\id 1CO - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \ide UTF-8 \h 1 করিন্থীয় \toc1 করিন্থীয়দের প্রতি প্রথম পত্র \toc2 1 করিন্থীয় \toc3 1করি \mt1 করিন্থীয়দের প্রতি প্রথম পত্র \c 1 \p \v 1 পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর আহূত প্রেরিতশিষ্য ও আমাদের ভাই সোস্থিনি, \b \p \v 2 করিন্থে অবস্থিত ঈশ্বরের মণ্ডলীর প্রতি, খ্রীষ্ট যীশুতে যাদের শুচিশুদ্ধ ও পবিত্ররূপে আহ্বান করা হয়েছে তাদের প্রতি, সেই সঙ্গে যারা সর্বত্র আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ডাকে, তাদের সকলের প্রতি; তিনি তাদের ও আমাদেরও প্রভু। \b \p \v 3 আমাদের পিতা ঈশ্বর ও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বর্তুক। \b \s1 ধন্যবাদ জ্ঞাপন \p \v 4 খ্রীষ্ট যীশুতে যে অনুগ্রহ তোমাদের দেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমি প্রতিনিয়ত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই। \v 5 কারণ তাঁতেই তোমরা—তোমাদের সমস্ত কথাবার্তায় ও তোমাদের সমস্ত জ্ঞানে—সর্বতোভাবে সমৃদ্ধ হয়েছ। \v 6 কারণ খ্রীষ্ট সম্পর্কে আমাদের সাক্ষ্য তোমাদের মধ্যে স্বীকৃত হয়েছে। \v 7 এই কারণে যখন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশের জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছ, তোমাদের মধ্যে কোনও আত্মিক বরদানের অভাব ঘটেনি। \v 8 তিনিই শেষ পর্যন্ত তোমাদের সবল রাখবেন, যেন তোমরা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দিনে অনিন্দনীয় থাকতে পারো। \v 9 ঈশ্বর, যিনি তাঁর পুত্র, আমাদের প্রভু, যীশু খ্রীষ্টের সহভাগিতায় তোমাদের আহ্বান করেছেন, তিনি বিশ্বাসযোগ্য। \s1 মণ্ডলীতে দলাদলি \p \v 10 ভাইবোনেরা,\f + \fr 1:10 \fr*\ft গ্রিক: ভাইয়েরা; 11 ও 26 পদেও।\ft*\f* আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে তোমাদের কাছে নিবেদন করছি, তোমরা সকলে পরস্পর অভিন্নমত হও, যেন তোমাদের মধ্যে কোনোরকম দলাদলি না হয় এবং তোমরা যেন মনে ও চিন্তায় সম্পূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকো। \v 11 আমার ভাইবোনরা, ক্লোয়ীর পরিজনদের মধ্যে কয়েকজন আমাকে এই সংবাদ দিয়েছে যে, তোমাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ আছে। \v 12 আমি যা বলতে চাই, তা হল এই: তোমাদের মধ্যে একজন বলে, “আমি পৌলের অনুসারী,” অন্য একজন বলে, “আমি আপল্লোর অনুসারী,” আরও একজন বলে, “আমি কৈফার\f + \fr 1:12 \fr*\ft বা পিতরের।\ft*\f* অনুসারী”; এছাড়াও অন্য একজন বলে, “আমি খ্রীষ্টের অনুসারী।” \p \v 13 খ্রীষ্ট কি বিভাজিত হয়েছেন? পৌল কি তোমাদের জন্য ক্রুশবিদ্ধ হয়েছে? তোমরা কি পৌলের নামে বাপ্তাইজিত হয়েছ? \v 14 আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে, ক্রীষ্প ও গায়ো ছাড়া তোমাদের মধ্যে আমি কাউকে বাপ্তিষ্ম দিইনি, \v 15 তাই কেউই বলতে পারে না যে, তোমরা আমার নামে বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করেছ। \v 16 (হ্যাঁ, আমি স্তেফানার পরিজনদেরও বাপ্তিষ্ম দিয়েছি, এছাড়া আর কাউকে যে আমি বাপ্তিষ্ম দিয়েছি, তা আমার মনে পড়ে না।) \v 17 কারণ খ্রীষ্ট আমাকে বাপ্তিষ্ম দেওয়ার জন্য পাঠাননি, কিন্তু সুসমাচার প্রচারের জন্য—কিন্তু তা মানবিক জ্ঞানের বাক্য দিয়ে নয় কারণ এতে খ্রীষ্টের ক্রুশের পরাক্রম ক্ষুণ্ণ হয়। \s1 খ্রীষ্টই ঈশ্বরের জ্ঞান ও পরাক্রম \p \v 18 কারণ যারা ধ্বংস হচ্ছে সেই ক্রুশের বার্তা তাদের কাছে মূর্খতা, কিন্তু আমরা যারা পরিত্রাণ লাভ করছি, এই বাক্য হল ঈশ্বরের পরাক্রমস্বরূপ। \v 19 কারণ একথা লেখা আছে: \q1 “আমি জ্ঞানীদের জ্ঞান নষ্ট করব, \q2 বুদ্ধিমানদের বুদ্ধি ব্যর্থ করব।”\f + \fr 1:19 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 29:14\+xt*\ft*\f* \p \v 20 জ্ঞানবান মানুষ কোথায়? বিধানের শিক্ষকই বা কোথায়? এই যুগের দার্শনিক কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেননি? \v 21 কারণ, যেহেতু ঈশ্বরের জ্ঞান অনুসারে জগৎ তার জ্ঞানে তাঁকে জানতে পারেনি, তাই যা প্রচারিত হয়েছিল সেই মূর্খতার মাধ্যমে যারা বিশ্বাস করে ঈশ্বর তাদের পরিত্রাণ দিতে প্রীত হলেন। \v 22 ইহুদিরা অলৌকিক বিভিন্ন চিহ্ন দাবি করে এবং গ্রিকেরা জ্ঞানের খোঁজ করে, \v 23 কিন্তু আমরা ক্রুশবিদ্ধ খ্রীষ্টকে প্রচার করি; তিনি ইহুদিদের কাছে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ ও অইহুদিদের কাছে মূর্খতাস্বরূপ। \v 24 কিন্তু ইহুদি ও গ্রিক নির্বিশেষে, ঈশ্বর যাদের আহ্বান করেছেন, তাদের কাছে খ্রীষ্টই হলেন ঈশ্বরের পরাক্রম ও ঈশ্বরের জ্ঞান। \v 25 কারণ ঈশ্বরের মূর্খতা মানুষের জ্ঞান থেকেও বেশি জ্ঞানসম্পন্ন এবং ঈশ্বরের দুর্বলতা মানুষের শক্তি থেকেও বেশি শক্তিশালী। \p \v 26 ভাইবোনেরা, ভেবে দেখো, যখন তোমাদের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা কী ছিলে? মানবিক মানদণ্ড অনুসারে, তোমরা অনেকেই জ্ঞানী ছিলে না; অনেকেই প্রভাবশালী ছিলে না; অনেকেই অভিজাত বংশীয় ছিলে না। \v 27 কিন্তু ঈশ্বর জগতের মূর্খ বিষয়গুলি মনোনীত করলেন, যেন জ্ঞানীদের লজ্জা দেন; ঈশ্বর জগতের দুর্বল বিষয়গুলি মনোনীত করলেন, যেন শক্তিসম্পন্ন বিষয়গুলিকে লজ্জিত করেন। \v 28 তিনি জগতের যা কিছু নিচুস্তরের, যা কিছু তুচ্ছ, আবার যেসব বিষয় কিছুই নয়, সেইসব বিষয় মনোনীত করলেন, যেন যা কিছু আছে সেগুলিকে নাকচ করেন, \v 29 যেন কোনো মানুষ তাঁর সামনে গর্ব করতে না পারে। \v 30 তাঁরই কারণে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুতে আছ, যিনি আমাদের জন্য হয়েছেন ঈশ্বর থেকে জ্ঞান—অর্থাৎ, আমাদের ধার্মিকতা, পবিত্রতা ও মুক্তি। \v 31 অতএব, যেমন লেখা আছে, “যে গর্ব করে, সে প্রভুতেই গর্ব করুক।”\f + \fr 1:31 \fr*\ft \+xt যিরমিয় 9:24\+xt*\ft*\f* \c 2 \p \v 1 ভাইবোনেরা,\f + \fr 2:1 \fr*\ft গ্রিক: ভাইয়েরা\ft*\f* আমি যখন তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম, আমি কোনো বাক্যের অলংকার ব্যবহার বা জ্ঞানের উৎকৃষ্টতায় তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সাক্ষ্য ঘোষণা করতে যাইনি।\f + \fr 2:1 \fr*\ft কোনো কোনো পাণ্ডুলিপিতে আছে, ঈশ্বরের গুপ্তরহস্যকে ঘোষণা।\ft*\f* \v 2 কারণ আমি মনস্থির করেছিলাম, তোমাদের সঙ্গে থাকার সময়, আমি যীশু খ্রীষ্ট ও তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ বলে জানা ছাড়া আর কিছুই জানতে চাইব না। \v 3 আমি দুর্বলতায় ও ভয়ে এবং মহাকম্পিত হয়ে তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম। \v 4 আমার বার্তা ও আমার প্রচার কোনও জ্ঞানের বা প্রেরণা দেওয়ার বাক্যযুক্ত ছিল না, কিন্তু ছিল পবিত্র আত্মার পরাক্রমের প্রদর্শনযুক্ত, \v 5 যেন তোমাদের বিশ্বাস মানবীয় জ্ঞানের উপরে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে ঈশ্বরের পরাক্রমের উপরে হয়। \s1 আত্মা থেকে দেওয়া জ্ঞান \p \v 6 যারা পরিণত তাদের কাছে আমরা জ্ঞানের কথা বলে থাকি, তা কিন্তু এই যুগের জ্ঞান অনুযায়ী নয় বা এই যুগের শাসকদেরও নয়, যারা ক্রমেই মূল্যহীন হয়ে পড়ছেন। \v 7 না, আমরা ঈশ্বরের গোপন জ্ঞানের কথা বলি, যে নিগূঢ়তত্ত্ব গুপ্ত ছিল, যা সময় শুরু হওয়ার আগেই ঈশ্বর আমাদের মহিমার জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন। \v 8 এই যুগের শাসকদের কেউই তা বুঝতে পারেননি, কারণ যদি পারতেন, তাহলে তাঁরা মহিমার প্রভুকে ক্রুশবিদ্ধ করতেন না। \v 9 কিন্তু, যেমন লেখা আছে, \q1 “কোনো চোখ যা দেখেনি, কোনো কান যা শোনেনি, \q2 কোনো মানুষের মনে যা আসেনি, \q1 যারা তাঁকে ভালোবাসে, \q2 ঈশ্বর তাদের জন্য তাই প্রস্তুত করেছেন।”\f + \fr 2:9 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 64:4\+xt*\ft*\f* \m \v 10 কিন্তু ঈশ্বর, তাঁর আত্মার দ্বারা, সেসব আমাদের কাছে প্রকাশ করেছেন। \p আত্মা সকল বিষয়ের, এমনকি, ঈশ্বরের নিগূঢ় বিষয়গুলিও অনুসন্ধান করেন। \v 11 কারণ মানুষের অন্তরের আত্মা ছাড়া কোনো মানুষের চিন্তা কে জানতে পারে? একইভাবে, ঈশ্বরের চিন্তাভাবনা ঈশ্বরের আত্মা ছাড়া আর কেউই জানতে পারে না। \v 12 আমরা জগতের আত্মাকে লাভ করিনি, কিন্তু লাভ করেছি সেই আত্মাকে, যিনি ঈশ্বর থেকে নির্গত হয়েছেন, যেন আমরা বুঝতে পারি, ঈশ্বর বিনামূল্যে আমাদের কী দান করেছেন। \v 13 আমরা একথাই বলি, মানুষের জ্ঞান দ্বারা আমাদের শেখানো ভাষায় নয়, কিন্তু পবিত্র আত্মার দ্বারা শেখানো ভাষায়, যা আত্মিক বিভিন্ন সত্যকে আত্মিক ভাষায় ব্যক্ত করে।\f + \fr 2:13 \fr*\ft বা আত্মিক মানুষদের কাছে আত্মিক সত্যসমূহ ব্যাখ্যা করি।\ft*\f* \v 14 প্রাকৃতিক\f + \fr 2:14 \fr*\ft বা ঈশ্বরের আত্মাবিহীন মানুষ।\ft*\f* মানুষ ঈশ্বরের আত্মা থেকে আগত বিষয়গুলি গ্রহণ করতে পারে না, কারণ সেসব তার কাছে মূর্খতা। সে সেগুলি বুঝতেও পারে না, কারণ সেগুলিকে আত্মিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হয়। \v 15 আত্মিক চেতনা সম্পন্ন মানুষ সব বিষয়েরই বিচার করে, কিন্তু সে স্বয়ং কোনো মানুষের বিচারাধীন হয় না। \q1 \v 16 “কারণ প্রভুর মন কে জানতে পেরেছে, \q2 যে তাঁকে পরামর্শ দান করতে পারে?”