকে শলোমন সদাপ্রভুর যে বেদিটি তৈরি করলেন, সেটির উপরে তিনি সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলি উৎসর্গ করলেন। \v 13 সাব্বাথবারের,\f + \fr 8:13 \fr*\ft অথবা, বিশ্রামবারের\ft*\f* অমাবস্যার ও তিনটি বাৎসরিক উৎসবের—খামিরবিহীন রুটির উৎসব, সাত সপ্তাহের উৎসব ও কুটিরবাস-পর্ব—জন্য মোশির আদেশমতো প্রাত্যহিক নৈবেদ্যের যে চাহিদা তুলে ধরা হল, সেই অনুসারেই তিনি তা করলেন। \v 14 তাঁর বাবা দাউদের স্থির করে দেওয়া নিয়মানুসারে, কয়েকটি বিভাগে ভাগ করে যাজকের দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি তাদের নিযুক্ত করে দিলেন, এবং প্রশংসাগানে নেতৃত্ব দেওয়ার ও প্রাত্যহিক চাহিদানুসারে যাজকদের কাজে সাহায্য করার দায়িত্ব দিয়ে তিনি লেবীয়দেরও নিযুক্ত করলেন। এছাড়াও বিভিন্ন দরজার জন্য কয়েকটি বিভাগে ভাগ করে তিনি দ্বাররক্ষীদের নিযুক্ত করলেন, কারণ ঈশ্বরের লোক দাউদ এরকমই আদেশ দিলেন। \v 15 যাজকদের বা লেবীয়দের ক্ষেত্রে ও এমনকি কোষাগারগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য রাজার আদেশ থেকে তারা একচুলও সরে যায়নি। \p \v 16 সদাপ্রভুর মন্দিরের ভীত যেদিন গাঁথা হল, সেদিন থেকে শুরু করে মন্দিরটি সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত শলোমনের সব কাজ ঠিকঠাকই চলেছিল। এইভাবে সদাপ্রভুর মন্দিরটি সম্পূর্ণ হল। \p \v 17 পরে শলোমন ইদোমের সমুদ্রতীরে অবস্থিত ইৎসিয়োন-গেবরে ও এলতে গেলেন। \v 18 হীরমও তাঁর নিজস্ব লোকজনের দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি জাহাজ ও সমুদ্রের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল কিছু নাবিক তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। এইসব লোকজন শলোমনের লোকজনের সাথে মিলে সমুদ্রপথে ওফীরে গেল ও সেখান থেকে 450 তালন্ত\f + \fr 8:18 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 17 টন, বা প্রায় 15 মেট্রিক টন\ft*\f* সোনা এনে রাজা শলোমনের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। \c 9 \s1 শিবা দেশের রানি শলোমনের সাথে দেখা করতে আসেন \p \v 1 শিবা দেশের রানি যখন শলোমনের নামডাক শুনতে পেয়েছিলেন, তখন কঠিন কঠিন সব প্রশ্ন সাথে নিয়ে তিনি তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য জেরুশালেমে এলেন। বিশাল দলবল নিয়ে—উটের পিঠে মশলাপাতি চাপিয়ে, প্রচুর পরিমাণ সোনা, ও দামি মণিমুক্তো নিয়ে—তিনি শলোমনের কাছে এলেন এবং তাঁর মনে যা যা ছিল, সেসব বিষয়ে শলোমনের সাথে কথা বললেন। \v 2 শলোমন তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন; রানিকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেওয়ার পক্ষে কোনো কিছুই তাঁর কাছে কঠিন বলে মনে হয়নি। \v 3 শিবার রানি যখন শলোমনের প্রজ্ঞা, তথা তাঁর নির্মিত প্রাসাদটি, \v 4 তাঁর টেবিলে রাখা খাদ্যসম্ভার, তাঁর কর্মকর্তাদের বসার ব্যবস্থা, জমকালো পোশাক পরা সেবাকারী দাসেদের, জমকালো পোশাক পরা পানপাত্র বহনকারীদের এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে তাঁর উৎসর্গ করা হোমবলিগুলি\f + \fr 9:4 \fr*\ft অথবা, “এবং যে সিঁড়ি দিয়ে তিনি উপরে উঠে যেতেন, সেটি”\ft*\f* দেখেছিলেন, তখন তিনি অভিভূত হয়ে গেলেন। \p \v 5 তিনি রাজাকে বললেন, “নিজের দেশে থাকার সময় আমি আপনার কীর্তির ও প্রজ্ঞার বিষয়ে যা যা শুনেছিলাম, সেসবই সত্যি। \v 6 কিন্তু যতক্ষণ না আমি এখানে এসে নিজের চোখে তা দেখলাম, লোকেরা যা বলল, আমি তাতে বিশ্বাস করিনি। সত্যি বলতে কি, আপনার যে বিশাল প্রজ্ঞা, তার অর্ধেকও আমাকে বলা হয়নি; যে খবর আমি শুনেছিলাম, আপনি তার অনেক ঊর্ধ্বে। \v 7 আপনার প্রজারা কতই না সুখী! আপনার সেই কর্মকর্তারাও কতই না সুখী, যারা অনবরত আপনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে ও আপনার প্রজ্ঞার কথা শোনে! \v 8 আপনার ঈশ্বর সেই সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক, যিনি আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে রাজারূপে আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর হয়ে রাজত্ব করার জন্য আপনাকে তাঁর সিংহাসনে বসিয়েছেন। ইস্রায়েলের প্রতি আপনার ঈশ্বরের প্রেমের ও চিরকাল তাদের সমর্থন করা সংক্রান্ত তাঁর যে এক বাসনা ছিল, তারই কারণে তিনি আপনাকে তাদের রাজা করেছেন, যেন ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা বজায় থাকে।” \p \v 9 পরে তিনি রাজাকে 120 তালন্ত\f + \fr 9:9 \fr*\ft অর্থা, প্রায় সাড়ে 4 টন, বা প্রায় 4 মেট্রিক টন\ft*\f* সোনা, প্রচুর পরিমাণ মশলাপাতি, ও দামি মণিমুক্তো দিলেন। শিবা দেশের রানি রাজা শলোমনকে এত মশলাপাতি দিলেন, যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। \p \v 10 (হীরমের দাসেরা ও শলোমনের দাসেরা ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত; এছাড়াও তারা আলগুম কাঠ ও দামি মণিমুক্তোও নিয়ে আসত। \v 11 রাজা সেই আলগুম কাঠ সদাপ্রভুর মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের সিঁড়ি নির্মাণ করার কাজে ও বাদ্যকরদের জন্য বীণা ও খঞ্জনি তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। যিহূদা দেশে এর আগে এত কিছু দেখা যায়নি।) \p \v 12 রাজা শলোমন শিবা দেশের রানিকে তাঁর বাসনা ও চাহিদামতোই সবকিছু দিলেন; রানি তাঁর কাছে যা কিছু এনেছিলেন, তিনি তার চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণ জিনিসপত্র তাঁকে দিলেন। পরে রানি তাঁর লোকলস্কর সাথে নিয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেন। \s1 শলোমনের সমারোহ \p \v 13 প্রতি বছর শলোমন যে পরিমাণ সোনা সংগ্রহ করতেন তার ওজন 666 তালন্ত,\f + \fr 9:13 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 25 টন, বা প্রায় 23 মেট্রিক টন\ft*\f* \v 14 এতে অবশ্য বণিক ও ব্যবসায়ীদের আনা রাজস্ব ধরা হয়নি। এছাড়াও আরবের সব রাজা ও বিভিন্ন প্রদেশের শাসনকর্তারাও শলোমনের কাছে সোনা ও রুপো নিয়ে আসতেন। \p \v 15 পিটানো সোনার পাত দিয়ে রাজা শলোমন 200-টি বড়ো বড়ো ঢাল তৈরি করলেন; প্রত্যেকটি ঢাল তৈরি করতে 600 শেকল\f + \fr 9:15 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 6.9 কিলোগ্রাম\ft*\f* করে পিটানো সোনা লেগেছিল। \v 16 পিটানো সোনার পাত দিয়ে তিনি আরও তিনশোটি ছোটো ছোটো ঢাল তৈরি করলেন, এবং প্রত্যেকটি ঢালে তিনশো শেকল\f + \fr 9:16 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 3.5 কিলোগ্রাম\ft*\f* করে সোনা ছিল। রাজা সেগুলি লেবাননের অরণ্য-প্রাসাদে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন। \p \v 17 পরে রাজামশাই হাতির দাঁত দিয়ে একটি বড়ো সিংহাসন বানিয়ে, সেটি খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন। \v 18 সিংহাসনে ওঠার জন্য সিঁড়ির ছয়টি ধাপ ছিল, ও সোনার একটি পাদানি সিংহাসনের সাথে জোড়া ছিল। বসার স্থানটির দুই দিকেই হাতল ছিল, এবং দুটিরই পাশে একটি করে সিংহমূর্তি দাঁড় করানো ছিল। \v 19 বারোটি সিংহমূর্তি সিঁড়ির ছয়টি ধাপের উপরে দাঁড় করানো ছিল, এক-একটি মূর্তি প্রত্যেকটি ধাপের এক এক পাশে রাখা ছিল। অন্য কোনও রাজ্যে আগে কখনও এরকম কিছু তৈরি করা হয়নি। \v 20 রাজা শলোমনের কাছে থাকা ভিত থেকে ওঠা ডাঁটিযুক্ত হাতলবিহীন সব পানপাত্র ছিল সোনার, এবং লেবাননের অরণ্য-প্রাসাদে রাখা সব গৃহস্থালি জিনিসপত্র খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি হল। কোনো কিছুই রুপো দিয়ে তৈরি করা হয়নি, কারণ শলোমনের রাজত্বকালে রুপোকে দামি বলে গণ্যই করা হত না। \v 21 রাজার কাছে তর্শীশের বাণিজ্যতরির এক নৌবহর ছিল, যেটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল হীরমের\f + \fr 9:21 \fr*\ft অথবা, “হূরমের”\ft*\f* দাসেরা। তিন বছরে একবার জাহাজগুলি সোনা, রুপো এবং হাতির দাঁত, বনমানুষ ও বেবুন\f + \fr 9:21 \fr*\ft আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার একজাতের বড়ো আকারের বানর\ft*\f* নিয়ে ফিরে আসত। \p \v 22 পৃথিবীর অন্য সব রাজার তুলনায় রাজা শলোমন ধনসম্পদে ও প্রজ্ঞায় বৃহত্তর হলেন। \v 23 ঈশ্বর রাজা শলোমনের অন্তরে যে প্রজ্ঞা ভরে দিলেন, সেই প্রজ্ঞার কথা শোনার জন্য পৃথিবীর রাজারা সবাই তাঁর সাথে দেখা করতে চাইতেন। \v 24 বছরের পর বছর, যে কেউ তাঁর কাছে আসত, সে কোনও না কোনো উপহার—রুপো ও সোনার তৈরি জিনিসপত্র, কাপড়চোপড়, অস্ত্রশস্ত্র ও মশলাপাতি, এবং ঘোড়া ও খচ্চর নিয়ে আসত। \p \v 25 ঘোড়া ও রথের জন্য শলোমনের 4,000 আস্তাবল ছিল, এবং তাঁর কাছে 12,000 ঘোড়া\f + \fr 9:25 \fr*\ft অথবা “সারথি”\ft*\f* ছিল, যাদের তিনি রথ-নগরীগুলিতে এবং নিজের কাছে, অর্থাৎ জেরুশালেমেও রেখেছিলেন। \v 26 ইউফ্রেটিস নদীর পার থেকে শুরু করে মিশরের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত ফিলিস্তিনীদের দেশ অবধি গোটা এলাকায়, সব রাজার উপর তিনি রাজত্ব করতেন। \v 27 জেরুশালেমে রাজা রুপোকে পাথরের মতো সাধারণ স্তরে নামিয়ে এনেছিলেন, এবং দেবদারু কাঠকে পর্বতমালার পাদদেশে উৎপন্ন ডুমুর গাছের মতো পর্যাপ্ত করে তুলেছিলেন। \v 28 শলোমনের ঘোড়াগুলি মিশর থেকে ও অন্যান্য সব দেশ থেকে আমদানি করা হত। \s1 শলোমনের মৃত্যু \p \v 29 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শলোমনের রাজত্বকালের সব ঘটনা কি ভাববাদী নাথনের রচনায়, শীলোনীয় অহিয়ের ভাববাণীতে এবং নবাটের ছেলে যারবিয়ামের বিষয়ে লেখা দর্শক ইদ্দোর দর্শন-গ্রন্থে লেখা নেই? \v 30 শলোমন জেরুশালেমে সমগ্র ইস্রায়েলের উপর চল্লিশ বছর রাজত্ব করলেন। \v 31 পরে তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাঁর বাবা দাউদের নগরেই কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে রহবিয়াম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \c 10 \s1 রহবিয়ামের বিরুদ্ধে ইস্রায়েলের বিদ্রোহ \p \v 1 রহবিয়াম শিখিমে গেলেন, কারণ সমগ্র ইস্রায়েল তাঁকে রাজা করার জন্য সেখানে পৌঁছেছিল। \v 2 নবাটের ছেলে যারবিয়াম যখন সেকথা শুনলেন (রাজা শলোমনের কাছ থেকে পালিয়ে তিনি সেই যে মিশরে চলে গেলেন, তিনি সেখানেই ছিলেন), তখন তিনি মিশর থেকে ফিরে এলেন। \v 3 তাই তারা লোক পাঠিয়ে যারবিয়ামকে ডেকে এনেছিল, এবং তিনি ও সমগ্র ইস্রায়েল রহবিয়ামের কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন: \v 4 “আপনার বাবা আমাদের উপর এক ভারী জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু এখন আপনি সেই কঠোর পরিশ্রম ও ভারী জোয়ালের ভার লঘু করে দিন, যা আপনার বাবা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন, আর আমরাও আপনার সেবা করব।” \p \v 5 রহবিয়াম উত্তর দিলেন, “তিন দিন পর তোমরা আমার কাছে আবার এসো।” তাই লোকজন চলে গেল। \p \v 6 পরে রাজা রহবিয়াম সেইসব প্রাচীনের সঙ্গে শলাপরামর্শ করলেন, যারা তাঁর বাবা শলোমনের জীবনকালে তাঁর সেবা করতেন। “এই লোকদের কী উত্তর দিতে হবে সে বিষয়ে আপনারা আমাকে কী পরামর্শ দিতে চান?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন। \p \v 7 তারা উত্তর দিলেন, “আপনি যদি এই লোকদের প্রতি দয়া দেখান ও তাদের খুশি করেন এবং তাদের সন্তোষজনক এক উত্তর দেন, তবে তারা সবসময় আপনার দাস হয়েই থাকবে।” \p \v 8 কিন্তু সেই বয়স্ক লোকজন রহবিয়ামকে যে পরামর্শ দিলেন, তিনি তা অগ্রাহ্য করলেন এবং সেই কমবয়সি যুবকদের সাথে শলাপরামর্শ করলেন, যারা তাঁর সাথেই বেড়ে উঠেছিল ও যারা তাঁর সেবা করত। \v 9 তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কী পরামর্শ দিতে চাও? সেই লোকদের আমরা কী উত্তর দেব, যারা আমাকে বলেছে, ‘আপনার বাবা আমাদের উপর যে জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছেন, তা আপনি লঘু করে দিন’?” \p \v 10 তাঁর সাথে বেড়ে ওঠা যুবকেরা উত্তর দিয়েছিল, “লোকেরা আপনাকে বলেছে, ‘আপনার বাবা আমাদের উপর ভারী এক জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু আপনি এখন আমাদের জোয়াল হালকা করে দিন।’ এখন আপনি তাদের বলুন, ‘আমার কড়ে আঙুল আমার বাবার কোমরের চেয়েও মোটা। \v 11 আমার বাবা তোমাদের উপর ভারী এক জোয়াল চাপিয়ে দিয়েছেন; আমি সেটি আরও ভারী করে তুলব। আমার বাবা তোমাদের চাবুক মেরে শাস্তি দিয়েছেন; আমি তোমাদের শাস্তি দেব কাঁকড়াবিছের কামড় দিয়ে।’ ” \p \v 12 “তিন দিন পর আমার কাছে তোমরা ফিরে এসো,” রাজার বলা এই কথামতো তিন দিন পর যারবিয়াম ও সব লোকজন রহবিয়ামের কাছে ফিরে এলেন। \v 13 রাজা তাদের রুক্ষ ভাষায় উত্তর দিলেন। বয়স্ক লোকজনের পরামর্শ অগ্রাহ্য করে, \v 14 তিনি যুবকদের পরামর্শ মতো তাদের বললেন, “আমার বাবা তোমাদের জোয়াল ভারী করে দিলেন; আমি সেটি আরও ভারী করে তুলব। আমার বাবা তোমাদের চাবুক মেরে শাস্তি দিলেন; আমি কাঁকড়াবিছের কামড় দিয়ে তোমাদের শাস্তি দেব।” \v 15 এইভাবে রাজা, প্রজাদের কথা শুনলেন না, কারণ শীলোনীয় অহিয়ের মাধ্যমে সদাপ্রভুর যে বাক্য নবাটের ছেলে যারবিয়ামের কাছে এসেছিল, সেটি পূর্ণ করার জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকেই ঘটনার মোড় এভাবে ঘুরে গেল। \p \v 16 সমগ্র ইস্রায়েল যখন দেখেছিল যে রাজা তাদের কথা শুনতে চাইছেন না, তখন তারা রাজাকে উত্তর দিয়েছিল: \q1 “দাউদে আমাদের আর কী অধিকার আছে, \q2 যিশয়ের ছেলেই বা কী অধিকার আছে? \q1 হে ইস্রায়েল তোমাদের তাঁবুতে ফিরে যাও! \q2 হে দাউদ, তুমিও নিজের বংশ দেখাশোনা করো!” \m এই বলে ইস্রায়েলীরা সবাই ঘরে ফিরে গেল। \v 17 কিন্তু যেসব ইস্রায়েলী যিহূদার বিভিন্ন নগরে বসবাস করছিল, রহবিয়াম তখনও তাদের উপর রাজত্ব করে যাচ্ছিলেন। \p \v 18 রাজা রহবিয়াম বেগার শ্রমিকদের দেখাশোনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত অদোনীরামকে\f + \fr 10:18 \fr*\ft অথবা, “হদোরামকে”\ft*\f* তাদের কাছে পাঠালেন, কিন্তু ইস্রায়েলীরা তার উপর পাথর ছুঁড়ে তাকে মেরে ফেলেছিল। রাজা রহবিয়াম অবশ্য, কোনোমতে রথে চড়ে জেরুশালেমে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন। \v 19 এইভাবে, আজও পর্যন্ত ইস্রায়েল, দাউদের বংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেই চলেছে। \c 11 \p \v 1 জেরুশালেমে পৌঁছে রহবিয়াম যিহূদা ও বিন্যামীন থেকে এমন কিছু লোকজন—এক লাখ আশি হাজার সক্ষম যুবক—একত্রিত করলেন, যারা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ও রহবিয়ামের হাতে রাজ্য ফিরিয়ে দিতে পারত। \p \v 2 কিন্তু সদাপ্রভুর এই বাক্য ঈশ্বরের লোক শময়িয়ের কাছে পৌঁছেছিল: \v 3 “তুমি শলোমনের ছেলে যিহূদার রাজা রহবিয়ামকে এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের সব ইস্রায়েলীকে গিয়ে বলো, \v 4 ‘সদাপ্রভু একথাই বলেন: তোমাদের জাতভাই ইস্রায়েলীদের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করতে যেয়ো না। তোমরা প্রত্যেকে ঘরে ফিরে যাও, কারণ এ কাজটি আমিই করেছি।’ ” তাই তারা সদাপ্রভুর বাক্যের প্রতি বাধ্য হয়ে যারবিয়ামের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা না করে ফিরে গেল। \s1 রহবিয়াম যিহূদাকে সুরক্ষিত করলেন \p \v 5 রহবিয়াম জেরুশালেমে বসবাস করতে করতে যিহূদা দেশের সুরক্ষার জন্য এই নগরগুলি তৈরি করলেন: \v 6 বেথলেহেম, ঐটম, তকোয়, \v 7 বেত-সূর, সেখো, অদুল্লম, \v 8 গাৎ, মারেশা, সীফ, \v 9 অদোরয়িম, লাখীশ, অসেকা, \v 10 সরা, অয়ালোন ও হিব্রোণ। যিহূদা ও বিন্যামীনে এই নগরগুলি সুরক্ষিত নগরে পরিণত হল। \v 11 তিনি সেই নগরগুলির সুরক্ষা-ব্যবস্থা মজবুত করলেন এবং সেগুলিতে সেনাপতি মোতায়েন করে দিলেন, ও খাবারদাবার, জলপাই তেল ও দ্রাক্ষারসও সরবরাহ করলেন। \v 12 তিনি সব নগরে ঢাল ও বর্শা রেখে দিলেন, এবং নগরগুলিকে খুবই শক্তপোক্ত করে তুলেছিলেন। অতএব যিহূদা ও বিন্যামীন তাঁর অধিকারে থেকে গেল। \p \v 13 গোটা ইস্রায়েল জুড়ে যাজক ও লেবীয়েরা তাদের সব জেলা থেকে এসে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল। \v 14 লেবীয়েরা এমনকি তাদের পশুচারণক্ষেত্র ও বিষয়সম্পত্তি ত্যাগ করে যিহূদা ও জেরুশালেমে এসে গেল, কারণ যারবিয়াম ও তাঁর ছেলেরা সদাপ্রভুর যাজকরূপে তাদের তখন অগ্রাহ্য করলেন, \v 15 যখন পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলির এবং তাঁর তৈরি করা ছাগল ও বাছুরের মূর্তিগুলির জন্য তিনি তাঁর নিজস্ব যাজকদের নিযুক্ত করলেন। \v 16 ইস্রায়েলের প্রত্যেকটি বংশ থেকে যারা যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য তাদের অন্তর স্থির করল, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে নৈবেদ্য উৎসর্গ করার জন্য লেবীয়দের পিছু পিছু জেরুশালেমে গেল। \v 17 তারা যিহূদা রাজ্যটিকে শক্তিশালী করল এবং তিন বছর ধরে শলোমনের ছেলে রহবিয়ামকে সমর্থন করে গেল, ও এই সময়কালে দাউদ ও শলোমনের পথে চলেছিল। \s1 রহবিয়ামের পরিবার \p \v 18 রহবিয়াম সেই মহলৎকে বিয়ে করলেন, যিনি দাউদের ছেলে যিরীমোতের এবং যিশয়ের ছেলে ইলীয়াবের মেয়ে অবীহয়িলের মেয়ে ছিলেন। \v 19 তিনি রহবিয়ামের ঔরসে এই ছেলেদের জন্ম দিলেন: যিয়ূশ, শমরিয় ও সহম। \v 20 পরে রহবিয়াম অবশালোমের মেয়ে সেই মাখাকে বিয়ে করলেন, যিনি তাঁর ঔরসে অবিয়, অত্তয়, সীষ ও শলোমীতের জন্ম দিলেন। \v 21 রহবিয়াম অবশালোমের মেয়ে মাখাকে তাঁর অন্য সব স্ত্রী ও উপপত্নীর চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। তাঁর মোট আঠারো জন স্ত্রী ও ষাটজন উপপত্নী, আটাশ জন ছেলে ও ষাটজন মেয়ে ছিল। \p \v 22 মাখার ছেলে অবিয়কে রাজা করার কথা ভেবে, রহবিয়াম অবিয়ের দাদা-ভাইদের মধ্যে থেকে তাঁকেই যুবরাজ পদে নিযুক্ত করে দিলেন। \v 23 তিনি বিজ্ঞতার সঙ্গে তাঁর ছেলেদের মধ্যে থেকে কাউকে কাউকে যিহূদা ও বিন্যামীন প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় ও সব সুরক্ষিত নগরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মোতায়েন করে দিলেন। তিনি তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারদাবারের আয়োজন করলেন এবং প্রচুর স্ত্রীও জোগাড় করে দিলেন। \c 12 \s1 শীশক জেরুশালেম আক্রমণ করলেন \p \v 1 রাজারূপে রহবিয়ামের পদ সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার ও তিনি শক্তিশালী হয়ে যাওয়ার পর, তিনি ও তাঁর সাথে সাথে সমগ্র ইস্রায়েল\f + \fr 12:1 \fr*\ft অর্থাৎ, যিহূদা; 2 বংশাবলির সর্বত্র যা প্রযোজ্য\ft*\f* সদাপ্রভুর বিধান পরিত্যাগ করলেন। \v 2 যেহেতু তারা সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হলেন, তাই মিশরের রাজা শীশক রাজা রহবিয়ামের রাজত্বকালের পঞ্চম বছরে জেরুশালেম আক্রমণ করলেন। \v 3 12,000 রথ ও 60,000 অশ্বারোহী সৈন্য এবং মিশর থেকে তাঁর সাথে আসা অসংখ্য লূবীয়, সুক্কীয় ও কূশীয়\f + \fr 12:3 \fr*\ft অর্থাৎ, উচ্চতর নীল-অববাহিকায় বসবাসকারী লোকজন\ft*\f* সৈন্য নিয়ে \v 4 তিনি যিহূদার সুরক্ষিত নগরগুলি দখল করে নিয়েছিলেন ও জেরুশালেম পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন। \p \v 5 তখন ভাববাদী শময়িয়, শীশকের ভয়ে জেরুশালেমে একত্রিত হওয়া রহবিয়াম ও যিহূদার নেতাদের কাছে এসে তাদের বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন, ‘তোমরা আমাকে পরিত্যাগ করেছ; তাই, আমি এখন শীশকের হাতে তোমাদের ছেড়ে দিলাম।’ ” \p \v 6 ইস্রায়েলের নেতারা ও রাজা স্বয়ং নিজেদের নত করলেন এবং বললেন, “সদাপ্রভুই ন্যায়পরায়ণ।” \p \v 7 সদাপ্রভু যখন দেখেছিলেন যে তারা নিজেদের নত করেছেন, তখন সদাপ্রভুর এই বাক্য শময়িয়ের কাছে পৌঁছে গেল: “যেহেতু তারা নিজেদের নত করেছে, তাই আমি আর তাদের ধ্বংস করব না, বরং অচিরেই তাদের মুক্তি দেব। শীশকের মাধ্যমে আমার ক্রোধ জেরুশালেমের উপর ঝরে পড়বে না। \v 8 তারা অবশ্য, তার শাসনাধীন হবে, যেন আমার সেবা করার ও অন্যান্য দেশের রাজাদের সেবা করার মধ্যে কী পার্থক্য আছে, তা তারা বুঝতে পারে।” \p \v 9 মিশরের রাজা শীশক জেরুশালেম আক্রমণ করার সময় সদাপ্রভুর মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের ধনসম্পদ তুলে নিয়ে গেলেন। শলোমনের তৈরি করা সোনার ঢাল সমেত তিনি সবকিছু নিয়ে চলে গেলেন। \v 10 তাই সেগুলির পরিবর্তে রাজা রহবিয়াম ব্রোঞ্জের কয়েকটি ঢাল তৈরি করলেন এবং যারা রাজপ্রাসাদের সিংহদুয়ারে মোতায়েন ফৌজি পাহারাদারদের সেনাপতি ছিলেন, তাদের হাতে সেগুলি তুলে দিলেন। \v 11 যখনই রাজা সদাপ্রভুর মন্দিরে যেতেন, ফৌজি পাহারাদাররাও সেই ঢালগুলি বহন করে তাঁর সাথে সাথে যেত, এবং পরে তারা আবার সেগুলি ফৌজি পাহারাদারদের কক্ষে ফিরিয়ে নিয়ে যেত। \p \v 12 যেহেতু রহবিয়াম নিজেকে নত করলেন, তাই সদাপ্রভুর ক্রোধ তাঁর উপর থেকে সরে গেল, এবং তিনি পুরোপুরি ধ্বংস হননি। সত্যি বলতে কি, তখনও যিহূদাতে কিছু ভালো গুণ অবশিষ্ট ছিল। \p \v 13 রাজা রহবিয়াম জেরুশালেমে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন এবং রাজকার্য চালিয়ে গেলেন। তিনি একচল্লিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপন করার জন্য ইস্রায়েলের সব বংশের মধ্যে থেকে আলাদা করে যে নগরটিকে মনোনীত করলেন, সেই জেরুশালেমে তিনি সতেরো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম নয়মা; তিনি ছিলেন একজন অম্মোনীয়া। \v 14 রহবিয়াম মন্দ কাজকর্ম করলেন, কারণ সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য তিনি তাঁর অন্তর সুস্থির করেননি। \p \v 15 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, রহবিয়ামের রাজত্বকালের সব ঘটনা কি ভাববাদী শময়িয় ও দর্শক ইদ্দোর সেই রচনাবলিতে লেখা নেই, যেখানে বংশাবলির কথা তুলে ধরা হয়েছে? রহবিয়াম ও যারবিয়ামের মধ্যে অনবরত যুদ্ধ লেগেই থাকত। \v 16 রহবিয়াম তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং দাউদ-নগরীতে তাঁকে কবর দেওয়া হল, ও তাঁর ছেলে অবিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \c 13 \s1 যিহূদার রাজা অবিয় \p \v 1 যারবিয়ামের রাজত্বকালের অষ্টাদশতম বছরে, অবিয় যিহূদার রাজা হলেন, \v 2 এবং তিনি জেরুশালেমে তিন বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম মাখা,\f + \fr 13:2 \fr*\ft অথবা, মীখায়া (\+xt 11:20\+xt* পদ ও \+xt 1 রাজাবলি 15:2\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* যিনি গিবিয়ার অধিবাসী ঊরিয়েলের মেয়ে\f + \fr 13:2 \fr*\ft অথবা, নাতনি\ft*\f* ছিলেন। \p অবিয় ও যারবিয়ামের মধ্যে যুদ্ধ লেগেই ছিল। \v 3 অবিয় চার লাখ সক্ষম যোদ্ধার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক সৈন্যদল সাথে নিয়ে যুদ্ধ করতে গেলেন, এবং যারবিয়াম আট লাখ সক্ষম যোদ্ধা সমন্বিত এক সৈন্যদল নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। \p \v 4 ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকার সমারয়িমে দাঁড়িয়ে অবিয় বলে উঠেছিলেন, “হে যারবিয়াম ও ইস্রায়েলের সব লোকজন, তোমরা আমার কথা শোনো! \v 5 তোমরা কি জানো না যে এক লবণ-নিয়মের মাধ্যমে ইস্রায়েলের রাজপদ ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু চিরতরে দাউদ ও তাঁর বংশধরদের হাতে তুলে দিয়েছেন? \v 6 অথচ নবাটের ছেলে যারবিয়াম, যে কি না দাউদের ছেলে শলোমনের সামান্য এক কর্মচারী ছিল, সে তার মনিবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেছিল। \v 7 কয়েকজন অপদার্থ দুষ্টলোক তার চারপাশে একত্রিত হল এবং শলোমনের ছেলে রহবিয়াম যখন অল্পবয়স্ক ও সংশয়াপন্ন ছিলেন, এবং তাদের প্রতিরোধ করার পক্ষে খুব একটি শক্তিশালী ছিলেন না, তখনই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করল। \p \v 8 “আর এখন তোমরা সদাপ্রভুর সেই রাজ্যের বিরোধিতা করতে চাইছ, যেটি দাউদের বংশধরদের হাতে রয়েছে। তোমরা তো সত্যিই বিশাল এক সৈন্যদল এবং তোমাদের সাথে সোনার সেই বাছুরগুলি আছে, যেগুলি দেবতারূপে যারবিয়াম তোমাদের জন্য তৈরি করে দিয়েছিল। \v 9 কিন্তু তোমরাই কি সদাপ্রভুর যাজকদের, হারোণের ছেলেদের, ও লেবীয়দের তাড়িয়ে দিয়ে, অন্যান্য দেশের লোকজনের দেখাদেখি নিজেদের ইচ্ছামতো যাজক তৈরি করে নাওনি? যে কেউ সাথে করে একটি এঁড়ে বাছুর ও সাতটি মেষ এনে নিজেকে উৎসর্গীকৃত বলে দাবি করে, সেই এমন সব বস্তুর যাজক হয়ে যায়, যেগুলি আদৌ দেবতাই নয়। \p \v 10 “আমাদের কাছে, সদাপ্রভুই আমাদের ঈশ্বর, এবং আমরা তাঁকে পরিত্যাগ করিনি। যেসব যাজক সদাপ্রভুর সেবা করলেন, তারা হারোণের বংশধর ও লেবীয়েরা তাদের কাজে সহযোগিতা করে। \v 11 প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় তারা সদাপ্রভুর কাছে হোমবলি ও সুগন্ধি ধূপ উৎসর্গ করলেন। প্রথাগতভাবে শুচিশুদ্ধ টেবিলে তারা রুটি সাজিয়ে রাখেন এবং প্রতিদিন সকালে সোনার বাতিদানের প্রদীপগুলি তারা জ্বালিয়ে দেন। আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অবশ্যপূরণীয় শর্তগুলি আমরা পূরণ করে যাচ্ছি। কিন্তু তোমরা তাঁকে পরিত্যাগ করেছ। \v 12 ঈশ্বর আমাদের সাথে আছেন; তিনিই আমাদের নেতা। তাঁর যাজকেরা তাদের শিঙাগুলি নিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ-নিনাদ করবেন। হে ইস্রায়েলী জনতা, তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ কোরো না, কারণ তোমরা কিছুতেই সফল হবে না।” \p \v 13 যারবিয়াম ইত্যবসরে ঘুরপথে পিছন দিকে সৈন্য পাঠিয়ে দিলেন, যেন তিনি যখন যিহূদার সামনে থাকবেন, তখন আক্রমণ যেন তাদের পিছন দিক থেকেই শানানো হয়। \v 14 যিহূদার লোকজন পিছন ফিরে দেখেছিল, তারা সামনে ও পিছনে—দুই দিক থেকেই আক্রান্ত হয়েছে। তখন তারা সদাপ্রভুর কাছে কেঁদে ফেলেছিল। যাজকেরা তাদের শিঙাগুলি বাজিয়েছিলেন \v 15 এবং যিহূদার লোকজন যুদ্ধ-নিনাদের স্বর তীব্র করে তুলেছিল। তাদের যুদ্ধ-নিনাদ শুনে ঈশ্বর যারবিয়াম ও সমগ্র ইস্রায়েলকে অবিয় ও যিহূদার সামনে ছত্রভঙ্গ করে দিলেন। \v 16 ইস্রায়েলীরা যিহূদার সামনে থেকে পালিয়ে গেল, এবং ঈশ্বর ইস্রায়েলীদের তাদের হাতে সঁপে দিলেন। \v 17 অবিয় ও তাঁর সৈন্যদল ইস্রায়েলীদের এত ক্ষতিসাধন করলেন, যে ইস্রায়েলীদের মধ্যে পাঁচ লাখ সক্ষম যোদ্ধা মারা পড়েছিল। \v 18 সেবার ইস্রায়েলীরা পরাজিত হল, এবং যিহূদার লোকজন বিজয়ী হল, কারণ তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুতে নির্ভর করল। \p \v 19 অবিয় যারবিয়ামের পিছু ধাওয়া করে তাঁর কাছ থেকে বেথেল, যিশানা ও ইফ্রোণ ও সেই নগরগুলির চারপাশের গ্রামগুলিও ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। \v 20 অবিয়ের সময়কালে যারবিয়াম আর শক্তি অর্জন করতে পারেননি। সদাপ্রভু তাঁকে আঘাত করলেন ও তিনি মারা গেলেন। \p \v 21 কিন্তু অবিয় শক্তি অর্জন করেই যাচ্ছিলেন। তিনি চোদ্দোজন স্ত্রীকে বিয়ে করলেন এবং তাঁর বাইশটি ছেলে ও ষোলোটি মেয়ে হল। \p \v 22 অবিয়ের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তিনি যা যা করলেন ও যা যা বললেন, সেসব ভাববাদী ইদ্দোর টীকারচনায় লেখা আছে। \c 14 \p \v 1 অবিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে আসা রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন, এবং তাঁর রাজত্বকালে দশ বছর দেশে শান্তি বজায় ছিল। \s1 যিহূদার রাজা আসা \p \v 2 আসা, তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো ও উপযুক্ত, তাই করলেন। \v 3 তিনি বিজাতীয় যজ্ঞবেদি ও পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি উপড়ে ফেলেছিলেন, পবিত্র পাথরগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন এবং আশেরার খুঁটিগুলি\f + \fr 14:3 \fr*\ft অর্থাৎ, দেবী আশেরার কাঠের মূর্তিগুলি; এখানে ও 2 বংশাবলির অন্য সব স্থানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* কেটে নামিয়েছিলেন। \v 4 তিনি যিহূদার লোকজনকে আদেশ দিলেন, তারা যেন তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে এবং তাঁর বিধান ও আজ্ঞা মেনে চলে। \v 5 যিহূদার প্রত্যেকটি নগরে তিনি পূজার্চনার উঁচু স্থান ও ধূপবেদিগুলি উপড়ে ফেলেছিলেন, এবং তাঁর অধীনে রাজ্যে শান্তি বজায় ছিল। \v 6 যেহেতু দেশে শান্তি বজায় ছিল, তাই তিনি যিহূদায় কয়েকটি সুরক্ষিত নগর গড়ে তুলেছিলেন। সেই সময়, কয়েক বছর কেউ তাঁর সাথে যুদ্ধ করেননি, কারণ সদাপ্রভু তাঁকে বিশ্রাম দিলেন। \p \v 7 “এসো, আমরা এই নগরগুলি গড়ে তুলি,” তিনি যিহূদার লোকজনকে বললেন, “আর সেগুলির চারপাশে দেয়াল গেঁথে দিই, এবং মিনার, দরজা ও খিলও গড়ে দিই। দেশ এখনও আমাদেরই অধিকারে আছে, যেহেতু আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করেছি; আমরা তাঁর অন্বেষণ করেছি এবং সবদিক থেকেই তিনি আমাদের বিশ্রাম দিয়েছেন।” অতএব তারা নগরগুলি গড়ে তুলেছিল এবং সফলও হল। \p \v 8 আসার কাছে যিহূদা গোষ্ঠীভুক্ত এলাকা থেকে আসা এমন তিন লাখ সৈন্য ছিল, যারা বড়ো বড়ো ঢাল ও বর্শায় সুসজ্জিত ছিল, এবং বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত এলাকা থেকে আসা এমন দুই লাখ আশি হাজার সৈন্য ছিল, যারা ছোটো ছোটো ঢাল ও ধনুকে সুসজ্জিত ছিল। এরা সবাই ছিল সাহসী যোদ্ধা। \p \v 9 কূশীয় সেরহ তাদের বিরুদ্ধে দশ লাখ সৈন্য এবং তিনশো রথ নিয়ে কুচকাওয়াজ করে বেরিয়ে এসেছিল, ও একেবারে মারেশা পর্যন্ত পৌঁছে গেল। \v 10 আসা তার সাথে সম্মুখসমরে নেমেছিলেন, এবং মারেশার কাছে সফাথা উপত্যকায় যুদ্ধক্ষেত্রে তারা নিজের নিজের অবস্থান নিয়েছিলেন। \p \v 11 তখন আসা তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ডেকে বললেন, “হে সদাপ্রভু, শক্তিশালীর বিরুদ্ধে শক্তিহীনকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তোমার মতো আর কেউ নেই। হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি আমাদের সাহায্য করো, কারণ আমরা তোমারই উপর নির্ভর করে আছি, এবং এই বিশাল সৈন্যদলের বিরুদ্ধে আমরা তোমার নামেই এগিয়ে এসেছি। হে সদাপ্রভু, তুমিই আমাদের ঈশ্বর; নিছক মরণশীল মানুষ যেন তোমার বিরুদ্ধে জিততে না পারে।” \p \v 12 আসা ও যিহূদার সামনে সদাপ্রভু সেই কূশীয়দের আঘাত করলেন। কূশীয়েরা পালিয়ে গেল, \v 13 এবং আসা ও তাঁর সৈন্যদল একেবারে গরার পর্যন্ত তাদের পিছু ধাওয়া করে গেলেন। এত বেশি সংখ্যায় কূশীয়েরা মারা পড়েছিল, যে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি; তারা সদাপ্রভুর ও তাঁর সৈন্যদলের সামনে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল। যিহূদার লোকজন প্রচুর পরিমাণে লুটসামগ্রী তুলে নিয়ে এসেছিল। \v 14 গরারের চারপাশের সব গ্রাম তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল, কারণ সদাপ্রভুর আতঙ্ক তাদের উপর এসে পড়েছিল। তারা সেইসব গ্রামে লুটপাট চালিয়েছিল, যেহেতু সেখানে প্রচুর লুটসামগ্রী পড়েছিল। \v 15 এছাড়া তারা রাখালদের শিবিরগুলিতেও আক্রমণ চালিয়েছিল এবং পালে পালে মেষ, ছাগল ও উট তুলে নিয়ে এসেছিল। পরে তারা জেরুশালেমে ফিরে গেল। \c 15 \s1 আসার সংস্কারসাধন \p \v 1 ওদেদের ছেলে অসরিয়ের উপর ঈশ্বরের আত্মা নেমে এলেন। \v 2 তিনি আসার সাথে দেখা করতে গেলেন ও তাঁকে বললেন, “হে আসা এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের সব লোকজন, আমার কথা শোনো। তোমরা যতদিন সদাপ্রভুর সাথে আছ, তিনিও তোমাদের সাথে আছেন। তোমরা যদি তাঁর অন্বেষণ করো, তবে তাঁকে খুঁজে পাবে, কিন্তু তোমরা যদি তাঁকে পরিত্যাগ করো, তবে তিনিও তোমাদের পরিত্যাগ করবেন। \v 3 দীর্ঘকাল ইস্রায়েল সত্য ঈশ্বরবিহীন, শিক্ষা দেওয়ার উপযোগী এক যাজক-বিহীন ও বিধানবিহীন হয়েই ছিল। \v 4 কিন্তু তাদের দুঃখদুর্দশার দিনে তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে ফিরেছিল, ও তাঁর অন্বেষণ করল, এবং তারা তাঁর খোঁজ পেয়েছিল। \v 5 সেই দিনগুলিতে নিরাপদে ঘোরাফেরা করা যেত না, কারণ দেশের সব অধিবাসী খুব গোলমেলে অবস্থায় ছিল। \v 6 এক জাতি অন্য এক জাতির দ্বারা এবং এক নগর অন্য এক নগরের দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ হচ্ছিল, কারণ ঈশ্বরই সব ধরনের দুঃখ দিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন করছিলেন। \v 7 কিন্তু তোমরা বলবান হও ও হাল ছেড়ে দিয়ো না, কারণ তোমাদের কাজ পুরস্কৃত হবে।” \p \v 8 আসা যখন এইসব কথা ও ওদেদের ছেলে ভাববাদী অসরিয়ের\f + \fr 15:8 \fr*\ft কিছু কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে “ওদেদের ছেলে ভাববাদী অসরিয়ের” পরিবর্তে লেখা আছে “ভাববাদী ওদেদের”\ft*\f* করা ভাববাণীটি শুনেছিলেন, তখন তিনি সাহস পেয়েছিলেন। যিহূদা ও বিন্যামীনের গোটা এলাকা থেকে এবং ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকার যেসব নগর তিনি দখল করলেন, সেগুলি থেকেও ঘৃণ্য প্রতিমার মূর্তিগুলি তিনি সরিয়ে দিলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের বারান্দার সামনে রাখা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিটি তিনি মেরামত করে দিলেন। \p \v 9 পরে যিহূদা ও বিন্যামীনের সব লোকজনকে এবং ইফ্রয়িম, মনঃশি ও শিমিয়োন গোষ্ঠীভুক্ত এলাকা থেকে আসা সেইসব লোককে তিনি এক স্থানে একত্রিত করলেন, যারা তাদের মাঝখানে বসতি স্থাপন করল, কারণ ইস্রায়েল থেকে প্রচুর লোকজন তখনই তাঁর কাছে এসেছিল, যখন তারা দেখেছিল যে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর সাথে আছেন। \p \v 10 আসার রাজত্বকালের পঞ্চদশতম বছরের তৃতীয় মাসে তারা জেরুশালেমে একত্রিত হল। \v 11 সেই সময় যে লুটসামগ্রী তারা নিয়ে এসেছিল, সেখান থেকে তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সাতশো গবাদি পশু এবং সাত হাজার মেষ ও ছাগল বলি দিয়েছিল। \v 12 মনেপ্রাণে তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য এক নিয়মে নিজেদের বেঁধে ফেলেছিল। \v 13 যারা যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করবে না, তারা ছোটই হোক বা বড়ো, পুরুষই হোক বা মহিলা, তাদের মেরে ফেলা হবে। \v 14 জোরালো সাধুবাদ জানিয়ে, চিৎকার করে ও শিঙা বাজিয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশে তারা এক শপথ নিয়েছিল। \v 15 যিহূদার সব লোকজন সেই শপথের বিষয়ে আনন্দ প্রকাশ করল, কারণ মনেপ্রাণে তারা সেই শপথ নিয়েছিল। আগ্রহী হয়ে তারা ঈশ্বরের অন্বেষণ করল, এবং তিনি তাদের কাছে ধরা দিলেন। অতএব সবদিক থেকেই সদাপ্রভু তাদের বিশ্রাম দিলেন। \p \v 16 এছাড়াও রাজা আসা, রাজমাতার পদ থেকে তাঁর ঠাকুমা মাখাকে সরিয়ে দিলেন, কারণ আশেরার পুজো করার জন্য মাখা জঘন্য এক মূর্তি তৈরি করেছিলেন। আসা সেটি কেটে ফেলে দিয়ে, ভেঙেও দিলেন এবং কিদ্রোণ উপত্যকায় সেটি জ্বালিয়ে দিলেন। \v 17 ইস্রায়েল থেকে যদিও তিনি পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি উপড়ে ফেলেননি, তবুও আজীবন আসার অন্তর সদাপ্রভুর প্রতি পুরোপুরি সমর্পিতই ছিল। \v 18 ঈশ্বরের মন্দিরে তিনি রুপো ও সোনা এবং সেইসব জিনিসপত্র এনে রেখেছিলেন, যেগুলি তিনি ও তাঁর বাবা উৎসর্গ করলেন। \p \v 19 আসার রাজত্বকালের পঁয়ত্রিশতম বছর পর্যন্ত আর কোনও যুদ্ধ হয়নি। \c 16 \s1 আসার জীবনকালের শেষ বছরগুলি \p \v 1 আসার রাজত্বকালের ছত্রিশতম বছরে ইস্রায়েলের রাজা বাশা যিহূদার বিরুদ্ধে উঠে গেলেন এবং রামা নগরটি সুরক্ষিত করে সেখানে ঘাঁটি গেড়েছিলেন, যেন যিহূদার রাজা আসার এলাকা থেকে কেউ বেরিয়ে আসতে না পারে বা সেখানে ঢুকতেও না পারে। \p \v 2 আসা তখন সদাপ্রভুর মন্দির থেকে ও তাঁর নিজের প্রাসাদের কোষাগার থেকে রুপো ও সোনা নিয়ে সেগুলি অরামের রাজা সেই বিন্‌হদদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, যিনি দামাস্কাসে রাজত্ব করছিলেন। \v 3 “আপনার ও আমার মধ্যে এক চুক্তি হোক,” তিনি বললেন, “যেমনটি আমার বাবা ও আপনার বাবার মধ্যে ছিল। দেখুন, আমি আপনার কাছে রুপো ও সোনা পাঠাচ্ছি। এখন আপনি ইস্রায়েলের রাজা বাশার সঙ্গে করা আপনার চুক্তিটি ভেঙে ফেলুন, তবেই সে আমার কাছ থেকে পিছিয়ে যাবে।” \p \v 4 বিন্‌হদদ আসার কথায় রাজি হলেন এবং ইস্রায়েলের নগরগুলির বিরুদ্ধে তাঁর সৈন্যদলের সেনাপতিদের পাঠালেন। তারা ইয়োন, দান, আবেল-ময়িম\f + \fr 16:4 \fr*\ft এটি “আবেল-বেত-মাখা” নামেও পরিচিত\ft*\f* ও নপ্তালির সব ভাঁড়ার-নগর জোর করে দখল করে নিয়েছিল। \v 5 বাশা যখন একথা শুনতে পেলেন, তিনি রামা নগরটি গড়ে তোলার কাজ বন্ধ করে দিলেন এবং তাঁর কাজ পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে গেলেন। \v 6 পরে রাজা আসা যিহূদার সব লোকজনকে সেখানে নিয়ে এলেন, এবং তারা রামা থেকে সেইসব পাথর ও কাঠ বয়ে নিয়ে গেল, যেগুলি বাশা ব্যবহার করছিলেন। সেগুলি দিয়ে তিনি গেবা ও মিস্‌পা নগর দুটি গড়ে তুলেছিলেন। \p \v 7 সেই সময় দর্শক হনানি যিহূদার রাজা আসার কাছে এলেন এবং তাঁকে বললেন: “যেহেতু আপনি আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর নির্ভর না করে অরামের রাজার উপর নির্ভর করেছেন, তাই অরামের রাজার সৈন্যদল আপনার হাতের নাগাল এড়িয়ে পালিয়েছে। \v 8 বিশাল সংখ্যক রথ ও অশ্বারোহী\f + \fr 16:8 \fr*\ft অথবা, “সারথি”\ft*\f* সমেত কূশীয়\f + \fr 16:8 \fr*\ft অর্থাৎ, নীলনদের উচ্চতর অববাহিকায় বসবাসকারী লোকজন\ft*\f* ও লূবীয়েরা কি বিশাল এক সৈন্যদল ছিল না? তবুও আপনি যখন সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করলেন, তখন তিনি আপনার হাতে তাদের সঁপে দিলেন। \v 9 কারণ সদাপ্রভুর চোখ তাদেরই শক্তিশালী করে তোলার জন্য গোটা পৃথিবী জুড়ে বিচরণ করে যাচ্ছে, যাদের অন্তর তাঁর প্রতি পুরোপুরি সমর্পিত। আপনি মূর্খের মতো কাজ করেছেন, আর এখন থেকে বারবার আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে।” \p \v 10 এতে আসা সেই দর্শকের উপর রেগে গেলেন; তিনি এত রেগে গেলেন যে হনানিকে জেলখানায় পুরে দিলেন। একইসাথে, কিছু কিছু লোকের প্রতি আসা নিষ্ঠুর অত্যাচারও চালিয়েছিলেন। \p \v 11 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, আসার রাজত্বকালের সব ঘটনা যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে। \v 12 আসার রাজত্বকালের ঊনচল্লিশ বছরে তিনি তাঁর পায়ের রোগে কাতর হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর রোগ দুঃসহ হওয়া সত্ত্বেও, এমনকি অসুস্থতার সময়েও তিনি সদাপ্রভুর কাছে সাহায্য চাননি, কিন্তু শুধু চিকিৎসকদের কাছেই তিনি সাহায্য চেয়েছিলেন। \v 13 পরে আসার রাজত্বকালের একচল্লিশতম বছরে তিনি মারা গেলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন। \v 14 দাউদ-নগরে তিনি নিজের জন্য যে কবরটি খুঁড়িয়েছিলেন, সেখানেই লোকেরা তাঁকে কবর দিয়েছিল। মশলাপাতি ও বিভিন্ন ধরনের মিশ্রিত সুগন্ধি মাখিয়ে তাঁর দেহটি তারা একটি খাটে শুইয়ে দিয়েছিল, এবং তাঁর সম্মানে তারা আগুন জ্বালানোর এলাহি এক আয়োজন করল। \c 17 \s1 যিহূদার রাজা যিহোশাফট \p \v 1 আসার ছেলে যিহোশাফট রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন এবং ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে নিজেকে শক্তিশালী করে তুলেছিলেন। \v 2 যিহূদার সব সুরক্ষিত নগরে তিনি সৈন্যদল মোতায়েন করে দিলেন এবং যিহূদাকে ও ইফ্রয়িমের সেইসব নগরকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তিনি সৈন্যদল মোতায়েন করলেন, যেগুলি তাঁর বাবা আসা দখল করলেন। \p \v 3 সদাপ্রভু যিহোশাফটের সাথে ছিলেন, কারণ তাঁর সামনে তিনি তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের পথেই চলতেন। তিনি বায়াল-দেবতাদের কাছে পরামর্শ চাইতেন না \v 4 কিন্তু তাঁর পৈতৃক ঈশ্বরের অন্বেষণ করতেন এবং ইস্রায়েলের প্রথানুসারে না চলে বরং ঈশ্বরেরই আদেশ পালন করতেন। \v 5 সদাপ্রভু যিহোশাফটের নিয়ন্ত্রণে রাজ্যটি সুস্থির করলেন; এবং যিহূদার সব লোকজন তাঁর কাছে উপহারসামগ্রী নিয়ে এসেছিল, এতে তিনি প্রচুর ধনসম্পদ ও সম্মানের অধিকারী হলেন। \v 6 সদাপ্রভুর পথের প্রতি তাঁর অন্তর সমর্পিত হয়েছিল; এছাড়াও, তিনি যিহূদা দেশ থেকে পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি ও আশেরার খুঁটিগুলিও উপড়ে ফেলে সরিয়ে দিলেন। \p \v 7 তাঁর রাজত্বকালের তৃতীয় বছরে যিহূদা দেশের বিভিন্ন নগরে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তিনি তাঁর কর্মকর্তা বিন-হয়িল, ওবদিয়, সখরিয়, নথনেল ও মীখায়কে পাঠালেন। \v 8 তাঁদের সাথে ছিলেন কয়েকজন লেবীয়—শময়িয়, নথনিয়, সবদিয়, অসাহেল, শমীরামোৎ, যিহোনাথন, অদোনিয়, টোবিয় ও টোব-অদোনীয়—এবং যাজক ইলীশামা ও যিহোরাম। \v 9 সদাপ্রভুর বিধানপুস্তক সাথে নিয়ে তারা গোটা যিহূদা দেশে ঘুরে ঘুরে শিক্ষা দিয়ে বেড়িয়েছিলেন; যিহূদা দেশের সব নগরে গিয়ে গিয়ে তারা লোকদের শিক্ষা দিলেন। \p \v 10 যিহূদা দেশের চারপাশে থাকা সব দেশের রাজ্যগুলির উপর এমনভাবে সদাপ্রভুর ভয় নেমে এসেছিল, যে তারা আর যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেননি। \v 11 ফিলিস্তিনীদের মধ্যে কেউ কেউ কর-বাবদ যিহোশাফটের কাছে উপহারসামগ্রী ও রুপো নিয়ে এসেছিল, এবং আরবীয়েরা তাঁর কাছে এই পশুপাল নিয়ে এসেছিল: সাত হাজার সাতশো মদ্দা মেষ ও সাত হাজার সাতশো ছাগল। \p \v 12 যিহোশাফট ক্রমাগত আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন; যিহূদায় তিনি কয়েকটি দুর্গ ও ভাঁড়ার-নগর গড়ে তুলেছিলেন \v 13 এবং যিহূদার নগরগুলিতে প্রচুর জিনিসপত্র মজুদ করলেন। এছাড়াও জেরুশালেমে তিনি অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের রেখে দিলেন। \v 14 বংশানুসারে তাদের তালিকাটি এইরকম: \b \li1 যিহূদা থেকে, সহস্র-সেনাপতিরা হলেন: \li2 3,00,000 যোদ্ধা সমেত সেনাপতি অদন; \li2 \v 15 তাঁর পরে, 2,80,000 যোদ্ধা সমেত সেনাপতি যিহোহানন; \li2 \v 16 তাঁর পরে, 2,00,000 যোদ্ধা সমেত সিখ্রির ছেলে সেই অমসিয়, যিনি সদাপ্রভুর সেবা করার জন্য নিজেই স্বেচ্ছাসেবক হলেন। \li1 \v 17 বিন্যামীন থেকে: \li2 ধনুক ও ঢাল নিয়ে সুসজ্জিত 2,00,000 যোদ্ধা সমেত বীর সৈনিক ইলিয়াদা; \li2 \v 18 তাঁর পরে, যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত 1,80,000 যোদ্ধা সমেত যিহোষাবদ। \b \m \v 19 রাজা যাদের গোটা যিহূদা দেশ জুড়ে বিভিন্ন সুরক্ষিত নগরে মোতায়েন করলেন, তাদের পাশাপাশি এরাও সেইসব লোক, যারা রাজার সেবা করতেন। \c 18 \s1 মীখায় আহাবের বিরুদ্ধে ভাববাণী করলেন \p \v 1 যিহোশাফট প্রচুর ধনসম্পদ ও সম্মানের অধিকারী হলেন, এবং বিবাহসূত্রে তিনি আহাবের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। \v 2 কয়েক বছর পর তিনি শমরিয়ায় আহাবের সাথে দেখা করতে গেলেন। তাঁর জন্য ও তাঁর সাথে থাকা লোকজনের জন্য আহাব প্রচুর মেষ ও গবাদি পশু বধ করলেন এবং রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করার জন্য তাঁকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন। \v 3 ইস্রায়েলের রাজা আহাব যিহূদার রাজা যিহোশাফটকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি আমার সাথে রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে যাবেন?” \p যিহোশাফট উত্তর দিলেন, “আমি আপনারই মতো, ও আমার প্রজারাও আপনার প্রজাদেরই মতো; যুদ্ধে আমরা আপনার সাথে যোগ দেব।” \v 4 কিন্তু যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে এও বললেন, “প্রথমে সদাপ্রভুর কাছে পরামর্শ চেয়ে নিন।” \p \v 5 তাই ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের—চারশো জনকে—একত্রিত করলেন এবং তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করব, কি করব না?” \p “চলে যান,” তারা উত্তর দিয়েছিল, “কারণ ঈশ্বর সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।” \p \v 6 কিন্তু যিহোশাফট জিজ্ঞাসা করলেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর এমন কোনও ভাববাদী নেই, যাঁর কাছে আমরা খোঁজখবর নিতে পারব?” \p \v 7 ইস্রায়েলের রাজা, যিহোশাফটকে উত্তর দিলেন, “আরও একজন ভাববাদী আছেন, যার মাধ্যমে আমরা সদাপ্রভুর কাছে খোঁজখবর নিতে পারি, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, যেহেতু সে কখনোই আমার বিষয়ে ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু সবসময় খারাপ ভাববাণীই করে। সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়।” \p “মহারাজ এরকম কথা বলবেন না,” যিহোশাফট উত্তর দিলেন। \p \v 8 তখন ইস্রায়েলের রাজা কর্মকর্তাদের মধ্যে একজনকে ডেকে বললেন, “এক্ষুনি গিয়ে যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে আনো।” \p \v 9 রাজপোশাক পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট, দুজনেই শমরিয়ার সিংহদুয়ারের কাছে খামারবাড়িতে তাদের সিংহাসনে বসেছিলেন, এবং ভাববাদীরা সবাই তাদের সামনে ভাববাণী করে যাচ্ছিল। \v 10 ইত্যবসরে কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় লোহার দুটি শিং তৈরি করল এবং সে ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘অরামীয়রা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এগুলি দিয়েই আপনি তাদের গুঁতাবেন।’ ” \p \v 11 অন্যান্য সব ভাববাদীও একই ভাববাণী করল। “রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন এবং বিজয়ী হোন,” তারা বলল, “কারণ সদাপ্রভু সেটি রাজার হাতে তুলে দেবেন।” \p \v 12 যে দূত মীখায়কে ডাকতে গেল, সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই কোনও আপত্তি না জানিয়ে রাজার পক্ষে সফলতার ভাববাণী করছে। আপনার কথাও যেন তাদেরই মতো হয়, এবং আপনিও সুবিধাজনক কথাই বলুন।” \p \v 13 কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমার ঈশ্বর যা বলবেন, আমি তাঁকে শুধু সেকথাই বলতে পারব।” \p \v 14 তিনি সেখানে পৌঁছানোর পর রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধযাত্রা করব, কি করব না?” \p “আক্রমণ করে আপনি বিজয়ী হোন,” তিনি উত্তর দিলেন, “কারণ সেখানকার লোকজনকে আপনার হাতে তুলে দেওয়া হবে।” \p \v 15 রাজা তাঁকে বললেন, “কতবার আমি তোমাকে দিয়ে শপথ করাব যে তুমি সদাপ্রভুর নামে আমাকে সত্যিকথা ছাড়া আর কিছুই বলবে না?” \p \v 16 তখন মীখায় উত্তর দিলেন, “আমি দেখতে পাচ্ছি, ইস্রায়েলীরা সবাই পাহাড়ের উপর পালকবিহীন মেষের পালের মতো হয়ে আছে, এবং সদাপ্রভু বলেছেন, ‘এই লোকজনের কোনও মনিব নেই। শান্তিতে যে যার ঘরে ফিরে যাক।’ ” \p \v 17 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে বলিনি যে সে আমার বিষয়ে কখনও ভালো কিছু ভাববাণী করে না, কিন্তু শুধু খারাপ ভাববাণীই করে?” \p \v 18 মীখায় আরও বললেন, “এজন্য সদাপ্রভুর এই বাক্য শুনুন: আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং স্বর্গের জনতা তাঁর ডানদিকে ও বাঁদিকে দাঁড়িয়ে আছে। \v 19 সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করে সেখানে মরতে যাওয়ার জন্য কে ইস্রায়েলের রাজা আহাবকে প্ররোচিত করবে?’ \p “তখন কেউ একথা, কেউ সেকথা বলল। \v 20 শেষে, একটি আত্মা এগিয়ে এসে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়েছিল এবং বলল, ‘আমি তাকে প্ররোচিত করব।’ \p “ ‘কীভাবে?’ সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন। \p \v 21 “ ‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীর মুখে প্রতারণাকারী আত্মা হয়ে যাব,’ সে বলল। \p “ ‘তুমি তাকে প্ররোচিত করতে সফল হবে,’ সদাপ্রভু বললেন। ‘যাও, গিয়ে সে কাজটি করো।’ \p \v 22 “তাই এখন সদাপ্রভু আপনার এই ভাববাদীদের মুখে বিভ্রান্তিকর এক আত্মা দিয়েছেন। সদাপ্রভু আপনার সর্বনাশের হুকুম জারি করেছেন।” \p \v 23 তখন কেনান্নার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরেছিল। “সদাপ্রভুর কাছ থেকে আসা আত্মা\f + \fr 18:23 \fr*\ft অথবা, “সদাপ্রভুর আত্মা”\ft*\f* তোর সাথে কথা বলার জন্য কোন পথে আমার কাছ থেকে গেলেন?” সে জিজ্ঞাসা করল। \p \v 24 মীখায় উত্তর দিলেন, “সেদিনই তুমি তা জানতে পারবে, যেদিন তুমি ভিতরের ঘরে গিয়ে লুকাবে।” \p \v 25 ইস্রায়েলের রাজা তখন আদেশ দিলেন, “মীখায়কে ধরে নগরের শাসনকর্তা আমোনের ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে পাঠিয়ে দাও, \v 26 এবং তাদের বোলো, ‘রাজা একথাই বলেছেন: একে জেলখানায় রেখে দাও এবং যতদিন না আমি নিরাপদে ফিরে আসছি, ততদিন একে রুটি ও জল ছাড়া আর কিছুই দিয়ো না।’ ” \p \v 27 মীখায় ঘোষণা করলেন, “আপনি যদি নিরাপদে কখনও ফিরে আসেন, তবে জানবেন, সদাপ্রভু আমার মাধ্যমে কথা বলেননি।” পরে তিনি আরও বললেন, “ওহে লোকজন, তোমরা সবাই আমার কথাগুলি মনে গেঁথে রাখো!” \s1 রামোৎ-গিলিয়দে আহাব নিহত হলেন \p \v 28 অতএব ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দে চলে গেলেন। \v 29 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাক পরে থাকুন।” এইভাবে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশ ধারণ করে যুদ্ধে গেলেন। \p \v 30 ইত্যবসরে অরামের রাজা তাঁর রথের সেনাপতিদের আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া, ছোটো বা বড়ো, কোনো লোকের সাথে যুদ্ধ করবে না।” \v 31 রথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিল, “ইনিই নিশ্চয় ইস্রায়েলের রাজা।” তাই তাঁকে আক্রমণ করার জন্য তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু যিহোশাফট চিৎকার করে উঠেছিলেন, এবং সদাপ্রভু তাঁকে সাহায্য করলেন। ঈশ্বর তাঁর কাছ থেকে তাদের সরিয়ে দিলেন, \v 32 কারণ রথের সেনাপতিরা যখন দেখেছিল যে তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, তখন তারা তাঁর পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছিল। \p \v 33 কিন্তু কেউ একজন আচমকা ধনুকে টান দিয়ে ইস্রায়েলের রাজার বুক ও পেটে পরবার বর্মের মাঝখানের ফাঁকা স্থানে আঘাত করে বসেছিল। রাজা তাঁর রথের সারথিকে বললেন, “রথ ঘুরিয়ে নিয়ে আমাকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বাইরে নিয়ে চলো। আমি আহত হয়ে পড়েছি।” \v 34 সারাদিন ধরে সেদিন ধুন্ধুমার যুদ্ধ চলেছিল, এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত ইস্রায়েলের রাজা অরামীয়দের দিকে মুখ করে নিজেকে রথের উপর দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। পরে সূর্যাস্তের সময় তিনি মারা গেলেন। \c 19 \p \v 1 যিহূদার রাজা যিহোশাফট যখন নিরাপদে জেরুশালেমে তাঁর প্রসাদে ফিরে এলেন, \v 2 তখন হনানির ছেলে দর্শক যেহূ তাঁর সাথে দেখা করার জন্য বের হয়ে এলেন এবং রাজাকে তিনি বললেন, “দুষ্টকে সাহায্য করা ও যারা সদাপ্রভুকে ঘৃণা করে, তাদের ভালোবাসা\f + \fr 19:2 \fr*\ft অথবা, “তাদের সাথে জোট বাঁধা”\ft*\f* কি আপনার উচিত হয়েছে? এজন্য, সদাপ্রভুর ক্রোধ আপনার উপর এসে পড়েছে। \v 3 কিছু ভালো গুণ এখনও অবশ্য আপনার মধ্যে রয়ে গিয়েছে, কারণ আপনি দেশ থেকে আশেরা-খুঁটিগুলি উৎখাত করে ছেড়েছেন এবং ঈশ্বরের অন্বেষণ করার জন্য আপনার অন্তর স্থির করেছেন।” \s1 যিহোশাফট কয়েকজন বিচারক নিযুক্ত করলেন \p \v 4 যিহোশাফট জেরুশালেমে বসবাস করছিলেন, এবং তিনি আবার বের-শেবা থেকে শুরু করে ইফ্রয়িমের পাহাড়ি এলাকায় যত লোক বসবাস করত, তাদের কাছে গেলেন ও তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তাদের ফিরিয়ে এনেছিলেন। \v 5 দেশে, অর্থাৎ যিহূদার প্রত্যেকটি সুরক্ষিত নগরে তিনি বিচারক নিযুক্ত করে দিলেন। \v 6 তিনি তাদের বললেন, “সাবধান হয়ে তোমরা তোমাদের কাজকর্ম কোরো, কারণ তোমরা নিছক মরণশীল মানুষের হয়ে বিচার করছ না কিন্তু সেই সদাপ্রভুর হয়েই করছ, যিনি তোমাদের সাথেই তখন আছেন, যখন তোমরা বিচারের কোনও রায় দিচ্ছ। \v 7 এখন সদাপ্রভুর ভয় তোমাদের উপর বিরাজ করুক। সাবধান হয়ে বিচার কোরো, কারণ অন্যায়ের বা একপেশেমির বা ঘুস দেওয়া-নেওয়ার সাথে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কোনও সম্পর্ক নেই।” \p \v 8 জেরুশালেমেও যিহোশাফট সদাপ্রভুর বিধান প্রয়োগ করার ও মতবিরোধের মীমাংসা করার জন্য কয়েকজন লেবীয়কে, যাজককে ও ইস্রায়েল বংশোদ্ভুক্ত কর্তাব্যক্তিকে নিযুক্ত করলেন। তারা সবাই জেরুশালেমেই বসবাস করতেন। \v 9 তিনি তাদের এইসব আদেশ দিলেন: “সদাপ্রভুর ভয়ে বিশ্বস্ত হয়ে ও মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে তোমাদের পরিচর্যা করতে হবে। \v 10 বিভিন্ন নগরে যারা বসবাস করে, সেইসব লোক যখন তোমাদের কাছে কোনও সমস্যা নিয়ে আসবে, তখন প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই—রক্তপাত হোক বা বিধানের, আদেশের, বিধির বা নিয়মকানুনের অন্য কোনও বিষয়—তোমাদের তখন তাদের সতর্ক করে দিতে হবে, যেন তারা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ না করে; তা না হলে তাঁর ক্রোধ তোমাদের উপর ও তোমাদের লোকজনের উপর নেমে আসবে। এরকমই কোরো, আর তোমরা দোষী হবে না। \p \v 11 “সদাপ্রভুর যে কোনো বিষয়ে প্রধান যাজক অমরিয় তোমাদের দায়িত্ব পালন করবেন, এবং যিহূদা বংশের নেতা ও ইশ্মায়েলের ছেলে সবদিয়, রাজার যে কোনো বিষয়ে তোমাদের দায়িত্ব পালন করবেন, এবং লেবীয়েরা তোমাদের সামনে কর্মকর্তা হয়ে পরিচর্যা সামলাবেন। সাহসে বুক বেঁধে কাজ করে যাও, এবং যারা ভালোভাবে কাজ করবে, সদাপ্রভু যেন তাদের সাথে থাকেন।” \c 20 \s1 যিহোশাফট মোয়াবীয় ও অম্মোনীয়দের পরাজিত করলেন \p \v 1 পরে, মোয়াবীয় ও অম্মোনীয়রা কয়েকজন মায়োনীয়কে\f + \fr 20:1 \fr*\ft অথবা, “অম্মোনীয়কে”\ft*\f* সাথে নিয়ে যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিল। \p \v 2 কিছু লোকজন এসে যিহোশাফটকে বলল, “ইদোম\f + \fr 20:2 \fr*\ft অথবা “অরাম”\ft*\f* থেকে, মরুসাগরের ওপার থেকে বিশাল এক সৈন্যদল আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। তারা ইতিমধ্যেই হৎসসোন-তামরে (অর্থাৎ ঐন-গদীতে) পৌঁছে গিয়েছে।” \v 3 এই সতর্কবার্তা পেয়ে যিহোশাফট সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছিলেন, এবং তিনি সমগ্র যিহূদা দেশে উপবাস ঘোষণা করে দিলেন। \v 4 যিহূদার প্রজারা সদাপ্রভুর কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য এক স্থানে একত্রিত হল; বাস্তবিকই তাঁর খোঁজে তারা যিহূদার প্রত্যেকটি নগর থেকে চলে এসেছিল। \p \v 5 তখন যিহোশাফট সদাপ্রভুর মন্দিরে, নতুন উঠোনের সামনে যিহূদা ও জেরুশালেমের সমবেত জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে \v 6 বললেন: \pm “হে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি স্বর্গে বিরাজমান ঈশ্বর নও? তুমিই তো জাতিদের সব রাজ্য শাসন করে থাকো। বল ও শক্তি তো তোমারই হাতে আছে, আর কেউ তোমাকে বাধাও দিতে পারে না। \v 7 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমিই কি তোমার প্রজা ইস্রায়েলের সামনে থেকে এই দেশের অধিবাসীদের দূর করে দাওনি এবং এই দেশটি তোমার বন্ধু অব্রাহামের বংশধরদের হাতে চিরকালের জন্য তুলে দাওনি? \v 8 তারা এখানে বসবাস করেছে এবং এই বলে এখানে এক পবিত্র পীঠস্থান তৈরি করেছে, \v 9 ‘যদি বিপর্যয় আমাদের উপর এসেও পড়ে, তা সে বিচারের তরোয়াল, বা মহামারি বা দুর্ভিক্ষ, যাই হোক না কেন, আমরা তোমার উপস্থিতিতে এই মন্দিরটির সামনে এসে দাঁড়াব, যা তোমার নাম বহন করে চলেছে এবং আমাদের দুর্দশায় আমরা তোমারই কাছে কাঁদব, ও তুমি আমাদের কান্না শুনে আমাদের বাঁচাবে।’ \pm \v 10 “কিন্তু এখন এখানে অম্মোন, মোয়াব ও সেয়ীর পর্বত থেকে সেইসব লোকজন এসে পড়েছে, যাদের এলাকায় তুমি ইস্রায়েলকে তখন সশস্ত্র আক্রমণ চালাতে দাওনি, যখন তারা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিল; তাই ইস্রায়েলীরা তাদের কাছ থেকে ফিরে গেল ও তাদের ধ্বংসও করেননি। \v 11 তুমি দেখো, এক উত্তরাধিকাররূপে তুমি আমাদের যে স্বত্ত্বাধিকার দিয়েছ, তা থেকে আমাদের তাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে তারা আমাদের প্রতিদান দিচ্ছে। \v 12 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি কি তাদের বিচার করবে না? কারণ এই যে বিশাল সৈন্যদল আমাদের আক্রমণ করতে আসছে, তাদের সম্মুখীন হওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। কী করব, তা আমরা জানি না, কিন্তু আমাদের চোখ তোমার উপরেই আছে।” \p \v 13 যিহূদার সব লোকজন তাদের স্ত্রী, সন্তান ও ছোটো ছোটো শিশুদের সাথে নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। \p \v 14 সখরিয়ের ছেলে যহসীয়েল যখন জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন সদাপ্রভুর আত্মা তাঁর উপর নেমে এলেন। তিনি একজন লেবীয় ও আসফের এক বংশধর ছিলেন। সখরিয় বনায়ের ছেলে, বনায় যিয়েলের ছেলে, যিয়েল মত্তনিয়ের ছেলে ছিলেন। \p \v 15 তিনি বললেন: “হে রাজা যিহোশাফট এবং যিহূদা ও জেরুশালেমে বসবাসকারী সব লোকজন, আপনারা শুনুন! সদাপ্রভু আপনাদের একথা বলছেন: ‘এই বিশাল সৈন্যদল দেখে ভয় পেয়ো না বা নিরাশ হোয়ো না। \v 16 আগামীকাল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করো। তারা সীস গিরিখাতের পথ বেয়ে উপরে উঠতে থাকবে, এবং তোমরা যিরূয়েল মরুভূমিতে গিরিখাতের শেষ প্রান্তে তাদের খুঁজে পাবে। \v 17 এই যুদ্ধটি তোমাদের করতে হবে না। তোমরা শুধু শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকো; হে যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকজন, শক্ত হয়ে দাঁড়াও ও দেখো, সদাপ্রভু কেমনভাবে তোমাদের উদ্ধার করছেন। তোমরা ভয় পোয়ো না; নিরাশও হোয়ো না। আগামীকাল তাদের সম্মুখীন হতে যেয়ো, এবং সদাপ্রভু তোমাদের সাথে থাকবেন।’ ” \p \v 18 যিহোশাফট মাটিতে উবুড় হয়ে প্রণাম করলেন, এবং যিহূদা ও জেরুশালেমের সব লোকজনও সদাপ্রভুর আরাধনা করার জন্য মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল। \v 19 পরে কহাতীয় ও কোরহীয়দের মধ্যে কয়েকজন লেবীয় উঠে দাঁড়িয়েছিল ও জোর গলায় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করল। \p \v 20 ভোরবেলায় তারা তকোয় মরুভূমির দিকে রওনা হয়ে গেল। তারা রওনা হতে যাচ্ছিল, এমন সময় যিহোশাফট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “হে যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকেরা, তোমরা আমার কথা শোনো! তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর বিশ্বাস রাখো আর তিনি তোমাদের তুলে ধরবেন; তাঁর ভাববাদীদের উপর বিশ্বাস রাখো আর তোমরা সফল হবে।” \v 21 প্রজাদের সাথে পরামর্শ করে সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান গাওয়ার ও তাঁর পবিত্রতার সমারোহের জন্য\f + \fr 20:21 \fr*\ft অথবা, “মহাসমারোহে তাঁর”\ft*\f* প্রশংসা করার লক্ষ্যে যিহোশাফট সেই সময়, বিশেষ করে যখন তারা সৈন্যদলের আগে আগে যাচ্ছিল, তখন কয়েকজন লোক নিযুক্ত করলেন। তারা বলছিল: \q1 “সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করো, \q2 কারণ তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী।” \p \v 22 যেই তারা গান গাইতে ও প্রশংসা করতে শুরু করল, অম্মোন, মোয়াব ও সেয়ীর পাহাড়ের সেই লোকজনের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে দিলেন, যারা যিহূদা দেশে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছিল, এবং তারা পরাজিত হল। \v 23 অম্মোনীয় ও মোয়াবীয়েরা সেয়ীর পাহাড়ের লোকজনের বিরুদ্ধে খাড়া হয়ে তাদের ধ্বংস ও নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল। সেয়ীরের লোকজনকে কচুকাটা করার পর, তারা একে অপরকেও ধ্বংস করে ফেলেছিল। \p \v 24 যিহূদার লোকজন যখন সেই উঁচু স্থানটিতে এসেছিল, যেখান থেকে নিচে মরুভূমির দৃশ্য দেখা যায়, এবং তারা যখন বিশাল সেই সৈন্যদলের দিকে তাকিয়েছিল, তারা দেখতে পেয়েছিল, মাটিতে শুধু মৃতদেহই পড়ে আছে; কেউ পালাতে পারেনি। \v 25 তাই যিহোশাফট ও তাঁর লোকজন লুটসামগ্রী সংগ্রহ করার জন্য সেখানে গেলেন, সেগুলির মাঝখানে তারা প্রচুর সাজসরঞ্জাম ও পোশাক-পরিচ্ছদ\f + \fr 20:25 \fr*\ft অথবা, “লাশ”\ft*\f* এবং মূল্যবান জিনিসপত্রও খুঁজে পেয়েছিলেন—সেগুলির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে তারা সেগুলি বয়ে আনতে পারেননি। সেখানে এত লুটসামগ্রী ছিল যে সেগুলি সংগ্রহ করতে তাদের তিন দিন লেগে গেল। \v 26 চতুর্থ দিনে তারা সেই বরাখা উপত্যকায় একত্রিত হলেন, যেখানে তারা সদাপ্রভুর প্রশংসা করলেন। সেইজন্য আজও পর্যন্ত সেই স্থানটিকে বরাখা\f + \fr 20:26 \fr*\ft “বরাখা” শব্দের অর্থ “প্রশংসা”\ft*\f* উপত্যকা বলে ডাকা হয়। \p \v 27 পরে, যিহোশাফটের নেতৃত্বে, যিহূদা ও জেরুশালেমের সব লোকজন আনন্দ করতে করতে জেরুশালেমে ফিরে গেল, যেহেতু তাদের শত্রুদের বিষয়ে আনন্দিত হওয়ার সংগত কারণ সদাপ্রভু তাদের জোগালেন। \v 28 তারা জেরুশালেমে প্রবেশ করলেন এবং বীণা, খঞ্জনি ও শিঙা নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে গেলেন। \p \v 29 সদাপ্রভু কীভাবে ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, ইস্রায়েলের চারপাশে অবস্থিত অন্যান্য রাজ্যের সব লোকজন যখন তা শুনতে পেয়েছিল, তখন তাদের উপর ঈশ্বরভয় নেমে এসেছিল। \v 30 যিহোশাফটের রাজ্যে অবশ্য শান্তি বিরাজ করছিল, কারণ সবদিক থেকেই তাঁর ঈশ্বর তাঁকে বিশ্রাম দিলেন। \s1 যিহোশাফটের রাজত্বের সমাপ্তি \p \v 31 এইভাবে যিহোশাফট যিহূদা দেশে রাজত্ব করে গেলেন। তিনি পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যিহূদার রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা, যিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন। \v 32 যিহোশাফট তাঁর বাবা আসার পথেই চলতেন এবং সেখান থেকে কখনও সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করতেন। \v 33 পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি অবশ্য দূর করা হয়নি, এবং প্রজারা তখনও তাদের অন্তর, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরে পুরোপুরি স্থির করেননি। \p \v 34 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা ইস্রায়েলের রাজাদের গ্রন্থের অন্তর্গত হনানির ছেলে যেহূর ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে। \p \v 35 পরে, যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজা সেই অহসিয়ের সাথে জোট গড়ে তুলেছিলেন, যিনি অন্যায় পথে চলতেন। \v 36 তর্শীশে বাণিজ্যতরির নৌবহর গড়ে তোলার বিষয়ে যিহোশাফট তাঁর কথায় রাজি হলেন। ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর, \v 37 মারেশার অধিবাসী দোদাবাহূর ছেলে ইলীয়েষর যিহোশাফটের বিরুদ্ধে ভাববাণী করলেন। তিনি বললেন, “যেহেতু আপনি অহসিয়ের সাথে জোট গড়ে তুলেছেন, তাই আপনি যা তৈরি করেছেন, সদাপ্রভু তা ধ্বংস করে দেবেন।” সামুদ্রিক ঝড়ে জাহাজগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হল এবং ব্যবসাবাণিজ্য করার জন্য তর্শীশের উদ্দেশে রওনা হতেও পারেনি। \c 21 \p \v 1 পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাদেরই সাথে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \v 2 যিহোরামের ভাই তথা যিহোশাফটের ছেলেরা হলেন অসরিয়, যিহীয়েল, সখরিয়, অসরিয়াহূ, মীখায়েল ও শফটিয়। এরা সবাই ইস্রায়েলের\f + \fr 21:2 \fr*\ft অর্থাৎ, যিহূদার; 2 বংশাবলির সর্বত্র যা লক্ষণীয়\ft*\f* রাজা যিহোশাফটের ছেলে। \v 3 তাদের বাবা, তাদের রুপোর ও সোনার প্রচুর উপহার এবং মূল্যবান জিনিসপত্র দিলেন। এছাড়াও যিহূদাতে বেশ কয়েকটি সুরক্ষিত নগরও তিনি তাদের দিলেন, কিন্তু রাজ্যটি তিনি যিহোরামকেই দিলেন, যেহেতু তিনি তাঁর বড়ো ছেলে ছিলেন। \s1 যিহূদার রাজা যিহোরাম \p \v 4 যিহোরাম তাঁর বাবার রাজ্যে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার পর তাঁর সব ভাইকে ও তাদের সাথে সাথে ইস্রায়েলের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও তরোয়াল দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করলেন। \v 5 যিহোরাম বত্রিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি আট বছর রাজত্ব করলেন। \v 6 আহাবের বংশের মতো তিনিও ইস্রায়েলের রাজাদের পথেই চলেছিলেন, কারণ তিনি আহাবের এক মেয়েকে বিয়ে করলেন। সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা মন্দ, তিনি তাই করলেন। \v 7 তা সত্ত্বেও, দাউদের সাথে সদাপ্রভু যে নিয়ম স্থাপন করলেন, তার জন্যই সদাপ্রভু দাউদের বংশকে ধ্বংস করতে চাননি। চিরকাল তাঁর জন্য ও তাঁর বংশধরদের জন্য এক প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার প্রতিজ্ঞা সদাপ্রভু করলেন। \p \v 8 যিহোরামের রাজত্বকালে, ইদোমীয়েরা যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসেছিল ও নিজেদের জন্য একজন রাজা ঠিক করে নিয়েছিল। \v 9 তাই যিহোরাম তাঁর কর্মকর্তাদের ও তাঁর সব রথ সাথে নিয়ে সেখানে গেলেন। ইদোমীয়েরা তাঁকে ও তাঁর রথের সেনাপতিদের ঘিরে ধরেছিল, কিন্তু রাতের অন্ধকারে তিনি উঠে ঘেরাও ভেদ করে পালিয়েছিলেন। \v 10 আজও পর্যন্ত ইদোম যিহূদার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়েই আছে। \p একই সময়ে লিব্‌নাও বিদ্রোহ করে বসেছিল, কারণ যিহোরাম, তাঁর পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করলেন। \v 11 যিহূদার পাহাড়ি এলাকাগুলিতে তিনি আবার পূজার্চনার জন্য উঁচু কয়েকটি স্থান তৈরি করে দিলেন এবং জেরুশালেমের লোকজনকে দিয়ে বেশ্যাবৃত্তি করিয়েছিলেন ও যিহূদাকে বিপথে পরিচালিত করলেন। \p \v 12 যিহোরাম ভাববাদী এলিয়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন, যে চিঠিতে বলা হল: \pm “আপনার পূর্বপুরুষ দাউদের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘তুমি তোমার বাবা যিহোশাফটের বা যিহূদার রাজা আসার পথে চলোনি। \v 13 কিন্তু তুমি ইস্রায়েলের রাজাদের পথে চলেছ, এবং তুমি যিহূদাকে ও জেরুশালেমের লোকজনকে দিয়ে এমনভাবে বেশ্যাবৃত্তি করিয়েছ, যেমনটি আহাবের বংশও করত। এছাড়াও তুমি তোমার ভাইদের, তোমার নিজের পরিবারের সেই লোকদের হত্যা করেছ, যারা তোমার চেয়ে ভালো ছিল। \v 14 তাই এখন সদাপ্রভু ভয়ংকর এক যন্ত্রণায় তোমার প্রজাদের, তোমার ছেলেদের, তোমার স্ত্রীদের ও তোমার যা যা আছে, সবকিছুর উপর আঘাত হানতে চলেছেন। \v 15 তুমি নিজে, নাড়িভুঁড়ির দীর্ঘস্থায়ী এক রোগে ততদিন দারুণ অসুস্থ হয়ে ভুগতে থাকবে, যতদিন না সেই রোগে তোমার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আসছে।’ ” \p \v 16 সদাপ্রভু যিহোরামের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনীদের শত্রুতা ও কূশীয়দের কাছাকাছি বসবাসকারী আরবীয়দের শত্রুতা খুব বাড়িয়ে তুলেছিলেন। \v 17 তারা যিহূদা আক্রমণ করল, ঝাঁকে ঝাঁকে সেখানে ঢুকে পড়েছিল এবং রাজপ্রাসাদে যত জিনিসপত্র খুঁজে পেয়েছিল, সেসব জিনিসপত্র ও তাঁর ছেলে ও স্ত্রীদেরও তুলে নিয়ে গেল। একমাত্র ছোটো ছেলে অহসিয়\f + \fr 21:17 \fr*\ft অথবা, যিহোয়াহস\ft*\f* ছাড়া আর কোনও ছেলে অবশিষ্ট ছিল না। \p \v 18 এসব কিছু ঘটে যাওয়ার পর, সদাপ্রভু যিহোরামকে নাড়িভুঁড়ির দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত করলেন। \v 19 কালক্রমে, দ্বিতীয় বছরের শেষদিকে, সেই রোগের কারণে তাঁর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে এসেছিল, এবং প্রচণ্ড যন্ত্রণাভোগ করতে করতে তিনি মারা গেলেন। তাঁর প্রজারা তাঁর সম্মানে কোনও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সংক্রান্ত আগুন জ্বালায়নি, যেভাবে তারা তাঁর পূর্বপুরুষদের ক্ষেত্রে করল। \p \v 20 বত্রিশ বছর বয়সে যিহোরাম রাজা হলেন, এবং আট বছর তিনি জেরুশালেমে রাজত্ব করলেন। তিনি মারা যাওয়ায় কেউ দুঃখ প্রকাশ করেননি, এবং তাঁকে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল, কিন্তু রাজাদের কবরে তাঁকে কবর দেওয়া হয়নি। \c 22 \s1 যিহূদার রাজা অহসিয় \p \v 1 যেহেতু আরবীয়দের সাথে যে আক্রমণকারীরা সৈন্যশিবিরে এসেছিল, তারা যিহোরামের সব বড়ো ছেলেদের হত্যা করল, তাই জেরুশালেমের লোকজন যিহোরামের ছোটো ছেলে অহসিয়কে রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করল। কাজেই যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন। \p \v 2 অহসিয় বাইশ\f + \fr 22:2 \fr*\ft অথবা, বিয়াল্লিশ (\+xt 2 রাজাবলি 8:26\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি এক বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অথলিয়া, তিনি অম্রির নাতনি ছিলেন। \p \v 3 অহসিয়ও আহাব বংশের পথেই চলতেন, কারণ তাঁর মা তাঁকে মন্দ কাজ করতে উৎসাহ দিতেন। \v 4 তিনিও আহাব বংশের মতো সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করতেন, কারণ তাঁর বাবার মৃত্যুর পর, তাঁর বিনাশার্থে তারাই তাঁর পরামর্শদাতা হল। \v 5 রামোৎ-গিলিয়দে অরামের রাজা হসায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রায় ইস্রায়েলের রাজা আহাবের ছেলে যোরামের\f + \fr 22:5 \fr*\ft অথবা, যিহোরাম; 6 ও 7 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* সঙ্গ দেওয়ার সময়েও তিনি তাদের পরামর্শ মতোই কাজ করলেন। অরামীয়রা যোরামকে ক্ষতবিক্ষত করল; \v 6 তাই রামোৎ-এ\f + \fr 22:6 \fr*\ft অথবা, রামায়\ft*\f* অরামের রাজা হসায়েলের সাথে যুদ্ধ করার সময় তারা তাঁকে যে আঘাত করেছিল, সেই যন্ত্রণার ক্ষত সারিয়ে তোলার জন্য তিনি যিষ্রিয়েলে ফিরে এলেন। \p পরে যিহূদার রাজা যিহোরামের ছেলে অহসিয়\f + \fr 22:6 \fr*\ft অথবা, অসরিয় (\+xt 2 রাজাবলি 8:29\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* আহাবের ছেলে যোরামকে দেখতে যিষ্রিয়েলে নেমে গেলেন, কারণ তিনি আহত অবস্থায় পড়েছিলেন। \p \v 7 অহসিয় যোরামকে দেখতে গেলেন বলেই ঈশ্বর অহসিয়ের পতন ঘটিয়েছিলেন। অহসিয় সেখানে পৌঁছানোর পর, তিনি যোরামকে সাথে নিয়ে নিমশির ছেলে সেই যেহূর সাথে দেখা করতে গেলেন, যাঁকে সদাপ্রভু আহাবের বংশ ধ্বংস করার জন্য অভিষিক্ত করে রেখেছিলেন। \v 8 যেহূ যখন আহাবের বংশকে দণ্ড দিচ্ছিলেন, তখন তিনি যিহূদার কয়েকজন কর্মকর্তাকে ও অহসিয়ের আত্মীয়স্বজনের ছেলেদের মধ্যে এমন কয়েকজনকে দেখতে পেয়েছিলেন, যারা অহসিয়ের সেবা করছিল, আর তিনি তাদের হত্যা করলেন। \v 9 পরে যেহূ অহসিয়ের খোঁজে বের হলেন, এবং যখন তিনি শমরিয়ায় লুকিয়ে বসেছিলেন, তখন যেহূর লোকজন তাঁকে ধরে ফেলেছিল। তাঁকে যেহূর কাছে নিয়ে এসে হত্যা করা হল। তারা তাঁকে কবর দিয়েছিল, কারণ তারা বলল, “ইনি সেই যিহোশাফটের এক সন্তান, যিনি মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে সদাপ্রভুর অন্বেষণ করলেন।” অতএব অহসিয়ের বংশে এমন শক্তিশালী আর কেউ ছিল না, যে রাজত্ব পুনরুদ্ধার করতে পারত। \s1 অথলিয়া ও যোয়াশ \p \v 10 অহসিয়ের মা অথলিয়া যখন দেখেছিলেন যে তাঁর ছেলে মারা গিয়েছেন, তখন তিনি যিহূদা বংশের গোটা রাজপরিবার ধ্বংস করার জন্য সচেষ্ট হলেন। \v 11 কিন্তু রাজা যিহোরামের মেয়ে যিহোশেবা\f + \fr 22:11 \fr*\ft অথবা, যিহোশাবৎ\ft*\f* অহসিয়ের ছেলে যোয়াশকে চুরি করে নিয়ে গিয়ে তাকে সেইসব রাজপুত্রের মধ্যে থেকে আলাদা করে রেখেছিলেন, যারা নিহত হতে যাচ্ছিল। যিহোশেবা যোয়াশকে ও তাঁর ধাইমাকে শোবার ঘরে লুকিয়ে রেখেছিলেন। যেহেতু রাজা যিহোরামের মেয়ে ও যাজক যিহোয়াদার স্ত্রী যিহোশেবা, অহসিয়ের বোন ছিলেন, তাই তিনি শিশুটিকে অথলিয়ার নাগাল এড়িয়ে লুকিয়ে রেখেছিলেন, যেন অথলিয়া তাকে হত্যা করতে না পারেন। \v 12 একদিকে অথলিয়া যখন দেশ শাসন করছিলেন, তখন যোয়াশকে ঈশ্বরের মন্দিরে ছয় বছর তাদের সাথেই লুকিয়ে রাখা হল। \c 23 \p \v 1 সপ্তম বছরে যিহোয়াদা নিজের শক্তি দেখিয়েছিলেন। তিনি এই শত-সেনাপতিদের সাথে এক চুক্তি করলেন: যিরোহমের ছেলে অসরিয়, যিহোহাননের ছেলে ইশ্মায়েল, ওবেদের ছেলে অসরিয়, অদায়ার ছেলে মাসেয়, ও সিখ্রির ছেলে ইলীশাফট। \v 2 তারা যিহূদা দেশের সর্বত্র ঘুরে ঘুরে সবকটি নগর থেকে লেবীয়দের ও ইস্রায়েলী বংশের কর্তাব্যক্তিদের একত্রিত করলেন। তারা জেরুশালেমে আসার পর, \v 3 সমগ্র জনসমাজ ঈশ্বরের মন্দিরে রাজার সাথে এক চুক্তি করল। \p যিহোয়াদা তাদের বললেন, “সদাপ্রভু দাউদের বংশধরদের সম্বন্ধে যে প্রতিজ্ঞা করেছেন, সেই প্রতিজ্ঞানুসারেই রাজপুত্র রাজত্ব করবেন। \v 4 এখন তোমাদের এই কাজটি করতে হবে: যারা সাব্বাথবারে\f + \fr 23:4 \fr*\ft অথবা, বিশ্রামবারে\ft*\f* দায়িত্ব পালন করো, সেই যাজক ও লেবীয়দের এক-তৃতীয়াংশকে দরজায় পাহারা দিতে হবে, \v 5 তোমাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ রাজপ্রাসাদ পাহারা দেবে ও আরও এক-তৃতীয়াংশ ভিত্তিমূলের দরজায় পাহারা দেবে, এবং অন্য আরও যারা অবশিষ্ট থাকবে, তাদের সদাপ্রভুর মন্দিরের উঠোনে থাকতে হবে। \v 6 দায়িত্ব পালনকারী যাজক ও লেবীয়েরা ছাড়া আর কেউ সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করবে না; তারা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারে, যেহেতু তারা ঈশ্বরসেবায় উৎসর্গীকৃত, কিন্তু অন্যান্য সবাইকে, মন্দিরে প্রবেশ না করা সংক্রান্ত সদাপ্রভুর আদেশ পালন করতে হবে।\f + \fr 23:6 \fr*\ft অথবা, “সদাপ্রভু যেখানে তাদের দাঁড়াতে বলেছেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে তাদের পাহারা দিতে হবে”\ft*\f* \v 7 লেবীয়দের প্রত্যেককে, হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রাজাকে ঘিরে ধরে থাকতে হবে। যে কেউ মন্দিরে প্রবেশ করবে, তাকে মেরে ফেলতে হবে। রাজা যেখানে যেখানে যাবেন, তোমরা তাঁর কাছাকাছি থেকো।” \p \v 8 যাজক যিহোয়াদা যে আদেশ দিলেন, লেবীয়েরা ও যিহূদার সব লোকজন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করল। প্রত্যেকে নিজের নিজের লোকজনকে সাথে রেখেছিল—যারা সাব্বাথবারে\f + \fr 23:8 \fr*\ft অথবা, বিশ্রামবারে\ft*\f* কাজে যোগ দিত ও যাদের ছুটি হয়ে যেত, তাদেরও—কারণ যাজক যিহোয়াদা কোনো বিভাগকেই ছুটি দেননি। \v 9 পরে তিনি শত-সেনাপতিদের হাতে সেইসব বর্শা ও ছোটো-বড়ো ঢাল তুলে দিলেন, যেগুলি ছিল রাজা দাউদের এবং সেগুলি ঈশ্বরের মন্দিরে রাখা ছিল। \v 10 রাজার চারপাশে—যজ্ঞবেদির ও মন্দিরের কাছে, মন্দিরের দক্ষিণ দিক থেকে শুরু করে উত্তর দিক পর্যন্ত, সর্বত্র হাতে অস্ত্রশস্ত্র সমেত তিনি সব লোকজনকে মোতায়েন করে দিলেন। \p \v 11 যিহোয়াদা ও তাঁর ছেলেরা রাজপুত্রকে বাইরে বের করে এনে তাঁর মাথায় মুকুট পরিয়ে দিলেন; তারা তাঁকে নিয়ম-পুস্তকের একটি অনুলিপি উপহার দিয়ে তাঁকে রাজা ঘোষণা করে দিলেন। তারা তাঁকে অভিষিক্ত করে চিৎকার করে উঠেছিলেন, “রাজা দীর্ঘজীবী হোন!” \p \v 12 অথলিয়া লোকজনের দৌড়াদৌড়ির ও রাজার উদ্দেশে হর্ষধ্বনির শব্দ শুনে সদাপ্রভুর মন্দিরে তাদের কাছে চলে গেলেন। \v 13 তিনি তাকিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন যে রাজা মন্দিরের প্রবেশদ্বারে তাঁর স্তম্ভের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কর্মকর্তারা ও শিঙাবাদকেরা রাজার পাশেই আছে, এবং দেশের সব লোকজন আনন্দ করছে ও শিঙা বাজাচ্ছে, এবং বাদ্যকরেরা তাদের বাজনাগুলি নিয়ে প্রশংসাগান পরিচালনা করছে। তখন অথলিয়া তাঁর কাপড় ছিঁড়ে চিৎকার করে উঠেছিলেন, “রাজদ্রোহ, রাজদ্রোহ!” \p \v 14 যাজক যিহোয়াদা, সৈন্যদলের উপরে নিযুক্ত শত-সেনাপতিদের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন, এবং তাদের বললেন: “অথলিয়াকে সৈন্যশ্রেণীর মাঝখান দিয়ে\f + \fr 23:14 \fr*\ft অথবা, “মন্দিরের চৌহদ্দি থেকে”\ft*\f* বের করে নিয়ে যাও এবং যে কেউ তার অনুগামী হয়, তার উপর তরোয়াল চালিয়ে দিয়ে তাকে হত্যা করো।” কারণ যাজক এও বললেন, “সদাপ্রভুর মন্দিরে তাকে হত্যা কোরো না।” \v 15 তাই অথলিয়া যখন প্রাসাদের মাঠে, অশ্বদ্বারের প্রবেশদ্বারে পৌঁছেছিলেন, তখন তারা সেখানেই তাঁকে ধরে হত্যা করল। \p \v 16 যিহোয়াদা তখন এই নিয়ম স্থির করে দিলেন যে তিনি, প্রজারা ও রাজা স্বয়ং\f + \fr 23:16 \fr*\ft অথবা, সদাপ্রভুর সাথে প্রজাদের ও রাজার এক নিয়ম স্থির করে দিলেন, যে তারা (\+xt 2 রাজাবলি 11:17\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f*, সদাপ্রভুর প্রজা হয়েই থাকবেন। \v 17 সব লোকজন বায়ালের মন্দিরে গিয়ে সেটি ভেঙে ফেলেছিল। তারা যজ্ঞবেদি ও প্রতিমার মূর্তিগুলিও পিষে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল এবং বায়ালের পুজারী মত্তনকে সেই যজ্ঞবেদির সামনেই হত্যা করল। \p \v 18 পরে যিহোয়াদা সদাপ্রভুর মন্দির দেখাশোনার ভার লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত সেই যাজকদের হাতে তুলে দিলেন, মন্দিরের কাজ দাউদ আগেই যাদের হাতে তুলে দিলেন। তাদের দায়িত্ব ছিল সদাপ্রভুর হোমবলিগুলি মোশির বিধানে লেখা নিয়মানুসারে উৎসর্গ করা, এবং দাউদের আদেশ পালন করে তারা আনন্দ করতে করতে ও গান গাইতে গাইতে সে কাজ করলেন। \v 19 সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজাগুলিতেও তিনি দ্বাররক্ষী মোতায়েন করে দিলেন, যেন কোনো ধরনের অশুচি লোক সেখানে ঢুকতে না পারে। \p \v 20 যিহোয়াদা শত-সেনাপতিদের, অভিজাত শ্রেণীর মানুষজনকে, প্রজাদের শাসনকর্তাদের এবং দেশের সব লোকজনকে সাথে নিয়ে রাজাকে সদাপ্রভুর মন্দির থেকে বের করে এনেছিলেন। তারা উপর দিকের দরজাটি দিয়ে প্রাসাদে ঢুকেছিলেন এবং রাজাকে রাজসিংহাসনে বসিয়ে দিলেন। \v 21 দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করল, এবং নগরে শান্তি বিরাজ করছিল, কারণ অথলিয়ার উপর তরোয়াল চালিয়ে দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হল। \c 24 \s1 যোয়াশ মন্দির মেরামত করলেন \p \v 1 যোয়াশ সাত বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং তিনি জেরুশালেমে চল্লিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম সিবিয়া; তিনি বের-শেবার অধিবাসিনী ছিলেন। \v 2 যাজক যিহোয়াদা যতদিন বেঁচেছিলেন, যোয়াশ ততদিন সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো, তাই করে গেলেন। \v 3 যিহোয়াদা যোয়াশের সাথে দুজন স্ত্রীর বিয়ে দিলেন, এবং তাঁর বেশ কয়েকটি ছেলেমেয়ে হল। \p \v 4 কিছুকাল পর যোয়াশ সদাপ্রভুর মন্দির মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। \v 5 তিনি যাজক ও লেবীয়দের এক স্থানে ডেকে বললেন, “যিহূদার নগরগুলিতে যাও এবং তোমাদের ঈশ্বরের মন্দিরটি মেরামত করার জন্য ইস্রায়েলীদের সবার কাছ থেকে বাৎসরিক পাওনাগণ্ডা আদায় করে নিয়ে এসো। এখনই তা করো।” কিন্তু লেবীয়েরা তাড়াতাড়ি সে কাজটি করেননি। \p \v 6 অতএব রাজা প্রধান যাজক যিহোয়াদাকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভুর দাস মোশি ও ইস্রায়েলের জনসমাজ বিধিনিয়মের তাঁবুর জন্য যে কর ধার্য করলেন, তা যিহূদা ও জেরুশালেম থেকে আদায় করে আনার জন্য আপনি কেন লেবীয়দের বলেননি?” \p \v 7 সেই দুষ্ট মহিলা অথলিয়ার ছেলেরা জোর করে ঈশ্বরের মন্দিরে ঢুকে পড়েছিল এবং এমনকি সেখানকার পবিত্র জিনিসপত্রও বায়াল-দেবতাদের জন্য ব্যবহার করল। \p \v 8 রাজার আদেশে একটি সিন্দুক তৈরি করে সেটি বাইরে, সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজায় রাখা হল। \v 9 পরে যিহূদা ও জেরুশালেমে এই আদেশ জারি করা হল যে মরুপ্রান্তরে ঈশ্বরের দাস মোশি ইস্রায়েলের জন্য যে কর ধার্য করে দিলেন, লোকেরা সবাই যেন সদাপ্রভুর কাছে তা নিয়ে আসে। \v 10 কর্মকর্তারা ও প্রজারা সবাই তাদের উপর যে কর ধার্য হল, তা নিয়ে এসে যতক্ষণ না সেই সিন্দুক ভরে গেল, ততক্ষণ সানন্দে তাতে ফেলেই যাচ্ছিল। \v 11 যখনই লেবীয়েরা সেই সিন্দুকটি রাজার কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে আসত ও তারা দেখতেন যে সেখানে প্রচুর অর্থ জমা পড়েছে, তখন রাজ-সচিব ও প্রধান যাজকের কর্মকর্তারা এসে সেই সিন্দুকটি খালি করে আবার সেটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে আসতেন। নিয়মিতভাবে তারা এরকম করে গেলেন এবং প্রচুর অর্থ জমা হল। \v 12 রাজা ও যিহোয়াদা সেই অর্থ তাদেরই দিলেন, যারা সদাপ্রভুর মন্দিরের কাজ করত। সদাপ্রভুর মন্দির মেরামত করার জন্য তারা রাজমিস্ত্রি ও ছুতোর ভাড়া করল, এবং মন্দির মেরামতির জন্য লোহার ও ব্রোঞ্জের কাজ জানা লোকও তারা ভাড়া করল। \p \v 13 কাজের দায়িত্বে থাকা লোকজন খুব পরিশ্রমী ছিল, এবং মেরামতির কাজ তাদের তত্ত্বাবধানে এগিয়ে যাচ্ছিল। মূল নকশা অনুসারে তারা ঈশ্বরের মন্দিরটি আরেকবার তৈরি করল এবং সেটি আরও মজবুত করে তুলেছিল। \v 14 তাদের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর, তারা বাকি অর্থ রাজার ও যিহোয়াদার কাছে নিয়ে এসেছিল, এবং সেই অর্থ দিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরের জন্য এইসব জিনিসপত্র তৈরি করা হল: সেবাকাজের ও হোমবলির জন্য কিছু জিনিসপত্র, এবং সোনা ও রুপোর থালা ও অন্যান্য জিনিসপত্র। যতদিন যিহোয়াদা বেঁচেছিলেন, ততদিন সদাপ্রভুর মন্দিরে নিয়মিতভাবে হোমবলি উৎসর্গ করা হত। \p \v 15 যিহোয়াদা বৃদ্ধ ও পূর্ণায়ূ হয়ে গেলেন, এবং 130 বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হল। \v 16 দাউদ-নগরে রাজাদের সাথেই তাঁকে কবর দেওয়া হল, কারণ ঈশ্বরের ও তাঁর মন্দিরের জন্য ইস্রায়েলে তিনি খুব ভালো কাজ করেছিলেন। \s1 যোয়াশের দুষ্টতা \p \v 17 যিহোয়াদার মৃত্যুর পর, যিহূদার কর্মকর্তারা এসে রাজাকে সম্মান প্রদর্শন করল, এবং তিনি তাদের কথাই শুনতে শুরু করলেন। \v 18 তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মন্দির পরিত্যক্ত করে রেখে, আশেরা-খুঁটির ও প্রতিমার পুজো করতে শুরু করল। তাদের এই অপরাধের কারণে ঈশ্বরের ক্রোধ যিহূদা ও জেরুশালেমের উপর নেমে এসেছিল। \v 19 সদাপ্রভু যদিও লোকদের তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য ভাববাদীদের তাদের কাছে পাঠালেন, এবং যদিও তারা তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলেন, তবুও তারা কোনো কথা শোনেনি। \p \v 20 তখন ঈশ্বরের আত্মা যাজক যিহোয়াদার ছেলে সখরিয়ের উপর নেমে এলেন। তিনি লোকজনের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “ঈশ্বর একথাই বলেন: ‘তোমরা কেন সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করছ? তোমরা সফল হবে না। যেহেতু তোমরা সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করেছ, তাই তিনিও তোমাদের পরিত্যাগ করেছেন।’ ” \p \v 21 কিন্তু তারা সখরিয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল, এবং রাজার আদেশে তারা সদাপ্রভুর মন্দিরের উঠোনে তাঁর উপর পাথর ছুঁড়ে, তাঁকে মেরে ফেলেছিল। \v 22 সখরিয়ের বাবা যিহোয়াদা, রাজা যোয়াশের প্রতি যে দয়া দেখিয়েছিলেন, তা তিনি মনে রাখেননি কিন্তু তাঁর সেই ছেলেকে তিনি মেরে ফেলেছিলেন, যিনি মরতে মরতে বললেন, “সদাপ্রভু এসব দেখছেন আর তিনিই আপনার কাছে এর হিসেব নেবেন।” \p \v 23 বছর ঘুরে আসার পর,\f + \fr 24:23 \fr*\ft খুব সম্ভবত, বসন্তকালে\ft*\f* অরামের সৈন্যদল যোয়াশের বিরুদ্ধে কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে এসেছিল; তারা যিহূদা ও জেরুশালেমে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে প্রজাদের সব নেতাকে মেরে ফেলেছিল। তারা সব লুটসামগ্রী দামাস্কাসে তাদের রাজার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল। \v 24 অরামীয় সৈন্যদল যদিও অল্প কয়েকজন লোকলস্কর নিয়ে এসেছিল, তবুও সদাপ্রভু বিশাল এক সৈন্যদল তাদের হাতে সঁপে দিলেন। যেহেতু যিহূদার প্রজারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করল, তাই যোয়াশকে দণ্ড দেওয়া হল। \v 25 অরামীয়েরা চলে যাওয়ার সময় যোয়াশকে সাংঘাতিকভাবে আহত করে ফেলে রেখে গেল। তিনি যাজক যিহোয়াদার ছেলেকে হত্যা করলেন বলে তাঁর কর্মকর্তারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল, এবং বিছানাতেই তারা তাঁকে হত্যা করল। এইভাবে তাঁর মৃত্যু হল এবং তাঁকে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল, তবে রাজাদের কবরে তাঁকে কবর দেওয়া হয়নি। \p \v 26 যারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে শামিল হল, তারা হল অম্মোনীয় এক মহিলা শিমিয়তের ছেলে সাবদ,\f + \fr 24:26 \fr*\ft অথবা, “যোষাবদ”\ft*\f* এবং মোয়াবীয় এক মহিলা শিম্রীতের\f + \fr 24:26 \fr*\ft অথবা, “শোমেরের”\ft*\f* ছেলে যিহোষাবদ। \v 27 তাঁর ছেলেদের বিবরণ, তাঁর বিষয়ে করা প্রচুর ভাববাণী, এবং ঈশ্বরের মন্দিরের মেরামতির বিবরণ, এসব রাজাদের পুস্তকের টীকায় লেখা আছে। তাঁর ছেলে অমৎসিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \c 25 \s1 যিহূদার রাজা অমৎসিয় \p \v 1 অমৎসিয় পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি উনত্রিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম যিহোয়দ্দন; তিনি জেরুশালেমে বসবাস করতেন। \v 2 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো, অমৎসিয় তাই করলেন, তবে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে তা করেননি। \v 3 রাজপাট তাঁর হাতের মুঠোয় আসার পর তিনি সেই কর্মকর্তাদের প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করে বধ করলেন, যারা তাঁর বাবা, অর্থাৎ রাজাকে হত্যা করেছিল। \v 4 তবুও মোশির বিধানপুস্তকে লেখা সেই কথানুসারে, যেখানে সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছিলেন: “ছেলেমেয়েদের পাপের জন্য বাবা-মাকে কিংবা বাবা-মায়ের পাপের জন্য ছেলেমেয়েদের মেরে ফেলা যাবে না; প্রত্যেককেই তার নিজের পাপের জন্য মরতে হবে।” তিনি তাদের ছেলেমেয়েদের হত্যা করেননি।