\id 1CH - Biblica® Open Bengali Contemporary Version (Updated 2021) \usfm 3.0 \ide UTF-8 \h 1 বংশাবলি \toc1 বংশাবলির প্রথম পুস্তক \toc2 1 বংশাবলি \toc3 1বংশা \mt1 বংশাবলির প্রথম পুস্তক \c 1 \s1 আদম থেকে অব্রাহাম পর্যন্ত ঐতিহাসিক নথি \li1 \v 1 আদমের বংশধরেরা হলেন শেথ, ইনোশ, \li1 \v 2 কৈনন, মহললেল, যেরদ, \li1 \v 3 হনোক, মথূশেলহ, লেমক, \li1 নোহ। \b \li4 \v 4 নোহের ছেলেরা:\f + \fr 1:4 \fr*\ft মূল হিব্রু পাঠ্যাংশে এই লাইনটি অনুপস্থিত\ft*\f* শেম, হাম ও যেফৎ। \s2 যেফতের বংশধরেরা \li1 \v 5 যেফতের ছেলেরা\f + \fr 1:5 \fr*\ft পুত্রেরা শব্দের অর্থ বংশধরেরা বা উত্তরসূরিরা বা জাতিরা; \ft*\xt 6-9|link-href="1CH 1:6-9"\xt*, \xt 17|link-href="1CH 1:17"\xt* ও \xt 23|link-href="1CH 1:23"\xt* পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\f*: \li2 গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস। \li1 \v 6 গোমরের ছেলেরা: \li2 অস্কিনস, রীফৎ\f + \fr 1:6 \fr*\ft অথবা, দীফৎ\ft*\f* এবং তোগর্ম। \li1 \v 7 যবনের ছেলেরা: \li2 ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম এবং রোদানীম। \s2 হামের বংশধরেরা \li1 \v 8 হামের ছেলেরা: \li2 কূশ, মিশর, পূট ও কনান। \li1 \v 9 কূশের ছেলেরা: \li2 সবা, হবীলা, সব্‌তা, রয়মা ও সব্‌তেকা। \li1 রয়মার ছেলেরা: \li2 শিবা ও দদান। \li1 \v 10 কূশ সেই নিম্রোদের বাবা,\f + \fr 1:10 \fr*\ft বাবা বলতে হয়তো পূর্বপুরুষ বা পূর্বসূরি অথবা প্রতিষ্ঠাতা বোঝান হয়েছে: কথাটি \ft*\xt 12|link-href="1CH 1:12"\xt*, \xt 16|link-href="1CH 1:16"\xt*, \xt 18|link-href="1CH 1:18"\xt*, \xt 20|link-href="1CH 1:20"\xt* ও \xt 23|link-href="1CH 1:23"\xt* পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\f* \li2 যিনি পৃথিবীতে এক বলশালী যোদ্ধা হয়ে উঠলেন। \li1 \v 11 মিশর ছিলেন সেই লূদীয়, \li2 অনামীয়, লহাবীয়, নপ্তুহীয়, \v 12 পথ্রোষীয়, কস্‌লূহীয় (যাদের থেকে ফিলিস্তিনীরা উৎপন্ন হয়েছে) ও কপ্তোরীয়দের বাবা। \li1 \v 13 কনান ছিলেন তাঁর বড়ো ছেলে \li2 সীদোনের,\f + \fr 1:13 \fr*\ft অথবা মুখ্যত সীদোনীয়দের\ft*\f* ও হিত্তীয়, \v 14 যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়, \v 15 হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়, \v 16 অর্বদীয়, সমারীয় ও হমাতীয়দের বাবা। \s2 শেমের বংশধরেরা \li1 \v 17 শেমের ছেলেরা: \li2 এলম, অশূর, অর্ফক্‌ষদ, লূদ ও অরাম। \li1 অরামের ছেলেরা:\f + \fr 1:17 \fr*\ft অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপিতে এই লাইনটি অনুপস্থিত (\+xt আদি পুস্তক 10:23\+xt* পদ দেখুন)\ft*\f* \li2 ঊষ, হূল, গেথর ও মেশক। \li1 \v 18 অর্ফক্‌ষদ হলেন শেলহের বাবা, \li2 এবং শেলহ ছিলেন এবরের বাবা। \li1 \v 19 এবরের দুটি ছেলের জন্ম হল: \li2 একজনের নাম দেওয়া হল পেলগ,\f + \fr 1:19 \fr*\ft পেলগ শব্দের অর্থ বিভাজন\ft*\f* কারণ তাঁর সময়কালেই পৃথিবী বিভিন্ন ভাষাবাদী জাতির আধারে বিভক্ত হল; তাঁর ভাইয়ের নাম দেওয়া হল যক্তন। \li1 \v 20 যক্তন হলেন \li2 অলমোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ, \v 21 হদোরাম, ঊষল, দিক্ল, \v 22 ওবল,\f + \fr 1:22 \fr*\ft অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপি অনুসারে এবল (\+xt আদি পুস্তক 10:28\+xt* পদ দেখুন)\ft*\f* অবীমায়েল, শিবা, \v 23 ওফীর, হবীলা ও যোববের বাবা। তারা সবাই যক্তনের বংশধর ছিলেন। \b \li1 \v 24 শেম, অর্ফক্‌ষদ,\f + \fr 1:24 \fr*\ft কোনো কোনো প্রাচীন অনুলিপি অনুসারে, অর্ফক্‌ষদ, কনান (\+xt আদি পুস্তক 11:10\+xt* পদের নোট দেখুন)\ft*\f* শেলহ, \li1 \v 25 এবর, পেলগ, রিয়ূ, \li1 \v 26 সরূগ, নাহোর, তেরহ \li1 \v 27 ও অব্রাম (অর্থাৎ, অব্রাহাম)। \s1 অব্রাহামের পরিবার \li4 \v 28 অব্রাহামের ছেলেরা: ইস্‌হাক ও ইশ্মায়েল। \s2 হাগারের মাধ্যমে উৎপন্ন অব্রাহামের বংশধরেরা \li1 \v 29 এই তাদের বংশধরেরা: \li2 ইশ্মায়েলের বড়ো ছেলে নবায়োৎ, এছাড়াও কেদর, অদবেল, মিবসম, \v 30 মিশমা, দুমা, মসা, হদদ, তেমা, \v 31 যিটূর, নাফীশ ও কেদমা। \li4 তারাও ইশ্মায়েলের ছেলে। \s2 কটূরার মাধ্যমে উৎপন্ন অব্রাহামের বংশধরেরা \li1 \v 32 অব্রাহামের উপপত্নী কটূরার গর্ভে যে ছেলেদের জন্ম হল, তারা হলেন: \li2 সিম্রণ, যক্‌ষণ, মদান, মিদিয়ন, যিষবক ও শূহ। \li1 যক্‌ষণের ছেলেরা: \li2 শিবা ও দদান। \li1 \v 33 মিদিয়নের ছেলেরা: \li2 ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ ও ইলদায়া। \li4 এরা সবাই কটূরার বংশধর ছিলেন। \s2 সারার মাধ্যমে উৎপন্ন অব্রাহামের বংশধরেরা \li4 \v 34 অব্রাহাম ছিলেন ইস্‌হাকের বাবা। \li1 ইস্‌হাকের ছেলেরা: \li2 এষৌ ও ইস্রায়েল। \s1 এষৌর ছেলেরা \li1 \v 35 এষৌর ছেলেরা: \li2 ইলীফস, রূয়েল, যিয়ূশ, যালম ও কোরহ। \li1 \v 36 ইলীফসের ছেলেরা: \li2 তৈমন, ওমার, সেফো,\f + \fr 1:36 \fr*\ft অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপি অনুসারে, সফী (\+xt আদি পুস্তক 36:11\+xt* পদ দেখুন)\ft*\f* গয়িতম ও কনস; \li2 তিম্নার ছেলে: অমালেক।\f + \fr 1:36 \fr*\ft অথবা, কনস, তিম্না ও অমালক (\+xt আদি পুস্তক 36:12\+xt* পদ দেখুন)\ft*\f* \li1 \v 37 রূয়েলের ছেলেরা: \li2 নহৎ, সেরহ, শম্ম ও মিসা। \s2 ইদোমে বসবাসকারী সেয়ীরের সন্তানেরা \li1 \v 38 সেয়ীরের ছেলেরা: \li2 লোটন, শোবল, শিবিয়োন, অনা, দিশোন, এৎসর ও দীশন। \li1 \v 39 লোটনের ছেলেরা: \li2 হোরি ও হোমম। তিম্না ছিলেন লোটনের বোন। \li1 \v 40 শোবলের ছেলেরা: \li2 অলবন,\f + \fr 1:40 \fr*\ft অথবা, অলিয়ন (\+xt আদি পুস্তক 36:23\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* মানহৎ, এবল, শফী ও ওনম। \li1 সিবিয়োনের ছেলেরা: \li2 অয়া ও অনা। \li1 \v 41 অনার সন্তানেরা: \li2 দিশোন। \li1 দিশোনের ছেলেরা: \li2 হিমদন,\f + \fr 1:41 \fr*\ft অথবা, হম্রণ (\+xt আদি পুস্তক 36:26\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* ইশ্‌বন, যিত্রণ ও করাণ। \li1 \v 42 এৎসরের ছেলেরা: \li2 বিলহন, সাবন ও আকন।\f + \fr 1:42 \fr*\ft অথবা, যাকন, বা যাবন (\+xt আদি পুস্তক 36:27\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* \li1 দীশনের\f + \fr 1:42 \fr*\ft অথবা, দীশনের (\+xt আদি পুস্তক 36:28\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* ছেলেরা: \li2 ঊষ ও অরাণ। \s2 ইদোমের শাসনকর্তারা \li4 \v 43 কোনও ইস্রায়েলী রাজা রাজত্ব করার আগে যে রাজারা ইদোমে রাজত্ব করে গেলেন, তারা হলেন: \li1 বিয়োরের ছেলে বেলা, যাঁর রাজধানী নগরের নাম দেওয়া হল দিনহাবা। \li1 \v 44 বেলা যখন মারা যান, বস্রানিবাসী সেরহের ছেলে যোবব তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \li1 \v 45 যোবব যখন মারা যান, তৈমন দেশ থেকে আগত হূশম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \li1 \v 46 হূশম যখন মারা যান, বেদদের ছেলে সেই হদদ তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন, যিনি মোয়াব দেশে মিদিয়নীয়দের পরাজিত করলেন। তাঁর নগরের নাম দেওয়া হল অবীৎ। \li1 \v 47 হদদ যখন মারা যান, মস্রেকানিবাসী সম্ল তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \li1 \v 48 সম্ল যখন মারা যান, সেই নদীর\f + \fr 1:48 \fr*\ft খুব সম্ভবত, ইউফ্রেটিস নদী\ft*\f* নিকটবর্তী রহোবোৎ নিবাসী শৌল তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \li1 \v 49 শৌল যখন মারা যান, অকবোরের ছেলে বায়াল-হানন তখন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \li1 \v 50 বায়াল-হানন যখন মারা যান, হদদ রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। তাঁর নগরের নাম দেওয়া হল পায়ূ\f + \fr 1:50 \fr*\ft অথবা, পায় (\+xt আদি পুস্তক 36:39\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f*, এবং তাঁর স্ত্রীর নাম মহেটবেল, যিনি মট্রেদের মেয়ে, ও মেষাহবের নাতনি ছিলেন। \v 51 হদদও মারা গেলেন। \b \li4 ইদোমের দলপতিরা হলেন: \li1 তিম্ন, অলবা, যিথেৎ, \v 52 অহলীবামা, এলা, পীনোন, \v 53 কনস, তৈমন, মিবসর, \v 54 মগ্‌দীয়েল ও ঈরম। \li4 এরাই ইদোমের দলপতি ছিলেন। \c 2 \s1 ইস্রায়েলের ছেলেরা \li4 \v 1 ইস্রায়েলের ছেলেরা হলেন: রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা, ইষাখর, ও সবূলূন, \v 2 দান, যোষেফ, বিন্যামীন, নপ্তালি, গাদ এবং আশের। \s1 যিহূদা \s2 হিষ্রোণের ছেলেদের দিকে \li1 \v 3 যিহূদার ছেলেরা: \li2 এর, ওনন এবং শেলা। তাঁর এই তিন ছেলে এমন এক কনানীয়া মহিলার গর্ভে জন্মেছিল, যিনি শূয়ার মেয়ে ছিলেন। \li2 যিহূদার বড়ো ছেলে এর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে দুষ্ট প্রতিপন্ন হল; তাই সদাপ্রভু তাকে মেরে ফেলেছিলেন। \li2 \v 4 যিহূদার পুত্রবধূ তামর যিহূদার ঔরসে পেরস ও সেরহকে জন্ম দিলেন। \li4 যিহূদার ছেলেদের সংখ্যা মোট পাঁচজন। \b \li1 \v 5 পেরসের ছেলেরা: \li2 হিষ্রোণ এবং হামূল। \li1 \v 6 সেরহের ছেলেরা: \li2 সিম্রি, এথন, হেমন, কলকোল এবং দার্দা\f + \fr 2:6 \fr*\ft অথবা, দারা (\+xt 1 রাজাবলি 4:31\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f*—মোট পাঁচজন। \li1 \v 7 কর্মির ছেলে: \li2 আখর,\f + \fr 2:7 \fr*\ft আখর শব্দের অর্থ সমস্যা; যিহোশূয়ের পুস্তকে আখরকে আখন বলে ডাকা হয়েছে\ft*\f* যে উৎসর্গীকৃত বস্তুগুলি নেওয়ার উপর যে নিষেধাজ্ঞা বজায় ছিল, তা লঙ্ঘন করার মাধ্যমে ইস্রায়েলের ক্ষেত্রে সমস্যা উৎপন্ন করল।\f + \fr 2:7 \fr*\ft হিব্রু শব্দটি সদাপ্রভুর কাছে বস্তু বা ব্যক্তিকে চূড়ান্ত দানের প্রসঙ্গে ব্যবহৃত, প্রায়ই যা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হত।\ft*\f* \li1 \v 8 এথনের ছেলে: \li2 অসরিয়। \li1 \v 9 হিষ্রোণের যে ছেলেরা জন্মেছিলেন, তারা হলেন: \li2 যিরহমেল, রাম এবং কালেব।\f + \fr 2:9 \fr*\ft অথবা, কালুবায়, যা কালেবেরই ভিন্ন এক বানান।\ft*\f* \s2 হিষ্রোণের ছেলে রাম থেকে উৎপন্ন বংশ \li1 \v 10 রাম অম্মীনাদবের বাবা ছিলেন, \li1 এবং অম্মীনাদব সেই নহশোনের বাবা ছিলেন, যিনি যিহূদা বংশের নেতা ছিলেন। \li1 \v 11 নহশোন সল্‌মনের বাবা ছিলেন,\f + \fr 2:11 \fr*\ft অথবা, শল্ম (\+xt রূত 4:21\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* \li1 সল্‌মন ছিলেন বোয়সের বাবা, \li1 \v 12 বোয়স ছিলেন ওবেদের বাবা এবং \li1 ওবেদ ছিলেন যিশয়ের বাবা। \b \li1 \v 13 যিশয় তাঁর বড়ো ছেলে \li2 ইলীয়াবের বাবা ছিলেন; তাঁর দ্বিতীয় ছেলে অবীনাদব, \li2 তৃতীয়জন শম্ম, \v 14 চতুর্থজন নথনেল, \li2 পঞ্চমজন রদ্দয়, \v 15 ষষ্ঠজন ওৎসম এবং \li2 সপ্তমজন দাউদ। \li2 \v 16 তাদের বোনেরা হলেন সরূয়া এবং অবীগল। \li3 সরূয়ার তিন ছেলে হলেন অবীশয়, যোয়াব এবং অসাহেল। \li3 \v 17 অবীগল হলেন সেই অমাসার মা, যাঁর বাবা হলেন ইশ্মায়েলীয় যেথর। \s2 হিষ্রোণের ছেলে কালেব \li1 \v 18 হিষ্রোণের ছেলে কালেব তাঁর স্ত্রী অসূবার দ্বারা (এবং যিরিয়োতের দ্বারা) সন্তান লাভ করলেন। অসূবার ছেলেরা হলেন: \li2 যেশর, শোবব এবং অর্দোন। \li1 \v 19 অসূবা মারা যাওয়ার পর কালেব সেই ইফ্রাথাকে বিয়ে করলেন, যিনি তাঁর ঔরসে হূরকে জন্ম দিলেন। \li2 \v 20 হূর ঊরির বাবা ছিলেন, এবং ঊরি ছিলেন বৎসলেলের বাবা। \b \li1 \v 21 পরে হিষ্রোণের বয়স যখন ষাট বছর, তখন তিনি গিলিয়দের বাবা মাখীরের মেয়েকে বিয়ে করলেন। তিনি তাঁর সাথে সহবাস করলেন, এবং তাঁর স্ত্রী তাঁর ঔরসে সগূবকে জন্ম দিলেন। \li2 \v 22 সগূব সেই যায়ীরের বাবা, যিনি গিলিয়দে তেইশটি নগরকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। \li2 \v 23 (কিন্তু গশূর ও অরাম হবৎ-যায়ীর\f + \fr 2:23 \fr*\ft অথবা যায়ীরের উপনিবেশগুলি\ft*\f* দখল করে নিয়েছিল, এছাড়াও তারা কনাৎ ও সেটির পার্শ্ববর্তী উপনিবেশগুলিও—অর্থাৎ ষাটটি নগর দখল করে নিয়েছিল) \li4 এরা সবাই গিলিয়দের বাবা মাখীরের বংশধর। \li1 \v 24 কালেব-ইফ্রাথায় হিষ্রোণ মারা যাওয়ার পর হিষ্রোণের স্ত্রী অবিয়া তাঁর ঔরসে তকোয়ের বাবা\f + \fr 2:24 \fr*\ft বাবা শব্দের অর্থ পৌর-নেতা, বা সামরিক-নেতাও হতে পারে; \+xt 42|link-href="1CH 2:42"\+xt*, \+xt 45|link-href="1CH 2:45"\+xt*, \+xt 49-52|link-href="1CH 2:49-52"\+xt* পদের ক্ষেত্রে ও খুব সম্ভবত অন্যত্রও এই অর্থ প্রযোজ্য।\ft*\f* অস্‌হূরকে জন্ম দিলেন। \s2 হিষ্রোণের ছেলে যিরহমেল \li1 \v 25 হিষ্রোণের বড়ো ছেলে যিরহমেলের ছেলেরা: \li2 তাঁর বড়ো ছেলে রাম, পরে যথাক্রমে বূনা, ওরণ, ওৎসম ও\f + \fr 2:25 \fr*\ft অথবা, ওরণ ও ওৎসম, যারা অহিয় দ্বারা জাত হলেন\ft*\f* অহিয়। \v 26 যিরহমেলের অন্য আর এক স্ত্রীও ছিলেন, যাঁর নাম অটারা; তিনি ওনমের মা। \li1 \v 27 যিরহমেলের বড়ো ছেলে রামের ছেলেরা: \li2 মাষ, যামীন ও একর। \li1 \v 28 ওনমের ছেলেরা: \li2 শম্ময় ও যাদা। \li1 শম্ময়ের ছেলেরা: \li2 নাদব ও অবীশূর। \v 29 অবীশূরের স্ত্রীর নাম অবীহয়িল, যিনি তাঁর ঔরসে অহবান ও মোলীদকে জন্ম দিলেন। \li1 \v 30 নাদবের ছেলেরা: \li2 সেলদ ও অপ্পয়িম। সেলদ নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলেন। \li1 \v 31 অপ্পয়িমের ছেলে: \li2 যিশী, যিনি শেশনের বাবা। শেশন অহলয়ের বাবা। \li1 \v 32 শম্ময়ের ভাই যাদার ছেলেরা: \li2 যেথর ও যোনাথন। যেথর নিঃসন্তান অবস্থায় মারা গেলেন। \li1 \v 33 যোনাথনের ছেলেরা: \li2 পেলৎ ও সাসা। \li4 এরাই হলেন যিরহমেলের বংশধর। \b \li1 \v 34 শেশনের কোনও ছেলে ছিল না—ছিল শুধু কয়েকটি মেয়ে। \li2 যার্হা নামে তাঁর মিশরীয় এক দাস ছিল। \v 35 শেশন তাঁর মেয়ের সাথে তাঁর দাস যার্হার বিয়ে দিলেন, এবং তিনি যার্থার ঔরসে অত্তয়ের জন্ম দিলেন। \li1 \v 36 অত্তয় নাথনের বাবা, \li1 নাথন সাবদের বাবা, \li1 \v 37 সাবদ ইফললের বাবা, \li1 ইফলল ওবেদের বাবা, \li1 \v 38 ওবেদ যেহূর বাবা, \li1 যেহূ অসরিয়র বাবা, \li1 \v 39 অসরিয় হেলসের বাবা, \li1 হেলস ইলীয়াসার বাবা, \li1 \v 40 ইলীয়াসা সিসময়ের বাবা, \li1 সিসময় শল্লুমের বাবা, \li1 \v 41 শল্লুম যিকমিয়ের বাবা, \li1 এবং যিকমিয় ইলীশামার বাবা। \s2 কালেবের বংশ \li1 \v 42 যিরহমেলের ভাই কালেবের ছেলেরা: \li2 তাঁর বড়ো ছেলে মেশা, যিনি সীফের বাবা, \li2 এবং তাঁর ছেলে মারেশা,\f + \fr 2:42 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় এই বাক্যাংশটির অর্থ অনিশ্চিত\ft*\f* যিনি হিব্রোণের বাবা। \li1 \v 43 হিব্রোণের ছেলেরা: \li2 কোরহ, তপূহ, রেকম ও শেমা। \li1 \v 44 শেমা রহমের বাবা, \li2 এবং রহম যর্কিয়মের বাবা। \li1 রেকম শম্ময়ের বাবা। \li1 \v 45 শম্ময়ের ছেলে মায়োন, \li2 এবং মায়োন বেত-সূরের বাবা। \li1 \v 46 কালেবের উপপত্নী ঐফা হারণ, \li2 মোৎসা ও গাসেসের মা। \li2 হারণ গাসেসের বাবা। \li1 \v 47 যেহদয়ের ছেলেরা: \li2 রেগম, যোথম, গেসন, পেলট, ঐফা ও শাফ। \li1 \v 48 কালেবের উপপত্নী মাখা \li2 শেবর ও তির্হনহ। \li2 \v 49 এছাড়াও তিনি মদ্‌মন্নার বাবা শাফ এবং মক্‌বেনার \li2 ও গিবিয়ার বাবা শিবাকে জন্ম দিলেন। \li1 কালেবের মেয়ের নাম অক্‌ষা। \li4 \v 50 এরাই হলেন কালেবের বংশধর। \b \li1 ইফ্রাথার বড়ো ছেলে হূরের ছেলেরা: \li2 কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের বাবা শোবল, \v 51 বেথলেহেমের বাবা শল্‌ম, এবং বেথ-গাদের বাবা হারেফ। \li1 \v 52 কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের বাবা শোবলের বংশধরেরা: \li2 মনূহোতীয়দের অর্ধাংশ হরোয়া, \v 53 এবং কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের বংশ: যিত্রীয়, পূথীয়, শূমাথীয় মিশ্রায়ীয়রা। এদের থেকেই সরাথীয় ও ইষ্টায়োলীয়রা উৎপন্ন হল। \li1 \v 54 শল্‌মের বংশধরেরা: \li2 বেথলেহেম, নটোফাতীয়, অট্রোৎ-বেৎযোয়াব, মনহতীয়দের অর্ধাংশ, সরায়ীয়, \v 55 এবং যাবেষে বসবাসকারী শাস্ত্রবিদদের বংশ\f + \fr 2:55 \fr*\ft অথবা, সোফেরীয়দের বংশ\ft*\f*: তিরিথীয়, শিমিয়থীয় ও সূখাথীয়রা। এরা সেই কেনীয়, যারা রেখবীয়দের\f + \fr 2:55 \fr*\ft অথবা, বৈ-রেখবের বাবার\ft*\f* বাবা হম্মতের বংশজাত। \c 3 \s2 দাউদের ছেলেরা \li4 \v 1 দাউদের এই ছেলেদের জন্ম হিব্রোণে হল: \b \li1 বড়ো ছেলে অম্নোন, যিনি যিষ্রিয়েলীয়া অহীনোয়মের ছেলে; \li1 দ্বিতীয়জন, কর্মিলীয়া অবীগলের ছেলে দানিয়েল; \li1 \v 2 তৃতীয়জন, গশূরের রাজা তলময়ের মেয়ে মাখার ছেলে অবশালোম; \li1 চতুর্থজন, হগীতের ছেলে আদোনিয়; \li1 \v 3 পঞ্চমজন, অবীটলের ছেলে শফটিয়; \li1 এবং ষষ্ঠজন, তাঁর স্ত্রী ইগ্লার গর্ভজাত যিত্রিয়ম। \b \li4 \v 4 দাউদের এই ছয় ছেলে সেই হিব্রোণে জন্মেছিলেন, যেখানে তিনি ছয় বছর সাত মাস রাজত্ব করলেন। \b \b \li4 দাউদ জেরুশালেমে তেত্রিশ বছর রাজত্ব করলেন, \v 5 এবং সেখানে তাঁর এই সন্তানদের জন্ম হল: \b \li1 শম্ম,\f + \fr 3:5 \fr*\ft অথবা, শিমিয়\ft*\f* শোবব, নাথন ও শলোমন। এই চারজন অম্মীয়েলের মেয়ে বৎশেবার\f + \fr 3:5 \fr*\ft অথবা, বৎশূয়া\ft*\f* গর্ভজাত। \li1 \v 6 এছাড়াও যিভর, ইলীশূয়,\f + \fr 3:6 \fr*\ft অথবা, ইলীশামা (\+xt 1 বংশাবলি 14:5\+xt* পদ দেখুন)\ft*\f* ইলীফেলট, \v 7 নোগহ, নেফগ, যাফিয়, \v 8 ইলীশামা, ইলিয়াদা ও ইলীফেলট—মোট এই নয়জনও ছিলেন। \b \li4 \v 9 এরা সবাই ছিলেন দাউদের ছেলে, পাশাপাশি তাঁর উপপত্নীদেরও কয়েকটি ছেলে ছিল। তামর ছিলেন তাদের বোন। \s2 যিহূদার রাজারা \li1 \v 10 শলোমনের ছেলে রহবিয়াম, \li1 তাঁর ছেলে অবিয়, \li1 তাঁর ছেলে আসা, \li1 তাঁর ছেলে যিহোশাফট, \li1 \v 11 তাঁর ছেলে যিহোরাম,\f + \fr 3:11 \fr*\ft অথবা, যোরাম\ft*\f* \li1 তাঁর ছেলে অহসিয়, \li1 তাঁর ছেলে যোয়াশ, \li1 \v 12 তাঁর ছেলে অমৎসিয়, \li1 তাঁর ছেলে অসরিয়, \li1 তাঁর ছেলে যোথম, \li1 \v 13 তাঁর ছেলে আহস, \li1 তাঁর ছেলে হিষ্কিয়, \li1 তাঁর ছেলে মনঃশি, \li1 \v 14 তাঁর ছেলে আমোন, \li1 তাঁর ছেলে যোশিয়। \li1 \v 15 যোশিয়ের ছেলেরা: \li2 বড়ো ছেলে যোহানন, \li2 দ্বিতীয় ছেলে যিহোয়াকীম, \li2 তৃতীয়জন সিদিকিয়, \li2 চতুর্থজন শল্লুম। \li1 \v 16 যিহোয়াকীমের উত্তরাধিকারীরা: \li2 তাঁর ছেলে যিহোয়াখীন,\f + \fr 3:16 \fr*\ft অথবা, যিকনিয় (17 পদও দেখুন)\ft*\f* \li2 ও সিদিকিয়। \s2 নির্বাসন-পরবর্তী রাজবংশ \li1 \v 17 বন্দি যিহোয়াখীনের বংশধরেরা: \li2 তাঁর ছেলে শল্টীয়েল, \v 18 মলকীরাম, পদায়, শিনৎসর, যিকমিয়, হোশামা এবং নদবিয়। \li1 \v 19 পদায়ের ছেলেরা: \li2 সরুব্বাবিল ও শিমিয়ি। \li1 সরুব্বাবিলের ছেলেরা: \li2 মশুল্লম ও হনানিয়। তাদের বোনের নাম শলোমীৎ। \v 20 এছাড়াও আরও পাঁচজন ছিলেন: হশুবা, ওহেল, বেরিখিয়, হসদিয় ও যুশব-হেষদ। \li1 \v 21 হনানিয়ের বংশধরেরা: \li2 পলটিয় ও যিশায়াহ, এবং রফায়ের, অর্ণনের, ওবদিয়ের ও শখনিয়ের ছেলেরা। \li1 \v 22 শখনিয়ের বংশধরেরা: \li2 শময়িয় ও তাঁর ছেলেরা: হটূশ, যিগাল, বারীহ, নিয়রিয় ও শাফট—মোট এই ছ-জন। \li1 \v 23 নিয়রিয়ের ছেলেরা: \li2 ইলীয়ৈনয়, হিষ্কিয় ও অস্রীকাম—মোট এই তিনজন। \li1 \v 24 ইলীয়ৈনয়ের ছেলেরা: \li2 হোদবিয়, ইলীয়াশীব, পলায়, অক্কূব, যোহানন, দলায় ও অনানি—মোট এই সাতজন। \c 4 \s2 যিহূদার অন্যান্য বংশগুলি \li1 \v 1 যিহূদার বংশধরেরা: \li2 পেরস, হিষ্রোণ, কর্মি, হূর ও শোবল। \li1 \v 2 শোবলের ছেলে রায়া যহৎ-এর বাবা, এবং যহৎ অহূময় ও লহদের বাবা। এরাই সরাথীয় বংশ। \li1 \v 3 এরা ঐটমের ছেলে\f + \fr 4:3 \fr*\ft অথবা, বাবার ছেলে\ft*\f*: \li2 যিষ্রিয়েল, যিশ্মা ও যিদবশ। তাদের বোনের নাম হৎসলিল-পোনী। \v 4 গদোরের বাবা পনূয়েল, এবং হূশের বাবা এষর। \li1 এরাই ইফ্রাথার বড়ো ছেলে ও বেথলেহেমের বাবা\f + \fr 4:4 \fr*\ft বাবা শব্দের অর্থ হতে পারে পৌর-নেতা বা সামরিক-নেতা (12, 14, 17, 18 পদও দেখতে পারেন)\ft*\f* হূরের বংশধর। \li1 \v 5 তকোয়ের বাবা অস্‌হূরের দুই স্ত্রী ছিল, যাদের নাম হিলা ও নারা। \li1 \v 6 নারা তাঁর ঔরসে অহুষম, হেফর, তৈমনি ও অহষ্টরিকে জন্ম দিলেন। এরাই নারার বংশধর। \li1 \v 7 হিলার ছেলেরা: \li2 সেরৎ, যিৎসোহর, ইৎনন, \v 8 ও কোষ, যিনি আনূব ও সোবেবার এবং হারুমের ছেলে অহর্হল বংশের পূর্বপুরুষ ছিলেন। \b \p \v 9 যাবেষ তাঁর ভাইদের চেয়ে বেশি সম্মানিত ছিলেন। এই বলে তাঁর মা তাঁর নাম রেখেছিলেন যাবেষ,\f + \fr 4:9 \fr*\ft যাবেষ শব্দটি হিব্রু ভাষায় ব্যথাবেদনার মতো শোনায়\ft*\f* যে, “ব্যথাবেদনার মধ্যে দিয়ে আমি তাকে জন্ম দিয়েছি।” \v 10 যাবেষ ইস্রায়েলের ঈশ্বরের উদ্দেশে চিৎকার করে বললেন, “ওহো, তুমি যদি আমায় আশীর্বাদ করতে ও আমার এলাকা বিস্তার করতে! তোমার হাত আমার সঙ্গে থাকুক, ও আমাকে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুক, যেন আমি ব্যথাবেদনা থেকে মুক্ত থাকতে পারি।” আর ঈশ্বর তাঁর অনুরোধ মঞ্জুর করলেন। \b \li1 \v 11 শূহের ভাই কলূব সেই মহীরের বাবা, যিনি ইষ্টোনের বাবা। \v 12 ইষ্টোন বেথ-রাফা, পাসেহ ও সেই তহিন্নের বাবা, যিনি ঈরনাহসের\f + \fr 4:12 \fr*\ft অথবা, নাহসের নগরের\ft*\f* বাবা। এরাই রেকার লোকজন। \b \li1 \v 13 কনসের ছেলেরা: \li2 অৎনীয়েল ও সরায়। \li1 অৎনীয়েলের ছেলেরা: \li2 হথৎ ও মিয়োনোথয়।