\f + \fr 2:16 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 40:13\+xt*\ft*\f* \m কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে। \c 3 \s1 মণ্ডলীতে দলভেদের প্রসঙ্গ \p \v 1 ভাইবোনেরা, আমি তোমাদের আত্মিক চেতনা সম্পন্ন মানুষরূপে সম্বোধন করতে পারিনি, কিন্তু করেছি জাগতিক মানুষরূপে—খ্রীষ্টে নিতান্তই শিশুদের মতো। \v 2 আমি তোমাদের দুধ পান করতে দিয়েছি, কঠিন খাবার নয়, কারণ তার জন্য তখনও তোমরা প্রস্তুত ছিলে না। \v 3 তোমরা এখনও জাগতিকমনা রয়েছ। কারণ তোমাদের মধ্যে, যেহেতু ঈর্ষা ও কলহবিবাদ রয়েছে, তা কি প্রমাণ করে না যে, তোমাদের মধ্যে এখনও জাগতিক প্রবৃত্তি রয়েছে? তোমরা কি নিতান্তই জাগতিক মানুষের মতো আচরণ করছ না? \v 4 কারণ যখন একজন বলে, “আমি পৌলের অনুসারী,” অন্যজন, “আমি আপল্লোর অনুসারী,” তাহলে তোমরা কি নিতান্তই সাধারণ মানুষ নও? \p \v 5 তাহলে আপল্লো কে? আর পৌল-ই বা কে? কেবল পরিচারক মাত্র, যাদের দ্বারা তোমরা বিশ্বাসী হয়েছ—যেমন প্রভু তাদের প্রত্যেকের উপরে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। \v 6 আমি বীজবপন করেছি, আপল্লো এতে জল দিয়েছেন, কিন্তু ঈশ্বর তা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করেছেন। \v 7 তাই, যে বীজবপন করেছে সে কিছু নয়, যে জল দিয়েছে সেও কিছু নয়, কিন্তু কেবলমাত্র ঈশ্বর, যিনি সবকিছু বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করেন। \v 8 যে বীজবপন করে এবং যে জল দেয়, তাদের উদ্দেশ্য একই থাকে। তাই প্রত্যেক ব্যক্তি, যে যেমন পরিশ্রম করে, সেই অনুযায়ী পুরস্কৃত হবে। \v 9 কারণ, আমরা ঈশ্বরের সহকর্মী; তোমরা ঈশ্বরের জমি, ঈশ্বরেরই ভবন। \p \v 10 ঈশ্বর আমাকে যে অনুগ্রহ-দান করেছেন, তার দ্বারা এক দক্ষ স্থপতির মতো আমি এক ভিত্তিমূল স্থাপন করেছি, আর অন্য কেউ তার উপর নির্মাণকাজ করছে। কিন্তু প্রত্যেককে সতর্ক থাকবে হবে যে, সে কীভাবে নির্মাণ করছে। \v 11 কারণ ইতিমধ্যেই যে ভিত্তিমূল স্থাপিত হয়েছে, তা ছাড়া অন্য কোনও ভিত্তিমূল আর কেউ স্থাপন করতে পারে না। সেই ভিত্তিমূল হল যীশু খ্রীষ্ট। \v 12 কেউ যদি এই ভিত্তিমূলের উপরে সোনা, রুপো, মণিমাণিক্য,\f + \fr 3:12 \fr*\ft মূল্যবান সব পাথর, রত্ন, জহরত, ইত্যাদি।\ft*\f* কাঠ, খড় বা নাড়া\f + \fr 3:12 \fr*\fq নাড়া\fq*\ft —মাঠ থেকে খড় কেটে নেওয়ার পর যে অবশেষ পড়ে থাকে।\ft*\f* দিয়ে নির্মাণ করে, \v 13 তার কাজের যথার্থ রূপ প্রকাশ করা হবে, কারণ সেদিনই\f + \fr 3:13 \fr*\ft অর্থাৎ, বিচারের দিন।\ft*\f* তা আলোতে প্রকাশ করবে। আগুনের মাধ্যমে তা প্রকাশিত হবে এবং আগুন প্রত্যেক মানুষের কাজের গুণমান যাচাই করবে। \v 14 সে যা নির্মাণ করেছে, তা যদি থেকে যায়, সে তার পুরস্কার লাভ করবে। \v 15 যদি তা আগুনে পুড়ে যায় তাহলে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে নিজে রক্ষা পাবে, কিন্তু কেবলমাত্র আগুনের শিখা থেকে উত্তীর্ণ মানুষের মতো। \p \v 16 তোমরা কি জানো না যে তোমরা নিজেরাই হলে ঈশ্বরের মন্দির এবং ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের মধ্যে অধিষ্ঠান করেন? \v 17 কেউ যদি ঈশ্বরের মন্দির ধ্বংস করে, ঈশ্বর তাকে ধ্বংস করবেন, কারণ ঈশ্বরের মন্দির শুচিশুদ্ধ এবং তোমরাই হলে সেই মন্দির। \p \v 18 তোমরা নিজেদের সঙ্গে প্রতারণা কোরো না। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি এই যুগের মানদণ্ড অনুসারে নিজেকে জ্ঞানী বলে ভাবে, তাকে “মূর্খ” হতে হবে, যেন সে জ্ঞানী হতে পারে। \v 19 কারণ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে এই জগতের জ্ঞান মূর্খতামাত্র। যেমন লেখা আছে: “জ্ঞানীদের তিনি তাদের ধূর্ততায় ধরে ফেলেন,”\f + \fr 3:19 \fr*\ft \+xt ইয়োব 5:13\+xt*\ft*\f* \v 20 আবার, “প্রভু জানেন যে, জ্ঞানীদের চিন্তাভাবনা অসার।”\f + \fr 3:20 \fr*\ft \+xt গীত 94:11\+xt*\ft*\f* \v 21 তাহলে, কোনো মানুষ সম্পর্কে কেউ যেন আর গর্ব না করে! সব বিষয়ই তোমাদের জন্য, \v 22 পৌল হোক বা আপল্লো বা কৈফা বা জগৎ বা জীবন বা মৃত্যু বা বর্তমানকাল বা ভাবীকাল—সবকিছুই তোমাদের, \v 23 আর তোমরা খ্রীষ্টের ও খ্রীষ্ট ঈশ্বরের। \c 4 \s1 খ্রীষ্টের প্রেরিতশিষ্যবর্গ \p \v 1 তাহলে, লোকেরা আমাদের অবশ্যই খ্রীষ্টের পরিচারক ও ঈশ্বরের গোপন বিষয়সমূহের ধারক বলে মনে করুক। \v 2 এখন, যাকে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার বিশ্বস্ততা প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক। \v 3 তোমাদের কাছে, কিংবা মানুষের কোনও আদালতে যদি আমার বিচার হয়, আমি তা নগণ্য বিষয় বলেই মনে করি। প্রকৃতপক্ষে, আমি নিজেরও বিচার করি না। \v 4 আমার বিবেক পরিষ্কার, কিন্তু তা আমাকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করে না। যিনি আমার বিচার করেন, তিনি প্রভু। \v 5 অতএব, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে তোমরা কোনো কিছুরই বিচার কোরো না। প্রভুর আগমন পর্যন্ত অপেক্ষা করো। অন্ধকারে যা গুপ্ত আছে, তা তিনি আলোয় নিয়ে আসবেন এবং সব মানুষের হৃদয়ের অভিপ্রায় উদ্‌ঘাটিত করবেন। সেই সময় প্রত্যেকে ঈশ্বর থেকে তার প্রশংসা লাভ করবে। \p \v 6 এখন ভাইবোনেরা, আমি তোমাদের উপকারের জন্য এ সমস্ত বিষয় নিজের ও আপল্লোর উপরে প্রয়োগ করেছি, যেন তোমরা আমাদের কাছ থেকে এই প্রবচনের অর্থ শিখতে পারো, “যা লেখা আছে, তা অতিক্রম কোরো না।” তখন তোমরা কোনো একজনের পক্ষে আর অন্য কারও বিপক্ষে গর্ব করতে পারবে না। \v 7 কারণ কে তোমাদের অন্য কারও চেয়ে বিশিষ্ট করেছে? তোমাদের এমন কী আছে যা ঈশ্বর তোমদের দান করেননি? আর যদি তা পেয়েছ, তাহলে নিজেরা তা অর্জন করেছ ভেবে গর্ব করো কেন? \p \v 8 তোমরা যা চাও, ইতিমধ্যে তা তোমাদের কাছে আছে। তোমরা এরই মধ্যে সম্পদশালী হয়েছ! তোমরা রাজা হয়েছ—তাও আমাদের বাদ দিয়েই! আমি কত না ইচ্ছা করি যে তোমরা সত্যিসত্যিই রাজা হয়ে ওঠো, যেন আমরাও তোমাদের সঙ্গে রাজা হতে পারি! \v 9 কিন্তু আমার মনে হয়, শোভাযাত্রার শেষে বধ্যভূমিতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মতো, ঈশ্বর আমাদের, অর্থাৎ প্রেরিতশিষ্যদের দর্শনীয় বস্তুরূপে প্রদর্শন করছেন। আমরা সমস্ত বিশ্ব, স্বর্গদূত ও সেই সঙ্গে সব মানুষের কাছে উপহাসের পাত্র হয়েছি। \v 10 আমরা খ্রীষ্টের জন্য মূর্খ, কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টে কত বুদ্ধিমান! আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা সবল! তোমরা সম্মানিত, আমরা অপমানিত! \v 11 এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত হয়ে আছি, আমাদের পোশাক জীর্ণ, আমাদের প্রতি নির্মম ব্যবহার করা হয়েছে, আমরা গৃহহীন। \v 12 আমরা নিজেদের হাত দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করি। আমাদের অভিশাপ দেওয়া হলে, আমরা আশীর্বাদ করি, যখন আমাদের নির্যাতন করা হয়, আমরা সহ্য করি। \v 13 আমাদের যখন নিন্দা করা হয়, আমরা নম্রতায় তার উত্তর দিই। এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা সমাজের আবর্জনা, জগতের জঞ্জাল হয়ে আছি। \p \v 14 তোমাদের লজ্জা দেওয়ার জন্য আমি এই পত্র লিখছি না, কিন্তু আমার প্রিয় সন্তানতুল্য মনে করে তোমাদের সতর্ক করার জন্যই লিখছি। \v 15 খ্রীষ্টে যদিও তোমাদের দশ হাজার অভিভাবক থাকে কিন্তু তোমাদের অনেক পিতা থাকতে পারে না, কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচারের মাধ্যমে আমি তোমাদের জন্ম দিয়েছি। \v 16 সেই কারণে, আমি তোমাদের কাছে অনুনয় করি, তোমরা আমাকে অনুকরণ করো। \v 17 এই উদ্দেশ্যে আমি আমার পুত্রসম তিমথিকে তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি, যাঁকে আমি ভালোবাসি; তিনি প্রভুতে বিশ্বস্ত। তিনি খ্রীষ্ট যীশুতে আমার জীবনযাপনের কথা তোমাদের মনে করিয়ে দেবেন, যা আমি সর্বত্র প্রতিটি মণ্ডলীতে আমি যা শিক্ষা দিই তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। \p \v 18 তোমাদের কাছে আমি আসব না মনে করে তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্ধত হয়ে উঠেছে। \v 19 কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা হলে, খুব শীঘ্রই আমি তোমাদের কাছে যাব। তখন এই উদ্ধত লোকেরা কীভাবে কথা বলছে, শুধু তাই নয়, তাদের ক্ষমতা কতটুকু, তাও আমি দেখব। \v 20 কারণ ঈশ্বরের রাজ্য কথা বলার বিষয় নয়, কিন্তু পরাক্রমের। \v 21 তোমরা কী চাও? তোমাদের কাছে আমি কি চাবুক নিয়ে যাব, না ভালোবাসায় ও কোমল মানসিকতার সঙ্গে যাব? \c 5 \s1 নীতিভ্রষ্ট ভাইকে বহিষ্কার \p \v 1 আমাকে বাস্তবিকই এরকম সংবাদ দেওয়া হয়েছে যে, তোমাদের মধ্যে অনৈতিক যৌনাচার রয়েছে, আর তা এমনই ধরনের যা পরজাতীয়দের মধ্যেও দেখা যায় না। এক ব্যক্তি তার বিমাতার সঙ্গে সহবাস করছে। \v 2 আর তোমরা গর্ব করছ? তোমাদের কি দুঃখে ভারাক্রান্ত হওয়া এবং যে লোকটি এ কাজ করেছে, তাকে তোমাদের সহভাগিতা থেকে বহিষ্কার করা উচিত ছিল না? \v 3 আমি যদিও সশরীরে তোমাদের মধ্যে নেই, তবুও আত্মায় আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। আর আমি ইতিমধ্যে একজন উপস্থিত ব্যক্তির মতোই সেই ব্যক্তির বিচার করেছি যে এমন করেছে। \v 4 তোমরা যখন প্রভু যীশুর নামে সমবেত হও এবং আমিও আত্মায় তোমাদের সঙ্গে থাকি ও প্রভু যীশুর পরাক্রম উপস্থিত থাকে, \v 5 সেই ব্যক্তিকে শয়তানের হাতে সমপর্ণ কোরো, যেন তার পাপময় চরিত্রের\f + \fr 5:5 \fr*\ft বা শরীরের।\ft*\f* বিনাশ হয় ও তার আত্মা আমাদের প্রভু যীশুর দিনে রক্ষা পায়। \p \v 6 তোমাদের গর্ব করা ভালো নয়। তোমরা কি জানো না যে, সামান্য খামির\f + \fr 5:6 \fr*\ft বা তাড়ি।\ft*\f* ময়দার সমস্ত তালকেই খামিরময় করতে পারে? \v 7 তোমরা পুরোনো খামির দূর করে দাও, যেন এক নতুন তাল হতে পারো, যার মধ্যে খামির থাকবে না—প্রকৃতপক্ষে যেমন তোমরা আছ। কারণ খ্রীষ্ট, আমাদের নিস্তারপর্বীয় মেষশাবক বলিরূপে উৎসর্গীকৃত হয়েছেন। \v 8 তাই এসো, আমরা পুরোনো খামির দিয়ে নয়, যা হিংসা ও দুষ্টতার খামির, বরং খামিরশূন্য রুটি দিয়ে, যা সরলতা ও সত্যের খামির, তা দিয়ে পর্বটি পালন করি। \p \v 9 আমার পত্রে আমি লিখেছিলাম, তোমরা যেন অনৈতিক যৌন-সংসর্গকারীদের সঙ্গে যুক্ত না থাকো— \v 10 তার অর্থ এই নয় যে, এ জগতের সব লোক, যারা নীতিভ্রষ্ট বা লোভী বা প্রতারক কিংবা প্রতিমাপূজক, তাদের সংসর্গ ত্যাগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে তোমাদের এ জগৎ পরিত্যাগ করতে হবে। \v 11 কিন্তু এখন আমি তোমাদের লিখছি, বিশ্বাসী\f + \fr 5:11 \fr*\ft গ্রিক: ভাই\ft*\f* নামে পরিচয় দিয়ে যে ব্যক্তি বিবাহ-বহির্ভূত সংসর্গে লিপ্ত থাকে, অথবা লোভী, প্রতিমাপূজক বা পরনিন্দুক, মদ্যপ বা প্রতারক হয়, তার সঙ্গ অবশ্যই ত্যাগ করবে। এ ধরনের মানুষের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া পর্যন্ত করবে না। \p \v 12 মণ্ডলীর বাইরের লোকেদের বিচার করায় আমার কাজ কী? ভিতরের লোকদের বিচার করা কি তোমাদের দায়িত্ব নয়? \v 13 বাইরের লোকদের বিচার ঈশ্বর করবেন। “তোমরা ওই দুষ্ট ব্যক্তিকে তোমাদের মধ্য থেকে দূর করে দাও।”