\id 1JN - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h 1 যোহন \toc1 যোহনের প্রথম পত্র \toc2 1 যোহন \toc3 1যোহ \mt1 যোহনের প্রথম পত্র \c 1 \s1 প্রস্তাবনা \p \v 1 প্রথম থেকেই যা ছিল বিদ্যমান, যা আমরা শুনেছি, যা আমরা নিজের চোখে দেখেছি, যা আমরা নিরীক্ষণ করেছি এবং নিজের হাতে যা স্পর্শ করেছি, জীবনের সেই বাক্য সম্পর্কে আমরা ঘোষণা করছি। \v 2 সেই জীবন প্রকাশিত হলেন, আমরা তা প্রত্যক্ষ করেছি ও সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছি। যা পিতার কাছে ছিল এবং যা আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়েছে, আমরা সেই অনন্ত জীবনের কথা তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি। \v 3 আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি, তাই তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি, যেন তোমরা আমাদের সঙ্গে সহভাগিতা স্থাপন করতে পারো। আর আমাদের সহভাগিতা পিতা ও তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সঙ্গে। \v 4 তোমাদের আমরা একথা লিখছি, যেন আমাদের\f + \fr 1:4 \fr*\ft কতগুলি পাণ্ডুলিপিতে: \ft*\fqa তোমাদের\fqa*\ft ।\ft*\f* আনন্দ সম্পূর্ণ হয়। \s1 জ্যোতি ও অন্ধকার, পাপ ও ক্ষমা \p \v 5 এই বাণী আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনে তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি: ঈশ্বর জ্যোতি; তাঁর মধ্যে অন্ধকারের লেশমাত্র নেই। \v 6 তাঁর সঙ্গে আমাদের সহভাগিতা আছে, এমন দাবি করেও যদি অন্ধকারে চলি, তবে আমরা মিথ্যা কথা বলি এবং সত্যে জীবনযাপন করি না। \v 7 কিন্তু তিনি যেমন জ্যোতিতে আছেন আমরাও যদি তেমন জ্যোতিতে জীবন কাটাই, তাহলে পরস্পরের সঙ্গে আমাদের সহভাগিতা আছে এবং তাঁর পুত্র যীশুর রক্ত সব\f + \fr 1:7 \fr*\ft বা প্রতিটি।\ft*\f* পাপ থেকে আমাদের শুচিশুদ্ধ করে। \s1 পাপের স্বীকারোক্তি \p \v 8 আমরা যদি নিজেদের নিষ্পাপ বলে দাবি করি, তাহলে আমরা নিজেদের প্রতারণা করি এবং সত্য আমাদের মধ্যে বাস করে না। \v 9 আমরা যদি আমাদের পাপস্বীকার করি, তিনি বিশ্বস্ত ও ন্যায়পরায়ণ, তাই তিনি আমাদের সব পাপ ক্ষমা করে সমস্ত অধার্মিকতা থেকে শুচিশুদ্ধ করবেন। \v 10 যদি আমরা বলি যে আমরা পাপ করিনি, আমরা তাঁকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করি এবং আমাদের জীবনে তাঁর বাক্যের কোনও স্থান নেই। \c 2 \p \v 1 আমার প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের এসব লিখছি, যেন তোমরা পাপ না করো। কিন্তু কেউ যদি পাপ করে, তাহলে আমাদের একজন পক্ষসমর্থনকারী আছেন; তিনি আমাদের হয়ে পিতার কাছে মিনতি করেন। তিনি যীশু খ্রীষ্ট, সেই ধার্মিক পুরুষ। \v 2 তিনি আমাদের সব পাপের প্রায়শ্চিত্ত, শুধুমাত্র আমাদের জন্য নয়, কিন্তু সমস্ত