\f + \fr 25:4 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 24:16\+xt* পদ দেখুন\ft*\f* \p \v 5 অমৎসিয় যিহূদার প্রজাদের এক স্থানে সমবেত হওয়ার জন্য ডেকেছিলেন এবং যিহূদা ও বিন্যামীনের সব প্রজাকে, তাদের বংশানুসারে সহস্র-সেনাপতিদের ও শত-সেনাপতিদের অধীনে নিযুক্ত করে দিলেন। পরে তিনি কুড়ি বছর ও তার বেশি বয়সের বেশ কিছু লোক একত্রিত করলেন এবং দেখা গেল যে সামরিক পরিষেবা দেওয়ার উপযোগী, তথা বর্শা ও ঢাল ব্যবহার করতে সক্ষম 3,00,000 লোক আছে। \v 6 এছাড়াও তিনি একশো তালন্ত\f + \fr 25:6 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় পৌনে 4 টন, বা প্রায় 3.4 মেট্রিক টন; 9 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* রুপো দিয়ে ইস্রায়েল থেকে 1,00,000 যোদ্ধা ভাড়া করলেন। \p \v 7 কিন্তু ঈশ্বরের একজন লোক তাঁর কাছে এসে বললেন, “হে মহারাজ, ইস্রায়েল থেকে আসা এই সৈন্যদল যেন আপনাদের সাথে যুদ্ধযাত্রা না করে, কারণ ইস্রায়েলের সাথে—ইফ্রয়িমের কোনও লোকের সাথেই সদাপ্রভু থাকেন না। \v 8 আপনারা যদিও নির্ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে যুদ্ধ করবেন, ঈশ্বর কিন্তু শত্রুদের সামনে আপনাদের পরাজিত করবেন, কারণ সাহায্য করার বা পরাজিত করার ক্ষমতা ঈশ্বর রাখেন।” \p \v 9 অমৎসিয় ঈশ্বরের সেই লোককে জিজ্ঞাসা করলেন, “তবে যে একশো তালন্ত আমি এই ইস্রায়েলী সৈন্যদলকে দিয়েছি, তার কী হবে?” \p ঈশ্বরের লোক উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু আপনাকে এর চেয়েও অনেক বেশি দিতে পারেন।” \p \v 10 অতএব ইফ্রয়িম থেকে তাঁর কাছে আসা সৈন্যদলকে তিনি বরখাস্ত করে ঘরে পাঠিয়ে দিলেন। তারা যিহূদার উপর খুব রেগে গেল এবং ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে তারা ঘরে ফিরে গেল। \p \v 11 অমৎসিয় পরে তাঁর শক্তি গুছিয়ে নিয়ে লবণ উপত্যকার দিকে তাঁর সৈন্যদল পরিচালনা করলেন। সেখানে তিনি সেয়ীরের দশ হাজার লোককে হত্যা করলেন। \v 12 এছাড়াও যিহূদার সৈন্যদল 10,000 লোককে জীবন্ত অবস্থায় ধরে, তাদের একটি খাড়া উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে এমনভাবে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল, যে তারা সবাই চুরমার হয়ে গেল। \p \v 13 এই ফাঁকে, যে সৈন্যদলকে অমৎসিয় ফেরত পাঠিয়ে দিলেন ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেননি, তারা শমরিয়া থেকে শুরু করে বেথ-হোরোণ পর্যন্ত যিহূদার নগরগুলিতে হানা দিয়েছিল। তারা 3,000 লোককে হত্যা করল এবং প্রচুর পরিমাণ লুটসামগ্রী তুলে নিয়ে গেল। \p \v 14 ইদোমীয়দের উপর হত্যালীলা চালিয়ে ফিরে আসার সময় অমৎসিয় সেয়ীরের লোকজনের আরাধ্য দেবতাদের মূর্তিগুলিও ফিরিয়ে এনেছিলেন। তিনি সেগুলিকে তাঁর নিজের দেবতা করে নিয়ে সেগুলি প্রতিষ্ঠা করলেন, সেগুলির পুজো করলেন ও সেগুলির কাছে ধূপধুনোও জ্বালিয়েছিলেন। \v 15 সদাপ্রভুর ক্রোধ অমৎসিয়ের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছিল, এবং তিনি তাঁর কাছে একজন ভাববাদী পাঠিয়ে দিলেন, যিনি বললেন, “এইসব লোকের যে দেবতারা আপনার হাত থেকে তাদের নিজেদের লোকদেরই বাঁচাতে পারেনি, আপনি তাদের কাছে কেন পরামর্শ চাইছেন?” \p \v 16 ভাববাদীর কথা শেষ হওয়ার আগেই রাজা তাঁকে বলে ফেলেছিলেন, “রাজার পরামর্শদাতারূপে আমরা কি তোমাকে নিযুক্ত করেছি? থামো! কেন মার খাবে?” \p অতএব সেই ভাববাদী থেমেছিলেন কিন্তু বলেওছিলেন, “আমি জানি, যেহেতু আপনি এ কাজটি করেছেন এবং আমার পরামর্শে কান দেননি, তাই ঈশ্বর আপনাকে বধ করার বিষয়ে মনস্থির করেই ফেলেছেন।” \p \v 17 যিহূদার রাজা অমৎসিয় তাঁর পরামর্শদাতাদের সাথে শলাপরামর্শ করার পর যেহূর নাতি ও যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশের\f + \fr 25:17 \fr*\ft অথবা, যোয়াশের; 18, 21, 23 ও 25 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* কাছে এই খবর দিয়ে পাঠালেন: “আসুন, যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের মুখোমুখি হই।” \p \v 18 কিন্তু ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে উত্তর দিলেন: “লেবাননের শিয়ালকাঁটা লেবাননেরই এক দেবদারু গাছকে খবর দিয়ে পাঠিয়েছিল, ‘তুমি তোমার মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দাও।’ পরে লেবাননের বুনো এক জন্তু এসে সেই শিয়ালকাঁটাকে পায়ের তলায় পিষে দিয়েছিল। \v 19 আপনি মনে মনে বলেছেন যে আপনি ইদোমকে পরাজিত করেছেন, আর এখন আপনি গর্বিতমনা ও অহংকারী হয়ে গিয়েছেন। তবে ঘরে বসে থাকুন! কেন মিছিমিছি নিজের ও সাথে সাথে যিহূদারও বিপদ ও পতন ডেকে আনতে চাইছেন?” \p \v 20 অমৎসিয় অবশ্য সেকথা শুনতে চাননি, কারণ ঈশ্বর এমনভাবে কাজ করলেন, যেন তিনি তাদের যিহোয়াশের হাতে সঁপে দিতে পারেন, যেহেতু তারা ইদোমের দেবতাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। \v 21 অতএব ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ তাদের আক্রমণ করলেন। যিহূদা দেশের বেত-শেমশে তিনি ও যিহূদার রাজা অমৎসিয় পরস্পরের মুখোমুখি হলেন। \v 22 ইস্রায়েলের হাতে যিহূদা পর্যুদস্ত হল এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের ঘরে পালিয়ে গেল। \v 23 ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশ বেত-শেমশে অহসিয়ের\f + \fr 25:23 \fr*\ft অথবা, যিহোয়াহসের\ft*\f* নাতি ও যোয়াশের ছেলে যিহূদার রাজা অমৎসিয়কে বন্দি করলেন। পরে যিহোয়াশ তাঁকে জেরুশালেমে নিয়ে এলেন এবং ইফ্রয়িম-দ্বার থেকে কোণের দ্বার পর্যন্ত—প্রায় 180 মিটার\f + \fr 25:23 \fr*\ft প্রাচীন মাপ অনুসারে, 400 হাত\ft*\f* লম্বা জেরুশালেমের প্রাচীর ভেঙে দিলেন। \v 24 ওবেদ-ইদোমের তত্ত্বাবধানে থাকা ঈশ্বরের মন্দিরের সব সোনারুপো ও সব জিনিসপত্র এবং সেগুলির সাথে সাথে প্রাসাদের ধনসম্পত্তিও হাতিয়ে নিয়ে এবং কয়েকজনকে পণবন্দি করে তিনি শমরিয়ায় ফিরে গেলেন। \p \v 25 যিহোয়াহসের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা যিহোয়াশের মৃত্যুর পর যোয়াশের ছেলে যিহূদার রাজা অমৎসিয় আরও পনেরো বছর বেঁচেছিলেন। \v 26 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অমৎসিয়ের রাজত্বকালের সব ঘটনা কি যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের পুস্তকে লেখা নেই? \v 27 যখন থেকে অমৎসিয় সদাপ্রভুর পথে চলা বন্ধ করে দিলেন, তখন থেকেই লোকেরা জেরুশালেমে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে শামিল হতে শুরু করল, এবং তিনি লাখীশে পালিয়ে গেলেন, কিন্তু তারা লাখীশে লোক পাঠিয়ে সেখানেই তাঁকে হত্যা করিয়েছিল। \v 28 তাঁর মৃতদেহ ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে ফিরিয়ে আনা হল এবং যিহূদা-নগরে\f + \fr 25:28 \fr*\ft অথবা, দাউদ; \+xt 2 রাজাবলি 14:20\+xt* পদও দেখুন\ft*\f* তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথেই তাঁকে কবর দেওয়া হল। \c 26 \s1 যিহূদার রাজা উষিয় \p \v 1 পরে যিহূদার সব লোকজন সেই উষিয়কে\f + \fr 26:1 \fr*\ft ঊষিয়কে অসরিয় বলেও ডাকা হত\ft*\f* এনে রাজারূপে তাঁকে তাঁর বাবা অমৎসিয়ের স্থলাভিষিক্ত করল, যাঁর বয়স তখন ষোলো বছর। \v 2 রাজা অমৎসিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হওয়ার পর এই ঊষিয়ই এলৎ নগরটি আরেকবার নতুন করে গড়ে তুলেছিলেন এবং সেটি যিহূদার অধিকারের অধীনে নিয়ে এলেন। \p \v 3 উষিয় ষোলো বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে বাহান্ন বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম যিখলিয়া; তিনি জেরুশালেমে বসবাস করতেন। \v 4 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ঠিক, তিনি তাই করতেন, ঠিক যেমনটি তাঁর বাবা অমৎসিয়ও করতেন, \v 5 যিনি তাঁকে ঈশ্বরভয়\f + \fr 26:5 \fr*\ft অথবা, “দর্শন”\ft*\f* শিক্ষা দিলেন, সেই সখরিয়ের জীবনকালে বরাবর তিনি ঈশ্বরের অন্বেষণ করে গেলেন। যতদিন তিনি সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে গেলেন, ততদিন ঈশ্বর তাঁকে সাফল্যও দিলেন। \p \v 6 তিনি ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলেন এবং গাতের, যবনির ও অস্‌দোদের প্রাচীর ভেঙে দিলেন। পরে তিনি অস্‌দোদের কাছে ও ফিলিস্তিনীদের মাঝখানে অন্যান্য স্থানে নতুন করে কয়েকটি নগর গড়ে তুলেছিলেন। \v 7 ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে এবং যারা গূর-বায়ালে বসবাস করত, সেই আরবীয়দের বিরুদ্ধে ও মিয়ূনীয়দের বিরুদ্ধেও ঈশ্বর তাঁকে সাহায্য করলেন। \v 8 অম্মোনীয়েরা উষিয়ের কাছে রাজকর নিয়ে এসেছিল, এবং তাঁর খ্যাতি একেবারে মিশরের সীমানা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল, কারণ তিনি খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন। \p \v 9 জেরুশালেমে কোণার দ্বারে, উপত্যকার দ্বারে ও প্রাচীরের কোণে উষিয় কয়েকটি মিনার তৈরি করলেন, এবং সেগুলি মজবুতও করে তুলেছিলেন। \v 10 মরুপ্রান্তরেও তিনি কয়েকটি মিনার তৈরি করলেন ও বেশ কয়েকটি কুয়ো খুঁড়েছিলেন, কারণ পাহাড়ের পাদদেশে ও সমভূমিতে তাঁর বেশ কিছু পশুপাল ছিল। পাহাড়ে ও উর্বর জমিতে অবস্থিত তাঁর ক্ষেতখামারে ও দ্রাক্ষাকুঞ্জে তিনি লোকজনকে কাজে লাগালেন, কারণ মাটির প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা ছিল। \p \v 11 উষিয়ের কাছে ভালো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এমন এক সৈন্যদল ছিল, যারা রাজকীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন, সেই হনানীয়ের পরিচালনায়, তাদের সংখ্যানুসারে দলে দলে বিভক্ত হয়ে সচিব যিয়ূয়েলের ও কর্মকর্তা মাসেয়ের নেতৃত্বে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। \v 12 যোদ্ধাদের উপর মোট 2,600 জন কুলপতি নিযুক্ত ছিলেন। \v 13 তাদের অধীনে 3,07,500 জন সৈন্যের সমন্বয়ে গঠিত এমন এক সৈন্যদল ছিল, যারা যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, ও রাজার শত্রুদের বিরুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করার পক্ষে যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। \v 14 উষিয় সমগ্র সৈন্যদলের জন্য ঢাল, বর্শা, শিরস্ত্রাণ, বর্ম, ধনুক ও পাথর ছোঁড়ার গুলতির জোগান দিলেন। \v 15 জেরুশালেমে তিনি এমন সব যন্ত্রপাতি তৈরি করিয়েছিলেন, যেন আবিষ্কৃত সেই যন্ত্রপাতিগুলি মিনারে ও প্রাচীরের কোনায় রেখে সৈনিকরা প্রাচীর থেকেই তির ছুঁড়তে ও বড়ো বড়ো পাথরের গোলা নিক্ষেপ করতে পারে। দূর দূর পর্যন্ত তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল, কারণ যতদিন না তিনি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন, ততদিন তিনি প্রচুর সাহায্য পেয়েছিলেন। \p \v 16 কিন্তু শক্তিশালী হয়ে ওঠার পর উষিয়ের অহংকারই তাঁর পতনের কারণ হয়ে উঠেছিল। তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি তিনি অবিশ্বস্ত হলেন, এবং ধূপবেদিতে ধূপ পোড়ানোর জন্য তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করলেন। \v 17 যাজক অসরিয় ও সদাপ্রভুর আরও আশি জন সাহসী যাজক তাঁকে অনুসরণ করলেন। \v 18 তারা রাজা ঊষিয়কে বাধা দিয়ে বললেন, “হে উষিয়, সদাপ্রভুর কাছে ধূপ পোড়ানোর আপনার কোনও অধিকার নেই। এই অধিকার আছে শুধু সেই যাজকদের, যারা হারোণের বংশধর ও তাদেরই আলাদা করে উৎসর্গ করা হয়েছে, যেন তারা ধূপ পোড়াতে পারে। পবিত্র এই পীঠস্থান থেকে আপনি বের হয়ে যান, কারণ আপনি অবিশ্বস্ত হয়েছেন; এবং সদাপ্রভু ঈশ্বর আপনাকে সম্মানিত করবেন না।” \p \v 19 উষিয় রেগে গেলেন, তখন হাতে একটি ধুনুচি নিয়ে তিনি ধূপ পোড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের মধ্যে, ধূপবেদির সামনে যাজকদের উপস্থিতিতে তিনি যখন তাদের প্রতি ক্রোধ প্রকাশ করছিলেন, তখনই তাঁর কপালে কুষ্ঠরোগ\f + \fr 26:19 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় কুষ্ঠরোগ শব্দটি অন্যান্য চর্মরোগের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হত; 20, 21 ও 23 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* দেখা দিয়েছিল। \v 20 প্রধান যাজক অসরিয় ও অন্যান্য সব যাজক যখন তাঁর দিকে তাকিয়েছিলেন, তখন তারা দেখতে পেয়েছিলেন যে তাঁর কপালে কুষ্ঠরোগ দেখা দিয়েছে, তাই তাড়াতাড়ি করে তারা তাঁকে বাইরে নিয়ে গেলেন। বাস্তবিক, তিনি নিজেও বাইরে বেরিয়ে যেতে উদগ্রীব হলেন, কারণ সদাপ্রভুই তাঁকে যন্ত্রণায় কাতর করে তুলেছিলেন। \p \v 21 আমৃত্যু, রাজা উষিয় কুষ্ঠরোগী হয়েই ছিলেন। কুষ্ঠরোগাক্রান্ত হয়ে তিনি আলাদা একটি বাড়িতে\f + \fr 26:21 \fr*\ft অথবা, এমন একটি বাড়ি, যেখানে তাঁর উপর কোনও দায়িত্বভার ছিল না\ft*\f* বসবাস করলেন, এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে তাঁর প্রবেশ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হল। তাঁর ছেলে যোথম প্রাসাদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং দেশের প্রজাদের শাসন করলেন। \p \v 22 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উষিয়ের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা আমোষের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় লিখে রেখে গিয়েছেন। \v 23 উষিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাদেরই কাছাকাছি এমন এক কবরস্থানে কবর দেওয়া হল, যেটি রাজাদেরই ছিল, কারণ প্রজারা বলল, “তাঁর কুষ্ঠরোগ হয়েছিল।” তাঁর ছেলে যোথম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \c 27 \s1 যিহূদার রাজা যোথম \p \v 1 যোথম পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি ষোলো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম যিরুশা। তিনি ছিলেন সাদোকের মেয়ে। \v 2 তাঁর বাবা উষিয়ের মতো তিনিও সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো, তাই করলেন, তবে তাঁর মতো তিনি কিন্তু সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করেননি। প্রজারা অবশ্য তাদের অসৎ কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। \v 3 যোথম সদাপ্রভুর মন্দিরের উচ্চতর দ্বারটি নতুন করে আরেকবার তৈরি করলেন এবং ওফল পাহাড়ের প্রাচীরে ব্যাপক কাজ করিয়েছিলেন। \v 4 যিহূদার পাহাড়ি এলাকায় তিনি কয়েকটি নগর তৈরি করলেন এবং বনাঞ্চলেও কয়েকটি দুর্গ ও মিনার তৈরি করলেন। \p \v 5 অম্মোনীয়দের রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যোথম তাদের পরাজিত করলেন। সেই বছর অম্মোনীয়েরা তাঁকে একশো তালন্ত\f + \fr 27:5 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় পৌনে 4 টন, বা প্রায় 3.4 মেট্রিক টন\ft*\f* রুপো, দশ হাজার কোর\f + \fr 27:5 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 1,800 টন, বা প্রায় 1,600 মেট্রিক টন গম\ft*\f* গম ও দশ হাজার কোর\f + \fr 27:5 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 1,500 টন, বা প্রায় 1,350 মেট্রিক টন যব\ft*\f* যব দিয়েছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরেও অম্মোনীয়েরা একই পরিমাণ জিনিসপত্র তাঁর কাছে এনে দিয়েছিল। \p \v 6 যোথম তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর পথে অবিচলিতভাবে চলেছিলেন বলেই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। \p \v 7 যোথমের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, তাঁর সব যুদ্ধবিগ্রহ ও তিনি আরও যা যা করলেন, সেসব ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজাদের পুস্তকে লেখা আছে। \v 8 তিনি পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি ষোলো বছর রাজত্ব করলেন। \v 9 যোথম তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং দাউদ-নগরে তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে আহস রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \c 28 \s1 যিহূদার রাজা আহস \p \v 1 আহস কুড়ি বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি ষোলো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের মতো তিনি সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো, তা করেননি। \v 2 তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের পথে চলেছিলেন এবং বায়াল-দেবতাদের পূজার্চনার জন্য তিনি প্রতিমার মূর্তিও তৈরি করলেন। \v 3 বিন-হিন্নোম উপত্যকায় তিনি পশুবলি দিয়ে সেগুলি জ্বালিয়ে দিতেন এবং সদাপ্রভু যে পরজাতিদের ইস্রায়েলীদের সামনে থেকে দূর করে দিলেন, তাদেরই ঘৃণ্য প্রথানুসারে তিনি তাঁর নিজের সন্তানদের বলিরূপে উৎসর্গ করলেন। \v 4 প্রতিমাপুজোর উঁচু উঁচু স্থানগুলিতে, পাহাড়ের চূড়ায় ও ডালপালা বিস্তার করা প্রত্যেকটি গাছের তলায় তিনি বলি উৎসর্গ করলেন ও ধূপ জ্বালিয়েছিলেন। \p \v 5 তাই তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে অরামের রাজার হাতে সঁপে দিলেন। অরামীয়েরা তাঁকে পরাজিত করল এবং তাঁর প্রজাদের মধ্যে অনেককে বন্দি করল ও তাদের দামাস্কাসে নিয়ে গেল। \p তাঁকে সেই ইস্রায়েলের রাজার হাতেও সঁপে দেওয়া হল, যিনি তাঁর অনেক লোকজনকে মেরে ফেলেছিলেন। \v 6 রমলিয়ের ছেলে পেকহ একদিনেই যিহূদায় 1,20,000 সৈন্যকে হত্যা করলেন—কারণ যিহূদা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করল। \v 7 ইফ্রয়িমীয় এক যোদ্ধা সিখ্রি রাজপুত্র মাসেয়কে, প্রাসাদের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা অস্রীকামকে, এবং রাজার পর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইল্‌কানাকে হত্যা করল। \v 8 ইস্রায়েলের লোকেরা যিহূদায় বসবাসকারী তাদেরই জাতভাই ইস্রায়েলীদের কাছ থেকে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মিলিয়ে মোট দুই লাখ লোককে বন্দি করল। এছাড়াও তারা প্রচুর পরিমাণে লুটসামগ্রীও দখল করে সেগুলি শমরিয়ায় বয়ে নিয়ে গেল। \p \v 9 কিন্তু ওদেদ নামে সদাপ্রভুর একজন ভাববাদী সেখানে উপস্থিত ছিলেন, এবং সৈন্যদল যখন শমরিয়ায় ফিরে এসেছিল, তখন তিনি তাদের সাথে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাদের বললেন, “যেহেতু তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যিহূদার উপর ক্রুদ্ধ হলেন, তাই তিনি তাদের তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু রাগের বশে তোমরা এমনভাবে তাদের কোতল করেছ যে তার রেশ স্বর্গ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। \v 10 এখন আবার তোমরা যিহূদা ও জেরুশালেমের পুরুষ ও মহিলাদের ক্রীতদাস-দাসী করতে চাইছ। কিন্তু তোমরাও কি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে করা পাপের দোষে দোষী নও? \v 11 এখন আমার কথা শোনো! তোমাদের জাতভাই যেসব ইস্রায়েলীকে তোমরা বন্দি করে এনেছ, তাদের ফেরত পাঠিয়ে দাও, কারণ সদাপ্রভুর ভয়ংকর ক্রোধ তোমাদের উপর অবস্থান করছে।” \p \v 12 তখন ইফ্রয়িমের নেতাদের মধ্যে কয়েকজন—যিহোহাননের ছেলে অসরিয়, মশিল্লোমোতের ছেলে বেরিখিয়, শল্লুমের ছেলে যিহিষ্কিয়, ও হদলয়ের ছেলে অমাসা—সেই লোকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, যারা যুদ্ধ করে ফিরে এসেছিল। \v 13 “তোমরা এই বন্দিদের এখানে আনবে না,” তারা বললেন, “তা না হলে আমরাই সদাপ্রভুর কাছে দোষী হয়ে যাব। আমরা যত পাপ ও অপরাধ করেছি, তার সাথে কি তোমরা এই পাপটিও যোগ করতে চাইছ? কারণ আমাদের পাপের পরিমাণ ইতিমধ্যেই অনেক বেড়ে গিয়েছে, আর ইস্রায়েলের উপর তাঁর ক্রোধ অবস্থান করে আছে।” \p \v 14 অতএব সৈনিকরা বন্দিদের ও লুটসামগ্রীগুলি কর্মকর্তাদের ও সমগ্র জনসমাজের সামনে এনে