\f + \fr 5:13 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 17:7; 19:19; 21:21; 22:21,24; 24:7\+xt*\ft*\f* \c 6 \s1 বিশ্বাসীদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা \p \v 1 তোমাদের মধ্যে কারও যদি অন্যজনের সঙ্গে বিবাদ থাকে, সে কি তা বিচারের জন্য পবিত্রগণের\f + \fr 6:1 \fr*\ft গ্রিক শব্দটির বাংলায় নিকটতম অর্থ, সাধু বা সন্ত। শব্দটি দ্বারা যে কোনো বিশ্বাসীকে সাধু বা সন্ত বোঝানো হয়েছে, বিশেষ কোনও শ্রেণীর মানুষকে নয়।\ft*\f* কাছে না নিয়ে গিয়ে অবিশ্বাসীদের কাছে নিয়ে যাওয়ার সাহস দেখায়? \v 2 তোমরা কি জানো না যে, পবিত্রগণেরা জগতের বিচার করবেন? আর যদি তোমরা জগতের বিচার করতে যাচ্ছ, তাহলে তোমরা কি এই সামান্য বিষয়গুলিও বিচার করার যোগ্য নও? \v 3 তোমরা কি জানো না যে, আমরা স্বর্গদূতদেরও বিচার করব? তাহলে, এই জীবন সংক্রান্ত বিষয়ের বিচার আরও কতই না বেশি করব! \v 4 অতএব, এই সমস্ত বিষয়ে যদি তোমাদের মধ্যে বিবাদ থাকে, তাহলে মণ্ডলীতে যারা কিছুরই মধ্যে গণ্য নয়, তাদেরই কি বিচারকের আসনে বসিয়ে থাকো?\f + \fr 6:4 \fr*\ft অথবা, মণ্ডলীতে যাদের অবদান যৎসামান্য, তোমরা কি তাদেরই বিচারকের আসনে বসিয়ে থাকো?\ft*\f* \v 5 তোমাদের লজ্জা দেওয়ার উদ্দেশে আমি একথা বলছি। বিশ্বাসীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে নিষ্পত্তি করার মতো যথেষ্ট বিচক্ষণ ব্যক্তি তোমাদের মধ্যে কেউ নেই, এও কি সম্ভব? \v 6 কিন্তু এর পরিবর্তে, এক ভাই অপর এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হচ্ছে—তাও আবার অবিশ্বাসীদের সামনেই! \p \v 7 তোমাদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা থাকার অর্থ, তোমরা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়েছ। এর চেয়ে বরং অন্যায় সহ্য করো বা প্রতারিত হও। \v 8 কিন্তু তার পরিবর্তে, তোমরা নিজেরাই প্রতারণা ও অন্যায় করছ, আবার এসব তোমাদের সহ-বিশ্বাসীদের\f + \fr 6:8 \fr*\ft গ্রিক: ভাইদের\ft*\f* বিরুদ্ধেই করছ। \v 9 তোমরা কি জানো না, যে যারা অধার্মিক,\f + \fr 6:9 \fr*\ft বা দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ।\ft*\f* তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকার লাভ করবে না? তোমরা বিভ্রান্ত হোয়ো না। কারণ যারা বিবাহ-বহির্ভূত সংসর্গকারী, বা প্রতিমাপূজক, বা ব্যভিচারী,\f + \fr 6:9 \fr*\ft বা পারদারিক।\ft*\f* বা সমকামী \v 10 বা চোর বা লোভী বা মদ্যপ বা কুৎসা-রটনাকারী\f + \fr 6:10 \fr*\ft বা পরনিন্দুক।\ft*\f* বা পরধনগ্রাহী, তারা কেউই ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার লাভ করবে না। \v 11 আর তোমরাও কেউ কেউ সেইরকমই ছিলে, কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ও আমাদের ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা ধৌত হয়েছ, শুচিশুদ্ধ হয়েছ ও নির্দোষ প্রতিপন্ন হয়েছ। \s1 যৌন-অনাচার এড়ানো \p \v 12 “সবকিছু করা আমার পক্ষে নিয়মসংগত,” কিন্তু সবকিছুই আমার জন্য উপকারী নয়। “সবকিছু করা আমার পক্ষে নিয়মসংগত,” কিন্তু কোনো কিছুই আমার উপরে কর্তৃত্ব করবে না। \v 13 “পেটের জন্য খাদ্য এবং খাদ্যের জন্য পেট,” কিন্তু ঈশ্বর এই উভয়কেই ধ্বংস করবেন। দেহ অবৈধ সংসর্গের জন্য নয়, কিন্তু প্রভুর জন্য এবং প্রভু দেহের জন্য। \v 14 ঈশ্বর তাঁর পরাক্রমের দ্বারা প্রভুকে মৃত্যু থেকে উত্থাপিত করেছেন এবং তিনি আমাদেরও উত্থাপিত করবেন। \v 15 তোমরা কি জানো না যে, তোমাদের দেহ স্বয়ং খ্রীষ্টেরই অঙ্গ? তাহলে আমি কি খ্রীষ্টের অঙ্গগুলিকে নিয়ে কোনো বেশ্যার সঙ্গে সংযুক্ত করব? কখনোই নয়! \v 16 তোমরা কি জানো না, যে নিজেকে বেশ্যার সঙ্গে সংযুক্ত করে, সে তার সঙ্গে এক দেহ হয়? কারণ এরকম বলা হয়েছে, “সেই দুজন একাঙ্গ হবে।”\f + \fr 6:16 \fr*\ft \+xt আদি পুস্তক 2:24\+xt*\ft*\f* \v 17 কিন্তু যে নিজেকে প্রভুর সঙ্গে সংযুক্ত করে, সে তাঁর সঙ্গে একাত্ম হয়। \p \v 18 তোমরা অবৈধ সংসর্গ থেকে পালিয়ে যাও। কোনো মানুষ অন্য যেসব পাপাচারে লিপ্ত হয়, তার সঙ্গে দেহের কোনো সম্পর্ক নেই, কিন্তু যে যৌন-পাপ করে, সে তার নিজের দেহের বিরুদ্ধেই পাপ করে। \v 19 তোমরা কি জানো না যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে বাস করেন, যাঁকে তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছ? \v 20 তোমরা আর তোমাদের নিজের নও, তোমাদের মূল্য দিয়ে কিনে নেওয়া হয়েছে। অতএব, তোমাদের দেহ দিয়ে তোমরা ঈশ্বরের গৌরব করো। \c 7 \s1 বিবাহ-প্রসঙ্গে আলোচনা \p \v 1 এখন যেসব বিষয়ে তোমরা লিখেছ: “বিবাহ না করা পুরুষের পক্ষে মঙ্গলজনক।”\f + \fr 7:1 \fr*\ft বা কোনো নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করা পুরুষের পক্ষে মঙ্গলজনক।\ft*\f* \v 2 কিন্তু যৌনাচার এত বেশি যে, প্রত্যেক পুরুষের পক্ষে তার নিজের স্ত্রী ও প্রত্যেক নারীর পক্ষে তার নিজের স্বামী থাকা উচিত। \v 3 স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য পালন করুক ও একইভাবে স্ত্রীও তার স্বামীর প্রতি তা করুক। \v 4 স্ত্রীর দেহ কেবলমাত্র তার নিজের অধিকারভুক্ত নয়, কিন্তু তার স্বামীরও। একইভাবে, স্বামীর দেহ কেবলমাত্র তার অধিকারভুক্ত নয়, কিন্তু তার স্ত্রীরও। \v 5 পরস্পরের সম্মতি ছাড়া কেউ কাউকে বঞ্চিত কোরো না, কিন্তু প্রার্থনায় নিজেদের নিয়োজিত করার জন্য কিছু সময় পৃথক থাকতে পারো। তারপর পুনরায় একত্র মিলিত হবে, যেন তোমাদের আত্মসংযমের অভাবে শয়তান তোমাদের প্রলোভনে ফেলতে না পারে। \v 6 আমি একথা আদেশরূপে নয়, কিন্তু কিছু সুবিধা দেওয়ার জন্য বলছি। \v 7 আমার ইচ্ছা, যদি সব মানুষই আমার মতো থাকতে পারত! কিন্তু প্রত্যেকজন ঈশ্বরের কাছ থেকে তার নিজস্ব বরদান লাভ করেছে, একজনের এক ধরনের বরদান, অপরজনের অন্য ধরনের। \p \v 8 এখন অবিবাহিত\f + \fr 7:8 \fr*\fqa বিপত্নীক \fqa*\ft তিনি বিবাহ নিষিদ্ধ করছেন না, কিন্তু যাদের স্ত্রী (বা স্বামী) বিগত হয়েছেন, তাদেরই কথা বলছেন।\ft*\f* ও বিধবাদের সম্পর্কে আমি বলি, তারা যদি আমার মতো অবিবাহিত থাকে, তাহলে তাদেরই পক্ষে মঙ্গল। \v 9 কিন্তু যদি তারা নিজেদের সংযত রাখতে না পারে, তারা বিবাহ করুক, কারণ কামনার আগুনে দগ্ধ হওয়ার চেয়ে বরং বিবাহ করা ভালো। \p \v 10 বিবাহিতদের প্রতি আমি এই আদেশ দিই, আমি নই, বরং প্রভুই দিচ্ছেন, কোনো স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন না হোক। \v 11 কিন্তু যদি সে তা করে, সে অবশ্যই অবিবাহিত থাকবে, নয়তো সে তার স্বামীর সঙ্গে পুনর্মিলিত হবে। আবার কোনো স্বামীও তার স্ত্রীকে অবশ্যই ত্যাগ করবে না। \p \v 12 বাকিদের সম্পর্কে আমি একথা বলি (আমি, প্রভু নন), কোনো ভাইয়ের যদি অবিশ্বাসী স্ত্রী থাকে ও সে তার সঙ্গে বসবাস করতে চায়, সেই ভাইয়ের পক্ষে তাকে ত্যাগ করা উচিত নয়। \v 13 আবার কোনো নারীর যদি অবিশ্বাসী স্বামী থাকে ও সে তার সঙ্গে বসবাস করতে চায়, সেই নারীর পক্ষেও তাকে ত্যাগ করা উচিত নয়। \v 14 কারণ সেই অবিশ্বাসী স্বামী, তার স্ত্রীর মাধ্যমে শুচিশুদ্ধ হয়েছে এবং সেই অবিশ্বাসী স্ত্রী, তার বিশ্বাসী স্বামীর মাধ্যমে শুচিশুদ্ধ হয়েছে। তা না হলে তোমাদের ছেলেমেয়েরা অশুচি বলে গণ্য হত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা পবিত্র। \p \v 15 কিন্তু অবিশ্বাসী যদি চলে যায়, তাকে তাই করতে দাও। কোনো বিশ্বাসী ভাই বা বোন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাধ্যবাধকতায় আবদ্ধ নয়। ঈশ্বর আমাদের শান্তিতে বসবাস করার জন্য আহ্বান করেছেন। \v 16 হে স্ত্রী, তুমি জানো না যে, তোমার মাধ্যমেই তোমার স্বামী হয়তো পরিত্রাণ লাভ করবে অথবা হে স্বামী, তুমিও জানো না যে, তোমার মাধ্যমেই হয়তো তোমার স্ত্রী পরিত্রাণ পাবে! \p \v 17 তা সত্ত্বেও, প্রভু যার প্রতি যেমন কর্তব্যভার নির্দিষ্ট করেছেন ও যার জন্য ঈশ্বর তাকে আহ্বান করেছেন, প্রত্যেকে জীবনে সেই স্থান ধরে রাখুক। সমস্ত মণ্ডলীতে আমি এই নিয়মই স্থাপন করে থাকি। \v 18 সুন্নত হওয়ার পরে কি কাউকে আহ্বান করা হয়েছিল? তবে সে যেন সুন্নতহীন না হয়। সুন্নতহীন অবস্থায় কি কাউকে আহ্বান করা হয়েছিল? তবে সে যেন সুন্নত না হয়। \v 19 সুন্নত কিছু নয় এবং সুন্নতহীন হওয়াও কিছু নয়, ঈশ্বরের আদেশপালনই হল আসল বিষয়। \v 20 ঈশ্বরের আহ্বান পাওয়ার সময়ে কোনো ব্যক্তি যে অবস্থায় ছিল, সে সেই অবস্থাতেই থাকুক। \p \v 21 তোমাকে যখন আহ্বান করা হয়, তখন তুমি কি ক্রীতদাস ছিলে? তা তোমাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না করুক। অবশ্য যদি তুমি স্বাধীনতা অর্জন করতে পারো তবে তাই করো। \v 22 কারণ প্রভুর আহ্বান লাভের সময় যে ব্যক্তি ছিল দাস, সে প্রভুতে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি। একইভাবে, আহ্বান লাভের সময় যে ব্যক্তি স্বাধীন ছিল, সে খ্রীষ্টের ক্রীতদাস। \v 23 মূল্যের বিনিময়ে তোমাদের কিনে নেওয়া হয়েছে, তোমরা মানুষদের ক্রীতদাস হোয়ো না। \v 24 ভাইবোনেরা,\f + \fr 7:24 \fr*\ft গ্রিক: ভাইয়েরা; 29 পদেও।