জগতের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন। \s1 সহভাগিতার ব্যবহার \p \v 3 আমরা যদি তাঁর আদেশ পালন করি, তাহলেই বুঝতে পারব যে আমরা তাঁকে জেনেছি। \v 4 যে ব্যক্তি বলে, “আমি তাঁকে জানি,” কিন্তু তাঁর আদেশ পালন করে না, সে মিথ্যাচারী, তার অন্তরে সত্য নেই। \v 5 কিন্তু যে তাঁর বাক্য পালন করে, তার অন্তরে ঈশ্বরের প্রেম প্রকৃত অর্থেই পূর্ণতা লাভ করেছে। এভাবেই আমরা জানতে পারি যে, আমরা তাঁর মধ্যে আছি। \v 6 তাঁর মধ্যে বাস করছে বলে যে দাবি করে, সে অবশ্যই তেমন জীবনাচরণ করবে ঠিক যেমন যীশু করতেন। \p \v 7 প্রিয় বন্ধুরা, আমি তোমাদের কাছে নতুন আদেশ নয়, কিন্তু এক পুরোনো আদেশ সম্পর্কেই লিখছি, যা তোমরা প্রথম থেকেই পেয়েছ। এই পুরোনো আদেশই সেই বাণী, যা তোমরা শুনেছ, \v 8 তবুও, তোমাদের কাছে আমি এক নতুন আদেশ সম্পর্কে লিখছি; এর সত্যতা তাঁর\f + \fr 2:8 \fr*\ft অর্থাৎ, যীশুর\ft*\f* এবং তোমাদের জীবনে প্রত্যক্ষ হয়েছে, কারণ অন্ধকার ক্রমশ কেটে যাচ্ছে এবং প্রকৃত জ্যোতি এখন প্রকাশ পাচ্ছে। \p \v 9 যে সেই জ্যোতিতে বাস করে বলে দাবি করে, অথচ তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে এখনও অন্ধকারেই আছে। \v 10 যে তার ভাইবোনকে ভালোবাসে, সে জ্যোতির মধ্যেই জীবনযাপন করে, তার হোঁচট খাওয়ার কোনো কারণ নেই। \v 11 কিন্তু যে তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে অন্ধকারেই বাস করে এবং অন্ধকারেই পথ চলে। সে কোথায় যাচ্ছে তা জানে না, কারণ অন্ধকার তাকে অন্ধ করে দিয়েছে। \s1 পত্রের উদ্দেশ্য \q1 \v 12 প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের লিখছি, \q2 কারণ তাঁর নামের গুণে তোমাদের সব পাপের ক্ষমা হয়েছে। \q1 \v 13 পিতারা, আমি তোমাদের লিখছি, \q2 কারণ যিনি আদি থেকে আছেন, তাঁকে তোমরা জানো। \q1 যুবকেরা, আমি তোমাদের লিখছি, \q2 কারণ সেই পাপাত্মাকে তোমরা জয় করেছ। \b \q1 \v 14 প্রিয় সন্তানেরা, আমি তোমাদের লিখছি, \q2 কারণ তোমরা পিতাকে জানো। \q1 পিতারা, আমি তোমাদের লিখছি, \q2 কারণ আদি থেকে যিনি আছেন, তোমরা তাঁকে জানো। \q1 যুবকেরা, আমি তোমাদের লিখছি, \q2 কারণ তোমরা বলবান, \q2 আর তোমাদের মধ্যেই ঈশ্বরের বাক্য বাস করে \q2 এবং তোমরা সেই পাপাত্মাকে জয় করেছ। \p \v 15 জগৎকে বা জাগতিক কোনো কিছুই তোমরা ভালোবেসো না। কেউ যদি জগৎকে ভালোবাসে, তাহলে পিতার প্রেম তার অন্তরে নেই। \v 16 কারণ এ জগতের সমস্ত বিষয়—শারীরিক অভিলাষ, চোখের অভিলাষ ও জীবনের অহংকার—পিতা থেকে নয়, কিন্তু জগৎ থেকে আসে। \v 17 আর জগৎ ও তার কামনাবাসনা বিলুপ্ত হবে, কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে চিরকাল জীবিত থাকবে। \s1 খ্রীষ্টারি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া \p \v 18 প্রিয় সন্তানেরা, এ সেই শেষ সময় এবং তোমরা যেমন শুনেছ, খ্রীষ্টারির আগমন