রেখেছিল। \v 15 যাদের নামোল্লেখ করা হয়েছে, তারা লুটসামগ্রী থেকে কাপড়চোপড় নিয়ে বন্দিদের মধ্যে যাদের পরনে কাপড় ছিল না, তাদের উলঙ্গতা ঢেকে দিলেন। তারা তাদের কাপড়চোপড়, চটিজুতো, খাবারদাবার, ও ব্যথা কমানোর মলম দিলেন। যারা যারা শারীরিক দিক থেকে দুর্বল ছিল, তাদের গাধার পিঠে বসিয়ে দেওয়া হল। এইভাবে তারা খেজুর গাছের নগর যিরীহোতে, তাদের জাতভাই ইস্রায়েলীদের কাছে তাদের পৌঁছে দিলেন, এবং পরে শমরিয়ায় ফিরে এলেন। \p \v 16 সেই সময় রাজা আহস সাহায্য চেয়ে আসিরিয়ার রাজাদের\f + \fr 28:16 \fr*\ft অথবা, রাজার (\+xt 2 রাজাবলি 16:7\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* কাছে লোক পাঠালেন। \v 17 ইদোমীয়েরা আবার এসে যিহূদাকে আক্রমণ করল এবং লোকদের বন্দি করে নিয়ে গেল, \v 18 অন্যদিকে আবার ফিলিস্তিনীরা পাহাড়ের পাদদেশে ও যিহূদার নেগেভে অবস্থিত নগরগুলিতে হানা দিয়েছিল। তারা বেত-শেমশ, অয়ালোন ও গদেরোতের সাথে সাথে সোখো, তিম্না ও গিমসো এবং সেখানকার চারপাশের গ্রামগুলিও দখল করে সেগুলিতে বসবাস করতে শুরু করল। \v 19 ইস্রায়েল-রাজ\f + \fr 28:19 \fr*\ft অর্থাৎ, যিহূদা; 2 বংশাবলিতে প্রায়ই যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে\ft*\f* আহসের জন্যই সদাপ্রভু যিহূদাকে নত করলেন, কারণ যিহূদায় আহস অসদাচারের উদ্যোক্তা হলেন এবং সদাপ্রভুর প্রতি সবচেয়ে বেশি অবিশ্বস্ত হলেন। \v 20 আসিরিয়ার রাজা তিগ্লৎ-পিলেষর\f + \fr 28:20 \fr*\ft অথবা, তিল্গৎ-পিলনেষর\ft*\f* তাঁর কাছে এলেন, কিন্তু তিনি আহসকে সাহায্য না করে বরং তাঁকে কষ্টই দিলেন। \v 21 সদাপ্রভুর মন্দির থেকে এবং রাজপ্রাসাদ থেকে ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আহস বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে সেগুলি আসিরিয়ার রাজাকে উপহার দিলেন, কিন্তু তাতেও তাঁর কোনও লাভ হয়নি। \p \v 22 তাঁর এই কষ্টের সময় রাজা আহস সদাপ্রভুর প্রতি আরও বেশি অবিশ্বস্ত হয়ে গেলেন। \v 23 তিনি দামাস্কাসের সেই দেবতাদের কাছে বলি উৎসর্গ করলেন, যারা তাঁকে পরাজিত করল; কারণ তিনি ভেবেছিলেন, “যেহেতু অরামের রাজাদের দেবতারা তাদের সাহায্য করেছে, তাই আমিও তাদের কাছে বলি উৎসর্গ করব, যেন তারা আমাকেও সাহায্য করে।” কিন্তু তারাই তাঁর ও সমগ্র ইস্রায়েলের পতনের কারণ হল। \p \v 24 আহস ঈশ্বরের মন্দির থেকে আসবাবপত্রাদি সংগ্রহ করে সেগুলি কেটে টুকরো টুকরো করে দিলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজা তিনি বন্ধ করে দিলেন এবং জেরুশালেমের প্রত্যেকটি রাস্তার কোনায় কোনায় তিনি যজ্ঞবেদি খাড়া করে দিলেন। \v 25 যিহূদার প্রত্যেকটি নগরে অন্যান্য দেবতাদের উদ্দেশে বলির পশু পোড়ানোর জন্য তিনি পূজার্চনার উঁচু উঁচু স্থান তৈরি করে দিলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন। \p \v 26 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, তাঁর রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা ও তাঁর সব কাজকর্মের বিবরণ যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের পুস্তকে লেখা আছে। \v 27 আহস তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে জেরুশালেম নগরেই কবর দেওয়া হল, কিন্তু ইস্রায়েলের রাজাদের কবরে তাঁকে রাখা হয়নি। তাঁর ছেলে হিষ্কিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \c 29 \s1 হিষ্কিয় মন্দিরের শুদ্ধকরণ করলেন \p \v 1 হিষ্কিয় পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে উনত্রিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অবিয়। তিনি সখরিয়ের মেয়ে ছিলেন। \v 2 হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের মতোই সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ঠিক, তাই করতেন। \p \v 3 তাঁর রাজত্বকালের প্রথম বছরের প্রথম মাসে তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজাগুলি খুলে দিলেন ও সেগুলি মেরামতও করলেন। \v 4 তিনি যাজক ও লেবীয়দের ফিরিয়ে এনেছিলেন, পূর্বদিকের চকে তাদের সমবেত করলেন \v 5 এবং তাদের বললেন: “হে লেবীয়েরা, আমার কথা শোনো! এখন তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করো এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মন্দিরটিও উৎসর্গ করো। পবিত্র পীঠস্থান থেকে সব দূষণ দূর করো। \v 6 আমাদের পূর্বপুরুষরা অবিশ্বস্ত হলেন; আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে তারা মন্দ কাজকর্ম করলেন ও তাঁকে পরিত্যাগও করলেন। সদাপ্রভুর বাসস্থানের দিক থেকে তারা তাদের মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন ও তাঁর দিকে পিঠ ফিরিয়েছিলেন। \v 7 এছাড়াও তারা দ্বারমণ্ডপের দরজাগুলি বন্ধ করে দিলেন এবং প্রদীপগুলিও নিভিয়ে দিলেন। ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে পবিত্র পীঠস্থানে তারা ধূপও জ্বালাননি বা কোনও হোমবলিও উৎসর্গ করেননি। \v 8 তাই, যিহূদা ও জেরুশালেমের উপর সদাপ্রভুর ক্রোধ নেমে এসেছে; তিনি তাদের আতঙ্কের ও প্রবল বিতৃষ্ণার ও অবজ্ঞার এক পাত্রে পরিণত করেছেন, যা তোমরা স্বচক্ষেই দেখতে পাচ্ছ। \v 9 এজন্যই আমাদের পূর্বপুরুষেরা তরোয়ালের আঘাতে মারা পড়েছেন এবং আমাদের ছেলেমেয়েরা ও আমাদের স্ত্রীরা বন্দি হয়েছে। \v 10 এখন আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সাথে এক নিয়ম স্থির করতে চলেছি, যেন তাঁর ভয়ংকর ক্রোধ আমাদের কাছ থেকে সরে যায়। \v 11 ওহে বাছারা, এখন আর অসতর্ক হোয়ো না, কারণ সদাপ্রভু তাঁর সামনে দাঁড়ানোর ও তাঁর সেবা করার, তাঁর সামনে পরিচর্যা করার ও ধূপ জ্বালানোর জন্য তোমাদেরই মনোনীত করেছেন।” \b \li4 \v 12 তখন এইসব লেবীয় কাজে লেগে গেল: \b \li1 কহাতীয়দের মধ্যে থেকে, \li2 অমাসয়ের ছেলে মাহৎ ও অসরিয়ের ছেলে যোয়েল; \li1 মরারীয়দের মধ্যে থেকে, \li2 অব্দির ছেলে কীশ ও যিহলিলেলের ছেলে অসরিয়; \li1 গের্শোনীয়দের মধ্যে থেকে, \li2 সিম্মের ছেলে যোয়াহ ও যোয়াহের ছেলে এদন; \li1 \v 13 ইলীষাফণের বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 সিম্রি ও যিয়ূয়েল; \li1 আসফের বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 সখরিয় ও মত্তনিয়; \li1 \v 14 হেমনের বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 যিহূয়েল ও শিমিয়ি; \li1 যিদূথূনের বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 শময়িয় ও উষীয়েল। \b \p \v 15 তারা তাদের সমগোত্রীয় লেবীয়দের এক স্থানে একত্রিত করল ও ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গও করল। পরে তারা রাজার আদেশানুসারে, সদাপ্রভুর কথার বাধ্য হয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরটিও শুচিশুদ্ধ করতে গেল। \v 16 সদাপ্রভুর পবিত্র পীঠস্থানটি শুচিশুদ্ধ করার জন্য যাজকেরা মন্দিরের ভিতরে গেলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের মধ্যে তারা যত অশুচি জিনিসপত্র দেখতে পেয়েছিলেন, সেসব তারা সদাপ্রভুর মন্দিরের উঠোনে বের করে এনেছিলেন। লেবীয়েরা সেগুলি সংগ্রহ করে বাইরে কিদ্রোণ উপত্যকায় বয়ে নিয়ে গেল। \v 17 প্রথম মাসের প্রথম দিনে তারা এই শুদ্ধকরণের কাজ শুরু করলেন, এবং মাসের অষ্টম দিনে তারা সদাপ্রভুর দ্বারমণ্ডপে পৌঁছে গেলেন। আরও আট দিন ধরে তারা সদাপ্রভুর মন্দিরটিকেই শুচিশুদ্ধ করে গেলেন, এবং প্রথম মাসের ষোড়শতম দিনে সে কাজ তারা সমাপ্ত করলেন। \p \v 18 পরে তারা রাজা হিষ্কিয়ের কাছে গিয়ে এই খবর দিলেন: “হোমবলির বেদি ও সেখানকার সব বাসনপত্র, এবং উৎসর্গীকৃত রুটি সাজিয়ে রাখার টেবিল ও সেটির সব জিনিসপত্র সমেত আমরা সদাপ্রভুর গোটা মন্দিরটিই শুচিশুদ্ধ করে দিয়েছি। \v 19 রাজা আহস, রাজা থাকার সময় তাঁর অবিশ্বস্ততায় যেসব জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছিলেন, আমরা সেগুলি ঠিকঠাক করে আবার শুচিশুদ্ধ করে দিয়েছি। সেগুলি এখন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির সামনে রাখা আছে।” \p \v 20 পরদিন ভোরবেলায় রাজা হিষ্কিয় নগরের কর্মকর্তাদের একত্রিত করে, তাদের সাথে নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে গেলেন। \v 21 রাজ্যের, পবিত্র পীঠস্থানের ও যিহূদার জন্য তারা পাপার্থক বলিরূপে\f + \fr 29:21 \fr*\ft অথবা, শুদ্ধকরণ-বলিরূপে; 23 ও 24 পদও দেখুন\ft*\f* সাতটি বলদ, সাতটি মদ্দা মেষ, মেষের সাতটি মদ্দা শাবক ও সাতটি পাঁঠা নিয়ে এলেন। হারোণের বংশধর সেই যাজকদের রাজা আদেশ দিলেন, তারা যেন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিতে সেগুলি বলি দেন। \v 22 অতএব তারা সেই বলদগুলি বধ করলেন, এবং যাজকেরা রক্ত নিয়ে তা বেদিতে ছিটিয়ে দিলেন; পরে তারা মদ্দা মেষগুলি বধ করলেন ও সেগুলির রক্ত বেদিতে ছিটিয়ে দিলেন; পরে তারা মেষশাবকগুলিও বধ করলেন ও সেগুলির রক্ত বেদিতে ছিটিয়ে দিলেন। \v 23 পাপার্থক বলির পাঁঠাগুলি রাজার ও জনসমাজের সামনে এনে রাখা হল, এবং সেগুলির উপর তারা হাত রেখেছিলেন। \v 24 যাজকেরা পরে সেই পাঁঠাগুলি বধ করে সেগুলির রক্ত সমগ্র ইস্রায়েলের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাপার্থক বলিরূপে বেদিতে উৎসর্গ করলেন, কারণ রাজা সমগ্র ইস্রায়েলের জন্য হোমবলি ও পাপার্থক বলি উৎসর্গ করার আদেশ দিলেন। \p \v 25 দাউদ এবং রাজার দর্শক গাদ ও ভাববাদী নাথন ঠিক যেমনটি বলে দিলেন, সেইমতোই তিনি সুরবাহার, বীণা ও খঞ্জনি নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে লেবীয়দের দাঁড় করিয়ে দিলেন; সদাপ্রভুই তাঁর ভাববাদীদের মাধ্যমে এই আদেশ দিলেন। \v 26 অতএব লেবীয়েরা দাউদের বাজনাগুলি নিয়ে প্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এবং যাজকেরাও তাদের শিঙাগুলি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। \p \v 27 হিষ্কিয় যজ্ঞবেদিতে হোমবলি উৎসর্গ করার আদেশ দিলেন। বলিদান শুরু হওয়ার সাথে সাথে সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান গাওয়াও শুরু হল, গানের সাথে শিঙা ও ইস্রায়েলের রাজা দাউদের বাজনাগুলিও বাজানো হল। \v 28 যখন বাদ্যকরেরা বাজনা বাজাচ্ছিল ও শিঙাগুলিও বাজানো হচ্ছিল, তখন সমগ্র জনসমাজ আরাধনায় নতমস্তক হল। হোমবলি উৎসর্গ করা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এসব চালিয়ে যাওয়া হল। \p \v 29 বলিদানের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর, রাজা ও তাঁর সাথে সেখানে উপস্থিত প্রত্যেকে নতজানু হয়ে আরাধনা করলেন। \v 30 রাজা হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মকর্তারা লেবীয়দের আদেশ দিলেন, তারা যেন দাউদের ও দর্শক আসফের লেখা গান গেয়ে সদাপ্রভুর প্রশংসা করে। অতএব তারা খুশিমনে প্রশংসার গান গেয়েছিল এবং মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে আরাধনা করল। \p \v 31 তখন হিষ্কিয় বললেন, “এখন তোমরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করে দিয়েছ। কাছে এসে সদাপ্রভুর মন্দিরে বলির নৈবেদ্য ও ধন্যবাদ-বলি নিয়ে এসো।” অতএব সেই জনসমাজ বলির নৈবেদ্য ও ধন্যবাদ-বলি এনেছিল, এবং যাদের যাদের অন্তরে ইচ্ছা জাগল, তারা হোমবলিও এনেছিল। \p \v 32 সেই জনসমাজ যে হোমবলি এনেছিল, তার সংখ্যা হল সত্তরটি বলদ, একশোটি মদ্দা মেষ ও মেষের 200-টি মদ্দা শাবক—এসবই সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলিরূপে আনা হল। \v 33 বলিরূপে যেসব পশু উৎসর্গ করা হল, সেগুলির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল 600 বলদ ও 3,000 মেষ ও ছাগল। \v 34 সব হোমবলির ছাল ছাড়ানোর জন্য অবশ্য যাজকদের সংখ্যা কম পড়ে গেল; তাই যতদিন না সে কাজ সম্পূর্ণ হল ও অন্যান্য যাজকদের ঈশ্বরের উদ্দেশে উৎসর্গ করা হল, ততদিন তাদের আত্মীয় সেই লেবীয়েরা তাদের সাহায্য করল, কারণ যাজকদের তুলনায় সেই লেবীয়েরাই ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করার ক্ষেত্রে বেশি ন্যায়নিষ্ঠ হল। \v 35 সেখানে অপর্যাপ্ত হোমবলি ছিল, এবং সাথে সাথে মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্যের চর্বি ও হোমবলির আনুষঙ্গিক পেয়-নৈবেদ্যও ছিল। \p অতএব সদাপ্রভুর মন্দিরের সেবাকাজ আবার নতুন করে শুরু হল। \v 36 ঈশ্বর তাঁর প্রজাদের জন্য কী ঘটিয়েছেন, তা দেখে হিষ্কিয় ও দেশের প্রজারা সবাই আনন্দ করলেন, কারণ এসব কিছুই খুব তাড়াতাড়ি করা হল। \c 30 \s1 হিষ্কিয় নিস্তারপর্ব পালন করলেন \p \v 1 জেরুশালেমে সদাপ্রভুর মন্দিরে আসার ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব পালন করার নিমন্ত্রণ জানিয়ে হিষ্কিয় ইস্রায়েল ও যিহূদায় সকলের কাছে খবর পাঠালেন এবং ইফ্রয়িমের ও মনঃশির প্রজাদের কাছে চিঠিও লিখেছিলেন। \v 2 রাজা ও তাঁর কর্মকর্তারা এবং জেরুশালেমের সমগ্র জনসমাজ দ্বিতীয় মাসে নিস্তারপর্ব পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। \v 3 নির্দিষ্ট সময়ে তারা সেটি পালন করতে পারেননি, কারণ যথেষ্ট পরিমাণ যাজক ঈশ্বরের উদ্দেশে তখন নিজেদের উৎসর্গ করেননি এবং প্রজারাও তখন জেরুশালেমে সমবেত হয়নি। \v 4 রাজা ও সমগ্র জনসমাজ, উভয়ের কাছেই পরিকল্পনাটি সমুচিত বলে মনে হল। \v 5 লোকজন যেন জেরুশালেমে এসে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব পালন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে তারা বের-শেবা থেকে দান পর্যন্ত, ইস্রায়েলে সর্বত্র লোক পাঠিয়ে সেকথা ঘোষণা করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে যেমনটি লিখে রাখা হল, সেই নিয়মানুসারে, মানুষজনের পক্ষে একসাথে মিলিত হয়ে সেই পর্বটি পালন করা সম্ভব হয়নি। \p \v 6 রাজার আদেশে, রাজার ও তাঁর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চিঠিপত্র নিয়ে ডাকহরকরারা ইস্রায়েল ও যিহূদার সর্বত্র চলে গেল; সেই চিঠিপত্রের ভাষা ছিল এইরকম: \pm “হে ইস্রায়েলী প্রজারা, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তোমরা ফিরে এসো, যেন তোমরা যারা অবশিষ্ট আছ, যারা আসিরিয়ার রাজাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছ, তোমাদের কাছে তিনিও ফিরে আসেন। \v 7 তোমরা তোমাদের সেই পূর্বপুরুষ ও সমগোত্রীয় ইস্রায়েলীদের মতো হোয়ো না, যারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হল, তাই তিনি তাদের প্রবল বিতৃষ্ণার পাত্রে পরিণত করলেন, যা তোমরা দেখতেই পাচ্ছ। \v 8 তোমাদের পূর্বপুরুষদের মতো তোমরা একগুঁয়ে হোয়ো না; সদাপ্রভুর হাতে নিজেদের সঁপে দাও। তাঁর পবিত্র সেই পীঠস্থানে এসো, যা তিনি চিরকালের জন্য পবিত্র করে দিয়েছেন। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করো, যেন তাঁর ভয়ংকর ক্রোধ তোমাদের কাছ থেকে দূর হয়ে যায়। \v 9 তোমরা যদি সদাপ্রভুর কাছে ফিরে আস, তবে তোমাদের সমগোত্রীয় ইস্রায়েলীদের ও তোমাদের সন্তানদের প্রতি তাদের বন্দিকারীরা করুণা দেখাবে এবং তারা এই দেশে ফিরে আসবে, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু অনুগ্রহকারী ও করুণাময়। তোমরা যদি তাঁর কাছে ফিরে আস, তবে তিনি তোমাদের দিক থেকে তাঁর মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।” \p \v 10 ডাকহরকরারা ইফ্রয়িম ও মনঃশির এক নগর থেকে অন্য নগর ঘুরে সবূলূন পর্যন্ত গেল, কিন্তু লোকেরা তাদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল। \v 11 তা সত্ত্বেও, আশের, মনঃশি ও সবূলূন থেকে কেউ কেউ নিজেদের নত করল ও জেরুশালেমে গেল। \v 12 এছাড়া যিহূদাতেও লোকজনের উপর ঈশ্বর হাত রেখে তাদের মনে একতা দিলেন, যেন তারা সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে, রাজার ও তাঁর কর্মকর্তাদের আদেশ পালন করতে পারে। \p \v 13 দ্বিতীয় মাসে খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করার জন্য বিশাল জনতা জেরুশালেমে সমবেত হল। \v 14 জেরুশালেমে তারা বেদিগুলি সরিয়ে দিয়েছিল এবং ধূপবেদিগুলি পরিষ্কার করে সেখানে রাখা জিনিসপত্র কিদ্রোণ উপত্যকায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। \p \v 15 দ্বিতীয় মাসের চতুর্দশতম দিনে তারা নিস্তারপর্বের মেষশাবকটি বধ করল। যাজক ও লেবীয়েরা লজ্জিত হয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করলেন এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে হোমবলি নিয়ে এলেন। \v 16 পরে ঈশ্বরের লোক মোশির বিধান অনুসারে তারা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। লেবীয়েরা যাজকদের হাতে যে রক্ত তুলে দিয়েছিল, তারা সেই রক্ত যজ্ঞবেদিতে ছিটিয়ে দিলেন। \v 17 যেহেতু জনতার ভিড়ে অনেকেই ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করেননি, তাই প্রথাগতভাবে যারা শুচিশুদ্ধ ছিল না ও যারা তাদের আনা মেষশাবকগুলি\f + \fr 30:17 \fr*\ft অথবা, “নিজেদের”\ft*\f* সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পারেনি, তাদের হয়ে লেবীয়দেরই নিস্তারপর্বের মেষশাবকগুলি বধ করতে হল। \v 18 যদিও যেসব লোকজন ইফ্রয়িম, মনঃশি, ইষাখর ও সবূলূন থেকে এসেছিল, তাদের মধ্যে অধিকাংশ জনই নিজেদের শুচিশুদ্ধ করেননি, তবু তারা লিখিত বিধিনিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ খেয়েছিল। কিন্তু হিষ্কিয় তাদের জন্য প্রার্থনা করে বললেন, “মঙ্গলময় সদাপ্রভু তাদের প্রত্যেককে ক্ষমা করুন, \v 19 যারা তাদের অন্তর ঈশ্বরের—তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর—অন্বেষণ করার জন্য ঠিক করেছে, এমনকি পবিত্র পীঠস্থানের নিয়মানুসারে তারা যদি শুচিশুদ্ধ নাও হয়, তাও যেন তিনি তাদের ক্ষমা করলেন।” \v 20 সদাপ্রভু হিষ্কিয়ের প্রার্থনা শুনেছিলেন ও মানুষজনকে সুস্থ করলেন। \p \v 21 একদিকে, জেরুশালেমে উপস্থিত ইস্রায়েলীরা মহানন্দে সাত দিন ধরে খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করছিল, অন্যদিকে যাজক ও লেবীয়েরা প্রতিদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত দারুণ সব বাজনা বাজিয়ে সদাপ্রভুর প্রশংসাগান করে যাচ্ছিলেন।\f + \fr 30:21 \fr*\ft অথবা, “যাজকেরা প্রতিদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান গেয়ে যাচ্ছিলেন, এবং তার সাথে সদাপ্রভুর প্রশংসার্থক বাজনাও বাজানো হচ্ছিল”\ft*\f* \p \v 22 যেসব লেবীয় সদাপ্রভুর সেবাকাজে ভালো বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগ করল, হিষ্কিয় তাদের উৎসাহ দিয়ে কথা বললেন। পর্বের সাত দিন ধরে তারা তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া খাবার খেয়েছিল এবং মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করল।