\ft*\f* ঈশ্বর প্রত্যেক ব্যক্তিকে যে অবস্থায় আহ্বান করেছেন, ঈশ্বরের প্রতি তার দায়বদ্ধতা অনুসারে সে সেই অবস্থাতেই জীবনযাপন করুক। \p \v 25 এবারে কুমারীদের প্রসঙ্গে বলি: আমি প্রভুর কাছ থেকে তাদের সম্পর্কে কোনও আদেশ পাইনি, কিন্তু আমি এমন ব্যক্তির মতো অভিমত ব্যক্ত করছি, যে প্রভুর করুণায় এক বিশ্বস্ত ব্যক্তি। \v 26 বর্তমান সংকটের কারণে, আমি মনে করি, তোমরা যেমন আছ, তেমনই থাকা তোমাদের পক্ষে ভালো। \v 27 তুমি কি বিবাহিত? তাহলে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ো না। তুমি কি অবিবাহিত? তাহলে বিবাহ করার চেষ্টা কোরো না। \v 28 কিন্তু যদি তুমি বিবাহ করো, তাহলে তোমার পাপ হবে না। আর কোনো কুমারী যদি বিবাহ করে, তারও পাপ হবে না; কিন্তু যারা বিবাহ করে, তারা জীবনে বহু কষ্ট-সংকটের সম্মুখীন হবে, কিন্তু আমি এ থেকে তোমাদের নিষ্কৃতি দিতে চাই। \p \v 29 ভাইবোনেরা, আমি যা বোঝাতে চাই, তা হল সময় সংক্ষিপ্ত। এখন থেকে যাদের স্ত্রী আছে, তারা এমনভাবে জীবনযাপন করুক, যেন তাদের স্ত্রী নেই। \v 30 যারা শোক করে, তারা মনে করুক তাদের শোকের কোনো কারণ নেই; যারা আনন্দিত, তারাও মনে করুক তাদের আনন্দিত হওয়ার কোনো কারণ নেই; যারা কিছু কেনে, তারা মনে করুক তাদের কেনা জিনিসগুলি তাদের নয়; \v 31 যারা সাংসারিক বিষয় ভোগ করছে, তারা মনে করুক তারা সংসারে আর জড়িত নয়। কারণ এই জগৎ তার বর্তমান রূপে শেষ হচ্ছে। \p \v 32 আমি চাই, তোমরা যেন দুশ্চিন্তামুক্ত থাকো। কোনো অবিবাহিত পুরুষ প্রভুরই বিষয়ে চিন্তা করে যে, কীভাবে সে প্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। \v 33 কিন্তু একজন বিবাহিত পুরুষ এই জগতের সব বিষয়ে জড়িত থাকে, কীভাবে সে তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করবে, \v 34 তার স্বার্থ দ্বিধায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। একজন অবিবাহিত নারী বা কুমারী, প্রভুর বিষয়ে মনোযোগী হয়। তার লক্ষ্য থাকে দেহে ও আত্মায় প্রভুর প্রতি সমর্পিত থাকা। কিন্তু একজন বিবাহিত নারী সাংসারিক বিষয়ে মনোযোগী থাকে—কীভাবে সে তার স্বামীকে সন্তুষ্ট করবে। \v 35 আমি তোমাদেরই মঙ্গলের জন্য একথা বলছি, তোমাদের বাধা সৃষ্টি করার জন্য নয়, কিন্তু যেন তোমরা প্রভুর প্রতি অখণ্ড আনুগত্য নিয়ে সঠিক পথে জীবনযাপন করতে পারো। \p \v 36 যদি কেউ মনে করে, সে তার বাগদত্তা কুমারীর প্রতি সঠিক আচরণ করছে না এবং যদি তার বয়স বেড়ে যেতে থাকে এবং সে মনে করে তার বিবাহ হওয়া উচিত, তাহলে সে যেমন চায়, তেমনই করুক। সে পাপ করছে না। তাদের বিবাহ হওয়া উচিত। \v 37 কিন্তু যে ব্যক্তি এ বিষয়ে তার মনে দৃঢ়সংকল্প, যে সে কোনো বাধ্যবাধকতার মধ্যে নেই কিন্তু তার নিজের ইচ্ছার উপরে তার নিয়ন্ত্রণ আছে এবং যে মনে স্থির করেছে যে সেই কুমারীকে বিবাহ করবে না—এই ব্যক্তিও যথার্থ কাজ করে। \v 38 তাহলে যে এক কুমারীকে বিবাহ করে, সে যথার্থ কাজই করে, কিন্তু যে তাকে বিবাহ না করে, সে আরও ভালো কাজ করে। \p \v 39 একজন নারী, যতদিন তার স্বামী বেঁচে থাকে ততদিন পর্যন্ত তার কাছে বাঁধনে যুক্ত থাকে। কিন্তু যদি তার স্বামীর মৃত্যু হয়, সে তার ইচ্ছামতো যে কাউকে বিবাহ করতে পারে। কিন্তু সেই পুরুষ প্রভুর অনুগত হবে। \v 40 আমার বিচারে, সে যদি বিবাহ না করে থাকে, সে আরও বেশি সুখী থাকবে—আর আমি মনে করি যে, আমারও মধ্যে ঈশ্বরের আত্মা আছেন। \c 8 \s1 প্রতিমার প্রসাদ প্রসঙ্গে \p \v 1 এখন প্রতিমাদের কাছে উৎসর্গ করা খাবার সম্পর্কিত কথা। আমরা জানি যে, আমাদের সকলরেই জ্ঞান আছে।\f + \fr 8:1 \fr*\ft বা যেমন তোমরা বলে থাকো, “আমাদের সকলেরই জ্ঞান আছে।”\ft*\f* জ্ঞান গর্বিত করে, কিন্তু প্রেম গেঁথে তোলে। \v 2 যে মনে করে যে সে কিছু জানে, তার যেমন জানা উচিত, তা সে এখনও জানে না। \v 3 কিন্তু যে ঈশ্বরকে ভালোবাসে, সেই ঈশ্বরের পরিচিত ব্যক্তি। \p \v 4 তাহলে, প্রতিমাদের কাছে উৎসর্গ করা খাবার গ্রহণ করা সম্পর্কে বলতে হয়: আমরা জানি যে, কোনো প্রতিমা জগতে কিছুই নয় এবং আর কোনো ঈশ্বর নেই, কেবলমাত্র একজন আছেন। \v 5 কারণ স্বর্গে, বা পৃথিবীতে, যদিও তথাকথিত কোনও দেবতারা থাকে (বাস্তবিক অনেক “দেবতা” ও অনেক “প্রভুর” কথা শোনা যায়), \v 6 তবুও আমাদের জন্য আছেন একমাত্র সেই পিতা ঈশ্বর, যাঁর কাছ থেকে সবকিছুরই উদ্ভব হয়েছে এবং যাঁর উদ্দেশ্যে আমরা জীবনধারণ করি; আবার একজনই প্রভুও আছেন, তিনি যীশু খ্রীষ্ট। তাঁরই মাধ্যমে সবকিছু উদ্ভূত হয়েছে এবং তাঁরই মাধ্যমে আমরা জীবনধারণ করি। \p \v 7 কিন্তু প্রত্যেকেই একথা জানে না। কিছু সংখ্যক মানুষ প্রতিমার বিষয়ে এমনই অভ্যস্ত, তারা যখন এ ধরনের খাবার গ্রহণ করে, তারা মনে করে যে, সেই খাবার যেন কোনো প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা হয়েছে, আর যেহেতু তাদের বিবেক দুর্বল, তাই তা কলুষিত হয়। \v 8 কিন্তু খাবার আমাদের ঈশ্বরের নিকটে নিয়ে আসে না; আমরা যদি সেই খাবার না খাই, আমাদের ক্ষতি হয় না; আবার তা গ্রহণ করলেও কোনো লাভ হয় না। \p \v 9 কিন্তু, তোমরা সতর্ক থেকো, তোমাদের এই অধিকার যেন কোনোভাবেই দুর্বল মানুষের কাছে বিঘ্নের কারণ না হয়। \v 10 কারণ দুর্বল বিবেকবিশিষ্ট যদি কেউ তোমাকে, অর্থাৎ তোমার মতো জ্ঞানবিশিষ্ট মানুষকে, প্রতিমার মন্দিরে খাবার গ্রহণ করতে দেখে, তাহলে সে কি প্রতিমাদের কাছে উৎসর্গ করা খাবার গ্রহণ করতে সাহস পাবে না? \v 11 তাই, তোমার জ্ঞানের জন্য এই দুর্বল বিশ্বাসী,\f + \fr 8:11 \fr*\ft গ্রিক: ভাই; 13 পদেও।\ft*\f* যার জন্য খ্রীষ্ট মৃত্যুবরণ করেছেন, তাকে নষ্ট করা হয়। \v 12 তোমরা যখন তোমাদের ভাইবোনের বিরুদ্ধে পাপ করো ও তাদের দুর্বল বিবেককে আঘাত করো, তোমরা খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে পাপ করো। \v 13 এই কারণে, আমি যে খাবার গ্রহণ করি, তা যদি অপর বিশ্বাসীর পাপে পতনের কারণ হয়, আমি আর কখনও সেই খাবার গ্রহণ করব না, যেন আমি তার পতনের কারণ না হই। \c 9 \s1 প্রেরিতশিষ্যের অধিকার \p \v 1 আমি কি স্বাধীন নই? আমি কি প্রেরিতশিষ্য নই? আমি কি আমাদের প্রভু, যীশুকে দেখিনি? তোমরা কি প্রভুতে আমার কাজের ফলস্বরূপ নও? \v 2 আমি যদিও অন্যদের কাছে প্রেরিতশিষ্যরূপে গণ্য না হই, তোমাদের কাছে নিশ্চিতরূপে আমি তো তাই! কারণ প্রভুতে তোমরাই আমার প্রেরিতশিষ্য হওয়ার সিলমোহর। \p \v 3 যারা আমার বিচার করে, তাদের কাছে এই হল আমার আত্মপক্ষ সমর্থন। \v 4 খাওয়াদাওয়া করার অধিকার কি আমাদের নেই? \v 5 অন্য সব প্রেরিতশিষ্য, প্রভুর ভাইয়েরা ও কৈফার\f + \fr 9:5 \fr*\ft পিতরের।\ft*\f* মতো কোনো বিশ্বাসী স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার অধিকার কি আমাদের নেই? \v 6 অথবা, পরিশ্রম না করার অধিকার কি কেবলমাত্র আমার ও বার্ণবার নেই? \p \v 7 কে নিজের খরচে সৈনিকের কাজ করে? কে দ্রাক্ষাক্ষেত প্রস্তুত করে ও নিজে তার ফল গ্রহণ করে না? কে পশুপাল চরায় ও তার দুধ পান করে না? \v 8 আমি কি কেবলমাত্র মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একথা বলছি? বিধানও কি এই একই কথা বলে না? \v 9 কারণ মোশির বিধানে একথা লেখা আছে, “শস্য মাড়াই করার সময় বলদের মুখে জালতি বেঁধো না।”\f + \fr 9:9 \fr*\ft \+xt দ্বিতীয় বিবরণ 25:4\+xt*\ft*\f* ঈশ্বর কি কেবলমাত্র বলদের বিষয়েই চিন্তা করেন? \v 10 নিশ্চিতরূপে, তিনি আমাদেরও বিষয়ে একথা বলেন, তাই নয় কি? হ্যাঁ, একথা আমাদের জন্য লেখা হয়েছে, কারণ যে চাষ করে, সেই প্রত্যাশাতেই তার চাষ করা উচিত এবং যে শস্য মাড়াই করে, ফসলের ভাগ পাওয়ার প্রত্যাশাতেই তার শস্য মাড়াই করা উচিত। \v 11 আমরা যদি তোমাদের মধ্যে আত্মিক বীজবপন করে থাকি, তাহলে তোমাদের মধ্য থেকে যদি পার্থিব ফসলের প্রত্যাশা করি, তাহলে কি খুব বেশি চাওয়া হবে? \v 12 অন্যদের যদি তোমাদের কাছ থেকে সাহায্য লাভের অধিকার থাকে, তাহলে আমাদের এই প্রাপ্য কি আরও বেশি হওয়া উচিত নয়? \p কিন্তু আমরা এই অধিকার প্রয়োগ করিনি। কিন্তু তার পরিবর্তে, আমরা সবকিছু সহ্য করেছি, যেন খ্রীষ্টের সুসমাচারের কোনো বাধা সৃষ্টি না করি। \p \v 13 তোমরা কি জানো না যে, যারা মন্দিরের কাজ করে, তারা তাদের খাবার মন্দির থেকেই পায় এবং যারা যজ্ঞবেদিতে সেবাকাজ করে, যজ্ঞবেদিতে উৎসর্গ করা নৈবেদ্যের অংশ তারা পায়? \v 14 একইভাবে, প্রভু এরকম আদেশ দিয়েছেন যে, যারা সুসমাচার প্রচার করে, তাদের জীবিকা সুসমাচার থেকেই হবে। \p \v 15 কিন্তু আমি এ সমস্ত কোনো অধিকারই প্রয়োগ করিনি। আর আমি এসব এজন্য লিখছি না যে, তোমরা আমার জন্য এসব কিছু করবে। আমার এই গর্ব থেকে কেউ আমাকে বঞ্চিত করুক, তার থেকে বরং মৃত্যুবরণই আমি শ্রেয় মনে করব। \v 16 তবুও, আমি যখন সুসমাচার প্রচার করি, আমি গর্ব করতে পারি না, কারণ তা প্রচার করতে আমি বাধ্য। ধিক্ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি! \v 17 আমি যদি স্বেচ্ছায় প্রচার করি, তাহলে আমার পুরস্কার আছে। যদি স্বেচ্ছায় না করি, তাহলে আমার উপর দেওয়া দায়িত্ব আমি শুধু পালন করে চলেছি মাত্র। \v 18 তাহলে আমার পুরস্কার কী? শুধু এই যে, আমি যেন বিনা পারিশ্রমিকে সুসমাচার প্রচার করি, এভাবে তা প্রচার করার জন্য আমার অধিকার যেন আমাকে প্রয়োগ করতে না হয়। \p \v 19 যদিও আমি মুক্ত ও কারও অধীন নই, আমি নিজেকে সকলের ক্রীতদাস করে তুলেছি, যেন যতজনকে সম্ভব, ততজনকে জয় করতে পারি। \v 20 ইহুদিদের কাছে আমি ইহুদির মতো হয়েছি, যেন ইহুদিদের জয় করতে পারি। যারা বিধানের অধীন, তাদের কাছে আমি বিধানের অধীন একজনের মতো হয়েছি (যদিও আমি স্বয়ং বিধানের অধীন নই), যেন বিধানের অধীন মানুষদের আমি জয় করতে পারি। \v 21 যারা বিধানের অধীন নয়, তাদের জন্য আমি বিধানবিহীন মানুষের মতো হয়েছি (যদিও আমি ঈশ্বরের বিধান থেকে মুক্ত নই, কিন্তু খ্রীষ্টের বিধানের অধীন), যেন যারা বিধানের অধীন নয়, তাদের জয় করতে পারি। \v 22 দুবর্লদের জন্য আমি দুর্বল হলাম, যেন দুর্বলদের জয় করতে পারি। সব মানুষের কাছে আমি সবকিছু হয়েছি, যেন সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে, আমি কিছু মানুষের পরিত্রাণ সাধন করতে পারি। \v 23 আমি সুসমাচারের কারণে এ সমস্ত করি, যেন আমি এর সমস্ত আশীর্বাদের অংশীদার হতে পারি। \p \v 24 তোমরা কি জানো না যে, দৌড়ের প্রতিযোগিতায় সব দৌড়বাজ দৌড়ায়, কিন্তু কেবলমাত্র একজনই পুরস্কার পায়। তোমরা এমনভাবে দৌড়াও, যেন পুরস্কার পেতে পারো। \v 25 যারা ক্রীড়া প্রতিযোগী, তারা