সন্নিকট, বরং এখনই বহু খ্রীষ্টারি\f + \fr 2:18 \fr*\ft বা খ্রীষ্টবৈরী। (ইং, অ্যান্টিক্রাইস্ট)\ft*\f* উপস্থিত হয়েছে। এভাবেই আমরা জানতে পারি যে, এখনই শেষ সময়। \v 19 আমাদের মধ্য থেকেই তারা বেরিয়ে গেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা আমাদের ছিল না। কারণ তারা যদি আমাদের হত, তাহলে আমাদের সঙ্গেই তারা থাকত। কিন্তু তাদের চলে যাওয়ার ফলে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা আমাদের ছিল না। \p \v 20 কিন্তু তোমরা সেই পবিত্রজন থেকে অভিষিক্ত হয়েছ এবং তোমরা সবাই সত্যকে\f + \fr 2:20 \fr*\ft কতগুলি পাণ্ডুলিপিতে, তোমরা সবকিছু জানো।\ft*\f* জানো। \v 21 তোমরা সত্য জানো না বলে নয়, বরং তোমরা তা জানো বলেই আমি তোমাদের লিখছি। সত্য থেকে কোনো মিথ্যার উদ্ভব হতে পারে না। \v 22 মিথ্যাবাদী কে? যে অস্বীকার করে যে যীশুই খ্রীষ্ট। এরকম মানুষই খ্রীষ্টারি—যে পিতা ও পুত্রকে অস্বীকার করে। \v 23 পুত্রকে যে অস্বীকার করে, সে পিতাকে পায়নি; পুত্রকে যে স্বীকার করে, সে পিতাকে পেয়েছে। \p \v 24 দেখো, প্রথম থেকেই তোমরা যা শুনেছ, তা যেন তোমাদের অন্তরে থাকে। যদি তা থাকে, তোমরা পুত্রতে ও পিতাতে থাকবে। \v 25 আর আমাদের যা তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা হল অনন্ত জীবন। \p \v 26 যারা তোমাদের বিপথে চালিত করতে সচেষ্ট, তাদেরই বিষয়ে আমি এসব কথা লিখছি। \v 27 তোমাদের বিষয়ে বলি, তাঁর কাছ থেকে যে অভিষেক তোমরা পেয়েছ তা তোমাদের মধ্যেই রয়েছে এবং আর কারও কাছ থেকে তোমাদের শিক্ষাগ্রহণের প্রয়োজন নেই। তাঁর সেই অভিষেক সব বিষয়ে তোমাদের শিক্ষা দেয় এবং সেই অভিষেক প্রকৃত, কৃত্রিম নয়। তাই এই অভিষেক তোমাদের যেমন শিক্ষা দিয়েছে, তোমরা তেমনই তাঁর মধ্যে থাকো। \s1 সহভাগিতার বৈশিষ্ট্য \p \v 28 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা এখন তাঁর মধ্যেই থাকো, যেন তাঁর আবির্ভাবকালে আমরা নিঃসংশয় থাকতে পারি এবং তাঁর আগমনের সময় তাঁর সাক্ষাতে যেন লজ্জিত না হই। \p \v 29 তিনি ধর্মময় তা যদি তোমরা জেনে থাকো, তাহলে একথাও জেনো, যারা ধর্মাচরণ করে তারা সবাই ঈশ্বর থেকে জাত। \c 3 \p \v 1 দেখো, ঈশ্বর কেমন তাঁর প্রেম পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের ঢেলে দিয়েছেন, যেন আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলে অভিহিত হই। আর আমরা প্রকৃতপক্ষে তাই। জগৎ এজন্য আমাদের জানে না, কারণ সে তাঁকে জানে না। \v 2 প্রিয় বন্ধুরা, বর্তমানে আমরা ঈশ্বরের সন্তান এবং আমরা কী হব, তা এখনও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু আমরা জানি, যখন তিনি প্রকাশিত হবেন আমরা তাঁরই মতো হব, কারণ তিনি যেমন আছেন, আমরা তেমনই তাঁকে দেখতে পাব। \v 3 তাঁর প্রতি যার এই প্রত্যাশা আছে, তিনি যেমন শুদ্ধ, সে নিজেকেও তেমনই