\f + \fr 30:22 \fr*\ft অথবা, “এবং নিজেদের পাপস্বীকার করল”\ft*\f* \p \v 23 সমগ্র জনসমাজ তখন আরও সাত দিন উৎসব পালন করার বিষয়ে একমত হল; অতএব আনন্দ করতে করতে আরও সাত দিন ধরে তারা উৎসব পালন করল। \v 24 জনসমাজের জন্য যিহূদার রাজা হিষ্কিয় এক হাজার বলদ এবং সাত হাজার মেষ ও ছাগল দিলেন, এবং কর্মকর্তারা তাদের জন্য এক হাজার বলদ ও দশ হাজার মেষ ও ছাগল দিলেন। অনেক যাজক ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করে দিলেন। \v 25 যিহূদার সমগ্র জনসমাজ আনন্দ করল, ও তাদের সাথে সাথে যাজক ও লেবীয়েরা এবং ইস্রায়েল থেকে এসে সেখানে সমবেত হওয়া লোকজন ও ইস্রায়েল থেকে আসা তথা যিহূদায় বসবাসকারী বিদেশিরাও আনন্দ করল। \v 26 জেরুশালেমে আনন্দের হাট বসে গেল, কারণ ইস্রায়েলের রাজা দাউদের ছেলে শলোমনের সময়ের পর থেকে, জেরুশালেমে এরকম আর কিছু কখনও হয়নি। \v 27 যাজক ও লেবীয়েরা প্রজাদের আশীর্বাদ করার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, এবং ঈশ্বর তাদের কথা শুনেছিলেন, কারণ তাদের প্রার্থনা স্বর্গে, তাঁর সেই পবিত্র বাসস্থানে পৌঁছে গেল। \c 31 \p \v 1 এসব কিছু সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর, সেখানে উপস্থিত ইস্রায়েলীরা যিহূদার নগরগুলিতে গিয়ে সেখানকার দেবতাদের উদ্দেশে নিবেদিত পাথরগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ও আশেরার খুঁটিগুলি কেটে নামিয়েছিল। যিহূদা ও বিন্যামীন, এবং ইফ্রয়িম ও মনঃশির সর্বত্র প্রতিমাপূজার উঁচু উঁচু স্থান ও বেদিগুলি তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল। সেগুলি সব পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলার পর ইস্রায়েলীরা তাদের নিজের নিজের নগরে ও নিজেদের বিষয়সম্পত্তির কাছে ফিরে গেল। \s1 আরাধনার জন্য সংগৃহীত দান \p \v 2 হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করার, পরিচর্যা করার, সদাপ্রভুর বাসস্থানের দরজায় দাঁড়িয়ে ধন্যবাদ দেওয়ার ও প্রশংসা করার জন্য হিষ্কিয় যাজক ও লেবীয়দের প্রত্যেককে, যাজকের ও লেবীয়ের করণীয় দায়িত্ব অনুসারে, কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত করে দিলেন। \v 3 সদাপ্রভুর বিধানে লেখা নিয়মানুসারে সকাল-সন্ধ্যার হোমবলির এবং সাব্বাথবারে\f + \fr 31:3 \fr*\ft অথবা, বিশ্রামবারে\ft*\f*, অমাবস্যায় ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া উৎসবের দিনগুলিতে উৎসর্গ করার উপযোগী হোমবলির জন্য রাজা নিজের বিষয়সম্পত্তি থেকে দান দিলেন। \v 4 জেরুশালেমে বসবাসকারী লোকজনকে তিনি আদেশ দিলেন, সদাপ্রভুর বিধানসংক্রান্ত বিষয়ে যাজক ও লেবীয়েরা যেন নিজেদের লিপ্ত রাখতে পারেন, তাই তাদের প্রাপ্য অংশ যেন তারা তাদের দিয়ে দেন। \v 5 যেই না সেই আদেশ জারি হল, ইস্রায়েলীরা অকাতরে তাদের শস্যের নবান্ন, নতুন দ্রাক্ষারস, জলপাই তেল ও মধু এবং ক্ষেতের সব উৎপন্ন দ্রব্য এনে দিয়েছিল। অনেক বেশি পরিমাণে তারা সবকিছুর দশমাংশ নিয়ে এসেছিল। \v 6 যিহূদার নগরগুলিতে বসবাসকারী ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকজন তাদের গরু-ছাগলের পাল ও মেষের পাল থেকেও দশমাংশ এনেছিল এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত পবিত্র জিনিসপত্রের দশমাংশও এনে গাদা করে দিয়েছিল। \v 7 তৃতীয় মাসে তারা এরকম করতে শুরু করল এবং সপ্তম মাসে শেষ করল। \v 8 হিষ্কিয় ও তাঁর কর্মকর্তারা যখন এসে জিনিসপত্রের সেই গাদা দেখেছিলেন, তারা সদাপ্রভুর প্রশংসা করলেন ও তাঁর প্রজা ইস্রায়েলকে আশীর্বাদ দিলেন। \p \v 9 হিষ্কিয়, যাজক ও লেবীয়দের সেই গাদার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন; \v 10 এবং সাদোকের বংশোদ্ভূত প্রধান যাজক অসরিয় উত্তর দিলেন, “যেদিন থেকে লোকেরা সদাপ্রভুর মন্দিরে তাদের দান আনতে শুরু করল, আমরা যথেষ্ট খাবার খেতে পেয়েছি এবং প্রচুর খাবার বেঁচেও গিয়েছে, কারণ সদাপ্রভু তাঁর প্রজাদের আশীর্বাদ করেছেন, ও এত কিছু বেঁচে গিয়েছে।” \p \v 11 সদাপ্রভুর মন্দিরে হিষ্কিয় কয়েকটি ভাঁড়ারঘর তৈরি করার আদেশ দিলেন, এবং তা করা হল। \v 12 পরে তারা নিষ্ঠাসহকারে দান, দশমাংশ ও উৎসর্গীকৃত জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিল। লেবীয় কনানিয়কে এইসব জিনিসপত্র দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক করে দেওয়া হল, এবং তাঁর ভাই শিমিয়ি পদাধিকারবলে তাঁর ঠিক নিচেই ছিলেন। \v 13 যিহীয়েল, অসসিয়, নহৎ, অসাহেল, যিরীমোৎ, যোষাবদ, ইলীয়েল, যিষ্মখিয়, মাহৎ ও বনায় কনানিয় ও তাঁর ভাই শিমিয়ির সহকারী ছিলেন। এরা সবাই, রাজা হিষ্কিয় ও ঈশ্বরের মন্দিরের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা অসরিয়ের দ্বারা কাজে নিযুক্ত হলেন। \p \v 14 যিম্নার ছেলে লেবীয় কোরিকে, যিনি আবার পূর্বদিকের দরজার রক্ষীও ছিলেন, ঈশ্বরকে দেওয়া স্বেচ্ছাদানগুলি দেখাশোনা করার, সদাপ্রভুর কাছে আনা দানসামগ্রী ও উৎসর্গীকৃত উপহারগুলি বিলি করার দায়িত্ব দেওয়া হল। \v 15 এদন, মিনিয়ামীন, যেশূয়, শময়িয়, অমরিয় ও শখনিয় নিষ্ঠাসহকারে যাজকদের নগরগুলিতে থেকে কোরির কাজে সাহায্য করতেন, এবং বড়ো বা ছোটো, তাদের সমগোত্রীয় যাজকদের বিভাগ অনুসারে, তাদের কাছে তাদের প্রাপ্য বিলি করে দিতেন। \p \v 16 এছাড়াও, তিন বছর বা তার বেশি বয়সের যেসব পুরুষের নাম বংশানুক্রমিক তালিকাতে ছিল—যারা তাদের দায়িত্ব ও বিভাগ অনুসারে তাদের বিভিন্ন কাজকর্মের দৈনন্দিন দায়িত্ব পালন করার জন্য সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করতেন, তাদেরও প্রাপ্য তারা বিলি করে দিতেন। \v 17 এক-একটি বংশ ধরে ধরে বংশানুক্রমিক তালিকায় নথিভুক্ত যাজকদের ও একইরকম ভাবে, কুড়ি বছর বা তার বেশি বয়সের লেবীয়দের প্রাপ্যও তারা তাদের দায়িত্ব ও বিভাগ অনুসারে বিলি করে দিতেন। \v 18 এইসব বংশানুক্রমিক তালিকায় সমগ্র সমাজের যত শিশু, স্ত্রী, এবং ছেলেমেয়ের নাম নথিভুক্ত করা ছিল, তাদের সবাইকে তারা যুক্ত করলেন। কারণ ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করার ক্ষেত্রে তারা নিষ্ঠাবান ছিলেন। \p \v 19 যারা নিজেদের নগরের বা অন্যান্য নগরের আশেপাশে অবস্থিত ক্ষেতজমিতে বসবাস করতেন, হারোণের বংশধর, সেইসব যাজকের মধ্যে থেকে প্রত্যেকজন পুরুষের ও যাদের নাম লেবীয়দের বংশাবলিতে নথিভুক্ত করে রাখা হল, তাদের প্রাপ্য তাদের কাছে বিলি করে দেওয়ার জন্য নাম ধরে ধরে নির্দিষ্ট করে দেওয়া কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হল। \p \v 20 যিহূদার সব স্থানে হিষ্কিয় এরকমই করলেন, তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো ও নির্ভরযোগ্য, তাই করলেন। \v 21 ঈশ্বরের মন্দিরের পরিচর্যায় এবং বিধান ও আদেশের প্রতি বাধ্যতা দেখিয়ে তিনি যা যা করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সবেতেই তিনি তাঁর ঈশ্বরের অন্বেষণ করলেন এবং মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে কাজ করলেন। আর তাই তিনি সফলও হলেন। \c 32 \s1 সন্‌হেরীব জেরুশালেমকে হুমকি দেন \p \v 1 নিষ্ঠাসহকারে হিষ্কিয় এত কিছু করার পর, আসিরিয়ার রাজা সন্‌হেরীব এসে যিহূদায় সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছিলেন। সুরক্ষিত নগরগুলি নিজের অধিকারে আনার ভাবনাচিন্তা নিয়ে তিনি সেগুলি ঘেরাও করলেন। \v 2 হিষ্কিয় যখন দেখেছিলেন যে সন্‌হেরীব এসে জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাইছেন, \v 3 তখন নগরের বাইরে থাকা জলের উৎসগুলি থেকে আসা জলের স্রোত বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে তিনি তাঁর কর্মকর্তা ও সামরিক কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করলেন, এবং তারা তাঁকে সাহায্য করলেন। \v 4 তারা এমন অনেক লোক একত্রিত করলেন, যারা দেশে বয়ে যাওয়া নদীনালার জলস্রোত বন্ধ করে দিয়েছিল। “আসিরিয়ার রাজারা\f + \fr 32:4 \fr*\ft অথবা, “রাজা”\ft*\f* এসে কেন প্রচুর জল পাবে?” তারা বলল। \v 5 পরে তিনি পরিশ্রম করে প্রাচীরের ভাঙা অংশগুলি মেরামত করলেন ও সেটির উপর মিনার গড়ে দিলেন। সেই প্রাচীরটির বাইরের দিকেও তিনি আরও একটি প্রাচীর তৈরি করলেন এবং দাউদ-নগরের উঁচু চাতালগুলিও\f + \fr 32:5 \fr*\ft অথবা, “মিল্লো”\ft*\f* আরও মজবুত করে দিলেন। তিনি প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও ঢালও বানিয়েছিলেন। \p \v 6 প্রজাদের উপর তিনি সেনাপতিদের নিযুক্ত করে দিলেন এবং নগরের সিংহদুয়ারের সামনের চকে তাদের একত্রিত করে এই কথা বলে তাদের উৎসাহ দিলেন: \v 7 “তোমরা বলবান ও সাহসী হও। আসিরিয়ার রাজাকে ও তাঁর সাথে থাকা বিশাল সৈন্যদল দেখে তোমরা ভয় পেয়ো না বা হতাশ হোয়ো না, কারণ তাঁর সাথে যে বা যারা আছে, তাদের তুলনায় আমাদের সাথে যিনি আছেন, তাঁর ক্ষমতা অনেক বেশি। \v 8 তাঁর সাথে আছে শুধু মানুষের হাত, কিন্তু আমাদের সাথে আছেন আমাদের সেই ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি আমাদের সাহায্য করতে ও আমাদের হয়ে যুদ্ধ করতেও সক্ষম।” যিহূদার রাজা হিষ্কিয় প্রজাদের যে কথা বললেন, তা শুনে তারা ভরসা পেয়েছিল। \p \v 9 পরে, আসিরিয়ার রাজা সন্‌হেরীব ও তাঁর সব সৈন্যসামন্ত যখন লাখীশ অবরোধ করে বসেছিলেন, তখন সেখান থেকে তিনি যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের ও জেরুশালেমে উপস্থিত যিহূদার সব প্রজার কাছে এই খবর দিয়ে তাঁর কর্মকর্তাদের জেরুশালেমে পাঠালেন: \pm \v 10 “আসিরিয়ার রাজা সন্‌হেরীব একথাই বলেন: তোমরা কীসের উপর ভরসা করে জেরুশালেমে অবরুদ্ধ হয়ে বসে আছ? \v 11 হিষ্কিয় যখন বলছে, ‘আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই আসিরিয়ার রাজার হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করবেন,’ তখন আসলে সে তোমাদের বিভ্রান্ত করছে, যেন তোমরা ক্ষুধাতৃষ্ণায় মারা যাও। \v 12 এই হিষ্কিয়ই কি নিজে এই দেবতার পূজার্চনার উঁচু উঁচু স্থান ও বেদিগুলি যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকজনের কাছে এই কথা বলে দূর করে দেয়নি যে, ‘একটিই যজ্ঞবেদির সামনে তোমাদের আরাধনা করতে হবে ও সেটির উপরেই নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে হবে’? \pm \v 13 “তোমরা কি জানো না, আমি ও আমার পূর্বসূরিরা অন্যান্য দেশের সব প্রজার প্রতি কী করেছি? সেইসব দেশের দেবতারা কি আমার হাত থেকে তাদের দেশগুলি রক্ষা করতে পেরেছিল? \v 14 আমার পূর্বসূরিরা যেসব দেশ ধ্বংস করে দিলেন, সেইসব দেশের দেবতাদের মধ্যে কে তার প্রজাদের আমার হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছিল? তবে তোমাদের দেবতাই বা কীভাবে আমার হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করবে? \v 15 এখন হিষ্কিয় যেন এভাবে তোমাদের ঠকাতে ও বিভ্রান্ত করতে না পারে। তাকে বিশ্বাস কোরো না, কারণ কোনও দেশের বা রাজ্যের কোনও দেবতা তার প্রজাদের আমার হাত থেকে বা আমার পূর্বসূরীদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি। তবে তোমাদের দেবতাই বা কীভাবে আমার হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করবে!” \p \v 16 সন্‌হেরীবের কর্মকর্তারা সদাপ্রভু ঈশ্বরের বিরুদ্ধে ও তাঁর দাস হিষ্কিয়ের বিরুদ্ধে আরও অনেক কথা বললেন। \v 17 রাজাও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে টিটকিরি দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন, এবং তাঁর বিরুদ্ধে এই কথা বললেন: “ঠিক যেভাবে অন্যান্য দেশের প্রজাদের দেবতারা, তাদের প্রজাদের আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি, সেভাবে হিষ্কিয়ের দেবতাও তার প্রজাদের আমার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না।” \v 18 জেরুশালেম নগরটি দখল করার লক্ষ্যে প্রাচীরের উপর দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে ভয় দেখিয়ে ও ভীতসন্ত্রস্ত করে দিয়ে তখন তারা হিব্রু ভাষায় চিৎকার করে কথা বলল। \v 19 যারা মানুষের হাতে গড়া, জগতের অন্যান্য লোকজনের সেই দেবতাদের বিষয়ে তারা যেভাবে কথা বলল, জেরুশালেমের ঈশ্বরের বিষয়েও তারা সেভাবেই কথা বলল। \p \v 20 রাজা হিষ্কিয় ও আমোষের ছেলে ভাববাদী যিশাইয় এই বিষয় নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে জোর গলায় প্রার্থনা করলেন \v 21 আর সদাপ্রভু এমন এক স্বর্গদূত পাঠিয়ে দিলেন, যিনি আসিরিয়ার রাজার সৈন্যশিবিরের সব যোদ্ধা এবং সেনাপতি ও কর্মকর্তাকে নির্মূল করে দিলেন। তাই অপমানিত হয়ে তিনি নিজের দেশে ফিরে গেলেন। তিনি যখন তাঁর দেবতার মন্দিরে গেলেন, তখন তাঁর ঔরসে জন্মানো ছেলেদের মধ্যে কয়েকজন তরোয়াল দিয়ে কেটে তাঁকে মেরে ফেলেছিল। \p \v 22 এইভাবে হিষ্কিয়কে ও জেরুশালেমের লোকজনকে আসিরিয়ার রাজা সন্‌হেরীবের হাত থেকে ও অন্যান্যদেরও হাত থেকে সদাপ্রভু রক্ষা করলেন। সবদিক থেকেই তিনি তাদের যত্ন নিয়েছিলেন।\f + \fr 32:22 \fr*\ft অথবা, “বিশ্রাম দিলেন”\ft*\f* \v 23 অনেকেই সদাপ্রভুর জন্য নৈবেদ্য ও যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের জন্য দামি উপহার নিয়ে জেরুশালেমে এসেছিল। তখন থেকেই সব জাতির দৃষ্টিতে তিনি খুব সম্মানের পাত্রে পরিণত হলেন। \s1 হিষ্কিয়ের গর্ব, সাফল্য ও মৃত্যু \p \v 24 সেই সময় হিষ্কিয় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হলেন। তিনি সেই সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন, যিনি তাঁকে উত্তর দিলেন ও তাঁকে এক অলৌকিক চিহ্নও দিলেন। \v 25 কিন্তু হিষ্কিয়ের অন্তর গর্বিত হল এবং তাঁকে যে করুণা দেখানো হল, তাতে তিনি ভালো সাড়া দেননি; তাই তাঁর উপর এবং যিহূদা ও জেরুশালেমের উপর সদাপ্রভু ক্রুদ্ধ হলেন। \v 26 তখন হিষ্কিয় তাঁর অন্তরে উৎপন্ন গর্বের বিষয়ে অনুতাপ করলেন, এবং তাঁর সাথে সাথে জেরুশালেমের লোকেরাও অনুতাপ করল; তাই হিষ্কিয়ের রাজত্বকালে সদাপ্রভুর ক্রোধ তাদের উপর নেমে আসেনি। \p \v 27 হিষ্কিয়ের প্রচুর ধনসম্পত্তি ও সম্মান ছিল, আর তিনি তাঁর রুপো ও সোনার এবং তাঁর দামি মণিমুক্তো, মশলাপাতি, ঢাল ও সব ধরনের দামি জিনিসপত্রের জন্য কয়েকটি কোষাগার তৈরি করলেন। \v 28 এছাড়াও শস্য, নতুন দ্রাক্ষারস ও জলপাই তেল মজুত করে রাখার জন্য কয়েকটি গুদামঘর তৈরি করলেন; আর বিভিন্ন ধরনের গবাদি পশু রাখার জন্য গোশালা ও মেষের পাল রাখার জন্য খোঁয়াড়ও তৈরি করলেন। \v 29 তিনি বেশ কিছু গ্রাম গড়ে তুলেছিলেন এবং নিজের জন্য তিনি প্রচুর পরিমাণে মেষ ও গরু-ছাগল সংগ্রহ করলেন, কারণ ঈশ্বরই তাঁকে এত ধনসম্পত্তি দিলেন। \p \v 30 এই হিষ্কিয়ই গীহোন জলের উৎসের উপর দিকের মুখ বন্ধ করে দিলেন এবং জলের স্রোত দাউদ-নগরের পশ্চিমদিকে টেনে নামিয়েছিলেন। যে কোনো কাজে তিনি হাত লাগালেন, তাতেই তিনি সফল হলেন। \v 31 কিন্তু ব্যাবিলনের শাসনকর্তারা যখন প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, দেশে ঠিক কী অলৌকিক চিহ্ন দেখা গিয়েছে, তখন আসলে ঈশ্বরই তাঁকে পরীক্ষা করে জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর অন্তরে ঠিক কী আছে। \p \v 32 হিষ্কিয়ের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা এবং তাঁর নিষ্ঠামূলক কাজকর্মের বিবরণ যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের পুস্তকের অন্তর্গত আমোষের ছেলে ভাববাদী যিশাইয়ের দর্শন-গ্রন্থে লেখা আছে। \v 33 হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এবং তাঁকে সেই পাহাড়ে কবর দেওয়া হল, যেখানে দাউদের সব বংশধরের কবর আছে। তিনি যখন মারা গেলেন, তখন সমগ্র যিহূদা দেশ ও জেরুশালেমের প্রজারা তাঁকে সম্মান জানিয়েছিল। তাঁর ছেলে মনঃশি রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \c 33 \s1 যিহূদার রাজা মনঃশি \p \v 1 মনঃশি 12 বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঞ্চান্ন বছর রাজত্ব করলেন। \v 2 ইস্রায়েলীদের সামনে থেকে সদাপ্রভু যে জাতিদের দূর করে দিলেন, তাদের ঘৃণ্য প্রথা অনুসরণ করে তিনি সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করলেন। \v 3 তাঁর বাবা হিষ্কিয় প্রতিমাপূজার যে উঁচু স্থানগুলি ভূমিসাৎ করলেন, তিনি সেগুলিই আবার নতুন করে গড়ে তুলেছিলেন; এছাড়াও তিনি বায়াল-দেবতাদের উদ্দেশে বেদি গেঁথে তুলেছিলেন এবং আশেরার খুঁটিও তৈরি করেছিলেন। তিনি আকাশের রাশি রাশি তারার কাছে মাথা নত করতেন এবং সেগুলির পূজার্চনা করতেন। \v 4 তিনি সদাপ্রভুর সেই মন্দিরে কয়েকটি বেদি তৈরি করলেন, যেটির বিষয়ে সদাপ্রভু বললেন, “আমার নাম জেরুশালেমে চিরকাল বজায় থাকবে।” \v 5 সদাপ্রভুর মন্দিরের উভয় প্রাঙ্গণে তিনি আকাশের সব তারকাদলের জন্য কয়েকটি বেদি তৈরি করে দিলেন। \v 6 বিন-হিন্নোমের উপত্যকায় তিনি তাঁর সন্তানদের আগুনে উৎসর্গ করতেন, দৈববিচার ও ডাকিনীবিদ্যার চর্চা করতেন, শুভ-অশুভ চিহ্নের খোঁজ চালাতেন, এবং প্রেতমাধ্যম ও গুনিনদের সাথেও শলাপরামর্শ করতেন। সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে প্রচুর অন্যায় করে তিনি তাঁর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন। \p \v 7 একটি মূর্তি তৈরি করে, তিনি সেটি নিয়ে গিয়ে ঈশ্বরের সেই মন্দিরে রেখেছিলেন, যেটির বিষয়ে ঈশ্বর দাউদ ও তাঁর ছেলে শলোমনকে বলে দিলেন, “এই মন্দিরে ও যে জেরুশালেমকে আমি ইস্রায়েলের সব বংশের মধ্যে থেকে আলাদা করে মনোনীত করেছি, সেখানেই আমি চিরকাল আমার নাম বজায় রাখব। \v 8 শুধু যদি ইস্রায়েলীরা একটু সতর্ক হয়ে সেই নিয়ম, বিধান ও নির্দেশগুলি মেনে চলে, যেগুলি পালন করার আদেশ মোশির মাধ্যমে আমি তাদের দিয়েছিলাম, তবে আমি আর কখনোই সেই দেশের বাইরে ইস্রায়েলীদের পা বাড়াতে দেব না, যে দেশটি আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছিলাম।” \v 9 কিন্তু মনঃশি এমনভাবে যিহূদাকে ও জেরুশালেমের লোকজনকে বিপথে পরিচালিত করলেন, যে তারা সেইসব জাতির চেয়েও বেশি অন্যায় করল, যে জাতিদের সদাপ্রভু ইস্রায়েলীদের সামনে ধ্বংস করে দিলেন। \p \v 10 সদাপ্রভু মনঃশি ও তাঁর প্রজাদের সাথে কথা বলতেন, কিন্তু তারা সেকথায় মনোযোগ দিতেন না। \v 11 তাই তাদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু আসিরিয়ার রাজার সেই সেনাপতিদের নিয়ে এলেন, যারা মনঃশিকে বন্দি করল, তাঁর নাকে বড়শি গেঁথে দিয়েছিল, ও ব্রোঞ্জের শিকলে বেঁধে তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে গেল। \v 12 দুর্দশায় পড়ে তিনি তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে অনুগ্রহ চেয়েছিলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের সামনে নিজেকে অত্যন্ত নত করলেন। \v 13 আর তিনি যখন তাঁর কাছে প্রার্থনা করলেন, তখন তাঁর মিনতি সদাপ্রভুর হৃদয় স্পর্শ করল ও তিনি তাঁর সনির্বন্ধ অনুরোধ শুনেছিলেন; তাই তিনি তাঁকে জেরুশালেমে ও তাঁর রাজ্যে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তখন মনঃশি বুঝেছিলেন যে সদাপ্রভুই ঈশ্বর। \p \v 14 পরে একেবারে মৎস-দ্বারের প্রবেশদ্বার পর্যন্ত গিয়ে ও ওফল পাহাড় ঘিরে থাকা উপত্যকায় অবস্থিত গীহোন জলের উৎসের পশ্চিমদিকে, দাউদ-নগরের বাইরের দিকের প্রাচীরটি তিনি নতুন করে গড়ে দিলেন; তিনি আবার সেটি আরও উঁচু করে দিলেন। যিহূদার সব সুরক্ষিত নগরেও তিনি সামরিক সেনাপতি মোতায়েন করে দিলেন। \p \v 15 সদাপ্রভুর মন্দির থেকে তিনি বিজাতীয় দেবতাদের দূর করলেন এবং প্রতিমার মূর্তিগুলিও দূর করলেন, এছাড়াও মন্দির-পাহাড়ের উপর ও জেরুশালেমে তিনি যেসব বেদি তৈরি করলেন, সেগুলিও তিনি উপড়ে ফেলেছিলেন; এবং সেগুলি নগরের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। \v 16 পরে তিনি সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং সেটির উপরে মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য ও ধন্যবাদের বলি উৎসর্গ করলেন, ও যিহূদার লোকজনকেও বললেন, যেন তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করে। \v 17 প্রজারা অবশ্য তখনও পূজার্চনার উঁচু উঁচু স্থানগুলিতেই নৈবেদ্য উৎসর্গ করে যাচ্ছিল, তবে শুধুমাত্র তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশেই তারা তা করছিল। \p \v 18 মনঃশির রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, এবং তাঁর ঈশ্বরের কাছে করা তাঁর প্রার্থনা ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে তাঁর কাছে বলা দর্শকদের সব কথা ইস্রায়েলের রাজাদের\f + \fr 33:18 \fr*\ft অর্থাৎ, যিহূদার রাজাদের; 2 বংশাবলির সর্বত্র যেভাবে দেখা যায়\ft*\f* ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে। \v 19 তাঁর প্রার্থনা ও তাঁর মিনতি কীভাবে ঈশ্বরের হৃদয় স্পর্শ করল, এছাড়াও তাঁর সব পাপ ও অবিশ্বস্ততা, এবং নিজেকে নত করার আগে যেখানে যেখানে তিনি পূজার্চনার উঁচু উঁচু স্থান তৈরি করলেন এবং আশেরার খুঁটি ও প্রতিমার মূর্তি খাড়া করলেন—সেসবই দর্শকদের\f + \fr 33:19 \fr*\ft অথবা, হোশয়ের\ft*\f* পুস্তকে লেখা আছে। \v 20 মনঃশি তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাঁর প্রাসাদেই কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে আমোন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \s1 যিহূদার রাজা আমোন \p \v 21 আমোন বাইশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি দুই বছর রাজত্ব করলেন। \v 22 তাঁর বাবা মনঃশির মতো তিনিও সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করলেন। আমোন, মনঃশির তৈরি করা সব প্রতিমার পুজো করতেন ও সেগুলির কাছে নৈবেদ্যও উৎসর্গ করতেন। \v 23 কিন্তু তাঁর বাবা মনঃশি যেভাবে নিজেকে সদাপ্রভুর কাছে নত করলেন, তিনি কিন্তু তা করেননি; আমোন তাঁর অপরাধ বাড়িয়েই গেলেন। \p \v 24 আমোনের কর্মকর্তারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁর রাজপ্রাসাদেই তাঁকে হত্যা করল। \v 25 তখন দেশের প্রজারা সেইসব লোককে হত্যা করল, যারা রাজা আমোনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হল, এবং তারা তাঁর স্থানে তাঁর ছেলে যোশিয়কে রাজা করল। \c 34 \s1 যোশিয়ের সংস্কারসাধন \p \v 1 যোশিয় আট বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি একত্রিশ বছর রাজত্ব করলেন। \v 2 সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ঠিক, যোশিয় তাই করলেন এবং তিনি তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের পথেই চলেছিলেন, ও সেখান থেকে ডাইনে বা বাঁয়ে, কোনোদিকেই সরে যাননি। \p \v 3 যখন তাঁর বয়স বেশ কম, অর্থাৎ তাঁর রাজত্বকালের অষ্টম বছরে, তিনি তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের ঈশ্বরের অন্বেষণ করতে শুরু করলেন। দ্বাদশতম বছরে, তিনি যিহূদা ও জেরুশালেমকে পরিষ্কার করে, সেখান থেকে পূজার্চনার উঁচু উঁচু স্থানগুলি, আশেরার খুঁটিগুলি ও প্রতিমার মূর্তিগুলি দূর করতে শুরু করলেন। \v 4 তাঁর পরিচালনায় বায়াল-দেবতাদের বেদিগুলি ভেঙে ফেলা হল; সেগুলির উপরদিকে যে ধূপবেদিগুলি ছিল, সেগুলি তিনি কেটে টুকরো টুকরো করে দিলেন, এবং আশেরার খুঁটিগুলি ও প্রতিমার মূর্তিগুলিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন। সেগুলি ভেঙে গুঁড়ো করে সেই চূর্ণ তিনি তাদের কবরের উপর ছড়িয়ে দিলেন, যারা সেগুলির কাছে নৈবেদ্য উৎসর্গ করত। \v 5 তাদের বেদিতেই তিনি পূজারিদের অস্থি জ্বালিয়েছিলেন, এবং এইভাবে তিনি যিহূদা ও জেরুশালেমকে পরিষ্কার করলেন। \v 6 