সকলেই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যায়। তারা এক অস্থায়ী মুকুট পাওয়ার প্রত্যাশায় তা করে, কিন্তু আমরা তা করি এক অক্ষয় মুকুট পাওয়ার প্রত্যাশায়। \v 26 সেই কারণে, আমি কোনো লক্ষ্যহীন মানুষের মতো ছুটে চলি না; যে বাতাসে মুষ্টিযুদ্ধ করে, আমি তার মতো লড়াই করি না। \v 27 না, আমি আমার দেহকে প্রহার করে আমার দাসত্বে রাখি, যেন অপর মানুষদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার পর, আমি স্বয়ং যেন পুরস্কার লাভের অযোগ্য হয়ে না পড়ি। \c 10 \s1 ইস্রায়েলের ইতিহাস থেকে শিক্ষা \p \v 1 কারণ ভাইবোনেরা, আমি চাই না, তোমরা এ বিষয়ে অজ্ঞাত থাকো যে, আমাদের পিতৃপুরুষেরা সকলে সেই মেঘের নিচে ছিলেন এবং তাঁরা সকলে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছিলেন। \v 2 তাঁরা সবাই মোশির উদ্দেশে মেঘে ও সমুদ্রে বাপ্তাইজিত হয়েছিলেন। \v 3 তাঁরা সকলে একই আত্মিক খাদ্যগ্রহণ করেছিলেন এবং একই আত্মিক পানীয় পান করেছিলেন। \v 4 কারণ তাঁরা তাঁদের সঙ্গে পথ চলেছিলেন সেই আত্মিক শৈল থেকে পান করতেন এবং সেই শৈল ছিলেন খ্রীষ্ট। \v 5 তবুও, ঈশ্বর তাঁদের অধিকাংশদের প্রতিই সন্তুষ্ট ছিলেন না; তাই, তাঁদের দেহ মরুপ্রান্তরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রইল। \p \v 6 এখন এ সমস্ত বিষয় দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়েছিল, যেন তাঁদের মতো আমরাও মন্দ বিষয়ে আসক্ত না হই। \v 7 তাঁদের মধ্যে যেমন কিছু প্রতিমাপূজক ছিল, তোমরা তাঁদের মতো হোয়ো না, যেমন লেখা আছে: “লোকেরা ভোজনপান করার জন্য বসে পড়ল, তারপর উঠে পরজাতীয়দের মতো হুল্লোড়ে মত্ত হল।”\f + \fr 10:7 \fr*\ft \+xt যাত্রা পুস্তক 32:6\+xt*\ft*\f* \v 8 তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ যেমন অনৈতিক যৌনাচারে মত্ত হয়েছিল এবং একদিনে তেইশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, আমরাও যেন তেমনই ব্যভিচার না করি। \v 9 তাঁদের কেউ কেউ যেমন মশীহের পরীক্ষা করেছিল ও সাপের কামড়ে মৃত্যুবরণ করেছিল, আমরাও যেন তেমন না করি। \v 10 আবার তাদের কেউ কেউ অসন্তোষ প্রকাশ করে যেমন মৃত্যুদূতের দ্বারা নিহত হয়েছিল, তোমরাও তেমন কোরো না। \p \v 11 এসব বিষয় তাঁদের প্রতি দৃষ্টান্তস্বরূপ ঘটেছিল এবং আমাদের সতর্ক করার জন্যই সেগুলি লেখা হয়েছে—যাদের উপরে শেষ সময় এসে উপস্থিত হয়েছে। \v 12 তাই, তোমরা যদি মনে করো যে, তোমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছ, সতর্ক থেকো, যেন তোমাদের পতন না ঘটে। \v 13 মানুষের কাছে সাধারণভাবে যেমন ঘটে থাকে, তা ছাড়া অন্য কোনো প্রলোভন তোমাদের প্রতি ঘটেনি। আর ঈশ্বর বিশ্বস্ত। তোমরা যা সহ্য করতে পারো, তার অতিরিক্ত কোনো প্রলোভনে তিনি তোমাদের পড়তে দেবেন না। কিন্তু তোমরা যখন প্রলোভিত হও, তিনিই তোমাদের রক্ষা পাওয়ার পথও করে দেবেন, যেন তার মধ্যেও তোমরা দাঁড়িয়ে থাকতে পারো। \s1 প্রতিমার প্রসাদ ও প্রভুর ভোজ প্রসঙ্গে \p \v 14 সেই কারণে, আমার প্রিয় বন্ধুরা, তোমরা প্রতিমাপূজা থেকে পালিয়ে যাও। \v 15 তোমাদের বিচক্ষণ মনে করেই আমি একথা বলছি; আমি যা বলি, তা তোমরা নিজেরাই বিচার করো। \v 16 ধন্যবাদ দেওয়ার যে পানপাত্রটি নিয়ে আমরা ধন্যবাদ দিই, তা কি খ্রীষ্টের রক্তের সহভাগিতা নয়? আবার, যে রুটি আমরা ভেঙে থাকি, তা কি খ্রীষ্টের দেহের সহভাগিতা নয়? \v 17 কারণ, আমরা যারা অনেকে, আমরা এক রুটি, একই দেহ, কারণ আমরা সকলেই এক রুটি থেকে অংশগ্রহণ করে থাকি। \p \v 18 ইস্রায়েল জাতির বিষয়ে বিবেচনা করে দেখো: যারা বিভিন্ন বলির মাংস আহার করে, তারা কি যজ্ঞবেদিতে অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে না? \v 19 তাহলে আমি একথাই বোঝাতে চাইছি যে, প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা খাবারের কী মূল্য? বা কোনো প্রতিমারই বা কী মূল্য? \v 20 কিছুই নয়, কিন্তু যারা প্রতিমাপূজা করে তাদের নিবেদিত সব বলি ভূতদের উদ্দেশে নিবেদিত হয়, ঈশ্বরের উদ্দেশে নয়। আর আমি চাই না যে তোমরা ভূতদের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী হও। \v 21 তোমরা একইসঙ্গে প্রভুর পানপাত্র ও ভূতদের পানপাত্র থেকে অংশগ্রহণ করতে পারো না। \v 22 আমরা কি প্রভুর ঈর্ষা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি? আমরা কি তাঁর চেয়েও শক্তিমান? \s1 বিশ্বাসীর স্বাধীনতা \p \v 23 “সব কিছুকেই অনুমোদন দেওয়া যায়,” কিন্তু সবকিছু উপকারী নয়। “সবকিছুই অনুমোদনযোগ্য,” কিন্তু সবকিছু গঠনমূলক নয়। \v 24 কোনো ব্যক্তিই যেন স্বার্থচেষ্টা না করে, বরং অপরের মঙ্গল করার চেষ্টা করে। \p \v 25 বিবেকের প্রশ্ন না তুলে মাংসের বাজারে যা বিক্রি হয়, তা ভোজন করো। \v 26 কারণ, “এই জগৎ ও তার মধ্যে থাকা সবকিছু, সব প্রভুরই।”\f + \fr 10:26 \fr*\ft \+xt গীত 24:1\+xt*\ft*\f* \p \v 27 যদি কোনো অবিশ্বাসী ব্যক্তি, কোনও ভোজে তোমাদের আমন্ত্রণ করে ও তোমরা সেখানে যেতে চাও, তাহলে বিবেকের প্রশ্ন না তুলে, তোমাদের সামনে যা রাখা হয়, তাই ভোজন করো। \v 28 কিন্তু কেউ যদি তোমাদের বলে, “এ প্রতিমার কাছে উৎসর্গ করা বলি,” তাহলে যে বলল, সেই ব্যক্তির জন্য ও বিবেকের কারণে তোমরা তা ভোজন কোরো না। \v 29 আমি বলতে চাই, এই বিবেক তোমাদের নয়, কিন্তু সেই ব্যক্তির। কারণ আমার স্বাধীনতা কেন অপরের বিবেকের দ্বারা বিচারিত হবে? \v 30 ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে যদি আমি আহার গ্রহণ করি, তাহলে যার জন্য আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই, তার জন্য আমার নিন্দা করা হবে কেন? \p \v 31 অতএব, তোমরা ভোজন, কি পান, বা যা কিছুই করো, সবকিছুই ঈশ্বরের গৌরবের জন্য করো। \v 32 ইহুদি, গ্রিক, কি ঈশ্বরের মণ্ডলী, কারও জন্য তোমরা বিঘ্নের কারণ হোয়ো না, \v 33 যেমন আমিও সব উপায়ে সব মানুষকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করি। কারণ আমি নিজের মঙ্গলের চেষ্টা করি না, কিন্তু বহু মানুষের জন্য করি, যেন তারা পরিত্রাণ লাভ করে। \c 11 \nb \v 1 তোমরা আমার আদর্শ অনুকরণ করো, যেমন আমিও খ্রীষ্টের আদর্শ অনুকরণ করি। \s1 ঈশ্বরের উপাসনার বিষয়ে \p \v 2 আমি তোমাদের প্রশংসা করি, কারণ তোমরা সব বিষয়ে আমাকে স্মরণ করে থাকো ও তোমাদের যে শিক্ষা আমি দিই, তা হুবহু তোমরা মেনে চলো। \v 3 এখন আমি চাই, তোমরা যেন উপলব্ধি করো যে, প্রত্যেক পুরুষের মস্তকস্বরূপ\f + \fr 11:3 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রধান বা নেতৃত্বদানকারী।\ft*\f* হলেন খ্রীষ্ট এবং নারীর মস্তকস্বরূপ হল পুরুষ, আবার খ্রীষ্টের মস্তকস্বরূপ হলেন ঈশ্বর। \v 4 যে পুরুষ তার মস্তক আবৃত রেখে প্রার্থনা করে বা ভাববাণী বলে, সে তার মস্তকের অবমাননা করে। \v 5 আবার, কোনো নারী যখন মস্তক অনাবৃত রেখে প্রার্থনা করে বা ভাববাণী বলে, সে তার মস্তকের অবমাননা করে—এ যেন তার মস্তক মুণ্ডন করা হয়েছে, সেরকম। \v 6 কোনো নারী যদি তার মস্তক আবৃত না করে, তাহলে তার চুল কেটে ফেলাই উচিত; কিন্তু চুল কেটে ফেলা বা মুণ্ডন করা যদি নারীর কাছে অবমাননাকর বলে মনে হয়, সে তার মস্তকে আবরণ দিক। \p \v 7 কোনো পুরুষ অবশ্যই তার মস্তক আবৃত করবে না, কারণ সে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি ও গৌরব; কিন্তু নারী পুরুষের গৌরব। \v 8 কারণ পুরুষের উদ্ভব নারী থেকে নয়, কিন্তু নারীর উদ্ভব পুরুষ থেকে। \v 9 আবার, পুরুষের সৃষ্টি নারীর জন্য হয়নি, কিন্তু নারীর সৃষ্টি হয়েছে পুরুষের জন্য। \v 10 এই কারণে ও স্বর্গদূতদের জন্য, নারী তার মস্তকে কর্তৃত্বের চিহ্ন রাখবে। \v 11 অবশ্য, প্রভুতে নারীও পুরুষ থেকে স্বতন্ত্র নয়, আবার পুরুষও নারী থেকে স্বতন্ত্র নয়। \v 12 কারণ যেমন নারী এসেছে পুরুষ থেকে, তেমনই পুরুষেরও জন্ম হয়েছে নারী থেকে। কিন্তু ঈশ্বর থেকে সকলই উদ্ভূত হয়। \p \v 13 তোমরা নিজেরাই বিচার করো: মস্তক অনাবৃত রেখে কোনো নারীর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা কি যথাযথ? \v 14 স্বয়ং প্রকৃতিও কি এই বিষয়ের শিক্ষা দেয় না যে, যদি কোনও পুরুষ লম্বা চুল রাখে, তাহলে তা তার পক্ষে অসম্মানজনক বিষয়, \v 15 কিন্তু কোনো নারীর যদি লম্বা চুল থাকে, তাহলে, তা তার গৌরবের বিষয়, কারণ লম্বা চুল তাকে আবরণের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে। \v 16 কেউ যদি এ বিষয়ে বিবাদ করতে চায়, তাহলে আমাদের অন্য কোনও আচরণ-বিধি নেই, কিংবা ঈশ্বরের মণ্ডলীরও নেই। \s1 প্রভুর ভোজ \p \v 17 পরবর্তী নির্দেশগুলি দেওয়ার সময়, আমি তোমাদের প্রশংসা করি না, কারণ তোমাদের সমবেত হওয়া ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। \v 18 প্রথমত, আমি শুনতে পাচ্ছি, তোমরা যখন মণ্ডলীগতভাবে সমবেত হও, তোমাদের মধ্যে দলাদলি হয়ে থাকে এবং এর কিছুটা আমি বিশ্বাসও করি। \v 19 কোনো সন্দেহ নেই, তোমাদের মধ্যে মতবিরোধ হতেই হবে, যেন তোমাদের মধ্যে যারা ঈশ্বরের অনুমোদন লাভ করেছে, তাদের বুঝতে পারা যায়। \v 20 তোমরা যখন একত্রে সমবেত হও, তোমরা যে প্রভুর ভোজ গ্রহণ করো, তা নয়, \v 21 কারণ যখন তোমরা ভোজন করো, তখন তোমাদের প্রত্যেকে অন্য কারও জন্য অপেক্ষা না করে, নিজেরাই প্রথমে ভোজন করে থাকো। একজন থাকে ক্ষুধার্ত, অপর একজন মত্ত হয়। \v 22 ভোজনপান করার জন্য কি তোমাদের ঘরবাড়ি নেই? নাকি, তোমরা ঈশ্বরের মণ্ডলীকে অবজ্ঞা করছ ও যাদের কিছু নেই, তাদের লজ্জা দিচ্ছ? তোমাদের আমি কী বলব? এর জন্য আমি কি তোমাদের প্রশংসা করব? কোনোমতেই নয়! \p \v 23 কারণ প্রভু থেকে আমি যে শিক্ষা লাভ করেছি, তোমাদের কাছে আমি তাই সমর্পণ করছি। যে রাত্রিতে প্রভু যীশুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তিনি রুটি নিলেন \v 24 এবং ধন্যবাদ দিয়ে তা ভাঙলেন ও বললেন, “এ আমার দেহ, এ তোমাদেরই জন্য; তোমরা আমার স্মরণার্থে এরকম কোরো।” \v 25 একইভাবে, খাবারের পরে তিনি পানপাত্র নিয়ে বললেন, “এই পানপাত্র আমার রক্তে নতুন নিয়ম, তোমরা যখনই এটা