শুদ্ধ করে। \p \v 4 যে কেউ পাপ করে, সে বিধান লঙ্ঘন করে; প্রকৃতপক্ষে, বিধান লঙ্ঘন করাই হল পাপ। \v 5 কিন্তু তোমরা জানো যে, আমাদের পাপ হরণের জন্য তিনি প্রকাশিত হয়েছিলেন এবং তাঁর মধ্যে পাপের লেশমাত্র নেই। \v 6 যে তাঁর মধ্যে বাস করে, সে পাপে লিপ্ত থাকে না। যে অবিরত পাপ করতেই থাকে, সে তাঁকে দেখেনি বা তাঁকে জানেও না। \p \v 7 প্রিয় সন্তানেরা, কাউকে তোমাদের বিপথে চালিত করতে দিয়ো না। যে ন্যায়সংগত আচরণ করে, সে ধার্মিক, যেমন তিনি ধার্মিক। \v 8 যে পাপ করে, সে দিয়াবলের, কারণ দিয়াবল প্রথম থেকেই পাপ করে আসছে। ঈশ্বরের পুত্র এই কারণেই প্রকাশিত হয়েছেন, যেন দিয়াবলের সব কাজ ধ্বংস করেন। \v 9 ঈশ্বর থেকে জাত কোনো ব্যক্তি পাপে লিপ্ত থাকতে পারে না, কারণ ঈশ্বরের স্বভাব তার মধ্যে থাকে; সে ক্রমাগত পাপ করতে পারে না, কারণ সে ঈশ্বর থেকে জাত। \v 10 এভাবেই আমরা জানতে পারি, কারা ঈশ্বরের সন্তান, আর কারা দিয়াবলের সন্তান। যে ন্যায়সংগত আচরণ করে না, সে ঈশ্বরের সন্তান নয়; যে তার ভাইবোনকে ভালোবাসে না, সেও নয়। \p \v 11 কারণ প্রথম থেকেই তোমরা এই শিক্ষা শুনেছ যে, আমাদের পরস্পরকে ভালোবাসা উচিত। \v 12 তোমরা কয়িনের মতো হোয়ো না; সে ছিল সেই পাপাত্মার দলভুক্ত এবং তার ভাইয়ের হত্যাকারী। সে কেন তাকে হত্যা করেছিল? কারণ তার নিজের কাজ ছিল মন্দ এবং তার ভাইয়ের কাজ ছিল ন্যায়সংগত। \v 13 প্রিয় ভাইবোনেরা, জগৎ যদি তোমাদের ঘৃণা করে, তাহলে আশ্চর্য হোয়ো না। \v 14 আমরা জানি, মৃত্যু থেকে আমরা জীবনে উত্তীর্ণ হয়েছি, কারণ আমাদের ভাইবোনদের আমরা ভালোবাসি; যে ভালোবাসে না, সে মৃত্যুর মাঝেই বাস করে। \v 15 যে তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে হত্যাকারী এবং তোমরা জানো যে কোনো হত্যাকারীর অন্তরে অনন্ত জীবন থাকতে পারে না। \p \v 16 প্রেম করার অর্থ আমরা এভাবেই বুঝতে পারি: যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমাদেরও তেমনই ভাইবোনদের জন্য নিজেদের প্রাণ দেওয়া উচিত। \v 17 জাগতিক সম্পদের অধিকারী হয়ে কেউ যদি তার ভাইবোনকে অভাবগ্রস্ত দেখে কিন্তু তার প্রতি করুণাবিষ্ট না হয়, তাহলে তার অন্তরে ঈশ্বরের প্রেম কীভাবে থাকতে পারে? \v 18 প্রিয় সন্তানেরা, এসো, মুখের কথায় অথবা ভাষণে নয়, কিন্তু কাজ করে ও সত্যের মাধ্যমেই আমরা প্রেম করি। \p \v 19 আমাদের কাজকর্ম প্রমাণ করবে যে আমরা সত্যের, এবং যখন আমরা ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াব তখন আমাদের হৃদয়ে আশ্বাস থাকবে। \v 20 কারণ আমাদের হৃদয়ে দোষভাব থাকলেও ঈশ্বর আমাদের অনুভূতির চেয়ে মহান এবং তিনি সবকিছুই জানেন। \v 21 প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের হৃদয় যদি আমাদের দোষী সাব্যস্ত না করে, তাহলে ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় \v 22 