\f + \fr 4:13 \fr*\ft কিছু কিছু অনুলিপিতে মিয়োনোথয় শব্দটি অনুপস্থিত\ft*\f* \v 14 মিয়োনোথয় অফ্রার বাবা। \li1 সরায় সেই যোয়াবের বাবা, \li2 যিনি গী-হরসীমের\f + \fr 4:14 \fr*\ft গী-হরসীম শব্দের অর্থ সুদক্ষ কর্মীদের উপত্যকা\ft*\f* বাবা। যেহেতু সেখানকার লোকজন সুদক্ষ কর্মী ছিল, তাই সেই স্থানটিকে এই নামেই ডাকা হত। \li1 \v 15 যিফূন্নির ছেলে কালেবের ছেলেরা: \li2 ঈরূ, এলা ও নয়ম। \li1 এলার ছেলে: \li2 কনস। \li1 \v 16 যিহলিলেলের ছেলেরা: \li2 সীফ, সীফা, তীরিয় ও অসারেল। \li1 \v 17 ইষ্রার ছেলেরা: \li2 যেথর, মেরদ, এফর ও যালোন। \li1 মেরদের স্ত্রীদের মধ্যে একজন মরিয়ম, শম্ময় ও সেই যিশবহকে জন্ম দিলেন, যিনি ইষ্টিমোয়ের বাবা। \v 18 তাঁর যিহূদাবংশীয়া স্ত্রী গদোরের বাবা যেরদকে, সোখোর বাবা হেবরকে, \li1 এবং সানোহের বাবা যিকুথিয়েলকে জন্ম দিলেন এরা সবাই ফরৌণের মেয়ে সেই বিথিয়ার সন্তান, যাঁকে মেরদ বিয়ে করলেন। \li1 \v 19 হোদিয়ের স্ত্রী তথা নহমের বোনের ছেলেরা: \li2 গর্মীয় কিয়ীলার বাবা, ও মাখাতীয় ইষ্টিমোয়। \li1 \v 20 শীমোনের ছেলেরা: \li2 অম্নোন, রিন্ন, বিন-হানন ও তীলোন। \li1 যিশীর বংশধরেরা: \li2 সোহেৎ ও বিন-সোহেৎ। \li1 \v 21 যিহূদার ছেলে শেলার ছেলেরা: \li2 লেকার বাবা এর, মারেশার বাবা লাদা এবং বৈৎ-অসবেয়ের যেসব কারিগর মসিনার কাপড় বুনতো, তাদের বংশধররা, \li2 \v 22 যোকীম, কোষেবার লোকজন, এবং সেই যোয়াশ ও সারফ, যারা মোয়াবে রাজত্ব করতেন এবং যাশূবি-লেহম। (এই নথিগুলি প্রাচীনকালে সংগৃহীত) \v 23 তারা সেইসব কুমোর, যারা নতায়ীম ও গদেরায় বসবাস করত; তারা সেখানে থাকত ও রাজার জন্য কাজ করত। \s1 শিমিয়োন \li1 \v 24 শিমিয়োনের বংশধরেরা: \li2 নমূয়েল, যামীন, যারীব, সেরহ ও শৌল; \li2 \v 25 শৌলের ছেলে শল্লুম, তাঁর ছেলে মিব্‌সম ও তাঁর ছেলে মিশ্‌ম। \li1 \v 26 মিশ্‌মের বংশধরেরা: \li2 তাঁর ছেলে হম্মুয়েল, তাঁর ছেলে শক্কুর ও তাঁর ছেলে শিময়ি। \b \p \v 27 শিময়ির ষোল ছেলে ও ছয় মেয়ে ছিল, কিন্তু তাঁর ভাইদের খুব বেশি সন্তান ছিল না; তাই তাদের গোটা বংশ যিহূদা বংশের মতো বহুসংখ্যক হতে পারেনি। \v 28 তারা বের-শেবা, মোলাদা, হৎসর-শূয়াল, \v 29 বিলহা, এৎসম, তোলদ, \v 30 বথূয়েল, হর্মা, সিক্লগ, \v 31 বেথ-মর্কাবোৎ, শৎসর-সূষীম, বেথ-বিরী ও শারয়িমে বসবাস করতেন। দাউদের রাজত্ব পর্যন্ত এগুলিই তাদের নগর ছিল। \v 32 তাদের চারপাশের গ্রামগুলি হল ঐটম, ওন, রিম্মোণ, তোখেন ও আশন—পাঁচটি নগর— \v 33 এবং বালাত\f + \fr 4:33 \fr*\ft অথবা, বায়াল (\+xt যিহোশূয় 19:8\+xt* পদ দেখুন)\ft*\f* পর্যন্ত এই নগরগুলি ঘিরে থাকা সব গ্রাম। এগুলিই ছিল তাদের উপনিবেশ। \b \li4 আর তারা এক বংশতালিকা রেখেছিলেন। \b \li1 \v 34 মশোবব, যম্লেক, \li1 অমৎসিয়ের ছেলে যোশঃ, \v 35 তার ছেলে যোয়েল, \li1 তার ছেলে অসীয়েল, তার ছেলে সরায়, তার ছেলে যোশিবিয়, তার ছেলে যেহূ, \li1 \v 36 এছাড়াও ইলীয়ৈনয়, যাকোবা, যিশোহায়, \li1 অসায়, অদীয়েল, যিশীমীয়েল, বনায়, \li1 \v 37 ও শমিয়িয়ের ছেলে সিম্রি, তার ছেলে যিদয়িয়, তার ছেলে অলোন, তার ছেলে শিফি, তার ছেলে সীষঃ। \b \li4 \v 38 যাদের নাম উপরে নথিভুক্ত করা হয়েছে তারা তাদের বংশের নেতা ছিলেন। \b \p তাদের পরিবারগুলি প্রচুর সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছিল, \v 39 এবং তাদের পশুপালের জন্য চারণভূমির সন্ধান করতে করতে তারা উপত্যকার পূর্বদিকে গদোরের প্রান্তদেশ পর্যন্ত চলে গেলেন। \v 40 তারা উর্বর, উপযুক্ত চারণভূমির সন্ধান পেয়েছিলেন, এবং সেই দেশটি ছিল সুপরিসর, শান্তিপূর্ণ ও নির্জন। আগে সেখানে হাম বংশীয় কিছু লোকজন বসবাস করত। \p \v 41 যাদের নাম নথিভুক্ত হল, তারা যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের সময়ে এলেন। তারা হাম বংশীয় লোকদের বাসস্থান ও সেখানে থাকা মিয়ূনীয়দেরও আক্রমণ করলেন এবং তাদের পুরোপুরি ধ্বংস\f + \fr 4:41 \fr*\ft হিব্রু শব্দটি সদাপ্রভুর উদ্দেশে বস্তু বা ব্যক্তিদের চূড়ান্ত দান করার ইঙ্গিতবাহী, যা প্রায়ই তাদের পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার মাধ্যমেই করা হত।\ft*\f* করে দিলেন, আজও পর্যন্ত যা স্পষ্ট হয়ে আছে। পরে তারা তাদের স্থানে বসতি স্থাপন করলেন, যেহেতু সেখানে তাদের পশুপালের জন্য চারণভূমি ছিল। \v 42 এবং এই শিমিয়োনীয়দের মধ্যে 500 জন সেয়ীরের পার্বত্য এলাকা দখল করল, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন যিশীর ছেলে পলটিয়, নিয়রিয়, রফায়িয় ও উষীয়েল। \v 43 যারা পালিয়ে গেল, তারা অবশিষ্ট সেই অমালেকীয়দের হত্যা করলেন, এবং আজও পর্যন্ত তারা সেখানেই বসবাস করছেন। \c 5 \s1 রূবেণ \li4 \v 1 ইস্রায়েলের বড়ো ছেলে রূবেণের ছেলেরা: (তিনি বড়ো ছেলে ছিলেন, কিন্তু যখন তিনি তাঁর বাবার বিবাহ-শয্যা কলুষিত করলেন, তখন তাঁর জ্যেষ্ঠাধিকার ইস্রায়েলের ছেলে যোষেফের ছেলেদের দিয়ে দেওয়া হল; তাই তাঁর জন্মগত অধিকারের আধারে তিনি বংশতালিকায় স্থান পাননি, \v 2 এবং যদিও যিহূদা তাঁর দাদা-ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিলেন ও তাঁর থেকেই একজন শাসনকর্তা উৎপন্ন হলেন, জেষ্ঠাধিকার কিন্তু যোষেফেরই থেকে গেল) \v 3 ইস্রায়েলের বড়ো ছেলে রূবেণের ছেলেরা: \b \li2 হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী। \li1 \v 4 যোয়েলের বংশধরেরা: \li2 তাঁর ছেলে শিময়িয়, তাঁর ছেলে গোগ, \li2 তাঁর ছেলে শিমিয়ি, \v 5 তাঁর ছেলে মীখা, \li2 তাঁর ছেলে রায়া, তাঁর ছেলে বায়াল, \li2 \v 6 এবং তাঁর ছেলে বেরা, যাঁকে আসিরিয়ার রাজা তিগ্লৎ-পিলেষর\f + \fr 5:6 \fr*\ft অথবা, তিগ্লৎ-পিলনেষর; 26 পদও দেখুন\ft*\f* বন্দি করে নিয়ে গেলেন। বেরা রূবেণীয়দের একজন নেতা ছিলেন। \li1 \v 7 বংশানুসারে তাদের আত্মীয়স্বজন, যারা তাদের বংশতালিকার আধারে নথিভুক্ত হলেন: \li2 দলনেতা যিয়ীয়েল, সখরিয়, \v 8 ও যোয়েলের ছেলে শেমা, তার ছেলে আসস, তার ছেলে বেলা। \b \p তারা অরোয়ের থেকে নেবো ও বায়াল-মিয়োন পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় বসতি স্থাপন করলেন। \v 9 পূর্বদিকে তারা সেই মরুভূমির প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা দখল করলেন, যা ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, কারণ গিলিয়দে তাদের পশুপাল বৃদ্ধি পেয়েছিল। \p \v 10 শৌলের রাজত্বকালে তারা সেই হাগরীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন, যারা তাদের হাতে পরাজিত হল; গিলিয়দের পূর্বদিকে গোটা এলাকা জুড়ে তারা হাগরীয়দের বাসস্থানগুলি দখল করে নিয়েছিলেন। \s1 গাদ \li4 \v 11 গাদ বংশীয় লোকেরা তাদের পাশাপাশি থেকে সল্‌খা পর্যন্ত বাশনে বসবাস করলেন: \b \li1 \v 12 তাদের দলপতি ছিলেন যোয়েল, দ্বিতীয়জন শাফম, পরে যানয় ও শাফট, যারা বাশনে ছিলেন। \li1 \v 13 পরিবার ধরে ধরে তাদের আত্মীয়স্বজন হলেন: \li2 মীখায়েল, মশুল্লম, শেবা, যোরায়, যাকন, সীয় ও এবর—মোট সাতজন। \li2 \v 14 এরা হলেন বূষের ছেলে যহদোর, তার ছেলে যিশীশয়, তার ছেলে মীখায়েল, তার ছেলে গিলিয়দ, তার ছেলে যারোহ, তার ছেলে হূরি, তার ছেলে যে অবীহয়িল, এরা সব তাঁর ছেলে। \li2 \v 15 গূনির ছেলে অব্দিয়েল, তার ছেলে অহি, তাদের পরিবারের কর্তা ছিলেন। \b \p \v 16 গাদ বংশীয় লোকেরা গিলিয়দে, বাশনে ও সেখানকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে, ও শারোণের সব চারণভূমি পর্যন্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করতেন। \p \v 17 যিহূদার রাজা যোথম ও ইস্রায়েলের রাজা যারবিয়ামের রাজত্বকালেই এরা সবাই বংশতালিকায় ঢুকে পড়েছিলেন। \b \p \v 18 রূবেণীয়, গাদীয় ও মনঃশির অর্ধেক বংশে 44,760 জন সামরিক পরিষেবার জন্য প্রস্তুত ছিল—যারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিল এবং ঢাল ও তরোয়াল চালাতে পারত, ধনুক ব্যবহার করতে পারত, ও যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষিতও ছিল। \v 19 তারা হাগরীয়দের, যিটূরের, নাফীশের ও নোদবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হল। \v 20 এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় তারা সাহায্য পেয়েছিল, এবং ঈশ্বর হাগরীয় ও তাদের মিত্রশক্তিকে তাদের হাতে সঁপে দিলেন, কারণ যুদ্ধ চলার সময় তারা তাঁর কাছে কেঁদেছিল। তিনি তাদের প্রার্থনার উত্তর দিলেন, যেহেতু তারা তাঁর উপর ভরসা রেখেছিল। \v 21 তারা হাগরীয়দের গবাদি পশুপাল দখল করে নিয়েছিল: 50,000-টি উট, 2,50,000-টি মেষ ও 2,000-টি গাধা। তারা 1,00,000 লোককেও বন্দি করল, \v 22 এবং আরও অনেকে মারা পড়েছিল, কারণ যুদ্ধটি ঈশ্বরেরই ছিল। এবং নির্বাসনকাল পর্যন্ত তারা দেশটি অধিকার করেই থেকে গেল। \s1 মনঃশির অর্ধেক বংশ \p \v 23 মনঃশির অর্ধেক বংশের লোকেরা সংখ্যায় প্রচুর ছিল; তারা সেই দেশে বাশন থেকে বায়াল-হর্মোণ, অর্থাৎ সনীর (হর্মোণ পর্বত) পর্যন্ত বসতি স্থাপন করল। \p \v 24 এরাই তাদের পরিবারের কর্তা ছিলেন: এফর, যিশী, ইলীয়েল: অস্রীয়েল, যিরমিয়, হোদবিয় ও যহদীয়েল। তারা সাহসী যোদ্ধা, বিখ্যাত পুরুষ, ও তাদের পরিবারের কর্তা ছিলেন। \v 25 কিন্তু তারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বস্ত হলেন এবং তারা দেশের লোকদের সেইসব দেবতার উদ্দেশে বেশ্যাবৃত্তি চালিয়েছিলেন, ঈশ্বর যাদের তাদের সামনেই ধ্বংস করেছিলেন। \v 26 অতএব ইস্রায়েলের ঈশ্বর আসিরিয়ার রাজা সেই পূলের (অর্থাৎ, আসিরিয়ার রাজা তিগ্লৎ-পিলেষরের) মন উত্তেজিত করে তুলেছিলেন, যিনি রূবেণীয়দের, গাদীয়দের ও মনঃশির অর্ধেক বংশকে বন্দি করে নিয়ে গেলেন। তিনি তাদের সেই হলহে, হাবোরে, হারাতে ও গোষণ নদীতীরে নিয়ে গেলেন, আজও পর্যন্ত তারা যেখানে রয়ে গিয়েছে। \c 6 \s1 লেবি \li1 \v 1 লেবির ছেলেরা: \li2 গের্শোন, কহাৎ ও মরারি। \li1 \v 2 কহাতের ছেলেরা: \li2 অম্রাম, যিষ্‌হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল। \li1 \v 3 অম্রামের সন্তানেরা: \li2 হারোণ, মোশি ও মরিয়ম। \li1 হারোণের ছেলেরা: \li2 নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামর। \li2 \v 4 ইলীয়াসর পীনহসের বাবা, \li2 পীনহস অবিশূয়ের বাবা, \li2 \v 5 অবিশূয় বুক্কির বাবা, \li2 বুক্কি উষির বাবা, \li2 \v 6 উষি সরহিয়ের বাবা, \li2 সরহিয় মরায়োতের বাবা, \li2 \v 7 মরায়োত অমরিয়ের বাবা, \li2 অমরিয় অহীটূবের বাবা, \li2 \v 8 অহীটূব সাদোকের বাবা, \li2 সাদোক অহীমাসের বাবা, \li2 \v 9 অহীমাস অসরিয়ের বাবা, \li2 অসরিয় যোহাননের বাবা, \li2 \v 10 যোহানন অসরিয়ের বাবা। \li2 শলোমন জেরুশালেমে যে মন্দির নির্মাণ করেছিলেন, অসরিয় সেখানেই যাজকরূপে সেবাকাজ করতেন। \li2 \v 11 অসরিয় অমরিয়ের বাবা, \li2 অমরিয় অহীটূবের বাবা, \li2 \v 12 অহীটূব সাদোকের বাবা, \li2 সাদোক শল্লুমের বাবা, \li2 \v 13 শল্লুম হিল্কিয়ের বাবা, \li2 হিল্কিয় অসরিয়ের বাবা, \li2 \v 14 অসরিয় সরায়ের বাবা, \li2 সরায় যোষাদকের\f + \fr 6:14 \fr*\ft অথবা, যিহোষাদকের; 15 পদও দেখুন\ft*\f* বাবা \li2 \v 15 সদাপ্রভু যখন নেবুখাদনেজারের হাত দিয়ে যিহূদা ও জেরুশালেমকে নির্বাসনে পাঠালেন, তখন এই যোষাদকও নির্বাসিত হলেন। \b \li1 \v 16 লেবির ছেলেরা: \li2 গের্শোন,\f + \fr 6:16 \fr*\ft অথবা, গের্শোম; 17, 20, 43, 62 ও 71 পদও দেখুন\ft*\f* কহাৎ ও মরারি। \li1 \v 17 গের্শোনের ছেলেদের নাম এইরকম: \li2 লিব্‌নি ও শিমিয়ি। \li1 \v 18 কহাতের ছেলেরা: \li2 অম্রাম, যিষ্‌হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল। \li1 \v 19 মরারির ছেলেরা: \li2 মহলি ও মূশি। \b \li4 পূর্বপুরুষদের কুলানুসারে এরাই লেবীয়দের নথিভুক্ত বংশধর: \li1 \v 20 গের্শোনের: \li2 তাঁর ছেলে লিব্‌নি, তাঁর ছেলে যহৎ, \li2 তাঁর ছেলে সিম্ম, \v 21 তাঁর ছেলে যোয়াহ, \li2 তাঁর ছেলে ইদ্দো, তাঁর ছেলে সেরহ \li2 এবং তাঁর ছেলে যিয়ত্রয়। \li1 \v 22 কহাতের বংশধরেরা: \li2 তাঁর ছেলে অম্মীনাদব, তাঁর ছেলে কোরহ, \li2 তাঁর ছেলে অসীর, \v 23 তাঁর ছেলে ইল্‌কানা, \li2 তাঁর ছেলে ইবীয়াসফ, তাঁর ছেলে অসীর, \li2 \v 24 তাঁর ছেলে তহৎ, তাঁর ছেলে ঊরীয়েল, \li2 তাঁর ছেলে উষিয় ও তাঁর ছেলে শৌল। \li1 \v 25 ইল্‌কানার বংশধরেরা: \li2 অমাসয়, অহীমোৎ, \li2 \v 26 তাঁর ছেলে ইল্‌কানা,\f + \fr 6:26 \fr*\ft অথবা, অহীমোৎ ও ইল্‌কানা। ইল্‌কানার ছেলেরা:\ft*\f* তাঁর ছেলে সোফী, \li2 তাঁর ছেলে নহৎ, \v 27 তাঁর ছেলে ইলীয়াব, \li2 তাঁর ছেলে যিরোহম, তাঁর ছেলে ইল্‌কানা \li2 ও তাঁর ছেলে শমূয়েল।\f + \fr 6:27 \fr*\ft কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে তাঁর ছেলে শমূয়েল কথাটি অনুপস্থিত\ft*\f* \li1 \v 28 শমূয়েলের ছেলেরা: \li2 বড়ো ছেলে যোয়েল\f + \fr 6:28 \fr*\ft কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে যোয়েল শব্দটি অনুপস্থিত\ft*\f* \li2 ও দ্বিতীয় ছেলে অবিয়। \li1 \v 29 মরারির বংশধরেরা: \li2 মহলি, তাঁর ছেলে লিব্‌নি, \li2 তাঁর ছেলে শিমিয়ি, তাঁর ছেলে উষ, \li2 \v 30 তাঁর ছেলে শিমিয়, তাঁর ছেলে হগিয়, \li2 তাঁর ছেলে অসায়। \s2 মন্দিরের সংগীতশিল্পীরা \p \v 31 নিয়ম-সিন্দুকটি সদাপ্রভুর গৃহে বিশ্রামস্থান লাভের পর দাউদ সেই গৃহে গানবাজনা করার দায়িত্ব যাদের হাতে তুলে দিলেন, তারা এইসব লোক। \v 32 যতদিন না শলোমন জেরুশালেমে সদাপ্রভুর মন্দির নির্মাণ করলেন, ততদিন তারা সমাগম তাঁবুর, সেই সমাগম তাঁবুর সামনে গানবাজনা সমেত পরিচর্যা করে গেলেন। তাদের জন্য নিরূপিত নিয়মানুসারে তারা তাদের কর্তব্য পালন করে যেতেন। \b \li4 \v 33 এরা সেইসব লোক, যারা তাদের ছেলেদের সঙ্গে নিয়ে সেবাকাজ করে গেলেন: \b \li1 কহাতীয়দের মধ্যে থেকে: \li2 গায়ক হেমন, \li2 তিনি যোয়েলের ছেলে, তিনি শমূয়েলের ছেলে, \li2 \v 34 তিনি ইল্‌কানার ছেলে, তিনি যিরোহমের ছেলে, \li2 তিনি ইলীয়েলের ছেলে, তিনি তোহের ছেলে, \li2 \v 35 তিনি সূফের ছেলে, তিনি ইল্‌কানার ছেলে, \li2 তিনি মাহতের ছেলে, তিনি অমাসয়ের ছেলে, \li2 \v 36 তিনি ইল্‌কানার ছেলে, তিনি যোয়েলের ছেলে, \li2 তিনি অসরিয়ের ছেলে, তিনি সফনিয়ের ছেলে, \li2 \v 37 তিনি তহতের ছেলে, তিনি অসীরের ছেলে, \li2 তিনি ইবীয়াসফের ছেলে, তিনি কোরহের ছেলে, \li2 \v 38 তিনি যিষ্‌হরের ছেলে, তিনি কহাতের ছেলে, \li2 তিনি লেবির ছেলে, তিনি ইস্রায়েলের ছেলে; \li1 \v 39 এবং হেমনের সহকর্মী ছিলেন সেই আসফ, যিনি তাঁর ডানদিকে দাঁড়িয়ে থেকে সেবাকাজ করতেন: \li2 আসফ বেরিখিয়ের ছেলে, তিনি শিমিয়ির ছেলে, \li2 \v 40 তিনি মীখায়েলের ছেলে, তিনি বাসেয়ের\f + \fr 6:40 \fr*\ft অথবা, মাসেয়ের\ft*\f* ছেলে, \li2 তিনি মল্কিয়ের ছেলে, \v 41 তিনি ইৎনির ছেলে, \li2 তিনি সেরহের ছেলে, তিনি অদায়ার ছেলে, \li2 \v 42 তিনি এথনের ছেলে, তিনি সিম্মের ছেলে, \li2 তিনি শিমিয়ির ছেলে, \v 43 তিনি যহতের ছেলে, \li2 তিনি গের্শোনের ছেলে, তিনি লেবির ছেলে; \li1 \v 44 এবং তাদের সহকর্মীদের মধ্যে থেকে, মরারীয়রা তাঁর বাঁদিকে দাঁড়াতেন: \li2 এথন কীশির ছেলে, তিনি অব্দির ছেলে, \li2 তিনি মল্লুকের ছেলে, \v 45 তিনি হশবিয়ের ছেলে, \li2 তিনি অমৎসিয়ের ছেলে, তিনি হিল্কিয়ের ছেলে, \li2 \v 46 তিনি অমসির ছেলে, তিনি বানির ছেলে, \li2 তিনি শেমরের ছেলে, \v 47 তিনি মহলির ছেলে, \li2 তিনি মূশির ছেলে, তিনি মরারির ছেলে, \li2 তিনি লেবির ছেলে। \b \p \v 48 তাদের সাথী লেবীয়দেরও সদাপ্রভুর গৃহের, সেই সমাগম তাঁবুর অন্যান্য সব কাজকর্ম করার দায়িত্ব দেওয়া হল। \v 49 কিন্তু হারোণ ও তাঁর বংশধররাই মহাপবিত্রস্থানে যা যা করণীয়, সেই প্রথানুসারে হোমবলির বেদির ও ধূপবেদির উপর উপহার উৎসর্গ করার মাধ্যমে ঈশ্বরের দাস মোশির দেওয়া আদেশানুসারে ইস্রায়েলের জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতেন। \b \li1 \v 50 এরাই হারোণের বংশধর: \li2 তাঁর ছেলে ইলীয়াসর, তাঁর ছেলে পীনহস, \li2 তাঁর ছেলে অবিশূয়, \v 51 তাঁর ছেলে বুক্কি, \li2 তাঁর ছেলে উষি, তাঁর ছেলে সরাহিয়, \li2 \v 52 তাঁর ছেলে মরায়োৎ, তাঁর ছেলে অমরিয়, \li2 তাঁর ছেলে অহীটূব, \v 53 তাঁর ছেলে সাদোক \li2 এবং তাঁর ছেলে অহীমাস। \b \li4 \v 54 তাদের এলাকারূপে এই স্থানগুলিই তাদের উপনিবেশ গড়ার জন্য চিহ্নিত হল: (সেগুলি হারোণের সেই বংশধরদের জন্যই চিহ্নিত হল, যারা কহাতীয় বংশোদ্ভূত ছিল, কারণ প্রথম ভাগটি তাদের জন্যই ছিল) \li1 \v 55 তাদের যিহূদা অঞ্চলের হিব্রোণ ও সেখানকার চারপাশের চারণভূমিগুলি দেওয়া হল। \v 56 কিন্তু ক্ষেতজমি ও নগর ঘিরে থাকা গ্রামগুলি দেওয়া হল যিফূন্নির ছেলে কালেবকে। \v 57 অতএব হারোণের বংশধরদের দেওয়া হল হিব্রোণ (এক আশ্রয়-নগর), ও লিব্‌না,\f + \fr 6:57 \fr*\ft \+xt যিহোশূয় 21:13\+xt* পদ দেখুন; এই আশ্রয়-নগরগুলি দেওয়া হল: হিব্রোণ, লিব্‌না।\ft*\f* যত্তীর, ইষ্টিমোয়, \v 58 হিলেন, দবীর, \v 59 আশন, যুটা\f + \fr 6:59 \fr*\ft \+xt যিহোশূয় 21:16\+xt* পদ দেখুন; কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে যুটা অনুপস্থিত\ft*\f* ও বেত-শেমশ, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তাদের দেওয়া হল। \li1 \v 60 বিন্যামীন বংশ থেকে তাদের দেওয়া হল গিবিয়োন,\f + \fr 6:60 \fr*\ft \+xt যিহোশূয় 21:17\+xt* পদ দেখুন; কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে গিবিয়োন অনুপস্থিত\ft*\f* গেবা, আলেমৎ ও অনাথোৎ, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তাদের দেওয়া হল। \li4 কহাতীয় বংশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া নগরের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল মোট তেরোটি। \b \li1 \v 61 কহাতের বাদবাকি বংশধরদের মনঃশির অর্ধেক বংশের অধিকার থেকে দশটি নগর দেওয়া হল। \li1 \v 62 বংশ ধরে ধরে গের্শোনের বংশধরদের ইষাখর, আশের ও নপ্তালি বংশ থেকে, এবং মনঃশি বংশের সেই অংশ, যারা বাশনে ছিল, তাদের থেকে তোরোটি নগর দেওয়া হল। \li1 \v 63 বংশ ধরে ধরে মরারির বংশধরদের রূবেণ, গাদ ও সবূলূন বংশ থেকে বারোটি নগর দেওয়া হল। \b \li4 \v 64 অতএব ইস্রায়েলীরা লেবীয়দের এইসব নগর ও সেগুলির চারণভূমিও দিয়েছিল। \b \li1 \v 65 যিহূদা, শিমিয়োন ও বিন্যামীন বংশ থেকে তারা সেই নগরগুলি দিয়েছিল, যেগুলির নামোল্লেখ আগে করা হয়েছে। \b \li4 \v 66 কহাতীয়দের কয়েকটি বংশকে তাদের এলাকাভুক্ত নগররূপে ইফ্রয়িম বংশ থেকে কয়েকটি নগর দেওয়া হল। \li1 \v 67 ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকায় তাদের শিখিম (এক আশ্রয়-নগর), ও গেষর,\f + \fr 6:67 \fr*\ft \+xt যিহোশূয় 21:21\+xt* পদ দেখুন; এই আশ্রয়-নগরগুলি দেওয়া হল: শিখিম, গেষর।\ft*\f* \v 68 যকমিয়াম, বেথ-হোরোণ, \v 69 অয়ালোন ও গাৎ-রিম্মোণ এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও দেওয়া হল। \li1 \v 70 মনঃশির অর্ধেক বংশ থেকে ইস্রায়েলীরা কহাতীয় বংশের বাদবাকি লোকজনকে আনের ও বিলয়ম এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও দিয়েছিল। \b \li4 \v 71 গের্শোনীয়রা নিম্নলিখিত নগরগুলি পেয়েছিল: \li1 মনঃশির অর্ধেক বংশের অধিকার থেকে তারা পেয়েছিল বাশনে অবস্থিত গোলন ও অষ্টারোৎ, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তারা পেয়েছিল; \li1 \v 72 ইষাখর বংশ থেকে তারা পেয়েছিল কেদশ, দাবরৎ, \v 73 রামোৎ ও আনেম, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তারা পেয়েছিল; \li1 \v 74 আশের বংশ থেকে তারা পেয়েছিল মশাল, আব্দোন, \v 75 হূকোক ও রাহব, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তারা পেয়েছিল; \li1 \v 76 এবং নপ্তালি বংশ থেকে তারা পেয়েছিল গালীলে অবস্থিত কেদশ, হম্মোন ও কিরিয়াথয়িম, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তারা পেয়েছিল। \b \li4 \v 77 মরারীয়রা (বাদবাকি লেবীয়রা) নিম্নলিখিত (নগরগুলি) পেয়েছিল: \li1 সবূলূন বংশ থেকে তারা পেয়েছিল যক্নিয়াম, কার্তা,\f + \fr 6:77 \fr*\ft \+xt যিহোশূয় 21:34\+xt* পদ দেখুন; কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে যক্নিয়াম, কার্তা অনুপস্থিত\ft*\f* রিম্মোণো ও তাবোর, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তারা পেয়েছিল; \li1 \v 78 যিরীহোর পূর্বদিকে জর্ডন নদীর পারের রূবেণ বংশ থেকে তারা পেয়েছিল মরুপ্রান্তরে অবস্থিত বেৎসর, যাহসা, \v 79 কদেমোৎ ও মেফাৎ, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তারা পেয়েছিল; \li1 \v 80 এবং গাদ বংশ থেকে তারা পেয়েছিল গিলিয়দে অবস্থিত রামোৎ, মহনয়িম, \v 81 হিষ্‌বোন ও যাসের, এবং সেই নগরগুলির চারণভূমিও তারা পেয়েছিল। \c 7 \s1 ইষাখর \li1 \v 1 ইষাখরের ছেলেরা: \li2 তোলয়, পূয়, যাশূব ও শিম্রোণ—মোট চারজন। \li1 \v 2 তোলয়ের ছেলেরা: \li2 উষি, রফায়, যিরীয়েল, যহময়, যিবসম ও শমূয়েল—তাদের পরিবারের কর্তা। দাউদের রাজত্বকালে, তোলয়ের যেসব বংশধর তাদের বংশতালিকানুসারে যোদ্ধারূপে নথিভুক্ত হল, তাদের সংখ্যা 22,600 জন। \li1 \v 3 উষির ছেলে: \li2 যিষ্রাহিয়। \li1 যিষ্রাহিয়ের ছেলেরা: \li2 মীখায়েল, ওবদিয়, যোয়েল ও যিশিয়। এই পাঁচজনই প্রধান ছিলেন। \v 4 তাদের পারিবারিক বংশতালিকানুসারে, তাদের কাছে 36,000 জন লোক যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিল, কারণ তাদের অনেকগুলি স্ত্রী ও সন্তানসন্ততি ছিল। \li4 \v 5 ইষাখরের সব বংশোদ্ভুক্ত যেসব আত্মীয়স্বজন তাদের বংশতালিকানুসারে যোদ্ধারূপে নথিভুক্ত হল, তাদের সংখ্যা মোট 87,000 জন। \s1 বিন্যামীন \li1 \v 6 বিন্যামীনের ছেলেরা তিনজন: \li2 বেলা, বেখর ও যিদীয়েল। \li1 \v 7 বেলার ছেলেরা: \li2 ইষবোণ, উষি, উষীয়েল, যিরেমৎ ও ঈরী। এরা পরিবারগুলির কর্তা—মোট পাঁচজন। তাদের বংশতালিকায় 22,034 জন যোদ্ধা নথিভুক্ত হল। \li1 \v 8 বেখরের ছেলেরা: \li2 সমীরা, যোয়াশ, ইলীয়েষর, ইলীয়ৈনয়, অম্রি, যিরেমোৎ, অবিয়, অনাথোৎ ও আলেমৎ। এরা সবাই বেখরের ছেলে। \v 9 তাদের বংশতালিকায় 20,200 জন যোদ্ধা নথিভুক্ত হল। \li1 \v 10 যিদীয়েলের ছেলে: \li2 বিলহন। \li1 বিলহনের ছেলেরা: \li2 যিয়ূশ, বিন্যামীন, এহূদ, কানান্না, সেথন, তর্শীশ ও অহীশহর। \v 11 যিদীয়েলের এইসব ছেলে পরিবারের কর্তা ছিলেন। 