পান করবে, আমার স্মরণার্থেই তা করবে।” \v 26 কারণ যখনই তোমরা এই রুটি ভোজন করো ও এই পানপাত্র থেকে পান করো, তোমরা প্রভুর মৃত্যু ঘোষণা করে থাকো, যতদিন পর্যন্ত তিনি না আসেন। \p \v 27 অতএব, যে কেউ যদি অযোগ্যরূপে এই রুটি ভোজন করে, বা প্রভুর পানপাত্র থেকে পান করে, সে প্রভুর দেহ ও প্রভুর রক্তের বিরুদ্ধে পাপ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে। \v 28 সেই রুটি ভোজন ও পানপাত্র থেকে পান করার পূর্বে কোনো মানুষের অবশ্যই নিজেকে পরীক্ষা করে দেখা উচিত, \v 29 কারণ কেউ যদি প্রভুর দেহ উপলব্ধি না করে ভোজন ও পান করে, সে নিজেরই উপরে বিচারের শাস্তি ভোজন ও পান করে। \v 30 এই কারণেই তোমাদের মধ্যে অনেকে দুর্বল ও পীড়িত এবং বেশ কয়েকজন নিদ্রাগত হয়েছে। \v 31 কিন্তু যদি আমরা নিজেদের বিচার করতাম, তাহলে বিচারের দায়ে পড়তাম না। \v 32 যখন আমরা প্রভুর দ্বারা বিচারিত হই, আমরা শাসিত হই, যেন আমরা জগতের সঙ্গে শাস্তিপ্রাপ্ত না হই। \p \v 33 তাই, আমার ভাইবোনেরা, তোমরা যখন প্রভুর ভোজের জন্য সমবেত হও, পরস্পরের জন্য অপেক্ষা করো। কেউ ক্ষুধার্ত থাকলে সে তার নিজের বাড়িতেই আহার করুক, \v 34 যেন তোমাদের সমবেত হওয়া বিচারের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। \p এরপর আমি উপস্থিত হলে তোমাদের আরও সব নির্দেশ দেব। \c 12 \s1 বিভিন্ন আত্মিক বরদান \p \v 1 ভাইবোনেরা, এখন আত্মিক বরদানগুলির ব্যাপারে তোমরা যে অজ্ঞ থাকো, তা আমি চাই না। \v 2 তোমরা জানো যে, যখন তোমরা পরজাতীয় ছিলে, তখন যে কোনোভাবে হোক তোমরা প্রভাবিত হয়ে নির্বাক প্রতিমাদের দিকে চালিত হয়েছিলে। \v 3 সেই কারণে, আমি তোমাদের বলছি যে, ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা কথা বললে, “যীশু অভিশপ্ত হোক,” কেউ বলতে পারে না এবং পবিত্র আত্মার আবেশ ছাড়া কেউ বলতে পারে না যে, “যীশুই প্রভু।” \p \v 4 বিভিন্ন ধরনের বরদান আছে, কিন্তু আত্মা সেই একই। \v 5 বিভিন্ন ধরনের সেবাকাজ আছে, কিন্তু প্রভু সেই একই। \v 6 বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে, কিন্তু সেই একই ঈশ্বর সব মানুষের মধ্যে সেইসব কাজ করেন। \p \v 7 এখন সবার মঙ্গলের জন্য প্রত্যেকের কাছে আত্মার প্রকাশ দেওয়া হয়েছে। \v 8 একজনকে আত্মার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে জ্ঞানের বাণী,\f + \fr 12:8 \fr*\ft অর্থাৎ, বিজ্ঞ পরামর্শ।\ft*\f* অপর একজনকে সেই একই আত্মার দ্বারা প্রজ্ঞার বাণী,\f + \fr 12:8 \fr*\ft অর্থাৎ, বিশেষ জ্ঞানদায়ী পরামর্শ।\ft*\f* \v 9 অপর একজনকে সেই আত্মার দ্বারা বিশ্বাস, অপর একজনকে সেই একই আত্মার দ্বারা সুস্থ করার বরদান, \v 10 অপর একজনকে অলৌকিক কাজ করার পরাক্রম, অপর একজনকে ভাববাণী, আর একজনকে আত্মার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ের ক্ষমতা, অপর একজনকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা এবং আরও অপরজনকে বিশেষ বিশেষ ভাষার তর্জমা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। \v 11 এসবই সেই এক ও অদ্বিতীয় আত্মার কাজ, তিনি প্রত্যেকের জন্য যেমন নির্ধারণ করেন, তেমনই বরদান দিয়ে থাকেন। \s1 এক দেহ, বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ \p \v 12 দেহ যেমন এক, যদিও তা বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে গঠিত; আর যদিও এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক, সেগুলি এক দেহ গঠন করে। খ্রীষ্টের ক্ষেত্রেও সেই কথা। \v 13 কারণ আমরা সবাই—ইহুদি বা গ্রিক, ক্রীতদাস বা স্বাধীন—এক আত্মার দ্বারা একই দেহে বাপ্তাইজিত হয়েছি, আবার আমাদের সবাইকে একই আত্মা পান করতে দেওয়া হয়েছিল। \v 14 এখন দেহ কেবলমাত্র একটি অঙ্গ দিয়ে নয়, কিন্তু বহু অঙ্গের দ্বারা গঠিত। \p \v 15 পা যদি বলে, “যেহেতু আমি হাত নই, তাই দেহের অংশ নই,” সেই কারণে যে সে দেহের অংশ হবে না, তা নয়। \v 16 আবার, কান যদি বলে, “আমি যেহেতু চোখ নই, তাই আমি দেহের অংশ নই,” এই কারণের জন্য তা যে দেহের অংশ হবে না, তা নয়। \v 17 সমস্ত দেহই যদি চোখ হত, তাহলে শোনার ক্ষমতা কোথায় থাকত? সমস্ত দেহই যদি কান হত, তাহলে গন্ধ পাওয়ার ক্ষমতা কোথায় থাকত? \v 18 কিন্তু ঈশ্বর প্রকৃতপক্ষে দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলির প্রত্যেকটিকে নিজের ইচ্ছামতো সাজিয়েছেন। \v 19 সবই যদি এক অঙ্গ হত, তাহলে দেহ কোথায় থাকত? \v 20 আসলে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক, কিন্তু দেহ একটাই। \p \v 21 চোখ হাতকে বলতে পারে না, “তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই!” আবার মাথা পা-কে বলতে পারে না, “তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই!” \v 22 তার পরিবর্তে, দেহের যেসব অঙ্গকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল মনে হয়, সেগুলিই অপরিহার্য \v 23 এবং যে অঙ্গগুলিকে আমরা কম মর্যাদাপূর্ণ বলে মনে করি, সেগুলিকে আমরা বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকি। এছাড়া যেসব অঙ্গ সুশ্রী নয়, সেগুলি বিশেষ শালীনতার সঙ্গে যত্ন নিয়ে থাকি, \v 24 অথচ আমাদের সুশ্রী অঙ্গগুলির বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ঈশ্বর দেহের অঙ্গগুলিকে একত্র সংগঠিত করেছেন এবং যে অঙ্গগুলি শ্রীহীন, সেগুলিকে বেশি মর্যাদা দিয়েছেন, \v 25 যেন দেহের মধ্যে কোনও বিভেদ সৃষ্টি না হয়, কিন্তু সব অঙ্গ পরস্পরের প্রতি সমান যত্নবান হয়। \v 26 যদি কোনো একটি অঙ্গ কষ্টভোগ করে, তাহলে তার সঙ্গে প্রত্যেকটি অঙ্গই কষ্টভোগ করে। কোনো একটি অঙ্গ মর্যাদা লাভ করলে, তার সঙ্গে প্রত্যেক অঙ্গই আনন্দ করে। \p \v 27 এখন তোমরা হলে খ্রীষ্টের দেহ এবং এক একজন সেই দেহের এক-একটি অঙ্গ। \v 28 আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে নিয়োগ করেছেন, প্রথমত প্রেরিতশিষ্যদের, দ্বিতীয়ত ভাববাদীদের, তৃতীয়ত শিক্ষকদের। তারপরে, অলৌকিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সুস্থ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সাহায্য করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত, প্রশাসনিক বরদানপ্রাপ্ত, এবং বিভিন্ন ধরনের ভাষা বলার ক্ষমতাপ্রাপ্ত তাদের নিয়োগ করেছেন। \v 29 সবাই কি প্রেরিতশিষ্য? সবাই কি ভাববাদী? সবাই কি শিক্ষক? সবাই কি অলৌকিক কাজ সম্পাদন করে? \v 30 সবারই কি সুস্থ করার বরদান আছে? সবাই কি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলে? সবাই কি অর্থ ব্যাখ্যা করে? \v 31 তোমরা বরং মহত্তর বরদান পাওয়ার জন্য আগ্রহভরে কামনা করো। \s1 প্রেম অপরিহার্য \p তবে আমি এবার তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা দেখাতে চাই। \c 13 \s1 প্রেমের উৎকৃষ্টতা \p \v 1 আমি যদি সব মানুষের ও দূতদেরও ভাষায় কথা বলি, কিন্তু আমার ভালোবাসা না থাকে, তাহলে আমি শুধু এক অনুনাদী কাঁসরঘণ্টা বা ঝনঝনকারী করতাল। \v 2 যদি আমার ভাববাণী বলার বরদান আছে এবং আমি সকল গুপ্তরহস্য ও সমস্ত জ্ঞানে পারদর্শী হই এবং আমার যদি এমন বিশ্বাস থাকে, যা পাহাড়-পর্বতকে স্থানান্তরিত করতে পারে, অথচ আমার ভালোবাসা না থাকে, তাহলে আমি কিছুই নই। \v 3 যদি আমি আমার সর্বস্ব দরিদ্রদের দান করি এবং আগুনে পুড়ে যাওয়ার জন্য আমার দেহ সমর্পণ করি, কিন্তু ভালোবাসা না থাকে, আমার কোনোই লাভ হয় না। \p \v 4 প্রেম চিরসহিষ্ণু, প্রেম সদয়\f + \fr 13:4 \fr*\ft বা কোমল।\ft*\f*। তা ঈর্ষা করে না, আত্মঅহংকার করে না, গর্বিত হয় না। \v 5 তা রূঢ় আচরণ করে না, স্বার্থ অন্বেষণ করে না, সহজে ক্রুদ্ধ হয় না, অন্যায় আচরণ মনে রাখে না। \v 6 প্রেম মন্দ কিছুতে আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যে উল্লসিত হয়। \v 7 তা সবসময় সুরক্ষা দেয়, সবসময়ই বিশ্বাস করে, সবসময়ই প্রত্যাশায় থাকে, সবসময়ই ধৈর্য ধরে। \p \v 8 প্রেম কখনও ব্যর্থ\f + \fr 13:8 \fr*\ft কোনো কোনো সংস্করণে, শেষ হয় না।\ft*\f* হয় না। কিন্তু যদি ভাববাণী থাকে, সেগুলির অবসান হবে। যদি ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থাকে, সেগুলি স্তব্ধ হয়ে যাবে; যদি জ্ঞান থাকে, তা অবলুপ্ত হবে। \v 9 এখন, আমাদের জ্ঞান অসম্পূর্ণ ও অসম্পূর্ণরূপে ভাববাণী বলি, \v 10 কিন্তু পূর্ণতা উপস্থিত হলে যা কিছু অসম্পূর্ণ, সেগুলি বিলীন হবে। \v 11 আমি যখন শিশু ছিলাম, আমি শিশুর মতো কথা বলতাম, শিশুর মতো চিন্তা করতাম, শিশুর মতো বিচার করতাম। যখন আমি পরিণত বয়স্ক হয়ে উঠলাম, আমি শিশুসুলভ সবকিছুই ত্যাগ করলাম। \v 12 কারণ এখন আমরা আয়নায় অস্পষ্ট প্রতিফলন দেখছি, কিন্তু তখন আমরা দেখব মুখোমুখি। এখন আমার জ্ঞান অসম্পূর্ণ; কিন্তু তখন আমি সম্পূর্ণরূপে জানতে পারব যেমন আমি সম্পূর্ণ পরিচিত হয়েছি। \p \v 13 আর এখন এই তিনটি অবশিষ্ট আছে: বিশ্বাস, প্রত্যাশা ও প্রেম। কিন্তু এদের মধ্যে প্রেমই সর্বশ্রেষ্ঠ। \c 14 \s1 বিভিন্ন বরদান ও বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলা \p \v 1 তোমরা ভালোবাসার পথ অনুসরণ করো এবং আগ্রহের সঙ্গে আত্মিক বরদানগুলি কামনা করো, বিশেষত ভাববাণী বলার বরদান। \v 2 কারণ কেউ যদি কোনো বিশেষ ভাষায়\f + \fr 14:2 \fr*\ft বা অজানা ভাষায়; 4, 13, 14, 19, 26 ও 27 পদেও।\ft*\f* কথা বলে, সে মানুষের উদ্দেশে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের উদ্দেশে কথা বলে। প্রকৃতপক্ষে, কেউ তার কথা বুঝতে পারে না; সে তার আত্মায়\f + \fr 14:2 \fr*\ft বা আত্মার দ্বারা।\ft*\f* গুপ্তরহস্য উচ্চারণ করে। \v 3 কিন্তু যে ব্যক্তি ভাববাণী বলে, সে মানুষের উদ্দেশে বলে, তাদের শক্তিশালী, প্রেরণা ও আশ্বাস-দান করার জন্যই বলে। \v 4 যে বিশেষ ভাষায় কথা বলে, সে নিজেকে গেঁথে তোলে, কিন্তু যে ভাববাণী বলে, সে মণ্ডলীকে গেঁথে তোলে। \v 5 আমি ইচ্ছা করি, তোমরা প্রত্যেকেই যেন বিশেষ বিশেষ ভাষায়\f + \fr 14:5 \fr*\ft বা অন্যান্য ভাষায়; 6, 18, 22, 23 ও 39 পদেও।