এবং আমাদের প্রার্থিত সবকিছুই আমরা তাঁর কাছ থেকে পাই; কারণ আমরা তাঁর আদেশ পালন করি এবং তাঁর প্রীতিজনক কাজ করি। \v 23 আর তাঁর আদেশ এই: আমরা যেন তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের নামে বিশ্বাস করি এবং তাঁর নির্দেশমতো পরস্পরকে প্রেম করি। \v 24 যারা তাঁর আদেশ পালন করে, তারা তাঁর মধ্যেই বাস করে এবং তিনিও তাদের মধ্যে বাস করেন। আবার তিনি যে আত্মা আমাদের দিয়েছেন, তাঁর দ্বারা আমরা জানতে পারি যে, তিনি আমাদের মধ্যে আছেন। \c 4 \s1 সহভাগিতার সাবধানতা \p \v 1 প্রিয় বন্ধুরা, সব আত্মাকে বিশ্বাস কোরো না, বরং তারা ঈশ্বর থেকে এসেছে কি না তা জানার জন্য তাদের পরীক্ষা করো, কারণ বহু ভণ্ড ভাববাদী পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। \v 2 তোমরা এভাবেই ঈশ্বরের আত্মাকে চিনতে পারবে: যে আত্মা স্বীকার করে যে যীশু খ্রীষ্ট মানবদেহে আগমন করেছেন, সে ঈশ্বর থেকে, \v 3 কিন্তু যে আত্মা যীশু খ্রীষ্টকে শরীরে আগত বলে স্বীকার করে না, সে ঈশ্বর থেকে নয়। এ হল সেই খ্রীষ্টারির আত্মা, যার আগমন সম্পর্কে তোমরা শুনেছ, এমনকি ইতিমধ্যেই সে জগতে উপস্থিত হয়েছে। \p \v 4 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা ঈশ্বর থেকে। তোমরা খ্রীষ্ট বিরোধীদের পরাস্ত করেছ, কারণ তোমাদের অন্তরে যিনি আছেন, তিনি জগতে যে বিচরণ করে, তার চেয়ে মহান। \v 5 তারা জগৎ থেকে, তাই জাগতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই তারা কথা বলে এবং জগৎ তাদের কথা শোনে। \v 6 কিন্তু আমরা ঈশ্বর থেকে এবং ঈশ্বরকে যে জানে, সে আমাদের কথা শোনে; কিন্তু যে ঈশ্বর থেকে নয়, সে আমাদের কথায় কর্ণপাত করে না। এভাবেই আমরা সত্যের আত্মা ও বিভ্রান্তির আত্মাকে চিনতে পারি। \s1 ঈশ্বরের ও আমাদের প্রেম \p \v 7 প্রিয় বন্ধুরা, এসো আমরা পরস্পরকে প্রেম করি, কারণ প্রেম ঈশ্বর থেকে আসে। যে প্রেম করে, সে ঈশ্বর থেকে জাত এবং সে ঈশ্বরকে জানে। \v 8 যে প্রেম করে না, সে ঈশ্বরকে জানে না, কারণ ঈশ্বরই প্রেম। \v 9 এভাবেই ঈশ্বর আমাদের মধ্যে তাঁর প্রেম প্রদর্শন করেছেন: তাঁর এক ও অদ্বিতীয় পুত্রকে\f + \fr 4:9 \fr*\ft অন্য সংস্করণে: তাঁর একজাত পুত্রকে।\ft*\f* তিনি জগতে পাঠিয়েছেন, যেন আমরা তাঁর মাধ্যমে জীবিত থাকি। \v 10 এই হল প্রেম: এমন নয় যে আমরা ঈশ্বরকে প্রেম করেছি, বরং তিনি আমাদের প্রেম করেছেন এবং আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছেন। \s1 প্রেমের মহিমা \p \v 11 প্রিয় বন্ধুরা, ঈশ্বর যখন আমাদের এত প্রেম করেছেন, আমাদেরও উচিত পরস্পরকে প্রেম করা। \v 12 কেউ কখনও ঈশ্বরকে দেখেনি। কিন্তু আমরা যদি পরস্পরকে প্রেম করি, ঈশ্বর আমাদের মধ্যে বাস করেন এবং আমাদের মধ্যে তাঁর প্রেম পূর্ণতা লাভ করে। \p \v 13 এতেই আমরা জানি যে, আমরা তাঁর মধ্যে বাস করি এবং তিনি আমাদের