17,200 জন যোদ্ধা যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। \li1 \v 12 শুপ্পিমীয় ও হুপ্পিমীয়রা ঈরের বংশধর, এবং হূশীয়রা\f + \fr 7:12 \fr*\ft অথবা, দানের ছেলে: হূশীম (\+xt আদি পুস্তক 46:23\+xt* পদ দেখুন); কিছু অনুলিপিতে দানের ছেলে অনুপস্থিত\ft*\f* অহেরের বংশধর। \s1 নপ্তালি \li1 \v 13 নপ্তালির ছেলেরা: \li2 যহসিয়েল, গূনি, যেৎসর ও শিল্লেম\f + \fr 7:13 \fr*\ft অথবা, শল্লুম (\+xt আদি পুস্তক 46:24\+xt* ও \+xt গণনা পুস্তক 26:49\+xt* পদ দেখুন)\ft*\f*—এরা বিলহার বংশধর। \s1 মনঃশি \li1 \v 14 মনঃশির বংশধরেরা: \li2 তাঁর অরামীয় উপপত্নীর মাধ্যমে উৎপন্ন বংশধর অস্রীয়েল। সেই উপপত্নী গিলিয়দের বাবা মাখীরকেও গর্ভে ধারণ করল। \v 15 মাখীর হুপ্পিমীয় ও শুপ্পিমীয়দের মধ্যে থেকেই একজনকে স্ত্রী করে নিয়েছিলেন। তাঁর বোনের নাম মাখা। অন্য একজন বংশধরের নাম সলফাদ, যাঁর শুধু মেয়েই ছিল। \v 16 মাখীরের স্ত্রী মাখা এক ছেলের জন্ম দিলেন ও তাঁর নাম রেখেছিলেন পেরশ। তাঁর ভাইয়ের নাম রাখা হল শেরশ, এবং তাঁর ছেলেদের নাম ঊলম ও রেকম। \li1 \v 17 ঊলমের ছেলে: \li2 বদান। \li1 মনঃশির ছেলে মাখীর, তার ছেলে গিলিয়দ, এরা তার ছেলে। \li1 \v 18 তাঁর বোন হম্মোলেকত ঈশ্‌হোদ, অবীয়েষর ও মহলাকে জন্ম দিলেন। \li1 \v 19 শমীদার ছেলেরা: \li2 অহিয়ন, শেখম, লিকহি ও অনীয়াম। \s1 ইফ্রয়িম \li1 \v 20 ইফ্রয়িমের বংশধরেরা: \li2 শূথেলহ, তাঁর ছেলে বেরদ, \li2 তাঁর ছেলে তহৎ, তাঁর ছেলে ইলিয়াদা, \li2 তাঁর ছেলে তহৎ, \v 21 তাঁর ছেলে সাবদ \li2 এবং তাঁর ছেলে শূথেলহ। \li2 (জন্মসূত্রে যারা গাত দেশীয় লোক ছিল, তাদের গবাদি পশুপাল দখল করতে গিয়ে এৎসর ও ইলিয়াদা তাদের হাতেই নিহত হলেন। \v 22 তাদের বাবা ইফ্রয়িম অনেক দিন ধরে তাদের জন্য শোক করলেন, এবং তাঁর আত্মীয়স্বজন তাঁকে সান্তনা দিতে এসেছিল। \v 23 পরে আরেকবার তিনি তাঁর স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেন: ও তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে এক ছেলের জন্ম দিলেন। ইফ্রয়িম তাঁর নাম রেখেছিলেন বরিয়,\f + \fr 7:23 \fr*\ft বরীয় শব্দের অর্থ অমঙ্গল\ft*\f* কারণ তাঁর পরিবারে অমঙ্গল নেমে এসেছিল। \v 24 তাঁর মেয়ের নাম শীরা, যিনি নিম্নতর ও উচ্চতর বেথ-হোরোণ তথা উষেণ-শীরা গেঁথে তুলেছিলেন) \li2 \v 25 তাঁর ছেলে ছিলেন রেফহ, তাঁর ছেলে রেশফ,\f + \fr 7:25 \fr*\ft কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে তাঁর ছেলে কথাটি অনুপস্থিত\ft*\f* \li2 তাঁর ছেলে তেলহ, তাঁর ছেলে তহন, \li2 \v 26 তাঁর ছেলে লাদন, তাঁর ছেলে অম্মীহূদ, \li2 তাঁর ছেলে ইলীশামা, \v 27 তাঁর ছেলে নূন \li2 এবং তাঁর ছেলে যিহোশূয়। \li4 \v 28 তাদের জমি ও উপনিবেশে বেথেল ও তার চারপাশের গ্রামগুলি যুক্ত ছিল, পূর্বদিকে ছিল নারণ, পশ্চিমদিকে ছিল গেষর ও তার কাছাকাছি থাকা গ্রামগুলি, এবং শিখিম ও সেখানকার গ্রামগুলি থেকে শুরু করে সুদূর অয়া ও সেখানকার গ্রামগুলি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল তাদের জমিজায়গা। \v 29 মনঃশির সীমানা বরাবর ছিল বেথ-শান, তানক, মগিদ্দো ও দোর তথা সেই নগরগুলির সঙ্গে থাকা গ্রামগুলি। ইস্রায়েলের ছেলে যোষেফের বংশধরেরা এইসব নগরে বসবাস করত। \s1 আশের \li1 \v 30 আশেরের ছেলেরা: \li2 যিম্ন, যিশ্‌বা, যিশ্‌বী ও বরিয়। সেরহ ছিলেন তাদের বোন। \li1 \v 31 বরিয়ের ছেলেরা: \li2 হেবর ও মল্কীয়েল, যিনি বির্ষোতের বাবা। \li1 \v 32 হেবর যফলেট, শোমের ও হোথমের এবং তাদের বোন শূয়ার বাবা। \li1 \v 33 যফলেটের ছেলেরা: \li2 পাসক, বিমহল ও অশ্বৎ। \li4 এরাই যফলেটের ছেলেসন্তান। \li1 \v 34 শেমরের ছেলেরা: \li2 অহি, রোগহ,\f + \fr 7:34 \fr*\ft অথবা, তাঁর ভাই শোমেরের ছেলে: রোগহ\ft*\f* যিহুব্ব ও অরাম। \li1 \v 35 তাঁর ভাই হেলমের ছেলেরা: \li2 শোফহ, যিম্ন, শেলশ ও আমল। \li1 \v 36 শোফহের ছেলেরা: \li2 সূহ, হর্ণেফর, শূয়াল, বেরী, যিম্র, \v 37 বেৎসর, হোদ, শম্ম, শিলশ, যিত্রণ\f + \fr 7:37 \fr*\ft খুব সম্ভবত, যেথরের আর এক নাম\ft*\f* ও বেরা। \li1 \v 38 যেথরের ছেলেরা: \li2 যিফুন্নি, পিস্প ও অরা। \li1 \v 39 উল্লের ছেলেরা: \li2 আরহ, হন্নীয়েল ও রিৎসিয়। \li4 \v 40 এরা সবাই আশেরের বংশধর—পরিবারের কর্তা, বাছাই করা লোকজন, সাহসী যোদ্ধা ও অসামান্য নেতা। তাদের বংশতালিকায় যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত 26,000 জন যোদ্ধা নথিভুক্ত হল। \c 8 \s1 বিন্যামীন বংশোদ্ভূত শৌলের বংশতালিকা \li1 \v 1 বিন্যামীন তাঁর, \li2 বড়ো ছেলে বেলার বাবা, \li2 তাঁর দ্বিতীয় ছেলে অস্‌বেল, তৃতীয়জন অহর্হ, \li2 \v 2 চতুর্থজন নোহা ও পঞ্চমজন রাফা। \li1 \v 3 বেলার ছেলেরা হলেন: \li2 অদ্দর, গেরা, অবীহূদ,\f + \fr 8:3 \fr*\ft অথবা, এহূদের বাবা গেরা\ft*\f* \v 4 অবীশূয়, নামান, আহোহ, \v 5 গেরা, শফূফন ও হূরম। \li1 \v 6 এহূদের এই বংশধররা গেবায় বসবাসকারী পরিবারগুলির কর্তা ছিলেন এবং তাদের নির্বাসিত করে মানহতে নিয়ে যাওয়া হল: \li2 \v 7 নামান, অহিয়, ও সেই গেরা, যিনি তাদের নির্বাসিত করলেন এবং যিনি আবার উষ ও অহীহূদের বাবাও ছিলেন। \li1 \v 8 মোয়াবে শহরয়িম তাঁর দুই স্ত্রী হূশীম ও বারার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তাঁর কয়েকটি ছেলের জন্ম হয়েছিল। \v 9 তাঁর স্ত্রী হোদশের মাধ্যমে তিনি যে ছেলেদের পেয়েছিলেন, তারা হলেন—যোবব, সিবিয়, মেশা, মল্কম, \v 10 যিয়ূশ, শখিয় ও মির্ম। এরাই তাঁর ছেলে, তথা তাদের পরিবারগুলির কর্তা। \v 11 হূশীমের মাধ্যমে তিনি অবীটূব ও ইল্পালকে পেয়েছিলেন। \li1 \v 12 ইল্পালের ছেলেরা: \li2 এবর, মিশিয়ম, শেমদ (যিনি চারপাশের গ্রাম সমেত ওনো ও লোদ নগর দুটি গেঁথে তুলেছিলেন), \v 13 এবং বরিয় ও শেমা, যারা অয়ালোনে বসবাসকারী পরিবারগুলির কর্তা ছিলেন এবং তারাই গাতের অধিবাসীদের তাড়িয়ে দিলেন। \li1 \v 14 অহিয়ো, শাশক, যিরেমোৎ, \v 15 সবদিয়, অরাদ, এদর, \v 16 মীখায়েল, যিশপা ও যোহ বরিয়ের ছেলে ছিলেন। \li1 \v 17 সবদিয়, মশুল্লম, হিষ্কি, হেবর, \v 18 যিশ্মরয়, যিষলিয় ও যোবব ইল্পালের ছেলে ছিলেন। \li1 \v 19 যাকীম, সিখ্রি, সব্দি, \v 20 ইলীয়ৈনয়, সিল্লথয়, ইলীয়েল, \v 21 অদায়া, বরায়া ও শিম্রৎ শিমিয়ির ছেলে ছিলেন। \li1 \v 22 যিশপন, এবর, ইলীয়েল, \v 23 অব্দোন, সিখ্রি, হানন, \v 24 হনানিয়, এলম, অন্তোথিয়, \v 25 যিফদিয় ও পনূয়েল শাশকের ছেলে ছিলেন। \li1 \v 26 শিম্‌শরয়, শহরিয়, অথলিয়, \v 27 যারিশিয়, এলিয় ও সিখ্রি যিরোহমের ছেলে ছিলেন। \li4 \v 28 এরা সবাই তাদের বংশতালিকায় নথিভুক্ত পরিবারগুলির কর্তা ও প্রধান ছিলেন এবং তাঁরা জেরুশালেমেই বসবাস করতেন। \b \li1 \v 29 গিবিয়োনের বাবা\f + \fr 8:29 \fr*\ft বাবার অর্থ পৌর-নেতা বা সামরিক-নেতা হতে পারে\ft*\f* যিয়ীয়েল\f + \fr 8:29 \fr*\ft \+xt 9:35\+xt* পদটি দেখুন; কিছু কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে যিহীয়েল শব্দটি অনুপস্থিত\ft*\f* গিবিয়োনে বসবাস করতেন। \li2 তাঁর স্ত্রীর নাম মাখা, \v 30 এবং তাঁর বড়ো ছেলে অব্দোন, পরে জন্ম হল সূর, কীশ, বায়াল, নের,\f + \fr 8:30 \fr*\ft \+xt 9:36\+xt* পদটি দেখুন; কিছু কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে নের শব্দটি অনুপস্থিত\ft*\f* নাদব, \v 31 গদোর, অহিয়ো, সখর \v 32 এবং সেই মিক্লোতের, যিনি শিমিয়ির বাবা ছিলেন। তারাও জেরুশালেমে তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে বসবাস করতেন। \li1 \v 33 নের কীশের বাবা, কীশ শৌলের বাবা, ও শৌল যোনাথন, মল্কীশূয়, অবীনাদব ও ইশ্‌বায়ালের\f + \fr 8:33 \fr*\ft ইশ্‌বায়াল, ঈশ্‌বোশৎ নামেও পরিচিত\ft*\f* বাবা। \li1 \v 34 যোনাথনের ছেলে: \li2 মরীব্-বায়াল,\f + \fr 8:34 \fr*\ft মরীব্-বায়াল, মফীবোশৎ নামেও পরিচিত\ft*\f* যিনি মীখার বাবা। \li1 \v 35 মীখার ছেলেরা: \li2 পিথোন, মেলক, তরেয় ও আহস। \li2 \v 36 আহস যিহোয়াদার বাবা, যিহোয়াদা আলেমৎ, অসমাবৎ ও সিম্রির বাবা, এবং সিম্রি মোৎসার বাবা। \v 37 মোৎসা বিনিয়ার বাবা; বিনিয়ার ছেলে রফায়, তাঁর ছেলে ইলীয়াসা ও তাঁর ছেলে আৎসেল। \li1 \v 38 আৎসেলের ছয় ছেলে ছিল, এবং এই তাদের নাম: \li2 অস্রীকাম, বোখরূ, ইশ্মায়েল, শিয়রিয়, ওবদিয় ও হানান। এরা সবাই আৎসেলের ছেলে। \li1 \v 39 তাঁর ভাই এশকের ছেলেরা: \li2 তাঁর বড়ো ছেলে ঊলম, দ্বিতীয় ছেলে যিয়ূশ ও তৃতীয়জন এলীফেলট। \v 40 ঊলমের ছেলেরা এমন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন, যারা ধনুক ব্যবহার করতে পারতেন। তাদের প্রচুর সংখ্যায় ছেলে ও নাতি ছিল—মোট 150 জন। \li1 এরা সবাই বিন্যামীনের বংশধর। \b \c 9 \p \v 1 ইস্রায়েল ও যিহূদার রাজাদের গ্রন্থের বংশতালিকায় সমস্ত ইস্রায়েল নথিভুক্ত হল। তাদের অবিশ্বস্ততার কারণেই তাদের বন্দি করে ব্যাবিলনে নিয়ে যাওয়া হল। \s1 জেরুশালেমে থাকা লোকজন \li4 \v 2 নিজেদের নগরে, তাদের নিজস্ব বিষয়সম্পত্তির উপর প্রথমে কিছু ইস্রায়েলী মানুষজন, যাজক, লেবীয় ও মন্দির-সেবকেরাই পুনর্বাসন পেয়েছিল। \b \li4 \v 3 যিহূদা থেকে, বিন্যামীন থেকে, এবং ইফ্রয়িম ও মনঃশি থেকে যারা জেরুশালেমে বসবাস করল, তারা হল: \li1 \v 4 যিহূদার ছেলে পেরসের এক বংশধর বানি, তাঁর ছেলে ইম্রি, তাঁর ছেলে অম্রি, তাঁর ছেলে অম্মীহূদ ও তাঁর ছেলে উথয়। \li1 \v 5 শীলোনীয়দের\f + \fr 9:5 \fr*\ft অথবা, শীলোনীয়দের (\+xt গণনা পুস্তক 26:20\+xt* পদ দেখুন)\ft*\f* মধ্যে থেকে: \li2 বড়ো ছেলে অসায় ও তাঁর ছেলেরা। \li1 \v 6 সেরহীয়দের মধ্যে থেকে: \li2 যুয়েল। \li4 যিহূদা থেকে গণিত লোকসংখ্যা 690 জন। \b \li4 \v 7 বিন্যামীনীয়দের মধ্যে থেকে: \li1 মশুল্লমের ছেলে সল্লু, মশুল্লম হোদবিয়ের ছেলে, ও হোদবিয় হসনূয়ের ছেলে: \li1 \v 8 যিরোহমের ছেলে যিবনিয়; \li1 মিখ্রির নাতি ও উষির ছেলে এলা; \li1 এবং যিবনিয়ের প্রনাতি, রূয়েলের নাতি ও শফটিয়ের ছেলে মশুল্লম; \li4 \v 9 বিন্যামীনের বংশতালিকানুসারে নথিভুক্ত লোকজনের সংখ্যা 956 জন। এইসব লোকজন তাদের পরিবারগুলির কর্তা ছিলেন। \b \li4 \v 10 যাজকদের মধ্যে থেকে: \li1 যিদয়িয়; যিহোয়ারীব; যাখীন; \li1 \v 11 ঈশ্বরের গৃহের দেখাশোনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী সেই অসরিয়, যিনি হিল্কিয়ের ছেলে, হিল্কিয় মশুল্লমের ছেলে, মশুল্লম সাদোকের ছেলে, সাদোক মরায়োতের ছেলে ও মরায়োৎ অহীটূবের ছেলে ছিলেন; \li1 \v 12 যিরোহমের ছেলে অদায়া, যিরোহম পশ্‌হূরের ছেলে ও পশ্‌হূর মল্কিয়ের ছেলে ছিলেন; \li1 এবং অদীয়েলের ছেলে মাসয়, অদীয়েল যহসেরার ছেলে, যহসেরা মশুল্লমের ছেলে, মশুল্লম মশিল্লমীতের ছেলে ও মশিল্লমীত ইম্মেরের ছেলে ছিলেন। \li4 \v 13 যে যাজকেরা তাদের পরিবারগুলির কর্তা ছিলেন, তাদের সংখ্যা হল 1,760 জন। তারা এমন যোগ্য লোক ছিলেন, যারা ঈশ্বরের গৃহে সেবাকাজ করার পক্ষে দায়িত্বশীলও ছিলেন। \b \li4 \v 14 লেবীয়দের মধ্যে থেকে: \li1 হশূবের ছেলে শময়িয়, হশূব অস্রীকামের ছেলে ও অস্রীকাম মরারীয় হশবিয়ের ছেলে; \li1 \v 15 বকবক্কর, হেরশ, গালল এবং আসফের প্রনাতি, সিখ্রির নাতি ও মীখার ছেলে মত্তনিয়; \li1 \v 16 যিদূথূনের ছেলে গাললের নাতি ও শময়িয়ের ছেলে ওবদিয়; \li1 এবং ইল্‌কানার নাতি ও আসার ছেলে সেই বেরিখিয়, যিনি নটোফাতীয়দের গ্রামে বসবাস করতেন। \b \li4 \v 17 দ্বাররক্ষীরা: \li1 শল্লুম, অক্কূব, টল্‌মোন, অহীমান ও তাদের সহকর্মী লেবীয়েরা, যাদের দলপতি ছিলেন শল্লুম। \v 18 তারা আজও পর্যন্ত পূর্বদিকের রাজ-দ্বারে মোতায়েন আছেন। এরাই লেবীয় কুলের অন্তর্ভুক্ত দ্বাররক্ষী। \li1 \v 19 কোরহের ছেলে ইবীয়াসফের নাতি ও কোরির ছেলে শল্লুম, এবং তাঁর পরিবারভুক্ত (কোরহীয়) সহকর্মী দ্বাররক্ষীরা ঠিক সেভাবেই তাঁবুর প্রবেশদ্বার রক্ষা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন, যেভাবে তাদের পূর্বপুরুষেরা সদাপ্রভুর আবাসের প্রবেশদ্বার রক্ষা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। \li1 \v 20 প্রাচীনকালে ইলিয়াসরের ছেলে পীনহসের উপর দ্বাররক্ষীদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব ছিল, এবং সদাপ্রভু তাঁর সাথে ছিলেন। \li1 \v 21 সমাগম তাঁবুর প্রবেশদ্বারে দ্বাররক্ষী হলেন মশেলেমিয়ের ছেলে সখরিয়। \li4 \v 22 প্রবেশদ্বারে যাদের দ্বাররক্ষী হওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হল, তাদের সংখ্যা ছিল মোট 212 জন। তাদের গ্রামগুলিতে তারা বংশতালিকানুসারে নথিভুক্ত হলেন। \b \p দাউদ ও ভবিষ্যদ্‌বক্তা শমূয়েল তাদের আস্থাভাজন পদে নিযুক্ত করলেন। \v 23 তারা ও তাদের বংশধরেরা সদাপ্রভুর সেই গৃহের দ্বার রক্ষার দায়িত্ব পেয়েছিলেন—যে গৃহটি সমাগম তাঁবু নামেও পরিচিত। \v 24 দ্বাররক্ষীরা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ—এই চারদিকে থাকতেন। \v 25 গ্রামগুলিতে বসবাসকারী তাদের সহকর্মী লেবীয়রাও মাঝেমধ্যে এসে সাত দিনের জন্য তাদের কাজে সাহায্য করে যেতেন। \v 26 কিন্তু সেই চারজন প্রধান দ্বাররক্ষীকে ঈশ্বরের গৃহের সব ঘর ও ধনসম্পদ রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হল, যারা ছিলেন লেবীয়। \v 27 ঈশ্বরের গৃহের চারপাশে মোতায়েন থেকে তারা রাত কাটাতেন, কারণ তাদের সেটি পাহারা দিতে হত; এবং প্রত্যেকদিন সকালে সেটি খোলার জন্য তাদের চাবি রাখার দায়িত্বও দেওয়া হল। \p \v 28 তাদের মধ্যে কয়েকজনকে মন্দিরের সেবাকাজে ব্যবহারের উপযোগী জিনিসপত্র দেখাশোনার দায়িত্বও দেওয়া হল; সেগুলি আনার ও নিয়ে যাওয়ার সময় তারা সেগুলি গুনে রাখতেন। \v 29 অন্য কয়েকজনকে আসবাবপত্রাদি ও পবিত্রস্থানের অন্যান্য সব জিনিসপত্র, তথা বিশেষ বিশেষ ময়দা ও দ্রাক্ষারস, এবং জলপাই তেল, ধূপধুনো ও মশলাপাতির যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হল। \v 30 কিন্তু যাজকদের মধ্যে কয়েকজন মশলাপাতি মিশ্রিত করার দায়িত্ব পালন করতেন। \v 31 কোরহীয় শল্লুমের বড়ো ছেলে মত্তথিয় বলে একজন লেবীয়কে দর্শন-রুটি সেঁকার দায়িত্ব দেওয়া হল। \v 32 তাদের সহকর্মী লেবীয়দের মধ্যে কয়েকজন কহাতীয়ের উপর দায়িত্ব বর্তে ছিল, যেন তারা প্রত্যেক সাব্বাথবারে\f + \fr 9:32 \fr*\ft অথবা, বিশ্রামবারে\ft*\f* টেবিলের উপর রুটি সাজিয়ে রাখেন। \p \v 33 লেবীয় কুলের যে কর্তারা গানবাজনা করতেন, তারা মন্দিরের ঘরগুলিতেই থেকে যেতেন ও তাদের অন্যান্য কাজকর্ম করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল, কারণ দিনরাত তাদের নিজেদের কাজেই ব্যস্ত থাকতে হত। \p \v 34 এরা সবাই তাদের বংশতালিকায় নথিভুক্ত লেবীয় কুলের কর্তা ও প্রধান, এবং তারা জেরুশালেমে বসবাস করতেন। \s1 শৌলের বংশতালিকা \li1 \v 35 গিবিয়োনের বাবা\f + \fr 9:35 \fr*\ft বাবা শব্দের অর্থ পৌর-নেতা বা সামরিক-নেতাও হতে পারে\ft*\f* যিয়ীয়েল গিবিয়োনে বসবাস করতেন। \li2 তাঁর স্ত্রীর নাম মাখা, \v 36 ও তাঁর বড়ো ছেলে অব্দোন, পরে জন্মেছিলেন সূর, কীশ, বায়াল, নের, নাদব, \v 37 গদোর, অহিয়ো, সখরিয় ও মিক্লোৎ। \v 38 মিক্লোৎ শিমিয়ামের বাবা ছিলেন। তারাও জেরুশালেমে তাদের আত্মীয়স্বজনদের কাছে বসবাস করতেন। \li1 \v 39 নের কীশের বাবা, কীশ শৌলের বাবা, ও শৌল যোনাথন, মল্কীশূয়, অবীনাদব ও ইশ্‌বায়ালের\f + \fr 9:39 \fr*\ft ইশ্‌বায়াল, ঈশবোশৎ নামেও পরিচিত\ft*\f* বাবা। \li1 \v 40 যোনাথনের ছেলে: \li2 মরীব্-বায়াল,\f + \fr 9:40 \fr*\ft মরীব্-বায়াল, মফীবোশৎ নামেও পরিচিত\ft*\f* যিনি মীখার বাবা। \li1 \v 41 মীখার ছেলেরা: \li2 পিথোন, মেলক, তহরেয় ও আহস।\f + \fr 9:41 \fr*\ft কিছু কিছু অনুলিপিতে আহস শব্দটি অনুপস্থিত\ft*\f* \li2 \v 42 আহস যাদের বাবা, যাদ\f + \fr 9:42 \fr*\ft অথবা, যার\ft*\f* আলেমৎ, অসমাবৎ ও সিম্রির বাবা এবং সিম্রি মোৎসার বাবা। \v 43 মোৎসা বিনিয়ার বাবা; বিনিয়ার ছেলে রফায়, তাঁর ছেলে ইলীয়াসা ও তাঁর ছেলে আৎসেল। \li1 \v 44 আৎসেলের ছয় ছেলে ছিল, ও এই তাদের নাম: \li2 অস্রীকাম, বোখরূ, ইশ্মায়েল, শিয়রিয়, ওবদিয় ও হানান। এরা সবাই আৎসেলের ছেলে। \c 10 \s1 শৌল আত্মহত্যা করলেন \p \v 1 ইত্যবসরে ফিলিস্তিনীরা ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল; ইস্রায়েলীরা তাদের সামনে থেকে পালিয়ে গেল, ও অনেকেই গিলবোয় পর্বতে মারা পড়েছিল। \v 2 ফিলিস্তিনীরা বীর-বিক্রমে শৌল ও তাঁর ছেলেদের পিছু ধাওয়া করল, এবং তারা তাঁর ছেলে যোনাথন, অবীনাদব ও মল্কীশূয়কে হত্যা করল। \v 3 শৌলের চারপাশে যুদ্ধ চরম আকার নিয়েছিল, এবং তীরন্দাজেরা আচমকা তাঁর কাছে এসে তাঁকে আহত করে ফেলেছিল। \p \v 4 শৌল তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটিকে বললেন, “তোমার তরোয়াল টেনে বের করে, সেটি দিয়ে আমাকে ছিন্নভিন্ন করে দাও, তা না হলে সুন্নত না করা এইসব লোকজন এসে আমাকে অপমানিত করবে।” \p কিন্তু তাঁর অস্ত্র বহনকারী লোকটি ভয় পেয়ে গেল ও সে কাজটি সে করতে চায়নি; তাই শৌল নিজের তরোয়ালটি বের করে সেটির উপর নিজেই পড়ে গেলেন। \v 5 সেই অস্ত্র বহনকারী লোকটি যখন দেখল যে শৌল মারা গিয়েছেন, তখন সেও নিজের তরোয়ালের উপর পড়ে মারা গেল। \v 6 অতএব শৌল ও তাঁর তিন ছেলে মারা গেলেন, এবং তাঁর পুরো পরিবার-পরিজন একসাথে মারা পড়েছিল। \p \v 7 উপত্যকায় বসবাসকারী ইস্রায়েলীরা সবাই যখন দেখেছিল যে সৈন্যদল পালিয়েছে এবং শৌল ও তাঁর ছেলেরা মারা গিয়েছেন, তখন তারাও নিজেদের নগরগুলি ছেড়ে পালিয়ে গেল। ফিলিস্তিনীরা এসে তখন সেই নগরগুলি দখল করল। \p \v 8 পরদিন ফিলিস্তিনীরা যখন মৃতদেহগুলি থেকে সাজসজ্জা খুলে নিতে এসেছিল, তারা শৌল ও তাঁর ছেলেদের গিলবোয় পর্বতে মরে পড়ে থাকতে দেখেছিল। \v 9 তারা তাঁর সাজসজ্জা খুলে নিয়েছিল ও তাঁর মুণ্ডু ও অস্ত্রশস্ত্র হাতিয়ে নিয়েছিল, এবং ফিলিস্তিনীদের গোটা দেশে তাদের দেবদেবীর প্রতিমাদের ও তাদের প্রজাদের মাঝে সেই খবর ঘোষণা করার জন্য দূতদের পাঠিয়ে দিয়েছিল। \v 10 তারা তাঁর অস্ত্রশস্ত্র তাদের দেবতাদের মন্দিরে রেখেছিল এবং তাঁর মাথাটি দাগোনের মন্দিরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। \p \v 11 ফিলিস্তিনীরা শৌলের প্রতি কী করেছে, তা যখন যাবেশ-গিলিয়দের লোকজন শুনতে পেয়েছিল, \v 12 তখন তাদের সব অসমসাহসী লোকজন গিয়ে শৌল ও তাঁর ছেলেদের শবদেহগুলি যাবেশে তুলে এনেছিল। পরে তারা তাদের অস্থি যাবেশে বিশাল সেই গাছটির তলায় কবর দিয়েছিল, ও সাত দিন তারা উপবাস রেখেছিল। \p \v 13 শৌল মারা গেলেন কারণ তিনি সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হলেন; তিনি সদাপ্রভুর বাক্য পালন করেননি এবং এমনকি পরিচালনা লাভের জন্য এক প্রেতমাধ্যমেরও সাহায্য নিয়েছিলেন, \v 14 এবং সদাপ্রভুর কাছে খোঁজ নেননি। তাই সদাপ্রভু তাঁর মৃত্যু ঘটিয়েছিলেন এবং রাজ্যের ভার তাঁর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যিশয়ের ছেলে দাউদের হাতে তুলে দিলেন। \c 11 \s1 দাউদ ইস্রায়েলের রাজা হন \p \v 1 ইস্রায়েলীরা সবাই একসাথে হিব্রোণে দাউদের কাছে এসে বলল, “আমরা আপনার রক্ত-সম্পর্কের আত্মীয়। \v 2 অতীতে, এমনকি শৌল যখন রাজা ছিলেন, আপনিই তো ইস্রায়েলের সামরিক অভিযানে তাদের নেতৃত্ব দিতেন। আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুও আপনাকে বললেন, ‘তুমি আমার প্রজা ইস্রায়েলের পালক হবে, ও তুমিই তাদের শাসক হবে।’ ” \p \v 3 ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা সবাই যখন হিব্রোণে রাজা দাউদের কাছে এলেন, তিনি তখন সদাপ্রভুকে সাক্ষী রেখে হিব্রোণে তাদের সাথে একটি চুক্তি করলেন, এবং শমূয়েলের মাধ্যমে সদাপ্রভুর করা প্রতিজ্ঞানুসারে তারা দাউদকে ইস্রায়েলের উপর রাজারূপে অভিষিক্ত করলেন। \s1 দাউদ জেরুশালেম অধিকার করলেন \p \v 4 দাউদ ও ইস্রায়েলীরা সবাই জেরুশালেমের (অর্থাৎ, যিবূষের) দিকে কুচকাওয়াজ করে এগিয়ে গেলেন। সেখানে বসবাসকারী যিবূষীয়েরা \v 5 দাউদকে বলল, “তুমি এখানে ঢুকতে পারবে না।” তা সত্ত্বেও, দাউদ সিয়োনের দুর্গটি দখল করে নিয়েছিলেন—যা হল কি না সেই দাউদ-নগর। \p \v 6 দাউদ বললেন, “যে কেউ যিবূষীয়দের বিরুদ্ধে আক্রমণে নেতৃত্ব দেবে, তাকে প্রধান সেনাপতি করা হবে।” সরূয়ার ছেলে যোয়াবই প্রথমে উঠে গেলেন, আর তাই তিনিই প্রধান সেনাপতি হলেন। \p \v 7 দাউদ পরে সেই দুর্গে বসবাস করতে শুরু করলেন, আর তাই সেটি দাউদ-নগর নামে পরিচিত হল। \v 8 দুর্গটি মাঝখানে রেখে তিনি মণ্ডপ\f + \fr 11:8 \fr*\ft অথবা, মিল্লো\ft*\f* থেকে শুরু করে চারপাশে প্রাচীর গড়ে দিয়ে নগরটি গেঁথে তুলেছিলেন, অন্যদিকে যোয়াব নগরের বাদবাকি অংশ মেরামত করলেন। \v 9 আর দাউদ উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন, কারণ সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে ছিলেন। \s1 দাউদের বলবান যোদ্ধারা \p \v 10 এরাই দাউদের বলবান যোদ্ধাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন—তারা ইস্রায়েলের সব মানুষজনকে সাথে নিয়ে সদাপ্রভুর করা প্রতিজ্ঞানুসারে গোটা দেশের উপর তাঁর রাজপদ সুস্থির করার জন্য সাহায্যের মজবুত হাত বাড়িয়ে দিলেন— \v 11 দাউদের বলবান যোদ্ধাদের তালিকাটি এইরকম: \p হকমোনীয়দের মধ্যে একজন, সেই যাশবিয়াম\f + \fr 11:11 \fr*\ft খুব সম্ভবত, যাশোব-বায়ালের অন্য এক নাম\ft*\f* ছিলেন কর্মকর্তাদের\f + \fr 11:11 \fr*\ft অথবা, ত্রিশজনের, বা তিনজনের (\+xt 2 শমূয়েল 23:8\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* মধ্যে প্রধান; তিনি সেই তিনশো জনের বিরুদ্ধে তাঁর বর্শা উঠিয়েছিলেন, যাদের তিনি সম্মুখসমরে একবারেই হত্যা করলেন। \p \v 12 তাঁর পরের জন ছিলেন তিনজন বলবান যোদ্ধাদের মধ্যে একজন, অহোহীয় দোদয়ের ছেলে সেই ইলিয়াসর। \v 13 ফিলিস্তিনীরা যখন পস-দম্মীমে যুদ্ধ করার জন্য সমবেত হল, তখন তিনি দাউদের সাথে সেখানেই ছিলেন। সেটি সেই স্থান, যেখানে যবে পরিপূর্ণ একটি ক্ষেত ছিল, এবং সৈন্যদল ফিলিস্তিনীদের কাছ থেকে পালিয়ে গেল। \v 14 কিন্তু তারা সেই ক্ষেতের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা সেটি রক্ষা করলেন ও ফিলিস্তিনীদের আঘাত করলেন, এবং সদাপ্রভু এক মহাবিজয় সম্পন্ন করলেন। \p \v 15 একদল ফিলিস্তিনী যখন রফায়ীম উপত্যকায় শিবির করে বসেছিল তখন ত্রিশজন প্রধানের মধ্যে তিনজন অদুল্লম গুহায় অবস্থিত সেই শিলাপাথরের কাছাকাছি থাকা দাউদের কাছে নেমে এলেন। \v 16 সেই সময় দাউদ দুর্গের মধ্যেই ছিলেন, এবং দুর্গ রক্ষার জন্য মোতায়েন ফিলিস্তিনী সৈন্যদল বেথলেহেমে অবস্থান করছিল। \v 17 দাউদ তৃষ্ণায় কাতর হয়ে বলে উঠেছিলেন, “হায়, কেউ যদি আমার জন্য বেথলেহেমের ফটকের কাছে অবস্থিত সেই কুয়ো থেকে একটু জল এনে দিত!” \v 18 অতএব সেই তিনজন ফিলিস্তিনী সৈন্যশিবির পার করে বেথলেহেমের সিংহদুয়ারের কাছে অবস্থিত কুয়ো থেকে জল তুলে দাউদের কাছে নিয়ে এলেন। কিন্তু তিনি তা পান করতে চাননি; তা না করে, তিনি সেই জল সদাপ্রভুর উদ্দেশে ঢেলে দিলেন। \v 19 “ঈশ্বর যেন আমাকে এরকম করা থেকে বিরত রাখেন!” তিনি বললেন। “যারা তাদের জীবন বিপন্ন করে সেখানে গেল, আমি কি তাদের রক্ত পান করব?” যেহেতু তারা সেই জল আনার জন্য তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন, তাই দাউদ তা পান করতে চাননি। \p সেই তিনজন বলবান যোদ্ধা এরকমই সব উজ্জ্বল কীর্তি স্থাপন করে গেলেন। \p \v 20 যোয়াবের ভাই অবীশয় সেই তিনজনের মধ্যে প্রধান ছিলেন। তিনি তিনশো জন লোকের বিরুদ্ধে বর্শা উঠিয়ে তাদের হত্যা করলেন, এবং এভাবেই সেই তিনজনের মতো বিখ্যাত হয়ে গেলেন। \v 21 তিনি সেই তিনজনকে ছাপিয়ে দ্বিগুণ সমাদরের পাত্র হলেন এবং সেই তিনজনের মধ্যে গণ্য না হয়েও তিনি তাদের সেনাপতি হয়ে গেলেন। \p \v 22 কব্‌সীলের এক বীর যোদ্ধা, তথা যিহোয়াদার ছেলে বনায় বিশাল সব উজ্জ্বল কীর্তি স্থাপন করলেন। তিনি মোয়াবের অত্যন্ত বলশালী দুই যোদ্ধাকে মেরে ফেলেছিলেন। এছাড়াও একদিন যখন খুব তুষারপাত হচ্ছিল, তখন তিনি একটি গর্তের মধ্যে নেমে গিয়ে একটি সিংহকে মেরে ফেলেছিলেন। \v 23 এছাড়াও তিনি এমন এক মিশরীয়কে মেরে ফেলেছিলেন, যে উচ্চতায় 2.3 মিটার\f + \fr 11:23 \fr*\ft অর্থাৎ, পাঁচ হাত\ft*\f* লম্বা ছিল। যদিও সেই মিশরীয়র হাতে তাঁতির দণ্ডের মতো একটি বর্শা ছিল, তবু বনায় একটি মুগুর হাতে নিয়ে তার দিকে এগিয়ে গেলেন। তিনি সেই মিশরীয়ের হাত থেকে বর্শাটি কেড়ে নিয়ে তার বর্শা দিয়েই তাকে হত্যা করলেন। \v 24 যিহোয়াদার ছেলে বনায়ের উজ্জ্বল সব কীর্তি এরকমই ছিল; তিনিও সেই তিনজন বলবান যোদ্ধার মতোই বিখ্যাত হয়ে গেলেন। \v 25 সেই ত্রিশজনের মধ্যে যে কোনো একজনের তুলনায় তাঁকেই বেশি সম্মান দেওয়া হত, কিন্তু তিনি সেই তিনজনের মধ্যে গণ্য হননি। আর দাউদ তাঁকে তাঁর দেহরক্ষীদের তত্ত্বাবধায়ক করে দিলেন। \b \li4 \v 26 বলবান যোদ্ধারা হলেন: \b \li1 যোয়াবের ভাই অসাহেল, \li1 বেথলেহেমের অধিবাসী দোদয়ের ছেলে ইলহানন, \li1 \v 27 হরোরীয় শম্মোৎ, \li1 পলোনীয় হেলস, \li1 \v 28 তকোয়ের অধিবাসী ইক্কেশের ছেলে ঈরা, \li1 অনাথোতের অধিবাসী অবীয়েষর, \li1 \v 29 হূশাতীয় সিব্বখয়, \li1 অহোহীয় ঈলয়, \li1 \v 30 নটোফাতীয় মহরয়, \li1 নটোফাতীয় বানার ছেলে হেলদ, \li1 \v 31 বিন্যামীনের গিবিয়ার অধিবাসী রীবয়ের ছেলে ইথয়, \li1 পিরিয়াথোনীয় বনায়, \li1 \v 32 গাশের সরু গিরিখাতের অধিবাসী হূরয়, \li1 অর্বতীয় অবীয়েল, \li1 \v 33 বাহরূমীয় অস্‌মাবৎ, \li1 শালবোনীয় ইলিয়হবা, \li1 \v 34 গিষোণীয় হাষেমের ছেলেরা, \li1 হরারীয় সাগির ছেলে যোনাথন, \li1 \v 35 হরারীয় সাখরের ছেলে অহীয়াম, \li1 ঊরের ছেলে ইলীফাল, \li1 \v 36 মখেরাতীয় হেফর, \li1 পলোনীয় অহিয়, \li1 \v 37 কর্মিলীয় হিষ্রো, \li1 ইষবোয়ের ছেলে নারয়, \li1 \v 38 নাথনের ভাই যোয়েল, \li1 হগ্রির ছেলে মিভর, \li1 \v 39 অম্মোনীয় সেলক, \li1 সরূয়ার ছেলে যোয়াবের অস্ত্র বহনকারী বেরোতীয় নহরয়, \li1 \v 40 যিত্রীয় ঈরা, \li1 যিত্রীয় গারেব, \li1 \v 41 হিত্তীয় ঊরিয়, \li1 অহলয়ের ছেলে সাবদ, \li1 \v 42 রূবেণীয় শীষার ছেলে সেই অদীনা, যিনি রূবেণীয়দের একজন প্রধান ছিলেন, এবং তাঁর সাথে ছিলেন সেই ত্রিশজন, \li1 \v 43 মাখার ছেলে হানান, \li1 মিত্নীয় যোশাফট, \li1 \v 44 অষ্টরোতীয় উষিয়, \li1 অরোয়েরীয় হোথমের দুই ছেলে শাম ও যিয়ীয়েল, \li1 \v 45 সিম্রির ছেলে যিদীয়েল, \li1 তাঁর ভাই তীষীয় যোহা, \li1 \v 46 মহবীয় ইলীয়েল, \li1 ইলনামের দুই ছেলে যিরীবয় ও যোশবিয়, \li1 মোয়াবীয় যিৎমা, \li1 \v 47 ইলীয়েল, ওবেদ ও মসোবায়ীয় যাসীয়েল। \c 12 \s1 যোদ্ধারা দাউদের সাথে মিলিত হন \li4 \v 1 দাউদকে যখন কীশের ছেলে শৌলের কাছ থেকে দূর করে দেওয়া হল, তখন এই লোকেরাই সিক্লগে দাউদের কাছে এলেন: (তারা সেইসব যোদ্ধার মধ্যেই ছিলেন, যারা যুদ্ধে তাঁকে সাহায্য করলেন; \v 2 তারা ধনুকে সুসজ্জিত ছিলেন এবং কি ডান হাতে কি বাঁ, দুই হাতেই তারা তির ছুঁড়তে বা গুলতির সাহায্যে পাথর ছুঁড়তে পারতেন; তারা বিন্যামীন বংশীয় শৌলের আত্মীয়স্বজন ছিলেন): \b \li1 \v 3 তাদের প্রধান ছিলেন অহীয়েষর এবং তাঁর ছোটো ভাই ছিলেন যোয়াশ এবং তারা দুজন গিবিয়াতীয় শমায়ের ছেলে; \li1 অসমাবতের ছেলে যিষীয়েল ও পেলট; \li1 বরাখা, অনাথোতীয় যেহূ, \v 4 সেই ত্রিশজনের মধ্যে গণ্য এক বলবান যোদ্ধা গিবিয়োনীয় সেই যিশ্ময়িয়, যিনি সেই ত্রিশজনের মধ্যে একজন নেতা ছিলেন; \li1 যিরমিয়, যহসীয়েল, যোহানন, গদেরথীয় যোষাবদ, \v 5 ইলিয়ূষয়, যিরীমোৎ, বালিয়, শমরিয় ও হরূফীয় শফটিয়; \li1 \v 6 কোরহীয় ইল্‌কানা, যিশিয়, অসরেল, যোয়েষর ও যাশবিয়াম; \li1 \v 7 এবং গদোরের অধিবাসী যিরোহমের ছেলে যোয়েলা ও সবদিয়। \b \p \v 8 গাদীয়দের মধ্যে কয়েকজন দলবদল করে মরুপ্রান্তরের দুর্গে অবস্থানকারী দাউদের কাছে চলে গেলেন। তারা এমন সব বীর যোদ্ধা, যারা যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং তারা ঢাল ও বর্শাও চালাতে জানতেন। সিংহের মুখের মতো ছিল তাদের মুখমণ্ডল, ও তারা পাহাড়ি গজলা হরিণের মতো দ্রুতগামী ছিলেন। \b \li1 \v 9 পদমর্যাদায় প্রধান ছিলেন এষর, \li1 ক্রমানুসারে দ্বিতীয় ছিলেন ওবদিয়, তৃতীয় ইলীয়াব, \li1 \v 10 চতুর্থ মিশ্মন্না, পঞ্চম যিরমিয়, \li1 \v 11 ষষ্ঠ অত্তয়, সপ্তম ইলীয়েল, \li1 \v 12 অষ্টম যোহানন, নবম ইলসাবাদ, \li1 \v 13 দশম যিরমিয় ও একাদশ মগবন্নয়। \b \p \v 14 এই গাদীয়রা সৈন্যদলের সেনাপতি ছিলেন; যিনি সবচেয়ে ছোটো, তিনি একশো জনের সমকক্ষ ছিলেন, এবং যিনি সবচেয়ে বড়ো, তিনি এক হাজার জনের সমকক্ষ ছিলেন। \v 15 এরাই সেই প্রথম মাসে জর্ডন নদী পার করে গেলেন, যখন নদীর দুই কুলে জল উপচে পড়েছিল, এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমদিক পর্যন্ত সেই উপত্যকায় বসবাসকারী প্রত্যেককে তারা তাড়িয়ে ছেড়েছিলেন। \p \v 16 অন্যান্য বিন্যামীনীয়েরা ও যিহূদা থেকে আগত কয়েকজন লোকও দাউদের দুর্গে তাঁর কাছে এসেছিল। \v 17 দাউদ তাদের সাথে দেখা করার জন্য বাইরে বেরিয়ে গিয়ে তাদের বললেন, “তোমরা যদি আমায় সাহায্য করার জন্য শান্তিপূর্বক আমার কাছে এসে থাকো, তবে আমি তোমাদের আমার কাছে রাখতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু আমার হাত হিংসাশ্রয়িতা থেকে মুক্ত থাকা সত্ত্বেও যদি তোমরা বিশ্বাসঘাতকতা করে আমাকে শত্রুদের হাতে সমর্পণ করার জন্য এসে থাকো, তবে আমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরই যেন তা দেখেন ও তোমাদের বিচার করলেন।” \p \v 18 তখন সেই ত্রিশজনের প্রধান অমাসয়ের উপর ঈশ্বরের আত্মা নেমে এলেন, এবং তিনি বলে উঠলেন: \q1 “হে দাউদ, আমরা আপনারই লোক! \q2 হে যিশয়ের ছেলে, আমরা আপনার সাথেই আছি! \q1 মঙ্গল হোক, আপনার মঙ্গল হোক, \q2 আর যারা আপনাকে সাহায্য করে, তাদেরও মঙ্গল হোক, \q3 কারণ আপনার ঈশ্বরই আপনাকে সাহায্য করবেন।” \p অতএব দাউদ তাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে তাদের তাঁর আক্রমণকারী দলের নেতা করে দিলেন। \p \v 19 দাউদ যখন ফিলিস্তিনীদের দলে যোগ দিয়ে শৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন, তখন মনঃশি বংশের কয়েকজন লোকও দলবদল করে তাঁর কাছে চলে এসেছিল। (তিনি ও তাঁর লোকজন ফিলিস্তিনীদের সাহায্য করেননি, কারণ শলাপরামর্শ করার পর, তাদের শাসনকর্তারা তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। তারা বললেন, “এ যদি আমাদের সঙ্গ ত্যাগ করে তার মনিব শৌলের সাথে মিলে যায়, তবে নিজেদের মুণ্ডু দিয়েই আমাদের এর দাম চোকাতে হবে”) \v 20 দাউদ যখন সিক্লগে গেলেন, তখন মনঃশি বংশীয় এইসব লোকই দলবদল করে তাঁর কাছে গেলেন: অদন, যোষাবদ, যিদীয়েল, মীখায়েল, যোষাবদ, ইলীহূ ও সিল্লথয়, যারা ছিলেন মনঃশির এক একজন সহস্র-সেনাপতি। \v 21 আক্রমণকারী দলগুলির বিরুদ্ধে তারাই দাউদকে সাহায্য করলেন, কারণ তারা সবাই ছিলেন সাহসী যোদ্ধা, এবং তারা তাঁর সৈন্যদলে সেনাপতি হলেন। \v 22 যতদিন না পর্যন্ত দাউদের সৈন্যদল ঈশ্বরের সৈন্যদলের মতো\f + \fr 12:22 \fr*\ft অথবা, “মহান ও শক্তিশালী সৈন্যদলের মতো”\ft*\f* বিশাল এক সৈন্যদলে পরিণত হল, লোকেরা দিনের পর দিন তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল। \s1 হিব্রোণে অন্যান্য লোকজন দাউদের সাথে মিলিত হয় \li4 \v 23 সদাপ্রভুর বলা কথানুসারে শৌলের রাজ্য দাউদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য যারা হিব্রোণে তাঁর কাছে এসেছিল, যুদ্ধের জন্য অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত সেই লোকজনের সংখ্যা এইরকম: \b \li1 \v 24 যিহূদা বংশ থেকে, ঢাল ও বর্শাধারী—যুদ্ধের জন্য অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত 6,800 জন; \li1 \v 25 শিমিয়োন বংশ থেকে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত যোদ্ধা: 7,100 জন; \li1 \v 26 লেবীয় গোষ্ঠী থেকে: 4,600 জন; \v 27 যাদের মধ্যে ছিলেন হারোণ-কুলের নেতা যিহোয়াদা, ও তাঁর সাথে থাকা 3,700 জন, \v 28 এবং সাদোক বলে এক সাহসী অল্পবয়স্ক যোদ্ধা, ও তাঁর সাথে থাকা তাঁর পরিবারভুক্ত বাইশ জন কর্মকর্তা; \li1 \v 29 শৌলের বংশ, সেই বিন্যামীন বংশ থেকে: 3,000 জন, যে বংশের অধিকাংশ লোক তখনও পর্যন্ত শৌলের পরিবারের প্রতি অনুগতই থেকে গেল; \li1 \v 30 ইফ্রয়িম বংশ থেকে, সেইসব সাহসী যোদ্ধা, যারা তাদের বংশে বিখ্যাত ছিল: 20,800 জন; \li1 \v 31 মনঃশির অর্ধেক বংশ থেকে, দাউদকে রাজা করার জন্য যাদের নাম নির্দিষ্ট করে আসতে বলা হল, তারা: 18,000 জন; \li1 \v 32 ইষাখর বংশ থেকে, সেইসব লোক, যাদের সময়কালের জ্ঞান ছিল ও যারা জানত ইস্রায়েলকে ঠিক কী করতে হবে, তারা: 200 জন প্রধান, ও তাদের অধীনে থাকা তাদের সব আত্মীয়স্বজন; \li1 \v 33 সবূলূন বংশ থেকে, সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারে পারদর্শী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অভিজ্ঞ যোদ্ধা, যারা অখণ্ড আনুগত্য সমেত দাউদকে সাহায্য করতে পারতেন, এমন: 50,000 জন; \li1 \v 34 নপ্তালি বংশ থেকে: 1,000 জন কর্মকর্তা, ও তাদের সাথে থাকা 37,000 জন ঢাল ও বর্শা বহনকারী লোক; \li1 \v 35 দান বংশ থেকে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত: 28,600 জন; \li1 \v 36 আশের বংশ থেকে, যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত অভিজ্ঞ সৈন্য: 40,000 জন; \li1 \v 37 এবং জর্ডন নদীর পূর্বদিক থেকে, অর্থাৎ রূবেণ ও গাদের পূর্ণ ও মনঃশির অর্ধেক বংশ থেকে, সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত লোক: 1,20,000 জন। \b \li4 \v 38 এরা সবাই এমন সব দক্ষ যোদ্ধা, যারা স্বেচ্ছায় সৈন্যদলে নাম লিখিয়েছিল। \b \p দাউদকে গোটা ইস্রায়েলের উপর রাজা করার বিষয়ে পুরোপুরি মনস্থির করেই তারা হিব্রোণে এসেছিল। ইস্রায়েলীদের মধ্যে অবশিষ্ট লোকজনও দাউদকে রাজা করার বিষয়ে একমত হল। \v 39 এইসব লোকজন তিন দিন দাউদের সঙ্গে থেকে ভোজনপান করল, কারণ তাদের পরিবারগুলিই তাদের জন্য ভোজনপানের আয়োজন করল। \v 40 এছাড়াও, সুদূর সেই ইষাখর, সবূলূন ও নপ্তালি থেকে তাদের প্রতিবেশীরাও গাধা, উট, খচ্চর ও বলদের পিঠে চাপিয়ে খাদ্যসম্ভার এনেছিল। সেখানে ময়দা, ডুমুরের চাক, কিশমিশের চাক, দ্রাক্ষারস, জলপাই তেল, গবাদি পশু ও মেষের পালের যথেচ্ছ জোগান ছিল, কারণ ইস্রায়েলে আনন্দের হাট বসেছিল। \c 13 \s1 নিয়ম-সিন্দুকটি ফিরিয়ে আনা হয় \p \v 1 দাউদ তাঁর কর্মকর্তা, সহস্র-সেনাপতি ও শত-সেনাপতিদের মধ্যে এক একজনের সাথে শলাপরামর্শ করলেন। \v 2 পরে তিনি ইস্রায়েলের সমগ্র জনসমাবেশকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “যদি তোমাদের ভালো বোধ হয় ও যদি তা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ইচ্ছা হয়, তবে এসো, আমরা দূর দূর পর্যন্ত ইস্রায়েলের সমস্ত এলাকায় বসবাসকারী আমাদের অবশিষ্ট লোকজনের কাছে, এবং তাদের নগরগুলিতে ও সেখানকার চারণক্ষেত্রগুলিতে যারা তাদের সাথে আছেন, সেই যাজক ও লেবীয়দের কাছে খবর পাঠিয়ে দিই, যেন তারা এসে আমাদের সাথে মিলিত হন। \v 3 এসো, আমাদের ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকটি নিজেদের কাছে ফিরিয়ে আনি, কারণ শৌলের রাজত্বকালে আমরা সেটির\f + \fr 13:3 \fr*\ft অথবা, “তাঁর”\ft*\f* কোনও খোঁজখবর নিইনি।\f + \fr 13:3 \fr*\ft অথবা, “আমরা সেটিকে (তাঁকে) তুচ্ছজ্ঞান করলাম”\ft*\f*” \v 4 সমগ্র জনসমাবেশ এতে একমত হল, কারণ সব লোকজনের কাছে একথাটি ঠিক বলে মনে হল। \p \v 5 অতএব দাউদ কিরিয়ৎ-যিয়ারীম থেকে ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকটি আনার জন্য মিশরে অবস্থিত সীহোর নদী থেকে শুরু করে লেবো-হমাৎ\f + \fr 13:5 \fr*\ft অথবা, “হমাতের প্রবেশস্থান”\ft*\f* পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় বসবাসকারী ইস্রায়েলীদের সবাইকে একত্রিত করলেন। \v 6 দাউদ ও ইস্রায়েলীরা সবাই যিহূদা দেশের বালা (কিরিয়ৎ-যিয়ারীম) থেকে দুই করূবের মাঝে বিরাজমান সদাপ্রভু ঈশ্বরের সেই নিয়ম-সিন্দুকটি নিয়ে আসার জন্য সেখানে গেলেন—যে সিন্দুকটি তাঁরই নামে পরিচিত। \p \v 7 তারা ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকটি একটি নতুন গাড়িতে চাপিয়ে অবীনাদবের বাড়ি থেকে বের করলেন, এবং উষ ও অহিয়ো গাড়িটি চালাচ্ছিল। \v 8 গান গেয়ে এবং বীণা, খঞ্জনি, তবলা, সুরবাহার ও করতাল বাজিয়ে দাউদ ও ইস্রায়েলীরা সবাই সর্বশক্তি দিয়ে ঈশ্বরের সামনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন। \p \v 9 তারা যখন কীদোনের খামারে গিয়ে পৌঁছেছিলেন, তখন নিয়ম-সিন্দুকটি সামলানোর জন্য উষ নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল, কারণ বলদগুলি হোঁচট খেয়েছিল। \v 10 উষের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু ক্রোধে জ্বলে উঠেছিলেন, এবং তিনি তাকে মেরে ফেলেছিলেন, যেহেতু সে সেই নিয়ম-সিন্দুকে হাত দিয়েছিল। অতএব সে সদাপ্রভুর সামনে মারা গেল। \p \v 11 সদাপ্রভুর ক্রোধ উষের উপর ফেটে পড়তে দেখে দাউদ তখন ক্রুদ্ধ হলেন, এবং আজও পর্যন্ত সেই স্থানটিকে পেরস-উষ\f + \fr 13:11 \fr*\ft “পেরস-উষ” কথাটির অর্থ “উষের বিরুদ্ধে নেমে আসা ক্রোধ”\ft*\f* বলে ডাকা হয়। \p \v 12 সেদিন দাউদ সদাপ্রভুর ভয়ে ভীত হয়ে প্রশ্ন করলেন, “কীভাবে তবে আমি ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকটিকে আমার কাছে নিয়ে আসব?” \v 13 নিয়ম-সিন্দুকটিকে তিনি দাউদ-নগরে, নিজের কাছে নিয়ে আসেননি। তার পরিবর্তে তিনি সেটি গাতীয় ওবেদ-ইদোমের বাড়িতে এনে রেখেছিলেন। \v 14 ওবেদ-ইদোমের বাড়িতে, তার পরিবারের কাছেই নিয়ম-সিন্দুকটি তিন মাস ধরে রাখা ছিল, এবং সদাপ্রভু তার পরিবারকে ও তার যা যা ছিল, সবকিছুকে আশীর্বাদ করলেন। \c 14 \s1 দাউদের ঘর-পরিবার \p \v 1 ইত্যবসরে সোরের রাজা হীরম দাউদের জন্য একটি রাজপ্রাসাদ তৈরি করার লক্ষ্যে দেবদারু কাঠের গুঁড়ি, পাথর-মিস্ত্রি ও ছুতোরমিস্ত্রি সমেত কয়েকজন দূতকে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। \v 2 আর দাউদ বুঝতে পেরেছিলেন যে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের উপর তাঁর রাজপদ স্থির করেছেন এবং তাঁর প্রজা ইস্রায়েলের জন্য তাঁর রাজ্য যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছে। \p \v 3 জেরুশালেমে গিয়ে দাউদ আরও কয়েকজন মহিলাকে বিয়ে করলেন ও আরও অনেক ছেলেমেয়ের বাবা হলেন। \v 4 সেখানে তাঁর যেসব সন্তানের জন্ম হল, তাদের নাম হল: শম্মূয়, শোবব, নাথন, শলোমন, \v 5 যিভর, ইলীশূয়, এলফেলেট, \v 6 নোগহ, নেফগ, যাফিয়, \v 7 ইলীশামা, বীলিয়াদা\f + \fr 14:7 \fr*\ft অথবা, “ইলিয়াদা”\ft*\f* ও ইলীফেলট। \s1 দাউদ ফিলিস্তিনীদের পরাজিত করলেন \p \v 8 ফিলিস্তিনীরা যখন শুনতে পেয়েছিল দাউদ সমস্ত ইস্রায়েলের উপর রাজারূপে অভিষিক্ত হয়েছেন, তখন সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তারা তাঁকে খুঁজতে শুরু করল, কিন্তু দাউদ সেকথা শুনে তাদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ছুটে গেলেন। \v 9 ইত্যবসরে ফিলিস্তিনীরা এসে রফায়ীম উপত্যকায় হানা দিয়েছিল; \v 10 তাই দাউদ ঈশ্বরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন: “আমি কি গিয়ে ফিলিস্তিনীদের আক্রমণ করব? তুমি কি আমার হাতে তাদের সমর্পণ করবে?” \p সদাপ্রভু তাঁকে উত্তর দিলেন, “যাও, তাদের আমি তোমার হাতে সমর্পণ করব।” \p \v 11 তখন দাউদ ও তাঁর লোকজন বায়াল-পরাসীমে উঠে গেলেন, ও সেখানে তিনি তাদের পরাজিত করলেন। তিনি বললেন, “জল যেভাবে বাঁধ ভেঙে বের হয়ে আসে, ঈশ্বরও সেভাবে আমার হাত দিয়ে আমার শত্রুদের ভেঙে দিয়েছেন।” তাই সেই স্থানটির নাম দেওয়া হল বায়াল-পরাসীম।