\ft*\f* কথা বলতে পারো। কিন্তু আমি বেশি করে চাইব, তোমরা যেন ভাববাণী বলো। যে ভাববাণী বলে সে, যে বিশেষ সব ভাষায় কথা বলে, তার চেয়ে মহান, যদি না সে মণ্ডলীকে গেঁথে তোলার জন্য সেই ভাষার অর্থ ব্যাখ্যা করে দেয়। \p \v 6 এখন ভাইবোনেরা, আমি যদি তোমাদের কাছে এসে বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলি, অথচ প্রত্যাদেশ, জ্ঞান বা ভাববাণী বা শিক্ষামূলক কোনো কথা না বলি, আমি তোমাদের কোন উপকারে লাগব? \v 7 এমনকি, বাঁশি বা বীণার মতো যেসব নিষ্প্রাণ বস্তু শব্দ সৃষ্টি করে, সেগুলির স্বরের মধ্যে তফাৎ সৃষ্টি না হলে, কেমন করে লোকে জানবে যে, কোন সুর বাজানো হচ্ছে? \v 8 আবার তূরীধ্বনির আহ্বান যদি স্পষ্ট না হয়, তাহলে যুদ্ধের জন্য কে প্রস্তুত হবে? \v 9 তোমাদের সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। তোমাদের জিভের দ্বারা যদি বোধগম্য বাক্য উচ্চারণ না করো, তাহলে তোমরা কী বলছ, কেউ তা কীভাবে জানতে পারবে? তোমরা যেন বাতাসের সঙ্গে কথা বলবে। \v 10 নিঃসন্দেহে, জগতে সব ধরনের ভাষা আছে, তবুও সেগুলির কোনোটিই অর্থহীন নয়। \v 11 তাহলে কারও কথার অর্থ আমি যদি উপলব্ধি করতে না পারি, তাহলে সেই বক্তার কাছে আমি হব বিদেশি,\f + \fr 14:11 \fr*\ft গ্রিক: বর্বর।\ft*\f* আর সেও আমার কাছে হবে বিদেশি। \v 12 তোমাদের ক্ষেত্রেও একই কথা সত্যি। তোমরা যেহেতু আত্মিক বরদান লাভের জন্য আগ্রহী, সেইসব বরদান লাভের চেষ্টা করো, যেগুলি মণ্ডলীকে গেঁথে তোলে। \p \v 13 এই কারণে, যে ব্যক্তি কোনো বিশেষ ভাষায় কথা বলে, তার প্রার্থনা করা উচিত, যেন সে যা বলে, তা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতে পারে। \v 14 কারণ আমি যদি বিশেষ ভাষায় প্রার্থনা করি, তাহলে আমার আত্মা প্রার্থনা করে, কিন্তু আমার বুদ্ধি ফলহীন থাকে। \v 15 তাহলে আমি কী করব? আমি আমার আত্মাতে প্রার্থনা করব, কিন্তু আমি আমার বুদ্ধি-সহযোগেও প্রার্থনা করব। আমি আমার আত্মাতে গান গাইব, কিন্তু আমার বোধশক্তিতেও গান গাইব। \v 16 তা না হলে তুমি যখন তোমার আত্মায় ঈশ্বরের প্রশংসা করো তবে যে শ্রোতা তা বুঝতে পারে না, তোমার ধন্যবাদ দেওয়ায় সে কী করে “আমেন” বলবে? কারণ তুমি কী বলছ, সে তো তা বুঝবেই না! \v 17 তুমি হয়তো বেশ ভালোভাবেই ধন্যবাদ দিচ্ছ, কিন্তু অপর ব্যক্তিকে গেঁথে তোলা হল না। \p \v 18 আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই যে, তোমাদের সবার চেয়ে আমি অনেক বেশি ভাষায় কথা বলতে পারি। \v 19 কিন্তু মণ্ডলীর মধ্যে বিশেষ ভাষায় দশ হাজার শব্দ উচ্চারণ করার চেয়ে, আমি বরং পাঁচটি সহজবোধ্য শব্দ বলব। \p \v 20 ভাইবোনেরা, তোমরা শিশুসুলভ চিন্তাভাবনা করা থেকে ক্ষান্ত হও। মন্দ বিষয়ে তোমরা দুধ খাওয়া শিশুর মতো হও, কিন্তু বোধবুদ্ধিতে পরিণত হও। \v 21 বিধানশাস্ত্রে একথা লেখা আছে: \q1 “ভিনদেশী ভাষাভাষী লোকদের এবং \q2 বিদেশিদের ওষ্ঠাধরের মাধ্যমে, \q1 আমি এই জাতির সঙ্গে কথা বলব, \q2 কিন্তু তবুও, তারা আমার কথা শুনতে চাইলো না,”\f + \fr 14:21 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 28:11,12\+xt*\ft*\f* \q2 একথা প্রভু বলেন। \p \v 22 তাহলে, বিশেষ বিশেষ ভাষা বিশ্বাসীদের জন্য নয়, কিন্তু অবিশ্বাসীদের জন্য চিহ্নস্বরূপ; কিন্তু ভাববাণী বিশ্বাসীদের জন্য, অবিশ্বাসীদের জন্য নয়। \v 23 তাই যদি সমস্ত মণ্ডলী একত্রে মিলিত হয় ও প্রত্যেকেই বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলে এবং কোনো ব্যক্তি, যে তা বোঝে না,\f + \fr 14:23 \fr*\ft বা কোনও সত্যানুসন্ধানী।\ft*\f* বা কিছু সংখ্যক অবিশ্বাসী ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়, তাহলে তারা কি বলবে না যে, তোমরা পাগল? \v 24 কিন্তু যদি কোনো অবিশ্বাসী বা অবোধ ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়, যখন সকলেই ভাববাণী বলে, সে তাদের সকলের দ্বারা বুঝতে পারবে যে সে একজন পাপী এবং সকলের দ্বারা সে বিচারিত হবে। \v 25 তখন তার হৃদয়ের গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ হয়ে যাবে। তাই সে মাটিতে পড়ে ঈশ্বরের উপাসনা করবে এবং পরম বিস্ময়ে বলে উঠবে, “সত্যিই, ঈশ্বর আপনাদের মধ্যে বিরাজমান!” \s1 সুশৃঙ্খল উপাসনা \p \v 26 ভাইবোনেরা, তাহলে আমরা কী বলব? তোমরা যখন একত্রে মিলিত হও, তখন প্রত্যেকের কোনো গীত বা উপদেশবাণী, কোনো প্রত্যাদেশ, কোনো বিশেষ ভাষা বা কোনও অর্থ ব্যাখ্যা আছে। এসব অবশ্যই মণ্ডলীকে শক্তিশালী করার জন্য করতে হবে। \v 27 কেউ যদি কোনো বিশেষ ভাষায় কথা বলে, দুজন বা তিনজনের বেশি তা বলবে; একবারে একজন করে বলবে এবং অন্য কেউ অবশ্যই তার অর্থ ব্যাখ্যা করে দেবে। \v 28 সেখানে যদি কোনও অর্থব্যাখ্যাকারী না থাকে, সেই ব্যক্তি মণ্ডলীতে নীরব থাকবে এবং নিজের ও ঈশ্বরের উদ্দেশে কথা বলবে। \p \v 29 ভাববাদীরা দুজন বা তিনজন কথা বলবে এবং অন্যরা সযত্নে বক্তব্যের গুরুত্ব বিবেচনা করবে। \v 30 আর উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ যদি প্রত্যাদেশ লাভ করে, তাহলে প্রথম বক্তা নীরব থাকবে। \v 31 কারণ তোমরা সকলে পর্যায়ক্রমে ভাববাণী বলতে পারো, যেন প্রত্যেকেই শিক্ষা ও প্রেরণা লাভ করতে পারে। \v 32 ভাববাদীদের আত্মা ভাববাদীদের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে। \v 33 কারণ ঈশ্বর বিশৃঙ্খলার ঈশ্বর নন, কিন্তু শান্তির যেমন পবিত্রগণের\f + \fr 14:33 \fr*\ft বিশ্বাসীদের।\ft*\f* সমস্ত মণ্ডলীতে হয়ে থাকে। \p \v 34 মণ্ডলীতে মহিলারা নীরব থাকবে। তাদের কথা বলার অনুমতি দেওয়া যায় না, বরং শাস্ত্রীয় বিধানও যেমন বলে, তারা অবশ্যই বশ্যতাধীন থাকবে। \v 35 তারা যদি কোনও বিষয়ে কিছু জানতে চায়, তারা বাড়িতে নিজের নিজের স্বামীর কাছে তা জিজ্ঞাসা করুক, কারণ মণ্ডলীতে কোনো মহিলার কথা বলা লজ্জাকর ব্যাপার। \p \v 36 ঈশ্বরের বাক্য কি তোমাদের মধ্য থেকেই উদ্ভূত হয়েছিল? অথবা, তা কি কেবলমাত্র তোমাদেরই কাছে উপস্থিত হয়েছে? \v 37 কেউ যদি নিজেকে ভাববাদী বা আত্মিকভাবে বরদানপ্রাপ্ত বলে মনে করে, তাহলে সে স্বীকার করবে যে, তোমাদের কাছে আমি যা লিখছি, তা প্রভুরই আদেশ। \v 38 সে যদি তা উপেক্ষা করে, তাহলে সে নিজেই উপেক্ষিত হবে। \p \v 39 অতএব, আমার ভাইবোনেরা, তোমরা ভাববাণী বলার জন্য আগ্রহী হও এবং বিশেষ বিশেষ ভাষায় কথা বলতে নিষেধ কোরো না। \v 40 কিন্তু সবকিছুই যথাযথ ও সুশৃঙ্খলভাবে হওয়া উচিত। \c 15 \s1 খ্রীষ্টের ও বিশ্বাসীদের পুনরুত্থান \p \v 1 এখন ভাইবোনেরা, আমি যে সুসমাচার তোমাদের কাছে প্রচার করেছি, তা আমি তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যা তোমরা গ্রহণ করেছিলে এবং যার উপরে তোমরা প্রতিষ্ঠিত আছ। \v 2 এই সুসমাচারের দ্বারা তোমরা পরিত্রাণ পেয়েছ, যদি তোমরা তোমাদের কাছে আমার প্রচারিত বাক্য দৃঢ়ভাবে ধারণ করে থাকো। অন্যথায়, তোমরা বৃথাই বিশ্বাস করেছ। \p \v 3 কারণ আমি যে বিষয়ে শিখেছি তা গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রথমেই তোমাদের কাছে তা সমর্পণ করেছি যে, শাস্ত্র অনুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন, \v 4 তিনি সমাধিপ্রাপ্ত হয়েছেন ও শাস্ত্র অনুসারেই তিনি তৃতীয় দিনে উত্থাপিত হয়েছেন \v 5 এবং পরে কৈফা ও সেই বারোজনকে দর্শন দিয়েছেন। \v 6 এরপরে তিনি ভাইদের মধ্যে পাঁচশোরও বেশিজনকে একবারে দর্শন দিয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন নিদ্রাগত হলেও, অধিকাংশ জনই এখনও জীবিত আছেন। \v 7 তারপর তিনি যাকোবকে ও পরে সমস্ত প্রেরিতশিষ্যকে দর্শন দিয়েছেন; \v 8 সবশেষে, আমার মতো অকালজাতের\f + \fr 15:8 \fr*\ft অর্থাৎ, অসময়ে যার জন্ম হয়েছে।\ft*\f* কাছেও তিনি দর্শন দিয়েছেন। \p \v 9 কারণ, আমি প্রেরিতশিষ্যদের মধ্যে নগণ্যতম, এমনকি, প্রেরিতশিষ্যরূপে অভিহিত হওয়ারও যোগ্যতা আমার নেই, কারণ আমি ঈশ্বরের মণ্ডলীকে নির্যাতন করতাম। \v 10 কিন্তু এখন আমি যা হয়েছি তা ঈশ্বরের অনুগ্রহেই হয়েছি এবং আমার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ নিরর্থক হয়নি। বরং, আমি তাঁদের সকলের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করেছি—তবুও আমি নই, কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ আমার সহবর্তী ছিল। \v 11 অতএব, আমি হই বা তাঁরা হন, একথাই আমরা প্রচার করি এবং তোমরা একথাই বিশ্বাস করেছ। \s1 মৃতের পুনরুত্থান \p \v 12 কিন্তু একথা যদি প্রচার করা হয়ে থাকে যে, খ্রীষ্টকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করা হয়েছে, তাহলে তোমাদের মধ্যে কেউ কীভাবে বলে যে, মৃতদের পুনরুত্থান নেই? \v 13 যদি মৃতদের পুনরুত্থান নেই, তাহলে তো খ্রীষ্টও উত্থাপিত হননি! \v 14 আবার খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত না হয়ে থাকেন তবে আমাদের প্রচার করা ও তোমাদের বিশ্বাস করা, সব অর্থহীন হয়েছে। \v 15 তার চেয়েও বড়ো কথা, আমরা তখন ঈশ্বর সম্পর্কে মিথ্যাসাক্ষী বলে প্রমাণিত হব, কারণ ঈশ্বর সম্পর্কে আমরা এই সাক্ষ্য দিয়েছি যে, তিনি খ্রীষ্টকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন। \v 16 কারণ মৃতদের উত্থাপন যদি না হয়, তাহলে খ্রীষ্টকেও উত্থাপিত করা হয়নি। \v 17 আর যদি খ্রীষ্ট উত্থাপিত না হয়েছেন, তোমাদের বিশ্বাস নিরর্থক, তোমরা এখনও তোমাদের পাপের মধ্যে রয়েছ। \v 18 সুতরাং, যারা খ্রীষ্টে নিদ্রাগত হয়েছে, তারাও বিনষ্ট হয়েছে। \v 19 কেবলমাত্র এই জীবনের জন্য যদি আমাদের খ্রীষ্টে প্রত্যাশা থাকে, তাহলে সব মানুষের চেয়ে আমরাই বেশি দুর্ভাগ্যপূর্ণ। \p \v 20 কিন্তু খ্রীষ্ট সত্যিই মৃতদের মধ্য থেকে উত্থাপিত হয়েছেন, যারা নিদ্রাগত হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম ফলস্বরূপ।\f + \fr 15:20 \fr*\ft বা অগ্রিমাংশ।