মধ্যে বাস করেন, কারণ তিনি তাঁর আত্মাকে আমাদের দিয়েছেন। \v 14 আমরা দেখেছি ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, পিতা তাঁর পুত্রকে জগতের উদ্ধারকর্তা হওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। \v 15 কেউ যদি যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে স্বীকার করে, তাহলে ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন এবং সেও ঈশ্বরের মধ্যে থাকে। \v 16 আর তাই, আমাদের জন্য ঈশ্বরের যে প্রেম, আমরা তা জানি এবং তার উপর নির্ভর করি। \p ঈশ্বরই প্রেম। যে প্রেমে বাস করে, সে ঈশ্বরে থাকে এবং ঈশ্বর তার মধ্যে থাকেন। \v 17 এভাবে, আমাদের মধ্যে প্রেম পূর্ণতা লাভ করে, যেন বিচারের দিনে আমরা নির্ভয়ে থাকতে পারি, কারণ এই জগতে আমরা তাঁরই মতো রয়েছি। \v 18 প্রেমে কোনো ভয় নেই। কিন্তু নিখাদ ভালোবাসা ভয় দূর করে, কারণ ভয়ের সঙ্গে জড়িত থাকে শাস্তি। আর যে ভয় করে, তার প্রেম পূর্ণতা লাভ করেনি। \p \v 19 আমরা প্রেম করি, কারণ তিনিই প্রথমে আমাদের প্রেম করেছেন। \v 20 কেউ যদি বলে, “আমি ঈশ্বরকে প্রেম করি,” অথচ তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে মিথ্যাবাদী। যে ভাই বা বোনকে সে দেখতে পায় তাকে যদি সে প্রেম না করে, তাহলে যে ঈশ্বরকে সে দেখেনি তাঁকে সে প্রেম করতে পারে না। \v 21 তিনি আমাদের এই আদেশ দিয়েছেন: ঈশ্বরকে যে প্রেম করে, সে তার ভাইবোনকেও প্রেম করবে। \c 5 \s1 সহভাগিতার পরিণাম \p \v 1 যে বিশ্বাস করে যে, যীশুই খ্রীষ্ট, সে ঈশ্বর থেকে জাত এবং যে পিতাকে প্রেম করে, সে তাঁর সন্তানকেও প্রেম করে। \v 2 ঈশ্বরকে প্রেম করে এবং তাঁর আদেশ পালনের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তানদের প্রেম করি। \v 3 ঈশ্বরের প্রতি প্রেম করা হল এই: তাঁর আদেশ পালন করা। আর, কারণ তাঁর আদেশ দুর্বহ নয়। \s1 জগতের উপরে জয়লাভ \p \v 4 কারণ ঈশ্বর থেকে জাত প্রত্যেক ব্যক্তি জগৎকে জয় করে। আমাদের জয় এই যে, আমাদের বিশ্বাসই জগতকে পরাস্ত করেছে। \v 5 কে জগৎকে জয় করে? একমাত্র সেই, যে বিশ্বাস করে যে, যীশুই ঈশ্বরের পুত্র। \s1 খ্রীষ্টের বিশ্বস্ততার প্রমাণ \p \v 6 ইনিই সেই যীশু খ্রীষ্ট, যিনি জল ও রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছিলেন। তিনি শুধু জলের মাধ্যমে নয়, কিন্তু জল ও রক্তের মাধ্যমে এসেছিলেন। আত্মাই এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন, কারণ এই আত্মাই সেই সত্য। \v 7 বস্তুত তিন সাক্ষী এখানে রয়েছে:\f + \fr 5:7 \fr*\fqa ভালগেট\fqa*\ft —এর পরবর্তী সংস্করণে: \ft*\fv 7 \fv*\fqa বস্তুত, স্বর্গে তিনজন সাক্ষ্য বহন করেন, পিতা, বাক্য ও পবিত্র আত্মা, আর এই তিনজন এক। \fqa*\fv 8 \fv*\fqa আর পৃথিবীতে তিন সাক্ষ্য বহনকারী হল, আত্মা, জল ও রক্ত। এই তিন অভিন্নমত পোষণ করে। \fqa*\ft (এগুলি চতুর্দশ শতাব্দীর পূর্ববর্তী কোনও গ্রিক সংস্করণে পাওয়া যায় না)\ft*\f* \v 8 আত্মা, জল ও রক্ত, এই তিনের সাক্ষ্য একই। \v 9 আমরা মানুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করি, কিন্তু ঈশ্বরের সাক্ষ্য তার চেয়েও মহান, কারণ তিনি তাঁর পুত্রের বিষয়ে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাই ঈশ্বরের সাক্ষ্য। \v 10 ঈশ্বরের পুত্রে যে বিশ্বাস করে, তার অন্তরে এই সাক্ষ্য আছে। ঈশ্বরকে যে বিশ্বাস করে না, সে প্রকৃতপক্ষে তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে, কারণ তাঁর পুত্রের বিষয়ে ঈশ্বর যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, সে তা বিশ্বাস করেনি। \v 11 এই হল সেই সাক্ষ্য: ঈশ্বর আমাদের অনন্ত জীবন দিয়েছেন এবং সেই জীবন তাঁর পুত্রের মধ্যে আছে। \v 12 যে পুত্রকে লাভ করেছে, সে জীবন পেয়েছে; যে ঈশ্বরের পুত্রকে লাভ করেনি, সে জীবন পায়নি। \s1 অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা \p \v 13 তোমরা যারা ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করো, তাদের কাছে আমি এসব বিষয় লিখছি, যেন তোমরা জানতে পারো যে, তোমরা অনন্ত জীবন লাভ করেছ। \v 14 ঈশ্বরের কাছে আসার জন্য আমরা এই ভরসা পেয়েছি যে, আমরা যদি তাঁর ইচ্ছানুসারে কিছু প্রার্থনা করি, তিনি আমাদের প্রার্থনা শোনেন। \v 15 আর আমরা যদি জানি যে, আমরা যা কিছুই প্রার্থনা করি, তিনি তা শোনেন, তাহলে আমরা এও জানব যে, তাঁর কাছে প্রার্থিত সবকিছুই আমরা পেয়েছি। \p \v 16 কেউ যদি তার ভাইবোনকে এমন কোনো পাপ করতে দেখে যা মৃত্যুমুখী নয়, তাহলে সে প্রার্থনা করুক, এবং ঈশ্বর তাকে জীবন দান করবেন। যাদের পাপ মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় না আমি তাদের কথাই বলছি। কিন্তু এমন একটি পাপ আছে, যা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। আমি সে বিষয়ে তাকে প্রার্থনা করতে বলছি না। \v 17 সমস্ত দুষ্কর্মই পাপ, কিন্তু এমনও পাপ আছে যা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় না। \s1 অভ্যাসের বশবর্তী পাপ থেকে স্বাধীনতা \p \v 18 আমরা জানি, যে ঈশ্বর থেকে জাত, সে পাপকর্মে রত থাকে না; ঈশ্বর থেকে যে জাত, সে নিজেকে সুরক্ষিত রাখে এবং সেই পাপাত্মা তার ক্ষতি করতে পারে না। \v 19 আমরা এও জানি, আমরা ঈশ্বরের সন্তান, আর সমস্ত জগৎ সেই পাপাত্মার নিয়ন্ত্রণের অধীন। \v 20 আমরা আরও জানি যে, ঈশ্বরের পুত্রের আগমন হয়েছে এবং তিনি আমাদের বোধশক্তি দিয়েছেন যেন, যিনি প্রকৃত সত্য তাঁকে আমরা জানতে পারি। আমরা তাঁরই মধ্যে আছি, যিনি সত্যময়, অর্থাৎ তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টে। তিনিই প্রকৃত ঈশ্বর এবং অনন্ত জীবন। \b \b \p \v 21 প্রিয় সন্তানেরা, তোমরা সব প্রতিমা থেকে নিজেদের রক্ষা করো।