একেবারে নপ্তালি পর্যন্ত গিয়ে মনঃশি, ইফ্রয়িম ও শিমিয়োনের নগরগুলিতে, এবং সেগুলির আশেপাশে অবস্থিত ধ্বংসস্তূপে \v 7 তিনি বেদিগুলি ও আশেরার খুঁটিগুলি ভেঙে দিলেন এবং প্রতিমার মূর্তিগুলিও ভেঙে গুঁড়ো করে দিলেন ও ইস্রায়েলের সর্বত্র সব ধূপবেদি কেটে টুকরো টুকরো করে দিলেন। পরে তিনি জেরুশালেমে ফিরে গেলেন। \p \v 8 যোশিয়ের রাজত্বকালের অষ্টাদশতম বছরে, দেশ ও মন্দির পরিষ্কার করার লক্ষ্যে অৎসলিয়ের ছেলে শাফনকে ও নগরের শাসনকর্তা মাসেয়কে, এবং সাথে সাথে যোয়াহসের ছেলে লিপিকার যোয়াহকে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর মন্দির মেরামত করার জন্য তিনি পাঠালেন। \p \v 9 তারা মহাযাজক হিল্কিয়ের কাছে গেলেন এবং তাঁর হাতে সেই অর্থ তুলে দিলেন, যা ঈশ্বরের মন্দিরে আনা হল, এবং সেই অর্থ দ্বাররক্ষী লেবীয়েরা মনঃশির, ইফ্রয়িমের ও ইস্রায়েলের অবশিষ্ট সব লোকজনের, তথা যিহূদা ও বিন্যামীনের সব লোকজনের ও জেরুশালেমের অধিবাসীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করল। \v 10 পরে তারা সেই অর্থ সদাপ্রভুর মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত লোকজনের হাতে তুলে দিলেন। সেই লোকেরা সেইসব কর্মীকে বেতন দিয়েছিল, যারা মন্দির মেরামত ও পুনঃসংস্কার করছিল। \v 11 যিহূদার রাজারা যে ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে দিলেন, সেখানকার আড়া ও কড়িকাঠ ঠিক করার জন্য মাপ করে কাটা পাথর ও কাঠ কেনার পয়সাও তারা ছুতোর ও রাজমিস্ত্রিদের দিয়েছিল। \p \v 12 কর্মীরা নিষ্ঠাসহকারে কাজ করল। তাদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য মরারি বংশের যহৎ ও ওবদিয়, এবং কহাৎ বংশের সখরিয় ও মশুল্লম—এই কয়েকজন লেবীয়কে নিযুক্ত করা হল। যেসব লেবীয় বাজনা বাজাতে পারদর্শী ছিল, \v 13 তাদের দায়িত্ব দেওয়া হল, যেন তারা শ্রমিকদের দেখাশোনা করে ও বিভিন্ন কাজে লিপ্ত কর্মীদেরও তদারকি করে। এই লেবীয়দের মধ্যে কয়েকজন আবার সচিব, শাস্ত্রবিদ ও দ্বাররক্ষীও ছিল। \s1 বিধানপুস্তকটির খোঁজ পাওয়া যায় \p \v 14 সদাপ্রভুর মন্দিরে যে অর্থ সংগ্রহ করা হল, সেগুলি যখন তারা বের করে আনছিল, তখন যাজক হিল্কিয় সদাপ্রভুর সেই বিধানগ্রন্থটি খুঁজে পেয়েছিলেন, যেটি মোশির মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। \v 15 হিল্কিয় সচিব শাফনকে বললেন, “সদাপ্রভুর মন্দিরে আমি বিধানগ্রন্থটি খুঁজে পেয়েছি।” এই বলে তিনি সেটি শাফনকে দিলেন। \p \v 16 পরে শাফন পুস্তকটি রাজার কাছে নিয়ে গেলেন এবং তাঁকে এই খবর দিলেন: “আপনার কর্মকর্তাদের যা যা করতে বলা হল, তারা তা করছেন। \v 17 সদাপ্রভুর মন্দিরে যে অর্থ রাখা ছিল, তা তারা বের করে এনে তত্ত্বাবধায়ক ও কর্মীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।” \v 18 পরে সচিব শাফন রাজাকে খবর দিলেন, “যাজক হিল্কিয় আমাকে একটি পুস্তক দিয়েছেন।” এই বলে শাফন রাজার সামনে সেটি পড়ে শুনিয়েছিলেন। \p \v 19 বিধানের কথাগুলি শুনে রাজা নিজের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। \v 20 হিল্কিয়কে, শাফনের ছেলে অহীকামকে, মীখার ছেলে অব্দোনকে,\f + \fr 34:20 \fr*\ft অথবা, “মীখয়ের ছেলে আকবোরকে”\ft*\f* সচিব শাফনকে ও রাজার পরিচারক অসায়কে তিনি এই আদেশ দিলেন: \v 21 “যে পুস্তকটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তাতে যা যা লেখা আছে, সেই বিষয়ে তোমরা সদাপ্রভুর কাছে গিয়ে আমার এবং ইস্রায়েল ও যিহূদার অবশিষ্ট লোকজনের হয়ে তাঁর কাছে খোঁজ নাও। সদাপ্রভুর মহাক্রোধ আমাদের উপর নেমে এসেছে, কারণ আমাদের পূর্বসূরিরা সদাপ্রভুর বাক্য পালন করেননি; এই পুস্তকে যা যা লেখা আছে, সেই অনুসারে তারা কাজ করেননি।” \p \v 22 হিল্কিয়ের সাথে রাজা আরও যাদের পাঠালেন,\f + \fr 34:22 \fr*\ft অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপিতে “আরও যাদের পাঠালেন” এই কথাটি অনুপস্থিত\ft*\f* তাদের সাথে নিয়ে তিনি মহিলা ভাববাদী হুলদার সাথে কথা বলতে গেলেন। এই হুলদা জামাকাপড় রক্ষণাবেক্ষণকারী হস্রহের\f + \fr 34:22 \fr*\ft তিনি “হর্হশ” নামেও পরিচিত\ft*\f* নাতি, ও তোখতের\f + \fr 34:22 \fr*\ft তিনি “তিকভ” নামেও পরিচিত\ft*\f* ছেলে শল্লুমের স্ত্রী ছিলেন। জেরুশালেমে নতুন পাড়ায় হুলদা বসবাস করতেন। \p \v 23 তিনি তাদের বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন: আমার কাছে যিনি তোমাদের পাঠিয়েছেন, তাঁকে গিয়ে বলো, \v 24 ‘সদাপ্রভু একথাই বলেন: আমি এই স্থানটির উপর ও এখানকার লোকজনের উপর সর্বনাশ ডেকে আনতে চলেছি—তা সেইসব অভিশাপ, যা যিহূদার রাজার সামনে পঠিত সেই পুস্তকে লেখা আছে। \v 25 কারণ তারা আমাকে পরিত্যাগ করেছে ও অন্যান্য দেবতাদের কাছে ধূপ পুড়িয়েছে এবং তাদের হাতে গড়া সব প্রতিমার মাধ্যমে\f + \fr 34:25 \fr*\ft অথবা, “তাদের সব কাজকর্মের মাধ্যমে”\ft*\f* আমার ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছে, আমার ক্রোধ এই স্থানটির উপর আমি ঢেলে দেব ও তা প্রশমিত হবে না।’ \v 26 সদাপ্রভুর কাছে খোঁজ নেওয়ার জন্য যিনি তোমাদের পাঠিয়েছেন, যিহূদার সেই রাজাকে গিয়ে বলো, ‘তোমরা যা যা শুনলে, সেই বিষয়ে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু একথাই বলেন: \v 27 যেহেতু তোমার অন্তর সংবেদনশীল ও ঈশ্বর যখন এই স্থানটির ও এখানকার লোকজনের বিরুদ্ধে কথা বললেন, তখন সেকথা শুনে তুমি ঈশ্বরের সামনে নিজেকে নত করলে, এবং যেহেতু তুমি আমার সামনে নিজেকে নত করলে ও তোমার পোশাক ছিঁড়ে ফেলেছিলে ও আমার সামনে কেঁদেছিলে, তাই আমি তোমার কথা শুনেছি, সদাপ্রভু একথাই ঘোষণা করে দিয়েছেন। \v 28 এখন আমি তোমাকে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে পাঠিয়ে দেব, এবং শান্তিতেই তোমার কবর হবে। এই স্থানটির ও এখানকার লোকজনের উপর আমি যে সর্বনাশ ডেকে আনতে চলেছি, তা তোমাকে স্বচক্ষে দেখতে হবে না।’ ” \p অতএব তারা হুলদার এই উত্তর নিয়ে রাজার কাছে ফিরে গেলেন। \p \v 29 তখন যিহূদা ও জেরুশালেমের সব প্রাচীনকে রাজা এক স্থানে ডেকে পাঠালেন। \v 30 যিহূদার প্রজাদের, জেরুশালেমের অধিবাসীদের, যাজক ও লেবীয়দের—ছোটো থেকে বড়ো, সব লোকজনকে সাথে নিয়ে তিনি সদাপ্রভুর মন্দিরে উঠে গেলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরে যে নিয়ম-পুস্তকটি খুঁজে পাওয়া গেল, তার সব কথা তিনি লোকদের পড়ে শুনিয়েছিলেন। \v 31 রাজা নিজের স্তম্ভের পাশে দাঁড়িয়ে, সদাপ্রভুর সামনে নিয়মের এই নিয়ম নতুন করে নিয়েছিলেন—তিনি সদাপ্রভুর পথে চলবেন, এবং তাঁর আদেশ, আইনকানুন ও বিধিনিয়ম মনপ্রাণ ঢেলে দিয়ে পালন করবেন, এবং এই পুস্তকে লেখা নিয়মের কথাগুলির বাধ্য হয়েও চলবেন। \p \v 32 পরে জেরুশালেম ও বিন্যামীনের প্রত্যেকটি লোককে দিয়েও তিনি তা পালন করার শপথ করিয়ে নিয়েছিলেন; জেরুশালেমের লোকজন ঈশ্বরের, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের নিয়মের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তা করল। \p \v 33 ইস্রায়েলীদের অধিকারভুক্ত সব এলাকা থেকে যোশিয় সব ঘৃণ্য প্রতিমার মূর্তি দূর করলেন, এবং ইস্রায়েলে উপস্থিত সবাইকে তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করতে বাধ্য করলেন। তিনি যতদিন বেঁচেছিলেন, ততদিন তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর পথে চলতে ব্যর্থ হয়নি। \c 35 \s1 যোশিয় নিস্তারপর্ব পালন করলেন \p \v 1 যোশিয় জেরুশালেমে সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব পালন করলেন, এবং প্রথম মাসের চতুর্দশতম দিনে নিস্তারপর্বের মেষশাবক বধ করা হল। \v 2 যাজকদের তিনি তাদের কাজে নিযুক্ত করলেন এবং সদাপ্রভুর মন্দিরের সেবাকাজ করার জন্য তাদের উৎসাহিত করলেন। \v 3 যারা সমগ্র ইস্রায়েলকে শিক্ষা দিতেন ও সদাপ্রভুর উদ্দেশে যাদের উৎসর্গ করা হয়েছিল, সেই লেবীয়দের তিনি বললেন: “ইস্রায়েলের রাজা দাউদের ছেলে শলোমন যে মন্দিরটি তৈরি করেছেন, পবিত্র নিয়ম-সিন্দুকটি তোমরা সেই মন্দিরে নিয়ে গিয়ে রাখো। সেটি আর তোমাদের কাঁধে নিয়ে বয়ে বেড়াতে হবে না। এখন তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ও তাঁর প্রজাদের সেবা করো। \v 4 ইস্রায়েলের রাজা দাউদ ও তাঁর ছেলে শলোমন যে নির্দেশাবলি লিখে রেখে গিয়েছেন, সেই নির্দেশাবলি অনুসারে, তোমাদের বংশানুক্রমিক বিভাগ ধরে ধরে তোমরা নিজেদের প্রস্তুত করো। \p \v 5 “তোমাদের সমগোত্রীয় ইস্রায়েলীদের, সেই সাধারণ মানুষজনের বংশের এক-একটি শাখার জন্য একদল করে লেবীয় সাথে নিয়ে তোমরা পবিত্রস্থানে গিয়ে দাঁড়াও। \v 6 নিস্তারপর্বের মেষশাবকগুলি বধ করো, ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করো ও মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভু যে আদেশ দিয়েছেন, সেই আদেশানুসারে সবকিছু করে তোমরা তোমাদের সমগোত্রীয় ইস্রায়েলীদের জন্য মেষশাবকগুলি ঠিকঠাক করে রাখো।” \p \v 7 সেখানে উপস্থিত সব সাধারণ লোকজনের জন্য নিস্তারপর্বীয় নৈবেদ্যরূপে যোশিয় মোট 30,000 মেষশাবক ও ছাগল দিলেন এবং তিন হাজার গবাদি পশুও দিলেন—এসবই দেওয়া হল রাজার নিজের বিষয়সম্পত্তি থেকে। \p \v 8 তাঁর কর্মকর্তারাও প্রজাদের এবং যাজকদের ও লেবীয়দের জন্য স্বেচ্ছায় দান দিলেন। হিল্কিয়, সখরিয় ও যিহীয়েল, ঈশ্বরের মন্দিরের দায়িত্ব বহনকারী এই কর্মকর্তারাও যাজকদের 2,600 নিস্তারপর্বীয় নৈবেদ্য ও 3,000 গবাদি পশু দিলেন। \v 9 লেবীয়দের নেতৃত্বে থাকা কনানিয় এবং তাঁর সাথে সাথে শময়িয় ও নথনেল, তাঁর এই ভাইরা, এবং হশবিয়, যীয়ীয়েল ও যোশাবদও লেবীয়দের জন্য 5,000 নিস্তারপর্বীয় নৈবেদ্য ও 500 গবাদি পশু দিলেন। \p \v 10 রাজার আদেশানুসারে সেবাকাজের বন্দোবস্ত করা হল এবং যাজকেরা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে গেলেন ও লেবীয়েরাও তাদের বিভাগ অনুসারে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। \v 11 নিস্তারপর্বের মেষশাবকগুলি বধ করা হল, এবং যাজকদের হাতে যে রক্ত তুলে দেওয়া হল, তারা সেই রক্ত যজ্ঞবেদিতে ছিটিয়ে দিলেন। অন্যদিকে লেবীয়েরা পশুগুলির ছাল ছাড়িয়েছিল। \v 12 মোশির পুস্তকে যেমন লেখা হয়েছিল, সেই অনুসারে তারা প্রজাদের বিভিন্ন বংশের শাখাগুলিকে দেওয়ার জন্য হোমবলি আলাদা করে রেখেছিল, যেন তারা সেগুলি সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পারে। গবাদি পশুগুলির ক্ষেত্রেও তারা একই কাজ করল। \v 13 যেমন নির্দেশ দেওয়া হল, সেই নির্দেশ অনুসারেই তারা নিস্তারপর্বের পশুগুলি আগুনে ঝলসে নিয়েছিল, এবং পবিত্র নৈবেদ্যগুলি হাঁড়িতে, কড়াইয়ে ও চাটুতে সেদ্ধ করে তাড়াতাড়ি সব লোককে সেগুলি পরিবেশন করল। \v 14 পরে, তারা নিজেদের ও যাজকদের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল, কারণ যাজকেরা, অর্থাৎ হারোণের বংশধরেরা, গভীর রাত পর্যন্ত হোমবলি ও চর্বিদার অংশগুলি উৎসর্গ করার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই লেবীয়েরা, নিজেদের ও হারোণের বংশোদ্ভূত যাজকদের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। \p \v 15 আসফের বংশধর, অর্থাৎ বাদ্যকরেরা সেই স্থানগুলিতে ছিল, যেখানে থাকার নির্দেশ দাউদ, আসফ, হেমন ও রাজার দর্শক যিদূথূন, তাদের দিলেন। প্রত্যেকটি দরজায় মোতায়েন দ্বাররক্ষীদের, তাদের কাজ ছেড়ে আসার দরকার পড়েনি, কারণ তাদের সমগোত্রীয় লেবীয়েরাই তাদের হয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিল। \p \v 16 তাই সেই সময় রাজা যোশিয়ের আদেশানুসারে নিস্তারপর্ব পালনের জন্য সদাপ্রভুর সম্পূর্ণ সেবাকাজ ও সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদিতে হোমবলি উৎসর্গ করার কাজও সম্পন্ন হল। \v 17 সেখানে উপস্থিত ইস্রায়েলীরা সেই সময় নিস্তারপর্ব পালন করল এবং সাত দিন ধরে খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করল। \v 18 ভাববাদী শমূয়েলের পর থেকে ইস্রায়েলে এভাবে আর কখনও নিস্তারপর্ব পালন করা হয়নি; এবং যাজক, লেবীয় ও জেরুশালেমের লোকজনের সাথে সেখানে যিহূদা ও ইস্রায়েলের আরও যেসব লোক উপস্থিত ছিল, তাদের সাথে নিয়ে যোশিয় যেভাবে নিস্তারপর্ব পালন করলেন, ইস্রায়েলের কোনও রাজা সেভাবে আর কখনও নিস্তারপর্ব পালন করেননি। \v 19 যোশিয়ের রাজত্বকালের অষ্টাদশ বছরে এই নিস্তারপর্বটি পালন করা হল। \s1 যোশিয়ের মৃত্যু \p \v 20 এসব কিছু হয়ে যাওয়ার পর, যোশিয় যখন মন্দিরের বেহাল দশা ঠিক করে দিলেন, তখন মিশরের রাজা নখো ইউফ্রেটিস নদীতীরে কর্কমীশে যুদ্ধ করতে গেলেন, এবং যোশিয় তাঁর মুখোমুখি হওয়ার জন্য যুদ্ধযাত্রা করলেন। \v 21 কিন্তু নখো তাঁর কাছে দূত পাঠিয়ে তাঁকে বললেন, “হে যিহূদার রাজা, আপনার ও আমার মধ্যে কি কোনও ঝগড়া-বিবাদ আছে? এসময় আমি তো আপনাকে আক্রমণ করতে আসিনি, কিন্তু তাদেরই আক্রমণ করতে এসেছি, যাদের সাথে আমার যুদ্ধ চলছে। ঈশ্বর আমাকে তাড়াহুড়ো করতে বলেছেন; তাই যে ঈশ্বর আমার সাথে আছেন, আপনি সেই ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচরণ করা বন্ধ করুন, তা না হলে তিনি আপনাকে ধ্বংস করে দেবেন।” \p \v 22 যোশিয় অবশ্য, তাঁর কাছ থেকে ফিরে আসেননি, কিন্তু ছদ্মবেশ ধারণ করে তাঁর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। ঈশ্বরের আদেশে নখো তাঁকে যা বললেন, তিনি সেকথায় কান দেননি কিন্তু মগিদ্দোর সমভূমিতে তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন। \p \v 23 তিরন্দাজরা রাজা যোশিয়ের দিকে তির ছুঁড়েছিল, এবং তিনি তাঁর কর্মকর্তাদের বললেন, “আমাকে এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাও; আমি মারাত্মকভাবে জখম হয়েছি।” \v 24 তাই তারা তাঁকে তাঁর রথ থেকে নামিয়ে এনেছিলেন, অন্য একটি রথে বসিয়ে দিলেন এবং তাঁকে জেরুশালেমে ফিরিয়ে এনেছিলেন, যেখানে তিনি মারা গেলেন। তাঁর পূর্বপুরুষদের কবরে তাঁকে কবর দেওয়া হল, এবং যিহূদা ও জেরুশালেমে সবাই তাঁর জন্য শোকপ্রকাশ করল। \p \v 25 যিরমিয় যোশিয়ের জন্য বিলাপ-গীত রচনা করলেন, এবং আজও পর্যন্ত গায়ক-গায়িকারা বিলাপ-গীতের মধ্যে দিয়ে যোশিয়কে স্মরণ করে। এটি ইস্রায়েলে এক ঐতিহ্য-পরম্পরায় পরিণত হয়েছে ও বিলাপ-গীতের পুস্তকে তা লেখা আছে। \p \v 26 যোশিয়ের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা ও সদাপ্রভুর বিধানে যা লেখা আছে, তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে তিনি নিষ্ঠাসহকারে যা যা করলেন— \v 27 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেসব ঘটনা ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজাদের পুস্তকে লেখা আছে। \c 36 \nb \v 1 দেশের প্রজারা যোশিয়ের ছেলে যিহোয়াহসকে নিয়ে জেরুশালেমে তাঁকে তাঁর বাবার পদে রাজা করল। \s1 যিহূদার রাজা যিহোয়াহস \p \v 2 যিহোয়াহস\f + \fr 36:2 \fr*\ft অথবা, যোয়াহস; 4 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* তেইশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি তিন মাস রাজত্ব করলেন। \v 3 মিশরের রাজা জেরুশালেমে তাঁকে সিংহাসনচ্যূত করলেন এবং যিহূদার উপর একশো তালন্ত\f + \fr 36:3 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় পৌনে 4 টন, বা প্রায় 3.4 মেট্রিক টন\ft*\f* রুপো ও এক তালন্ত\f + \fr 36:3 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 34 কিলোগ্রাম\ft*\f* সোনা কর ধার্য করলেন। \v 4 যিহোয়াহসের এক ভাই ইলিয়াকীমকে মিশরের রাজা যিহূদা ও জেরুশালেমের রাজা করলেন এবং ইলিয়াকীমের নাম পরিবর্তন করে যিহোয়াকীম রেখেছিলেন। কিন্তু নখো ইলিয়াকীমের দাদা যিহোয়াহসকে ধরে মিশরে নিয়ে গেলেন। \s1 যিহূদার রাজা যিহোয়াকীম \p \v 5 যিহোয়াকীম পঁচিশ বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি এগারো বছর রাজত্ব করলেন। তিনি তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তাই করলেন। \v 6 ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তাঁকে আক্রমণ করলেন এবং ব্রোঞ্জের শিকল দিয়ে বেঁধে তাঁকে ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন। \v 7 সদাপ্রভুর মন্দির থেকে নেবুখাদনেজার জিনিসপত্রও ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন ও সেগুলি সেখানে তাঁর মন্দিরে\f + \fr 36:7 \fr*\ft অথবা, প্রাসাদে\ft*\f* রেখে দিলেন। \p \v 8 যিহোয়াকীমের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা, যেসব ঘৃণ্য কাজ তিনি করলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যা কিছু বলা যেতে পারে, সেসব ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজাদের পুস্তকে লেখা আছে। তাঁর ছেলে যিহোয়াখীন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \s1 যিহূদার রাজা যিহোয়াখীন \p \v 9 যিহোয়াখীন আঠারো\f + \fr 36:9 \fr*\ft অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপি অনুসারে আট\ft*\f* বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি তিন মাস দশদিন রাজত্ব করলেন। সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তিনি তাই করলেন। \v 10 বসন্তকালে, রাজা নেবুখাদনেজার লোক পাঠিয়ে তাঁকে, ও তাঁর সাথে সাথে সদাপ্রভুর মন্দিরের দামি দামি সব জিনিসপত্রও ব্যাবিলনে নিয়ে গেলেন, এবং যিহোয়াখীনের কাকা\f + \fr 36:10 \fr*\ft অথবা দাদা, অর্থাৎ, নিকটাত্মীয়; \+xt 2 রাজাবলি 24:17\+xt* পদও দেখুন\ft*\f* সিদিকিয়কে যিহূদা ও জেরুশালেমের রাজা করলেন। \s1 যিহূদার রাজা সিদিকিয় \p \v 11 সিদিকিয় একুশ বছর বয়সে রাজা হন। তিনি এগারো বছর জেরুশালেমে রাজত্ব করেন। \v 12 তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা মন্দ, তিনি তাই করলেন এবং সেই ভাববাদী যিরমিয়ের সামনে নিজেকে নত করেননি, যিনি সদাপ্রভুর বাক্য বললেন। \v 13 এছাড়া তিনি সেই নেবুখাদনেজারের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করলেন, যিনি ঈশ্বরের নামে তাঁকে দিয়ে শপথ করিয়েছিলেন। তিনি একগুঁয়ে হয়ে গেলেন এবং অন্তর কঠোর করলেন ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে ফিরে আসেননি। \v 14 তা ছাড়া, যাজকদের সব নেতা ও প্রজারাও অন্যান্য জাতিদের ঘৃণ্য প্রথা অনুসরণ করে ও সদাপ্রভুর যে মন্দিরটিকে তিনি জেরুশালেমে নিজের উদ্দেশে উৎসর্গ করে রেখেছিলেন, সেই মন্দিরটিকে অশুচি করে আরও বেশি অবিশ্বস্ত হয়ে গেল। \s1 জেরুশালেমের পতন \p \v 15 তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু বারবার তাঁর দূতদের মাধ্যমে তাদের কাছে খবর দিয়ে পাঠাতেন, যেহেতু তাঁর প্রজাদের ও তাঁর বাসস্থানের প্রতি তাঁর মমতা ছিল \v 16 কিন্তু তারা তাঁর দূতদের বিদ্রুপ করত, তাঁর বাক্য অগ্রাহ্য করত ও ততদিন পর্যন্ত তাঁর ভাববাদীদের টিটকিরি দিয়ে গেল, যতদিন না তাঁর প্রজাদের প্রতি সদাপ্রভুর ক্রোধ জেগে উঠেছিল ও এর কোনও প্রতিকার হয়নি। \v 17 তাদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যাবিলনীয়দের\f + \fr 36:17 \fr*\ft অথবা, কলদীয়দের\ft*\f* সেই রাজাকে উঠিয়ে নিয়ে এলেন, যিনি পবিত্র পীঠস্থানের মধ্যেই তরোয়াল চালিয়ে তাদের যুবকদের হত্যা করলেন, এবং যুবক বা যুবতী, বয়স্ক বা শিশু, কাউকেই রেহাই দেননি। ঈশ্বর তাদের সবাইকে নেবুখাদনেজারের হাতে সঁপে দিলেন। \v 18 ঈশ্বরের মন্দিরের বড়ো-ছোটো, সব জিনিসপত্র, এবং সদাপ্রভুর মন্দিরের ধনসম্পদ ও রাজা তথা তাঁর কর্মকর্তাদের ধনসম্পদও তিনি ব্যাবিলনে তুলে নিয়ে গেলেন। \v 19 ঈশ্বরের মন্দিরে তারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল এবং জেরুশালেমের প্রাচীর ভেঙে দিয়েছিল; সব প্রাসাদ তারা জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং সেখানকার মূল্যবান সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল। \p \v 20 যারা তরোয়ালের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল, অবশিষ্ট সেই লোকজনকে তিনি ব্যাবিলনে তুলে নিয়ে গেলেন, এবং যতদিন না পারস্য সাম্রাজ্য ক্ষমতায় এসেছিল, ততদিন তারা তাঁর ও তাঁর উত্তরাধিকারীদের দাস হয়েই ছিল। \v 21 দেশ সাব্বাথের বিশ্রাম উপভোগ করল; দেশে যতদিন উচ্ছিন্ন দশা চলেছিল, যিরমিয়ের মাধ্যমে বলা সদাপ্রভুর বাক্য পূর্ণতা পেয়ে সেই সত্তর বছর যতদিন না সম্পূর্ণ হল, ততদিন দেশ বিশ্রাম ভোগ করল। \p \v 22 পারস্যের রাজা কোরসের প্রথম বছরে যিরমিয়ের মাধ্যমে বলা সদাপ্রভুর বাক্য সফল করার জন্য সদাপ্রভু পারস্যের রাজা কোরসের অন্তরে এই ইচ্ছা দিলেন, যেন তাঁর সাম্রাজ্যে সর্বত্র তিনি এই কথা ঘোষণা করে দেন ও তা লিখেও রাখেন: \pmo \v 23 “পারস্য-রাজ কোরস একথাই বলেন: \pm “ ‘স্বর্গের ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীর সব রাজ্য আমাকে দিয়েছেন এবং তিনি আমাকে নিযুক্ত করেছেন, যেন আমি তাঁর জন্য যিহূদা প্রদেশের জেরুশালেমে এক মন্দির নির্মাণ করি। তোমাদের মধ্যে, অর্থাৎ তাঁর প্রজাদের মধ্যে যে কেউ সেখানে যেতে পারে, এবং তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যেন তাদের সাথে থাকেন।’ ”