\ft*\f* \v 21 কারণ মৃত্যু যেহেতু একজন মানুষের মাধ্যমে এসেছিল, মৃতদের পুনরুত্থানও তেমনই একজন মানুষের মাধ্যমেই আসে। \v 22 কারণ আদমে যেমন সকলের মৃত্যু হয়, তেমনই খ্রীষ্টে সকলেই পুনর্জীবিত হবে। \v 23 কিন্তু প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ পর্যায়ক্রমে: প্রথম ফসল খ্রীষ্ট, পরে যখন তিনি আসবেন, তাঁর আপনজনেরা। \v 24 তারপর সবকিছুর শেষ সময় উপস্থিত হবে যখন তিনি সমস্ত শাসনভার, কর্তৃত্ব ও পরাক্রম ধ্বংস করার পর, পিতা ঈশ্বরের হাতে রাজ্যের ভার হস্তান্তর করবেন। \v 25 কারণ যতক্ষণ না তিনি তাঁর সমস্ত শত্রুকে তাঁর পদানত করেন, তাঁকে রাজত্ব করতেই হবে। \v 26 সর্বশেষ শত্রু যে মৃত্যু, তাও ধ্বংস করা হবে। \v 27 কারণ, “তিনি সবকিছুই তাঁর পায়ের নিচে রেখেছেন।”\f + \fr 15:27 \fr*\ft \+xt গীত 8:6\+xt*\ft*\f* এখন, যখন বলা হচ্ছে, “সবকিছুই” তাঁর বশ্যতাধীন করা হয়েছে, এ বিষয় সুস্পষ্ট যে, এতে স্বয়ং ঈশ্বর অন্তর্ভুক্ত নন, যিনি সবকিছুই খ্রীষ্টের অধীন করেছেন। \v 28 তিনি যখন এরকম করবেন, তখন পুত্রও স্বয়ং তাঁর বশ্যতাধীন হবেন, যিনি সবকিছুই তাঁর বশ্যতাধীন করেন, যেন ঈশ্বরই সর্বেসর্বা হন। \p \v 29 এখন পুনরুত্থান যদি না থাকে, তাহলে যারা মৃতদের জন্য বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে, তারা কী করবে? মৃতেরা যদি আদৌ উত্থাপিত না হয়, লোকেরা কেন তাদের জন্য বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করে? \v 30 আর আমাদের প্রসঙ্গে বলতে হলে, আমরাই বা কেন প্রতি মুহূর্তে নিজেদের বিপদগ্রস্ত করে তুলি? \v 31 ভাইবোনেরা, আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টতে তোমাদের বিষয়ে আমার যা গর্ব, তারই দোহাই দিয়ে আমি বলছি যে আমি প্রতিদিনই মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছি। \v 32 শুধুমাত্র মানবিক কারণেই যদি আমি ইফিষে বন্যপশুদের সঙ্গে লড়াই করে থাকি, তাহলে আমি কী লাভ করেছি? মৃতেরা যদি উত্থাপিত না হয়, তাহলে, \q1 “এসো আমরা ভোজন ও পান করি, \q2 কারণ আগামীকাল আমরা মারা যাব।”\f + \fr 15:32 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 22:13\+xt*\ft*\f* \m \v 33 তোমরা বিভ্রান্ত হোয়ো না। “অসৎ সঙ্গ ভালো চরিত্রকে কলুষিত করে।” \v 34 তোমাদের যেমন হওয়া উচিত, চেতনায় ফিরে এসো এবং পাপ করা থেকে ক্ষান্ত হও; কারণ এমন কিছু লোক আছে, যাদের ঈশ্বরজ্ঞান নেই; তোমাদের লজ্জা দেওয়ার জন্য আমি একথা বলছি। \s1 পুনরুত্থিত দেহ \p \v 35 কিন্তু, কেউ হয়তো প্রশ্ন করবে, “কীভাবে মৃতদের উত্থাপিত করা হয়? কোন প্রকারের দেহ নিয়ে তারা উপস্থিত হবে?” \v 36 কী মূর্খতা! তোমরা যা বপন করো, তা না মরলে জীবিত হয় না। \v 37 যখন তোমরা কিছু বপন করো, যে গাছ উৎপন্ন হবে, তা কিন্তু তোমরা বপন করো না, কিন্তু একটি বীজবপন করো; তা হয়তো গমের বা অন্য কিছুর। \v 38 কিন্তু ঈশ্বর যেমন নির্ধারণ করেছেন, তেমনই তার দেহ দান করেন এবং প্রত্যেক প্রকারের বীজকে তার নিজ নিজ দেহ দান করেন। \v 39 সব মাংসই এক প্রকারের নয়: মানুষের এক প্রকার মাংস আছে, পশুদের অন্য প্রকার; পাখিদের এক প্রকার এবং মাছের আর এক প্রকার; \v 40 এছাড়াও আছে স্বর্গীয় দেহ এবং আছে পার্থিব দেহ; কিন্তু স্বর্গীয় দেহগুলির ঔজ্জ্বল্য এক প্রকার, পার্থিব দেহগুলির অন্য প্রকার। \v 41 সূর্যের আছে এক ধরনের ঔজ্জ্বল্য, চাঁদের আর এক ধরনের ও তারার আর এক ধরনের; আর ঔজ্জ্বল্যের দিক দিয়ে এক তারা অন্য তারার থেকে ভিন্ন। \p \v 42 মৃতদের পুনরুত্থানের ক্ষেত্রেও এরকমই হবে। ক্ষয়ে বপন করা হয়, কিন্তু অক্ষয়তায় উত্থাপিত করা হবে; \v 43 অনাদরে বপন করা হয়, মহিমায় তা উত্থাপিত করা হবে; দুর্বলতায় তা বপন করা হয়, পরাক্রমে তা উত্থাপিত হবে; \v 44 স্বাভাবিক দেহ বপন করা হয়, আত্মিক দেহ উত্থাপিত হবে। \p যদি স্বাভাবিক দেহ থাকে, তাহলে আত্মিক দেহও থাকে। \v 45 তাই এরকম লেখা আছে: “প্রথম মানুষ আদম হলেন এক জীবিত প্রাণী”\f + \fr 15:45 \fr*\ft \+xt আদি পুস্তক 2:7\+xt*\ft*\f*; শেষ আদম হলেন এক জীবনদায়ী আত্মা। \v 46 আত্মিক প্রথমে আসেনি, কিন্তু এসেছে স্বাভাবিক, তারপর আত্মিক। \v 47 প্রথম মানুষ ছিলেন পৃথিবীর ধুলি থেকে, দ্বিতীয় মানুষ স্বর্গ থেকে। \v 48 পার্থিব সব ব্যক্তি সেই পার্থিব ব্যক্তির মতো এবং স্বর্গীয় সকলে সেই স্বর্গ থেকে আগত ব্যক্তির মতোই। \v 49 আর যেমন আমরা পার্থিব ব্যক্তির স্বরূপ ধারণ করেছি, তেমনই আমরা স্বর্গ থেকে আগত ব্যক্তির রূপও ধারণ করব। \p \v 50 ভাইবোনেরা, আমি তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি যে, রক্তমাংসের দেহ ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না, কিংবা ক্ষয়প্রাপ্ত দেহ অক্ষয়তার অধিকারী হয় না। \v 51 শোনো, আমি তোমাদের এক গুপ্তরহস্য বলি: আমরা সকলে নিদ্রাগত হব না, কিন্তু আমরা সকলেই রূপান্তরিত হব— \v 52 এক নিমেষে, চোখের পলকে, শেষ তূরীধ্বনির সঙ্গে তা ঘটবে। কারণ তূরীধ্বনি হবে, মৃতেরা অক্ষয়তায় উত্থাপিত হবে এবং আমরা রূপান্তরিত হব, \v 53 কারণ এই ক্ষয়প্রাপ্তকে অক্ষয়তা পরিধান করতে হবে এবং এই মরদেহকে অমরতা পরিধান হতে হবে। \v 54 আর এই ক্ষয়প্রাপ্ত যখন অক্ষয়তা পরিধান করবে ও এই মরদেহ অমরতা পরিধান করবে, তখন এই যে কথা লেখা আছে, তা সত্য প্রমাণিত হবে: “চিরকালের জন্য মৃত্যুকে গ্রাস করা হয়েছে।”\f + \fr 15:54 \fr*\ft \+xt যিশাইয় 25:8\+xt*\ft*\f* \q1 \v 55 “মৃত্যু, তোমার জয় কোথায়? \q2 মৃত্যু, তোমার হুল কোথায়?”\f + \fr 15:55 \fr*\ft \+xt হোশেয় 13:14\+xt*\ft*\f* \m \v 56 মৃত্যুর হুল পাপ ও পাপের পরাক্রম হল বিধান। \v 57 কিন্তু ঈশ্বরের ধন্যবাদ হোক! তিনি প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের বিজয় দান করেন। \p \v 58 তাই, আমার প্রিয় ভাইবোনেরা, সুস্থির থাকো। কোনো কিছুই তোমাদের বিচলিত না করুক। প্রভুর কাজে তোমরা সর্বদা নিজেদের সম্পূর্ণ উৎসর্গ করো, কারণ তোমরা জানো যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম ব্যর্থ হবে না। \c 16 \s1 দান সংগ্রহ \p \v 1 এখন ঈশ্বরের লোকদের জন্য দান সংগ্রহ প্রসঙ্গে লিখছি: আমি গালাতিয়ায় অবস্থিত মণ্ডলীগুলিকে যা করতে বলেছি, তোমরাও তাই করো। \v 2 প্রত্যেক সপ্তাহের প্রথম দিনে, তোমাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ উপার্জনের সঙ্গে সংগতি রেখে কিছু অর্থ আলাদা করে সরিয়ে রাখো, যেন আমি যখনই আসি, তখন কোনো অর্থ সংগ্রহ করতে না হয়। \v 3 তারপর, আমি উপস্থিত হলে, তোমরা যাদের উপযুক্ত মনে করবে, আমি তাদের পরিচয়-পত্র দিয়ে তোমাদের সেই দান তাদের মাধ্যমে জেরুশালেমে পাঠিয়ে দেব। \v 4 আর যদি আমার যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে হয়, তবে তারা আমার সঙ্গে যাবে। \s1 ব্যক্তিগত অনুরোধ \p \v 5 ম্যাসিডোনিয়া দিয়ে আমার যাত্রা শেষ হলেই আমি তোমাদের ওখানে যাব—কারণ আমাকে ম্যাসিডোনিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। \v 6 আমি হয়তো কিছুকাল তোমাদের সঙ্গে থাকব, কিংবা শীতকালও কাটাব, যেন আমি যেখানেই যাই, তোমরা আমার যাত্রায় সাহায্য করতে পারো। \v 7 আমি এখন তোমাদের সঙ্গে মাত্র কিছুক্ষণের জন্য দেখাসাক্ষাৎ করতে চাই না। প্রভুর অনুমতি পেলে, আমি তোমাদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর আশা করছি। \v 8 কিন্তু পঞ্চাশত্তমী পর্যন্ত আমি ইফিষেই থাকব, \v 9 কারণ মহৎ কাজের এক উন্মুক্ত দুয়ার আমার সামনে খুলে গিয়েছে, যদিও এখানে অনেকেই আমার বিরোধিতা করে। \p \v 10 যদি তিমথি আসেন, তবে দেখো, তোমাদের সঙ্গে থাকার সময় তাঁর ভয় পাওয়ার যেন কিছু না থাকে, কারণ তিনি আমারই মতো প্রভুর কাজ করে চলেছেন। \v 11 তাই, কেউই তাঁকে যেন গ্রহণ করতে অস্বীকার না করে। তাঁকে শান্তিতে তাঁর যাত্রাপথে পাঠিয়ে দিয়ো, যেন তিনি আমার কাছে ফিরে আসতে পারেন। আমি ভাইদের সঙ্গে তাঁরও আগমনের প্রতীক্ষায় আছি। \p \v 12 এখন আমাদের ভাই আপল্লো সম্পর্কে বলছি, অন্যান্য বিশ্বাসীদের সঙ্গে তোমাদের কাছে যাওয়ার জন্য আমি তাঁকে অনেক অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি এখন একেবারেই যেতে ইচ্ছুক নন। পরে সুযোগ পেলেই তিনি যাবেন। \p \v 13 তোমরা সতর্ক থেকো; বিশ্বাসে অবিচলিত থেকো; সাহসী ও শক্তিমান হও। \v 14 তোমরা যা কিছু করো সেসব ভালোবাসায় করো। \p \v 15 তোমরা জানো যে স্তেফানার পরিজনেরা হলেন আখায়া প্রদেশের প্রথম ফসল, তাঁরা পবিত্রগণের সেবাকাজে নিজেদের নিযুক্ত করেছেন। ভাইবোনেরা, আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, \v 16 তোমরা এইসব লোকদের এবং যতজন কাজে যুক্ত হয় ও পরিশ্রম করে, তাঁদের প্রত্যেকের বাধ্য হও। \v 17 স্তেফানা, ফর্তুনাত ও আখাইকার আগমনে আমি আনন্দিত হয়েছিলাম, কারণ তোমাদের থেকে যা অপূর্ণ ছিল, তাঁরা তা সরবরাহ করেছেন। \v 18 এর কারণ হল, তাঁরা আমার ও সেই সঙ্গে তোমাদেরও আত্মাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এই ধরনের লোকেরা স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। \b \s1 অন্তিম শুভেচ্ছা \p \v 19 এশিয়া প্রদেশের সব মণ্ডলী তোমাদের অভিবাদন জানাচ্ছেন। \p আক্বিলা ও প্রিষ্কিল্লা\f + \fr 16:19 \fr*\ft গ্রিক: প্রিষ্কা।\ft*\f* এবং তাঁদের বাড়িতে সমবেত হওয়া মণ্ডলী, প্রভুতে তোমাদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছেন। \p \v 20 এখানকার সমস্ত ভাইবোনেরা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। \p তোমরা পবিত্র চুম্বনে পরস্পরকে প্রীতি-সম্ভাষণ জানাও। \b \p \v 21 আমি পৌল, নিজের হাতে এই অভিনন্দনবাণী লিখছি। \b \p \v 22 কেউ যদি প্রভুকে না ভালোবাসে, তবে তার উপরে অভিশাপ নেমে আসুক। হে প্রভু, তুমি এসো!\f + \fr 16:22 \fr*\ft অরামীয় ভাষায় অভিব্যক্তিটি হল: ও প্রভু, তুমি এসো। (মারাণা থা)\ft*\f* \b \p \v 23 প্রভু যীশুর অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হোক। \b \p \v 24 খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের সকলকে আমার ভালোবাসা জানাই। আমেন।\f + \fr 16:24 \fr*\ft কতগুলি পাণ্ডুলিপিতে আমেন শব্দটি নেই।\ft*\f*