\f + \fr 14:11 \fr*\ft “বায়াল-পরাসীম” কথাটির অর্থ “যিনি ভেঙে দেন, সেই সদাপ্রভু”\ft*\f* \v 12 ফিলিস্তিনীরা সেখানে তাদের দেবতাদের মূর্তিগুলি ফেলে রেখে গেল, এবং দাউদ সেগুলি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার আদেশ দিলেন। \p \v 13 আরও একবার ফিলিস্তিনীরা সেই উপত্যকায় হানা দিয়েছিল; \v 14 তাই দাউদ আবার ঈশ্বরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এবং ঈশ্বর তাঁকে উত্তর দিলেন, “তুমি সরাসরি তাদের দিকে যেয়ো না, বরং চারপাশ থেকে তাদের ঘিরে ধরে সেই চিনার গাছগুলির সামনে গিয়ে তাদের আক্রমণ করো। \v 15 চিনার গাছগুলির মাথায় যেই না তুমি কুচকাওয়াজের শব্দ শুনবে, তৎক্ষণাৎ যুদ্ধ-অভিযান চালাবে, কারণ এর অর্থ হল এই যে ফিলিস্তিনী সৈন্যদলকে যন্ত্রণা করার জন্য তোমার আগেই ঈশ্বর স্বয়ং এগিয়ে গিয়েছেন।” \v 16 অতএব দাউদ ঈশ্বরের আদেশানুসারেই কাজ করলেন, এবং তারা সেই ফিলিস্তিনী সৈন্যদলকে একেবারে সেই গিবিয়োন থেকে গেষর পর্যন্ত যন্ত্রণা করে ফেলে দিলেন। \p \v 17 এইভাবে দাউদের সুনাম প্রত্যেকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, এবং সদাপ্রভু সব জাতির মনে দাউদের সম্বন্ধে এক ভয়ভাব উৎপন্ন করলেন। \c 15 \s1 নিয়ম-সিন্দুকটি জেরুশালেমে আনা হল \p \v 1 দাউদ-নগরে নিজের জন্য ঘরবাড়ি তৈরি করার পর দাউদ ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকের জন্য এক স্থান প্রস্তুত করলেন ও সেটির জন্য এক তাঁবু খাটিয়েছিলেন। \v 2 পরে দাউদ বললেন, “লেবীয়েরা ছাড়া আর কেউ ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকটি বহন করবে না, কারণ সদাপ্রভুর সিন্দুকটি বহন করার ও চিরকাল তাঁর সামনে সেবাকাজ করার জন্য সদাপ্রভুই তাদের বেছে নিয়েছেন।” \p \v 3 সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটির জন্য দাউদ যে স্থানটি প্রস্তুত করলেন, সেখানে সেটি নিয়ে আসার জন্য তিনি সমস্ত ইস্রায়েলকে জেরুশালেমে একত্রিত করলেন। \b \li4 \v 4 হারোণ ও এই লেবীয়দের ডেকে তিনি সমবেত করলেন: \b \li1 \v 5 কহাতের বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 নেতা ঊরীয়েল ও তাঁর 120 জন আত্মীয়স্বজন; \li1 \v 6 মরারির বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 নেতা অসায় ও তাঁর 220 জন আত্মীয়স্বজন; \li1 \v 7 গের্শোনের\f + \fr 15:7 \fr*\ft অথবা, গের্শোমের\ft*\f* বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 নেতা যোয়েল ও তাঁর 130 জন আত্মীয়স্বজন; \li1 \v 8 ইলীষাফণের বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 নেতা শময়িয় ও তাঁর 200 জন আত্মীয়স্বজন; \li1 \v 9 হিব্রোণের বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 নেতা ইলীয়েল ও তাঁর আশি জন আত্মীয়স্বজন; \li1 \v 10 উষীয়েলের বংশধরদের মধ্যে থেকে, \li2 নেতা অম্মীনাদব ও তাঁর 112 জন আত্মীয়স্বজন। \b \p \v 11 পরে দাউদ যাজক সাদোক ও অবিয়াথরকে এবং লেবীয় ঊরীয়েল, অসায়, যোয়েল, শময়িয়, ইলীয়েল ও অম্মীনাদবকে ডেকে পাঠালেন। \v 12 তিনি তাদের বললেন, “আপনারা লেবীয় গোষ্ঠীর কর্তাব্যক্তি; আপনাদেরই নিজেদের ও আপনাদের সহকর্মী লেবীয়দের পবিত্র করতে হবে এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটির জন্য আমি যে স্থানটি প্রস্তুত করে রেখেছি, সেখানে সেটি নিয়ে আসতে হবে। \v 13 আপনারা, এই লেবীয়রা যেহেতু প্রথমবার সেটি তুলে আনেননি, তাই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের বিরুদ্ধে ক্রোধে ফেটে পড়েছিলেন। বিধানানুসারে কীভাবে তা করতে হয়, সে বিষয়েও আমরা তাঁর কাছে কিছু জানতে চাইনি।” \v 14 তাই ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি নিয়ে আসার জন্য যাজক ও লেবীয়েরা নিজেদের পবিত্র করলেন। \v 15 সদাপ্রভুর বাক্যানুযায়ী মোশি যে আদেশ দিলেন, সেই আদেশানুসারে লেবীয়েরা নিজেদের কাঁধের উপর খুঁটিতে চাপিয়ে ঈশ্বরের সেই নিয়ম-সিন্দুকটি বহন করলেন। \p \v 16 দাউদ লেবীয় নেতাদের বললেন, তারা যেন খঞ্জনি, বীণা ও সুরবাহারের মতো বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আনন্দগান গাইবার জন্য তাদের সহকর্মী লেবীয়দের নিযুক্ত করলেন। \p \v 17 তাই লেবীয়েরা যোয়েলের ছেলে হেমনকে; তাঁর আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে থেকে বেরিখিয়ের ছেলে আসফকে; এবং তাদের আত্মীয়স্বজন সেই মরারীয়দের মধ্যে থেকে কূশায়ার ছেলে এথনকে নিযুক্ত করলেন; \v 18 আর তাদের সাথে পদাধিকারবলে তাদের এই আত্মীয়স্বজনরা তাদের তুলনায় কিছুটা কম গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন: সখরিয়,\f + \fr 15:18 \fr*\ft কিছু কিছু প্রাচীন অনুলিপি অনুসারে সখরিয় ছেলে এবং বা সখরিয়, বেন এবং (\+xt 20|link-href="1CH 15:20"\+xt* ও \+xt 16:5\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* যাসীয়েল, শমীরামোৎ, যিহীয়েল, উন্নি, ইলীয়াব, বনায়, মাসেয়, মত্তিথিয়, ইলীফলেহূ, মিকনেয় এবং দ্বাররক্ষী ওবেদ-ইদোম ও যিয়ীয়েল।\f + \fr 15:18 \fr*\ft কিছু কিছু প্রাচীন অনুলিপি অনুসারে যিয়ীয়েল ও অসসিয় (21 পদও দেখুন)\ft*\f* \p \v 19 সংগীতজ্ঞ হেমন, আসফ ও এথনকে ব্রোঞ্জের সুরবাহার বাজাতে হত; \v 20 সখরিয়, যাসীয়েল,\f + \fr 15:20 \fr*\ft অথবা, আসীয়েল (\+xt 18|link-href="1CH 15:18"\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* শমীরামোৎ, যিহীয়েল, উন্নি, ইলীয়াব, মাসেয় ও বনায়কে অলামোৎ সুরে\f + \fr 15:20 \fr*\ft সম্ভবত, বিশেষ এক সুর\ft*\f* খঞ্জনি বাজাতে হত, \v 21 এবং মত্তিথিয়, ইলীফলেহূ, মিকনেয়, ওবেদ-ইদোম, যিয়ীয়েল ও অসসিয়কে শিমিনীৎ সুরে অনুপ্রাণিত হয়ে বীণা বাজাতে হত। \v 22 প্রধান-লেবীয় কননিয়কে গানের গুরু করে দেওয়া হল; সেটিই ছিল তাঁর দায়িত্ব, কারণ তিনি সে কাজে যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন। \p \v 23 বেরিখিয় ও ইল্‌কানাকে নিয়ম-সিন্দুকটির জন্য দ্বাররক্ষী হতে হল। \v 24 যাজক শবনিয়, যিহোশাফট, নথনেল, অমাসয়, সখরিয়, বনায় ও ইলীয়েষরকে ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকটির সামনে শিঙা বাজাতে হত। ওবেদ-ইদোম ও যিহিয়কেও নিয়ম-সিন্দুকটির জন্য দ্বাররক্ষী হতে হল। \p \v 25 অতএব দাউদ ও ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা এবং সৈন্যদলের সহস্র-সেনাপতিরা আনন্দ করতে করতে ওবেদ-ইদোমের বাড়ি থেকে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি আনতে গেলেন। \v 26 যেহেতু সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক বহনকারী লেবীয়দের ঈশ্বর সাহায্য করলেন, তাই সাতটি বলদ ও সাতটি মদ্দা মেষ বলি দেওয়া হল। \v 27 ইত্যবসরে দাউদ মিহি মসিনার পোশাক গায়ে দিলেন, সেই নিয়ম-সিন্দুক বহনকারী লেবীয়েরা সবাই, তথা সংগীতজ্ঞরা, ও গায়কদলের গান পরিচালনাকারী কননিয়ও একই ধরনের পোশাক গায়ে দিলেন। দাউদ আবার মসিনার এক এফোদও গায়ে দিলেন। \v 28 অতএব ইস্রায়েলে সবাই চিৎকার করে করে, মদ্দা মেষের শিং ও শিঙা এবং সুরবাহার বাজিয়ে, ও খঞ্জনি ও বীণাও বাজিয়ে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি ফিরিয়ে এনেছিল। \p \v 29 সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি ঠিক যখন দাউদ-নগরে প্রবেশ করছিল, শৌলের মেয়ে মীখল জানালায় দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখছিলেন। আর তিনি যখন দেখলেন যে রাজা দাউদ নাচছেন ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন, তখন তিনি মনে মনে তাঁকে তুচ্ছজ্ঞান করলেন। \c 16 \s1 নিয়ম-সিন্দুকটির সামনে করা পরিচর্যা \p \v 1 ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকটি রাখার জন্য দাউদ যে তাঁবুটি খাটিয়েছিলেন, তারা সেটি সেই তাঁবুর মধ্যে এনে রেখেছিল, এবং তারা ঈশ্বরের সামনে হোমবলি ও মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করল। \v 2 দাউদ হোমবলি ও মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করার পর সদাপ্রভুর নামে প্রজাদের আশীর্বাদ করলেন। \v 3 পরে তিনি প্রত্যেক ইস্রায়েলী পুরুষ ও মহিলাকে একটি করে রুটি, একটি করে খেজুরের ও কিশমিশের পিঠে দিলেন। \p \v 4 লেবীয়দের মধ্যে কয়েকজনকে তিনি সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকের সামনে পরিচর্যা করার, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গুণকীর্তন করার,\f + \fr 16:4 \fr*\ft অথবা, সদাপ্রভুর কাছে আবেদন জানাবার, বা মিনতি করার\ft*\f* তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর, ও তাঁর প্রশংসা করার জন্য নিযুক্ত করলেন: \v 5 তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন আসফ, পদমর্যাদায় তাঁর অধঃস্তন ছিলেন সখরিয়, পরে ছিলেন যাশীয়েল,\f + \fr 16:5 \fr*\ft খুব সম্ভবত যাঁর আর এক নাম যিয়ীয়েল (\+xt 15:18, 20\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* শমীরামোৎ, যিহীয়েল, মত্তিথিয়, ইলীয়াব, বনায়, ওবেদ-ইদোম ও যিয়ীয়েল। তাদের খঞ্জনি ও বীণা বাজাতে হত, আসফকে সুরবাহারে ঝংকার তুলতে হত, \v 6 এবং যাজক বনায় ও যহসীয়েলকে পর্যায়ক্রমে ঈশ্বরের নিয়ম-সিন্দুকের সামনে শিঙা বাজাতে হত। \p \v 7 সেদিন দাউদ এইভাবে সদাপ্রভুর উদ্দেশে প্রশংসা জানানোর জন্য প্রথমেই আসফ ও তাঁর সঙ্গীসাথীদের নিযুক্ত করলেন: \q1 \v 8 সদাপ্রভুর প্রশংসা করো, তাঁর নাম ঘোষণা করো; \q2 জাতিদের জানাও তিনি কী করেছেন। \q1 \v 9 তাঁর উদ্দেশে গান গাও, তাঁর উদ্দেশে প্রশংসাগীত গাও; \q2 তাঁর সুন্দর সুন্দর সব কাজের কথা বলো। \q1 \v 10 তাঁর পবিত্র নামের মহিমা করো; \q2 যারা সদাপ্রভুর খোঁজ করে তাদের অন্তর উল্লসিত হোক। \q1 \v 11 সদাপ্রভুর ও তাঁর শক্তির দিকে চেয়ে দেখো; \q2 সর্বদা তাঁর শ্রীমুখের খোঁজ করো। \b \q1 \v 12 মনে রেখো তাঁর করা আশ্চর্য কাজগুলি, \q2 তাঁর অলৌকিক কার্যাবলি ও তাঁর ঘোষণা করা শাস্তি, \q1 \v 13 তোমরা তাঁর দাস, হে ইস্রায়েলের বংশধরেরা, \q2 তাঁর মনোনীত লোকেরা, হে যাকোবের সন্তানেরা। \q1 \v 14 তিনিই আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু; \q2 তাঁর বিচার সমগ্র পৃথিবীতে বিরাজমান। \b \q1 \v 15 তিনি চিরকাল তাঁর নিয়ম মনে রাখেন\f + \fr 16:15 \fr*\ft অথবা, তোমরা চিরকাল তাঁর নিয়ম মনে রেখ (\+xt গীত 105:8\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f*, \q2 যে প্রতিজ্ঞা তিনি করেছেন, হাজার বংশ পর্যন্ত, \q1 \v 16 যে নিয়ম তিনি অব্রাহামের সাথে স্থাপন করলেন, \q2 যে শপথ তিনি ইস্‌হাকের কাছে করলেন। \q1 \v 17 তা তিনি যাকোবের কাছে এক বিধানরূপে সুনিশ্চিত করলেন, \q2 ইস্রায়েলের কাছে করলেন এক চিরস্থায়ী নিয়মরূপে: \q1 \v 18 “তোমাকেই আমি সেই কনান দেশ দেব \q2 সেটিই হবে তোমার উত্তরাধিকারের অংশ।” \b \q1 \v 19 তারা যখন সংখ্যায় ছিল অতি নগণ্য, \q2 সত্যিই নগণ্য, ও সেখানে ছিল তারা বিদেশি, \q1 \v 20 তারা\f + \fr 16:20 \fr*\ft অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপি অনুসারে \+xt 18-20|link-href="1CH 16:18-20"\+xt* পদের গঠন এইরকম: অংশ, তোমরা যদিও সংখ্যায় ছিলে অতি নগণ্য, সত্যিই অতি নগণ্য, ও সেখানে ছিলে বিদেশি হয়ে। তারা (\+xt গীত 105:12\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* এক জাতি থেকে অন্য জাতির মধ্যে, \q2 এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ঘুরে বেড়ালো। \q1 \v 21 তিনি কাউকে তাদের উপর অত্যাচার করতে দেননি; \q2 তাদের সুবিধার্থে তিনি রাজাদের তিরস্কার করলেন: \q1 \v 22 “আমার অভিষিক্ত জনেদের স্পর্শ কোরো না; \q2 আমার ভাববাদীদের কোনও ক্ষতি কোরো না।” \b \q1 \v 23 হে সমস্ত পৃথিবী, সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান গাও; \q2 দিনের পর দিন তাঁর পরিত্রাণ ঘোষণা করো। \q1 \v 24 সমস্ত জাতির মধ্যে তাঁর মহিমা আর সব লোকের মাঝে \q2 তাঁর বিস্ময়কর কাজের কথা প্রচার করো। \b \q1 \v 25 সদাপ্রভু মহান এবং সর্বোচ্চ প্রশংসার যোগ্য; \q2 সব দেবতার উপরে তিনি সম্ভ্রমের যোগ্য। \q1 \v 26 কারণ, জাতিগণের সমস্ত দেবতা কেবল প্রতিমা মাত্র, \q2 কিন্তু সদাপ্রভু আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন। \q1 \v 27 তাঁর সামনে রয়েছে সমারোহ ও প্রতাপ; \q2 শক্তি ও আনন্দ রয়েছে তাঁর বাসস্থানে। \b \q1 \v 28 জাতিগণের সমস্ত কুল সদাপ্রভুকে স্বীকার করো, \q2 স্বীকার করো যে সদাপ্রভু মহিমান্বিত ও পরাক্রমী। \q1 \v 29 সদাপ্রভুকে তাঁর যোগ্য মহিমায় মহিমান্বিত করো! \q2 নৈবেদ্য সাজিয়ে তাঁর প্রাঙ্গণে প্রবেশ করো। \q1 তাঁর পবিত্র শোভায় সদাপ্রভুর আরাধনা করো। \q2 \v 30 সমস্ত পৃথিবী, তাঁর সামনে কম্পিত হও! \q2 পৃথিবী দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত, তা বিচলিত হবে না। \b \q1 \v 31 আকাশমণ্ডল আনন্দ করুক, পৃথিবী উল্লসিত হোক; \q2 জাতিদের মধ্যে তারা বলুক, “সদাপ্রভু রাজত্ব করেন!” \q1 \v 32 সমুদ্র ও সেখানকার সবকিছু গর্জন করুক; \q2 ক্ষেতখামার ও সেখানকার সবকিছু আনন্দ করুক! \q1 \v 33 জঙ্গলের সকল গাছ আনন্দ সংগীত করুক, \q2 সদাপ্রভুর সামনে তারা আনন্দে গান করুক, \q2 কারণ তিনি পৃথিবীর বিচার করতে আসছেন। \b \q1 \v 34 সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করো, কারণ তিনি মঙ্গলময়; \q2 তাঁর দয়া অনন্তকালস্থায়ী। \q1 \v 35 চিৎকার করে বলো, “হে আমাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বর, আমাদের উদ্ধার করো; \q2 আমাদের সংগ্রহ করো ও জাতিদের হাত থেকে রক্ষা করো, \q1 যেন আমরা তোমার পবিত্র নামের ধন্যবাদ করতে পারি, \q2 ও তোমার প্রশংসায় মহিমা করতে পারি।” \q1 \v 36 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক, \q2 অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত। \m তখন সব লোকে বলে উঠেছিল “আমেন” ও “সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক।” \b \p \v 37 প্রতিদিনের চাহিদানুসারে পর্যায়ক্রমে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটির সামনে পরিচর্যা করার জন্য দাউদ সেখানে আসফ ও তাঁর সহকর্মীদের ছেড়ে গেলেন। \v 38 এছাড়াও তাদের সাথে পরিচর্যা করার জন্য তিনি ওবেদ-ইদোম ও তাঁর 68 জন সহকর্মীকেও ছেড়ে গেলেন। যিদূথূনের ছেলে ওবেদ-ইদোম, ও হোষাও দ্বাররক্ষী ছিলেন। \p \v 39 গিবিয়োনে আরাধনার উঁচু স্থানটিতে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর সামনে দাউদ যাজক সাদোক ও তাঁর সহকর্মী যাজকদের ছেড়ে গেলেন \v 40 যেন তারা পর্যায়ক্রমে, সকাল-সন্ধ্যায় সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে যে বিধানপুস্তক দিলেন তাতে লেখা যাবতীয় নিয়মানুসারে হোমবলির বেদিতে সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলি উপস্থিত করতে পারেন। \v 41 হেমন ও যিদূথূন এবং “তাঁর প্রেম নিত্যস্থায়ী,” এই বলে সদাপ্রভুকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য নাম ধরে ধরে যাদের মনোনীত করা হল ও দায়িত্ব দেওয়া হল, অবশিষ্ট সেই লোকজনও তাদের সাথে ছিলেন। \v 42 হেমন ও যিদূথূনকে দায়িত্ব দেওয়া হল যেন তারা শিঙা ও সুরবাহার বাজান এবং পবিত্র গানের সাথে সাথে অন্যান্য বাজনাও বাজান। যিদূথূনের ছেলেরা সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজায় মোতায়েন ছিল। \p \v 43 পরে লোকেরা সবাই নিজের নিজের ঘরে ফিরে গেল, এবং দাউদও তাঁর পরিবার-পরিজনদের আশীর্বাদ করার জন্য ঘরে ফিরে গেলেন। \c 17 \s1 দাউদের কাছে করা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞা \p \v 1 দাউদ তাঁর রাজপ্রাসাদে স্থির হয়ে বসার পর ভাববাদী নাথনকে বললেন, “দেখুন, আমি তো দেবদারু কাঠে তৈরি বাড়িতে বসবাস করছি, অথচ সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটি একটি তাঁবুর মধ্যেই রাখা আছে।” \p \v 2 নাথন দাউদকে উত্তর দিলেন, “আপনার মনে যা কিছু আছে, আপনি তাই করুন, কারণ ঈশ্বর আপনার সাথেই আছেন।” \p \v 3 কিন্তু সেরাতে ঈশ্বরের বাক্য নাথনের কাছে এসে উপস্থিত হল, ঈশ্বর বললেন: \pm \v 4 “তুমি যাও ও আমার দাস দাউদকে গিয়ে বলো, ‘সদাপ্রভু একথাই বলেন: আমার বসবাসের জন্য যে একটি গৃহ নির্মাণ করবে, সে তুমি নও। \v 5 যেদিন আমি ইস্রায়েলকে মিশর থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলাম, সেদিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমি কোনো বাড়িতে বসবাস করিনি। আমি এক তাঁবু থেকে অন্য তাঁবুতে, এক বাসস্থান থেকে অন্য বাসস্থানে ঘুরে বেড়িয়েছি। \v 6 ইস্রায়েলীদের সবাইকে সাথে নিয়ে আমি যেখানে যেখানে গিয়েছি, সেখানে কোথাও কি যাদের আমি আমার প্রজাদের লালনপালন করার আদেশ দিয়েছিলাম, সেই নেতাদের\f + \fr 17:6 \fr*\ft চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী বিচারকর্তাদের; কথাটি 10 পদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য\ft*\f* মধ্যে কাউকে কখনও বললাম, “তোমরা কেন আমার জন্য দেবদারু কাঠের এক গৃহ নির্মাণ করে দাওনি?” ’ \pm \v 7 “তবে এখন, আমার দাস দাউদকে বলো, ‘সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু একথাই বলেন: আমি তোমাকে পশুচারণভূমি থেকে, তুমি যখন মেষের পাল চরাচ্ছিলে, তখন সেখান থেকেই তুলে এনেছিলাম, এবং তোমাকে আমার প্রজা ইস্রায়েলের উপর শাসনকর্তারূপে নিযুক্ত করলাম। \v 8 তুমি যেখানে যেখানে গিয়েছ, আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে থেকেছি, এবং তোমার সামনে আসা সব শত্রুকে আমি উচ্ছেদ করেছি। এখন আমি তোমার নাম পৃথিবীর মহাপুরুষদের মতোই করব। \v 9 আমার প্রজা ইস্রায়েলের জন্য আমি এক স্থান জোগাব ও তাদের সেখানে বসতি করে দেব, যেন তারা তাদের নিজস্ব ঘরবাড়ি পায় ও আর কখনও যেন তাদের উপদ্রুত হতে না হয়। দুষ্ট লোকজন আর কখনও তাদের অত্যাচার করবে না, যেমনটি তারা শুরু করল \v 10 এবং যখন থেকে আমার প্রজা ইস্রায়েলের উপর আমি নেতাদের নিযুক্ত করে এসেছি, তখন থেকে শুরু করে এযাবৎ যেভাবে তারা তা করে আসছে। আমি তোমার সব শত্রুকে সংযত করেও রাখব। \pm “ ‘আমি তোমার কাছে ঘোষণা করে দিচ্ছি যে সদাপ্রভুই তোমার জন্য এক কুল গড়ে দেবেন: \v 11 তোমার আয়ু শেষ হয়ে যাওয়ার পর ও যখন তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য চলে যাবে, তখন তোমার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য আমি তোমার এমন এক বংশধরকে উৎপন্ন করব, যে হবে তোমার আপন ছেলেদের মধ্যে একজন, এবং আমি তার রাজ্য সুস্থিরও করব। \v 12 সেই হবে এমন একজন যে আমার জন্য একটি ভবন তৈরি করবে, ও আমি তার সিংহাসন চিরস্থায়ী করব। \v 13 আমি তার বাবা হব, ও সে আমার ছেলে হবে। যেভাবে আমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে আমার প্রেম-ভালোবাসা সরিয়ে নিয়েছিলাম, আমি আর কখনও সেভাবে তার কাছ থেকে তা সরিয়ে নেব না। \v 14 আমার ভবনের ও আমার রাজ্যের উপর চিরকালের জন্য আমি তাকে বসাব; তার সিংহাসন চিরস্থায়ী হবে।’ ” \p \v 15 সম্পূর্ণ এই প্রত্যাদেশের সব কথা নাথন দাউদকে জানিয়েছিলেন। \s1 দাউদের প্রার্থনা \p \v 16 পরে রাজা দাউদ ভিতরে সদাপ্রভুর সামনে গিয়ে বসেছিলেন, ও বললেন: \pm “হে সার্বভৌম সদাপ্রভু, আমি কে, আর আমার পরিবারই বা কী, যে তুমি আমাকে এত দূর নিয়ে এসেছ? \v 17 আর তোমার দৃষ্টিতে এও যদি যথেষ্ট বলে মনে হয়নি, হে আমার ঈশ্বর, তুমি তোমার এই দাসের পরিবারের ভবিষ্যতের বিষয়েও তো বলে দিয়েছ। তুমি, হে ঈশ্বর সদাপ্রভু, এভাবে আমার দিকে চোখ তুলে চেয়েছ, যেন আমি মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চপদস্থ একজন। \pm \v 18 “তোমার এই দাসকে তুমি যে সম্মান দিলে, তার জন্য দাউদ তোমাকে আর কী-ই বা বলতে পারে? কারণ তুমি তো তোমার এই দাসকে জানো, \v 19 হে সদাপ্রভু। তোমার এই দাসের সুবিধার্থে ও তোমার ইচ্ছানুসারেই তুমি এই মহান কাজটি করেছ ও এসব বড়ো বড়ো প্রতিজ্ঞা অবগত করেছ। \pm \v 20 “হে সদাপ্রভু, তোমার মতো আর কেউ নেই, এবং তুমি ছাড়া ঈশ্বর আর কেউ নেই, যেমনটি আমরা নিজের কানেই শুনেছি। \v 21 তোমার প্রজা ইস্রায়েলের মতো আর কে আছে—পৃথিবীতে বিরাজমান একমাত্র জাতি, যাদের তাঁর নিজস্ব প্রজা করার জন্য তাদের ঈশ্বর স্বয়ং তাদের মুক্ত করতে গেলেন, ও নিজের জন্য এক নাম প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, তথা তোমার প্রজাদের সামনে থেকে বিভিন্ন জাতি ও তাদের দেবদেবীদের উৎখাত করার দ্বারা মহৎ ও বিস্ময়কর আশ্চর্য সব কাজ করে যাদের তুমি মিশর থেকে মুক্ত করলে? \v 22 তোমার প্রজা ইস্রায়েলকে তুমি চিরতরে একেবারে তোমার নিজস্ব করে নিয়েছ, এবং হে সদাপ্রভু, তুমি তাদের ঈশ্বর হয়ে গিয়েছ। \pm \v 23 “আর এখন, হে সদাপ্রভু, তোমার দাসের ও তার কুলের বিষয়ে তুমি যে প্রতিজ্ঞা করলে, তা যেন চিরতরে প্রতিষ্ঠিত হয়। তোমার প্রতিজ্ঞানুসারেই তুমি তা করো, \v 24 যেন তা প্রতিষ্ঠিত হয় ও তোমার নাম চিরতরে মহান হয়ে যায়। তখনই লোকেরা বলবে, ‘সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের উপর বিরাজমান ঈশ্বর, তিনিই ইস্রায়েলের ঈশ্বর!’ আর তোমার দাস দাউদের কুল তোমার সামনে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। \pm \v 25 “হে আমার ঈশ্বর, তুমি তোমার দাসের কাছে প্রকাশিত করে দিয়েছিলে যে তুমি তার জন্য এক কুল গড়ে তুলবে। তাইতো তোমার দাস তোমার কাছে এই প্রার্থনা করার সাহস পেয়েছে। \v 26 হে সদাপ্রভু, তুমিই ঈশ্বর! তোমার দাসের কাছে তুমিই এইসব উত্তম বিষয়ের প্রতিজ্ঞা করলে। \v 27 এখন তুমি যখন তোমার এই দাসের কুলকে খুশিমনে আশীর্বাদ করেছ, তখন তোমার দৃষ্টিতে যেন তা চিরকাল বজায় থাকে; কারণ তুমিই, হে সদাপ্রভু, সেই কুলকে আশীর্বাদ করেছ, ও সেটি চিরকালের জন্য আশীর্বাদপুষ্ট হয়েই থাকবে।” \c 18 \s1 দাউদের যুদ্ধবিজয় \p \v 1 কালক্রমে, দাউদ ফিলিস্তিনীদের পরাজিত করলেন ও তাদের বশীভূতও করলেন, এবং তিনি ফিলিস্তিনীদের হাত থেকে গাৎ ও সেটির চারপাশের গ্রামগুলি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। \p \v 2 দাউদ মোয়াবীয়দেরও পরাজিত করলেন, এবং তারা তাঁর অধীনে এসে তাঁর কাছে কর নিয়ে এসেছিল। \p \v 3 এছাড়াও, সোবার রাজা হদদেষর যখন ইউফ্রেটিস নদীর কাছে তাঁর মিনারটি খাড়া করতে গেলেন,\f + \fr 18:3 \fr*\ft অথবা, তাঁর নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে গেলেন\ft*\f* তখন হমাৎ অঞ্চলে দাউদ তাঁকেও পরাজিত করলেন। \v 4 দাউদ তাঁর 1,000 রথ, 7,000 অশ্বারোহী ও 20,000 পদাতিক সৈন্য দখল করলেন। রথের সঙ্গে জুড়ে থাকা 100-টি ঘোড়া বাদ দিয়ে বাকি সব ঘোড়ার পায়ের শিরা কেটে তিনি সেগুলিকে খঞ্জ করে দিলেন। \p \v 5 দামাস্কাসের অরামীয়রা যখন সোবার রাজা হদদেষরকে সাহায্য করতে এসেছিল, তখন দাউদ তাদের মধ্যে বাইশ হাজার জনকে যন্ত্রণা করে ফেলে দিলেন। \v 6 তিনি দামাস্কাসের অরামীয় রাজ্যে সৈন্যদল মোতায়েন করে দিলেন, এবং অরামীয়রা তাঁর বশীভূত হয়ে রাজকর নিয়ে এসেছিল। দাউদ যেখানে যেখানে গেলেন, সদাপ্রভু সেখানে সেখানে তাঁকে বিজয়ী করলেন। \p \v 7 হদদেষরের কর্মকর্তারা সোনার যে ঢালগুলি বহন করত, দাউদ সেগুলি দখল করে জেরুশালেমে নিয়ে এলেন। \v 8 হদদেষরের অধিকারে থাকা দুটি নগর তেভা\f + \fr 18:8 \fr*\ft অথবা, তিভৎ\ft*\f* ও কূন থেকে দাউদ প্রচুর পরিমাণে ব্রোঞ্জ নিয়ে এলেন, যেগুলি শলোমন ব্রোঞ্জের সমুদ্রপাত্র, বেশ কয়েকটি থাম ও ব্রোঞ্জের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করার কাজে ব্যবহার করলেন। \p \v 9 হমাতের রাজা তোয়ু যখন শুনেছিলেন যে দাউদ সোবার রাজা হদদেষরের সম্পূর্ণ সৈন্যদলকে পরাজিত করেছেন, \v 10 তখন হদদেষরের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর জন্য তিনি দাউদের কাছে তাঁর ছেলে হদোরামকে পাঠিয়ে দিলেন, কারণ হদদেষরের সাথে তোয়ুর প্রায়ই যুদ্ধ হত। হদোরাম সোনা, রুপো ও ব্রোঞ্জের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে এলেন। \p \v 11 রাজা দাউদ এইসব জিনিসপত্র সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করে দিলেন, ঠিক যেভাবে ইদোম ও মোয়াব, অম্মোনীয় ও ফিলিস্তিনী এবং অমালেক: এইসব জাতির কাছ থেকে আনা সোনা ও রুপো তিনি উৎসর্গ করে দিলেন। \p \v 12 সরূয়ার ছেলে অবীশয় লবণ উপত্যকায় আঠারো হাজার ইদোমীয়কে মেরে ফেলেছিলেন। \v 13 তিনি ইদোম দেশে সৈন্যদল মোতায়েন করে দিলেন, ও ইদোমীয়রা সবাই দাউদের বশীভূত হল। দাউদ যেখানে যেখানে গেলেন, সদাপ্রভু সেখানে সেখানে তাঁকে বিজয়ী করলেন। \s1 দাউদের কর্মকর্তারা \p \v 14 দাউদ সমস্ত ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করলেন, ও তাঁর সব প্রজার জন্য যা যা ন্যায্য ও উপযুক্ত ছিল, তিনি তাই করতেন। \b \li1 \v 15 সরূয়ার ছেলে যোয়াব সৈন্যদলের প্রধান সেনাপতি ছিলেন; \li1 অহীলূদের ছেলে যিহোশাফট ছিলেন লিপিকার; \li1 \v 16 অহীটূবের ছেলে সাদোক ও অবিয়াথরের ছেলে অহীমেলক\f + \fr 18:16 \fr*\ft অথবা, অবীমেলক (\+xt 2 শমূয়েল 8:17\+xt* পদও দেখুন)\ft*\f* ছিলেন যাজক; \li1 শবশ ছিলেন সচিব; \li1 \v 17 যিহোয়াদার ছেলে বনায় করেথীয় ও পলেথীয়দের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন; \li1 এবং দাউদের ছেলেরা রাজার প্রধান সহকারী ছিলেন। \c 19 \s1 দাউদ অম্মোনীয়দের পরাজিত করলেন \p \v 1 কালক্রমে, অম্মোনীয়দের রাজা নাহশ মারা গেলেন, ও রাজারূপে তাঁর ছেলেই তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \v 2 দাউদ ভেবেছিলেন, “আমি নাহশের ছেলে হানূনের প্রতি সহানুভূতি দেখাব, কারণ তাঁর বাবা আমার প্রতি দয়া দেখিয়েছিলেন।” অতএব দাউদ হানূনের বাবার প্রতি তাঁর সহানুভূতি প্রকাশ করার জন্য একদল লোককে তাঁর প্রতিনিধি করে পাঠালেন। \p দাউদের পাঠানো লোকেরা হানূনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করার জন্য যখন অম্মোনীয়দের দেশে তাঁর কাছে গেল, \v 3 তখন অম্মোনীয়দের সেনাপতিরা হানূনকে বললেন, “আপনার কি মনে হয় যে সহানুভূতি প্রকাশ করার জন্য আপনার কাছে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে দাউদ আপনার বাবাকে সম্মান জানাচ্ছেন? তার প্রতিনিধিরা কি শুধু গুপ্তচরবৃত্তি করে দেশটিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান চালিয়ে এটি উচ্ছেদ করার জন্যই আপনার কাছে আসেনি?” \v 4 অতএব হানূন দাউদের পাঠানো প্রতিনিধিদের ধরে তাদের চুল-দাড়ি কামিয়ে, নিতম্বদেশ পর্যন্ত তাদের জামাকাপড় কেটে দিয়ে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। \p \v 5 কেউ একজন যখন দাউদের কাছে এসে সেই লোকদের কথা বলল, তখন তাদের সাথে দেখা করার জন্য তিনি কয়েকজন দূত পাঠালেন, কারণ তারা চরম অপদস্থ হয়েছিল। রাজামশাই বললেন, “যতদিন না তোমাদের চুল-দাড়ি বড়ো হচ্ছে, ততদিন তোমরা যিরীহোতেই থাকো, পরে তোমরা এখানে ফিরে এসো।” \p \v 6 অম্মোনীয়েরা যখন বুঝতে পেরেছিল যে তারা দাউদের দৃষ্টিতে আপত্তিকর হয়ে গিয়েছে, তখন হানূন ও অম্মোনীয়েরা অরাম-নহরয়িম,\f + \fr 19:6 \fr*\ft অর্থাৎ, দক্ষিণ-পশ্চিম মেসোপটেমিয়া\ft*\f* অরাম-মাখা ও সোবা থেকে রথ ও সারথি ভাড়া করে আনার জন্য 1,000 তালন্ত\f + \fr 19:6 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 38 টন, বা প্রায় 34 মেট্রিক টন\ft*\f* রুপো পাঠিয়ে দিয়েছিল। \v 7 32,000 রথ ও সারথি, তথা সৈন্যসামন্ত সমেত মাখার সেই রাজাকেও তারা ভাড়া করে এনেছিল, যিনি এসে মেদ্‌বার কাছে সৈন্যশিবির স্থাপন করলেন, ইত্যবসরে অম্মোনীয়েরা আবার তাদের নগরগুলিতে জমায়েত হয়ে যুদ্ধ করার জন্য এগিয়ে গেল। \p \v 8 একথা শুনতে পেয়ে, দাউদ লড়াকু লোকবিশিষ্ট সমস্ত সৈন্যদল সমেত যোয়াবকে সেখানে পাঠিয়ে দিলেন। \v 9 অম্মোনীয়রা বেরিয়ে এসে তাদের নগরের প্রবেশদ্বারে সৈন্যদল সাজিয়ে রেখেছিল, অন্যদিকে, যেসব রাজা সেখানে এলেন, তাঁরা নিজেরা খোলা মাঠে আলাদা করে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। \p \v 10 যোয়াব দেখেছিলেন যে তাঁর আগে পিছে সৈন্যদল সাজিয়ে রাখা হয়েছে; তাই তিনি ইস্রায়েলের সেরা কয়েকজন সৈন্য বেছে নিয়ে অরামীয়দের বিরুদ্ধে তাদের মোতায়েন করলেন। \v 11 বাকি সৈন্যদের তিনি তাঁর ভাই অবীশয়ের কর্তৃত্বাধীন করে রেখেছিলেন, এবং তারা অম্মোনীয়দের বিরুদ্ধে মোতায়েন হল। \v 12 যোয়াব বললেন, “অরামীয়রা যদি আমার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে যায়, তবে তুমি আমাকে রক্ষা কোরো; কিন্তু অম্মোনীয়রা যদি তোমার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে যায়, তবে আমিই তোমাকে রক্ষা করব। \v 13 শক্তিশালী হও, এসো—আমরা আমাদের জাতির ও আমাদের ঈশ্বরের নগরগুলির জন্য বীরের মতো লড়াই করি। সদাপ্রভুই তাঁর দৃষ্টিতে যা ভালো বোধ হয়, তাই করবেন।” \p \v 14 পরে যোয়াব ও তাঁর সৈন্যদল অরামীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এগিয়ে গেলেন, ও তারা তাঁর সামনে থেকে পালিয়ে গেল। \v 15 অম্মোনীয়রা যখন বুঝতে পেরেছিল যে অরামীয়রা পালিয়ে যাচ্ছে, তখন তারাও তাঁর ভাই অবীশয়ের সামনে থেকে পালিয়ে গিয়ে নগরের ভিতরে ঢুকে পড়েছিল। তাই যোয়াব জেরুশালেমে ফিরে গেলেন। \p \v 16 অরামীয়রা যখন দেখেছিল যে তারা ইস্রায়েলীদের দ্বারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে, তখন তারা দূত পাঠিয়ে ইউফ্রেটিস নদীর ওপার থেকে সেই অরামীয়দের ডেকে পাঠিয়েছিল, যাদের পরিচালনায় ছিলেন হদদেষরের সেনাবাহিনীর সেনাপতি শোফক। \p \v 17 দাউদকে যখন একথা বলা হল, তখন তিনি সমগ্র ইস্রায়েলকে একত্রিত করে জর্ডন নদী পার করে গেলেন; তিনি তাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে গেলেন ও তাদের উল্টোদিকে তাঁর সৈন্যদল মোতায়েন করলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে অরামীয়দের সম্মুখীন হওয়ার জন্য দাউদ তাঁর সৈন্যদল সাজিয়েছিলেন, এবং তারা তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল। \v 18 কিন্তু তারা ইস্রায়েলের সামনে থেকে পালিয়ে গেল, এবং দাউদ তাদের সারথিদের মধ্যে 7,000 জনকে ও তাদের পদাতিক সৈন্যদের মধ্যে 40,000 জনকে হত্যা করলেন। তাদের সেনাবাহিনীর সেনাপতি শোফককেও তিনি হত্যা করলেন। \p \v 19 হদদেষরের কেনা গোলামেরা যখন দেখেছিল যে তারা ইস্রায়েলীদের দ্বারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছে, তখন তারা দাউদের সাথে সন্ধি করল ও তাঁর শাসনাধীন হয়ে গেল। \p অতএব অরামীয়েরা আর কখনও অম্মোনীয়দের সাহায্য করতে রাজি হয়নি। \c 20 \s1 রব্বা অধিকৃত হয় \p \v 1 বসন্তকালে, রাজারা সাধারণত যখন যুদ্ধে যেতেন, সেইরকমই এক সময় যোয়াব সশস্ত্র সৈন্যদলকে নেতৃত্ব দিলেন। তিনি অম্মোনীয়দের দেশটিতে লুটপাট চালিয়েছিলেন এবং রব্বায় গিয়ে সেটি অবরোধ করলেন, কিন্তু দাউদ জেরুশালেমেই থেকে গেলেন। যোয়াব রব্বায় আক্রমণ চালিয়ে সেটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করলেন। \v 2 দাউদ তাদের রাজার\f + \fr 20:2 \fr*\ft অথবা, মিলকমের, অর্থাৎ মোলকের\ft*\f* মাথা থেকে মুকুট কেড়ে নিয়েছিলেন—জানা গেল সেটিতে এক তালন্ত\f + \fr 20:2 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 34 কিলোগ্রাম\ft*\f* সোনা ছিল, এবং সেটি মূল্যবান রত্নখোচিতও ছিল—আর সেটি দাউদের মাথায় পরিয়ে দেওয়া হল। তিনি সেই নগরটি থেকে প্রচুর পরিমাণে লুটসামগ্রী নিয়ে এলেন \v 3 এবং যারা সেখানে ছিল, সেখানকার লোকজনকেও নিয়ে এসে তিনি তাদের করাত ও লোহার গাঁইতি এবং কুড়ুল চালানোর কাজে লাগিয়ে দিলেন। দাউদ অম্মোনীয়দের সব নগরের প্রতিই এরকম করলেন। পরে দাউদ ও তাঁর সমস্ত সৈন্যদল জেরুশালেমে ফিরে এলেন। \s1 ফিলিস্তিনীদের সাথে যুদ্ধ হয় \p \v 4 কালক্রমে, গেষরে ফিলিস্তিনীদের সাথে যুদ্ধ বেধে গেল। সেই সময় হূশাতীয় সিব্বখয় রফায়ীয়দের বংশধরদের মধ্যে সিপ্পয় বলে একজনকে হত্যা করল, এবং ফিলিস্তিনীরা যুদ্ধে পরাজিত হল। \p \v 5 ফিলিস্তিনীদের সাথে অন্য একটি যুদ্ধে, যায়ীরের ছেলে ইলহানন গাতীয় গলিয়াতের ভাই লহমিকে হত্যা করল, যার বর্শার হাতলটি ছিল তাঁতির দণ্ডের মতো। \p \v 6 গাতে সম্পন্ন অন্য আর একটি যুদ্ধে, এক-একটি হাতে ছয়টি করে ও এক-একটি পায়ে ছয়টি করে, মোট চব্বিশটি আঙুল-বিশিষ্ট দৈত্যাকার একজন লোক যুদ্ধ করছিল। সেও রফারই বংশধর ছিল। \v 7 সে যখন ইস্রায়েলকে বিদ্রুপের খোঁচা দিয়েছিল, তখন দাউদের ভাই শিমিয়ির ছেলে যোনাথন তাকে হত্যা করল। \p \v 8 গাতের এই লোকেরাই রফার বংশধর ছিল, এবং তারা দাউদ ও তাঁর লোকজনের হাতে মারা গেল। \c 21 \s1 দাউদ যোদ্ধাদের সংখ্যা গণনা করলেন \p \v 1 শয়তান ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে গেল এবং ইস্রায়েলে জনগণনা করতে দাউদকে প্ররোচিত করল। \v 2 তাই দাউদ যোয়াব ও সেনাবাহিনীর সেনাপতিদের বললেন, “যাও, তোমরা গিয়ে বের-শেবা থেকে দান পর্যন্ত ইস্রায়েলীদের সংখ্যা গণনা করো। পরে সে খবর নিয়ে আমার কাছে ফিরে এসো যেন আমি জানতে পারি তাদের সংখ্যা ঠিক কতজন।” \p \v 3 কিন্তু যোয়াব উত্তর দিলেন, “সদাপ্রভু যেন তাঁর সৈন্যদলকে কয়েকশো গুণ বাড়িয়ে তোলেন। হে আমার প্রভু মহারাজ, তারা সবাই কি আমার প্রভুর অধীনস্থ দাস নয়? তবে কেন আমার প্রভু এরকম কাজ করতে চাইছেন? তিনি কেন ইস্রায়েলের উপর অপরাধ বয়ে আনতে চাইছেন?” \p \v 4 রাজার আদেশে অবশ্য যোয়াবের কথা নাকচ হয়ে গেল; তাই যোয়াব গিয়ে গোটা ইস্রায়েল দেশ জুড়ে ঘুরে বেরিয়ে জেরুশালেমে ফিরে এলেন। \v 5 যোয়াব দাউদের কাছে যোদ্ধাদের সংখ্যা তুলে ধরেছিলেন: সমগ্র ইস্রায়েলে তরোয়াল চালাতে অভ্যস্ত এগারো লাখ ও যিহূদায় চার লাখ সত্তর হাজার জন লোক ছিল। \p \v 6 কিন্তু যোয়াব লোকগণনা করার সময় লেবি ও বিন্যামীন বংশের লোকদের ধরেননি, যেহেতু রাজার আদেশ তাঁর কাছে ন্যক্কারজনক বলে মনে হল। \v 7 এই আদেশটি ঈশ্বরের দৃষ্টিতেও মন্দ গণ্য হল; তাই তিনি ইস্রায়েলকে শাস্তি দিলেন। \p \v 8 তখন দাউদ ঈশ্বরকে বললেন, “এ কাজ করে আমি মহাপাপ করে ফেলেছি। এখন, আমি তোমাকে অনুরোধ জানাচ্ছি, তোমার দাসের এই অপরাধ মার্জনা করো। আমি মহামূর্খের মতো কাজ করে ফেলেছি।” \p \v 9 সদাপ্রভু দাউদের ভবিষ্যদ্‌বক্তা গাদকে বললেন, \v 10 “যাও, দাউদকে গিয়ে বলো, ‘সদাপ্রভু একথাই বলেন: আমি তোমার সামনে তিনটি বিকল্প রাখছি। সেগুলির মধ্যে একটিকে তুমি বেছে নাও, যেন আমি সেটিই তোমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারি।’ ” \p \v 11 অতএব গাদ দাউদের কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভু একথাই বলেন: ‘একটি বিকল্প বেছে নাও: \v 12 তিন বছরের দুর্ভিক্ষ, তিন মাস ধরে তোমার শত্রুদের সামনে লোপাট হয়ে যাওয়া,\f + \fr 21:12 \fr*\ft অথবা, “পালিয়ে বেড়ানো”\ft*\f* এবং তাদের তরোয়াল হঠাৎ তোমার উপর এসে পড়া, অথবা তিন দিন সদাপ্রভুর তরোয়ালের সামনে পড়া—যে কয়দিন দেশে মহামারি ছড়াবে, এবং সদাপ্রভুর দূত ইস্রায়েলের এক-একটি অঞ্চল ছারখার করে দেবেন।’ তবে এখন, আপনিই ঠিক করুন যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, আমি তাঁকে কী উত্তর দেব।” \p \v 13 দাউদ গাদকে বললেন, “আমি খুব বিপদে পড়েছি। সদাপ্রভুর হাতেই পড়া যাক, কারণ তাঁর দয়া অত্যন্ত সুমহান; তবে আমি যেন মানুষের হাতে না পড়ি।” \p \v 14 তাই সদাপ্রভু ইস্রায়েলে এক মহামারি পাঠিয়ে দিলেন, এবং ইস্রায়েলের সত্তর হাজার লোক মারা পড়েছিল। \v 15 আর ঈশ্বর জেরুশালেম ধ্বংস করার জন্য এক দূত পাঠালেন। কিন্তু সেই দূত তা করতে যাওয়া মাত্র, সদাপ্রভু তা দেখেছিলেন ও সেই দুর্বিপাকের বিষয়ে তাঁর মন নরম হয়ে গেল এবং লোকজনকে ধ্বংস করতে যাওয়া সেই দূতকে তিনি বললেন, “যথেষ্ট হয়েছে! তোমার হাত টেনে নাও।” সদাপ্রভুর দূত তখন সেই যিবূষীয় অরৌণার\f + \fr 21:15 \fr*\ft অথবা, অর্ণানের; \+xt 18-28|link-href="1CH 21:18-28"\+xt* পদের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য\ft*\f* খামারে দাঁড়িয়েছিলেন। \p \v 16 দাউদ উপরের দিকে তাকিয়ে দেখেছিলেন যে সদাপ্রভুর দূত হাতে খোলা তরোয়াল নিয়ে জেরুশালেমের দিকে তাক করে আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন। তখন দাউদ ও প্রাচীনেরা চটের কাপড় গায়ে দিয়ে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিলেন। \p \v 17 দাউদ ঈশ্বরকে বললেন, “যোদ্ধাদের সংখ্যা গণনা করার আদেশ কি আমিই দিইনি? আমি, এই পালকই\f + \fr 21:17 \fr*\ft কিছু কিছু প্রাচীন অনুলিপিতে পালক শব্দটি অনুপস্থিত (\+xt 2 শমূয়েল 24:17\+xt* পদ ও সেখানকার পাদটীকাটিও দেখুন)\ft*\f* পাপ ও অন্যায় করেছি। এরা তো শুধুই মেষ। এরা কী করেছে? হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, আপনার হাত আমার ও আমার পরিবারের উপরেই নেমে আসুক, কিন্তু এই মহামারি আপনার প্রজাদের উপর আর যেন ছেয়ে না থাকে।” \s1 দাউদ এক যজ্ঞবেদি তৈরি করলেন \p \v 18 তখন সদাপ্রভুর দূত গাদকে আদেশ দিলেন, যেন তিনি দাউদকে গিয়ে বলেন যে তাঁকে গিয়ে যিবূষীয় অরৌণার খামারে সদাপ্রভুর উদ্দেশে একটি যজ্ঞবেদি তৈরি করতে হবে। \v 19 তাই সদাপ্রভুর নামে গাদ যে কথা বললেন, সেকথার প্রতি বাধ্যতা দেখিয়ে দাউদ সেখানে চলে গেলেন। \p \v 20 গম ঝাড়তে ঝাড়তে অরৌণা পিছনে ফিরে সেই দূতকে দেখতে পেয়েছিলেন; তাঁর সাথে থাকা তাঁর চার ছেলে লুকিয়ে গেল। \v 21 তখন দাউদ সেখানে পৌঁছেছিলেন, ও অরৌণা তাঁকে দেখতে পেয়ে খামার ছেড়ে বেরিয়ে এসে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে দাউদকে প্রণাম করলেন। \p \v 22 দাউদ তাঁকে বললেন, “তোমার খামারের স্থানটি আমাকে নিতে দাও, আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে সেখানে একটি যজ্ঞবেদি নির্মাণ করব, যেন প্রজাদের উপর নেমে আসা মহামারি থেমে যায়। পুরো দাম নিয়ে তুমি সেটি আমার কাছে বিক্রি করো।” \p \v 23 অরৌণা দাউদকে বললেন, “আপনি সেটি নিয়ে নিন! আমার প্রভু মহারাজের যা ইচ্ছা হয় তিনি তাই করুন। দেখুন, আমি হোমবলির জন্য বলদগুলি, কাঠের জন্য শস্য মাড়াই কলগুলি, ও শস্য-নৈবেদ্যর জন্য গমও আপনাকে দেব। এসবই আমি আপনাকে দেব।” \p \v 24 কিন্তু রাজা দাউদ অরৌণাকে উত্তর দিলেন, “তা হবে না, আমি তোমাকে পুরো দামই দেব। যা কিছু তোমার, আমি তা সদাপ্রভুর জন্য নেব না, অথবা হোমবলির জন্য আমি এমন কিছু উৎসর্গ করব না যার জন্য আমাকে কোনও দাম দিতে হয়নি।” \p \v 25 অতএব দাউদ সেই স্থানটির জন্য অরৌণাকে ছয়শো শেকল\f + \fr 21:25 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 6.9 কিলোগ্রাম\ft*\f* সোনা মেপে দিলেন। \v 26 সদাপ্রভুর উদ্দেশে দাউদ সেখানে একটি যজ্ঞবেদি তৈরি করলেন এবং হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করলেন। তিনি সদাপ্রভুর নামে ডেকেছিলেন, ও সদাপ্রভুও হোমবলির বেদির উপর আকাশ থেকে আগুন নিক্ষেপ করে তাঁকে উত্তর দিলেন। \p \v 27 পরে সদাপ্রভু সেই দূতের সাথে কথা বললেন, এবং তিনি তাঁর তরোয়াল আবার খাপে ঢুকিয়ে নিয়েছিলেন। \v 28 সেই সময়, দাউদ যখন দেখেছিলেন যে যিবূষীয় অরৌণার খামারে সদাপ্রভু তাঁকে উত্তর দিয়েছেন, তখন তিনি সেখানে বলি উৎসর্গ করলেন। \v 29 মোশি মরুপ্রান্তরে সদাপ্রভুর যে সমাগম তাঁবুটি তৈরি করলেন, সেটি এবং হোমবলির সেই যজ্ঞবেদিটি সেই সময় গিবিয়োনে আরাধনার সেই উঁচু স্থানটিতেই ছিল। \v 30 কিন্তু দাউদ ঈশ্বরের কাছে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য সেখানে যেতে পারেননি, কারণ তিনি সদাপ্রভুর দূতের সেই তরোয়ালকে তিনি ভয় পেয়েছিলেন। \c 22 \p \v 1 পরে দাউদ বললেন, “সদাপ্রভু ঈশ্বরের ভবনটি, এবং ইস্রায়েলের জন্য হোমবলির বেদিটিও এখানেই থাকবে।” \s1 মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি \p \v 2 অতএব দাউদ ইস্রায়েলে বসবাসকারী বিদেশিদের সমবেত করার আদেশ দিলেন এবং ঈশ্বরের ভবন তৈরির কাজে ব্যবহারযোগ্য কাটছাঁট করা পাথরের কাজ করার জন্য তাদের মধ্যে থেকেই কয়েকজন পাথর কাটার লোক নিযুক্ত করলেন। \v 3 সদর-দরজার পাল্লায় ও কব্জায় পেরেক লাগানোর জন্য তিনি প্রচুর পরিমাণে লোহার জোগান দিলেন, এবং তিনি এত ব্রোঞ্জের জোগান দিলেন, যা ওজন করে দেখাও সম্ভব হয়নি। \v 4 এছাড়াও তিনি এত দেবদারু কাঠের গুঁড়ির জোগান দিলেন, যা গুনে দেখা সম্ভব হয়নি, কারণ সীদোনীয় ও সোরীয়রা দাউদের কাছে প্রচুর পরিমাণে দেবদারু কাঠ এনেছিল। \p \v 5 দাউদ বললেন, “আমার ছেলে শলোমনের বয়স কম ও সে অনভিজ্ঞও বটে, এবং সদাপ্রভুর জন্য যে ভবনটি তৈরি করা হবে, সেটি সব জাতির দৃষ্টিতে হবে বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ ও বিখ্যাত এবং জৌলুসে ভরপুর। তাই আমিই সেটির জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেব।” অতএব মারা যাওয়ার আগেই দাউদ ব্যপক প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন। \p \v 6 পরে তিনি তাঁর ছেলে শলোমনকে ডেকে তাঁর হাতে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য এক ভবন তৈরি করার ভার সঁপে দিলেন। \v 7 দাউদ শলোমনকে বললেন: “বাছা, আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে একটি ভবন তৈরি করার বাসনা আমার অন্তরে ছিল। \v 8 কিন্তু সদাপ্রভুর এই বাক্য আমার কাছে এসেছিল: ‘তুমি প্রচুর রক্তপাত করেছ ও অনেক যুদ্ধ করেছ। আমার নামাঙ্কিত কোনো ভবন তুমি তৈরি করতে পারবে না, কারণ আমার দৃষ্টিতে এই পৃথিবীতে তুমি প্রচুর রক্তপাত করেছ। \v 9 কিন্তু তোমার এক ছেলে হবে, যে হবে শান্তি ও বিশ্রামযুক্ত এক মানুষ, এবং আমি তাকে তার চারপাশের সব শত্রুর দিক থেকে বিশ্রাম দেব। তার নাম হবে শলোমন,\f + \fr 22:9 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় “শলোমন” শব্দটি এমন একটি শব্দ থেকে উৎপন্ন, যেটির অর্থ “শান্তি”\ft*\f* এবং আমি তার রাজত্বকালে ইস্রায়েলকে শান্তি ও নিস্তরঙ্গ পরিবেশ দেব। \v 10 সেই আমার নামাঙ্কিত এক ভবন তৈরি করবে। সে আমার ছেলে হবে ও আমি তার বাবা হব। ইস্রায়েলের উপর তার রাজত্বের সিংহাসন আমি চিরস্থায়ী করব।’ \p \v 11 “এখন, বাছা, সদাপ্রভু তোমার সহবর্তী হোন, এবং তুমি সাফল্য লাভ করো ও তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর বলা কথামতো তুমিই তাঁর এক ভবন তৈরি করো। \v 12 তোমাকে ইস্রায়েলের উপর শাসকপদে নিযুক্ত করার পর সদাপ্রভু যেন তোমাকে প্রজ্ঞা ও বোধবুদ্ধি দেন, যার ফলস্বরূপ তুমি যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিধিবিধান পালন করে যেতে পারো। \v 13 ইস্রায়েলের জন্য মোশিকে সদাপ্রভু যে বিধি ও বিধান দিলেন, সেগুলি যদি তুমি সতর্কতাপূর্বক পালন করে যেতে পারো তবে তুমি সাফল্য পাবে। বলবান ও সাহসী হও। ভয় পেয়ো না বা হতাশ হোয়ো না। \p \v 14 “সদাপ্রভুর মন্দিরের জন্য আমি খুব কষ্ট করে এক লাখ তালন্ত\f + \fr 22:14 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 3,750 টন বা প্রায় 3,400 মেট্রিক টন\ft*\f* সোনা, ও দশ লাখ তালন্ত\f + \fr 22:14 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 3,500 টন বা প্রায় 34,000 মেট্রিক টন\ft*\f* রুপো জোগাড় করেছি, এছাড়াও এত ব্রোঞ্জ ও লোহা জোগাড় করেছি যা ওজন করে দেখা সম্ভব নয়, এবং কাঠ ও পাথরও জোগাড় করেছি। এর সাথে তুমি আরও অনেক কিছু যোগ করতে পারো। \v 15 তোমার কাছে প্রচুর কাজের লোক আছে: পাথর কাটার লোক, রাজমিস্ত্রি ও ছুতোরমিস্ত্রি, এছাড়াও সব ধরনের কাজে দক্ষ লোকও তোমার কাছে আছে \v 16 যেমন, সোনা ও রুপো, ব্রোঞ্জ ও লোহার—এত কারিগর আছে, যাদের সংখ্যা গুনে শেষ করা যায় না। এখন তবে কাজ শুরু করো, এবং সদাপ্রভু তোমার সহবর্তী থাকুন।” \p \v 17 পরে দাউদ ইস্রায়েলের সব নেতাকে আদেশ দিলেন, যেন তারা তাঁর ছেলে শলোমনকে সাহায্য করেন। \v 18 তিনি তাদের বললেন, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কি তোমাদের সহবর্তী নন? আর তিনি কি সবদিক থেকে তোমাদের বিশ্রাম দেননি? কারণ দেশের অধিবাসীদের তিনি আমার হাতে সঁপে দিয়েছেন, এবং এই দেশ সদাপ্রভুর ও তাঁর প্রজাদের অধীনস্থ হয়েছে। \v 19 এখন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার জন্য তোমরা তোমাদের মনপ্রাণ সমর্পণ করো। সদাপ্রভু ঈশ্বরের পীঠস্থান তৈরি করার কাজ শুরু করে দাও, যেন যে মন্দিরটি সদাপ্রভুর নামে তৈরি করা হবে সেখানে তোমাদের পক্ষে সদাপ্রভুর সেই নিয়ম-সিন্দুকটি ও ঈশ্বরের অধিকারভুক্ত পবিত্র জিনিসপত্র আনা সম্ভব হয়।” \c 23 \s1 লেবীয় সম্প্রদায় \p \v 1 দাউদ যখন বৃদ্ধ হয়ে গেলেন ও তাঁর আয়ু ফুরিয়ে আসছিল, তখন তিনি তাঁর ছেলে শলোমনকে ইস্রায়েলের উপর রাজা করে দিলেন। \p \v 2 এছাড়াও তিনি ইস্রায়েলের সব নেতাকে, তথা যাজক ও লেবীয়দেরও সমবেত করলেন। \v 3 ত্রিশ বছর বা তার বেশি বয়সের লেবীয়দের সংখ্যা গোনা হল, এবং পুরুষদের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল 38,000। \v 4 দাউদ বললেন, “এদের মধ্যে 24,000 জন সদাপ্রভুর মন্দিরে কাজ করার দায়িত্ব পালন করবে এবং 6,000 জন হবে কর্মকর্তা ও বিচারক। \v 5 4,000 জন হবে দ্বাররক্ষী ও বাকি 4,000 জন সেইসব বাদ্যযন্ত্র নিয়ে সদাপ্রভুর প্রশংসা করবে, যেগুলি আমি সেই উদ্দেশ্যেই সরবরাহ করলাম।” \b \li4 \v 6 গের্শোন, কহাৎ ও মরারি: লেবির এই ছেলেদের বংশানুসারে দাউদ লেবীয়দের কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে দিলেন। \s1 গের্শোনীয়রা \li1 \v 7 গের্শোনীয়দের অন্তর্ভুক্ত: \li2 লাদন ও শিমিয়ি। \li1 \v 8 লাদনের ছেলেরা: \li2 প্রথমজন যিহীয়েল, পরে সেথম ও যোয়েল—মোট তিনজন। \li1 \v 9 শিমিয়ির ছেলেরা: \li2 শলোমৎ, হসীয়েল ও হারণ—মোট তিনজন। \li2 এরাই লাদনের বংশগুলির কর্তাব্যক্তি ছিলেন। \li1 \v 10 আবার শিমিয়ির ছেলেরা: \li2 যহৎ, সীষ,\f + \fr 23:10 \fr*\ft অধিকাংশ হিব্রু পাণ্ডুলিপি অনুসারে “সীন”\ft*\f* যিয়ূশ ও বরীয়। \li2 এরাই শিমিয়ির ছেলে—মোট চারজন। \li2 \v 11 যহৎ বড়ো ছেলে ছিলেন এবং দ্বিতীয়জন ছিলেন সীষ, কিন্তু যিয়ূশ ও বরীয়ের ছেলের সংখ্যা খুব একটি বেশি ছিল না; তাই তাদের একটিই বংশরূপে গণ্য করা হল এবং একই কাজ করার দায়িত্ব তাদের দেওয়া হল। \s1 কহাতীয়রা \li1 \v 12 কহাতের ছেলেরা: \li2 অম্রাম, যিষ্‌হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল—মোট চারজন। \li1 \v 13 অম্রামের ছেলেরা: \li2 হারোণ ও মোশি। \li2 মহাপবিত্র জিনিসপত্র উৎসর্গ করার, সদাপ্রভুর সামনে বলিদান করার, তাঁর সামনে পরিচর্যা করার ও চিরকাল তাঁর নামে আশীর্বাদ ঘোষণা করার উদ্দেশে হারোণকে তথা তাঁর বংশধরদের চিরকালের জন্য অন্যদের থেকে আলাদা করে দেওয়া হল। \v 14 ঈশ্বরের লোক মোশির ছেলেদেরও লেবীয় বংশের অংশবিশেষ বলে ধরা হত। \li1 \v 15 মোশির ছেলেরা: \li2 গের্শোম ও ইলীয়েষর। \li1 \v 16 গের্শোমের বংশধরেরা: \li2 প্রথম স্থানে ছিলেন শবূয়েল। \li1 \v 17 ইলীয়েষরের বংশধরেরা: \li2 প্রথম স্থানে ছিলেন রহবিয়। \li2 ইলীয়েষরের আর কোনও ছেলে ছিল না, কিন্তু রহবিয়ের ছেলেরা সংখ্যায় ছিল প্রচুর। \li1 \v 18 যিষ্‌হরের ছেলেরা: \li2 প্রথম স্থানে ছিলেন শলোমীৎ। \li1 \v 19 হিব্রোণের ছেলেরা: \li2 প্রথমজন যিরিয়, দ্বিতীয়জন অমরিয়, \li2 তৃতীয়জন যহসীয়েল এবং চতুর্থজন যিকমিয়াম। \li1 \v 20 উষীয়েলের ছেলেরা: \li2 প্রথমজন মীখা ও দ্বিতীয়জন যিশিয়। \s1 মরারীয়রা \li1 \v 21 মরারির ছেলেরা: \li2 মহলি ও মূশি। \li1 মহলির ছেলেরা: \li2 ইলিয়াসর ও কীশ। \li2 \v 22 ইলিয়াসর অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলেন: তাঁর শুধু কয়েকটি মেয়েই ছিল। কীশের ছেলেরা, অর্থাৎ, তাদের খুড়তুতো ভাইয়েরাই তাদের বিয়ে করলেন। \li1 \v 23 মূশির ছেলেরা: \li2 মহলি, এদর ও যিরেমৎ—মোট তিনজন। \b \li4 \v 24 বংশানুসারে এরাই লেবির বংশধর—যারা বিভিন্ন কুলের কর্তাব্যক্তিরূপে তাদের নামানুসারে নথিভুক্ত হলেন এবং ব্যক্তিগতভাবে তাদের গুনে রাখা হল, অর্থাৎ, তারা সেইসব কর্মী, যাদের বয়স কুড়ি বছর বা তার বেশি হল ও তারা সদাপ্রভুর মন্দিরে পরিচর্যা করতেন। \v 25 কারণ দাউদ বললেন, “যেহেতু ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর প্রজাদের বিশ্রাম দিয়েছেন ও চিরকাল জেরুশালেমে বসবাস করার জন্য এখানে এসেছেন, \v 26 তাই লেবীয়দের আর কখনও সমাগম তাঁবু বা সেখানকার পরিচর্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কোনও জিনিসপত্র বহন করতে হবে না।” \v 27 দাউদের দেওয়া শেষ নির্দেশ অনুসারে, কুড়ি বছর বা তার বেশি বয়সের সেই লেবীয়দের গুনে রাখা হল। \b \p \v 28 সদাপ্রভুর মন্দিরের পরিচর্যায় হারোণের বংশধরদের সাহায্য করাই ছিল লেবীয়দের দায়িত্ব: প্রাঙ্গণের ও পাশের ঘরগুলির দেখাশোনা করার, সব পবিত্র জিনিসপত্র শুদ্ধকরণের ও ঈশ্বরের ভবনে অন্যান্য সব দায়িত্ব তাদেরই পালন করতে হত। \v 29 টেবিলে রুটি সাজিয়ে রাখার, শস্য-নৈবেদ্যর জন্য বিশেষ ময়দা প্রস্তুত করার, খামিরবিহীন সরু রুটি তৈরি করার, সেগুলি সেঁকার ও মিশ্রিত করার, এবং পরিমাণ ও মাপ অনুসারে সবকিছু ঠিকঠাক করার দায়িত্বও তাদেরই দেওয়া হল। \v 30 প্রতিদিন সকালে সদাপ্রভুকে ধন্যবাদ জানানোর ও তাঁর প্রশংসা করার জন্য তাদের দাঁড়িয়েও থাকতে হত। সন্ধ্যাবেলাতে \v 31 এবং সাব্বাথবারে\f + \fr 23:31 \fr*\ft অথবা, বিশ্রামবারে\ft*\f*, অমাবস্যার উৎসবে ও বিশেষ বিশেষ উৎসবের দিনগুলিতে যখনই সদাপ্রভুর কাছে হোমবলি উৎসর্গ করা হত, তখনও তাদের একই কাজ করতে হত। সঠিক সংখ্যায় ও তাদের জন্য নিরূপিত প্রথানুসারে নিয়মিতভাবে তাদের সদাপ্রভুর সামনে পরিচর্যা করে যেতে হত। \p \v 32 তাই এভাবেই লেবীয়েরা তাদের আত্মীয়স্বজন তথা হারোণের বংশধরদের অধীনে থেকে সদাপ্রভুর মন্দিরের পরিচর্যার জন্য সমাগম তাঁবুর ও পবিত্রস্থানের ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব পালন করে গেলেন। \c 24 \s1 যাজকদের বিভাগ \p \v 1 এগুলিই হল হারোণের বংশধরদের বিভিন্ন বিভাগ: \p হারোণের ছেলেরা হলেন নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামর। \v 2 কিন্তু নাদব ও অবীহূ তাদের বাবা মারা যাওয়ার আগেই মারা গেল, এবং তাদের কোনো ছেলে ছিল না; তাই ইলীয়াসর ও ঈথামর যাজকের দায়িত্ব পালন করলেন। \v 3 ইলিয়াসরের এক বংশধর সাদোকের ও ঈথামরের এক বংশধর অহীমেলকের সাহায্য নিয়ে দাউদ যাজকদের নিরূপিত পরিচর্যার ক্রমানুসারে তাদের কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত করে দিলেন। \v 4 ঈথামরের বংশধরদের তুলনায় ইলিয়াসরের বংশধরদের মধ্যেই বেশি সংখ্যায় নেতা খুঁজে পাওয়া গেল, এবং তাদের সেভাবেই বিভক্ত করা হল: ইলিয়াসরের বংশধরদের মধ্যে থেকে ষোলো জনকে ও ঈথামরের বংশধরদের মধ্যে থেকে আট জনকে বংশের কর্তাব্যক্তি করা হল। \v 5 গুটিকাপাত করে নিরপেক্ষভাবেই তারা তাদের বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করলেন, কারণ ইলীয়াসর ও ঈথামর, দুজনেরই বংশধরদের মধ্যে থেকে অনেকে পীঠস্থানের ও ঈশ্বরের কর্মকর্তা হলেন। \p \v 6 নথনেলের ছেলে লেবীয় শাস্ত্রবিদ শময়িয় মহারাজের ও এইসব কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদের নামগুলি নথিভুক্ত করলেন: সেই কর্মকর্তারা হলেন যাজক সাদোক, অবিয়াথরের ছেলে অহীমেলক এবং যাজকদের ও লেবীয়দের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কয়েকজন কর্তাব্যক্তি—একবার ইলিয়াসরের বংশ থেকে একজনকে, পরে ঈথামরের বংশ থেকে অন্য একজনকে তিনি নথিভুক্ত করলেন। \b \li1 \v 7 গুটিকাপাতে প্রথম দানটি পড়েছিল যিহোয়ারীবের নামে, \li1 দ্বিতীয়টি পড়েছিল যিদয়িয়ের নামে, \li1 \v 8 তৃতীয়টি পড়েছিল হারীমের নামে, \li1 চতুর্থটি পড়েছিল সিয়োরীমের নামে, \li1 \v 9 পঞ্চমটি পড়েছিল মল্কিয়ের নামে, \li1 ষষ্ঠটি পড়েছিল মিয়ামীনের নামে, \li1 \v 10 সপ্তমটি পড়েছিল হক্কোষের নামে, \li1 অষ্টমটি পড়েছিল অবিয়ের নামে, \li1 \v 11 নবমটি পড়েছিল যেশূয়ের নামে, \li1 দশমটি পড়েছিল শখনিয়ের নামে, \li1 \v 12 একাদশতমটি পড়েছিল ইলীয়াশীবের নামে, \li1 দ্বাদশতমটি পড়েছিল যাকীমের নামে, \li1 \v 13 ত্রয়োদশতমটি পড়েছিল হুপ্পের নামে, \li1 চতুর্দশতমটি পড়েছিল যেশবাবের নামে, \li1 \v 14 পঞ্চদশতমটি পড়েছিল বিলগার নামে, \li1 ষোড়শতমটি পড়েছিল ইম্মেরের নামে, \li1 \v 15 সপ্তদশতমটি পড়েছিল হেষীরের নামে, \li1 অষ্টাদশতমটি পড়েছিল হপ্পিসেসের নামে, \li1 \v 16 উনবিংশতিতমটি পড়েছিল পথাহিয়ের নামে, \li1 বিংশতিতমটি পড়েছিল যিহিষ্কেলের নামে, \li1 \v 17 একবিংশতিতমটি পড়েছিল যাখীনের নামে, \li1 দ্বাবিংশতিতমটি পড়েছিল গামূলের নামে, \li1 \v 18 ত্রয়োবিংশতিতমটি পড়েছিল দলায়ের নামে, \li1 এবং চতুর্বিংশতিতমটি পড়েছিল মাসিয়ের নামে। \b \p \v 19 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশানুসারে তাদের পূর্বপুরুষ হারোণ তাদের জন্য যে নিয়মকানুন ঠিক করে দিলেন, তার আধারে যখন তারা সদাপ্রভুর মন্দিরে প্রবেশ করতেন তখন তারা পরিচর্যার এই ক্রমই অনুসরণ করতেন। \s1 লেবীয়দের অবশিষ্টাংশ \li4 \v 20 লেবির অবশিষ্ট বংশধরদের কথা: \b \li1 অম্রামের ছেলেদের মধ্যে থেকে: শবূয়েল; \li2 শবূয়েলের ছেলেদের মধ্যে থেকে: যেহদিয়। \li1 \v 21 রহবিয়ের কথা, তাঁর ছেলেদের মধ্যে থেকে: প্রথমজন যিশিয়। \li1 \v 22 যিষ্‌হরীয়দের মধ্যে থেকে: শলোমীত; \li2 শলোমীতের ছেলেদের মধ্যে থেকে: যহৎ। \li1 \v 23 হিব্রোণের ছেলেরা: \li2 প্রথমজন যিরিয়,\f + \fr 24:23 \fr*\ft অথবা, “যিরিয়ের ছেলেরা”\ft*\f* দ্বিতীয়জন অমরিয়, তৃতীয়জন যহসীয়েল ও চতুর্থজন যিকমিয়াম। \li1 \v 24 উষীয়েলের ছেলেরা: মীখা; \li2 মীখার ছেলেদের মধ্যে থেকে: শামীর। \li1 \v 25 মীখার ভাই: যিশিয়; \li2 যিশিয়ের ছেলেদের মধ্যে থেকে: সখরিয়। \li1 \v 26 মরারির ছেলেরা: মহলি ও মূশি। \li2 যাসিয়ের ছেলে: বিনো। \li1 \v 27 মরারির ছেলেরা: যাসিয় থেকে উৎপন্ন: \li2 বিনো, শোহম, শক্কুর ও ইব্রি। \li1 \v 28 মহলি থেকে উৎপন্ন: ইলিয়াসর, যাঁর কোনও ছেলে ছিল না। \li1 \v 29 কীশ থেকে উৎপন্ন: কীশের ছেলে: যিরহমেল। \li1 \v 30 মূশির ছেলেরা: মহলি, এদর ও যিরেমোৎ। \b \li4 তাদের বংশানুসারে এরাই হলেন সেই লেবীয়েরা। \b \p \v 31 তারাও তাদের আত্মীয়স্বজন তথা হারোণের বংশধরদের মতো রাজা দাউদের এবং সাদোক, অহীমেলক এবং যাজক ও লেবীয় বংশের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে গুটিকাপাত করলেন। বড়ো ভাইয়ের হোক কি ছোটো ভাইয়ের, প্রত্যেক বংশের প্রতিই সম-আচরণ করা হল। \c 25 \s1 গায়ক ও বাজনাদারেরা \p \v 1 সৈন্যদলের কয়েকজন সেনাপতিকে সাথে নিয়ে দাউদ আসফ, হেমন ও যিদূথূনের ছেলেদের মধ্যে কয়েকজনকে বীণা, খঞ্জনি ও সুরবাহার নিয়ে ভাববাণীর পরিচর্যা করার জন্য আলাদা করে চিহ্নিত করে দিলেন। এই হল সেইসব লোকের তালিকা, যারা এই পরিচর্যা সম্পন্ন করলেন: \b \li1 \v 2 আসফের ছেলেদের মধ্যে থেকে: \li2 সক্কুর, যোষেফ, নথনিয় ও অসারেল। আসফের ছেলেরা সেই আসফের তত্ত্বাবধানের অধীনে ছিলেন, যিনি মহারাজের তত্ত্বাবধানের অধীনে থেকে ভাববাণী করতেন। \li1 \v 3 যিদূথূনের কথা, তাঁর ছেলেদের মধ্যে থেকে: \li2 গদলিয়, সরী, যিশায়াহ, শিমিয়ি,\f + \fr 25:3 \fr*\ft অধিকাংশ পাণ্ডুলিপিতে “শিমিয়ি” অনুপস্থিত\ft*\f* হশবিয় ও মত্তিথিয়, মোট এই ছ-জন, যারা তাদের বাবা সেই যিদূথূনের তত্ত্বাবধানের অধীনে ছিলেন, যিনি সদাপ্রভুকে ধন্যবাদ জানানোর ও তাঁর প্রশংসা করার জন্য বীণা বাজিয়ে ভাববাণী বলতেন। \li1 \v 4 হেমনের কথা, তাঁর ছেলেদের মধ্যে থেকে: \li2 বুক্কিয়, মত্তনিয়, উষীয়েল, শবূয়েল, যিরীমোৎ, হনানিয়, হনানি, ইলীয়াথা, গিদ্দলতি, রোমামতী-এষর, যশবকাশা, মল্লোথি, হোথীর ও মহসীয়োৎ। \v 5 (এরা সবাই রাজার দর্শক হেমনের ছেলে ছিলেন। তাঁকে উন্নত করার জন্যই ঐশ্বরিক প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে তারা তাঁকে দত্ত হল। ঈশ্বর হেমনকে চোদ্দোটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে দিলেন।) \b \p \v 6 এইসব লোকজন ঈশ্বরের ভবনে পরিচর্যা করার জন্য তাদের বাবার তত্ত্বাবধানের অধীনে থেকে সুরবাহার, খঞ্জনি ও বীণা নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে গানবাজনা করতেন। \p আসফ, যিদূথূন ও হেমন মহারাজের তত্ত্বাবধানের অধীনে ছিলেন। \v 7 তাদের সব আত্মীয়স্বজন সমেত—যারা সবাই সদাপ্রভুর উদ্দেশে গানবাজনায় প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ছিলেন—তাদের সংখ্যা হল 288 জন। \v 8 ছোটো-বড়ো, শিক্ষক-ছাত্র নির্বিশেষে সবাই তাদের দায়িত্ব সুনিশ্চিত করার জন্য গুটিকাপাতের দান চাললেন। \b \li1 \v 9 আসফের জন্য গুটিকার প্রথম দানটি পড়েছিল যোষেফের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা\f + \fr 25:9 \fr*\ft অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপিতে “তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা” অংশটি অনুপস্থিত\ft*\f* 12 জন।\f + \fr 25:9 \fr*\ft 7 পদে দেওয়া মোট সংখ্যাটি দেখুন। অধিকাংশ হিব্রু অনুলিপিতে “বারোজন” অংশটি অনুপস্থিত\ft*\f* \li1 দ্বিতীয়টি পড়েছিল গদলিয়ের নামে, তাঁর এবং তাঁর আত্মীয় ও ছেলেদের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 10 তৃতীয়টি পড়েছিল সক্কুরের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 11 চতুর্থটি পড়েছিল যিষ্রির\f + \fr 25:11 \fr*\ft অথবা, “সেরীর”\ft*\f* নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 12 পঞ্চমটি পড়েছিল নথনিয়ের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 13 ষষ্ঠটি পড়েছিল বুক্কিয়ের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 14 সপ্তমটি পড়েছিল যিমারেলার নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 15 অষ্টমটি পড়েছিল যিশয়াহের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 16 নবমটি পড়েছিল মত্তনিয়ের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 17 দশমটি পড়েছিল শিমিয়ির নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 18 একাদশতমটি পড়েছিল অসারেলের\f + \fr 25:18 \fr*\ft অথবা, “উশীয়েলের”\ft*\f* নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 19 দ্বাদশতমটি পড়েছিল হশবিয়ের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 20 ত্রয়োদশতমটি পড়েছিল শবুয়েলের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 21 চতুর্দশতমটি পড়েছিল মত্তিথিয়ের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 22 পঞ্চদশতমটি পড়েছিল যিরেমোতের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 23 ষোড়শতমটি পড়েছিল হনানিয়ের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 24 সপ্তদশতমটি পড়েছিল যশবকাশার নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 25 অষ্টাদশতমটি পড়েছিল হনানির নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 26 উনবিংশতিতমটি পড়েছিল মল্লোথির নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 27 বিংশতিতমটি পড়েছিল ইলীয়াথার নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 28 একবিংশতিতমটি পড়েছিল হোথীরের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 29 দ্বাবিংশতিতমটি পড়েছিল গিদ্দলতির নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 30 ত্রয়োবিংশতিতমটি পড়েছিল মহসীয়োতের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন; \li1 \v 31 চর্তুবিংশতিতমটি পড়েছিল রোমামতী-এষরের নামে, তাঁর ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা 12 জন। \c 26 \s1 দ্বাররক্ষীরা \li4 \v 1 দ্বাররক্ষীদের বিভিন্ন বিভাগ: \b \li4 কোরহীয়দের মধ্যে থেকে: \li1 আসফের বংশোদ্ভুক্ত কোরির ছেলে মশেলিমিয়। \v 2 মশেলিমিয়ের কয়েকটি ছেলে ছিল: \li2 বড়ো ছেলে সখরিয়, দ্বিতীয়জন যিদীয়েল, \li2 তৃতীয়জন সবদিয়, চতুর্থজন যৎনীয়েল, \li2 \v 3 পঞ্চমজন এলম, \li2 ষষ্ঠজন যিহোহানন এবং সপ্তমজন ইলিহৈনয়। \li1 \v 4 ওবেদ-ইদোমেরও কয়েকটি ছেলে ছিল: \li2 বড়ো ছেলে শময়িয়, দ্বিতীয়জন যিহোষাবদ, \li2 তৃতীয়জন যোয়াহ, চতুর্থজন সাখর, \li2 পঞ্চমজন নথনেল, \v 5 ষষ্ঠজন অম্মীয়েল, \li2 সপ্তমজন ইষাখর এবং অষ্টমজন পিয়ূল্লতয়। \li2 (কারণ ঈশ্বর ওবেদ-ইদোমকে আশীর্বাদ করলেন) \li1 \v 6 ওবেদ-ইদোমের ছেলে শময়িয়েরও এমন কয়েকটি ছেলে ছিল, যারা তাদের পিতৃকুলে নেতা হলেন, যেহেতু তারা ছিলেন যথেষ্ট যোগ্যতাসম্পন্ন পুরুষ। \v 7 শময়িয়ের ছেলেরা হলেন: \li2 অৎনি, রফায়েল, ওবেদ ও ইলসাবদ; \li2 তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে ইলীহূ ও সমথিয়ও যোগ্যতাসম্পন্ন পুরুষ ছিলেন। \li4 \v 8 এরা সবাই ওবেদ-ইদোমের বংশধর; তারা এবং তাদের ছেলে ও আত্মীয়রা সবাই কাজ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট শক্তিশালী ও যোগ্যতাসম্পন্ন পুরুষ ছিলেন—ওবেদ-ইদোমের বংশধর, মোট 62 জন। \li4 \v 9 মশেলিমিয়ের কয়েকটি ছেলে ও আত্মীয় ছিল, যারা যোগ্যতাসম্পন্ন পুরুষ—মোট 18 জন। \b \li1 \v 10 মরারীয় হোষার কয়েকটি ছেলে ছিল: \li2 প্রথমজন সিম্রি (যদিও তিনি বড়ো ছেলে ছিলেন না, তবুও তাঁর বাবা তাঁকেই প্রধান পদে নিযুক্ত করলেন), \li2 \v 11 দ্বিতীয়জন হিল্কিয়, তৃতীয়জন টবলিয় \li2 এবং চতুর্থজন সখরিয়। \li4 হোষার ছেলে ও আত্মীয়দের সংখ্যা মোট 13 জন। \b \li4 \v 12 দ্বাররক্ষীদের এই বিভাগগুলির কাজ ছিল তাদের নেতাদের মাধ্যমে সদাপ্রভুর মন্দিরে পরিচর্যা করে যাওয়া, ঠিক যেভাবে তাদের আত্মীয়রাও তা করতেন। \v 13 ছোটো-বড়ো নির্বিশেষে, তাদের বংশানুসারে প্রত্যেকটি দরজার জন্য গুটিকাপাত করা হল। \li1 \v 14 পূর্বদিকের দরজাটির জন্য গুটিকাপাতের দানটি পড়েছিল শেলিমিয়ের\f + \fr 26:14 \fr*\ft অথবা, “মশেলিমিয়ের”\ft*\f* নামে। \li1 পরে তাঁর ছেলে তথা জ্ঞানী পরামর্শদাতা সখরিয়ের জন্য গুটিকাপাতের দান চালা হল, এবং উত্তর দিকের দরজাটির জন্য গুটিকার দানটি পড়েছিল তাঁর নামে। \li1 \v 15 দক্ষিণ দিকের দরজাটির জন্য গুটিকাপাতের দানটি পড়েছিল ওবেদ-ইদোমের নামে, এবং ভাঁড়ারঘরের জন্য গুটিকাপাতের দানটি পড়েছিল তাঁর ছেলেদের নামে। \li1 \v 16 পশ্চিমদিকের দরজাটির ও উপরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় অবস্থিত শল্লেখৎ বলে পরিচিত দরজাটির জন্য গুটিকাপাতের দানগুলি পড়েছিল শুপ্পীমের ও হোষার নামে। \b \li4 একজন পাহারাদারের পাশাপাশি আরেকজন পাহারাদার মোতায়েন করা হল: \li1 \v 17 পূর্বদিকে প্রতিদিন ছ-জন করে লেবীয় মোতায়েন থাকতেন, \li1 উত্তর দিকে প্রতিদিন চারজন করে, \li1 দক্ষিণ দিকে প্রতিদিন চারজন করে এবং \li1 ভাঁড়ারঘরে দুই দুজন করে মোতায়েন থাকতেন। \li1 \v 18 পশ্চিমদিকের প্রাঙ্গণের ক্ষেত্রে,\f + \fr 26:18 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় “প্রাঙ্গণের ক্ষেত্রে” কথাটির অর্থ খুব একটি স্পষ্ট নয়\ft*\f* রাস্তার দিকে চারজন ও সেই প্রাঙ্গণটিতেই\f + \fr 26:18 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় “প্রাঙ্গণটিতেই” শব্দটির অর্থ খুব একটি স্পষ্ট নয়\ft*\f* দুজন করে মোতায়েন থাকতেন। \b \li4 \v 19 এই হল সেইসব দ্বাররক্ষীর বিভাগগুলির বিবরণ, যারা কোরহ ও মরারির বংশধর ছিলেন। \s1 কোষাধ্যক্ষ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা \p \v 20 তাদের সহকর্মী লেবীয়েরা\f + \fr 26:20 \fr*\ft অথবা, লেবীয়দের ক্ষেত্রে অহিয়\ft*\f* ঈশ্বরের ভবনের কোষাগারগুলি এবং উৎসর্গীকৃত জিনিসপত্র রাখার জন্য তৈরি কোষাগারগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। \p \v 21 লাদনের বংশধরদের মধ্যে যারা লাদনের মাধ্যমে গের্শোনীয় পরিচয় পেয়েছিলেন এবং গের্শোনীয় লাদনের বংশের অন্তর্গত কর্তাব্যক্তি ছিলেন, তারা হলেন যিহীয়েলি, \v 22 যিহীয়েলির ছেলেরা হলেন, সেথম ও তাঁর ভাই যোয়েল। তাদের উপর সদাপ্রভুর মন্দিরের কোষাগারগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব ছিল। \b \li4 \v 23 অম্রামীয়, যিষ্‌হরীয়, হিব্রোণীয় ও উষীয়েলীয়দের মধ্যে থেকে: \b \li2 \v 24 মোশির ছেলে গের্শোমের একজন বংশধর শবূয়েল, কোষাগারগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ এক কর্মচারী ছিলেন। \v 25 ইলীয়েষরের মাধ্যমে যারা তাঁর আত্মীয়স্বজন হলেন, তারা হলেন: তাঁর ছেলে রহবিয়, তাঁর ছেলে যিশায়াহ, তাঁর ছেলে যোরাম, তাঁর ছেলে সিখ্রি ও তাঁর ছেলে শলোমোৎ। \li2 \v 26 রাজা দাউদের, সহস্র-সেনাপতি ও শত-সেনাপতিরূপে নিযুক্ত বিভিন্ন বংশের কর্তাব্যক্তিদের এবং সৈন্যদলের অন্যান্য সেনাপতিদের দ্বারা উৎসর্গীকৃত জিনিসপত্র যেখানে রাখা হত, সেইসব কোষাগার দেখাশোনা করার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল শলোমোৎ ও তাঁর আত্মীয়দের হাতে। \v 27 যুদ্ধ করে পাওয়া লুটসামগ্রীর মধ্যে কিছু কিছু জিনিসপত্র তারা সদাপ্রভুর মন্দির মেরামতির জন্য উৎসর্গ করে দিলেন। \v 28 দর্শক শমূয়েলের এবং কীশের ছেলে শৌলের, নেরের ছেলে অবনেরের ও সরূয়ার ছেলে যোয়াবের দ্বারা উৎসর্গীকৃত সবকিছু, ও উৎসর্গীকৃত অন্যান্য সব জিনিসপত্র শলোমোৎ ও তাঁর আত্মীয়দের তত্ত্বাবধানে রাখা হল। \li2 \v 29 যিষ্‌হরীয়দের মধ্যে থেকে: \li2 কননিয়কে ও তাঁর ছেলেদের ইস্রায়েলের উপর কর্মকর্তা ও বিচারকরূপে মন্দিরের কাজ বাদ দিয়ে অন্যান্য কাজগুলি করার দায়িত্ব দেওয়া হল। \li2 \v 30 হিব্রোণীয়দের মধ্যে থেকে: \li2 হশবিয় ও তাঁর আত্মীয়রা—এক হাজার সাতশো যোগ্যতাসম্পন্ন পুরুষ—ইস্রায়েল দেশে জর্ডন নদীর পশ্চিম পারে, সদাপ্রভুর সব কাজ করার ও রাজার সেবা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। \v 31 হিব্রোণীয়দের ক্ষেত্রে, তাদের বংশতালিকা অনুসারে যিরিয়ই ছিলেন তাদের নেতা। \li2 দাউদের রাজত্বকালের চল্লিশতম বছরে বংশতালিকা ধরে এক অনুসন্ধান চালানো হল, এবং গিলিয়দের যাসেরে হিব্রোণীয়দের মধ্যে বেশ কয়েকজন যোগ্য পুরুষের খোঁজ পাওয়া গেল। \v 32 যিরিয়ের এমন দুই হাজার সাতশো আত্মীয়স্বজন ছিলেন, যারা যোগ্যতাসম্পন্ন পুরুষ ও বিভিন্ন বংশের কর্তাব্যক্তিও ছিলেন, এবং রাজা দাউদ ঈশ্বরসংক্রান্ত ও রাজকার্যের উপযোগী প্রত্যেকটি বিষয়ে রূবেণীয়দের, গাদীয়দের ও মনঃশির অর্ধেক বংশের উপরে তত্ত্বাবধায়করূপে তাদের নিযুক্ত করে দিলেন। \c 27 \s1 সেনাবিভাগ \li4 \v 1 এই হল সেই ইস্রায়েলীদের তালিকা—যারা বিভিন্ন বংশের কর্তাব্যক্তি, সহস্র-সেনাপতি ও শত-সেনাপতি, ও তাদের কর্মকর্তা হয়ে সারা বছর ধরে মাসের পর মাস সেনাবিভাগ-সংক্রান্ত বিষয়ে রাজার সেবা করে গেলেন। প্রত্যেক বিভাগে 24,000 জন লোক থাকত। \b \li1 \v 2 প্রথম মাসের জন্য প্রথম বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন সব্দীয়েলের ছেলে যাশবিয়াম। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \v 3 তিনি পেরসের এক বংশধর ছিলেন এবং প্রথম মাসের জন্য সব সামরিক কর্মকর্তার প্রধান হলেন। \li1 \v 4 দ্বিতীয় মাসের জন্য সেই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন অহোহীয় দোদয়; তাঁর বিভাগের নেতা ছিলেন মিক্লোৎ। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 5 তৃতীয় মাসের জন্য সৈন্যদলের তৃতীয় সেনাপতি হলেন যাজক যিহোয়াদার ছেলে বনায়। তিনিই প্রধান ছিলেন ও তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \v 6 তিনি সেই বনায়, যিনি সেই ত্রিশজনের মধ্যে একজন বলবান যোদ্ধা ছিলেন এবং সেই ত্রিশজনের নেতাও হলেন। তাঁর ছেলে অম্মীষাবাদ তাঁর বিভাগের নেতা ছিলেন। \li1 \v 7 চতুর্থ মাসের জন্য চতুর্থ সেনাপতি হলেন যোয়াবের ভাই অসাহেল; তাঁর ছেলে সবদিয় তাঁর উত্তরাধিকারী হলেন। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 8 পঞ্চম মাসের জন্য পঞ্চম সেনাপতি হলেন যিষ্রাহীয় শমহূৎ। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 9 ষষ্ঠ মাসের জন্য ষষ্ঠ (সেনাপতি) হলেন তকোয়ীয় ইক্কেশের ছেলে ঈরা। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 10 সপ্তম মাসের জন্য সপ্তম সেনাপতি হলেন পলোনীয় হেলস, যিনি যাতে একজন ইফ্রয়িমীয় ছিলেন। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 11 অষ্টম মাসের জন্য অষ্টম সেনাপতি হলেন হূশাতীয় সিব্বখয়, যিনি যাতে একজন সেরহীয় ছিলেন। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 12 নবম মাসের জন্য নবম সেনাপতি হলেন অনাথোতীয় অবীয়েষর, যিনি যাতে একজন বিন্যামীনীয় ছিলেন। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 13 দশম মাসের জন্য দশম সেনাপতি হলেন নটোফাতীয় মহরয়, যিনি যাতে একজন সেরহীয় ছিলেন। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 14 একাদশতম মাসের জন্য একাদশতম সেনাপতি হলেন পিরিয়াথোনীয় বনায়, যিনি যাতে একজন ইফ্রয়িমীয় ছিলেন। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \li1 \v 15 দ্বাদশতম মাসের জন্য দ্বাদশতম সেনাপতি হলেন নটোফাতীয় হিলদয়, যিনি অৎনীয়েলের বংশোদ্ভুক্ত ছিলেন। তাঁর বিভাগে 24,000 জন লোক ছিল। \s1 গোষ্ঠীসম্প্রদায়গুলিরর নেতাদের বিবরণ \li4 \v 16 ইস্রায়েলের গোষ্ঠীসম্প্রদায়গুলির নেতারা হলেন: \b \li1 রূবেণীয়দের উপরে: সিখ্রির ছেলে ইলীয়েষর; \li1 শিমিয়োনীয়দের উপরে: মাখার ছেলে শফটিয়; \li1 \v 17 লেবির গোষ্ঠীর উপরে: কমূয়েলের ছেলে হশবিয়; \li1 হারোণের গোষ্ঠীর উপরে: সাদোক; \li1 \v 18 যিহূদা গোষ্ঠীর উপরে: দাউদের এক ভাই ইলীহূ; \li1 ইষাখর গোষ্ঠীর উপরে: মীখায়েলের ছেলে অম্রি; \li1 \v 19 সবূলূন গোষ্ঠীর উপরে: ওবদিয়ের ছেলে যিশ্মায়য়; \li1 নপ্তালি গোষ্ঠীর উপরে: অস্রীয়েলের ছেলে যিরেমোৎ; \li1 \v 20 ইফ্রয়িমীয়দের উপরে: অসসিয়ের ছেলে হোশেয়; \li1 মনঃশির অর্ধেক গোষ্ঠীর উপরে: পদায়ের ছেলে যোয়েল; \li1 \v 21 গিলিয়দে বসবাসকারী মনঃশির অর্ধেক গোষ্ঠীর উপর: সখরিয়ের ছেলে যিদ্দো; \li1 বিন্যামীন গোষ্ঠীর উপর: অবনেরের ছেলে যাসীয়েল; \li1 \v 22 দান গোষ্ঠীর উপর: যিরোহমের ছেলে অসরেল। \b \li4 এরাই ইস্রায়েলের বিভিন্ন গোষ্ঠীসম্প্রদায়ের নেতা। \b \p \v 23 দাউদ, কুড়ি বছর বা তার কমবয়সি কোনও লোকের সংখ্যা গণনা করেননি, কারণ সদাপ্রভু ইস্রায়েলকে আকাশের তারার মতো বহুসংখ্যক করে দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করলেন। \v 24 সরূয়ার ছেলে যোয়াব জনগণনা করতে শুরু করলেন কিন্তু তা শেষ করেননি। এই জনগণনার কারণে ইস্রায়েলের উপর ঈশ্বরের ক্রোধ নেমে এসেছিল, এবং সেই সংখ্যাটি রাজা দাউদের ইতিহাস-গ্রন্থে\f + \fr 27:24 \fr*\ft অথবা, “সংখ্যায়”\ft*\f* নথিভুক্ত হয়নি। \s1 রাজার সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়কেরা \li1 \v 25 রাজকীয় ভাঁড়ারঘরগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল অদীয়েলের ছেলে অসমাবৎকে। \li1 প্রত্যন্ত জেলা, নগর, গ্রাম ও নজর-মিনারগুলিতে অবস্থিত ভাঁড়ারঘরগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল উষিয়ের ছেলে যোনাথনকে। \li1 \v 26 দেশে যারা কৃষিকর্ম করত, তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল কলূবের ছেলে ইষ্রিকে। \li1 \v 27 দ্রাক্ষাক্ষেতগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল রামাথীয় শিমিয়িকে। \li1 দ্রাক্ষাক্ষেতে উৎপন্ন দ্রাক্ষারসের ভাণ্ডারগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল শিফমীয় সব্দিকে। \li1 \v 28 পশ্চিমদিকের পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত পাহাড়ি এলাকার জলপাই ও দেবদারু-ডুমুর গাছগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল গদেরীয় বায়াল-হাননকে। \li1 জলপাই তেল জোগানোর দায়িত্ব দেওয়া হল যোয়াশকে। \li1 \v 29 শারোণে চরে বেড়ানো গরু-ছাগলের পালগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল শারোণীয় সিট্রয়কে। \li1 উপত্যকাগুলিতে গরু-ছাগলের যেসব পাল ছিল, সেগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল অদলয়ের ছেলে শাফটকে। \li1 \v 30 উটগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল ইশ্মায়েলীয় ওবীলকে। \li1 গাধাগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল মেরোণোথীয় যেহদিয়কে। \li1 \v 31 মেষের পালগুলি দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হল হাগরীয় যাসীষকে। \li4 এরা সবাই রাজা দাউদের সম্পত্তি দেখাশোনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। \b \li1 \v 32 দাউদের কাকা যোনাথন ছিলেন এমন একজন পরামর্শদাতা, যিনি জ্ঞানবুদ্ধিতে পরিপূর্ণ একজন মানুষ ও একজন শাস্ত্রবিদও ছিলেন। \li1 হকমোনির ছেলে যিহীয়েল রাজার ছেলেদের যত্ন নিতেন। \li1 \v 33 অহীথোফল রাজার পরামর্শদাতা ছিলেন। \li1 অর্কীয় হূশয় রাজার অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন। \li4 \v 34 অহীথোফলের স্থলাভিষিক্ত হলেন অবিয়াথর ও বনায়ের ছেলে যিহোয়াদা। \li1 যোয়াব ছিলেন রাজকীয় সৈন্যদলের সেনাপতি। \c 28 \s1 মন্দির তৈরির জন্য দাউদের পরিকল্পনা \p \v 1 ইস্রায়েলের উচ্চপদস্থ সব কর্মচারীকে দাউদ জেরুশালেমে সমবেত হওয়ার জন্য ডেকে পাঠালেন: বিভিন্ন গোষ্ঠীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা, রাজার সেবায় নিযুক্ত বিভিন্ন বিভাগের সেনাপতিরা, সহস্র-সেনাপতি ও শত-সেনাপতিরা, এবং রাজার ও তাঁর ছেলেদের অধিকারভুক্ত সম্পত্তি ও গৃহপালিত পশুপাল দেখাশোনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা, ও তাদের সাথে সাথে প্রাসাদের কর্মকর্তারা, সৈন্যরা ও বীর যোদ্ধারাও ডাক পেয়েছিলেন। \p \v 2 রাজা দাউদ নিজের পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন: “হে আমার সহকর্মী ইস্রায়েলীরা ও আমার প্রজারা, আমার কথা শোনো। মনে মনে আমি ঠিক করে রেখেছিলাম যে আমি সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকের বিশ্রাম-স্থানরূপে এমন একটি ভবন তৈরি করব, যা হবে আমাদের ঈশ্বরের পা রাখার স্থান, এবং সেটি তৈরি করার পরিকল্পনাও আমি করে রেখেছিলাম। \v 3 কিন্তু ঈশ্বর আমায় বললেন, ‘তুমি আমার নামের উদ্দেশে কোনও ভবন তৈরি করতে পারবে না, যেহেতু তুমি একজন যোদ্ধা ও তুমি রক্তপাতও করেছ।’ \p \v 4 “তবুও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু চিরকালের জন্য ইস্রায়েলের উপর রাজা হওয়ার জন্য আমার সমগ্র পরিবারের মধ্যে থেকে আমাকেই মনোনীত করলেন। নেতারূপে তিনি যিহূদাকে মনোনীত করলেন, এবং যিহূদা গোষ্ঠী থেকে তিনি আমার পরিবারকে মনোনীত করলেন, ও আমার বাবার ছেলেদের মধ্যে থেকে আমাকেই তিনি খুশিমনে সমগ্র ইস্রায়েলের উপর রাজা করলেন। \v 5 আমার সব ছেলের মধ্যে থেকে—আর সদাপ্রভু তো আমাকে বেশ কয়েকটি ছেলে দিয়েছেন—ইস্রায়েলের উপর সদাপ্রভুর রাজ্যের সিংহাসনে বসার জন্য তিনি আমার ছেলে শলোমনকেই মনোনীত করেছেন। \v 6 তিনি আমাকে বললেন: ‘তোমার ছেলে শলোমনই সেই লোক, যে আমার ভবন ও প্রাঙ্গণ তৈরি করবে, কারণ আমার ছেলে হওয়ার জন্য আমি তাকে মনোনীত করেছি, এবং আমিই তার বাবা হব। \v 7 এখন যেমনটি হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই যদি সে আমার আদেশ ও বিধিবিধানগুলি পালন করার জন্য অবিচল থাকতে পারে, তবে চিরতরে আমি তার রাজ্য সুস্থির করে দেব।’ \p \v 8 “তাই এখন সমগ্র ইস্রায়েলের সাক্ষাতে ও সদাপ্রভুর জনতার সাক্ষাতে, এবং আমাদের ঈশ্বরের কর্ণগোচরে তোমাদের আমি আদেশ দিচ্ছি: তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সব আদেশ পালন করার জন্য তোমরা সতর্ক হও, যেন তোমরা এই সুন্দর দেশটির অধিকারী হতে পারো ও চিরকালের জন্য এটি তোমাদের বংশধরদের হাতে এক উত্তরাধিকাররূপে তুলে দিতে পারো। \p \v 9 “আর তুমি, বাছা শলোমন, তুমি তোমার বাবার ঈশ্বরকে স্বীকৃতি দিয়ো, এবং সর্বান্তঃকরণে নিষ্ঠা সমেত ও ইচ্ছুক এক মন নিয়ে তাঁর সেবা কোরো, কারণ সদাপ্রভু প্রত্যেকটি অন্তর অনুসন্ধান করলেন ও প্রত্যেকটি বাসনা ও প্রত্যেকটি চিন্তাভাবনা বোঝেন। তুমি যদি তাঁর অন্বেষণ করো, তবে তাঁকে খুঁজে পাবেই; কিন্তু যদি তাঁকে ত্যাগ করো, তবে তিনি চিরতরে তোমাকে প্রত্যাখ্যান করবেন। \v 10 এখন তবে বিবেচনা করো, কারণ উপাসনার পীঠস্থানরূপে একটি ভবন তৈরি করার উদ্দেশে তিনি তোমাকেই মনোনীত করেছেন। তুমি বলবান হও ও সে কাজটি করো।” \p \v 11 পরে দাউদ তাঁর ছেলে শলোমনকে মন্দিরের দ্বারমণ্ডপের, সেটির নির্মাণশৈলীর, ভাঁড়ারঘরগুলির, উপরের দিকের অংশগুলির, ভিতরদিকের ঘরগুলির ও প্রায়শ্চিত্ত করার স্থানটির নকশা বুঝিয়ে দিলেন। \v 12 সদাপ্রভুর মন্দির-সংলগ্ন প্রাঙ্গণের ও তার চারপাশের ঘরগুলির, ঈশ্বরের মন্দিরের কোষাগারগুলির ও উৎসর্গীকৃত জিনিসপত্র রাখার কোষাগারগুলির বিষয়ে ঈশ্বরের আত্মা দাউদের মনে যে যে নকশা ভরে দিলেন, সেগুলি তিনি শলোমনকে জানিয়ে দিলেন। \v 13 যাজক ও লেবীয়দের বিভিন্ন বিভাগের, এবং সদাপ্রভুর মন্দিরের পরিচর্যামূলক সব কাজের, তথা সেই পরিচর্যাকাজে ব্যবহৃত হতে যাওয়া সব জিনিসপত্রের বিষয়েও তিনি শলোমনকে বেশ কিছু নির্দেশ দিলেন। \v 14 বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যায় ব্যবহৃত হতে যাওয়া সোনার সব জিনিসপত্রের জন্য সোনার ওজন, ও বিভিন্ন ধরনের পরিচর্যায় ব্যবহৃত হতে যাওয়া রুপোর সব জিনিসপত্রের জন্য রুপোর ওজনও তিনি ঠিক করে দিলেন: \v 15 প্রত্যেকটি বাতিদানের ব্যবহার অনুসারে সোনার বাতিদানগুলির ও সেগুলিতে থাকা বাতিগুলির জন্য নিরূপিত সোনার ওজন, এবং প্রত্যেকটি বাতিদানের ও সেগুলিতে থাকা বাতিগুলির ওজন; এবং প্রত্যেকটি রুপোর বাতিদানের ও সেগুলিতে থাকা বাতিগুলির জন্য নিরূপিত রুপোর ওজন; \v 16 উৎসর্গীকৃত দর্শন-রুটির প্রত্যেকটি টেবিলের জন্য নিরূপিত সোনার ওজন; রুপোর টেবিলগুলির জন্য নিরূপিত রুপোর ওজন; \v 17 কাঁটাচামচগুলির, যেসব বাটি দিয়ে জল ছিটানো হয়, সেগুলির ও ঘটিগুলির জন্য নিরূপিত খাঁটি সোনার ওজন; সোনার প্রত্যেকটি থালার জন্য নিরূপিত সোনার ওজন; রুপোর প্রত্যেকটি থালার জন্য নিরূপিত রুপোর ওজন; \v 18 এবং ধূপবেদির জন্য নিরূপিত পরিশ্রুত সোনার ওজন তিনি স্থির করে দিলেন। এছাড়াও তিনি শলোমনকে সেই রথের নকশাটিও দিলেন, অর্থাৎ, সোনার সেই করূব দুটির নকশা, যেগুলি পাখা মেলে সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুকটিকে ঢেকে রাখত। \p \v 19 “এসবই,” দাউদ বললেন, “আমার উপর সদাপ্রভুর হাত বিস্তারিত থাকার পরিণামস্বরূপ আমি লিখে রাখতে পেরেছি, এবং সেই নকশার পুঙ্খানুপুঙ্খ সব বিবরণ তিনি আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছেন।” \p \v 20 এছাড়াও দাউদ তাঁর ছেলে শলোমনকে বললেন, “বলবান ও সাহসী হও, আর কাজটি করে ফেলো। ভয় পেয়ো না বা হতাশ হোয়ো না, কারণ, সদাপ্রভু ঈশ্বর, আমার ঈশ্বর তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের পরিচর্যার সব কাজ যতক্ষণ না সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি তোমাকে ছাড়বেন না বা ত্যাগও করবেন না। \v 21 ঈশ্বরের মন্দির সংক্রান্ত সব কাজ করার জন্য বিভিন্ন বিভাগের অন্তর্গত যাজক ও লেবীয়রা প্রস্তুত আছেন, এবং যে কোনো শিল্পকলা হোক না কেন, সেগুলিতে নিপুণ প্রত্যেক ইচ্ছুক ব্যক্তি সব কাজে তোমাকে সাহায্য করবে। কর্মকর্তারা ও সব লোকজন তোমার প্রত্যেকটি আদেশ পালন করবে।” \c 29 \s1 মন্দির নির্মাণের জন্য দত্ত উপহারসামগ্রী \p \v 1 পরে রাজা দাউদ সমগ্র জনসমাজকে বললেন: “যাকে ঈশ্বর মনোনীত করেছেন, আমার ছেলে সেই শলোমনের বয়স কম ও সে অনভিজ্ঞও বটে। কাজটি তো সুবিশাল, যেহেতু এই প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি মানুষের জন্য নয়, কিন্তু সদাপ্রভু ঈশ্বরের জন্যই তৈরি হচ্ছে। \v 2 আমার সব সম্বল দিয়ে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরের জন্য জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করেছি—সোনার কাজের জন্য সোনা, রুপোর কাজের জন্য রুপো, ব্রোঞ্জের কাজের জন্য ব্রোঞ্জ, লোহার কাজের জন্য লোহা ও কাঠের কাজের জন্য কাঠ, একইসাথে সাজসজ্জার জন্য স্ফটিকমণি, ফিরোজা,\f + \fr 29:2 \fr*\ft হিব্রু ভাষায় এই শব্দটির অর্থ খুব একটি স্পষ্ট নয়\ft*\f* বিভিন্ন রংয়ের পাথর, ও সব ধরনের মসৃণ পাথর ও মার্বেল পাথর—এসবই আমি প্রচুর পরিমাণে জোগাড় করেছি। \v 3 এর পাশাপাশি, আমি এই পবিত্র মন্দিরের জন্য এখনও পর্যন্ত যা যা দিয়েছি, সেগুলি ছাড়াও আমার ঈশ্বরের মন্দিরের প্রতি সমর্পণ দেখিয়ে আমি আমার ঈশ্বরের মন্দিরের জন্য এখন আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা সোনারুপোও দিয়ে দিচ্ছি: \v 4 ঘরের দেওয়ালগুলি মুড়ে দেওয়ার জন্য 3,000 তালন্ত\f + \fr 29:4 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 110 টন\ft*\f* সোনা (ওফীরের সোনা) ও 7,000 তালন্ত\f + \fr 29:4 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 260 টন\ft*\f* পরিশ্রুত রুপো, \v 5 সোনার কাজের জন্য সোনা ও রুপোর কাজের জন্য রুপো, এবং কারুশিল্পীদের দ্বারা সম্পন্ন সব কাজের জন্যই আমি এগুলি দিচ্ছি। এখন বলো দেখি, সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য আজ কে কে ইচ্ছুক?” \p \v 6 তখন বিভিন্ন বংশের নেতারা, ইস্রায়েলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা, সহস্র-সেনাপতিরা ও শত-সেনাপতিরা, এবং রাজকার্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা স্বেচ্ছাপূর্বক দান করলেন। \v 7 তারা ঈশ্বরের মন্দিরের কাজে 5,000 তালন্ত\f + \fr 29:7 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 190 টন\ft*\f* সোনা ও 10,000 অদর্কোন\f + \fr 29:7 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 84 কিলোগ্রাম\ft*\f* স্বর্ণমুদ্রা, 10,000 তালন্ত\f + \fr 29:7 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 380 টন\ft*\f* রুপো, 18,000 তালন্ত\f + \fr 29:7 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 675 টন\ft*\f* ব্রোঞ্জ ও 1,00,000 তালন্ত\f + \fr 29:7 \fr*\ft অর্থাৎ, প্রায় 3,800 টন\ft*\f* লোহা দিলেন। \v 8 যার যার কাছে দামি মণিমুক্তো ছিল, তারা সেগুলি সদাপ্রভুর মন্দিরের কোষাগারে নিয়ে গিয়ে গের্শোনীয় যিহীয়েলের হাতে তুলে দিয়েছিল। \v 9 প্রজারা তাদের নেতাদের স্বতঃস্ফুর্ত প্রতিক্রিয়া দেখে আনন্দ করল, কারণ তারা মুক্তহস্তে ও সর্বান্তঃকরণে সদাপ্রভুর উদ্দেশে দান দিলেন। রাজা দাউদও খুব খুশি হলেন। \s1 দাউদের প্রার্থনা \p \v 10 দাউদ এই বলে সমগ্র জনসমাজের উপস্থিতিতে সদাপ্রভুর প্রশংসা করলেন, \q1 “তোমার প্রশংসা হোক, হে সদাপ্রভু, \q2 হে আমাদের পূর্বপুরুষ ইস্রায়েলের ঈশ্বর, \q2 অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত হোক। \q1 \v 11 হে সদাপ্রভু, মহত্ত্ব ও ক্ষমতা তোমারই \q2 আর প্রতাপ ও রাজসিকতা ও ঐশ্বর্যও তোমারই, \q2 কারণ স্বর্গে ও মর্ত্যে সবকিছু তোমারই। \q1 হে সদাপ্রভু, রাজ্য তোমারই; \q2 সবকিছুর উপরে তুমিই মস্তকরূপে উন্নত। \q1 \v 12 ধনসম্পত্তি ও সম্মান তোমারই কাছ থেকে আসে; \q2 তুমিই সবকিছুর শাসনকর্তা। \q1 সবাইকে উন্নত করার ও শক্তি জোগানোর জন্য \q2 শক্তি ও বল তোমারই হাতে আছে। \q1 \v 13 এখন, হে আমাদের ঈশ্বর, আমরা তোমায় ধন্যবাদ জানাই, \q2 ও তোমার মহিমাময় নামের প্রশংসা করি। \p \v 14 “কিন্তু আমি কে, আর আমার প্রজারাই বা কে, যে আমরা উদারতাপূর্বক এত কিছু দিতে পারব? সবকিছুই তোমারই কাছ থেকে আসে, এবং তোমার হাত ধরে যা এসেছে, আমরা তোমাকে শুধু সেটুকুই দিয়েছি। \v 15 আমাদের সব পূর্বপুরুষদের মতো আমরাও তোমার দৃষ্টিতে বিদেশি ও অচেনা অজানা লোক। পৃথিবীর বুকে আমাদের দিনগুলি এক ছায়ার মতো, যার কোনও আশাই নেই। \v 16 হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার পবিত্র নামের জন্য এক মন্দির তৈরি করতে গিয়ে আমরা এই যেসব প্রচুর আয়োজন করেছি, এসবই তোমার হাত ধরেই এসেছে, এবং এসব তোমারই। \v 17 হে আমার ঈশ্বর, আমি জানি যে তুমি হৃদয়ের পরীক্ষা করো এবং সততা দেখে খুশি হও। এসব কিছু আমি স্বেচ্ছায় সৎ-উদ্দেশ্য নিয়েই দিয়েছি। আর এখন আমি আনন্দিত হয়ে দেখেছি, এখানে উপস্থিত তোমার প্রজারা কত খুশিমনে তোমাকে দান দিয়েছে। \v 18 হে সদাপ্রভু, আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমি চিরকাল তোমার প্রজাদের অন্তরে এইসব বাসনা ও ভাবনাচিন্তা বজায় রেখো, এবং তাদের অন্তরগুলি তোমার প্রতি অনুগত করে রোখো। \v 19 তোমার আদেশ, বিধিনিয়ম ও বিধানগুলি পালন করার এবং যে প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি তৈরি করার জন্য আমি জিনিসপত্রের জোগান দিয়েছি, সেটি তৈরি করার সময় সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করার জন্য আমার ছেলে শলোমনকে তুমি আন্তরিক নিষ্ঠা দিয়ো।” \p \v 20 পরে দাউদ সমগ্র জনসমাজকে বললেন, “তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করো।” তখন তারা সবাই তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করল; তারা নতজানু হল, সদাপ্রভুর ও রাজার সামনে তারা মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল। \s1 শলোমন রাজারূপে স্বীকৃতি পান \p \v 21 ঠিক পরের দিন তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে বলিদান উৎসর্গ করল এবং তাঁর কাছে এই হোমবলিগুলি নিয়ে এসেছিল: 1,000 বলদ, 1,000 মদ্দা মেষ ও মেষের 1,000 মদ্দা শাবক, একইসাথে তারা তাদের পেয়-নৈবেদ্য, ও অজস্র পরিমাণে অন্যান্য সব বলি সমস্ত ইস্রায়েলের জন্য নিয়ে এসেছিল। \v 22 সেদিন তারা মহানন্দে সদাপ্রভুর উপস্থিতিতে ভোজনপান করল। \p পরে তারা শাসনকর্তা হওয়ার জন্য দাউদের ছেলে শলোমনকে সদাপ্রভুর সামনে অভিষিক্ত করে দ্বিতীয়বার রাজারূপে ও যাজক হওয়ার জন্য সাদোককেও স্বীকৃতি দিয়েছিল। \v 23 অতএব শলোমন তাঁর বাবা দাউদের স্থলাভিষিক্ত হয়ে রাজারূপে সদাপ্রভুর সিংহাসনে বসেছিলেন। তিনি সমৃদ্ধিলাভ করলেন ও ইস্রায়েলীরা সবাই তাঁর বাধ্য হল। \v 24 কর্মকর্তা ও যোদ্ধারা সবাই, একইসাথে রাজা দাউদের ছেলেরা সবাই রাজা শলোমনের প্রতি তাদের আনুগত্য দেখিয়েছিলেন। \p \v 25 সমগ্র ইস্রায়েলের দৃষ্টিতে সদাপ্রভু শলোমনকে অত্যন্ত উন্নত করলেন এবং তাঁকে এমন রাজকীয় ঐশ্বর্য দান করলেন, যা ইস্রায়েলের কোনও রাজা কখনও পাননি। \s1 দাউদের মৃত্যু \p \v 26 যিশয়ের ছেলে দাউদ সমগ্র ইস্রায়েলের উপর রাজত্ব করলেন। \v 27 তিনি চল্লিশ বছর ধরে ইস্রায়েলে শাসন চালিয়েছিলেন—সাত বছর হিব্রোণে ও তেত্রিশ বছর জেরুশালেমে। \v 28 দীর্ঘায়ু, ধনসম্পত্তি ও সম্মান উপভোগ করার পর তিনি যথেষ্ট বৃদ্ধ বয়সে মারা গেলেন। তাঁর ছেলে শলোমন রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। \p \v 29 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, রাজা দাউদের রাজত্বকালের যাবতীয় ঘটনা দর্শক শমূয়েলের, ভাববাদী নাথনের ও দর্শক গাদের লেখা নথিগুলিতে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে, \v 30 একইসাথে তাঁর রাজত্বের ও ক্ষমতার, এবং তাঁকে ও ইস্রায়েলকে তথা অন্যান্য সব দেশের রাজ্যগুলি ঘিরে যেসব পরিস্থিতি আবর্তিত হল, সেগুলিরও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সেগুলিতে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে।